Monday, December 10, 2018

শিখ ধর্মে মাহদী ও তাগুত কল্কি

ইতোপূর্বে আপনাদেরকে দলিলসহ জানিয়েছি যে দাজ্জালের প্রি-ফলোয়াররা আপনার পাশেই আছে।। বৌদ্ধদের কালচক্রে কল্কি অবতারের ইসলামী শক্তি দমনের জন্য মহাযুদ্ধের বর্ননা আছে, যা উইকিপিডিয়াতেও আছে(চিত্রে দেখছেন)।
যারা আগের লেখাটির লিংকঃ https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/385768245213707/?type=3&_rdr#392683531188845

.
আজ আরও নতুন কিছু। শিখধর্মের এস্কেটলজি আমাদেরকে বেশ কিছু ভুল শুদ্ধ তথ্য দেয়। শিখধর্মের দশম নানক গুরু গোবিন্দ সিং 'দশম গ্রন্থে' কল্কি ও সত্যযুগ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেন তার সারবস্তু এই যে,কল্কি অবতার যখন যুদ্ধ করে সারা পৃথিবীর প্রায় সিংহভাগ দখল করে নেবে, তখন সে নিজেকে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা দাবি করবে,তখনই সৃষ্টিকর্তা অসন্তুষ্ট হয়ে মীর(নেতা) মাহদীকে প্রেরন করবেন। এবং অবশেষে ধর্মচক্রের(হিন্দু,বৌদ্ধ,বৈষ্ণব) শেষ অবতার কল্কিকে হত্যা করবেন!
.
Appearance of Mahdi and Killing of Kalki
ਤੋਮਰ ਛੰਦ ॥
TOMAR STANZA

ਜਗ ਜੀਤਿਓ ਜਬ ਸਰਬ ॥ ਤਬ ਬਾਢਿਓ ਅਤਿ ਗਰਬ ॥ ਦਿਯ ਕਾਲ ਪ੝ਰਖ ਬਿਸਾਰ ॥ ਇਹ ਭਾਂਤ ਕੀਨ ਬਿਚਾਰ ॥੫੮੩॥
When Kalki conquered the whole world, his pride was extremely increased; he also forgot the Kaal Purakh(Hukam) and said this;583.

ਬਿਨ ਮੋਹਿ ਦੂਸ੝ਰ ਨ ਔਰ ॥ ਅਸ ਮਾਨਿਯੋ ਸਭ ਠਉਰ ॥ ਜਗ੝ ਜੀਤ ਕੀਨ ਗ੝ਲਾਮ ॥ ਆਪਨ ਜਪਾਯੋ ਨਾਮ ॥੫੮੪॥
Kalki Said, There is no second except me and the same is accepted at all the place; I have conquered the whole world and made it my slave and have caused everyone to repeat my name.584.

ਜਗ ਝਸ ਰੀਤ ਚਲਾਇ ॥ ਸਿਰ ਅਤ੝ਰ ਪਤ੝ਰ ਫਿਰਾਇ ॥ ਸਭ ਲੋਗ ਆਪਨ ਮਾਨ ॥ ਤਰ ਆਂਖ ਅਉਰ ਨ ਆਨ ॥੫੮੫॥
I have given life again to the traditional and have swung the canopy over my head; all the people consider me as their own and none other comes to their sight.585.

ਨਹਿ ਕਾਲ ਪ੝ਰਖ ਜਪੰਤ ॥ ਨਹਿ ਦੇਵ ਜਾਪ ਭਣੰਤ ॥ ਤਬ ਕਾਲ ਦੇਵ ਰਿਸਾਇ ॥ ਇਕ ਅਉਰ ਪ੝ਰਖ ਬਨਾਇ ॥੫੮੬॥
No one repeats the name of the Lord-God or the name of any other God goddess;" seeing this the Kaal Purakh created another purusha.586.

ਰੱਚਿ ਅਸ ਮਹਿਦੀ ਮੀਰ ॥ ਰਿਸਵੰਤ ਹਾਠ ਹਮੀਰ ॥ ਤਿਹ ਤਉਨ ਕੋ ਬਧ੝ ਕੀਨ ॥ ਪ੝ਨ ਆਪ ਮੋ ਕਿਯ ਲੀਨ ॥੫੮੭॥
Mehdi Mir was created, who was very angry and persistent one; he killed the Kalki incarnation within himself again.587.

ਜਗ ਜੀਤ ਆਪਨ ਕੀਨ ॥ ਸਭ ਅੰਤ ਕਾਲ ਅਧੀਨ ॥ ਇਹ ਭਾਂਤ ਪੂਰ ਸ੝ਧਾਰ ॥ ਭਝ ਚੌਬਿਸੇ ਅਵਤਾਰ ॥੫੮੮॥
Those who conquered, the made it there possession they are all under the control of KAL (death) in the end; in this way, with complete improvement the description of twenty-fourth incarnation is completed.588.

ਇਤਿ ਸ੝ਰੀ ਬਚਿਤ੝ਰ ਨਾਟਕ ਗ੝ਰੰਥੇ ਚਤ੝ਰ ਬੀਸਵਾਂ ਅਵਤਾਰ ਬਰਨਨੰ ਸਮਾਪਤਮ ॥੨੪॥
End of the description of twenty-fourth incarnation in Bachittar natak.
.
কল্কির জবরদখল ও ধ্বংসযজ্ঞের বর্ননাঃ
After killing the king of Sambhal, Kalki Avtaar started to conquer the world. He attacked on Kabul, Babul, Kandhaar, Iraq, Balkh, and Rome etc. and killed those who dared to fight against him: -
"Hanney Kaablee Baablee beer baankey. Kandhaaree Harevee Iraaqi nisaakey. Bali Baalkhee Roh Roomi rajeeley. Bhajey traas kai kai bhaye band dheeley.(462)." {page 601}.

Kalki killed the enemies in Kashmir, Bangas, Russia etc.: -
"Katey Kaashmeeree hanney kashatvaaree. Kupey kaashkaaree badey chhatra-dhaaree. Bali Bangasee gorbandee gadrejee. Mahaa-moorh maajindra raanee majejee.(484)
.
Hanney Roos Toosee kritee chitra jodhee. Hathhey Parasuyyad su khoobaan sakrodhee….(485)." {page 603}.
Kalki Avtaar killed the enemies in Bijapur, Golkunda, Dravid, Tilangaana, Vaidarbh, Bengal, Orissa (all in India) and Nepal: -
"Hanney beer Bijapuri Golkundi…..(504)." {page 604}.
"Drahee Dravarhey tej taa te Tilangi. Hatey Suratee jang bhangee phirangee.(505). Chapey chaand raja chaley chanad baasee. Badey beer Baidarbh sanros raasee……(506)." {page 604}
"Maagadh maheep mandey mahaan. Das chaar chaar vidya nidhaan. Bangee Kuling Angee ajeet. Morang agar Naipal abheet.(508)." {page 605}
He got victory over China, and then he went to North: -
"Cheen Macheen chheen jab leena. Uttar desh payyana keena…..(548)." {page 607}.
Thus, Sri Kalki Avtaar saved the saints and killed anti-saints: -
"Sant ubaar asant khapaayey.(550)." {page 608}
Now, 'Satyug' was just coming near. All people heard about this. It pleased the minds of saints. They sang the glory of God: -
"Satjug aayo. Sabh sun paayo. Mun mann bhaayo. Gun gan gaayo.(553)." {page 608}
But unfortunately, after conquering the world, Kalki became proud. He forgot the God: -
"Jag jeeteyo jab sarab. Tab baadhhiyo at garab. Diya Kaal Purakh beesaar. Eh bhaant keen bichaar.(583).

.

সূত্রঃ http://www.sikhiwiki.org/index.php/Mahdi_Meer
http://www.sikhiwiki.org/index.php/Kalki_Avtaar
এবং উইকিপিডিয়া।
.
উইকিপিডিয়াতে বিষয়টার সংক্ষিপ্ত বর্ননা ছিল। এখন মুছে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে স্ক্রীনশট ছিল, এমুহূর্তে সেটা দেওয়া সম্ভব নয়। দাজ্জালের প্রত্যাশীরা এরূপ পরাজয়ের বিবরন প্রকাশ্যে দেখাতে চায় না। এজন্যই হয়ত মুছে ফেলেছে।
.
প্রথমেই বলেছি, গুরুগোবিন্দের ভবিষৎবাণীতে ভুলশুদ্ধের মিশ্রন রয়েছে। যাদের নূন্যতম ইল্ম আছে তারা ইতোমধ্যে টের পেয়েছেন।
সেটা নিম্নোক্ত হাদিসটি স্পষ্ট করে।

حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ الْمُؤَذِّنُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ جَابِرٍ الطَّائِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيِّ، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الدَّجَّالَ فَقَالَ ‏"‏ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ فَإِنَّهَا جِوَارُكُمْ مِنْ فِتْنَتِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ قَالَ ‏"‏ لاَ اقْدُرُوا لَهُ قَدْرَهُ ثُمَّ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ فَيُدْرِكُهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ‏"‏ ‏.‏

আন-নাওয়াস ইবনু সাম‘আন আল-কিলাবী (রাঃ)

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকতে যদি সে আবির্ভূত হয় তবে তোমাদের পক্ষ হতে আমিই তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান না থাকা অবস্থায় যদি সে আবির্ভূত হয় তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজেই তার প্রতিপক্ষ হতে হবে। আর আল্লাহ হবেন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আমার পক্ষের দায়িত্বশীল। তোমাদের মাঝে যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন সূরাহ আল-কাহ্‌ফের প্রথম কয়েকটি আয়াত পাঠ করে; কেননা এটাই হবে ফিত্বনাহ থেকে তার নিরাপত্তার প্রধান উপায়। আমরা বললাম, সে পৃথিবীতে কতদিন থাকবে? তিনি বললেনঃ চল্লিশ দিন। একদিন হবে এক বছরের সমান, একদিন হবে এক মাসের সমান ও একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান, আর বাকি দিনগুলো হবে তোমাদের সাধারণ দিনগুলোর সমান। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, সে দিনে এক দিন ও এক রাতের সলাত কি আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বললেনঃ না, তোমরা অনুমান করে দিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে (সলাত পড়বে)। অতঃপর ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) দামেশকের পূর্ব প্রান্তে একটি সাদা মিনারে অবতরণ করবেন এবং ‘লুদ্দ’ নামক স্থানের দ্বারপ্রান্তে দাজ্জালকে নাগালে পাবেন এবং হত্যা করবেন।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩২১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
অর্থাৎ আল মাহদী নন বরং হত্যা করবেন ঈসা রুহআল্লাহ। এই মহান জঙ্গী সেনাপতি মাহদী(আ) দাজ্জালের শক্তির সাথে পেরে উঠবেন না। তখনই আল্লাহ হযরত ঈসা(আ) কে একটি সাদা মিনার ওয়ালা মসজিদের পাশে আসমান থেকে প্রেরন করবেন।

গোবিন্দের এরূপ ভ্রান্তির ব্যাখ্যা থাকতে পারে নিন্মোক্ত হাদিসেঃ
It was reported that ‘Aa’ishah (may Allaah be pleased with her) said: “Some people asked the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) about soothsayers. He said, ‘They are nothing.’ They said, ‘O Messenger of Allaah, sometimes they say something and it comes true.’ The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: ‘That is a word of truth that the jinn snatches and whispers into the ear of his familiar, but they mix a hundred lies with it.’” (Narrated by al-Bukhaari and Muslim).
.
দশমগ্রন্থের এরূপ ন্যারেশনে আরেকটি বড় মিথ্যা রয়েছে। উল্লিখিত আছে যে, আল মাহদী স্রষ্টাদাবিকারী কল্কি অবতারকে হত্যা সারাবিশ্বের নেতৃত্ব লাভ করে এবং গর্ববোধ করে, পরবর্তীতে সে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক পোকার দ্বারা শাস্তির কবলে পড়ে মারা যায়।(নাউজুবিল্লাহ)
.
আমরা সবাই জানি, পোকার সংক্রমনে মারা যাবে অভিশপ্ত ইয়াজুজ মাজুজরা। দুইএক% সত্যের সাথে মিথ্যা জুড়ালে যা হয়..।
নিচের হাদিসে বিস্তারিত রয়েছেঃ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ النَّوَّاسَ بْنَ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيَّ، يَقُولُ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضَ فِيهِ وَرَفَعَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ فَلَمَّا رُحْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ عَرَفَ ذَلِكَ فِينَا فَقَالَ ‏"‏ مَا شَأْنُكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ الْغَدَاةَ فَخَفَضْتَ فِيهِ ثُمَّ رَفَعْتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِي عَلَيْكُمْ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ وَاللَّهُ خَلِيفَتِي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ قَائِمَةٌ كَأَنِّي أُشَبِّهُهُ بِعَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَطَنٍ فَمَنْ رَآهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الْكَهْفِ إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنْ خَلَّةٍ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ فَعَاثَ يَمِينًا وَعَاثَ شِمَالاً يَا عِبَادَ اللَّهِ اثْبُتُوا ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ أَرْبَعُونَ يَوْمًا يَوْمٌ كَسَنَةٍ وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ وَيَوْمٌ كَجُمُعَةٍ وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ تَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ قَالَ ‏"‏ فَاقْدُرُوا لَهُ قَدْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْنَا فَمَا إِسْرَاعُهُ فِي الأَرْضِ قَالَ ‏"‏ كَالْغَيْثِ اشْتَدَّ بِهِ الرِّيحُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَيَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَسْتَجِيبُونَ لَهُ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ فَيَأْمُرُ السَّمَاءَ أَنْ تُمْطِرَ فَتُمْطِرَ وَيَأْمُرُ الأَرْضَ أَنْ تُنْبِتَ فَتُنْبِتَ وَتَرُوحُ عَلَيْهِمْ سَارِحَتُهُمْ أَطْوَلَ مَا كَانَتْ ذُرًى وَأَسْبَغَهُ ضُرُوعًا وَأَمَدَّهُ خَوَاصِرَ ثُمَّ يَأْتِي الْقَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ فَيَرُدُّونَ عَلَيْهِ قَوْلَهُ فَيَنْصَرِفُ عَنْهُمْ فَيُصْبِحُونَ مُمْحِلِينَ مَا بِأَيْدِيهِمْ شَىْءٌ ثُمَّ يَمُرُّ بِالْخَرِبَةِ فَيَقُولُ لَهَا أَخْرِجِي كُنُوزَكِ فَيَنْطَلِقُ فَتَتْبَعُهُ كُنُوزُهَا كَيَعَاسِيبِ النَّحْلِ ثُمَّ يَدْعُو رَجُلاً مُمْتَلِئًا شَبَابًا فَيَضْرِبُهُ بِالسَّيْفِ ضَرْبَةً فَيَقْطَعُهُ جِزْلَتَيْنِ رَمْيَةَ الْغَرَضِ ثُمَّ يَدْعُوهُ فَيُقْبِلُ يَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ يَضْحَكُ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَيَنْزِلُ عِنْدَ الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ بَيْنَ مَهْرُودَتَيْنِ وَاضِعًا كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ إِذَا طَأْطَأَ رَأْسَهُ قَطَرَ وَإِذَا رَفَعَهُ يَنْحَدِرُ مِنْهُ جُمَانٌ كَاللُّؤْلُؤِ وَلاَ يَحِلُّ لِكَافِرٍ أَنْ يَجِدَ رِيِحَ نَفَسِهِ إِلاَّ مَاتَ وَنَفَسُهُ يَنْتَهِي حَيْثُ يَنْتَهِي طَرْفُهُ فَيَنْطَلِقُ حَتَّى يُدْرِكَهُ عِنْدَ بَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ ثُمَّ يَأْتِي نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى قَوْمًا قَدْ عَصَمَهُمُ اللَّهُ فَيَمْسَحُ وُجُوهَهُمْ وَيُحَدِّثُهُمْ بِدَرَجَاتِهِمْ فِي الْجَنَّةِ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ يَا عِيسَى إِنِّي قَدْ أَخْرَجْتُ عِبَادًا لِي لاَ يَدَانِ لأَحَدٍ بِقِتَالِهِمْ وَأَحْرِزْ عِبَادِي إِلَى الطُّورِ ‏.‏ وَيَبْعَثُ اللَّهُ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَهُمْ كَمَا قَالَ اللَّهُ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ فَيَمُرُّ أَوَائِلُهُمْ عَلَى بُحَيْرَةِ الطَّبَرِيَّةِ فَيَشْرَبُونَ مَا فِيهَا ثُمَّ يَمُرُّ آخِرُهُمْ فَيَقُولُونَ لَقَدْ كَانَ فِي هَذَا مَاءٌ مَرَّةً وَيَحْضُرُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ حَتَّى يَكُونَ رَأْسُ الثَّوْرِ لأَحَدِهِمْ خَيْرًا مِنْ مِائَةِ دِينَارٍ لأَحَدِكُمُ الْيَوْمَ فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللَّهِ فَيُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّغَفَ فِي رِقَابِهِمْ فَيُصْبِحُونَ فَرْسَى كَمَوْتِ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ‏.‏ وَيَهْبِطُ نَبِيُّ اللَّهِ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ فَلاَ يَجِدُونَ مَوْضِعَ شِبْرٍ إِلاَّ قَدْ مَلأَهُ زَهَمُهُمْ وَنَتْنُهُمْ وَدِمَاؤُهُمْ فَيَرْغَبُونَ إِلَى اللَّهِ سُبْحَانَهُ فَيُرْسِلُ عَلَيْهِمْ طَيْرًا كَأَعْنَاقِ الْبُخْتِ فَتَحْمِلُهُمْ فَتَطْرَحُهُمْ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مَطَرًا لاَ يُكِنُّ مِنْهُ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ فَيَغْسِلُهُ حَتَّى يَتْرُكَهُ كَالزَّلَقَةِ ثُمَّ يُقَالُ لِلأَرْضِ أَنْبِتِي ثَمَرَتَكِ وَرُدِّي بَرَكَتَكِ فَيَوْمَئِذٍ تَأْكُلُ الْعِصَابَةُ مِنَ الرُّمَّانَةِ فَتُشْبِعُهُمْ وَيَسْتَظِلُّونَ بِقِحْفِهَا وَيُبَارِكُ اللَّهُ فِي الرِّسْلِ حَتَّى إِنَّ اللِّقْحَةَ مِنَ الإِبِلِ تَكْفِي الْفِئَامَ مِنَ النَّاسِ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْبَقَرِ تَكْفِي الْقَبِيلَةَ وَاللِّقْحَةَ مِنَ الْغَنَمِ تَكْفِي الْفَخِذَ ‏.‏ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ رِيحًا طَيِّبَةً فَتَأْخُذُ تَحْتَ آبَاطِهِمْ فَتَقْبِضُ رُوحَ كُلِّ مُسْلِمٍ وَيَبْقَى سَائِرُ النَّاسِ يَتَهَارَجُونَ كَمَا تَتَهَارَجُ الْحُمُرُ فَعَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ ‏"‏ ‏.‏

নাওয়াস বিন সামআন অল-কিলাবী (রাঃ)

তিনি বলেন একদা, সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কথা তুলে ধরেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, সে হয়তো খেজুর বাগানের ওপাশেই অবস্থান করছে। আমরা বিকেল বেলা পুনরায় তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তিনি আমাদের মাঝে দাজ্জাল-ভীতির আলামত লক্ষ্য করে বলেনঃ তোমাদের কী হয়েছে? আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! ভোরবেলা আপনি আমাদের সামনে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতার কথা এমন ভাষায় তুলে ধরেছেন যে, আমাদের মনে হলো যে, সে বোধহয় খেজুর বাগানের পাশেই উপস্থিত আছে। তিনি বলেনঃ আমার কাছে দাজ্জালই তোমাদের জন্য অধিক ভয়ংকর বিপদ। সে যদি আমার জীবদ্দশায় তোমাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে তবে আমিই তোমাদের পক্ষে তার প্রতিপক্ষ হবো। আর আমার অবর্তমানে যদি সে আত্মপ্রকাশ করে তাহলে তোমরাই হবে তার প্রতিপক্ষ। আর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহই আমার পরিবর্তে সহায় হবে। সে (দাজ্জাল) হবে কুঞ্চিত চুলবিশিষ্ট, স্থির দৃষ্টিসম্পন্ন যুবক এবং আবদুল উযযা বিন কাতান সদৃশ। তোমাদের কেউ তাকে দেখলে সে যেন তার বিরুদ্ধে সূরা কাহফের প্রাথমিক আয়াতগুলো পাঠ করে। সে সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী খাল্লা নামক স্থান থেকে আত্মপ্রকাশ করবে। অতঃপর সে ডানে-বামে ফেতনা-ফাসাদ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে বেড়াবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দৃঢ়তার সাথে স্থির থাকবে।
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে পৃথিবীতে কতো দিন অবস্থান করবে? তিনি বলেনঃ চল্লিশ দিন। তবে এর এক দিন হবে এক বছরের সমান, এক দিন হবে এক মাসের সমান, এক দিন হবে এক সপ্তাহের সমান এবং অবশিষ্ট দিনগুলো হবে তোমাদের বর্তমান দিনগুলোর সমান। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে তাতে একদিনের নামায পড়লেই কি তা আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে? তিনি বলেনঃ তোমরা সে দিনের সঠিক অনুমান করে নিবে এবং তদনুযায়ী নামায পড়বে। রাবী বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, সে পৃথিবীতে কতো দ্রুত গতিতে বিচরণ করবে? তিনি বলেনঃ বায়ু চালিত মেঘমালার গতিতে।
অতঃপর সে কোন এক সম্প্রদায়ের নিকট এসে তাদেরকে নিজের দলে ডাকবে। তারা তার ডাকে সাড়া দিবে এবং তার উপর ঈমান আনবে। অতঃপর সে আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিবে এবং তদনুযায়ী বৃষ্টি বর্ষিত হবে। অতঃপর সে যমীনকে শস্য উৎপাদনের নির্দেশ দিবে এবং তদনুযায়ী ফসল উৎপাদিত হবে। অতঃপর বিকেল বেলা তাদের পশুপাল পূর্বের চেয়ে উচুঁ কুঁজবিশিষ্ট, মাংসল নিতম্ববিশিষ্ট ও দুগ্ধপুষ্ট স্তনবিশিষ্ট হয়ে (খোঁয়াড়ে) ফিরে আসবে। কিন্তু তারা তার আহবান প্রত্যাখ্যান করবে। ফলে সে তাদের কাছ থেকে ফিরে যাবে। পরদিন ভোরবেলা তারা নিজেদেরকে নিঃস্ব অবস্থায় পাবে এবং তাদের হাতে কিছুই থাকবে না। অতঃপর সে এক নির্জন পতিত ভূমিতে গিয়ে বলবে, তোর ভেতরের ভাণ্ডার বের করে দে। অতঃপর সে সেখান থেকে প্রস্থান করবে এবং তথাকার ধনভান্ডার তার অনুসরণ করবে, যেভাবে মৌমাছিরা রাণী মৌমাছির অনুসরণ করে।
অতঃপর সে এক পূর্ণ যৌবন তরুণ যুবককে তার দিকে আহবান করবে। তাকে সে তরবারির আঘাতে দ্বিখন্ডিত করে ফেলবে। তার দেহের প্রতিটি টুকরা দু’ ধনুকের ব্যবধানে গিয়ে পড়বে। অতঃপর সে তাকে ডাক দিবে, অমনি সে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় তার কাছে এসে দাঁড়াবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা ঈসা বিন মরিয়ম (আঃ) কে পাঠাবেন। তিনি হলুদ রং –এর দু, টি কাপড় পরিহিত অবস্থায় দু’ জন ফেরেশতার পাখায় ভর করে দামিশকের পূর্ব প্রান্তের এক মসজিদের সাদা মিনারে অবতরণ করবেন। তিনি তাঁর মাথা উত্তোলন করলে বা নোয়ালে ফোঁটায় ফোঁটায় মণি– মুক্তার ন্যায় (ঘাম) পড়তে থাকবে। তার নিঃশ্বাস যে কাফেরকেই স্পর্শ করবে সে তৎক্ষণাৎ মারা যাবে। আর তিনি “লুদ্দ’’ নামক স্থানের দ্বারদেশে দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
অতঃপর আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এমন এক সম্প্রদায়ে আসবেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা (দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে) রক্ষা করেছেন। তিনি তাদের মুখমণ্ডলে হাত বুলাবেন এবং জান্নাতে তাদের মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা করবেন। তাদের এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাঁর নিকট ওহী পাঠাবেন, হে ঈসা! আমি আমার এমন বান্দাদের পাঠাবো যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা কারো নাই। অতএব তুমি আমার বান্দাদের তূর পাহাড়ে সরিয়ে নাও।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা ইয়াজূজ-মাজূজের দল পাঠাবেন। আল্লাহ তাআলার বাণী অনুযায়ী তাদের অবস্থা হলোঃ “তারা প্রতিটি উচ্চভূমি থেকে ছুতটে আসবে” ( সূরা আম্বিয়াঃ ৯৬)। এদের প্রথম দলটি (সিরিয়ার) তাবারিয়া হ্রদ অতিক্রমকালে এর সমস্ত পানি পান করে শেষ করে ফেলবে। অতঃপর তাদের পরবর্তী দল এখান দিয়ে অতিক্রমকালে বলবে, নিশ্চয় কোন কালে এতে পানি ছিলো।
আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীগণসহ অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। তারা (খাদ্যাভাবে) এমন এক কঠিন অবস্থায় পতিত হবেন যে, তখন একটি গরুর মাথা তাদের একজনের জন্য তোমাদের আজকের দিনের একশত স্বর্ণ মুদ্রার চেয়েও মূল্যবান (উত্তম) মনে হবে। তারপর আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং তাঁর সাথীগণ আল্লাহর দিকে রুজু হয়ে দুআ’ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজূজ-মাজূজ বাহিনীর) ঘাড়ে মহামারীরূপে নাগাফ নামক কীটের সৃষ্টি করবেন। ভোরবেলা তারা এমনভাবে ধ্বংস হবে যেন একটি প্রাণের মৃত্যু হয়েছে।
তখন আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এবং তাঁর সাথীগণ (পাহাড় থেকে) নেমে আসবেন। তারা সেখানে এমন এক বিঘত জায়গাও পাবেন না, যেখানে সেগুলোর পচা দুর্গন্ধময় রক্ত-মাংস ছড়িয়ে নাই। তারা মহান আল্লাহর নিকট দুআ’ করবেন। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট উটের ঘাড়ের ন্যায় লম্বা ঘাড়বিশিষ্ট এক প্রকার পাখি পাঠাবেন। সেই পাখিগুলো তাদের মৃতদেহগুলো তুলে নিয়ে আল্লাহর ইচ্ছামত স্থানে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের উপর এমন বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যা সমস্ত ঘরবাড়ি ,স্থলভাগ ও কঠিন মাটির স্তরে গিয়ে পৌঁছবে এবং সমস্ত পৃথিবী ধুয়ে মুছে আয়নার মতো ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
অতঃপর যমীনকে বলা হবে, তোর ফল উৎপন্ন কর এবং তোর বরকত ফিরিয়ে দে। তখন অবস্থা এমন হবে যে, একদল লোকের আহারের জন্য একটি ডালিম যথেষ্ট হবে এবং একদল লোক এর খোসার ছায়াতলে আশ্রয় নিতে পারবে। আল্লাহ তাআলা দুধেও এতো বরকত দিবেন যে, একটি দুধেল উষ্ট্রীর দুধ একটি বৃহৎ দলের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি গাভীর দুধ একটি গোত্রের লোকেদের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি বকরীর দুধ একটি ক্ষুদ্র দলের জন্য যথেষ্ট হবে।
তাদের এ অবস্থায় আচানক আল্লাহ তাআলা তাদের উপর দিয়ে মৃদুমন্দ বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহিত করবেন। এ বায়ু তাদের বগলের অভ্যন্তরভাগ স্পর্শ করে প্রত্যেক মুসলমানের জান কবয করবে। তখন অবশিষ্ট নর-নারী গাধার ন্যায় প্রকাশ্যে যেনায় লিপ্ত হবে। তাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে। [৩৪০৭]

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


ভুল ও মিথ্যার পাশে শিখধর্মের এস্কেটলজিতে কিছু মৌলিক সত্য নিহিত রয়েছে।
আমরা জানি,
*দাজ্জাল ইসলামিক মিলিটারির বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করবে। তাতে আল মাহদী নেতৃত্ব দেবেন। যার জন্য 'মীর' শব্দটি যুক্ত করেছেন।
*দাজ্জাল নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করবে।
*অবশেষে ইসলামি শক্তির হাতেই নিহত হবে।
*আল মাহদীর সমকালীন সময়ে পরাশক্তিরুপে দাজ্জালের জোটই ইসলামের বিরুদ্ধে লড়বে।
.
উপরের বিষয়গুলি শিখইজমের এস্কেটলজিতেও রয়েছে। তাছাড়া কালচক্রে কল্কির ব্যপারে এস্কেটলজিক্যাল ভার্সগুলো দারুণভাবে স্পষ্ট করে এটাই দাজ্জাল।
.
মনে রাখবেন কুফরের জন্ম পূর্বদিকে, এবং দাজ্জালের পূর্বদিকে থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। নিচের হাদিসগুলোও তারই ইঙ্গিত দেয় । আল্লাহ উত্তম জানেন।
.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩০১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
‘Behold [Dajjal] is in the Syrian sea, or the Yemeni sea. Nay, on the contrary he is in the
East , he is in the East , he is in the East ,’ and he pointed with his hand towards the East .
(Sahih Muslim , Book #041, Hadith #7028)
.
হিন্দু-বৌদ্ধদের গ্রন্থে সাম্বালা,আগার্থি শব্দ গুলো দ্বারা কল্কির গুপ্তরাজ্যকে বোঝানো হয় যা ভারত অথবা তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চল অথবা মরুভূমি অথবা মাটির তলে অথবা ভিন্ন ডাইমেনশনে আছে বলে কাফেররা মনে করে। মুশরিকরা এখন তার অপেক্ষা করছে। দেখুন 'লজ্যিক্যাল হিন্দু' চ্যানেলের একটি ভিডিও। আমরা এ সময় সবাই অবগত যে UFO,USO,crop circle ইত্যাদি বিষয় গুলো দাজ্জালের সাথে সংশ্লিষ্ট শয়তানজ্বীন ও মানুষের কীর্তি। ভিডিওটিতে দাজ্জালের অপেক্ষমান মালু বলছে, তিব্বতীয় ও ভারতীয় অঞ্চলে যে সকল আনআইডেন্টিফাইড ফ্ল্যাইং অবজেক্ট দেখা যায় তা কল্কির আবির্ভাবের প্রস্তুতির সাথে সম্পৃক্ত এডভ্যান্স সিভিলাইজেশন বা higher being, যাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লোকাল তিব্বতিয়রা জ্ঞাত আছে।😆। এমনকি এক্ষেত্রে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করে ওই শয়তানের পূজারী। দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=OfhxEYb2XQk

এবং আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন।

0 Comments:

Post a Comment