সমস্ত মিস্টিক্যাল ট্রেডিশনে চক্র,এনার্জি ভাইব্রেশন এর অভিন্ন শিক্ষা দিয়ে থাকে। হোক সেটা হার্মেটিক বা কাব্বালিস্টিক বা বৈদিক অথবা তান্ত্রিক অথবা চীনা তাও। এমনকি যাদুশিক্ষার প্রথম ধাপেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আপনি কোয়ান্টাম ম্যাথডে গেলেও এটা মৌলিক শিক্ষা হিসেবে শেখাবে। এমনকি হলিউডেও দেখায়।
.
ডক্টর স্টিফেন স্ট্রেঞ্জ(Movie : Doctor strange) যখন নেপালে হিমালয়ের কাছে টিল্ডা সুইন্টনের(দ্য এন্সিয়েন্ট ওয়ান) কাছে দুর্ঘটনাজনিত কারনে নিজের হাতের ট্রেমরের(Hand tremor) হলিস্টিক চিকিৎসার জন্য গেলেন,তিনি ওই সর্সারিজকে তার চেয়েও চরম স্পাইনাল কর্ডের ইঞ্জুরিতে ভোগা, চিকিৎসার অযোগ্য এক লোককে সুস্থ কি করে করলেন তা জানতে চাইলেন। সর্সারিজের কথাগুলো স্টিফেনের কাছে সেলুলার রিজেনারেশন এর মত মনে হলো। তাকে জিজ্ঞেসা করলেন, "তো আপনি কি Nerve cell গুলোকে রিপ্রোগ্রাম করে self healing এর একটা উপায় বের করেছেন?" উত্তরে সর্সারিজ বলেন, "না মি. স্ট্রেঞ্জ i know how to reorient spirit to better heal the body" । "তা আমরা এটা কোথা থেকে শুরু করব?"
প্রশ্ন করলে সর্সারিজ(যাদুকা রিনী/ডাকিনী) এই ধ্যান ও চক্র গুলোর ছবি দেখালেন।
অর্থাৎ এটাই একদম প্রারম্ভিক মৌলিক শিক্ষা ও চর্চা।
.
এই চক্রগুলো মূলত কি জিনিস! আর এগুলো সক্রিয় বা জাগ্রত করার মানেও বা কি?
__
ধ্যানের মাধ্যমে এসব এ্যাক্টিভেশনের প্রক্রিয়াগুলোকে কোন এক জনপ্রিয় এসোটেরিক শিক্ষার চ্যানেলের টিউটোরিয়ালে দেখছিলাম। এসব চক্রের ছবি গুলোকে ধ্যানরত অবস্থায় কল্পনা করতে বলা হয় এবং এক্টিভেট হওয়াটাও ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলা হয়। অর্থাৎ এগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে শ্বাস-প্রশ্বাস বিশেষ নিয়মে করার সময় এ বিষয়টা কল্পনার সময় মেরুদন্ডের শেষ অংশ থেকে শুরু করে উপর পর্যন্ত বিদ্যুৎ ন্যায় কোন এনার্জি ফোর্স ফিল্ডের প্রবাহিত হবার অনুভূতির নিশ্চায়তা দেওয়া হয়। এ গা শিরশিরে অনুভূতিকে হজম করার জন্য একাধারে ১০ মিনিট করতে বলা হয়। টিচার বলছিলেন এই এনার্জির কাছে নিজেকে সম্পূর্নভাবে আত্মসমার্পন করতে। সম্পূর্ণভাবে এর অনুগত হতে হবে। সাবমিট করতে হবে। কোনভাবেই এই এনার্জেটিক এন্টিটির উপরে প্রভাব খাটানোর কথা ভাবাও যাবে না । ধ্যানের পরে 'প্রতিদিন আমি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছি ' এ জাতীয় কিছু বাক্য বলতে হয়। ওরা প্রথম দিনে একদম জননেন্দ্রিয় বরাবর কাল্পনিক চক্র সক্রিয় করবার কথা বলে। ওরা এর দ্বারা কুণ্ডলীনি সার্পেন্ট জাতীয় এনার্জি সক্রিয় হবার কথা বলে। এটা আস্তে আস্তে উপরের দিকে তুলে সারা শরীরে access দেওয়া হয়। একই প্রসেসে যখন উপরের দিকের ২য়, ৩য়, ৪র্থ চক্র গুলো সক্রিয় করা হয় ধ্যানে ওই বৈদ্যুতিক(বা এরকম কিছু) এনার্জি জাতীয় কিছু প্রবাহের অনুভূতি আরো বাড়বে। সেটা ধাপে ধাপে মাথার দিকে উঠবে। এভাবে একে একে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে ৬ষ্ঠ চক্র বা থার্ড আই(ajana) সক্রিয় করতে হয়। এটা সক্রিয় করলে একরকমের এনলাইটমেন্ট ঘটে। তখন higher dimension এর দরজা সম্পূর্ন খুলে যায়, তখন স্পিরিচুয়াল বিং সরাসরি যেকোন সময় আপনার শরীরে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পেয়ে যায়। সারাক্ষন আপনার চিন্তাভাবনা ও কাজ কর্মে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পায়। এমতাবস্থায় ধ্যানে আপনি চাইলে অজস্র স্পিরিট বিং দের দেখতে পাবেন। সে এক অন্য জগৎ। এই থার্ড আই সক্রিয় করনের দ্বারা মানুষ দূরদৃষ্টি(clair voyance) লাভ করে। সেরকম দূরের কিছু শুনতেও পারে। আপনি চোখ বন্ধ করলেও আশেপাশে বা দূরবর্তী অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এই ক্ষমতাকে তখন psychic ability ও এদেরকে সুপারহিউম্যান বলা শুরু হয়। ভারতের এক হিন্দু মেয়ের এরকম ক্ষমতাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে ভিডিও পর্যন্ত করা হয়েছে। তাকে চোখ বেধে দিলেও দূরে বসে কিছু লিখলে সেটা দেখতে পায় এমনকি সামনের কারো শরীরের ভেতরের সমস্যাগুলোও বলতে পারে। দেখুনঃ
https:// m.youtube.com/ watch?v=ZtLkzg8b FgA
.
https:// m.youtube.com/ watch?v=AuVipYyR 23E
.
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এটা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে থার্ড আই সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে ধ্যান ইয়োগা শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যঃ এনলাইটমেন্ট চাই।
.
এতক্ষন যা বলেছি তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না বুঝলে আফসোস! উপরে বর্নিত চক্র গুলো কল্পনার দ্বারা জাগ্রত করার সময় যে এনার্জি কারেন্টের কথা বলা হচ্ছে সেটা জ্বীন ছাড়া আর কিছু না। ওরা পরবর্তীতে সরাসরি 'স্পিরিট বিং' শব্দ গুলোও ব্যবহার করে। ধ্যানের প্রতিটি চক্র এক্টিভেশনের নামে ধীরে ধীরে আপনার ও ওদের ডাইমেনশনের গেইটওয়ে খুলে দেওয়া হয়। আপনার উপর ওর স্বাধীন এক্সেস পাইয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ পজেশনের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। এটাকে নাম দিয়েছে চেতনা জাগ্রতকরন। কথা সত্য, অর্থাৎ আপনার মধ্যে ক্বারীন শয়তানের চেতনা জাগিয়ে তোলা হয় এবং আপনার মধ্যে ওদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সফল হয় যখন কাল্পনিক থার্ডআই সক্রিয় করার নামে ধ্যান করা হয়। এখানে একটা বিষয় হচ্ছে এ অবস্থায় যাবার আগেই আপনাকে শয়তানের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে surrender করতে হবে। এজন্য ধ্যানকালে এই এনার্জির সঞ্চালনের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে হবে।।কথিত থার্ড আই বা ষষ্ঠ চক্র যখন খুলে যাবে তখন আপনি একরকমের শয়তানের খাটি গোলামে পরিনত হবেন। সে আপনার মধ্যে আসবে যাবে। আপনার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, শয়তান জ্বীনের দৃষ্টি দ্বারা দূরের জিনিস আপনার চোখ বন্ধ থাকলেও পেনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা দেখাবে। অর্থাৎ আপনার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার প্রায় শয়তান দখলে নিয়ে নেবে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং Penial gland কে কোন এডাপ্টার হিসেবে ধরুন যা শয়তানের প্রবেশপথ তৈরি করে। হূমায়ূন আহমেদ নামের আমাদের দেশের জনপ্রিয় mystic লেখক তার উপন্যাসের বইতেও এসবের ব্যপারে মাঝেমধ্যে টেনে ধোঁয়াশা এবং কৌতূহল তৈরি করতেন। Penial gland আরো কিছু প্রক্রিয়াতেও সক্রিয় করে শয়তানের প্রবেশের দুয়ার(ডাইমেনশনা ল গেইটওয়ে) খোলা যায়। যেমন বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ যেমনঃ আইয়োস্তকা,এলএসড ি, ডিএমটি,ফিলিসাইব িন ইত্যাদি আরো কিছু। কিছু মাশরুমেও এ গুন আছে। শ্যামানরা ধ্যান না করে এই উপায়কে সবচেয়ে বেশি অবলম্বন করে।
.
শয়তানের দ্বারা possessed এ ভারতীয় শিশু মেয়েকে এক ইন্টার্ভিউয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে কি যে কোন সময়ই চোখ বুঝলে নিজের ইচ্ছামত দূরত্বের জিনিস দেখতে পায়? উত্তরে সে বলে, সে সবসময় দেখতে পায় না। তার মনমেজাজ ভাল না থাকলে চেষ্টা করলেও দেখতে সক্ষম হয় না। এটা সবসময় তার ইচ্ছাধীন নয়।
.
থার্ড আই সক্রিয় করনে এই রূপ অলৌকিক ক্ষমতা লাভের কথা শুনে হাজারো মানুষ ঝটপট এই কাল্পনিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন শুরু করেদেয়। তারা এমনকি আগের প্রসেস গুলোও পার করে না। অর্থাৎ শয়তানকে আপনার ইন্টেনশনের বিষয়টা না বুঝতে দিয়ে হুটহাট করতে গেলে যা হয়। আপনি তো অন্তত কয়েকদিন আপনার মধ্যে শয়তান জ্বীনকে ঘোরাফেরার সুযোগ(কাল্পনিক চক্রগুলো ব্যালেন্স করা) করে দিবেন তো। না দিলে তো ভয় দেবেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ ধ্যানের সময় শয়তানের ভয়ংকর রূপ দেখে চরমভাবে আতঙ্কিত হয়েছে। কেউ কেউ ধ্যানের মধ্যেই ফিজিক্যাল আক্রমণের স্বীকার হয়েছে। কেউ বা হয়েছে পজেসড। দেখুনঃ
https:// m.youtube.com/ watch?v=z-iCdeQw NFs
.
অত্যন্ত জনপ্রিয় এসোটেরিক(বাতেনি -ইল্মুল লাদুনি) এ সকল শয়তানি শিক্ষার একটা ইউটিউবের লিংক দিয়ে দিলাম। এরাই এসমস্ত কাজের শিক্ষা দেয়, আবার সরাসরি থার্ড আই ওপেন এর রিস্কের ব্যপারে সতর্ক করেও দিচ্ছে। চমৎকার কিছু তথ্য দিয়েছে। অবশ্যই দেখবেনঃ
https:// m.youtube.com/ watch?v=-rLp3Pqj 4IY
.
শেষভাগে একদম প্রকাশ্যে বলছে যে, 'এই স্পিরিট বিং রা হচ্ছে ডিমন(শয়তান), যারা এদের ভয় পায় বা আমরা যেন ভয় করি(দূরে রাখার জন্য) এজন্য এরকম নাম দিয়েছে। এরা সবসময়েই আমাদের সাথে থাকে অথচ আমরা এদের দেখতে পাই না(অর্থাৎ ক্বারিন শয়তান)। পাইনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা এদের দুয়ার উন্মুক্তকরনের দ্বারা আমরা এদের থেকে অনেক intuition, তথ্য, জ্ঞান, সিদ্ধান্ত নিতে পারি....প্রত্যে কেরই অবশ্যই থার্ড আই জাগ্রত করা উচিত কিন্তু অবশ্যই এর জন্য প্রস্তুত হয়ে। স্পিরিচুয়াল আর ফিজিক্যাল রেল্মের মধ্যে হার্মোনি তৈরি করে বেচে থাকতে হবে.....' ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
.
আশা করি এবার সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন এরা কি করে! এরা 'যোগ'(yoga) ধ্যান করে শয়তান জ্বীনের সাথে 'যোগ' করার জন্য। এরা চিত্রের ন্যায় আপনাকে আল্লাহর সাথে যোগ হবার জন্য ধ্যানের আহব্বান জানাবে। বস্তুত এই শয়তানের উপাসকরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় আপনাকে খাটি মুশরিক ও কাফির বানানোর জন্য। আর আপনিও নির্বোধের মত কোয়ান্টাম ম্যাথডের গুরুজির কাছে যান। আপনি বুজুর্গের বেশধারী সুফিপীর ফকির শয়তানগুলোর কাছে
যান মোরাকাবা শিখতে। বেলেরভীরা(উপমহা দেশীয় ছুন্নি) তো দেওবন্দীদের(কওম ি) চেয়েও এসবে এগিয়ে। এজন্যই এরা শয়তানের সান্নিধ্যে গিয়ে আল্লাহর ব্যপারে আজেবাজে কথা বলে। এরা বলে ওয়াহদাতুল উজুদের(সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের) কথা, ইত্তেহাদের(সর্ব েশ্বরবাদ) কথা, হুলুলের কথা। এদের নাম মুসলিমদের মত অথচ প্যাগান যাদুকরদের মত সর্বেশ্বরবাদ, অদ্বৈতবাদ, পুনঃজন্মবাদের কথা বলে। বস্তুত, এদের অনেকেই পুনরুত্থান দিবসের ব্যপারে সন্দিহান। এরা অবাধ্য শয়তানের কথাকে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে আজেবাজে কথা বানিয়ে প্রচার করছে।
আল্লাহ বলেনঃ
.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاء إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاء اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ
.
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশি ষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন
(সূরা হাজ্জ্বঃ ৩-৭)
.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ
.
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। (সূরা ফাতিরঃ৫-৬)
.........
এই বিষয়গুলো অধিকাংশই জানে এরপরেও কিছু লোক শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহন করবেই।
.
ডক্টর স্টিফেন স্ট্রেঞ্জ(Movie
প্রশ্ন করলে সর্সারিজ(যাদুকা
অর্থাৎ এটাই একদম প্রারম্ভিক মৌলিক শিক্ষা ও চর্চা।
.
এই চক্রগুলো মূলত কি জিনিস! আর এগুলো সক্রিয় বা জাগ্রত করার মানেও বা কি?
__
ধ্যানের মাধ্যমে এসব এ্যাক্টিভেশনের প্রক্রিয়াগুলোকে
https://
.
https://
.
মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এটা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে থার্ড আই সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে ধ্যান ইয়োগা শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যঃ এনলাইটমেন্ট চাই।
.
এতক্ষন যা বলেছি তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না বুঝলে আফসোস! উপরে বর্নিত চক্র গুলো কল্পনার দ্বারা জাগ্রত করার সময় যে এনার্জি কারেন্টের কথা বলা হচ্ছে সেটা জ্বীন ছাড়া আর কিছু না। ওরা পরবর্তীতে সরাসরি 'স্পিরিট বিং' শব্দ গুলোও ব্যবহার করে। ধ্যানের প্রতিটি চক্র এক্টিভেশনের নামে ধীরে ধীরে আপনার ও ওদের ডাইমেনশনের গেইটওয়ে খুলে দেওয়া হয়। আপনার উপর ওর স্বাধীন এক্সেস পাইয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ পজেশনের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। এটাকে নাম দিয়েছে চেতনা জাগ্রতকরন। কথা সত্য, অর্থাৎ আপনার মধ্যে ক্বারীন শয়তানের চেতনা জাগিয়ে তোলা হয় এবং আপনার মধ্যে ওদের যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়া হয়। আর এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে সফল হয় যখন কাল্পনিক থার্ডআই সক্রিয় করার নামে ধ্যান করা হয়। এখানে একটা বিষয় হচ্ছে এ অবস্থায় যাবার আগেই আপনাকে শয়তানের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে surrender করতে হবে। এজন্য ধ্যানকালে এই এনার্জির সঞ্চালনের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে হবে।।কথিত থার্ড আই বা ষষ্ঠ চক্র যখন খুলে যাবে তখন আপনি একরকমের শয়তানের খাটি গোলামে পরিনত হবেন। সে আপনার মধ্যে আসবে যাবে। আপনার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, শয়তান জ্বীনের দৃষ্টি দ্বারা দূরের জিনিস আপনার চোখ বন্ধ থাকলেও পেনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা দেখাবে। অর্থাৎ আপনার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার প্রায় শয়তান দখলে নিয়ে নেবে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এবং Penial gland কে কোন এডাপ্টার হিসেবে ধরুন যা শয়তানের প্রবেশপথ তৈরি করে। হূমায়ূন আহমেদ নামের আমাদের দেশের জনপ্রিয় mystic লেখক তার উপন্যাসের বইতেও এসবের ব্যপারে মাঝেমধ্যে টেনে ধোঁয়াশা এবং কৌতূহল তৈরি করতেন। Penial gland আরো কিছু প্রক্রিয়াতেও সক্রিয় করে শয়তানের প্রবেশের দুয়ার(ডাইমেনশনা
.
শয়তানের দ্বারা possessed এ ভারতীয় শিশু মেয়েকে এক ইন্টার্ভিউয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে কি যে কোন সময়ই চোখ বুঝলে নিজের ইচ্ছামত দূরত্বের জিনিস দেখতে পায়? উত্তরে সে বলে, সে সবসময় দেখতে পায় না। তার মনমেজাজ ভাল না থাকলে চেষ্টা করলেও দেখতে সক্ষম হয় না। এটা সবসময় তার ইচ্ছাধীন নয়।
.
থার্ড আই সক্রিয় করনে এই রূপ অলৌকিক ক্ষমতা লাভের কথা শুনে হাজারো মানুষ ঝটপট এই কাল্পনিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন
https://
.
অত্যন্ত জনপ্রিয় এসোটেরিক(বাতেনি
https://
.
শেষভাগে একদম প্রকাশ্যে বলছে যে, 'এই স্পিরিট বিং রা হচ্ছে ডিমন(শয়তান), যারা এদের ভয় পায় বা আমরা যেন ভয় করি(দূরে রাখার জন্য) এজন্য এরকম নাম দিয়েছে। এরা সবসময়েই আমাদের সাথে থাকে অথচ আমরা এদের দেখতে পাই না(অর্থাৎ ক্বারিন শয়তান)। পাইনিয়াল গ্ল্যান্ডের দ্বারা এদের দুয়ার উন্মুক্তকরনের দ্বারা আমরা এদের থেকে অনেক intuition, তথ্য, জ্ঞান, সিদ্ধান্ত নিতে পারি....প্রত্যে
.
আশা করি এবার সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন এরা কি করে! এরা 'যোগ'(yoga) ধ্যান করে শয়তান জ্বীনের সাথে 'যোগ' করার জন্য। এরা চিত্রের ন্যায় আপনাকে আল্লাহর সাথে যোগ হবার জন্য ধ্যানের আহব্বান জানাবে। বস্তুত এই শয়তানের উপাসকরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় আপনাকে খাটি মুশরিক ও কাফির বানানোর জন্য। আর আপনিও নির্বোধের মত কোয়ান্টাম ম্যাথডের গুরুজির কাছে যান। আপনি বুজুর্গের বেশধারী সুফিপীর ফকির শয়তানগুলোর কাছে
যান মোরাকাবা শিখতে। বেলেরভীরা(উপমহা
আল্লাহ বলেনঃ
.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاء إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاء اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍقَدِيرٌ
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ
.
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ
(সূরা হাজ্জ্বঃ ৩-৭)
.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ
.
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন তারা জাহান্নামী হয়। (সূরা ফাতিরঃ৫-৬)
.........
এই বিষয়গুলো অধিকাংশই জানে এরপরেও কিছু লোক শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহন করবেই।
0 Comments:
Post a Comment