দেওবন্দের অফিশিয়াল আকিদা ওয়াহদাতুল উজুদ নিয়ে বলছিলাম। নিঃসন্দেহে শরী'আ এর বাহিরের দিক দিয়ে গবেষনাও প্রমান করে যে তাদের এ monistic দর্শন কে বামরাস্তায় হাটার দুয়ার উন্মোচিত করে।
সালাফি মাদখালি মাদানী স্কলারগন এ নিয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে মাঝেমধ্যে যেন কুফরির ফতওয়াও দিতে চান আম দেওবন্দিদের।
যাহোক,এ ব্যপারটা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন যে এ আকিদা অধিকাংশ দেওবন্দী আলেমগন দ্বারা স্পষ্টভাবে ওয়াকিবহাল নন। এ ব্যপারে তাদের বড় একটি সংখ্যা সচেতনও নন। বিশেষ করে কওমী প্ল্যাটফর্ম এর সার্টিফাইড আলেমসমাজ।কওমী আলেমদের সাথে ওঠাবসা আছে যার জন্য এরজন্য আমিই সাক্ষী। মজার বিষয় হচ্ছে তারা আকিদার ব্যপারেও বিস্তর জ্ঞান রাখেন না।হয়ত কুরআনের হাফেজ, হানাফি ফিকহী মাস'য়ালাতে দক্ষ, কিন্তু কিছু দিকে খুব কাচা। যেন কেউ তাদের শেখায় নি। বস্তুত তাই সীমাহীন অন্ধঅনুকরন তাদের মধ্যে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে, যে ওস্তাদের কাছে ইলম শিখেছে উনি যা ভাল মন্দ বলেছে ,ব্যাস তাই! আর কোন দিকে তাকানোর দরকার নাই। এজন্য অনেক কওমী আলেম,তালেবুল ইলমদের মুখে মানসুর আল হাল্লাজ,ইবনে আরাবিদের নামের পরে রহ. উচ্চারিত হতে শুনি।
এক মুফতি সাহেবের সাথে সখ্যতা ছিল, তাকে আল্লাহ অস্তিত্ব সম্পর্কিত আকিদার ব্যপারে আলাপকালে উনি টার্মিনেট করেন এ বলে যে " আমাদের শায়েখগন এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা ঘাটাঘাটি করতে নিষেধ করেন!"
আমার খুব কাছের পছন্দের এক দেওবন্দী মুফতি সাহেবকে একদিন এ ব্যপারটি জানতে পরীক্ষা করি অজ্ঞতার ভান ধরে। তিনি শব্দটার সাথেও দেখলাম তেমন পরিচিত না। বেচারা এখন দেশের একটা স্বনামধন্য মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের অন্যতম শিক্ষক। তাকে এ ব্যপারে কিছু বলিও নি। কারন আমার উদ্দেশ্য ফিতনা তৈরি নয়। অগণিত নিষ্কলুষ তাকওয়াশীল একনিষ্ঠ বান্দা আছে দেওবন্দের। আল্লাহ তাদের চেহারাতেও বক্রতা ও কুফরির ছাপ রাখেন নি। এদেরকে চেহারা দেখেই চিনে নিতে পারি।
তবে যাদের মধ্যে এ আকিদা বিদ্যমান, তাদের হৃদয়টাও বেজায় বক্র! আর আল্লাহ চেহারাতেও সে সিল দিয়ে রেখেছেন যদিও অধিকাংশ মানুষই তা টের পায় না। যাদের মধ্যেই এসব বাতিল জিনিস বিদ্যমান এদেরকে মুভ বা শাহাবাগগুলোতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্য দিক দিয়েও গোমরাহী পরিলক্ষিত হয়।
আশার কথা যে আল্লাহর রাস্তায় কর্মরত দেওবন্দীদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাবতীয় সংকীর্নতামুক্ত থাকতে দেখা যায়। এদেরকে সর্বোত্তম মানুষের তালিকাভুক্ত পাওয়া যায়।
ওয়াহাদাতুল উজুদ-হুলুল-ইত্ত েহাদ ইত্যাদি সুফিবাদী কুফরি আকিদা নিয়ে ভেঙ্গে নতুন করে কিছু লেখবার ইচ্ছে নাই। পাকি প্রখ্যাত স্কলার ইসরার আহমেদ কহেন ওয়াহদাতুল উজুদ বিদাত স্বীকার করি, কিন্তু কুফরি স্বীকার করি না,আমি অলওয়েজ ওয়াহদাতুল উজুদের বিশ্বাসে ডুবে থাকি।
আহমদ রেজা বেরেলভীর অনুসারী তথা ভন্ড আহলে সুন্নাত জামায়াত(উপমহাদে শীয় ছুন্নি) অর্গানাইজেশন এর বিষয় টি আউট অব কাউন্ট। ওদের মধ্যে এই আকিদা আরো প্রকট।
.
#পরিশিষ্টঃ যেহেতু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ অনুসারী আর একত্ববাদে মৌলিকভাবে স্বাভাবিক বিশ্বাসী, সেজন্য ঢালাওভাবে কুফরি আকিদাগ্রস্ত বলে কাফের বলা বা গনহারে তাকফির করাটা খাওয়ারিজদের লক্ষন ; যেটা অনেক আইএসপন্থী আকিদা আকিদা করে চিল্লাচিল্লি করার সাথে সাথে করছে। মনে রাখা উচিৎ এক ব্যক্তিকে কাফের সাব্যস্ত করলে সে যদি তা না হয় তবে কুফরির ফতওয়া নিজের দিকে ফিরে আসে। আর অত্র পোস্টে দেওবন্দ-কওমী আনুকূল্য কিছু পাওয়াতে বা প্রশংসাতে কওমিদের আমোদিত হবার কিছু নেই।সত্য-ভালমন্ দ থাকলে তা প্রকাশে সংকোচ বোধ করিনা।
সালাফি মাদখালি মাদানী স্কলারগন এ নিয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে মাঝেমধ্যে যেন কুফরির ফতওয়াও দিতে চান আম দেওবন্দিদের।
যাহোক,এ ব্যপারটা স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন যে এ আকিদা অধিকাংশ দেওবন্দী আলেমগন দ্বারা স্পষ্টভাবে ওয়াকিবহাল নন। এ ব্যপারে তাদের বড় একটি সংখ্যা সচেতনও নন। বিশেষ করে কওমী প্ল্যাটফর্ম এর সার্টিফাইড আলেমসমাজ।কওমী আলেমদের সাথে ওঠাবসা আছে যার জন্য এরজন্য আমিই সাক্ষী। মজার বিষয় হচ্ছে তারা আকিদার ব্যপারেও বিস্তর জ্ঞান রাখেন না।হয়ত কুরআনের হাফেজ, হানাফি ফিকহী মাস'য়ালাতে দক্ষ, কিন্তু কিছু দিকে খুব কাচা। যেন কেউ তাদের শেখায় নি। বস্তুত তাই সীমাহীন অন্ধঅনুকরন তাদের মধ্যে ব্যাপক সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে, যে ওস্তাদের কাছে ইলম শিখেছে উনি যা ভাল মন্দ বলেছে ,ব্যাস তাই! আর কোন দিকে তাকানোর দরকার নাই। এজন্য অনেক কওমী আলেম,তালেবুল ইলমদের মুখে মানসুর আল হাল্লাজ,ইবনে আরাবিদের নামের পরে রহ. উচ্চারিত হতে শুনি।
এক মুফতি সাহেবের সাথে সখ্যতা ছিল, তাকে আল্লাহ অস্তিত্ব সম্পর্কিত আকিদার ব্যপারে আলাপকালে উনি টার্মিনেট করেন এ বলে যে " আমাদের শায়েখগন এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা ঘাটাঘাটি করতে নিষেধ করেন!"
আমার খুব কাছের পছন্দের এক দেওবন্দী মুফতি সাহেবকে একদিন এ ব্যপারটি জানতে পরীক্ষা করি অজ্ঞতার ভান ধরে। তিনি শব্দটার সাথেও দেখলাম তেমন পরিচিত না। বেচারা এখন দেশের একটা স্বনামধন্য মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের অন্যতম শিক্ষক। তাকে এ ব্যপারে কিছু বলিও নি। কারন আমার উদ্দেশ্য ফিতনা তৈরি নয়। অগণিত নিষ্কলুষ তাকওয়াশীল একনিষ্ঠ বান্দা আছে দেওবন্দের। আল্লাহ তাদের চেহারাতেও বক্রতা ও কুফরির ছাপ রাখেন নি। এদেরকে চেহারা দেখেই চিনে নিতে পারি।
তবে যাদের মধ্যে এ আকিদা বিদ্যমান, তাদের হৃদয়টাও বেজায় বক্র! আর আল্লাহ চেহারাতেও সে সিল দিয়ে রেখেছেন যদিও অধিকাংশ মানুষই তা টের পায় না। যাদের মধ্যেই এসব বাতিল জিনিস বিদ্যমান এদেরকে মুভ বা শাহাবাগগুলোতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্য দিক দিয়েও গোমরাহী পরিলক্ষিত হয়।
আশার কথা যে আল্লাহর রাস্তায় কর্মরত দেওবন্দীদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাবতীয় সংকীর্নতামুক্ত থাকতে দেখা যায়। এদেরকে সর্বোত্তম মানুষের তালিকাভুক্ত পাওয়া যায়।
ওয়াহাদাতুল উজুদ-হুলুল-ইত্ত
আহমদ রেজা বেরেলভীর অনুসারী তথা ভন্ড আহলে সুন্নাত জামায়াত(উপমহাদে
.
#পরিশিষ্টঃ যেহেতু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ অনুসারী আর একত্ববাদে মৌলিকভাবে স্বাভাবিক বিশ্বাসী, সেজন্য ঢালাওভাবে কুফরি আকিদাগ্রস্ত বলে কাফের বলা বা গনহারে তাকফির করাটা খাওয়ারিজদের লক্ষন ; যেটা অনেক আইএসপন্থী আকিদা আকিদা করে চিল্লাচিল্লি করার সাথে সাথে করছে। মনে রাখা উচিৎ এক ব্যক্তিকে কাফের সাব্যস্ত করলে সে যদি তা না হয় তবে কুফরির ফতওয়া নিজের দিকে ফিরে আসে। আর অত্র পোস্টে দেওবন্দ-কওমী আনুকূল্য কিছু পাওয়াতে বা প্রশংসাতে কওমিদের আমোদিত হবার কিছু নেই।সত্য-ভালমন্
0 Comments:
Post a Comment