নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সের ব্যপারে জ্ঞান থাকা জরুরি। যদিও এ বিষয়টা ব্যাখ্যা করবার জন্য লেখা, তবুও সংক্ষেপে এর ব্যপারে বলব যাদের মস্তকে এ ব্যপারে কোন তথ্য নেই। সারাপৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাজারও মানুষ এ অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে, যখন তাদের জীবন সংকটাপন্ন হচ্ছে।ভিকটিম যখন দুর্ঘটনাজনিত কারনে প্রায় মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে অথবা তাকে ক্লিনিক্যাললি মৃত ঘোষনা করা হচ্ছে, এর কিছুসময় অন্তর চেতনা পূর্নরূপে ফিরে আসে, আর কিছু অদ্ভুত অভিজ্ঞতা বর্ননা করে। প্রত্যেক ভিক্টিমই আউটার বডি এক্সপেরিয়েন্স করে। তার আত্মা শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রত্যক্ষ করে। আর সেই সাথে উর্দ্ধগমন শুরু করে। সে আকাশে বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙ এর বর্নিল চক্রাকার ঘূর্ণনশীল আলোর টানেল দেখতে পায়, যার চূড়া উজ্জ্বল আলোকময়। সেই সাথে অনুভব করে সে বর্নিল আলো অসম্ভব মায়া ও ভালোবাসা দ্বারা ভরা,যা তার আত্মার সুক্ষ নন সলিড দেহে ঠিকরে পড়ছে। আর প্রবল অকৃত্রিম ভালবাসার উদ্রেক ঘটাচ্ছে । এরূপ স্বপ্নীল অথবা প্যারানরমাল বিষয়টি ঘটার মুহুর্তে কেউ কেউ জাহান্নাম ও তার অল্প কিছু অধিবাসীদেরকে দেখতে পায়। এমতাবস্থায় সে এক সত্তাকে দেখে এবং তার সাথে কথা বলে। খ্রিষ্টানদের কেউ একে ঈসা(আ) বলে। কেউ বা মনে করে ইনিই সৃষ্টিকর্তা। কেউ মনে করে এই হচ্ছে প্রকৃতিমাতা! সে সত্ত্বা থেকে প্রবল ভালবাসা উদ্রেককারী আলো বিকিরন হতে থাকে, যা উইটনেসের শরীরকে ভেদ করে যেতে থাকে। এমতাবস্থায়, সে ব্যক্তি চায় দুনিয়া ছেড়ে সে মায়ার দিকে চলে যেতে, এভাবে উপরে উঠতে থাকার এক মুহুর্তে সে সত্তা গায়েবী আওয়াজে তাকে বলে 'তোমার কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি, তাই দুনিয়ায় ফিরে যাও', এমতাবস্থায় অনিচ্ছাসত্ত্বেও ওই ব্যক্তির আত্মা দেহে ফিরে আসে!!
__
নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স হবার পর যেকোন ব্যক্তির জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে, তার দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে যায়। অনেক নাস্তিক খ্রিষ্টান ধর্মগ্রহণ করেছে,অধিকাংশই স্পিরিচুয়ালিস্ট হয়েছে।এক নাস্তিক স্কাইডাইভার ভুল করে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে সমুদ্রে জেলিফিশদের আস্তানায় পড়ে, সেখানে জেলিফিশের কামড়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় তারও NDE হয়। পরবর্তীতে খ্রিষ্টানধর্ম গ্রহন করে।
_এক জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাও NDE এর কবলে পড়ে রাতারাতি সুস্থ হয়ে যায়।
_নাদিয়া ম্যাকাফ্রি সাপের কামড়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় একই রকম দৃশ্য দেখে। তিনি একই অনুভূতি লাভের আশায় কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন!
.
এরকম হাজারো ঘটনা রয়েছে। অনেকসময় এমনটাও হয় যে রোগীকে ক্লিনিক্যাললি ডেথ ঘোষনা করা হয়,আবার সরাসরি মৃত ঘোষনার অনেক পরেও সেন্স ফিরে আসে, আর এরূপ অদ্ভুত বৃত্তান্ত বর্ননা করে। প্রায় সকল ধর্ম বর্নের মানুষ প্রায় একই ধরনেরই দৃশ্যের অভিজ্ঞতা লাভ করে ।
__
এবার ব্যাখ্যায় আসি, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ছিল, সংকটাপন্ন অবস্থায়, মস্তিষ্কের অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় এজন্য এরূপ বায়োক্যামিক্যাল রিএকশনে এরূপ স্বপ্ন বিভ্রম ঘটে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, সংকটাপন্ন মুহূর্তে মস্তিষ্ক শরীরকে স্বাভাবিক সচেতনতায় ফেরাতে এরকম স্বপ্ন তৈরি করে, অর্থাৎ এজন্য কাল্পনিক স্বত্ত্বা তৈরি করে মৃত অচেতন অবস্থা থেকে ফেরত যেতে বলে।
.
বিজ্ঞানীগন নির্বাক হয়ে যান, যখন এক জন্মান্ধ মহিলা জরুরি অপারেশন এর সময় আত্মাকে শরীর থেকে বের হতে দেখে, এমনকি চিকিৎসকদের সার্জারিটাও দেখে, তিনি তার হাতের নখের নেইলপলিশের রঙ আর আঙ্গুলের রিং এর পাথরেরও পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্ভুল বর্ননা দেন, অথচ তিনি জন্মান্ধ!
এটাই আধ্যাত্মিক সান্নিধ্য লাভের অকাট্য দলিল হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় এসোটেরিস্টদের কাছে।
_
বস্তুত,এখানে সম্পূর্ন ভিন্ন একটি ব্যপার ঘটে।এনডিই যে অভিজ্ঞতার অবতারণা ঘটায়, সেটা নিউএজারদের সাইকাডেলিক ড্রাগের(DMT,আইয় োয়াস্তস্কা, এলএসডি) প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। সামান্য ভিন্নতা রয়েছে। এটা শয়তান জ্বীন ঘটিত একটি স্বপ্নিল অনুভূতির ঘোর। মৃত্যু পূর্বেকার অদৃশ্যজগত দর্শনের যে ঘটনাপ্রবাহ হবার কথা, সেরূপ বর্ননা অনুযায়ী প্রচলিত কোন ধর্মকেই গ্রাহ্য করে না নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স। আর প্রত্যেকেরই বর্ননা প্রায় একই রকমের। আর সৃষ্টিকর্তা অথবা অন্য কোন ব্যক্তির ছদ্মবেশে যে স্বত্ত্বা মিথ্যা মায়ার বিস্তার ঘটায়, মূলত সে শয়তান। এজন্য সত্য মিথ্যা সকল ধর্মের অনুসারীরা একই রকমের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে। এনডিই স্পিরিচুয়ালিস্ট িক চিন্তা আনয়নের জন্য ঘটায়। এরজন্য প্রায় ৮০% ভিক্টিম স্পিরিচুয়ালিস্ট হয়ে যায়। এ এক্সপেরিয়েন্স শয়তান সকল ধর্মের ভেদাভেদে বিভ্রান্তি তৈরি করে, এছাড়া একরকমের রিজেকশনের দিকে নিয়ে যায়। ভিক্টিম অবিশ্বাসী হবার পরেও সৃষ্টিকর্তার অভ্যর্থনা তাকে প্রচলিত সব ধর্ম গুলোকে রিজেক্ট করতে সাহায্য করে। কারন এমতাবস্থায় সে ভাবতে শুরু করে, মৃত্যুর পরে সবাইকে সমানভাবে আচরন করা হবে, এজন্য প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্ম মানবজাতির মধ্যে বিভেদ,হানাহানি তৈরি করার কাজ ছাড়া আর কিছু করে না। আউটার বডি এক্সপেরিএন্স বা দেহত্যাগের অনুভূতি মাথার ভেতরেই হতে থাকে। আত্মা দেহ ত্যাগ করে না, আর ভিক্টিম জীবনের সকল চিহ্ন বর্জন করলেও বেচেই থাকে।। বাকি প্রজেকশনের দায়িত্ব শয়তানের।শয়তানই বাহ্যিক পরিবেশ অবলোকনের ব্যবস্থা করে। থার্ড আই ইনেবল্ড থাকলে বা clairvoyant রা যেভাবে, ফিজিক্যাল চোখ বন্ধ থাকলেও জ্বীনদের সাহায্যে দেখে, তেমনি।
__
এজন্য বিষয়টি ব্যপারে জানা থাকলে এরূপ ফিতনায় পতিত হলে বা হতে দেখলে, বিশ্বাস(আকিদায়) বিকৃতি আসবে না, ইনশাআল্লাহ।
https:// en.m.wikipedia.o rg/wiki/ Near-death_exper ience
__
নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স হবার পর যেকোন ব্যক্তির জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে, তার দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে যায়। অনেক নাস্তিক খ্রিষ্টান ধর্মগ্রহণ করেছে,অধিকাংশই স্পিরিচুয়ালিস্ট
_এক জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাও NDE এর কবলে পড়ে রাতারাতি সুস্থ হয়ে যায়।
_নাদিয়া ম্যাকাফ্রি সাপের কামড়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় একই রকম দৃশ্য দেখে। তিনি একই অনুভূতি লাভের আশায় কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন!
.
এরকম হাজারো ঘটনা রয়েছে। অনেকসময় এমনটাও হয় যে রোগীকে ক্লিনিক্যাললি ডেথ ঘোষনা করা হয়,আবার সরাসরি মৃত ঘোষনার অনেক পরেও সেন্স ফিরে আসে, আর এরূপ অদ্ভুত বৃত্তান্ত বর্ননা করে। প্রায় সকল ধর্ম বর্নের মানুষ প্রায় একই ধরনেরই দৃশ্যের অভিজ্ঞতা লাভ করে ।
__
এবার ব্যাখ্যায় আসি, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ছিল, সংকটাপন্ন অবস্থায়, মস্তিষ্কের অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় এজন্য এরূপ বায়োক্যামিক্যাল
.
বিজ্ঞানীগন নির্বাক হয়ে যান, যখন এক জন্মান্ধ মহিলা জরুরি অপারেশন এর সময় আত্মাকে শরীর থেকে বের হতে দেখে, এমনকি চিকিৎসকদের সার্জারিটাও দেখে, তিনি তার হাতের নখের নেইলপলিশের রঙ আর আঙ্গুলের রিং এর পাথরেরও পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্ভুল বর্ননা দেন, অথচ তিনি জন্মান্ধ!
এটাই আধ্যাত্মিক সান্নিধ্য লাভের অকাট্য দলিল হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় এসোটেরিস্টদের কাছে।
_
বস্তুত,এখানে সম্পূর্ন ভিন্ন একটি ব্যপার ঘটে।এনডিই যে অভিজ্ঞতার অবতারণা ঘটায়, সেটা নিউএজারদের সাইকাডেলিক ড্রাগের(DMT,আইয়
__
এজন্য বিষয়টি ব্যপারে জানা থাকলে এরূপ ফিতনায় পতিত হলে বা হতে দেখলে, বিশ্বাস(আকিদায়)
https://
0 Comments:
Post a Comment