Spirit science, positive energy, law of attraction ইত্যাদি নামযুক্ত বিখ্যাত পেইজ ফেসবুকে পাবেন। এরা সকলেই অভিন্ন আদর্শ প্রচার করে। (i.e:Spiritism/ non dualism/monism/ pantheism/ esoteric initiations ইত্যাদি )।
ওদের বিশ্বাসের ভিত্তিটা সংক্ষেপে, আমি আপনিই স্রষ্টা,সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার অংশ। ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার আলাদা অস্তিত্ব নেই। তিনি সৃষ্টির মধ্যে বিলীন হয়ে আছেন। একাকার হয়ে আছেন। তার কনশাসনেস হচ্ছে আমাদের আত্না। এরূপ সব সৃষ্টির আত্মা আছে। এমনকি শূন্য বায়ুর মধ্যেও একটা এনার্জি আছে যাকে ওরা ইথার বলে দাবী করছে। এভাবে সৃষ্টিকর্তার কনসাসনেস সব কিছুকে মুড়িয়ে রেখেছে। আর আমরা মানুষরা জন্ম মৃত্যুর চক্রে(পুনঃজন্মব াদ) আটকে আছি।যেটা কর্মফলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। যতদিন না একজন ব্যক্তি সম্পূর্ন সিদ্ধ মহামানবে রূপান্তরিত হচ্ছে ততদিন এই চক্র থেকে বের হতে পারেনা।যখনই মানুষ এনলাইটেন্ড হয় তখন সে পুনঃজন্মের চক্র থেকে মুক্তি পায় আর তখন আত্না সেই ইথারিক ফিল্ড বা ইউনিভারসাল স্পিরিট এনার্জির সাথে যুক্ত হয় এবং যারা আত্মার উন্নয়নের সাধনায় লিপ্ত তাদেরকে এনলাইটেনমেন্টে সহযোগীতা করা, মেডিটেশন এ যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান ও বিচিত্র দিকনির্দেশনা দান করে। ওরা বলে, যান্ত্রিক পুঁজিবাদী ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থা আমাদেরকে এই প্রকৃতিমাতা(!) থেকে দূরে রেখেছে, তাই নিজেকে চিনতে ও নিজের মাঝে সৃষ্টিকর্তার দেখা পেতেই সাধনা চালাতে হবে গভীর ধ্যানে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আর ওই সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে গিয়ে নিজেকে আত্মিকভাবে উন্নত করতে হবে। এতে করে রিয়েলিটিকে নিয়ন্ত্রনের সম্ভাবনাও বিজ্ঞানের বরাত দিয়ে বলে থাকে।
তাছাড়া আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্থিরতা বৃদ্ধি পায়, রাগ নিয়ন্ত্রন করা যায়। রক্তচাপ সহ যেকোন সমস্যা বা রোগ নিজেই নিজের চিকিৎসা(সাইকিক/ হোলিস্টিক হিলিং), নিজের ক্ষমতার উন্নয়ন অতিপ্রাকৃতিক শক্তি অর্জন, টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশন, টেলিকেনেসিস,লেভ িটেশন, চি, অস্বাভাবিক রতিক্ষমতা অর্জন, নিজের ইচ্ছামত যেকোন ঘটনা(চাকরি,বিয়ে ইত্যাদি) ঘটানো, ইত্যাদি উদ্দেশ্যে ও সর্বোপরি পুনঃজন্মের যাঁতাকল থেকে মুক্তির জন্য সাধনা করা হয়। আপনি তাদের সংস্থার বিজ্ঞাপনগুলোতেও এসব লেখার অংশবিশেষ পাবেন। অর্থাৎ সেল্ফ ডিপেন্ডেন্সি তৈরি(যেটা ইব্রাহীম(আঃ) অনুসারীরা আল্লাহর উপর করার কথা বলে)। এসবকে একত্রে অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বলতে পারেন। প্রাচীন প্যাগান যাদুকরদের থেকে এর জন্ম। এসব তাদের যাদুবিদ্যারই বিশ্বাস(ম্যাজিক ্যাল বিলিফ)।
রিইনকারনেশন(পুন ঃজন্মবাদ) সব গুলো প্যাগান পূর্বাঞ্চলীয় ধর্মে পাবেন। বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মকে বিশেষ করে ওরা আইডিয়াল হিসেবে গ্রহন করেছে। দক্ষিন ও উত্তর আমেরিকাতে এ বিশ্বাস এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। খ্রিষ্টধর্ম অধ্যুষিত দেশে নোসিস,নস্টিক এর ছত্রছায়ায় এরা অনেক আগে কাজ করত এখন প্রকাশ্যেই আলাদা নাম দিয়েছে 'নিউএজ'। প্রকল্পিত ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্টে 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন' দরকার। নতুবা বিশ্বকে এক করা সম্ভব না। এজন্য যেটাকে প্রমোট করা হচ্ছে সেটাই এই 'আধ্যাত্নবাদ'। এটা আসলে ভিন্ন নাম আর মোড়কের নিওপ্লেটনিজম। সেখান থেকেই জন্ম।
এই নিউএজ মুভমেন্ট সারা দুনিয়ার সব ধর্মগুলোকে একত্রিত করে একটা ধর্মে রূপ দিতে চাচ্ছে।এজন্য সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। টিভি বিজ্ঞাপন, নাটকেও মেডিটেসন আধুনিকতার ট্রেন্ড হিসেবে প্রোমোট করা হচ্ছে। আগেই দেখিয়েছি নিউএজকে সবচেয়ে বেশি প্রমোট করে জাতিসংঘ! জাতিসংঘের কার্যালয়ে মেডিটেশন এর রূম এর বিশাল ব্যবস্থস করা হয়েছে এবং অনেক কর্মকর্তারা এ আধ্যাত্নবাদে বিশ্বাসী(এ নিয়ে একটি বড় ডকুমেন্টারি ভিডিওর শেষ অংশে প্রমানসহ রয়েছে)। বিভিন্ন ইয়োগা,মেডিটেশন এর ইন্সটিটিউশন গুলোর আর্থিক সাহায্য জাতিসংঘ প্রদান করে!
এ অকাল্ট ফিলসফি পদার্থবিজ্ঞানকে বেশি ব্যবহার করে। আর কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট,অনেক রিয়েলিস্ট ফিজিসিস্ট-বিজ্ঞ ানীরা এই ধর্মের আদর্শকে লালন করে।
গ্রেগ ব্র্যাডেনকে দেখতে পারেন। তাছাড়া "উই আর গড" টাইটেলের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিভিন্ন বড় বড় ইউনিভার্সিটি প্রফেসরদেরকেও দেখবেন বিজ্ঞানের সাথে স্পিরিচুয়ালিজমক ে কম্বাইনিং এর সেকি চেষ্টা!
আন্তর্জাতিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো ও একই আদর্শ লালন করে। ম্যাডোনাকে এক টিভি ইন্টার্ভিউ তে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার ধর্ম কি তা জানতে চেয়ে, সে বলেছিল,'আমি ইহুদী নই বা অর্গানাইজড কোন রিলিজিয়ন বিলং করি না, বরং আমি প্রিডেট স্পিরিচুয়ালিজম বিশ্বাসী।কাব্বা লা আমাকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়'। সরকারের ছত্রছায়ায় কেন আমাদের দেশে বাউল ও লালনদেরকে বাঙ্গালি সাহিত্য সংগীতের ধারক বাহক হিসেবে সর্বত্র প্রমোটিং চলছে? শায়েখ আহমাদ উল্লাহ এর বাউলদের নিয়ে ৪ পর্বের আলোচনা শুনতে পারেন।ইউটিউব এ পাবেন।
.
এখন প্রশ্ন হতে পারে ওরা যেসব অতিপ্রাকৃতিক শক্তির কথা বলে তা বাস্তব কিনা!
উত্তর হচ্ছে- বাস্তবিকভাবেই সেসব ওরা করে দেখায় এবং পারে।
কিন্তু কিভাবে!!?
এর অব্যর্থ উত্তর হলো-
আমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন অদৃশ্য সহচর বা ক্বারীন জ্বিন শয়তান থাকে,যে কুমন্ত্রণা দেয় ও খারাপ কাজ করায়। এই জ্বীনগুলো ইবলিস এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। ওদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এর বিশাল নেটওয়ার্ক আছে।
.
“তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন সঙ্গী দেয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল (সঃ)? তিনি বলেনঃ এখন সে আমাকে শুধু ভাল করতে বলে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih MusliM, enlgishtrans, vol. 4 p. 1540 , no. 7134]
.
মেডিটেশন মানুষের মস্তিষ্ককে চিন্তাশূন্যতার অবস্থায় নিয়ে যায়, একদম শূন্যে নিয়ে যায়। অল্টার্ড স্টেট অব কনসাসনেস। এ অবস্থায় উভয় মাত্রার(শয়তান ও মানুষের) মাঝের দুয়ার নাজুক হয়ে পড়ে ও শয়তান বা ঐ জ্বীন ভর করে এবং অনেকরকমের আলোর খেল(মিস্টিক্যাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন / ফ্র্যাকটাল রিয়ালিটি) দেখায় (চোখ বন্ধ থাকতেই), অনেক রকমের জিওমেট্রিক প্যাটার্ন ইত্যাদি। তখন প্র্যাক্টিশনারের মন মনে করে তার আত্মোন্নয়ন ঘটছে। এ যোগাযোগ বাড়তে বাড়তে জ্বীন শরীরের উপর নিয়ন্ত্রন নেয়(কুন্ডলিনী চক্র) এবং ওদের জগতের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে, সেটাকেই নিউ এজাররা বলে স্পিরিচুয়াল কানেকশন। ওদেরকেই হায়ার বিং শব্দ দ্বারা বোঝায়।
এ সাধনা সামনে আগালে শয়তান ধ্যানরত অবস্থায় শেখায় বিভিন্ন মুভমেন্ট দিয়ে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ওই সাধনাকারী ওই শেখানো মুভমেন্ট অনুসরণ করে, তখনই শয়তান ওই ব্যাক্তির ভেতরে থেকেই অবাস্তব কার্য সাধন করে দেখায়। মানে কাজ টা ফলত করছে জ্বীন কিন্তু বাহ্যত দেখছি সে সাধনাকারী করছে। এভাবেই টেলিকেনেসিস,লেভ িটেশন, টেলিপোর্টেশনের মত অদ্ভুত ঘটনা ঘটায়। বিদেশী যাদুর টিভি শো গুলোর যাদুকররা এ পদ্ধতিতেই কাজ করে। জ্বীনদের ব্যবহার করেই টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ করা দেখায়।
পুরো বিষয়টা হচ্ছে, শয়তান জ্বীনদের আনুগত্যতার জন্য বা ওদের পূজার কারনে। এদের সাহায্যেই কোন রোগের চিকিৎসা করা হয়(এ ব্যপারে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন),কোন দুনিয়াবি সাফল্য অর্জন হয়।যেমন মনে করুন আপনি চাকরি খুজছেন, হচ্ছে না। সাধনাকালে কল্পনা করলেন যেখানে চাকরির আবেদন করেছেন সেখানের কর্তৃপক্ষ আপনাকে সিলেক্ট করেছে(কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এটাই শেখায়)। এ অবস্থাতে ক্বারীন জ্বীন ওই কর্তৃপক্ষের ক্বারীন জ্বীনদের নিকট খবর পৌছায় যেন ওরা তাদের অন্তরে প্ররোচনা দেয় যেন তাকে নির্বাচন করে। ফলশ্রুতিতে তাই হয়।এভাবেই quantum mysticism আপনাকে বলবে যে আপনি নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন(বস্তুত এসব তাকদীরের অন্তর্ভুক্ত বিষয়), এবং কোয়ান্টাম ম্যাথডগুলো এভাবেই আল্লাহর উপর নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমানোর কাজ করছে।
আমেরিকায় যারা এ নিউএজ মুভমেন্ট(কোয়ান্ টাম ম্যাথডের প্রধান সংগঠন বলতে পারেন) এর ফাদ থেকে নিজেদের বাচিয়েছে,তারা প্রত্যেকেই নিশ্চিত হয়েই সেখান থেকে গুটিয়েছে যে ওরা যা করে সবই Demonic entity (শয়তান জ্বীন) এর সহায়তায়ই করে। অনেকেই স্পষ্টভাবে শয়তানদেরকে দেখেছে। কেউবা আক্রমনের স্বীকার হয়ে ফিরে এসেছে।(নিউএজ এর ব্যপারে অসংখ্য ডকুমেন্টারিতে ভিক্টিমদের ফুটেজ আছে)।
বিশেষ করে থার্ড আই(শয়তান জ্বীনদের নিকট আরো অধিক পরিমানে সমার্পন) খুলবার সময়েই এরূপ বিপত্তির সম্মুখীন হয়। এদের অনেকের সাথে কথাও বলেছিলাম।এজন্য থার্ড আই খুলবার পূর্বে ইয়োগা-মেডিটেশনে র গুরুরাই সাবধান এমনকি নিষেধও করে।
.
ওরা শয়তান নির্ভর এবং যাদুবিদ্যা নির্ভর অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা ও ঘটনার দলিল প্রমানকে নির্ভর করে যে ইস্টার্ন ও কাব্বালিস্টিক অকাল্ট বিলিফ(i.e: নন ডুয়ালিজম/ মনিজম,পুনঃজন্মবা দ,আত্মার বিকাশ) সিস্টেমকে কন্সট্রাক্ট করে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। এগুলোর শুরু বাবেল শহর এবং প্রাচীন মিশর। সেখান থেকেই নিও পিথাগোরিয়ানিজমে র উন্মেষ এবং পরে একই জিনিসের কম্পোজিশন তথা নিও-প্লেটনিজমে আরো সুসংহত হয়ে আজ পর্যন্ত এস্ট্রোফিজিক্স এবং স্পিরিচুয়াল/ রিলিজিয়াস পর্যায়ে পৌছে সর্বত্র বিরাজ করছে। ওরা অপেক্ষায় আছে কবে গুরু দাজ্জাল আসবে।
_________
Feb 2017
ওদের বিশ্বাসের ভিত্তিটা সংক্ষেপে, আমি আপনিই স্রষ্টা,সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার অংশ। ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার আলাদা অস্তিত্ব নেই। তিনি সৃষ্টির মধ্যে বিলীন হয়ে আছেন। একাকার হয়ে আছেন। তার কনশাসনেস হচ্ছে আমাদের আত্না। এরূপ সব সৃষ্টির আত্মা আছে। এমনকি শূন্য বায়ুর মধ্যেও একটা এনার্জি আছে যাকে ওরা ইথার বলে দাবী করছে। এভাবে সৃষ্টিকর্তার কনসাসনেস সব কিছুকে মুড়িয়ে রেখেছে। আর আমরা মানুষরা জন্ম মৃত্যুর চক্রে(পুনঃজন্মব
আর ওই সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে গিয়ে নিজেকে আত্মিকভাবে উন্নত করতে হবে। এতে করে রিয়েলিটিকে নিয়ন্ত্রনের সম্ভাবনাও বিজ্ঞানের বরাত দিয়ে বলে থাকে।
তাছাড়া আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্থিরতা বৃদ্ধি পায়, রাগ নিয়ন্ত্রন করা যায়। রক্তচাপ সহ যেকোন সমস্যা বা রোগ নিজেই নিজের চিকিৎসা(সাইকিক/
রিইনকারনেশন(পুন
এই নিউএজ মুভমেন্ট সারা দুনিয়ার সব ধর্মগুলোকে একত্রিত করে একটা ধর্মে রূপ দিতে চাচ্ছে।এজন্য সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। টিভি বিজ্ঞাপন, নাটকেও মেডিটেসন আধুনিকতার ট্রেন্ড হিসেবে প্রোমোট করা হচ্ছে। আগেই দেখিয়েছি নিউএজকে সবচেয়ে বেশি প্রমোট করে জাতিসংঘ! জাতিসংঘের কার্যালয়ে মেডিটেশন এর রূম এর বিশাল ব্যবস্থস করা হয়েছে এবং অনেক কর্মকর্তারা এ আধ্যাত্নবাদে বিশ্বাসী(এ নিয়ে একটি বড় ডকুমেন্টারি ভিডিওর শেষ অংশে প্রমানসহ রয়েছে)। বিভিন্ন ইয়োগা,মেডিটেশন এর ইন্সটিটিউশন গুলোর আর্থিক সাহায্য জাতিসংঘ প্রদান করে!
এ অকাল্ট ফিলসফি পদার্থবিজ্ঞানকে
গ্রেগ ব্র্যাডেনকে দেখতে পারেন। তাছাড়া "উই আর গড" টাইটেলের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিভিন্ন বড় বড় ইউনিভার্সিটি প্রফেসরদেরকেও দেখবেন বিজ্ঞানের সাথে স্পিরিচুয়ালিজমক
আন্তর্জাতিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো
.
এখন প্রশ্ন হতে পারে ওরা যেসব অতিপ্রাকৃতিক শক্তির কথা বলে তা বাস্তব কিনা!
উত্তর হচ্ছে- বাস্তবিকভাবেই সেসব ওরা করে দেখায় এবং পারে।
কিন্তু কিভাবে!!?
এর অব্যর্থ উত্তর হলো-
আমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন অদৃশ্য সহচর বা ক্বারীন জ্বিন শয়তান থাকে,যে কুমন্ত্রণা দেয় ও খারাপ কাজ করায়। এই জ্বীনগুলো ইবলিস এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। ওদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এর বিশাল নেটওয়ার্ক আছে।
.
“তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন সঙ্গী দেয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল (সঃ)? তিনি বলেনঃ এখন সে আমাকে শুধু ভাল করতে বলে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih MusliM, enlgishtrans, vol. 4 p. 1540 , no. 7134]
.
মেডিটেশন মানুষের মস্তিষ্ককে চিন্তাশূন্যতার অবস্থায় নিয়ে যায়, একদম শূন্যে নিয়ে যায়। অল্টার্ড স্টেট অব কনসাসনেস। এ অবস্থায় উভয় মাত্রার(শয়তান ও মানুষের) মাঝের দুয়ার নাজুক হয়ে পড়ে ও শয়তান বা ঐ জ্বীন ভর করে এবং অনেকরকমের আলোর খেল(মিস্টিক্যাল
এ সাধনা সামনে আগালে শয়তান ধ্যানরত অবস্থায় শেখায় বিভিন্ন মুভমেন্ট দিয়ে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ওই সাধনাকারী ওই শেখানো মুভমেন্ট অনুসরণ করে, তখনই শয়তান ওই ব্যাক্তির ভেতরে থেকেই অবাস্তব কার্য সাধন করে দেখায়। মানে কাজ টা ফলত করছে জ্বীন কিন্তু বাহ্যত দেখছি সে সাধনাকারী করছে। এভাবেই টেলিকেনেসিস,লেভ
পুরো বিষয়টা হচ্ছে, শয়তান জ্বীনদের আনুগত্যতার জন্য বা ওদের পূজার কারনে। এদের সাহায্যেই কোন রোগের চিকিৎসা করা হয়(এ ব্যপারে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন),কোন দুনিয়াবি সাফল্য অর্জন হয়।যেমন মনে করুন আপনি চাকরি খুজছেন, হচ্ছে না। সাধনাকালে কল্পনা করলেন যেখানে চাকরির আবেদন করেছেন সেখানের কর্তৃপক্ষ আপনাকে সিলেক্ট করেছে(কোয়ান্টাম
আমেরিকায় যারা এ নিউএজ মুভমেন্ট(কোয়ান্
বিশেষ করে থার্ড আই(শয়তান জ্বীনদের নিকট আরো অধিক পরিমানে সমার্পন) খুলবার সময়েই এরূপ বিপত্তির সম্মুখীন হয়। এদের অনেকের সাথে কথাও বলেছিলাম।এজন্য থার্ড আই খুলবার পূর্বে ইয়োগা-মেডিটেশনে
.
ওরা শয়তান নির্ভর এবং যাদুবিদ্যা নির্ভর অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা ও ঘটনার দলিল প্রমানকে নির্ভর করে যে ইস্টার্ন ও কাব্বালিস্টিক অকাল্ট বিলিফ(i.e: নন ডুয়ালিজম/
_________
Feb 2017
0 Comments:
Post a Comment