আসমানি সমুদ্রে সন্তরণরত তারকারা
একদমই সাধারণ ফোন ক্যামেরা দিয়েই ভাসমান তারকারাজিদের দৃশ্য ধারন করা যায়। এটা কথিত শুক্রগ্রহ!
তারকাদের দেখলে মনে হয় যেন সেসব পানিতে ভাসছে, অথবা পানির স্তরের ভেতর দিয়ে আমরা দেখি। শক্তিশালী ক্যামেরা এবং টেলিস্কোপিক ফুটেজে সেটা আরো পরিষ্কার বোঝা যায়। খালি চোখেও অনুধাবনযোগ্য। একইরকম দৃশ্য চন্দ্রের ক্ষেত্রেও। যাকে লুনারওয়েভ বলা হয়। চাদের উপরে ও আশেপাশে থেকে সুস্পষ্টভাবে জলরাশির প্রশান্ত তরঙ্গ প্রবাহিত হতে দেখা যায়। চাঁদ সূর্য, নক্ষত্র সকলেই আসমানের সমুদ্রে সন্তরনশীল।
তারকারাজির অবস্থান আমাদের নিকটতম প্রথম আসমানে।
.
যেমনটি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
.
إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ
Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars(37:6)
.
এক্ষেত্রে আমরা কুরআন পড়লেও সেটা মুখে মানি, ইয়ে মানে আন্তরিকভাবে না। যার জন্য বিশ্বাস করি, তারকারা সূর্যস্বরূপ বস্তু যা মহাকাশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, কাব্বালা যাদের থেকে এসেছে তাদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তির ফলে।
.
আল্লাহ বলেনঃ
"সূর্যের পক্ষে সম্ভব না চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে"(৩৬:৪০)
.
ইমাম ইবনে জারীর(রঃ) এর ইতিহাস গ্রন্থের প্রথম খন্ডে উল্লিখিত অত্যন্ত দুর্বল একটি হাদিসে এ আয়াতের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যায়ঃ
.
At-Tabari who cites traditions from Muhammad(SAW) and his companions:
The other report, referring to a different concept, is what I was told by Muhammad(SAW) b. Abi Mansur- Khalaf b. Wasil- Abu Nu'aym- Muqatil b. Hayyan- Ikrimah: One day when Ibn `Abbas was sitting (at home or in the mosque), a man came to him and said: Ibn `Abbas, I heard Ka'b, the Rabbi, tell a marvelous story about the sun and the moon. He continued. Ibn `Abbas who had been reclining sat up and asked what it was. The man said: He suggested that on the Day of Resurrection, the sun and the moon will be brought as if they were two hamstrung oxen, and flung into Hell. `Ikrimah continued. Ibn `Abbas became contorted with anger and exclaimed three times: Ka'b is lying! Ka'b is lying! Ka'b is lying! This is something Jewish he wants to inject into Islam. Allah is too majestic and noble to mete out punishment where there is obedience to Him. ............... ....He continued.
Every day and night, the sun has a new place where it rises and a new place where it sets . The interval between them from beginning to end is longest for the day in summer and shortest in winter. This is (meant by) Allah's word: "The Lord of the two easts and the Lord of the two wests," meaning the last (position) of the sun here and the last there. He omitted the positions in the east and the west (for the rising and setting of the sun) in between them. Then He referred to east and west in the plural, saying; "(By) the Lord of the easts and wests." He mentioned the number of all those springs (as above).
He continued. Allah created an ocean three
farsakhs (18 kilometers) removed from heaven. Waves contained, it stands in the air by the command of Allah. No drop of it is spilled. All the oceans are motionless, but that ocean flows at the rate of the speed of an arrow. It is set free to move in the air evenly, as if it were a rope stretched out in the area between east and west. The sun, the moon, and the retrograde stars RUN IN ITS DEEP SWELL .
THIS IS (MEANT BY) Allah'S WORD: " Each swims in a sphere ." "The sphere" is the circulation of the chariot IN THE DEEP SWELL OF THAT OCEAN . By Him Who holds the soul of Muhammad in His hand! If the sun WERE TO EMERGE FROM THAT OCEAN, it would burn everything on earth, including even rocks and stones, and if the moon were to emerge from it, it would afflict (by its heat) the inhabitants of the earth to such and extent that they would worship gods other than Allah . The exception would be those of Allah's friends whom He would want to keep free from sin.
Ibn `Abbas said that `Ali b. Abi Talib said to the Messenger of Allah : You are like my father and my mother! You have mentioned the course of the retrograde stars ( al-khunnas ) by which Allah swears in the Qur'an, together with the sun and the moon, and the rest. Now, what are al-khunnas? The Prophet replied: `Ali, they are five stars: Jupiter ( al-birjis ), Saturn ( zuhal ), Mercury ( `utarid ), Mars ( bahram ), and Venus ( al-zuhrah ). These five stars rise and run like the sun and the moon and race with them together . All the other stars are suspended from heaven as lamps are from mosques, and circulate together with heaven praising and sanctifying Allah with prayer. The Prophet then said: If you wish to have this made clear, look to the circulation of the sphere alternately here and there. It is the circulation of heaven and the circulation of all the stars together with it except those five . Their circulation today is what you see, and that is their prayer. Their circulation to the Day of Resurrection is as quick as the circulation of a mill because of the dangers and tremors of the Day of resurrection. This is (meant by) Allah's word: "On a day when the heaven sways to and fro and the mountains move. Woe on that day unto those who declare false (the Prophet's divine message)."
......
"
.
হযরত ইবনু আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে একটি লোক জিজ্ঞেস যে, "হে আল্লাহর রাসূল(সঃ)! এই আকাশ কি?" তিনি উত্তরে বলেন,"এটা হচ্ছে তরঙ্গ, যা তোমাদের হতে বন্ধ রাখা হয়েছে।"
হাদিসটি মুসানাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্নিত হয়েছে।
(তাফসীর ইবনে কাসীর-পারা ১৭-সূরা আম্বিয়া এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
.
আসমান যমীনকে পানি বা সমুদ্র বেষ্টন করে আছে। যমীনের উপর গম্বুজাকৃতি ছাদের উপরে এবং বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ যমীনের নিচে।
.
আসমান ও যমীন স্থির। এটা সাহাবীদের খুবই কমন বিশ্বাস। হযরত উমার(রাঃ) প্রায়ই আল্লাহর শপথ করে বলতেন "আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে"
যেমন নিম্নোক্ত হাদিসেঃ
.
হাসান ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন ফারিয মা'না (রহঃ) ......... মালিক ইবন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক ! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও। আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন ! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবন আফফান (রাঃ), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবন আওয়াম (রাঃ) এবং সা'দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।........... ……………….…………………… ……………………………………… ……………………
মালিক ইবন আওস (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি ,উছমান (রাঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।……………………… ……………………………………
………… অতঃপর তিনি উমার (রাঃ) তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা বলেনঃ হাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা (দু'জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।…………………
………………………………
.
বইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে, হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
.
আসমান জমিনের স্থবিরতার কথা মহান আল্লাহ নিজেই জ্যোতির্ময় কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَن تَزُولَا وَلَئِن زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِّن بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
.
নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল(সূরাঃ ফাতিরঃ৪১)
.
এটা সেই আয়াত যা দিয়ে সাহাবীগন(রাঃ) তৎকালীন সময়ে 'আসমান ঘুরছে' এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাসকে রিফিউট করতে দলিল হিসেবে ব্যবহার করতেন। প্রমান করতেন আসমান স্থির আছে। একইভাবে আজ ১৪০০ বছর পরে আজ যখন কাফেররা যমীনকে ঘূর্ননরত এবং চলমান বলছে আমরা সেটাকে গ্রহন করেই ক্ষান্ত হইনি। কুরআন দিয়েও জাস্টিফাই করছি। দলিল বানাচ্ছি ৩৬:৪০ নং আয়াতকে। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
কুরআন হাদিসে উল্লিখিত কোন একটা দলিলও কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি বা কস্মোজনীর সাথে কম্প্যাটিবল নয়। সাহাবীগনের বক্তব্য এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য দেয়। তবে এ যুগের মানুষের যুক্তি দিয়ে অনেক কিছুই সম্ভব। যখন গ্রেসীয়-ব্যবিলন িয়ান অপবিদ্যা আরবে প্রবেশ ঘটে তখন থেকেই সব কস্মোলজি বিকৃত হতে শুরু করে। এমনকি আলেমদের মধ্যে যারা গ্রীক বিদ্যার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন তারাও নবাগত পিথাগোরিয়ান কস্মোলজির সাথে মিল রেখে সমতল শয্যারূপ জমিনকে গোলাকৃতি বানিয়ে দিলেন। আজকের যুগে তাদের সেই বানীগুলো বড় বড় ঢাল বনে গেছে ক্লোজড মাইন্ডেড মুসলিম বা মোডারেট মুরজিয়াদের কাছে। নবী(সাঃ) এর সাহাবীদের কথা গুলোর চেয়েও সেসব বড় দলিল তাদের কাছে। আমরা যদি এরকম কোন কিছুর ব্যাখ্যার সম্মুখীন হই যার সাথে নবী(সঃ) এবং সাহাবীদের কোন মিল নেই বা তা ভিন্ন কোন চিন্তা ধারা প্রকাশ করে, তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসূল(স) এর দিকে প্রত্যাবর্তন করব। তাদের কথার বিপরীতে যাই আসুক, তা কস্মিনকালেও গ্রহনযোগ্য নয়। আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً
.
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম(আন নিসাঃ৫৯)
.
একজন ব্যক্তি যে কিনা খালি চোখেই নিকটতম আসমানে লুমিনারি ও চন্দ্র সূর্যদের ভাসতে দেখে, স্বীয় দৃষ্টি দিয়েই তাবুর ন্যায় সুবিশাল ছাদস্বরূপ আসমানকে দেখতে পায়, স্থির বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ জমিনের উপরে বিচরণ করে এবং সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত কিতাবের বানী পাঠ করে, তার ব্যাখ্যায় হাদিসও অধ্যয়ন করে, যার মাঝে সেসবের সুস্পষ্ট সরল ব্যাখ্যা এবং বর্ননা রয়েছে, সে কি করে যাদুশাস্ত্র এবং শয়তানের আনিত কুফরি বিদ্যার অনুসরন করে! /?
.
অধিকাংশই নিজ খেয়ালের অনুগামী। যারা এ বিষয়ে লেখালেখির ব্যপারে অসন্তোষবোধ করে, তারা মুখে যতই অস্বীকার করুক না কেন, কুফফারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কুফরি দর্শনকেই মেনে চলতে ভালবাসে।
আমরা কারো উপর যা প্রকাশ করছি তা জোড় করে চাপিয়ে দিতে চাই না। যাকে যে উদ্দেশ্যে এবং গুন দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে সেদিকেই ধাবিত হবে।
একদমই সাধারণ ফোন ক্যামেরা দিয়েই ভাসমান তারকারাজিদের দৃশ্য ধারন করা যায়। এটা কথিত শুক্রগ্রহ!
তারকাদের দেখলে মনে হয় যেন সেসব পানিতে ভাসছে, অথবা পানির স্তরের ভেতর দিয়ে আমরা দেখি। শক্তিশালী ক্যামেরা এবং টেলিস্কোপিক ফুটেজে সেটা আরো পরিষ্কার বোঝা যায়। খালি চোখেও অনুধাবনযোগ্য। একইরকম দৃশ্য চন্দ্রের ক্ষেত্রেও। যাকে লুনারওয়েভ বলা হয়। চাদের উপরে ও আশেপাশে থেকে সুস্পষ্টভাবে জলরাশির প্রশান্ত তরঙ্গ প্রবাহিত হতে দেখা যায়। চাঁদ সূর্য, নক্ষত্র সকলেই আসমানের সমুদ্রে সন্তরনশীল।
তারকারাজির অবস্থান আমাদের নিকটতম প্রথম আসমানে।
.
যেমনটি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
.
إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ
Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars(37:6)
.
এক্ষেত্রে আমরা কুরআন পড়লেও সেটা মুখে মানি, ইয়ে মানে আন্তরিকভাবে না। যার জন্য বিশ্বাস করি, তারকারা সূর্যস্বরূপ বস্তু যা মহাকাশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, কাব্বালা যাদের থেকে এসেছে তাদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তির ফলে।
.
আল্লাহ বলেনঃ
"সূর্যের পক্ষে সম্ভব না চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে"(৩৬:৪০)
.
ইমাম ইবনে জারীর(রঃ) এর ইতিহাস গ্রন্থের প্রথম খন্ডে উল্লিখিত অত্যন্ত দুর্বল একটি হাদিসে এ আয়াতের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যায়ঃ
.
At-Tabari who cites traditions from Muhammad(SAW) and his companions:
The other report, referring to a different concept, is what I was told by Muhammad(SAW) b. Abi Mansur- Khalaf b. Wasil- Abu Nu'aym- Muqatil b. Hayyan- Ikrimah: One day when Ibn `Abbas was sitting (at home or in the mosque), a man came to him and said: Ibn `Abbas, I heard Ka'b, the Rabbi, tell a marvelous story about the sun and the moon. He continued. Ibn `Abbas who had been reclining sat up and asked what it was. The man said: He suggested that on the Day of Resurrection, the sun and the moon will be brought as if they were two hamstrung oxen, and flung into Hell. `Ikrimah continued. Ibn `Abbas became contorted with anger and exclaimed three times: Ka'b is lying! Ka'b is lying! Ka'b is lying! This is something Jewish he wants to inject into Islam. Allah is too majestic and noble to mete out punishment where there is obedience to Him. ...............
Every day and night, the sun has a new place where it rises and a new place where it sets . The interval between them from beginning to end is longest for the day in summer and shortest in winter. This is (meant by) Allah's word: "The Lord of the two easts and the Lord of the two wests," meaning the last (position) of the sun here and the last there. He omitted the positions in the east and the west (for the rising and setting of the sun) in between them. Then He referred to east and west in the plural, saying; "(By) the Lord of the easts and wests." He mentioned the number of all those springs (as above).
He continued. Allah created an ocean three
farsakhs (18 kilometers) removed from heaven. Waves contained, it stands in the air by the command of Allah. No drop of it is spilled. All the oceans are motionless, but that ocean flows at the rate of the speed of an arrow. It is set free to move in the air evenly, as if it were a rope stretched out in the area between east and west. The sun, the moon, and the retrograde stars RUN IN ITS DEEP SWELL .
THIS IS (MEANT BY) Allah'S WORD: " Each swims in a sphere ." "The sphere" is the circulation of the chariot IN THE DEEP SWELL OF THAT OCEAN . By Him Who holds the soul of Muhammad in His hand! If the sun WERE TO EMERGE FROM THAT OCEAN, it would burn everything on earth, including even rocks and stones, and if the moon were to emerge from it, it would afflict (by its heat) the inhabitants of the earth to such and extent that they would worship gods other than Allah . The exception would be those of Allah's friends whom He would want to keep free from sin.
Ibn `Abbas said that `Ali b. Abi Talib said to the Messenger of Allah : You are like my father and my mother! You have mentioned the course of the retrograde stars ( al-khunnas ) by which Allah swears in the Qur'an, together with the sun and the moon, and the rest. Now, what are al-khunnas? The Prophet replied: `Ali, they are five stars: Jupiter ( al-birjis ), Saturn ( zuhal ), Mercury ( `utarid ), Mars ( bahram ), and Venus ( al-zuhrah ). These five stars rise and run like the sun and the moon and race with them together . All the other stars are suspended from heaven as lamps are from mosques, and circulate together with heaven praising and sanctifying Allah with prayer. The Prophet then said: If you wish to have this made clear, look to the circulation of the sphere alternately here and there. It is the circulation of heaven and the circulation of all the stars together with it except those five . Their circulation today is what you see, and that is their prayer. Their circulation to the Day of Resurrection is as quick as the circulation of a mill because of the dangers and tremors of the Day of resurrection. This is (meant by) Allah's word: "On a day when the heaven sways to and fro and the mountains move. Woe on that day unto those who declare false (the Prophet's divine message)."
......
"
.
হযরত ইবনু আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে একটি লোক জিজ্ঞেস যে, "হে আল্লাহর রাসূল(সঃ)! এই আকাশ কি?" তিনি উত্তরে বলেন,"এটা হচ্ছে তরঙ্গ, যা তোমাদের হতে বন্ধ রাখা হয়েছে।"
হাদিসটি মুসানাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্নিত হয়েছে।
(তাফসীর ইবনে কাসীর-পারা ১৭-সূরা আম্বিয়া এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
.
আসমান যমীনকে পানি বা সমুদ্র বেষ্টন করে আছে। যমীনের উপর গম্বুজাকৃতি ছাদের উপরে এবং বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ যমীনের নিচে।
.
আসমান ও যমীন স্থির। এটা সাহাবীদের খুবই কমন বিশ্বাস। হযরত উমার(রাঃ) প্রায়ই আল্লাহর শপথ করে বলতেন "আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে"
যেমন নিম্নোক্ত হাদিসেঃ
.
হাসান ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন ফারিয মা'না (রহঃ) ......... মালিক ইবন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক ! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও। আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন ! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবন আফফান (রাঃ), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবন আওয়াম (রাঃ) এবং সা'দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।...........
মালিক ইবন আওস (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি ,উছমান (রাঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।………………………
………… অতঃপর তিনি উমার (রাঃ) তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা বলেনঃ হাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহ্র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা (দু'জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।…………………
………………………………
.
বইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে, হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
.
আসমান জমিনের স্থবিরতার কথা মহান আল্লাহ নিজেই জ্যোতির্ময় কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَن تَزُولَا وَلَئِن زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِّن بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
.
নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল(সূরাঃ ফাতিরঃ৪১)
.
এটা সেই আয়াত যা দিয়ে সাহাবীগন(রাঃ) তৎকালীন সময়ে 'আসমান ঘুরছে' এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাসকে রিফিউট করতে দলিল হিসেবে ব্যবহার করতেন। প্রমান করতেন আসমান স্থির আছে। একইভাবে আজ ১৪০০ বছর পরে আজ যখন কাফেররা যমীনকে ঘূর্ননরত এবং চলমান বলছে আমরা সেটাকে গ্রহন করেই ক্ষান্ত হইনি। কুরআন দিয়েও জাস্টিফাই করছি। দলিল বানাচ্ছি ৩৬:৪০ নং আয়াতকে। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً
.
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম(আন নিসাঃ৫৯)
.
একজন ব্যক্তি যে কিনা খালি চোখেই নিকটতম আসমানে লুমিনারি ও চন্দ্র সূর্যদের ভাসতে দেখে, স্বীয় দৃষ্টি দিয়েই তাবুর ন্যায় সুবিশাল ছাদস্বরূপ আসমানকে দেখতে পায়, স্থির বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ জমিনের উপরে বিচরণ করে এবং সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত কিতাবের বানী পাঠ করে, তার ব্যাখ্যায় হাদিসও অধ্যয়ন করে, যার মাঝে সেসবের সুস্পষ্ট সরল ব্যাখ্যা এবং বর্ননা রয়েছে, সে কি করে যাদুশাস্ত্র এবং শয়তানের আনিত কুফরি বিদ্যার অনুসরন করে! /?
.
অধিকাংশই নিজ খেয়ালের অনুগামী। যারা এ বিষয়ে লেখালেখির ব্যপারে অসন্তোষবোধ করে, তারা মুখে যতই অস্বীকার করুক না কেন, কুফফারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কুফরি দর্শনকেই মেনে চলতে ভালবাসে।
আমরা কারো উপর যা প্রকাশ করছি তা জোড় করে চাপিয়ে দিতে চাই না। যাকে যে উদ্দেশ্যে এবং গুন দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে সেদিকেই ধাবিত হবে।
0 Comments:
Post a Comment