Monday, December 10, 2018

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং 'ল অব এট্র‍্যাকশ্যনঃ

ব্যবিলন থেকে ভারতে কিছু 'বিশেষ জ্ঞান' পৌছে বিকশিত হয়ে বর্তমান সাইন্সের মোড়কে প্রকাশ্যে আনা হয় যে ন্যাচারাল ফিলসফির অংশটি সেটা কোয়ান্টাম মেকানিক্স বা কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান। কাব্বালিস্টিক এই বিশেষ তত্ত্ব থেকে উৎসারিত কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম/স্পিরিচুয়ালিটি থেকে চলে আসে 'কোয়ান্টাম ম্যাথড'।

শুনলাম , কোয়ান্টাম মেথডের কোর্সে ভর্তির পর সর্বপ্রথম একটি প্রত্যয়ন পাঠ করা হয়, এই প্রত্যয়নই তাদের মূল চালিকা শক্তি। প্রত্যয়নটি এই, ‘অসীম শক্তির অধিকারী আমার মন, যা চাই তাই পাবো যা খুশি তাই নেব’!!

সাধারণ মুসলিম অথবা স্কলারগন এই বাক্যে বাহ্যত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিকতার প্রমান স্বরূপ দলিল সমূহ দেখিয়েই শিরক কুফর প্রমান করে এ থেকে আমজনতাকে দূরে থাকতে বলতে দেখবেন। বস্তুত, তাদের কাছে এদের ব্যপারে গভীর কোন তথ্য নেই। এ কারনে অধিকাংশ লোকই নফসের অনুগামী হয়ে কৌতূহলপ্রবন হয়ে নিষিদ্ধ বিষয়ের দিকেই পা বাড়ায়। তাছাড়া মুরজিয়া শ্রেনীর লোকেরা শারঈ বিধিনিষেধের ব্যপারে যত্নশীল নয়। তারা এ সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে অবজারভেবল ডাটা না পেলে শুধু শারঈ বিধিবিধানে সাংঘর্ষিকতা দেখে তা থেকে বিরত থাকতে আগ্রহী নন। এজন্য এদের কুফরের ব্যপারে স্পষ্টতা এবং ষড়যন্ত্রের জাল এর বিষয় সমূলে প্রকাশ করা জরুরী।

তো, কোয়ান্টাম ম্যাথডের এই প্রত্যয়নটি দ্বারা তারা তাদের কিছু মৌলিক আকিদার বিষয় প্রকাশ করেন। একটি হচ্ছে Self Divinity দিয়ে দেওয়া। আরেকটি, Law of attraction যা monistic/pantheistic বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত। ল অব এট্রাকশন নিয়ে নতুন কিছু লিখতে চাই না। এটা সুনিশ্চিতভাবে প্যাগান-পলিথেইস্ট-সর্সারারদের আকিদা।
বিস্তারিতঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড থেকে জ্ঞান নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এ প্যাগান ডক্ট্রিন ইসলামাইজড করে প্রচার করছে বাংলাদেশের এই পেজটিঃ https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপক প্রচারনার নমুনা দেখুন পেজটাতেঃ https://m.facebook.com/lovethelawofattraction/

কোয়ান্টাম ম্যাথড সাইন্টিফিক নোশনের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি 'সাইন্টিফিক ধর্ম'! Quantum mechanics এর Double slit experiment এবং observer effect এর পরীক্ষণ এবং ফলাফল গুলো এই নয়া ধর্মের মূল অস্ত্র। মনে রাখবেন, ওই এক্সপেরিমেন্ট থিওরি গুলোও অকাল্টিজমকে জাস্টিফাই করার জন্যই করা হয়েছে হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্টিক প্রসেসে। এর দ্বারাই ব্যবিলনিয়ান সাইন্স তার মূলধারায় ফিরে এসেছে। তাই এই সাইন্স এবং স্পিরিচুয়ালিস্টিক স্যাটানিজম একে অপরের ভাইসভার্সা।

এটা শুধু একক ধর্ম নয় বরং গ্লোবাল নিউ রিলিজিয়াস মুভমেন্ট এরই একটি শাখা। অরিজিনঃ প্রাচীন অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল। শুরুটা বাবেল শহরে।

0 Comments:

Post a Comment