এটা নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম না, কিন্তু কয়েকজন ভাই ইনবক্সে বেশ কিছু স্ক্রিনশট দিয়ে এর ব্যপারে কমেন্ট করতে বললেন। একাধিকবার বলায় এবার লিখতেই হয়।
.
বিষয়টা হচ্ছে সিক্রেট রিভেইল্ড নামের সদ্য খোলা একটা গ্রুপের ব্যপারে...। গ্রুপটির সদস্যগন নিয়মিত কন্সপাইরেসি থিওরির এটা ওটা নিয়ে একদম সস্তা প্রকৃতির অব্জারভেশান এবং এক্সপ্ল্যানেশন দেয়। উদাহরণ স্বরূপ ক'দিন আগে, ডলারের উপর কোন এক লোকের জলছাপকে দাজ্জালের ছবি সাব্যস্তকরন, দু চারদিন আগে আরেক অন্ধ(ডানচোখ) লোককে দাজ্জাল বলে সাব্যস্ত করে। তাছাড়া ত্রিকোণ/এক চোখ দেখলেই ইল্যুমিনাতি এ্যাট্রিবিউশান তো আছেই।
মিস্ট্রি রিলিজিয়নের ব্যপারে কোন জ্ঞান নেই, কিন্তু অকাল্ট সিম্বলিজম ডেকোড করার এ্যাপোলজি তো আছেই। গ্রুপের মেম্বারগন একদমই উঠতি বয়সের বাচ্চা ছেলেমেয়ে। দ্বীনি মৌলিক ইল্মও শূন্যের কোঠায়। এডমিনদের মধ্যেও দু-একজন ছাড়া বাকিদের আকলী-নাকলী ইল্ম দু-টারই বেহাল অবস্থা। দেখেছি, তাদের অফিশিয়াল বিশ্বাস ৯-১১ এর হামলাটা নাকি ইল্যুমিনাতির করা। শুনেছি, তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের তাওহীদ ওয়াল জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজকে সঠিক বলে মনে করে না! মা'আযাল্লাহ! যেহেতু টুইনটাওয়ার হামলাটি দাজ্জালের উপর বর্তায় তাই কিংবদন্তী শাইখ উসামা(রহিমাহুল্ লাহ) এবং আত্ব তাঞ্জিমুল ক্বায়িদা স্বাভাবিক ভাবেই তাদের দৃষ্টিতে Evil ইন্নালিল্লাহ! কিন্তু, অত্যাশ্চর্যের বিষয় হলো এরা ভারতীয় উপমহাদেশের আল ক্বায়েদার আমির মাওলানা আস্বেম ওমর(ফাক্কাল্লাহ ু আসরাহ) এর লেখা দাজ্জ্বাল- সিক্রেট সোসাইটি নিয়ে লেখা কিতাবগুলো পাঠ করে! ব্যপারটা প্যারাডক্সিক্যা ল! আমরা ইল্যুমিনাতির সাথে লিংকড হলে আমাদের আলিমদের কিতাবাদি পড়ে ইল্যুমিনাতি চেনার ব্যপারটি বুঝে আসেনা। যাইহোক, আল্লাহ আযযা ওয়া যাল যেন তাদেরকে সঠিক পথ দেখান।
.
যেকোন বামপন্থী মানুষের ডানচোখ কানা হলেই যে সে দাজ্জাল এরকম সাব্যস্তকরনের দলিল কি!? দাজ্জ্বাল এত সস্তা কেউ না যে যখন তখন নিজেকে কোথাও প্রকাশ করবে কিংবা আগেভাগে নিজেকে জানিয়ে দেবে। যার ব্যপারে চার পাচ হাজার বছর আগে দিয়ে আম্বিয়া আলাইহিসালামগন সতর্ক করে আসছেন, মাসূনীদের সেই ইনিভার্স এর আর্কিটেক্ট এতই সস্তা! উনি কি বার বার চেহারা বদল করবে নাকি! নাহলে আজ একজনকে কাল আরেকজনকে দাজ্জাল বানানোর মানে কি!? এগুলো অতি উৎসাহ।
রাখাল প্রতিদিন গ্রামবাসীকে বাঘ বাঘ বলে ধোকা দিত। কিন্তু একদিন সত্যিই যখন এলো, তখন কেউ পাত্তা দিল না। একইভাবে বার বার একে ওকে দাজ্জাল সাব্যস্ত করলে এর ব্যপারটি সিরিয়াসনেস হারায়, আজ যারা খুব বিশ্বাস করে ধোকা খাচ্ছে, আসল সময় এত গুরুত্ব উদ্দীপনা থাকবেনা।
.
যেকোন ত্রিকোনাকার সিম্বল দেখলেই সেটাকে ইল্যুমিনাতি বানিয়ে দেওয়া একধরনের সস্তা চিন্তাধারা। তাহলে আশপাশের অধিকাংশ জিনিসই শয়তানের। অকাল্টিজম-মিস্ট িসিজম-যাদুবিদ্য া ইত্যাদির ব্যপারে কিছু না জেনে এসব দিকে হাতিয়ে কোন লাভ নেই কারন কোন তলা খুজে পাওয়া যাবেনা। ফ্রি ম্যাসন একটাই গুপ্তসংগঠন না, এরকম আরো অনেক আছে, রোজাই ক্রুসো,হার্মেটি ক অর্ডার অব গোল্ডেন ডন, অর্ডো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস ইত্যাদি অনেক আছে,এজন্য শুধু মাত্র সব কিছু ফ্রিম্যাসনের উপর আরোপ করাও জ্ঞানীলোকের কাজ না। এই সংগঠন গুলোও আসলে কিছুনা। 'কিছু ' হচ্ছে এসবের আন্ডারলেইং স্যাক্রিড ইনিসিয়েশান(মিস্ ট্রি স্কুল)। একমাত্র ইল্যুমিনাতিকে সব দোষ দিয়ে কল্যান নেই, ইল্যুমিনাতি শুধুই সাইনবোর্ড এর মত বানানো কিনা ভাবার অবকাশ আছে।
.
৯/১১ এর ব্যপারে কি বলব?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ফাসেক ব্যক্তির খবরও যাচাই করতে বলেছেন, আর আমরা কাফিরদের বানানো ফ্রডুলেন্ট ডকুমেন্টসে বিশ্বাস স্থাপন করি।
আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
.
বিষয়টা হচ্ছে সিক্রেট রিভেইল্ড নামের সদ্য খোলা একটা গ্রুপের ব্যপারে...। গ্রুপটির সদস্যগন নিয়মিত কন্সপাইরেসি থিওরির এটা ওটা নিয়ে একদম সস্তা প্রকৃতির অব্জারভেশান এবং এক্সপ্ল্যানেশন দেয়। উদাহরণ স্বরূপ ক'দিন আগে, ডলারের উপর কোন এক লোকের জলছাপকে দাজ্জালের ছবি সাব্যস্তকরন, দু চারদিন আগে আরেক অন্ধ(ডানচোখ) লোককে দাজ্জাল বলে সাব্যস্ত করে। তাছাড়া ত্রিকোণ/এক চোখ দেখলেই ইল্যুমিনাতি এ্যাট্রিবিউশান তো আছেই।
মিস্ট্রি রিলিজিয়নের ব্যপারে কোন জ্ঞান নেই, কিন্তু অকাল্ট সিম্বলিজম ডেকোড করার এ্যাপোলজি তো আছেই। গ্রুপের মেম্বারগন একদমই উঠতি বয়সের বাচ্চা ছেলেমেয়ে। দ্বীনি মৌলিক ইল্মও শূন্যের কোঠায়। এডমিনদের মধ্যেও দু-একজন ছাড়া বাকিদের আকলী-নাকলী ইল্ম দু-টারই বেহাল অবস্থা। দেখেছি, তাদের অফিশিয়াল বিশ্বাস ৯-১১ এর হামলাটা নাকি ইল্যুমিনাতির করা। শুনেছি, তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের তাওহীদ ওয়াল জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজকে সঠিক বলে মনে করে না! মা'আযাল্লাহ! যেহেতু টুইনটাওয়ার হামলাটি দাজ্জালের উপর বর্তায় তাই কিংবদন্তী শাইখ উসামা(রহিমাহুল্
.
যেকোন বামপন্থী মানুষের ডানচোখ কানা হলেই যে সে দাজ্জাল এরকম সাব্যস্তকরনের দলিল কি!? দাজ্জ্বাল এত সস্তা কেউ না যে যখন তখন নিজেকে কোথাও প্রকাশ করবে কিংবা আগেভাগে নিজেকে জানিয়ে দেবে। যার ব্যপারে চার পাচ হাজার বছর আগে দিয়ে আম্বিয়া আলাইহিসালামগন সতর্ক করে আসছেন, মাসূনীদের সেই ইনিভার্স এর আর্কিটেক্ট এতই সস্তা! উনি কি বার বার চেহারা বদল করবে নাকি! নাহলে আজ একজনকে কাল আরেকজনকে দাজ্জাল বানানোর মানে কি!? এগুলো অতি উৎসাহ।
রাখাল প্রতিদিন গ্রামবাসীকে বাঘ বাঘ বলে ধোকা দিত। কিন্তু একদিন সত্যিই যখন এলো, তখন কেউ পাত্তা দিল না। একইভাবে বার বার একে ওকে দাজ্জাল সাব্যস্ত করলে এর ব্যপারটি সিরিয়াসনেস হারায়, আজ যারা খুব বিশ্বাস করে ধোকা খাচ্ছে, আসল সময় এত গুরুত্ব উদ্দীপনা থাকবেনা।
.
যেকোন ত্রিকোনাকার সিম্বল দেখলেই সেটাকে ইল্যুমিনাতি বানিয়ে দেওয়া একধরনের সস্তা চিন্তাধারা। তাহলে আশপাশের অধিকাংশ জিনিসই শয়তানের। অকাল্টিজম-মিস্ট
.
৯/১১ এর ব্যপারে কি বলব?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ফাসেক ব্যক্তির খবরও যাচাই করতে বলেছেন, আর আমরা কাফিরদের বানানো ফ্রডুলেন্ট ডকুমেন্টসে বিশ্বাস স্থাপন করি।
আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।[হুজরাতঃ০৬]
আলোচিত গ্রুপের পেইজে ৯/১১ ইন্সাইড জব কিনা সেটা নিয়ে যে ভিডিও টা দিয়েছে ওটার ইউটিউবের "হিব্লার প্রোডাকশন" নামের একটা Gnostic Flat Earth প্রিচারদের। গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, এডমিনরা জানেইনা নস্টিসিজম কি জিনিস। আমাদের উচিত সত্যকে খোঁজা দ্বীনের মধ্যে, কাফিরদের দলিলে নাহ।
এক যুগের বেশি আগে করা সেই দুনিয়া কাপানো বীরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক হামলায় যদি কারো সন্দেহ থাকে,তাহলে শাইখ উসামা(রহঃ), একিউ এর অফিশিয়াল টেস্টিমনি আছে,সেসব দেখাই যথেষ্ট। না হলে হিব্লার প্রোডাকশন এর চেয়েও ভাল প্রডাকশন জানা আছে, লিংক দিয়ে দেব। ইনশাআল্লাহ
.
মনে করুন এক শত্রুবাহিনীর সাথে আপনার যুদ্ধ হবে। সেই শত্রুবাহিনীর কমান্ডার, সৈন্য, ফলোয়ার সবাইকে আপনি চিনেন। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র সম্পর্কেও আপনার ধারনা কম নাই। সব জানেন। এ টু জেড। বাহ, ভালো কথা। অবশ্যই আমাদের সকলকেই শত্রু সম্পর্কে জানা উচিৎ।
আচ্ছা এখন এই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে আপনি কি একা যাবেন? এটা কি কোনো রকম যৌক্তিক? আপনি সব জানলেন তাদের ব্যাপারে, তাই বলে আপনি এ তো করতে পারবেন না যে তাদের ব্যাপারে খুটিনাটি জানলেন আর ঝাপিয়ে পড়লেন আর জয়ী হলেন। ব্যাপারটা যেমন অসম্ভব তেমন হাস্যকর ও বটে। আপনাকে কি করতে হবে? শত্রুপক্ষকে চিনার চাইতে অই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কারা লড়ছে তাদের জানতে হবে, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এরপর লড়তে হবে।
.
কথাগুলা বললাম এজন্য যে,বর্তমানে দাজ্জাল, ইলুমিনাটি নিয়ে অতি আবেগি হয়ে অনেকেই গ্রুপ খোলা শুরু করে। দাজ্জালের এক চোখ আর পিরামিড ত্রিভুজ নিয়ে একটু জেনেশুনেই তারা "বিরাট কিছু জেনে ফেলেছি" ভাবে। অতঃপর দিনরাত তাদের পরিশ্রম হয় এই দাজ্জাল কে, এর অনুসারী কারা, কি করে কই থাকে কি খায় কি পরে কি দেখে... ইত্যাদি সব কিছু খুটে খুটে দেখে। এতে কি লাভ? যদিও জানা টা ভালো কিন্তু লাভ টা কি? তারা কি আদৌ এটা জেনে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? পারবে?? শয়তান তো দুনিয়াতে কম না। প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সাথে একটা শয়তান জ্বীন (ক্বারীন) অনুচর হিসেবে চলে আসে। আপনি সেই শয়তান নিয়েই পরে থাকলেন অথচ শয়তান থেকে বাচার কোনোকিছুই করলেন না!! কি লাভ।
দাজ্জালের ফিত্নার তো শেষ নাই। দাজ্জাল থেকে বাচার জন্য যা করতে হয় এইসব "অই আবেগি" ছেলেমেয়েরা তা করে কিনা সন্দেহ। সুরা কাহফ পড়া, নামাজের শেষ বৈঠকে দাজ্জালের ফিত্না থেকে আশ্রয়, এবং সর্বোচ্চপর্যায়ে এই দাজ্জালের বিরুদ্ধে কারা লড়তেছে সেটা জানা। এবং দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে তারা এটাই জানে না। বর্তমান ত্বাগুত কুফফারদের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, তারাই তো পরোক্ষভাবে দাজ্জালের বিরুদ্ধেই লড়ছে। তারা এইসব জুনুদুল্লাহদের কে বলে ভুয়া, তারা জঙ্গি বা তারা হক্ব পথে নাই,সন্ত্রাসী.. .!! তারা না চিনলো দাজ্জালাএর বিরুদ্ধে যোদ্ধাদের আর না জানল বাচার পথ। কি লাভ ভাই (?), দাজ্জালের পিছে ১০০ বছর পরে থাকলেও তো লাভ হবে না তাহলে।
সিক্রেট রিভিল্ড গ্রুপে তারা মিনিটে মিনিটে পোস্ট করে ইলুমিনাটি, এক চোখ, ত্রিভুজ, ব্যাফোমেট নিয়ে পোস্ট। এসব নিয়েই পরে থাকে। কোথাও একটা পোস্ট ও নাই এই দাজ্জাল থেকে রক্ষা পেতে কি করা লাগবে এ নিয়ে। অথচ রাসুল সা দাজ্জালের ফিত্না থেকে দূরে থাকতে বলছেন, এত ঘাটাঘাটি করতে বলেন নি। কারন ফিত্নার ফিতরাত টাই এমন, এ নিয়ে পড়ে থাকলে নিজেও পরার সম্ভাবনা আছে।গ্রুপের এডমিনরাও দ্বীনের কোনো জ্ঞান রাখে না বললেই চলে। দ্বীনের ব্যাপারে ভিত্তিমূলক কোনো জ্ঞানই নাই।এরা যেসব আলিমদের অনুসরণ করে এরা আম্রিকার তাগুতের দরবারি আলিম! অর্থাৎ দাজ্জ্বালের চিন্তাধারার সাথে এড্যাপ্টেড দ্বীনি বুঝ ওই আলিমগন প্রচার করে, দাজ্জালেরই রুহানী শিষ্যদের থেকে ইল্ম নিয়ে নিজেদের দ্বীনদার ভেবে দ্বীনের খেদমতে সেই দাজ্জালকে এক্সপোজ করার স্ট্র্যাটেজি চরম জাহালত। একারনেই তাদের কাছে আলকায়েদা তালেবানরা সন্ত্রাসী। হবেই তো।
.
.
যাইহোক,
সবকিছুর আগে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে দ্বীনি বেইসিক ইল্ম অর্জন করা। এরপরে গো+এষণায় নামলে কোন কথা নেই। এটা ছাড়া গবেষণা করলে এরকম হাজারও সমস্যা ভুলের মধ্যে দিয়ে নিজেদের + সাধারন অনুসারীদেরকেও নিয়ে যেতে হবে, দেখা যাবে যে এক কুয়া থেকে বের হতে গিয়ে আরেক কুয়ায় পড়তে হবে। এজন্য একটা দ্বীনি কন্সট্রাক্টিভ বেইসিক জ্ঞানের বিকল্প নেই। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। ওয়ামা তাওফিক ইল্লা বিল্লাহ।
এক যুগের বেশি আগে করা সেই দুনিয়া কাপানো বীরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক হামলায় যদি কারো সন্দেহ থাকে,তাহলে শাইখ উসামা(রহঃ), একিউ এর অফিশিয়াল টেস্টিমনি আছে,সেসব দেখাই যথেষ্ট। না হলে হিব্লার প্রোডাকশন এর চেয়েও ভাল প্রডাকশন জানা আছে, লিংক দিয়ে দেব। ইনশাআল্লাহ
.
মনে করুন এক শত্রুবাহিনীর সাথে আপনার যুদ্ধ হবে। সেই শত্রুবাহিনীর কমান্ডার, সৈন্য, ফলোয়ার সবাইকে আপনি চিনেন। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র সম্পর্কেও আপনার ধারনা কম নাই। সব জানেন। এ টু জেড। বাহ, ভালো কথা। অবশ্যই আমাদের সকলকেই শত্রু সম্পর্কে জানা উচিৎ।
আচ্ছা এখন এই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে আপনি কি একা যাবেন? এটা কি কোনো রকম যৌক্তিক? আপনি সব জানলেন তাদের ব্যাপারে, তাই বলে আপনি এ তো করতে পারবেন না যে তাদের ব্যাপারে খুটিনাটি জানলেন আর ঝাপিয়ে পড়লেন আর জয়ী হলেন। ব্যাপারটা যেমন অসম্ভব তেমন হাস্যকর ও বটে। আপনাকে কি করতে হবে? শত্রুপক্ষকে চিনার চাইতে অই শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে কারা লড়ছে তাদের জানতে হবে, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এরপর লড়তে হবে।
.
কথাগুলা বললাম এজন্য যে,বর্তমানে দাজ্জাল, ইলুমিনাটি নিয়ে অতি আবেগি হয়ে অনেকেই গ্রুপ খোলা শুরু করে। দাজ্জালের এক চোখ আর পিরামিড ত্রিভুজ নিয়ে একটু জেনেশুনেই তারা "বিরাট কিছু জেনে ফেলেছি" ভাবে। অতঃপর দিনরাত তাদের পরিশ্রম হয় এই দাজ্জাল কে, এর অনুসারী কারা, কি করে কই থাকে কি খায় কি পরে কি দেখে... ইত্যাদি সব কিছু খুটে খুটে দেখে। এতে কি লাভ? যদিও জানা টা ভালো কিন্তু লাভ টা কি? তারা কি আদৌ এটা জেনে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? পারবে?? শয়তান তো দুনিয়াতে কম না। প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্মের সাথে একটা শয়তান জ্বীন (ক্বারীন) অনুচর হিসেবে চলে আসে। আপনি সেই শয়তান নিয়েই পরে থাকলেন অথচ শয়তান থেকে বাচার কোনোকিছুই করলেন না!! কি লাভ।
দাজ্জালের ফিত্নার তো শেষ নাই। দাজ্জাল থেকে বাচার জন্য যা করতে হয় এইসব "অই আবেগি" ছেলেমেয়েরা তা করে কিনা সন্দেহ। সুরা কাহফ পড়া, নামাজের শেষ বৈঠকে দাজ্জালের ফিত্না থেকে আশ্রয়, এবং সর্বোচ্চপর্যায়ে
সিক্রেট রিভিল্ড গ্রুপে তারা মিনিটে মিনিটে পোস্ট করে ইলুমিনাটি, এক চোখ, ত্রিভুজ, ব্যাফোমেট নিয়ে পোস্ট। এসব নিয়েই পরে থাকে। কোথাও একটা পোস্ট ও নাই এই দাজ্জাল থেকে রক্ষা পেতে কি করা লাগবে এ নিয়ে। অথচ রাসুল সা দাজ্জালের ফিত্না থেকে দূরে থাকতে বলছেন, এত ঘাটাঘাটি করতে বলেন নি। কারন ফিত্নার ফিতরাত টাই এমন, এ নিয়ে পড়ে থাকলে নিজেও পরার সম্ভাবনা আছে।গ্রুপের এডমিনরাও দ্বীনের কোনো জ্ঞান রাখে না বললেই চলে। দ্বীনের ব্যাপারে ভিত্তিমূলক কোনো জ্ঞানই নাই।এরা যেসব আলিমদের অনুসরণ করে এরা আম্রিকার তাগুতের দরবারি আলিম! অর্থাৎ দাজ্জ্বালের চিন্তাধারার সাথে এড্যাপ্টেড দ্বীনি বুঝ ওই আলিমগন প্রচার করে, দাজ্জালেরই রুহানী শিষ্যদের থেকে ইল্ম নিয়ে নিজেদের দ্বীনদার ভেবে দ্বীনের খেদমতে সেই দাজ্জালকে এক্সপোজ করার স্ট্র্যাটেজি চরম জাহালত। একারনেই তাদের কাছে আলকায়েদা তালেবানরা সন্ত্রাসী। হবেই তো।
.
ছেলেগুলোর জন্মই সেদিন। ইউটিউবের কিছু কন্সপাইরেসি ভিডিও দেখে ইল্যুমিনাতিকে চিনে নিয়েছে। খুব ভাল কথা, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এরা আল্লাহ আযযা ওয়া যাল এর সবচেয়ে নিকটতম বান্দাদেরকে বানিয়ে নিয়েছে ইল্যুমিনাতির এজেন্ট। অর্থাৎ দাজ্জালের অনুচর! আপনি জিজ্ঞেসা করে দেখুন কোনদিনও রবের বার্তা কুরআনের অন্তত বাংলাটাও কখনো পুরোপুরিভাবে পড়েছে কিনা, রাসূলের(সা) সীরাহ সম্পর্কে কিছু জানে কিনা,উম্মাহর ইতিহাসের ব্যপারে কোন আইডিয়া আছে কিনা, একজন সাহাবীরও জীবনাদর্শ সম্পর্কে কিছু ধারনা রাখে কিনা! ইসলামের আকিদার ব্যপারে কোন জ্ঞান রাখে কিনা, তাওহীদের স্তরসমূহের ব্যপারে কিছু জানে কিনা....। কিচ্ছু জানে নাহ। কিছু কাফিরদের বানানো ভিডিও হচ্ছে এদের নোশনের দলিল। নিজেকে কিন্তু খুব righteous ভাবে। একদম এল নম্বর বুঝদার মুসলিম। কিন্তু বুঝের আউটপুট হচ্ছে আলকায়েদা তালিবানরা জঙ্গী সন্ত্রাসী, ইল্যুমিনাতির এজেন্ট! এরা নিজেদের জীবনের পারপাজের ব্যপারেই অজ্ঞ, ফাইনাল অবতারের মঞ্চ নির্মাণের জন্য কুফফার জোট ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে, অথচ আমরা মুসলিমরা সেই তাগুতের পথে কাঁটা হয়ে থাকা মুজাহিদীনের ব্যপারে কত নিকৃষ্ট ধারণা রাখি। আমরা তাদেরকে দাজ্জালেরই প্রতিনিধি সাব্যস্ত করি ঘরে বসে মোবাইল কম্পিউটারের কতগুলা ভিডিও দেখে।
.
এরা কোনদিন আল কায়েদা, আফগানি তালিবুল ইল্মদের সাথে বসে নি, কথাও বলেনি, তাদের ব্যপারে শূন্য নলেজ নিয়ে কাফিরদের মিডিয়ার উপর নির্ভর করে কত্ত সুন্দর বলে দেয় এরা ইল্যুমিনাতির এজেন্ট! বছর পাঁচেক আগে আমার তো তাদের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল, তাহলে আমিও একজন ইল্যুমিনাতি এজেন্ট!!?
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা মানুষকে তার প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সিক্রেট সোসাইটি গুলো জিউইশ টোটালেটেরিয়ান ইউটোপিয়ান ড্রিমকে বাস্তবায়নের জন্য দাজ্জালের আন্তরিক প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। আমরা নিজেরা কিছুই করছি না। আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকারের ব্যপারে একরকমের মিথ্যাবাদী। অথচ, আল্লাহর পথে সবচেয়ে এঙ্গেজড যারা তাদেরকেই শয়তানের অনুচর সাব্যস্ত করি কোন দলিল প্রমাণ ছাড়া! কাফিরদের কাছে পিসফুল মুসলিম আইডেন্টিটি নিয়ে আরামে দিন কাটাতে চান? এজজ্যই আল্লাহ জিল্লতি চাপিয়ে দিয়েছেন। এখন আর ওই সুযোগ নেই। এইমাত্র দেখলাম ফ্রান্সে জঙ্গীবাদীদের চিহ্ন হিসেবে ধরেছে দাড়ি,টূপি, হিজাব,নিকাব,বোর খা, প্রকাশ্যে চুমু না খাওয়া, রোজা রাখা,পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া! চীনে উইঘুরদের সাথে যা হচ্ছে খবর রাখেন!? এই অত্যাচারী সর্পতুল্য কাফিরদের মাথায় আঘাত করে এই জঙ্গীরাই। জঙ্গী শব্দটা কি খুব খারাপ লাগে!? আপনি তো ভাই এর অর্থই জানেন না! সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ূবীর উস্তাদ কে ছিল? আল্লাহর রাসূলের কবর থেকে দেহ চুরির চক্রান্তকারী ইহুদীদের ধরেছিলেন কে!? হাদিসে আল্লাহর রাসূল(স) নিজেকে ফার্সী শব্দে জঙ্গী নবী(নাব্যিয়্যুল মালহামা) বলেছেন। আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ তো ইসলামের মূল কাজগুলোর একটি, আজ সেটাকে ছেড়ে গরুর লেজ ধরে সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়ার ফসল হচ্ছে আরাকানের রোহিঙ্গা, ভারতের মুসলিমরা,কাল বাংলার মুসলিমরাও একই পরিনতির দিকে যাবে। যারা দাজ্জালের ইউটোপিয়ান ওয়ার্ল্ড গঠনে কাজ করেছে তাদের আর ইসলামের পিসফুল স্ট্যান্সেরও প্রয়োজন নেই। এখন ব্যাবিলনিয়ান মিস্ট্রি রিলিজিয়নে কনভার্ট হন,খুব ভাল থাকবেন। মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ শেষ উম্মাহকে এতদিন ভাল ভাল আদার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে, এখন তাদের আর প্রয়োজন নেই,তাই কুরআনটাও এখন টেরোরিস্টদের কিতাব। আরে ভাই, ক'দিন আগে তো আমাদের দেশেই তাবলীগি কিতাবগুলোকে উগ্রবাদী বই বলে র্যাব ধরেছে। প্রতিটি মানবরচিত সংবিধানে শাসিত অঞ্চলে সামরিক বাহিনীগুলো তো দাজ্জালি হায়ারার্কির একদম তলানিতে থাকা অনুগত ভৃত্য। মাদখালি,দেওখালি , মোডারেট প্রমুখ এত দিন কাল্পনিক দারুল আমানে থেকেছে, এখন সে সুখানুভূতির রাস্তাটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরে দেখেছেন তো খুব বেশি সময় লাগে নি। এদেশও সিকিম হতে বেশি সময় লাগবে না। পাশের দাদাবাবুদের খুব ইনোসেন্ট মনে করেন? ওদের কালচক্র তন্ত্রের কল্কির কীর্তি ভাল করে পড়েন, ইল্যুমিনাতি তালাশে খুব বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
.
৯/১১ এর হামলা যে তাঞ্জিমুল ক্বায়িদার ছিল সেটা বাংলাদেশের বিসিএস ক্যাডাররাও জানে এবং কেউ কেউ পজেটিভলি দেখে(নাম বললে বিসিএস কোচিং করনে ওয়ালারা অনেকেই চিনে যাবে, বেচারা অযথাই নযরদারীতে পড়বে)। কিন্তু আপনারা দেখেন না কারন পিস নস্ট হয়েছে! এটা আপনার দৃষ্টিতে ইন্সাইড জব কারন ভিডিও ডকুমেন্টারিতে দেখেছেন। বড় দলিল হচ্ছে কার্টুনে টুইন টাওয়ার হামলার দৃশ্য আছে। মাথায় কি এতটুকু চিন্তাশক্তি নেই যে এসব কার্টুন গুলো সেই একই এজেন্ডারই তৈরি। গনকরা তো শয়তানের মাধ্যমে অনেক বড় বড় খবর আংশিকভাবে আগাম জেনে নেয়, হাদিসেও পড়েছেন, কিন্তু যখন নলেজ এপ্লাইয়ের সময় আসে তখন কুফফারদের দেখানো জিনিসগুলা ইরিফিউটেবল হয়ে যায়,তাই না? ধরুন আমি অল্প খরচে একটা আল্ট্রা লাইট এয়ারক্রাফট বানিয়ে, পেন্টাগনের মত কোথাও ইশতেহাদি হামলা চালাই, ইল্যুমিনাতি ইল্যুমিনাতি বলে চিৎকার দিয়েন।
.
যারা ৯/১১ এর হামলাকে অস্বীকার করে বা ইন্সাইড জব মনে করে এরা কয়েক ক্যাটাগরিতে পড়েঃ
*মানসিকভাবে পরাজিত, মুসলিমরা এত বড় কিছু করতেই পারে না। গিয়া দ্যাখেন সিআইএ করছে।
*ইসলাম কখনোই খারাপ না, খুব খুব ভাল, কোন মারামারি করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মারামারি সব করে অমুসলিমরা। আমরা উদার, এক পায়ে গুলি করলে আরেক পা এগিয়ে দেই। নেও ভাই গুলি করো, দেখছো আমরা কত্ত ভাল! ইসলামি শাসন অনেক আগে ছিল, এখন নাই, হতে পারে যদি আমরা সবাই ভাল হয়ে যাই পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এমনি এমনিতেই শরীআ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামে যুদ্ধ নেই।
*৯/ ১১ এর হামলা যারাই করুক শান্তি লঙ্ঘিত হয়েছে, প্যারাডক্স হচ্ছে আফগান, ইয়েমেন, সোমাল, কাশ্মির,আফগান, ফিলিস্তিন, চীন,আরাকান,ইরাক সিরিয়ায় যা হচ্ছে 'ও কিছু না, আমি তো ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ' ।
*ইসলামে আছে নফসের জিহাদ, যুদ্ধ বহুত আগেই শেষ হয়ে গেছে। কতিপয় খারেজিরা আছে যারা যুদ্ধ করে অশান্তি করছে এরাই সব অশান্তির মূল।।এরা ইহুদির দালাল। ইলুমিনাতির এজেন্ট!
*খুব জ্ঞানগম্ভীর একটা ডকুমেন্টারি দেখলাম, আমি বিশ্বাস করি ৯/১১ ইন্সাইড জব।
.
আইরনিক্যাল ফ্যাক্ট হচ্ছে, অখ্রিষ্টান যাদেরকে দেখেন এসব কন্সপাইরেসি ভিডিও বানায় আর ব্রেইনওয়াশ করে ৯/১১ ইন্সাইড জব, এরা অধিকাংশই অকাল্ট ফিলসফির অনুসারী। Hegelian trap! যাদের ভিডিও দেখে দাজ্জালের ব্যপারে সচেতন হচ্ছেন এরাই দাজ্জালের খাটি চ্যালা! বিখ্যাত কোন ইউটিউব চ্যানেল ফলো করেন? থ্রাইভ নাকি Zeitgeist?
.
এরা কোনদিন আল কায়েদা, আফগানি তালিবুল ইল্মদের সাথে বসে নি, কথাও বলেনি, তাদের ব্যপারে শূন্য নলেজ নিয়ে কাফিরদের মিডিয়ার উপর নির্ভর করে কত্ত সুন্দর বলে দেয় এরা ইল্যুমিনাতির এজেন্ট! বছর পাঁচেক আগে আমার তো তাদের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল, তাহলে আমিও একজন ইল্যুমিনাতি এজেন্ট!!?
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা মানুষকে তার প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সিক্রেট সোসাইটি গুলো জিউইশ টোটালেটেরিয়ান ইউটোপিয়ান ড্রিমকে বাস্তবায়নের জন্য দাজ্জালের আন্তরিক প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। আমরা নিজেরা কিছুই করছি না। আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকারের ব্যপারে একরকমের মিথ্যাবাদী। অথচ, আল্লাহর পথে সবচেয়ে এঙ্গেজড যারা তাদেরকেই শয়তানের অনুচর সাব্যস্ত করি কোন দলিল প্রমাণ ছাড়া! কাফিরদের কাছে পিসফুল মুসলিম আইডেন্টিটি নিয়ে আরামে দিন কাটাতে চান? এজজ্যই আল্লাহ জিল্লতি চাপিয়ে দিয়েছেন। এখন আর ওই সুযোগ নেই। এইমাত্র দেখলাম ফ্রান্সে জঙ্গীবাদীদের চিহ্ন হিসেবে ধরেছে দাড়ি,টূপি, হিজাব,নিকাব,বোর
.
৯/১১ এর হামলা যে তাঞ্জিমুল ক্বায়িদার ছিল সেটা বাংলাদেশের বিসিএস ক্যাডাররাও জানে এবং কেউ কেউ পজেটিভলি দেখে(নাম বললে বিসিএস কোচিং করনে ওয়ালারা অনেকেই চিনে যাবে, বেচারা অযথাই নযরদারীতে পড়বে)। কিন্তু আপনারা দেখেন না কারন পিস নস্ট হয়েছে! এটা আপনার দৃষ্টিতে ইন্সাইড জব কারন ভিডিও ডকুমেন্টারিতে দেখেছেন। বড় দলিল হচ্ছে কার্টুনে টুইন টাওয়ার হামলার দৃশ্য আছে। মাথায় কি এতটুকু চিন্তাশক্তি নেই যে এসব কার্টুন গুলো সেই একই এজেন্ডারই তৈরি। গনকরা তো শয়তানের মাধ্যমে অনেক বড় বড় খবর আংশিকভাবে আগাম জেনে নেয়, হাদিসেও পড়েছেন, কিন্তু যখন নলেজ এপ্লাইয়ের সময় আসে তখন কুফফারদের দেখানো জিনিসগুলা ইরিফিউটেবল হয়ে যায়,তাই না? ধরুন আমি অল্প খরচে একটা আল্ট্রা লাইট এয়ারক্রাফট বানিয়ে, পেন্টাগনের মত কোথাও ইশতেহাদি হামলা চালাই, ইল্যুমিনাতি ইল্যুমিনাতি বলে চিৎকার দিয়েন।
.
যারা ৯/১১ এর হামলাকে অস্বীকার করে বা ইন্সাইড জব মনে করে এরা কয়েক ক্যাটাগরিতে পড়েঃ
*মানসিকভাবে পরাজিত, মুসলিমরা এত বড় কিছু করতেই পারে না। গিয়া দ্যাখেন সিআইএ করছে।
*ইসলাম কখনোই খারাপ না, খুব খুব ভাল, কোন মারামারি করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। মারামারি সব করে অমুসলিমরা। আমরা উদার, এক পায়ে গুলি করলে আরেক পা এগিয়ে দেই। নেও ভাই গুলি করো, দেখছো আমরা কত্ত ভাল! ইসলামি শাসন অনেক আগে ছিল, এখন নাই, হতে পারে যদি আমরা সবাই ভাল হয়ে যাই পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এমনি এমনিতেই শরীআ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসলামে যুদ্ধ নেই।
*৯/
*ইসলামে আছে নফসের জিহাদ, যুদ্ধ বহুত আগেই শেষ হয়ে গেছে। কতিপয় খারেজিরা আছে যারা যুদ্ধ করে অশান্তি করছে এরাই সব অশান্তির মূল।।এরা ইহুদির দালাল। ইলুমিনাতির এজেন্ট!
*খুব জ্ঞানগম্ভীর একটা ডকুমেন্টারি দেখলাম, আমি বিশ্বাস করি ৯/১১ ইন্সাইড জব।
.
আইরনিক্যাল ফ্যাক্ট হচ্ছে, অখ্রিষ্টান যাদেরকে দেখেন এসব কন্সপাইরেসি ভিডিও বানায় আর ব্রেইনওয়াশ করে ৯/১১ ইন্সাইড জব, এরা অধিকাংশই অকাল্ট ফিলসফির অনুসারী। Hegelian trap! যাদের ভিডিও দেখে দাজ্জালের ব্যপারে সচেতন হচ্ছেন এরাই দাজ্জালের খাটি চ্যালা! বিখ্যাত কোন ইউটিউব চ্যানেল ফলো করেন? থ্রাইভ নাকি Zeitgeist?
ইল্যুমিনাতি নিয়ে মানুষ খুব আগ্রহবোধ করে, কিন্তু আগেও বলেছি আবারো বলি, ইল্যুমিনাতি এ্যাক্টিভ কোন সংগঠন নাও হতে পারে। এটাকে তৈরি করা হয়েছে যাতে সব মানুষ এর ঘাড়ে সব অনর্থের দায় চাপায়, এটাই কিন্তু হচ্ছে। অথচ সবচেয়ে জঘন্য হচ্ছে বাতেনিয়্যাহ গোষ্ঠী(Esoteric schools)। আপনি শুনলে অবাক হবেন, এই বাতেনি মালাউনদেরই একটি শাখা ইল্যুমিনাতিকে গালি দেয়! ব্যপারটা প্যারাডক্সিক্যা ল নাহ?দাজ্জালের পূজারীরা তাদের সংগঠন ইল্যুমিনাতিকে গালি দেবে কেন! যারা ফ্রিম্যাসন, ইল্যুমিনাতি নিয়ে খুব ঘাটাঘাটি করে এরা মূলত শয়তানের জাহেরি দিকটাকেই চেনে কিন্তু এর আন্ডারলেইং কন্সট্রাক্টের ব্যপারে কিছুই জানেনা বা বোঝে না। না বোঝাটা একদিক দিয়ে ভাল আবার খারাপও। সমস্ত গুহ্যবাদ আর অধিবিদ্যা নিয়ে থাকা বাতেনি সংগঠনগুলোর মূল হাতিয়ার হচ্ছে যাদুবিদ্যা এবং যাদুশাস্ত্র উৎসারিত কুফরি বিলিফ সিস্টেম বা প্যাগান ওয়ার্ল্ডভিউ। এর উপরেই কিন্তু মাসূনীরাসহ সবাই আছে। আপনি কমনগ্রাউন্ড না চিনে সারাদিন জাহেরি সাইনবোর্ড ইল্যুমিনাতি নিয়ে থাকলে ওদেরকে চিনতে পারবেন না। যদি ইল্যুমিনাতি বা ফ্রিম্যাসনের মত নতুন কোন সোসাইটি গঠন করে উন্নয়ন সমৃদ্ধি আর প্রগতির কথা বলে, এদেরকে মোটেও চিনবেন না। ধোঁকা খেতেই হবে। ইল্যুমিনাতি সক্রিয় কোন এজেন্ডা কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। শয়তান কিছু করলে সেটা সিক্রেট সোসাইটির মত সিক্রেসি মেইনটেইন করেই করবে। সম্ভাবনা আছে এমন সিক্রেসি মেইন্টেইন করবে যে সাধারন ইন্টারনেট ইউজার এদের কাজ তো দূরে থাক, নামই জানবে না। এরা সাধারন অনলাইনেও কোন এক্টিভিটি রাখবে না, যোগাযোগের জন্য ডিপডার্ক ওয়েব তো আছেই বরং চেষ্টা করবে এর চেয়েও নিরাপদ কোন মাধ্যম অনুসরনের। ইবলিসের অনুগত ভৃত্যরা কি এতই বোকা!?
যাইহোক,
সবকিছুর আগে সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে দ্বীনি বেইসিক ইল্ম অর্জন করা। এরপরে গো+এষণায় নামলে কোন কথা নেই। এটা ছাড়া গবেষণা করলে এরকম হাজারও সমস্যা ভুলের মধ্যে দিয়ে নিজেদের + সাধারন অনুসারীদেরকেও নিয়ে যেতে হবে, দেখা যাবে যে এক কুয়া থেকে বের হতে গিয়ে আরেক কুয়ায় পড়তে হবে। এজন্য একটা দ্বীনি কন্সট্রাক্টিভ বেইসিক জ্ঞানের বিকল্প নেই। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। ওয়ামা তাওফিক ইল্লা বিল্লাহ।
ভাই আপনি যেহেতু এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জানেন তাই আলাদা করে বেশি বলতে হবে না আশা করি। আমরা জানি যাদুবিদ্যা বা অকাল্টিজমে নিউমেরোলজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যাদুকররা বিশেষ কিছু সংখ্যাকে পাওয়ারফুল মনে করে যেমন- ১১। এছাড়াও অকাল্টিস্টরা ১১ এর পাশাপাশি ২২, ৩৩, ৪৪ ইত্যাদি ১১ এর গুণিতকগুলোকেও ব্যবহার করে।
ReplyDeleteএখন ৯/১১ প্রসঙ্গে আসি। ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখটাকেই ওরা নিউমেরোলজি ইউজ করে সিলেক্ট করেছে। এমনকি টুইন টাওয়ার বিল্ডিং দুটাও ইংরেজি 11 সংখ্যাটার আদলে নির্মাণ করা ছিল। প্রথম যে বিমানটা গিয়ে টাওয়ারে আঘাত করে, সেটার ছিল 'American airlines Flight-11'। এরকম আরো অসংখ্য নিউমেরোলজিকাল কম্পিলেশন আছে, বোঝার সুবিধার্থে একটা লিংক দিয়ে দিলাম। একটা লিস্ট পেয়ে যাবেন এখানে https://www.cuttingedge.org/NEWS/n1756.cfm
আশা করি বুঝতেই পারছেন সম্পূর্ণ বিষয়টা ছিল এই ম্যাসনিক সিক্রেট সোসাইটির দ্বারা কৃত একটা মেগা অকাল্ট রিচুয়াল। নাহলে কখনোই এরকম '১১' ভিত্তিক সবকিছু ঘটতো না। তানজিম আল-ক্বায়িদার মুজাহিদীন যদি সত্যিই এই হামলা করতেন তাহলে কখনোই এরকম নিউমেরোলজিকাল ম্যাচ পাওয়া যেত না! আরেকটা প্রমাণ হলো কার্টুন, টিভি, মুভি, মিডিয়াতে অসংখ্যবার ৯/১১কে ঘিরে এক ও অভিন্ন মেসেজ দেয়া, যে ইঙ্গিতগুলো অস্বীকার করা সম্ভব না https://youtu.be/_AUclXzapJo
আমাকে মাদখালি বা র্যান্ডের ডিজাইনকৃত মডারেট ইসলামের অনুসারী ভেবে ভুল করবেন না। আল ক্বায়িদা এরকম হামলা করলে আমি কখনোই বিরোধীতা করতাম না, বরং পূর্ণ সমর্থন জানাতাম। কিন্তু প্রোপার এভিডেন্স পাওয়ার পর এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি যে ৯/১১ সম্পূর্ণ ইনসাইড জব ছিল। আশা করি আপনিও ২য়বার যাচাই করে দেখবেন। আর আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
https://aadiaat.blogspot.com/2021/09/blog-post_20.html?m=1
Delete