বিএনপি যতই হরতাল অবরোধ দেক, যতই আমেরিকা থেকে চাপ আসুক, কোনভাবেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা যতক্ষণ না বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে।
طوبى للغرباء
বিএনপি যতই হরতাল অবরোধ দেক, যতই আমেরিকা থেকে চাপ আসুক, কোনভাবেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা যতক্ষণ না বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে।
Session এর সাথে এখনো আমরা অনেকেই তেমন পরিচিত নই। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউরড চ্যাট ম্যাসেঞ্জার গুলোর একটা। এটা ডিফল্ট অনিয়ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ম্যাসেজ ট্রান্সমিট করে। কেউই জানে না কে কাকে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে। তাছাড়া সকল ম্যাসেজ এন্ডটু এন্ড এনক্রিপ্টেড। এতে নাম্বার ইমেইল দিয়ে সাইনআপ এর ঝামেলা নেই, ডিসেন্ট্রালাইজড সার্ভার। রিকভারি সেন্টন্স সংরক্ষন করলেই যেকোন জায়গায় লগইন করা যায়। এটা একটা ওপেনসোর্স প্রজেক্ট।এটার ডেভেলপমেন্টে ডেভদেরকে আমিও বাগরিপোর্ট করে সাহায্য করি। সবমিলিয়ে প্রাইভেসি কনসাস মানুষদের জন্য এটা খুবই উপযোগী। কোন ধরনের ইনটারসেপটরেও কাজ করবে না এর উপর, কারন আপনার আইপিই জানা সম্ভব না। ফেসবুক থেকে একরকম বলা যায় বিদায় নিয়েছি। বর্তমানে সেশনে খুব ভাল আছি। আপনিও চাইলে এই ম্যাসেনজার ব্যবহার করতে পারেন যদি প্রাইভেসির বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন। ওয়েব সাইট - https://getsession.org/
Playstore - https://play.google.com/store/apps/details?id=network.loki.messenger
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আপনারা ব্লগে অনেক পরিবর্তন হয়ত লক্ষ্য করছেন। কয়েকদিন আগে ব্লগে বড় ধরনের ম্যালফাংশন লক্ষ্য করি। মনে হচ্ছিল কেউ হ্যাকিং এর চেষ্টা করেছে অথবা অন্য কিছু। ব্রাউজার একাধিকবার Cross-Site Scripting attack এর রিপোর্ট করেছিল। আমি লক্ষ্য করি সকল পোস্ট গুলো ডুপ্লিকেট হচ্ছিল। সব পোস্ট রিমুভ করতে গেলেও ফেইল হচ্ছিল। এরকম কোনকিছু কখনো দেখিনি। অনেক চেষ্টার পর সকল কন্টেন্ট রিমুভ করে পুনরায় ব্যাকআপ ইমপোর্ট করার পরে ঠিক হয়। টেম্পলেট টাও পালটে ফেলি।
বর্তমানে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ছাপ প্রযুক্তি পণ্যে অনেক বেশি। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনার হাতের ফোনটা ২ বছর পার হলেই এমন অবস্থা হয় যে সেটা আর চালানো যায়না। ৪ বছর আগের একজিবি বা ৫১২ মেগাবাইট এর র্যামের ফোন গুলায় ম্যাসেঞ্জার কিংবা ফেসবুক ইন্সটল করলে আর অন্য এ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলেশন এর স্পেস থাকেনা। ৪ বছর আগে ফেসবুকের সাইজ ছিল ৩০ মেগাবাইট এখন সেটার সাইজ ১০০ এর বেশি। ইন্সটল করলে সাইজ অর্ধগিগাবাইট খেয়ে ফেলে। চার পাঁচ বছর আগে ক্রোম ফায়ারফক্সের সাইজ ছিল ২৫-৩০ এম্বি। এখন সেসব ব্রাউজারের আকার ১৫০+।২০০ মেগাবাইটের ব্রাউজারও আছে। ইন্সটল করার পর ৬০০ মেগাবাইট ছাড়ায়। এখন চিন্তা করে দেখুন কিভাবে এসব ৫১২ র্যামের ফোনে ব্যবহার করবেন! এখানেই ক্যাপিটালিজম। আপনাকে বাধ্য হয়েই এটা ফেলে দিয়ে নতুন হায়ার হার্ডওয়্যার রিসোর্স এর ফোন কিনতে হবে। ওরা ইচ্ছা করেই এপ্লিকেশন এর সাইজ বাড়াচ্ছে আপডেটের নামে। আর আপনি ওদের তালে তাল মেলাতে গিয়ে আপনার ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার অনুপযোগী করছেন। আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যার খারাপ হচ্ছে না বরং ওরা প্রতিনিয়ত অধিকতর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এর উপযোগী সফটওয়্যার রিলিজ করছে, যখন আপনার ডুয়েল কোর এর ফোনে আপডেট করছেন তখন সেটা রান করতে soc এর ওভারস্ট্রেস হচ্ছে, স্লো হচ্ছে হ্যাং হচ্ছে। আসলে এটাকে আপডেট বলেনা এটাকে ডেভেলপমেন্ট বলেনা , ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এক্সিস্টিং মেশিনে ঐ সফটওয়্যারকে আকার না বাড়িয়ে আরো বেশি অপটিমাইজড করা,লেস পাওয়ার কনজিউমিং করা,সাইজ আরো ছোট করার জন্য। এই কাজটাই করে লিনাক্স বেজড ডিস্ট্রো গুলো। কিন্তু এন্ড্রয়েড লিনাক্স বেজড হওয়া সত্ত্বেও এটার নিয়ন্ত্রণ পুঁজিবাদী গুগলের হাতে। এজন্য এটা সবচেয়ে নিম্নমানের ওএস। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার ৫-৬ বছর আগের ডিভাইস কোন ল্যাগ বা হ্যাং ছাড়াই ব্যবহার করবেন?
"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজের শেষ পর্বে এজেন্ডা একুশ নিয়ে লিখেছিলাম, মনে পড়ে? জাতিসংঘ ভিত্তিক এই এজেন্ডার মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনসংখ্যাকে কমিয়ে একটা সাসটেইনেবল অবস্থায় আনা। এদের মতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। পৃথিবী এর জন্য ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে। আর্থকে ভারসাম্যপূর্ণ করতেই জনসংখ্যা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা এক যুগ আগে থেকে কিছু অদ্ভুত ভয়ংকর বার্তাযুক্ত প্রোপাগান্ডা ভিডিও প্রকাশ করতে থাকে। এর প্রথমটিতে তারা মনুষ্যজাতির পদচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার সুস্পষ্ট কথাসহ ভিডিও প্রকাশ করে। আমি অনেক কষ্ট এটা সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। নিচের এম্বেডেড ভিডিওটা দেখুন!
এর কিছুকাল পরে আরো একটি ক্ষুদে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এতেও একই ম্যাসেজ। তাতে বেশ কিছু বৃদ্ধ নরনারীরা নিজেদের দুনিয়াবি হায়াত ভালভাবে ভোগ করার কথা জানিয়ে বলে, আমরা ভাল মানের একটা জীবন কাটিয়েছি, দুনিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা ভাল জীবন অতিবাহিত করে। এই ভিডিও বার্তায় বোঝানো হয়, বৃদ্ধরা ভালভাবে দুনিয়াবি হায়াত ভোগ করেছে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৃদ্ধদেরকে পৃথিবীর জায়গা ছেড়ে দিতে হবে কারনঃ ওভারপপুলেশন। দেখুন নিচের এম্বেডেড ভিডিওটিতে -
আমি যেদিনই ওদের ভিডিওবার্তা দেখেছি, বুঝেছিলাম ওরা জনগণ বিশেষ করে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেবার জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। তবে তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ৯০% জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন করা। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে এজন্য একটা গাইডলাইন লিখিয়েছে জর্জিয়ায়, যেটাকে গাইডস্টোন অব জর্জিয়া বলে। এতে স্পষ্টভাষায় বর্তমান জনসংখ্যার ৯০% এলিমিনেট করে দুনিয়াকে সাস্টেইনেবল করার কথা উল্লেখ করা আছে। দুহাজার উনিশ সালের শেষে আগত করোনা ভাইরাস বিশ্বকে এনগাল্ফ করার পর মৃত্যুহার কাদের মধ্যে বেশি দেখছেন? জ্বি অবশ্যই বৃদ্ধদের। তাহলে কি এই রোগটি এজেন্ডা ২১ এরই বায়োওয়েপন? ওয়াআল্লাহু আ'লাম। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। এটা একদম জোড় জবরদস্তি করেই দেয়া হচ্ছে,যেখানে এরোগে মৃত্যুহার একদম কম। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে জনগণকে। আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,স্কুলেও যেতে পারবেন না। সামনে হয়ত সব জায়গায় Qr code scanner বসাবে ভ্যাক্সিন কার্ড ভেরিফাই করার জন্য। বেলজিয়ামে লক্ষ জনতা এই শয়তানি বুঝে পথে নেমেছে। পুলিশের সাথে দাঙ্গা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এসব কেউই কিছু করার সাহস করবেনা। নিচের ভিডিওতে দেখুন।
কাফিররা মানবজাতির দুশমন, এরা শয়তানের গোলাম। ফলে এদের কার্যক্রমের ব্যপারে সন্দেহ সংশয় রাখাই সমীচীন। আমি গত পোস্টে আলোচনা করেছিলাম এটা আরএনএ ভ্যাক্সিন যেটা সাধারন কোন ভ্যাক্সিন নয়। করোনা বসন্ত কিংবা প্লেগের মত বিভৎস কোন রোগ না, যেটা হলে মানুষের শরীর পচে গ্যাংরিন হয়ে মাংস খুলে পড়তো। সেসব রোগের টিকাও RNA না, করোনার মত ফ্লু রোগের টিকা আরএনএ এর মত হওয়ার কোন মানে পাইনা। ধরুন একটা কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড এর মসফেটে সমস্যা, সেখানে আপনি যদি প্রসেসর এর সকেটটা খুলে বাদ দেন, সেটা বাড়াবাড়ি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাধারন ভ্যাক্সিনের অনুরূপ হত, আমি এর বিরুদ্ধে এত বেশি বলতাম না, কিন্তু এটা সাধারণ কিছু না। আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারে যেরকম কোন সফটওয়্যার আনইন্সটল করা যায়না, তদ্রুপ এই mRNA একবার ইঞ্জেক্ট করলে সেটার ম্যাসেজ(m) বিকল করার উপায় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ধরনের ম্যাসেজ শরীরে পুশ করছে? হতে পারে স্টেরেলাইজেশন এর সেরাম, অর্থাৎ আপনার ফার্টাইলিটি নস্ট করে দেবে, সহজ কথায় আর সন্তান হবেনা। হতে পারে এটা ভবিষ্যতে অন্য কোন মরণরোগ সৃষ্টিতে সহযোগী ভাইরাস বহন করে। মজার বিষয় হচ্ছে এ কথা অফিশিয়ালি বলা হয় যে ভ্যাক্সিনে সুপ্ত অবস্থায় থাকা করোনা ভাইরাস থাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি এই রোগ নাও হয়, আপনার সুস্থ দেহে এই রোগের ভাইরাসকে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। হয়ত এই টিকা কার্যক্রমের আফটারম্যাথ দেখা যাবে আগামী ৫-১০ বছর পর। হতে পারে মানুষ গণহারে মারা যেতে থাকবে কিন্তু কোন কারন খুঁজে পাবেনা। সেদিন দেখি ভারতীয় এক ডক্টর আশংকা করেন এই ভ্যাক্সিন মানুষের ন্যাচারাল ইমিউন সিস্টেম নস্ট করে দিতে পারে। নিচের ভিডিও তে দেখুন-
যদি আল্লাহ প্রদত্ত ইমিউন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদম সাধারন রোগেও মারা যাবে। এই ব্যপারটাই HIV AIDS করত। সুতরাং গায়ে কি ঢোকাচ্ছেন সে ব্যপারে সাবধানতা আবশ্যক। আশ্চর্যজনক ব্যপার হচ্ছে এই ভ্যাক্সিন একবার নয় শরীরে তিন বার(তিন ডোজ) প্রবেশ করানো হচ্ছে, যাতে তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ হয়। মানে প্রথম ডোজ যদি ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ডোজ আছে, ২য় ডোজ ব্যর্থ হলে ৩য় ডোজ আছে। বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধদেরকে! উপরে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায়ের ব্যপারে লিখেছি। টিকা গ্রহনে মৃত্যুর ঘটনা অনেক ঘটছে যা কোন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া প্রচার করছে না,স্বাভাবিক ভাবেই করবেনা। গতকাল একটা মৃত্যুর হৃদয়বিদারক স্বজনদের আহাজারি দেখলাম।
অনেক মানুষ এই লেখা কন্সপিরেসি বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। তাদের কে প্রশ্ন করি, আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের কার্যকলাপের ব্যপারে সুধারনা পোষণ করতে শেখায়? আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নির্লিপ্ত হয়ে থাকতে শেখায়?
গত পোস্টের লিংক: https://aadiaat.blogspot.com/2022/01/blog-post.html
করোনা নিয়ে তেমন কিছু লেখার সময় পাইনি। টিকা নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না লিখে থাকতে পারছিনা।
করোনা রোগটাকে অনেকেই অস্বীকার করে যেটা আমাকে অবাক করে, আমি করোনা ইউনিটে রোগীদের মধ্যে টানা ৯-১০ দিনের মত ছিলাম। ৫-৬ টা পেশেন্টের একদম নিকটে থেকেছি। তাই সবকিছু খুব ক্লোজ অবজার্ভ করার সুযোগ ছিল। আসলে রোগটা সাধারন জ্বর কাশি থেকে নিউমোনিয়া তৈরি করে মিল্ড হাইপোক্সিয়া থেকে সিভিয়ার এ্যাকিউট হাইপোক্সিয়া তৈরি করে শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমিয়ে লাঞ্জ বিকল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাকদিরে যাদের মৃত্যু ছিল তারা মারা গেছে। আমরা জানিনা ভাইরাসটা ম্যানমেইড নাকি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। ওয়াল্লাহু আ'লাম। তবে এটাকে কেন্দ্র করে ম্যানডাটরি ভ্যক্সিনেশনের দিকে হিউম্যানিটিকে ড্রাইভ করার দিকে তাকালে মনে হয় একটু সন্দেহ উদয় হয়। কেমন যেন মনে হয় বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যই এই ভাইরাস বানিয়ে ছাড়া হয়। হয়ত আপনি একবারো আক্রান্ত হননি কিন্তু ভ্যাক্সিন দিতেই হবে। আমি করোনার মধ্যে ছিলাম, ধরে নেয়া যাক আমার শরীর এর এ্যাণ্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তারাও এই ভাইরাস রেজিস্টেন্স হয়েছে, এরপরেও কিসের ভ্যাক্সিনেশন!? করোনার ভ্যাক্সিনটি mRNA যেধরনের ভ্যাক্সিন আগে কখনোই ব্যবহার হয়নি। জনগণ কি গিনিপিগ যে,আনটেস্টেড সেরাম শরীরে দেয়া হবে? তাছাড়া একটা বড় সমস্যা হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর রূপ বার বার পরিবর্তিত হয়,শতশতবার রূপ বদলিয়েছে, তাহলে ভ্যাক্সিন কয়শত বার দিয়ে ভাইরাসকে চেনাবে? একটা ভাইরাসের বিহেভই ভাল করে না জেনে সেটার প্রতিষেধক কিভাবে বানানো সম্ভব!? সবচেয়ে বড় সমস্যা একটা পরিবর্তনশীল ভাইরাসের ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি করতেছে? ধরেন এ ভাইরাসের একটা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা, এটার ভ্যাক্সিন দেওয়া হলো, দুইদিন পর ভাইরাস রূপ বদলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসলো, এটা ধরুন আরো ভয়াবহ, আগের টাইপের ভ্যাক্সিন এখন অবসোলেট। সেই সেরাম এন্টিবডি কে যে ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস চিনিয়ে দিয়েছে, পরের ভ্যারিয়েন্টের বেলায় তো সেটা করবেনা। ধরেন এটার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হলো। একমাস পর আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট আসলো সেটার জন্য কি তাহলে আরেকটা?? এর শেষ কোথায়!!? অর্থাৎ এই রোগের কথিত ভ্যাক্সিনটা বার বার ইঞ্জেকশন নেওয়ার রাস্তা খুলে দেয়।এবার চলেন বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে। তারা আমাদের শরীরে যে ধরনের সেরাম ইঞ্জেক্ট করতে চাইছে এটাকে বলে এমআরএনএ ভ্যাক্সিন অর্থাৎ ম্যাসেঞ্জার-RNA। ছোটবেলায় পড়েছিলেন DNA RNA মনে পড়ে ? ডিএনএ সেলসমূহের ফাংশন কি হবে কিভাবে হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করে। RNA একদম ফার্স্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, এটা প্রোটিন গঠনের ক্ষেত্রে ডিএনএ এবং রাইবোজোম এর নিকট ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক এর ভূমিকায় কাজ করে। ডিএনএ থেকে তথ্য নিয়ে আরএনএ প্রোটিনে রূপান্তর করে। অর্থাৎ প্রোটিন কিভাবে বানাবে সেটার ফাংশন কি হবে সেসকল ইন্সট্রাকশন সেট RNA বহন করে। একটু ভাবুন তো যদি কোন ফরেন সিন্থেটিক সেরামে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর mRNA দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরে করাপ্টেড প্রোটিন বানাবে! মানে শরীরের বেসিক ফাংশান মৌলিকভাবে চেঞ্জ করা হচ্ছে। আল্লাহ শরীরে যেই ইন্সট্রাকশন সেট দিয়ে দুনিয়াতে আমাদের পাঠাচ্ছে, সেটাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এডিট করা হচ্ছে। সুতরাং সৃষ্টিকে পরিবর্তন যেহেতু শয়তানি কাজ বুঝাই যাচ্ছে এখানেও সেরকমই সৃষ্টিতে সরাসরি পরিবর্তনের একটা ব্যপার আছে। যদি RNA ইন্সট্রাকশন সেটে ভাল কিছুও থাকে তাও সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। ফান ফ্যাক্টঃ করোনা ভ্যাক্সিন বানাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো এরা একেকটা বায়োটেক কোম্পানি। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় শয়তানি এরাই করে থাকে।
আপনার একটা আঙ্গুল কেটে আলাদা হলে কি সেটা আর গজাবে? গজাবে না। ঠিক একইভাবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ শরীরে প্রবেশ করালে আপনার দেহের মৌলিক ফাংশান আজীবনের জন্য পরিবর্তিত হবে। এটা অনেকটা ডিফল্ট সেটিং টাকেই পালটে ফেলা। অর্থাৎ এমআরএনএ ভ্যাক্সিন দিলাম মানেই নিজেকে কোনদিক দিয়ে অজ্ঞাতভাবে আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ বা নস্ট/চেঞ্জ করে দিলাম। আমেরিকার সিডিসির অফিশিয়াল পেইজ থেকে কপি- "Messenger RNA (mRNA) vaccines teach our cells how to make a protein that will trigger an...."। যাই হোক ওরা বলবে এটা ভ্যাক্সিনকে ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে অটোইমিউন সিস্টেম বানাবে,কিন্তু সেখানে ভাইরাস চেনানোর ইন্সট্রাকশন সেট নাকি অন্য কোন কিছু সেটা কি আপনি দেখেছেন বা সুনিশ্চিত জানেন নাকি তাদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছেন? এই "তাদের" মানে কারা? উত্তরে তাদের আসল পরিচয় একটাই আসে, এরা হলো - কা ফি র। আল্লাহর অবাধ্য, শয়তানের অনুগত। ওরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এক হয়ে কাজ করছে? উত্তর হচ্ছে- আসন্ন সম্রাট মসীহ আদ দা জ্জা ল এর। WHO ওদের মসিহের অপেক্ষাতেই সততার সাথে কাজ করছে, এটা ওরই প্রতিনিধি। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কাদের? উত্তর- এজেন্ডা ২১ তথা জাতিসংঘের। হু কাদের অঙ্গ সংগঠন? উত্তর - জাতিসংঘের,যেটা তৈরিই হয়েছিল ইহুদিবাদি মিশন বাস্তবায়নে,যেটা দাজ্জালেরই এজেন্ডা। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর লক্ষ্য নিয়ে লিখেছিলাম বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের শেষ পর্বে। তারা দুনিয়াতে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। যদি আপনার বডির প্রোটিনের এক্সপাইরেশন টাইমার দিয়ে বা করাপ্ট করার ইন্সট্রাকশন এনকোড করে mRNA শরীরে ইঞ্জেক্ট করানো হয় তাহলে তো এই সাস্টেইনেবল গৌল খুব সহজে এ্যাটেইন করা যায়। যাদের এরকম পরিকল্পনা আছে তাদের প্রোপাগান্ডায় কর্ণপাত করে শরীরে ওদের বায়োটেক কর্পোরেশন গুলোর তৈরি লিকুইড বায়ো-প্রোগ্রাম ইঞ্জেক্ট করা কি বোকামি হয়ে যায়না?
ডিএমসির এক এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে সাথে সারাক্ষন যোগাযোগ ছিল,তিনি আমাকে বলেন প্রায় ৩০+ ডাক্তারকে হত্যা করে গুম করা হয় ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এতে বুঝতে পারি ওদের উদ্দেশ্য ভাল কিছু নাহ। এজন্যই ডাকাতের বিরুদ্ধে কথা বললে যেভাবে জবান চিরতরে বন্ধ করে সেটাই করছে। ওদের নিয়ন্ত্রিন মিডিয়াতে ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায়না। সব কন্টেন্ট ডিলিট করা হয়। সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়না। যেন কোথাও কেউ কিছু বলছেনা, সব কিছু স্বাভাবিক। সব সেকটর তাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই উনারা যা বলবে সবকিছু ঠিক এবং সেটাই মানতে হবে। বিরোধিতা করা যাবেনা করলেও সেটা প্রচারও হবেনা।
ধরে নেন, ভ্যাক্সিন খুবই উপকারী কিছু, তাহলেও এটা গ্রহন করা উচিত হবে(?) যেহেতু এটা গায়ে ঢোকানো মানেই আমাদের শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ায় আল্লাহর সৃষ্ট মৌলিক নীতি তে হস্তক্ষেপ করে পরিবর্তন করা, পালটানো। এটা তো সুস্পষ্ট শয়তানেরই আদেশ।আল্লাহ শয়তানের এই কাজের ব্যপারে বলেন-
"……আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 119)
অর্থাৎ শয়তানের অনুগত কাফিরদের মধ্যে সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশকে এক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। মডার্না যখন ভ্যাক্সিন বানায় তখন তারা কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করে যেগুলা পাঠলে অনেক রকম সন্দেহ আসবে। একটা বাক্য অনেকটা এরকম, "এই ভ্যাক্সিন গ্রহনে শরীরে নতুন ফিচার যুক্ত হবে।" আমাদের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড কে উত্তেজিত করার শিক্ষা দেয় শয়তানের অনুসারীরা। এতে করে যেটা বোঝা যায় শয়তান জ্বীনদের মানুষের শরীরে এক্সেস সহজ করা হয়। যদি ভ্যাক্সিনে এমন কোন কম্পোনেন্ট থাকে যেটা একই কাজ করবে, তাহলে আসন্ন দাজ্জালের আবির্ভাবের ফলে শয়তান জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া, কিংবা দাজ্জালের কোন ফিতনায় পতিত করা সহজ হবে। এরকম কোন উদ্দেশ্য এই ভ্যাক্সিনেশন এর লক্ষ্য হওয়া অসম্ভব না।
আমি লক্ষ্য করেছি ভাইরাস মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্বাস সম্পূর্নভাবে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পানি সংক্রান্ত বিশ্বাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তার ব্যক্তিত্বও একদম পালটে যায়,এক শিশুকে তো দেখেছি কুকুরের মতই ঘেউঘেউ করে। সুতরাং সিরিঞ্জে ভরা সেরাম শরীরে ইঞ্জেক্ট করে মানুষের এ্যবস্ট্রাক্ট ভিউ,পারসোনালিটি পালটে ফেলা অসম্ভব নাহ। ধরুন এমন কোন ফাংশন ক্যারি করে যেটা আপনার বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, ধরুন কাফিররা প্ল্যান করলো সকল মানুষকে এমন সেরাম ইঞ্জেক্ট করা হবে যার ফলে সকল মানুষ দাজ্জাল বের হলেই তাকে ইলাহ বলে মান্য করবে,তার অনুসারী হবে। এরকম কিছু করা অসম্ভব লাগেনা যেখানে একটা সাধারন ভাইরাস ধারনাকে পালটে ফেলতে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত নই ওরা কি করছে, তবে যাই করুক সেটাকে ভাল বলে মনে হয় না। ধরুন আপনি ভ্যাক্সিন দিলেন। এখন কোন সমস্যাই ফিল করছেন না, কিন্তু ১০ বছরের মাথায় মারাগেলেন। আপনার সাথে সকল ভ্যাক্সিনেটেডরা টপ টপ করে মারা যেতে লাগলো। ব্যপারটা ভয়ংকর না? ডিপপুলেশন প্রোগ্রাম অনুযায়ী ওরা এমনটা করতেই পারে। মোটকথা ওরা কাফির, তারা আমাদের শত্রু, এরা আপনার ক্ষতিই চায়। ওরা শরীরে কিছু ভরতে চাইলে সেটা চোখ বুঝে গ্রহন করা নির্বোধ লোকের কাজ ছাড়া কিছুই নয়। কিছু ভাইকে দেখেছি ভ্যাক্সিন নিয়ে আজওয়া খেজুর খেতে পরামর্শ দেন। আসলে আঙ্গুল কেটে ফেলে দিলে সেটা আর গজাবে না, কিন্তু চামড়া কেটে গেলে কিংবা বিষাক্ত কিছু লেগে ঘা হলে, তাতে ওষুধ দিলে রিভার্স হবে। ওদের mRNA ভ্যক্সিন চামড়া কাটবেনা বরং একদম আঙ্গুল কেটে আলাদা করে দেবার মতই শরীরের ফাংশন স্থায়ীভাবে চেঞ্জ করে দেবে। এখানে আজওয়া খেজুরের তেমন ভূমিকা থাকার কথা নাহ। তবে আল্লাহ চাইলে ক্ষতি নাও হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় রিস্ক না নিয়ে গায়ে সুঁচই না ভরা। এতে কোভিডের সার্টিফিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। এ বিষয়ে মুহতারাম ইদ্রিসভাইয়ের একটা চমৎকার সল্যুশন আছে। তাকে ইনবক্স করে জানতে হবে। যেসব বোনেরা কখনো চাকরি করবেন না,বাসার ভেতরেই গৃহিনী হিসাবে থাকবেন। তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জরুরত দেখিনা। তবে ভ্যাক্সিনেশন এর জেনুইন সার্টিফিকেট রাখা উত্তম।
আমরা ইউটিউব এ এডভারটাইজের জন্য অনেকে বিরক্ত হয়ে থার্ডপার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু সেসবে পূর্ণাঙ্গ ইউটিউবের এনভায়রনমেন্ট পাওয়া যায়না।
এজন্য আজ দেখাতে চাইছি কিভাবে ইউটিউব এর সকল প্রিমিয়াম ফিচার সমৃদ্ধ ইউটিউব ব্যবহার করবেন। আমাকে আমাকে শিখিয়েছেন মুহতারাম ইদ্রিস ভাই। প্রথমে ফোনের স্টক রমে বিল্টইন ইউটিউব এপ্লিকেশন আনইন্সটল/ডিজএবল করে নিন। এরপরে নিচের ভিডিওতে যা করা হয়েছে সেসব অনুসরন করুন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি তা'য়ালা।
আশা করি আল্লাহর দয়ায় সকলে ভাল আছেন। আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে স্পষ্ট করতে লিখছি।
আপনারা লক্ষ্য করলে এ ব্লগে এমন অনেক লেখা পাবেন যা মাতুরিদি/আশআরি কিংবা সুফি/দেওবন্দী/ব্রেলভীদের কিছু দর্শনের ব্যপারে কড়া সমালোচনা। এজন্য আমি স্পষ্টভাবে বলব আমার এ ব্লগটি আল ক্বায়িদার অফিশিয়াল কোন ব্লগ নয়। এ ব্লগের ব্যপারে খুব ভালভাবে খোরাসানের ইসলামি ইমারতের মুজাহিদগন অবহিত আছেন। এবং তারা এমনকি ব্লগের প্রতিটি আর্টিকেলের ব্যপারে অবগত আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের সাথে আমার একাধিকবার বার্তা বিনিময় হয়েছে। তারা এটাকে ব্যক্তিগত ব্লগ হিসেবেই দেখেছেন।
সুতরাং আমার সালাফিবাদের পক্ষপাতমূলক লেখা পড়ে কেউ এ জেনারেলাইজেশনে যাবেন না যে, আল কায়িদা মানেই শুধুমাত্র সালাফিজম কিংবা আমি যা যা লিখি তার সবকিছুই আল কায়েদার মতাদর্শ। আমি এ ব্লগে কস্মোলজি/ সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয় র্যাডিক্যাল চিন্তাধারার সাথে সবাইকে পরিচয় করাই,আমি বিজ্ঞানের ফিজিক্স & এস্ট্রোনমির ব্যপারে এমন কিছু বলি যা আগে কেউ কখনো বলেনি। এজন্য কেউ আমার কথাকে ধরে মানহাজকে এর অন্তর্ভুক্ত করবেন না। এ সমস্ত বিষয় মতানৈক্য আছে, থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না যেহেতু মানহাজে অনেক স্কুল অব থট আছে।
এবার আসি সদ্য প্রকাশিত "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" এর পিডিএফ প্রসঙ্গে। আপনারা জানেন যে ২০১৭ সালে শুরু করা "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজটি আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে শেষ হয়েছে। মাঝখানে লম্বা একটা সময় ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় থেমে ছিল। যাইহোক, আপনারা দেখেছেন বিগত বছর গুলোয় অপবিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে অনেকভাবে সমালোচিত হয়েছি। সাধারণ কেউই আমার কথাকে সহজভাবে গ্রহন করতে পারত না। অথচ তখন যা বলতাম তার কোনটিই দলিলবিহীন মনগড়া অসাড় কথা ছিল না। যখন থেকে পর্ব ধরে ধরে লিখতে শুরু করলাম তখন থেকে চুপ হয়ে যেতে দেখলাম। অতঃপর এখন আর কেউ কিছুই বলে না। ভাবখানা এমন যেন কিছুই হয়নি। এ অবস্থার কারন তারা ভাল করেই জানে। ওরা জানে বিপরীতে গিয়ে উল্টাপাল্টা বললে ঈমানের সীমারেখার বাইরের কোনকিছুকে সমর্থন করে বলা হয়ে যাবে। এজন্য হয়ত পূর্বেকার অজ্ঞতার জন্য হয়ত অনেকে লজ্জিত। আবার এরকম অনেকে আছে যারা তাদের ঔদ্ধত্যকে অপরিবর্তিত অবস্থায় রেখেছে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের উপর। ওরা নিজেরাও জানে না ওদের পয়েন্ট কি অথবা তাকদিরে এরকমটা লিখিত আছে যার দিকে তারা ধাবিত,বস্তুত আমরা সকলেই। কারো স্যাটেরিক্যাল রিয়্যালশনের জবাব আমি তাদের ফ্রিকোয়েন্সিতে গিয়ে দেই নি বরং সবর করেছি এবং শুধুমাত্র চেনা অচেনা লোকগুলোর কথা ভদ্রভাবে সুদীর্ঘ আর্টিকেলের নিচে স্ক্রিনশট আকারে দিয়ে দিয়েছি। ব্যস। এটুকুই। ইতোমধ্যে পিডিএফটি আড়াই হাজারবারের বেশি ডাউনলোড হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই ১০... ২০... এরপরে অর্ধলক্ষ। আমাকে কিছুই বলতে হবে না, বুদ্ধিবৃত্তিক করাপশন দেখে পাঠকদের দ্বারাই তারা তিরস্কৃত হবে। আল্লাহ এভাবেই অহংকার ও ঔদ্ধত্যের শাস্তি দিয়ে থাকেন। দ্বীনি স্ট্যান্ডার্ডে আমি যা উল্লেখ করেছি ওটাই আল্টিমেট সীমারেখা। যে কন্সেপ্ট গুলোকে কনডেম করা হয়েছে আপনি মিথ্যে না বললে কোনভাবেই বৈধতার আওতায় আনতে পারবেন না। কারন তখন ঈমান ও কুফরের প্রশ্ন চলে আসবে। এজন্য সহজে কেউই এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করবে না। তারমানে আমাদের এ গ্রুপে ইটারনাল সাইলেন্স চলে এসেছে বা আসবে। কোন ফেসবুক বুজুর্গ বেশি চিৎকার করলে পিডিএফটি উপহার দেবেন,আশা করি বেশিক্ষণ আওয়াজ শুনবেন না।
মনে রাখা প্রয়োজন আমি কখনোই অল্টারনেটিভ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার মাকসাদে লেখালিখি করিনি।বরং উদ্দেশ্য বিভিন্ন তত্ত্ব সমূহের অরিজিন্স এবং গ্রহণযোগ্যতাকে স্পষ্টীকরণ। বিজ্ঞানের অনেক রহস্যময় ব্যপারের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে উড়িয়ে দেই না। বরং সেসবের অস্তিত্ব বাস্তবে থাকলে তা সিহরের আওতাভুক্ত কিনা সে ব্যপারে সচেতন করি। এমনটা কখনোই বলিনা প্রযুক্তিগত পণ্যদ্রব্য সমূহ সিহর/যাদু। যারা এমনটা বলে যে টিভি ফ্রিজ মোবাইল সিম মেমরি সবকিছু যাদু, এটা আমার নিকট শুনতে খুব লেইম লাগে। এটা খুবই মিজারেবল পুওর আন্ডারস্ট্যান্ডিং। প্রযুক্তির মধ্যে সিহরের কাতারে শুধুমাত্র সেসবকেই ফেলি যা তৈরিতে যাদুশাস্ত্রীয় বিদ্যাকে সরাসরি ব্যবহার হয়েছে। এটা খুবই সোজা হিসাব, মদ দ্বারা তৈরি খাদ্য বর্জনীয়,শূকরের চর্বি দ্বারা খাদ্য/পণ্যও বর্জনীয়। এ বিষয়ে আর্টিকেল সিরিজের শেষভাগে উল্লেখ আছে। আমরা যেন এমন কিছু না বলি যা উম্মাহ থেকে আমাদেরকে দূরে ঠেলে দেয় বা আমরা কাউকে অজ্ঞতার জন্য দূরে ঠেলে দেই।
আমার এক ভাই বলেছিলেন আর্টিকেলগুলোর শুরুতে কিছু পরিভাষা দিয়ে দিতে যাতে সবার জন্য বুঝতে সহজ হয়। এটা করতে আমার সাথে সাধারন মানুষের ইন্ট্যার্যাকশানের প্রয়োজন ছিল, যেটার পথ বন্ধ। পাঠকদের সুবিধার্থে ১০ পর্বের পর দিয়ে ইংরেজি বাক্য এবং উইকিপিডিয়া ভিত্তিক লেখা কমিয়ে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি এনেছি, এটা আপনারা সকলেই আশা করি লক্ষ্য করেছেন। অনেক কিছুই সরাসরি না দিয়ে অনুবাদ করেছি। এজন্য এটা পাঠ করা এবং বোঝা খুব কঠিন হবে না আশা করি।
প্রথমবারে পিডিএফে কম্বাইন করা আর্টিকেলে কিছু মেজর ইস্যু থাকে, এজন্য আগের ফাইল ডিলিট করে আপডেট করা হয়েছে। রিভিউ ছাড়াই পাব্লিশ করছি এজন্য, এখনো অনেক মাইনর ইস্যু আছে। আপনারা যারা আগে ডাউনলোড করেছেন তারা ফাইলটা ডিলিট করে আবারো আপডেটেড লিংক থেকে[সেকেন্ড এডিশন] নামিয়ে নিবেন। বিশেষ কারনে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই এই আর্টিকেল সিরিজকে শেষ করা। আরো বিস্তারিত করার ইচ্ছা ছিল। ইনশাআল্লাহ বছর খানেক পর পরবর্তী সংস্করণে অনেক কিছু সংযোগ ঘটানো হবে।
এখন আসা যাক আসল কথায়। গুরাবা তথা এ যুগের আগন্তুকঃসংস্কারকরা সবসময় দ্বীনের সাথে ইনকন্সিস্টেন্ট/ইনকম্প্যাটিবল জিনিস নিয়ে কথা বলবে, সংস্কারের চেষ্টা করবে,এটাই স্বাভাবিক। হতে পারে-পলিটিক্যাল,সোস্যাল, ইকোনমিক্যাল, এজ্যুকেইশনাল...সবকিছু। তারা কোন কিছুর সাথেই আপোষ করে চলবে না। এরই একটা অংশ কস্মোলজি-কস্মোগনি সংক্রান্ত শিক্ষা। এটা একদমই গুরুত্বহীন চ্যাপ্টার না। কিন্তু তাই বলে এটা নিয়ে সারাক্ষন পড়ে থাকা বুদ্ধিপ্রদীপ্ত কাজ বলে মনে করি না। বরং উম্মাহর সংকটের সময়ে অন্যশাখা গুলো নিয়ে বেশি চিন্তাফিকির করাই বেশি সঙ্গত। একটা বিষয় নিয়ে সারাদিন সময় দিয়ে বাকি গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে ভুলে যাওয়া খণ্ডিত দ্বীনচর্চার নামান্তর। এজন্য যেহেতু সৃষ্টিতত্ত্ব/বিজ্ঞান সংক্রান্ত যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে, আমাদের উচিত এর পেছনে আর বেশি সময় ব্যয় না করা। প্রত্যেকেরই উচিত সাধ্যমত দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করা যাতে করে পা পিছলে না যায়। প্রত্যেকেই একেকটা বিশুদ্ধ তাওহীদ ওয়াল জিহাদের দাওয়াহ পোর্টাল হিসেবে কাজ করতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য যেন কখনোই দুনিয়ামুখী না হয়, কিংবা অর্থনৈতিক/ যশ/খ্যাতির উদ্দেশ্যে না হয়। রিয়া-উজব ধবংসের দিকে নিয়ে যায়। আরেকটি বিষয় হলো এই সকল র্যাডিক্যাল আইডিয়াগুলোকে ধরে আমরা যেন কোনভাবেই উম্মাহর মাঝে বিভাজন সৃষ্টি না করি। কাউকে এমনভাবে কিছু না বলি যাতে তাকে ভিন্ন ফির্কা বা পথভ্রষ্ট/ইন্ডিরেক্ট তাকফির করা হয়,আমরাও যাতে নিজেদের ভিন্ন ফির্কায় ডিফারেশিয়েট না করি। এগুলো অনেকটাই খারেজিদের ভাবনা। যদি এরকম কাউকে করতে দেখেন, তাহলে ঐ ব্যক্তিকে তিরস্কার করি, তার সাথে আমি ইমরানের কোন সম্পর্ক নেই, যদিও সে ব্যক্তি আমার এখান থেকেই এই চিন্তাধারার সম্পর্কে ধারনালাভ করেছে। আমাদের মানহাজ অনেকটা নরম মধ্যমপন্থীদের মানহাজ। আমরা চরমপন্থাকে অপছন্দ করি। কোন মানুষের বাহ্যিক কুফরি কর্ম বা তার পক্ষপাতমূলক কর্ম দেখে যেন আগ বাড়িয়ে কাফির ডাকা না শুরু করি। সবার আগে প্রয়োজন দাওয়াহ পৌছানো। অধিকাংশ সময় জাহালতের জন্যই মানুষ উল্টাপাল্টা কর্ম করে।
আমার সাথে যোগাযোগহীনতা নিয়ে কিছু কথাঃ
আমার প্রিয়ভাইয়েরা খুব চান আমি যেন ফেসবুকে সবসময় থাকি, তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকি, সবার সাথে নিয়মিত লাইভ বার্তা বিনিময়,সরাসরি দেখা করি....ইত্যাদি ইত্যাদি।ব্যস্ততা+ মানহাজগত কারনে এরকমটা আসলে সম্ভব না। আমি ব্যক্তিগতভাবেও সবার চোখের আড়ালে একাকি থাকতে পছন্দ করি। ফেসবুকের কারো সাথেই যোগাযোগ করিনা। বিগত কয়েকমাস ধরে পারিবারিক আইডিটাও ডিএ্যাক্টিভেট করে রেখেছি। বাস্তবজীবনেও একাকিত্ব - আইসোলেশন পছন্দ করি। মানুষের সাথে ইন্টার্যাকশন হলে খুবই এক্সস্ট লাগে, মনে হয় সমস্ত এনার্জি ড্রেইন হয়ে যায়। যত একা থাকি তত ভাল থাকি। ইন্টুইটিভ এমপ্যাথ হবার জন্য এরকম মানসিকতা হতে পারে। আল্লাহ ভাল জানেন। ফেসবুকে সক্রিয় থাকাকালে দেখা যেত কোন একজনকে ম্যাসেজে বেশি সময় দেয়া হয়ে যেত, অন্য আরেকজনকে কম অথবা অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাঝেমধ্যে ইগ্নোর হয়ে যেত। এখানে আসলে সুবিচার করা হয়না। দিলে সকলকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এজন্য ব্যস্ততার জন্য ভারসাম্যহীন আচরণের তুলনায় সকলের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা কল্যাণকর মনে করছি। এজন্য কেউই আমার প্রতি অভিমান রাখবেন না। ভাল খবর হচ্ছে ব্লগের কমেন্ট সেকশনকে আবারো খুলে দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় দেরিতে হলেও রিপ্লাই পাবেন। বিইযনিল্লাহ। খুলবার মূল উদ্দেশ্যঃ পিডিএফের কোন বড় কোন সমস্যা পেলে যেন যেকেউ জানাতে পারে।
যা কিছু উল্লেখ করেছি, তার মাঝে যা অকল্যাণকর তা আমার এবং শয়তানের পক্ষ থেকে। যা কিছু কল্যাণকর যা আল্লাহ আযযা ওয়াযালের পক্ষ থেকে।
দু'আর দরখাস্ত রইলো। আসসালামু আলাইকুম আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।