যদি ধরা হয় স্যাটেলাইট আছে, তবে তা পৃথিবীর এমন কোন শক্তিকে ব্যবহার করে যেটা আমাদের নিকট অপর্যবেক্ষণযোগ্য। আপনারা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ব্যপারে জানেন। এটা চুম্বক, মেকানিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টস এমনকি স্মার্টফোনের কম্পাস সেন্সরেই ডিটেক্টেবল। সুতরাং পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে এরকম ফোর্সফিল্ডের অস্তিত্ব থাকাটা স্বাভাবিক। এরূপও হতে পারে এই ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড উৎসারিত কোন প্রাকৃতিক শক্তি বা অবস্থাকে ব্যবহার করে স্যাটেলাইট গুলো একটা ট্রাজেক্টরি বানিয়ে তাতে সন্তরণ করে। অথবা এমন অন্য কোন অজানা উপায়ে কাজ করে।
স্যাটেলাইটকে বাদ দিলেও সারাবিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা অটুট থাকে,বিশ্বের প্রায় সকল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবলের দ্বারা হয়। এই ক্যাবলের সাথেই সব দেশ একে অপরের সাথে যুক্ত। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে অধিকাংশ সেবা এর থেকেই আসে। সুতরাং স্যাটেলাইট এর বিষয়টি সুনিশ্চিত ভাবে আমরা বলতে পারিনা।
স্যাটেলাইট যদি থাকে তবে তা কিভাবে কাজ করে? এ নিয়ে মুহতারাম ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলম ভাই একটা হাইপোথেটিক্যাল থিওরির প্রস্তাবনা করেছেন। তার লেখাটি হুবহু নিচে তুলে ধরছি। পাঠকদের মনে এ নিয়ে কোন প্রশ্ন উদয় হলে সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করে করবেন। তিনি আমাদের ফেসবুক গ্রুপের এডমিন প্যানেলে আছেন। তার লেখাটি -
**স্যাটেলাইট থিওরি**
মডার্ন সাইন্স প্রতিষ্ঠিতই থিওরির উপর। বিগ ব্যাং থিওরি, থিওরি অব ইভিলিউশন, থিওরি অব গ্রাভিটি, রিলেটিভিটি থিওরি, কোয়ান্টাম থিওরি, এটমিক থিওরি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই থিওরি রাজ্যে স্যাটেলাইট থিওরিরও জায়গা পাবে।
তরল ও বায়বীয় মিডিয়ামে বস্তুর প্লবতা নির্ভর করে মিডিয়াম সাপেক্ষে তার ডেনসিটির উপর। মিডিয়াম থেকে অবজেক্টের আয়তন বাড়া সাথে সাথে ঘনত্ব যত কমতে থাকবে প্লবতা তত বেশি হতে থাকবে। মার্কারির চেয়ে লোহার Density কম বলে লোহা মার্কারিতে ভাসে[5]। আবার বায়ুর চেয়ে H, He-র ঘনত্ব কম বলে H, He ভর্তি বেলুন উপরে উঠে। সবচেয়ে কম মানে zero density হলো ভ্যাকুয়াম। ফুলানো অবস্থায় যদি বেলুনের ভিতর ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করা যায় তাহলে এর density সর্বোচ্চ হবে। অনেকে হয়তো ভাবছেন, ফুলানো অবস্থায় আবার ভিতরে zero density বা ভ্যাকুয়াম কিভাবে তৈরী সম্ভব! একটু explain করলেই বুঝে আসবে।
"আমরা বায়ুর সমুদ্রে ডুবে আছি" ছোট বেলায় এটা আমরা সকলেই পড়েছি। সী লেভেলে এয়ার পেশার 14.70kg/inch^2 [1] যা বাস্তবিক ভাবেই অনেকটা চাপ। এই চাপে বেলুনের মত হালকা বস্তুর ভিতরটা ভ্যাকুয়াম করা খুবই দুরুহ ব্যাপার। কিন্তু যদি কোন শক্ত স্ট্রাকচার তৈরী করে বেলুনের ভিতর রাখা যায় যা একই সাথে হালকা ও এয়ার পেশার সহ্য করতে পাড়বে তাহলে অলমোস্ট জিরো ডেনসিটির জন্য তা কোন রকম জ্বালানি ছাড়া উড়তে থাকবে। আগেই বলেছি অবজেক্টের ঘনত্ব যত কমবে এবং এরিয়া যত বাড়বে buoyancy ততো বাড়বে। একটা ১০*১০*১০ মিটার অবজেক্টকে ভ্যাকুয়াম করলে নির্দ্বিধায় বাস বা হাতি উড়িয়ে নিতে সক্ষম।
এখন লার্জ রেঞ্জে চিন্তা করুন। একটা শক্তপোক্ত হালকা অবজেক্ট নির্বাচন করে সেটা দিয়ে একটা নিশ্ছিদ্র, ফাপা স্ট্রাকচার তৈরী করে অবজেক্টের ভিতকার সব বায়ু সড়িয়ে ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করা হলে তা বায়ু ভেদ করে উপরের উটে বায়ু স্তরে ভেসে থাকবে। সমুদ্রর বাতাস ভর্তি বোতল ছেড়ে দিলে যেভাবে ভেসে উঠে অনেকটা তেমন।
এখন হয়তো অনেকেই চিন্তা করছে শক্তপোক্ত তবে হালকা অবজেক্ট আদৌ আছে তো? সমুদ্র তলে বায়ুর চাপ অত্যাধিক বেশি হওয়ায় কাঠামো ঠিক রেখে ভিতরে ভ্যাকুয়াম বজায় রাখা বেশ কঠিন। কিন্তু যদি একটা কৃত্রিম ভ্যাকুয়াম চেম্বারে[2] উক্ত অবজেক্ট তৈরী করা হয় তাহলে অবজেক্টটিকে বায়ুর 14.70kg/inch^2 পেশার সহ্য করতে হবে না।
সী লেভেলের যত উপরে উঠা হয় ততোই বায়ু চাপ কমতে থাকে।[3] অবজেক্টটিকে তার সারভাইভাল এনভায়রনমেন্টে(হাই অ্যাটিটিউড) ছেড়ে দিলে তা বিনা জ্বালানি খরচ করে চির দিন(ড্যামেজ না হওয়া পর্যন্ত) ভাসতে থাকবে। যেভাবে সমুদ্রে কোন ভাসমাস বস্তু ভাসে।
কথিত স্যাটেলাইটকেও একই পন্থায় অসীম সময় পর্যন্ত ভাসিয়ে রাখা সম্ভব। যদিও কমিউনিকেশনে প্রকৃত পক্ষে স্যাটেলাইটের কোন ইউজই নেই।[4] এসব কথিত স্যাটেলাইট আই ওয়াস মাত্র যাতে মানুষকে দিয়ে কাল্পনিক গ্লোব সাপোর্ট করানো যায়।
বর্তমানে শোনা যায়, স্টারলিংক স্যাটেলাইটসহ আরো কিছু স্যাটেলাইটের মত স্ট্রাকচারকে মানুষ ক্যামেরায় ধারন করেছে বা এর অস্তিত্ব সত্য বলে দাবি করছে। যদি মানুষকে হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রনমি ধরে রেখে কোটি টাকা ব্ল্যাক বাজেটে চালানের জন্য স্যাটেলাইট খাত করে সত্যিই এমন কিছুকে উড়ায়, তবে আসমানি ছাদের নিচে উহা উপরিউক্ত পন্থায় ভাসাবে। এতে হেলিওসেন্ট্রিক গ্লোব তত্ত্বের বায়ুমন্ডলের স্তর এবং জিরো গ্র্যাভিটিকে সত্যায়নের প্রয়োজন নেই।
Ref: