Showing posts with label Geocentric cosmology. Show all posts
Showing posts with label Geocentric cosmology. Show all posts

Friday, March 26, 2021

স্যাটেলাইট

স্যাটেলাইটের ব্যপারে অনেক ভাইয়েরা নানামুখী প্রশ্ন করেন। আমি পূর্বে এই যন্ত্রের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতাম না, কারন এটার ব্যপারে যেসব তথ্য প্রচলিত আছে, তা এর অস্তিত্বকে অসত্য বলতে বাধ্য করে। যেমন ধরুন এর trajectory altitude। বলা হয় এটা থার্মোস্ফিয়ারে অবস্থান করে যেখানে প্রচলিত বিজ্ঞান অনুযায়ী তাপমাত্রা এত বেশি যে লোহা,স্বর্ন এমনকি টাইটানিয়ামকেও গলিয়ে দেবে। স্যাটেলাইট যে সব মেটাল দিয়ে তৈরি তাতে সেখানে দিব্যি টিকে থাকার কথা না। এজন্য হয় প্রদত্ত অফিশিয়াল ডেটা গুলো গোঁজামিলপূর্ণ এবং স্যাটেলাইট আছে অথবা সেসব তথ্য সত্য এবং স্যাটেলাইট এর অস্তিত্ব নেই। 

যদি ধরা হয় স্যাটেলাইট আছে, তবে তা পৃথিবীর এমন কোন শক্তিকে ব্যবহার করে যেটা আমাদের নিকট অপর্যবেক্ষণযোগ্য। আপনারা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ব্যপারে জানেন। এটা চুম্বক, মেকানিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টস এমনকি স্মার্টফোনের কম্পাস সেন্সরেই ডিটেক্টেবল। সুতরাং পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে এরকম ফোর্সফিল্ডের অস্তিত্ব থাকাটা স্বাভাবিক। এরূপও হতে পারে এই ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড উৎসারিত কোন প্রাকৃতিক শক্তি বা অবস্থাকে ব্যবহার করে স্যাটেলাইট গুলো একটা ট্রাজেক্টরি বানিয়ে তাতে সন্তরণ করে। অথবা এমন অন্য কোন অজানা উপায়ে কাজ করে। 


স্যাটেলাইটকে বাদ দিলেও সারাবিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা অটুট থাকে,বিশ্বের প্রায় সকল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবলের দ্বারা হয়। এই ক্যাবলের সাথেই সব দেশ একে অপরের সাথে যুক্ত। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে অধিকাংশ সেবা এর থেকেই আসে। সুতরাং স্যাটেলাইট এর বিষয়টি সুনিশ্চিত ভাবে আমরা বলতে পারিনা। 


স্যাটেলাইট যদি থাকে তবে তা কিভাবে কাজ করে? এ নিয়ে মুহতারাম ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলম ভাই একটা হাইপোথেটিক্যাল থিওরির প্রস্তাবনা করেছেন। তার লেখাটি হুবহু নিচে তুলে ধরছি। পাঠকদের মনে এ নিয়ে কোন প্রশ্ন উদয় হলে সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করে  করবেন। তিনি আমাদের ফেসবুক গ্রুপের এডমিন প্যানেলে আছেন। তার লেখাটি - 



**স্যাটেলাইট থিওরি**


মডার্ন সাইন্স প্রতিষ্ঠিতই থিওরির উপর। বিগ ব্যাং থিওরি, থিওরি অব ইভিলিউশন, থিওরি অব গ্রাভিটি, রিলেটিভিটি থিওরি, কোয়ান্টাম থিওরি, এটমিক থিওরি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই থিওরি রাজ্যে স্যাটেলাইট থিওরিরও জায়গা পাবে।


তরল ও বায়বীয় মিডিয়ামে বস্তুর প্লবতা নির্ভর করে মিডিয়াম সাপেক্ষে তার ডেনসিটির উপর। মিডিয়াম থেকে অবজেক্টের আয়তন বাড়া সাথে সাথে ঘনত্ব যত কমতে থাকবে প্লবতা তত বেশি হতে থাকবে। মার্কারির চেয়ে লোহার Density কম বলে লোহা মার্কারিতে ভাসে[5]। আবার বায়ুর চেয়ে H, He-র ঘনত্ব কম বলে H, He ভর্তি বেলুন উপরে উঠে। সবচেয়ে কম মানে zero density হলো ভ্যাকুয়াম। ফুলানো অবস্থায় যদি বেলুনের ভিতর ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করা যায় তাহলে  এর density সর্বোচ্চ হবে। অনেকে হয়তো ভাবছেন, ফুলানো অবস্থায় আবার ভিতরে zero density বা ভ্যাকুয়াম কিভাবে তৈরী সম্ভব! একটু explain করলেই বুঝে আসবে। 


"আমরা বায়ুর সমুদ্রে ডুবে আছি" ছোট বেলায় এটা আমরা সকলেই পড়েছি। সী লেভেলে এয়ার পেশার 14.70kg/inch^2 [1] যা বাস্তবিক ভাবেই অনেকটা চাপ। এই চাপে বেলুনের মত হালকা বস্তুর ভিতরটা ভ্যাকুয়াম করা খুবই দুরুহ ব্যাপার। কিন্তু যদি কোন শক্ত স্ট্রাকচার তৈরী করে বেলুনের ভিতর রাখা যায় যা একই সাথে হালকা ও এয়ার পেশার সহ্য করতে পাড়বে তাহলে অলমোস্ট জিরো ডেনসিটির জন্য তা কোন রকম জ্বালানি ছাড়া উড়তে থাকবে। আগেই বলেছি অবজেক্টের ঘনত্ব যত কমবে এবং এরিয়া যত বাড়বে buoyancy ততো বাড়বে। একটা ১০*১০*১০ মিটার অবজেক্টকে ভ্যাকুয়াম করলে নির্দ্বিধায় বাস বা হাতি উড়িয়ে নিতে সক্ষম।


এখন লার্জ রেঞ্জে চিন্তা করুন। একটা শক্তপোক্ত হালকা অবজেক্ট নির্বাচন করে সেটা দিয়ে একটা নিশ্ছিদ্র, ফাপা স্ট্রাকচার তৈরী করে অবজেক্টের ভিতকার সব বায়ু সড়িয়ে ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করা হলে তা বায়ু ভেদ করে উপরের উটে বায়ু স্তরে ভেসে থাকবে। সমুদ্রর বাতাস ভর্তি বোতল ছেড়ে দিলে যেভাবে ভেসে উঠে অনেকটা তেমন।


এখন হয়তো অনেকেই চিন্তা করছে শক্তপোক্ত তবে হালকা অবজেক্ট আদৌ আছে তো? সমুদ্র তলে বায়ুর চাপ অত্যাধিক বেশি হওয়ায় কাঠামো ঠিক রেখে ভিতরে ভ্যাকুয়াম বজায় রাখা বেশ কঠিন। কিন্তু যদি একটা কৃত্রিম ভ্যাকুয়াম চেম্বারে[2] উক্ত অবজেক্ট তৈরী করা হয় তাহলে অবজেক্টটিকে বায়ুর 14.70kg/inch^2 পেশার সহ্য করতে হবে না।

 

সী লেভেলের যত উপরে উঠা হয় ততোই বায়ু চাপ কমতে থাকে।[3] অবজেক্টটিকে তার সারভাইভাল এনভায়রনমেন্টে(হাই অ্যাটিটিউড) ছেড়ে দিলে তা বিনা জ্বালানি খরচ করে চির দিন(ড্যামেজ না হওয়া পর্যন্ত) ভাসতে থাকবে। যেভাবে সমুদ্রে কোন ভাসমাস বস্তু ভাসে।

 


কথিত স্যাটেলাইটকেও একই পন্থায় অসীম সময় পর্যন্ত ভাসিয়ে রাখা সম্ভব। যদিও কমিউনিকেশনে প্রকৃত পক্ষে স্যাটেলাইটের কোন ইউজই নেই।[4] এসব কথিত স্যাটেলাইট আই ওয়াস মাত্র যাতে মানুষকে দিয়ে কাল্পনিক গ্লোব সাপোর্ট করানো যায়।

বর্তমানে শোনা যায়, স্টারলিংক স্যাটেলাইটসহ আরো কিছু স্যাটেলাইটের মত স্ট্রাকচারকে মানুষ ক্যামেরায় ধারন করেছে বা এর অস্তিত্ব সত্য বলে দাবি করছে। যদি মানুষকে হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রনমি ধরে রেখে কোটি টাকা ব্ল্যাক বাজেটে চালানের জন্য স্যাটেলাইট খাত করে সত্যিই এমন কিছুকে উড়ায়, তবে আসমানি ছাদের নিচে উহা উপরিউক্ত পন্থায় ভাসাবে। এতে হেলিওসেন্ট্রিক গ্লোব তত্ত্বের বায়ুমন্ডলের স্তর এবং জিরো গ্র‍্যাভিটিকে সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। 


Ref: 

[1]. https://bit.ly/3bVsgg3

[2]. https://bit.ly/2WZ5lwh

[3]. https://bit.ly/2TA9tkd

[4]. https://bit.ly/2LSlBZs

[5]. https://bit.ly/2ZuFRZc

Monday, December 10, 2018

সমতল জমিনের ম্যাপ এবং 'গোলাকার জমিনের'(!!) ম্যাপের মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রতিষ্ঠিত স্ফেরয়েড বলটির নিন্মদেশ(এন্টার্কটিকা) চিরে যদি চাপ দিয়ে সমতলে রূপান্তর করা হয়, তবেই এ্যাযিমুথাল একুইডিস্ট্যান্ট প্রজেকশন তথা মেইনস্ট্রিম সমতল জমিনের ম্যাপ পাওয়া যায়। এতে কোন ভূখন্ডের স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ব্রেইনওয়াশডদের কাছে এটাকে অনেক কিছু মনে হয়। তারা মনে করে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইন্টারনেটভিত্তিক  জনপ্রিয় কোন এক ম্যাপ সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটের ম্যাপে, সমতল জমিনের ম্যাপটিকে গোলাকার বানানো হয়েছে। সেটাতে এন্টার্কটিকার ম্যাপে গিয়ে জুম করলে চারকোণা কাগজ জাতীয় কিছুর চার প্রান্তগুলোকে একসাথে জুড়ে দিলে যে অবস্থা দেখা যায়, সেরকম কৃত্রিমভাবে সমতলকে গোলাকার বানানোর প্রমান রয়েছে। সুতরাং এযিমুথাল প্রজেকশনকেই গোল বানিয়ে চালাচ্ছে।
.
ইসলামিক পার্স্পেক্টিভে, গোল মডেলের ম্যাপ ডিজাইন বা প্রচলিত সমতল জমিনের ম্যাপের কোনটিকেই ১০০% শুদ্ধ বলে নিশ্চিত করা যায় না। কিছু আয়াত এবং হাদিস উভয়ের কোনটিতেই খাটে না।
.
যারা প্রচলিত সাইন্সের অন্ধ বিশ্বাসী, তারা তাদের অন্ধ বিশ্বাসে সন্তুষ্ট। যারা সমস্ত প্রবঞ্চনার বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা কিন্তু জাতিসংঘের পতাকায় সমতল জমিনকেই দেখাচ্ছে, আবার জনপ্রিয় স্পেস এজেন্সির দ্বারা গোল পৃথিবীর ছবি বের করছে। তাতে আবার একবছর আম্রিকার ম্যাপ ৩-৪গুন বড় হয়ে যায়, আবার কখনো ছোট, আবার জমিনের রঙও বছর বছর বদলায়!! টিভিতেও কম mock করে না। The West Wing(2001) এর Season 02, Episode 16 দেখেছেন? কত্ত সুন্দরভাবে চেয়ারে বসিয়ে স্লাইডে দেখিয়ে দিচ্ছে গোল পৃথিবীর ম্যাপের ভুল গুলো! অথচ ওরাই কিন্তু সেই টিভিতেই একই ভ্রান্ত ম্যাপ/মডেল গুলোকে সত্য আকারে প্রচার করে। উচু স্তরের কাফেররা ব্রেইনওয়াশড বানানোর পরে ওদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করে। 😆
.
যাহোক,হলিউড-মিডিয়া-বইপুস্তক দিয়ে জেসুইট ক্যাথলিকরা কাব্বালিস্টিক ব্যবিলনিয়ান জ্যোতিষবিদ্যা খাইয়ে বুদ করে রেখেছে। সেসব গ্রহন করে আজকের মুসলিমরাও তৃপ্তিবোধ করে। আমরা এসবের বিরুদ্ধে বললে যেহেতু দোষ, সুতরাং তর্কেবিতর্কে গিয়ে বোঝানোর কোন প্রয়োজন নেই, কুফফারদেরকে ওদের অনুগতদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করতে দিন।

Sunday, December 9, 2018

Flat earth Mysticism এবং নব্য শয়তানের পূজারীরা


২০১০/১১ এর দিকে এরিক দুবেঈ নামের এক মুশরিক খুব চেষ্টা করে জিওস্টেশনারী সমতল জমিন ভিত্তিক প্রাচীন কস্মোলজিকে পুনরুজ্জীবিত করতে। আমেরিকাসহ সারা পৃথিবীতেই রাতারাতি খুব জনপ্রিয় হয়ে যায়। সে গ্লোবিউলার মডেলের ত্রুটিগুলো নিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টারি ফিল্মও বানিয়েছে। এর অনেক দিন পরে তার আসল রূপ পাওয়া যায়। উনি ইউনাইটেড ন্যাশন এর পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত ওই প্রাচীন প্যাগান স্পিরিচুয়ালিজমে বিশ্বাসী,যেটা দ্বারা তারা ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। সহজ ভাষায় এরিক স্পিরিচুয়াল এন্টিটি বা শয়তানের পূজারী। কাব্বালা, নস্টিসিজম, হার্মেটিজম, ভারতীয় দর্শন(পৌত্তলিক ধর্মসব),তন্ত্র, সেল্টিক মিস্ট্রি, মিথ্রাইজম প্রভৃতি নিয়ে প্রায়শ লিখি, এগুলো সবই বিভিন্ন ভাষা ও শব্দে একই কথার বিচিত্র রূপ। অর্থাৎ একই শয়তানি দর্শনের বিচিত্র মাজহাব। এরিক বৌদ্ধধর্মের(Eastern mysticism) প্রতি ছিল খুবই ডিভাউট। এর পরে ওকে একাই পাওয়া যায় না। আরো শত শত জিওসেন্ট্রিসিটির প্রচারকদের মিডিয়া দেখায় যায় যারা সবাই একই ধরনের mystic। আমেরিকায় একে নিউএজ প্যাগানিজম বলে। এদের আকিদা ও মতাদর্শ আরো স্পেসিফিকভাবে Astrotheology। এস্ট্রলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস গুলোকে ধর্মীয় বিশ্বাসে শিফট করা আরকি। শয়তানি লেফট হ্যান্ড ফেইথগুলোর একটা সুন্দর প্যাকেজ। নিউ এজারদের মূল কথাও 'সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই'। এক দিক দিয়ে এরা Atheist আবার অন্যদিক দিয়ে (Pan)theist। শয়তান জ্বীনদেরকে এরা Higher Being, Enlightened being, Ascended Masters, Spirit Guide, Angelic Being, Light Entity,Et being,grey aliens ইত্যাদি বিচিত্র নামে ডাকে। এদের সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম হচ্ছে ধ্যান ও বিচিত্র সাইকাডেলিক ড্রাগ(এলএসডি, ডিএমটি,আইয়োহুয়াস্তকা,সাইকাডেলিক মাশরুম ইত্যাদি)। এরা শয়তানের থেকে যা শেখে এবং যা দেখায় তাই বিশ্বাস করে এবং প্রচার করে। নিউএজার মালাউনরা ইস্টার্ন, ওয়েস্টার্ন বা ব্যবিলনিয়ান যেকোন একটা অকাল্ট ট্রেডিশন ফলো করে। যারা ইস্টার্নপন্থী এরা ভারতে গিয়ে নমঃ নমঃ করে, যেগুলো ওয়েস্টার্ন সেগুলো আলকেমিক্যাল হার্মেটিক অথবা Celtic বা Norse প্যাগানিজমের ফলো করে। যেগুলো জুডিও ব্যাবিলনিয়ান ট্রেডিশনের ফলোয়ার সেগুলো Kabbalah,Qabalah নিয়ে পড়ে থাকে। আপনার এগুলো বুঝতে কষ্ট হয় তাহলে আরো সহজ করে বলি, এগুলো হচ্ছে সবই যাদুকরদের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক বিশ্বাসব্যবস্থা,মেটাফিজিক্স, আকিদা,দর্শন বা বিশ্বাস। এদের অনেকে নিজেদের লেফটিস্ট বা বামপন্থীও বলে পরিচয় দিতে দেখেছি। যাদুশিক্ষা,চর্চা সে অনুযায়ী জীবনকে সাজানো ইত্যাদি ওদের লক্ষ্য। ওদের অনেকে(অধিকাংশই) এপোলোজেটিক অর্থাৎ নিজেদেরকে যাদুকর, ডাইনী ইত্যাদি বলতে অপছন্দ করে,ঘুরিয়ে ঘারিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসব্যবস্থা বলে পরিচয় দেয়। আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড আছে। আবার কেউ কেউ সরাসরি নিজেদের যাদুকর/উইচ পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করে। যাহোক, এদের সবার মৌলিক আকিদা বা বিশ্বাস একই। যেমনঃ পুনর্জন্মবাদ, সর্বেশ্বরবাদ,আত্মিক উন্নয়ন ইত্যাদি। প্রত্যেকের মেটাফিজিক্সও একই। এডভান্স পর্যায়ে রেট্রোকজ্যুয়ালিটি টাইমলুপ্স -ইটার্নাল রিকারেন্সেও বিশ্বাস আছে। এগুলো কুফরি আকিদাগুলোর একদম তলানির বিষয়। এত ভেতরে আপাতত না যাই। নতুবা পোস্ট আর সাধারণের বোধগম্য থাকবে না। অর্থাৎ মূল কথা সবার একই।
কিছুটা প্রাচীন জিওস্টেশনারী কস্মোলজির কল্যানে এই শয়তানের পূজারী কাফিররা ছাড়া(কারন ওদের ফিজিক্স/মেটাফিজিক্সকে শয়তান এমনভাবে ডিজাইন করেছে যাতে আল্লাহর অস্তিত্বের কথা টানাই লাগেনা) কেউই আল্লাহকে(অস্তিত্বের) অস্বীকার করত না। এক দেড় হাজার বছর আগের মুশরিক পৌত্তলিকরাও আল্লাহর অস্তিত্বকে মানত। এ কথা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালাও বলেছেনঃ
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ فَأَنَّى يُؤْفَكُونَ
.
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে?(আনকাবুত ৬১)
.
বর্তমানে আম্রিকান ওইসব mystic নিউ এজারদের মালুদের সবাই যাকে একযোগে গুরু বলে মান্য করে, যার কিতাবাদি পড়ে এ পথে উৎসাহিত হয়েছে তিনি হলেন ম্যাডাম হেলেনা ব্লাভাস্তকি নামের এক শয়তানের পূজারি। তার পর এলিস বেইলি, বেঞ্জামিন ক্রিমও ছিল। তবে উনিই সবচেয়ে বেশি ইনফ্লুয়েন্সিয়াল। HP Blavatsky এর কাছে স্বয়ং শয়তান মানব রূপে হাজির হয়ে বিভিন্ন অকাল্ট ও ভুয়া মেটাফিজিক্সের শিক্ষা দিত। উনি ভারতসহ নানা দেশ সফর করতেন সব যাদুশাস্ত্রের বিশ্বাসগুলোর পুনঃজাগরনের উদ্দেশ্যে। তাকে নিয়ে লিখতে গেলে আরেকটা ডকুমেন্টারি নোট পাব্লিশ করা লাগে। যাহোক, ওনার সমস্ত শয়তানি বিদ্যাই আজকে স্পিরিচুয়ালিজমের নামে বিশ্বে প্রবহমান। জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির সাথে এসব অকাল্টিজমের কোন কানেকশন নেই। স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেলটি পুরোটাই কাব্বালিস্টিক কস্মোলজির। আর এই নব্য প্যাগানরা Hollow Earth theory নাম দিয়ে আধ্যাত্মিকতায় এটাকে ২য় বার সংযোগ ঘটিয়েছে। হয়ত জিওসেন্ট্রিক ফ্ল্যাট এনক্লোজড টেরাফার্মার এদিকটাতেও শয়তান ফাদ পাতার উদ্দেশ্যে ওদেরকে নিয়ে আসে। একারনে Flat Earth model এর অনেক ভুয়া মিস্টিক্যাল ইন্টারপ্রিটেশন আসছে(উপরে ছবিতেও দিয়েছি)। অকাল্ট সাইন্টিস্ট নিকোলা টেসলাকে হিরো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সব কিছুকে ফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি ভাইব্রেশন দিয়ে ব্যাখ্যা করো....! একটা সময়ে ইউটিউবের ৯০% ভিডিও ই এদের দখলে ছিল। ৮/৯% অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের। Flat Earth Paradise নামের একটা জনপ্রিয় চ্যানেল আছে। ওখানে দেখানো হয় সাম্ভালার রাজা আসছেন দুনিয়ায় সাম্ভালা রচনা করতে। টেস্লার কিছু অকাল্ট বাক্যগুলোকে(সেসব নিষিদ্ধ বিদ্যা) ধরে মানুষকে উচ্চতর ডাইমেনশনে এ্যাসেন্ড করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এজন্য আবার হাতের রক্ত দিয়ে কাগজে শপথ লিখতে হবে যে, 'আমি দুনিয়ায় স্বর্গরাজ্য চাই' এ জাতীয় কথা।
.
এসোটেরিক ফ্ল্যাট আর্থার দাদাদের অধিকাংশ কথাগুলোই দলিল ছাড়া ট্রোল। ওরা বলবে, দুনিয়ার মোড়লরা আমাদেরকে আসল কস্মলজি থেকে দূরে রাখছে যাতে আমরা আর ইভলভ না হই, আমরা যেন ওদের গোলাম হয়ে থাকি, আমরা যেন সিদ্ধিলাভ না করতে পারি। ওরা চায় না আমরাও কাব্বালার ট্রি অব লাইফের ফ্রুট অব লাইফ(স্যাক্রিড জিওম্যাট্রির) খেয়ে(এ্যালিগোরিক্যালি) হায়ার ডাইমেনশনে এঞ্জেলিক রেসে রুপান্তর হয়ে অমরত্ব লাভ করি!!! এজন্য ফেক কস্মোলজি শিখিয়েছে.... এরকম আরো অনেক ট্রোল। মানে অন্যভাবে আপনাকে কাব্বালিস্টিক স্যাটানিজমের দিকেই ডাকবে। ফ্ল্যাট আর্থকে শুধুই একটা মাধ্যম রূপে ব্যবহার হচ্ছে। এজন্য প্রথম থেকেই নব্য শয়তানের পূজারীদের ব্যপারে সাবধান করছি। এরা আসলে জিওস্টেশনারী সমতল জমিনভিত্তিক কস্মোলজিকে কলঙ্কিত করেছে। এই স্যাটানিস্ট গুলো পিউর লাভ, পজেটিভ ভাইব, ব্লেসিং,কম্প্যাশনসহ অনেক মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে। অথচ এরা সবগুলোই দুরাত্মা,দুরাচার। সবগুলোই মানব শয়তান।শয়তানের পূজা যাদুবিদ্যার দিকে ওরা ছাড়া আর কারা যায় বলুন! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা মানুষের বাহ্যিক অবয়ব দেখে ভেতরের অবস্থা জানার সামান্য জ্ঞান(ফিরসাহ) দিয়েছেন বলে অধিকাংশ মানুষকে এক পলক দেখেই অনেক কিছু আল্লাহর ইচ্ছায় বুঝতে পারি বলে ওদের পরিচয় বুঝতে কষ্ট হয়না।
.
এই মিস্টিক মালাউনগুলো নাকি এখন বিবর্তনের পরবর্তী স্টেপের জন্য ওয়েট করতেছে। ওরা নাকি খুব শীঘ্রই ৫ডিতে প্রবেশ করবে। আর আমরা নাকি থ্রিডিতে থেকে যাব। 5D new earth লিখে সার্চ দিলে হাজারো ইনফো পাবেন। এগুলা শয়তানের মিথ্যা ওয়াদা। এবং কিছুটা মনগড়া ট্রোল। দাজ্জালের হাতে কথিত হ্যাভেনে শিফট হলে আর বুঝতে অসুবিধা নাই। এগুলোকে র‍্যাশোনাল করার জন্য সেই টেসলার অকাল্ট সায়েন্সের কিছু Quote ব্যবহার করে ডাইমেনশনের লেয়ার বোঝাতে আর সম্ভাবনা বোঝাতে। ওরা এও বলে ধ্যান করতে করতে আপনার আত্মার এনার্জি ফিল্ডের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে বাড়াতে ৫ডিতে চলে যেতে পারেন। এইসব কন্সেপ্টের আগা গোড়া সবই ওই একই শয়তানি মিস্টিসিজম। একে সলিপসিজম, আইডিয়ালিজমের এডভান্স সংস্করণ বলা যেতে পারে। ওরা শয়তানের পূজা, দেহের পূজা করে শয়তানের সাহায্য নিয়ে সর্বোচ্চ শয়তানের রেল্মে শিফট হতে পারে। ওটাই সর্বোচ্চ। ওরা সে প্রতিশ্রুতিকেই সব বানিয়ে নিয়েছে। আফসোস এই শয়তানি বিষয়গুলোর প্যাকেজ আমরা বাংলা ভাষাতেই দেশীয় ফ্ল্যাট আর্থ কস্মোলজির বিভ্রান্ত প্রচারকারী Bd Flat Earth Society নামের পেইজটিতে দেখছি। আজ দেখলাম একজন মেয়েকে খুব কনভিন্স করছে এসব স্পিরিচুয়াল স্যাটানিক গার্বেজের প্যকেজ। । একদম য্যোগধ্যান,শয়তানের পূজা,5D New Earth ascension, অকাল্ট ফিজিক্স কোনটার বাদ নাই। সাইডে মার্শাল ভিয়্যান নামের মালুকে নবী রূপে উপস্থাপন! ওই আপাও খুব ভক্তির সাথে সেসব শুনছেন আর এ্যাপ্রেশিয়েট করছেন। উনি এও জানালেন তিনিও এই পথেই হাটার ইচ্ছা পোষন করেন বহুদিন ধরে! এই পোস্টটা নোট আকারে দিলে স্ক্রিনশটও দেওয়া যেত ধারাবাহিকভাবে।
.
আমি জানিনা মানুষ এতটা ঘিলুবিহীন মূর্খ হয় কিভাবে। জন্ম সূত্রে মুসলিম পরিবার পেয়েছে, কিন্তু সে সেটা প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহর সত্য পথ ছেড়ে শয়তানের হাতছানিতে সাড়া দিতে উদ্যত। ওই পেইজটা নিয়ে আগে থেকেই সাবধান করেছি এডমিন গুলো যিন্দিক এবং নব্য শয়তানের ভক্ত। ওনারা তাদের গ্রে এলিয়েন বলে তাদের। তাদের বিশ্বাস 'সব শয়তানই খ্রাপ নয়, কিছু শয়তান ভালও আছে'! আমি এলিয়েন টার্মটা শয়তান দ্বারা রিপ্লেস করেছি কারন আপনারা জানেন ওরা কারা। না জানলে আবারো পড়ুনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_30.html

শয়তানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে গত কয়েকদিন আগে পাবলিশ করা নোটটাও গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্পর্কযুক্তঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_25.html

ধ্যান, থার্ড আই ওইসব স্যাটানিক ডক্ট্রিনগুলোর ব্যপারে আরো যদি কৌতূহল থাকেঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/chakra-third-eye-yoga_10.html

বিডি ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটির এডমিনরা মার্শাল সোমার্স ভিয়্যান নামের এক মালুকে নবী বলে প্রচার করে। তাই তাদের ব্যপারে আরো #সাবধান।
সমতল পৃথিবীর ব্যপারে এসোটেরিক ফাদ আছে এ নিয়ে কয়েক বছর আগেও দু একটা পোস্ট লিখেছিলাম। আইডি রিপোর্ট এর দরুন ডিজেবল্ড হওয়ায় আর পাওয়া যাচ্ছে না। আজকে পেজটিতে এসব প্রচারণা দেখে না লিখে পারলাম না। আজকের আগে হয়ত অনেক মূর্খ ভাবতো জিওস্টেশনারী এনক্লোজ কন্সমোলজি মানেই ওসব স্যাটানিক অর্চনাকেন্দ্রিক বিষয়। ওগুলোই এর কোর কন্সেপ্ট। বরং আসলে এটাকে শুধুই মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকটা দা-বটির মত, তা দিয়ে ভাল কর্ম অপকর্ম দুইটাই করা যায়।প্রিমিটিভ এস্ট্রনমিক্যাল নোশন শুধুই তাওহীদের দিকে আহব্বান করে মৌলিকভাবে। কুরআনের ওইসব আয়াতের অসংখ্য, যেখানে আসমান জমিন চন্দ্র সূর্যের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্য ও একত্ববাদের দিকে আহব্বান করা হয়েছে।
.
অত্র পোস্টটা কাউকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আক্রমণ করার জন্য করিনি। আজ এমনিই খালি হাতে একটানা লিখে গেছি। সামনে বিতর্কের সম্মুখীন হলে অবশ্যই কড়া ভাষার ডকুমেন্ট নোট পাব্লিশ করব। তাতে সব কিছুর রেফারেন্স সুবিন্যাস্ত থাকবে। বিইযনিল্লাহ।।
__________________
ওয়া আল্লাহু আ'লাম।।

Wednesday, November 22, 2017

চাঁদে অভিযানের সত্যতা নিয়ে আবারও বিতর্ক

১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং সর্বপ্রথম পা রেখেছিলেন চাঁদের বুকে। মানুষের মহাবিশ্ব জয় করার এক প্রথম অধ্যায় ছিলো এটি। কিন্তু এই অভিযানের সত্যতা নিয়ে আজও অনেক বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সেটি আরও উস্কে দিলো।
আমেরিকার অ্যাপোলো ১৭ মিশনের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ কোন ধরনের স্পেস স্যুট ছাড়াই চাঁদের বুকে হেটে বেড়াচ্ছে। এই ছবিই আমেরিকার চাঁদে যাওয়ার মিশন যে ভুয়া সেই দাবিটা আবারও উস্কে দিলো। Streetcap1 নামের একজন ইউটিবার একটি ভিডিও আপ করে এ দাবি করার পর বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। এর আগে হলিউড সিনেমার পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক দাবি করেছিলেন, তিনিই অ্যাপোলো-২ মিশনের চিত্রধারন করেছিলেন।
আমেরিকা সবসময় দাবি করে আসছিলো তারাই প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের সেই উত্তেজনাপূর্ণ সময় আমেরিকা একে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে বিজয় হিসেবে দাবি করে। কিন্তু পরবর্তিতে বিষয়টি ভুয়া প্রতিপন্ন করে একের পর এক তত্ত্ব হাজির হলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে চন্দ্র অভিযানের সত্যতা।
এদিকে নাসার দাবি হিগুয়েন চারমানের নেতৃত্বে চাঁদের বুকে হেটে বেড়িয়েছিলো তিন ক্রু। কিন্তু সেই ছবি খুব কাছ থেকে বিশ্লেষন করে সমালোচকরা বলেছেন, এগুলো হলিউডে কোন সেটে ধারণ করা হয়েছে। তারা নাসার একটি ভিডিও জুম করে দেখিয়ে বলছেন, একজন মহাকাশচারীর মাস্কের কাচে যে প্রতিচ্ছবি রয়েছে, তাতে দেখা যায় একজন কোন স্পেস স্যুট ছাড়াই দাড়িয়ে রয়েছেন। এমনকি এই ব্যক্তির লম্বা চুল দেখা যাচ্ছে। যা সত্তর দশকের আমেরিকার চুলের ফ্যাশনের সাথে মিলে যায়। এছাড়াও ছবিতে এই ব্যক্তির ছায়া থেকেও এটা প্রমাণিত হয় যে তিনি বিশেষ কিছু পরিধান করেন নাই।
এদিকে ইউটিউবে এই ভিডিও বিশ্লেষণ ছড়িয়ে পড়ার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। আবারও শুরু হয়েছে এর পক্ষে বিপক্ষে জোর সমালোচনা।

সূত্র: Jamuna TV.
নিউজের লিংক: https://jamuna.tv/news/8602

Thursday, November 16, 2017

সমতল পৃথিবীর বিষয়টি অনেকের কাছেই আনএক্সেপ্টেবল।


সমতল পৃথিবীর বিষয়টি অনেকের কাছেই আনএক্সেপ্টেবল। এর প্রধান কারন 'ব্রেইনওয়াশ'। যারা যত বেশি টিভি-মুভির সাথে সম্পর্ক যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো বেশি অগ্রহণযোগ্য। আর সাইন্টিফিক ফ্যান্টাসি থাকলে তো আর কথাই নাই। তাদের ক্ষেত্রেও এটা শকিং যারা সারাজীবন বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ছিলেন, আর সকল পড়াশুনা ছিল সৌরজগৎ কেন্দ্রিক তাই পৃথিবী কেন্দ্রিক সমতল-বদ্ধ ও জিওস্টেশনারী কসমোজনি বিরাট এক ধাক্কা। এজন্য এ সকল শ্রেনীর লোকদের থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্রুপ ও বিরুদ্ধাচরণ দেখা যায়। এদের কিছুর বিজ্ঞানান্ধতা এত বেশি যে সকল তথ্য প্রমান পাবার পরেও মহাকাশ ও জাগতিক ভ্রান্ত শিক্ষাকেই চোখ বন্ধ করে আঁকড়ে ধরে থেকে নির্বোধের মত বিদ্রুপ করে। এর কোন মানে হয় না!

ফ্ল্যাট আর্থ এখন সুবিশাল একটি বিপ্লবে রূপ নিয়েছে। এই এস্ট্রোনমির গ্রহণকারীর সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্র) সবচেয়ে প্রকট। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনেও অনেক সমতল পৃথিবীর সমর্থক-গবেষক রয়েছে। তাছাড়া পাশ্চাত্যের অন্যান্য দেশ গুলোতেও এর অগণিত সমর্থক রয়েছে।কিছু লোককে দেখি ফ্ল্যাট আর্থ দেখলেই খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস বলে নির্বোধের মত আঙ্গুল তোলে এর দিকে। জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি এ ব্যপারে অজ্ঞ যে ৫০০ আগে জিওসেন্ট্রিক-জিওস্টেশনারী এস্ট্রোনমিই প্রতিষ্ঠিত সত্য অথবা বিজ্ঞান রূপে ছিল।আর বর্তমানে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে খ্রিস্টানদের অফসিয়াল বিশ্বাস হচ্ছে গ্লোবিউলার হেলিওসেন্ট্রিক মডেল। Answering-islam নামের খ্রিষ্টানদের বড় ওয়েবসাইট আছে যেখানে ওরা কুরআনের এরর ধরার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। ওরা ইতোমধ্যে কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী যে মহাজগতের বর্ননা এসেছে সেটাই দেখিয়েছে Error হিসেবে। সেটা আবার এপোলোজেটিক মোডারেট স্টাইলে খন্ডন করার চেষ্টায় আছে এন্সারিং-খ্রিষ্টিয়ানিটি নামের ওয়েবসাইট। ক্যাথলিক বিদ্বেষী অল্প কিছু খ্রিষ্টানরা এ শতাব্দীতেও বিশ্বাস করে জিওসেন্ট্রিক মডেলে, যদিও ওদের বিকৃত কিতাবে এ ব্যপারে অতটা স্পষ্ট নয়, যেমনটা আমাদের কুরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট। এজন্য কাফেরদের মধ্যে নাস্তিকরা কুরআনকে ফ্ল্যাট আর্থ বুক টাইটেল দিয়ে ভিডিও বানিয়েছিল।আসলে ওরা নিজেদেরকেই বিদ্রুপ করেছে। সেসমস্ত নাস্তিকদের উদাহরণ হচ্ছে এরূপ যে একজন মূর্খ ঘোড়ার পিঠে চেপে আছে অথচ বলছে 'আমি এমূহূর্তে হাতির পিঠে বসে আছি'। যারা জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমিকে খ্রিষ্টানদের প্রডাক্ট মনে করে ওরা আসলে অপদার্থ কাফের খ্রিষ্টানদের বিষয়েই ভাল জ্ঞান রাখেনা।

দেখা যায় সামান্য সংখ্যক সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসকারী খ্রিষ্টানরা মুসলিমদের সাথে সেধে বন্ধুত্ব করতে চায়। ওরা ইসলামের সত্যতার ব্যপারে ভালই জানে কিন্তু মুসলিম হবেনা বাপদাদাদের জন্য। এজন্য এদের কতক দাওয়াত পেলে নিশ্চুপ থাকে। তাই বলে এদের সাথে আপোষ করা বা ফ্রেন্ডশিপ করার বৈধতা নেই। যদি কেউ বলে থাকে তবে আশংকা করি সে নযরের বদনযর প্রাপ্ত।

এ যুগে যে সমতল পৃথিবীর ব্যপারে বিশ্বাসগত বিপ্লব চলছে সেটাতে যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আছে স্পিরিচুয়ালিস্ট,এর পরে আছে ডেইস্ট -এগনস্টিক, অল্প কিছু খ্রিষ্টান, সামান্য কিছু ধর্মহীন(ফর্মার এথিস্ট)। এদিকে মুসলিমদের মধ্যে আরব মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর কারন ওরা সরাসরি বোঝে আল্লাহ তার আয়াতে কি বলেছেন। আর আজমীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্দোনেশিয়ায়!

পাইলটরা পৃথিবীর সমতলতার ব্যপারে সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত জ্ঞান রাখে। অল্প কিছু পাইলট এর ব্যাপারে মুখ খুললেও অধিকাংশই চুপ থাকে ও গোপন রাখে চাকরি হারানোর ভয়ে আর মানুষ বোকা বলবে বা তিরস্কার শোনার ভয়ে। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=VaUBrui9L1I

https://m.youtube.com/watch?v=I8ar7vDm-WA

তাছাড়া অনেক অখ্যাত বিজ্ঞানী, গবেষকরা,ইঞ্জিনিয়াররা জিওসেন্ট্রিক কসমোলজির ব্যপারে সুনিশ্চিত। এক ইঞ্জিনিয়ারকে দেখলাম চমৎকারভাবে গ্লোবিউলার মডেলকে ডিস্প্রুভ করলেন। এমনভিডিও সত্যিই রেয়ার। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=vbHI8ezKgjE

সমতল পৃথিবীর এই ফেনোমেনা নতুন কিছু নয় আবার খুব বেশি প্রিমিটিভও নয়। মাত্র ৫০০ বছরের আগের প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান ও বিজ্ঞান। ১৭০০ সাল পর্যন্ত চীনের অফিশিয়াল বিজ্ঞান ফ্ল্যাট আর্থ ভিত্তিক। উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ এসেছে স্পষ্টভাবে যে ওরা জেসুইট অর্ডারের চাপে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয় গ্লোব মডেলে সুইঁচ করতে। যাদের কাছে এটা খ্রিষ্টীয় ডগমা মনে হয়, তাদের উচিৎ ইতিহাস জানা। আর একদম ব্রেইনওয়াশডরা গ্লোবালিস্টরা জানেও না Copernican আর Ptolemy'র এস্ট্রোনমির ইতিহাস। ওরা জানেনা গ্রাভিটির ইতিহাস। ওদের সাইকোলজিক্যাল ন্যারোনেসের কারন স্বল্প জ্ঞান।
 এটা সত্য যে কুয়োর ব্যাঙের কাছে ছোট্ট কুয়োই বিশাল জগৎ। আর ছোট্ট পুঁটিমাছের জন্য ছোট্ট ডোবা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে টাইসন,বিল নিই রা সবচেয়ে বেশি সমতল পৃথিবীর বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কেউ যখন ফ্ল্যাট আর্থের পক্ষে কথা বলে সে বিজ্ঞানীগন তাদেরকেও অপমান করতে ছাড়েনা।কন্সপাইরেসি থিওরিস্টদের চ্যানেল গুলোর বড় একটা অংশও ফ্ল্যাট আর্থকে সমর্থন করে। ওরা তারা যারা ইল্যুমিনাতি-ম্যাসনিক অকাল্টিজমকে এক্সপোজ করত।
তবে একটা বিষয় উদ্বেগজনক। ফ্ল্যাট আর্থ সমস্ত প্যাগানদের পুনর্জাগরন ঘটাচ্ছে এবং ঘটিয়েছে। বিশেষ করে এস্ট্রলজি। zodiac cycle গুলো খুবভাল ভাবে কাজ করে পুরাতন জিওসেন্ট্রিক মডেলে।যখন এস্ট্রলজি খুব ফ্লারিশড ছিল তখনকার এস্ট্রনমি ছিল জিওসেন্ট্রিক ফ্ল্যাট প্লেইন। যার ফলে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে আধ্যাত্মবাদ। বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা Geocentric cosmology এর পক্ষেই উক্তি করেছিলেন, তাছাড়া তার কর্ম আর চিন্তা গুলোও ফ্ল্যাট আর্থ কেন্দ্রিক, তাই তাকে আধ্যাত্মবাদীরাও আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছে।

একটা বিষয় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে সরাসরি দাজ্জালের অনুসারীরাই ফ্ল্যাট আর্থের প্রোমোটিং এ কাজ করছে পাশ্চাত্যে।এদিকে ইউটিউবও খুব সহযোগীতা করছে, ফ্ল্যাট আর্থ প্রুফ গুলোকে প্রোমোট করে। ইউটিউব এ ঢুকলেই মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাট আর্থের ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে নাটক করছে মাইক জ্যাকের চ্যানেল(ওডিডি টিভি) সহ অনেক ভিডিও রিমুভ করে। কোন কিছু গোপন করার খেলা খেললে সেটারই পাবলিসিটি এমনিতেই বাড়ে। প্রথমেই দেখি এরিক দুবেই কিছু গ্রাফিক্যাল সিমুলেশনে দিয়ে গ্লোব আর্থকে ডিস্প্রুভ করতে। ধীরে ধীরে পপুলারিটি পেতে থাকলে একপর্যায়ে সেলিব্রেটির পর্যায়ে যায়। পরে দেখা যায় স্পিরিচুয়ালিজমকে (নিউএজ) প্রমোট করছে আর মানুষকে সেদিকে আহব্বান করছে।

হাজারো জিনস্টিস্ট,মিস্টিক রা ফ্ল্যাট আর্থে মাথা চাড়া দিয়ে কাজ করা শুরু করে। Yoda টিভিরা প্রচার করে You have to unlearn,what you have learned। অর্থাৎ মতলব হচ্ছে আগের সব শেখানো শিক্ষাকে ইরেজ করুন, হোক সেটা ধর্মতাত্ত্বিক বিষয়। দাজ্জাল যে তার অনুসারীদের দ্বারা এখন এই ফ্ল্যাট আর্থ প্লটটাকে বেছে নিয়েছে,কুফরি আর এস্ট্রলজি বেজড ব্ল্যাক আর্ট প্রচার করার জন্য, সেটা স্পষ্ট।।জিওসেন্ট্রিক কসমোলজিক্যাল মডেলে সৃষ্টিজগৎ এর গুহ্যজ্ঞান লাভের জন্য টেসলার তিনটি তত্ত্ব একমাত্র কাজ করে এজন্য টেসলাও গ্লোরিফাইড হয়েছে ওদের দ্বারা। আধ্যাত্মিক সাধনার পথে চালনার একটা বিশাল লাভ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির আল্লাহর রাস্তায় ফেরত আসবার পথকে বন্ধ করে দেওয়া। সে আগে থেকে কাফের হলেও দ্বীনে প্রত্যাবর্তন এর দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারন ওদের বিলিভ সিস্টেম একদমই মনোথেইজমের বিপরীত মেরুর।। এমনকি এক মুসলিম নামওয়ালা একজনের আইডি দেখেছিলাম, ওদের পাতানো ফাদে পা দিয়ে কাব্বালা(আর্ট অব ন্যাক্রোমেসির ইহুদিদের একটা স্কুল অব টিচিং) চর্চা শুরু করেছে। ইন্না লিল্লাহ!! এজন্যই ইউটিউবের ৮৫% ভিডিও গুলো ওদের। আর সেসব ওদের ডিসিপ্টিভ চিন্তা-দর্শন বহন করে।আর কাফেরদের ইউটিউব দিয়ে সেসব ভাইরালকরন চলছে। যেকেউ ওদের ফাদে পা দেবেই,যার মাঝে তাওহীদের জ্ঞান নেই। এজন্য এ ফাদের বিষয়ে সাবধান থাকবেন।

উম্মাহর চলমান দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে আলোচনার সময় সত্যিই নেই। কিন্তু বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছে যখন দেখি কিছু ভাই সত্যের প্রচারক অথচ আকাশবিজ্ঞান আর সৃষ্টি জগৎ এর ব্যপারে ভুল/ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন,আর মানুষ সেটা গ্রহন করছে। এটা মনে রাখা জরুরী যে আমাদের কাফেরদের তথ্যের ব্যপারে সাবধান হওয়া উচিৎ। এ আর্টিকেলটি লেখার উদ্দেশ্য এটা বোঝানো যে সমতল পৃথিবীর নোশন খ্রিষ্টীয় নয় যে ফেইক অ্যালিগেশন অনেক নির্বোধ করে থাকে এবং বর্তমান সময়ে এর গ্রহণযোগ্যতা বিশেষ সম্প্রদায়ের মাঝেও কেন্দ্রিভূত নয়। আর এরূপ বিশ্বাসে অপমানবোধ অথবা নঞর্থকতার কিছু নেই। কিন্তু যারা কুয়োর ব্যাঙ তাদের জন্য বড়ব্যাঙ থিওরি নিয়ে বসে থাকাই সমীচীন।