Wednesday, December 12, 2018

৯.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?


বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins of Mainstream physics and Astronomy: [পর্বঃ৯]






"Know thyself!" "নিজেকে জানো"
শব্দগুলো আজকে অনেকের কাছেই গভীর ব্যক্তিত্বের। অনেকে এ শব্দগুলোকে নিজেদের 'প্রিয়বাক্যের' স্থানে রেখে অত্যন্ত স্মার্ট অনুভব করে। কিন্তু এই নির্বোধগুলো এর দ্বারা কি বোঝায় সেটাই ভাল করে বোঝে না।
সমস্ত mystic/যাদুকর এই বিষয়ে একমত। তাদেরকাছে গেলে আপনাকে নিজেকে জানবার কথা বলবে। ওদের ভাষায় সৃষ্টিকর্তাকে আপনার ভেতর খুজতে বলবে। নিজেকে জানা বা সৃষ্টিকর্তাকে নিজের মধ্যে খোজার প্রক্রিয়াই হচ্ছে ধ্যান। ওরা বলতে চায়, আপনিই আপনার নিজের সৃষ্টিকর্তা। নিজের ঘুমন্ত আমিকে জাগ্রতকরনের মাধ্যমে জানতে হয়! সুফি কবি রুমি বলেনঃ
“It’s you yourselfthat hide your own treasure”


দেহতত্ত্ববাদি থেকে শুরু করে সকল ডাকিনী, যাদুকরদের একই বার্তা। একে ফিলসফি অব সেল্ফ বা আত্মদর্শনও বলে। আমি জানি know thyself বললে সর্বপ্রথম সক্রেটিসের নাম মনে আসে। জ্বি সক্রেটিস mystic দেরই একজন ছিলেন। যোগসাধক ও মিস্টিকরা মূলত ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কিছু প্রক্রিয়ায় অদৃশ্য সহচর জ্বীনকে আহব্বান করে এবং নিজেকে হায়ার ডাইমেনশনাল এই এন্টিটির কাছে সঁপে দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে জানার উপলব্ধি লাভ করে।
বিস্তারিত পড়ুনঃ
http://mysticson.blogspot.com/2010/08/know-thyself.html
http://www.witchipedia.com/class:witch-know-thyself
https://www.hermetik-international.com/en/media-library/occultism/moina-mathers-know-thyself/
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Philosophy_of_self
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Know_thyself


সক্রেটিসকে অন্যান্য দার্শনিকদের থেকে আলাদাভাবে দেখা হয়। কারন তাকে পূর্ববর্তী ন্যাচারাল ফিলসফারদের ন্যায় প্রকৃতি,আকাশ,ফিজিক্স নিয়ে ভাবতে তেমন দেখা যায় না। বস্তুত, তিনিও তার জীবনের প্রথম অধ্যায়ে পিথাগোরাস, ডেমোক্রিটাস,এন্যাক্সিম্যান্ডারদের অনুসরন করেছেন। আর সেটা তার জীবনের চল্লিশ বছর পর্যন্ত। কিন্তু দর্শনের এ শাখায় তিনি চরম ব্যার্থ ছিলেন। তিনি মেঘ বর্ষনের ব্যাখ্যা দিতেন, কিন্তু তা হত অত্যন্ত হাস্যকর। যেমন, জিউসের প্রস্রাব হচ্ছে বৃষ্টির কারন। অবশেষে তিনি ফিজিক্স, এস্ট্রোনমির দর্শন ছেড়ে এথিকস, মোরালিটির দর্শন চর্চায় মগ্ন হন, এবং এতেই সফল হন।
সিক্রেটিসের সাথে একজন উপদেষ্টা ছিল।একে সে ডিমন(daemon) বলত। সেটা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ,পরামর্শ দিয়ে থাকত। পাশ্চাত্যে ডিমনকে, ডীমন(demon),ডেভিল, ইভিল স্পিরিট ইত্যাদি বলা হয়। আরবিতে যাকে শয়তান জ্বীন বলে। গ্রীসে এই শয়তানদেরকে ডেমিগডের সম্মান দেওয়া হত।
In other words, daimons are demi-Gods, with divine power, existing between heaven and earth, playing the role of intermediaries, between humans and gods.

http://greekerthanthegreeks.blogspot.com/2016/10/lost-in-translation-word-of-day-demon.html


সক্রেটিস নিজেই দাবি করতেন যে তার সাথে সারাজীবন একজন শয়তান ছিল যা তাকে সতর্ক করত ভুল, অবিচার থেকে, বিপদ থেকে।
In Plato'sThe Apology, Socrates claimed to have his own, life-time daimon, a favour from the Gods,that frequently warned him, in the form of a"voice", if he was about to make a mistake, of bad judgment, or danger, but never told him how to act, just advised Socrates, so to speak.
“You have often heard me speak of an oracle or sign which comes to me, and is the divinity which Meletus ridiculesin the indictment. This sign I have had ever since I was a child. The sign is a voice which comes to me and always forbids me to do something which I am going to do, but never commands me to do anything, and this is what stands in the way of my being apolitician.” — Socrates, Plato’sApology

এক আলজেরীয় নিওপ্লেটনিস্ট লেখক ডিমনদেরকে ভাল আশীর্বাদপুষ্ট আত্মা বলে দাবি করেন। এরা স্বপ্ন দেখায় এমনকি ভবিষ্যদ্বক্তা গনকদের কাজে সহযোগীতা করে!
ওরাকল বা দৈববানী গুলোও ডিমনদের থেকে হয়।
http://disinfo.com/2017/07/socrates-daemon-ancient-oracles/

স্টোয়িক,হিরাক্লিটাস প্রমুখ বিশ্বাস করত যে প্রত্যেক মানুষের সাথে ডিমন থাকে। জিউস প্রত্যেকের সাথে একজন করে ডিমন দিয়েছেন।
“Live with the gods. And he does live with the gods who constantly shows to them, his own soul is satisfied with that which is assigned to him, and that it does all that the daemon wishes, which Zeus hath given to every man for his guardian and guide, a portion of himself. And this is every man’s understanding and reason. “ 
— Book Five of the Meditations
According to Stoicism, the whole universe was Zeus (or Deus), and destined for a never ending cycle of destruction and rebirth, eternal recurrence. The portion of ourselves that was capable of rationality was thought to be a portion of Zeus, of divinity. This was a pantheistic type ofdeity, not to be confused with the Zeus of every myth and tale told from antiquity. The idea that a pantheistic, universal divinity which they gave the name of the ‘highest of gods” of their time, but which they also called the Logos; the all pervasive active intelligence that animated the world. The daemon, in this system of thought, was a shard of the Logos intrinsic to humanity that gave us the ability to reason.
Demon/Daemon এর বন্ধু সক্রেটিসের ব্যপারে আরো জানুনঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Socrates
https://andreaskluth.org/2010/01/02/was-socrates-an-atheist/

প্লেটো ছিলেন সক্রেটিসের শিষ্য। প্লেটো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রভাব সৃষ্টিকারী দার্শনিক এবং অকাল্টিস্ট। তিনিও ঐতিহ্যগতভাবে মনিস্ট ছিলেন।
https://www.quora.com/Was-Plato-a-monist-or-dualist
ইউরোপীয় ফিলসফিক্যাল ট্রেডিশন প্লেটোর মতাদর্শ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। আজ পর্যন্ত তাকেই সবচেয়ে বেশি অনুসরণ করা হয়।
Alfred North Whitehead once noted: "the safest general characterization of the European philosophical tradition is that it consists of a series of footnotes to Plato."
The Stanford Encyclopedia of Philosophy describes Plato as "...one of the most dazzling writers in the Western literary tradition and one of the most penetrating, wide-ranging, and influential authors in the history of philosophy .
প্লেটো সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে গনিত এবং বিজ্ঞানে। প্লেটোই ব্যবিলনিয়ান গাণিতিক বিদ্যাকে সাধারন মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলেন।
Plato's influence has been especially strong in mathematics and the sciences
প্লেটোর দর্শন চিন্তা প্রভাবিত হয়, সক্রেটিস,পারমেনিডিস, হিরাক্লিটাস এবং পিথাগোরাস এর দ্বারা।
Plato's own most decisive philosophical influences are usually thought to have been Socrates, Parmenides ,
Heraclitus and Pythagoras , although few of his predecessors' works remain extant and much of what we know about these figures today derives from Plato himself. [7]

প্লেটো প্রথম শিক্ষা গ্রহন করেন হিরাক্লিটাসের এক শিষ্যের কাছে থেকে। এজন্য হিরাক্লিটাসের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন। এরপরে সরাসরি সক্রেটিসের সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপরেও তিনি গ্রীক অন্যান্য দার্শনিকদের ন্যায় পিথাগোরাস ও পিথাগোরিয়ানদের দ্বারা দারুনভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
Although Socrates influenced Plato directly as related in the dialogues, the influence of
Pythagoras upon Plato also appears to have significant discussion in the philosophical literature. Pythagoras, or in a broader sense, the Pythagoreans, allegedly exercised an important influence on the work of Plato.

এরিস্টটল দাবি করেন, প্লেটোর দর্শন পিথাগোরাসের শিক্ষা দ্বারা নিবিড়ভাবে অনুসৃত।
Aristotle claimed that the philosophy of Plato closely followed the teachings of the Pythagoreans, [54]
একইভাবে, Cicero repeats this claim: "They say Plato learned all things Pythagorean" ( Platonem ferunt didicisse Pythagorea omnia ). [55]

R.M Hare পিথাগোরাসের দর্শনের প্রভাব তিনটি পয়েন্টে ভাগ করে উল্লেখ করেনঃ
According to R. M. Hare , this influence consists of three points: (1) The platonic Republic might be related to the idea of "a tightly organized community of like-minded thinkers", like the one established by Pythagoras in Croton. (2) There is evidence that Plato possibly took from Pythagoras the idea that mathematics and, generally speaking, abstract thinking is a secure basis for philosophical thinking as well as "for substantial theses in science and morals ". (3) Plato and Pythagoras shared a "mystical approach to the soul and its place in the material world". It is probable that both were influenced by Orphism . [51] [52]
পিথাগোরাসের চিন্তায় প্রকৃতি হচ্ছে নিউমেরিক্যাল ম্যাট্রিক্স বা একরকম সংখ্যা/কোডের সিমুলেশন, সেই বিশ্বাস প্লেটোও রাখতেন।
Pythagoras held that all things are number, and the cosmos comes from numerical principles. The physical world of becoming is an imitation of the mathematical world of being. This ideas were very influential in Heraclitus, Parmenides and Plato. [53]

প্লেটোর বিশ্বাস বা আকিদার মধ্যে অন্যতম ছিল, পুনঃজন্মবাদ এবং সৃষ্টি স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্ব (নন ডুয়ালিজম- ওয়াহদাতুল উজুদ/মনিজম)। আরেকটি বিশ্বাস ছিল যা আজকের বিজ্ঞান গ্রহন করে নিয়েছে। সেটা হচ্ছে প্লেটোনিক আইডিয়ালিজম। এই ধারনাটি সক্রেটিসের মাঝেও ছিল। এই চিন্তাধারা বলে যে, এই প্রকৃতির যে রূপ দেখে আমরা অভ্যস্ত, এটাই এর আসল রূপ নয়। বরং আমরা হয়ত আসল বাস্তবতার শুধু ছায়াটাকেই দেখি। একে থিওরি অব ফর্ম বা থিওরি অব আইডিও বলে।
The theory of Forms (or theory of Ideas) typically refers to the belief that the material world as it seems to us is not the real world, but only an "image" or "copy" of the real world. In some of Plato's dialogues, this is expressed by Socrates, who spoke of forms in formulating a solution to the problem of universals. The forms, according to Socrates, are archetypes or abstract representations of the many types of things, and
properties we feel and see around us, that can only be perceived by reason (λογική). (That is, they are universals .) In other words, Socrates was able to recognize two worlds: the apparent world, which constantly changes, and an unchanging and unseen world of forms, which may be the cause of what is apparent.According to Socrates, physical objects and physical events are "shadows" of their ideal or perfect forms, and exist only to the extent that they instantiate the perfect versions of themselves.
বিস্তারিতঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Plato
https://https-en-m-wikipedia-org/wiki/Platonic_realism

প্লেটো একটি আদর্শ রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলে গিয়েছেন। তাতে রাজাকে দার্শনিক হতে হবে। আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় যাতে একদল হবে শ্রমিক,আরেকদল সামরিক এবং আরেকভাগ শাসনব্যবস্থায় নিয়োজিত থাকবে। প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রতত্ত্ব অনেকটা সেকুলারিজম ও কমিউনিজমের হাইব্রীড রূপ। সেখানে বৈবাহিক এবং পারিবারিক ব্যবস্থা বলে কিছু থাকবে না। কিছুটা ইউটোপিয়ান পলিটক্যাল সিস্টেমের জন্য এজেন্ডা ২১,প্রস্তাবিত ওয়ান ওয়ার্ল্ড গর্ভামেন্ট এর মহা পরিকল্পনার সাথে যুক্ত থিংকট্যাঙ্করা এটাকে পছন্দ করে। এটা মডেল হিসেবে দ্বার করিয়ে ডকুমেন্টারিও তৈরি করে Zeitzeist movement, Venus project এর মত 'আসন্ন মিথ্যা মসীহের' অনুসারী সংগঠন গুলো।

প্লেটোর দর্শন এবং শিক্ষা ঈসা আলাইহিসালাম চলে যাবার ৩০০ বছর পরে জাগতে শুরু করে প্লোটিনাস এবং তার ছাত্র আয়ামব্লিকাস ও পরফিরির দ্বারা। পরে পঞ্চম শতকে সিরিয়া আলেকজান্দ্রিয়া, এথেন্সে পৌছায়। প্লটিনাস ইজিপশিয়ান ছিলেন যিনি প্লেটোরধর্ম চালু করেন(neoplatonism), তিনি হিন্দু,পারস্য,প্রাচীন মিশরীয় প্যাগানিজম দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তারই মেটাফিজিক্যাল চিন্তাধারা পরবর্তীতে খ্রিষ্টান, সুফি,ইহুদীদেরকে প্রভাবিত করে।প্লোটিনাস এসব জ্ঞান পায় তার শিক্ষক এমোনিয়াস সাক্কাস নামের এক গুরুর থেকে।
While he was himself influenced by the teachings of classical Greek ,
Persian and Indian philosophy and Egyptian theology, [15] his metaphysical writings later inspired numerous Christian, Jewish , Islamic and Gnostic metaphysicians and mystics over the centuries.

নিওপ্লেটনিস্ট আইয়ামব্লিকাস ও পরফিরি ছিলেন চরম খ্রিষ্টান বিদ্বেষী এবং প্যাগানিজমের ডিফেন্ডার এবং জ্যোতিষী। তারা ছিলেন পিথাগোরাসের অন্যতম অনুসারী।
Porphyry stated in On the One School of Plato and Aristotle , that Ammonius' view was that the philosophies of Plato and Aristotle were in harmony.
পরফিরির বলেন ওই গুরুর(আমোনিয়াস) দর্শন ছিল প্লেটো এরিস্টটলের একত্রিত দর্শন। তিনি আরো বলেন, তিনি প্রথমে খ্রিস্টানধর্মের ছিল। পরে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে পিথাগোরিয়ান-ইজিপশিয়ান-ব্যবিলনিয়ান প্যাগান দর্শন কে আলিঙ্গন করেন।

তো, প্লেটোর শিক্ষার অনুসারীরা, তার দর্শনের যে পুনর্জাগরন ঘটিয়ে ছিল পঞ্চম শতকে, তাকে নিওপ্লেটনিজম বলে।পরবর্তীতে খ্রিষ্টানদের চাপে নিওপ্লেটনিস্টদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
Neoplatonists revived the Academy in the early 5th century but there was no institutional continuity with Plato's school, and it operated until 529 AD, when it was closed by Justinian I of Byzantium . [42]

প্যাগান ডক্ট্রিনের জন্য Justinian I ক্লাসিকাল নিওপ্লেটনিজমের অবসান ঘটান।
যখন জাস্টিনিয়ানের(১ম) দ্বারা এথেন্সের প্লেটনিক একাডেমী বন্ধ হয়ে গেল, উহা আলেকজান্দ্রিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান রইল। পরবর্তীতে এক নিওপ্লেটনিস্ট স্টিফেনাস, সেসব শিক্ষা ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসেন। সেখানে এরিস্টটল ও প্লেটনিক দর্শন খুবই সক্রিয় অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় চলতে থাকে।
After the closure of the Platonic academy in Athens, neoplatonic and/or secular philosophical studies continued in publicly funded schools in Alexandria. In the early seventh century, the neoplatonist Stephanus brought this Alexandrian tradition to Constantinople, where it would remain influential, albeit as a form of secular education. [51] The university maintained an active philosophical tradition of Platonism and
Aristotelianism, with the former being the longest unbroken Platonic school, running for close to two millennia until the fifteenth century(উইকিপিডিয়া)

কি ছিল নিওপ্লেটনিক শিক্ষা?
নিওপ্লেটনিজমে প্রথম শিক্ষাই হচ্ছে আল আকিদাতুল ওয়াহদাতুল উজুদ। যেটাকে মনিজম বলা হয়। অর্থাৎ সৃষ্টি-স্রষ্ট্রার অস্তিত্ব অভিন্ন।
ননডুয়ালিজম বা অদ্বৈতবাদ।
আরেকটি মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে পুনঃজন্মবাদ metempsychosis বা transmigration of soul।
The neoplatonists believed in the principle of reincarnation . Although the most pure and holy souls would dwell in the highest regions, the impure soul would undergo a purification, [29] before descending again, [34] to be reincarnated into a new body, perhaps into animal form. [35] Plotinus believed that a soul may be reincarnated into another human or even a different sort of animal. However, Porphyry maintained, instead, that human souls were only reincarnated into other humans. [36] A soul which has returned to the One achieves union with the cosmic universal soul [37] and does not descend again, at least, not in this world period.[উইকিপিডিয়া]
জ্বি এ যেন ধর্মচক্রেরই(হিন্দু/বৌদ্ধ) প্রতিফলন। সেই সাথে ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদার একদম প্রকৃত বিশুদ্ধ শিক্ষা। যে আত্মা মৃত্যুর পরে 'এক' এর সাথে মিশে যায়, সেটা ইউনিভারসাল কস্মিক আত্মার(মহাবিশ্ব/ইউনিভার্সাল কালেক্টিভ কনসাসনেস) সাথে একীভূত হয়ে যায়। এগুলো সুফি,মারেফাত পন্থী পীর ও তাদের অনুসারীরা ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে শেখায় অথচ ইব্রাহীম আলাইহিসালাম এর দ্বীন পুনরুত্থান দিবসের কথা বলে। এজন্য ওই আকিদা সম্পূর্নই কুফরি এবং শয়তানি। একদমই তাওহীদের বিপরীতে অবস্থান। Neoplatonism's mystical perspectives: Plotinus' system has similar content to Islamic mysticism, like Islamic Sufism .(উইকিপিডিয়া)
নিওপ্লেটোনিজম সর্বাপেক্ষা লম্বা সময় যাবৎ জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শনে প্রভাব সৃষ্টিকারী মতবাদ। মধ্যযুগে আরবে যে গ্রীক শাস্ত্রের প্রবেশ করে, তার অধিকাংশই এই নিওপ্লেটনিক টেক্সট।
মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের একদল সেসব শয়তানি শিক্ষাকে যার যার ধর্ম ও চিন্তার সাথে সমন্বয় করতে শুরু করে।
Neoplatonism had an enduring influence on the subsequent history of philosophy. In the Middle Ages , Neoplatonic ideas were studied and discussed by Islamic, Christian, and Jewish thinkers. In the Islamic cultural sphere, Neoplatonic texts were available in Arabic translations, and notable thinkers such as al-Farabi , Solomon ibn Gabirol ( Avicebron ),Avicenna , and Moses Maimonides incorporated neoplatonic elements into their own thinking. [3]
আপনাদের পূর্ববর্তী পর্বগুলোয় একাধিকবার বলেছিলাম পারস্য এবং আরবে যখন গ্রীক কুফরি শাস্ত্রগুলো পৌছালো, তখন কিছু পণ্ডিত(যেমনঃজাবির ইবনে হাইয়্যান প্রমুখ) কর্তৃক অনুবাদিত হলো।
During the early Islamic era,Persian and Arab scholars translated much of Plato into Arabic and wrote commentaries and interpretations on Plato's, Aristotle's and other Platonist philosophers' works (see Al-Farabi ,Avicenna , Averroes, Hunayn ibn Ishaq). Many of these comments on Plato were translated from Arabic into Latin and as such influenced Medieval scholastic philosophers.

প্লেটোনিক দর্শনের উপরে অনেক আরব-পারস্যের কথিত সুফিদের দ্বারা স্বীকৃত 'মুসলিম' দার্শনিকরা সেসবের নানারূপ ব্যাখ্যা মন্তব্য তৈরি করত। এমনকি সেসব আরবি থেকে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হয় যা মধ্যযুগীয় দার্শনিকদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে সিনা, আরাবি, কিন্দি,ফারাবি, হিমসিরা নিওপ্লেটনিজমের অকাল্ট দর্শনকে গ্রহন করেছিল। এরা একত্ববাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সর্বশ্বরবাদী কুফরি আকিদার দিকে আহব্বান করত।
Various Arabic scholars and philosophers, including Avicenna (Ibn Sina), Ibn Arabi , al-Kindi , al-Farabi , and al-Himsi , adapted neoplatonism to conform to the monotheistic constraints of Islam. [53] The translations of the works which extrapolate the tenets of God in neoplatonism present no major modification from their original Greek sources, showing the doctrinal shift towards monotheism . [54] Islamic adapted the concepts of the One and the First Principle to Islamic theology, attributing the First Principle to God. [55] God is a transcendent being, omnipresent and inalterable to the effects of creation. [54] Islamic philosophers used the framework of Islamic mysticism in their interpretation of Neoplatonic writings and concepts.

আজকের মর্ডানিস্ট মুসলিমদেরকে যেভাবে আধুনিক কুফরি আকিদা তথা সাইন্টিজমকে ইসলামাইজ(ইসলামিকিকরন) করতে দেখা যায়, যেমনিভাবে ইবনে সিনা, ফারাবি,ইবনে আরাবিরা গ্রীক নিওপ্লেটনিক দর্শনকে ইসলামাইজ(ইসলামিকিকরন) করবার চেষ্টা করে, তৎকালীন বিজ্ঞানকে(ন্যাচারাল ফিলসফি) খ্রিস্টধর্মের সাথে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করে অনেক পাদ্রী।
The earliest Christian philosophers, such as Justin and Athenagoras , who attempted to connect Christianity with Platonism , and the Christian Gnostics of Alexandria , especially Valentinus and the followers of Basilides , also mirrored elements of neoplatonism, albeit without its rigorous self-consistency

প্লেটোর পুনর্জন্মবাদের আকিদাটি খুবই সমস্যার ছিল খ্রিষ্টান ধর্মের সাথে সমন্বয়করনের ক্ষেত্রে। বেসারিওন প্লেটোর আকিদা ও খ্রিষ্টান ধর্মটিকে একীভূত করনের চেষ্টা করেন।
More problematic was Plato's belief in metempsychosis , transmigration of the soul, as well as his ethical views (on polyamory and euthanasia in particular), which did not match those of Christianity. It was Plethon's student Bessarion who reconciled Plato with Christian theology, arguing that Plato's views were only ideals, unattainable due to the fall of man.

বাইজেন্টাইনের দার্শনিক পণ্ডিতদের দ্বারা রেনেসাঁ পিরিয়ডে প্লেটনিক জ্ঞান পাশ্চাত্যে পরিচয় করানো হয়।
During the early Renaissance, the Greek language and, along with it, Plato's texts were reintroduced to Western Europe by Byzantine scholars.

নিওপ্লেটনিজমের সাথে হিন্দু বেদান্তবাদ/বৌদ্ধদের সাথে রহস্যময় সাদৃশ্যতা বিদ্যমান। জন্য ধারনা করা হয় যেকোনভাবে প্লোটিনাসের গুরু এমোনিয়াস সাক্কাস ভারতীয় দর্শনের অনুসারী ছিলেন। যেমনটা উইকিপিডিয়াতেঃ
The similarities between neoplatonism and the Vedanta philosophies of Hinduism have led several authors to suggest an Indian influence in its founding, particularly on Ammonius Saccas , the teacher of Plotinus.

শুধু বেদ/হিন্দু/বৌদ্ধধর্মই নয়, নিওপ্লেটনিজমের মাঝে গ্রীক অন্যান্য দর্শনগুলোরও সিন্থেসিজ লক্ষ্য করা যায়। এমনি পিথাগোরিয়ানিজমও। এজন্যই নিওপ্লেটনিজম অসংখ্য ফিলোসফিক্যাল ট্রেডিশনের একটা সমন্বিত রূপ।
Neoplatonism synthesized ideas from various philosophical and religious cultural spheres. The most important forerunners from Greek philosophy were the Middle Platonists, such as Plutarch , and the neopythagoreans, especially Numenius of Apamea

পশ্চিমে একটু দেরীতে নিওপ্লেটনিক অকাল্ট টেক্সট গুলোর ল্যাটিন অনুবাদগুলো পৌছায়। নবম শতকে পৌছানোর পরে দ্বাদশ শতাব্দীতে সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানী সবার মাঝে। টমাস একুইনাস, মার্সিলিও ফিচিনো,পিকো ডেলা প্রভৃতিদের মাঝে। এমনকি এটা চলতে থাকে উনিশ শতকের ইউনিভার্সালিজম থেকে শুরু করে আজকের স্পিরিচুয়ালিস্টিক সংগঠন/মুভমেন্টগুলোর(যেমনঃ থিওসফি/নিউএজ/কোয়ান্টাম ম্যাথড) মধ্যে।
আজকের প্যান্থেইস্টিক নন ডুয়ালিস্ট সমস্ত দর্শন, সংগঠনগুলো কোন না কোনভাবে নিওপ্লেটনিজমের সাথে সম্পৃক্ত।
Latin translations of late ancient neoplatonic texts were first available in the Christian West in the ninth century, and became influential from the twelfth century onward. Thomas Aquinas had direct access to works by Proclus , Simplicius and Pseudo-Dionysius the Areopagite , and he knew about other Neoplatonists, such as Plotinus and Porphyry , through secondhand sources. [4] The mystic Meister Eckhart (c. 1260 – c. 1328) was also influenced by Neoplatonism, propagating a contemplative way of life which points to the Godhead beyond the nameable God.
Neoplatonism also had a strong influence on the Perennial philosophy of the Italian Renaissance thinkers Marsilio Ficino and Pico della Mirandola, and continues through nineteenth century Universalism and modern-day spirituality and nondualism.
শুধু আধ্যাত্মবাদী সংগঠনই এর দ্বারা প্রভাবিত নয়, এর দ্বারা প্রভাবিত আজকের ফিজিক্স/ফিজিসিস্ট এবং এস্ট্রোনমি।
রেনেসাঁর যুগে নিওপ্লেটনিজম এর পুনঃবিপ্লব ঘটে। সমস্ত শিক্ষার্থী, দার্শনিকদের মধ্যে বিরাজ করে। আর এ নিওপ্লেটোনিজম মানে শুধুই প্লেটোর একারই দর্শন/বিদ্যা/জ্ঞান নয় বরং এতে আছে এরিস্টটল,পিথাগোরাস এবং অন্যান্য পিথাগোরিয়ান দার্শনিকের কুফরি শিক্ষা। নিওপ্লেটোনিজমের বিস্তারে মার্সিলিও ফিচিনো নামের এক যাদুকর গুরুদায়িত্ব পালন করেন। তিনি অনেকগুলো প্লেটোনিক/পিথাগোরিয়ান শাস্ত্রগুলো গ্রীক থেকে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করে ইজিপশিয়ান-ব্যবিলনিয়ান কুফরি যাদু বিদ্যা এবং অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রচার ও পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে দেওয়ার দরজা খুলে দেন। আজকে নাস্তিকতায় বিশ্বাসীরা তাদের ধর্মের স্থানে 'হিউম্যানিজম' বা 'মানবধর্ম' শব্দটি ব্যবহার করতে পছন্দ করে। বস্তুত, নিওপ্লেটনিজম এর গভীরভাবে হিউম্যানিজমের কথাই বলে। নিওপ্লেটনিজমের পৃষ্ঠপোষক কয়েকজন পূর্বে থেকেই হিউম্যানিস্ট ছিলেন। স্পিরিচুয়াল হিউম্যানিজম মানুষকেই ডিভিনিটি দিয়ে দেয়। এ কারনে প্যান্থেইজম(সর্বেশ্বরবাদ) মূলত atheism নামের রূপক একটি মুদ্রারই অপর পিঠ।
রেনেসাঁ পিরিয়ডে পিথাগোরিয়ান-প্লেটোনিক অকাল্ট ফিলোসফির বিস্ফোরনের সাথে সাথে তৎকালীন খ্রিস্টধর্মের সাথে প্লেটোনিক দর্শনগুলোকে মেশানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়। যেমনটা উইকিপিডিয়াতে পাওয়া যায়ঃ
"Of all the students of Greek in Renaissance Italy, the best-known are the Neoplatonists who studied in and around Florence" (Hole). Neoplatonism was not just a revival of Plato's ideas, it is all based on Plotinus' created synthesis, which incorporated the works and teachings of Plato, Aristotle, Pythagoras, and other Greek philosophers. The Renaissance in Italy was the revival of classic antiquity, and this started at the fall of the Byzantine empire, who were considered the "librarians of the world", because of their great collection of classical manuscripts and the number of humanist scholars that resided in Constantinople (Hole).
Neoplatonism in the Renaissance combined the ideas of Christianity and a new awareness of the writings of Plato. Marsilio Ficino (1433–99) was "chiefly responsible for packaging and presenting Plato to the Renaissance" (Hole). In 1462, Cosimo I de' Medici, patron of arts, who had an interest in humanism and Platonism, provided Ficino with all 36 of Plato's dialogues in Greek for him to translate. Between 1462 and 1469, Ficino translated these works into Latin, making them widely accessible, as only a minority of people could read Greek. And, between 1484 and 1492, he translated the works of Plotinus, making them available for the first time to the West.


মার্সিলিনো ফিচিনো এবং পিকোর ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্মের সাথে হার্মেটিক যাদুশাস্ত্র এবং অকাল্ট ফিলসফিকে হার্মেটিক রিফর্মেশনও বলা হয়।
The efforts of Ficino and Pico to introduce neoplatonic and Hermetic doctrines into the teaching of the Roman Catholic Church has recently been evaluated in terms of an attempted "Hermetic Reformation".

সপ্তদশ শতাব্দীতে প্লেটোনিক দর্শন আরো শক্ত অবস্থান লাভ করে। পাশ্চাত্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোও গভীরভাবে প্রভাবিত হয় এর দ্বারা। কোলরিজ বলেন, তারা মূলত প্লেটনিস্ট নয় বরং প্লোটনিস্ট। আগেই উল্লেখ করেছি প্লটিনাস হিন্দু বেদান্তবাদ তথা ভারতীয় অকাল্ট ফিলসফি দ্বারা চরমভাবে প্রভাবিত ছিলেন। এভাবে সপ্তদশ শতাব্দীর পন্ডিতদের ধারাবাহিকতায় আজকে দাজ্জালে আবির্ভাব পূর্ব সময়ে আরো ব্যাপকতা লাভ করে।
In the seventeenth century in England, neoplatonism was fundamental to the school of the Cambridge Platonists , whose luminaries included Henry More, Ralph Cudworth,Benjamin Whichcote and John Smith, all graduates of the University of Cambridge .
Coleridge claimed that they were not really Platonists, but "more truly Plotinists": "divine Plotinus", as More called him.Later, Thomas Taylor (not a Cambridge Platonist) was the first to translate Plotinus' works into English. [58][59]

আজকের Unitarianism , Transcendentalism , and Universalism, new age প্লেটনিক/পিথাগোরিয়ান/হার্মেটিক occult philosophy-occult metaphysics এর উপর গড়ে উঠেছে। আজকে এসব সংগঠন গুলো আগের মত লুকিয়ে লুকিয়ে প্রচারণা চালায় না। বরং প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে পৃথিবীর সর্বত্র জাতিসংঘের মদদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই আজকে পাশ্চাত্যের ইউনিভার্সালিস্ট/ইউনিটেরিয়ানরা নিজেদের হিন্দু বলেও দাবি করে। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=549mT-vU1Vk
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Neoplatonism

আমরা হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনোমিকাল মডেলের জন্য কোপার্নিকাসের স্তুতি গাই। তিনিই কি এর প্রথম প্রবক্তা? নাহ, কোপার্নিকাসের জন্মেরও বহু বছর আগে প্যাগান Occult philosopher হাইপাথিয়া হেলিওসেন্ট্রিজমের কথা বলতেন। আজকের কথিত বিজ্ঞান শুধুই প্রাচীন occultism, occult philosophy/worldviews আধুনিকতার নামে বিজ্ঞানের মোড়কে সামনে নিয়েছে। আগেই দেখিয়েছিলাম পিথাগোরাস কিভাবে ব্যবিলন ও ইজিপ্ট থেকে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্র(স্যটানিক ডক্ট্রিনস) গুলো এনে নিজ ভূমিতে এনে মহাজ্ঞানের বিষয়ে পরিনত করে। তার অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ এবং মেটাফিজিক্স অনুযায়ী পৃথিবীটা গোলাকার, যা হাইপাথিয়ার হেলিওসেন্ট্রিক বিশ্বাসের মূল ভিত্তি।
দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=_S-bmMrJTFE


হাইপাথিয়া ছিলেন একজন প্যাগান প্লেটনিক নারী ফিলসফার। তিনি আলেকজান্দ্রিয়ায়
নিওপ্লেটনিজমের প্রসারে গুরুর বিরাট ভূমিকা পালন করেন। তিনি সেখানে একজন দার্শনিক ছিল। তিনি সেখানে প্লেটোনিক প্যাগান দর্শন(আকিদা), গনিত ও এস্ট্রনমি শিক্ষা দিতেন ।
তিনিও পরফিরি,আইয়ামব্লিকাসের ন্যায় খ্রিষ্টধর্মের বিদ্বেষী ছিলেন। তিনি ইসলাম পূর্ব প্যাগানবিদ্বেষী খ্রিষ্টানদের হাতে পরবর্তীতে নির্মমভাবে নিহত হন।
Hypatia (c. 360 – 415) was a Greek woman who served as head of the Platonist school in Alexandria, Egypt, where she taught philosophy, mathematics and astronomy prior to her murder by a mob of anti-pagan Christians because she was defending the Christian ruler of Alexandria Orestes .
Hypatia was a Neoplatonist, [22] but, like her father, she rejected the teachings of Iamblichus and instead embraced the original Neoplatonism formulated by Plotinus. [22]
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Hypatia

সুতরাং খুব স্পষ্টভাবেই দেখতে পাচ্ছেন, আজকের কস্মোলজিক্যাল যেসকল বিবরণ জানেন তা আদৌ কোন কথিত বিজ্ঞানীর নব-আবিষ্কৃত তত্ত্ব নয় বরং এ সমস্ত বিষয় অত্যন্ত প্রাচীন mystery school এরই occult belief. Occult worldview! এসব তত্ত্বগুলো প্রাচীন প্রকৃতিপূজারী যাদুকরদের মনগড়া আকিদা এবং শয়তানের শিক্ষা। কিন্তু আপনাকে কখনোই জানানো হয় না এসব শিক্ষার অরিজিন সম্পর্কে। এসব দার্শনকেন্দ্রিক বিশ্বাসগুলোর উৎসগুলোকে গোপন রাখা হয়। দেখানো হয়, হঠাৎ করে অমুক বিজ্ঞানী অমুক তত্ত্ব সম্পর্কে বলেছেন। অমুক বিজ্ঞানী কি আদৌ "বিজ্ঞানী" ছিলেন কিনা সেটাও আপনাকে জানানো হয় না। আপনি কি জানেন স্যার আইজ্যাক নিউটন ছিলেন একজন উচ্চমানের ফ্রিম্যাসন ও যাদুকর। এরকমভাবে কেপলার, কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও,ভিঞ্চি, আইনস্টাইনরা সবাই ছিলেন মিস্টিক এবং বিচিত্র অকাল্ট টেক্সট দ্বারা প্রভাবিত। ওরা যা বলে রিয়েলিটি একদমই এরকম নয়। অথচ এগুলোকে আজ ম্যাথম্যাটিকস/টেকনোলোজি এবং মিডিয়াকে ব্যবহার করে অকাট্য সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করেছে। মিস্টিক, অকাল্টিস্ট এবং শয়তানের কথাগুলোকে সত্য বলে শেখানো হচ্ছে। এর অন্যতম কারন, ওরা সব কিছুকে ওদের (মিথ্যা)মসীহের আবির্ভাবের উপযোগী করে তুলছে।
প্লেটোর ব্যপারে আগামী পর্বে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থাকছে। পরবর্তী পর্বগুলোয় উইকিপিডিয়ার রেফারেন্স কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে, কারন এতগুলো ইংরেজি বাক্য অনেকের কাছে বিরক্তিকর। যাদের কাছে ইংরেজি সহজবোধ্য না, তারা নূন্যতম বাংলা পড়লেও সবকিছুই বুঝতে পারবেন বলে মনে করি।


[চলবে ইনশাআল্লাহ]




৬.বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?


বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান?
The Occult Origins of Mainstream physics and Astronomy: [পর্বঃ৬]





     
 মনে করুন, এক অমুসলিম ব্যক্তি আপনার নিকট এলো। তার মাথায় লম্বা জটাধরা চুল, হাতে-গলায় বিচিত্র কবচ মাদুলি, হাতে কিসব জ্যামিতিক আঁকিবুঁকি, কানে দুল, ললাটে কিসব চিহ্ন। শরীর থেকে গাজা বা সেরকম কোন অচেনা কিছুর কটু গন্ধ। আপনি জানেন, তিনি একজন সুপরিচিত যাদুকর-গনক ও জ্যোতিষী। তিনি আপনাকে আসমান-যমীন সৃষ্টিতত্ত্ব এবং প্রকৃতির রহস্য নিয়ে এমন কিছু বললেন যা আপনি কখনো শোনেন নি। তিনি এত কনফিডেন্সের সাথে সেসব বলছেন, যেন সেসব গায়েবের জ্ঞান তার কাছে সবিস্তর বিদ্যমান। এমতাবস্থায় আপনি সে যাদুকরের কথা কিরূপ মূল্যায়ন করবেন? আপনার নিকট সে রহস্যবাদী গুপ্তজ্ঞানের দাবিদার যাদুকরের কথা কতটুকু গ্রহণযোগ্য?




বস্তুত, এর উত্তর আপনার স্বীয় মতাদর্শের উপর নির্ভর করে।

তদ্রূপ আরেকটি দৃশ্যকল্পঃ
ঐ যাদুকর তার সকল গুপ্তজ্ঞান(Occult knowledge) গ্রন্থাকারে সংরক্ষন করলেন। তার মৃত্যুর পরে অনেক বছর পরে কিছু অমুসলিম ব্যক্তি ওই গ্রন্থশাস্ত্র হাতে পায় এবং নিবিড় অধ্যয়ন শুরু করে। একপর্যায়ে তারা সমাজে ধীরে ধীরে তাদের ঐ গুপ্তগ্রন্থ লব্ধ জ্ঞান প্রচার করতে শুরু করে। প্রথম দিকে সেসব তথ্য হেরেটিক হবার জন্য সমাজপতি ও মৌলবাদী ধর্মপন্থীদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে ছিল। এজন্য ওই গুপ্তবিদ্যা প্রচারকারীদের অনেকের জীবনও খুয়াতে হয়েছে। কিছু বছর যাবার পরে সেসব শাসকদের বিদায় হলে এবং ধর্মপন্থীদের দৌরাত্ম্য কমলে সেই গুপ্তবিদ্যার প্রসার বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে যাদুকরের সেসব গুপ্তশিক্ষাই হয়ে গেল সমাজের 'জ্ঞান-বিজ্ঞানের' কেন্দ্রবিন্দু। অতঃপর চার-পাঁচ শতাব্দীর পরে এমন একটা সময় আসলো, যখন ওই প্রাচীন গুপ্তজ্ঞানের পরিবর্ধিত অবস্থার ব্যবহার ছাড়া মানুষ ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে পারে না। হাজারে একজন যদি ওই জ্ঞানের সামান্য বিরুদ্ধেও কিছু বলে, তবে তাকে নিয়ে শুরু হয় উপহাস-ঠাট্টা ও তামাশা। তাকে বাতুল-মূর্খ- কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রভৃতি শব্দ দ্বারা হেয় করতেও বাকি রাখে না।

আপনার কাছে আবারো একই প্রশ্ন, মৃত যাদুকরের গুপ্তবিদ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত সৃষ্টি রহস্য সংক্রান্ত কথিত জ্ঞান-বিজ্ঞান কতটুকুন গ্রহণযোগ্য আপনার নিকট? বিশেষ করে আপনি যদি ইব্রাহীম(আ:) ধর্মের অনুসারী হন, তবে?

জ্বি, বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও উপরের দৃশ্যকল্পগুলো বস্তুত আজকের সময়েরই রূপক বর্ননা! আমরা ইতোপূর্বে বিগত পর্বগুলোয় Occultist(যেমনঃফ্রিম্যাসনিস্ট,স্যাটানিস্ট,স্পিরিচুয়ালিস্ট ইত্যাদি) দের আকিদা বা বিশ্বাস এবং সেসবের অরিজিন এবং যাদুবিদ্যার কিছু জনপ্রিয় স্কুল বা ট্রেডিশন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এ বিষয়গুলো জানা এজন্যই প্রয়োজন ছিল, যাতে করে পরবর্তীতে যে বিষয়গুলো আনা হবে সেসবের সাথে সম্পর্কটা বুঝতে পারেন। আমাদের এ সময়টায় আমাদের অবস্থা এরকম যে, রূপকার্থে, আমরা মদ কোনটি আর ফলের রসের কোনটি, তা চিনতে পারছি না,পার্থক্যও করতে পারছিনা। আমরা নির্বোধের মত শেকড় সম্পর্কে কিছু না জেনেই গ্রহন করছি। নিষিদ্ধ সাব্জেক্টের মূল সম্পর্কে অনবহিত রেখেই সেসব গ্রহনের জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এজন্য নিষিদ্ধ বস্তু চেনার জ্ঞান থাকা জরুরী, যাতে করে ফলের রসের থেকে পার্থক্য করা যায় এবং অজ্ঞাতসারে নিষিদ্ধ বস্তু গ্রহনের ফাঁদ থেকে নিরাপদে থাকা যায়।




গতপর্বে আমরা দেখেছি দর্শনশাস্ত্রের ভেতরের চিত্র। আমরা দেখেছি উনবিংশ শতাব্দীপূর্ব ন্যাচারাল ফিলসফিই পরবর্তী সময়ে 'মডার্ন সায়েন্স' এর মর্যাদা লাভ করে। এজন্য আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু এমন এক মহান ব্যক্তিত্বকে ঘিরে, যিনি এই গোটা দর্শনশাস্ত্রের জনক; গনিত ও আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মহান আলোকবর্তিকা । নিউমেরলজি,সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র, এস্ট্রলজি,ডিভিনেশন, যাদুবিদ্যার শ্রেষ্ঠসাধক! তিনি আমাদের সকলের সুপরিচিত- পিথাগোরাস!

Pythagoras of Samos (570–495 BC)[Notes 1][4] was an IonianGreekphilosopher and the eponymous founder of the Pythagoreanism movement. His political and religious teachings were extremely influential in Magna Graecia and exerted a profound impact on the philosophies of Plato, Aristotle, and, through them, Western philosophy.
(উইকিপিডিয়া)



পিথাগোরাস ছিলেন প্রথম জ্ঞানের সাধক(লাভার অব উইসডোম-ফিলোসোফিয়া),সকল গ্রীক দার্শনিকদের মহাগুরু,পিথাগোরিয়ানিজমের আধ্যাত্মিক প্রবর্তক। পাশ্চাত্য ও আরব দর্শন পিথাগোরিয়ানিজম দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।

It was said that he was the first man to call himself a philosopher ("lover of wisdom")
and that he was the first to divide the globe into five climatic zones.(উইকিপিডিয়া)



মহাঋষি পিথাগোরাসের সংক্ষিপ্ত বর্ননা প্রথম দেন হেরোডোটাস। তিনি বলেছেন, যাদুকর পিথাগোরাস তার অনুসারী শিষ্যদেরকে অমরত্ব সিদ্ধির শিক্ষা দিতেন।

The first concise early description of Pythagoras comes from the historian Herodotus of Halicarnassus (c. 484–c. 420 BC),[18] who describes Pythagoras as "not the most insignificant" of Greek sages[19] and states that Pythagoras taught his followers how to attain immortality.[18]
(উইকিপিডিয়া)

অতএব, খুব ভাল করেই দেখছেন, তার দর্শন কিছুটা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম(হিন্দু-বৌদ্ধ-বৈষ্ণব) এর সাথে মিলে যায়। কেমন যেন একই ওয়ার্ল্ডভিউ এর প্রচারকারী!
একারনে ঈসা আলাইহিসালাম এর আগমনের ৫০০ বছর আগে আসা পিথাগোরাসের জ্ঞানতত্ত্ব শুরু থেকেই আদি খ্রিষ্ট্র সমাজে গ্রহণযোগ্য হচ্ছিলো না। খ্রিষ্টানরা ৩০০CE এর পরে বিকৃত ও পথভ্রষ্ট কাফেরে পরিনত হবার পরেও ওরা এই বিষয়ে সচেতন ছিল। পিথাগোরিয়ান আকিদা ছিল যে, যেকোন মানুষ যে কোন ধর্ম থেকেই স্রষ্টার সাথে একাত্ম হতে পারে, মৃত্যু বলে কিছু নেই, পুনরুত্থান বিচার দিবস এসবও কিছু নেই(নাউজুবিল্লাহ), আছে রিইনকারনেশন বা পুনর্জন্ম।স্রষ্টার সাথে সিদ্ধিলাভকারীরা মিলে যায় ফলে অমরত্ব পায় এবং পুনর্জন্মচক্র অবসান হয়! স্রষ্টা সৃষ্টির মাঝেই বিদ্যমান বলে নিজেকে আগে জানতে হবে, নতুবা ইম্মরটালিটি সম্ভব নয়। সম্ভবত, এই দর্শন সর্বপ্রথম পিথাগোরাসই গ্রীক দর্শনে নিয়ে আসে।যা অনেক দেরীতে ৭০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে ওয়াহদাতুল উজুদ নামে ইসলামে প্রবেশ করে।






পিথাগোরাসের কুফরি দর্শন অথবা অপবিদ্যার উৎসঃ

বলা হয়,পিথাগোরাস মিশরে গিয়ে যাদুবিদ্যা শিখে আসেন। মিশরে তার একজন প্যাগান যাদুকর গুরুও ছিল। পিথাগোরাস সেখানে ব্যবিলনীয় যাদুবিদ্যার জ্ঞানের বাহক ক্যালডীয় ম্যাজাইদের সান্নিধ্যও লাভ করেন।সেখান থেকেই যাবতীয় গুপ্তজ্ঞান নিয়ে গ্রীসে ফেরেন।

According to Diogenes Laërtius, Pythagoras not only visited Egypt and learnt the Egyptian language (as reported by Antiphon in his On Men of Outstanding Merit), but also "journeyed among the Chaldaeans and Magi." Later in Crete, he went to the Cave of Ida with Epimenides, and entered Egyptian sanctuaries for the purpose to learn information concerning the secret lore of the different gods.[69]

The Middle Platonist biographer Plutarch (c. 46–120 AD) writes in his treatise On Isis and Osiris that, during his visit to Egypt, Pythagoras received instruction from the Egyptian priest Oenuphis of Heliopolis (meanwhile Solon received lectures from a Sonchis of Sais).[70] Other ancient writers also mention Pythagoras's visit to Egypt.[71]

According to the Christian theologianClement of Alexandria (c. 150–215 AD), "Pythagoras was a disciple of Soches, an Egyptian archprophet, as well as Plato of Sechnuphis of Heliopolis."

Following a similar logic, the Egyptians are said to have taught him geometry, the Phoenicians arithmetic, the Chaldeans astronomy, and the Magi the principles of religion and practical maxims for the conduct of life.[68]
(উইকিপিডিয়া)

ম্যাজাই শব্দটি দ্বারা ব্যবিলনীয় সভ্যতা পরবর্তী যাদুকরদের বলা হত। ম্যাজাই শব্দটি দ্বারা ম্যাজিক/ম্যাজিয়ান/ম্যাজেশিয়ান বোঝায়।প্রাচীন দার্শনিক, পণ্ডিত, ইতিহাসবিদ কারো মধ্যেই এ ব্যপারে সন্দেহ নেই। হয়ত, ক্যালডিয় ম্যাজাইরা বাবেল শহরের আসা যাদুশিক্ষার প্রথম বাহক ছিলেন, তাদের থেকেই ইহুদীদের মধ্যে যাদুবিদ্যা ছড়িয়ে পড়ে যাকে বর্তমানে কাব্বালা বলা হয়।এই ক্যালডিয় ম্যাজাই তথা যাদুকররা প্রথমদিকে মিশরে অবস্থান করে, পরবর্তীতে গ্রীসসহ নানা দিকে ওদের জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে। তারা ছিলেন, ভাগ্যগনক, জ্যোতিষী, ভবিষ্যদ্বক্তা। ক্যালডিয় ম্যাজিয়ানদের খ্যাতি ছিল যে, তারা শয়তান জ্বীনদের(Demonic Being) সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারতো।।
বিস্তারিত জানুনঃ
https://www.themystica.com/mystica/articles/m/magus.html

http://www.unexplainedstuff.com/Magic-and-Sorcery/Magi.html

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Magi

http://www.wisdomworld.org/additional/ListOfCollatedArticles/TheChaldeanLegend.html

কিছু ইতিহাসবিদ,পন্ডিত এও দাবি করেন যে পিথাগোরাস সরাসরি বাবেল শহর ভ্রমণে যান,অতঃপর সেখানকার ইহুদীদের থেকে গভীর জ্ঞান নিয়ে ফেরেন। যেমনটা Hermippus পিথাগোরাস এর ব্যপারে বলতেন, "imitation of the doctrines of the Jews and the Thracians, which he transferred to his own philosophy."

Josephus বলেন, "For it is truly affirmed of Pythagoras that he took a great many of the laws of the Jews into his own philosophy."
.
এরিস্টটলের শিষ্য এরিস্টোক্সাস বলেন, পিথাগোরাস তার মৌলিক জ্ঞান লাভ করেন 'পূর্বদিক'(ইরাকের বাবেল শহর) থেকে।
ব্যবিলনকে বলা হত ল্যান্ড অব ম্যাজাই। গুপ্তজ্ঞানের সন্ধানে তখনকার মানুষ 'পূর্বদিকে'(বাবেল শহর) সফর করত। হাদিসেও পূর্বাঞ্চলের ব্যাপারে সাবধান করা হয়েছে। ওই অভিশপ্ত অঞ্চলকে কুফরের জন্মস্থানও বলা হয়। ব্যবিলনে জ্যোতিষশাস্ত্রের অপবিজ্ঞান তৈরির সাথে সাথে মনিজমের কুফরি আকিদারও জন্ম হয়।


و حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَرَادَ الْخُرُوجَ إِلَى الْعِرَاقِ فَقَالَ لَهُ كَعْبُ الْأَحْبَارِ لَا تَخْرُجْ إِلَيْهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَإِنَّ بِهَا تِسْعَةَ أَعْشَارِ السِّحْرِ وَبِهَا فَسَقَةُ الْجِنِّ وَبِهَا الدَّاءُ الْعُضَالُ

মালিক (রহঃ)

উমার ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) ইরাক গমন করতে ইচ্ছা করলেন। আহবার তাঁকে বললেন, ইয়া আমীরুল মু‘মিনীন! আপনি সেই দিকে গমন করবেন না। কারণ সেই দেশে নয়-দশমাংশ যাদু আছে, সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জ্বিন আছে এবং সেখানে এক প্রকারের (মারাত্মক) রোগ আছে যার কোন চিকিৎসা (ঔষধ) নেই। (হাদীসটি ইমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করেছেন)


وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سَالِمًا، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُشِيرُ بِيَدِهِ نَحْوَ الْمَشْرِقِ وَيَقُولُ ‏"‏ هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا هَا إِنَّ الْفِتْنَةَ هَا هُنَا ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثًا ‏"‏ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنَا الشَّيْطَانِ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু ‘উমার (রাযিঃ)

তিনি বলেন, পূর্বদিকে ইশারা করে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি একথা বলতে শুনেছি যে, সাবধান! ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে, সাবধান ফিত্‌নাহ্‌ এদিক থেকে-এভাবে তিনবার উল্লেখ করে তিনি বললেন, যেদিক থেকে শাইতানের দুই শিং উদিত হবে। অর্থাৎ পূর্বদিক হতে।(ই.ফা. ৭০৩২, ই. সে. ৭০৮৯)

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭১৮৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


সুলায়মান ইবনু দাউদ ................. আবূ সালেহ্ আল-গিফারী (রহঃ) হতে বর্ণিত। একদা . আলী (রাঃ) বাবেল শহরে যান। তিনি সেখানে সফর করার সময় মুআয্যিন এসে আসরের নামাযের আযান দেয়ার অনুমতি চায়। তিনি ঐ শহর ত্যাগ করে বাইরে এসে মুয়াজ্জ্বীনকে- ইকামতের নির্দেশ দিলে সে ইকামত দেয়। অতঃপর নামায শেষে তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে কবরস্থানে নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাবেল শহরেও নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। কেননা ঐটা অতিশপ্ত স্হান।



এজন্যই,আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ (৩৪৯৯, ৪৩৮৮, ৪৩৮৯, ৪৩৯০) (মুসলিম ১/২১ হাঃ ৫২, আহমাদ ৯৪১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


......রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "তামীমদারীর বর্ণনাটি আমাকে বিমোহিত করেছে। যেহেতু তা সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার ঐ বর্ণনার, যা আমি তোমাদেরকে দাজ্জাল, মাদীনা ও মক্কা সম্পর্কে ইতিপূর্বে বলেছি। তিনি আরো বললেন, সিরিয়া সাগরে অথবা ইয়ামান সাগরে বরং পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে। এসময় তিনি তার হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারাও করলেন। বর্ণনাকারী ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, এ হাদীস আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুখস্থ করেছি।"(সহীহ মুসলিম)



সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে,জনাব পিথাগোরাস প্রাচীন ব্যবিলন ও মিশর গিয়ে মিশরীয় ও ব্যবিলনীয়ান যাদুকরদের (ম্যাজাইদের) কাছে থেকে এস্ট্রোলজি,স্যাক্রিড জিওমেট্রি, occultism প্রভৃতি বিচিত্র অপবিদ্যা অর্জন করেন।
সেখান থেকেই সিক্রেট টিচিং বহন করে আনেন।
সুতরাং তার অর্জিত জ্ঞান কতটা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য?....সেটার বিবেচনা সম্মানিত পাঠকদের উপরেই থাক...!



এজন্য অনেকে তার(পিথাগোরাসের) টিচিং এর সাথে ইজিপশিয়ান প্যাগানিজমের সাদৃশ্যতা পায়।তাছাড়া ওর্ফিক রহস্যবাদ ও গ্রীক পৌত্তলিকতার সাথেও তার শিক্ষার সাদৃশ্যতা বিদ্যমান।

Some say his training was almost entirely Greek, others exclusively Egyptian and Oriental [উইকিপিডিয়া]

Ancient authorities furthermore note the similarities between the religious and ascetic peculiarities of Pythagoras with the Orphic or Cretan mysteries,[66] or the Delphic oracle.
(উইকিপিডিয়া)





পিথাগোরাসের যাদুবিদ্যাঃ

আপনারা জানেন, বিজ্ঞান, দর্শন ও গনিতবিদ মহান পিথাগোরাস মিশর থেকে যাদুশিক্ষা অর্জন করেন, এবং সেই প্যাগান মতাদর্শ প্রচার করতে থাকেন। কুফফার নিয়ন্ত্রিত মেইনস্ট্রিম তথ্যকোষও তার ম্যাজিক্যাল এবিলিটির কথা এটা চেপে রাখে নি। এই দাবি এরিস্টটল থেকেও এসেছেঃ

Magical powers were also attributed to the famous mathematician and philosopher Pythagoras (c. 570 – 495 BCE), as recorded in the days of Aristotle.[20][21]

Some of the magical acts attributed to him include:

Being seen at the same hour in two cities.A white eagle permitting him to stroke it.A river greeting him with the words "Hail, Pythagoras!"Predicting that a dead man would be found on a ship entering a harbor.Predicting the appearance of a white bear and declaring it was dead before the messenger reached him bearing the news.Biting a poisonous snake to death (or in some versions driving a snake out from a village).[notes 2] These stories also hint at Pythagoras being one of these "divine man" figures, theios aner, his ability to control animals and to transcend space and time showing he has been touched by the gods.

Aristotle described Pythagoras as a wonder-worker and somewhat of a supernatural figure.[136] In a fragment, Aristotle writes that Pythagoras had a golden thigh,[136] which he publicly exhibited at the Olympic Games[136][137] and showed to Abaris the Hyperborean as proof of his identity as the "Hyperborean Apollo".

Supposedly, the priest of Apollo gave Pythagoras a magic arrow,[139] which he used to fly over long distances and perform ritual purifications.[139] He was once seen at both Metapontum and Croton at the same time.[140][23][137] When Pythagoras crossed the river Casas, "several witnesses" reported that they heard it greet him by name.[137] In Roman times, a legend claimed that Pythagoras was the son of Apollo.

Pythagoras was said to have had extraordinary success in dealing with animals.[23][145][137] A fragment from Aristotle records that, when a deadly snake bit Pythagoras, he bit it back and it died.[139][137]Both Porphyry and Iamblichus report that Pythagoras once persuaded a bull not to eat beans[23][145] and that he once convinced a notoriously destructive bear to swear that it would never harm a living thing again, and that the bear kept its word.
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

বিস্তারিত: https/en.m.wikipedia.org/wiki/Magic_in_the_Graeco-Roman_world

পিথাগোরাসের জ্ঞানের উৎসই ছিল কিছু ইজিপশিয়ান যাদুকরের মিস্টিক্যাল টিচিং। অতএব, এর ধারক পিথাগোরাস স্বভাবতই যাদুকর হবেন, এটাই স্বাভাবিক। আশ্চর্যান্বিত হবার কিছু নেই!

পিথাগোরাস সারাবিশ্বের অকাল্ট নলেজের সিনথেসিজে 'ফিলোসফি'র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাবেল শহরের নাম্বারিং সিস্টেমকে সেক্রিড সাইন্সে রূপান্তর করেন। আর অনেক পরে, এরিস্টটল তার সকল শিক্ষাকে 'ন্যাচারাল ফিলোসফি' বা সাইন্স হিসেবে স্ট্যাবলিশ করেন। দেখুনঃ.
মূলউৎসঃ'হিস্টরি অব ম্যাজিক- ডকুমেন্টারি'। শুরুতেই পিথাগোরাসঃ Pythagoras scret teaching all age
https://m.youtube.com/watch?v=RwxZ21qRdMg







পিথাগোরাসের বিশ্বাস/জ্ঞানের স্বরূপ ও প্রদত্ত শিক্ষাঃ
এই মহানসাধক ক্রোটনে তার গোপন আস্তানা তৈরি করেন। আর তিনি সেখানে সাধু-স্যন্ন্যাসীদের মত জীবন যাপন করতেন। তার কিছু শিষ্য ছিল যারা তার কাছে গোপনে আসতো গুপ্তজ্ঞান লাভের জন্য।

in around 530 BC, he travelled to Croton, where he founded a school in which initiates were sworn to secrecy and lived a communal, ascetic lifestyle. (উইকিপিডিয়া)



তিনি থাকতেন গুহায়, এবং সেখানেই যাবতীয় সাধনা চালাতেন।

Pythagoras himself dwelled in a secret cave,[31][34] where he studied in private.[31][34]
(উইকিপিডিয়া)



ক্রোটনে তিনি ইজিপশিয়ান ও ব্যবিলনিয়ান অকাল্টিজমের উপরে ভিত্তি করে নিজস্ব যে দার্শনিক স্কুল অব থটের প্রতিষ্ঠা করেন তা আজ পিথাগোরিয়ানিজম নামে পরিচিত।তার সাগরেদদেরকে বলা হত ম্যাথম্যাটিকয়। যেখানে সাগরেদগন অত্যন্ত কঠোর নীতিনিয়ম ভরা জীবন যাপন করতেন।

At Croton, he founded the philosophical school of Pythagoreanism,[26]whose practitioners adhered to a strict, disciplined way of life.
(উইকিপিডিয়া)

The organization Pythagoras founded at Croton was called a "school",[152][153] but, in many ways, resembled a monastery.[154] The adherents were bound by a vow to Pythagoras and each other, for the purpose of pursuing the religious and ascetic observances, and of studying his religious and philosophical theories.[155] The members of the sect shared all their possessions in common[156] and were devoted to each other to the exclusion of outsiders.[157][158] One Pythagorean maxim was "koinà tà phílōn" ("All things in common among friends").[156] Both Iamblichus and Porphyry provide detailed accounts of the organization of the school, although the primary interest of both writers is not historical accuracy, but rather to present Pythagoras as a divine figure, sent by the gods to benefit humankind.[159] Iamblichus, in particular, presents the "Pythagorean Way of Life" as a pagan alternative to the Christian monastic communities of his own time.
(উইকিপিডিয়া)




পিথাগোরাসের সন্ন্যাস আশ্রমে তার শিষ্য-সাগরেদদেরকে কঠিন পণ করতে হত গুরু পিথাগোরাসের নিকট যে, তারা কেউই বাহিরের লোকেদের কাছে যেসকল আর্ট এন্ড সিম্বলিজমের শিক্ষা প্রকাশ করবেনা। কেউ অমান্য করলে তাকে বহিষ্কার করা হতো এবং কাল্পনিকভাবে মৃত হিসেবে ধরে বহিষ্কৃতের সমাধিস্তম্ভ নির্মান করা হতো। গুরু পিথাগোরাসের শিষ্যত্ব লাভের জন্য ৫ বছর নিশ্চুপ থাকতে হতো!!!!
এর পরে আরো পাচ বছর শিক্ষার পরে প্রকৃতির সবচেয়ে গুপ্তরহস্য সংক্রান্ত জ্ঞানলাভের জন্য শিষ্যরা প্রস্তুত হতো।

Pythagorean teachings were known as "symbols" (symbolon)[48] and members took a vow of silence that they would not reveal these symbols to non-members.[160][48][149]Those who did not obey the laws of the community were expelled[161] and the remaining members would erect tombstones for them as though they had died.[161] New initiates were allegedly not permitted to meet Pythagoras until after they had completed a five-year initiation period,[34] during which they were required to remain silent.[34]




পিথাগোরাস পূর্বাঞ্চলের পৌত্তলিক প্যাগানদের মত বিশ্বাস করতেন সঙ্গীত আত্মাকে শুদ্ধ করে। তিনি বিশ্বাস করতেন সঙ্গীতের মধ্যে গাণিতিক ও জ্যামিতিক তাৎপর্য নিহিত আছে।

The Pythagoreans believed that music was a purification for the soul, just as medicine was a purification for the body.[9]




ভারতীয় আধ্যাত্মিক সাধকরা যৌনতাকে দৈহিক ক্ষয় বা দুর্বল হবার পথ বলে মনে করে। পিথাগোরাসও ব্যতিক্রম ছিলেন নাঃ

Diogenes Laërtius states that Pythagoras "did not indulge in the pleasures of love"[50] and that he cautioned others to only have sex "whenever you are willing to be weaker than yourself".[51



মহাগুরু পিথাগোরাস তার দেয়া অন্যান্য সকল শিক্ষার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন 'পুনঃজন্মবাদে'! রিইনকারনেশন(ট্রান্সমাইগ্রেশন অব সোল) বা পুনঃজন্মবাদকে তিনি মেটেমসাইকোসিস বলতেন। জ্বি, কুফরের কেন্দ্রবিন্দু পূর্বাঞ্চলের হিন্দু-বৌদ্ধদের মতই।

The teaching most securely identified with Pythagoras is metempsychosis, or the "transmigration of souls", which holds that every soul is immortal and that, upon death, enters into a new body. He may have also devised the doctrine of musica universalis, which holds that the planets move according to mathematicalequations and thus resonate to produce an inaudible symphony of music. (উইকিপিডিয়া)

One of Pythagoras's main doctrines appears to have been metempsychosis,[78][79][35][80] the belief that all souls are immortal and that, after death, a soul is transferred into a new body.[78] This teaching is referenced by Xenophanes, Ion of Chios, and Herodotus.
(উইকিপিডিয়া)

অর্থাৎ, পিথাগোরাস এর মূল শিক্ষাই ছিল পুনঃজন্মবাদকেন্দ্রিক যা আসমানি কিতাবিধারী সকলের আকিদা-'পুনরুত্থান দিবস' এর সম্পূর্ণ বিপরীত।


পিথাগোরাস Reincarnation নিয়ে এতটাই indulged ছিলেন যে,তিনি তার পূর্বের জীবনের ঘটনাও নাকি স্মরণ করতে পারতেন!

Empedocles alludes in one of his poems that Pythagoras may have claimed to possess the ability to recall his former incarnations.


তিনি নাকি 'পিথাগোরাস' হবার পূর্বে আরো চারবার জন্মেছিলেন। আর সেসব জীবনের ঘটনাও তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্মরন করতে পারতেন! প্রথম জীবন ছিল হার্মিসের পুত্ররূপে, পরের জীবনে ছিলেন Euphorbus, এরপরে Hermotimus, এবং Pyrrhus!!

"Diogenes Laërtius reports an account from Heraclides Ponticus that Pythagoras told people that he had lived four previous lives that he could remember in detail.[83][84][85] The first of these lives was as Aethalides the son of Hermes, who granted him the ability to remember all his past incarnations.[86] Next, he was incarnated as Euphorbus, a minor hero from the Trojan War briefly mentioned in the Iliad.[87] He then became the philosopher Hermotimus,[88] who recognized the shield of Euphorbus in the temple of Apollo.[88] His final incarnation was as Pyrrhus, a fisherman from Delos.[88] One of his past lives, as reported by Dicaearchus, was as a beautiful courtesan.[89][79]
"[উইকিপিডিয়া]


তিনি টিপিক্যাল ভারতীয় পৌত্তলিক সাধুদের ন্যায় নিরামিষভোজী ছিলেন।কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সিম খেতে বারণ করতেন!

He probably prohibited his followers from eating beans(Wikipedia)

অনেকের ধারনা তিনি মেটেমসাইকোসিস বা পুনর্জন্মবাদের বিশ্বাসের জন্যই নিরামিষভোজী ছিলেন।

Some ancient writers present Pythagoras as enforcing a strict vegetarian diet,[Notes 5][149][168] which may have been motivated due to the doctrine of metempsychosis.[169][149][168]
(উইকিপিডিয়া)



পিথাগোরাসকে নিউমেরোলজি ও মিউজিক্যাল শিক্ষার উন্নয়নের জনক হিসেবে ধরা হয়। তাছাড়া তাকে এখনো পিথাগোরিয়ান থিওরাম,পিথাগোরিয়ান টিউনিং, প্রাচীন ফিজিক্স বা যাদুবিদ্যায় ব্যবহৃত পাচটি সলিড বা ক্লাসিকাল ইলিমেন্ট এবং পৃথিবীর গোলাকৃতি(spherical Earth) তত্ত্বের প্রথম আবিষ্কারকর্তা হিসেবে স্মরণ করা হয়। তাছাড়া তিনি গোটা পৃথিবীকে পাঁচটি ক্লাইমেটিক জোনে বিভক্ত করেছিলেন।

Scholars debate whether Pythagoras himself developed the numerological and musical teachings attributed to him.
In antiquity, Pythagoras was credited with many mathematical and scientific discoveries, including the Pythagorean theorem, Pythagorean tuning, the five regular solids, the Theory of Proportions, the sphericity of the Earth, and the identity of the morning and evening stars as the planet Venus.
(উইকিপিডিয়া)



সঙ্গীত ও সংখ্যাজ্যোতীষ তত্ত্বের সাক্ষ্য আরোপ করেন পিথাগোরিয়ান স্কুল অব থটের দার্শনিক Philolaus। পিথাগোরাস বিশ্বাস করতেন সংগীত বা মিউজিকে অসাধারণ নিউম্যারিক্যাল প্যাটার্ন রয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে তিনি বাদ্যযন্ত্রের প্রভূত উন্নতি সাধন করেন।

The writings attributed to the Pythagorean philosopher Philolaus of Croton, who lived in the late fifth century BC, are the earliest texts to describe the numerological and musical theories that were later ascribed to Pythagoras.



সংখ্যাতত্ত্ব(numerology) বা সংখ্যাজ্যোতিষ হলো মহাঋষি পিথাগোরাসের আরেকটি মতবাদ। তিনি বলতেন মহাবিশ্বের সকল বস্তুই সংখ্যা বা নাম্বারের কম্পোজিশন। প্রত্যেকটি বস্তুই সংখ্যা। অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা দর্শনের সাথে পরিচয়পর্বে আমরা পূর্বেই ' নিউমেরিক্যাল সিমুলেটেড ম্যাট্রিক্স রিয়েলিটি' সম্পর্কে উল্লেখ করেছি।

According to Aristotle, the Pythagoreans used mathematics for solely mystical reasons, devoid of practical application.[98] They believed that all things were made of numbers.[99][100]


পিথাগোরাস নিউমেরোলজির সাধক ছিলেন। নিউমেরোলজি কিছুটা জ্যোতিষশাস্ত্র ধরনের। একেক সংখ্যায় একেক significance আরোপ করা হয়।

The number one (the monad) represented the origin of all things[101] and the number two (the dyad) represented matter.[101]
(Wikipedia)

The number three was an "ideal number" because it had a beginning, middle, and end[102] and was the smallest number of points that could be used to define a plane triangle, which they revered as a symbol of the god Apollo.[102]
The number four signified the four seasons and the four elements(পানি,বায়ু,আগুন,পৃথিবী).



পিথাগোরাস সংখ্যা ও ম্যাথমেটিক্যাল ক্যালকুলেশনকে সকল অদেখা বা অপর্যবেক্ষনযোগ্য জিনিসের উপর আরোপ করতেন। বলতেন আকাশস্থিত সকল গ্রহ-নক্ষত্ররাজিদেরকে ম্যাথমেটিক্যাল ইকুয়েশন মেইনন্টেইন করে আবর্তনের কথা বলতেন।

Another belief attributed to Pythagoras was that of the "harmony of the spheres",[90] which maintained that the planets and stars move according to mathematical equations, which correspond to musical notes and thus produce an inaudible symphony.[90] According to Porphyry, Pythagoras taught that the seven Muses were actually the seven planets singing together.[91] In his philosophical dialogue Protrepticus, Aristotle has his literary double say:
'When Pythagoras was asked [why humans exist], he said, "to observe the heavens," and he used to claim that he himself was an observer of nature, and it was for the sake of this that he had passed over into life

“The so-called Pythagoreans, who were the first to take up mathematics, not only advanced this subject, but saturated with it, they fancied that the principles of mathematics were the principles of all things.”— Aristotle, Metaphysics 1–5, c. 350 BC
[উইকিপিডিয়া]





পিথাগোরাস শুধু যাদুকরই ছিলেন না, তিনি ভবিষ্যদ্বক্তাও ছিলেন।
Pythagoras was said to have practised divination and prophecy.[93]

মুসলিম ভাইবোনেরা ভাল করেই জানেন কিভাবে একজন ভবিষ্যদ্বক্তা ভবিষ্যদ্বাণী করে। :)



ইল্যুমিনাতির পিরামিড সিম্বলের তাৎপর্যটাও পিথাগোরিয়ানরা জানে। কারন ওটা গুরু পিথাগোরাস এরই আবিষ্কার। এর সিগ্নিফিকেন্স একদমই গোপন। Iamblichus কি বলেছেন পড়ুনঃ

Pythagoras was credited with devising the tetractys, the triangular figure of four rows which add up to the perfect number, ten.[95]The Pythagoreans regarded the tetractys as a symbol of utmost mystical importance.[95][96]Iamblichus, in his Life of Pythagoras, states that the tetractys was "so admirable, and so divinised by those who understood [it]," that Pythagoras's students would swear oaths by it.[108][73][96]
(উইকিপিডিয়া)

দেখুনঃhttp://illuminati.site/illuminati-pythagorean-tetractys/amp/



পিথাগোরিয়ান থিওরাম যদিও বাবেল শহরে আর কুফরের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে[পূর্বামঞ্চলে] ব্যবহার হত, হয়ত সেটা গ্রীসে সর্বপ্রথম পৌছেছেন এই মহান-গনিত সম্রাট পিথাগোরাস।

Many mathematical and scientific discoveries were attributed to Pythagoras, including his famous theorem,[114] The Pythagorean theorem was known and used by the Babylonians and Indians centuries before Pythagoras,[122][120][123][124]but it is possible that he may have been the first one to introduce it to the Greeks.
(উইকিপিডিয়া)



বলা হয় এই জ্ঞানপ্রেমী সাধুই প্রথম ৫ রেগুলার সলিড/ক্লাসিকাল ইলিমেন্টস এর কথক!

Pythagoras's biographers state that he also was the first to identify the five regular solids[97] and that he was the first to discover the Theory of Proportions.[97]
(উইকিপিডিয়া)

সেসব রেগুলার সলিডগুলো হচ্ছেঃ পানি,আগুন, পৃথিবী, বায়ু,প্রান/ইথার/আকাশ। এগুলোর তাৎপর্য যাদুকররা জানে। এটা ছাড়া যাদুবিদ্যার বেশ কিছু শাখা একদম অচল! দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=sG1gtgA7OVQ



যাদুকর পিথাগোরাসের সবচেয়ে ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ও যুগান্তকারী মতবাদ হচ্ছে "পৃথিবীর আকার- গোল বা স্ফেরিক্যাল"। পাশ্চাত্ত্যে পিথাগোরাসের এই থিওরি বা বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে সকল বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড়িয়ে আছে। এটাই গোটা বিশ্বকে পালটে দেয়। স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেল পরবর্তীতে হেলিওসেন্ট্রিক মডেল,বিগ ব্যাঙ,আউটার স্পেস,বাসযোগ্য গ্রহ,এলিয়েন তত্ত্বসহ হাজারো থিওরি,মতবাদের জন্ম দেয়।

In ancient times, Pythagoras and his contemporary Parmenides of Elea were both credited with having been the first to teach that the Earth was spherical,[130] the first to divide the globe into five climactic zones,[130]and the first to identify the morning star and the evening star as the same celestial object.[131](উইকিপিডিয়া)

একজন পৌত্তলিক যাদুকরের(পিথাগোরাসের) অন্যান্য মনগড়া বিশ্বাসগুলোর একটি হচ্ছে 'পৃথিবী গোলাকৃতি' যা আজকের মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনমিতে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি মতবাদ। তার শিক্ষাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল 'পুনর্জন্মবাদ'(!); বস্তুত এটা যতখানি সত্য ততখানি সত্য 'পৃথিবী গোলাকার'!

৩৩ ডিগ্রি মাস্টার ফ্রিম্যাসন এলবার্ট পাঈক বলেনঃ
"Pythagoras refused the title of sage, which means one who knows. He invented, and applied to himself that of philosopher, signifying one who is fond of or studies things secret and occult. The astronomy which he taught, was astrology: his science of numbers was based on Kabbalistic principles. Everything is veiled in numbers."
-Albert pike, (33rd degree Freemason)
-Morals and dogma

একজন শয়তানের পূজারি(ফ্রিম্যাসন) আরেক শয়তানের অনুসারী যাদুকরের(পিথাগোরাস) ব্যপারে উত্তম রূপেই জানে।পিথাগোরাসের শিখানো এস্ট্রোনমি(পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল) আসলে এস্ট্রলজি! আর তার সংখ্যাকেন্দ্রিক বিজ্ঞান, মূলত যাদুবিদ্যা কাব্বালারই নীতি!
অতএব, যারা পিথাগোরাসকে ঘৃনা করবে কিন্তু তার শিক্ষাকে ঘৃনা না করে আগলে রাখবে, তারা কোন বিদ্যাকে আগলে রাখছে?.... প্রশ্ন থাকলো!

পিথাগোরাসের ৫০০ বছর পরে ঈসা(আ) এর আগমন ঘটে, তার অনুসারীরা ট্রেডিশনাললি যাদুকর/গুহ্যবাদী/জ্যোতিষীদের উপর চড়াও ছিল। তখন থেকেই পিথাগোরাসের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া অনুসারীরা গা ঢাকা দিয়ে সেসব চর্চা করতো। ওরাও ট্রেডিশনাল মিস্টিকদের ন্যায় 'পুনরুত্থান দিবসকে' অস্বীকার করে বলতো 'পুনর্জন্মবাদ' সত্য, যেমনি পিথাগোরাসের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এটা। তেমনিভাবে সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির এক অস্তিত্বের আকিদা প্রচার করত। ওরা বলতো,যে কেউ যেকোন ধর্মে থেকেই সৃষ্টিকর্তার সাথে একাকার হতে পারে(বি ওয়ান উইথ গড-ফানাফিল্লাহ)।তাছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র ও যাদু চর্চার জন্য এদেরকে প্যাগান হেরেটিক বলা হত। ওদের কোন আকিদাকেই গ্রহন করা হত না। যখন ত্রিনীতি তৈরি করে তাওহীদ থেকে বেরিয়ে নাসারারা কাফের হয়ে গেল,এর অনেক পরেও যাদুকরদের প্রতি কঠোরতা বিদ্যমান ছিল। গ্রীক সাহিত্যিক ও দার্শনিক পরফিরি ও আইয়ামব্লিকাস প্যাগানদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের জন্য খ্রিষ্টান ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যাপক লেখালেখি চালান। ইসলামিক শক্তির উত্থানের অনেক পরে ষোড়শ শতকে ক্ষমতাসীন খ্রিষ্টানরা আগের নীতি থেকে একেবারে পরিবর্তিত হয়ে যায় ওরা হঠাৎ প্যাগান স্ফেরিক্যাল আর্থকে প্রচারে নামে এবং অন্যান্য পিথাগোরাসের মতবাদকেও বিজ্ঞানের মর্যাদা দান করে। জ্যোতিষবিদ্যা, যাদুবিদ্যাকেও প্রমোটিং শুরু করে। ওরা ছিল ক্যাথলিক খ্রিষ্টান(জেসুইত)।







আরবে পিথাগোরাসের দর্শন ও কথিত গিথাগোরিয়ান বিজ্ঞানের প্রবেশঃ

ইসলামিক সভ্যতার জাগরণের শুরুর কিছু পরেই (৭০০ খ্রিষ্টাব্দে) পিথাগোরিয়ান গ্রীক জ্ঞান ভান্ডার আরবে পৌছায়। আলকেমিস্ট ও জ্যোতিষী জাবির ইবনে হাইয়্যান সাহেব বিপুল সংখ্যক কিতাবকে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন। তৎকালীন খলিফাও (হয়ত কৌতূহল বশত) এসব কাজে সহনশীল ও সাহায্যপরায়ণ ছিলেন।৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ভারতীয় এস্ট্রোনমির গ্রন্থ গুলো ফার্সী ভাষা থেকে আরবি ভাষায় অনুবাদ হয়, এটা খুব সাড়া না জাগালেও ৮০০ খ্রিষ্টাব্দে চলে আসে জ্যোতিষী টলেমীর Almagest কিতাব। অনুবাদ হবার পরেই আরব এস্ট্রোনমিক্যাল প্রাক্টিসে বিপ্লব ঘটে। গ্রীক- ভারতীয় দর্শন আরবে প্রবেশের পূর্বে 'পৃথিবীর আকৃতি কিরূপ' সে ব্যপারে কোন প্রশ্ন ওঠে নি। যেহেতু পিথাগোরাসের থেকেই স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেলের ধারনা গ্রীক জ্ঞানবিজ্ঞানে প্রবেশ করে, এটা আরবে আবির্ভাবের পরে স্ফেরিক্যাল আর্থ মডেলের ধারনা আরবে চলে আসে। প্রথমদিকে গ্রীক কুফরি জ্ঞান ও দর্শনের বিরুদ্ধে চরম বিরোধীতা করেন আলেমসমাজের কনজারভেটিভ অংশ। মুতাজিলারা গ্রীকদর্শনের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করেন।শিয়াদের মধ্যেই এর অনুসারীদের বেশি পাওয়া যায়। এর পরে কয়েক শতক অতিবাহিত হলে কিছু প্রজন্ম চলে গেলে পৃথিবীর আকৃতির ব্যপারে দুই ধরনের মতামত তৈরি হয়।তখন আরব থেকে স্ফেরিক্যাল মডেলের আইডিয়ার গ্রীক অরিজিনকে ভুলে যাওয়া হয়। কনফিউশনটা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। অধিকাংশ আলেম উলামাগন এ বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে
যান। যখন একদল আলেমরা গোল পৃথিবীর পক্ষে থেকে কুরআন দ্বারা সত্যায়নের যুক্তিকেন্দ্রিক চেষ্টা চালান,হয়ত তারাও এই স্ফেরিক্যাল ধারনা বা বিশ্বাসের অরিজিনকে সজ্ঞানে ভেবে এর পক্ষপাতিত্ব করতেন না। খুব সম্ভবত তারাও আজকের কিছু আলেমদের ন্যায় তাদের কন্টেম্পরারী 'সাইন্সের' দিকে তাকিয়ে এর স্ট্যান্ডার্ডে কুরআন সুন্নাহর বিশুদ্ধতা প্রমানে তেমনটি করেছেন।আর সেই নিরপেক্ষ উলামাগন দ্বিমত করেন নি, হয়ত ফিতনার আশংকায়। কারন, সেসময়ে জ্যোতিষী, আলকেমিস্টদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় সাথে তাদের কনফিডেন্স,এদের অনেকে আল্লাহর অস্তিত্বেও সন্দেহ করেও কথা বলত। পরবর্তিতে একদল স্বল্প সংখ্যক আলেম অনেক দেরীতে দুনিয়াতে এসেও প্রিমিটিভ আসমান-জমিনের কন্সেপ্টকে সমর্থন করেন। তারা এ ব্যপারে আনএপোলোজেটিক। এমনকি তারা কুরআন সুন্নাহর দলিল তুলে ভূতাত্ত্বিক/এস্ট্রোনমারদের গোলবাদের চিন্তাকে রিফিউট করতেন। তবে মেজরিটি অশিক্ষিত জনসাধারণ অনেক দেরীতেও ট্রেডিশনাল প্রিমিটিভ কস্মোলজি থেকে বের হতে আসতে পারে নি। যার জন্য গ্লোবিউলার মডেলের সপক্ষে প্রাচীন স্কলারদের মধ্যে সাড়া ফেলানো ইমাম ইবনে হাজম(1063 CE) বলেন, "They say: the evidences are true that the Earth is spherical, but public (normal people) say other than that. Our answer, and by Allah we reach success, is: Indeed, someone among imams of Muslims who deserve the name "imam" by knowledge (may Allah be pleased with them) NEVER denied the sphere-ness of the Earth, and it is not recorded in rejecting that for one of them a single word. Nay, the proofs from the Quran and Sunnah is about its sphere-ness."

অর্থাৎ,তার সময় পর্যন্ত, পূর্ববতী ২০০ বছরের আলেম উলামাদের নিরপেক্ষতার কথা বলেছেন যারা বিরুদ্ধে বলেন নি। কিন্তু তার সময়ের সাধারন মানুষ তখনও উলটো বলত। এজন্য বলেছেন, 'but public (normal people) say other than that.'!

মজার বিষয় হলো, ইমাম ইবনে হাজমের প্রায় চার-পাঁচশো বছর পরে এসেও কিছু আলেম সুস্পষ্টভাবে প্রিমিটিভ জিওস্টেশনারী কস্মোলজির কথা বলেছেন। তাদের অধিকাংশই বাঘা বাঘা মুফাসসীরিন! একটা বিষয় হলো ইসলামের ইতিহাসের শুরুর দিকের এরকম আইডিওলজিক্যাল ডিস্টর্শনের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট দলিল পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে। মধ্যযুগীয় কিছু আলেমদের কল্যানে খানিকটা পাওয়া যায়। সেটাও আজকের বিজ্ঞানপ্রেমী মুসলিম ও উলামাগন কেমন যেন ঢেকে রাখেন। যেমন একটি হাদিস উল্লেখ করিঃ
Ibn Abi Hatim recorded that Ibn ’Abbas said, “The sun is like flowing water, running in its course in the sky during the day. When it sets, it travels in its course beneath the earth until it rises in the east.” He said, “The same is true in the case of the moon.” Its chain of narration is Sahih.
[Tafsir ibn Kathir for 31:29]

দেখুনঃ
http://www.qtafsir.com/index.php?option=com_content&task=view&id=1784

ইবনে কাসীর(রঃ) এই হাদিসের চেইনকে সহীহ বলেছেন,কিন্তু 'বিশেষ কারনে' এটা চেপে রাখা হয়েছে। যেহেতু হাদিসটি মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের সম্পূর্ন বিপরীতে চলে যায়, তাই এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে একদল মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানপ্রিয় আলেমগন মানতে না পেরে কি বলেছেন পড়ুন(হাসি চেপে রাখুন) - http://www.islamweb.net/emainpage/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=336679

এরকম আরো অজস্র দলিল প্রমান আছে, এবং সর্বোপরি রহমানের সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ।
আজও আরবের মধ্যেই মৌলবাদী মুসলিমদের একটা বিরাট অংশ প্রিমিটিভ কস্মোলজিকেই সত্য বলে মানেন। আর মুসলিমদের মধ্যে এই মতাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আরবই।

সামনে এসব নিয়ে আরো আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।। একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে জানানো প্রয়োজন যে, কোন মুসলিম ভাইবোনকে আমরা কাফেরদের কুফর কেন্দ্রিক এস্ট্রোনমি বা তেমনি বিজ্ঞানের অন্য কোন অস্পষ্ট বা সুস্পষ্ট কুফরকে বিশ্বাসের জন্য গনহারে পথভ্রষ্ট কিংবা তাকফির করি না। যদিও, শতাব্দী শ্রেষ্ঠ উলামাদের একজন শায়খ বিন বাজ(রহঃ) সুস্পষ্টভাবে হেলিওসেন্ট্রিজমকে জেনেবুঝে বিশ্বাসীদেরকে তাকফির করেছেন!
কিছু ফতওয়া অবশ্য শোনা যায় তিনি চাপে পড়ে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে সৌদির রাজপুত্রের কথিত স্পেসে ভ্রমনের পরে!








যাদুকর পিথাগোরাসের আদর্শে যারা বা যে সংগঠন গুলো প্রভাবিত ও পরিচালিত হয়েছেঃ

Philolaus,Alcmaeon,Parmenides,Plato,Archytas,Euclid,Empedocles,Hippasus,Eudorus of Alexandria,Philo, Apollonius of Tyana,Moderatus of Gades,Nicomachus,Numenius of Apamea,Plotinus,Dante Alighieri,Nicolaus Copernicus,Johannes Kepler, Isaac Newton,Robert Fludd, John Dee,Henry, David Thoreau প্রমুখ।

মহান যাদুকর পিথাগোরাসের আদর্শে প্রভাবিত ও পরিচালিত সংগঠনঃ Rosicrucianism, Freemasonry এবং Illuminat! [সূত্রঃউইকিপিডিয়া]




এরিস্টটলের মতে প্লেটো চরমভাবে পিথাগোরাসের মতাদর্শের অনুসারী ছিলেন। তিনি নিজেও ছিলেন।

Aristotle states that the philosophy of Plato was heavily dependent on the teachings of the Pythagoreans.[183][184]
(উইকিপিডিয়া)




প্লেটো, প্রথম ম্যাসনিক গুরু পিথাগোরাসের থেকে গনিত,চিন্তা-দর্শন, নীতি নৈতিকতা গ্রহন করেন। ব্যবিলনিয়ান অপশিক্ষাকে জ্ঞানরূপে প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারনে তিনিও ম্যাসনিক কমিউনিটিতে যথেষ্ট সম্মানিত।

Additionally, Plato may have taken from Pythagoras the idea that mathematics and abstract thought are a secure basis for philosophy, as well as "for substantial theses in science and morals".[187]
(উইকিপিডিয়া)


Bertrand Russell বলেন, প্লেটো ও অন্যান্য দার্শনিক- বিজ্ঞানীদের উপর পিথাগোরাসের প্রভাব এত বেশি ছিল যে তাকে সকল সময়ের সবচেয়ে বড় প্রভাবক দার্শনিকরূপে গন্য করা উচিৎ। Bertrand Russell অন্য কাউকে জানেন না যিনি তার মতাদর্শ দ্বারা এত প্রভাব ফেলেছেন।

Bertrand Russell, in his A History of Western Philosophy, contends that the influence of Pythagoras on Plato and others was so great that he should be considered the most influential philosopher of all time.[188] He concludes that "I do not know of any other man who has been as influential as he was in the school of thought."[189]
(উইকিপিডিয়া)




পিথাগোরাস তার উত্তরসূরি সকল দার্শনিক, গবেষকের মনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিলেন।।প্লেটো,এরিস্টটল কেউই তার প্রভাবমুক্ত ছিলো না। তারা যে শিক্ষা ও দর্শন প্রচার করতেন তা ছিল পিথাগোরাসের শিক্ষা থেকে উৎসারিত।
Pythagoras exerted a massive influence on Plato, whose dialogues, especially his Timaeus, exhibit Pythagorean teachings. Pythagorean ideas about mathematical perfection also impacted ancient Greek art. (উইকিপিডিয়া)

Aristotle writes at length about the teachings of the Pythagoreans,[77] but without mentioning Pythagoras directly.
(উইকিপিডিয়া)


অকাল্টিস্ট পিথাগোরাস তার দর্শন,গবেষণা ও মতবাদ শুধু তার অঞ্চলের দার্শনিকদেরই প্রভাবিত করেনি, তার অঞ্চল ছাপিয়ে পশ্চিমের জ্ঞানবিজ্ঞানের ধারক বাহকদের মধ্যেও প্রভাব ফেলেছিল। মডার্ন এস্ট্রোনমির ডিজাইনার নিকোলাস কোপার্নিকাস, জোহানেস কেপলার, আইজ্যাক নিউটন সকলেই মহান যাদুকর পিথাগোরাসের মতাদর্শের অনুসারী ছিল। বিজ্ঞান তার স্ট্যান্ডার্ড মেইনন্টেইন করেই এগিয়েছিল। একই তালে কন্টেম্পরারী স্পিরিচুয়ালিস্টরাও তার শ্রদ্ধায় পিথাগোরিয়ান সিম্বলিজম বহন করত। বস্তুত, কথিত ওইসব বিজ্ঞানীরাও গুপ্তবাদী এবং ম্যাজিক-উইচক্র্যাফটের বিদ্যা বা জ্ঞানের অনুসরণ করত। এ বিষয় গুলো ক্রমান্বয়ে সামনে আসছে। ইনশাআল্লাহ।
"Pythagoras continued to be regarded as a great philosopher throughout the Middle Ages and his philosophy had a major impact on scientists such as Nicolaus Copernicus, Johannes Kepler, and Isaac Newton. Pythagorean symbolism was used throughout early modern European esotericism and his teachings as portrayed in Ovid's Metamorphoses influenced the growth of the vegetarian movement."[উইকিপিডিয়া]







ঈসা আলাইহিসালাম এর জন্মের একশত বছর আগেই দার্শনিকদের মধ্যে পিথাগোরিয়ান শিক্ষার ব্যাপক ছড়াছড়ি ছিল। আজ পর্যন্ত গ্রীসের প্রায় প্রত্যেক দার্শনিকই তার আদর্শের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

A revival of Pythagorean teachings occurred in the first century BC[190] when Middle Platonist philosophers such as Eudorus and Philo of Alexandria hailed the rise of a "new" Pythagoreanism in Alexandria.[191] At around the same time, Neopythagoreanism became prominent.[192]
(উইকিপিডিয়া)

রেনেসাঁ(14th -17th century) যুগে যখন কুফরি অপবিদ্যার এক্সপ্লোশন হয়,তখন কন্টেম্পরারী সকল দার্শনিক(বিজ্ঞানী),জ্যোতিষী, যাদুকরদের নিকট পিথাগোরাস সমাদৃত ও সম্মানিত ছিল। তাকে দেখা হত গনিত ও সঙ্গীতবিজ্ঞানের জনক।

During the Middle Ages, Pythagoras was revered as the founder of mathematics and music, two of the Seven Liberal Arts.[215][Wikipedia ]

মধ্যযুগীয় কথিত বিজ্ঞানীদের যারা বর্তমান কুফফারদের প্রিফার্ড কস্মোলজির প্রায় পুরোটার গোড়াপত্তন ঘটায়, তারা সকলেই ছিল পিথাগোরিয়ানিজমে বিশ্বাসী।

In his preface to his book On the Revolution of the Heavenly Spheres (1543), Nicolaus Copernicus cites various Pythagoreans as the most important influences on the development of his heliocentric model of the universe,[215][217](উইকিপিডিয়া)
জ্বি হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোলজির কথক নিকোলাস কোপার্নিকাসও এর স্বীকৃতি দিয়েছেন। বস্তুত হেলিওসেন্ট্রিক আউটার স্পেসযুক্ত ইউনিভার্সের মূল হচ্ছে স্ফেরিক্যাল আর্থ। যেসব প্যাগানরা স্ফেরিক্যাল বা গোলাকার পৃথিবীকে বিশ্বাস করত তারা পিথাগোরাসের শিক্ষার উপরেই ছিল। আর ওরা শুধুমাত্র হেলিওসেন্ট্রিক থিওরি দ্বারা সে মূল গোল পৃথিবীর মতবাদের ডালপালা তৈরি করেছে মাত্র।

জোহানেস কেপলার আরেকজন। :) ইনি তো সরাসরি নিজেকে পিথাগোরিয়ান বলে দাবিই করেছে। ওর কাল্পনিক প্ল্যানেটারী মোশনের আবিষ্কারও যাদুকর পিথাগোরাসের কথার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে।

Johannes Kepler considered himself to be a Pythagorean.[218][215][219] He believed in the Pythagorean doctrine of musica universalis[220] and it was his search for the mathematical equations behind this doctrine that led to his discovery of the laws of planetary motion.[220]
[Wikipedia]

পিথাগোরাসের মতবাদকে কেন্দ্র করে টাইটেল বানিয়ে বইও প্রকাশ করেছিল Kepler । শুনলে অবাক হবেন কেপলার হার্মেটিসিজমেও নিমগ্ন ছিল।

Kepler titled his book on the subject Harmonices Mundi (Harmonics of the World), after the Pythagorean teaching that had inspired him.[215][221] Near the conclusion of the book, Kepler describes himself falling asleep to the sound of the heavenly music, "warmed by having drunk a generous draught... from the cup of Pythagoras."[222]
(Wikipedia)

আপনাদের স্যর আইজ্যাক নিউটনও পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজমে বিশ্বাস করত।

Isaac Newton firmly believed in the Pythagorean teaching of the mathematical harmony and order of the universe.[223]
[Wikipedia ]

নিউটন সহজে কাউকে ক্রেডিট দিত না, সে গুরুজি পিথাগোরাসের সাথে বেয়াদবি করেননি। পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল আর্থ বা গ্লোব আর্থে গ্রাভিটি না থাকলে, সেটা একদমই অগ্রহণযোগ্য।

Though Newton was notorious for rarely giving others credit for their discoveries,[224]he attributed the discovery of the Law of Universal Gravitation to Pythagoras.[224]
(Wikipedia)

দার্শনিক আল্ফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড মতে প্লেটো পিথাগোরাস, এরিস্টটলরা মডার্ন (সুডো)বিজ্ঞানের খুব নিকটবর্তী। আর পদার্থবিদ এলবার্ট আইনস্টাইনসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বিশুদ্ধ পিথাগোরাসের মতবাদকেই অনুসরণ করছে! আসলে অবাক হবার কিছু নেই।। উনি ঠিকই বলেছেন। প্রথম পর্বেই আমরা দেখেছি এলবার্টআইনস্টাইন সাহেবের আসল চেহারা। আর বাবেল শহরের শয়তানদের প্রচারিত মতাদর্শের কথাগুলো মডার্ন ফিজিক্স/এস্ট্রোনোমিকাল সাইন্স প্যাকেটে আসায় পিথাগোরাস আর প্লেটোর উচিৎ নয় এ থেকে দূরে থাকা।

 The English philosopher Alfred North Whitehead argued that "In a sense, Plato and Pythagoras stand nearer to modern physical science than does Aristotle. The two former were mathematicians, whereas Aristotle was the son of a doctor".[226] By this measure, Whitehead declared that Einstein and other modern scientists like him are "following the pure Pythagorean tradition."[225][227]
[উইকিপিডিয়া ]


পাশ্চাত্যে প্যাগানিজম, যাদুবিদ্যা ও এসোটেরিক নলেজের (ইল্মুল লাদুনী) বৃদ্ধিতে প্রথম ম্যাসনিক টিচার হিসেবে পিথাগোরাসের বিশাল ভূমিকা ছিল। জোহানেস রুচলিন মতানুযায়ী পিথাগোরাস কাব্বালিস্টও বটে। কাব্বালা ও পিথাগোরিয়াসের আকিদাগত শিক্ষা অভিন্ন। দর্শন-বিজ্ঞানও এক। উভয় বিদ্যার উৎসও একঃ ইজিপশিয়ান ম্যাজাই→ব্যাবিলন। কাব্বালা নিয়ে আলোচনা গত হয়েছে।

Early modern European esotericism drew heavily on the teachings of Pythagoras.[215]The German humanist scholar Johannes Reuchlin (1455-1522) synthesized Pythagoreanism with Christian theology and Jewish Kabbalah,[234] arguing that Kabbalah and Pythagoreanism were both inspired by Mosaic tradition[235] and that Pythagoras was therefore a kabbalist.[235]
[উইকিপিডিয়া ]



তিন খন্ড বিশিষ্ট অকাল্ট ফিলসফি কিতাবে Heinrich পিথাগোরাসকে রিলিজিয়াস ম্যাজাই বলেন। বাহ।

Heinrich Cornelius Agrippa's popular and influential three-volume treatise De Occulta Philosophia cites Pythagoras as a "religious magi"[236] and indicates that Pythagoras's mystical numerology operates on a supercelestial level.[236]
[উইকিপিডিয়া ]



আর ফ্রিম্যাসন? ওরা তো নিজেদের অকাল্ট সোসাইটির মডেলের প্রাচীন রেফারেন্স হিসেবে ক্রোটনে পিথাগোরাসের সংগঠনকে দেখায়!!
The freemasons deliberately modeled their society on the community founded by Pythagoras at Croton.[237]
[উইকিপিডিয়া ]

পিথাগোরাসকে ফ্রিম্যাসনিস্টরা ম্যাসনিক বিদ্যার জনক হিসেবে দেখে। পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম ঠিক তাই যা ফ্রিম্যাসনিস্টরা অর্জন করে ৩৩ডিগ্রি(complete enlightenment) লাভ করে।
পিথাগোরিয়ান ফ্রিম্যাসনারির ব্যপারে বিস্তারিত দেখুনঃ http://www.freemasons-freemasonry.com/freemasonry_pythagoras.html

http://www.masonicworld.com/education/articles/pythagorean_tradition_in_fre.htm

http://www.midnightfreemasons.org/2013/06/pythagorean-views-of-divinity_6541.html?m=1

http://universalfreemasonry.org/en/history/pythagoras

http://freemasoninformation.com/masonic-education/books/the-beginning-of-masonry/pythagoras-and-freemasonry/amp/

http://www.masonicdictionary.com/pythagoras.html





ফ্রিম্যাসন এর ন্যায় আরেকটি শয়তানের আরাধনা,যাদুবিদ্যা অর্থাৎ অকাল্ট সোসাইটির নাম- রোজিক্রুশিয়ানিজম, যারা পিথাগোরাসের সিম্বলিজমকে গ্রহন করেছে।
Rosicrucianism used Pythagorean symbolism,[215] as did Robert Fludd (1574-1637),[215] who believed his own musical writings to have been inspired by Pythagoras.[215]

Wolfgang Amadeus Mozart incorporated Masonic and Pythagorean symbolism into his opera The Magic Flute.[241]
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)


বিখ্যাত জ্যোতিষী/যাদুকর জন ডি'ও পিথাগোরাসের ফ্যান ছিলেন। তিনি ম্যাট্রিক্স মুভির ন্যায় পিথাগোরাসের নিউমেরিক্যাল রিয়েলিটির মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।

John Dee was heavily influenced by Pythagorean ideology,[238][236]particularly the teaching that all things are made of numbers.
[উইকিপিডিয়া]



ইল্যুমিনাতির প্রতিষ্ঠাতা Adam weishaupt পিথাগোরাসের ভূয়সী প্রশংসাকারী। তিনি তার 'পিথাগোরাস' নামের বইতে পিথাগোরাসের সাধুসন্ন্যাসের কমিউনিটির ন্যায় বর্তমান সমাজকে বিনির্মাণের ঔচিত্যবোধ প্রকাশ করেন।
Adam Weishaupt, the founder of the Illuminati, was a strong admirer of Pythagoras[239] and, in his book Pythagoras (1787), he advocated that society should be reformed to be more like Pythagoras's commune at Croton.[240]
(উইকিপিডিয়া)

Pythagoras origin of illuminati
https://m.youtube.com/watch?v=6zMStfhy2Qg

cult of Pythagoras
https://m.youtube.com/watch?v=9AdtSF-TpB0



Sylvain Maréchal এর মতানুযায়ী সকল সময়ের সকল বিপ্লব গুলো পিথাগোরাসের জন্যই হয়েছে। আসলেই, ঋষিজ্বির কাছে বড্ড ঋণী মডার্ন সমাজব্যবস্থা।

Sylvain Maréchal, in his six-volume 1799 biography The Voyages of Pythagoras, declared that all revolutionaries in all time periods are the "heirs of Pythagoras".
[উইকিপিডিয়া ]



সাধারন মানুষ পেন্টাগন বা পঞ্চভুজকে স্যাটানিক সিম্বলিজমের কাতারে ফেলে। বস্তুত,যাদু-উইচক্রাফটে এই এই প্রতীকের ব্যবহার হয়। এর পাচ কোণে সাধারণত পাঁচটি রেগুলার সলিড ও মোমবাতি রাখা হয়। এই প্রতীকের যাদুকরী তাৎপর্য পিথাগোরাসের কাছে বিদ্যমান। গণিত ও সঙ্গীতেরবাদ্যযন্ত্র এবং মিউজিকের গুপ্ত তাৎপর্যপূর্ন যোগসূত্র এতে আছে।
পিথাগোরাসের কাছে ঋণী কুফফারদের মিডিয়া আজ শিশুদেরকে পিথাগোরাসের গণিত ও সঙ্গীতকেন্দ্রিক গুপ্তজ্ঞানকে(অকাল্ট নলেজ) কে 'যাদু' টাইটেলেই প্রকাশ্যে শিশুদেরকে কার্টুনে দেখাচ্ছে,যাতে নিষিদ্ধ
বিদ্যাকে সেরূপে গ্রহন করে যেভাবে পৃথিবীর আকৃতির ব্যপারে করেছে!

ভিডিওঃ Pythagorean mathmagick
https://m.youtube.com/watch?v=2eC_4L89EIw

sacred geometry Pythagoras mathmagick full :
https://m.youtube.com/watch?v=kVTPwPh7ioU

উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত, ইহা নাকি 'Educational'!
Donald in Mathmagic Land is a 27-minute Donald Duck educational featurette released on June 26, 1959.
সূত্রঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Donald_in_Mathmagic_Land


এ আর্টিকেলটিতে বর্নিত সকল তথ্যের রেফারেন্স পাবেনঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Pythagoras







মুসলিম ভাইবোনদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ও প্রশ্নঃ

আজ আপনারা জানলেন মডার্ন এস্ট্রোনমি ও দর্শনশাস্ত্রের জন্মদাতার ব্যপারে। তিনি কাফের ছিলেন বটে, তবে সাধারণ কাফের নন। বরং তিনি ছিলেন যাদুবিদ্যার অনুসারী যাদুকর। আপনারা দেখেছেন, তার মতবাদ, আকিদা ও দর্শন ছিল বাবেল শহরের শয়তানী যাদুবিদ্যা,ও সেখানকার কাফেরদের মতবাদ, যা তিনি মিশরের যাদুকরদের(ম্যাজাই) শিষ্যত্ব বরণ করে অর্জন করেন।
তিনি ছিলেন Occult worldview এর বিপ্লবের পথিকৃৎ। আপনারা দেখেছেন অপর এক বিখ্যাত ফ্রিম্যাসন তার এস্ট্রোনমিক্যাল টিচিং এর ব্যপারে কি বলেছেন।বস্তুত, তিনি ছিলেন যাবতীয় নিকৃষ্টতম কুফরের প্যাকেজের ধারক ও বাহক।কেমন যেন All in one! আফসোসের বিষয়, সেই ইসলামের শুরুর দিকে গ্রীক শাস্ত্রের অনুপ্রবেশের পরে থেকে অজ্ঞাত কারনে আলেমসমাজের একটা অংশ অবচেতনেই গায়েবের কিছু ক্ষেত্রে সেটার(গ্রীক হেলেনিস্টিক এস্ট্রোনমির) কিছু কিছু বিষয়কে আদর্শগত মানদণ্ড হিসেবে নিয়ে নেয়। অথচ ওইসকল গায়েবের বিষয়ে কুরআন, হাদিস, সাহাবী(রাযি.) এর বর্ননার বাহিরে গিয়ে ব্যক্তিগত অব্জারভেশন ও খেয়াল কেন্দ্রিক মতামত চাপানোটাও অনুচিত। এজন্যই ইমাম ইবনে হাজম(রঃ) থেকে এরকম মতামত পাওয়া যায়ঃ the proof of the Earth's sphericity is that the Sun is always vertical to a particular spot on Earth.

ইমাম আবুল হুসাইন আহমদ ইবনে জাফর ইবনে আল মুনাদী(র)[855 CE] ইন্ডিয়ান ও গ্রীক হেলেনিস্টিক এস্ট্রোনমির রিভাইভ্যালের অনেক পরে বলেন,
"Similarly they were unanimously agreed that the Earth, with all that is contains of land and sea is like a ball. He said: That is indicated by the fact that the sun, moon and stars do not rise and set over those who are in different parts of the earth at the same time; rather that occurs in the east before it occurs in the west."




শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) তার islamqa.info ওয়েবে ৭১:৭৯ নং আয়াতকে আগের যুগের একই চিন্তার আলেমদের কথা দ্বারা পিথাগোরিয়ান গ্লোবিউলার মডেলকে 'Reconcile' করেন। দেখুনঃ https://islamqa.info/en/211655
এখানে আছে যে, জনৈক ব্যক্তি জালালউদ্দীন সূয়ূতী(রহঃ) এর তাফসীর জালালাঈন পাঠ করে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে কন্ট্রাডিকশ্যন দেখতে পান। তার প্রশ্নটিঃ 'Could you please explain these Quranic verse. Actually one Non Muslim asked me to explain these verses.
Quran 71:19 And Allah has made the earth for you as a carpet (spread out).
Quran 78:6 Have We not made the earth as a wide expanse, What does it mean ?
Quran 15:19 And the earth We have spread out (like a carpet); set thereon mountains firm and immovable; and produced therein all kinds of things in due balance.
Does it mean that Earth is flat? Tafsir Jalalayn says that EARTH is flat. But it is against Established Science.'

'Tafsir Jalalayn says that EARTH is flat. But it is against Established Science' এই বাক্যটি লক্ষ্য করুন। কেমন যেন মনে হয় কিছু মুসলিম ভাইদের কাছে কুরআন সুন্নাহকে কাফেরদের হাতে স্ট্যাবলিশড সাইন্সের মানদন্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে! মা'আযাল্লাহ।
চলুন তাফসির জালালাইনে গিয়ে দেখি কি ছিলো সেখানেঃ
As for His words sutihat ‘laid out flat’ this on a literal reading suggests that the earth is flat which is the opinion of most of the scholars of the revealed Law and not a sphere as astronomers (ahl al-hay’a) have it
Tafsir al-Jalalayn for Qur'an 88:20

এবার আসুন দেখি উত্তরে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) কি বলেছেন-
পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমির পক্ষে ইবনে হাজম(র) এর কিছু ambiguous মনগড়া logical স্টেটমেন্ট আনলেন। আয়াতের অদ্ভুত ব্যাখা দিলেন। অতঃপর অবাক করে ইমাম ইবনু কাসির (রহঃ) এর তাফসীরের বর্ননা আনলেন!! এটা আমাকে সবচেয়ে অবাক করেছে! ইমাম ইবনে কাসির(রঃ) প্রিমিটিভ জিওস্টেশনারী এনক্লোজড কস্মোলজির বর্ননা দিয়েছেন এস্ট্রোনোমিকাল প্রত্যেক আয়াতের ব্যাখ্যায়। আর তিনি যেরূপ তাফসীর করেছেন আলহামদুলিল্লাহ সেসব কুরআন সুন্নাহর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমনকি তিনি অনেক দুর্লভ হাদিসও আনেন প্রিমিটিভ জিওসেন্ট্রিসিটির সপক্ষে যা সুস্পষ্ট মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোনোমিকাল সাইন্সের(ন্যাচারাল ফিলসফির) উল্টো।
সালেহ আল মুনাজ্জিদ যে তাফসীর গুলো আনেনঃ
"Secondly:
The verse (interpretation of the meaning)
“And Allah has made for you the earth wide spread (an expanse)” [Nooh 71:19] indicates that it is spread out and shaped so that people can feel settled in it and be able to live and prosper in it. Ibn Katheer said:
That is, He spread it out, prepared it, made it stable and made it firm by means of the mountains.
Tafseer Ibn Katheer , 8/247
Similarly, the verse (interpretation of the meaning) “ Have We not made the earth as a bed” [an-Naba’ 78:6] means that it is spread out and prepared for you and for your benefit, so that you can cultivate it, build dwellings in it and travel through it.
Ibn Katheer said:
That is, it is prepared for people in such a way that they can live in it, and it is firm, stable and steady.
Tafseer Ibn Katheer , 8/307
And the verse (interpretation of the meaning) “And the earth We spread out, and placed therein firm mountains, and caused to grow therein all kinds of things in due proportion” [al-Hijr 15:19] means We spread it out and placed firm mountains therein. This is like the verse in which Allah says (interpretation of the meaning): “And it is He Who spread out the earth, and placed therein firm mountains and rivers” [ar-Ra‘d 13:3] .
There is no contradiction between saying that it is round and saying that it was spread out, because in fact in its totality it is round, but to the one who stands on it and looks at it, it appears flat, as it appears to everyone."
ইমাম ইবনে কাসির(র) যেখানে প্রাচীন জিওস্টেশনারী সমতল পৃথিবী কেন্দ্রিক এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারের বর্ননা দিয়েছেন, সেগুলোকেই পুঁজি করে সালেহ আল মুনাজ্জিদ(হাফি) পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল আর্থের প্রমান করছেন!অত্যন্ত সূক্ষ্ম করাপশন,সম্পূর্ন ভিন্নমাত্রার তথ্যকে ব্যবহার করে নিজের মতের দিকে টেনেছেন! বলছেনঃ "There is no contradiction between saying that it is round and saying that it was spread out, because in fact in its totality it is round, but to the one who stands on it and looks at it, it appears flat, as it appears to everyone."

এর পরে ইমাম আর রাযি(রহঃ) এর কনফিউজড ব্যাখ্যা আনলেনঃAr-Raazi (may Allah have mercy on him) said:
If it is said: Do the words “And the earth We spread out” indicate that it is flat?
We would respond: Yes, because the earth, even though it is round, is an enormous sphere, and each little part of this enormous sphere, when it is looked at, appears to be flat. As that is the case, this will dispel what they mentioned of confusion. The evidence for that is the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning): “And the mountains as pegs” [an-Naba’ 78:7] . He called them awtaad (pegs) even though these mountains may have large flat surfaces. And the same is true in this case.
End quote from Tafseer ar-Raazi , 19/13
দেখলেন ওইসময়ে হেলেনিস্টিক(গ্রীক) এস্ট্রোনমি কি করেছিলো! যার জন্য বলতেন-"even though it is round"!

এরপরে শায়খ মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) ইমাম শানকিতী(রহঃ) এর কথা আনলেন। ইমাম আস শানকিতী স্ফেরিকাল আর্থের সপক্ষের আগেরকার আলেমদের সাথে একমত হলেনই, কিন্তু মেইনস্ট্রিম স্ফেরিক্যাল মডেলকে কোন এক কুরআনিক আয়াতের বর্ননার সাথে যুক্ত করতে গেলে অন্যান্য অনেক আয়াতে কনফ্লিক্ট করে, ইমাম শানকিতী পিথাগোরাসের স্ফেরিক্যাল বিশ্বাসকে কুরআনের সাথে আরো ভালভাবে খাপ খাওয়ানোর জন্য যুক্তিকেন্দ্রিক বর্ননা /ব্যাখ্যা দিলেনঃ Shaykh ash-Shanqeeti (may Allah have mercy on him) said:
If the scholars of Islam affirm that the earth is round, then what would they say about the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning):
“Do they not look at the camels, how they are created?
And at the heaven, how it is raised?
And at the mountains, how they are rooted and fixed firm?
And at the earth, how it is spread out?”
[al-Ghaashiyah 88:17-20] .

Their response will be the same as their response concerning the verse in which Allah, may He be exalted, says (interpretation of the meaning): “Until, when he reached the setting place of the sun, he found it setting in a spring of black muddy (or hot) water” [al-Kahf 18:86] – that is, as it appears to be in the eye of the beholder, because the sun sets on one country, but remains up in the sky for another, until it rises from the east on the following morning. So the earth looks flat in every region or part of it, because of its immense size.

এখানে একটা মজার বিষয় আছে। শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ (হাফিঃ) ইমাম শানকিতির(রঃ) যে ব্যাখ্যাটি আনলেন সেখানে তিনি ১৮:৮৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।এর আগে শায়েখ মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) ইবনে কাসীরেরও (রঃ) তাফসীর এনেছেন স্ফেরিক্যাল আর্থের সপক্ষে। যা উপরে দেখেছেন।এবার আপনাকে সামান্য একটু কষ্ট করে তাফসীর ইবনে কাসীরের ১৮:৮৬ এর ব্যাখ্যায় যেতে বলবো। আপনার সুবিধার্থেঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=334896810300851&id=282165055574027

কি দেখলেন!/? জ্বি একাধিক সাহাবীদের কনভারসেশন। একদমই এ আয়াতের আক্ষরিক অর্থটাই সত্য এবং শুদ্ধ। মহান আল্লাহ এই আয়াতের পরবর্তীতে বলেনঃ
كَذَلِكَ وَقَدْ أَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا

প্রকৃত ঘটনা এমনিই। তার বৃত্তান্ত আমি সম্যক অবগত আছি।(১৮:৯১)

প্রসংগের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি হাদিস পড়ুনঃ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ كُنْتُ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى حِمَارٍ وَالشَّمْسُ عِنْدَ غُرُوبِهَا فَقَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرِي أَيْنَ تَغْرُبُ هَذِهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنِ حَامِيَةٍ ‏"‏ ‏.‏

আবূ যার (রাঃ)

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” (সূরাহ কাহ্‌ফঃ ৮৬)। [৪০০২]

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০০২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com

বিজ্ঞানের অনুসারী মুসলিমগন বিব্রতকর অবস্থায় না পড়বার জন্য চমৎকার একটা ফিল্টারিং ব্যবস্থাকে নিয়েছে,তারা 'সহীহ' হাদিস ছাড়া আর কোন হাদিসকে গ্রহন করবেন না। অধিকাংশ প্রিমিটিভ সমতল পৃথিবীকে সমর্থনকারী দলিলগুলো দুর্বল। কিন্তু এখানে এটা সহীহ হাদিস।এখন কিভাবে এটাকে বাতিল /অগ্রহণযোগ্য বা ভুল প্রমান করা যায়??!!আসুন দেখে আসি, এ হাদিসের ন্যায় একাধিক স্থানে আসা এরূপ বর্ননা মানতে না পেরে,একে অগ্রহণযোগ্য বা বাতিল প্রমানের জন্য, ওদের প্রচেষ্টাঃ http://www.letmeturnthetables.com/2012/09/weak-hadith-sun-spring-warm-water.html?m=1


বস্তুত, ইমাম ইবনে কাসীর(র) সেটাই মানতেন যা সাহাবী(রাযি.) বিশ্বাস করতেন।আমরাও করি। তো এবার বুঝতে পারছেন সালেহ আল মুনাজ্জিদের(হাফিঃ) কেমন পক্ষপাতপূর্ন ফতওয়া! আলেমসমাজ ও সাধারন জনগনের একটা দল এরূপ যে, যেভাবেই হোক কুরআনের মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানবিরুদ্ধ আয়াতগুলোকে এই পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমির সাথে মেলাতেই হবে।সেটা যেভাবেই হোক, যেকোন যুক্তিতে। অথচ ঔচিত্য এই যে কুরআন সুন্নাহর এর দলিল দ্বারা মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানকে জাস্টিফাই করা। প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আহলুল হায়াগন(এস্ট্রনমার) সকলেই পিথাগোরাসের অনুসারী। এই আর্টিকেলের মাঝামাঝিতে তো দেখেছেন, এলবার্ট আইনস্টাইন,নিকোলাস কোপার্নিকাস, কেপলার,নিউটন প্রভৃতি বিজ্ঞানের ঝান্ডাধারীরা সকলেই পিথাগোরাসের মতবাদের অনুসারী। অথচ আজ উম্মাহর সিংহভাগ এদের বক্তব্যের খাপে খাপে ইসলামকে মেলানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত।
মোডারেট এবং অন্যান্য জ্ঞানহীন অথবা বিজ্ঞান দ্বারা ব্রেইনওয়াশড ভাইবোনদের আরেকটি ঢাল,কোথাও এরূপ তর্ক পেলেই এই দুই লিংক ধরিয়ে দেয়ঃ https://islamqa.info/en/118698

এই লিংকের ফতওয়াতেও একই অবস্থা। ধরে ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা এই পর্বের আর্টিকেলকে আরো দীর্ঘ করবে,শেষে ফেসবুকে বেধে দেওয়া সর্বোচ্চ শব্দসীমাকে অতিক্রম করবে।। তারা সূরা আয যূমারের ৫ নং আয়াতের দূরবর্তী অস্পষ্ট যুক্তিকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা করে পৃথিবীকে গোল বানিয়েছে। বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দেখুন, তাফসীর তাবারী,তাফসীর ইবনে কাসীর এবং তাফসীর জালালাঈনে...। ইবনে উসাইমীন(র) এর বক্তব্যও এনেছেন। And at the earth, how it is spread out?”
[al-Ghaashiyah 88:17-20]
Because the Earth is huge and its curvature cannot be seen from a short distance, it appears to be spread out and one cannot see anything that would make one fear living on it, but this does not contradict the fact that it is round, because it is very big. However they say that it is not evenly round; rather it is indented or pushed in at the north and south poles. Hence they say that it is egg-shaped.
End quote from Fataawa Noor ‘ala ad-Darb

তিনি ৮৮:২০ এর সুতিহাতের যুক্তিভিত্তিক আধুনিক বিজ্ঞানকেন্দ্রিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, গোলাকার পৃথিবী এত বৃহৎ যে কার্ভাচার চোখে ধরা পড়ে না, তাই পার্স্পেক্টিভ অনুযায়ী মানুষ সমতল দেখে।এর পরে মুর্তাদ-নব্যুয়তের দাবিদার খলিফা রাশাদের কথা মোতাবেক ডিম্বাকার বানিয়েছেন। অন্ধ অনুসরণ না করলে বলব, এ আয়াতের তাফসীরে সর্বাধিক বিশুদ্ধ মত দিয়েছেন ইবনে কাসীর(র) , সুয়ূতি(র), ইমাম তাবারী (র)। সুয়ূতি(র) সুস্পষ্টভাবে গোটা পৃথিবীকে সমতল বলেছেন। বস্তুত, এটা এজন্যই শুদ্ধ যে,এ আয়াতের الْأَرْضِ শব্দটির অর্থ 'পৃথিবী'। পৃথিবীর খন্ডাংশ নয়,জমিনের অংশ বিশেষ বা মানুষের চোখের পার্স্পেক্টিভে আসা পৃথিবীর হোরাইজনও নয়। কিন্তু যারা পিথাগোরাসের এস্ট্রোনমির সপক্ষে কথা বলছেন তারা যা নয় তাই যুক্তি দ্বারা প্রমানের চেষ্টা করেছেন।

সবশেষে মুনাজ্জিদ (হাফি) সাহেব বলেন,Thus it is known that the Earth is round, and that is not contradicted by the fact that it is like an egg. Rather the false view is that which claims that it is flat, as the Church used to believe and for that reason used to curse and burn those scientists who said that it was round.

কুরআনকে সমস্ত কাফেররা আজ 'ফ্ল্যাট আর্থ বুক' বলছে। একই ভাবে কাফেররা, কুরআনে জিহাদের আহব্বানকারী আয়াতের জন্য বলছে 'কুরআন টেররিজমের কিতাব'। আমরা এপোলোজেটিক স্টাইলে বলছি, না না, এটা প্রাচীন খ্রিষ্টান মতবাদ ছিল, আমাদের নয়, আর জিহাদের ব্যপারে বলি -কুরআন শান্তির কথা বলে, ওসব আয়াত সে যুগের জন্য আজকের নয়।। বর্তমান ক্ষমতাসীন খ্রিষ্টান কাফেররাও আমাদের দিকে বিদ্রুপ করে একই কথা বলছে(এন্সারিং ইসলাম ওয়েবসাইট এ দেখুন)। শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) সাহেবও ওইভাবে অস্বীকার করে এটা ওদের উপর চাপিয়েছেন। 'ফ্ল্যাট আর্থ মডেল' বিষয়টা কেমন যেন একটা লজ্জাজনক ব্যাপার হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর কারন পিথাগোরিয়ান সাইন্টিজমের সাফল্য। আপনারা দেখলেন শায়খ মুনাজ্জিদ (হাফিঃ) সাহেব কাদেরকে সাইন্টিস্ট বলে সম্মান করছেন! ওরা যে যাদুকর,ডাকিনী ছিল সেটা সবাই জানত! অদ্ভুতভাবে শাইখ প্রাচীন ন্যাচারাল ফিলসফার(তখনকার 'সাইন্টিস্ট'), এস্ট্রোলজার ও গুহ্যবাদীদের হত্যাকে নিন্দাজনক দৃষ্টিতে দেখেন। (ইসলামে গুপ্তবাদ্যি যাদুকরদের শাস্তির হুকুম সংক্রান্ত দলিল আনছি না) এ আর্টিকেলের মধ্যভাগে বর্ননা করেছি কেন স্ফেরিক্যাল আর্থের কথকদেরকে ইসলাম পূর্ব খ্রিষ্টানরা শাস্তি দিত। আবারো বলছি - প্রাচীন স্ফেরিক্যাল মডেলের জনক পিথাগোরাসের অনুসারীরাও তার মত দর্শন লালন করত। ওরাও ট্রেডিশনাল মিস্টিকদের ন্যায় 'পুনরুত্থান দিবসকে' অস্বীকার করে বলতো 'পুনর্জন্মবাদ' সত্য, যেমনি পিথাগোরাসের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এটা। তেমনিভাবে সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির এক অস্তিত্বের আকিদা প্রচার করত। ওরা বলতো,যে কেউ যেকোন ধর্মে থেকেই সৃষ্টিকর্তার সাথে একাকার হতে পারে(বি ওয়ান উইথ গড-ফানাফিল্লাহ)। তাছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র ও যাদু চর্চার জন্য এদেরকে প্যাগান হেরেটিক বলা হত। ওদের কোন আকিদাকেই গ্রহন করা হত না। তখন ওরা লুকিয়ে রাখতো, কিন্তু ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ড হতো। আজকের পিথাগোরিয়ান ফ্রিম্যাসনিক লিনিয়েজও একই বিষয় প্রকাশ্যে চর্চা করে, এবং তাদের মতবাদই প্রতিষ্ঠিত। আর আমাদের উম্মাহর একটা বড় অংশ সেসবকে কুরআন দ্বারা জাস্টিফাই করতে লেগে আছে। মা'আযাল্লাহ।

আমাদের(আমার) হাতে প্রচুর ইসলামিক দলিল প্রমান আছে যা সুস্পষ্টভাবে পিথাগোরিয়ান ন্যাচারাল ফিলোসফিকে গুড়িয়ে দেয়, সেসব নিয়ে পরবর্তীতে অনেকগুলো আর্টিকেল আনবার ইচ্ছা আছে..... ইনশাআল্লাহ।


আশাকরি বিবেকসম্পন্ন ভাইবোনদের কাছে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হচ্ছে। তারা অবশ্যই দুটি Stream দেখতে পাচ্ছেন। একটি Acceptable ও Unacceptable। একটির অরিজিন কুফর ও নিষিদ্ধ অপবিদ্যা। সেটাই আজ 'সাইন্টিফিক' এবং প্রতিষ্ঠিত।

সাধারণত হেলিওসেন্ট্রিজম ও স্ফেরিক্যাল আর্থ + এভারএক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স তত্ত্বে বিশ্বাসকারীগন স্বল্পজ্ঞান,অন্ধ অনুসরণ,মেইনস্ট্রিম সাইন্স দ্বারা ব্রেইনওয়াশড, আত্মসম্মানবোধ অথবা ইগোর জন্য করে থাকে যা আজ পাঠকরা অনুধাবন করছেন। আমরা কাউকেই জোর করে স্ফেরিক্যাল মডেলকে বর্জন করে বলব না। আমরা হক্ক-বাতিলকে সুস্পষ্ট করব, অতঃপর যার ইচ্ছা,সে সেটা বিবেচনাপূর্বক বর্জন করল, অথবা কাফেরদের মতাদর্শকে পছন্দ করে আকড়ে রাখলো। 'এ মুহুর্তে', যেসব মুসলিম দাবিকারী ভাইয়েরা এ পর্বটি পাঠের পড়েও হেলিওসেন্ট্রিক স্ফেরিক্যাল পৃথিবীযুক্ত কস্মোলজির সপক্ষে দাঁড়িয়ে ইসলামিক স্ট্যান্ডার্ডে তা জাস্টিফাই করে বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, তারা কতটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে করছেন, তার ব্যপারে রহমান ওয়াকিবহাল আছেন। তাদের উচিৎ আল্লাহকে ভয় করা। কারন তারা যা করছে সেটা যেকোন প্রহসনকেও হার মানায়। নাপাক কিছুকে কুরআন সুন্নাহ দ্বারা legitimate করার চেষ্টার শামিল।

যে সকল সম্মানিত উলামাগন হেলেনিস্টিক পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমি দ্বারা অবচেতনে অথবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এর সপক্ষে কথা বলেছেন অথবা ফিতনার আশংকায় নিরব থেকেছেন, তাদের প্রতি আমাদের কোন বিদ্বেষ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে একারনেই তাদের এরূপ অবস্থানের জন্য প্রশংসা করি যে, অকাল্টিজমের জাগরণে তাদের প্রাচীন মতবাদে আঁকড়ে থাকাটা হয়ত কোন ফিতনার কারন হতে পারতো। যেমনটা আজ দেখা যাচ্ছে। আজ কাফেরদের প্রতিষ্ঠিত occult based science দ্বারা সিংহভাগ মুসলিম প্রভাবিত এবং এটাকেই 'ফ্যাক্ট' বলে জানে। এর বিরুদ্ধে শারঈ ডগমা সহজে বিশ্বাসের আসনে আনা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ভ্রান্ত বিষয়ের চরম বিরুদ্ধাচরণ সুদূরপ্রসারী ফিতনার কারন হতে পারে। এজন্য আল মুনাদি(র) থেকে শুরু করে সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফি), জাকির নায়েকসহ (হাফি) সকল আলিম ও দাঈদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশ করি।আল্লাহ সকলকে রহমত ও হেফাজতে রাখুন। আমিন।তবে যেসব উলামায় সু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামে হেলেনিস্টিক এস্ট্রোনমি ঢুকিয়েছে বা ইচ্ছা করে সজ্ঞানে এর অরিজিনকে যেনে বুঝে সে অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেছেন,সে যেই হোক, আল্লাহ যেন তাদের উত্তম বিচার করেন। আমিন। এত কিছু জানবার পরেও যারা বিপক্ষে থেকে বিতর্ক করতে উৎসাহী, তাদের নিকট প্রশ্ন থাকবে, কোন বিষয়টি তাদেরকে পিথাগোরাসের মতাদর্শকে সত্য মানতে বাধ্য করে!/?

রিয়েলিটির সাথে কন্ট্রাডিক্টরি এমন অনেক এভিডেন্স আমাদের হাতে আছে যার একেকটি আলাদাভাবে পিথাগোরিয়ান নোশনকে ভ্রান্ত ও মিথ্যা প্রমান করে। এবং সত্য প্রমান করে সাহাবীদের ব্যাখ্যা- হাদিস ও আল কুরআন। সেসব factual concrete evidence প্রাচীন জিওস্টেশনারী সমতল পৃথিবীকে সত্যায়ন করে; যে বিশ্বাসের উপরে, 'গ্রীক ও ইন্ডিয়ান এস্ট্রোনমিক্যাল কিতাবাদি' আসার পূর্বে সমগ্র আরব বিশ্বাস করত,সাহাবীগন(রাযি.) বিশ্বাস করতেন, আল্লাহর রাসূল(সাঃ) বর্ননা করেছেন এবং যার বর্ননা কুরআনেই সুস্পষ্টভাবে এসেছে।

যারা জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতার দরুন 'সমতল পৃথিবীর' মডেলটি খ্রিষ্টীয় মতবাদ বলে উল্লেখ করে, আর বলে আমরা খ্রিষ্টানদের মতবাদ প্রচার করি,তাদের অবগতির জন্য বলি, মাত্র ৫০০ বছর আগে বিশ্বব্যাপী পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল(গোল) পৃথিবীর মডেলের প্রতিষ্ঠাতা কারা? জ্বি, ক্যাথলিক খ্রিষ্টান কুফফাররা। আপনি জেসুইট(Society of Jesus) মিশনারির ব্যপারে কোন জ্ঞান রাখেন? এরা গোটা বিশ্বে মাত্র ৫০০ বছর পূর্বে অফিশিয়ালি স্ফেরিক্যাল মডেলকে প্রতিষ্ঠিত করে। এরা ছিল কথিত প্রগতিবাদী বিজ্ঞানবাদী কাফের,যারা সারা পৃথিবীব্যাপী প্রাচীন (esoteric) গুপ্তজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে মেইনষ্ট্রিমে এনে প্রতিষ্ঠিত করে। এমনকি চীন প্রথম দিকে সেটা গ্রহন না করলেও জেসুইটের চাপের মুখে সর্বশেষে অফিশিয়াল প্রিমিটিভ কস্মোলজিকে বাদ দিয়ে ১৭০০ সালে পিথাগোরিয়ান স্ফেরিক্যাল আর্থের এস্ট্রোনমিকে মেনে নিতে বাধ্য হয়।

As late as 1595, an early Jesuit missionary to China, Matteo Ricci, recorded that the Ming-dynasty Chinese say: "The earth is flat and square, and the sky is a round canopy; they did not succeed in conceiving the possibility of the antipodes."[55] The universal belief in a flat Earth is confirmed by a contemporary Chinese encyclopedia from 1609 illustrating a flat Earth extending over the horizontal diametral plane of a spherical heaven.[55]

In the 17th century, the idea of a spherical Earth spread in China due to the influence of the Jesuits, who held high positions as astronomers at the imperial court.[132]

Although mainstream Chinese science until the 17th century held the view that the earth was flat, square, and enveloped by the celestial sphere,


In the 17th century, the idea of a spherical Earth, now considerably advanced by Western astronomy, ultimately spread to Ming China, when Jesuit missionaries, who held high positions as astronomers at the imperial court, successfully challenged the Chinese belief that the Earth was flat and square.[79][80][81][সূত্রঃউইকিপিডিয়া]


https/en.m.wikipedia.org/wiki/Society_of_Jesus

ক্যাথলিকরা খ্রিষ্টানদের মধ্যে নিকৃষ্টতম অংশ, ওরা ইসলামের সাথে শত্রুতা পোষন করে এবং আজও ইহুদীদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বাস্তনায়নে এক হয়ে কাজ করছে।
এরা সকল কুফরের পৃষ্ঠপোষক। অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরা এদেরকে নকল খ্রিষ্টান বলে আখ্যায়িত করে। এবার কি আমরা গোলবাদীদের বলবো, 'আপনারা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারিদের মতবাদ প্রচার করে থাকেন, ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতাদর্শ ইসলামের সাথে মিশিয়ে অপব্যাখ্যা করছেন'??

নাহ। খুব সম্ভবত, আমরা মূর্খদের ন্যায় আচরণ অপছন্দ করি, যেমনটা অল্পবিদ্যা নিয়ে পিথাগোরানিজমকে একদল প্রমোট করে! বস্তুত, পিথাগোরিয়ানিজম এমন এক বিশ্বাস ব্যবস্থা, যা তাওহীদের দ্বীনের সম্পূর্ন বিপরীত। ওরা 'ইত্তেহাদে'(মনিজম/প্যান্থেইজম) বিশ্বাসী আর আমরা তাওহীদে(একত্ববাদ),ওদের শিক্ষা হচ্ছে যেকেউ গুপ্তজ্ঞানের সাধনা করে স্রষ্টার সাথে এক হতে পারে,সান্নিধ্যলাভ করতে পারে, আর আমরা জানি ইসলামই একমাত্র মনোনীত দ্বীন(৩:১৯), বাকাফিল্লাহ ও ফানাফিল্লাহ গ্রীস থেকে আগত কুফরি আকিদা। ওরা পুনর্জন্মবাদকে সত্য বলে ও পুনরুত্থান দিবসের অস্বীকার করে, আর আমরা উল্টোটা। কুরআনের আয়াত ও সাহাবীগনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী পৃথিবী সমতল কিন্তু পিথাগোরাসের কাছে গোলকার। ইসলামে নিউমেরলজি/জ্যোতিষবিদ্যা হারাম ও কুফরি কাজ। ওদের কাছে এটা পবিত্র জ্ঞান ও শিক্ষা(Sacred knowledge)। অতএব, বলুন, কার পক্ষপাতিত্ব করেছেন, করছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন? আকিদা-মতাদর্শগত দিক দিয়ে এটা তো সুস্পষ্ট যে পিথাগোরাস সকল শয়তানের পূজকদের গুরু এবং এক মানব শয়তান! কুরআন ও সাহাবীদের এর ব্যাখ্যা(হাদিস) এর নিকটবর্তী যে উলামাগন কথা বলেন, এ বিষয়ে আমরা তাদের পক্ষপাতিত্ব করবো এবং প্রচার করে যাবো.... ইনশাআল্লাহ।



এবং আল্লাহ সর্বোত্তম জানেন।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………[চলবে ইনশাআল্লাহ]

আজ পরিচিত করা হয়েছে, ফিলোসফি তথা সমগ্র মেইনষ্ট্রিম বিজ্ঞানের এক মহান পথিকৃৎ এর জীবন-আকিদা ও শিক্ষা। এর মাধ্যমে আমরা ইতিহাসভিত্তিক সাইন্টিফিক ডেভেলপমেন্টের মূল আলোচনায় প্রবেশ করলাম। সামনে কথিত প্রমিনেন্ট বিজ্ঞানীদের আকিদা ও শিক্ষা এবং সে শিক্ষার উৎস সম্পর্কে ধারাবাহিক আলোচনা আসবে। ধীরে ধীরে আমরা মোস্ট এডভ্যান্স পদার্থবিজ্ঞান তথা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের দিকে যাব। অবশেষে কথিত বিজ্ঞানের বর্তমান অগ্রগতির চিত্র। বিইযনিল্লাহ।।