ওয়ান আই এজেন্ডার লক্ষ্য বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা হচ্ছে সকল ধর্ম এবং আদর্শগত দর্শনসমূহকে একিভূত করা। এজন্য তাদের প্রয়োজন ছিল একটি কমনগ্রাউন্ড প্রতিষ্ঠা। এজন্য তারা পূর্বে হিউম্যানিজম বা মানবধর্মকে এথিস্টিক প্লটে প্রচার করত। একই ভাবে হিউম্যানিজম এর অপর পিঠে স্পিরিচুয়ালিজম/স্পিরিটিজমের প্রচার করে থেইস্টিক প্লটে।
এদের উভয়ের বক্তব্য একই। ওরা বলে 'সবার উপর মানব সত্য তাহার উপর নাই'!
এ কথা হিউম্যানিজমের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক ডক্ট্রিনের সাচে বসে গেছে। আবার একইভাবে স্পিরিচুয়াল মিনিংয়েও দেহতাত্ত্বিক দর্শনের দ্বারা 'মানুষ'কেই স্রষ্টার আসনে বসিয়ে একই দর্শন প্রচার করছে।ওরাও নিজেদেরকে হিউম্যানিস্ট বলে প্রচার করছে।
রিলিজিয়াস সেক্টরে স্পিরিচুয়ালিস্টিক অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মগুলো থেকে অর্থোডক্স ডগমাগুলো মুছে ফেলতে হবে। এজন্য সব ধর্মের প্রাচীন হেরেটিক মিস্টিক্যাল স্থান গুলোকে প্রমোট করে ধর্মগুলোর অর্থোডক্স রূপটাকে পূর্নভাবে উৎখাত করার কাজ চলছে। আর সে দায়িত্বটা নিয়েছে কাব্বালিস্ট,নস্টিক,সুফিস্টরা। যখন ধর্মগুলো পুরোপুরি মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিন দিয়ে করাপ্ট হবে, তখন কোন এক গ্লোবাল রিলিজিয়াস মার্জার এসে সব ধর্মগুলোকে একসুতোয় গেঁথে ফেলবে।
একত্ববাদী(তাওহীদের) দ্বীন ইসলামে আউটসাইডার ভাইরাস সর্বেশ্বরবাদী(মনিজম-ওয়াহদাতুল উজুদ/ইত্তেহাদ) আকিদার সুফিবাদ(মিস্টিক্যাল স্কুল) এখন সরকারি বেসরকারি সর্বত্রই পরম পূজনীয়। ইলেক্ট্রনিক বলুন আর প্রিন্ট মিডিয়া বলুন সর্বত্রই এর খুব ফোকাস করা হচ্ছে। আর একত্ববাদ তথা তাওহীদকে আইসোলেটে করে দিতে পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছে একত্ববাদী চেতনা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক চেতনা বহন করে। কারন তাওহীদের প্রথম শর্তই(রোকন) কুফর বিত তাগুত। অর্থাৎ তাগুতের সাথে কুফরি। আর তাগুতকে কুফর করলে তারা আপনাকে জঙ্গী বলবেই। সন্দেহহীন।।
সুফি মিষ্টিসিজম এজন্যই কাফেরদের কাছে ভাল, কারন কোন মানুষ যখন সর্বেশ্বরবাদী এই আকিদা অন্তরে লালন করে তখন যেকোন নোংরা অথবা অনৈতিক কাজকেও তেমনকিছু মনে করবে না। কারন, তাদের চিন্তা অনুযায়ী সবই সৃষ্টিকর্তার অংশ অতএব, যে যাই করুক না কেন তাতে কোন সমস্যা নেই। স্রষ্টাই করছেন।সবকিছুই ডিভাইন। এদের মধ্যে একারনে পবিত্রতা-অপবিত্রতার কোন ব্যারিয়ার নেই। মনে নেই? যখন পীর সাহেব পতিতালয়ে সুন্দরী পতিতার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা পোষন করেন তখন ঐ নারী ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের জন্য অসম্মত হয়, তখন পীরছাহেব ঐ নারীর লজ্জা ভাঙ্গতে তার পতিতাবৃত্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেন 'করনে ওয়ালা কন আর করানে ওয়ালা কন....' এজন্যই সকল কুফরি কাজ, পাপাচারীতা ও কুফরি আকিদার ব্যপারে এরা মৌন অবস্থানে থাকে, এর কোন বিরোধিতা করে না।সকল ধর্মের বিশ্বাসের ব্যপারে সহনশীল থাকে। আর এটাই তাগুত শাসকগোষ্ঠী চায়। ওয়াহদাতুল উজুদ বা এক অস্তিত্বের বিশ্বাসে ধর্মগুলোর সাম্প্রদায়িকতা/অসহিষ্ণুতা নিতান্তই অবান্তর। এজন্য ওরাও কঠোর জঙ্গী/মৌলবাদবিরোধী। এরা শরী'আকে ঘৃনা করে নিয়মনীতি বিধিনিষেধের জন্য। এজন্য শয়তানি চিন্তা ও আকিদাকে মারেফতের জ্ঞান বলে চালাচ্ছে।
একচক্ষুবিশিষ্ট ঐ নেতার(দাজ্জাল) আগমনের অপেক্ষমানদের আশা, একদিন একত্ববাদীদের একঘরে করে দেওয়া হবে।তার পরে তাদের এ্যনিহিলেট করে ওমঃশান্তি প্রতিষ্ঠায় একোনমিক্যাল মুভমেন্ট এর আদলে ইউনাইটেড রিলিজিয়ন প্রতিষ্ঠা করবে ইউনাইটেড ন্যাশনের ছত্রছায়ায়। ওদের প্ল্যানমাফিক এখন পর্যন্ত সাফল্য দেখা যাচ্ছে। তাওহীদপন্থীদের জঙ্গী নাম দিয়ে একঘরে করা হয়েছে। এখন তাদের কাউকে হত্যা করলে অন্য কথিত মুসলিমরাও 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে!
আপনারা কি টেলিভিশন এর সব চ্যানেলে বাউলদের রিভাইভ্যাল দেখছেন না? এদের প্রোমোট করার কারন স্পিরিচুয়াল-এসোটেরিক শয়তানি দর্শন। ওরা নিজেদেরকে মানবধর্মাবলম্বী দাবি করে। শুধু তাই না একই দাবী করে প্রজ্ঞাবান বেরেলভীস্টরাও। দেওবন্দের এক বিরাট মুজাদ্দিদ খ্যাত জনৈক ছাহেবের গ্রান্ডসনও এ দাবি করতে ছাড়েননি।
মেডিটেশন, রেইকি, বাই নিউর্যাল বিট, তৃতীয় নয়ন জাগরন ইত্যাদি এখন এনলাইটমেন্ট এর রাস্তা! এগুলো নাকি সাইকিক এ্যবিলিটি তৈরি করে! বিজ্ঞাপনগুলোও এসবে উৎসাহ দিচ্ছে। শিক্ষিত কর্পোরেট ব্রো-সিসরা এখন এটাকে ট্রেন্ড/ফ্যাশন আর আধুনিকতা হিসেবে দেখছে। ইয়োগা কোর্স করছে, এগুলো তাদের সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেসমুক্ত করছে।সেদিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপনেও দেখলাম ইয়োগাকে প্রমোট করছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর কথা কি আর বলব! মহাজাতক সাহেব প্রকাশ্যে ফ্রিকিক দিয়েই যাচ্ছেন। সারিকার মত অভিনেত্রীরাও সেখানে গিয়ে বলছে কোয়ান্টাম ম্যাথড আমার আস্তানা! একটি রেডিও চ্যানেল আগে চেপে চেপে প্রোগ্রামে এই গ্লোবাল মতাদর্শ নিয়ে প্রচার করত। এখন শুনলাম ৫০০ টাকা টিকিটে রেইকি ট্রেনিং ক্যাম্পিং শুরু করেছে।
জাতিসংঘ এত দিন চুপিচুপি গ্লোবাল স্পিরিচুয়াল এয়োয়াকেনিংয়ের ফান্ডিং করে যাচ্ছিল। এবার শুধুই প্রতীক্ষা... কবে যেন ইউনাইটেড ন্যাশনের ন্যায় ইউনাইটেড রিলিজিয়নের জন্য বিশ্ববাসীকে আহব্বান করা হয়। হয়ত একচোখ ওয়ালা গুরু বের হবার পরে নিজেকে মা'বুদ দাবীর পরে। অবশ্য মিলিয়ন-বিলিয়ন লোক এখনই তাকে প্রকাশ্যে পূজো দিচ্ছে। ফাইনাল অবতার আসছে। বেঞ্জামিন ক্রিম, এলিস বেইলি, হেলেনা ব্লাভাস্তস্কিদের দেখেন নি, ওয়ার্ল্ড টিচারের আগমনের প্রতীক্ষার বিষয়টি বলতে?
এদের উভয়ের বক্তব্য একই। ওরা বলে 'সবার উপর মানব সত্য তাহার উপর নাই'!
এ কথা হিউম্যানিজমের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক ডক্ট্রিনের সাচে বসে গেছে। আবার একইভাবে স্পিরিচুয়াল মিনিংয়েও দেহতাত্ত্বিক দর্শনের দ্বারা 'মানুষ'কেই স্রষ্টার আসনে বসিয়ে একই দর্শন প্রচার করছে।ওরাও নিজেদেরকে হিউম্যানিস্ট বলে প্রচার করছে।
রিলিজিয়াস সেক্টরে স্পিরিচুয়ালিস্টিক অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মগুলো থেকে অর্থোডক্স ডগমাগুলো মুছে ফেলতে হবে। এজন্য সব ধর্মের প্রাচীন হেরেটিক মিস্টিক্যাল স্থান গুলোকে প্রমোট করে ধর্মগুলোর অর্থোডক্স রূপটাকে পূর্নভাবে উৎখাত করার কাজ চলছে। আর সে দায়িত্বটা নিয়েছে কাব্বালিস্ট,নস্টিক,সুফিস্টরা। যখন ধর্মগুলো পুরোপুরি মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিন দিয়ে করাপ্ট হবে, তখন কোন এক গ্লোবাল রিলিজিয়াস মার্জার এসে সব ধর্মগুলোকে একসুতোয় গেঁথে ফেলবে।
একত্ববাদী(তাওহীদের) দ্বীন ইসলামে আউটসাইডার ভাইরাস সর্বেশ্বরবাদী(মনিজম-ওয়াহদাতুল উজুদ/ইত্তেহাদ) আকিদার সুফিবাদ(মিস্টিক্যাল স্কুল) এখন সরকারি বেসরকারি সর্বত্রই পরম পূজনীয়। ইলেক্ট্রনিক বলুন আর প্রিন্ট মিডিয়া বলুন সর্বত্রই এর খুব ফোকাস করা হচ্ছে। আর একত্ববাদ তথা তাওহীদকে আইসোলেটে করে দিতে পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছে একত্ববাদী চেতনা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক চেতনা বহন করে। কারন তাওহীদের প্রথম শর্তই(রোকন) কুফর বিত তাগুত। অর্থাৎ তাগুতের সাথে কুফরি। আর তাগুতকে কুফর করলে তারা আপনাকে জঙ্গী বলবেই। সন্দেহহীন।।
সুফি মিষ্টিসিজম এজন্যই কাফেরদের কাছে ভাল, কারন কোন মানুষ যখন সর্বেশ্বরবাদী এই আকিদা অন্তরে লালন করে তখন যেকোন নোংরা অথবা অনৈতিক কাজকেও তেমনকিছু মনে করবে না। কারন, তাদের চিন্তা অনুযায়ী সবই সৃষ্টিকর্তার অংশ অতএব, যে যাই করুক না কেন তাতে কোন সমস্যা নেই। স্রষ্টাই করছেন।সবকিছুই ডিভাইন। এদের মধ্যে একারনে পবিত্রতা-অপবিত্রতার কোন ব্যারিয়ার নেই। মনে নেই? যখন পীর সাহেব পতিতালয়ে সুন্দরী পতিতার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা পোষন করেন তখন ঐ নারী ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের জন্য অসম্মত হয়, তখন পীরছাহেব ঐ নারীর লজ্জা ভাঙ্গতে তার পতিতাবৃত্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেন 'করনে ওয়ালা কন আর করানে ওয়ালা কন....' এজন্যই সকল কুফরি কাজ, পাপাচারীতা ও কুফরি আকিদার ব্যপারে এরা মৌন অবস্থানে থাকে, এর কোন বিরোধিতা করে না।সকল ধর্মের বিশ্বাসের ব্যপারে সহনশীল থাকে। আর এটাই তাগুত শাসকগোষ্ঠী চায়। ওয়াহদাতুল উজুদ বা এক অস্তিত্বের বিশ্বাসে ধর্মগুলোর সাম্প্রদায়িকতা/অসহিষ্ণুতা নিতান্তই অবান্তর। এজন্য ওরাও কঠোর জঙ্গী/মৌলবাদবিরোধী। এরা শরী'আকে ঘৃনা করে নিয়মনীতি বিধিনিষেধের জন্য। এজন্য শয়তানি চিন্তা ও আকিদাকে মারেফতের জ্ঞান বলে চালাচ্ছে।
একচক্ষুবিশিষ্ট ঐ নেতার(দাজ্জাল) আগমনের অপেক্ষমানদের আশা, একদিন একত্ববাদীদের একঘরে করে দেওয়া হবে।তার পরে তাদের এ্যনিহিলেট করে ওমঃশান্তি প্রতিষ্ঠায় একোনমিক্যাল মুভমেন্ট এর আদলে ইউনাইটেড রিলিজিয়ন প্রতিষ্ঠা করবে ইউনাইটেড ন্যাশনের ছত্রছায়ায়। ওদের প্ল্যানমাফিক এখন পর্যন্ত সাফল্য দেখা যাচ্ছে। তাওহীদপন্থীদের জঙ্গী নাম দিয়ে একঘরে করা হয়েছে। এখন তাদের কাউকে হত্যা করলে অন্য কথিত মুসলিমরাও 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে!
আপনারা কি টেলিভিশন এর সব চ্যানেলে বাউলদের রিভাইভ্যাল দেখছেন না? এদের প্রোমোট করার কারন স্পিরিচুয়াল-এসোটেরিক শয়তানি দর্শন। ওরা নিজেদেরকে মানবধর্মাবলম্বী দাবি করে। শুধু তাই না একই দাবী করে প্রজ্ঞাবান বেরেলভীস্টরাও। দেওবন্দের এক বিরাট মুজাদ্দিদ খ্যাত জনৈক ছাহেবের গ্রান্ডসনও এ দাবি করতে ছাড়েননি।
মেডিটেশন, রেইকি, বাই নিউর্যাল বিট, তৃতীয় নয়ন জাগরন ইত্যাদি এখন এনলাইটমেন্ট এর রাস্তা! এগুলো নাকি সাইকিক এ্যবিলিটি তৈরি করে! বিজ্ঞাপনগুলোও এসবে উৎসাহ দিচ্ছে। শিক্ষিত কর্পোরেট ব্রো-সিসরা এখন এটাকে ট্রেন্ড/ফ্যাশন আর আধুনিকতা হিসেবে দেখছে। ইয়োগা কোর্স করছে, এগুলো তাদের সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেসমুক্ত করছে।সেদিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপনেও দেখলাম ইয়োগাকে প্রমোট করছে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর কথা কি আর বলব! মহাজাতক সাহেব প্রকাশ্যে ফ্রিকিক দিয়েই যাচ্ছেন। সারিকার মত অভিনেত্রীরাও সেখানে গিয়ে বলছে কোয়ান্টাম ম্যাথড আমার আস্তানা! একটি রেডিও চ্যানেল আগে চেপে চেপে প্রোগ্রামে এই গ্লোবাল মতাদর্শ নিয়ে প্রচার করত। এখন শুনলাম ৫০০ টাকা টিকিটে রেইকি ট্রেনিং ক্যাম্পিং শুরু করেছে।
জাতিসংঘ এত দিন চুপিচুপি গ্লোবাল স্পিরিচুয়াল এয়োয়াকেনিংয়ের ফান্ডিং করে যাচ্ছিল। এবার শুধুই প্রতীক্ষা... কবে যেন ইউনাইটেড ন্যাশনের ন্যায় ইউনাইটেড রিলিজিয়নের জন্য বিশ্ববাসীকে আহব্বান করা হয়। হয়ত একচোখ ওয়ালা গুরু বের হবার পরে নিজেকে মা'বুদ দাবীর পরে। অবশ্য মিলিয়ন-বিলিয়ন লোক এখনই তাকে প্রকাশ্যে পূজো দিচ্ছে। ফাইনাল অবতার আসছে। বেঞ্জামিন ক্রিম, এলিস বেইলি, হেলেনা ব্লাভাস্তস্কিদের দেখেন নি, ওয়ার্ল্ড টিচারের আগমনের প্রতীক্ষার বিষয়টি বলতে?
0 Comments:
Post a Comment