Showing posts with label Occult Mysticism-Pagan Theology: যাদুবিদ্যা ও যাদুশাস্ত্র ভিত্তিক দর্শন. Show all posts
Showing posts with label Occult Mysticism-Pagan Theology: যাদুবিদ্যা ও যাদুশাস্ত্র ভিত্তিক দর্শন. Show all posts

Thursday, July 11, 2019

চেতনার ওপারে - Altered State of consciousness

সারা পৃথিবীতে প্যাগান বিলিফ সিস্টেমের পুনর্জাগরন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই অবস্থা মূলত এ মুহূর্তে প্রয়োজন সাধারন মানুষকে কুফরে আকবরের দিকে নেওয়ার জন্য, শয়তানের আনুগত্য এমনকি পূজার জন্য। এজন্য আজকে প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির দিকে সারা পৃথিবীকে ঝুকে পড়তে দেখা যাচ্ছে। আমেরিকায় ওয়াননেসের(ওয়াহদাতুল উজুদ) আহব্বান/ইনফিনিট লাভ রিলিজিয়নের ছড়াছড়ি। এমনকি নায়ক-নায়িকা গায়ক-গায়িকারা থেকে শুরু করে ফিজিসিস্ট সকলেই এ পথে আহব্বান করে। তাদের বিশ্বাস ব্যবস্থার সত্যতার সবচেয়ে বড় দলিল হচ্ছে 'চেতনার ওপারের' অভিজ্ঞতা অথবা অল্টার্ড স্টেইট অব কনসাসনেস[১৮]। এটা সেই মিস্টিক্যাল অনুভূতি যার জন্য অনেক সংগঠন ধ্যান-যোগসাধনা এবং প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির দিকে আহব্বান করে।


চেতনার অপরদিকের অভিজ্ঞতা লাভের পর অজস্র হার্ডকোর নাস্তিকও থেইজমে ফিরে আসার নজির আছে। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা যেটা অর্জনের পর প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির সত্যতাকে অস্বীকার করা কষ্টকর হয়ে যায়। এ অভিজ্ঞতা লাভের পথ অনেক। গভীর ধ্যান সবচেয়ে সস্তা পথ। একটু খরচার পথও খোলা আছে। বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ(এলএসডি/ফিলোসাইবিন/ডিএমটি/সাইকাডেলিক ম্যাজিক মাশরুম/আয়োহুয়াস্তকা ইত্যাদি) খুব সহজেই এই অভিজ্ঞতার দ্বারে নিয়ে যাবে। আরো ব্যায়বহুল পথও আছে। সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন চেম্বার[১১] বা আইসোলেশন চেম্বার। ১২ ইঞ্চি লবন পানির স্তরের অন্ধকার চেম্বারে শুয়ে থাকলেই হবে। সাব্জেক্ট কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমস্ত সচেতন অনুভূতিগুলো অচেতন হয়ে যাবে এবং অজানা জগতে প্রবেশ করবে। অনেকে বিষাক্ত প্রানীর বিষের(যেমন জেলিফিশ) প্রভাবেও ওই অনুভূতি লাভ করেছে শোনা যায়। এটা কাউকে NDE[১৯] এর অভিজ্ঞতা দান করে। পশ্চিমাদের মুখে Astral Projection,Outer body experience, clairvoyance ইত্যাদি যত শব্দই শোনেন না কেন, প্রায় তার সবই 'চেতনার ওপারের' ভিন্ন ভিন্নমাত্রার অভিজ্ঞতা। অল্টার্ড স্টেইট অব কনসাসনেসে সবাই যে একই রকম অভিজ্ঞতা লাভ করবে,তেমনি নয়। সবচেয়ে সাধারন(কমন) অভিজ্ঞতা হচ্ছে একটা স্বপ্নিল ঘোরে পৌঁছানো, যেটা আলো দ্বারা পরিপূর্ন। সমস্ত বস্তুর রঙ খুব উজ্জ্বল এবং মনে হয় সেসব থেকে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে। সমস্ত বস্তুকে যেন ভেদ করে যাওয়া যায়। অর্থাৎ সমস্ত বস্তুই যেন ননসলিড পেনেট্রেবল এনার্জি।
অসংখ্য স্পাইরাল,ফ্র‍্যাক্টাল ইনফিনিট প্যাটার্ন,বিভিন্ন জিওমেট্রিক স্ট্রাকচার ইত্যাদি। এই অভিজ্ঞতা লাভকারী সমস্ত বস্তু এবং নিজের ব্যক্তি স্বত্ত্বার মধ্যে একটা বন্ধন অনুভব করে, যেটা মহাবিশ্বের সর্বত্র বিস্তৃত। একধরনের অকৃত্রিম ভালবাসার যেন সমস্ত বস্তুকে ছেয়ে আছে। এরকম অবস্থায় গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্তকিছুকে সচেতন বলে মনে হয়। অর্থাৎ যেন সব কিছুর জীবন আছে। নিজেকে মহাবিশ্বের একপ্রাণ বা একস্বত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে হয়। এক পিউর ওয়াননেসের(ওয়াহদাতুল উজুদ) অনুভূতি। এ অনুভূতি ওই অভিজ্ঞতালাভকারী ব্যক্তি স্বত্ত্বাকে এই সৃষ্টিজগতের Co-Creator(সহযোগী স্রষ্টা) বা নিজেকে ডিভাইন বা সরাসরি সৃষ্টিকর্তা ভাবতে বাধ্যকরে। এজন্য এদের মুখে I Am অনুভূতির কথা শুনবেন।এমনও হয়েছে যে কোন সাইকাডেলিক ড্রাগ গ্রহণকারী এমন দেখেছে যে গাছপালা যেন তার সাথে কথা বলছে[১৭]। অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে আশির্বাদ করছে। মিস্টিক/অকাল্টিস্টদের ভাষায় এই অভিজ্ঞতার জগত হচ্ছে ইনার স্পেস বা স্পিরিচুয়াল রেল্ম। অনেকে এটাকে হায়ার ডাইমেনশনাল জার্নি, সাইক্যাডেলিট ট্রিপ বলে।

এ অভিজ্ঞতা গভীর প্রকৃতিবাদ এবং সর্বেশ্বরবাদের দিকে নিয়ে যায়। এ বিশ্বাস বা আকিদা হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত হয়। আব্রাহামিক ধর্মের কোন টিতে থাকলে সেটার উপর আর বিশ্বাস থাকে না। কারন তারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় বিপরীত মতাদর্শের সত্যতাকে চোখে দেখে। এ অভিজ্ঞতা যাদুশাস্ত্রকেন্দ্রিক মিথ্যা কুফরি আকিদাকে অনেক শক্ত করে। যাদুকররা এ অভিজ্ঞতা লাভের দরুন বলত, স্রষ্টার সাথে এক(সংযোগ/সান্নিধ্য) হতে কোন ধর্ম লাগে না। খ্রিষ্টান ইহুদী কিংবা মুসলিম হবার কোন প্রয়োজন নেই।
খ্রিষ্টান ডমিনেটেড শতকে খ্রিষ্টানরা যখন এরূপ ধর্মদ্রোহীতামূলক কথা যাদুকরদের থেকে শুনলো, তাদেরকে ধরে ধরে কচুকাটা করতে লাগলো। হাজারো ডাকিনী বিদ্যা চর্চাকারীদেরকে পুড়িয়ে মারারও ঘটনা বিগত হয়েছে।

এই মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতাকে গ্রীক সর্বেশ্বরবাদী দর্শন থেকে আসা সুফিবাদে ফানাফিল্লাহ বলা হয়। সুফিদের ভাষায় ওই মেডিটেটিভ স্তরে গিয়ে সুফিসাধক আল্লাহর সাথে একাকার(ফানা) হয়ে যায়। সালাফি অনেক আলিম বলেন ওটা ফানাফিল্লাহ নয় বরং ফানাফিশাইত্বন(অর্থাৎ শয়তানের সাথে একাকার হওয়া।) এ ব্যপারে সালাফি আলিমগনের অবস্থান শুদ্ধ। এই মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতা আরবি শব্দানুসারে   আল আকিদাতুল ওয়াহদাতুল উজুদ-হুলুল ওয়াল ইত্তেহাদের বিশ্বাস হৃদয়ে সৃষ্টি করে। আহমাদ রেজা বেরেলভী সাহেবের অনুসারী সকল বুজুর্গগন এজন্য মেডিটেইশনে গুরুত্বারোপ করেন। তাদের অভিধানে সমস্ত প্যাগান কার্যক্রমের আরবি ভার্শণ আছে। আছে ষড়চক্র বা লাতাইফের যিকির, প্রনয়ানম, দমের সাধনা,মোরাকাবা ইত্যাদি। এগুলো তারা মারেফাত এর ইল্মের স্তরে রেখেছে। অর্থাৎ ইল্মে মারেফাতুল্লাহর(আল্লাহর পরিচয়) নামে শয়তানের পরিচয়/দীদার লাভের শিক্ষা দিচ্ছে। বেরেলভী কারা যারা বোঝেন না তাদের বুঝতে সুবিধা হবে, যদি বলি মেইনস্ট্রিম পীর-মুরিদগনের নেটওয়ার্ক।

যাহোক, অর্ল্টার্ড স্টেইট অব কনসাস্নেস শুধু সুডোসায়েন্টেফিক পরিমণ্ডলেই ছেয়ে আছে এমনটি নয়। আইজ্যাক নিউটন থেকে আইনস্টাইন প্রত্যেকেই চেতনার এই স্তরে পৌছতেন, যাতে নতুন থিওরি প্রসব কর‍তে পারেন। আইনস্টাইন চেতনার ওপারে যাবার প্রক্রিয়াকে নাম দিয়েছেন মাইন্ড এক্সারসাইজ! যখনই ওই স্তরে পৌছতেন, ফিরে আসতেন নতুন কোন থিওরি বা ইক্যুয়েশন নিয়ে। ম্যাটারকে ভাইব্রেটরি এনার্জেটিক ফিল্ডের তত্ত্বটিও এই হ্যালুসিনোজেনিক এক্সপেরিয়েন্স থেকেই এসেছে। এর প্রেক্ষাপটে আজ পদার্থবিজ্ঞানীগন বলছেন,Everything physical is really non physical!

এবার আসি,চেতনার ওপারে এমন কি হয় যার দরুন এরূপ মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়!?

ব্যপারটা বোঝা খুবই সহজ। এসকল ড্রাগের প্রভাবে অথবা মেডিটেটিভ স্তরের (অল্টার্ড)মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা শয়তান জ্বীনদের একটা দরজা তৈরি করে দেয় Enlightenment seeker'দের মস্তিষ্কের উপর[২০]। শয়তান চাইলে ওদের জগতের সাথে মানব চেতনার সংযোগ ঘটাতে পারে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রনহীনতার সময়ে শয়তান পুরোপুরি মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়।
তখন শয়তানের ইচ্ছেমত স্বপ্নীল ঘোর সৃষ্টি করে যা ইচ্ছা দেখায়, অকৃত্রিম অনুভূতি সৃষ্টি করে। শয়তান জ্বীনদের ফিজিক্যাল ডাইমেনশন যেরূপ দেখতে সেইরূপ প্রজেকশন তৈরি করে মাথায়, অথবা সরাসরি জ্বীনদের চোখে ওদের জগত যেরূপ, সেটাই মানব মস্তিষ্কে দেখায়। মেডিটেশনের মাধ্যমে একবারেই ওই পর্যায়ে পৌছানো একটু কষ্টসাধ্য। মেডিটেশন বা যোগ ধ্যানে এজন্য ধীরে ধীরে ওই অবস্থায় যাওয়া হয়। ইয়োগা প্র‍্যাক্টিশনাররা ধ্যানের এক এক ধাপকে চক্র বা এনার্জি এক্সেস পয়েন্ট সক্রিয় করা বলে।
তারা কুণ্ডলিনী এনার্জিও বলে যা কিনা মানুষের গোপনাঙ্গের দিকে সুপ্তাবস্থায় থাকে, সেই এনার্জিকে ধীরে ধীরে জাগ্রত করে পেট,এরপরে বুক এরপরে গলা এবং সবশেষে মাথা পর্যন্ত উঠিয়ে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে সে এনার্জি পৌছানো তথা তাদের ভাষায় ক্রাউন চক্রকে সক্রিয়করনের দ্বারা যোগী আত্মউপলব্ধি লাভ করে বা সিদ্ধিলাভ করে। অর্থাৎ সে 'চেতনার ওপারে' পৌছে ইনফিনিট ওয়াননেস অনুভব করে। ওয়াহদাতুল উজুদ বা Monism এর আকিদা হৃদয়ে প্রোথিত হয়। ইতোপূর্বে থার্ড আই, ধ্যান নিয়ে আলোচনা করেছিলাম তাই আবারো একই কথায় ফিরতে চাই না[১]। যাইহোক,পরিষ্কার দেখছেন ধ্যানযোগে চেতনার ওপারে পৌছানো একটু কষ্টসাধ্য বিষয় কিন্তু hallucinogenic drugs/সাউন্ড ওয়েভ বা বাইনিউরাল বিটস[১৫] দিয়ে খুব সহজেই পৌছানো যায়। ধ্যানের মাধ্যমে যে ব্যক্তি নিজের আসল অস্তিত্বের প্যান্থেইস্টিক স্বরূপ অনুভব করতে সক্ষম হয়, সেই লোক Know Thyself এর আসল হাকিকত বুঝতে পারলো। ঐ লোককে তখন এনলাইটেন্ড বলা হয়। আত্মসিদ্ধি লাভ করেছে।
সুফিদের এক গুরু ওই অনুভূতি লাভ করেই আনাল হাক্ক(আমিই সত্য/আল্লাহ্) বলত। একইভাবে হিন্দু যোগীরা নিজেকেই পরমাত্মা বলে। আমার কাছে একজন বাবা লোকনাথের ব্যপারে কিছু তথ্য দিয়ে তার কথার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। তিনি খুব সম্ভবত ঈমানি ব্যপারে সন্দেহে নিপতিত হয়েছিলেন। লোকনাথ নিজেকে পরমাত্মা দাবি করত, তাছাড়া অনন্ত অসীম,সর্বত্রব্যাপী সৃষ্টিকর্তাও বলত এমনকি রনে বনে জঙ্গলে বিপদে পড়লে তাকে স্মরণ করার কথাও বলতেন(উইকিপিডিয়া)। তার এরূপ কথার ব্যাখ্যা আশা করি বুঝতে পারছেন। ওই চেতনার ওই স্তরে পৌছে তার মধ্যে প্যান্থেইস্টিক ধারনার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য নিজেকে পরমাত্মা, সর্বত্রবিরাজমান ঈশ্বর দাবি করে। তার এরূপ দাবি শুনে খুব বেশি অবাক হবার কিছু নেই।

আমাদের দেশের কোয়ান্টাম ম্যাথড চেতনার ওই স্তরে নিয়ে "গড রিয়েলাইজেশন" এর কোর্স করায় বলে জানিয়েছিল Law of attraction[২] এর প্রচার কারী এক শয়তান। যারা কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে সম্পৃক্ত তারা "কমান্ড সেন্টার" টার্মের সাথে খুব পরিচিত। তিনি প্রথমে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলেন এক ব্যক্তিকে, পরবর্তীতে আপনাআপনিই ধ্যানের মধ্যে এক লোক হাজির হয় যাবতীয় দিক নির্দেশনার জন্য। হয়ত এটাই সক্রেটিসের বলা Daemon! এসব ব্যপারে ওদের অফিশিয়াল কিতাবেই বিস্তারিত আছে।

প্রাচীন জংলি শামানরা গাছগাছড়া এবং মাশরুম দিয়ে চেতনার ওপারে যেত ওদের পূর্বপুরুষদের কথিত আত্মাদের সাথে যোগাযোগ এর জন্য। এই বিষয়টিকেই সুন্দরভাবে দেখিয়েছে ব্ল্যাক প্যান্থার মুভিতে। ফিল্মের নায়ককে একরকমের লতানো উদ্ভিদ পিষে খাওয়ানো হয় ঐতিহ্যগত কারনে মৃত পূর্বপুরুষের সাথে দেখা করার জন্য। ম্যাট্রিক্স ফিল্মেও শামানদের চিন্তাধারার প্রতিফলন রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক, কারন নির্মাতার পিতা একজন শামানিস্ট।

আম্রিকান হিপ্পিদের মধ্যে প্যাগান আধ্যাত্মিকতার বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি কারন ওদের কাছে ড্রাগ ডালভাত। অনেক হতাশাগ্রস্ত বিষন্ন মাদকাসক্ত সাইকাডেলিক পান করে জীবনকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে শুরু করে। এদের মধ্যেই এখন আধ্যাত্মিকতা বেশি। ওরা যে মেডিটেশনে যে থার্ড আই এ্যাক্টিভেশনের কথা বলে সে অবস্থায় পৌছবার আগেই 'চেতনার ওপারে' যেতে হয়। এ গোটা ব্যপারটি যে স্যাটানিক এতে কোন সন্দেহ নেই কারন বহু নিউএজার মেডিটেশন প্র‍্যাক্টিশনার ধ্যানের ঘোড়ে শয়তান জ্বীনদের ভয়ংকর চেহারাতেই দেখেছে। কেউ বা শয়তানের আক্রমনের স্বীকারও হয়েছে!

অসাধারন একটি টেস্টিমোনি দেখুন, যেখানে এক স্পিরিচুয়ালিস্ট চেতনার ওপার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বলছে সাইকাডেলিক ব্যবহারের পর,তিনি সেখানে অসংখ্য এলিয়েনদেরকে দেখে[৪]।তারা নাকি মানুষের উপকারী বন্ধু। এলিয়েন নিয়েও ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি[৩]।

DMT[৫] কে স্পিরিচুয়াল কমিউনিটিতে Spirit Molecule বলেও ডাকা হয়। ওরাই বলে এটা নাকি সহজে স্পিরিটদের জগতে যাবার দরজার মত[২০]। ডিএমটিকে বলা হয় Dimethyltryptamine। এটা সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগ যেটা গভীরভাবে চেতনাকে আচ্ছন্ন করে। মানুষ,কিছু প্রানী এবং কিছু গাছপালায় এই উপাদান পাওয়া যায়। ডিএমটি অন্য যেকোন হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগের চেয়ে শক্তিশালী। এক ম্যাথম্যাটিশিয়ান তার ডিএমটি ট্রিপ নিয়ে বলেন, ডিএমটি পান করে তিনি মাতাল অবস্থায় এমন এক জগতে পৌছান যেখানে শুধুই ফ্র‍্যাক্টাল কম্পিউটার গ্র‍্যাফিক্সের মত কিছু দেখতে পান। সেগুলো খুবই দ্রুতগতির ছিল। অর্থাৎ তার অস্তিত্বগত চেতনা ওইরকম জগতে যায়। তার মনে হয়েছে কোন ইন্টেলিজেন্স এন্টিটির ধারাবাহিক স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সব হয়। অর্থাৎ হলোগ্রাফিক ভিজুয়ালাইজেশনের মত যা দেখেন তা যেন কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আশপাশটা জীবন্ত প্রানী জাতীয় কিছু দ্বারা পরিপূর্ন। এরপরে বললেন, ম্যাজিক মাশ্রুম খুব গভীর কিছু দেখায় না, সেগুলো আমাদের অর্ডিনারি রিয়ালিটিকেই স্বাভাবিকভাবে দেখায়, পার্থক্য হচ্ছে সমস্ত বস্তুকে ভাইব্রেটরি এনার্জি মনে হয়। এলএসডি ব্যবহারে তিনি অনেক জিওমেট্রিক প্যাটার্ন দেখেন, যেগুলো দেখে মনে হয়েছে এগুলো কিছুটা ইউক্লিডীয়ান জিওমেট্রি[৬]।
সুতরাং আজ আমরা যে ফ্রাক্টাল ম্যান্ডেলব্রটের ইনফিনিট এ্যানিমেশন/ম্যাথম্যাটিকস দেখতে পাই সেটা অরিজিন কি সেটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে। সেদিন কম্পিউটারে লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল করে অবাক হই, ওরা প্রোগ্রাম তালিকায় এটাকে ডিফল্টভাবে দিয়েছে।

ডাকোটা নামের জনৈক স্পিরিচুয়ালিস্ট(সাবেক নাস্তিক) সরাসরি ওই জগতে দেখা প্রানী বা ইন্টেলিজেন্ট বিংদেরকে সরাসরি Demon(শয়তান) বলেন। তার পরামর্শ হচ্ছে চেতনার ওই পর্যায়ে পৌছে তাদের কাছে নিজেকে সমার্পন করতে হবে, কমপ্লিট সাবমিশন অর্থাৎ পুরোপুরি আত্মসমার্পণ। ইগো বলে কোন কিছুই রাখা যাবেনা। তিনি বলেন, যারাই সাইকাডেলিক ট্রিপে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা লাভ করে তারা নিজেদেরকে সমার্পন করেনি ওই spirit being দের কাছে। তার এক বন্ধু আত্মসমার্পন না করায় মনে হয়েছে জাহান্নামের মধ্যে আটকে গেছে, পাজল্ড লুপের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। ডিএমটি পান করে ডাকোটা অজস্র এলিয়েন বিংদের দেখেছে, তিনি বলেন এই ডিএমটি বিংদের সাক্ষাৎ লাভ খুবই একটা সাধারন ব্যপার।
অনেকে এদেরকে স্পিরিট গাইড, এলিয়েন,elf, elves ইত্যাদি অনেক নামেই ডাকে। তিনি ওই অবস্থায় কিছু সর্পিল প্রানীদেরকে দেখেন যারা নাকি তার পেটেও প্রবেশ করে! তার মতে এই স্বত্ত্বারাই আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতে ভূত বা শয়তান হিসেবে ম্যানিফেস্ট করে, শুধু মাত্র আমাদের ইগোর জন্য। এই বিং বা সত্ত্বা গুলো আমাদের অস্তিত্বের মতই সত্য। আমরা তাদের ভয় পাই বলে আমাদের নেগেটিভ ইন্টেনশন ওরা গ্রহন করে শক্তি পায় এবং পজেস করে। এদেরকে ভয় করা যাবে না, বরং গোটা রিয়ালিটি কিরূপ তা জানতে হবে নিজের অস্তিত্বের ব্যপারে আসলটা জানতে হবে, যখন নিজেদের ইগো থেকে সম্পূর্ন মুক্ত হওয়া যাবে তখন অশুভ বলে কোন কিছুই থাকবে না। তখন এই এলিয়েন বা স্পিরিট বিংদের কাছেও নিজেদের সমার্পনের মাধ্যমে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার ধারনা থেকে বের হওয়া যাবে। আমরা যে ত্রিমাত্রিক সলিড রিয়ালিটি এবং বস্তু দেখি, সেসব আসলে মিথ্যা।
এগুলো শুধুই মেন্টাল প্রজেকশন। রিয়ালিটির এই স্ট্যান্ডার্ড শুধুই মানব মস্তিস্কের ট্রান্সলেশনের ফল।গাছপালা, পশুপাখি, জড়বস্তু সমস্তকিছুর থেকে নিজের সত্ত্বাকে আলাদা মনে হয় বাহির থেকে, কিন্তু আসলে সবকিছু এক। এক অস্তিত্ব(ওয়াহদাতুল উজুদ)। এই ডিএমটি বিংরাই হচ্ছে বাইবেলে উল্লিখিত ডিমন(শয়তান)। আমরাই এই পার্থক্য এবং ভাল মন্দের,ঘৃনা ভালবাসার পার্থক্য তৈরি করছি ইগোর কারনে। আসলে ওই এলিয়েন বা স্পিরিট বিং আমার আপনারই অংশ। তাদেরকে মন্দভাবে ধরলে তারা আপনার কাছে মন্দভাবেই ধরা দেবে। খ্রিষ্টান ধর্ম এই ইগোই জাগ্রত করে। এই ইগোর মৃত্যু সম্ভব আত্মসমার্পনের মাধ্যমে [৭]। রিয়ালিটি আমাদের চোখের দেখা দৃশ্যের মত সলিড না বরং সব কিছু নন ফিজিক্যাল এনার্জেটিক। এই ত্রিমাত্রিক ম্যাটেরিয়াল জগতে যেরূপ সবকিছু আলাদা,আসল জগতে সব কিছু ইন্টারকানেক্টেড, এর থেকে অদ্ভুত এক ওয়াননেসের অনুভূতি জাগ্রত হয়। আমরা আছি একরকমের সিমুলেশনের মধ্যে[১৪]। তার মতে এই অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত কারন এটা সমস্ত ধর্মীয় মতবাদগত পার্থক্যকে ধবংস করে মানবতাকে এক করে। সবাইকে একক সত্যের(ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদার) দিকে নিয়ে যায়।[৮]

সুতরাং আশাকরি পাঠকরা বুঝতে পারছেন সায়েন্টিফিক, ফিলোসফিক্যাল ফাউন্ডেশন কোথা থেকে এসেছে, কোথা থেকে ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদা এসেছে, যেটায় আজ দেওবন্দি/কওমী আলিমরা পর্যন্ত বিশ্বাস করে। একদম খাটি স্যাটানিক এক্সপেরিয়েন্স থেকে এসব আকিদা ও বিশ্বাসব্যবস্থার উন্মেষ।

ট্যারেন্স ম্যাকানার ডিএমটি ট্রিপে সার্পেন্ট/রেপ্টিলিয়ান এবং টিকটিকি সদৃশ কিছু প্রানীদেরও দেখা হয়, এদের কেউ কেউ অসমম্ভব উন্নত সভ্যতা/প্রযুক্তির ধারক।ভিডিওতে সরাসরি শয়তান জ্বীনদেরকেই দেখানো হয়েছে[৯]। ম্যাকান্না খুব হতাশ এ ব্যপারে যে মানুষ কোটিটাকা খরচ করে এলিয়েনদের দেখা পেতে বর্হিজগতে খুজছে, অথচ এই জগতে দাড়িয়েই এলিয়েনদের দেখা পাওয়া যায়। আউটার স্পেস বাদ দিয়ে ইনার হায়ার ডিমেনশনাল স্পেস নিয়ে গবেষনা করা উচিত।

একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই আউটার স্পেস ও এলিয়েন কন্সেপ্ট হয়ত এই ইনার ডিমেনশনাল স্পেস থেকেই এসেছে। সাতটি ইউনিভারসাল হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল এর একটি হচ্ছে As Above so below। অর্থাৎ ভেতর যা বাহির তাই, বাহির যা ভেতরও তাই। সে অনুযায়ী প্রাচীন প্যাগান ফিলসফাররা যখন এই স্পিরিচুয়াল রেল্ম ভ্রমন করে তখন তাদের মনে ম্যাক্রো পর্যায়েও একই কল্পনার অবতারণা ঘটায়। একইভাবে আউটার স্পেসে এলিয়েন ফ্যাণ্টাসিও একইভাবে আছে। ট্রান্সেনশন হাইপোথেসিস[১০] অনুযায়ী, এখন আর এলিয়েনদের খুজে না পাওয়ার কারন, তারা উন্নত হতে হতে এখন আউটার স্পেসে এক্সিস্ট করা বাদ দিয়ে ইনার স্পেসে চলে গেছে। সুতরাং সাইকাডেলিক[১২] জার্নিতে দেখা শয়তানদেরকে এলিয়েন বললেও সমস্যা নেই।

শয়তান এর থেকে আসা অভিজ্ঞতাই আজকের জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু এবং উৎস। হিন্দু বৌদ্ধ বৈষ্ণব(ধর্মচক্র) এবং সিক্রেট সোসাইটিগুলোর নিগূঢ় তত্ত্বের মূলভিত্তি[১৩]। সমগ্র বাতেনিয়্যাহ সম্প্রদায়গুলোর মূল ভিত্তি। আপনার কি মনে হয়, আজকে যে সিমুলেশন হাইপোথেসিস জেগে উঠেছে, হাশেম আল ঘাইলির মত সেলিব্রেটি বিজ্ঞানবোদ্ধারা ভিডিও ফিল্ম বানাচ্ছে, এসবের ভিত্তি কি[১৬]?

যাদুবিদ্যা,যাদুকরদের সাথে সাইকাডেলিক এক্সপেরিয়েন্সের গভীর সখ্যতা আছে। তাদের কুফরি দর্শন,বিশ্বাস এবং কর্মের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী এবং যাদুবিদ্যার কার্যনীতি বোঝার জন্য এই অভিজ্ঞতা লাভের বিকল্প নেই। শামান,উইক্কানরা স্পিরিট মলিকিউল বিভিন্ন গাছগাছড়া থেকে নিয়ে এরূপ হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ তৈরি করে। এক হলিউড ফিল্মে চমৎকারভাবে দেখিয়েছিল এক লোকের মৃত স্ত্রীকে ফিরে পাবার জন্য এক ডাইনীর কাছে গিয়ে এরকম হ্যালুসিনোজেণীক ড্রাগ সেবন করে। একইভাবে "এ ডার্ক সং" ফিল্মে কাব্বালার চেয়েও ইন্টেন্স ম্যাজিক্যাল আর্ট ওয়ার্কের শরণাপন্ন হয় এক এক সন্তানহারা মা, সন্তানকে ফিরে পেতে। অবশেষে চেতনার ওপারে গিয়ে শয়তানের কাছে নিজেকে সমার্পন করে। চেতনার ওপারে গিয়ে উইচক্র‍্যাফট প্র‍্যাক্টিশনার রিয়ালিটিকে জ্বীন শায়াত্বীনের চোখে দেখতে পায়। শয়তান জ্বীনজাতির কাছে ম্যাটারের সলিডিটি বলে কিছু নেই। এদের কাছে সবকিছুই এনার্জি। একজন উইচ বা সর্সারার চেতনার ওই ঘোরে গিয়ে বস্তু/মানুষ এবং প্রকৃতির সমস্তকিছুর মধ্যে ইন্টারকানেকশন দেখতে পায়, বায়ুমণ্ডলের যে ভ্যাকুয়াম আমরা আশপাশে দেখি, ওই অবস্থায় সেটার অনুপস্থিতি নিজেকে সৃষ্টিজগতের মধ্যে সচেতন একক অভিন্ন স্বত্ত্বা ভাবায়। যেহেতু ইগো আমিত্বের বিশ্বাসকে ভেঙ্গে ফেলতে হয় এবং নিজের চেতনাকে সমগ্র এনার্জেটিক প্যাটার্নে দেখা সৃষ্টির চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ ভাবতে বাধ্য করে, তখন নিজের ইন্টেনশান বা অভিপ্রায় ব্যবহার করে প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটানোর বিশ্বাস জন্মায়, তারা ন্যাচারকে হাইলি প্রোগ্রামেবল মনে করে। নিজেকে তখন ন্যাচারের পার্টিসিপেন্ট না রেখে নিজেই প্রকৃতিকে চালনা বা ম্যানিফেস্ট করবার সম্ভাবনা এবং বিশ্বাস তৈরি হয়। অর্থাৎ প্রকৃতিতে প্রোগ্রাম হয়ে না থেকে নিজেই প্রোগ্রামার হয়ে প্রকৃতির নীতিতে হস্তক্ষেপ করে নিজের স্বার্থানুযায়ী কাজ করার বিশ্বাস তৈরি করে। তবে এসব অভিজ্ঞতা/অনুভূতির সবার আগে নিজেকে প্রকৃতি এবং শয়তান জ্বীনদের(DMT plasma being) কাছে আত্মসমার্পন করতে হবে। আমিত্ব বলে কিছু রাখা যাবে না, কোন ধর্ম বিশ্বাসে আবদ্ধ থাকা যাবে না। অর্থাৎ কাফির হতেই হবে। মারভেলের ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মুভিতে সর্সারার সুপ্রীম ডক্টর স্টিভেন স্ট্রেঞ্জকে যাদুবিদ্যার প্রথমেই বলে, "আপনি নদীর স্রোতকে কিছুতেই পরাস্ত করতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই ওর স্রোতকে ব্যবহার করতে হবে নিজের জন্য। এজন্য অবশ্যই আত্মসমার্পন করতে হবে", "Silence your ego, and your power will rise"। এজন্য সাধারন কেউ কাফির না হয়ে হাজার ইন্টেনশান আর রিচুয়াল করলেই যাদু সফল হতে হবে না। কুফরি করতে হবে। আল্লাহকে অস্বীকার করতে হবে। হয়ত যাদুবিদ্যা কুফরি হবার পিছনে এটা অন্যতম একটা কারন।অধিকাংশ যাদুকররা নির্বোধ হয়, এরা বিশ্বাস করে না যে "আন্নাল কুয়্যাতা লিল্লাহি জামিয়্যা"। ওরা তো সবার আগেই আল্লাহকে অবিশ্বাস করে কেননা ওয়াহদাতুল উজুদ,হুলুল, ইত্তেহাদ এদের কোর টেনেট। এরা নিজেরাই তো নিজেদের এবং প্রকৃতির ইলাহ মনে করে, মা'বুদ মনে করে। এদের আকিদাই হচ্ছে 'আনা আল হাক্ক', নাউজুবিল্লাহ্। এজন্য এক কাব্বালিস্ট র‍্যাবাইকে বলতে দেখি কাব্বালার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে নিজেকে জায়ান্ট বা তার চেয়েও ক্ষমতাশালী ভাবা, আমরা নাকি ফুল পটেনশিয়ালিটির ব্যপারে অজ্ঞ, যাদুকররা এ ব্যপারে অজ্ঞ না। আমরা আসলে সুফি মরমীদের কথা ও বিশ্বাসের আন্ডারলেইং তাৎপর্য বুঝিনা তাই অনেকে এদের কথায় বিভ্রান্ত হয়, কেউবা বিশ্বাস করে, কেউবা এদেরকে অন্ধভাবে সম্মান করে।

যাদুর ব্যপারে সত্য হচ্ছে কাফিররা যতকিছুই করুক না কেন, সব কিছুর পরিবর্তনকারী এবং সবকিছুর ক্ষমতা এক আল্লাহরই। যাদুও তারই নির্দেশ ব্যতিত কার্যকরী হয় না।

আজ মুসলিম উম্মাহর মধ্যেও প্যাগানিজমের প্রতি বেশ আকর্ষন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে জ্ঞানী ভাব নেওয়ার জন্য কিংবা স্রেফ তাওহীদের অবিশ্বাসের দরুন ওয়াহদাতুল উজুদকে বেছে নিয়েছে। সুফিবাদের কথা না-ই বা বললাম। ওরা তো খাটি শয়তানি শিক্ষাকে আরবি শব্দে মুড়িয়ে শতশত বছর মুসলিমদের মধ্যে প্রচার করে চলছে। শয়তানের দেওয়া অনুভূতি অভিজ্ঞতাকে বানিয়েছে ফানাফিল্লাহ বাকাফিল্লাহ। শয়তানের সাথে সম্পর্ক, শয়তানের পরিচয়লাভের তরিকাকে বানিয়েছে ইল্মে মারিফাতুল্লাহ(মারেফাতের ইল্ম)। শয়তানের কাছে আত্মসমার্পনের জন্য এখন এসে গেছে কোয়ান্টাম ম্যাথড, যারা সরাসরি জানিয়ে শুনিয়েই অকাল্ট প্যাগান ফিলসফির প্রচার চালাচ্ছে। 'মুসলিম' শব্দের অর্থ আল্লাহর নিকট আত্মসমার্পনকারী। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ধ্যান/সাইকাডেলিক ড্রাগ প্রভৃতির দ্বারা সরাসরি শয়তানের নিকট আত্মসমার্পনের জন্য আহব্বান করা হয়। শয়তানের কাছে এবং সমস্ত প্রকৃতির কাছে আত্মসমার্পনের মাধ্যমে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার অংশ মনে করাকে শেখানো হয়। অর্থাৎ এরা শুধু কাফিরই বানায় না, বরং সবচেয়ে নিকৃষ্টতম তাগুতে পরিনত করে। তাগুত হচ্ছে সে যে নিজেকে ইলাহ মনে করে, নিজেকে রবের আসনে বসায়।

وَعَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الْإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : মানুষের মধ্যে শয়তান (তার) শিরা-উপশিরায় রক্তের মধ্যে বিচরণ করে থাকে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২০৩৮, মুসলিম ২১৭৪, আবূ দাঊদ ৪৭১৯, আহমাদ ১২১৮২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস





Ref:
১.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/chakra-third-eye-yoga_10.html
২.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_10.html

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_8.html
৩.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_30.html
৪.
https://m.youtube.com/watch?v=qb-PgFwPwhc
https://m.youtube.com/watch?v=jgxu3GBhnSk
https://m.youtube.com/watch?v=wrfOo7m6wlo
৫.
https://m.youtube.com/watch?v=LtT6Xkk-kzk
৬.
https://m.youtube.com/watch?v=AYDgmpiE-U0
৭.
https://m.youtube.com/watch?v=Gqij_2kjJcg
https://m.youtube.com/watch?v=wDJIsscCoGE
৮.
https://m.youtube.com/watch?v=Xy9-AM6QE70

https://m.youtube.com/watch?v=3FqmVITeiwQ
১০.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_41.html
১১.
https://steemit.com/life/@ericvancewalton/altered-states-of-conscious-my-fifth-float-in-the-sensory-deprivation-tank

https://journals.sagepub.com/doi/pdf/10.2190/IC.29.2.d

https://bigthink.com/21st-century-spirituality/the-altered-states-of-sensory-deprivation
১২.
https://m.youtube.com/watch?v=kRF9n7U1G3w
১৩.
https://m.youtube.com/watch?v=SQjd535lLx0
https://m.youtube.com/watch?v=kiAc408Yk78
১৪.
https://m.youtube.com/watch?v=Z1HJVA7BjDU
১৫.
https://m.youtube.com/watch?v=VCeNUH4RY0M
https://m.youtube.com/watch?v=np_to6OghXE
https://m.youtube.com/watch?v=WYQwYrUMnrI
https://m.youtube.com/watch?v=pgj_b_pW3Zw
https://m.youtube.com/watch?v=22vOkSWiNwQ
১৬.
https://aadiaat.blogspot.com/2019/05/hashem-al-ghaili-occult-worldview_28.html
১৭.
https://m.youtube.com/watch?v=jgxu3GBhnSk
https://m.youtube.com/watch?v=5uGtTamBNUA
১৮.
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Altered_state_of_consciousness
১৯.
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/near-death-experiencende_10.html
২০.
https://smokeymirror.com/magic-mushrooms-or-ancient-aliens/

https://www.evolveandascend.com/2017/02/21/are-magic-mushrooms-a-gateway-to-a-different-world-elves-spirits-and-extraterrestrials/

https://patch.com/california/santacruz/can-psychedelic-drugs-help-us-speak-to-aliens

https://www.huckmag.com/perspectives/activism-2/psychonauts-drugs-aliens/

https://grahamhancock.com/51560-2/

https://qz.com/1196408/scientists-studying-psilocybin-accidentally-proved-the-self-is-an-illusion/

https://www.mcgilldaily.com/2017/10/as-above-so-below/


Wednesday, January 16, 2019

যারা কোয়ান্টাম মিস্টিসিজমকে দ্বীন বানিয়ে নিয়েছেন...

যারা কোয়ান্টাম মিস্টিসিজমকে স্বীয় দ্বীন বানিয়ে নিয়েছেন এবং সজ্ঞানে এর ভেতরকার সমস্ত ডক্ট্রিনের ব্যপারে ওয়াকিবহাল, তাদের উচিত না কোয়ান্টাম ম্যাথডের বিরোধিতা করা(যেহেতু অসংখ্য কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটদের মধ্যে অসন্তোষের রেখা দেখতে পাচ্ছি)। কারন এদেশে লেফটহ্যান্ড পাথের প্রিচারদের মধ্যে একমাত্র কোয়ান্টাম ম্যাথডই সুপ্রতিষ্ঠিত। বিরোধিতা না করে উদ্ভুত সমস্যা গুলো আলোচনার দ্বারা সমাধান করা যেতেই পারে।


আর যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করেন, তাদের অবগতির জন্য জানাই কোয়ান্টাম ম্যাথড ভিন্ন ধর্মের ন্যায় শক্ত গোড়া বিশিষ্ট স্বতন্ত্র ফিলোসফিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ। পশ্চিমা দেশীয় উইক্কা, থেমেলা,রোজাক্রুশানিজম, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস, ফ্রিম্যাসন ইত্যাদির নাম জীবনে শুনেছেন?  কোয়ান্টাম ম্যাথডের মহাজাতক এবং উচ্চতর পর্যায়ের ডিসাইপেলদের ফিলোসফিক্যাল টেনেট বা বিশ্বাস ব্যবস্থা এই অচেনা বা চেনা শব্দগুলোর অনুসারীদের মত অভিন্ন। সেল্টিক মিস্ট্রি, মিথ্রাইজম,আর খ্রিষ্টানদের নোসিস,ইবনে আরাবির গ্রীক ফিলসফারদের ধার করা সুফিবাদ একই শিক্ষা বহন করে। এগুলো সবই ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ এর শিক্ষা দেয়। সবগুলোই প্যান্থেইস্টিক বিশ্বদর্শন ক্যারি করে।হার্মেটিজম, ইহুদীদের কাব্বালা,বৈদিক ট্রেডিশন(ইস্টার্ন মিস্টিসিজম) সবই যাদুবিদ্যার বিভিন্ন মাজহাব। এর ফলোয়াররা সবাই একচক্ষু বিশিষ্ট এক মহানগুরুর প্রতিক্ষায়(এই আশায়), তিনি তার অনুসারী এ্যসেন্ড করবেন উচ্চতর প্লেইন অব এক্সিস্টেন্সে। ওটা তাদের জন্য প্যারাডাইস। ওদের কিতাবাদিতেও ওসব আছে। রকেট সায়েন্টিস্ট জ্যাক পার্সন যিনি কিনা ক্রোলির বন্ধু ছিলেন, তিনি ওই গুরুর নাম বলেছেন, "বেলেরিয়ন আর্মিলাস আল দাজ্জাল"!! 

ইহুদীরা যাদুবিদ্যাকে হালাল করে নিয়েছিল।আজ ওরা অভিশপ্ত।২:১০২ এ আছে, পড়ুন। ওরা আজ তালমুদ/জোহারের অনুসারী, তাওরাতকে শুধু মুখেই মানে। সেটাকে বিকৃত করতেও বাকি রাখেনি। খ্রিষ্টানদের অধিকাংশই ওই কাব্বালিস্ট ইহুদীদের গোলাম। সামান্য কিছু ফান্ডামেন্টালিস্ট যারা ওদের ডমিনিয়ন মানে না। এদের সংখ্যা ধরার মত না। বাকি আছি আমরা। আমাদের একদল সুফিবাদকে গ্রহন করে নিয়ে আজ পীরের মুরিদ,সেই একই এসোটেরিক নলেজের ফাদ। মারেফতের নামে মিথ্যা শয়তানি ইত্তেহাদি ইল্ম।বাকি থাকলো কারা(?) আপনি? আপনাকে আজ কোয়ান্টাম ম্যাথড ডাকছে, সেই কাব্বালিস্টিক নিষিদ্ধ বিদ্যা গ্রহনের জন্য। আপনি হয়ত সাড়াও দিয়েছেন। আল্লাহর দয়ায় দু একজন ফিরে এসেছেন। বাকিরা জ্যোতিষী বোখারী নামের ওই মালউন(অভিশপ্তের) মুরিদ। এই জ্যোতিষী আগেই বলে নিয়েছে সে অকাল্ট নলেজের প্রচারক। আমরা আজ এতটাই মূর্খ জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি, হায়, চোখ থাকতেও মানুষ রূপি শয়তানের বিছানো সেই চোরাবালিতে পা দিয়েছি। বাবেল শহরে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রগুলোকে গ্রহন করে নিয়েছি। বাদ থাকলো কে? আমার মত লোকেরা?! আমাদের মত লোকদেরকে জালিম শাসকের ইন্ধনে অত্যাচারী সামরিক বাহিনী মাঝেমধ্যে ক্রসফায়ারে দেয়। সন্ত্রাসী, জংগী অনেক কিছুই টাইটেল দেওয়া হয়, কারন আমরা শুধুই সতর্ক করি যেন শয়তানের অনুসারীদের খাতায় নাম না লেখান। এই এসোটেরিক/এক্সোটেরিক এজেন্ডা ক্ষমতাসীন সরকারের সাথেও রিগড। আমাদেরকেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দেখেননি অনলাইনেই কিভাবে আইডিতে রিপোর্ট করে ভার্চুয়ালভাবেই হত্যা করা হয়।আমরাও না থাকলে দাজ্জ্বাল মহাশয়ের ইউটোপিয়ান ড্রিম অনেক ইজি হয়ে যাবে। টোটালেটেরিয়ান ওয়ার্ল্ড ডমিনেশনের[১] জন্য প্রয়োজনীয় ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিয়নের পথ সহজ হচ্ছে। তাই না?

যেসব মুসলিম(!) কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম নিজের মাঝে ধরে রাখতে চান, এনার্জি ফ্রিকোয়েন্সি, ভাইব্রেশনের অকাল্ট ফিজিক্স এ ডুবে থাকতে চান, তারা কেন শহিদ বোখারির অল্প শিক্ষা খেয়ে তুষ্ট থাকবেন? আরো তো অনেক শয়তানি বিদ্যা ও আকিদার অতলে ডুব দিতে পারেন। রিয়ালিটিতে ইচ্ছেমত ম্যানিফেস্ট করতে পারেন। মনছবি আকার আরো ভাল রাস্তা আছে তো! এনলাইটমেন্ট চাই না?? আসুন এমারেল্ড ট্যাবলেটও খাইয়ে দেই। ট্রি অব লাইফের বিদ্যা বাতলে দেই। শয়তান(নাকি শয়তানও আপনার কাছে এ্যালিগোরি) আপনার আদি পিতা-মাতাকেও বলেছিল, আমি কি তোমাকে বলব না এক অনন্ত জীবন প্রদায়ী বৃক্ষের(Tree of life) কথা? তোমাকে কি বলব না অনন্ত রাজত্ব(ইউটোপিয়া) পাবার বৃক্ষের কথা? তোমাকে কি বলব না ওই বৃক্ষের কথা যার ফল গ্রহনে এঞ্জেলিক বিংএ রুপান্তরিত হবে?! 
(হয়ত সেই উদ্যানের অস্তিত্বই আপনার কাছে সংশয়পূর্ণ!?)

যদিও সেকুলার থাকা উচিত এরপরেও বলতে হয়, যারা মিস্ট্রি স্কুলের বিদ্যাকে বেছে নিয়েছেন দ্বীন হিসেবে তাদেরকে বলি, যদি এই মহাবিশ্ব,কস্মোজণী, মেটাফিজিক্সের ব্যপারে যে ধারনা রাখেন তা অসত্য হয়?? একদম উলটো কিছু হয়?? ধরুন মৃত্যুর পরে নতুন রিয়ালিটি সামনে উপস্থিত হলো,রিইনকারনেশন ঘটলো না,ইটারনাল রিটার্নের কিছুই হলো না, কোথায় গেলো রেট্রোকজুয়ালিটি..... হঠাৎ ঘুম ভাঙলো আর নিজেকে রেজারেক্টেড অবস্থায় পেলেন কোন এক ইটারনাল মহান স্বত্ত্বার সামনে! তখন!!? খুব আফসোস হবে। আসলেই....।
দুনিয়াতেই আর কিছু দিন বেচে থাকলে অনেকটাই দেখতে পাবেন এর সত্যতা। যে একচোখ ওয়ালা 'লর্ড মেলচিজেদিক'/ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছেন উনিই তো ২০১৯ সাল আগে চলে যাওয়া আরেক শক্তিধর সুপুরুষের বর্শার আঘাতে তেল আবিবের কোথাও মোমের মত গলে মারা যাবে। তখন?? অন্তর্গুরু,স্পিরিট গাইড তো কত কিছুরই তো প্রতিশ্রুতি[১] দেয়, সবই কি সত্য?? 

[১]. 
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_25.html


Tuesday, January 15, 2019

যাদুবিদ্যায় শয়তান জ্বীনের ভূমিকা ২

তখন হয়ত ২য় শ্রেণীতে পড়ি, ইসলাম শিক্ষার ক্লাসটা হবেনা, ক্লাস ছুটিও দেয়নি। সবাইকে হিন্দুধর্মের ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে বলা হলো। বিভা ম্যাডাম হিন্দুধর্মের ক্লাস নিচ্ছিলেন। ওদের কারও মাঝে বর্তমান সময়টার মত উগ্র হিন্দুত্ববাদী চেতনা ছিল না। কিছুটা অসাম্প্রদায়িক।  ম্যাডাম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বইয়ে উল্লিখিত কোন একটা মন্ত্র শেখাচ্ছিলেন, "ঔঁ ক্রিং গ্রিং.... স্বাহা" এরকম কিছু। এর দ্বারা কি কি হয় সেসবও কিছু বলছিলেন।


দুচারদিন আগে একটা ব্লগে প্রবেশ করলাম, সেখানে কোন যাদুকর কালো যাদু, স্পেল-ইনক্যান্টেশন প্রভৃতি জিনিস শেখায়। অবাক হলাম সেই হিন্দুধর্মের স্পেলটা এই ব্ল্যাকম্যাজিয়ানও ব্যবহার করা শেখাচ্ছে দেখে। এর জন্যই বলি, হিন্দু-বৌদ্ধ-বৈষ্ণব-নাথ-বিশেষিকা ইত্যাদি সবই পূর্বাঞ্চলীয় যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক স্যাটানিক দর্শন ছাড়া কিছু না। এজন্যই sect of horned god এর স্যাটানিস্ট Thomas LeRoy হিন্দুধর্মকে বামপথের আদর্শ রাস্তা বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন। হিন্দু ধর্মের প্রতিটা বিষয়ই এস্ট্রলজিকে ঘিরে। ওদের মুনী ঋষিদের কাছে প্রতিমাগুলোর ব্যাখ্যা ভিন্ন। সেসব ন্যাচারাল ফোর্স ও 'ল এবং কুফরি মেটাফিজিক্সেরই(Origin of existence) পার্সোনিফিকেশন। একদমই প্যান্থেইস্টিক। এজন্য মূর্খ নমঃশুদ্ররা ম্যাটেরিয়াল মূর্তি পূজা করলেও জ্ঞানীরা কাল্পনিক রিবার্থ এড়িয়ে মুক্তির জন্য ধ্যান তপস্ব্যায় শয়তানের সাথে নিজেদের যোগ করে। এসব আকিদা হলিউড ফাউন্টেইন, আই অরিজিন ইত্যাদি ফিল্ম দিয়ে বহুবার প্রমোট করেছে।

তো ওই ব্লগের কালোযাদুর উস্তাদের অন্যান্য মন্ত্রগুলোর কন্টেন্ট শুনলে অবাক হবেন। সরাসরি ইবলিসের পুরাতন নাম 'আযাযিলের' দোহাই দিয়ে এটা ওটা করে দেওয়ার জন্য আকুল আর্তি। সেই সাথে পাশাপাশি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালাকে অকথ্য ভাষায় গালি,অসম্মানজনক কিছু বলে বিদ্রোহ। অর্থাৎ সুস্পষ্ট কুফর। আবার কিছু স্পেলে শয়তানি কন্ডিশনাল বাক্য। যেমন কবিতার ছন্দে লেখা, যদি এই স্পেল না কাজ করে,তাহলে আল্লাহ অমুকের তুল্য [নাউজুবিল্লাহ]। অর্থাৎ যাদুকররা খুব ভাল করেই জানে, সব ক্ষমতার মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা। ওরা ভাল করেই জানে আল্লাহর আদেশ ছাড়া কারওই অনিষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ বলেনঃ"..তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না..।[২:১০২]"
 ওরা শুধুই দুনিয়ার তুচ্ছ কিছু লাভের জন্য পরকালকে বিক্রি করে দেয়। কুফরি কথা বলে, বা এমন কন্ডিশনাল বাক্য বলে যাতে আল্লাহ ওদেরকে পরকালের(ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি করে ঈমান ত্যাগের জন্য) বিনিময়ে নগদে ফলাফল দিয়ে দেন। কিন্তু ওরা এর বিনিময়ে পরকালের সব হারায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন,
" তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।"

পাশ্চাত্যেও উইক্কানরা বিচিত্র দেবতা,দেবীর(শয়তান) নামে মন্ত্র পড়ে রিচুয়াল গুলো করে। এগুলো যাদুর একটা বিশেষ শাখা যেখানে, শয়তানকে ইনভোক করা হয়, আর আল্লাহর নামে কুফরি কিছু বলা হয়, কার্যসিদ্ধির জন্য। শয়তানের নিজের ঐ ক্ষমতা নেই যে তার হুকুমে বস্তুর পরিবর্তন ঘটবে। আল্লাহই সব পরিবর্তন ঘটান।

ওই তান্ত্রিকের ব্লগের কতক স্পেলে আল্লাহর কাছেই আকুল ভাবে এটা সেটা চাওয়া, কোন শিরকি শব্দ নেই।
কিছু স্পেল  আবার সরাসরি ম্যাটারকে অমুক তমুক হয়ে যাবার জন্য  কমান্ড করা। কিছু স্পেল একদমই অর্থহীন ননসেন্স রাইম। এগুলো সবই যাদুর ভিন্ন ভিন্ন মাজহাব। পাশ্চাত্যে Sigil,Sympathetic,Chaos, Elemental,Knot,ভুডো ইত্যাদি সবই বিচিত্র পথ ও প্রক্রিয়া। এক কব্বালিস্ট র‍্যাবাই বলেন, কাব্বালা ন্যাচারের নীতি গুলোকে ডিফাইন করে, সেগুলোকে কিভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায় সেসব সেখায়। তাদের কাছে এটা একটা বিশেষ জ্ঞান বা বিজ্ঞান। এলিস্টার ক্রোওলির কাছেও এটা আর্ট এ্যণ্ড সায়েন্স। রকেট উদ্ভাবক- যাদুকর জ্যাক পার্সন সবসময় কোয়ান্টাম মেকানিকস দিয়ে যাদুবিদ্যাকে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করতেন। যাদুকর নিউটন এ্যাকশ্যন এ্যাট ডিস্ট্যান্স এর কারন খুজতে গিয়ে এর ব্যাখ্যায় ইথারের রিপ্লেসে গ্রাভিটি বসিয়ে অনেক দিন চুপচাপ থাকেন, এই ভয়ে লোকে আরেকটা যাদুর দিক বের করায় নিন্দা করবে। ক্রোওলি এ্যকশন এ্যট ডিস্টেন্স ডেমোন্সট্রেট করতে গিয়ে বন্ধুকে নিয়ে বাহিরে হাটার সময় দূরের লোককে নযর ও ইচ্ছার(ইন্টেন্ট) দ্বারা মাটিতে পর্যন্ত ফেলে দিয়েছিলেন।

আজকের আইডিয়ালিস্টিক ফিজিক্সে ব্যবিলনিয়ান মিস্ট্রি স্কুলের আকিদাগুলো ১০০% প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শয়তানি সমস্ত বিদ্যাকে গ্রীন সিগ্নাল দেওয়া হয়েছে। এসব বিদ্যাকে নতুন মোড়কে প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্যই যাদুবিদ্যাভিত্তিক হিন্দু ধর্মের বেদ ফিজিসিস্টদের কাছে অগাধ জ্ঞানের সিন্ধু। বৌদ্ধ ধর্মই সবচেয়ে সায়েন্টিফিক দ্বীন আইনস্টাইনের চোখে।

শয়তান একটা বিরাট কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। সেটা হচ্ছে ওদের যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক দর্শনগুলো থেকে সৃষ্টিকর্তার নিষ্প্রোয়জনীয়তা প্রতিষ্ঠা করেছে। এটা বৈজ্ঞানিক রিডাকশনিজম থেকেই শুরু। অথচ মধ্যযুগীয় যাদুকররাও আল্লাহর হুকুমকে তাদের কারসাজির অনুমতিদাতা হিসেবে বিশ্বাস করত।আজ এরাই নিজেদেরকে রব মনে করে। প্রথমত এরা কোন কিছুর ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করে সবর করে না, সরাসরি ফলাফল চায় এর উপর নিজেদেরকেই রব হিসেবে কল্পনা করে। আজকের কথিত (ব্যবিলনিয়ান) ফিজিক্স এই ইতিহাসের সর্বোনিকৃষ্টতম আকিদা ও কুফরের দিকেই উৎসাহিত করে। ওই দর্শন কেন্দ্রিক জীবনব্যবস্থাকেই সায়েন্টিফিক বলে। এজন্যই আজকে কোয়ান্টাম মিস্টিসিজমের বিপ্লব চলছে। মানুষ দলে দলে কোয়ান্টাম ম্যাথডে যোগ দিচ্ছে। কারন এটাই আজকে সায়েন্স অব লিভিং! এখনো বিষয় গুলো বোঝেন না?! প্রাচীন অকেজো বস্তুবাদী বিজ্ঞান থেকে বের হয়ে আসতে হবে, আপনাকে জানতে হবে কেন সার্নের ফিজিসিস্টরা নিজেদের এথিস্ট না বলে মহাঋষি মহাযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান। কেন, সার্ন ল্যাবের সামনেই নটরাজ শিবের মূর্তি! এগুলোই তো ছাইন্স!

Wednesday, January 9, 2019

যাদুবিদ্যা চর্চায় শয়তান জ্বীনের ভূমিকা

আমাদের মধ্যে একটা ধারনাকে ঢোকানো হয়েছে যে, যাদুচর্চা বা সর্সারি মানেই হচ্ছে শয়তান জ্বীনের মাধ্যমে কাউকে ক্ষতি করা। এটাকেই যদি যাদুর একমাত্র সংজ্ঞা হিসেবে নেওয়া হয় তাহলে কাব্বালিস্টিক, হার্মেটিক টিচিং গুলো কি? সায়েন্স?! এখান থেকেই নিও মু'তাযিলা চিন্তাধারার সূত্রপাত। যার জন্য অজস্র ম্যাজিক্যাল অকাল্ট ডক্ট্রিনগুলোকে ইসলামাইজ করতে দেখা যায়। এরজন্য আইনস্টাইনিয়ান ঈশ্বরের ব্যাখ্যাকে ইব্রাহীম আলাইহিসালামের রব বানিয়ে দেওয়া হয়, মা'আযাল্লাহ! এসব আমরা ফেসবুকের সেলিব্রেটি পর্যায়ের নামিদামি ইসলামিক চিন্তাবিদকেও করতে দেখি।

এজন্য আজ আমরা বিদ্যা-অপবিদ্যার সীমারেখা সম্পর্কেও জানি না। কোন একটা জিনিস নিজের মতের সাথে মিললে, সেটাকে গ্লোরিফাই করার জন্য যেখান থেকে হোক তথ্য নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট লেখা প্রকাশ করছি, যা লিখছি বা সেসব তথ্যগুলোর অরিজিনের ব্যপারে ওয়াকিবহাল হবার প্রয়োজনীয়তা একদমই মনে করছি না।

পশ্চিমা বিশ্বের উইক্কানরা শয়তান জ্বীনদেরকে gods,goddess শব্দ দ্বারা পরিচয় দেয়। প্রত্যেক যাদুকর একজন না একজন gods/goddess এর পূজা করে। অনেক যাদুকর এদেরকে স্পিরিট গাইড, এ্যাঞ্জেলসহ আরো অনেক নামে ডাকে। আমাদের দেশের মূর্খ যাদুকর/কবিরাজ/জ্যোতিষী বা গনকরা এদেরকে গুরু,অন্তর্গুরু, মুর্শিদ ইত্যাদি নামে ডাকে। অনেক শিষ্য এ শয়তানদেরকে মৃত উস্তাদের সিদ্ধ আত্মা মনে করে। তবে মুসলিম দেশগুলোতে থাকা যাদুকরদের অধিকাংশই এদের ব্যপারে জানে। অর্থাৎ এরা সচেতন যে এরা শয়তান জ্বীনের থেকে সাহায্য নেয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ পীর-ফকির-বাবা এই শয়তান জ্বীনের সাহায্য নিয়ে অলৌকিক কোন কিছু দেখিয়ে ব্যবসা অব্যাহত রাখে। পরিচিত এক গ্রামে এরকম শুনেছি, অমুক পীরবাবার জ্বীন তার অবাধ্য হয়ে বের হয়ে গেছে, যার জন্য গ্রামবাসীদেরকে নির্দেশ দিয়েছে কেউ যেন সন্ধ্যার পর না বের হয়। 

এক সেল্টিক উইক্কান কে তার যাদুচর্চায় জ্বীনের(স্পিরিট গাইড) সাহায্যের ব্যপারে প্রশ্ন করলে সে জানায়, যাদুচর্চায় এদের ভূমিকা অনেক। শয়তান জ্বীন না থাকলেও যাদু চর্চায় কোন বিঘ্ন ঘটে না, যেহেতু সেটা শুধুই ইন্টেন্টকেন্দ্রিক। সে জানায়, জ্বীনের সহযোগীতা প্রয়োজন হয় কোন হারানো কিছু খুজে পেতে, স্পেল ক্যাস্ট সফল কিনা জানাতে, আরো নিখুঁতভাবে করার প্রক্রিয়া/পদ্ধতি এবং স্পেল শেখাতে প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সর্সারারদের চিকিৎসায়, গাছগাছড়ার গুনাগুন সংক্রান্ত তথ্য এবং বিচিত্র মেটাফিজিক্যাল দর্শন কেন্দ্রিক তথ্য দেওয়ার কাজ করে। জ্বীন যাদুকরদের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ এবং কবচ মাদুলি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার কাজটিও করে। এজন্য শয়তান জ্বীনের ভূমিকা যাদুকরদের কাছে অপরিহার্য। কিন্তু তাই বলে জ্বীনের possession কেই যাদু বলা ভুল। আমাদের দেশে এটাই একমাত্র যাদুগ্রস্ততা। এজন্য মূল ম্যাজিক্যাল টেক্সট উৎসারিত ন্যাচারাল ফিলসফিকে সায়েন্স বলতে কষ্ট হয় না। আপনি কি জানেন, আজকের এই ফিজিক্স আমাদেরকে বলছে, ইন্টেন্ট রিয়ালিটিকে ম্যানিপুলেট করে! হয়ত, একারনে স্বপ্নের মনগড়া ব্যাখ্যাদান নিষিদ্ধ। সেটা ঝুলন্ত পায়ের মত। যে ইন্টেন্টকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা হবে, সেটাই ঘটবে। একই কারনেই ঈর্ষান্বিত লোকের নেতিবাচক অভিপ্রায়(ইন্টেন্ট) অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে,যাকে আমরা বদনযর বলি। এ বিষয়টিকে ধরেই এদেশের মর্ডান অকাল্ট প্রিচার কোয়ান্টাম ম্যাথড প্রত্যাশিত কিছু পেতে 'মনছবি' নামের কিছুর চর্চার পরামর্শ দেয় নিয়মিত, সেই সাথে মনোবাসনাকে শানিত করতে যোগসাধনা শেখায়। 

যাদুকররা কজ এ্যান্ড ইফেক্টের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ইলাহ বানিয়ে নেয়। সেই সাথে প্রকৃতির উপর প্রভাব বিস্তারের অনধিকার চর্চা করে। এবং শয়তানের শেখানো সিঙ্গুলারিটির মেটাফিজিক্সে বিশ্বাস করতে শেখায়, এজন্য ওরা নিকৃষ্ট কাফির।
ওয়া আল্লাহু আ'লাম।

Monday, December 10, 2018

বিনোদনের বিষয়গুলো যখন ব্রেইনওয়াশের হাতিয়ার

মিথ্যা মসীহের আগমনের স্টেজ নির্মানকারীরা তাদের দর্শনের সপক্ষে মেটাফিজিক্সের সাথে গভীরভাবে জড়িত কোন নতুন ডক্ট্রিনকে মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য প্রথমেই গল্প/ম্যাগাজিন/নাটক/সিনেমায় ফ্যান্টাসি তৈরি করে মঞ্চস্থ করছে। সেটাকে জনগন বিনোদনের জন্য গ্রহন করছে। কিন্তু অবচেতনে ঠিকই বিশ্বাসও করে নিচ্ছে। এমনটা চন্দ্রবিজয়ের নাটকের আগেও করেছিল। প্রথমেই আউটার স্পেস ট্রাভেল ফ্যান্টাসি নিয়ে গল্প, সিনেমা বানানো শুরু করে। সেসব প্রকাশের সময় একই সাথে বাস্তবজগতে সেই মিথ্যাকে সত্যায়নের জন্যও নাটক তৈরি প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এভাবেই প্র‍থমে আমাদেরকে 'সায়েন্স ফিকশন' টার্মের অধীনে খাওয়ানো হয়। অতঃপর সে ফিকশনকে বাস্তব জীবনে সত্য আকারে দেখানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় আউটার স্পেসের অস্তিত্ব, স্পেস ট্রাভেলের সম্ভাব্যতা, চন্দ্রবিজয় কে দ্ব্যর্থহীন সত্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর এর উপরে সবার মাথায় গেঁথে দেওয়া হয়েছে মহাজাগতিক বিবর্তনের(বিগব্যাং) ফসলঃ ইনফিনিট আউটার স্পেস যুক্ত হেলিওসেন্ট্রিক মডেল এবং সেলেস্টিয়াল অবজেক্ট গুলোর স্ফেরিসিটি(বর্তুলাকৃতি)।
এ ব্যপারে চমৎকার ডকুমেন্টারি দেখুনঃ
https://www.youtube.com/watch?time_continue=333&v=ss7QT6uCZdU

আর এই ডায়াবোলিক্যাল প্রোগ্রামিং এর ফসল হিসেবে কাফেরদের ভ্রান্ত অপপ্রচারের উপর অন্ধ বিশ্বাসের নমুনা দেখুনঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1903489516367972&id=100001208264338

জ্বি ওরা এভাবে অত্যন্ত সফল। এ প্রক্রিয়ায় একযোগে অগনিত মানুষের বিশ্বাসকে পালটে ফেলা যায়। শুনলে অবাক হবেন, এরকমই মহাপরিকল্পনা স্বরূপ ১৮ বছর আগে বৌদ্ধ কুফরি দর্শন এর উপর ভিত্তি করে দ্য ম্যাট্রিক্স মুভিটি তৈরি করে। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন। সেই প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রো থিওলজির উপর গজিয়ে ওঠা প্যান্থেইস্টিক ধর্মটির দিকে আহব্বান। এবং হ্যা, আজ সেই আহব্বানে সাড়া দিয়ে সারাবিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ সেই তাগুতি দ্বীনকে গ্রহন করেছে। আর উহাকে মেইনস্ট্রিম সাইন্সের মানদন্ডে উত্তীর্ণ করতে ইমার্জেন্স থিওরির ইমার্জ হয়েছে। আসছে 'থিওরি অব এভ্রিথিং' হয়ে। অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স মুভিতে রিয়েলিটি/দর্শন নিয়ে যে চিন্তাধারাকে বহু বছর আগে দেখিয়েছে তা-ই সত্য হিসেবে বাস্তবায়ন চলছে। মনে রাখবেন যে ওয়ার্ল্ডভিউ সেই মুভিতে দেখিয়েছিল সেটাই পিথাগোরাস ব্যবিলন থেকে শিখে এসেছিল হাজার বছর আগে এবং বলত 'এভ্রিথিং ইজ নাম্বার'।ওটাই কাব্বালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ।

আপনি কি ওই বিশেষ ধর্মটিকে চিনতে পারেন নি(?)! আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড নামে যা চলছে,সেটাই!

অনেক গুলো প্রবঞ্চনার বিষয়বস্তু একটার সাথে আরেকটা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। আমরা সেসবকে খুলে খুলে প্রকাশ বলে আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ।

(উপরের ছবিটি বর্তমান স্ট্যাবলিসড কস্মোলজি/কস্মোজেনেসিস এবং ব্যবিলনিয়ান মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোফিজিক্স এবং তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যকে প্রকাশ করছে। যখন একে একে শয়তানের ইন্দ্রজালগুলোকে একে একে প্রকাশ করে সতর্ক করা হবে তখন, সবকিছুই বুঝতে সহজ হবে,বিইযনিল্লাহ।)

বাংলাদেশে One World Religion এর প্রসারে যোগসাধনায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা

অকাল্ট মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিনগুলো হঠাৎ করে এত জনপ্রিয়তার পেছনে কাজ করছে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এজেন্ডা।এই গ্লোবাল এসোটেরিক এজেন্ডা মিথ্যা মসীহের ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশ্বাসগত মতপার্থক্যরোধে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন তৈরির লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে সারাবিশ্বে নানা নামে আম্ব্রেলা সংগঠনরূপে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পূর্বেও আলোচনা করেছি,এরা প্রাচীন প্যাগানিজমকে পুনরুজ্জীবিত করছে যা খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের দীর্ঘকাল শাসনের তোপে কিছু শতাব্দী লুকায়িত ছিল। ওই বিশেষ কাফেররা প্রাচীন গ্রীক অকাল্ট ফিলসফারদের প্যাগান মতাদর্শকে পছন্দ করে, যেমন প্লেটোনিক মতবাদ, এখন নিওপ্লেটোনিজম চালু হয়েছে, পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম, ওই সময়কার হারম্যাটিসিজম,আলকেমিক্যাল প্র‍্যাক্টিস ,স্টয়িসিজম ইত্যাদি। জুডিও অশ্লীল কিতাব জোহার বেজড কাব্বালাও সিমিলার মতাদর্শ ক্যারি করে, যার জন্য সকল মিস্টিক্সরা একে অন্যের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল এবং পরিবারস্বরূপ। পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল প্রাচীন প্যাগান বিখ্যাত গ্রীকান্ড অব ম্যাজাই) ম্যাজাইদের(যাদুকর) থেকে। তখনকার মেইনস্ট্রিম কসমোলজি ছিল জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ফ্ল্যাট আর্থবেজড,সারা পৃথিবীতে ওই তত্ত্ব ছিল হেরেটিক। কিন্তু পিথাগোরাস, প্লেটোর জ্ঞানের তারিফে এস্ট্রোনমাররা এর ব্যপারে ভাবতে শুরু করে। খ্রিষ্টান শক্তি তাদের এই স্ফেরিক্যাল থিওরিকে প্যাগান থিওরি বলে কিছু কাল রিজেক্ট করে,যেহেতু গ্রীক মনীষীরা আগে থেকেই কুফরি মতবাদ আর জাদুবিদ্যার জ্ঞানবাহক ছিল। প্রত্যেক গ্রীক মিস্টিক্স মনীষীরাই ছিলেন জাদুবিদ্যার কারিগর। তারা ইউনিভার্সের গুপ্ত রহস্য জানার ব্যপারে অবসেসড ছিলেন, যা তাদেরকে জাদুবিজ্ঞানের(অকাল্ট ফিজিক্স) দিকে হাটায়। তাদের মতবাদভিত্তিক বিজ্ঞান ছিল জাদুর গুহ্য মেকানিজম। হয়ত গ্রীক জাদুবিদ্যাগুলো স্যাটানিক বিংদের ইন্টারভেনশন ছাড়াই কাজ করত। এস্ট্রলজি-আলকেমিতে ছিল সিদ্ধহস্ত।ওটাই ছিল সমুচ্চ জ্ঞান এবং বিজ্ঞান।
.
গ্রীক মিস্টিসিজম গুলোর কমন গ্রাউন্ড ছিল মনিজম অথবা নন ডুয়ালিজম আরবিতে ওয়াহদাতুল উজুদ, বাংলায় 'স্রষ্টা সৃষ্টির এক অস্তিত্ব' । এটা হচ্ছে ওদের বিলিফ সিস্টেমের কার্নেল। আপনি নন ডুয়ালিস্ট না হয়ে হয়ত সর্সারিকর্মে সফল হবেন না। এ সকল মতবাদে বিশ্বাসী উইচদের হাতে পেলেই খ্রিষ্টান ক্ষমতাসীন সমাজে কঠিন শাস্তি দিত, সেই সাথে ওদের এসোটেরিক ডগমাও উৎপাটিত হত। আরবরা অনেক দেরীতে গ্রীক ফিলসফি হাতে পায় এবং নিছক কৌতূহলপ্রবন হয়ে সেসবকে আরবিভাষায় অনুবাদ করে, ফলে আরবরা তথা মুসলিম বিশ্বে আলকেমির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহদাতুল উজুদের জন্ম হয়, জন্ম হয় সুফিবাদ বা ইসলামিক মিস্টিসিজম! যারাই কৌতূহল নিয়ে এতে একবার ঢোকে, নিকৃষ্ট কাফের হয়ে বের হয়, ওই মানের কুফরি যা ফেরাউনও করেনি। মুসলিম এস্ট্রোনমারগন গ্রীক কস্মোলজিকে জ্ঞানের উৎস মনে করে গ্রহন করতে শুরু করে, ইসলামে সর্বপ্রথম স্ফেরিক্যাল আর্থ ঢুকে পড়ে। তখনও সেটা প্রতিষ্ঠিত নয়। ততদিনে রিফর্মেশন এজ চলে আসে, এই রেনেসাঁর যুগে খ্রিষ্টান মৌলবাদীরা দুর্বল হয়ে পড়ে, যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে চার্চ আর শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হয় এবং সেকুলারিজমের উন্মেষ
ঘটে। পশ্চিমে নেতিয়ে পড়া প্রাচীন প্যাগানিজম আবারো জাগ্রত হয়। উইচক্রাফট, সর্সারি, স্যাটানিজম বাড়তে থাকে, জেসুইট অর্ডার কস্মোলজিকে পাল্টে দেয়। জাদুবিদ্যার ধর্ম অর্থাৎ আধ্যাত্মবাদ আস্তে আস্তে আবারো শক্তি ফিরে পায়, এস্ট্রলজির প্রসার সমাজে বাড়তে থাকে। হঠাৎ করে যাদুকর/জ্যোতিষী এবং দার্শনিকগনদের যাদুশাস্ত্রগুলোকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপরে ফ্রিম্যাসনিক রয়্যাল সোসাইটি থেকে ফিলসফি অব সাইন্স এবং অবশেষে ন্যাচারাল ফিলসফিকে সাইন্স নামে ভূষিত হয়। শয়তানের পূজারীরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে ব্যবিলনিয়ান মিস্টিসিজম এর প্রসার শুরু করে। ইস্টার্ন মিস্টিসিজমকে সমৃদ্ধ আর প্রাচীন হিসেবে দেখে সেটাকেই গ্রীকের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় যার প্রভাবে ম্যাডাম হেলেনার থিওসফি গঠিত হয়, পরবর্তীতে হারমেটিক অর্ডার অব গোল্ডেন ডন, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস চলে আসে। এই প্যাগান শাখা প্রশাখা বেড়ে আজ নিউএজ মুভমেন্ট-কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম(কোয়ান্টাম ম্যাথড বাংলাদেশে) পর্যন্ত এসেছে। ইস্কনরাও সাথে আছে। এদের কমন কাল্ট রিচুয়ালের একটি হচ্ছে যোগধ্যান যা ওই গ্রীক প্যাগানিজমসহ সকল প্যাগান ডক্ট্রিনে ছিল। এখন মোটামুটি ধর্মগুলোকে একীভূতকরনের সময় এসেছে, তাই কমনগ্রাউন্ড মেডিটেশনে সব মানুষকে ডাইভার্টের চেষ্টায় আছে এলিটরা। বাংলাদেশে এরই প্রেক্ষাপটে একবার যোগধ্যানের উপর ট্যাক্স আরোপ করেছিল সরকার,যাতে কুফরের জাহাজ কোয়ান্টাম ম্যাথড,ইস্কনরা আন্দোলনে নামে এবং জনগনের দৃষ্টি মেডিটেশন এর উপর পড়ে এবং ভাবে। তখনই আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম সরকারীভাবে খুব শীঘ্রই মেডিটেশন প্রচারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটাই সত্য হলো।তাগুত সরকারের বিটিভি যোগধ্যানের প্রোগ্রাম চালু করেছে। দেখুনঃ http://banglamail71.info/archives/5320

স্টেডিয়ামেও বিশ্ব যোগ দিবসে একসাথে ৮০০০ যোগীরা আত্মপূজা ও শয়তানের(কারিন শয়তানের) পূজার আয়োজন করে।সেখানে বিনামূল্যে অংশগ্রহণ এবং ফ্রি উপহার সামগ্রীরও টোপ দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বামী শুভানন্দ, নামক এক ব্যক্তি।
যার সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বার্নিকাটের বিশেষ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। (ছবি- ইনসেটে)
যে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েও প্যাগান মিস্ট্রি স্কুলের প্রচার শুরু করেছে। (http://bit.ly/2hKovju) এই কুফরি দ্বীনের প্রচারে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা আছে, সহযোগিতা আছে ইজরাইলের, ভারতের এবং সর্বোপরি জাতিসংঘ। এদেশের প্রধান বিচারক এসকে সিনহাও ইসকনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। নিঃসন্দেহে এই প্যাগ্যান থিওলজি প্রসারে সংশ্লিষ্ট হায়ারার্কির সবার শীর্ষে ইবলিস ও দাজ্জালকে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন এর স্পন্সর্ড 'সুস্থ দেহ সুখী স্বদেশ' নামের প্রচারিত ইয়োগার অনুষ্ঠানটিতে কাজ করছে "এভারগ্রীন ইয়োগা" নামের একটা সংগঠন।
 একই নামে পেরুসহ বেশ কয়েকটিদেশে একই শিক্ষার যোগসাধনার সংগঠন এর কার্যক্রম দেখলাম।আর এভার গ্রীনেরই শাখা ভারত,আমেরিকা, ইউকে, জার্মানিসহ অনেক দেশে রয়েছে(ছবিতে দেখুন)।এভারগ্রীনে কোর্স শুরু করলে তারা 'সূর্য নমস্কার' নামের সূর্য পূজো করাও শেখায়(ছবিতে দেখুন)। এটা যে শিরক সেটা নিয়ে islamqa.info ওয়েবে সম্ভবত শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ কিছু বলেছিলেন। দেশীয় এ সংগঠনটির শেকড় তালাশ করলে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সংশ্লিষ্টতাও অনিবার্যভাবে পাওয়া যাবে। যাহোক, এভারগ্রীন যোগের সাথে যুক্ত "সুপার মডেল বাংলাদেশ" নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। তারা কিছু তরুন তরুণীদের নায়ক নায়িকা বানানোর জন্য নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তৈরি করছে, যোগসাধনা তাদের শিক্ষা বা ফিটনেসের গুরুত্বপূর্ণ
অংশ। দেখুনঃ https://m.facebook.com/SuperModelBangladesh

https://m.facebook.com/evergreenyogabd


.
সারাবিশ্বব্যাপী প্যাগানিজম/প্রকৃতি পূজা প্রচলনের স্বপ্ন ছিল শয়তানের। এ স্বপ্ন পূরন করছে দাজ্জালের মাধ্যমে। এখন এস্ট্রলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ্যাকুরিয়াস এজ চালু হয়েছে। বলা হয়, এই গোল্ডেন এজই ইবলিসের মতাদর্শকে পূর্নতাদানের শতাব্দি। এই মতাদর্শের পূর্নতাদানের জন্য একজন মাস্টারের বা ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছে এসোটেরিক এজেন্ডা, যাকে আমরা বলি দাজ্জাল। ওরা কল্কি/মৈত্রেয় অবতার প্রভৃতি নামে অপেক্ষা করছে।
ইসলাম শুরু থেকেই এই মতবাদের ভাইরাসকে কঠোর হাতে দমন করত, অতীতে এক কাব্বালিস্ট যাজকও জোড়পূর্বক শাস্তির ভয়ে মুসলিম হতে বাধ্য হয়। মানসুর হাল্লাজের কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, ইবনে আরাবির ব্যপারে হক্কপন্থী উলামাগন ওই যুগেই কি বলতেন সেটা আমরা জানি। আজও ইসলামিক মিস্টিক্স(সুফিপন্থীরা) ছাড়া কেউই এদের ভাল বলেনা। খ্রিষ্টান থেকে নস্টিসিস্টদের জন্ম। আর ক্যাথলিকরা এদের প্রতি সহনশীল, পশ্চিমে আজ খ্রিষ্টান ধর্মকেই বিভিন্নভাবে মডিফাই করে স্পিরিটিজমে ধাবিত করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ খ্রিষ্টানরা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম গ্রহন করেছে। অনেক হাইব্রীড রিলিজিয়াস মুভমেন্ট গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ কাফের খ্রিষ্টানরা বড় কুফরিকে বেছে নিয়েছে এবং অপেক্ষা করছে ওদের শেষ বুদ্ধের!
.
আজ পৃথিবীর সর্বাধিক সমৃদ্ধ গুহ্যবাদ হচ্ছে ইস্টার্ন অকাল্টিজম বা ধর্মচক্রের রহস্যবাদ(যোগ-তন্ত্র), আমরা সাধারণ মুসলিমরা ব্যাকগ্রাউন্ড খুব বেশি জানিনা তাই আপাতদৃষ্টিতে হিন্দুত্ববাদ মনে হয়। আসলটা সরাসরি শয়তান থেকে আসা। শুনলে অবাক হবেন, এল মোরিয়া আর খুতুমি নামের দুই শয়তান জ্বীন ম্যাডাম হেলেনার কাছে সর্বপ্রথম থিওসফিক্যাল(theo+Sophia= Divine/gods wisdom) ডক্ট্রিন নিয়ে আসে।
এখন বিশ্বব্যাপী রেজারেকশ্যনকে আনসাইন্টিফিক এবং ইল্লজিক্যাল সাব্যস্ত করে রিইনকারনেশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে সাইন্টিফিক ভাবে ভ্যালিড। চলে এসেছে বায়োসেন্ট্রিজম। ডেভিয়েন্ট স্কলার ইমরান নযরও জানেন দাজ্জাল রিইনকারনেশনকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে( তার এক লেকচারে শুনেছিলাম)। এ মুহূর্তে পিউর মনোথেইজম বা তাওহীদের দ্বীন ইসলাম হচ্ছে কুফফার তাগুতদের মিশন বাস্তবায়নের পথের কাটা। বিভিন্নভাবে মোডারেট ইসলামিস্ট ব্যবহারের দ্বারা জিহাদিদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এবার সুফি/বেলেরভী/শিয়াদের সহায়তায় রিইনকারনেশন বা পুনঃজন্মবাদকে এস্ট্যাবলিশের কাজ চলছে। এক বেলেরভী সাক্ষাৎকারে দেখেছি তারা রিইনকারনেশনকে ইতোমধ্যে ইসলামের আঙ্গিকে ট্রোল করে ভ্যালিড করেছে!! আশা রাখব, সামনে বিটিভি সহ তাদের এল্যাইরা মাঠপর্যায়ে রিইনকারনেশনের ভ্যালিডিটি আনয়নের জন্য সুফি বেরেলভীস্টদের থেকে সাহায্য আসবে। লালন,বাউল,ফকিরদেরকে তো সরকার বহু আগে থেকেই প্রোমোট করে আসছে। মনপুরা চলচ্চিত্রও নির্মান করা হয়েছে। কোন সমস্যা নেই, অনেক আগে থেকেই ওয়াহদাতুল উজুদ, হুলুল, ইত্তেহাদের আকিদা অনেকের মাঝে বিদ্যমান, সেটা আকড়ে ধরতে কষ্ট হবেনা। এখন তো পদার্থবিদদের রেফারেন্সে এই প্যাগান থিওলজিকে প্রোমোট করা হয়। বাকি কিই বা আছে!?
.
আপনি কি জানেন ওরা যোগধ্যানে কি করে? ওরা আপনার মধ্যে ঘুমন্ত 'চেতনা' কে জাগানোর কথা বলবে। সেটা নাকি বিশেষ স্পিরিচুয়াল এনার্জি ফোর্স যা কি না, সাপের ন্যায় কুণ্ডলী পাকিয়ে আছে স্পাইনের মূলে। যোগসাধনার দ্বারা সে ঘুমন্ত স্পিরিচুয়াল এনার্জিকে জাগিয়ে আপনার সচেতন মনে প্রবেশাধিকার এবং নিয়ন্ত্রণভার দিয়ে দেওয়া হয়। যখন এই স্পিরিট এন্টিটিকে বা হায়ার সেল্ফকে নিজের মধ্যে জাগিয়ে দেওয়া হয় তখন যোগীরা বলবে 'ইউ আর এনলাইটেন্ড',ওরা বলবে আপনার তৃতীয় নেত্র খুলে গেছে। তখন অনেক অতিপ্রাকৃত ঘটনা আপনার দ্বারা ঘটতে দেখবেন। একটু খুলে বলি, ধ্যানের মাধ্যমে আপনার উপর, আপনার সাথে থাকা কারীন শয়তান জ্বীনকে(স্পিরিচুয়াল এনার্জি ফোর্স) আপনার চেতনায় পূর্ন নিয়ন্ত্রন দেওয়া হয়। তখন শয়তান জ্বীনের আপনার উপর পূর্ন অধিকারে কোন বাধা পায় না। তখন জ্বীনের দ্বারা অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটতে দেখবেন। যেমনঃ ক্ল্যারভয়েন্স,ক্ল্যারঅডিয়েন্স ইত্যাদি। ধীরে ধীরে ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউতে রপ্ত করানো হয় ।এভাবে তারা মেডিটেশন এর দ্বারা মানুষকে মানব শয়তানে রূপান্তর করছে।
.
একটা দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমি বাংলা ভাষায় কাউকেই মিস্টিসিজম/অকাল্টিজম নিয়ে এক্সপোজ করতে দেখিনি।(কোয়ান্টাম ম্যাথডের উপরে লেখা এক ভাইয়ের ব্লগে খুবই সামান্য কিছু পেয়েছিলাম)। গুহ্যজ্ঞানবাদ নিয়ে কেন জানি কাউকেই চিন্তিত দেখি না, অথচ এই বাতেনিয়্যাহরাই দাজ্জাল এর দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করছে। শয়তানের মতাদর্শকে প্রকাশ্যে প্রচার করছে যা তাওহীদের বিপরীত!
.
October 18, 2017 at 10:36 PM

Chakra, Third Eye এবং Yoga মেডিটেশন (যোগধ্যান)

সমস্ত মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনে চক্র,এনার্জি ভাইব্রেশন এর অভিন্ন শিক্ষা দিয়ে থাকে। হোক সেটা হার্মেটিক বা কাব্বালিস্টিক বা বৈদিক অথবা তান্ত্রিক অথবা চীনা তাও। এমনকি যাদুশিক্ষার প্রথম ধাপেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনি কোয়ান্টাম ম্যাথডে গেলেও এটা মৌলিক শিক্ষা হিসেবে শেখাবে। এমনকি হলিউডেও দেখায়।
.
ডক্টর স্টিফেন স্ট্রেঞ্জ(Movie: Doctor strange) যখন নেপালে হিমালয়ের কাছে টিল্ডা সুইন্টনের(দ্য এন্সিয়েন্ট ওয়ান) কাছে দুর্ঘটনাজনিত কারনে নিজের হাতের ট্রেমরের(Hand tremor) হলিস্টিক চিকিৎসার জন্য গেলেন,তিনি ওই সর্সারিজকে তার চেয়েও চরম স্পাইনাল কর্ডের ইঞ্জুরিতে ভোগা, চিকিৎসার অযোগ্য এক লোককে সুস্থ কি করে করলেন তা জানতে চাইলেন। সর্সারিজের কথাগুলো স্টিফেনের কাছে সেলুলার রিজেনারেশন এর মত মনে হলো। তাকে জিজ্ঞেসা করলেন, "তো আপনি কি Nerve cell গুলোকে রিপ্রোগ্রাম করে self healing এর একটা উপায় বের করেছেন?" উত্তরে সর্সারিজ বলেন, "না মি. স্ট্রেঞ্জ i know how to reorient spirit to better heal the body" । "তা আমরা এটা কোথা থেকে শুরু করব?"
প্রশ্ন করলে সর্সারিজ(যাদুকারিনী/ডাকিনী) এই ধ্যান ও চক্র গুলোর ছবি দেখালেন।
অর্থাৎ এটাই একদম প্রারম্ভিক মৌলিক শিক্ষা ও চর্চা।
.
এই চক্রগুলো মূলত কি জিনিস! আর এগুলো সক্রিয় বা জাগ্রত করার মানেও বা কি?
__
ধ্যানের মাধ্যমে এসব এ্যাক্টিভেশনের প্রক্রিয়াগুলোকে কোন এক জনপ্রিয় এসোটেরিক শিক্ষার চ্যানেলের টিউটোরিয়ালে দেখছিলাম। এসব চক্রের ছবি গুলোকে ধ্যানরত অবস্থায় কল্পনা করতে বলা হয় এবং এক্টিভেট হওয়াটাও ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলা হয়। অর্থাৎ এগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষ নিয়মে করার সময় এ বিষয়টা কল্পনার সময় মেরুদন্ডের শেষ অংশ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ন্যায় কোন এনার্জি ফোর্স ফিল্ডের প্রবাহিত হবার অনুভূতির নিশ্চায়তা দেওয়া হয়। এ গা শিরশিরে অনুভূতিকে হজম করার জন্য একাধারে ১০ মিনিট করতে বলা হয়। টিচার বলছিলেন এই এনার্জির কাছে নিজেকে সম্পূর্নভাবে আত্মসমার্পন করতে। সম্পূর্ণভাবে এর অনুগত হতে হবে। সাবমিট করতে হবে। কোনভাবেই এই এনার্জেটিক এন্টিটির উপরে প্রভাব খাটানোর কথা ভাবাও যাবে না । ধ্যানের পরে 'প্রতিদিন আমি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছি ' এ জাতীয় কিছু বাক্য বলতে হয়। ওরা প্রথম দিনে একদম জননেন্দ্রিয় বরাবর কাল্পনিক চক্র সক্রিয় করবার কথা বলে। ওরা এর দ্বারা কুণ্ডলীনি সার্পেন্ট জাতীয় এনার্জি সক্রিয় হবার কথা বলে। এটা আস্তে আস্তে উপরের দিকে তুলে সারা শরীরে access দেওয়া হয়। একই প্রসেসে যখন উপরের দিকের ২য়, ৩য়, ৪র্থ চক্র গুলো সক্রিয় করা হয় ধ্যানে ওই বৈদ্যুতিক(বা এরকম কিছু) এনার্জি জাতীয় কিছু প্রবাহের অনুভূতি আরো বাড়বে। সেটা ধাপে ধাপে মাথার দিকে উঠবে। এভাবে একে একে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে ৬ষ্ঠ চক্র বা থার্ড আই(ajana) সক্রিয় করতে হয়। এটা সক্রিয় করলে একরকমের এনলাইটমেন্ট ঘটে। তখন higher dimension এর দরজা সম্পূর্ন খুলে যায়, তখন স্পিরিচুয়াল বিং সরাসরি যেকোন সময় আপনার শরীরে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পেয়ে যায়। সারাক্ষন আপনার চিন্তাভাবনা ও কাজ কর্মে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়। এমতাবস্থায় ধ্যানে আপনি চাইলে অজস্র স্পিরিট বিং দের দেখতে পাবেন। সে এক অন্য জগৎ। এই থার্ড আই সক্রিয় করনের দ্বারা মানুষ দূরদৃষ্টি(clairvoyance) লাভ করে। সেরকম দূরের কিছু শুনতেও পারে। আপনি চোখ বন্ধ করলেও আশেপাশে বা দূরবর্তী অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এই ক্ষমতাকে তখন psychic ability ও এদেরকে সুপারহিউম্যান বলা শুরু হয়। ভারতের এক হিন্দু মেয়ের এরকম ক্ষমতাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে ভিডিও পর্যন্ত করা হয়েছে। তাকে চোখ বেধে দিলেও দূরে বসে কিছু লিখলে সেটা দেখতে পায় এমনকি সামনের কারো শরীরের ভেতরের সমস্যাগুলোও বলতে পারে। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=ZtLkzg8bFgA
.
https://m.youtube.com/watch?v=AuVipYyR23E
.
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এটা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে থার্ড আই সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে ধ্যান ইয়োগা শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যঃ এনলাইটমেন্ট চাই।
.
এতক্ষন যা বলেছি তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না বুঝলে আফসোস! উপরে বর্নিত চক্র গুলো কল্পনার দ্বারা জাগ্রত করার সময় যে এনার্জি কারেন্টের কথা বলা হচ্ছে সেটা জ্বীন ছাড়া আর কিছু না। ওরা পরবর্তীতে সরাসরি 'স্পিরিট বিং' শব্দ গুলোও ব্যবহার করে। ধ্যানের প্রতিটি চক্র এক্টিভেশনের নামে ধীরে ধীরে আপনার ও ওদের ডাইমেনশনের গেইটওয়ে খুলে দেওয়া হয়। আপনার উপর ওর স্বাধীন এক্সেস পাইয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ পজেশনের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। এটাকে নাম দিয়েছে চেতনা জাগ্রতকরন। কথা সত্য, অর্থাৎ আপনার মধ্যে ক্বারীন শয়তানের চেতনা জাগিয়ে তোলা হয় এবং আপনার মধ্যে ওদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সফল হয় যখন কাল্পনিক থার্ডআই সক্রিয় করার নামে ধ্যান করা হয়। এখানে একটা বিষয় হচ্ছে এ অবস্থায় যাবার আগেই আপনাকে শয়তানের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে surrender করতে হবে। এজন্য ধ্যানকালে এই এনার্জির সঞ্চালনের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে হবে।।কথিত থার্ড আই বা ষষ্ঠ চক্র যখন খুলে যাবে তখন আপনি একরকমের শয়তানের খাটি গোলামে পরিনত হবেন। সে আপনার মধ্যে আসবে যাবে। আপনার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, শয়তান জ্বীনের দৃষ্টি দ্বারা দূরের জিনিস আপনার চোখ বন্ধ থাকলেও পেনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা দেখাবে। অর্থাৎ আপনার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার প্রায় শয়তান দখলে নিয়ে নেবে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং Penial gland কে কোন এডাপ্টার হিসেবে ধরুন যা শয়তানের প্রবেশপথ তৈরি করে। হূমায়ূন আহমেদ নামের আমাদের দেশের জনপ্রিয় mystic লেখক তার উপন্যাসের বইতেও এসবের ব্যপারে মাঝেমধ্যে টেনে ধোঁয়াশা এবং কৌতূহল তৈরি করতেন। Penial gland আরো কিছু প্রক্রিয়াতেও সক্রিয় করে শয়তানের প্রবেশের দুয়ার(ডাইমেনশনাল গেইটওয়ে) খোলা যায়। যেমন বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ যেমনঃ আইয়োস্তকা,এলএসডি, ডিএমটি,ফিলিসাইবিন ইত্যাদি আরো কিছু। কিছু মাশরুমেও এ গুন আছে। শ্যামানরা ধ্যান না করে এই উপায়কে সবচেয়ে বেশি অবলম্বন করে।
.
শয়তানের দ্বারা possessed এ ভারতীয় শিশু মেয়েকে এক ইন্টার্ভিউয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে কি যে কোন সময়ই চোখ বুঝলে নিজের ইচ্ছামত দূরত্বের জিনিস দেখতে পায়? উত্তরে সে বলে, সে সবসময় দেখতে পায় না। তার মনমেজাজ ভাল না থাকলে চেষ্টা করলেও দেখতে সক্ষম হয় না। এটা সবসময় তার ইচ্ছাধীন নয়।
.
থার্ড আই সক্রিয় করনে এই রূপ অলৌকিক ক্ষমতা লাভের কথা শুনে হাজারো মানুষ ঝটপট এই কাল্পনিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন শুরু করেদেয়। তারা এমনকি আগের প্রসেস গুলোও পার করে না। অর্থাৎ শয়তানকে আপনার ইন্টেনশনের বিষয়টা না বুঝতে দিয়ে হুটহাট করতে গেলে যা হয়। আপনি তো অন্তত কয়েকদিন আপনার মধ্যে শয়তান জ্বীনকে ঘোরাফেরার সুযোগ(কাল্পনিক চক্রগুলো ব্যালেন্স করা) করে দিবেন তো। না দিলে তো ভয় দেবেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ ধ্যানের সময় শয়তানের ভয়ংকর রূপ দেখে চরমভাবে আতঙ্কিত হয়েছে। কেউ কেউ ধ্যানের মধ্যেই ফিজিক্যাল আক্রমণের স্বীকার হয়েছে। কেউ বা হয়েছে পজেসড। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=z-iCdeQwNFs
.
অত্যন্ত জনপ্রিয় এসোটেরিক(বাতেনি-ইল্মুল লাদুনি) এ সকল শয়তানি শিক্ষার একটা ইউটিউবের লিংক দিয়ে দিলাম। এরাই এসমস্ত কাজের শিক্ষা দেয়, আবার সরাসরি থার্ড আই ওপেন এর রিস্কের ব্যপারে সতর্ক করেও দিচ্ছে। চমৎকার কিছু তথ্য দিয়েছে। অবশ্যই দেখবেনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=-rLp3Pqj4IY
.
শেষভাগে একদম প্রকাশ্যে বলছে যে, 'এই স্পিরিট বিং রা হচ্ছে ডিমন(শয়তান), যারা এদের ভয় পায় বা আমরা যেন ভয় করি(দূরে রাখার জন্য) এজন্য এরকম নাম দিয়েছে। এরা সবসময়েই আমাদের সাথে থাকে অথচ আমরা এদের দেখতে পাই না(অর্থাৎ ক্বারিন শয়তান)। পাইনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা এদের দুয়ার উন্মুক্তকরনের দ্বারা আমরা এদের থেকে অনেক intuition, তথ্য, জ্ঞান, সিদ্ধান্ত নিতে পারি....প্রত্যেকেরই অবশ্যই থার্ড আই জাগ্রত করা উচিত কিন্তু অবশ্যই এর জন্য প্রস্তুত হয়ে। স্পিরিচুয়াল আর ফিজিক্যাল রেল্মের মধ্যে হার্মোনি তৈরি করে বেচে থাকতে হবে.....' ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
.
আশা করি এবার সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন এরা কি করে! এরা 'যোগ'(yoga) ধ্যান করে শয়তান জ্বীনের সাথে 'যোগ' করার জন্য। এরা চিত্রের ন্যায় আপনাকে আল্লাহর সাথে যোগ হবার জন্য ধ্যানের আহব্বান জানাবে। বস্তুত এই শয়তানের উপাসকরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় আপনাকে খাটি মুশরিক ও কাফির বানানোর জন্য। আর আপনিও নির্বোধের মত কোয়ান্টাম ম্যাথডের গুরুজির কাছে যান। আপনি বুজুর্গের বেশধারী সুফিপীর ফকির শয়তানগুলোর কাছে
যান মোরাকাবা শিখতে। বেলেরভীরা(উপমহাদেশীয় ছুন্নি) তো দেওবন্দীদের(কওমি) চেয়েও এসবে এগিয়ে। এজন্যই এরা শয়তানের সান্নিধ্যে গিয়ে আল্লাহর ব্যপারে আজেবাজে কথা বলে। এরা বলে ওয়াহদাতুল উজুদের(সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের) কথা, ইত্তেহাদের(সর্বেশ্বরবাদ) কথা, হুলুলের কথা। এদের নাম মুসলিমদের মত অথচ প্যাগান যাদুকরদের মত সর্বেশ্বরবাদ, অদ্বৈতবাদ, পুনঃজন্মবাদের কথা বলে। বস্তুত, এদের অনেকেই পুনরুত্থান দিবসের ব্যপারে সন্দিহান। এরা অবাধ্য শয়তানের কথাকে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে আজেবাজে কথা বানিয়ে প্রচার করছে।
আল্লাহ বলেনঃ
.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاء إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاء اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ

.
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন
(সূরা হাজ্জ্বঃ ৩-৭)

.

يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ

.
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। (সূরা ফাতিরঃ৫-৬)

.........
এই বিষয়গুলো অধিকাংশই জানে এরপরেও কিছু লোক শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহন করবেই।

মনিজম

শেষ যুগের চলমান ভয়াবহ ফিতনার একটি অন্যতম  হচ্ছে আসন্ন দাজ্জালের নেতৃত্ব মান্য করবার জন্য এক অভিন্ন ধর্মীয় মতাদর্শকে কেন্দ্র করে সমগ্র বিশ্ব এক ছাতার তলে চলে আসা। এ নয়া ধর্মের কমন বিষয় হচ্ছে স্পিরিচুয়ালিটি। মুসলিমদের সুফিপীরবাদ, ইহুদীদের মধ্যে কাব্বালিস্ট মিস্টিক্স,খ্রিষ্টানদের মধ্যে মোনাস্টিসিজম ও নস্টিসিজম ইত্যাদি নামে পরিচিত।

   ইব্রাহীম (আ) এর অনুসারীদের বাইরের অধিকাংশ ভণ্ড ধর্মীয় মতবাদগুলোর গভীর অনুধাবনে এই অভিন্ন স্পিরিচুয়ালিজমের এসেন্স রয়েছে। এটাকে অনেকে দর্শনও মনে করে। পাশ্চাত্যে এ বামরাস্তাকে মাঝেমধ্যে থিওসফিও বলা হয়। থিওসফির অনেক অর্গানাইজড সংগঠন পশ্চিমা বিশ্বে কাজ করছে।। এ রাস্তা এতটাই নিকৃষ্ট, যে পৃথিবীর ইতিহাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতার কুফরি চর্চা, এবং  (আদম আঃ এর যুগ থেকে)ইসলামের বিরুদ্ধে থাকা কাফের শক্তির বিশ্বাস ও চর্চার এক অনবদ্য কম্পাইলেশন। সব কুফর মিলিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত শয়তানের ধর্মে রূপ নিয়েছে। নিউ এজ(নতুন যুগের বিশ্বদৃষ্টি),ইউনিভার্সালিস্ট,ইউনিটেরিয়ান,ইস্কন, কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম নামের হাজারো রঙ আর বর্নে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে।

    ওরা একশ্রেণীর জাদুচর্চা শেখাচ্ছে। এক গুপ্ত বিজ্ঞানকে হজম করাচ্ছে স্পিরিট সাইন্সের নামে। ফেসবুকে মহা জনপ্রিয় পেজও আছে।
https://m.facebook.com/thespiritscience/

আমারই ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের অনেকের লাইক এতে আছে!দাজ্জালের ফাদে পড়া কত্ত সহজ সেটা অনুমেয়! মনিজম(monism) হচ্ছে ওদের সর্বেশ্বরবাদী গুপ্ত আদর্শ। সুফিবাদের ওয়াহদাতুল উজুদের নাম শুনেছেন? সেটার ইংরেজিই এটা। এটা তাওহীদের বিপরীতের একটা সম্পূর্ণ কুফরি আকিদা। যার মূলবক্তব্য হচ্ছে সর্বেশ্বরবাদ। সালাফি আলেমরা এর ব্যপারে এত ভেতরের খবর জানলে জানি কি করত। এমনিতেই কত কিছু করে।
 বাইদ্যা ওয়ে এই আকিদা দেওবন্দ,বেলেরভীস্টদের অফিশিয়াল।https://www.deoband.org/2010/05/hadith/hadith-commentary/wahdat-al-wujud-wahdat-al-shuhud-and-the-safest-position/

এর ব্যপারে জেনে শুনে, এ পথের অনুসারীরা আছে নজরের নজরবন্দীদের মধ্যে।এ নিয়ে অন্যদিন বলব।

 শুনলে অবাক হবেন যে এ মতবাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে খোদ জাতিসংঘ, যার বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। দাজ্জালের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুরাতন সব ধর্ম বাদ দিয়ে  ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এ আসতেই হবে সব স্তরের মানুষদের। মজার বিষয় হচ্ছে থিওসফির ধর্মযাজকরাও সমস্বরে ওদের এক মহান মসীহ আসবার আশা ব্যক্ত করে,যিনি কিনা হবেন পৃথিবীর শিক্ষক। এ ব্যপারে সবচেয়ে বেশি চিল্লাচিল্লি করেছে বেঞ্জামিন ক্রিম।উনি চমৎকার বর্ননাও দিয়েছেন যখন দাজ্জাল আসবে কিরূপ অবস্থা হবে।

  উইকিপিডিয়ায় উল্লিখিত শিখ গুরুগ্রন্থসাহিবের এক লেখক(শয়তান জ্বীনদের সহায়তায়) বলেন, যখন এ দাজ্জাল সাহেব নিজেকে সর্বশক্তিমান রব দাবি করবে তখন মাহদি নামের কারও হাতে খুন হবে(শুদ্ধ হচ্ছে ঈসা(আ) এর হাতে)। একটা অদ্ভুত বর্ননা তিনি দিয়েছেন যে ওই সময় সূর্য আকাশে আটকে যাবে, ১২ ঘন্টায় একবার করে সামান্য নড়বে যা দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা দেবে।
উপরের কোন ব্যপারে তথ্যপ্রমান চাইলে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব দেওয়ার জন্য।