Democracy:A Polytheistic Creed
Manly p. Hall |
এবার আসুন ইসলামের আলোকে গনতন্ত্রকেএকটু সুক্ষভাবে বিচার করা যাক।
চমৎকার এক অভ্রান্ত দলিলের দ্বারা গনতন্ত্রের স্বরূপকে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে।
.
একদিন রাসূল(সাঃ) আদী ইবনে হাতিম (রাঃ) এর কাছে দেখা করতে যান। আদী ইবনে হাতিম(রাঃ) খ্রিষ্টান ছিলেন। সাক্ষাৎকালে তার গলায় রৌপ্য নির্মিত ক্রুশ ঝুলছিল। রাসূল(সা) তার সামনে তিলাওয়াত করছিলেন-
اتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ
আয়াতটি। যার অর্থঃ
'তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগ
.
এটা শুনে ইবনে হাতিম (রা) তখন বলেন 'ইহুদী-খ্রিষ্টা
.
হুযাইফা ইবনে ইয়ামান(রাঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাঃ) থেকে ৯:৩১ এর তাফসীরে এরূপই বর্নিত আছে যে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে হালাল হারামের মাস'য়ালায় আলেম ও ইমামদের কথার অন্ধ অনুকরণ। সুদ্দি(রঃ) বলেন, তারা তাদের বুযুর্গদের কথা মানতে শুরু করে এবং আল্লাহর কিতাবকে একদিকে সরিয়ে দেয়।
.
অতএব, এটা সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর বিধান বাদ দেয় এবং নিজ হাতে বিধান রচনা করে তারা নিজেদেরকে রবের আসনে বসায়। সুতরাং সেসব ব্যক্তিদের আনুগত্য = তাদের উপাসনা করার শামিল। এটাই ৯:৩১ এর মূল বক্তব্য যার দলিল সরাসরি হাদিস ও সাহাবীদের তাফসির থেকে পাওয়া যায়। সেসব উপরেই উল্লেখ করেছি।
এবার ভাবুন..যে পার্লামেন্ট-আইন
এবং আপামর মূর্খ জনগোষ্ঠী কি ওই সকল ব্যক্তিদের(যারা
.
একটু সুক্ষ্মদর্শী হঊন। মনে করুন আপনি একটি গণতান্ত্রিক দলকে ভোট দিয়ে এসেছেন যে দলটি নির্বাচিত হয়ে নিজেদের তৈরি বিধান প্রনয়ন করবে। এর অর্থ আপনি নিজেকে পরোক্ষভাবে ইলাহ বানিয়েছেন। আর পরবর্তীতে ইলেক্টেড গণতান্ত্রিক দলটির বিধিবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনা আপনি আন্তরিকভাবে পালন করবেন। অর্থাৎ যারা প্রত্যক্ষভাবে নিজেদেরকে আইনদাতা হিসেবে মিথ্যা মা'বুদ রূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে, আপনি তাদেরকেই মান্য করে তাদের উপাসনাই করছেন যেমনটি আল্লাহ আহলে কিতাবের আইনরক্ষাকারী আলেম ও পন্ডিতগনের ব্যপারে ৯:৩১ আয়াতে বর্ননা করেছেন। এর অর্থ আপনি স্পষ্টভাবে শিরক করে মুশরিক হয়ে গেলেন।
.
আশা করি বুঝতে পারছেন, ডেমোক্রেসি কিরূপ massive polytheistic trap! অনেক মানুষ জেনেও শিরকের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। আহলে কিতাবিরা ওদের পন্ডিত/
আর আলেমসমাজ?? তারা ওই বাতিল বিধানের দাতা শাসক তথা বাতিল মা'বুদদের আনুগত্যের নির্দেশ দেয়! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
.
এ ব্যপারে সকল হক্কপন্থী শ্রেষ্ঠ আলেমগন একমত যে শয়তান,মূর্তি, আল্লাহর আইন(হালাল হারাম) বদলকারী, নিজ হাতে বিধান রচনাকারীরা হচ্ছে তাগুত। আর তাওহীদের দুই রোকনের প্রথমটিই হচ্ছে কুফর বিত তাগুত। অর্থাৎ তাগুতকে অস্বীকার করা। অতএব ডেমোক্রেটিক বা ম্যানমেড ল ইউজারদের মান্য করা না করা সরাসরি তাওহীদের সাক্ষ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আমাদের দায়িত্ব শুধু পৌছানো, মানা না মানা পাঠকদের নিজের উপর নির্ভর করে।
আমি এখানে গণতান্ত্রিক আইনব্যবস্থায় সাংবিধানিক আইনি ধারার সাথে ইসলামের কন্ট্রাডিকশন গুলো পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করিনি বরং গোটা মানবরচিত গণতান্ত্রিক সিস্টেমের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছি।
.
শয়তান চায় মানুষ মূর্তিপূজা ও যেকোনো পলিথেইস্টিক ক্রীডের দিকে স্থায়ীভাবে ধাবিত হোক। ম্যাস ইন্ডকট্রিনেশনের
এই গনতন্ত্রই সকল দেশব্যপী আজ কথিত 'শান্তি' প্রতিষ্ঠার চালিকাশক্তি রূপে দণ্ডায়মান। তারা 'কাফেরজাতিসংঘের
.
স্যাটানিস্ট/
_______________
৩৩ ডিগ্রি ফ্রিম্যাসনিস্ট ম্যানলি পি হল তার সিক্রেট ডেস্টিনি অব আমেরিকা নামের প্রকাশনায় বলেনঃ 'World democracy was the secret dream of the great classical philosophers.."
"The brilliant plan of the ancients has survived to our time.."
"..and it will continue to function until the great work is accomplished.. "
.
রিসার্চারদের অভিমত এই যে, তাদের ওই এন্সিয়েন্ট প্ল্যান হচ্ছে সারাপৃথিবীতে গত শতকে আম্রিকা কর্তৃক বিগ্রহ ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠা,যার জন্য এখনো যুদ্ধে লিপ্ত আছে। ২০০৫ এ প্রেসিডেন্ট বুশ এক ভাষনে বলেনঃ ' what our founder declare the new order of ages(নোভাস অর্দো সেকলোরামের অন্যতম অনুবাদ), they are acting on an ancient hope, that meant to be fulfilled'
.
ডঃ স্ট্যানলি মন্টেত্থ এক সাক্ষাতকারে বলেনঃ "অকাল্ট এজেন্ডা ইউএসএর মিলিটারি ও ফিনান্সিয়াল শক্তি ব্যবহার করে সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে কাজ করে যাচ্ছে শুধু মাত্র ওয়ানওয়ার্ল্ড স্টেট গঠনের জন্য, এ ব্যপারে প্রেসিডেন্ট বুশ খুব খোলামেলাভাবেই বলেছেন, আমেরিকার কিরূপ উদ্দেশ্য রয়েছে সারাপৃথিবীর জাতিগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার মধ্যে.. এটা বুঝতে আপনাকে ম্যানলি পি হলের লেখনী গুলো পড়তে হবে, সেখানে ডিটেইলস বলা হয়েছে গুপ্তসংগঠনগুলো ৩০০০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করেছে। আপনারা জর্জ বুশের স্পীচ পড়েছেন যেটা ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেসির পূর্বে দিয়েছেন সেখানে তিনি বলেন ২৫০০ বছর ধরে মানুষ বিশ্বব্যাপী গনতন্ত্র আনয়নের লক্ষে কাজ করেছে। "
.
ডঃ ওবাইদা হ্যারিস বলেনঃ গনতন্ত্র পার্ফেক্টেড জনগনদের দ্বারা মান্য করা সম্ভব যারা মানুষের আনুগত্য করবে, এটা সম্ভব হবে প্লেটোর দর্শন অনুযায়ী পার্ফেক্ট লিডারশীপের দ্বারা যার জ্ঞান ও ক্ষমতা উভয়ই থাকবে। গনতন্ত্রের অকাল্ট প্রমিস হচ্ছে একটি ফেয়ার ওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠা, আর এই প্রমিস হচ্ছে গুপ্ত ও অপ্রকাশিত।
.
পূর্বেই উল্লেখ করেছি ইবলিস ভাল করেই জানে কোন পন্থায় মানুষকে সহজেভাবে শিরক করিয়ে গনহারে মুশরিক বানানো যাবে। সে লক্ষ্যেই হাজার হাজার বছর সময় ধরে এই পলিথেইস্টিক দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছে।
তো, এরপরও গনতন্ত্রকে মান্য করবেন....?
“ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মাধ্যমে শতাব্দীর পর শতাব্দী চেষ্টার পর যে রাষ্ট্রব্যবস্থা র [উদারনৈতিক গণতন্ত্র] একটি কার্যকরী রূপ আমরা পশ্চিমে তৈরি করেছি, আমরা চাচ্ছি মুসলিম বিশ্বে রাতারাতি সেটা বাস্তবায়ন করে ফেলতে। এটা তো এমন না যে আপনি একটা পিসি থেকে পেনড্রাইভে কিছু ফাইল নিলেন, আর আরেকটা পিসিতে পেনড্রাইভটা লাগিয়ে ফাইলগুলো কপি-পেস্ট করে দিলেন।
পশ্চিমে যে গনতান্ত্রিক ধারা গড়ে উঠেছে, তা একদিনে হয় নি। পশ্চিমা মানুষের মনস্তত্ত্ব, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মনোভাব সবকিছু বিবেচনা করে, সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়েই ধীরে ধীরে এ ব্যবস্থা আমাদের এখানে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এমনতো না যে আমাদের এখানেও কেউ গণতন্ত্র কিংবা সেক্যুলারিযমের বিরোধিতা করেনি। সেক্যুলারিযম আর গণতন্ত্রের বিরোধিতা তো খোদ পশ্চিমেই হয়েছে। আর আমরা ভাবছি মুসলিমরা এটা চুপচাপ মেনে নেবে?
অথচ তাদের ধর্ম তাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের আছে এক হাজার বছরের বেশি ইসলামি রাষ্ট্রের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কোন গণতন্ত্র, কোন সেক্যুলারিযম ছাড়াই এক হাজার বছরের বেশি সময় মুসলিমরা পৃথিবী শাসন করেছে। যে সিস্টেম আমরা তাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছি, সেটা সরাসরি তাদের ধর্ম, তাদের নৈতিকতার কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক। তারা এটা কেন মেনে নেবে? পশ্চিমা নীতি নির্ধারকদের এটা বোঝা উচিৎ যে মুসলিমরা কখনই গণতন্ত্রকে, যেভাবে আমরা গণতন্ত্রকে বুঝি - তা মেনে নেবে না। মুসলিমরা ইসলাম চায়।“
.
ওপরের কথাগুলো সাবেক CIA- কর্মকর্তা মইকেল শ’ইয়ারের। একজন কাফির হয়ে এ সত্য যতোটা পরিষ্কারভাবে সে বুঝেছে, দুঃখজনকভাবে মুসলিম রাজনীতিবিদ আর উঠতি মুজাদ্দিদরা সেটা বুঝতে পারছেন না।
.
ওপরের কথাগুলো সাবেক CIA- কর্মকর্তা মইকেল শ’ইয়ারের। একজন কাফির হয়ে এ সত্য যতোটা পরিষ্কারভাবে সে বুঝেছে, দুঃখজনকভাবে মুসলিম রাজনীতিবিদ আর উঠতি মুজাদ্দিদরা সেটা বুঝতে পারছেন না।
أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ | 50 |
তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে? |
0 Comments:
Post a Comment