আজ এক ভাই বললেন, "পৃথিবী যে কারণে ভেসে থাকে , সেটাই তো বিশ্বাস করেন না আপনারা"। তিনি হেলিওসেন্ট্রিক প্যান্থিয়নের আউটার স্পেস এবং ইনফিনিট এভার এক্সপ্যান্ডিং স্পেসের কথা বলছেন। তিনি চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন, 'বিশ্বাস' শব্দটি টেনে। বস্তুত, বিষয়টি আলটিমেটলি 'বিশ্বাসে' গিয়ে ঠেকে। মডার্ন কস্মোলজির প্রায় পুরোটাই বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষনযোগ্যতার প্রক্রিয়ার বাইরে। অর্থাৎ আল্টিমেটলি ইহা শুধুই "বিশ্বাস"।
তো সেই ভাই Precopernican geocentric model এর বাহ্যত ভ্রান্তি ধরে বললেন, "আপনারা যেই 'বিশ্বাস' টা করছেন.."।
.
নিশ্চয়ই আমাদের 'বিশ্বাস' ঠিক তাই যা লিখিত আছে আসমানি কিতাব সমূহে। আর শেষ নবী(স) ও তার সাহাবা কর্তৃক প্রদর্শিত। আর তা-ই, যা প্রখ্যাত কুরআনের তাফসীরবিদ(মুফাস
সিরগন) কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত।
.
আর অপরদিকে হেলিওসেন্ট্রিস্
ট পাঠকের 'বিশ্বাস' টি ঠিক তাই, যা শয়তানের গোলামদের দ্বারা বলা কিছু 'কুফরি' জ্ঞান। যা লিখিত আছে কাব্বালার জোহারে, যা আছে তোথে , যা hermetism এর উপরে দাঁড়িয়ে আছে। এ বিশ্বাস তো তাদের হাত ধরেই এসেছে যারা সর্সারির আলোকবর্তিকা ছিলেন। ছিলেন গুপ্ত গুহ্যজ্ঞানের মহাসাধক । জ্বি আমি পিথাগোরাস, নিউটন, গ্যালিলিও, কেপলার , কোপার্নিকাসদের এসোটেরিক বিশ্বাস ও জ্ঞানের কথা বলছি, যা সম্মানিত হেলিওসেন্ট্রিস্
ট (তাওহীদের জ্ঞানবিহীন) মুসলিম(!) ভাইদের নিকট অধিকতর গ্রহন যোগ্য মনে হয় এবং সেদিকেই হৃদয় আকর্ষিত হয়। মা'আযাল্লাহ!
.
একথা ভালভাবে জেনে রাখুন মেইনস্ট্রিম সাইন্টিফিক নলেজ একটি সুবিশাল প্রবঞ্চনার উপরে দাঁড়িয়ে আছে যা জেসুইট অর্ডারের আওতায় সারা বিশ্ব গ্রহন করেছে। আর তা হয়েছে রেনেসাঁ বিপ্লবের পর দিয়ে। রেনেসাঁ বিপ্লবের দ্বারা নিষিদ্ধ বিষয় যেমন উইচক্রাফট, সর্সারির রিভাইভ্যাল ঘটে। মানুষ নতুন করে ব্ল্যাক আর্ট অব ন্যাক্রোমেসির দিকে ঝুকে পড়ে। বিজ্ঞানের মোড়কে mysticism মানুষের কাছে হাজির হয়। চলে আসে বৈদিক Atomic knowledge. মানুষ গ্রহন করে Atomism. এক শ্রেনীর লোকেরা নির্বুদ্ধিতার জন্য থেইস্টিক পাথ ছেড়ে ম্যাটেরিয়ালিজমে
ঝুকে পড়ে এবং এথিজম গ্রহন করে। 'এথিজম' শব্দে ডিজবিলিফকে ক্ল্যারিফাই করার ব্যাপারটি এখনো ৫০০ বছর ক্রস করেনি। যাহোক, সর্বপ্রথম ফ্রান্সের এক পরিবার এথিস্ট বলে নিজেদের ঘোষনা দেয়। আর বৈজ্ঞানিক মিস্টিক্যাল নলেজের গুরু মহাশয়রা theist ই থেকে যায়। কিন্তু এই Theism আদৌ তাওহীদ বা নিকটবর্তী monotheism নয়। গোড়া হাতালে তাদের বিলিফ দিয়ে অন্য মাত্রার মনোথেইজমে গিয়ে শেষ হবে, সেটাকে আব্রাহামিক ফেইথগুলো 'স্যাটানিজম' বলে।
আজ যারা এই মডার্ন সাইন্টিজমকে তাদের জন্মসূত্রে পাওয়া দ্বীন ইসলামের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়, সে সকল Apologetic mozlem রা ইতিহাসই জানে না। এদের জ্ঞান হাটুর নিচে, সারাদিন হয়ত কক খেলে, আর হলিউড দেখে রোমাঞ্চিত হয়,আর available ভ্রান্ত বিদ্যা অর্জন করে নিজেকে বিরাট জ্ঞ্যানী-শিক্ষি
ত মনে করে। অবশ্য এদের অধিকাংশই বিতর্কপ্রিয়। এবং নিরেশ্বরবাদীদের
কাছেই বিতর্কে লাঞ্ছিতই। এর কারন এরা এমন বিজ্ঞান তত্ত্ব মেইন্টেইন করতে চায় যা তাদের জন্মলব্ধ বিশ্বাস থেকে একদম অপজিশনে। । এদের রূপক অবস্থা হচ্ছে এরূপ যে, কোন ব্যক্তি মূত্রকে পবিত্রতা অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রামান করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ উদাহরন এজন্যই দিয়েছি যে, তারা এই অবিশ্বাসের জ্ঞান(knowledge
of disbelief) দ্বারা ইসলামকে জাস্টিফাই করতে ধৃষ্টতা দেখায়। ইসলামিক সোর্সে অদেখা জগতের বর্ননাকে ওই ভ্রান্ত অপবিত্র জ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করতে বৃথা চেষ্টা করে। Allegorical ওই মূত্রের(মেইনস্ট
্রিম সাইন্স) মধ্যে বাস করা অবাঞ্ছিত কীটরা(নাস্তিক মুর্তাদরা) পবিত্র পানিকে আলাদাভাবে ভাল করেই চিনতে পারে, এজন্য কীটদের দ্বারাই লাঞ্ছিত হয় নির্বোধ মোডারেট ইসলামিস্ট।
.
বস্তুত ওদের হৃদয়টাই রোগগ্রস্ত। এজন্য প্রকাশিত ঐশীজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করে কাফেরদের কুফর বেজড ইল্মকে অগ্রাধিকার দেয়। এজন্যই শায়খ বিন বাজ(র)দ্বীনের থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক সাংঘর্ষিক তথ্যকে অগ্রাধিকারদানকা
রী লিবারেল ইস্লামিস্টকে তাকফির(কাফের সাব্যস্ত) করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ,
আমরা তো সতর্কতাকারী ছাড়া আর কিছুই নই।
ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই Occult scientism এর origin নিয়ে একটা লেখা আসবে। ওয়ামা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।
0 Comments:
Post a Comment