এক দ্বীনদার ভাই ফেসবুকে অনেক উপর থেকে তোলা মক্কার বায়তুল্লাহ (কা'বা) এর ছবি পোস্ট করে।সাথে লেখে যে এটা স্যাটেলাইট দিয়ে ধারন করা! আমি নিচে কমেন্টে তাকে আসল ব্যাপারটা সংশোধন করে দিই,সাথে শাইখ সালেহ আল ফওজানের(হাফি) সেই ভিডিওর লিংক দিই। উচু মানের মু'মিন তিনি। ওটা দেখেই তিনি সে লিংক শেয়ার আর আগের ছবিটা ডিলিট করে দেন, ভিডিওর লিংকের কমেন্টে তাকে আরও কিছু প্রখ্যাত সমশ্রেনীর আলেমদের নাম দেই যারা হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমি প্রত্যাখ্যান করেছেন ।
শায়েখ উসাইমীন (র) এর নাম শুনেই চমকে যান আর ব্যাপারটা খুব সিরিয়াসলি নেন, আমার নিকট প্রশ্ন করেন শায়েখ উসাইমীন (র) এর ফতওয়াটি ফতওয়া আরকানুল ইসলামে আছে কিনা! আমি তাকে সেটার অনুবাদটি দেশীয় একটি ওয়েব এর ঠিকানা সহ দেই। তিনি নীরবে সেটা মেনেই প্রচার করেন। আর কোন কথা নেই....
অপর এক দ্বীনি ভাইকে তার ফতওয়া টি দেখালে তিনি বলেন 'ভাই মাথা ঘুরতেছে'
কারন তিনি বা তারা তাদের(ওই আলেমদের) মর্যাদার ব্যপারে জানেন। আহলে হাদিসের শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী সাহেব বলছিলেন শায়েখ উসাঈমীন(রঃ) ছিলেন মক্কার ২য় সবচেয়ে বড় (শীর্ষস্থানীয়) আলেম। তিনি সালেহ আল ফওজানের দেওয়া বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া ফতওয়াগুলোও ভক্তি সহকারে অনুবাদ করে করে শোনান। প্রবীন আলেমদের মধ্যে তিনিই এখনো জীবিত আছেন।
মোডারেট মুসলিমদেরই একটা ইসলামী ভিডিওর কেয়ামতের আলামত সংক্রান্ত বিষয়ে দেখাচ্ছিল যেখানে একটি আলামতকে(যোগ্য আলেমদের মৃত্যু বা আলেমশূন্যতা) হাদিসসহ দেখানোর সময়, বিন বাজ, উসাইমীন প্রমুখদের পরলোকগমনকে (আলামত হিসেবে)দেখানো হচ্ছিল।
মজার ব্যপার হলো এই মোডারেটরাই কিন্তু জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী মডেলকে রিফিউট করে হেলিওর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যত মোডারেট নেটওয়ার্ক আছে তার প্রায় সবই সৌদি মাদখালি ভিত্তিক, অথচ ওরা ওদেরই গুরুদের চেয়ে যেন বেশি বোঝে কুরআন হাদিসের ব্যপারে যার জন্য অর্থ পালটে ভুল অনুবাদ করে কুরআনে হেলিওসেন্ট্রিসি জমের বর্ননা আছে বলে দাবী করে! বিষয়টা কতটা গভীর আর গুরুতর বুঝতে পারছেন!
মডারেটরা অনেকটা নিজেদের পশ্চাৎদেশে নিজেরাই কিক দিচ্ছে!! হাউ বুদ্ধিমান দে আর!! 😂😂
এজন্য বলি অল্প জ্ঞান নিয়ে এটা হুটহাট বলা উচিৎ না যে কুরআন পোস্ট কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমির কথা বলছে। কুরআনে একটা আয়াতও নাই যেটা হেলিওসেন্ট্রিক মডেলের একটা সামান্য ধারনাকেও সমর্থন করে, আর হাদিসে তো না-ই!! আপনি যদি আয়াতের শব্দের দূরবর্তী অর্থ দিয়েও গোঁজামিল দেন তাহলেও অন্যান্য সৃষ্টিসংক্রান্ত নিরেপেক্ষ আয়াত একদম হেলিওসেন্ট্রিক
মডেলের বারোটা বাজিয়ে দেয়। কিছুতেই খাপে খাপে মেলাতে পারবেন নাহ ভণ্ডামি করে!!
আর তাওরাতে কি উল্লেখ আছে সেটা সাহাবীগনও বলেছেন। সেটার উল্লেখ থাকবেই না কেন, যেখান থেকে তাওরাত এসেছিল একই উৎস থেকে যাবুর ইঞ্জিল বা কুরআনও এসেছে! এজন্য একটার সাথে একটার ন্যারেশনে মিল আছে। বা অভিন্ন কসমোলজিক্যাল মডেলের বর্ননা!
উল্লেখ্য সাহাবী (রা) দের যুগের বিদ্যমান তাওরাতে যা ছিল, তাও আজ আর নাই বিকৃতির কারনে।ওই তথ্য তাফসীরের কিতাবে উল্লিখিত এক হাদিস থেকে নেওয়া। বুঝে আসে না আরিফ আজাদদের নাস্তিক বিরোধী এপোলোজেটিক ডিফেন্সিভ এপ্রোচ কতটা সার্থক মহান রবের নিকট। কারন মিথ্যার(হেলিওসে ন্ট্রিক মডেল বেজড নাস্তিকতার) বিরুদ্ধে মিথ্যা ধারনাকেই(হেলিওসেন্ট্রিসিজম) সত্যকে(কুরআন) কেন্দ্র করে লিগ্যালাইজেশনের প্রচেষ্টা কতটুকুন সঠিক ছিল সেটা বিবেকবানদের একটু চিন্তা করলেই বোধগম্য হবে।
এজন্য সেসব লেখনী শুরু থেকেই আমার নিকট ছিল BS! বাহ্যিকটা দেখেই তার সপক্ষে গীত গাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
সম্পূর্ন নাস্তিকতার খুটির ধারনার শিকড়সমেত অগ্রাহ্য করা হবে যদি কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক তত্ত্ব বা তার কোন চেইন বিলিফ সিস্টেমকে রিজেক্ট করা হয়।
লেখকঃ Al Imran
শায়েখ উসাইমীন (র) এর নাম শুনেই চমকে যান আর ব্যাপারটা খুব সিরিয়াসলি নেন, আমার নিকট প্রশ্ন করেন শায়েখ উসাইমীন (র) এর ফতওয়াটি ফতওয়া আরকানুল ইসলামে আছে কিনা! আমি তাকে সেটার অনুবাদটি দেশীয় একটি ওয়েব এর ঠিকানা সহ দেই। তিনি নীরবে সেটা মেনেই প্রচার করেন। আর কোন কথা নেই....
অপর এক দ্বীনি ভাইকে তার ফতওয়া টি দেখালে তিনি বলেন 'ভাই মাথা ঘুরতেছে'
কারন তিনি বা তারা তাদের(ওই আলেমদের) মর্যাদার ব্যপারে জানেন। আহলে হাদিসের শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী সাহেব বলছিলেন শায়েখ উসাঈমীন(রঃ) ছিলেন মক্কার ২য় সবচেয়ে বড় (শীর্ষস্থানীয়) আলেম। তিনি সালেহ আল ফওজানের দেওয়া বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া ফতওয়াগুলোও ভক্তি সহকারে অনুবাদ করে করে শোনান। প্রবীন আলেমদের মধ্যে তিনিই এখনো জীবিত আছেন।
মোডারেট মুসলিমদেরই একটা ইসলামী ভিডিওর কেয়ামতের আলামত সংক্রান্ত বিষয়ে দেখাচ্ছিল যেখানে একটি আলামতকে(যোগ্য আলেমদের মৃত্যু বা আলেমশূন্যতা) হাদিসসহ দেখানোর সময়, বিন বাজ, উসাইমীন প্রমুখদের পরলোকগমনকে (আলামত হিসেবে)দেখানো হচ্ছিল।
মজার ব্যপার হলো এই মোডারেটরাই কিন্তু জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী মডেলকে রিফিউট করে হেলিওর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যত মোডারেট নেটওয়ার্ক আছে তার প্রায় সবই সৌদি মাদখালি ভিত্তিক, অথচ ওরা ওদেরই গুরুদের চেয়ে যেন বেশি বোঝে কুরআন হাদিসের ব্যপারে যার জন্য অর্থ পালটে ভুল অনুবাদ করে কুরআনে হেলিওসেন্ট্রিসি
মডারেটরা অনেকটা নিজেদের পশ্চাৎদেশে নিজেরাই কিক দিচ্ছে!! হাউ বুদ্ধিমান দে আর!! 😂😂
এজন্য বলি অল্প জ্ঞান নিয়ে এটা হুটহাট বলা উচিৎ না যে কুরআন পোস্ট কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমির কথা বলছে। কুরআনে একটা আয়াতও নাই যেটা হেলিওসেন্ট্রিক মডেলের একটা সামান্য ধারনাকেও সমর্থন করে, আর হাদিসে তো না-ই!! আপনি যদি আয়াতের শব্দের দূরবর্তী অর্থ দিয়েও গোঁজামিল দেন তাহলেও অন্যান্য সৃষ্টিসংক্রান্ত
মডেলের বারোটা বাজিয়ে দেয়। কিছুতেই খাপে খাপে মেলাতে পারবেন নাহ ভণ্ডামি করে!!
আর তাওরাতে কি উল্লেখ আছে সেটা সাহাবীগনও বলেছেন। সেটার উল্লেখ থাকবেই না কেন, যেখান থেকে তাওরাত এসেছিল একই উৎস থেকে যাবুর ইঞ্জিল বা কুরআনও এসেছে! এজন্য একটার সাথে একটার ন্যারেশনে মিল আছে। বা অভিন্ন কসমোলজিক্যাল মডেলের বর্ননা!
উল্লেখ্য সাহাবী (রা) দের যুগের বিদ্যমান তাওরাতে যা ছিল, তাও আজ আর নাই বিকৃতির কারনে।ওই তথ্য তাফসীরের কিতাবে উল্লিখিত এক হাদিস থেকে নেওয়া। বুঝে আসে না আরিফ আজাদদের নাস্তিক বিরোধী এপোলোজেটিক ডিফেন্সিভ এপ্রোচ কতটা সার্থক মহান রবের নিকট। কারন মিথ্যার(হেলিওসে
এজন্য সেসব লেখনী শুরু থেকেই আমার নিকট ছিল BS! বাহ্যিকটা দেখেই তার সপক্ষে গীত গাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
সম্পূর্ন নাস্তিকতার খুটির ধারনার শিকড়সমেত অগ্রাহ্য করা হবে যদি কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক তত্ত্ব বা তার কোন চেইন বিলিফ সিস্টেমকে রিজেক্ট করা হয়।
লেখকঃ Al Imran
মাদখালি বিষয়টা বুজলাম না।।।।
ReplyDeleteরাবি আল মাদখালি নামে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক আলিম ছিলেন।মাদখালি বলতে তিনি এবং তার জিহাদ বিমুখ অনুসারী আলিমদেরকে বোঝানো হয়।
DeleteVai...je photo ta dilen eta dekhsilam....eta to drone e lagano fish eye camera die tola....sattelite er jeta tola hoeche bola hoi otate Kaba ar shompurno area aro small dekha jai...ei photo te to oneek kachee....
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ, খুবই চমৎকার জ্ঞ্যান।
ReplyDelete