আব্বাসিয়া খিলাফতের সময় ইব্রাহীম আন নাজ্জাম নামের একজন মুতাজিলা কবি প্রথম এরূপ চিন্তার অবতারণা করেন।মানে নবী (সা) এর কোন কথা মানবেন না। অর্থাৎ হাদিস অস্বীকার। শুধুমাত্র কুরআন! একটি মাজহাবও গড়েন নাজ্জামিয়্যাহ নামে। কন্টেম্পোরারী ইমাম শাফীঈ(রহ.) তার মতবাদকে রিফিউট করে একদম পর্যুদস্ত করেন। একটি কিতাবও লেখেন ডিবাঙ্ক করে।আরো কিছু স্কলার ইব্রাহীম নাজ্জামের বিরুদ্ধে কথা বলেন। যেহেতু সাহাবী তাবে তাবেইনের যুগের একদম কাছে ছিল তাই এ ফের্কা সুবিধা করতে পারেনি। এরপরে নতুন করে ১৯ শতকে আহলে কুরআন নামে পাকিস্তানে আব্দুল্লাহ চক্রলভীর দ্বারা অর্গানাইজড হয়। এর মাঝে রাশাদ খলিফা আমেরিকায় পড়াশুনা করবার মধ্যে কুরআন নিয়ে গবেষনা করতে করতে তিনিও একই মতবাদ চালু করেন সাবমিটার্স নামে।তিনিই সর্বপ্রথম ৭৯:৩০ এর অনুবাদে উটপাখির ডিমের মত পৃথিবীর আকারের তত্ত্ব চালু করেন।আজ যেটা মডারেটদের ভোতা অস্ত্র।এরপরে তিনি, একটি সূরা থেকে কিছু আয়াত বাদ দিয়ে নিজের মত কুরআনকে মডিফাই করেন ১৯ সংখ্যার মাঝে মিরাকুলাস কিছু আছে বলে দ্বার জন্য। কুরআনকে ঘিরে একধরনের নিউমেরলজি শুরু করেন।এক পর্যায়ে নিজেকে নবী দাবি করেন। ফলে ১৯৯০ সালে অনিবার্যভাবে পটল তুলতে হয় জামাত আল ফুকরার কিছু সদস্যের ছুরিকাঘাতে। কথিত এই টেররিস্ট অর্গানাইজেশনের সদস্যদের দ্বারা কাদিয়ানী ধর্মের এক লিডারও অক্কা পায়।
.
কিন্তু তার অনুসারীরা নিরবে নিভৃতে তার মতবাদ প্রচার করতে থাকে। নাইজেরিয়ায় কুরানিস্ট দল কালো কাতোর জন্ম হয়।এভাবে দাওয়াতি কাজের দ্বারা আস্তে আস্তে নতুন এই দ্বীনটিতে গোমরাহদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পাশ্চাত্যে নও মুসলিমদেরও অনেকে কুরানিজমের ফাদে পড়ছে বা কুরানিজম ধর্ম প্রচারের জন্য অনেকেই অনলাইনে কাজ করছে। এরা তাদের ওয়েবসাইটে কিছু ডোমেইনে Real, True islam, pure islam ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে।এতে করে নিয়মিত ট্রুথ ছিকার ইউটিউবার, একটু পণ্ডিত গোছের ছেলেপেলে নিজেই নিজের ব্রেইনওয়াস করে নিজের পায়ে কুড়াল মারছে। এ নয়া ধর্মটিতে যেহেতু হাদিসকে মান্য করা হয় না, তাই অনেক জিনিসের ন্যায় নামাজ নিয়েও চিন্তায় পড়ে সবাই। তাই এরা নিজেরা কুরআন নিয়ে নিউমেরিক্যাল -বাতেনি-জাহেরি অনেকরকম যুক্তি নির্ভর গবেষনা করে তিন ওয়াক্ত 'প্রার্থনা' উদ্ভাবন করেছে।আর সেটা সাধারন মুসলিমদের থেকেও একদম ভিন্ন। দেখুন- https:// m.youtube.com/ watch?v=KQYPY-zN Plk
.
হাসবেন্না কিন্তু!�
যাহোক এদেশেও চিপাচাপায় এ দ্বীনের প্রচারকার্য চলছে।এটা সিম্পলি বাহাউল্লাহর বাহাই,বাবিজম,কা দিয়ানীর আহমাদিয়ার মত স্বতন্ত্র ধর্ম।
.
তারা তাদের মতবাদ দাড় করাতে আয়াতের কিছু শব্দের ভ্রান্ত অনুবাদ করে আবার সুবিধামত অনুবাদ করে, যাতে করে হাদিসকে কোন ভাবে বাদ দেওয়া যায়। যতটুকুন ওদের আদর্শে সংঘর্ষ করে সেটুকুন যুক্তি দিয়ে মানে না বা চোখ বুজেই মানেনা। ওদের আদর্শে সমস্যা হতে পারে যেসব প্রমান তা নিয়ে ওরা আলাদা গবেষনা করে উত্তর তৈরি করে রেখেছে।যদিও কুরআনের অনেক আয়াত আছে যা তাদের দ্বীনিকে ভ্রান্ত প্রমান করে দেয়।ওদের বেশির ভাগই কাফেরদের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরন করে। আর ওদের মধ্যে উগ্রতা আর ঔদ্ধত্য লক্ষণীয়। আফ্রিকানদের মধ্যে কুরআনিস্টদের দেখেছি এরা নবী(সা) কে শ্রদ্ধা বা মান্য করাকেও শিরক বলে। ওদের ভাষ্য আল্লাহ আর কুরআন ছাড়া সব বাতিল।এমনকি যার উপর তা নাযিল হয়েছে সেও। ইদানীং এদেশে দিনে দিনে কুরানিজম ধর্ম জনপ্রিয় হচ্ছে। ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।https:// m.youtube.com/ watch?v=6Fzh6nlr OHw ভিডিওটায় একটা টাকলু কে দেখবেন। অনলাইনে ভালই এ দ্বীনের দাওয়াতি কাজ চালাচ্ছে স্লোলি।
.
চমৎকার বিষয় হচ্ছে যার উপর কুরআন এসেছে এদের কেউ তাকে অস্বীকার করে, যারা হাদিসের বর্ননা কারী তাদের কথা গুলোকে অস্বীকার করে, অথচ তারাই কুরআনের সংকলক ও লিপিবদ্ধকারী।এর কম হাজারো paradox আছে এ নয়া ধর্মে। আর ওরা যতই লজিক দেখাক না কেন। হিস্টোরিক্যাললি ওদের হাদিস রিজেকশ্যনের আদর্শ ধোপে টেকেনা। একেক যামানার হক্কপন্থী শ্রেষ্ঠ আলেমদের হাদিসের ব্যপারে দৃষ্টিভঙ্গি চেইনের ন্যায় একজনের সাথে আরেকজন যুক্ত,যা তাদের লিখে যাওয়া কিতাবেও স্পষ্ট। একজনের পূর্বে আরেকজনের হায়ারার্কির একদম উপরে সাহাবীগন ও সবশেষে নবী(সা) কে পর্যন্ত স্পর্শ করবে। তাই হাদিসের ব্যপারে গ্রহণযোগ্যর প্রশ্ন উঠেছে অথবা কোন ধরনের বিকৃতি কস্মিনকালেও কেউই প্রমান করতে পারবে না। এমতাবস্থায় এই আকিদাগত চ্যুতির অভিযোগ একদম নবী(সা) পর্যন্ত পৌছে যাবে। ফলে কুরানিস্টদের মধ্যেই নবী(সা) এর নবুয়্যতের গ্রহণযোগ্যতায় সংশয় সৃষ্টি হবে।যা কুরআনকেও তাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তাই অবশেষে হয় সে এথিস্ট/ এগনস্টিক হবে না হলে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করবে। এজন্য হাদিস অস্বীকার করার ফল একদমই ভাল নয়। তবে স্টুপিডদের কথা আলাদা, যাদের প্রুডেনশিয়াল সেন্স নাই, তাই বাতিল চিন্তায় অটল থাকে। এ ফিতনার ব্যপারে সতর্কতা আবশ্যক।
.
কিন্তু তার অনুসারীরা নিরবে নিভৃতে তার মতবাদ প্রচার করতে থাকে। নাইজেরিয়ায় কুরানিস্ট দল কালো কাতোর জন্ম হয়।এভাবে দাওয়াতি কাজের দ্বারা আস্তে আস্তে নতুন এই দ্বীনটিতে গোমরাহদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পাশ্চাত্যে নও মুসলিমদেরও অনেকে কুরানিজমের ফাদে পড়ছে বা কুরানিজম ধর্ম প্রচারের জন্য অনেকেই অনলাইনে কাজ করছে। এরা তাদের ওয়েবসাইটে কিছু ডোমেইনে Real, True islam, pure islam ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে।এতে করে নিয়মিত ট্রুথ ছিকার ইউটিউবার, একটু পণ্ডিত গোছের ছেলেপেলে নিজেই নিজের ব্রেইনওয়াস করে নিজের পায়ে কুড়াল মারছে। এ নয়া ধর্মটিতে যেহেতু হাদিসকে মান্য করা হয় না, তাই অনেক জিনিসের ন্যায় নামাজ নিয়েও চিন্তায় পড়ে সবাই। তাই এরা নিজেরা কুরআন নিয়ে নিউমেরিক্যাল -বাতেনি-জাহেরি অনেকরকম যুক্তি নির্ভর গবেষনা করে তিন ওয়াক্ত 'প্রার্থনা' উদ্ভাবন করেছে।আর সেটা সাধারন মুসলিমদের থেকেও একদম ভিন্ন। দেখুন- https://
.
হাসবেন্না কিন্তু!�
যাহোক এদেশেও চিপাচাপায় এ দ্বীনের প্রচারকার্য চলছে।এটা সিম্পলি বাহাউল্লাহর বাহাই,বাবিজম,কা
.
তারা তাদের মতবাদ দাড় করাতে আয়াতের কিছু শব্দের ভ্রান্ত অনুবাদ করে আবার সুবিধামত অনুবাদ করে, যাতে করে হাদিসকে কোন ভাবে বাদ দেওয়া যায়। যতটুকুন ওদের আদর্শে সংঘর্ষ করে সেটুকুন যুক্তি দিয়ে মানে না বা চোখ বুজেই মানেনা। ওদের আদর্শে সমস্যা হতে পারে যেসব প্রমান তা নিয়ে ওরা আলাদা গবেষনা করে উত্তর তৈরি করে রেখেছে।যদিও কুরআনের অনেক আয়াত আছে যা তাদের দ্বীনিকে ভ্রান্ত প্রমান করে দেয়।ওদের বেশির ভাগই কাফেরদের সাথে ফ্রেন্ডলি আচরন করে। আর ওদের মধ্যে উগ্রতা আর ঔদ্ধত্য লক্ষণীয়। আফ্রিকানদের মধ্যে কুরআনিস্টদের দেখেছি এরা নবী(সা) কে শ্রদ্ধা বা মান্য করাকেও শিরক বলে। ওদের ভাষ্য আল্লাহ আর কুরআন ছাড়া সব বাতিল।এমনকি যার উপর তা নাযিল হয়েছে সেও। ইদানীং এদেশে দিনে দিনে কুরানিজম ধর্ম জনপ্রিয় হচ্ছে। ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।https://
.
চমৎকার বিষয় হচ্ছে যার উপর কুরআন এসেছে এদের কেউ তাকে অস্বীকার করে, যারা হাদিসের বর্ননা কারী তাদের কথা গুলোকে অস্বীকার করে, অথচ তারাই কুরআনের সংকলক ও লিপিবদ্ধকারী।এর
জ্ঞ
ReplyDelete