বিএনপি যতই হরতাল অবরোধ দেক, যতই আমেরিকা থেকে চাপ আসুক, কোনভাবেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা যতক্ষণ না বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে।
আওয়ামীলীগ বাহিরের দেশের কোন চাপ গোনে না কারন, তার পাশে আছে ভারত। ভারত কোনভাবেই চাইবেনা জাতীয়তাবাদী কোন দল আসুক, ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে প্রদেশ করার লক্ষ্যে এগ্রেসিভ ভাবে কাজ করছে এবং আওয়ামীলীগ যেভাবে এ কাজে সহায়তা করছে এটা অন্য কোন দল থেকে আসবেনা, এটা ভারতের রিসার্চ এ্যান্ড এ্যানালাইসিস উইং(RAW) খুব ভাল করেই জানে। আওয়ামীলীগ গত ১৫ বছর যত অত্যাচার দু্র্নীতি আর জুলম করেছে সেটার পরিণামে কি অপেক্ষা করছে, ক্ষমতা ছাড়লে কি হবে সেটা তারা ভাল করেই আচ করতে পারে। ওদের আবাসিক বাসাবাড়ি তে হামলা হবে, অলিতে গলিতে মুণ্ডুকাটা আওয়ামী-পুলিশ-সাংবাদিক-লীগের লাশ পড়ে থাকবে সেটা ওরা ভাল করেই জানে। এ কারনে যতক্ষণ পারে প্রত্যেকেই চেষ্টা করবে মুজিব কন্যার স্বৈরশাসন বলবৎ থাকুক। হাসিনা চেয়ার ছাড়তে চাইলেও জোর করে পুলিশ-সাংবাদিকলীগরা বসায়ে রাখবে। নইলে দেশ ছাড়া ছাড়া পথ খোলা নেই। এ কারনে যেহেতু ভারতের অখণ্ড ভারত নির্মাণের স্বার্থ এবং মুজিবলীগের নিরাপত্তা এবং আরো দুর্নীতির পথ খোলা রাখতে উভয়ের স্বার্থের যোগসাজশে আবারো পাচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসছে আওয়ামীলীগ সরকার। ক্ষমতা ছাড়বে তখনই যখন রিজার্ভ খালি হয়ে যাবে, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, রাস্তায় গাড়িগুলো দাড়িয়ে থাকবে তেলের অভাবে, কারেন্ট বন্ধ থাকবে। রিজার্ভ একদমই নিম্নমুখী এখন ৪ বিলিয়নের দিকে চলে এসেছে। আগে ছিল যা ৪৮ বিলিয়ন ডলার, ওদিকে সজিব ওয়াজেদ জয় এর শুধু আমেরিকাতেই ৬২ বিলিয়ন ডলার জমেছে। মানে তাদের রিজার্ভ বাড়ছে, দেশের রিজার্ভ খালি হচ্ছে। এখন রিজার্ভ যা আছে তা দিয়ে আসলে আরো পাচ বছর টিকে থাকা সম্ভব না। আওয়ামীলীগ যদি বুদ্ধিমান হয় তাহলে তারা আগামী এক মাসে বাকি অবশিষ্ট রিজার্ভগুলো ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে বিদেশ পালাতে পারে। অন্তত ভারতে গেলেও বাচবে। বোকা হলে মার খাওয়ার জন্য বসে থাকবে। হাসিনাকে ভারতের এত বেশি দরকার যে, যেকরে হোক তাকে পুনরায় দেখতে চায়। আর হাসিনা দলের অবস্থা হলো এমন যে, যদি পারে হাসিনা দেশ ভারতের হাতে তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে হলেও গদিতে থাকতে চায়। কারন ওরা জানে এখন ক্ষমতা ত্যাগ মানে নিজেদেরকে অস্তিত্বশূন্য করে দেয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ওই দিনের অপেক্ষায় আছেন যেদিন বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে ভিসা লাগবেনা।
গত কয়েকমাসে ভারতের সাথে অনেকগুলো সড়ক-রেল পথ উদ্বোধন করেছে হাসিনা সরকার। মানে ভারতের প্রদেশকরন প্রক্রিয়ায় অনেকদূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে বলা যায় পুরোটাই এখন র চালায়। র' চাইবেনা হাসিনার বিদায় হোক। কারন এখনো তাদের অনেক কাজ বাকি। তারা চাইবেনা কুলে এসে তরী ডুবুক। তাই অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগিয়ে হলেও হাসিনা কে ক্ষমতায় রাখবে ভারত সরকার। এজন্য তারা এবার এতটা ডেসপারেট যদি বঙ্গোপসাগরে ইউএস মিলিটারি জাহাজ নিয়েও চলে আসে তাও হাসিনা ক্ষমতা দিয়ে নামবেনা।
0 Comments:
Post a Comment