গাযযা সম্পূর্ণ জনমানবহীন করার পর নেক্সট আক্রমন হবে পশ্চিম তীর। পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক - সামরিক হালত খুব ভয়াবহ। পশ্চিম তীর (West Bank) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের অংশ হলেও এটি ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 1967 সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল এটি দখল করে এবং তখন থেকে সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ইসরায়েল সামরিকভাবে পুরো এলাকাটির ওপর প্রভাব বজায় রেখেছে। মুসলিমরা ১৯৯৩ সালের তাগু-তি অসলো চুক্তি তে নিজেদের হাত থেকে অস্ত্র ছেড়ে অভিশপ্ত ইহুদিদের হাতে ন্যাস্ত করে। সে মোতাবেক সামরিক ভাবে নিয়ন্ত্রন কাফিরদের হাতে তুলে দেয় ৩ ভাগের ২ ভাগ অঞ্চল। এরিয়া এ (Area A) তে আছে ফিলিস্তিনি শহরগুলো (যেমন রামাল্লাহ, নাবলুস, হেবরন-এর কিছু অংশ)। শুধুমাত্র এখানে প্রশাসন ও সামরিক শক্তি সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (Palestinian Authority - PA) নিয়ন্ত্রণে। এরিয়া বি (Area B) এর প্রশাসন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হলেও সামরিক শক্তি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এরিয়া সি (Area C) প্রশাসন ও সামরিক সম্পূর্ণ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এ অংশে আছে পশ্চিম তীরের প্রায় ৬০% এলাকা।এখানে নির্মাণ ও অবকাঠামো ফিলিস্তিনিদের জন্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, প্রায়ই নির্মাণ অনুমতি দেওয়া হয় না। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলতে IDF কে বোঝায়। মানে সামরিক ভাবে পশ্চিম তীরের দুই তৃতীয়াংশ IDF এর দখলে। এরা পশ্চিম তীরে নিয়মিত টহল দেয় ও অভিযান চালায়। নিরাপত্তার নামে গ্রেফতার ও হামলা চালায়।
একটা চুক্তি হইলো তাতে বলদ তাওহিদ ছেড়ে দেয়া মুসলিমরা ৩ এর ২ ভাগ দফা মালাঈনের হাতে তুলে দেয় আর পিশ্ফুল এডমিন বা প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে রাখে ৩ এর ২ ভাগ। মসজিদের মেহরাব মানেই যেখানে অস্ত্র রাখার স্থান সেখানে মুসলিমরা নিজেদের পিশ্ফুল প্রমানের প্রতিযোগিতায় আসলিহাত ছাড়তে ছাড়তে সব কাফিরদের হাতে দিয়ে নিজেদের পীর সুফি বানিয়েছি। ইসরাইল এবং আমাদের উপমহাদেশে একই ঘটনা ঘটেছিল। কাফিররা প্রথম দিকে নতজানু হয়ে থাকতে আসে, একদল আশ্রয় চায়,আরেকদল ব্যবসা করতে চায়। তাদের সাথে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলার বদলে দয়া দেখানোর মাসুল হলো ওদের হাতে কচুকাটা হওয়া। উপমহাদেশে ২০০ বছর সরাসরি ওদের হাতে মার খাওয়া এবং ১৯৪৭ সালে ওদের যাবার সময় ওদের মালউন পৌত্তলিক এজেন্টদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আজ পর্যন্ত শোষিত হওয়া, আমরাও রক্ষা পাইনি,1971 সালে বঙ্গবল্টুর হাত ধরে ভারতের হাতে এদেশকে অলিখিত রাজ্য হিসাবে দেবার পর সর্বশেষ 2025 সাল পর্যন্ত ভারতীয় এজেন্ট আওয়ামীলীগ দিয়ে শোষব চলেছে। আর ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত চলছে এবং চলবে।
সকল ভূখণ্ডে মুসলিমদের মাইর খাওয়ার কারন একটাই তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহকে ছেড়ে দেয়া, কুফরি নিজামে সন্তুষ্ট হওয়া, কুফরি আদর্শকে সুপেরিয়র মনে করা এবং গ্রহন করা, حبّ الدنيا و كراهية القتال মানে দুনিয়াকে ভালবাসা কিত্বালকে ঘৃনা করা, জঙ্গী শব্দটাকে ঘৃনা করা। অথচ রাসূল(স) নিজেকে নাবীয়ূল মালহামা বলে ঘোষনা করেছেন অর্থাৎ জঙ্গী নবী। আমরা গাযযার হালত দেখে মনোকষ্টে আছি, নিজেদেরকে জিহাদে না বের হবার জন্য অপরাধী বলছি, ভাই এই অপরাধী কি আমরা আজ হয়েছি? শুরুতে বাপদাদা পূর্বপুরুষ যখন তাওহীদের আদর্শ কে ভুলে যায় তখন দিয়েই শুরু। আমাদের জীবদ্দশায় আরাকানে মঙ্গোলয়েড মালউন মগ বাহিনী কচুকাটা করলো নারী শিশুদের আমরা এপার দাঁড়িয়েই রইলাম। শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ: বলেন আক্রান্ত ভূমিতে জিহাদি ফরজিয়্যাত চক্রাকারে বাড়তে থাকে আশপাশের ভূখন্ড গুলোর উপর, ৩৬০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে চারপাশের নিকটস্থ মুসলিমদের উপর ফরজ বর্তায়। আমাদের পাশে যখন মুসলিম নিধন চলছিল কিছু করিনি আর এখনকার গাযযা তো বহু দূরে। পাশের দেশ ভারতেও শুরু হয়ে যাচ্ছে। আবেগ তাড়িত না হয়ে বললে এখন যেটা বর্তমান গাযযার অবস্থা বিচারে করা দরকার, সেখানকার মুসলমানদের অন্যদেশে আশ্রয়দান। পরবর্তীতে মাঠ খালি করে ঠান্ডা মাথায় কি করা যায় সেটা ভাবা। কিন্তু আশপাশের একটা রাষ্ট্রের মুখে আশ্রয়দান এর খবর পাইলাম না। বুঝলাম ফিলিস্তিনে সামরিক এইড পাঠালে তাগুতসংঘের প্রতিষ্ঠাতা আব্বুরা রাগ করবে ,তাহলে মিনিমাম আশ্রয় দিলে কি সমস্যা? নাকি ফিলিস্তিনি সকলের মরতেই হবে! বাচার মানবিক অধিকার নেই! যারাই চুপ আছে বা আছি তারাই নেক্সট ভিক্টিম। আরাকানে আমাদের নিরবতার জন্য আমরা নেক্সট ভিকটিম। ভারত আজ বা কাল বাংলাদেশ কে আরেকটা ফিলিস্তিন বানাবেই।
0 Comments:
Post a Comment