অকাল্ট মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিনগুলো হঠাৎ করে এত জনপ্রিয়তার পেছনে কাজ করছে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এজেন্ডা।এই গ্লোবাল এসোটেরিক এজেন্ডা মিথ্যা মসীহের ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশ্বাসগত মতপার্থক্যরোধে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন তৈরির লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে সারাবিশ্বে নানা নামে আম্ব্রেলা সংগঠনরূপে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পূর্বেও আলোচনা করেছি,এরা প্রাচীন প্যাগানিজমকে পুনরুজ্জীবিত করছে যা খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের দীর্ঘকাল শাসনের তোপে কিছু শতাব্দী লুকায়িত ছিল। ওই বিশেষ কাফেররা প্রাচীন গ্রীক অকাল্ট ফিলসফারদের প্যাগান মতাদর্শকে পছন্দ করে, যেমন প্লেটোনিক মতবাদ, এখন নিওপ্লেটোনিজম চালু হয়েছে, পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম, ওই সময়কার হারম্যাটিসিজম,আ লকেমিক্যাল প্র্যাক্টিস ,স্টয়িসিজম ইত্যাদি। জুডিও অশ্লীল কিতাব জোহার বেজড কাব্বালাও সিমিলার মতাদর্শ ক্যারি করে, যার জন্য সকল মিস্টিক্সরা একে অন্যের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল এবং পরিবারস্বরূপ। পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল প্রাচীন প্যাগান বিখ্যাত গ্রীক ান্ড অব ম্যাজাই) ম্যাজাইদের(যাদু কর) থেকে। তখনকার মেইনস্ট্রিম কসমোলজি ছিল জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ফ্ল্যাট আর্থবেজড,সারা পৃথিবীতে ওই তত্ত্ব ছিল হেরেটিক। কিন্তু পিথাগোরাস, প্লেটোর জ্ঞানের তারিফে এস্ট্রোনমাররা এর ব্যপারে ভাবতে শুরু করে। খ্রিষ্টান শক্তি তাদের এই স্ফেরিক্যাল থিওরিকে প্যাগান থিওরি বলে কিছু কাল রিজেক্ট করে,যেহেতু গ্রীক মনীষীরা আগে থেকেই কুফরি মতবাদ আর জাদুবিদ্যার জ্ঞানবাহক ছিল। প্রত্যেক গ্রীক মিস্টিক্স মনীষীরাই ছিলেন জাদুবিদ্যার কারিগর। তারা ইউনিভার্সের গুপ্ত রহস্য জানার ব্যপারে অবসেসড ছিলেন, যা তাদেরকে জাদুবিজ্ঞানের(অ কাল্ট ফিজিক্স) দিকে হাটায়। তাদের মতবাদভিত্তিক বিজ্ঞান ছিল জাদুর গুহ্য মেকানিজম। হয়ত গ্রীক জাদুবিদ্যাগুলো স্যাটানিক বিংদের ইন্টারভেনশন ছাড়াই কাজ করত। এস্ট্রলজি-আলকেম িতে ছিল সিদ্ধহস্ত।ওটাই ছিল সমুচ্চ জ্ঞান এবং বিজ্ঞান।
.
গ্রীক মিস্টিসিজম গুলোর কমন গ্রাউন্ড ছিল মনিজম অথবা নন ডুয়ালিজম আরবিতে ওয়াহদাতুল উজুদ, বাংলায় 'স্রষ্টা সৃষ্টির এক অস্তিত্ব' । এটা হচ্ছে ওদের বিলিফ সিস্টেমের কার্নেল। আপনি নন ডুয়ালিস্ট না হয়ে হয়ত সর্সারিকর্মে সফল হবেন না। এ সকল মতবাদে বিশ্বাসী উইচদের হাতে পেলেই খ্রিষ্টান ক্ষমতাসীন সমাজে কঠিন শাস্তি দিত, সেই সাথে ওদের এসোটেরিক ডগমাও উৎপাটিত হত। আরবরা অনেক দেরীতে গ্রীক ফিলসফি হাতে পায় এবং নিছক কৌতূহলপ্রবন হয়ে সেসবকে আরবিভাষায় অনুবাদ করে, ফলে আরবরা তথা মুসলিম বিশ্বে আলকেমির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহদাতুল উজুদের জন্ম হয়, জন্ম হয় সুফিবাদ বা ইসলামিক মিস্টিসিজম! যারাই কৌতূহল নিয়ে এতে একবার ঢোকে, নিকৃষ্ট কাফের হয়ে বের হয়, ওই মানের কুফরি যা ফেরাউনও করেনি। মুসলিম এস্ট্রোনমারগন গ্রীক কস্মোলজিকে জ্ঞানের উৎস মনে করে গ্রহন করতে শুরু করে, ইসলামে সর্বপ্রথম স্ফেরিক্যাল আর্থ ঢুকে পড়ে। তখনও সেটা প্রতিষ্ঠিত নয়। ততদিনে রিফর্মেশন এজ চলে আসে, এই রেনেসাঁর যুগে খ্রিষ্টান মৌলবাদীরা দুর্বল হয়ে পড়ে, যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে চার্চ আর শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হয় এবং সেকুলারিজমের উন্মেষ
ঘটে। পশ্চিমে নেতিয়ে পড়া প্রাচীন প্যাগানিজম আবারো জাগ্রত হয়। উইচক্রাফট, সর্সারি, স্যাটানিজম বাড়তে থাকে, জেসুইট অর্ডার কস্মোলজিকে পাল্টে দেয়। জাদুবিদ্যার ধর্ম অর্থাৎ আধ্যাত্মবাদ আস্তে আস্তে আবারো শক্তি ফিরে পায়, এস্ট্রলজির প্রসার সমাজে বাড়তে থাকে। হঠাৎ করে যাদুকর/ জ্যোতিষী এবং দার্শনিকগনদের যাদুশাস্ত্রগুলো কে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপরে ফ্রিম্যাসনিক রয়্যাল সোসাইটি থেকে ফিলসফি অব সাইন্স এবং অবশেষে ন্যাচারাল ফিলসফিকে সাইন্স নামে ভূষিত হয়। শয়তানের পূজারীরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে ব্যবিলনিয়ান মিস্টিসিজম এর প্রসার শুরু করে। ইস্টার্ন মিস্টিসিজমকে সমৃদ্ধ আর প্রাচীন হিসেবে দেখে সেটাকেই গ্রীকের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় যার প্রভাবে ম্যাডাম হেলেনার থিওসফি গঠিত হয়, পরবর্তীতে হারমেটিক অর্ডার অব গোল্ডেন ডন, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস চলে আসে। এই প্যাগান শাখা প্রশাখা বেড়ে আজ নিউএজ মুভমেন্ট-কোয়ান্ টাম মিস্টিসিজম(কোয়া ন্টাম ম্যাথড বাংলাদেশে) পর্যন্ত এসেছে। ইস্কনরাও সাথে আছে। এদের কমন কাল্ট রিচুয়ালের একটি হচ্ছে যোগধ্যান যা ওই গ্রীক প্যাগানিজমসহ সকল প্যাগান ডক্ট্রিনে ছিল। এখন মোটামুটি ধর্মগুলোকে একীভূতকরনের সময় এসেছে, তাই কমনগ্রাউন্ড মেডিটেশনে সব মানুষকে ডাইভার্টের চেষ্টায় আছে এলিটরা। বাংলাদেশে এরই প্রেক্ষাপটে একবার যোগধ্যানের উপর ট্যাক্স আরোপ করেছিল সরকার,যাতে কুফরের জাহাজ কোয়ান্টাম ম্যাথড,ইস্কনরা আন্দোলনে নামে এবং জনগনের দৃষ্টি মেডিটেশন এর উপর পড়ে এবং ভাবে। তখনই আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম সরকারীভাবে খুব শীঘ্রই মেডিটেশন প্রচারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটাই সত্য হলো।তাগুত সরকারের বিটিভি যোগধ্যানের প্রোগ্রাম চালু করেছে। দেখুনঃ http:// banglamail71.inf o/archives/5320
স্টেডিয়ামেও বিশ্ব যোগ দিবসে একসাথে ৮০০০ যোগীরা আত্মপূজা ও শয়তানের(কারিন শয়তানের) পূজার আয়োজন করে।সেখানে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ এবং ফ্রি উপহার সামগ্রীরও টোপ দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বামী শুভানন্দ, নামক এক ব্যক্তি।
যার সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্নিকাটের বিশেষ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। (ছবি- ইনসেটে)
যে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েও প্যাগান মিস্ট্রি স্কুলের প্রচার শুরু করেছে। (http://bit.ly/ 2hKovju) এই কুফরি দ্বীনের প্রচারে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা আছে, সহযোগিতা আছে ইজরাইলের, ভারতের এবং সর্বোপরি জাতিসংঘ। এদেশের প্রধান বিচারক এসকে সিনহাও ইসকনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। নিঃসন্দেহে এই প্যাগ্যান থিওলজি প্রসারে সংশ্লিষ্ট হায়ারার্কির সবার শীর্ষে ইবলিস ও দাজ্জালকে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন এর স্পন্সর্ড 'সুস্থ দেহ সুখী স্বদেশ' নামের প্রচারিত ইয়োগার অনুষ্ঠানটিতে কাজ করছে "এভারগ্রীন ইয়োগা" নামের একটা সংগঠন।
একই নামে পেরুসহ বেশ কয়েকটিদেশে একই শিক্ষার যোগসাধনার সংগঠন এর কার্যক্রম দেখলাম।আর এভার গ্রীনেরই শাখা ভারত,আমেরিকা, ইউকে, জার্মানিসহ অনেক দেশে রয়েছে(ছবিতে দেখুন)।এভারগ্রী নে কোর্স শুরু করলে তারা 'সূর্য নমস্কার' নামের সূর্য পূজো করাও শেখায়(ছবিতে দেখুন)। এটা যে শিরক সেটা নিয়ে islamqa.info ওয়েবে সম্ভবত শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ কিছু বলেছিলেন। দেশীয় এ সংগঠনটির শেকড় তালাশ করলে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সংশ্লিষ্টতাও অনিবার্যভাবে পাওয়া যাবে। যাহোক, এভারগ্রীন যোগের সাথে যুক্ত "সুপার মডেল বাংলাদেশ" নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। তারা কিছু তরুন তরুণীদের নায়ক নায়িকা বানানোর জন্য নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তৈরি করছে, যোগসাধনা তাদের শিক্ষা বা ফিটনেসের গুরুত্বপূর্ণ
অংশ। দেখুনঃ https:// m.facebook.com/ SuperModelBangla desh
https:// m.facebook.com/ evergreenyogabd
.
সারাবিশ্বব্যাপী প্যাগানিজম/ প্রকৃতি পূজা প্রচলনের স্বপ্ন ছিল শয়তানের। এ স্বপ্ন পূরন করছে দাজ্জালের মাধ্যমে। এখন এস্ট্রলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ্যাকুরিয়াস এজ চালু হয়েছে। বলা হয়, এই গোল্ডেন এজই ইবলিসের মতাদর্শকে পূর্নতাদানের শতাব্দি। এই মতাদর্শের পূর্নতাদানের জন্য একজন মাস্টারের বা ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছে এসোটেরিক এজেন্ডা, যাকে আমরা বলি দাজ্জাল। ওরা কল্কি/মৈত্রেয় অবতার প্রভৃতি নামে অপেক্ষা করছে।
ইসলাম শুরু থেকেই এই মতবাদের ভাইরাসকে কঠোর হাতে দমন করত, অতীতে এক কাব্বালিস্ট যাজকও জোড়পূর্বক শাস্তির ভয়ে মুসলিম হতে বাধ্য হয়। মানসুর হাল্লাজের কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, ইবনে আরাবির ব্যপারে হক্কপন্থী উলামাগন ওই যুগেই কি বলতেন সেটা আমরা জানি। আজও ইসলামিক মিস্টিক্স(সুফিপ ন্থীরা) ছাড়া কেউই এদের ভাল বলেনা। খ্রিষ্টান থেকে নস্টিসিস্টদের জন্ম। আর ক্যাথলিকরা এদের প্রতি সহনশীল, পশ্চিমে আজ খ্রিষ্টান ধর্মকেই বিভিন্নভাবে মডিফাই করে স্পিরিটিজমে ধাবিত করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ খ্রিষ্টানরা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম গ্রহন করেছে। অনেক হাইব্রীড রিলিজিয়াস মুভমেন্ট গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ কাফের খ্রিষ্টানরা বড় কুফরিকে বেছে নিয়েছে এবং অপেক্ষা করছে ওদের শেষ বুদ্ধের!
.
আজ পৃথিবীর সর্বাধিক সমৃদ্ধ গুহ্যবাদ হচ্ছে ইস্টার্ন অকাল্টিজম বা ধর্মচক্রের রহস্যবাদ(যোগ-তন ্ত্র), আমরা সাধারণ মুসলিমরা ব্যাকগ্রাউন্ড খুব বেশি জানিনা তাই আপাতদৃষ্টিতে হিন্দুত্ববাদ মনে হয়। আসলটা সরাসরি শয়তান থেকে আসা। শুনলে অবাক হবেন, এল মোরিয়া আর খুতুমি নামের দুই শয়তান জ্বীন ম্যাডাম হেলেনার কাছে সর্বপ্রথম থিওসফিক্যাল(the o+Sophia= Divine/gods wisdom) ডক্ট্রিন নিয়ে আসে।
এখন বিশ্বব্যাপী রেজারেকশ্যনকে আনসাইন্টিফিক এবং ইল্লজিক্যাল সাব্যস্ত করে রিইনকারনেশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে সাইন্টিফিক ভাবে ভ্যালিড। চলে এসেছে বায়োসেন্ট্রিজম। ডেভিয়েন্ট স্কলার ইমরান নযরও জানেন দাজ্জাল রিইনকারনেশনকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে( তার এক লেকচারে শুনেছিলাম)। এ মুহূর্তে পিউর মনোথেইজম বা তাওহীদের দ্বীন ইসলাম হচ্ছে কুফফার তাগুতদের মিশন বাস্তবায়নের পথের কাটা। বিভিন্নভাবে মোডারেট ইসলামিস্ট ব্যবহারের দ্বারা জিহাদিদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এবার সুফি/বেলেরভী/ শিয়াদের সহায়তায় রিইনকারনেশন বা পুনঃজন্মবাদকে এস্ট্যাবলিশের কাজ চলছে। এক বেলেরভী সাক্ষাৎকারে দেখেছি তারা রিইনকারনেশনকে ইতোমধ্যে ইসলামের আঙ্গিকে ট্রোল করে ভ্যালিড করেছে!! আশা রাখব, সামনে বিটিভি সহ তাদের এল্যাইরা মাঠপর্যায়ে রিইনকারনেশনের ভ্যালিডিটি আনয়নের জন্য সুফি বেরেলভীস্টদের থেকে সাহায্য আসবে। লালন,বাউল,ফকিরদ েরকে তো সরকার বহু আগে থেকেই প্রোমোট করে আসছে। মনপুরা চলচ্চিত্রও নির্মান করা হয়েছে। কোন সমস্যা নেই, অনেক আগে থেকেই ওয়াহদাতুল উজুদ, হুলুল, ইত্তেহাদের আকিদা অনেকের মাঝে বিদ্যমান, সেটা আকড়ে ধরতে কষ্ট হবেনা। এখন তো পদার্থবিদদের রেফারেন্সে এই প্যাগান থিওলজিকে প্রোমোট করা হয়। বাকি কিই বা আছে!?
.
আপনি কি জানেন ওরা যোগধ্যানে কি করে? ওরা আপনার মধ্যে ঘুমন্ত 'চেতনা' কে জাগানোর কথা বলবে। সেটা নাকি বিশেষ স্পিরিচুয়াল এনার্জি ফোর্স যা কি না, সাপের ন্যায় কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে স্পাইনের মূলে। যোগসাধনার দ্বারা সে ঘুমন্ত স্পিরিচুয়াল এনার্জিকে জাগিয়ে আপনার সচেতন মনে প্রবেশাধিকার এবং নিয়ন্ত্রণভার দিয়ে দেওয়া হয়। যখন এই স্পিরিট এন্টিটিকে বা হায়ার সেল্ফকে নিজের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়া হয় তখন যোগীরা বলবে 'ইউ আর এনলাইটেন্ড',ওরা বলবে আপনার তৃতীয় নেত্র খুলে গেছে। তখন অনেক অতিপ্রাকৃত ঘটনা আপনার দ্বারা ঘটতে দেখবেন। একটু খুলে বলি, ধ্যানের মাধ্যমে আপনার উপর, আপনার সাথে থাকা কারীন শয়তান জ্বীনকে(স্পিরিচ ুয়াল এনার্জি ফোর্স) আপনার চেতনায় পূর্ন নিয়ন্ত্রন দেওয়া হয়। তখন শয়তান জ্বীনের আপনার উপর পূর্ন অধিকারে কোন বাধা পায় না। তখন জ্বীনের দ্বারা অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটতে দেখবেন। যেমনঃ ক্ল্যারভয়েন্স,ক ্ল্যারঅডিয়েন্স ইত্যাদি। ধীরে ধীরে ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউতে রপ্ত করানো হয় ।এভাবে তারা মেডিটেশন এর দ্বারা মানুষকে মানব শয়তানে রূপান্তর করছে।
.
একটা দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমি বাংলা ভাষায় কাউকেই মিস্টিসিজম/ অকাল্টিজম নিয়ে এক্সপোজ করতে দেখিনি।(কোয়ান্ট াম ম্যাথডের উপরে লেখা এক ভাইয়ের ব্লগে খুবই সামান্য কিছু পেয়েছিলাম)। গুহ্যজ্ঞানবাদ নিয়ে কেন জানি কাউকেই চিন্তিত দেখি না, অথচ এই বাতেনিয়্যাহরাই দাজ্জাল এর দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করছে। শয়তানের মতাদর্শকে প্রকাশ্যে প্রচার করছে যা তাওহীদের বিপরীত!
.
October 18, 2017 at 10:36 PM
.
গ্রীক মিস্টিসিজম গুলোর কমন গ্রাউন্ড ছিল মনিজম অথবা নন ডুয়ালিজম আরবিতে ওয়াহদাতুল উজুদ, বাংলায় 'স্রষ্টা সৃষ্টির এক অস্তিত্ব' । এটা হচ্ছে ওদের বিলিফ সিস্টেমের কার্নেল। আপনি নন ডুয়ালিস্ট না হয়ে হয়ত সর্সারিকর্মে সফল হবেন না। এ সকল মতবাদে বিশ্বাসী উইচদের হাতে পেলেই খ্রিষ্টান ক্ষমতাসীন সমাজে কঠিন শাস্তি দিত, সেই সাথে ওদের এসোটেরিক ডগমাও উৎপাটিত হত। আরবরা অনেক দেরীতে গ্রীক ফিলসফি হাতে পায় এবং নিছক কৌতূহলপ্রবন হয়ে সেসবকে আরবিভাষায় অনুবাদ করে, ফলে আরবরা তথা মুসলিম বিশ্বে আলকেমির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহদাতুল উজুদের জন্ম হয়, জন্ম হয় সুফিবাদ বা ইসলামিক মিস্টিসিজম! যারাই কৌতূহল নিয়ে এতে একবার ঢোকে, নিকৃষ্ট কাফের হয়ে বের হয়, ওই মানের কুফরি যা ফেরাউনও করেনি। মুসলিম এস্ট্রোনমারগন গ্রীক কস্মোলজিকে জ্ঞানের উৎস মনে করে গ্রহন করতে শুরু করে, ইসলামে সর্বপ্রথম স্ফেরিক্যাল আর্থ ঢুকে পড়ে। তখনও সেটা প্রতিষ্ঠিত নয়। ততদিনে রিফর্মেশন এজ চলে আসে, এই রেনেসাঁর যুগে খ্রিষ্টান মৌলবাদীরা দুর্বল হয়ে পড়ে, যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে চার্চ আর শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হয় এবং সেকুলারিজমের উন্মেষ
ঘটে। পশ্চিমে নেতিয়ে পড়া প্রাচীন প্যাগানিজম আবারো জাগ্রত হয়। উইচক্রাফট, সর্সারি, স্যাটানিজম বাড়তে থাকে, জেসুইট অর্ডার কস্মোলজিকে পাল্টে দেয়। জাদুবিদ্যার ধর্ম অর্থাৎ আধ্যাত্মবাদ আস্তে আস্তে আবারো শক্তি ফিরে পায়, এস্ট্রলজির প্রসার সমাজে বাড়তে থাকে। হঠাৎ করে যাদুকর/
স্টেডিয়ামেও বিশ্ব যোগ দিবসে একসাথে ৮০০০ যোগীরা আত্মপূজা ও শয়তানের(কারিন শয়তানের) পূজার আয়োজন করে।সেখানে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ এবং ফ্রি উপহার সামগ্রীরও টোপ দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বামী শুভানন্দ, নামক এক ব্যক্তি।
যার সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্নিকাটের বিশেষ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। (ছবি- ইনসেটে)
যে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েও প্যাগান মিস্ট্রি স্কুলের প্রচার শুরু করেছে। (http://bit.ly/
একই নামে পেরুসহ বেশ কয়েকটিদেশে একই শিক্ষার যোগসাধনার সংগঠন এর কার্যক্রম দেখলাম।আর এভার গ্রীনেরই শাখা ভারত,আমেরিকা, ইউকে, জার্মানিসহ অনেক দেশে রয়েছে(ছবিতে দেখুন)।এভারগ্রী
অংশ। দেখুনঃ https://
https://
.
সারাবিশ্বব্যাপী
ইসলাম শুরু থেকেই এই মতবাদের ভাইরাসকে কঠোর হাতে দমন করত, অতীতে এক কাব্বালিস্ট যাজকও জোড়পূর্বক শাস্তির ভয়ে মুসলিম হতে বাধ্য হয়। মানসুর হাল্লাজের কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, ইবনে আরাবির ব্যপারে হক্কপন্থী উলামাগন ওই যুগেই কি বলতেন সেটা আমরা জানি। আজও ইসলামিক মিস্টিক্স(সুফিপ
.
আজ পৃথিবীর সর্বাধিক সমৃদ্ধ গুহ্যবাদ হচ্ছে ইস্টার্ন অকাল্টিজম বা ধর্মচক্রের রহস্যবাদ(যোগ-তন
এখন বিশ্বব্যাপী রেজারেকশ্যনকে আনসাইন্টিফিক এবং ইল্লজিক্যাল সাব্যস্ত করে রিইনকারনেশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে সাইন্টিফিক ভাবে ভ্যালিড। চলে এসেছে বায়োসেন্ট্রিজম।
.
আপনি কি জানেন ওরা যোগধ্যানে কি করে? ওরা আপনার মধ্যে ঘুমন্ত 'চেতনা' কে জাগানোর কথা বলবে। সেটা নাকি বিশেষ স্পিরিচুয়াল এনার্জি ফোর্স যা কি না, সাপের ন্যায় কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে স্পাইনের মূলে। যোগসাধনার দ্বারা সে ঘুমন্ত স্পিরিচুয়াল এনার্জিকে জাগিয়ে আপনার সচেতন মনে প্রবেশাধিকার এবং নিয়ন্ত্রণভার দিয়ে দেওয়া হয়। যখন এই স্পিরিট এন্টিটিকে বা হায়ার সেল্ফকে নিজের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়া হয় তখন যোগীরা বলবে 'ইউ আর এনলাইটেন্ড',ওরা
.
একটা দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমি বাংলা ভাষায় কাউকেই মিস্টিসিজম/
.
October 18, 2017 at 10:36 PM
জনপ্রিয় ডা: জাহাঙ্গীর কবিরকেও দেখলাম যোগ ব্যায়াম yoga শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম শেখাচ্ছে ,সাথে কিটো ডায়েট ,এই ডায়েটে কি ব্রেইন ক্যামিক্যাল চেঞ্জে হয়ে থার্ড আই ওপেন হয় ?সাথে যোগ বব্যায়াম আর শ্বাস কন্ট্রোল ?উনি সম্ভবত মুসলিম হলেও সুফীজম অনুসরণ করেন ,কিটোতে আধ্যাত্মিক ভাবে মানুষের পরিবর্তন হয় কিনা এই নিয়ে বিস্তারিত লিখবেন বলে আশা রাখি ইনশাআল্লাহ
ReplyDelete