Wednesday, November 29, 2017

তারকারাজি মেইনস্ট্রিম প্যারাডক্সিক্যাল সায়েন্স

তারকারা প্রথম আসমানে আর হাজার বছরে অপরিবর্তিত!

প্রচলিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোপার্নিকান এস্ট্রোনমি অনুযায়ী সারা মহাবিশ্বে সর্বত্র তারকা এবং গ্রহ দ্বারা পরিপূর্ণ। প্রতিটি তারকা হচ্ছে তাদের কেন্দ্রীভূত গ্রহদয়ের দ্বারা ঘূর্ণনশীল এবং অনন্তের দিকে বহমান সৌরজগৎ। এরকম মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন তারকা এবং মিলিয়ন বিলিয়ন ট্রিলিয়ন সৌরজগৎ আর মিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে অনন্তের দিকে ছুটে চলছে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু প্রচণ্ড গতিতে অনন্তের দিকে একেকটি তারকা একেকদিকে ছুটে চলছে তদ্রুপ পৃথিবী ও এর সৌরজগৎটাও একদিকে ছুটে চলছে, সেহেতু পৃথিবীর বিগত হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে আকাশের তারকাদের রাশিচক্র, অবস্থান, উজ্জ্বলতা, সংখ্যা,গতিপ্রকৃ
তি সব কিছুই একই রকম অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকছে কেন?

অথচ হাজার বছরের প্রতিষ্ঠিত এস্ট্রলজির কুফরি সাইন্স তারকাদের অপরিবর্তিত আচরন এবং অবস্থানের উপরে ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে!

Zodiac cycle এ কোন পরিবর্তন নেই কেন?

হেলিওসেন্ট্রিক এই মডেল শুদ্ধ হলে যা হতঃ
তারকা আর সৌরজগত গুলোর ছোটাছুটির জন্য কিছু নক্ষত্র দুনিয়ার আকাশ থেকে বিদায় নিত,কিছু উজ্জ্বল নক্ষত্র দুরত্ব বাড়ার কারনে অনুজ্জ্বল নিষ্প্রভ হতে হতে হারিয়ে যেত, নতুন জাতের তারকাদের সমাবেশ ঘটত কিছুবছর পর পরেই! কিছু নিষ্প্রভ ও হারিয়ে যেত। জোডিয়াক সাইকেল বা রাশিচক্র বার বার পরিবর্তিত হত। এস্ট্রলজারদের বার বার এস্ট্রলজির কুফরি বিজ্ঞানকে রিরাইট করতে হত। সুসংবদ্ধ কোন নীতিই থাকত না, কারন তখন আকাশে সবই নিত্যনতুন পরিবর্তনশীল। মাঝেমধ্যে কোন নক্ষত্র এত কাছে চলে আসত যা ২য় বা ৩য় সূর্য্যের কাজ করত। কোন শৃঙ্খলা থাকত না সবই র‍্যান্ডম চলত। নাবিকরা প্রাচীন যুগে তারকা দেখে পথ চিনতে পারত না। কারন বার বার তারকারা স্থান পরিবর্তন করত, হারিয়ে যেত, নতুন নক্ষত্র আগমন করত।

অথচ বাস্তবতাঃ
হাজার বছর ধরে নক্ষত্রদের রাশিচক্র/জোডিয়াক সাইকেল অপরিবর্তিত আছে। সবই একই নিয়মে চলছে। চার পাচ হাজার বছর আগে যে তারকা ছিল তা আজও একই উজ্জ্বলতায় বিদ্যমান। তারকা দেখে পথ/দিক চেনার পদ্ধতি প্রাচীন যুগ থেকে এখনো অপরিবর্তিত। তারকাদের অপরিবর্তিত রীতির উপরে জ্যোতিষশাস্ত্র দাঁড়িয়ে আছে।

অতএব, দেখা যাচ্ছে বাস্তবতা একদম বিপরীত যা শেখানো হচ্ছে তার। বাস্তবতা সাক্ষ্যদান করে জিওস্টেশনারী জিওসেন্ট্রিক সিস্টেমের। যা হেলিওসেন্ট্রিক থিওরির বিপরীত।

এবার আসুন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কি বলেন:
As-Saffat 37:6

إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ

Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars.

Fussilat 41:12
فَقَضَىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَاتٍ فِى يَوْمَيْنِ وَأَوْحَىٰ فِى كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَاۚ وَزَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَحِفْظًاۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ

And He completed them as seven heavens within two days and inspired in each heaven its command. And We adorned the nearest heaven with lamps and as protection. That is the determination of the Exalted in Might, the Knowing.

Al-Mulk 67:5
وَلَقَدْ زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَجَعَلْنَٰهَا رُجُومًا لِّلشَّيَٰطِينِۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ ٱلسَّعِيرِ

And We have certainly beautified the nearest heaven with stars and have made [from] them what is thrown at the devils and have prepared for them the punishment of the Blaze.

আল্লাহ #নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছেন তারকারাজি দ্বারা যার কিছু শয়তানের জন্য নিক্ষেপক বস্তু এবং মানুষের পথ চেনার জন্য।

নিকটবর্তী আকাশ বলতে প্রথম আসমান যা ইবনে কাসীরও(র) বলেন। সুতরাং স্পেসিফিকভাবে নিকটতম আকাশ তারকাখচিত বলতে শুধু প্রথম আসমানের কথাই বলা হচ্ছে। যেটা স্পষ্ট করছে তারকারাজি শুধুমাত্র প্রথম আসমানেই।।অপর এক হাদিসে সাত আসমানের যে বর্ননা এসেছে তাতে অন্য আকাশ গুলোর বর্ণনানুযায়ী সেখানে তারকাদের উপস্থিতি এবং তা দুনিয়া থেকে অবলোকন সম্ভব নয়। অথচ হেলিওসেন্ট্রিক এস্টোনমিক্যাল সাইন্সে বলা হয় অনন্ত আকাশের সর্বত্র নক্ষত্র বিরাজমান। শুধু তাই নয়, সেসব নক্ষত্র একেকটি সূর্য পৃথিবীর ন্যায় হাজারও গ্রহের। সে গ্রহে জীবজন্তু এলিয়েন থাকতে পারে। কিছু মোজলেমরা এসব বিশ্বাস করে সন্তুষ্ট এবং কুরআনের আয়াতের বিকৃত ব্যাখা করে প্রচার করে আগ্রহী। তাদের ব্যপারে কাতাদা (রহ.) এর এর বিখ্যাত উক্তি স্মরন করি, যা নিচের ছবিতে দেখছেন।

'কুরআনকে বাদ দিয়ে মর্ডান থিওরি সমূহ গ্রহন, এটা কোন মুসলিমের কাজ হতে পারেনা ,একজন মুসলিম অবশ্যই কুরআন অনুসরণ করবে'
_শায়খ সালেহ আল ফওযান হাফিঃ(সৌদিআরব)

লেখকঃ Al Imran

0 Comments:

Post a Comment