ফেইসবুকে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসন শিক্ষিত মুসলিম তরুনদেরকে বিচলিত করে। নাস্তিক্যবাদি শক্তি প্রতিনিয়ত তাদের অপবিজ্ঞান এর উপর ভর করে এমন সব প্রশ্ন করে ইসলামের যথার্থতায় প্রশ্ন তুলছে যা একবিংশ শতাব্দীতে শিক্ষিত অপবিজ্ঞানচর্চাক
ারী তরুন প্রজন্মের মনে সন্দেহের ছাপ সৃষ্টি করছে। এরূপ অবস্থার কারন এটাই যে,তারা অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান ভেবে স্বতঃসিদ্ধ সত্য হিসেবে গ্রহন করেছে। এরা একরকম মগজধোলাই এর স্বীকার যা থেকে বের হয়ে আসা খুব কঠিন।
এমতাবস্থায় একশ্রেণীর এপোলোজেটিক তরুন দাঁড়িয়ে গেছে নাস্তিক মুর্তাদদের মোকাবেলায় অপবিজ্ঞানভিত্তি ক যুক্তি নির্ভর ইসলামিক পার্স্পেক্টিভে জবাবের জন্য। আমরা প্যারাডক্সিক্যা ল সাজিদ নামের বইপত্র ছাপতেও দেখেছি। এখানে মূল ফিতনা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক সংকীর্ণতা দ্বারা রহমানের আয়াতের হিকমা জানা বা প্রকাশের ব্যর্থ চেষ্টা। ব্রেইনওয়াশড হবার জন্য এরা জানেই না এদের প্রাক্টিসড বিজ্ঞান আসলে আধ্যাত্মবাদ-রহস ্যবাদ-গুহ্যবাদী দের দ্বারা তৈরি মিথ্যা আর প্রবঞ্চনার জাল। তাদের এহেন ব্রেইনওয়াশিং এর কারন প্রচলিত সমাজব্যবস্থার বিদ্যমান শিক্ষা,শাসন আর গ্লোবাল সাইন্টিজমের প্রমোশন। আর এরূপ গ্লোবাল প্রমোটিং এজন্যই হচ্ছে ও হবে, যেহেতু আমরা শেষযুগে চলে এসেছি। ইসলামে স্বীকৃত কুফরি বিজ্ঞান তথা এস্ট্রোলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমরা Age of Aquarius এ প্রবেশ করেছি। অর্থাৎ বলা যায় সময়ের দিক দিয়ে দাজ্জাল বা মিথ্যা মসীহ থেকে আমরা মাত্র কয়েক বিঘত দূরত্বে অবস্থান করছি। স্বাভাবিকভাবেই এ সময়টায় সবকিছুতে এমনিই ভ্রান্তি প্রবঞ্চনার ফিতনা দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে।। আর এর ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মেইনস্ট্রিম সাইন্সকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আর যাদের হাত ধরে এটা এসেছে এরা সবাই ছিল সর্সারির মেকানিক্সের অনুসন্ধানকর্তা। Hermetic science এ ছিল এদের বিশ্বাস। পিথাগোরাস থেকে নিউটন, কেপলার-কোপার্নি কাস থেকে আইনস্টাইন! সবাই!! আর এর ধারাবাহিকতা এখনো জিইয়ে রেখেছেন মিচিও কাকু, নিল ডিগ্র্যাস টাইসন,ট্যারেন্স মেক্যান্না সবাই...! এই প্রাচীন থেকে বর্তমান সাইন্টিফিক কমিউনিটির এক বিপ্লবী অবদান হলো সর্সারী বা জাদুবিদ্যাকে 'সাইন্স' নামের মোড়কে ঢুকিয়ে আমপাবলিকের কাছে এনে চর্চার সুযোগ করে দেওয়া। আর এই মহা উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন সাধিত হয় রেনেসাঁ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে।
ইসলামের সোনালী যুগে যারাই জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার নামে রসায়নের দিকে গিয়েছে তারাই আলকেমি বিদ্যায় মোক্ষলাভ করতে গিয়ে কুফরের রাস্তায় চলে গিয়েছিল, ইমাম গাজ্জালীর নাম শুনেছেন!!তেমনি যারাই বিজ্ঞানের মোড়কে আকাশ নিয়ে গবেষণা করেছে, তারাই কুফরি জ্যোর্তিবিদ্যায় নিজেদেরকে প্রবেশ করিয়েছে। চলে গেছে কুরআন সুন্নাহ ছেড়ে বহু দূরে।আর আরবে এই বিজ্ঞানের রিভাইভ্যাল আসে কৌতূহলের বসে নিষিদ্ধ গ্রীক কিতাবগুলোর আরবিতে অনুবাদের মাধ্যমে।। সেসব ছিল Hermetic order সম্বলিত গ্রন্থ।। এর উপরেই ভিত্তি করে জন্ম হুলুল ইত্তেহাদ-ওয়াহদা তুল উজুদের আকিদা যা আজও দেওবন্দী-বেলেরভী-সুফি-শিয়াদের মধ্যে বিদ্যমান। পরে খ্রিষ্টানরা ইসলামের শাসন দুর্বল হয়ে পড়বার সময় নিষিদ্ধ জ্ঞানের কিতাব গুলো পেয়ে সাধনা শুরু করে, এবং তাদের মধ্যে Gnosticism এর জন্ম হয়। আপনি কি জানেন আজও সবধরনের জাদুর ক্ষেত্রে নিরক্ষর জাদুকররাও আংশিকভাবে হলেও hermetic principle ব্যবহার করেই করে। hermeticism ঠিক তাই যা Jewish kabbalah, Jewish kabbalah ঠিক তাই যা হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থে ইন্সক্রাইবড নিগূঢ় তত্ত্ব ,আর হিন্দুয়ানী মিস্টিক্যাল টিচিং ঠিক তাই যা সুফিরা মারেফতে শিক্ষা দেয়। ফ্যাক্ট হচ্ছে মিথ্যা মসীহ বা দাজ্জালও ঠিক একই ডক্ট্রিন ব্যবহার করে তার দ্বীনের দিকে মানুষকে আহব্বান করবে। সারা বিশ্বকে One world religion এর দিকে আহব্বান করবে। ইতোমধ্যে শুরুও করেছে। বিটিভিতে কি যোগাসন শিক্ষার প্রোগ্রাম চালু হয় নি! কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপরে গড়ে ওঠা কোয়ান্টাম ম্যাথডে কি অনেক মানুষ ভীড় করতে দেখেন নি? অনেক মানুষ ইতোমধ্যে কোন না কোনভাবে ভিড়ে গেছে, কিন্তু, তারা ব্যতিত যারা তাওহীদের সৈনিক।।
বর্তমান বিজ্ঞানীরা আজ mysticism এর উপর জন্মানো সাইন্স merge করে ফেলছেন মিস্টিক্যাল টিচিং এর সাথে। বস্তুত এটাই প্রত্যাশিত ছিল।। টাইসন থেকে কাকু কেউ বাদ দিচ্ছেন না।
আপনি অবিশ্বাস করছেন কি, যে হার্মিস ট্রিস্ম্যাজেস্ট িসের সর্সারির প্রিন্সিপ্যাল সর্বত্র ছেয়ে আছে! চেয়ে দেখুন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর সিম্বলে হার্মিসের স্ট্যাফ আছে। তেমনি আছে বানিজ্যের সিম্বলে। সাইন্টিফিক ডক্ট্রিন গুলোর বেজ তার অপবিদ্যার উপরে দাঁড়িয়ে তাই হয়ত সিম্বল দ্বারা ডিস্টিংগুইশ করেনি। যোগ বা ইয়োগায় কুণ্ডলীনী শক্তিকে জাগ্রত করলে মেরুদন্ডে সেই হার্মিসেরই সর্পিল যষ্টিই দেখায় এসোটেরিস্টরা। এগুলো এমনই বিষয় যা সম্পর্কে খুব কম মানুষই অবহিত। মুসলিমরা তো একরকমের ঘুমন্ত।
অতঃপর, আপনিই বলুন, কত বড় ফিতনা হতে পারে, যখন কুরআন সুন্নাহর অমোঘ সত্য বানীকে কিছু অলীক অপর্যবেক্ষনযোগ্ য ম্যাজিক্যাল সুডো বৈজ্ঞানিক নীতি দ্বারা জাস্টিফাই করা হয়।।
এই দূষিত চিন্তাই বহন করে ছড়াচ্ছে মডার্নিস্ট মুসলিমগুলো। আপনি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন, "কোন বিষয়টি তাদেরকে প্রচলিত বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে বা ভিত্তি করে কুরআন সুন্নাহর দলিলগুলোকে জাস্টিফাই করতে বাধ্য করে?"। তাদের কাছে উত্তর পাবেন না। অথচ কুরআন সুন্নাহই হচ্ছে Sole truth! কুরআন সুন্নাহই সত্যমিথ্যার মাপকাঠি। বুঝতেই পারছেন, তাদের কাছেই এটা সত্যামিথ্যা যাচাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড না, যাদের হৃদয়ে ব্যাধি আছে। এদের কারো কারো হৃদয়ের ব্যাধি দুরারোগ্য। এতই ক্ষত যে এরা মুফাসসীরীনদের তাফসীরের তোয়াক্কাই করেনা, সাহাবা বা সালাফের ব্যাখ্যা তো দূরে থাক। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ!
নাস্তিকদের ভাইরাস আজ আংশিকভাবে মুসলিম এপোলোজিস্টদের মধ্যেও বিরাজ করতে শুরু করেছে, এরাও সব কিছুকে যুক্তি দ্বারা বিচার করতে চায়।বিজ্ঞানভিত্ তিক যুক্তি। যদি রিয়েলিটির সাথে নাও মেলে তারা যুক্তিভিত্তিক কোনকিছুর ব্যাখ্যা পেলে সেটাকে গ্রহন করে। আবার কোন সত্য বিষয়ের কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা না পেলে সেটাকে বর্জন করতে চেষ্টা করে,অথবা অপবৈজ্ঞানিক মনগড়া থিওরি-ম্যাথের অনুসন্ধান করে!
যেমন ধরুন কুরআনিক কস্মোলজি। যা অপবিজ্ঞানের বিপরীতে। কুরআনের সরল বর্ননাকে তারা তাদের অপবিজ্ঞানের মতবাদে কনভার্ট করতে আয়াতের শব্দ গুলোর বুৎপত্তিগত স্তরে গিয়ে দূরবর্তী অর্থ বা সম্পর্কিত কোন বিষয়কে গ্রহন করে তাকে ব্যবহার করে এবং সরাসরি অর্থ বানায়। যেমন, মডার্ন ডিজুস প্রফেট দাবিকারী মুর্তাদ রাশাদ খলিফা থেকে নেওয়া 'দাহাহা' শব্দটিকে উটপাখির ডিমে রূপান্তর। ৩৬:৪০ নং আয়াতে 'ফালাক্ক' শব্দ দ্বারা বোঝানো যে পৃথিবী স্ফেরিক্যাল এবং এই আয়াতের 'কুল্লুন' শব্দ দ্বারা পৃথিবীকেও আবর্তন করানো! তেমনি সলিড গম্বুজাকৃতি আসমানকে এবং সাত স্তরকে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলোকে রিফার করা! ইন্নালিল্লাহ! এরকম অজস্র...অর্থাৎ, যেভাবে হোক অপব্যাখ্যা করে হোক বা মিথ্যাচার করে হোক, অপবিজ্ঞানের সাথে মেলাতেই হবে!!
যখন আমরা তাদের সামনে রহমানের সুস্পষ্ট আয়াত পেশ করি এবং সাহাবা ও মুফাসসিরীনগনের তাফসীর উপস্থাপন করি, তারা তা অগ্রহণযোগ্য বলতে চেষ্টা করে। আমাদের কাছে মহান রবের সুস্পষ্ট অপরিবর্তনীয় আয়াত আছে, আমাদের কাছে আছে পর্যবেক্ষনযোগ্য বাস্তবজগতের প্রমান যা রহমানের কালামকে সত্যায়ন করে। যেহেতু আমরা গায়েবের সকল বিষয়কে যুক্তি ও আন্দাজ দ্বারা ব্যাখ্যা করি না বা প্রচার করি না তাই ব্যাখ্যাতীত বিষয়গুলোর দুনিয়াবি অলীক ব্যাখ্যা না পেয়ে মডার্ন ইসলামিস্টরা তাকে অগ্রহণযোগ্য এবং অসম্পূর্ণ আখ্যা দিয়ে অগ্রাহ্য করে। যেমন- ধরুন সূর্য-চন্দ্রগ্র হন যা মহান রবের এক মহিমান্বিত নিদর্শন। অতঃপর ব্যাধিগ্রস্তরা প্রত্যাবর্তন করে তারই পানে যা থেকে আল্লাহ ও রাসূল(সাঃ) দূরে থাকতে বলেছেন। বস্তুত, এদের ঈমানের চেয়ে যুক্তিনির্ভরতাই বেশি! মা'আযাল্লাহ!
ফিতনা ওইপর্যন্ত শেষ হলেই ভাল হত। সেদিন দেখলাম এদের একজন কুরআনের সত্যতাকে এফার্ম করতে গিয়ে শয়তানি নিউমেরোলজিক্যাল আইডিয়া ব্যবহার করে বলছে টুইনটাওয়ার ধ্বংসের কথাও নাকি কুরআনে আছে। আরেকজন অকাল্টিজমের বাইপ্রডাক্ট প্যারালাল ইউনিভার্সকে ইসলাম দ্বারা সত্যায়ন করছে! আরেকজনকে দেখেছি মিচিওকাকুকে আস্তিক হিরো বানাচ্ছে(মা'আযা ল্লাহ)। হকিং কে ডাবাচ্ছে!!
এভাবেই এই 'শিক্ষিত' মূর্খগুলো মহিমান্বিত Final Revelation কে সস্তা কিছুতে পরিনত করছে নিজেদের অজান্তেই!
অথচ আল্লাহ সূরাতুল বাকারার প্রথম দিকেই বলেনঃ
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
02
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
03
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে"
সুতরাং ইসলামের বিষয়বস্তু গায়েবে বিশ্বাসীদের জন্য। যুক্তিবাদীদের 'অপবিদ্যার যুক্তির নিরিখ উত্তীর্ণ বিষয়ে' বিশ্বাসীদের জন্য না। মু'মিন মাত্রই আল্লাহ ও রাসূল(স) থেকে যে ইলম প্রাপ্ত হয়েছে তা শুনলো এবং মানলো। তারা মান্য করতে ভেতরের হেকমত/যুক্তি অনুসন্ধানের অপেক্ষা করেনা।। আল্লাহ তার পবিত্র কালামে মাজীদে ইরশাদ করেছেনঃ
وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُم بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন(সূরা মায়িদা-৭)
إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَن يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম(আন নূর-৫১)
মডার্ন ইসলামিস্টদের নিজেদের আইডিওলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড অন্যান্য বিষয়েও অভিন্ন। নাস্তিক মুর্তাদরা যখন বাল্যবিবাহ, দাসদাসীপ্রথা,কি তাল-জিহাদের দিকে আঙ্গুল তোলে।। এরা যেন লজ্জিত হীন হয়ে বলতে থাকে, 'না আমরা পিষ্ফুল মুস্লিম,আমরা জঙ্গী না,জঙ্গীরা ইসলামের শত্রু,ইসলামে দাসদাসী প্রথা নেই কক্ষনো, এসব বার্বারিক ট্রেডিশনকে সাপোর্ট করেনা, কক্ষনো বাল্যবিবাহ সাপোর্ট করেনা।"
অতএব,এদের ইন্টেলেকচুয়াল পল্যুশনের ব্যপারে সাবধান থাকুন। প্রায় নিকটবর্তী বিষয়টিতে দরদমাখা কন্ঠে চমৎকার বয়ান করেছেন আমাদের অন্যতম প্রিয় শায়খ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ(তাকে FE ভাববেন না)। শুনবার দাওয়াত রইলো-
https:// m.youtube.com/ watch?v=i2JeFztg Lug
এমতাবস্থায় একশ্রেণীর এপোলোজেটিক তরুন দাঁড়িয়ে গেছে নাস্তিক মুর্তাদদের মোকাবেলায় অপবিজ্ঞানভিত্তি
ইসলামের সোনালী যুগে যারাই জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার নামে রসায়নের দিকে গিয়েছে তারাই আলকেমি বিদ্যায় মোক্ষলাভ করতে গিয়ে কুফরের রাস্তায় চলে গিয়েছিল, ইমাম গাজ্জালীর নাম শুনেছেন!!তেমনি যারাই বিজ্ঞানের মোড়কে আকাশ নিয়ে গবেষণা করেছে, তারাই কুফরি জ্যোর্তিবিদ্যায়
বর্তমান বিজ্ঞানীরা আজ mysticism এর উপর জন্মানো সাইন্স merge করে ফেলছেন মিস্টিক্যাল টিচিং এর সাথে। বস্তুত এটাই প্রত্যাশিত ছিল।। টাইসন থেকে কাকু কেউ বাদ দিচ্ছেন না।
আপনি অবিশ্বাস করছেন কি, যে হার্মিস ট্রিস্ম্যাজেস্ট
অতঃপর, আপনিই বলুন, কত বড় ফিতনা হতে পারে, যখন কুরআন সুন্নাহর অমোঘ সত্য বানীকে কিছু অলীক অপর্যবেক্ষনযোগ্
এই দূষিত চিন্তাই বহন করে ছড়াচ্ছে মডার্নিস্ট মুসলিমগুলো। আপনি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন, "কোন বিষয়টি তাদেরকে প্রচলিত বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে বা ভিত্তি করে কুরআন সুন্নাহর দলিলগুলোকে জাস্টিফাই করতে বাধ্য করে?"। তাদের কাছে উত্তর পাবেন না। অথচ কুরআন সুন্নাহই হচ্ছে Sole truth! কুরআন সুন্নাহই সত্যমিথ্যার মাপকাঠি। বুঝতেই পারছেন, তাদের কাছেই এটা সত্যামিথ্যা যাচাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড না, যাদের হৃদয়ে ব্যাধি আছে। এদের কারো কারো হৃদয়ের ব্যাধি দুরারোগ্য। এতই ক্ষত যে এরা মুফাসসীরীনদের তাফসীরের তোয়াক্কাই করেনা, সাহাবা বা সালাফের ব্যাখ্যা তো দূরে থাক। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ!
নাস্তিকদের ভাইরাস আজ আংশিকভাবে মুসলিম এপোলোজিস্টদের মধ্যেও বিরাজ করতে শুরু করেছে, এরাও সব কিছুকে যুক্তি দ্বারা বিচার করতে চায়।বিজ্ঞানভিত্
যেমন ধরুন কুরআনিক কস্মোলজি। যা অপবিজ্ঞানের বিপরীতে। কুরআনের সরল বর্ননাকে তারা তাদের অপবিজ্ঞানের মতবাদে কনভার্ট করতে আয়াতের শব্দ গুলোর বুৎপত্তিগত স্তরে গিয়ে দূরবর্তী অর্থ বা সম্পর্কিত কোন বিষয়কে গ্রহন করে তাকে ব্যবহার করে এবং সরাসরি অর্থ বানায়। যেমন, মডার্ন ডিজুস প্রফেট দাবিকারী মুর্তাদ রাশাদ খলিফা থেকে নেওয়া 'দাহাহা' শব্দটিকে উটপাখির ডিমে রূপান্তর। ৩৬:৪০ নং আয়াতে 'ফালাক্ক' শব্দ দ্বারা বোঝানো যে পৃথিবী স্ফেরিক্যাল এবং এই আয়াতের 'কুল্লুন' শব্দ দ্বারা পৃথিবীকেও আবর্তন করানো! তেমনি সলিড গম্বুজাকৃতি আসমানকে এবং সাত স্তরকে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলোকে রিফার করা! ইন্নালিল্লাহ! এরকম অজস্র...অর্থাৎ,
যখন আমরা তাদের সামনে রহমানের সুস্পষ্ট আয়াত পেশ করি এবং সাহাবা ও মুফাসসিরীনগনের তাফসীর উপস্থাপন করি, তারা তা অগ্রহণযোগ্য বলতে চেষ্টা করে। আমাদের কাছে মহান রবের সুস্পষ্ট অপরিবর্তনীয় আয়াত আছে, আমাদের কাছে আছে পর্যবেক্ষনযোগ্য
ফিতনা ওইপর্যন্ত শেষ হলেই ভাল হত। সেদিন দেখলাম এদের একজন কুরআনের সত্যতাকে এফার্ম করতে গিয়ে শয়তানি নিউমেরোলজিক্যাল
এভাবেই এই 'শিক্ষিত' মূর্খগুলো মহিমান্বিত Final Revelation কে সস্তা কিছুতে পরিনত করছে নিজেদের অজান্তেই!
অথচ আল্লাহ সূরাতুল বাকারার প্রথম দিকেই বলেনঃ
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
02
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
03
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে"
সুতরাং ইসলামের বিষয়বস্তু গায়েবে বিশ্বাসীদের জন্য। যুক্তিবাদীদের 'অপবিদ্যার যুক্তির নিরিখ উত্তীর্ণ বিষয়ে' বিশ্বাসীদের জন্য না। মু'মিন মাত্রই আল্লাহ ও রাসূল(স) থেকে যে ইলম প্রাপ্ত হয়েছে তা শুনলো এবং মানলো। তারা মান্য করতে ভেতরের হেকমত/যুক্তি অনুসন্ধানের অপেক্ষা করেনা।। আল্লাহ তার পবিত্র কালামে মাজীদে ইরশাদ করেছেনঃ
وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُم بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন(সূরা মায়িদা-৭)
إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَن يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম(আন নূর-৫১)
মডার্ন ইসলামিস্টদের নিজেদের আইডিওলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড অন্যান্য বিষয়েও অভিন্ন। নাস্তিক মুর্তাদরা যখন বাল্যবিবাহ, দাসদাসীপ্রথা,কি
অতএব,এদের ইন্টেলেকচুয়াল পল্যুশনের ব্যপারে সাবধান থাকুন। প্রায় নিকটবর্তী বিষয়টিতে দরদমাখা কন্ঠে চমৎকার বয়ান করেছেন আমাদের অন্যতম প্রিয় শায়খ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ(তাকে FE ভাববেন না)। শুনবার দাওয়াত রইলো-
https://
বিজ্ঞানচর্চা করা কি হারাম?
ReplyDelete