Monday, December 10, 2018

এলিয়েন নাকি শয়তান জ্বীন?




Extraterrestrial নাকি interdimensional?
কথিত Aliens এবং কাল্পনিক Outer space

যখন থেকে ক্যাথলিক জেসুইট সারা বিশ্বে জোড় করে জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমিকে বইপুস্তক থেকে বিদায় দিয়ে যাদুকর ও সূর্যপুজারীদের হেলিওসেন্ট্রিক প্যান্থিয়নকে মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমিতে স্থান দেওয়া হয়, তখন থেকে এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল এর অস্তিত্ব নিয়ে মানুষকে কল্পনা করতে দেওয়া হয়। সেই সাথে আউটার স্পেসের মনগড়া তত্ত্বকেও স্থান দিয়ে এস্ট্রোনমি ও মেটাফিজিক্সকে নতুন করে সাজানো হয়। ইনফিনিট স্পেস আর অগণিত গ্রহ,গ্যালাক্সি,নিহারিকার কনসেপ্টটি প্রি সক্রেটিক প্যাগান যাদুকর-দার্শনিক এন্যাক্সিম্যান্ডারের প্লুরালিজমকে নতুন করে জাগিয়ে দেয়[১]। এরপরে শুরু হয় বহির্জগতের বুদ্ধিমান প্রানীদের নিয়ে ফ্যান্টাসি। অজস্র বই,গল্প,উপন্যাস,পত্রিকা ম্যাগাজিন এই প্লটের উপর লেখা হয়। পাঠকদের অধিকাংশই এসকল সায়েন্স ফিকশনকে উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা/কল্পনা মনে করে সমর্থন দিতে শুরু করে। টেলিভিশন ছড়িয়ে পড়বার পর ব্রেইনওয়াশিং এবং মাইন্ডকন্ট্রোল এর আওতা আরো বেড়ে গেল। সেই নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে আজ পর্যন্ত ম্যাসনিক হলিউড; স্পেস আর এলিয়েন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। যতগুলো সায়েন্সফিকশন সিনেমা নির্মান করছে তার সবই আউটারস্পেস এর কন্সেপ্ট ভিত্তিক। আর স্পেস থাকা মানেই স্পেস ট্রাভেল,এলিয়েন থাকবে। এরপরে যে সিনেমা গুলো বের হতে শুরু করে তার অধিকাংশ হয় এলিয়েন ইনভ্যাশন নিয়ে। বহির্জগতের বুদ্ধিমান প্রানীরা উন্নত প্রযুক্তিসমেত পৃথিবীতে হামলা করেছে, সমস্ত দেশগুলো এক হয়ে প্রতিরোধ করছে ইত্যাদি, ইত্যাদি।
[২]
এখনকার ফিল্মগুলোতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মেটাফিজিক্যাল ব্যপার গুলোয় এলিয়েন হস্তক্ষেপ দেখিয়ে। ওরা দেখাচ্ছে মানুষের অস্তিত্বটাই এলিয়েনদের দান। মানুষের ডিএনএ'তে এলিয়েন ডিএনএ মিশে আছে। ওরা আমাদের ইঞ্জিনিয়ার। প্রমিথিউজ,ট্রান্সফরমার এই ম্যাসেজগুলোই দিচ্ছে। অন্যদিকে এসবে আছে সায়েন্টিফিক কমিউনিটির সমর্থন [৩]। মিডিয়ায় হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমি ও এলিয়েনের অস্তিত্বের প্রমোশন পাবার সাথে সাথে মানুষও Unidentified flying object(UFO) এবং Unidentified submerged object(USO) দেখা শুরু করে। মেক্সিকো আমেরিকায় বিষয়টা এমন স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে ওটা খুবই সাধারন বিষয়। এ বিষয়গুলোর সূত্রপাত খুজতে গিয়ে মেলে জগদ্বিখ্যাত যাদুকর এ্যালিস্টার ক্রোওলির ১৯১৮ সালে করা 'অমলন্ত্র' রিচুয়াল(amalantra working)[৪]। ক্রোওলি Lam নামের এক এলিয়েন এন্টিন্টির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করত। তিব্বতীয় ল্যাম শব্দের অর্থ পথ অথবা পথদাতা। ল্যাম দেখতে অনেকটা গ্রে এলিয়েন যেমনি দেখতে, তেমনি। অধিকন্তু, ল্যাম হচ্ছে মূলচক্রের একটি মন্ত্রও(ধ্যানের ষড়চক্রের একদম নিন্মে অবস্থিত)। বলা হয় ক্রোওলির এই রিচুয়ালের উদ্দেশ্য ছিল এলিয়েন এন্টিটির জন্য ইন্টারডাইমেনশনাল পোর্টাল[২২] খুলে দেওয়া যাতে তারা ইচ্ছেমত আমাদের ডাইমেনশনে প্রবেশ কর‍তে পারে। এরপরে ১৯৪৬ সালে আরেকটি বড় পরিসরের ম্যাজিক্যাল রিচুয়াল পালিত হয়। এর নাম দেওয়া হয় "Babalon Working"[২৬]। এতে এবার ক্রোওলির সাথে যোগ দেয় বর্তমান স্পেস এজেন্সি নাসা এবং সাইন্টোলজি কমিউনিটির ফোরফাদারগন। সেটাতেও সিরিমোনিয়াল এবং সেক্স ম্যাজিক্যাল রিচুয়াল পালিত হয় অমলন্ত্রের মত। সমস্ত অকাল্ট কমিউনিটির মধ্যে এ কথা প্রচলিত আছে যে এ রিচুয়াল দ্বারা আগের ডাইমেনশনাল গেইটওয়ে এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল এন্টিটির জন্য আরো প্রশস্ত করা হয়। এ ঘটনার পর দিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ইউএফও সাইটিং শুরু হয় ব্যাপকহারে। এলিয়েনদের দ্বারা অপহরণ, এমনকি সেনাবাহিনীরাও আক্রান্ত হবার ডকুমেন্ট পাওয়া যাচ্ছিল।
মিডিয়া সবই ওদের। বেঞ্জামিন ফ্যাঙ্কলিন, জর্জ ওয়াশিংটনও এমনকি ম্যাসন। এরা এক চক্ষুবিশিষ্ট পিরামিডের নিচে লেখে "ইন গড উই স্ট্রাস্ট" যা প্রত্যেক ডলার বিলে আজও আছে। সবার একক লক্ষ্য, একচক্ষুবিশিষ্ট মহান নেতার হাতে এক সরকার বিশিষ্ট শাসন ব্যবস্থা।
.
এদিকে জেট প্রপালশান ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা তথা ফাদার অব স্পেস এজ জ্যাক পার্সন যিনি কিনা ব্যবিলন ওয়ার্কিংয়ে ক্রোওলির সাথে ছিলেন, তিনি স্বপ্নে এক মহান ব্যক্তিকে দেখেন; যিনি তাকে অনুপ্রাণিত করছিলেন তার উদ্ভাবনী চেতনাকে,যিনি তাকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন অপবিজ্ঞান ও যাদুবিদ্যাকে মিলিয়ে এগিয়ে যাবার জন্য। এই মহান ব্যক্তির কথা তিনি তার লিখিত কিতাবেও উল্লেখ করেন। তিনি তাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তার নাম উল্লেখ করেন "বেলেরিয়ন আর্মিলাস আল দাজ্জ্বাল"।
যেমনটা উইকিপিডিয়াতেও এসেছেঃ
"Parsons professed to embody an entity named Belarion Armillus Al Dajjal, the Antichrist "[উইকিপিডিয়া]
.
জ্যাক পার্সন যাদুচর্চা ও চ্যানেলিং এর মাত্রা এত বাড়িয়ে ছিলেন যে তার বাসাতেই কথিত এলিয়েনের উৎপাত শুরু হয়। এমনকি বাসাও ছাড়তে বাধ্য হয়। তিনিই সর্বপ্রথম রকেটসাইন্টিস্ট যিনি 'dajjal' নামের কারো অনুপ্রেরণা ও শিক্ষার দ্বারা রকেট আবিষ্কার করেন এবং কথিত মহাকাশ বিজয়ের পথ উন্মোচন করে ফাদার অব স্পেস এজ খেতাব অর্জন করেন। এরপরে চন্দ্রবিজয়ের ইতিহাস রচিত হয়,যদিও নাসার কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা বলেন তারা এখন পর্যন্ত আসমানের ভ্যান এ্যালেন বেল্ট(১২০০ মাইল) পার হন নি[৮]। আর চাদে যাবার প্রযুক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন, ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এখন আর নতুন করেও বানাতে পারছেন না কারন খুবই পেইনফুল প্রসেস। অনেক কঠিন![৯]
.
এ্যালিস্টার ক্রোওলির সাথে জেট প্রপালশান ল্যাব এবং সাইন্টোলজির প্রতিষ্ঠাতার ল্যাম বা গ্রে এলিয়েন বিংদের আহব্বান এবং পরবর্তীতে অগনিত ইউএফও/ইউএপির উপদ্রব, সেই সাথে জেট প্রপালশান ল্যাবের রকেট আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষের মনে একটা ধারনাকে গেঁথে দেওয়া হয়। সেটা হচ্ছে Outer Space(মহাশূন্য)! অর্থাৎ উপর থেকে বহির্জাগতিক প্রানীরা আসতে পারে আর আমরাও উপরে(আসমানে) যানবাহন বহির্বিশ্বে পাঠাতে পারি। এর মাধ্যমে সকল রিলিজিয়াস কমিউনিটির সিংহভাগ লোক প্রাচীন জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমির উপর আস্থা পূর্নরূপে হারায়। তারা এবার তাদের প্রাচীন রিলিজিয়াস টেক্সটগুলোকে দাজ্জাল নামের কোন এক এন্টিটি ডিরাইভড নলেজের সাথে খাপ খাইয়ে প্রচার শুরু করে, যার ক্রমধারা আজও চলমান।
.
যাহোক, হঠাৎ করে ইউএস প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘে বললেন, " হয়ত আমাদের কোন একটা সার্বজনীন বহির্জাগতিক হুমকির প্রয়োজন যা আমাদের মধ্যকার সাধারন ঐক্যকে জাগ্রত করবে, আমি মাঝেমধ্যে ভাবি কতটা দ্রুত আমাদের মধ্যকার এই (জাতিগত) ভেদাভেদ চলে হয়ে যাবে, যদি আমরা কোন ধরনের এলিয়েনদের হুমকির মুখোমুখি হই।" [৫]
.
১৯৯৪ সালে জার্নালিস্ট এবং কন্সপাইরেসি থিওরিস্ট সার্জ মোনাস্ত নাসার প্রজেক্ট ব্লুবিম[৬] নিয়ে কথা তোলেন। এ নিয়ে একটি বইও পাব্লিশ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। এতে দাবি করা হয় নাসা বিশ্বের মোড়লদের পাশে দাঁড়িয়ে একটা ফেইক এলিয়েন ইনভ্যাশন ঘটাতে চায় যার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের জাতি,ধর্ম,বর্নের ভেদাভেদ ভেঙে এক সরকারবিশিষ্ট বিশ্বব্যবস্থা গঠন করা যায়।
মোনাস্তের কথা অনেকে একদম কন্সপাইরেসি থিওরি বলে উড়িয়ে দিতে চায় কিন্তু স্যাটানিস্ট ক্রোওলির ল্যামের সাথে কন্টাক, ইনভোকেশন এবং ম্যাজিক্যাল ডাইমেনশনাল রিফট তৈরি, হঠাৎ ইউএফও সাইটিং শুরু এবং আশংকাজনক বৃদ্ধি, রোনাল্ড রিগ্যানের কথা, এবং হলিউডের প্রোপাগান্ডা মেলালে অনেকগুলো ডটের আনক্যানি মেলবন্ধন দেখা যায়। এটা আরো প্রগাঢ় হয় আজকের সাইন্টিফিক কমিউনিটি থেকে সমর্থন পাওয়া যায়।
পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের এলিয়েন থ্রেট দিয়ে ন্যাশনাল ব্যারিয়ার ভেঙ্গে সমগ্র দেশ গুলো এক করার বক্তব্যকে পূর্ন সমর্থন দিয়ে তিনি এলিয়েন ইনভ্যাশনের আশংকা করেন[৭]।
.
এলিয়েন নিয়ে ফ্যান্টাসি এখানেই সমাপ্ত না, বেশ কিছু ধর্মও তৈরি হয়েছে[২১]। যেমন রায়েলিজম, হ্যাভেন্স গেইট,ব্রহ্মকুমারী ইত্যাদি আরো অনেক। এসকল নতুন ধর্মগুলো এলিয়েনের হস্তক্ষেপকে হলিউডের ফিল্মের ন্যায় মানবজাতির সৃষ্টি ও ক্রমবিকাশ এবং বিবর্তনের কারন হিসেবে মানে। আমাদের দেশেও রায়েলিজমের অনুসারী রয়েছে অনেক। এরা এলিয়েনদেরকে 'এলোহিম' শব্দ দ্বারা বোঝায়, যার জন্য ইজরাইলের টেম্পল তৈরির জন্যও তাগিদ দিয়েছে।
তারা শীঘ্রই আসছেন! রায়েলিজমের শাখা বাংলাদেশেও আছে।
"Raëlians believe that scientifically advanced extraterrestrials, known as theElohim, created life on Earth through genetic engineering, and that a combination of human cloning and "mind transfer" can ultimately provide eternal life."(উইকিপিডিয়া)
.
আরেকটি ইউএফও রিলিজিয়ন ইথারিয়াস,যেটার ফাউন্ডার ইথারিয়াস নামের এক এলিয়েনের সাথে টেলিপ্যাথিক যোগাযোগের পরে প্রতিষ্ঠা করেন।
.
The Aetherius Society was founded in theUnited Kingdom in 1955. Its founder, George King, claimed to have been contacted telepathically by an alien intelligence called Aetherius, who represented an "Interplanetary Parliament.
(উইকিপিডিয়া)
ব্যবিলন প্রজেক্টের পরের বছরেই রাজওয়েলে ইউএফওর ক্রাশ ঘটে ; যার ধ্বংসবশেষ এরিয়া ৫১ তে পাঠানো হয়। এভাবে হাজারো ফ্লাইং ডিস্ক এবং বিচিত্র মডেলের আকাশযানের ছবি ও ভিডিও পৃথিবী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভাইরাল হতে লাগলো। ৫০০ বছর আগে যখন জিওসেন্ট্রিক ফ্ল্যাট ষ্টেশনারী পৃথিবীর মডেলটি ভ্যালিড ছিল তখন এই ইউএফওর উপদ্রব একদম অচেনা ছিল। সাধারণ কেউ এসব ফ্ল্যাইং ডিস্ক কল্পনাও করতে পারতো না। কেউ কথিত 'এলিয়েন এবডাক্সনের' স্বীকারও হত না। কিন্তু জ্বীনদের দ্বারা লুকিয়ে ফেলা বা নিয়ে যাবার ঘটনা জানাশোনা ছিল। ইতোপূর্বে ফ্রিম্যাসনিক অকাল্ট নেটওয়ার্ক পৃথিবীর সকল পরাশক্তি মাথায় নিজেদের গোড়া শক্ত করে নেয়। অর্থনীতি ব্যবসা-বানিজ্য,

আশা করি বুঝতে পারছেন, রোনাল্ড রিগ্যান একদম উড়িয়ে দেওয়ার মত কিছু বলেন নি। গ্রে এলিয়েন বা ব্যবিলন ওয়ার্কিং এর দ্বারা ইনভোক করা ল্যামের বাহিনী কারা এর ব্যপারে অনকেই বুঝে গেছেন। । এরপরেও আরো স্বচ্ছ ধারনা প্রয়োজন।
.
ইউএফওলজিস্ট জ্যাকুয়েস ভ্যালি সর্বপ্রথম ইউএফও ফেনোমেননগুলোকে ইন্টারডাইমেনশনাল এন্টিটির কারসাজি বলে উল্লেখ করেন। পরে এ সপক্ষে John Ankerberg এবং John Weldonও বক্তব্য রয়েছে। তারা বলেনঃ""the UFO phenomenon simply does not behave like extraterrestrial visitors."
অর্থাৎ কথিত স্পেসক্রাফট ও এলিয়েনগন এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়ালের মত আচরণ করে না। অন্যান্য যুক্তির দিক দিয়ে ইউএফও ফেনোমেনন এর ব্যাখ্যা Interdimensional hypothesis এর দিকেই যায়। একারনে অনেক ইউএফলজিস্টরা ETH এর চেয়ে IDH কে বেশি যুক্তিযুক্ত মনে করেন।তাদের কেউ কেউ এগুলোকেই প্রাচীনকাল থেকে প্যারানরমাল/সুপারন্যাচারাল ঘটনাগুলোর ভিন্নধর্মী ম্যানিফেস্টেশন বলে মনে করেন। যেমন ইউএফওলজিস্ট জন কিল UFO গুলোকে Ghost/spirit/demon এর ঘটনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মনে করেন।[১১]
.
২১ শতকে জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমির বিপ্লব সৃষ্টিকারী প্যাগান এরিক দুবেঈ বলেন, "
আজকে যেমনি বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্লাইং সসার দেখা যায় যাকে আমরা ইউএফও বলে অভিহিত করি, একই জিনিস সেই হাজার বছর আগে থেকে আজ পর্যন্ত আমাজন জঙ্গলের মানুষগুলো যারা আইয়োহুয়াস্কা, পাইয়োডি ইত্যাদি প্রাকৃতিক সাইকাডেলিক উপাদান গুলো সেবন করে, তারাও ঠিক একই জিনিসের ব্যপারে বলে এবং যেগুলো দেখতে এলিয়েন ও ফ্লাইং সসারগুলোর মত। যারা সেসব ক্র‍্যাফট থেকে বের হয়ে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দেয়। এরা মূলত ইন্টারডাইমেনশনাল জীব। আর সবচেয়ে শক্তিশালী সাইকাডেলিক উৎপন্ন করে আমাদের ঘুমন্ত মস্তিষ্কের পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড যাকে থার্ড আই বলা হয়। এজন্য স্বপ্ন হচ্ছে এরই একটা প্রোডাক্ট।
ঘুমন্ত অবস্থায় অনেকে এমন এলিয়েন এবডাকশনের স্বপ্ন দেখে যা তাদের কাছে খুবই সত্য বলে মনে হয়। হয়ত তখন তার মস্তিষ্কে অন্ডিজেনাস ডিএমটি সাইকাডেলিক ড্রাগের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সাইকাডেলিক ম্যাজিক মাশরুম ব্যবহার করত মিথ্রাইক কাল্টে। আদিম সভ্যতাগুলো নিজেদেরকে নক্ষত্রের বংশোদ্ভূত বলত। তারা মূলত ইন্টার ডাইমেনশনাল রেল্মে ঘুরে বেড়াতো , অথচ আজকে ফেইক কস্মোলজি শেখানো হয়, এলিয়েনদের অস্তিত্বের জন্য ভ্রান্ত আউটার স্পেস কন্সেপ্ট নিয়ে আসা হয়েছে।"
.
বিখ্যাত গাঁজাখোর গবেষক ট্যারেন্স ম্যাকেনা বলেন, "আমি মনে করি এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়ালদের সাথে যোগাযোগ এর আসল কাজ হচ্ছে এটা জানা যে আপনার সাথেই একজন রয়েছে। এটা একদমই বোকামি যে একটা রেডিও ব্যবহারকারী সভ্যতাকে খুজতে রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে ছায়াপথে খুজে বেড়ানো।"
.
তিনি মনে করে সাইকাডেলিক মাশরুম গুলোই এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ এর একটা মাধ্যম[১৩]। তাছাড়া ম্যাজিক মাশরুম ব্যবহার করে হাজারো কথিত এলিয়েনদের[১৭] সাথে যোগাযোগ এর রিপোর্ট পাওয়া যায়। অবশ্য প্রাচীনকাল থেকে জঙ্গলের বিভিন্ন প্যাগান সভ্যতার মাঝে এই জিনিস ব্যবহার চলত। তারা অবশ্য স্পিরিট/এ্যান্সেস্টর ইত্যাদি শব্দ দ্বারা অভিহিত করতো
[১২]।
.
আশাকরি এবার বুঝতেপারছেন স্পষ্টভাবে এলিয়েন শুধুই একটা নতুন টার্ম। নতুন কস্মোলজি দিয়ে ভিন্ন নামে নতুন চেহারায়(গ্রে এলিয়েন(১৬)) শয়তান জ্বীনদেরকেই দেখানো হচ্ছে। প্রাচীন মিশরীয় হাইরোগ্লিফিকে যে আনুনাকিদের দেখা যায় এরা এই একই ইন্টারডাইমেনশনাল এলিয়েন(কথিত) রেস[১৫]। এরা যে এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল নয় মোটেই সেটা তারা নিজেরাই স্বীকার করে। উপরের হিস্টোরি চ্যানেলের ডকুমেন্টারির ভিডিও অংশটিতে স্পষ্ট দেখতে পারছেন। ওরা ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি/ডাইমেনশনে হাজার হাজার বছর ধরে আমাদেরই সহবস্থানে আছে।[১৪]

আজকে যারা বিভিন্ন মিস্ট্রি প্যাগান এস্ট্রোথিওলজিতে বিশ্বাস করে এরা আজ বিচিত্র পদ্ধতি শেখায় এই হায়ার ডাইমেনশনাল রেস তথা শয়তানের সাথে যোগাযোগের।[১৮]
। বৈদিক এস্ট্রলজির বিদ্যা দিয়েও নাকি এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব[২০]
। এক ডিএমটি সেবকের ডিএমটি গ্রহনের পরে কথিত এলিয়েনদের সাথে দেখা করার বর্ননাটি শুনুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=qb-PgFwPwhc
.
সকল থিওসফিস্ট(প্যাগান) বিশ্বাস করেন পৃথিবীর দায়িত্বে থাকা সকল স্পিরিচুয়াল এন্টিটির রাজা সনৎ কুমার হচ্ছে এলিয়েন বিং। আর বেঞ্জামিন ফ্র‍্যাঙ্কলিন বিশ্বাস করতেন সনৎ কুমারের আদি নিবাস-শুক্র গ্রহের সাথে তার দুনিয়ার রাজ্য শাম্বালায় ফ্লাইং সসারের ট্রাফিক রয়েছে। আর এই ফ্লাইং সসারগুলোই ক্রপসার্কেল গুলোর জন্য দায়ী। উইকিপিডিয়াতেও আছে।
"It is also believed by the Theosophists in general as well as Creme in particular that the governing deity of Earth, Sanat Kumara (who is believed to live in a city called Shamballa located above the Gobi desert on the etheric plane of Earth), is a Nordic alien who originally came from Venus 18,500,000 years ago.[20] The followers of Benjamin Creme believe there is regular flying saucer traffic between Venus and Shamballah and that crop circles are mostly caused by flying saucers.
"(উইকিপিডিয়া)
.
সনৎ কুমারকে 'Satan kumar' বলতে শুনি কিছু খ্রিষ্টান প্রিস্টদের। কুম্বেইর যুক্তি, সনৎ কুমার যেহেতু ভেনাসের চির কুমার, সেহেতু শুক্রের আদি গ্রীক নাম লুফিফারই হচ্ছে এই সনৎ কুমার। অর্থাৎ sanat kumar=satan kumar!
"Bailey goes on to explain that Sanat Kumara is the "life and the forming intelligence", presiding over the Council of Shamballa [the Heaven of Earth according to New Age doctrine]. (The New Age Dictionary, p. 172) Further, Sanat Kumara is "the eternal youth from the Planet Venus". The name Lucifer is one of the ancient Greek names for Venus. Therefore, according to Cumbey, Sanat Kumara is merely another name for Satan or Lucifer. (Cumbey, Hidden Dangers of the Rainbow) "[Wikipedia]
.
এদিকে কল্কি অবতারের অপেক্ষায় থাকা হিন্দুর কল্কিঅবতারের সাথে এলিয়েন ও ইউএফওর মেলবন্ধনটা ছিল দেখার মতন।
https://m.youtube.com/watch?v=OfhxEYb2XQk
.
তার মানে বুঝতে পারছেন(?) এই এলিয়েন শব্দ দিয়ে যাদেরকে বোঝানো হয় তারা এ দুনিয়ায় ১৯,২০ শতকের নতুন আগন্তুক কেউ নয় বরং মানব সভ্যতারও আগে থেকেই এখানে আছে। থিওসফিস্ট, যারা কিনা শয়তানেরই থেইস্টিক পূজারী এদের সাথেও এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে! প্রাচীন বৈদিক যুগের 'বিমান'গুলো এদেরই। সর্বশেষ অবতার কল্কি কে তার ব্যপারে আগেই একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম[২৩]। এর সাথে শয়তানজ্বীনদের অন্তর্ভুক্তি খুবই স্বাভাবিক। এ বিষয়টা প্রজেক্ট ব্লুবিম এর সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দেয় যার ইঙ্গিত রোনাল্ড রিগ্যান, মিচিও কাকু দিয়েছিলেন। আমরা জানি দাজ্জাল ব্যাপকভাবে শয়তান জ্বীনদের সাহায্য নিয়ে মানুষকে কুফরের দিকে আহব্বান করবে। শয়তান জ্বীনরা এমনকি মৃত মানুষের আকৃতিও ধারন করে কুফরের দিকে ধাবিত করবে।
.
এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট আজ ওপেন সিক্রেট ; যে শয়তানের সাথে মানুষ এক হয়ে এরিয়া ৫১ তে কাজ করছে। এফবিআইও এখন এ কথা এখন বলে[১৯]। সুতরাং আন্দাজ করুন, কতটা ভয়াবহ বিষয়গুলোকেই আজকে নর্মালাইজ করা হয়েছে। আজকের শেখানো কস্মোলজি ওই ডায়াবোলিক্যাল এন্টিটিদেরই শেখানো[২৫]। এটাকে ওদের সহজ এবং গ্রহণযোগ্য এ্যাক্সেসের জন্যই একে এভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। সৃষ্টিতত্ত্বকে পালটে ওদের উপর বিশ্বাসকে একটা স্বতন্ত্র দ্বীনের পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য গড়া হয়েছে[২৭]। আজ এই শয়তান জ্বীনদের এলিয়েন সাজিয়ে হাজার মুভি তৈরি করা হচ্ছে মনোরঞ্জনের জন্য। বিজ্ঞ সাইন্টিস্টগন এদেরই অস্তিত্ব এবং এ্যারাইভালের সম্ভাবনা জোড় দিয়ে বলেন। এদেরকে আহব্বান করেই, ক্রোওলির সাথে মিলে বিচিত্র রিচুয়াল পালন করে রকেটের আবিষ্কারক এবং space(কাল্পনিক) age এর পিতা। আজকের নাসার কার্যক্রম কতটা বিস্তৃত, অথচ এদের গোটা প্লটটাই শয়তানের পরিকল্পনার উপর দাঁড়িয়ে। স্বপ্নে স্পেস এজের পিতাকেই যাদুকরী শয়তানি অপবিজ্ঞানকে আরো বিস্তৃত করার সরাসরি উৎসাহ দিয়েছিলেন দাজ্জ্বাল নামের ওই মহান এন্টিটি। এরই ধারাবাহিকতায় তার হাতে জেট প্রপালশান ল্যাব এবং পরে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সুতরাং গোটা স্পেস/হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি(প্যান্থিয়ন)/স্ফেরিক্যাল প্ল্যানেটারি নোশন /বিগব্যাং/এলিয়েন প্রভৃতি সবকিছুর মূলে আছেন বেলেরিয়ন আর্মিলাস আল দাজ্জ্বাল[২৮]। তার জন্যই যতসব প্রস্তুতি।
.
আজকের মোডারেট এবং মু'তাযিলারা এই দাজ্জালাইত সাইন্টোলজি দ্বারা একদম অন্ধ। এদের কাছে সব কিছু তুলে ধরলেও তাদের কাছে দাজ্জালের বিদ্যাকেই পছন্দনীয় মনে হয়। আর আমাদের আলিমগন? তাদের অনেকেই এই এলিয়েন কন্সেপ্টকেও সবুজ বাতি দেখিয়ে গ্রহন করেছে অনেক আগেই। কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি গ্রহনে যেখানে সমস্যা নেই, সেখানে এলিয়েনদের অস্তিত্ব গ্রহনে কিসের সমস্যা!? কুরআনের আয়াত ব্যবহার করেই অনেককে দেখি; এদের অস্তিত্বের বিষয়টিকে ইতিবাচক উপস্থাপন করে ইসলামিক বই,প্রবন্ধ, নিবন্ধ লেখে! সেদিন মার্সিফুল সার্ভেন্ট চ্যানেলটিকেও দেখলাম সরাসরি না বললেও ইউএফও, এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়ালের ব্যপারে ইতিবাচক ভিডিও বানিয়েছে। মা'আযাল্লাহ! ওটা দেখলে যে কেউ এদের অস্তিত্বকে স্বীকার করতে শুরু করবে।
.
জিওসেন্ট্রিক এনক্লোজড কস্মোলজিতে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান এলিয়েনদের দ্বারা যা বোঝায় সে ধারনাটি সম্পূর্ন বাতিল[২৪]। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউই দুর্ভেদ্য আসমান ভেদ করতে সক্ষম নয়। এমতাবস্থায় ফেক এলিয়েন ইনভ্যাশনের অবস্থা তৈরি করতে শয়তান জ্বীন এবং হলোগ্র‍্যাফিক প্রজেকশন, ইএলএফ সাউন্ড ব্যবহারের বিকল্প নেই। ইসলামে পৃথিবীর বাহিরে প্রানীর অস্তিত্বের ব্যপারে নিশ্চিত দলিল আছে কিন্তু এর দ্বারা কখনোই লাগামহীন এলিয়েন আর তাদের স্পেসশিপদের বোঝায় না যা আজকে দাজ্জালের অনুপ্রেরণায় সর্বত্র শেখানো হচ্ছে। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযির(রঃ) সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত এর ব্যাখ্যা, সূরা তালাক্কের শেষ আয়াত, সাত জমিনসংক্রান্ত হাদিস, আসমান সংক্রান্ত হাদিস গুলো পৃথিবীর বাহিরের অজস্র প্রানীর অস্তিত্বের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু সেসব আদৌ গ্রেএলিয়েন নয়। সেসব কুরসির ভেতরে থাকা জগত গুলোয় বিদ্যমান। আদৌ এন্যাক্সিম্যান্ডারের প্লুরালিজম, ইনফিনিট ভ্যাকুয়াম স্পেসে ফ্লোটিং স্ফেরিক্যাল প্ল্যানেট এর মত কিছুতে নয়। রিগ্যান-কাকুদের কথার মত তারা কখনো আমাদের এ জগতে আসবে না। সেটা সাধ্যেরও অতীত। অন্যদিকে এদেরকে ক্রোওলি,জ্যাক পার্সন, হাব্বার্ডের শয়তানি রিচুয়াল দ্বারা ডাকলে শুধু শয়তান জ্বীনেরাই শুনবে কখনো ওরা শুনবে না।
.
ওয়াআল্লাহু আ'লাম

Ref:
১)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=465081517282379&substory_index=0&id=282165055574027

২)
https://www.youtube.com/watch?time_continue=333&v=ss7QT6uCZdU

৩)
https://www.express.co.uk/news/science/777627/alien-dna-message-human
https://www.gaia.com/article/are-humans-actually-aliens-on-earth
https://www.sciencemag.org/news/2016/03/our-ancestors-may-have-mated-more-once-mysterious-ancient-humans

৪)
http://www.boudillion.com/lam/lam.htm
https://www.vice.com/amp/en_us/article/mvpvyn/magickal-stories-lam
https://m.youtube.com/watch?v=yUs0KF2QTaU

৫)
https://m.youtube.com/watch?v=iQxzWpy7PKg
https://m.youtube.com/watch?v=nYi5h5Gvdz8

৬)
https://m.youtube.com/watch?v=peUkPNx9DSU
https://m.youtube.com/watch?v=k-Gr7-RQ4-U

৭)
https://m.youtube.com/watch?v=-NOZWlmGrsY

৮)
https://m.youtube.com/watch?v=FmoiwjXepHM

৯)
https://m.youtube.com/watch?v=16MMZJlp_0Y

১০)
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Interdimensional_hypothesis

১১)
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Interdimensional_hypothesis

১২)
http://www.evolveandascend.com/2017/02/21/are-magic-mushrooms-a-gateway-to-a-different-world-elves-spirits-and-extraterrestrials/

১৩)
https://m.youtube.com/watch?v=ljy3TH1T0jk

১৪)
https://m.youtube.com/watch?v=jjFYo-mLn08

১৫)
https://m.youtube.com/watch?v=K3MM3vu9hOc

১৬)
https://m.youtube.com/watch?v=slYRx3vk6OM

১৭)
https://m.youtube.com/watch?v=pL1QI0_3HiI

১৮)
https://m.youtube.com/watch?v=uMPyI08JWvQ

১৯)
https://m.youtube.com/watch?v=WFRwvXEXOxo

২০)
https://m.youtube.com/watch?v=aM8P6f-m3Xg

২১)
https/en.m.wikipedia.org/wiki/UFO_religion

২২)
https://m.youtube.com/watch?v=q1Y3pVy8HME

২৩)
দাজ্জালের অনুসারীরা আপনার পাশেই অপেক্ষা করছেঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_20.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_73.html

২৪)
https://m.youtube.com/watch?v=aFFM3YJAs4Q

২৫)
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=564102404046956&id=282165055574027

২৬) https/en.m.wikipedia.org/wiki/Babalon_Working

২৭)
https://m.youtube.com/watch?v=HBDNZpnYvts

২৮)
https://www.bibliotecapleyades.net/bb/babalon004.htm

https://www.classifiedufo.com/jack-parsons-jpl.html

www.sacred-magick.com/dictionary/magdic17.html
_____________________________________________
নিচের লিংকে দেওয়া বইটি পড়া যেতে পারেঃ
http://www.pdf-archive.com/2014/09/29/bt-dajjal/bt-dajjal.pdf

0 Comments:

Post a Comment