Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

Wednesday, November 29, 2023

আবারো ক্ষমতায় আসছে আওয়ামীলীগ

 বিএনপি যতই হরতাল অবরোধ দেক, যতই আমেরিকা থেকে চাপ আসুক, কোনভাবেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা যতক্ষণ না বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে।

বুদ্ধিহীন বিকলাঙ্গ মেধাশূন্য জাতি তৈরির ষড়যন্ত্র

শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রিভুজ চতুর্ভুজ, বৃত্ত আসার খবর আমার এক রিলেটিভ এর কাছে বছর খানেক আগে পাই। সে বলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হইতেছে।

Tuesday, January 10, 2023

Session

 Session এর সাথে এখনো আমরা অনেকেই তেমন পরিচিত নই। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউরড চ্যাট ম্যাসেঞ্জার গুলোর একটা। এটা ডিফল্ট অনিয়ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ম্যাসেজ ট্রান্সমিট করে। কেউই জানে না কে কাকে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে। তাছাড়া সকল ম্যাসেজ এন্ডটু এন্ড এনক্রিপ্টেড। এতে নাম্বার ইমেইল দিয়ে সাইনআপ এর ঝামেলা নেই, ডিসেন্ট্রালাইজড সার্ভার। রিকভারি সেন্টন্স সংরক্ষন করলেই যেকোন জায়গায় লগইন করা যায়। এটা একটা ওপেনসোর্স প্রজেক্ট।এটার ডেভেলপমেন্টে ডেভদেরকে আমিও বাগরিপোর্ট করে সাহায্য করি। সবমিলিয়ে প্রাইভেসি কনসাস মানুষদের জন্য এটা খুবই উপযোগী। কোন ধরনের ইনটারসেপটরেও কাজ করবে না এর উপর, কারন আপনার আইপিই জানা সম্ভব না। ফেসবুক থেকে একরকম বলা যায় বিদায় নিয়েছি। বর্তমানে সেশনে খুব ভাল আছি। আপনিও চাইলে এই ম্যাসেনজার ব্যবহার করতে পারেন যদি প্রাইভেসির বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন। ওয়েব সাইট - https://getsession.org/

Playstore - https://play.google.com/store/apps/details?id=network.loki.messenger

 

 

 

 

Saturday, February 12, 2022

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৬

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আপনারা ব্লগে অনেক পরিবর্তন হয়ত লক্ষ্য করছেন। কয়েকদিন আগে ব্লগে বড় ধরনের ম্যালফাংশন লক্ষ্য করি। মনে হচ্ছিল কেউ হ্যাকিং এর চেষ্টা করেছে অথবা অন্য কিছু। ব্রাউজার একাধিকবার Cross-Site Scripting attack এর রিপোর্ট করেছিল। আমি লক্ষ্য করি সকল পোস্ট গুলো ডুপ্লিকেট হচ্ছিল। সব পোস্ট রিমুভ করতে গেলেও ফেইল হচ্ছিল। এরকম কোনকিছু কখনো দেখিনি। অনেক চেষ্টার পর সকল কন্টেন্ট রিমুভ করে পুনরায় ব্যাকআপ ইমপোর্ট করার পরে ঠিক হয়। টেম্পলেট টাও পালটে ফেলি। 

৫-৭ বছর আগের স্লো ফোন ফাস্ট করবেন যেভাবে

বর্তমানে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ছাপ প্রযুক্তি পণ্যে অনেক বেশি। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনার হাতের ফোনটা ২ বছর পার হলেই এমন অবস্থা হয় যে সেটা আর চালানো যায়না। ৪ বছর আগের একজিবি বা ৫১২ মেগাবাইট এর র‍্যামের ফোন গুলায় ম্যাসেঞ্জার কিংবা ফেসবুক ইন্সটল করলে আর অন্য এ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলেশন এর স্পেস থাকেনা। ৪ বছর আগে ফেসবুকের সাইজ ছিল ৩০ মেগাবাইট এখন সেটার সাইজ ১০০ এর বেশি। ইন্সটল করলে সাইজ অর্ধগিগাবাইট খেয়ে ফেলে। চার পাঁচ বছর আগে ক্রোম ফায়ারফক্সের সাইজ ছিল ২৫-৩০ এম্বি। এখন সেসব ব্রাউজারের আকার ১৫০+।২০০ মেগাবাইটের ব্রাউজারও আছে। ইন্সটল করার পর ৬০০ মেগাবাইট ছাড়ায়এখন চিন্তা করে দেখুন কিভাবে এসব ৫১২ র‍্যামের ফোনে ব্যবহার করবেন! এখানেই ক্যাপিটালিজম। আপনাকে বাধ্য হয়েই এটা ফেলে দিয়ে নতুন হায়ার হার্ডওয়্যার রিসোর্স এর ফোন কিনতে হবে। ওরা ইচ্ছা করেই এপ্লিকেশন এর সাইজ বাড়াচ্ছে আপডেটের নামে। আর আপনি ওদের তালে তাল মেলাতে গিয়ে আপনার ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার অনুপযোগী করছেন। আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যার খারাপ হচ্ছে না বরং ওরা প্রতিনিয়ত অধিকতর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এর উপযোগী সফটওয়্যার রিলিজ করছে, যখন আপনার ডুয়েল কোর এর ফোনে আপডেট করছেন তখন সেটা রান করতে soc এর ওভারস্ট্রেস হচ্ছে, স্লো হচ্ছে হ্যাং হচ্ছে। আসলে এটাকে আপডেট বলেনা এটাকে ডেভেলপমেন্ট বলেনা , ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এক্সিস্টিং মেশিনে ঐ সফটওয়্যারকে আকার না বাড়িয়ে আরো বেশি অপটিমাইজড করা,লেস পাওয়ার কনজিউমিং করা,সাইজ আরো ছোট করার জন্য। এই কাজটাই করে লিনাক্স বেজড ডিস্ট্রো গুলো। কিন্তু এন্ড্রয়েড লিনাক্স বেজড হওয়া সত্ত্বেও এটার নিয়ন্ত্রণ পুঁজিবাদী গুগলের হাতে। এজন্য এটা সবচেয়ে নিম্নমানের ওএস। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার ৫-৬ বছর আগের ডিভাইস কোন ল্যাগ বা হ্যাং ছাড়াই ব্যবহার করবেন?  


* প্রথমে একটা ফ্যাক্টরি রিসেট দিবেন।
*এরপরে প্লে স্টোর এবং গুগল সংক্রান্ত কয়েকটা এপ্লিকেশন যেগুলা কম প্রয়োজন সেগুলো ডিজএ্যাবল করবেন। প্লেস্টোর ডিজএবল করবেন যাতে স্টক এ্যাপ আপডেট না হয়। প্লে স্টোর থাকলেই, গুগল, গুগল প্লে সার্ভিস সহ আরো কিছু সফটওয়্যার আপডেট করে আকার অনেক বাড়িয়ে ফেলবে যার ফলে আপনি স্বল্প র‍্যামে আর চালাতে পারবেন না। তাছাড়া ওরা গুগল প্লে সার্ভিস সহ কিছু স্টক এপ্লিকেশন আপডেট করে পুঁজিবাদ টিকিয়ে রাখতে নতুন নতুন শক্তিশালী প্রসেসরের জন্য, যেটা চালাতে আপনার দুর্বল প্রসেসর পেরে ওঠে না,অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। এই কারনেই স্লো হয়ে যায়। এজন্য কোনভাবেই আপডেট করবেন না স্টক এপ্লিকেশন গুলো।
*অন্য সফটওয়্যার গুলোর লাইট ভার্সন কিংবা অনেক আগের ভার্সন যেগুলার সাইজ ছোট ছিল সেসব ব্যবহার করা। অফিস এপ্লিকেশন যেগুলার সাইজ ৩ বছর আগে ৩০ মেগাবাইট ছিল এখন সেগুলো ১৫০-১৯০ এম্বি। সুতরাং ওল্ড ভার্সন ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক মেইন এপ্লিকেশন এর জায়গায় লাইট ভার্সন ব্যবহার করা যেতে পারে।
*যেহেতু প্লে স্টোর ডিজএ্যাবল করবেন নতুন এপ্লিকেশন ডাউনলোড কিভাবে করবেন? এজন্য অন্য কোন মার্কেট প্লেস ব্যবহার করতে পারেন, যেমনঃ mobile1, 9Apps, apkmirror,Fdroid, Aptoid,Moboginie,Apkpure এরকম অসংখ্য পাবেন। এদের মধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে  Apkpure বেশি পছন্দ করি। আপনারা চাইলে গুগল থেকেও ****.apk প্যাকেজ নামিয়ে ইন্সটল করে নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার আর্কিটেকচার মিলিয়ে নিতে হবে। নিয়ন এআরএম৭, এক্স ৮৬, এবং ৬৪ বিট এর মধ্যে আপনার ফোন যেটা সেটা নামালে ইন্সটল হবে। যেহেতু লোএন্ডের পুরাতন ফোন ইউজেবল করবেন সেহেতু এই ঝামেলাগুলো করতেই হবে।
*সফটওয়্যার চাইলে অন্যের ফোন দিয়ে ব্লুটুথ বা শেয়ারমি দিয়ে নিয়ে নেবেন(শেয়ারইট ব্যবহার করবেন না, বাজে এ্যাডে ভরে গেছে+ সাইজও অস্বাভাবিক বেড়েছে)
*থার্ডপার্টি এ্যাপ মার্কেট ব্যবহার করতে গেলেও খেয়াল রাখবেন গুগল এর  বা অন্যান্য হেভি এ্যাপ্লিকেশন আপডেট হয়ে না যায়। এজন্য সবচেয়ে ভাল হয় কোন এ্যাপ মার্কেট ব্যবহার না করে সরাসরি গুগলে সার্চ দিয়ে এপ্লিকেশন প্যাকেজ নামালে।
*ফোন এর ইন্টারনাল স্টোরেজে ব্যক্তিগত কিছু রাখবেন না। সেটাকে কিছুটা ফাঁকা রাখা জরুরি। অনেকসময় দেখা যায় একা একাই জায়গা কমতে থাকে। আমি ছবি তে দিয়েছি, এখানে দেখছেন একেকটা সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশনের সাইজ কিরূপ বেড়ে গিয়েছে। এখানে মূল রহস্য হচ্ছে ক্যাশ। সপ্তাহে অন্তত একবার প্রত্যেক এপ্লিকেশন এর ক্যাশ ক্লিয়ার করবেন। ক্যাশ ফাইল হচ্ছে একটা সফটওয়ার চলার কারনে জমা হওয়া কিছু ফাইল, যা পুনরায় ওই এ্যাপ্লিকেশন এ্যাক্সেসে দ্রুতি ঘটায়। যেমন ধরুন ফেসবুকের ক্যাশই জমে ৪০০-৫০০ মেগাবাইট ছাড়ায়। এর ফলে কিছু পেইজ প্রিলোডেড হয়ে থাকে। আবার কিছু ফাইল জাঙ্ক হয়ে থাকে। তবে পুরাতন ফোন গুলায় স্পেস কম হবার জন্য এগুলো সেটিং এর স্টোরেজ অপশনে গিয়ে ক্যাশ ক্লিয়ার করে নিবেন। এতে দেখবেন দু এক জিবি স্পেস খালি হবে।
*বড় সাইজের হেভি সফটওয়্যার এর বিকল্প লাইট কিছু খুজবেন। যেমন ধরুন ম্যাসেঞ্জার না চালিয়ে ম্যাসেঞ্জার লাইট। ক্রোম ব্রাউজার, ফায়ারফক্স এর আকার এখন ৯০+ এম্বি। বিকল্প হিসাবে অপেরামিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। যে এপ্লিকেশন ব্যবহার কম হয়, সেসব আনইন্সটল করা যেতে পারে।
* ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন ক্লিয়ার করবেন। র‍্যাম ভরে গেলেই হ্যাং করে। যেহেতু র‍্যাম কম তাই ব্যাকগ্রাউন্ড এ্যাপ বন্ধ রাখবেন। যে সব এপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড এ রান করা অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো ব্যাটারি অপটিমাইজেশন এ গিয়ে হোয়াইট লিস্টে রাখবেন, নতুবা এ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার সেভিং এর জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
*থার্ড পার্টি লঞ্চার ব্যবহার না করাই ভাল। সব সময় স্টক লঞ্চারে নির্ভর করা উত্তম।
*অনেক পুরাতন ফোনে আধুনিক এ্যাপ্লিকেশন আপডেট বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন একটা ফোনে দেখেছি ইউটিউব এ্যাপ চলেনা। সেগুলোয় বিকল্প সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে যেমন স্ন্যাপটিউব, পিওরটিউবার।
*যতদিন না পুরাতন সফটওয়্যার ব্যবহার অনুপযুক্ত হয় ততদিন চালাতে থাকবেন। যেমন হোয়াটসএ্যাপ একটা পর্যায়ে একই ভার্সন আর চলবেই না। আবার ফেসবুকও বাধ্যতামূলক আপডেট করতে হবে। ওই অবস্থা আসার আগ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন।
*একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যত কিছুই হোক, কোন অবস্থাতেই যেন গুগল ও গুগল প্লে সার্ভিস আপডেট না হয়।


এভাবে করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আপনার বাসায় ফেলে রাখা ফোন সচল রাখতে পারবেন। সেইসাথে আপনার হাতের লো কনফিগারেশন এর ফোনটাও অনেক বছর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।আসলে এন্ড্রয়েড লিনাক্স নির্ভর হলেও এটা লিনাক্সের মান ইজ্জত নস্ট করছে পুঁজিবাদীদের হাতে পরে। এজন্য পিউরিজমের লিবরেম আসলেও উচ্চমূল্যের জন্য তেমন সফল হয়নি। এখন চলে এসেছে পাইনফোন। এটা স্বাভাবিক ব্যবহার উপযোগী করতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য এখনো অনেক অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও মোবিয়ান অনেক এগিয়ে গেছে। মোবিয়ানে পাশে শক্ত কোন খুটির অভাবে খুব বেশি দূর হয়ত এগোবে না। এজন্য কেডিই প্লাজমা শেল পাওয়ার্ড- ম্যাঞ্জারো আর্ম এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাইন ফোন গুলোয় কম্পিউটার এর মত  আপনার ইচ্ছামত ওএস বদলাতে পারবেন। চাইলেই সেটায় ইন্সটল করতে পারবেন পোস্টমার্কেট ওএস,জোলার সেইলফিশ,পিওরওএস, উবুন্টু টাচ কিংবা এন্ড্রয়েড। 

Tuesday, January 25, 2022

করোনার ভ্যাক্সিন - ২

"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজের শেষ পর্বে এজেন্ডা একুশ নিয়ে লিখেছিলাম, মনে পড়ে? জাতিসংঘ ভিত্তিক এই এজেন্ডার মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনসংখ্যাকে কমিয়ে একটা সাসটেইনেবল অবস্থায় আনা। এদের মতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। পৃথিবী এর জন্য ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে। আর্থকে ভারসাম্যপূর্ণ করতেই জনসংখ্যা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা এক যুগ আগে থেকে কিছু অদ্ভুত ভয়ংকর বার্তাযুক্ত প্রোপাগান্ডা ভিডিও প্রকাশ করতে থাকে। এর প্রথমটিতে তারা মনুষ্যজাতির পদচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার সুস্পষ্ট কথাসহ ভিডিও প্রকাশ করে। আমি অনেক কষ্ট এটা সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। নিচের এম্বেডেড ভিডিওটা দেখুন!

 

   

এর কিছুকাল পরে আরো একটি ক্ষুদে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এতেও একই ম্যাসেজ। তাতে বেশ কিছু বৃদ্ধ নরনারীরা নিজেদের দুনিয়াবি হায়াত ভালভাবে ভোগ করার কথা জানিয়ে বলে, আমরা ভাল মানের একটা জীবন কাটিয়েছি, দুনিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা ভাল জীবন অতিবাহিত করে। এই ভিডিও বার্তায় বোঝানো হয়, বৃদ্ধরা ভালভাবে দুনিয়াবি হায়াত ভোগ করেছে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৃদ্ধদেরকে পৃথিবীর জায়গা ছেড়ে দিতে হবে কারনঃ ওভারপপুলেশন। দেখুন নিচের এম্বেডেড ভিডিওটিতে -  

 আমি যেদিনই ওদের ভিডিওবার্তা দেখেছি, বুঝেছিলাম ওরা জনগণ বিশেষ করে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেবার জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। তবে তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ৯০% জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন করা। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে এজন্য একটা গাইডলাইন লিখিয়েছে জর্জিয়ায়, যেটাকে গাইডস্টোন অব জর্জিয়া বলে। এতে স্পষ্টভাষায় বর্তমান জনসংখ্যার ৯০% এলিমিনেট করে দুনিয়াকে সাস্টেইনেবল করার কথা উল্লেখ করা আছে। দুহাজার উনিশ সালের শেষে আগত করোনা ভাইরাস বিশ্বকে এনগাল্ফ করার পর মৃত্যুহার কাদের মধ্যে বেশি দেখছেন? জ্বি অবশ্যই বৃদ্ধদের। তাহলে কি এই রোগটি এজেন্ডা ২১ এরই বায়োওয়েপন? ওয়াআল্লাহু আ'লাম। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। এটা একদম জোড় জবরদস্তি করেই দেয়া হচ্ছে,যেখানে এরোগে মৃত্যুহার একদম কম। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে জনগণকে। আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,স্কুলেও যেতে পারবেন না। সামনে হয়ত সব জায়গায় Qr code scanner বসাবে ভ্যাক্সিন কার্ড ভেরিফাই করার জন্য। বেলজিয়ামে লক্ষ জনতা এই শয়তানি বুঝে পথে নেমেছে। পুলিশের সাথে দাঙ্গা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এসব কেউই কিছু করার সাহস করবেনা। নিচের ভিডিওতে দেখুন।  

কাফিররা মানবজাতির দুশমন, এরা শয়তানের গোলাম। ফলে এদের কার্যক্রমের ব্যপারে সন্দেহ সংশয় রাখাই সমীচীন। আমি গত পোস্টে আলোচনা করেছিলাম এটা আরএনএ ভ্যাক্সিন যেটা সাধারন কোন ভ্যাক্সিন নয়। করোনা বসন্ত কিংবা প্লেগের মত বিভৎস কোন রোগ না, যেটা হলে মানুষের শরীর পচে গ্যাংরিন হয়ে মাংস খুলে পড়তো। সেসব রোগের টিকাও RNA না, করোনার মত ফ্লু রোগের টিকা আরএনএ এর মত হওয়ার কোন মানে পাইনা। ধরুন একটা কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড এর মসফেটে সমস্যা, সেখানে আপনি যদি প্রসেসর এর সকেটটা খুলে বাদ দেন, সেটা বাড়াবাড়ি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাধারন ভ্যাক্সিনের অনুরূপ হত, আমি এর বিরুদ্ধে এত বেশি বলতাম না, কিন্তু এটা সাধারণ কিছু না। আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারে যেরকম কোন সফটওয়্যার আনইন্সটল করা যায়না, তদ্রুপ এই mRNA একবার ইঞ্জেক্ট করলে সেটার ম্যাসেজ(m) বিকল করার উপায় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ধরনের ম্যাসেজ শরীরে পুশ করছে? হতে পারে স্টেরেলাইজেশন এর সেরাম, অর্থাৎ আপনার ফার্টাইলিটি নস্ট করে দেবে, সহজ কথায় আর সন্তান হবেনা। হতে পারে এটা ভবিষ্যতে অন্য কোন মরণরোগ সৃষ্টিতে সহযোগী ভাইরাস বহন করে। মজার বিষয় হচ্ছে এ কথা অফিশিয়ালি বলা হয় যে ভ্যাক্সিনে সুপ্ত অবস্থায় থাকা করোনা ভাইরাস থাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি এই রোগ নাও হয়, আপনার সুস্থ দেহে এই রোগের ভাইরাসকে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। হয়ত এই টিকা কার্যক্রমের আফটারম্যাথ দেখা যাবে আগামী ৫-১০ বছর পর। হতে পারে মানুষ গণহারে মারা যেতে থাকবে কিন্তু কোন কারন খুঁজে পাবেনা। সেদিন দেখি ভারতীয় এক ডক্টর আশংকা করেন এই ভ্যাক্সিন মানুষের ন্যাচারাল ইমিউন সিস্টেম নস্ট করে দিতে পারে। নিচের ভিডিও তে দেখুন-

  

 

যদি আল্লাহ প্রদত্ত ইমিউন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদম সাধারন রোগেও মারা যাবে। এই ব্যপারটাই HIV AIDS করত। সুতরাং গায়ে কি ঢোকাচ্ছেন সে ব্যপারে সাবধানতা আবশ্যক। আশ্চর্যজনক ব্যপার হচ্ছে এই ভ্যাক্সিন একবার নয় শরীরে তিন বার(তিন ডোজ) প্রবেশ করানো হচ্ছে, যাতে তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ হয়। মানে প্রথম ডোজ যদি ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ডোজ আছে, ২য় ডোজ ব্যর্থ হলে ৩য় ডোজ আছে। বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধদেরকে! উপরে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায়ের ব্যপারে লিখেছি। টিকা গ্রহনে মৃত্যুর ঘটনা অনেক ঘটছে যা কোন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া প্রচার করছে না,স্বাভাবিক ভাবেই করবেনা। গতকাল একটা মৃত্যুর হৃদয়বিদারক স্বজনদের আহাজারি দেখলাম।   

 অনেক মানুষ এই লেখা কন্সপিরেসি বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। তাদের কে প্রশ্ন করি, আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের কার্যকলাপের ব্যপারে সুধারনা পোষণ করতে শেখায়? আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নির্লিপ্ত হয়ে থাকতে শেখায়? 

গত পোস্টের লিংক: https://aadiaat.blogspot.com/2022/01/blog-post.html

Monday, January 3, 2022

করোনার ভ্যাক্সিন

করোনা নিয়ে তেমন কিছু লেখার সময় পাইনি। টিকা নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না লিখে থাকতে পারছিনা।

করোনা রোগটাকে অনেকেই অস্বীকার করে যেটা আমাকে অবাক করে, আমি করোনা ইউনিটে রোগীদের মধ্যে টানা ৯-১০ দিনের মত ছিলাম। ৫-৬ টা পেশেন্টের একদম নিকটে থেকেছি। তাই সবকিছু খুব ক্লোজ অবজার্ভ করার সুযোগ ছিল। আসলে রোগটা সাধারন জ্বর কাশি থেকে নিউমোনিয়া তৈরি করে মিল্ড হাইপোক্সিয়া থেকে সিভিয়ার এ্যাকিউট হাইপোক্সিয়া তৈরি করে শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমিয়ে লাঞ্জ বিকল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাকদিরে যাদের মৃত্যু ছিল তারা মারা গেছে। আমরা জানিনা ভাইরাসটা ম্যানমেইড নাকি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। ওয়াল্লাহু আ'লাম। তবে এটাকে কেন্দ্র করে ম্যানডাটরি ভ্যক্সিনেশনের দিকে হিউম্যানিটিকে ড্রাইভ করার দিকে তাকালে মনে হয় একটু সন্দেহ উদয় হয়। কেমন যেন মনে হয় বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যই এই ভাইরাস বানিয়ে ছাড়া হয়। হয়ত আপনি একবারো আক্রান্ত হননি কিন্তু ভ্যাক্সিন দিতেই হবে। আমি করোনার মধ্যে ছিলাম, ধরে নেয়া যাক আমার শরীর এর এ্যাণ্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তারাও এই ভাইরাস রেজিস্টেন্স হয়েছে, এরপরেও কিসের ভ্যাক্সিনেশন!? করোনার ভ্যাক্সিনটি mRNA যেধরনের ভ্যাক্সিন আগে কখনোই ব্যবহার হয়নি। জনগণ কি গিনিপিগ যে,আনটেস্টেড সেরাম শরীরে দেয়া হবে? তাছাড়া একটা বড় সমস্যা হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর রূপ বার বার পরিবর্তিত হয়,শতশতবার রূপ বদলিয়েছে,  তাহলে ভ্যাক্সিন কয়শত বার দিয়ে ভাইরাসকে চেনাবে? একটা ভাইরাসের বিহেভই ভাল করে না জেনে সেটার প্রতিষেধক কিভাবে বানানো সম্ভব!? সবচেয়ে বড় সমস্যা একটা পরিবর্তনশীল ভাইরাসের ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি করতেছে? ধরেন এ ভাইরাসের একটা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা, এটার ভ্যাক্সিন দেওয়া হলো, দুইদিন পর ভাইরাস রূপ বদলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসলো, এটা ধরুন আরো ভয়াবহ, আগের টাইপের ভ্যাক্সিন এখন অবসোলেট। সেই সেরাম এন্টিবডি কে যে ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস চিনিয়ে দিয়েছে, পরের ভ্যারিয়েন্টের বেলায় তো সেটা করবেনা। ধরেন এটার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হলো। একমাস পর আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট আসলো সেটার জন্য কি তাহলে আরেকটা?? এর শেষ কোথায়!!? অর্থাৎ এই রোগের কথিত ভ্যাক্সিনটা বার বার ইঞ্জেকশন  নেওয়ার রাস্তা খুলে দেয়। 


অনেকে এভাবে দেখছে যে ভ্যাক্সিন একটা ব্যবসায়। জ্বিনা ভাই এত নিষ্পাপ দৃষ্টিতে দেখে থামাটা অনুচিত। প্রত্যেকটা তাগুতি রাষ্ট্রই ভ্যাক্সিন জনগণকে বিনামূল্যে দিচ্ছে, সুতরাং সরকারের এত কি ঠ্যাকা পড়েছে যে জাতীয় ফান্ড খালি করে জনগণকে মাগনা ইঞ্জেকশন পুশ করবে! এখানেই শেষ না, ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট বানিয়েছে, এটা ছাড়া সার্ভিস মিলবেনা সেই ব্যবস্থা করছে। চাকরিবাকরি করলেও বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দিতে হবে।একটা সময় আসছে যখন সব জায়গায় কিউআর স্ক্যানার থাকবে, আমি আপনি ভ্যাক্সিনেশন এর কার্ড ছাড়া কোন সেবা পাব না। ভ্যাক্সিন গ্রহনে এত বেশি চাপাচাপি করার কারন কি ভাই! এতে কল্যাণ থাকলে বল প্রয়োগের জরুরত ছিলনা। এটার ভ্যাক্সিন বানালে আগে তো বহু মহামারী ছিল সেসবের ভ্যাক্সিন বানাচ্ছেনা কেন। সেসবও তো মানুষ আবারো আক্রান্ত হতে পারে। আমরা তো এখন দেখছি করোনা কমে গেছে, এরপরেও সুস্থ মানুষের দেহে ভ্যাক্সিন দিতেই হবে কেন! ব্যপারটা এ অবস্থায় দাড়িয়েছে যে সবার গায়ে ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্যই এরকম একটা ভাইরাস ছড়ানো হয়েছিল। আচ্ছা মিস্যান্থ্রোপিস্ট বিল গেটস সাহেবকে ২০১৫ সালে কে বলেছিল যে একটা মহামারী লাগবে এবং তাতে এক মিলিয়নের বেশি মরবে!? সুতরাং ওয়াল্লাহু আ'লাম হতেই পারে এটা ছিল একটা "প্ল্যানডেমিক"।


এবার চলেন বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে। তারা আমাদের শরীরে যে ধরনের সেরাম ইঞ্জেক্ট করতে চাইছে এটাকে বলে এমআরএনএ ভ্যাক্সিন অর্থাৎ ম্যাসেঞ্জার-RNA।  ছোটবেলায় পড়েছিলেন DNA RNA মনে পড়ে ? ডিএনএ সেলসমূহের ফাংশন কি হবে কিভাবে হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করে। RNA একদম ফার্স্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, এটা প্রোটিন গঠনের ক্ষেত্রে ডিএনএ এবং রাইবোজোম এর নিকট ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক এর ভূমিকায় কাজ করে। ডিএনএ থেকে তথ্য নিয়ে আরএনএ প্রোটিনে রূপান্তর করে। অর্থাৎ প্রোটিন কিভাবে বানাবে সেটার ফাংশন কি হবে সেসকল ইন্সট্রাকশন সেট RNA বহন করে। একটু ভাবুন তো যদি কোন ফরেন সিন্থেটিক সেরামে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর mRNA দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরে করাপ্টেড প্রোটিন বানাবে! মানে শরীরের বেসিক ফাংশান মৌলিকভাবে চেঞ্জ করা হচ্ছে। আল্লাহ শরীরে যেই ইন্সট্রাকশন সেট দিয়ে দুনিয়াতে আমাদের পাঠাচ্ছে, সেটাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এডিট করা হচ্ছে। সুতরাং সৃষ্টিকে পরিবর্তন যেহেতু শয়তানি কাজ বুঝাই যাচ্ছে এখানেও সেরকমই সৃষ্টিতে সরাসরি পরিবর্তনের একটা ব্যপার আছে। যদি RNA ইন্সট্রাকশন সেটে ভাল কিছুও থাকে তাও সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। ফান ফ্যাক্টঃ করোনা ভ্যাক্সিন বানাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো এরা একেকটা বায়োটেক কোম্পানি। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় শয়তানি এরাই করে থাকে। 


আপনার একটা আঙ্গুল কেটে আলাদা হলে কি সেটা আর গজাবে? গজাবে না। ঠিক একইভাবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ শরীরে প্রবেশ করালে আপনার দেহের মৌলিক ফাংশান আজীবনের জন্য পরিবর্তিত হবে। এটা অনেকটা ডিফল্ট সেটিং টাকেই পালটে ফেলা। অর্থাৎ এমআরএনএ ভ্যাক্সিন দিলাম মানেই নিজেকে কোনদিক দিয়ে অজ্ঞাতভাবে আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ বা নস্ট/চেঞ্জ করে দিলাম। আমেরিকার সিডিসির অফিশিয়াল পেইজ থেকে কপি- "Messenger RNA (mRNA) vaccines teach our cells how to make a protein that will trigger an...."। যাই হোক ওরা বলবে এটা ভ্যাক্সিনকে ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে অটোইমিউন সিস্টেম বানাবে,কিন্তু সেখানে ভাইরাস চেনানোর ইন্সট্রাকশন সেট নাকি অন্য কোন কিছু সেটা কি আপনি দেখেছেন বা সুনিশ্চিত জানেন নাকি তাদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছেন? এই "তাদের" মানে কারা? উত্তরে তাদের আসল পরিচয় একটাই আসে, এরা হলো - কা   ফি   র। আল্লাহর অবাধ্য, শয়তানের অনুগত। ওরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এক হয়ে কাজ করছে? উত্তর হচ্ছে- আসন্ন সম্রাট মসীহ আদ দা জ্জা ল এর। WHO ওদের মসিহের অপেক্ষাতেই সততার সাথে কাজ করছে, এটা ওরই প্রতিনিধি। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কাদের? উত্তর- এজেন্ডা ২১ তথা জাতিসংঘের। হু কাদের অঙ্গ সংগঠন? উত্তর - জাতিসংঘের,যেটা তৈরিই হয়েছিল ইহুদিবাদি মিশন বাস্তবায়নে,যেটা দাজ্জালেরই এজেন্ডা। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর লক্ষ্য নিয়ে লিখেছিলাম বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের শেষ পর্বে। তারা দুনিয়াতে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। যদি আপনার বডির প্রোটিনের এক্সপাইরেশন টাইমার দিয়ে বা করাপ্ট করার ইন্সট্রাকশন এনকোড করে mRNA শরীরে ইঞ্জেক্ট করানো হয় তাহলে তো এই সাস্টেইনেবল গৌল খুব সহজে এ্যাটেইন করা যায়। যাদের এরকম পরিকল্পনা আছে তাদের প্রোপাগান্ডায় কর্ণপাত করে শরীরে ওদের বায়োটেক কর্পোরেশন গুলোর তৈরি লিকুইড বায়ো-প্রোগ্রাম ইঞ্জেক্ট করা কি বোকামি হয়ে যায়না? 


ডিএমসির এক এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে সাথে সারাক্ষন যোগাযোগ ছিল,তিনি আমাকে বলেন প্রায় ৩০+ ডাক্তারকে হত্যা করে গুম করা হয় ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এতে বুঝতে পারি ওদের উদ্দেশ্য ভাল কিছু নাহ। এজন্যই ডাকাতের বিরুদ্ধে কথা বললে যেভাবে জবান চিরতরে বন্ধ করে সেটাই করছে। ওদের নিয়ন্ত্রিন মিডিয়াতে ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায়না। সব কন্টেন্ট ডিলিট করা হয়। সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়না। যেন কোথাও কেউ কিছু বলছেনা, সব কিছু স্বাভাবিক। সব সেকটর তাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই উনারা যা বলবে সবকিছু ঠিক এবং সেটাই মানতে হবে। বিরোধিতা করা যাবেনা করলেও সেটা প্রচারও হবেনা। 


ধরে নেন, ভ্যাক্সিন খুবই উপকারী কিছু, তাহলেও এটা গ্রহন করা উচিত হবে(?) যেহেতু এটা গায়ে ঢোকানো মানেই আমাদের শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ায় আল্লাহর সৃষ্ট মৌলিক নীতি তে হস্তক্ষেপ করে পরিবর্তন করা, পালটানো। এটা তো সুস্পষ্ট শয়তানেরই আদেশ।আল্লাহ শয়তানের এই কাজের ব্যপারে বলেন- 

"……আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।"

(QS. An-Nisa' 4: Verse 119)


অর্থাৎ শয়তানের অনুগত কাফিরদের মধ্যে সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশকে এক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। মডার্না যখন ভ্যাক্সিন বানায় তখন তারা কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করে যেগুলা পাঠলে অনেক রকম সন্দেহ আসবে। একটা বাক্য অনেকটা এরকম, "এই ভ্যাক্সিন গ্রহনে শরীরে নতুন ফিচার যুক্ত হবে।"  আমাদের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড কে উত্তেজিত করার শিক্ষা দেয় শয়তানের অনুসারীরা। এতে করে যেটা বোঝা যায় শয়তান জ্বীনদের মানুষের শরীরে এক্সেস সহজ করা হয়। যদি ভ্যাক্সিনে এমন কোন কম্পোনেন্ট থাকে যেটা একই কাজ করবে, তাহলে আসন্ন দাজ্জালের আবির্ভাবের ফলে শয়তান জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া, কিংবা দাজ্জালের কোন ফিতনায় পতিত করা সহজ হবে। এরকম কোন উদ্দেশ্য এই ভ্যাক্সিনেশন এর লক্ষ্য হওয়া অসম্ভব না।


 আমি লক্ষ্য করেছি ভাইরাস মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্বাস সম্পূর্নভাবে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পানি সংক্রান্ত বিশ্বাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তার ব্যক্তিত্বও একদম পালটে যায়,এক শিশুকে তো দেখেছি কুকুরের মতই ঘেউঘেউ করে। সুতরাং সিরিঞ্জে ভরা সেরাম শরীরে ইঞ্জেক্ট করে মানুষের এ্যবস্ট্রাক্ট ভিউ,পারসোনালিটি পালটে ফেলা অসম্ভব নাহ। ধরুন এমন কোন ফাংশন ক্যারি করে যেটা আপনার বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, ধরুন কাফিররা প্ল্যান করলো সকল মানুষকে এমন সেরাম ইঞ্জেক্ট করা হবে যার ফলে সকল মানুষ দাজ্জাল বের হলেই তাকে ইলাহ বলে মান্য করবে,তার অনুসারী হবে। এরকম কিছু করা অসম্ভব লাগেনা যেখানে একটা সাধারন ভাইরাস ধারনাকে পালটে ফেলতে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত নই ওরা কি করছে, তবে যাই করুক সেটাকে ভাল বলে মনে হয় না।  ধরুন আপনি ভ্যাক্সিন দিলেন। এখন কোন সমস্যাই ফিল করছেন না, কিন্তু ১০ বছরের মাথায় মারাগেলেন। আপনার সাথে সকল ভ্যাক্সিনেটেডরা টপ টপ করে মারা যেতে লাগলো। ব্যপারটা ভয়ংকর না? ডিপপুলেশন প্রোগ্রাম অনুযায়ী ওরা এমনটা করতেই পারে। মোটকথা ওরা কাফির, তারা আমাদের শত্রু, এরা আপনার ক্ষতিই চায়। ওরা শরীরে কিছু ভরতে চাইলে সেটা চোখ বুঝে গ্রহন করা নির্বোধ লোকের কাজ ছাড়া কিছুই নয়। কিছু ভাইকে দেখেছি ভ্যাক্সিন নিয়ে আজওয়া খেজুর খেতে পরামর্শ দেন। আসলে আঙ্গুল কেটে ফেলে দিলে সেটা আর গজাবে না, কিন্তু চামড়া কেটে গেলে কিংবা বিষাক্ত কিছু লেগে ঘা হলে, তাতে ওষুধ দিলে রিভার্স হবে। ওদের mRNA ভ্যক্সিন চামড়া কাটবেনা বরং একদম আঙ্গুল কেটে আলাদা করে দেবার মতই শরীরের ফাংশন স্থায়ীভাবে চেঞ্জ করে দেবে। এখানে আজওয়া খেজুরের তেমন ভূমিকা থাকার কথা নাহ। তবে আল্লাহ চাইলে ক্ষতি নাও হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় রিস্ক না নিয়ে গায়ে সুঁচই না ভরা। এতে কোভিডের সার্টিফিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। এ বিষয়ে মুহতারাম ইদ্রিসভাইয়ের একটা চমৎকার সল্যুশন আছে। তাকে ইনবক্স করে জানতে হবে। যেসব বোনেরা কখনো চাকরি করবেন না,বাসার ভেতরেই গৃহিনী হিসাবে থাকবেন। তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জরুরত দেখিনা। তবে ভ্যাক্সিনেশন এর জেনুইন সার্টিফিকেট রাখা উত্তম। 


Wednesday, October 6, 2021

এ্যাডমুক্ত ইউটিউব দেখার উপায়

 আমরা ইউটিউব এ এডভারটাইজের জন্য অনেকে বিরক্ত হয়ে থার্ডপার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু সেসবে পূর্ণাঙ্গ ইউটিউবের এনভায়রনমেন্ট পাওয়া যায়না।

এজন্য আজ দেখাতে চাইছি কিভাবে ইউটিউব এর সকল প্রিমিয়াম ফিচার সমৃদ্ধ ইউটিউব ব্যবহার করবেন। আমাকে আমাকে শিখিয়েছেন মুহতারাম ইদ্রিস ভাই। প্রথমে ফোনের স্টক রমে বিল্টইন ইউটিউব এপ্লিকেশন আনইন্সটল/ডিজএবল করে নিন। এরপরে নিচের ভিডিওতে যা করা হয়েছে সেসব অনুসরন করুন। 


এটা করা হয়ে গেলে ভ্যান্স মাইক্রো জি নামের এপ্লিকেশনটাকে ব্যাটারি সেভার/অপ্টিমাইজেশন এর হোয়াইটলিস্টে রাখবেন যাতে করে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এটা বন্ধ না হয়ে যায়। একেক ফোনের রম অনুযায়ী এটার সেটিং একেক ফোনে একেক রকম। অনেক ফোনে এরকম ব্যাটারি সেভার একেবারেই নেই। এজন্য এটা দেখানো নিষ্প্রয়োজন। 

Thursday, January 28, 2021

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৫

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ 

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গত একমাস ধরে লক্ষ্য করছি অনেকেই "ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব" পিডিএফটি ডাউনলোড এর জন্য আমার পূর্বব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত এক গুগল ড্রাইভে এক্সেসের জন্য রিকোয়েস্ট করছেন। অথচ সেখান থেকে ফাইল অপসারন করা হয়েছিল এবং যথাস্থানে[১] লিংক আপডেট করা হয়েছিল। এরপরেও আপনাদের অনেকে পুরাতন লিংক কোথায় পাচ্ছেন বুঝতে পারছিনা। যদি কোন ভাই যদি পুরাতন লিংক সংরক্ষন করে থাকেন, সেটা চেক করে দেখবেন এবং ডিলিট করে দিবেন। কাউকে লিংক দেবার আগে এটা দেখা জরুরী, সেই লিংক কাজ করছে কিনা। যারা পুরাতন গুগল ড্রাইভে পারমিশন রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছেন তাদের সুবিধার্থে নিচে লিংক দিয়ে দিলাম[২]। যদি কোন ডকুমেন্ট এর লিংক না কাজ করে, তবে তা সরাসরি কমেন্টে জানালে ইহসান হয়। 


______________________________________________

Tuesday, December 1, 2020

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৪

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি তা'য়ালা। 

আশা করি আল্লাহর দয়ায় সকলে ভাল আছেন। আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে স্পষ্ট করতে লিখছি। 


আপনারা জানেন আমার এ ব্লগে লেখা অনেক পোস্ট আছে যা দেখে মনে হবে আত্ব তাঞ্জিমুল ক্বায়িদাতুল
জিহাদের প্রতিনিধিত্বমূলক। খেয়াল করলে লক্ষ্য করবেন এখানে অনেক পোস্ট আছে যা মূলত সালাফি চিন্তাধারার সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু মূলত তাঞ্জিম আল ক্বায়িদা একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম। এখানে সালাফি, মাজহাবি,সুফি, দেওবন্দি এবং আসারি - আশআরি - মাতুরিদি সকল স্কুল অব থট এর এ্যাডহিয়ারেন্টসদের জন্য উন্মুক্ত। আল্লাহর যমীনে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ। এ তাঞ্জিম ফুরুঈ ইখতেলাফি[ছোটখাটো মতানৈক্য] বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিভাজন তৈরিকে সমর্থন করেনা। মতানৈক্য নিয়ে বাহাসের সময় হবে তখন যখন কালো পতাকা সাদা হয়ে যাবে[দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হবে]।

আপনারা লক্ষ্য করলে এ ব্লগে এমন অনেক লেখা পাবেন যা মাতুরিদি/আশআরি কিংবা সুফি/দেওবন্দী/ব্রেলভীদের কিছু দর্শনের ব্যপারে কড়া সমালোচনা। এজন্য আমি স্পষ্টভাবে বলব আমার এ ব্লগটি আল ক্বায়িদার অফিশিয়াল কোন ব্লগ নয়। এ ব্লগের ব্যপারে খুব ভালভাবে খোরাসানের ইসলামি ইমারতের মুজাহিদগন অবহিত আছেন। এবং তারা এমনকি ব্লগের প্রতিটি আর্টিকেলের ব্যপারে অবগত আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের সাথে আমার একাধিকবার বার্তা বিনিময় হয়েছে। তারা এটাকে ব্যক্তিগত ব্লগ হিসেবেই দেখেছেন। 

সুতরাং আমার সালাফিবাদের পক্ষপাতমূলক লেখা পড়ে কেউ এ জেনারেলাইজেশনে যাবেন না যে, আল কায়িদা মানেই শুধুমাত্র সালাফিজম কিংবা আমি যা যা লিখি তার সবকিছুই আল কায়েদার মতাদর্শ। আমি এ ব্লগে কস্মোলজি/ সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয় র‍্যাডিক্যাল চিন্তাধারার সাথে সবাইকে পরিচয় করাই,আমি বিজ্ঞানের ফিজিক্স & এস্ট্রোনমির ব্যপারে এমন কিছু বলি যা আগে কেউ কখনো বলেনি। এজন্য কেউ আমার কথাকে ধরে মানহাজকে এর অন্তর্ভুক্ত করবেন না। এ সমস্ত বিষয় মতানৈক্য আছে, থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না যেহেতু মানহাজে অনেক স্কুল অব থট আছে। 



এবার আসি সদ্য প্রকাশিত "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" এর পিডিএফ প্রসঙ্গে। আপনারা জানেন যে ২০১৭ সালে শুরু করা "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজটি আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে শেষ হয়েছে। মাঝখানে লম্বা একটা সময় ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় থেমে ছিল। যাইহোক, আপনারা দেখেছেন বিগত বছর গুলোয় অপবিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে অনেকভাবে সমালোচিত হয়েছি। সাধারণ কেউই আমার কথাকে সহজভাবে গ্রহন করতে পারত না। অথচ তখন যা বলতাম তার কোনটিই দলিলবিহীন মনগড়া অসাড় কথা ছিল না। যখন থেকে পর্ব ধরে ধরে লিখতে শুরু করলাম তখন থেকে চুপ হয়ে যেতে দেখলাম। অতঃপর এখন আর কেউ কিছুই বলে না। ভাবখানা এমন যেন কিছুই হয়নি। এ অবস্থার কারন তারা ভাল করেই জানে। ওরা জানে বিপরীতে গিয়ে উল্টাপাল্টা বললে ঈমানের সীমারেখার বাইরের কোনকিছুকে সমর্থন করে বলা হয়ে যাবে। এজন্য হয়ত পূর্বেকার অজ্ঞতার জন্য হয়ত অনেকে লজ্জিত। আবার এরকম অনেকে আছে যারা  তাদের ঔদ্ধত্যকে অপরিবর্তিত অবস্থায় রেখেছে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের উপর।  ওরা নিজেরাও জানে না ওদের পয়েন্ট কি অথবা তাকদিরে এরকমটা লিখিত আছে যার দিকে তারা ধাবিত,বস্তুত আমরা সকলেই। কারো স্যাটেরিক্যাল রিয়্যালশনের জবাব আমি তাদের ফ্রিকোয়েন্সিতে গিয়ে দেই নি বরং সবর করেছি এবং শুধুমাত্র চেনা অচেনা লোকগুলোর কথা ভদ্রভাবে সুদীর্ঘ আর্টিকেলের নিচে স্ক্রিনশট আকারে দিয়ে দিয়েছি। ব্যস। এটুকুই। ইতোমধ্যে পিডিএফটি আড়াই হাজারবারের বেশি ডাউনলোড হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই ১০... ২০... এরপরে অর্ধলক্ষ। আমাকে কিছুই বলতে হবে না, বুদ্ধিবৃত্তিক করাপশন দেখে পাঠকদের দ্বারাই তারা তিরস্কৃত হবে। আল্লাহ এভাবেই অহংকার ও ঔদ্ধত্যের শাস্তি দিয়ে থাকেন। দ্বীনি স্ট্যান্ডার্ডে আমি যা উল্লেখ করেছি ওটাই আল্টিমেট সীমারেখা। যে কন্সেপ্ট গুলোকে কনডেম করা হয়েছে আপনি মিথ্যে না বললে কোনভাবেই বৈধতার আওতায় আনতে পারবেন না। কারন তখন ঈমান ও কুফরের প্রশ্ন চলে আসবে। এজন্য সহজে কেউই এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করবে না। তারমানে আমাদের এ গ্রুপে ইটারনাল সাইলেন্স চলে এসেছে বা আসবে। কোন ফেসবুক বুজুর্গ বেশি চিৎকার করলে পিডিএফটি উপহার দেবেন,আশা করি বেশিক্ষণ আওয়াজ শুনবেন না। 


মনে রাখা প্রয়োজন আমি কখনোই অল্টারনেটিভ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার মাকসাদে লেখালিখি করিনি।বরং উদ্দেশ্য বিভিন্ন তত্ত্ব সমূহের অরিজিন্স এবং  গ্রহণযোগ্যতাকে স্পষ্টীকরণ। বিজ্ঞানের অনেক রহস্যময় ব্যপারের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে উড়িয়ে দেই না। বরং সেসবের অস্তিত্ব বাস্তবে থাকলে তা সিহরের আওতাভুক্ত কিনা সে ব্যপারে সচেতন করি। এমনটা কখনোই বলিনা প্রযুক্তিগত পণ্যদ্রব্য সমূহ সিহর/যাদু। যারা এমনটা বলে যে টিভি ফ্রিজ মোবাইল সিম মেমরি সবকিছু যাদু, এটা আমার নিকট শুনতে খুব লেইম লাগে। এটা খুবই মিজারেবল পুওর আন্ডারস্ট্যান্ডিং। প্রযুক্তির মধ্যে সিহরের কাতারে শুধুমাত্র সেসবকেই ফেলি যা তৈরিতে যাদুশাস্ত্রীয় বিদ্যাকে সরাসরি ব্যবহার হয়েছে। এটা খুবই সোজা হিসাব, মদ দ্বারা তৈরি খাদ্য বর্জনীয়,শূকরের চর্বি দ্বারা খাদ্য/পণ্যও বর্জনীয়। এ বিষয়ে আর্টিকেল সিরিজের শেষভাগে উল্লেখ আছে। আমরা যেন এমন কিছু না বলি যা উম্মাহ থেকে আমাদেরকে দূরে ঠেলে দেয় বা আমরা কাউকে অজ্ঞতার জন্য দূরে ঠেলে দেই।  


আমার এক ভাই বলেছিলেন আর্টিকেলগুলোর শুরুতে কিছু পরিভাষা দিয়ে দিতে যাতে সবার জন্য বুঝতে সহজ হয়। এটা করতে আমার সাথে সাধারন মানুষের ইন্ট্যার‍্যাকশানের প্রয়োজন ছিল, যেটার পথ বন্ধ। পাঠকদের সুবিধার্থে ১০ পর্বের পর দিয়ে ইংরেজি বাক্য এবং উইকিপিডিয়া ভিত্তিক লেখা কমিয়ে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি এনেছি, এটা আপনারা সকলেই আশা করি লক্ষ্য করেছেন। অনেক কিছুই সরাসরি না দিয়ে অনুবাদ করেছি। এজন্য এটা পাঠ করা এবং বোঝা খুব কঠিন হবে না আশা করি। 

প্রথমবারে পিডিএফে কম্বাইন করা আর্টিকেলে কিছু মেজর ইস্যু থাকে, এজন্য আগের ফাইল ডিলিট করে আপডেট করা হয়েছে। রিভিউ ছাড়াই পাব্লিশ করছি এজন্য, এখনো অনেক মাইনর ইস্যু আছে। আপনারা যারা আগে ডাউনলোড করেছেন তারা ফাইলটা ডিলিট করে আবারো আপডেটেড লিংক থেকে[সেকেন্ড এডিশন] নামিয়ে নিবেন। বিশেষ কারনে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই এই আর্টিকেল সিরিজকে শেষ করা। আরো বিস্তারিত করার ইচ্ছা ছিল। ইনশাআল্লাহ বছর খানেক পর পরবর্তী সংস্করণে অনেক কিছু সংযোগ ঘটানো হবে। 



এখন আসা যাক আসল কথায়। গুরাবা তথা এ যুগের আগন্তুকঃসংস্কারকরা সবসময় দ্বীনের সাথে ইনকন্সিস্টেন্ট/ইনকম্প্যাটিবল জিনিস নিয়ে কথা বলবে, সংস্কারের চেষ্টা করবে,এটাই স্বাভাবিক। হতে পারে-পলিটিক্যাল,সোস্যাল, ইকোনমিক্যাল, এজ্যুকেইশনাল...সবকিছু। তারা কোন কিছুর সাথেই আপোষ করে চলবে না। এরই একটা অংশ কস্মোলজি-কস্মোগনি সংক্রান্ত শিক্ষা। এটা একদমই গুরুত্বহীন চ্যাপ্টার না। কিন্তু তাই বলে এটা নিয়ে সারাক্ষন পড়ে থাকা বুদ্ধিপ্রদীপ্ত কাজ বলে মনে করি না। বরং উম্মাহর সংকটের সময়ে অন্যশাখা গুলো নিয়ে বেশি চিন্তাফিকির করাই বেশি সঙ্গত। একটা বিষয় নিয়ে সারাদিন সময় দিয়ে বাকি গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে ভুলে যাওয়া খণ্ডিত দ্বীনচর্চার নামান্তর। এজন্য যেহেতু সৃষ্টিতত্ত্ব/বিজ্ঞান সংক্রান্ত যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে, আমাদের উচিত এর পেছনে আর বেশি সময় ব্যয় না করা। প্রত্যেকেরই উচিত সাধ্যমত দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করা যাতে করে পা পিছলে না যায়। প্রত্যেকেই একেকটা বিশুদ্ধ তাওহীদ ওয়াল জিহাদের দাওয়াহ পোর্টাল হিসেবে কাজ করতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য যেন কখনোই দুনিয়ামুখী না হয়, কিংবা অর্থনৈতিক/ যশ/খ্যাতির উদ্দেশ্যে না হয়। রিয়া-উজব ধবংসের দিকে নিয়ে যায়। আরেকটি বিষয় হলো এই সকল র‍্যাডিক্যাল আইডিয়াগুলোকে ধরে আমরা যেন কোনভাবেই উম্মাহর মাঝে বিভাজন সৃষ্টি না করি। কাউকে এমনভাবে কিছু না বলি যাতে তাকে ভিন্ন ফির্কা বা পথভ্রষ্ট/ইন্ডিরেক্ট তাকফির করা হয়,আমরাও যাতে নিজেদের ভিন্ন ফির্কায় ডিফারেশিয়েট না করি। এগুলো অনেকটাই খারেজিদের ভাবনা। যদি এরকম কাউকে করতে দেখেন, তাহলে ঐ ব্যক্তিকে তিরস্কার করি, তার সাথে আমি ইমরানের  কোন সম্পর্ক নেই, যদিও সে ব্যক্তি আমার এখান থেকেই এই চিন্তাধারার সম্পর্কে ধারনালাভ করেছে। আমাদের মানহাজ অনেকটা নরম মধ্যমপন্থীদের মানহাজ। আমরা চরমপন্থাকে অপছন্দ করি। কোন মানুষের বাহ্যিক কুফরি কর্ম বা তার পক্ষপাতমূলক কর্ম দেখে যেন আগ বাড়িয়ে কাফির ডাকা না শুরু করি। সবার আগে প্রয়োজন দাওয়াহ পৌছানো। অধিকাংশ সময় জাহালতের জন্যই মানুষ উল্টাপাল্টা কর্ম করে।  



আমার সাথে যোগাযোগহীনতা নিয়ে কিছু কথাঃ

আমার প্রিয়ভাইয়েরা খুব চান আমি যেন ফেসবুকে সবসময় থাকি, তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকি, সবার সাথে নিয়মিত লাইভ বার্তা বিনিময়,সরাসরি দেখা করি....ইত্যাদি ইত্যাদি।ব্যস্ততা+ মানহাজগত কারনে এরকমটা আসলে সম্ভব না।  আমি ব্যক্তিগতভাবেও সবার চোখের আড়ালে একাকি থাকতে পছন্দ করি। ফেসবুকের কারো সাথেই যোগাযোগ করিনা। বিগত কয়েকমাস ধরে পারিবারিক আইডিটাও ডিএ্যাক্টিভেট করে রেখেছি। বাস্তবজীবনেও একাকিত্ব - আইসোলেশন পছন্দ করি। মানুষের সাথে ইন্টার‍্যাকশন হলে খুবই এক্সস্ট লাগে, মনে হয় সমস্ত এনার্জি ড্রেইন হয়ে যায়। যত একা থাকি তত ভাল থাকি। ইন্টুইটিভ এমপ্যাথ হবার জন্য এরকম মানসিকতা হতে পারে। আল্লাহ ভাল জানেন। ফেসবুকে সক্রিয় থাকাকালে দেখা যেত কোন একজনকে ম্যাসেজে বেশি সময় দেয়া হয়ে যেত, অন্য আরেকজনকে কম অথবা অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাঝেমধ্যে ইগ্নোর হয়ে যেত। এখানে আসলে সুবিচার করা হয়না। দিলে সকলকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এজন্য ব্যস্ততার জন্য ভারসাম্যহীন আচরণের তুলনায় সকলের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা কল্যাণকর মনে করছি। এজন্য কেউই আমার প্রতি অভিমান রাখবেন না। ভাল খবর হচ্ছে ব্লগের কমেন্ট সেকশনকে আবারো খুলে দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় দেরিতে হলেও রিপ্লাই পাবেন। বিইযনিল্লাহ। খুলবার মূল উদ্দেশ্যঃ পিডিএফের কোন বড় কোন সমস্যা পেলে যেন যেকেউ জানাতে পারে। 




যা কিছু উল্লেখ করেছি, তার মাঝে যা অকল্যাণকর তা আমার এবং শয়তানের পক্ষ থেকে। যা কিছু কল্যাণকর যা আল্লাহ আযযা ওয়াযালের পক্ষ থেকে।

দু'আর দরখাস্ত রইলো। আসসালামু আলাইকুম আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। 

Thursday, May 28, 2020

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৩

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি সকলে আল্লাহর ইচ্ছায় ভাল আছেন। একটা বিষয়ে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যা নিয়ে শেষপর্যন্ত লিখতেই চলে এলাম।

"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" সিরিজ নিয়েই দুশ্চিন্তা! আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করতে শুরু করেছেন ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের গভীর থেকে গভীরতর তত্ত্বের দিকে যাওয়া হচ্ছে। যত গভীরে প্রবেশ করছি, দেখতে পাচ্ছেন তত কুফরি আকিদা এবং যাদুবিদ্যাভিত্তিক শাস্ত্রের গহীনে যাওয়া হচ্ছে। আমার ভয় হয়, এসব পড়ে কেউ আবার কেউ ঈমান - কুফরের ফিতনায় পড়ে যায় কিনা। এজন্য ক'দিন আগে এক দ্বীনি ভাইকে বলছিলাম যতদূর গিয়েছি এবার থেমে যাব কিনা। তিনি সাহস দিয়ে থামতে নিষেধ করলেন। একটা বিষয় হচ্ছে, আমি এ সকল বিষয় না এনে পারিনা, কারন এগুলোই বিজ্ঞানের আসল পরিচয়, আসল রূপ। বিজ্ঞানীদের আসল আকিদাহ। এসব এড়িয়ে গেলে বিজ্ঞানের আসল পরিচয়কে গোপন করে আজীবন বৈধবিদ্যার মর্যাদায় রেখে অনুসরণ চালিয়েই যাওয়াতে সহযোগিতা করা হবে।  আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কোন বিজ্ঞানপ্রিয় মুসলিম মুসলিমাহগন আমার বিরুদ্ধে এসব ডকুমেন্টস রিফিউট করতে সাহস করে না, কারন এটাই বাস্তবতা। কি করে সত্যকে অস্বীকার করবে বলুন! আমার খুব দুঃখ এবং ভয় হয় যে আমার পিছনে এমন কেউ নেই যার উপর নির্ভর করে নিশ্চিন্তে কিছু লিখব, কারন এ এমনই কিছু বিষয় যা আমার পূর্বে কেউই লেখেনি। এজন্য স্বীয় অবস্থানগত বিশুদ্ধতার সন্দেহে প্রতিনিয়ত অজানা ভয় গ্রাস করে,যেহেতু কোন কোন আলিমই এমন র‍্যাডিক্যাল চিন্তায় যায়নি তাই তাদের থেকে স্বীকৃতি নেই । আমার কন্সেপচুয়াল মডেল একমাত্র সরাসরি আসহাবে রাসূল(সাঃ) এর সাথেই মেলে। এর মাঝের ১৩০০ বছরের মাঝে আর কাউকে খুজে পাইনা, আলিমদের বিপরীত অবস্থানের জন্য কখনো কখনো  নিদারুণ অসহায়ত্বে ভুগি। অনেক প্রকারের ডিলেমার মধ্যে পড়ি। এমন চিন্তাও করি যে ভবিষ্যতে এমনও করতে পারি যে, আমি যাই বলেছি বা করেছি তা হঠাৎ করে সবকিছু মুছে দেই এবং যারা এর কিছু সংরক্ষন করেছে তা মুছতে আদেশ দেই[এমন কাজ সত্যিই করার সম্ভাবনা আছে]। কেননা আল্লাহ আযযা ওয়াযাল সবকিছুর হিসাব নেবেন। বিষয়টা চরমভাবে ভীত করে। কিন্তু আবার যখন কুরআন সুন্নাহের দিকে তাকাই তখন মনে হয় আমার অবস্থান বিশুদ্ধ এবং এসব কাজে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআ'লার কাছে অসন্তোষজনক নয়। যাইহোক আল্লাহর কাছে যাবতীয় ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং যেকোন ধরনের বড় কোন বিভ্রান্তির কারন হওয়া থেকে পানাহ চাই। আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই আমার নিজের দ্বারা ঘটা অন্যের উপর যেকোন অনিষ্ট থেকে। আমি কারও উপকার যদি নাও করতে পারি, আমার দ্বারা যেন কেউই কোনরূপ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমিন।

"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" সিরিজ সামনে আরো অনেক ভয়াবহ ঈমানবিধবংসী অপবৈজ্ঞানিক আকিদাহ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এমতাবস্থায়, সাধারন মানুষের কল্যানের জন্য আমি আবারো একটি শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। এর আগে শুধুমাত্র ব্লগের রেফারেন্স দিয়ে কপি পেস্ট করার অনুমতি দিয়েছিলাম , "বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" সিরিজের উপর সেই সুযোগটিও রাখা হচ্ছে না। আজকের পর থেকে এই আর্টিকেল সিরিজের কোন পর্বের যেকোন ধরনের কপি পেস্ট নিষেধ করা হচ্ছে। ব্লগের রেফারেন্স আমার নাম কোন কিছু উল্লেখ করে বৈধতা পাওয়া যাবে না। সেই সাথে এর উপর যেকোনো ভিডিও নির্মাণ করার ক্ষেত্রেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। তাছাড়া এর কথাগুলোকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিজের মত করে লেখার বিষয়েও নিষেধ করছি। অনেকে এসবে পাণ্ডিত্য জাহিরের জন্যও করে থাকে, তাদেরকে এসব কার্য থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করি। এসব নিয়ে ঘাটতে যাওয়া হাতে প্রদীপ ছাড়া অন্ধকার গুহায় প্রবেশের মত, নিজের মত ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলা, ধাধার মধ্যে পড়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি যা প্রকাশ করছি, এসবের যা দুর্বোধ্য লাগে সেসব বুঝতে চাওয়ার প্রয়োজন নেই। এসবের মাঝে অকল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ নেই।

যারা আমার কৃত নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্ট পিটিশনে যাওয়া হবে। কপিরাইট চেক করার এআই বটগুলো ভাল করেই জানে, আমার এ ব্লগের বাইরে আমার পূর্বে কোন ভাষাতেই এসকল বিষয়ে আমার আনিত বিশেষ স্ট্যান্ডার্ডে কিছুই নেই। সুতরাং এ জাতীয় পিটিশনে শতভাগ আনুকূল্য পাব বলে আশা করি।

এমতাবস্থায়, একমাত্র সীমিত পরিসরে লিংক শেয়ার ছাড়া আর কিছুর বৈধতা দিতে পারিনা।  এতেও যদি ভবিষ্যতে কোন ফিতনার আশংকা করি তবে এটার পথও বন্ধ করার জন্য বলা হবে। আমি এমনিতেই সমস্ত পর্বগুলোকে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করব। আমি এ সংক্রান্ত সকল বিষয়কে একটা বিশেষ শেইপে পূর্নতাদান করতে চাই যেহেতু এই ফিতনা ২০১৬ এর দিকে আমার হাতেই জন্ম। আমি কোনভাবেই এসকল ধ্বংসাত্মক বিষয়গুলোকে ছেলেখেলা বানিয়ে যার যার মত অনুসারে ছড়িয়ে সুদূরপ্রসারী ফিতনাহর জন্ম দিতে পারিনা।


আমি ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি একদল ভাই মতে মিল না হওয়ায় অপর মুসলিম ভাইদের সাথে এমন রুক্ষ আচরণ করছেন যেটা একমাত্র কাফিরদের সাথে করাই শোভা পায়। সৃষ্টিতত্ত্বের বিশ্বাসের পার্থক্যে এমন আচরণ কখনোই সমর্থন করা যায় না। যারা শয়তান ও কাফিরদের হাতে নির্মিত সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাসস্থাপন করে, এরূপ ব্যক্তি যদি আমাদের গালমন্দও করে, আমরা তা মুখবুজে সহ্য করব, তাকফির করা তো অনেক দূরের বিষয় । ভদ্রতার সাথে জবাবের বাহিরে যেন কোনরূপ রূঢ় আচরণ অপর মুসলিম ভাইদের প্রতি না করি।


অনেকে আমার সাথে যোগাযোগের প্রত্যাশা করেন, আমি আগেই বলেছি সময়ের অপচয় এবং শুহরাতের থেকে বেচে থাকার জন্য অনলাইনে সক্রিয় অবস্থানকে অপছন্দ করি। আমি জানি না ভবিষ্যতে কবে আবারো ফেইসবুকে আসছি। তবে সব সময় "ইল্মুল কালাম ওয়াল ইসলাম" নামের আমাদের গ্রুপে নিয়মিত চোখ রাখি। ব্লগের মাঝেই আপাতত সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। এখানে কাজ শেষ হয়ে গেলে এখান থেকেও বিদায় নেব। ব্লগে আগে গুগলে লগইন না করে কমেন্ট করা যেত না , এখন পাব্লিকভাবে বিনা লগইনে যে কেউই মন্তব্য করতে পারবেন। তাছাড়া এ ব্লগে "ফলো" বাটন আগে ইনএ্যাক্টিভ ছিল, যেটা এখন এক্টিভ করেছি। যাইহোক আমি সবসময় চেষ্টা করব কমেন্টের জবাব দিতে। ইদানীং লেখালেখির কাজে নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছি বিভিন্ন ডিজিটাল  হার্ডওয়্যারে সমস্যা হবার জন্য। ডিজিটাল স্টোরেজ এবং আমার অরগ্যানিক স্টোরেজ থেকে অনেক ইনফরমেশন হারিয়ে যাচ্ছে। দু'আর মুহতাজ।           

Sunday, May 3, 2020

MX Linux ইউজারদের বাংলা ব্রোকেন ফন্ট(Broken Font) এর সমাধান


কিছু প্রিইন্সটল্ড ফন্টের সাথে কনফ্লিক্ট এর দরুন সম্ভবত এমনটা হয়। সমাধান অনেক সহজ। রুট এ্যাক্সেস নিয়ে ফাইল ম্যানেজার দিয়ে নিচের লোকেশনে যাবেন।
/usr/share/fonts/­truetype/freefont/ 
এখান থেকে freesans ফন্ট delete করতে হবে।

/usr/local/share/­fonts/ ডিরেক্টরিতে গিয়ে kalpurush অথবা আপনার পছন্দের ফন্ট ফন্ট কপি করে পেস্ট করবেন।

এবার সাইন্যাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজার থেকে "fonts-lohit-beng-ben­gali Lohit TrueType font for Bengali Language" প্যাকেজটি ইন্সটল করে নেবেন। ব্যস, সবঠিক। আমি আমার লিনাক্স মেশিনে এটা একাধিকবার করে সফল।এমএক্স ছাড়াও অন্য ডিস্ট্রো গুলোতেও(i.e:mint) কাজ করার সম্ভাবনা আছে।

Thursday, April 16, 2020

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ০২

কিছু দ্বীনি ভাইয়েরা ব্লগের আর্টিকেল ব্যবহার করে নিজের নামে ভিডিও তৈরি করে প্রচার কপি পেস্ট করা নিয়ে আপত্তি করছেন। না চাইলেও আবারও 'মানহাজগত দাওয়াহ' এর স্বার্থে বলতে বাধ্য হচ্ছি। 

আমি জানি আমিই প্রথম Astronomy, metaphysics, সৃষ্টিতত্ত্ব(cosmogony),Esoteric natural philosophy, mysticism এবং প্রচলিত বিজ্ঞান নিয়ে একদম ভিন্ন পার্স্পেক্টিভে বিশদভাবে লিখতে শুরু করেছি। এর সমতূল্য অনলাইনে কোন ভাষাতেই এত বিস্তারিত কিছু পাবেন না। জিনিসগুলো অনেকের কাছে খুব ইন্ট্রেস্টিং মনে হয়, অনেকে তেমন কিছু না জেনে-বুঝে ভিডিও তৈরি শুরু করেছে। বিশেষ করে ব্লগের আর্টিকেল গুলো কপি পেস্ট করছে বা ঘুরিয়ে নিজের মত উপস্থাপন করছে, যাদের অনেকেই বাংলা শব্দগুলোও শুদ্ধভাবে বলতে জানেন নাহ। অনেকে কপি পেস্ট করছেন নিজের নামে। প্রথমত, এটা আমার 'মানহাজগত দাওয়াহ' এর পথে প্রতিবন্ধকতা। এই স্বার্থটি না থাকলে কোন আপত্তি ছিল না। আমি বাতেনিয়্যাহ ফির্কা কিংবা মুরজিয়াদের মানহাজকে প্রচারের জন্য এসব কন্টেন্টস ব্যবহার করার অনুমতি দেই না। দ্বিতীয়ত, তাওহীদ-আকাঈদ এর ভিত্তিগত ইল্ম যদি না থাকে, এসবের ধারে কাছেও ঘিষতে বলিনা।তাদের কাছে আমার ব্লগের লিংকটিও পৌছাক সেটাতেও ভয় হয়। যে লোককে তাওহীদের আরকানের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেই শুয়ে পড়ে, তার পক্ষে শিরক - কুফরের মহাসাগরের মধ্যে যাওয়া মহানির্বুদ্ধিতার কাজ। এজন্য আবারও বলছি যারা এমনটা করছেন তারা অন্যায় করছেন। সেটা কপিরাইট ইস্যুর দিকে চলে যায়। ওটা একধরনের চুরি। অধিকন্তু, আমাদের দ্বীনি ভাইয়েরা যে আপত্তিটা দিয়েছেন। আপনি আমাদের মানহাজ বা কর্মপদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান করে আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গকারী মহামানবদেরকে কাফিরদের প্রতিনিধি বলবেন(লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ), আর এদিকে সে পথেরই কারো দাওয়াহ ম্যাটেরিয়ালস চুরি করে নিজের নামে প্রচার করবেন সোর্স গোপন করে, এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমি যদি পূর্বে কাউকে ভিডিও বা কপি পেস্টের অনুমতিও দেই তবে তা কখনো ব্লগের লিংক গোপন করে নিজের নামে প্রচারের জন্য অনুমতি দেই নি।

অতএব,
★যদি আমাদের ব্লগ আর্টিকেল প্রচার বা কপি-পেস্ট করার কথা ভাবেন, অবশ্যই টেক্সট এর নিচে ব্লগের ঠিকানা/লিংক দিবেন।

★অনেকে ভিডিও বানাচ্ছে শুনেছি, আপত্তি করব না যদি ভিডিওর শুরুতে ও শেষে কন্টেন্ট এর সোর্স অর্থাৎ আমাদের ব্লগের ঠিকানা(লিংক) স্পষ্টভাবে বড় ফন্টে দেয়া হয়। তাতে অবশ্যই আমাদের পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপের এ্যাড্রেসও রাখতে হবে। ভিডিও নির্মাতা কোনভাবেই এসবের নিজের বলে চালানোর মত করে প্রচার করতে পারবে না।

★ভিডিও তৈরি করলে যতদূর জানি কিছু অর্থলাভ হয়। ইউটিউব/ব্লগের এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যতদূর জানি হালাল নাহ। আমাদের কন্টেন্টস/টেক্সট ব্যবহার করা হলে অবশ্যই মনিটাইজ বন্ধ রাখবেন। যদি কোন কারনে অর্থ উপার্জিত হয় তবে তা সম্পূর্ন ফকির মিসকিনদের দান করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ তাদের কর্মকে যেন বিফল করেন। এ বিষয়ে সততা দেখবেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা। وَاللّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

★যারা ব্লগ ডকুমেন্টস গুলো পিডিএফ বা সরাসরি প্রিন্ট করে হার্ডকপিতে রূপান্তর করতে চান, তাদের জন্যও একই শর্ত। কোনভাবেই এসব টেক্সট এর অরিজিন্স বা সোর্স(i.e: link) গোপন করে নিজের নামে চালানো যাবে না।

★যারা উপরের শর্তগুলো না মেনে আগে থেকে কাজ করেছেন, তারা বৈধতা আনতে অনুগ্রহ করে সেসব জিনিসগুলোর সংস্কার/এডিট করুন।

উপরের শর্তগুলো মেনে প্রচার প্রসারে আপত্তি নেই বা অনুমতি গ্রহনের প্রয়োজন নেই। আমি ফেসবুকে নিয়মিত নেই। আগামী ৪৮ ঘন্টা পর আবারো সাময়িকভাবে কিছু দিনের জন্য বিদায় নেব। ইনশাআল্লাহ।

যদি কেউ আমার নির্দেশনার কর্ণপাত না করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা যেন তার এসকল কর্মকে দুনিয়া ও আখিরাতে নিস্ফল করে দেন। কেউ এরকমটা ভাববেন না যে আমি মোটেই পাব্লিসিটির জন্য এমনটা করছি, আগেই উল্লেখ করেছি যে এসব গোপন রাখাতেই শান্তি পাই। মানহাজের দাওয়াহ এর স্বার্থ এখানে জড়ানো, আমি এসব আর্টিকেল ডকুমেন্টস তৈরি করেছি দাওয়াহ এর ইন্সট্রুমেন্টস হিসেবে। আমি কোথাও কিছুর বিজ্ঞাপন দেই না, এর পরেও গুগল থেকেই ফেসবুকের তুলনায় বেশি ট্রাফিক। প্রতিদিন সহস্রাধিক ভিজিট হয়। আপনারা জানেন ব্লগে আমার কোন কমার্শিয়াল পারপাজ নেই। কোন টাকা পাইনা উল্টো অনেক সময় ব্যয় করি। এই সময়টা আমি আমার ভাই ও আলিমদের রক্তকে কাফিরদের পক্ষের বলনেওয়ালাদের জন্য দেই না। ওয়াল্লাহি কক্ষনো নাহ। আরেকটা বিষয়, আমি যা করছি সেটার পাঠকদের অধিকাংশই ওই মানের, 'যারা শেখায়'।আমি আওয়াম জনতার নিকট পরিচিতি বা শুহরাতকে ঘৃণা করি। তাই এই বিধিনিষেধের পিছনে ফ্যান ফলোয়ার বাড়ানোর মাকসাদ ভাবলে ভুল করবেন।

জাযাকআল্লাহ খাইর।

Monday, March 2, 2020

লিনাক্সে SP flash tool ব্যবহার কৌশল


ডেবিয়ান বেজড লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন অনেক বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা অধিকাংশই পারি না বা জানি না কিভাবে SP Flash Tool ব্যবহার করতে হয়। Sp tool কি জিনিস সেটা যারা এন্ড্রয়েড ফোনের টেকনিশিয়ানরা ভাল জানে। এটা মিডিয়াটেক চিপের ফোনগুলোয় রম ফ্ল্যাশ, ফার্মওয়্যার আপডেট,ইএমএমসি ফরম্যাট-রাইটিং এমনকি হার্ডব্রিকড ফোনগুলোকেও ঠিক করতে ব্যবহার হয়।  আজকের টিউটোরিয়াল mx linux এর উপর সফলভাবে করেছি। আশা করি ডেবিয়ান বেজড অন্যান্য ডিস্ট্রো তেও কাজ করবে।

প্রথমেই আপনার libpng-12 আলাদাভাবে ডাউনলোড করতে হবে কারন এটা রিপোজিটরেও নাই। গুগল ড্রাইভে পাবেন। লিংকঃ https://drive.google.com/open?id=1_IeUjlyl1VSKjI8M0IJ8wtR10hUBofy9
এবার সামান্য হ্যাকিংএ যেতে হবে। জিপ ফাইলটা এক্সট্র‍্যাক্ট করে ফাইলগুলো নিচের ডিরেক্টরিতে গিয়ে পেস্ট করবেন। (সাধারনভাবে পেস্ট হবে না। ফাইলম্যানেজারে রুট এ্যাক্সেস নিতে হবে।)
/usr/lib/x86_64-linux-gnu/

এবার latest SP_Flash_Tool ডাউনলোড করে /opt/SP_Flash_Tool ডিরেক্টরিতে পেস্ট করবেন রুট এক্সেস নিয়ে।এসপি টুলের ডাউনলোড লিংক
https://spflashtool.com/download/SP_Flash_Tool_Linux_32Bit_v5.1520.00.100.zip

আর কোন সমস্যা থাকার কথা না। যদি কোন ডিপেন্ডেন্সি এরর দেখায় তবে সেটা সাইন্যাপ্টিকে পাবেন। এবার সরাসরি টার্মিনাল চালু করে নিচের কমান্ড পেস্ট করে রান করুন।
/opt/SP_Flash_Tool/flash_tool.sh

ব্যস,চালু হয়ে গেল এসপি ফ্ল্যাশ টুল।  এ টিউটোরিয়াল মোটামুটি বিগিনারদের জনয় প্রযোজ্য না। মোটামুটি লিনাক্সে অভ্যস্ত যারা তাদের জন্য এটা বুঝতে অনেক সহজ লাগবে।  আল্লাহ হাফেজ।

Saturday, February 29, 2020

বিশেষ দ্রষ্টব্য

আসসালামু আলাইকুম। ফেসবুক থেকে সাময়িক বিদায়ের পর গত প্রায় তিনমাস ব্লগে কোন এ্যাক্টিভিটি নেই দেখে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার ইচ্ছায় ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ। দুনিয়ামুখী বিচিত্র ব্যস্ততায় জড়িয়ে আছি। গত তিন মাস ব্লগে প্রবেশের সময় সুযোগই হয় নি।  আল্লাহর কাছে দু'আ করছি যেন তিনি দ্রুত ব্যস্ততা ও পেরেশানি কাটিয়ে দেন। আপনাদের দু'আর কামনা করি।  এখনো পেইজে ফিরতে পারছিনা। হয়ত আরো লম্বা একটা সময় দূরে থাকতে হবে। তবে আমি এখন থেকে চেষ্টা করব মাঝেমধ্যে ব্লগে লিখতে। বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের ১৫ তম পর্বের পরের পর্বগুলো ব্যস্ততা না কাটা পর্যন্ত হয়ত লেখা সম্ভব হবেনা। আমার সাথে যোগাযোগ এর পদ্ধতি তেমন নেই। ব্লগে কেউ কোন কমেন্ট করলে উত্তরদানের চেষ্টা করব। তাছাড়া আমাদের ফেসবুক গ্রুপের এক্টিভিটির খবরাখবর রাখি। গ্রুপঃ https://m.facebook.com/groups/315165405515447



সেদিন এক ভাই জানালেন কেউ কেউ এই ব্লগের প্রতি আর্টিকেল এর তলায় দেয়া রেফারেন্স লিংকগুলোয় প্রবেশ করে সেখানকার মতাদর্শ নিয়ে ঘাটাঘাটির জন্য উৎসাহিত করছেন। আমি এ ভয়টিই করি। আগেও অনেকবার বলেছি, আবারো বলি রেফারেন্স লিংকে যাদুকর এবং নিকৃষ্ট কাফিরদের বিচিত্র কুফরি দর্শন, চিন্তাধারায় ভরা,ওদের চিন্তা নির্ভর কোন কিছুই গ্রহনযোগ্য না, সেখানে সেসবকে জ্ঞানের উৎস বানানো বোকামি। আমি সেসবকে ব্যবহার করি শুধুই লেখা বা ইনফরমেশন এর অথেন্টিসিটি রক্ষার্থে, সোর্স রেফারেন্স হিসেবে। কাউকে সেসবের প্রবেশের জন্য না। সেসব উল্লেখ না করলে লিখিত বিষয়বস্তু অনেকটা ভিত্তিহীন মনগড়া কাহিনী হয়ে যায়। দেখা যাচ্ছে আমি মানুষ কে এক গর্ত থেকে বের হবার জন্য বলছি কিন্তু কিছু লোক আরেক গর্তে পড়লো। একাজে আমি চূড়ান্ত ভাবে নিষেধ করি। যদি কেউ বিপথগামী হয়, তাতে আমি দায়ী নই।

আরেকটি বিষয়, আমার দেয়া ডেটা-ডকুমেন্টস-আর্টিকেল এর উপর নির্ভর করে অনেকে অনেক কিছু লেখা শুরু করেছে, ভিডিও বানানোও শুরু করেছে। অনেকে এও করছে যে আমি যা বলি না তার চেয়েও বেশি বলে। তাদের কথা আমার উপর বর্তায় না, তাদের কোন এক্টিভিটিজ দ্বারা আমাকে বিচার করা সমীচীন হবে না। এসব বিষয় নিয়ে সাধারন জাহিল আলিম কিংবা গায়রে আলিম কারো সাথে অসহিষ্ণু আচরণ, আলাদা ফির্কার মত মতাদর্শ প্রচারকারীদেরকে কোনরূপ সমর্থন করিনা। তারা আমাদের নয়, আমরাও তাদের নই। কেউ যদি কোন কিছু কপি পেস্ট করে তাতে আপত্তির কিছু থাকবে না যদি সে আমার মানহাজ অন্তত লেখাগুলোর উৎস(ব্লগের লিংক) গোপন না করে। আমি একটা বিশেষ মানহাজ বা কর্মপদ্ধতির দাঈ। আমার সকল কর্মের মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর পথের দিকে আহব্বান।  কোন মুরজিয়া বা আকিদা মানহাজগতভাবে কলুষিত লোক যদি আমার কথাকে তার নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাধারা বা লেখা বলে ব্লগের লিংক গোপন করে প্রচার করে তাহলে অবশ্যই আপত্তির যোগ্য কাজ।

আমি ব্লগে যাই করেছি বা করব সেসব একদমই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার জন্য। কে কি ভাবছে বা ভাববে তাতে পরোয়া করি না। আমি কারো কাছে থেকে কোনরূপ বিনিময় কামনা করিনা। কোনরূপ শুহরাত কিংবা পরিচিতি কিংবা খ্যাতির বাসনাও আমার মধ্যে নেই।  আমি সবসময় অচেনা, অপরিচিত, লুক্কায়িত হয়ে থাকতে পছন্দ করি। আমার কোন কাজের পিছনে কমার্শিয়াল পারপাজও নেই। আপনারা যে ব্লগে প্রবেশ করেন এতে আমার কোন লাভ নেই,  কোন অর্থনৈতিক লাভ নেই। উল্টো ডাটা আর সময়টাকে আমাকেই খরচ করতে হয়। অনেকে বই বের করার প্রত্যাশা করেন।  আমার একেবারেই বানিজ্যিক চিন্তা নেই। বই বের করার জন্য জ্ঞানগতভাবে নিজেকে মোটেও যোগ্যতাসম্পন্ন মনে করিনা।

অনেকে আগের ব্লগঃ The Truth is stranger এর ব্যপারে জিজ্ঞাসা করেন। ব্লগটিকে আনপাবলিশ করে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ব্লগে কোন সমস্যা হলে সেটাকে চালু করা হবে। ওই ব্লগে যেসব আর্টিকেল কন্টেন্ট ছিল এটাতেও তার সবই আছে। তাই ওটা বন্ধ থাকলেও সমস্যা নেই। 
আপনাদের দু'আ এর প্রত্যাশা করি যেন দ্রুত ব্লগ ও পেইজে ফিরে আসতে পারি। আল্লাহ হাফেজ।
 

Sunday, December 8, 2019

কন্সপাইরেসি থিওরি নিয়ে বাড়াবাড়ি

এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম না, কিন্তু কয়েকজন ভাই ইনবক্সে বেশ কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে এর ব্যপারে কমেন্ট করতে বললেন। একাধিকবার বলায় এবার লিখতেই হয়।
.
বিষয়টা হচ্ছে সিক্রেট রিভেইল্ড নামের সদ্য খোলা একটা গ্রুপের ব্যপারে...। গ্রুপটির সদস্যগন নিয়মিত কন্সপাইরেসি থিওরির এটা ওটা নিয়ে একদম সস্তা প্রকৃতির অব্জারভেশান এবং এক্সপ্ল্যানেশন দেয়। উদাহরণ স্বরূপ ক'দিন আগে, ডলারের উপর কোন এক লোকের জলছাপকে দাজ্জালের ছবি সাব্যস্তকরন, দু চারদিন আগে আরেক অন্ধ(ডানচোখ) লোককে দাজ্জাল বলে সাব্যস্ত করে। তাছাড়া ত্রিকোণ/এক চোখ দেখলেই ইল্যুমিনাতি এ্যাট্রিবিউশান তো আছেই।
মিস্ট্রি রিলিজিয়নের ব্যপারে কোন জ্ঞান নেই, কিন্তু অকাল্ট সিম্বলিজম ডেকোড করার এ্যাপোলজি তো আছেই। গ্রুপের মেম্বারগন একদমই উঠতি বয়সের বাচ্চা ছেলেমেয়ে। দ্বীনি মৌলিক ইল্মও শূন্যের কোঠায়। এডমিনদের মধ্যেও দু-একজন ছাড়া বাকিদের আকলী-নাকলী ইল্ম দু-টারই বেহাল অবস্থা। দেখেছি, তাদের অফিশিয়াল বিশ্বাস ৯-১১ এর হামলাটা নাকি ইল্যুমিনাতির করা। শুনেছি, তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের তাওহীদ ওয়াল জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজকে সঠিক বলে মনে করে না! মা'আযাল্লাহ! যেহেতু টুইনটাওয়ার হামলাটি দাজ্জালের উপর বর্তায় তাই কিংবদন্তী শাইখ উসামা(রহিমাহুল্লাহ) এবং আত্ব তাঞ্জিমুল ক্বায়িদা স্বাভাবিক ভাবেই তাদের দৃষ্টিতে Evil ইন্নালিল্লাহ! কিন্তু, অত্যাশ্চর্যের বিষয় হলো এরা ভারতীয় উপমহাদেশের আল ক্বায়েদার আমির মাওলানা আস্বেম ওমর(ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর লেখা দাজ্জ্বাল- সিক্রেট সোসাইটি নিয়ে লেখা কিতাবগুলো পাঠ করে! ব্যপারটা প্যারাডক্সিক্যাল! আমরা ইল্যুমিনাতির সাথে লিংকড হলে আমাদের আলিমদের কিতাবাদি পড়ে ইল্যুমিনাতি চেনার ব্যপারটি বুঝে আসেনা। যাইহোক, আল্লাহ আযযা ওয়া যাল যেন তাদেরকে সঠিক পথ দেখান।
.
যেকোন বামপন্থী মানুষের ডানচোখ কানা হলেই যে সে দাজ্জাল এরকম সাব্যস্তকরনের দলিল কি!? দাজ্জ্বাল এত সস্তা কেউ না যে যখন তখন নিজেকে কোথাও প্রকাশ করবে কিংবা আগেভাগে নিজেকে জানিয়ে দেবে। যার ব্যপারে চার পাচ হাজার বছর আগে দিয়ে আম্বিয়া আলাইহিসালামগন সতর্ক করে আসছেন, মাসূনীদের সেই ইনিভার্স এর আর্কিটেক্ট এতই সস্তা! উনি কি বার বার চেহারা বদল করবে নাকি! নাহলে আজ একজনকে কাল আরেকজনকে দাজ্জাল বানানোর মানে কি!? এগুলো অতি উৎসাহ।
রাখাল প্রতিদিন গ্রামবাসীকে বাঘ বাঘ বলে ধোকা দিত। কিন্তু একদিন সত্যিই যখন এলো, তখন কেউ পাত্তা দিল না। একইভাবে বার বার একে ওকে দাজ্জাল সাব্যস্ত করলে এর ব্যপারটি সিরিয়াসনেস হারায়, আজ যারা খুব বিশ্বাস করে ধোকা খাচ্ছে, আসল সময় এত গুরুত্ব উদ্দীপনা থাকবেনা।
.
যেকোন ত্রিকোনাকার সিম্বল দেখলেই সেটাকে ইল্যুমিনাতি বানিয়ে দেওয়া একধরনের সস্তা চিন্তাধারা। তাহলে আশপাশের অধিকাংশ জিনিসই শয়তানের। অকাল্টিজম-মিস্টিসিজম-যাদুবিদ্যা ইত্যাদির ব্যপারে কিছু না জেনে এসব দিকে হাতিয়ে কোন লাভ নেই কারন কোন তলা খুজে পাওয়া যাবেনা। ফ্রি ম্যাসন একটাই গুপ্তসংগঠন না, এরকম আরো অনেক আছে, রোজাই ক্রুসো,হার্মেটিক অর্ডার অব গোল্ডেন ডন, অর্ডো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস ইত্যাদি অনেক আছে,এজন্য শুধু মাত্র সব কিছু ফ্রিম্যাসনের উপর আরোপ করাও জ্ঞানীলোকের কাজ না। এই সংগঠন গুলোও আসলে কিছুনা। 'কিছু ' হচ্ছে এসবের আন্ডারলেইং স্যাক্রিড ইনিসিয়েশান(মিস্ট্রি স্কুল)। একমাত্র ইল্যুমিনাতিকে সব দোষ দিয়ে কল্যান নেই, ইল্যুমিনাতি শুধুই সাইনবোর্ড এর মত বানানো কিনা ভাবার অবকাশ আছে।
.
৯/১১ এর ব্যপারে কি বলব?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ফাসেক ব্যক্তির খবরও যাচাই করতে বলেছেন, আর আমরা কাফিরদের বানানো ফ্রডুলেন্ট ডকুমেন্টসে বিশ্বাস স্থাপন করি।
আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।[হুজরাতঃ০৬]
আলোচিত গ্রুপের পেইজে ৯/১১ ইন্সাইড জব কিনা সেটা নিয়ে যে ভিডিও টা দিয়েছে ওটার ইউটিউবের "হিব্লার প্রোডাকশন" নামের একটা Gnostic Flat Earth প্রিচারদের। গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, এডমিনরা জানেইনা নস্টিসিজম কি জিনিস। আমাদের উচিত সত্যকে খোঁজা দ্বীনের মধ্যে, কাফিরদের দলিলে নাহ।
এক যুগের বেশি আগে করা সেই দুনিয়া কাপানো বীরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক হামলায় যদি কারো সন্দেহ থাকে,তাহলে শাইখ উসামা(রহঃ), একিউ এর অফিশিয়াল টেস্টিমনি আছে,সেসব দেখাই যথেষ্ট। না হলে হিব্লার প্রোডাকশন এর চেয়েও ভাল প্রডাকশন জানা আছে, লিংক দিয়ে দেব। ইনশাআল্লাহ 
.
মনে করুন এক শত্রুবাহিনীর সাথে আপনার যুদ্ধ হবে। সেই শত্রুবাহিনীর কমান্ডার, সৈন্য, ফলোয়ার সবাইকে আপনি চিনেন। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র সম্পর্কেও আপনার ধারনা কম নাই। সব জানেন। এ টু জেড। বাহ, ভালো কথা। অবশ্যই আমাদের সকলকেই শত্রু সম্পর্কে জানা উচিৎ।
আচ্ছা এখন এই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে আপনি কি একা যাবেন? এটা কি কোনো রকম যৌক্তিক? আপনি সব জানলেন তাদের ব্যাপারে, তাই বলে আপনি এ তো করতে পারবেন না যে তাদের ব্যাপারে খুটিনাটি জানলেন আর ঝাপিয়ে পড়লেন আর জয়ী হলেন। ব্যাপারটা যেমন অসম্ভব তেমন হাস্যকর ও বটে। আপনাকে কি করতে হবে? শত্রুপক্ষকে চিনার চাইতে অই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কারা লড়ছে তাদের জানতে হবে, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এরপর লড়তে হবে।
.
কথাগুলা বললাম এজন্য যে,বর্তমানে দাজ্জাল, ইলুমিনাটি নিয়ে অতি আবেগি হয়ে অনেকেই গ্রুপ খোলা শুরু করে। দাজ্জালের এক চোখ আর পিরামিড ত্রিভুজ নিয়ে একটু জেনেশুনেই তারা "বিরাট কিছু জেনে ফেলেছি" ভাবে। অতঃপর দিনরাত তাদের পরিশ্রম হয় এই দাজ্জাল কে, এর অনুসারী কারা, কি করে কই থাকে কি খায় কি পরে কি দেখে... ইত্যাদি সব কিছু খুটে খুটে দেখে। এতে কি লাভ? যদিও জানা টা ভালো কিন্তু লাভ টা কি? তারা কি আদৌ এটা জেনে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? পারবে?? শয়তান তো দুনিয়াতে কম না। প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সাথে একটা শয়তান জ্বীন (ক্বারীন) অনুচর হিসেবে চলে আসে। আপনি সেই শয়তান নিয়েই পরে থাকলেন অথচ শয়তান থেকে বাচার কোনোকিছুই করলেন না!! কি লাভ।
দাজ্জালের ফিত্নার তো শেষ নাই। দাজ্জাল থেকে বাচার জন্য যা করতে হয় এইসব "অই আবেগি" ছেলেমেয়েরা তা করে কিনা সন্দেহ। সুরা কাহফ পড়া, নামাজের শেষ বৈঠকে দাজ্জালের ফিত্না থেকে আশ্রয়, এবং সর্বোচ্চপর্যায়ে এই দাজ্জালের বিরুদ্ধে কারা লড়তেছে সেটা জানা। এবং দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে তারা এটাই জানে না। বর্তমান ত্বাগুত কুফফারদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, তারাই তো পরোক্ষভাবে দাজ্জালের বিরুদ্ধেই লড়ছে। তারা এইসব জুনুদুল্লাহদের কে বলে ভুয়া, তারা জঙ্গি বা তারা হক্ব পথে নাই,সন্ত্রাসী...!! তারা না চিনলো দাজ্জালাএর বিরুদ্ধে যোদ্ধাদের আর না জানল বাচার পথ। কি লাভ ভাই (?), দাজ্জালের পিছে ১০০ বছর পরে থাকলেও তো লাভ হবে না তাহলে।
সিক্রেট রিভিল্ড গ্রুপে তারা মিনিটে মিনিটে পোস্ট করে ইলুমিনাটি, এক চোখ, ত্রিভুজ, ব্যাফোমেট নিয়ে পোস্ট। এসব নিয়েই পরে থাকে। কোথাও একটা পোস্ট ও নাই এই দাজ্জাল থেকে রক্ষা পেতে কি করা লাগবে এ নিয়ে। অথচ রাসুল সা দাজ্জালের ফিত্না থেকে দূরে থাকতে বলছেন, এত ঘাটাঘাটি করতে বলেন নি। কারন ফিত্নার ফিতরাত টাই এমন, এ নিয়ে পড়ে থাকলে নিজেও পরার সম্ভাবনা আছে।গ্রুপের এডমিনরাও দ্বীনের কোনো জ্ঞান রাখে না বললেই চলে। দ্বীনের ব্যাপারে ভিত্তিমূলক কোনো জ্ঞানই নাই।এরা যেসব আলিমদের অনুসরণ করে এরা আম্রিকার তাগুতের দরবারি আলিম! অর্থাৎ দাজ্জ্বালের চিন্তাধারার সাথে এড্যাপ্টেড দ্বীনি বুঝ ওই আলিমগন প্রচার করে, দাজ্জালেরই রুহানী শিষ্যদের থেকে ইল্ম নিয়ে নিজেদের দ্বীনদার ভেবে দ্বীনের খেদমতে সেই দাজ্জালকে এক্সপোজ করার স্ট্র‍্যাটেজি চরম জাহালত। একারনেই তাদের কাছে আলকায়েদা তালেবানরা সন্ত্রাসী। হবেই তো।
.
ছেলেগুলোর জন্মই সেদিন। ইউটিউবের কিছু কন্সপাইরেসি ভিডিও দেখে ইল্যুমিনাতিকে চিনে নিয়েছে। খুব ভাল কথা, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এরা আল্লাহ আযযা ওয়া যাল এর সবচেয়ে নিকটতম বান্দাদেরকে বানিয়ে নিয়েছে ইল্যুমিনাতির এজেন্ট। অর্থাৎ দাজ্জালের অনুচর! আপনি জিজ্ঞেসা করে দেখুন কোনদিনও রবের বার্তা কুরআনের অন্তত বাংলাটাও কখনো পুরোপুরিভাবে পড়েছে কিনা, রাসূলের(সা) সীরাহ সম্পর্কে কিছু জানে কিনা,উম্মাহর ইতিহাসের ব্যপারে কোন আইডিয়া আছে কিনা, একজন সাহাবীরও জীবনাদর্শ সম্পর্কে কিছু ধারনা রাখে কিনা! ইসলামের আকিদার ব্যপারে কোন জ্ঞান রাখে কিনা, তাওহীদের স্তরসমূহের ব্যপারে কিছু জানে কিনা....। কিচ্ছু জানে নাহ। কিছু কাফিরদের বানানো ভিডিও হচ্ছে এদের নোশনের দলিল। নিজেকে কিন্তু খুব righteous ভাবে। একদম এল নম্বর বুঝদার মুসলিম। কিন্তু বুঝের আউটপুট হচ্ছে আলকায়েদা তালিবানরা জঙ্গী সন্ত্রাসী, ইল্যুমিনাতির এজেন্ট! এরা নিজেদের জীবনের পারপাজের ব্যপারেই অজ্ঞ, ফাইনাল অবতারের মঞ্চ নির্মাণের জন্য কুফফার জোট ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে, অথচ আমরা মুসলিমরা সেই তাগুতের পথে কাঁটা হয়ে থাকা মুজাহিদীনের ব্যপারে কত নিকৃষ্ট ধারণা রাখি। আমরা তাদেরকে দাজ্জালেরই প্রতিনিধি সাব্যস্ত করি ঘরে বসে মোবাইল কম্পিউটারের কতগুলা ভিডিও দেখে।
.
এরা কোনদিন আল কায়েদা, আফগানি তালিবুল ইল্মদের সাথে বসে নি, কথাও বলেনি, তাদের ব্যপারে শূন্য নলেজ নিয়ে কাফিরদের মিডিয়ার উপর নির্ভর করে কত্ত সুন্দর বলে দেয় এরা ইল্যুমিনাতির এজেন্ট! বছর পাঁচেক আগে আমার তো তাদের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল, তাহলে আমিও একজন ইল্যুমিনাতি এজেন্ট!!?
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা মানুষকে তার প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সিক্রেট সোসাইটি গুলো জিউইশ টোটালেটেরিয়ান ইউটোপিয়ান ড্রিমকে বাস্তবায়নের জন্য দাজ্জালের আন্তরিক প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। আমরা নিজেরা কিছুই করছি না। আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকারের ব্যপারে একরকমের মিথ্যাবাদী। অথচ, আল্লাহর পথে সবচেয়ে এঙ্গেজড যারা তাদেরকেই শয়তানের অনুচর সাব্যস্ত করি কোন দলিল প্রমাণ ছাড়া! কাফিরদের কাছে পিসফুল মুসলিম আইডেন্টিটি নিয়ে আরামে দিন কাটাতে চান? এজজ্যই আল্লাহ জিল্লতি চাপিয়ে দিয়েছেন। এখন আর ওই সুযোগ নেই। এইমাত্র দেখলাম ফ্রান্সে জঙ্গীবাদীদের চিহ্ন হিসেবে ধরেছে দাড়ি,টূপি, হিজাব,নিকাব,বোরখা, প্রকাশ্যে চুমু না খাওয়া, রোজা রাখা,পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া! চীনে উইঘুরদের সাথে যা হচ্ছে খবর রাখেন!? এই অত্যাচারী সর্পতুল্য কাফিরদের মাথায় আঘাত করে এই জঙ্গীরাই। জঙ্গী শব্দটা কি খুব খারাপ লাগে!? আপনি তো ভাই এর অর্থই জানেন না! সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ূবীর উস্তাদ কে ছিল? আল্লাহর রাসূলের কবর থেকে দেহ চুরির চক্রান্তকারী ইহুদীদের ধরেছিলেন কে!? হাদিসে আল্লাহর রাসূল(স) নিজেকে ফার্সী শব্দে জঙ্গী নবী(নাব্যিয়্যুল মালহামা) বলেছেন। আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ তো ইসলামের মূল কাজগুলোর একটি, আজ সেটাকে ছেড়ে গরুর লেজ ধরে সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়ার ফসল হচ্ছে আরাকানের রোহিঙ্গা, ভারতের মুসলিমরা,কাল বাংলার মুসলিমরাও একই পরিনতির দিকে যাবে। যারা দাজ্জালের ইউটোপিয়ান ওয়ার্ল্ড গঠনে কাজ করেছে তাদের আর ইসলামের পিসফুল স্ট্যান্সেরও প্রয়োজন নেই। এখন ব্যাবিলনিয়ান মিস্ট্রি রিলিজিয়নে কনভার্ট হন,খুব ভাল থাকবেন। মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ শেষ উম্মাহকে এতদিন ভাল ভাল আদার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে, এখন তাদের আর প্রয়োজন নেই,তাই কুরআনটাও এখন টেরোরিস্টদের কিতাব। আরে ভাই, ক'দিন আগে তো আমাদের দেশেই তাবলীগি কিতাবগুলোকে উগ্রবাদী বই বলে র‍্যাব ধরেছে। প্রতিটি মানবরচিত সংবিধানে শাসিত অঞ্চলে সামরিক বাহিনীগুলো তো দাজ্জালি হায়ারার্কির একদম তলানিতে থাকা অনুগত ভৃত্য। মাদখালি,দেওখালি, মোডারেট প্রমুখ এত দিন কাল্পনিক দারুল আমানে থেকেছে, এখন সে সুখানুভূতির রাস্তাটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরে দেখেছেন তো খুব বেশি সময় লাগে নি। এদেশও সিকিম হতে বেশি সময় লাগবে না। পাশের দাদাবাবুদের খুব ইনোসেন্ট মনে করেন? ওদের কালচক্র তন্ত্রের কল্কির কীর্তি ভাল করে পড়েন, ইল্যুমিনাতি তালাশে খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
.
৯/১১ এর হামলা যে তাঞ্জিমুল ক্বায়িদার ছিল সেটা বাংলাদেশের বিসিএস ক্যাডাররাও জানে এবং কেউ কেউ পজেটিভলি দেখে(নাম বললে বিসিএস কোচিং করনে ওয়ালারা অনেকেই চিনে যাবে, বেচারা অযথাই নযরদারীতে পড়বে)। কিন্তু আপনারা দেখেন না কারন পিস নস্ট হয়েছে! এটা আপনার দৃষ্টিতে ইন্সাইড জব কারন ভিডিও ডকুমেন্টারিতে দেখেছেন। বড় দলিল হচ্ছে কার্টুনে টুইন টাওয়ার হামলার দৃশ্য আছে। মাথায় কি এতটুকু চিন্তাশক্তি নেই যে এসব কার্টুন গুলো সেই একই এজেন্ডারই তৈরি। গনকরা তো শয়তানের মাধ্যমে অনেক বড় বড় খবর আংশিকভাবে আগাম জেনে নেয়, হাদিসেও পড়েছেন, কিন্তু যখন নলেজ এপ্লাইয়ের সময় আসে তখন কুফফারদের দেখানো জিনিসগুলা ইরিফিউটেবল হয়ে যায়,তাই না? ধরুন আমি অল্প খরচে একটা আল্ট্রা লাইট এয়ারক্রাফট বানিয়ে, পেন্টাগনের মত কোথাও ইশতেহাদি হামলা চালাই, ইল্যুমিনাতি ইল্যুমিনাতি বলে চিৎকার দিয়েন।
.
যারা ৯/১১ এর হামলাকে অস্বীকার করে বা ইন্সাইড জব মনে করে এরা কয়েক ক্যাটাগরিতে পড়েঃ
*মানসিকভাবে পরাজিত, মুসলিমরা এত বড় কিছু করতেই পারে না। গিয়া দ্যাখেন সিআইএ করছে।
*ইসলাম কখনোই খারাপ না, খুব খুব ভাল, কোন মারামারি করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মারামারি সব করে অমুসলিমরা। আমরা উদার, এক পায়ে গুলি করলে আরেক পা এগিয়ে দেই। নেও ভাই গুলি করো, দেখছো আমরা কত্ত ভাল! ইসলামি শাসন অনেক আগে ছিল, এখন নাই, হতে পারে যদি আমরা সবাই ভাল হয়ে যাই পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এমনি এমনিতেই শরীআ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামে যুদ্ধ নেই।
*৯/১১ এর হামলা যারাই করুক শান্তি লঙ্ঘিত হয়েছে, প্যারাডক্স হচ্ছে আফগান, ইয়েমেন, সোমাল, কাশ্মির,আফগান, ফিলিস্তিন, চীন,আরাকান,ইরাক সিরিয়ায় যা হচ্ছে 'ও কিছু না, আমি তো ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ'
*ইসলামে আছে নফসের জিহাদ, যুদ্ধ বহুত আগেই শেষ হয়ে গেছে। কতিপয় খারেজিরা আছে যারা যুদ্ধ করে অশান্তি করছে এরাই সব অশান্তির মূল।।এরা ইহুদির দালাল। ইলুমিনাতির এজেন্ট!
*খুব জ্ঞানগম্ভীর একটা ডকুমেন্টারি দেখলাম, আমি বিশ্বাস করি ৯/১১ ইন্সাইড জব।
.
আইরনিক্যাল ফ্যাক্ট হচ্ছে, অখ্রিষ্টান যাদেরকে দেখেন এসব কন্সপাইরেসি ভিডিও বানায় আর ব্রেইনওয়াশ করে ৯/১১ ইন্সাইড জব, এরা অধিকাংশই অকাল্ট ফিলসফির অনুসারী। Hegelian trap! যাদের ভিডিও দেখে দাজ্জালের ব্যপারে সচেতন হচ্ছেন এরাই দাজ্জালের খাটি চ্যালা! বিখ্যাত কোন ইউটিউব চ্যানেল ফলো করেন? থ্রাইভ নাকি Zeitgeist?

ইল্যুমিনাতি নিয়ে মানুষ খুব আগ্রহবোধ করে, কিন্তু আগেও বলেছি আবারো বলি, ইল্যুমিনাতি এ্যাক্টিভ কোন সংগঠন নাও হতে পারে। এটাকে তৈরি করা হয়েছে যাতে সব মানুষ এর ঘাড়ে সব অনর্থের দায় চাপায়, এটাই কিন্তু হচ্ছে। অথচ সবচেয়ে জঘন্য হচ্ছে বাতেনিয়্যাহ গোষ্ঠী(Esoteric schools)। আপনি শুনলে অবাক হবেন, এই বাতেনি মালাউনদেরই একটি শাখা ইল্যুমিনাতিকে গালি দেয়! ব্যপারটা প্যারাডক্সিক্যাল নাহ?দাজ্জালের পূজারীরা তাদের সংগঠন ইল্যুমিনাতিকে গালি দেবে কেন! যারা ফ্রিম্যাসন, ইল্যুমিনাতি নিয়ে খুব ঘাটাঘাটি করে এরা মূলত শয়তানের জাহেরি দিকটাকেই চেনে কিন্তু এর আন্ডারলেইং কন্সট্রাক্টের ব্যপারে কিছুই জানেনা বা বোঝে না। না বোঝাটা একদিক দিয়ে ভাল আবার খারাপও। সমস্ত গুহ্যবাদ আর অধিবিদ্যা নিয়ে থাকা বাতেনি সংগঠনগুলোর মূল হাতিয়ার হচ্ছে যাদুবিদ্যা এবং যাদুশাস্ত্র উৎসারিত কুফরি বিলিফ সিস্টেম বা প্যাগান ওয়ার্ল্ডভিউ। এর উপরেই কিন্তু মাসূনীরাসহ সবাই আছে। আপনি কমনগ্রাউন্ড না চিনে সারাদিন জাহেরি সাইনবোর্ড ইল্যুমিনাতি নিয়ে থাকলে ওদেরকে চিনতে পারবেন না। যদি ইল্যুমিনাতি বা ফ্রিম্যাসনের মত নতুন কোন সোসাইটি গঠন করে উন্নয়ন সমৃদ্ধি আর প্রগতির কথা বলে, এদেরকে মোটেও চিনবেন না। ধোঁকা খেতেই হবে। ইল্যুমিনাতি সক্রিয় কোন এজেন্ডা কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। শয়তান কিছু করলে সেটা সিক্রেট সোসাইটির মত সিক্রেসি মেইনটেইন করেই করবে। সম্ভাবনা আছে এমন সিক্রেসি মেইন্টেইন করবে যে সাধারন ইন্টারনেট ইউজার এদের কাজ তো দূরে থাক, নামই জানবে না। এরা সাধারন অনলাইনেও কোন এক্টিভিটি রাখবে না, যোগাযোগের জন্য ডিপডার্ক ওয়েব তো আছেই বরং চেষ্টা করবে এর চেয়েও নিরাপদ কোন মাধ্যম অনুসরনের। ইবলিসের অনুগত ভৃত্যরা কি এতই বোকা!?
.
যাইহোক,
সবকিছুর আগে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে দ্বীনি বেইসিক ইল্ম অর্জন করা। এরপরে গো+এষণায় নামলে কোন কথা নেই। এটা ছাড়া গবেষণা করলে এরকম হাজারও সমস্যা ভুলের মধ্যে দিয়ে নিজেদের + সাধারন অনুসারীদেরকেও নিয়ে যেতে হবে, দেখা যাবে যে এক কুয়া থেকে বের হতে গিয়ে আরেক কুয়ায় পড়তে হবে। এজন্য একটা দ্বীনি কন্সট্রাক্টিভ বেইসিক জ্ঞানের বিকল্প নেই। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। ওয়ামা তাওফিক ইল্লা বিল্লাহ।

Thursday, July 25, 2019

অখণ্ড মহাভারতের স্বপ্ন


৪৭ এর দেশ বিভাগকে কট্টর হিন্দুরা মেনে নিতে পারেনি। কারন নিজেদের ভূখণ্ডের এরূপ বিভক্তি কারোই পছন্দের নয়। ঠিক একই কারনে বঙ্গভঙ্গের[৫] পর মহাভারতের চেতনাধারী হিন্দুদের তীব্র আন্দোলনের পরে আবারো ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয়। মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গে কিছুটা খুশি হয়েছিল,কারন কারন তাদের মধ্যে আশা সঞ্চারিত হয়েছিল আলাদা ভূখণ্ডে মুসলিমদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে,সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা পিষ্ট হয়ে থাকতে হবে না।কিন্তু এ আশা রবীন্দ্রনাথদের জন্য বেশিদিন টেকেনি। ভারতের সাথে বাংলাদেশকে জোড়া লাগানোর জন্য গান রচনা করেন, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি', ফলশ্রুতিতে ১৯১১ তে আবারো বাংলার আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতাকে লুপ্ত করে ভারতের সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে ১৯৪৭ এ আবারো দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ। ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদীরা আবারো অসন্তুষ্ট হলো। 
এরপরে অনেক ঘটনার ডিলিউশনের ফলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সাব্যস্ত হলো এবং পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করা হলো ভারতের প্রত্যক্ষ সামরিক সাহায্যে।[আমার ফাসী চাই এবং আমাদের স্বাধীনতা পর্দার এপার ওপার নামের দুটি নিষিদ্ধ বইতে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য আছে] কিছুদিন আগে তো বলিউডের একটা ফিল্মের শুরুতে দেখায় ৭১ এর যুদ্ধটা বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের নয় বরং পাক-ভারতের। ৭১ এর যুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়। তখন সেই অখণ্ড ভারতের চেতনার সংগীতকে জাতীয় সংগীতে মর্যাদা দেওয়া হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছে পাকিস্তান থেকে বাংলাকে আলাদা করার উদ্দেশ্য। তবে আমরা তাকদীরের লিখনীর প্রতি অসন্তুষ্ট নই। আল্লাহ এর মধ্যেই কল্যান রেখেছেন। প্রথমে পাকিস্তান এবং এরপরে বাংলাদেশ নামের আলাদা নামেমাত্র ভূখন্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিমদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্ন কিছুটা হলেও মিটেছে। ভারতে সংখ্যাগুরু পৌত্তলিকদের দ্বারা আর্থসামাজিক দিক দিয়ে নিষ্পেষিত হওয়া থেকে বহুদিন দূরে ছিল। কিন্তু সেই অখণ্ড ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের
দিনকে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে আর দীর্ঘ করতে চাইছে না। তাই এদেশে তাদের প্রতিনিধি শাসকদের ক্ষমতায়ন এবং 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী' রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাহীন এবং বিলুপ্ত করার কাজ শুরু করেছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদকে, যে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিতে রচিত হয়েছিল 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' সঙ্গীতটি।

জাতীয়তাবাদের অনুভূতি আসলে একরকমের ইল্যুশন। ধরুন গোটা এশিয়া মহাদেশকে একটা দেশ করা হলো, এখন আমেরিকা এশিয়ার কোথাও আক্রমণ করলে এশিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। আবার এশিয়া ভেঙ্গে দুইচার ভাগ হলে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিও ওইরকম।দুই চার ভাগে ভাগ হবে। বেনেডিক্ট এ্যান্ডারসন তার ইমাজিন্ড কমিউনিটির মধ্যে জাতীয়তাবাদের স্বরূপ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছেন। বস্তুত, আসল জাতীয়তাবাদ হওয়া উচিত দ্বীনকেন্দ্রিক।।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ইসলামিক জাতীয়তাবাদেই উদ্বুদ্ধ হবার জন্য বলেছেন, কেননা সেটাই ফিতরাত। এথনিক ও লিঙ্গুইস্টিক ডাইভার্সিটিই চূড়ান্ত নয়।

এইজন্য ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দুদের কাছে বঙ্গ বা পাকিস্তান আলাদা হবার অনুভূতি সুখকর ছিল না। আমাদের দেশের জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিকরাও কখনো চাইবে না পার্বত্যচট্টগ্রাম চাকমা মগরা জুম্মাল্যান্ড নামে আলাদা দেশ বানিয়ে আলাদা হয়ে যাক।

ভারত তাদের ভূখণ্ডের পুনর্মিলনের আশায় সিকিমের মত একটু একটু করে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। শুরুতে তাদের ফুল এ্যাক্সেস থাকলেও 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দলের' ক্ষমতায়নে সে সুযোগ কমে যায়। এজন্য তাদের প্রাইম টার্গেট থাকে এই ন্যাশনালিস্টদের এ্যান্টাগনিস্ট এমন দলকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানো যাতে করে বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। তারা আওয়ামীলীগকে পেয়েছে। এরা বাঙালি জাতীয়তাবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি আদর্শের ব্যপারে বেশ এ্যাফার্মেটিভ। ব্যাস! এবার ওদেরকে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় রেখে হারানো ভূখন্ডকে পুনরুদ্ধারের সেই পুরোনো মিশনকে পূর্নতাদানে যা কিছু করা যায়...। আওয়ামীলীগকে রেখে জাতীয়তাবাদী দল এবং (ইসলাম)ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগার ফলশ্রুতিতে আজ দলটি বিলুপ্তপ্রায়। এবার ৮% বিধর্মী জনগোষ্ঠীর অধিকারের নামে তাদেরকে প্রশাসন,শিক্ষা,নিরাপত্তা, সামরিকসহ প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩০%+ তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। সামরিক বাহিনীগুলোয় ২৪%+ লোকই হিন্দু। বাকি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এরা অধিকাংশই ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলারিস্ট, আওমীলীগপন্থী। এদের নামগুলোই শুধু এরাবিক/ইসলামিক। ভেতরে দ্বীনের কিছুই নেই। সামরিকবাহিনীতে জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক এবং দেশপ্রেমের চেতনাবাহীদেরকে আইসোলেট করে দেওয়া হয়েছে,অনেককে হত্যা করা হয়েছে,তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ফিল্টার করা হয়, অল্প কিছু যারা আছে বছর দশেক পর আর রিটায়ারমেন্টের জন্য ন্যাশনালিস্ট/প্যাট্রিয়টদের খুজে পাওয়া যাবে না। ইসলামি চেতনাওয়ালাদেরকে তো ভুলেও নিয়োগ দেওয়া হয়না। শিক্ষাব্যবস্থা এবং সকল রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক রূপে আছেন একঝাঁক হিন্দুরা। তারা শিক্ষানীতিকে এমনভাবে ঢেলে সাজিয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আর ভাল রেজাল্ট থাকে, কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল ব্লাইন্ড হয়ে বড় হয়। সামরিক বাহিনীতে অমুসলিম/লেফটিস্ট/ধর্মহীন আওয়ামীলীগের দৌরাত্ম্যে, দাপটে সাধারন মানুষ এখন অতিষ্ঠ। স্বাধীন বাকশক্তি বলেও কিছু নেই। অনলাইনেও পরিচয় গোপন করে কিছু প্রকাশ করতে পারবেন না, সে ব্যবস্থাও করেছে। এখন তারা শেষ মুহুর্তে এসে চরম শোষনের দ্বারা শাসন করছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগরাও ভারতকে সুযোগ দিতে দিতে নিজেরাই বিক্রি হয়ে গেছে। হিন্দুদের দ্বারা কোনরূপ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কথা উচ্চারিত হলেও তাদের কিছুই বলার ক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এবং সেনাবাহিনীও ওদের পূর্ন নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। র'(ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) দ্বারা ওদের মনমতো সর্বত্র দাবার গুটিগুলো চালা হয়ে গেছে। এবার সরিয়ে দেওয়ার বাকি। ওদের পরিকল্পনার সবচেয়ে হুমকি ছিল ইসলামি জাতীয়তাবাদের আদর্শধারী সামরিক সংগঠনগুলো। যেগুলো একদম শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্মূল করার জন্য আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব দল গুলোকে তারা যে সুন্দর টার্ম দ্বারা রিফার করে সেটা হচ্ছে 'জঙ্গী'। আজ পর্যন্ত হাজারো কথিত জঙ্গীদের গুম, হত্যা করেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি, পারবেও না। এই সোকল্ড জঙ্গীদের ক্ষমতা আর সংখ্যা আল্লাহ বাড়িয়েই দিচ্ছেন। সেটা গ্রেটার পারপাজের জন্য। হয়ত ওদের আগ্রাসনে এরা ছাড়া আর কাউকেই দাঁড়াতে দেখা যাবে না। যখন আমেরিকা ইরাক, সিরিয়া,আফগান হামলা করে এরাই দাড়িয়েছে, আর কেউই মাজলুম উম্মাহর পাশে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না। উপমহাদেশ একই ভাগ্যের দিকে হাটছে। অন্য সব স্থানের মত এখানেও এরাই শেষ আশা।

এখন যখন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সব আঁটঘাঁট বাধা হয়ে গেছে, এখন বাংলার এই হারানো ভূখন্ড উদ্ধারের জন্য হামলা করা এবং হামলার বৈধতা নেওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে মিথ্যা মিথ রচনা করে হলেও। এটাই করেছেন প্রিয়া সেন।কাফিরদের নেতা ট্রাম্পও এদেশে মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রেরণের হুমকি নগদে দিয়ে দিলেন। এরপরে, এদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হিন্দুরা চেষ্টা করবে এমন কিছু করার যাতে ছোটখাটো দাঙ্গা বা বড় আকারে মিথ্যে আক্রমণের স্বীকার হবার নাটক মঞ্চস্থ করা। যাতে শান্তির বার্তা নিয়ে মার্কিন চপার বা রণতরী ভেড়ায় সাথে ভারতীয় সৈন্যদল ঢুকিয়ে দেয়। অনেক আওয়ামীলীগপন্থী ভেবেছিল হাসিনা প্রিয়াসাহার মিথ্যাচারে এ্যাকশান নিবে সরকার। কিন্তু এখন উলটো সংশ্লিষ্ট সকলের সমর্থন দেখা যাচ্ছে। তার মানে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অবস্থানে স্বয়ং সরকারও আছে। এর কারন আজ স্পষ্ট হবে।

দেশ দখলের ব্যপারে যা বলছি সেটাকে সুপারফিশিয়াল কন্সপিরেসি থিওরি টাইপের কিছু ভাবলে ভুল হবে। অধিকাংশ সাধারন মানুষ আগেও কিছুই হবে না বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে, আজও একই অবস্থানে আছে। আপনাদের অনেকেরই জানা আছে মহাত্মা গান্ধীজ্বি দেশ ভাগের পর নোয়াখালী গিয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে বঙ্গ-ভারত পুনর্মিলনের জন্য মোটিভেট/ব্রেইনওয়াশ করতে চেয়েছিল। সেই অখন্ড মহাভারতের স্বপ্নকে আজ জিইয়ে রাখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র(RAW)। এটা 'র এর অফিসাররাই বলে থাকে। R K YADAV নামে সাবেক র এর এক এজেন্ট দাবী করেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করেছে ‘র’, তারা স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাত[১]। আজ বাংলাদেশ প্রায় পুরোপুরিভাবে RAW দ্বারা নিয়ন্ত্রিত[২]। আমাদের স্বাধীনতা যে ভারতের অখণ্ড মহাভারতের স্বপ্নের অংশ ছিল, তা জানতে আরো পড়ুনঃ
http://www.muldharabd.com/?p=1174

আজ বাংলাদেশে র' এত শক্তিশালী যে তারা এখন সশরীরে মাঝেমধ্যে আবির্ভূত হয় শিকারের জন্য। বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলাচত্বরের ট্রাজেডি এমনকি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতাদেরকে গুম করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে এই 'র'[৩]। 'র গোপনে যেভাবে কাজ করে ঠিক প্রকাশ্যে কাজ করছে এদেরই হিন্দুত্ববাদী আধাসামরিক সংগঠন। আজ এদের অফিসও বাংলাদেশে প্রকাশ্যে আছে। অধিকাংশ সাধারন জনগন জানে না এদের কর্ম উদ্দেশ্য কি। আরএসএস প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৫ সালে। আরএসএস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় আছে, "রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ( আরএসএস) [১]
[২] ভারতের একটি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী , আধাসামরিক [৩] ও বেসরকারী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন। আরএসএস সংঘ পরিবার নামে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ। [৩] ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। [৪] উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা।"[উইকিপিডিয়া]

অর্থাৎ এদের লক্ষ্যই মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করে রামরাজত্ব কায়েম।মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদ বলতে ওই সময়ে পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাধাদান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করার জন্য কাজ করা। আরএসএস ভারতের বাইরেও ৩৫টা দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরা বাংলাদেশে এখন খুবই শক্তিশালী। আরএসএসের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তান ছিল না। লোকে বলে ১৯৪৫ সালের আগে সম্পূর্ণটাই হিন্দুস্থান ছিল। ২০২৫ সালের পরে আবার ওটা হিন্দুস্থানের মধ্যে চলে আসবে।’

মুম্বাই সভায় বলেন তিনি আরো বলেন," “কিছু দিনের মধ্যেই পাকিস্তান হবে ভারতের অংশ। ঢাকায় আমরা আমাদের মনোমত সরকার গঠন করে দিয়েছি”!
অখণ্ড ভারত’-এর আশা প্রকাশ করে ইন্দ্রেশ কুমারের দাবি, ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ভারতীয় ইউনিয়ন অব অখণ্ড ভারত সৃষ্টির পথে যেতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারও সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে দিল্লির তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্দ্রেশ কুমারের মন্তব্য, ‘আর মাত্র পাঁচ/সাতটা বছর। এরপরে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি কিংবা শিয়ালকোটে বাড়ি করতে পারবেন, ব্যবসাও করতে পারবেন আপনারা।’[৪]

সুতরাং আশাকরি বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই তাদের কব্জায় চলে গিয়েছে। এখন দেশপ্রেমিক/দেশীয়জাতীয়তাবাদীদেরকেও বিলুপ্ত করে তাদের মহাপরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ীই দেশে সরকার আসছে..যাচ্ছে। এখন পুরোপুরি ওদের নিয়ন্ত্রিত সরকার, এজন্য দেখেছে ভারতের বিজেপিপন্থী ইস্কনের রাষ্ট্রদ্রোহী হিন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও উইথড্র হয়ে যাচ্ছে।

আরএসএস নেতার কথায় কেমন বোধ করছেন? স্পষ্টভাবে বললো বাংলাদেশ সরকার তাদের অনুকূলে কাজ করছে। তার মানে বাংলাদেশ সরকার অখণ্ড ভারত বিনির্মাণে ভারতের পাশে আছে। অর্থাৎ একদিক দিয়ে ভাবলে এরা স্বাধীন দেশের শত্রু হিসেবেই কাজ করছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আওড়ে মানুষকে বোকা বানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সেচ্ছাসেবক সংঘ ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদে হামলাকারী। আরএসএস আদর্শগতভাগে ফ্যাসিজমে বিশ্বাসী। এরা হিটলারকে আদর্শ হিসেবে মান্য করে। পাশাপাশি ইজরাইলকেও নেতারা পূর্ন সমর্থন করতেন।এটা উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত আছেঃ
"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে আডলফ হিটলারের প্রশংসা করতেন। মাধব সদাশিব গোলবলকার যিনি
হেডগেওয়ারের পরে আরএসএসের পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রধান হয়েছিলেন, তিনি
হিটলারের বর্ণ-বিশুদ্ধতা মতবাদে অনুপ্রাণীত ছিলেন। কিন্তু কিছু আরএসএস নেতারা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন, বস্তুত সাভারকর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।"[উইকিপিডিয়া]

আরএসএস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিল। কারন তাদের ভেতর সেই অবিভক্ত মহাভারত গড়ার স্বপ্ন। উইকিপিডিয়া অনুযায়ীঃ
"১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আরএসএস সদস্যরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছা-সেবী হয়ে কাজ করেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে তারাই প্রথম রক্তদান কর্মসূচী পালন করেছিল।"[উইকিপিডিয়া]

শুধু আরএসএস নয়, আরও অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভারতের হারানো ভূখণ্ড ফিরে পেতে চায়, গড়তে চায় অখণ্ড মহাভারত। এর মধ্যে আছে হিন্দু মহাসভা, কাকভূষুণ্ডী রেভ্যুলুশ্যনারী ফোরাম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ,হিন্দু জনজাগ্রত পরিষদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি।
The call for creation of the Akhand Bharat or Akhand Hindusthan has on occasions been raised by Indian Hindutvawadi cultural and political organisations such as the Hindu Mahasabha , Kakbhusundi Revolutionary Forum (KRF), Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS), Vishwa Hindu Parishad, Hindu Janajagruti Samiti , and Bharatiya Janata Party.

ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান রিইউনিফিকেশন এ্যাসোসিয়েশন গঠন হয়ে গেছে। অখণ্ড ভারতের চেতনাধারীরা সাধারণত উগ্রহিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসীঃ
The creation of an Akhand Bharat is also ideologically linked with the concept of
Hindutva (Hinduness) and the ideas of
sangathan (unity) and shuddhi (purification) that seek to focus modern Indian politics on a legendary ancient civilisation and heritage of the Indian subcontinent .

এরা যে ভূখণ্ডগুলো দখল চায় সেসব প্রধানত হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আরো আছে, আফগানিস্তান, মিয়ানমার এমনকি চীনের সীমান্তবর্তী তিব্বতের কিছু অংশ। তবে সর্বপ্রথম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে কব্জায় আনা। ভারতে সবচেয়ে সক্রিয় সামরিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস তো অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেই সাথে তাদের সাথে সংযুক্ত রাজনৈতিক দল বিজেপিও এই স্বপ্ন লালন করে। শুধু আজকের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলটিই নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন লালন করেন এবং এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ নরেদ্রমোদী ও তার দলের সকল নেতারাও চান বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করতে। উইকিপিডিয়া থেকেঃ
While the leadership of the right-wing BJP wavers on the issue, the RSS has always been a strong proponent of the idea. [12][13] RSS leader H. V. Seshadri 's book The Tragic Story of Partition stresses the importance of the concept of Akhand Bharat. [14] The RSS affiliated magazine Organiser often publishes editorials by leaders such as the present
Sarsanghachalak , Mohan Bhagwat , espousing the philosophy that only Akhand Bharat and
sampoorna samaj (united society) can bring "real" freedom to the people of India.
The call for Indian reunification has been supported by Indian Prime Minister Narendra Modi [16] , and BJP National General Secretary
Ram Madhav . Mr. K.J.Anand Leader Achchedin taken special lead to explore the possibility.[৬]

অতএব সুস্পষ্টভাবে বুঝতে চাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা,ক্ষমতাসীন শাসক,দল ওদের সন্ত্রাসী সংঠন আরএসএস এবং বাংলাদেশে বসানো পাপেট শাসকবর্গ এক হয়ে কাজ করছে।

অখন্ড ভারত বিনির্মাণে ভারত সরকারের পাশে আছে অনেক আলিম উলামা। এমনকি দেওবন্দের আলিমগনও পিছিয়ে নেই। সাধারণত ভারতে অবস্থানরত মুসলিমরা নিজেদেরকে অসহায় নিষ্পেষিত অবস্থায় সেদেশে দেখতে পায়,হয়ত সে অবস্থায় তারা ভারতের ভেতরে আলাদা মুসলিমদের সার্বভৌম অঞ্চল গুলোকে আলাদা দেখতে পছন্দ করে না, তারা হয়ত প্রত্যাশা করে যে ভূখণ্ড গুলো ভারত কর্তৃক পুনরুদ্ধার হলে মাইনরিটি ক্রাইসিস কিছু হলেও ঘুচবে। আল্লাহই ভাল জানেন তাদের হৃদয়ের খবর।
Khaksar Movement leader Allama Mashriqi opposed the partition of India because he felt that if Muslims and Hindus had largely lived peacefully together in India for centuries, they could also do so in a free and united India. [3] Mashriqi saw the two-nation theory as a plot of the British to maintain control of the region more easily, if India was divided into two countries that were pitted against one another. [3] He reasoned that a division of India along religious lines would breed fundamentalism and extremism on both sides of the border. [3] Mashriqi thought that "Muslim majority areas were already under Muslim rule, so if any Muslims wanted to move to these areas, they were free to do so without having to divide the country." [3] To him, separatist leaders "were power hungry and misleading Muslims in order to bolster their own power by serving the British agenda."

The author of Composite Nationalism and Islam , Maulana Husain Ahmad Madani , a Deobandi Muslim scholar and proponent of a united India, argued that in order to maintain their divide and rule policy, the British were attempting to "scare Muslims into imagining that in a free India Muslims would lose their separate identity, and be absorbed into the Hindu fold", a threat that "aim[ed] at depoliticizing the Muslims, weaning them away from struggle for independence." [4] In the eyes of Madani, support for a two-nation theory resulted in the entrenchment of British imperialism.[উইকিপিডিয়া]

বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা আরএসএসের এক মুখপাত্র রাম মাধব বলেন, "আরএসএস এখনো বিশ্বাস করে যে একদিন ওই ভুখণ্ডগুলো যেগুলো ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আলাদা হয়েছিল, সেগুলো আবারো একীভূত হবে এবং অখণ্ড মহাভারত সৃষ্টি হবে"।

Ram Madhav, a spokesman for the Rashtriya Swayamsevak Sangh , a Hindutva organisation, stated that “The RSS still believes that one day these parts, which have for historical reasons separated only 60 years ago, will again, through popular goodwill, come together and Akhand Bharat will be created.”[৭]

সুতরাং হঠাৎ করে যে আমাদের দেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান, হিন্দু শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে স্থানদান, হিন্দু অপরাধীদের প্রতি প্রশাসনের নির্বিকারভাব, চাকরিতে কোটা দিয়ে হিন্দুদের অগ্রাধিকার দিতে দিতে এখন ৩০%+ সরকারী চাকুরী হিন্দুদের দখলে দিয়ে দেওয়া, সামরিক বাহিনীগুলোর উচ্চ পদে হিন্দুদেরকে গনহারে নিয়োগ, দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে RAW এর হস্তক্ষেপ,উগ্রহিন্দুত্ববাদি দলের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাহসিকতা.. প্রভৃতি বিষয়গুলো আদৌ কো-ইন্সিডেন্টস নয়। হয়ত লক্ষ নরনারীর রক্তসিক্ত স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হবার ক্ষণ খুবই নিকটে। এতগুলো প্রাণের আত্মত্যাগ বৃথা হতে দেখাটা খুবই কষ্টের। হয়ত ভারত তার ঐতিহাসিক প্রয়োজনে তাদেরকে ব্যবহার করেছিল। নামমাত্র স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা মূলত দীর্ঘকাল ধরে পরাধীন অবস্থায়ই ছিলাম, সেটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি উপরে যেসকল তথ্য দিয়েছি সেসবই প্রায় উন্মুক্ত তথ্য। যেসব জার্নালিস্ট,সাংবাদিকরা অনেক ভেতরের তথ্য সম্পর্কে ধারনা রাখে তারা খুব ভাল করেই জানেন, আমাদের স্বাধীনতা আজ যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা থেকে উত্তরণের কোন পথ নেই। ভারত বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। খুব শীঘ্রই হয়ত লেন্দুপ দর্জি,সিক্কিমের আরেকটি ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সিক্কিমের সাথে যা করা হয়েছিল, এর চেয়েও বাংলাদেশে ভারতের পরিকল্পনামাফিক কর্মকাণ্ড আরো সুদৃঢ়। আমরা আজ এদেশে মুসলিম মেজরিটির অনুভূতি নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি, খুব শীঘ্রই মাইনরিটি হতে যাচ্ছি। এ (প্র)দেশেও নেমে আসবে নির্যাতন আর গনহত্যার নানান চিত্র। রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাশি বাজাচ্ছিল, আমরাও ওই একই অবস্থানে আছি।দিনগুলো ভাল যাচ্ছে দেখে কপালে চিন্তার রেখা তৈরি হচ্ছে না, সবসময় ভাবতে ভালবাসি এ অবস্থাই থাকবে চিরদিন।

ভারত ঠিক সেই অনুভূতি থেকে পাকবাংলার ভূখণ্ড ফেরত পেতে চায়, যে অনুভূতি থেকে আমরাও পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা খুলনার কিছু অংশকে ফিরে পেতে চাইতাম, যদি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সফল হতো। আজ অথবা কাল ঠিকই ভারত আদায় করে নেবে। আমাদের যেটা পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী স্বস্তি দেয় সেটা হচ্ছে বিভক্ত ভারত আবারও অবিভক্ত হবে, এবং সেটা থাকবে কালপতাকার ছায়াতলে। হয়ত আজও মুসলিমদের নিদ্রা কাটেনি, কিন্তু বোমার শব্দে ঠিকই কাটবে, আল্লাহ ঠিক এভাবেই তার পথে হাকিয়ে নিয়ে আসবেন দ্বীনবিমুখ(কিত্বাল) জাতিকে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "অচিরেই কাফের মুশরিক জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে তোমাদের উপর আক্রমন করার জন্য তারা একে অপরকে আহবান করতে থাকবে, যেভাবে খাবারের দস্তরখানের দিকে লোকদেরকে ডাকা হয়ে থাকে। একজন সাহাবী দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! সেদিন কি আমরা সংখ্যায় কম হব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না। বরং সেদিন তোমরা সংখ্যায় অনেক বেশি হবে। তবে তোমাদের অবস্থা হবে বন্যায় ভাসমান খড়কুটার মত। আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন এবং তোমাদের অন্তরে অহান ঢেলে দিবেন। একজন জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহু অহান কি জিনিস? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অহান হচ্ছে, দুনিয়ার ভালবাসা এবং মৃত্যকে অপছন্দ করা।"মুসনদে আহমদের অপর হাদীসে বর্নিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "অহান হচ্ছে, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা ও আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকে অপছন্দ করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা কে অপছন্দ করা।"[সুনানে আবু দাঊদ]

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, "যখন তোমরা ইনা নামক সূদী কারবারে জড়িত হয়ে যাবে, গরুর লেজ ধরবে এবং চাষাবাদ নিয়েই সন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের উপর লাঞ্ছনাকে চাপিয়ে দিবেন। এই লাঞ্ছনা ততদিন পর্যন্ত তোমাদের থেকে তুলে নেয়া হবে না যতদিন না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে।"[মুসানাদে আহমাদ,আবু দাঊদ]

The Islamist group Lashkar-e-Taiba has framed the prophecy of Ghazwa-e-Hind , as one in which India is defeated and united with Pakistan, unifying the Indian subcontinent under Muslim rule.[উইকিপিডিয়া]

হিন্দুস্তানের চূড়ান্তযুদ্ধ সংক্রান্ত হাদিসঃ

১ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الزَّمِنُ، ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ صُرَيْمٍ السَّكُونِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَتُقَاتِلُنَّ الْمُشْرِكِينَ، حَتَّى تُقَاتِلَ بَقِيَّتُكُمُ الدَّجَّالَ، عَلَى نَهْرٍ بِالأُرْدُنِّ، أَنْتُمْ شَرْقِيَّهُ وَهُمْ غَرْبِيَّهُ، وَمَا أَدْرِي، أَيْنَ الأُرْدُنُّ يَوْمَئِذٍ مِنَ الأَرْضِ.
অর্থ : সুরাইম রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিঃসন্দেহে তোমরা মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমনকি এ যুদ্ধে তোমাদের অবশিষ্ট মুজাহিদরা জর্ডান নদীর তীরে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা পূর্ব দিকে অবস্থান করবে আর দাজ্জালের অবস্থান হবে পশ্চিম দিকে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, সেদিন জর্ডান কোথায় অবস্থিত হবে?
সূত্র :
১. কাশফুল আসতার আন জাওয়াইদিল বাজ্জার : ৪/১৩৮, হা. নং ৩৩৮৭, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরুত-
২. মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো-
মান :
এর সনদ বিশুদ্ধ। হাফিজ হাইসামি রহ. হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন, এটি ইমাম তাবারানি রহ. ও ইমাম বাজ্জার রহ. বর্ণনা করেছেন। আর বাজ্জারে বর্ণিত হাদিসটির বর্ণনাকারী সবাই নির্ভরযোগ্য।
(দেখুন, মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো)
২ নং হাদিস :
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ، عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، وَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ أَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে আমি আমার জান-মাল সব কিছু তাতে ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
১. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৪, প্র. মাকতাবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
২. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৫৯৯, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৩. মুসনাদু আহমাদ : ১২/২৮-২৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
৪. মুসতাদরাকুল হাকিম : ৩/৫৮৮, হা. নং ১৭৭৫/৬১৭৭, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৫. হিলইয়াতুল আওলিয়া : ৮/৩১৬, প্র. আস-সাআদা, মিসর-
৬. আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৭, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এ বর্ণনাটির সনদ হাসান তথা উত্তম। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের সবাই নির্ভরযোগ্য হলেও জাবর বিন আবিদা নামক একজন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে সামান্য একটু বিতর্ক আছে। ইমাম ইবনে হিব্বান রহ. তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। হাফিজ জাহাবি রহ. দুর্বল রাবি বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তার বিপরীতে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। (দেখুন, তাকরিবুত তাহজিব : ১/৩৩৭, জীবনী নং ৮৯২)
এছাড়াও এর সমর্থনে আরও কিছু হাদিস রয়েছে। যেমন 'মুসনাদু আহমাদ'-এর ১৪/৪১৯ পৃষ্ঠার ৮৮২৩ নং হাদিস এবং ইমাম ইবনে আবি আসিম রহ. বিরচিত ‘আল জিহাদ’ গ্রন্থের ২৯১ নং হাদিস।
৩ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَالِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الْوُصَابِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَدِيٍّ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ.
অর্থ : হজরত সাওবান রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে হতে দুটি দলকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যুদ্ধে শরিক হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি দল, যারা ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করবে।
সূত্র :
১. মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
২. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
৩. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৬০০, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৪. আল-মুজামুল আওসাত : ৭/২৩, হা. নং ৬৭৪১ প্র. দারুল হারামাইন, কায়রো-
৫. আত তারিখুল কাবির : ৬/৭২-৭৩, জীবনী নং ১৭৪৭, প্র. দায়িরাতুল মাআরিফিল উসমানিয়্যা, হায়দারাবাদ-
৬. আল কামিল, ইবনে আদি : ২/৪০৮, জীবনী নং ৩৫১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
মান :
এ হাদিসটি হাসান। এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি عن এর পরিবর্তে حدثنا ব্যবহার করায় এখানে তাদলিসজনিত কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হয়নি। আর আবু বকর বিন অলিদ মাজহুলুল হাল হলেও নির্ভরযোগ্য রাবি আব্দুল্লাহ বিন সালিম আশআরি রহ.-এর মুতাবাআত (অনুরূপ বর্ণনা) থাকায় হাদিসটি হাসান হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।
৪ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا الْبَرَاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خَلِيلِي الصَّادِقُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ، فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ، وَإِنْ أَنَا فَذَكَرَ كَلِمَةً رَجَعْتُ وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ قَدْ أَعْتَقَنِي مِنَ النَّارِ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার সত্যবাদী বন্ধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করত বলেছেন, এ উম্মতের মধ্যে সিন্ধু ও হিন্দুস্তানের দিকে একটি যুদ্ধাভিযান পরিচালিত হবে। (আবু হুরাইরা রা. বলেন,) আমি যদি সে যুদ্ধ পেয়ে যাই, অতঃপর যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে যাই তাহলে তো আমি মহাসৌভাগ্যবান। আর যদি আমি গাজি হযে ফিরে আসি তাহলে আমি হব মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা। আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিদান করেছেন।
সূত্র :
মুসনাদু আহমাদ : ১৪/৪১৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
মান :
এ বর্ণনাটির সনদ জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বারা বিন আব্দুল্লাহ গানাবি নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও এতে হাসান বসরি রহ. এবং আবু হুরাইরা রা.-এর মাঝে সূত্র বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতানুসারে হাসান বসরি রহ. আবু হুরাইরা রা. থেকে সরাসরি কোনো হাদিস শোনেননি।
৫ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوْزَاءِ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ - وَكَانَ مِنْ نُسَّاكِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ - قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُبَيْهٍ مَوْلَى صَفِيَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أُدْرِكْهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، فَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ كَأَفْضَلِ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি যদি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে তাতে আমি আমার জান-মাল সব কিছু ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদের ন্যায়। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
আল-জিহাদ, ইবনু আবি আসিম : ২/৬৬৮, হা. নং ২৯১, প্র. মাকতাবাতুল উলুম ওয়াল হিকাম, মদিনা-
মান :
এ বর্ণনাটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে হাশিম বিন সাইদ নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে। অবশ্য কিনানা বিন নুবাইহকে ইমাম আজদি রহ. জইফ বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তা প্রত্যাখ্যান করে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে অভিহিত করেছেন।
৬ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ بَعْضِ الْمَشْيَخَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ الْهِنْدَ، فَقَالَ: لَيَغْزُوَنَّ الْهِنْدَ لَكُمْ جَيْشٌ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوكِهِمْ مُغَلَّلِينَ بِالسَّلَاسِلِ، يَغْفِرُ اللَّهُ ذُنُوبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُونَ حِينَ يَنْصَرِفُونَ فَيَجِدُونَ ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنْ أَنَا أَدْرَكْتُ تِلْكَ الْغَزْوَةَ بِعْتُ كُلَّ طَارِفٍ لِي وَتَالِدٍ وَغَزَوْتُهَا، فَإِذَا فَتْحَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَانْصَرَفْنَا فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرِّرُ، يَقْدَمُ الشَّامَ فَيَجِدُ فِيهَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّي قَدْ صَحِبْتُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ.
অর্থ : আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের যুদ্ধের আলোচনার প্রাক্কালে বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানের সাথে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন এবং তারা হিন্দুস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই দলের যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর মুসলিমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-কে সিরিয়ায় পেয়ে যাবে। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, আমি যদি গাজওয়াতুল হিন্দে অংশগ্রহণের সু্যোগ পাই তাহলে আমি আমার নতুন পুরাতন সব সম্পদ বিক্রি করে দেবো এবং এতে অংশগ্রহণ করব। এরপর যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজয় দান করবেন এবং আমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসব তখন আমি হব (জাহান্নামের আগুন হতে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা, যে সিরিয়ায় গিয়ে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সাথে মিলিত হবে। হে আল্লাহর রাসুল, আমার খুব আকাঙ্ক্ষা যে, আমি ইসা আ.-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে বলব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন সাহাবি। তিনি বলেন, এতে রাসুলুল্লাহ সা. মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, সে (যুদ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি!!
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৬, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এ সনদটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনাকারী এখানে অজ্ঞাত।
৭ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبٍ، قَالَ: يَبْعَثُ مَلِكٌ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ جَيْشًا إِلَى الْهِنْدِ فَيَفْتَحُهَا، فَيَطَئُوا أَرْضَ الْهِنْدِ، وَيَأْخُذُوا كُنُوزَهَا، فَيُصَيِّرُهُ ذَلِكَ الْمَلِكُ حِلْيَةً لَبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَيُقْدِمُ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْجَيْشُ بِمُلُوكِ الْهِنْدِ مُغَلَّلِينَ، وَيُفْتَحُ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَيَكُونُ مَقَامُهُمْ فِي الْهِنْدِ إِلَى خُرُوجِ الدَّجَّالِ.
অর্থ : হজরত কাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জেরুজালেমের একজন বাদশাহ হিন্দুস্তানের দিকে একটি সৈন্যদল পাঠাবেন। সৈন্যদল হিন্দুস্তানের ভূমি জয় করে তা পদানত করবে। এর অর্থ-ভাণ্ডার দখল করবে। তারপর বাদশাহ এসব ধনদৌলত বাইতুল মুকাদ্দাসে সাজিয়ে রাখবেন। সৈন্যদলটি হিন্দুস্তানের রাজাদের শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি করে তাঁর নিকট উপস্থিত করবে। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সকল এলাকায় তাঁর বিজয়ার্জন হবে। দাজ্জালের আবির্ভাব পর্যন্ত তাঁরা হিন্দুস্তানেই অবস্থান করবেন।
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৫, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এটার সনদ জইফ। কেননা, কাব রহ. থেকে বর্ণনাকারীর নাম এখানে অস্পষ্ট। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
৮ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ جَرَّاحٍ، عَنْ أَرْطَاةَ، قَالَ: عَلَى يَدَيْ ذَلِكَ الْخَلِيفَةِ الْيَمَانِيِّ الَّذِي تُفْتَحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةُ وَرُومِيَّةُ عَلَى يَدَيْهِ، يَخْرُجُ الدَّجَّالُ وَفِي زَمَانِهِ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى يَدَيْهِ تَكُونُ غَزْوَةُ الْهِنْدِ، وَهُوَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، غَزْوَةُ الْهِنْدِ الَّتِي قَالَ فِيهَا أَبُو هُرَيْرَةَ.
অর্থ : হজরত আরতাত রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ইয়ামানি খলিফার নেতৃত্বে ইসতামবুল ও রোম (ইউরোপ) বিজয় হবে, তাঁর সময়েই দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে, তাঁর যুগেই ইসা ইবনে মারইয়াম আ. অবতরণ করবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তিনি হবেন হাশিমি বংশের লোক। গাজওয়াতুল হিন্দ বলতে ঐ যুদ্ধ উদ্দেশ্য, যে ব্যাপারে আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন।
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪১০, হা. নং ১২৩৮, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এটার সনদ জইফ। কেননা, এতে অলিদ বিন মুসলিম নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে, যে হাদিসটি عن দ্বারা বর্ণনা করেছে। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসগুলোর সম্মিলিত মান :
উপরিউক্ত হাদিসগুলোর কিছু সহিহ, কিছু হাসান এবং কিছু জইফ। তবে এ জইফগুলো একটিও মারাত্মক নয়; বরং সবগুলোই সহনীয় পর্যায়ের। সবগুলো সনদ একসাথে করলে সম্মিলিতভাবে গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিস সহিহ (বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত) বা কমপক্ষে হাসান (উত্তম সূত্রে বর্ণিত) পর্যায়ের বলে সাব্যস্ত হয়।
এজন্যই শাইখ আলবানি রহ. সুনানে নাসায়িতে বর্ণিত গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসটিকে সহিহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (দেখুন, সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব) আর সিলসিলাতুস সহিহা-তে এর সনদকে জাইয়িদ বা হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন : সিলসিলাতুল আহাহাদিসিস সহিহা : ৪/৫৭০, হা. নং ১৯৩৪, প্র. মাকতাবাতুল মাআরিফ, রিয়াদ) এছাড়াও শাইখ শুআইব আরনাওত রহ. মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত উক্ত হাদিসকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন, মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত)
শাইখ হামুদ তুওয়াইজিরি বলেন :
وما ذكر في حديث أبي هريرة رضي الله عنه الذي رواه نعيم بن حماد من غزو الهند؛ فهو لم يقع إلى الآن، وسيقع عند نزول عيسى ابن مريم عليهما الصلاة والسلام إن صح الحديث بذلك.
অর্থ : নুআইম বিন হাম্মাদ কর্তৃক বর্ণিত আবু হুরাইরা রা.-এর হাদিসে যে গাজওয়াতুল হিন্দের কথা এসেছে তা এখনও সংঘটিত হয়নি। এ হাদিসটি সহিহ হলে সত্বরই তা ইসা আ.-এর অবতরণের সময়কালে সংঘটিত হবে।
সূত্র :
ইতহাফুল জামাআহ : ১/৩৬৬, গাজওয়াতুল হিন্দসংক্রান্ত অধ্যায়, প্র. দারু সামিয়ি, রিয়াদ-
শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ বলেন :
الذي يبدو من ظاهر حديث ثوبان وحديث أبي هريرة ـ إن صح ـ أن غزوة الهند المقصودة ستكون في آخر الزمان ، في زمن قرب نزول عيسى بن مريم عليهما السلام ، وليس في الزمن القريب الذي وقع في عهد معاوية بن أبي سفيان رضي الله عنه
অর্থ : সাওবান রা. ও আবু হুরাইরা রা. এর হাদিস সহিহ হয়ে থাকলে এর স্পষ্ট ভাষ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কাঙ্খিত গাজওয়াতুল হিন্দ শেষ জমানায় ইসা আ.-এর অবতরণের নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত হবে। মুআবিয়া রা.-এর যুগের কাছাকাছি সময়ে যে সকল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো নয়।
সূত্র :
ইসলাম সুওয়াল ও জাওয়াব : প্রশ্নোত্তর নং ১৪৫৬৩৬




রেফঃ