Monday, December 10, 2018

নাস্তিকতা এবং তাদের সাথে বিতর্ককারী মুসলিমদের চিন্তার বিকৃতি

এ সময়টাতে নাস্তিকতা আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। আল্লাহর নির্দেশে 'কলম' সব কিছু এভাবেই লিখেছিল সৃষ্টিজগতের সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগে। তবে এ অবস্থার বাহ্যিক কারন হিসেবে প্রথমেই রয়েছে, mainstream scientific doctrine(Natural philosophy)! আমরা আগেই দেখিয়েছিলাম ন্যাচারাল ফিলসফিই ১৯ শতকের পরে ফ্রিম্যাসন এর Royal society দ্বারা 'philosophy of science' এবং পরিশেষে 'সাইন্সের' নামে (জেসুইট)ক্যাথলিকদের সহায়তায় সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য মতাদর্শ হিসেবে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ গোড়া থেকেই এটা একটি স্বতন্ত্র দ্বীন বা মতাদর্শ বা দর্শন(ফিলসফি)। এই 'লা ইলাহার'(There is no deity) বিশ্বাসটি বিজ্ঞানের কর্ণধার সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত। শুরু হয় বাবেল শহর থেকে মিশর,গ্রীস,ভারত। এরপরে সেখানকার অবিশ্বাসের জ্ঞান আরবে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে পাশ্চাত্য এসব গ্রহন করে এবং আজকে পর্যন্ত এর বিকাশ অব্যাহত রেখেছে। কেউ মন্তব্য করতে যাবেন না যে, আইনস্টাইন সাহেব সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। আজকের মোডারেট মুসলিমরা ইসলাম প্রচারের সময় তার কুফরি কথার মিসইউজ করে। তিনি যে সৃষ্টিকর্তার কথা বলেন সেটা মূলত 'god of Spinoza'(রেফারেন্স চাই?)! অতএব সেই পিথাগোরাস,এম্পিডোক্লিস থেকে স্টিফেন হকিং- বিল ডকিন্স পর্যন্ত প্রত্যেকেই প্রায় একই ফিলসফিক্যাল গিল্ডে রয়েছেন। বাবেল শহর ভ্রমন করে আসা ডেমোক্রিটাসের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক রিয়েলিজম(প্লেটোনিক আইডিয়ালিজম আরো খারাপ) কথিত (অপ)বিজ্ঞান এত দিন বহন করে এসেছে। আর এটাকে 'নোভাস অর্দো সেকলোরাম'(অর্ডার অব এজ) বা 'নিউ সেকুলার অর্ডার' প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা, গনমাধ্যম থেকে শুরু করে সারাবিশ্বের তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে। একারনে অপবিজ্ঞানের এথেইস্টিক মতাদর্শ এত বেশি প্রোমোটেড এবং ছড়িয়ে পড়েছে। স্টিফেন হকিংসগন তো সরাসরি নাস্তিক্যবাদের কথা সাইন্টিফিক্যালি জোড় দিয়ে বলেন। তার quotes দেব নাকি দু চার‍টা? গোটা সৃষ্টিতত্ত্বকে পালটে 'Cosmological Evolution'(বিগব্যাং) শেখাচ্ছে। ফ্রিম্যাসন ইর‍্যাসমাস ডরউইন বাবেল শহরের শয়তানের আবৃত্ত(বিষয়ের অংশ) বিবর্তনবাদের 'দর্শন' গ্রহন করেছিলেন, যা তার নাতি চার্লস ডরউইন গ্রহন করে কথিত বিজ্ঞানে ঢুকিয়েই দিয়েছেন। অপবিজ্ঞানের মূল বক্তব্যই 'লা ইলাহা' বা কোন ইলাহের অস্তিত্ব নেই। হিরাক্লিটাস এই (পরজীবনের শাস্তি থেকে)অভয়ই দিতেন। ওরা শেখাচ্ছেই Materialistic Monism! জ্বি, এই অপবিজ্ঞান অনুযায়ী চণ্ডীদাসের 'সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই' বাক্যটি সত্য। মানুষকেই ডিভিনিটি দিয়ে দেওয়া হয়, এজন্য বিজ্ঞানবাদী নাস্তিকগন নিজেদেরকে মানবধর্মের অনুসারী বলে। কারন, এই 'হিউম্যানিজম'ই সাইন্টিজমের কোর টিচিং। এই নাস্তিক্যবাদ এমনই নিকৃষ্ট চিন্তাধারা যার এরূপ ব্যাপক প্রসার পূর্বে হয়েছিল বলে দলিল পাওয়া যায় না। প্রাচীন কাফির-মুশরিকরাও আল্লাহর অস্তিত্বের অস্বীকার করত না। এমনকি মক্কার মুশরিকেরাও নাহ! আল্লাহ বলেনঃ
وَلَئِن سَأَلْتَهُم مَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ الْعَزِيزُ الْعَلِيمُ
.
"আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ"(আয যুখরুফ ০৯)
সুতরাং এই pseudo-science এর নিকৃষ্টতা বুঝতে পারছেন।
.
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই কুফরের স্রোতে তাল মিলিয়ে চলতে একশ্রেনীর মুসলিম সারাজীবন তাদের মেধা খরচ করে যাচ্ছে। তারা কাফিরদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্যও ইসলামকে কুফরের সাথে খাপ খাইয়ে উপস্থাপন করে। ওদের আশা: হয়ত মেইনস্ট্রিমের কুফরের স্রোতে ভাসা কাফেররা সেই কুফরের সাথে (বানোয়াট) সাদৃশ্যতা দেখে সহজেই গ্রহন করবে। অনেক ক্ষেত্রে কাজও হয় সত্যিই গ্রহন করে কিন্তু এদের অবস্থা ভাসমান খড়ের গাদার ন্যায়। সংখ্যা বাড়বে কিন্তু কোন কাজের নয়(সমাজে আমূল পরিবর্তনসৃষ্টিকারী নয়)। কারন তাদের থট প্যাটার্ন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরিবর্তিতই থাকে। কম্প্যাটিবল উইথ কুফর!
.
যারা অপবিজ্ঞানকে ইসলামাইজড করছে,তারা ঠিক তাদের ন্যায় একই চিন্তাধারা বহন করে যারা সুদি ব্যাংকের ইসলামিক বৈধতা দিতে চেষ্টা করে, তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহ বাদ দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকে,শরীয়তের অনেক বিধানকে obsolete মনে করে....।
.
তো, ইসলামিক মর্ডানাইজেশনের সাথে যুক্ত এ শ্রেণীর মুসলিমগন যখন আজ নাস্তিক্যবাদের বৃদ্ধি দেখছে, তখন সোস্যাল নেটওয়ার্কে হাজারো গ্রুপ খুলে ওদের সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হচ্ছে। তাদের দৃষ্টিতে তারা মহৎ কাজ করছে। তারা বিতর্কে জিততে সবকিছুকে হিউম্যান পার্সেপশনের সীমাবদ্ধতায় বিচার করা শুরু করেছে। কেননা নাস্তিকরা আল্লাহ,আরশ,কুরসি,জান্নাত, জাহান্নাম, মিরাজ ইত্যাদি গায়েবের ব্যাপারে প্রশ্ন করে,যেগুলোর অপবিজ্ঞানের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক সেন্সে ব্যাখায় হয় না। তখন এ বিশেষ শ্রেনীর মুসলিমগন নিজের চিন্তার সীমাবদ্ধতা,যুক্তি এবং অপবিজ্ঞানকে ব্যবহার করে মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছে। স্বভাবতই, অপবিজ্ঞানের সাথে আল কুরআনের সামঞ্জস্য থাকবে না, এমতাবস্থায় নাস্তিকরা সাংঘর্ষিকতা নিয়ে অভিনব প্রশ্ন করছে আর এ মূর্খ শ্রেনী সাংঘর্ষিকতা নিরসনে মূল বক্তব্যকেই বাদ দিচ্ছে বা গোপন করছে, সেই অপবিজ্ঞান ঘেষা যুক্তিকেন্দ্রিক জবাব তৈরি করে দিচ্ছে।
.
চিন্তা করুন, এই অপবিজ্ঞানের কোর টিচিংই হচ্ছ নাস্তিকতা। সেকুলার সভ্যতার সাথে তাল মেলাতে এশ্রেণীর মুসলিমরাই এই (অপ)বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতা করে ইসলামের সাথে মানিয়ে নিয়েছে , এই অপবিজ্ঞান নিঃসৃত 'কুফরের' আকিদা যখন তাদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে গিয়ে সর্বত্র নাস্তিকতার প্রসার ঘটায়,তখন এর প্রশমনে,ইসলামকে সেই অপবিজ্ঞান দ্বারাই খাপ খাইয়ে (pseudo)সাইন্টিফিক রিলিজিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠার সেকি প্রচেষ্টা তাদের!! এর চেয়ে বড় মূর্খতা আর কি হতে পারে!!?
অথচ কোন যুক্তি আর অবজারভেশন নয়, আল্লাহ কুরআনকে তাদের জন্যই নাযিল করেছে যারা অদেখা বিষয়ে ঈমান আনে।সাহাবিগন(রা) এবং সকল নবীগনের অনুসারীগন কোন যুক্তি,প্রশ্ন ছাড়াই বিশ্বাস করতেন। কুরআনের শুরুতেই রহমান আল্লাহ বলেনঃ
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
.
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
.
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
.
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে
.
والَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِالآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
.
এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। (সূরাতুল বাকারা:২-৪)
.
ওই বিশেষ শ্রেনীর মুসলিমদের উদাহরণ এরূপ যে, একটি জমির নাম 'অপবিজ্ঞান'! সেখানকার বাসিন্দারা হিউম্যানিস্ট atheist । এখন বাহির থেকে কিছু মুসলিম নামের লোক জোর করে সে জমিতে প্রবেশ করে এবং তাতে থাকতে এবং চাষাবাদ করতে চায়,বাহিরের অনুপ্রবেশকারী বিধায় তাদেরকে অপবিজ্ঞানের জমিতে মানিয়ে নিতে হচ্ছে, এবার সেই Atheist গনের সাথে বিরোধ শুরু হলো। atheist গন তাদের স্বীয় অপবিজ্ঞানের জমিতে মুসলিমদেরকে চাষাবাদ করতে দিতে চায় না, ওরা চায়, হয় তাদেরকে atheist হতে হবে, নয়ত সাংঘর্ষিক চিন্তাধারা গুলো তারা(atheist) প্রকাশ করে বার বার আক্রমন করা হবে। এবার মুসলিম নামধারী গন ভাবলেন, আপোষে আসতে হবে, সাংঘর্ষিকতা থাকে না এমন মতাদর্শের দাবি করতে হবে তবেই অপবিজ্ঞানের ভূমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ এবং দিনাতিপাত করা যাবে, অন্তত অপবিজ্ঞানের ভৎসনা শুনতে হবে না, তাদের কর্তৃত্ব মেনে সুখেই থাকা যাবে।
.
আরেকটি দৃশ্যকল্পের অবতারনা করা যাক, ধরুন পৃথিবীব্যাপী বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। সভ্যতা বলতে যেন বৌদ্ধধর্মেই বিদ্যমান। মানুষ গনহারে বৌদ্ধমত গ্রহন করছে। অনেক মুসলিম মুর্তাদ হয়ে যাচ্ছে। এবার কিছু মুসলিম অবস্থা ঠেকাতে ভাবলো, বৌদ্ধমত এবং ইসলামের মধ্যে সাংঘর্ষিকতা গুলো বাদ দিয়ে দ্বীন প্রচার করতে হবে। মুর্তাদদের দেখাতে হবে, দেখো! বৌদ্ধধর্মে যা আছে, তা আমাদের এ ইসলামেও আছে। অমুক আয়াতের অমুক শব্দের বুৎপত্তিগত শব্দের সংস্কৃত অনুবাদ গুলো যেন কালচক্র তন্ত্রের কথাই বলছে। দেখলে! কতটা আধুনিক!! আধুনিক বৌদ্ধ সভ্যতার সাথে ইসলাম ১০০% সাদৃশ্যপূর্ণ! মূল বৌদ্ধমতই ইসলাম বহন করে। বৌদ্ধদর্শনময় ইসলাম। মহাগুরু গৌতম বুদ্ধ বলেন, বুদ্ধিজম উইথআউট রিলিজিয়ন ইজ লেইম,..... ইজ ব্লাইন্ড! (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ)
[এলিগোরিক্যালি বুঝানো হয়েছে, কিন্তু এখানে যা বলা হয়েছে, সেটা কিন্তু বাস্তবেও ঘটছে। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই প্রচলিত অপবিজ্ঞান বেদান্তবাদ, বৌদ্ধমতকেই র‍্যাশোনালাইজ এবং সাইন্টিফিক করেছে,সেখান থেকেই দর্শনগুলো গ্রহন করে সাইন্স বানিয়েছে। আইনস্টাইনও বৌদ্ধমতের স্তুতি গাওয়া থেকে বিরত থাকে নি।যাহোক,এটা আরেক লম্বা আলোচনা]
.
অপবিজ্ঞান যখন মুসলিমদের তাওহীদ প্রতিষ্ঠায় ঔদাসীন্যতার দরুন সেকুলার সভ্যতা সংস্কৃতির সত্য মিথ্যার মানদন্ডে এলো তখন ইসলামের বিভিন্ন হুকুম আহকামকে কাফেররা প্রশ্ন বিদ্ধ করলো। যেমন ধরুন, সেকুলাজিমে জিহাদ সন্ত্রাসবাদ, দাসদাসী প্রথা,শরীয়তের শাস্তিগুলো সেকেলে বর্বর বিধান প্রভৃতি।। এসবের জবাবে, সেই মুসলিমরা সেকুলারিজমে গ্রহণযোগ্যতা পায় এমন উত্তর প্রস্তুত করে প্রচার করছে। এটাই চিন্তার দূষন! এ ব্যপারে বিস্তারিত শাইখ তামিম আল আদনানীর মুখে শুনুনঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=129365794406346&id=106276653381927
ওরাও(বিশেষ এ শ্রেনীর মুসলিম) আজ কাফেরদের সাথে তাল মিলিয়ে কিত্বালকে সন্ত্রাসবাদ উগ্রবাদ বলছে। ওরাও কাফেরদের সাথে গলা মিলিয়ে বলছে মৌলবাদী,গোড়া মুসলিমদের জন্য আজ ইসলামের এ দুর্দশা। ওদের অন্তর ফেড়ে যেন বের হতে চায় 'Be a secular muslim(!),Be one of us'। মৌলবাদী মুসলিমদের প্রতি তাদের এও বলতে দেখেছি, (নাস্তিকদের দাওয়াত দেওয়ার মত মহান কাজ তোমাদের দ্বারা হয় না), তোমরা বেশি বেশি করে যিকির করে জান্নাতে যাও, যদি যিকর করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাও হাতে গুড় লাগিয়ে নিও,আপনাদের উগ্র মৌলবাদীদের জন্যই আজ মুসলিম জাতি এত পিছিয়ে/এ করুন দশা'।
.
এই শ্রেনীর মুসলিমগন নাস্তিকদের প্রতি সহিষ্ণু! তারা আল্লাহ ও তার রাসূলকে(সা)উদ্দেশ্য করে করা ওই নিকৃষ্ট জীব নাস্তিকদের গালমন্দ গুলো সহ্য করে। তারা সেসব কাফির যিন্দিকদের প্রতি কঠোর আচরন কারী মুসলিমদের ঘৃনার চোখে দেখে, ওরা বলে নাস্তিকদের কাছে ইসলামকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি তাই আজ তারা নাস্তিক, মুর্তাদ। অথচ আপনি দেখবেন সেসব নাস্তিকদের মূল বিদ্বেষ গুলো ইসলামের মৌলিক আকিদা এবং হুকুম আহকামকে ঘিরে, ওরা রাসূল(সা) এর পবিত্র চরিত্র নিয়ে কটুক্তি করে, সরাসরি তাকেই সন্ত্রাসী- জঙ্গী বলে। শুনুনঃ https://youtu.be/AF_LBe7wfio
.
অতএব, কাফেররা সব জেনেই কুফরি করে, সুতরাং যাদের থেকে রহমান আলো তুলে নেন, আপনি সে আলো প্রদানকারীর কে?? আপনি বিতর্ক করছেন!(?) অথচ দিন শেষে ওরা ওদের কুফরিতেই অটল থাকে। অতএব তাদের সাথে বিতর্ক বা আলোচনা করে ওদের মুখ থেকে এমন কিছু কেন বের করছেন, যা আল্লাহ ও তার রাসূল(স) এর জন্য কষ্টকর!?
আল্লাহ বলেনঃ
وَمَا أَنتَ بِهَادِي الْعُمْيِ عَن ضَلَالَتِهِمْ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِآيَاتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ
.
"আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ"
.
وَمَا أَنتَ بِهَادِي الْعُمْيِ عَن ضَلَالَتِهِمْ إِن تُسْمِعُ إِلَّا مَن يُؤْمِنُ بِآيَاتِنَا فَهُم مُّسْلِمُونَ
.
আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান(আর রূমঃ৫৩)
.
وَمَن يَهْدِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّضِلٍّ أَلَيْسَ اللَّهُ بِعَزِيزٍ ذِي انتِقَامٍ
.
আর আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আল্লাহ কি পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?(আয যুমার-৩৭)
.
আপনারা কি জানতে ইচ্ছুক ওই বিশেষ শ্রেনীর মুসলিম কারা!?
.
তারা মোডারেট মুসলিম। তাদের মধ্যে মুরজিয়া আছে, আছে সালাফি দাবিদার মাদখালি(ফেক সালাফি),সামান্য সংখ্যক হানাফি এবং বিরাট সংখ্যক জ্ঞানহীন মুসলিম, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের বিশুদ্ধ আকিদা রাখে এরকম মুসলিমরাও রয়েছে যারা পরিস্থিতির জন্য বা তথ্যগত সীমাবদ্ধতার জন্য অপবিজ্ঞান অনুসরন করেন(তাদেরকে আমরা মুর্জিয়া বা মোডারেট বলিনা)। স্বল্প জ্ঞানী মুসলিমদের সামনে সত্যমিথ্যা উপস্থাপন করলে তারা সত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করে, কিন্তু বাকিরা অধিকাংশই তাদের বিকৃত নীতিবোধে অটল থাকে।
কাফেরপ্রিয় মোডারেট মুসলিমদের ব্যপারে হালকা জানুনঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1982828705367095&id=1918704388446194
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1992911857692113&id=1918704388446194




আর্টিকেলটা কাউকে খোঁচা দিয়ে করা নয়। ইতোপূর্বেও এসব নিয়ে লিখতাম এখনো লিখি, সামনেও লিখব। যারা সত্যকে ভুল জানে আর ভুলকে সত্য জানে(জাহেলে মোরাক্কাব), তারা হয়ত উপকৃত হবে। প্রথম দিককার বক্তব্য সবার বোধগম্য হবে না। নিচের লিংক গুলো তাদের জন্য সহজ করবে, আশা করি।

বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞানঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/documentary-article-series_10.html

0 Comments:

Post a Comment