করোনা নিয়ে তেমন কিছু লেখার সময় পাইনি। টিকা নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না লিখে থাকতে পারছিনা।
করোনা রোগটাকে অনেকেই অস্বীকার করে যেটা আমাকে অবাক করে, আমি করোনা ইউনিটে রোগীদের মধ্যে টানা ৯-১০ দিনের মত ছিলাম। ৫-৬ টা পেশেন্টের একদম নিকটে থেকেছি। তাই সবকিছু খুব ক্লোজ অবজার্ভ করার সুযোগ ছিল। আসলে রোগটা সাধারন জ্বর কাশি থেকে নিউমোনিয়া তৈরি করে মিল্ড হাইপোক্সিয়া থেকে সিভিয়ার এ্যাকিউট হাইপোক্সিয়া তৈরি করে শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমিয়ে লাঞ্জ বিকল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাকদিরে যাদের মৃত্যু ছিল তারা মারা গেছে। আমরা জানিনা ভাইরাসটা ম্যানমেইড নাকি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। ওয়াল্লাহু আ'লাম। তবে এটাকে কেন্দ্র করে ম্যানডাটরি ভ্যক্সিনেশনের দিকে হিউম্যানিটিকে ড্রাইভ করার দিকে তাকালে মনে হয় একটু সন্দেহ উদয় হয়। কেমন যেন মনে হয় বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যই এই ভাইরাস বানিয়ে ছাড়া হয়। হয়ত আপনি একবারো আক্রান্ত হননি কিন্তু ভ্যাক্সিন দিতেই হবে। আমি করোনার মধ্যে ছিলাম, ধরে নেয়া যাক আমার শরীর এর এ্যাণ্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তারাও এই ভাইরাস রেজিস্টেন্স হয়েছে, এরপরেও কিসের ভ্যাক্সিনেশন!? করোনার ভ্যাক্সিনটি mRNA যেধরনের ভ্যাক্সিন আগে কখনোই ব্যবহার হয়নি। জনগণ কি গিনিপিগ যে,আনটেস্টেড সেরাম শরীরে দেয়া হবে? তাছাড়া একটা বড় সমস্যা হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর রূপ বার বার পরিবর্তিত হয়,শতশতবার রূপ বদলিয়েছে, তাহলে ভ্যাক্সিন কয়শত বার দিয়ে ভাইরাসকে চেনাবে? একটা ভাইরাসের বিহেভই ভাল করে না জেনে সেটার প্রতিষেধক কিভাবে বানানো সম্ভব!? সবচেয়ে বড় সমস্যা একটা পরিবর্তনশীল ভাইরাসের ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি করতেছে? ধরেন এ ভাইরাসের একটা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা, এটার ভ্যাক্সিন দেওয়া হলো, দুইদিন পর ভাইরাস রূপ বদলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসলো, এটা ধরুন আরো ভয়াবহ, আগের টাইপের ভ্যাক্সিন এখন অবসোলেট। সেই সেরাম এন্টিবডি কে যে ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস চিনিয়ে দিয়েছে, পরের ভ্যারিয়েন্টের বেলায় তো সেটা করবেনা। ধরেন এটার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হলো। একমাস পর আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট আসলো সেটার জন্য কি তাহলে আরেকটা?? এর শেষ কোথায়!!? অর্থাৎ এই রোগের কথিত ভ্যাক্সিনটা বার বার ইঞ্জেকশন নেওয়ার রাস্তা খুলে দেয়।এবার চলেন বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে। তারা আমাদের শরীরে যে ধরনের সেরাম ইঞ্জেক্ট করতে চাইছে এটাকে বলে এমআরএনএ ভ্যাক্সিন অর্থাৎ ম্যাসেঞ্জার-RNA। ছোটবেলায় পড়েছিলেন DNA RNA মনে পড়ে ? ডিএনএ সেলসমূহের ফাংশন কি হবে কিভাবে হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করে। RNA একদম ফার্স্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, এটা প্রোটিন গঠনের ক্ষেত্রে ডিএনএ এবং রাইবোজোম এর নিকট ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক এর ভূমিকায় কাজ করে। ডিএনএ থেকে তথ্য নিয়ে আরএনএ প্রোটিনে রূপান্তর করে। অর্থাৎ প্রোটিন কিভাবে বানাবে সেটার ফাংশন কি হবে সেসকল ইন্সট্রাকশন সেট RNA বহন করে। একটু ভাবুন তো যদি কোন ফরেন সিন্থেটিক সেরামে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর mRNA দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরে করাপ্টেড প্রোটিন বানাবে! মানে শরীরের বেসিক ফাংশান মৌলিকভাবে চেঞ্জ করা হচ্ছে। আল্লাহ শরীরে যেই ইন্সট্রাকশন সেট দিয়ে দুনিয়াতে আমাদের পাঠাচ্ছে, সেটাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এডিট করা হচ্ছে। সুতরাং সৃষ্টিকে পরিবর্তন যেহেতু শয়তানি কাজ বুঝাই যাচ্ছে এখানেও সেরকমই সৃষ্টিতে সরাসরি পরিবর্তনের একটা ব্যপার আছে। যদি RNA ইন্সট্রাকশন সেটে ভাল কিছুও থাকে তাও সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। ফান ফ্যাক্টঃ করোনা ভ্যাক্সিন বানাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো এরা একেকটা বায়োটেক কোম্পানি। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় শয়তানি এরাই করে থাকে।
আপনার একটা আঙ্গুল কেটে আলাদা হলে কি সেটা আর গজাবে? গজাবে না। ঠিক একইভাবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ শরীরে প্রবেশ করালে আপনার দেহের মৌলিক ফাংশান আজীবনের জন্য পরিবর্তিত হবে। এটা অনেকটা ডিফল্ট সেটিং টাকেই পালটে ফেলা। অর্থাৎ এমআরএনএ ভ্যাক্সিন দিলাম মানেই নিজেকে কোনদিক দিয়ে অজ্ঞাতভাবে আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ বা নস্ট/চেঞ্জ করে দিলাম। আমেরিকার সিডিসির অফিশিয়াল পেইজ থেকে কপি- "Messenger RNA (mRNA) vaccines teach our cells how to make a protein that will trigger an...."। যাই হোক ওরা বলবে এটা ভ্যাক্সিনকে ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে অটোইমিউন সিস্টেম বানাবে,কিন্তু সেখানে ভাইরাস চেনানোর ইন্সট্রাকশন সেট নাকি অন্য কোন কিছু সেটা কি আপনি দেখেছেন বা সুনিশ্চিত জানেন নাকি তাদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছেন? এই "তাদের" মানে কারা? উত্তরে তাদের আসল পরিচয় একটাই আসে, এরা হলো - কা ফি র। আল্লাহর অবাধ্য, শয়তানের অনুগত। ওরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এক হয়ে কাজ করছে? উত্তর হচ্ছে- আসন্ন সম্রাট মসীহ আদ দা জ্জা ল এর। WHO ওদের মসিহের অপেক্ষাতেই সততার সাথে কাজ করছে, এটা ওরই প্রতিনিধি। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কাদের? উত্তর- এজেন্ডা ২১ তথা জাতিসংঘের। হু কাদের অঙ্গ সংগঠন? উত্তর - জাতিসংঘের,যেটা তৈরিই হয়েছিল ইহুদিবাদি মিশন বাস্তবায়নে,যেটা দাজ্জালেরই এজেন্ডা। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর লক্ষ্য নিয়ে লিখেছিলাম বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের শেষ পর্বে। তারা দুনিয়াতে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। যদি আপনার বডির প্রোটিনের এক্সপাইরেশন টাইমার দিয়ে বা করাপ্ট করার ইন্সট্রাকশন এনকোড করে mRNA শরীরে ইঞ্জেক্ট করানো হয় তাহলে তো এই সাস্টেইনেবল গৌল খুব সহজে এ্যাটেইন করা যায়। যাদের এরকম পরিকল্পনা আছে তাদের প্রোপাগান্ডায় কর্ণপাত করে শরীরে ওদের বায়োটেক কর্পোরেশন গুলোর তৈরি লিকুইড বায়ো-প্রোগ্রাম ইঞ্জেক্ট করা কি বোকামি হয়ে যায়না?
ডিএমসির এক এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে সাথে সারাক্ষন যোগাযোগ ছিল,তিনি আমাকে বলেন প্রায় ৩০+ ডাক্তারকে হত্যা করে গুম করা হয় ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এতে বুঝতে পারি ওদের উদ্দেশ্য ভাল কিছু নাহ। এজন্যই ডাকাতের বিরুদ্ধে কথা বললে যেভাবে জবান চিরতরে বন্ধ করে সেটাই করছে। ওদের নিয়ন্ত্রিন মিডিয়াতে ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায়না। সব কন্টেন্ট ডিলিট করা হয়। সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়না। যেন কোথাও কেউ কিছু বলছেনা, সব কিছু স্বাভাবিক। সব সেকটর তাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই উনারা যা বলবে সবকিছু ঠিক এবং সেটাই মানতে হবে। বিরোধিতা করা যাবেনা করলেও সেটা প্রচারও হবেনা।
ধরে নেন, ভ্যাক্সিন খুবই উপকারী কিছু, তাহলেও এটা গ্রহন করা উচিত হবে(?) যেহেতু এটা গায়ে ঢোকানো মানেই আমাদের শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ায় আল্লাহর সৃষ্ট মৌলিক নীতি তে হস্তক্ষেপ করে পরিবর্তন করা, পালটানো। এটা তো সুস্পষ্ট শয়তানেরই আদেশ।আল্লাহ শয়তানের এই কাজের ব্যপারে বলেন-
"……আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।"
(QS. An-Nisa' 4: Verse 119)
অর্থাৎ শয়তানের অনুগত কাফিরদের মধ্যে সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশকে এক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। মডার্না যখন ভ্যাক্সিন বানায় তখন তারা কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করে যেগুলা পাঠলে অনেক রকম সন্দেহ আসবে। একটা বাক্য অনেকটা এরকম, "এই ভ্যাক্সিন গ্রহনে শরীরে নতুন ফিচার যুক্ত হবে।" আমাদের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড কে উত্তেজিত করার শিক্ষা দেয় শয়তানের অনুসারীরা। এতে করে যেটা বোঝা যায় শয়তান জ্বীনদের মানুষের শরীরে এক্সেস সহজ করা হয়। যদি ভ্যাক্সিনে এমন কোন কম্পোনেন্ট থাকে যেটা একই কাজ করবে, তাহলে আসন্ন দাজ্জালের আবির্ভাবের ফলে শয়তান জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া, কিংবা দাজ্জালের কোন ফিতনায় পতিত করা সহজ হবে। এরকম কোন উদ্দেশ্য এই ভ্যাক্সিনেশন এর লক্ষ্য হওয়া অসম্ভব না।
আমি লক্ষ্য করেছি ভাইরাস মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্বাস সম্পূর্নভাবে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পানি সংক্রান্ত বিশ্বাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তার ব্যক্তিত্বও একদম পালটে যায়,এক শিশুকে তো দেখেছি কুকুরের মতই ঘেউঘেউ করে। সুতরাং সিরিঞ্জে ভরা সেরাম শরীরে ইঞ্জেক্ট করে মানুষের এ্যবস্ট্রাক্ট ভিউ,পারসোনালিটি পালটে ফেলা অসম্ভব নাহ। ধরুন এমন কোন ফাংশন ক্যারি করে যেটা আপনার বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, ধরুন কাফিররা প্ল্যান করলো সকল মানুষকে এমন সেরাম ইঞ্জেক্ট করা হবে যার ফলে সকল মানুষ দাজ্জাল বের হলেই তাকে ইলাহ বলে মান্য করবে,তার অনুসারী হবে। এরকম কিছু করা অসম্ভব লাগেনা যেখানে একটা সাধারন ভাইরাস ধারনাকে পালটে ফেলতে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত নই ওরা কি করছে, তবে যাই করুক সেটাকে ভাল বলে মনে হয় না। ধরুন আপনি ভ্যাক্সিন দিলেন। এখন কোন সমস্যাই ফিল করছেন না, কিন্তু ১০ বছরের মাথায় মারাগেলেন। আপনার সাথে সকল ভ্যাক্সিনেটেডরা টপ টপ করে মারা যেতে লাগলো। ব্যপারটা ভয়ংকর না? ডিপপুলেশন প্রোগ্রাম অনুযায়ী ওরা এমনটা করতেই পারে। মোটকথা ওরা কাফির, তারা আমাদের শত্রু, এরা আপনার ক্ষতিই চায়। ওরা শরীরে কিছু ভরতে চাইলে সেটা চোখ বুঝে গ্রহন করা নির্বোধ লোকের কাজ ছাড়া কিছুই নয়। কিছু ভাইকে দেখেছি ভ্যাক্সিন নিয়ে আজওয়া খেজুর খেতে পরামর্শ দেন। আসলে আঙ্গুল কেটে ফেলে দিলে সেটা আর গজাবে না, কিন্তু চামড়া কেটে গেলে কিংবা বিষাক্ত কিছু লেগে ঘা হলে, তাতে ওষুধ দিলে রিভার্স হবে। ওদের mRNA ভ্যক্সিন চামড়া কাটবেনা বরং একদম আঙ্গুল কেটে আলাদা করে দেবার মতই শরীরের ফাংশন স্থায়ীভাবে চেঞ্জ করে দেবে। এখানে আজওয়া খেজুরের তেমন ভূমিকা থাকার কথা নাহ। তবে আল্লাহ চাইলে ক্ষতি নাও হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় রিস্ক না নিয়ে গায়ে সুঁচই না ভরা। এতে কোভিডের সার্টিফিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। এ বিষয়ে মুহতারাম ইদ্রিসভাইয়ের একটা চমৎকার সল্যুশন আছে। তাকে ইনবক্স করে জানতে হবে। যেসব বোনেরা কখনো চাকরি করবেন না,বাসার ভেতরেই গৃহিনী হিসাবে থাকবেন। তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জরুরত দেখিনা। তবে ভ্যাক্সিনেশন এর জেনুইন সার্টিফিকেট রাখা উত্তম।
ইমরান ভাই। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন। আমি আবু আব্দুল্লাহ। আমার আরবি আইডিতে মেসেজ দিয়েন ভাই। আপনার কোনো ফেইক আইডি দিয়েই হোক।
ReplyDeleteভাই তাহলে দুনিয়ায় চলতে হলে সার্টিফিকেট কই পাবো?
ReplyDeleteআমাকে এ বিষয়ে সাহায্য করুন বেশি বেশি জানার
ReplyDeleteকাফিরদের ভ্যক্সিন নেওয়া ঠিক হবেনা৷ তাহলে অন্যান্য ভ্যাক্সিন গুলো আমাদের মায়েরা, আমাদের শিশু বাচ্চাদের তো ঠিকই দিতেছেন, এখানে কোনো অভিযোগ নেই কেনো,
ReplyDeleteপ্লিজ এই প্রশ্নের উত্তর আমার চাই। সেগুলোই তো কাফিরদের বানানো ভ্যক্সিন।