একটা সময় ছিল যখন আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া কিংবা না বের হওয়াটা ছিল ঈমান ও নিফাকের মাঝে পার্থক্যকারী। নেহাৎ মুনাফিক ছাড়া কেউ না যাবার জন্য সহজে ওযর পেশ করত না। সেসময় মুনাফিকরাও নামাজ রোযা যাকাত আদায় করত, মুসলিমদের সাথে মিশে থাকত। কিন্তু তাদের অন্তরের রোগ, বক্রতা, কুটিলতা প্রকাশ পেত তখন,যখন জিহাদের নির্দেশ আসত। ওরা আল্লাহর রাসূলের(সা) নিকট জিহাদে যাওয়ায় থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য আল্লাহর শপথ করে কাকুতিমিনতি করত। আল্লাহর রাসূলের(সাঃ) হৃদয় এতে কখনো বিগলিত হত। কিন্তু তাদের অন্তরের ব্যপারে আল্লাহই ভাল করে জানতেন। আমরা হয়ত এদেরকে সর্বোচ্চ মুনাফিক, মুর্জিয়া, ফাসেক পর্যন্ত বলে শেষ করতাম বা আজও করি কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা? যার কাছে তো কোন কিছুই অসচ্ছ নয়। তিনি তো এদেরকে তাকফির পর্যন্ত করেছেন। পড়ুন, আল্লাহ বলছেনঃ
.
وَجَاء الْمُعَذِّرُونَ مِنَ الأَعْرَابِ لِيُؤْذَنَ لَهُمْ وَقَعَدَ الَّذِينَ كَذَبُواْ اللّهَ وَرَسُولَهُ سَيُصِيبُ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
_
আর ছলনাকারী বেদুঈন লোকেরা এলো, যাতে তাদের অব্যাহতি লাভ হতে পারে এবং নিবৃত্ত থাকতে পারে তাদেরই যারা আল্লাহ ও রসূলের সাথে মিথ্যা বলে ছিল। এবার তাদের উপর শীগ্রই আসবে বেদনাদায়ক আযাব যারা কাফের।
.
يَعْتَذِرُونَ إِلَيْكُمْ إِذَا رَجَعْتُمْ إِلَيْهِمْ قُل لاَّ تَعْتَذِرُواْ لَن نُّؤْمِنَ لَكُمْ قَدْ نَبَّأَنَا اللّهُ مِنْ أَخْبَارِكُمْ وَسَيَرَى اللّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
_
তুমি যখন তাদের কাছে ফিরে আসবে, তখন তারা তোমাদের নিকট ছল-ছুতা নিয়ে উপস্থিত হবে; তুমি বলো, ছল কারো না, আমি কখনো তোমাদের কথা শুনব না; আমাকে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে দিয়েছেন। আর এখন তোমাদের কর্ম আল্লাহই দেখবেন এবং তাঁর রসূল। তারপর তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সেই গোপন ও আগোপন বিষয়ে অবগত সত্তার নিকট। তিনিই তোমাদের বাতলে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
.
سَيَحْلِفُونَ بِاللّهِ لَكُمْ إِذَا انقَلَبْتُمْ إِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُواْ عَنْهُمْ فَأَعْرِضُواْ عَنْهُمْ إِنَّهُمْ رِجْسٌ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ جَزَاء بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
_
এখন তারা তোমার সামনে আল্লাহর কসম খাবে, যখন তুমি তাদের কাছে ফিরে যাবে, যেন তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা কর-নিঃসন্দেহে এরা অপবিত্র এবং তাদের কৃতকর্মের বদলা হিসাবে তাদের ঠিকানা হলো দোযখ।
.
এই বিশেষ শ্রেণীর লোকেদের বর্তমান ভার্সন আজকের সমাজেও মওজুদ আছে। সমস্ত যুগেই ছিল তবে আজকের অবস্থাটা একটু ক্রিটিক্যাল। সাহাবীদের যুগে আলিমদেরকে পাওয়া যাবে না যারা এরূপ ছিল কিন্তু আজকে আলিমদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান। এরা নিজেরা তো কখনোই আল্লাহর পথে মৃত্যুর জন্য চলবে না, উপরন্তু সাধারন মানুষও যেন না চলে এবং যেন তাদের ভ্রষ্টতার ব্যপারে না বোঝে, সেজন্য এই বিষয় সংক্রান্ত ধারনাটাকেই উল্টিয়ে দিচ্ছে। এ চিন্তাধারা প্রকট মাত্রায় আছে কথিত আহলে হাদিস(মাদখালি) সংগঠনটির আলিমদের মধ্যে। এরা আসলে ফেক সালাফি। আলিয়া তো ব্রিটিশ কুফফারদের ইন্টারভেনশনে প্রতিষ্ঠা পায়,এ ব্যপারে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নতুনভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে দেওবন্দীদের মধ্যে। মেইনস্ট্রিম কওমিদের বিশাল আলিম নেটওয়ার্ক নির্বিকার ও নিষ্ক্রিয় অবস্থানে আছে। এদেশীয় সরকারি সালাফিদের কথাগুলো কোট করতে ইচ্ছে করে। এরাই আবার সহীহ আকিদার প্রচারক। এরা এমনই কথার প্রচার করে এবং আহব্বান করে যেদিকে প্রজ্জলিত শিখা ছাড়া আর কিছুই নেই। এরা নিজেরা সেদিকে যায় এবং অন্যদের আহব্বান করে। জাহাঙ্গীর সাহেবরা কাফিরদের সাথে গলা মিলিয়ে মুজাহিদীনদের সন্ত্রাসী বলে। এদেশের মানুষের মুখে মুখে যখন শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহর নাম শোনা যাচ্ছিল, যখন সবাই মুজাহিদীনদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব এতটাই বিরক্ত হন যে তার শশুরকে বলেন, "আমি আর ওয়াজ টোয়াজ করব না"। অর্থাৎ এটা কেমন যেন এরকম যে, আমি তো জিহাদে নেই-ই , আমি চাই যে তোরাও থাকবি না, যারা সেটা করে তাদের প্রশংসা/দুয়াও করতে পারবি না। তার মতে জঙ্গীদের পিছনে নাকি ইহুদি খ্রিষ্টানরা রয়েছে, তাওহিদুল হাকিমিয়্যাহ নাকি খ্রিষ্টানদের কথা, কোন বড় ঘটনা ঘটলে হাদিসে আল্লাহর রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে মিলছে কিনা খোজ রাখাও নাকি ইহুদি খ্রিষ্টানদের কাজ! তার এক বক্তব্যে আজ বলতে শুনলাম, তাকে একজন সিরিয়ায় হিজরতে যাবার এবং শহীদী তামান্নার কথা শায়খকে জানাচ্ছিলেন। তখন জাহাঙ্গীর সাহেব বুঝালেন এই বলে যে, "আমাদের দেশে ভাল মানুষ কম, খারাপ মানুষ বেশি, ৯৮% প্রায় খারাপ। তোমরা কিছু ভাল মানুষ আছো। সারা বাংলাদেশে ২ লাখ ভাল মানুষ আছে। এরা সবাই সিরিয়া গিয়ে শহীদ হতে গেল,তাহলে বাংলাদেশ কাদের জন্য থাকে!(?) কি মনে হয় তোমাদের(?) এরপরে, কে বলেছে নিজের দেশে দ্বীনি দাওয়াত না করে অন্যের দেশে জিহাদ কইরতে হবে?, এটা তোমাকে কেউ বলেনি, জেহাদ যদি ফরজ হয় তাদের দেশে হবে, আলেমরা বলে, সে দেশের লোক না পারলে পাশের দেশ(এর মুসলিমদের উপর দায়িত্ব বর্তাবে), পাশের দেশ,পাশের দেশ, এগুলো কোন কুরআন হাদিসের কথা না, আমরা এত দূর থেকে এত আবেগী হয়ে লাভ নেই। এরকমভাবে অনেক হয়েছে, রক্ত ঝরানো ছাড়া কোন ফায়দা নেই। আফগানিস্তানের জিহাদ, শরীয়া সম্মত জিহাদ, উলামারা সমর্থন করেছে, কিন্তু দ্বীনের কি পরিবর্তন এনেছে?, ঠিক আছে না??....."!
.
আমি বিস্মিত হই এটা দেখে যে এগুলোও কোন আলিমের কথা!! তাও আবার যেই সেই লোকের নয়। দেশজুড়ে তার ব্যাপক সুখ্যাতি। মা'আযাল্লাহ। তারও ইল্মের সনদ আছে!
.
কোন প্রক্রিয়ায়,কি বলে জিহাদবিমুখ করা যায় তার যেন শুধু এ একটাই চেষ্টা,'ঠিকাছে না(?)' তোমরা কয়েকজন শহীদ হলে কি সমস্যা, আল্লাহর দ্বীন কি কারো মুখাপেক্ষী? সাহাবীদের কেউ কি এ চিন্তা করে ঝাঁপিয়ে পড়তো যে তারা সকলে মারা গেলে তাদের দেশটা কাদের জন্য থাকবে(?)! শাইখুল হাদিস আবু ইমরান(হাফিঃ) ভাইকে মনে পড়ছে। জাহাঙ্গীর ছাহেব কাফেরদের আঁকানো বর্ডারের মধ্যে আটকা পড়েছে, তার চিন্তাধারাও। এজন্য বললেন, "কে বলেছে নিজের দেশে দ্বীনি দাওয়াত না করে অন্যের দেশে জিহাদ কইরতে হবে?, এটা তোমাকে কেউ বলেনি, জেহাদ যদি ফরজ হয় তাদের দেশে হবে, আলেমরা বলে, সে দেশের লোক না পারলে পাশের দেশ(এর মুসলিমদের উপর দায়িত্ব বর্তাবে), পাশের দেশ,পাশের দেশ, এগুলো কোন কুরআন হাদিসের কথা না, আমরা এত দূর থেকে এত আবেগী হয়ে লাভ নেই। এরকমভাবে অনেক হয়েছে, রক্ত ঝরানো ছাড়া কোন ফায়দা নেই।"। আসলে, সোজা কথা বাবারা তোরা জিহাদ করবি কেন! এটারে ডায়্রেক্ট হারাম কতি পারিনা। কিন্তু না কয়েও থাকতি পারি না। উফফ...দুনিয়াতে ব্যাটা ভাল থাকবি খাবিদাবি, ঘুরবি,তাগুতের(ত াগুত না বললিই হলো) আনুগত্য করবি, আর শান্তিশান্তি করবি, রক্তারক্তিতে যাবি ক্যান! "আফগানিস্তানের জিহাদ, শরীয়া সম্মত জিহাদ, উলামারা সমর্থন করেছে, কিন্তু দ্বীনের কি পরিবর্তন এনেছে?, ঠিক আছে না??....."! এজন্য বাবারা জিহাদ জিহাদ করিস না। এসব কইরা লাভ নাই। এসবের যুগ আর নাই। ইসলামে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই। এগুলো ইহুদী খ্রিষ্টানদের সৃষ্টি। ঠিকাছে? প্রশংসা করি আল্লাহর যিনি শায়খ আব্দুল্লাহ আজ্জাম(রহঃ) এর মত আলিমের কথা গুলো আমাদের কাছে পৌছেছেন, আর চিনিয়েছেন তাদেরকে যারা বিচিত্র বক্রতা আর অজুহাত দেখিয়ে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে দূরে রাখতে চায়। ওরা আল্লাহর পথ থেকে নিজেদেরকে নিবৃত্ত রাখে, অন্যদেরকেও রেখে আনন্দিত হয়। আল্লাহ বলেন,
.
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَ كَ وَهُمْ أَغْنِيَاء رَضُواْ بِأَن يَكُونُواْ مَعَ الْخَوَالِفِ وَطَبَعَ اللّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ
_
অভিযোগের পথ তো তাদের ব্যাপারে রয়েছে, যারা তোমার নিকট অব্যাহতি কামনা করে অথচ তারা সম্পদশালী। যারা পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথে থাকতে পেরে আনন্দিত হয়েছে। আর আল্লাহ মোহর এঁটে দিয়েছেন তাদের অন্তরসমূহে। বস্তুতঃ তারা জানতেও পারেনি।
.
আরেক ছ্বহীহ শায়খকে এক ছেলে প্রশ্ন করে,' ইমাম মাহদি আসলে যোগ দিতে হবে না(?)' উত্তরে বলেন, 'আপনি কি জন্যে যোগ দিবেন, আপনার কোন প্রস্তুতিরই দরকার নাই, আপনি আপনার কাজ করেন, ঈমান আমল নিয়ে খুশি থাকেন, মাহদির কাজ মাহদি করব, আমার কাজ আমি করব। মাহদির সাথে জিহাদের প্রস্তুতির দরকার নাই, মাহদিকে আল্লাহ এমনিই খেলাফত দান করবে। খেলাফত জিহাদ করে কায়েম হয় না। খেলাফত কায়েমের পদ্ধতি মানুষ মারা সন্ত্রাস করা, জঙ্গিবাদ করা, এগুলা খেলাফত কায়েমের পদ্ধতি না ....'
.
অত'এব এটা খুবই স্পষ্ট যে তারা চরম 'প্র্যাক্টিক্য াল জিহাদ' বিরোধী। যেখানে কিত্বালের তামান্না না করে মৃত্যুটাও মুনাফিকের মৃত্যু, সেখানে এদের অবস্থা কোথায়! আউজুবিল্লাহ! অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা এই পথে চলতেই উৎসাহিত করেছেন রাসূল(সা) কে ,তিনি বলেনঃ
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُواْ مِئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّئَةٌ يَغْلِبُواْ أَلْفًا مِّنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لاَّ يَفْقَهُونَ
_
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জিহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।(আনফাল ৬৫)
.
আজকের এসব আম্বিয়াদের ওয়ারিশগন উৎসাহ দেওয়া তো দূরে থাক, কি বললে উম্মাহ সেদিক থেকে দূরে থাকবে সে চিন্তা করে। ইন্না লিল্লাহ! মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন জাগে, এরা কি আল্লাহকে ভয় করে না !! এরা আল্লাহর পথের লোকেদেরকে জাহান্নামের কুকুর বলতেও ভয় পায় না, এরাও জান্নাতের ব্যপারে আশাবাদী এবং মানুষকেও আশান্বিত করে। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ
وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ 142
_
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জিহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল
.
.
জিহাদ একটা ছাকনীর মতও বটে। এটা দিয়ে মানুষের অবস্থানকেও আল্লাহ যাচাই করে নেন। খুব স্পষ্টভাবে আল্লাহ বলেনঃ
وَلَنَبْلُوَنَّ كُمْ حَتَّى نَعْلَمَ الْمُجَاهِدِينَ مِنكُمْ وَالصَّابِرِينَ وَنَبْلُوَ أَخْبَارَكُم
_
আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জিহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।
.
সরকারি মুর্জিয়াদের অবস্থান নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সুস্পষ্ট। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীররা মর্ত্যলোকের মানুষের কাছে খুবই প্রশংসিত, কি সুন্দর 'মনভুলানো হাসি'! কিন্তু, এদের ব্যপারে আল্লাহর কাছে আসল সনদ আছে। আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে এমন কোন প্রখর ইনটুইটিভ দ্বীনদার বান্দাদের নিকট এদের ব্যপারে প্রশ্ন করুন, আপনি চোখ থাকতেও অন্ধ হতে পারেন, কিন্তু তারা নয়। আল্লাহ তাদের খুবভাল করেই চিনে নেবার জ্ঞান দিয়েছেন।
হযরত উমার (রাযি) তো এক x গনককে তার পূর্বের এস্ট্রলজিক্যাল পেশার ব্যপারে বলে দিয়েছিলেন, চেহারা দেখে। খিযির (আ) দুরাচারী শিশুকে ভাল করেই চিনে নিয়েছিলেন। এজন্য আল্লাহর রাসূল(সা) এই শ্রেণীর মু'মিনদের দৃষ্টির ব্যপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
.
একারনেই প্রায়ই বলি, আপনার জীবদ্দশায় আল্লাহর পথে যদি বের নাও হবার সুযোগ পান, এমন কারো বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না যাদেরকে আল্লাহ নির্বাচন করেছেন তার দ্বীনের কাজে, যারা তাদের জীবন ও অর্থ এই রিয়ালিটির আর্কিটেক্ট এর রাহে উৎসর্গ করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিনিয়ত আপনার অবস্থান পরিষ্কারকরনের প্রক্রিয়া করছেন, অচিরেই "তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জিহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।"
কিছু না করার না থাকলেও অন্তত মনের দিক থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলের(স) সাথে এ ব্যপারে পবিত্র থাকা উচিৎ। অপারগ লোক কম্বলের নিচে থেকেও যেন এ ব্যপারে পবিত্র থাকে। এটাই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্মরণ করুন ওই সাহাবীদেরকে(রায ি.) যারা আল্লাহর রাসূলের(সা) নিকট এসেছিলেন এই আশায় যে তিনি হয়ত তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করে দেবেন, কিন্তু রাসূল(সাঃ) যখন অপারগ হলেন তখন ফিরে আসার সময় তাদের গাল গড়িয়ে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল এ ভাবনার দরুন যে, তাদের নিকট আল্লাহর পথে ব্যয় করার মতও কোন জিনিস ছিল না। এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের(রাযি. ) প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট, তার কিতাবেই তাদের ব্যপারে বলেছেনঃ
لَّيْسَ عَلَى الضُّعَفَاء وَلاَ عَلَى الْمَرْضَى وَلاَ عَلَى الَّذِينَ لاَ يَجِدُونَ مَا يُنفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُواْ لِلّهِ وَرَسُولِهِ مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِن سَبِيلٍ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
_
"দূর্বল, রুগ্ন, ব্যয়ভার বহনে অসমর্থ লোকদের জন্য কোন অপরাধ নেই, যখন তারা মনের দিক থেকে পবিত্র হবে আল্লাহ ও রসূলের সাথে। নেককারদের উপর অভিযোগের কোন পথ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী দয়ালু। "
.
وَلاَ عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّواْ وَّأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلاَّ يَجِدُواْ مَا يُنفِقُونَ
_
"আর না আছে তাদের উপর যারা এসেছে তোমার নিকট যেন তুমি তাদের বাহন দান কর এবং তুমি বলেছ, আমার কাছে এমন কোন বস্তু নেই যে, তার উপর তোমাদের সওয়ার করাব তখন তারা ফিরে গেছে অথচ তখন তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু বইতেছিল এ দুঃখে যে, তারা এমন কোন বস্তু পাচ্ছে না যা ব্যয় করবে।"
.
এজন্য আল্লাহর পথের ব্যপারে আন্তরিক পবিত্রতা অনেক বড় বিষয়। তেমনি ওই ব্যক্তিও সফল হবেনা যে লোক দেখানো কর্ম প্রদর্শন করে, অথচ অন্তরের দিক দিয়ে তার কর্মের ব্যপারে একদমই সততা নেই। আল্লাহ প্রত্যেকের অন্তরের অবস্থাসমূহ দেখেন। আল্লাহ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরদের মত নিজের প্রতি জুলমকারী আলিম এবং তাদের অনুসারীদের অন্তরের ব্যপারে সম্যক অবগত। এদের অবস্থানও আল্লাহর কাছে স্পষ্ট।
.
আল্লাহর রাসূলের(সা) জামানায় মুসলিমবেশধারী এরূপ কেউ ছিল না যারা প্রকাশ্যে জিহাদের ব্যপারে উলটো প্রচারণা চালায়, কাফিরদের পক্ষে গলা মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ সাব্যস্ত করে। কিন্তু আজকের ইল্মের খেয়ানতকারী আলিম নামধারী জালিমরা অনায়াসে তা করছেন। এদের ফিতনাহ থেকে রহমান আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। অতিসত্বর আল্লাহ এদের পাওনা মিটিয়ে দেবেন। খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবেন, যা এরা বলত।
.
وَجَاء الْمُعَذِّرُونَ
_
আর ছলনাকারী বেদুঈন লোকেরা এলো, যাতে তাদের অব্যাহতি লাভ হতে পারে এবং নিবৃত্ত থাকতে পারে তাদেরই যারা আল্লাহ ও রসূলের সাথে মিথ্যা বলে ছিল। এবার তাদের উপর শীগ্রই আসবে বেদনাদায়ক আযাব যারা কাফের।
.
يَعْتَذِرُونَ إِلَيْكُمْ إِذَا رَجَعْتُمْ إِلَيْهِمْ قُل لاَّ تَعْتَذِرُواْ لَن نُّؤْمِنَ لَكُمْ قَدْ نَبَّأَنَا اللّهُ مِنْ أَخْبَارِكُمْ وَسَيَرَى اللّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
_
তুমি যখন তাদের কাছে ফিরে আসবে, তখন তারা তোমাদের নিকট ছল-ছুতা নিয়ে উপস্থিত হবে; তুমি বলো, ছল কারো না, আমি কখনো তোমাদের কথা শুনব না; আমাকে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে দিয়েছেন। আর এখন তোমাদের কর্ম আল্লাহই দেখবেন এবং তাঁর রসূল। তারপর তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সেই গোপন ও আগোপন বিষয়ে অবগত সত্তার নিকট। তিনিই তোমাদের বাতলে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
.
سَيَحْلِفُونَ بِاللّهِ لَكُمْ إِذَا انقَلَبْتُمْ إِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُواْ عَنْهُمْ فَأَعْرِضُواْ عَنْهُمْ إِنَّهُمْ رِجْسٌ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ جَزَاء بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
_
এখন তারা তোমার সামনে আল্লাহর কসম খাবে, যখন তুমি তাদের কাছে ফিরে যাবে, যেন তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা কর-নিঃসন্দেহে এরা অপবিত্র এবং তাদের কৃতকর্মের বদলা হিসাবে তাদের ঠিকানা হলো দোযখ।
.
এই বিশেষ শ্রেণীর লোকেদের বর্তমান ভার্সন আজকের সমাজেও মওজুদ আছে। সমস্ত যুগেই ছিল তবে আজকের অবস্থাটা একটু ক্রিটিক্যাল। সাহাবীদের যুগে আলিমদেরকে পাওয়া যাবে না যারা এরূপ ছিল কিন্তু আজকে আলিমদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান। এরা নিজেরা তো কখনোই আল্লাহর পথে মৃত্যুর জন্য চলবে না, উপরন্তু সাধারন মানুষও যেন না চলে এবং যেন তাদের ভ্রষ্টতার ব্যপারে না বোঝে, সেজন্য এই বিষয় সংক্রান্ত ধারনাটাকেই উল্টিয়ে দিচ্ছে। এ চিন্তাধারা প্রকট মাত্রায় আছে কথিত আহলে হাদিস(মাদখালি) সংগঠনটির আলিমদের মধ্যে। এরা আসলে ফেক সালাফি। আলিয়া তো ব্রিটিশ কুফফারদের ইন্টারভেনশনে প্রতিষ্ঠা পায়,এ ব্যপারে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নতুনভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে দেওবন্দীদের মধ্যে। মেইনস্ট্রিম কওমিদের বিশাল আলিম নেটওয়ার্ক নির্বিকার ও নিষ্ক্রিয় অবস্থানে আছে। এদেশীয় সরকারি সালাফিদের কথাগুলো কোট করতে ইচ্ছে করে। এরাই আবার সহীহ আকিদার প্রচারক। এরা এমনই কথার প্রচার করে এবং আহব্বান করে যেদিকে প্রজ্জলিত শিখা ছাড়া আর কিছুই নেই। এরা নিজেরা সেদিকে যায় এবং অন্যদের আহব্বান করে। জাহাঙ্গীর সাহেবরা কাফিরদের সাথে গলা মিলিয়ে মুজাহিদীনদের সন্ত্রাসী বলে। এদেশের মানুষের মুখে মুখে যখন শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহর নাম শোনা যাচ্ছিল, যখন সবাই মুজাহিদীনদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব এতটাই বিরক্ত হন যে তার শশুরকে বলেন, "আমি আর ওয়াজ টোয়াজ করব না"। অর্থাৎ এটা কেমন যেন এরকম যে, আমি তো জিহাদে নেই-ই , আমি চাই যে তোরাও থাকবি না, যারা সেটা করে তাদের প্রশংসা/দুয়াও করতে পারবি না। তার মতে জঙ্গীদের পিছনে নাকি ইহুদি খ্রিষ্টানরা রয়েছে, তাওহিদুল হাকিমিয়্যাহ নাকি খ্রিষ্টানদের কথা, কোন বড় ঘটনা ঘটলে হাদিসে আল্লাহর রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে মিলছে কিনা খোজ রাখাও নাকি ইহুদি খ্রিষ্টানদের কাজ! তার এক বক্তব্যে আজ বলতে শুনলাম, তাকে একজন সিরিয়ায় হিজরতে যাবার এবং শহীদী তামান্নার কথা শায়খকে জানাচ্ছিলেন। তখন জাহাঙ্গীর সাহেব বুঝালেন এই বলে যে, "আমাদের দেশে ভাল মানুষ কম, খারাপ মানুষ বেশি, ৯৮% প্রায় খারাপ। তোমরা কিছু ভাল মানুষ আছো। সারা বাংলাদেশে ২ লাখ ভাল মানুষ আছে। এরা সবাই সিরিয়া গিয়ে শহীদ হতে গেল,তাহলে বাংলাদেশ কাদের জন্য থাকে!(?) কি মনে হয় তোমাদের(?) এরপরে, কে বলেছে নিজের দেশে দ্বীনি দাওয়াত না করে অন্যের দেশে জিহাদ কইরতে হবে?, এটা তোমাকে কেউ বলেনি, জেহাদ যদি ফরজ হয় তাদের দেশে হবে, আলেমরা বলে, সে দেশের লোক না পারলে পাশের দেশ(এর মুসলিমদের উপর দায়িত্ব বর্তাবে), পাশের দেশ,পাশের দেশ, এগুলো কোন কুরআন হাদিসের কথা না, আমরা এত দূর থেকে এত আবেগী হয়ে লাভ নেই। এরকমভাবে অনেক হয়েছে, রক্ত ঝরানো ছাড়া কোন ফায়দা নেই। আফগানিস্তানের জিহাদ, শরীয়া সম্মত জিহাদ, উলামারা সমর্থন করেছে, কিন্তু দ্বীনের কি পরিবর্তন এনেছে?, ঠিক আছে না??....."!
.
আমি বিস্মিত হই এটা দেখে যে এগুলোও কোন আলিমের কথা!! তাও আবার যেই সেই লোকের নয়। দেশজুড়ে তার ব্যাপক সুখ্যাতি। মা'আযাল্লাহ। তারও ইল্মের সনদ আছে!
.
কোন প্রক্রিয়ায়,কি বলে জিহাদবিমুখ করা যায় তার যেন শুধু এ একটাই চেষ্টা,'ঠিকাছে না(?)' তোমরা কয়েকজন শহীদ হলে কি সমস্যা, আল্লাহর দ্বীন কি কারো মুখাপেক্ষী? সাহাবীদের কেউ কি এ চিন্তা করে ঝাঁপিয়ে পড়তো যে তারা সকলে মারা গেলে তাদের দেশটা কাদের জন্য থাকবে(?)! শাইখুল হাদিস আবু ইমরান(হাফিঃ) ভাইকে মনে পড়ছে। জাহাঙ্গীর ছাহেব কাফেরদের আঁকানো বর্ডারের মধ্যে আটকা পড়েছে, তার চিন্তাধারাও। এজন্য বললেন, "কে বলেছে নিজের দেশে দ্বীনি দাওয়াত না করে অন্যের দেশে জিহাদ কইরতে হবে?, এটা তোমাকে কেউ বলেনি, জেহাদ যদি ফরজ হয় তাদের দেশে হবে, আলেমরা বলে, সে দেশের লোক না পারলে পাশের দেশ(এর মুসলিমদের উপর দায়িত্ব বর্তাবে), পাশের দেশ,পাশের দেশ, এগুলো কোন কুরআন হাদিসের কথা না, আমরা এত দূর থেকে এত আবেগী হয়ে লাভ নেই। এরকমভাবে অনেক হয়েছে, রক্ত ঝরানো ছাড়া কোন ফায়দা নেই।"। আসলে, সোজা কথা বাবারা তোরা জিহাদ করবি কেন! এটারে ডায়্রেক্ট হারাম কতি পারিনা। কিন্তু না কয়েও থাকতি পারি না। উফফ...দুনিয়াতে ব্যাটা ভাল থাকবি খাবিদাবি, ঘুরবি,তাগুতের(ত
.
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَ
_
অভিযোগের পথ তো তাদের ব্যাপারে রয়েছে, যারা তোমার নিকট অব্যাহতি কামনা করে অথচ তারা সম্পদশালী। যারা পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথে থাকতে পেরে আনন্দিত হয়েছে। আর আল্লাহ মোহর এঁটে দিয়েছেন তাদের অন্তরসমূহে। বস্তুতঃ তারা জানতেও পারেনি।
.
আরেক ছ্বহীহ শায়খকে এক ছেলে প্রশ্ন করে,' ইমাম মাহদি আসলে যোগ দিতে হবে না(?)' উত্তরে বলেন, 'আপনি কি জন্যে যোগ দিবেন, আপনার কোন প্রস্তুতিরই দরকার নাই, আপনি আপনার কাজ করেন, ঈমান আমল নিয়ে খুশি থাকেন, মাহদির কাজ মাহদি করব, আমার কাজ আমি করব। মাহদির সাথে জিহাদের প্রস্তুতির দরকার নাই, মাহদিকে আল্লাহ এমনিই খেলাফত দান করবে। খেলাফত জিহাদ করে কায়েম হয় না। খেলাফত কায়েমের পদ্ধতি মানুষ মারা সন্ত্রাস করা, জঙ্গিবাদ করা, এগুলা খেলাফত কায়েমের পদ্ধতি না ....'
.
অত'এব এটা খুবই স্পষ্ট যে তারা চরম 'প্র্যাক্টিক্য
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُواْ مِئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّئَةٌ يَغْلِبُواْ أَلْفًا مِّنَ الَّذِينَ كَفَرُواْ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لاَّ يَفْقَهُونَ
_
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জিহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।(আনফাল
.
আজকের এসব আম্বিয়াদের ওয়ারিশগন উৎসাহ দেওয়া তো দূরে থাক, কি বললে উম্মাহ সেদিক থেকে দূরে থাকবে সে চিন্তা করে। ইন্না লিল্লাহ! মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন জাগে, এরা কি আল্লাহকে ভয় করে না !! এরা আল্লাহর পথের লোকেদেরকে জাহান্নামের কুকুর বলতেও ভয় পায় না, এরাও জান্নাতের ব্যপারে আশাবাদী এবং মানুষকেও আশান্বিত করে। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ
وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ 142
_
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জিহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল
.
.
জিহাদ একটা ছাকনীর মতও বটে। এটা দিয়ে মানুষের অবস্থানকেও আল্লাহ যাচাই করে নেন। খুব স্পষ্টভাবে আল্লাহ বলেনঃ
وَلَنَبْلُوَنَّ
_
আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জিহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।
.
সরকারি মুর্জিয়াদের অবস্থান নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সুস্পষ্ট। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীররা মর্ত্যলোকের মানুষের কাছে খুবই প্রশংসিত, কি সুন্দর 'মনভুলানো হাসি'! কিন্তু, এদের ব্যপারে আল্লাহর কাছে আসল সনদ আছে। আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে এমন কোন প্রখর ইনটুইটিভ দ্বীনদার বান্দাদের নিকট এদের ব্যপারে প্রশ্ন করুন, আপনি চোখ থাকতেও অন্ধ হতে পারেন, কিন্তু তারা নয়। আল্লাহ তাদের খুবভাল করেই চিনে নেবার জ্ঞান দিয়েছেন।
হযরত উমার (রাযি) তো এক x গনককে তার পূর্বের এস্ট্রলজিক্যাল পেশার ব্যপারে বলে দিয়েছিলেন, চেহারা দেখে। খিযির (আ) দুরাচারী শিশুকে ভাল করেই চিনে নিয়েছিলেন। এজন্য আল্লাহর রাসূল(সা) এই শ্রেণীর মু'মিনদের দৃষ্টির ব্যপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
.
একারনেই প্রায়ই বলি, আপনার জীবদ্দশায় আল্লাহর পথে যদি বের নাও হবার সুযোগ পান, এমন কারো বিরুদ্ধে কিছু বলবেন না যাদেরকে আল্লাহ নির্বাচন করেছেন তার দ্বীনের কাজে, যারা তাদের জীবন ও অর্থ এই রিয়ালিটির আর্কিটেক্ট এর রাহে উৎসর্গ করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিনিয়ত আপনার অবস্থান পরিষ্কারকরনের প্রক্রিয়া করছেন, অচিরেই "তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যে পর্যন্ত না ফুটিয়ে তুলি তোমাদের জিহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থান সমূহ যাচাই করি।"
কিছু না করার না থাকলেও অন্তত মনের দিক থেকে আল্লাহ ও তার রাসূলের(স) সাথে এ ব্যপারে পবিত্র থাকা উচিৎ। অপারগ লোক কম্বলের নিচে থেকেও যেন এ ব্যপারে পবিত্র থাকে। এটাই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্মরণ করুন ওই সাহাবীদেরকে(রায
لَّيْسَ عَلَى الضُّعَفَاء وَلاَ عَلَى الْمَرْضَى وَلاَ عَلَى الَّذِينَ لاَ يَجِدُونَ مَا يُنفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُواْ لِلّهِ وَرَسُولِهِ مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِن سَبِيلٍ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
_
"দূর্বল, রুগ্ন, ব্যয়ভার বহনে অসমর্থ লোকদের জন্য কোন অপরাধ নেই, যখন তারা মনের দিক থেকে পবিত্র হবে আল্লাহ ও রসূলের সাথে। নেককারদের উপর অভিযোগের কোন পথ নেই। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী দয়ালু। "
.
وَلاَ عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّواْ وَّأَعْيُنُهُمْ
_
"আর না আছে তাদের উপর যারা এসেছে তোমার নিকট যেন তুমি তাদের বাহন দান কর এবং তুমি বলেছ, আমার কাছে এমন কোন বস্তু নেই যে, তার উপর তোমাদের সওয়ার করাব তখন তারা ফিরে গেছে অথচ তখন তাদের চোখ দিয়ে অশ্রু বইতেছিল এ দুঃখে যে, তারা এমন কোন বস্তু পাচ্ছে না যা ব্যয় করবে।"
.
এজন্য আল্লাহর পথের ব্যপারে আন্তরিক পবিত্রতা অনেক বড় বিষয়। তেমনি ওই ব্যক্তিও সফল হবেনা যে লোক দেখানো কর্ম প্রদর্শন করে, অথচ অন্তরের দিক দিয়ে তার কর্মের ব্যপারে একদমই সততা নেই। আল্লাহ প্রত্যেকের অন্তরের অবস্থাসমূহ দেখেন। আল্লাহ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরদের মত নিজের প্রতি জুলমকারী আলিম এবং তাদের অনুসারীদের অন্তরের ব্যপারে সম্যক অবগত। এদের অবস্থানও আল্লাহর কাছে স্পষ্ট।
.
আল্লাহর রাসূলের(সা) জামানায় মুসলিমবেশধারী এরূপ কেউ ছিল না যারা প্রকাশ্যে জিহাদের ব্যপারে উলটো প্রচারণা চালায়, কাফিরদের পক্ষে গলা মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদ সাব্যস্ত করে। কিন্তু আজকের ইল্মের খেয়ানতকারী আলিম নামধারী জালিমরা অনায়াসে তা করছেন। এদের ফিতনাহ থেকে রহমান আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। অতিসত্বর আল্লাহ এদের পাওনা মিটিয়ে দেবেন। খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবেন, যা এরা বলত।
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলতে আপনি কাকে বুঝিয়েছেন।ড.খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর উনাকে।নাকি অন্য কেউ।
ReplyDeleteজ্বি জনাব।
DeleteUnar to onek video deklam,boi porlam hadiser name zaliyati.Oi gula to quran sunnah r aloke chilo.
ReplyDeleteপড়ুন কোন সমস্যা নেই। তার অনেক কাজ অসাধারণ রকমের ভাল।কিন্তু তিনি মাদখালি চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তাওহিদুল হাকিমিয়্যা পরিপন্থী কথা বইয়ের অভাব নেই। তাই তার সবকিছু একদম বিশুদ্ধ নাহ। হাদিসের নামে জালিয়াতি ঘরানার কিতাব অনুসরণে কোন সমস্যা নেই। তার এ কাজের প্রশংসা আমরাও করি।
Delete