যখন মহাঋষি পিথাগোরাস মশাই মিশরে গিয়ে ব্যাবিলন থেকে আসা ম্যাজিয়ানদের থেকে প্যাগান থিওলজি ধার করে আনেন, গ্রীস হয়ে যায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু। তিনিই সর্বোপ্রথম 'গোলপৃথিবী'র ধারনার প্রচারকার্য শুরু করেন। তার থেকে গ্রীস,আরব সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। কস্মোলজিক্যাল রিরাইটিং তার থেকেই শুরু হয়। ৩৩ ডিগ্রি ফ্রিম্যাসন এলবার্ট পাইক সাহেব ওনার মতবাদের এর ব্যপারে বলেনঃ
.
"পিথাগোরাস প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঋষি খেতাব, যার মানেঃযিনি জ্ঞানী। তিনি ঐসব দার্শনিকদের তৈরি করেছিলেন যারা গুপ্তবিদ্যা ও যাদুবিদ্যা অর্জনে পড়াশুনা এবং পছন্দ করত। তিনি যে মহাকাশবিদ্যা(এস ্ট্রোনমি) শিক্ষা দিয়েছেন, তা মূলত জ্যোতিষশাস্ত্র( এস্ট্রলজি): তার সংখ্যাবিজ্ঞানের ভিত্তি ছিল কাব্বালার মূলনীতি। সবকিছু সংখ্যার আবরণে ঢাকা।"
[এলবার্ট পাইক,মোরালস এন্ড ডগমা]
.
যাহোক, তার কন্সেপ্ট ধীরে ধীরে অন্যান্য যাদুকরদের হাতে আরো সমৃদ্ধ হতে থাকে। আউটার স্পেস, গ্র্যাভিটি, কোটি কোটি ছায়াপথ, সোলার সিস্টেমের নোশন ডেভেলপ হতে শুরু করে, সব কিছুর রিলেটিভ ব্যাখ্যা,ম্যাথম ্যাটিকস প্রভৃতি দিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে সেসব গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। এই মহাতত্ত্বের উপর যেরকম প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে তেমনি অনেক (স্ববিরোধী কিন্তু নীতি বিবর্জিত নয়- প্যারাডক্স) সমস্যাও তৈরি হয়। উদ্ভূত ওইসব সমস্যার সমাধানও রাতারাতি তৈরি করা হয় কথিত বৈজ্ঞানিকগনের হাতে। এরকম একটা সমস্যা বা জিজ্ঞাসা তৈরি হয় ফিজিসিস্ট এন্রিকো ফার্মির কাছে। তার প্রশ্ন ছিল এইরূপ - মহাবিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ছায়াপথে বিলিয়ন বিলিয়ন সোলার সিস্টেমে কোটিকোটি পৃথিবীর মত বাসযোগ্য গ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক, তেমনি ভাবে মানুষের মত বা তারচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান প্রানীরও অস্তিত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে এবং আজ পর্যন্ত তাদের কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না কেন(?)।কেনই বা তারা দুনিয়াতে হামলা চালাচ্ছে না!! এন্রিকো ফার্মির জীবনাবসান ঘটে ১৯৫৬ সালে।
https/ en.m.wikipedia.o rg/wiki/ Fermi_paradox
.
ব্যস, তখন থেকে শুরু হয়ে গেল UFO(আনআইডেন্টিফ াইড ফ্লাইং অবজেক্ট) sighting। বিভিন্ন আকৃতির মহাকাশ যান দর্শন। সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছিলো ডিস্ক শেপড ফ্লাইং অবজেক্ট বা সসার। বিভিন্ন ম্যাগাজিন -পত্রিকায় শুরু হলো এলিয়েন প্রোপাগান্ডা। সাাইন্সফিকশন গপ্প ছিল এলিয়েন ফ্যান্টাসিতে ভরপুর। হলিউড সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। স্পেস ট্রাভেল,চন্দ্রা ভিযান, এলিয়েন এনকাউন্টার নিয়ে অজস্র মুভি আসতে থাকে। রোনাল্ড রিগ্যান সাহেবগনও এলিয়েন ইনভ্যাশনের এলার্ম দিয়ে দেন।ব্যস, শিক্ষিত পাব্লিকের মাথায় গেঁথেই গেল এলিয়েনিজম। এর অনেক পরে এলিয়েন এবডাকশনের কাহিনী শুরু হয়। চারদিক থেকে বিভিন্নরকম তথ্য প্রমান আসতে শুরু করে। এরপরে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু হয়, এই ইউএফও'র মালিকগন দুনিয়ারই প্রডাকশন। মানবজাতির চেয়েও পুরাতন রেস। অনেক বড় নির্ভরযোগ্য তথ্য আসতে থাকে যে, এই 'এলিয়েন জাতি' নেভাডার এরিয়া ৫১ তে মানুষের সাথে এক হয়ে গবেষনা কাজ চালাচ্ছে। 😆 । এখন অনেক ধ্যান-যোগসাধকগন চ্যানেলিং করেন, এলিয়েনগনের সাথে টেলিপ্যাথিক কন্টাকও হয়। যন্ত্রপাতি হাকিয়ে আকাশের দিকে মুখ করতে হয়না, কিছু পাঠাতেও হয় না।
.
কিন্তু এই জাতের আজীব এলিয়েন(শয়তান জ্বীন) শো অফ সম্পূর্ন সমাধান দেয় না।
কোটি কোটি ছায়াপথের মাঝে কোটি কোটি সোলার সিস্টেমের লক্ষ লক্ষ এডভ্যান্স সভ্যতাগুলো তো মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর ধরে Evolved হতে হতে টেকনোলজিক্যাল সিঙ্গুলারিটিতে স্পর্শও করে ফেলেছে। 😆 তো, আমরা তাদের টেকনোলজিক্যাল এডভান্সমেন্টের কোন প্রমান দেখছি না কেন, এত কাল গেল, এত প্রতীক্ষা চললো এরপরেও তাদেরকে কেন দুনিয়ায় হানা দিতে দেখা যাচ্ছে না!! আমাদের দখলও করছে না। এলিয়েন ইনভ্যাশন কেবল মুভিতেই আটকে আছে। এই প্যারাডক্স এখনো মানুষকে ভাবায়। এর উত্তরে অভিনব হাইপোথেটিক্যাল ট্রোল চলে এসেছে। । ট্র্যান্সেনশন হাইপোথেসিস। 😆
.
এলিয়েনগন এখন outer-space বাদ দিয়ে inner space travel শুরু করে দিয়েছেন। কিরকম?
.
ধরুন আগে টেকনোলজির সব কিছু ছিল বড় সাইজের, দিন যতই যাচ্ছে উন্নয়নের সাথে সাথে সব কিছু ছোট হচ্ছে। এভাবে ছোট হতে হতে এক পর্যায়ে সাব এটমিক লেভেলে চলে আসে। আগের যুগের কম্পিউটারের সাইজের কথা ভাবুন, আর আজকের হাতের মুঠোর স্মার্টফোন কত ছোট অথচ অনেক বেশি স্মার্ট। স্মার্ট ডাস্টও চলে এসেছে। এভাবে ক্ষুদাতিক্ষুদ্র হতে হতে মিনি ব্ল্যাকহোল তৈরি করে থ্রি ডাইমেনশনভেদ করে হায়ার ডাইমেনশনে চলে যাবে। এভাবে এলিয়েনগন তারা সময়ভ্রমনের দ্বারা ভবিষ্যতে চলে গেছে। এজন্য তাদের কোন খোজখবর নেই। আমাদেরকেও এভাবে টেকনলজিক্যাল সিংগুলারিটি অর্জনের পরে দুচারশত বছর পরে এরকম ক্ষমতা দেবে। তখন আমরাও ইনার স্পেস ভ্রমন করে এলিয়েনদাদাদের সাথে হাই হ্যালো জানাতে পারব। 😆
.
চলুন এই এডভ্যান্স কাটিং এজ ট্রোলটি উত্তেজিত জ্যাসন সিলভার মুখ থেকেই শুনিঃ
http:// youtube.com/ watch?v=nQOyJUDT KdM
.
এখানে আসল ব্যপারটা হচ্ছে হায়ার ডাইমেনশন এবং সেখানকার হায়ার ইন্টেলিজেন্সের অস্তিত্বকে প্রমোট করা।আমরা ভাল করেই জানি এই ইন্টেলিজেন্স কারা। জ্বীন-শয়তান। সহজ ভাষায় শয়তান-জ্বীনদের সাথে র্যাশনাললি যোগাযোগ করাকে জাস্টিফাই করা। এটা এ যুগের পিথাগোরাসের উত্তরসূরি এস্ট্রলজার,স্পি রিচুয়ালিস্ট, উইচদের আকর্ষন করেছে। আসুন এক প্যাগান এস্ট্রোথিওলজিস্ টের মুখে 'সুপারকুল-সুপার ইন্টারেস্টিং' ট্রান্সেনশন হাইপোথেসিস বিস্তারিত শুনিঃ http:// youtube.com/ watch?v=viqbG4MT -9w
.
কাফেরদের প্রপাউন্ডেড থিওরিগুলো বস্তুত একধরনের হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্টিক। ওরা প্রবলেম, রিয়্যাকশন ও সল্যুশন এর নীতি অনুসরন করে। সমাধান আগে জেনেই নিজেরাই সমস্যা বানায় এরপরে পাব্লিকের রিয়্যাকশন পেয়ে সল্যুশনের দিকে হাটায়। যাদুকর পিথাগোরাস সাহেব শিখিয়েছিলেন ভন্ড এস্ট্রলজি যা পরবর্তীতে এস্ট্রোনমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুফরি জ্যোতিষশাস্ত্র যেকোনভাবে শয়তানের দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। এজন্য তার তত্ত্বের প্রগ্রেসের একপর্যায়ে এলিয়েন তত্ত্ব চলে আসে। সেজন্য প্রোপাগান্ডা চালিয়ে শয়তান জ্বীনদেরকে ভিন্ন ভাবে ডিফাইন করায়। এখন ট্রান্সেশন হাইপোথেসিস তাদের হায়ার ডাইমেনশনে অবস্থানের ব্যপারটা অনেক প্রজ্ঞার সাথে সামনে এনেছে। আমাদেরকেও ওদের ডাইমেনশনে ট্রান্সেন্ড হবার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বড় আফসোসের বিষয়, আমরা কাফেরদের দূরদর্শিতাপূর্ন ভ্রান্ত মিথ্যাচারকে ভক্তিসহকারে গ্রহন করি। ওদের পাতানো শয়তানি ফাদকে ফাঁদই মনে করিনা আমরা। কুফফারদের চিন্তাকে গ্রহন করেই ক্ষান্ত নই আমরা, উহাকে কুরআন সুন্নাহর সম্পূর্ন বিপরীতার্থক কথাকেও যুক্তি দিয়ে জোর করে কম্প্যাটিবল বানাই। কেউ যদি সব খুলে খুলে বর্ননা করে সাবধানও করে, তবে তার কথাকে ভুল প্রমানকরন ও তামাশা করতেও বিরত হইনা।
.
"পিথাগোরাস প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঋষি খেতাব, যার মানেঃযিনি জ্ঞানী। তিনি ঐসব দার্শনিকদের তৈরি করেছিলেন যারা গুপ্তবিদ্যা ও যাদুবিদ্যা অর্জনে পড়াশুনা এবং পছন্দ করত। তিনি যে মহাকাশবিদ্যা(এস
[এলবার্ট পাইক,মোরালস এন্ড ডগমা]
.
যাহোক, তার কন্সেপ্ট ধীরে ধীরে অন্যান্য যাদুকরদের হাতে আরো সমৃদ্ধ হতে থাকে। আউটার স্পেস, গ্র্যাভিটি, কোটি কোটি ছায়াপথ, সোলার সিস্টেমের নোশন ডেভেলপ হতে শুরু করে, সব কিছুর রিলেটিভ ব্যাখ্যা,ম্যাথম
https/
.
ব্যস, তখন থেকে শুরু হয়ে গেল UFO(আনআইডেন্টিফ
.
কিন্তু এই জাতের আজীব এলিয়েন(শয়তান জ্বীন) শো অফ সম্পূর্ন সমাধান দেয় না।
কোটি কোটি ছায়াপথের মাঝে কোটি কোটি সোলার সিস্টেমের লক্ষ লক্ষ এডভ্যান্স সভ্যতাগুলো তো মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর ধরে Evolved হতে হতে টেকনোলজিক্যাল সিঙ্গুলারিটিতে স্পর্শও করে ফেলেছে। 😆 তো, আমরা তাদের টেকনোলজিক্যাল এডভান্সমেন্টের কোন প্রমান দেখছি না কেন, এত কাল গেল, এত প্রতীক্ষা চললো এরপরেও তাদেরকে কেন দুনিয়ায় হানা দিতে দেখা যাচ্ছে না!! আমাদের দখলও করছে না। এলিয়েন ইনভ্যাশন কেবল মুভিতেই আটকে আছে। এই প্যারাডক্স এখনো মানুষকে ভাবায়। এর উত্তরে অভিনব হাইপোথেটিক্যাল ট্রোল চলে এসেছে। । ট্র্যান্সেনশন হাইপোথেসিস। 😆
.
এলিয়েনগন এখন outer-space বাদ দিয়ে inner space travel শুরু করে দিয়েছেন। কিরকম?
.
ধরুন আগে টেকনোলজির সব কিছু ছিল বড় সাইজের, দিন যতই যাচ্ছে উন্নয়নের সাথে সাথে সব কিছু ছোট হচ্ছে। এভাবে ছোট হতে হতে এক পর্যায়ে সাব এটমিক লেভেলে চলে আসে। আগের যুগের কম্পিউটারের সাইজের কথা ভাবুন, আর আজকের হাতের মুঠোর স্মার্টফোন কত ছোট অথচ অনেক বেশি স্মার্ট। স্মার্ট ডাস্টও চলে এসেছে। এভাবে ক্ষুদাতিক্ষুদ্র
.
চলুন এই এডভ্যান্স কাটিং এজ ট্রোলটি উত্তেজিত জ্যাসন সিলভার মুখ থেকেই শুনিঃ
http://
.
এখানে আসল ব্যপারটা হচ্ছে হায়ার ডাইমেনশন এবং সেখানকার হায়ার ইন্টেলিজেন্সের অস্তিত্বকে প্রমোট করা।আমরা ভাল করেই জানি এই ইন্টেলিজেন্স কারা। জ্বীন-শয়তান। সহজ ভাষায় শয়তান-জ্বীনদের সাথে র্যাশনাললি যোগাযোগ করাকে জাস্টিফাই করা। এটা এ যুগের পিথাগোরাসের উত্তরসূরি এস্ট্রলজার,স্পি
.
কাফেরদের প্রপাউন্ডেড থিওরিগুলো বস্তুত একধরনের হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্টিক। ওরা প্রবলেম, রিয়্যাকশন ও সল্যুশন এর নীতি অনুসরন করে। সমাধান আগে জেনেই নিজেরাই সমস্যা বানায় এরপরে পাব্লিকের রিয়্যাকশন পেয়ে সল্যুশনের দিকে হাটায়। যাদুকর পিথাগোরাস সাহেব শিখিয়েছিলেন ভন্ড এস্ট্রলজি যা পরবর্তীতে এস্ট্রোনমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। কুফরি জ্যোতিষশাস্ত্র যেকোনভাবে শয়তানের দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। এজন্য তার তত্ত্বের প্রগ্রেসের একপর্যায়ে এলিয়েন তত্ত্ব চলে আসে। সেজন্য প্রোপাগান্ডা চালিয়ে শয়তান জ্বীনদেরকে ভিন্ন ভাবে ডিফাইন করায়। এখন ট্রান্সেশন হাইপোথেসিস তাদের হায়ার ডাইমেনশনে অবস্থানের ব্যপারটা অনেক প্রজ্ঞার সাথে সামনে এনেছে। আমাদেরকেও ওদের ডাইমেনশনে ট্রান্সেন্ড হবার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বড় আফসোসের বিষয়, আমরা কাফেরদের দূরদর্শিতাপূর্ন
0 Comments:
Post a Comment