ইসলাম বিরোধী আওয়ামী তাগুতলীগের পতন হয়ে গেল। বিষয়টা আমারও প্রত্যাশিত ছিল না। আমি যেভাবে প্রেডিক্ট করতাম তখনকার ডলার রিজার্ভ ৮ বিলিয়নের নিচে ঠেকেছিল। হয়ত আর 3-4 মাস চলত রিজার্ভ দিয়ে। দেশটা শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হত, তারপর বিদ্যুত থাকত না, তেল থাকত না, চরম মুদ্রাস্ফিতী ঘটত, দ্রব্যমূল্যের চরম উদ্ধগতিতে দুর্ভিক্ষ শুরু হত, তখন সাধারন জনতা রাস্তায় নামত। কারন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। গন অভ্যুত্থান তখন ঘটত।
কিন্তু কোটা আন্দোলনেই সরকার পরে গেল। ওদেরকে পরাস্ত করলো একদম এ্যাপলিটিক্যাল ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যারা বিএফ জিএফ, জেমসের গান, হলিউড বলিউড নিয়ে সর্বদা বিজি থাকত। পলিটিক্যাল ভিউ ছিল এদের "আই হেইট পলিটিক্স"। এদের কেই আল্লাহ ব্যবহার করলেন চরম ইসলাম বিদ্বেষী এই শক্তির বিরুদ্ধে । এটা আল্লাহর সুন্নাহ, তিনি দুর্বল কে ব্যবহার করেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। যেমনটা আবাবিল পাখি ব্যবহার করেছেন আব্রাহা বাহিনীর বিরুদ্ধে, নমরুদকে পরাস্ত করেছেন মশা দিয়ে, ছোট্ট দাউদকে(আ) কে দিয়ে দানবাকার জালূতকে পরাস্ত করেছেন, এমনকি দুর্বল ইহুদিদের শক্তিশালী দানব আমালিকা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কিত্বালের জন্য নির্দেশ করেছিলেন যদিও ইয়াহুদি সম্প্রদায় তাদের স্বভাব সুলভ আচরন তথা প্রত্যাখ্যান করেছিল। একই ভাবে এই বিপ্লবও সম্পন্ন হয়। শেখ হাসিনা প্রান নিয়ে বিদেশে পালায়। ওদের প্রভু মালউন রাষ্ট্র ভারত এর বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে ফোন কলে বাংলাদেশ কে ভারতীয় সেনাসন্ত্রাসী দ্বারা আক্রমনের জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করেও কোন লাভ হয়নি। উল্টা ভারত আতঙ্কে ছিল কখন না জানি আক্রান্ত হয় তাই সীমান্তে বিশাল প্রতিরক্ষা বর্ম তৈরি করে রাখে। আল্লাহ কাফিরদের হৃদয়ে কিভাবে ভয় ঢুকিয়ে দেন এটা ভালভাবে দেখেছি, হাসিনা পলায়নের পর অনেক কয়টা দিন দেশ একদম সরকারবিহীন ভালনারেবল অবস্থায় থাকে। কিন্তু এত সুন্দর সুযোগ দেখেও তারা ট্যাংক ঢোকানোর সাহস পায়নি। ভারতের চোখে জামাত শিবির, হেফাজত, তাবলিগী নিরীহ মুসলিমরা যতই লিবারেল হোক না কেন সবাই মৌলবাদি জঙ্গী, এমন কি বর্তমানের ইউনূস সরকার ও সকল ছাত্র নেতারাও নাকি জঙ্গী। এরকম প্রচারনা আমরা রিপাবলিক বাংলা, আজতাক বাংলায় দেখতে পাই। এমন কি শাইখ জসীমউদ্দিন রহমানির মত বৃদ্ধ নিরীহ আলিমকে ছোট লাদেন বলে সম্বোধন করে। ওদের ন্যারেটিভে এখন জঙ্গীরা পুরোপুরি ক্ষমতায় আছে , রাস্তাঘাটে তাওহীদের পতাকা উড়তে দেখে আতংক চরমে। এখন পর্যন্ত সামরিক আগ্রাসনের সাহস না করলেও আওয়ামী হিন্দু বাম ভারত ও আমাদের দেশের সকল সামরিক শাখার ভারতপন্থীরা মিলে ভবিষ্যতে আক্রমন আগ্রাসন দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে এটা সুনিশ্চিত। বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ গা ছাড়া দিয়ে বসে বসে বেতন নিতেছে, তারা নমরুদ খ্যাত সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বেনজীরের কমান্ড পালন করছে। তারা আইনশৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি কৃত্রিমভাবে ঘটিয়ে জনগনকে বুঝাতে চাচ্ছে হাসিনার আমলই ভাল ছিল এবং বর্তমান সরকার ব্যর্থ।এ পরিকল্পনা সফল। জেনারেল ওয়াকার যদিও বাহ্যিক ভাবে এখন খুব জনবান্ধব ভাব নিচ্ছে, 3 আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন কারী ছাত্রজনতাকে দুষ্কৃতিকারী বলে সম্বোধন করছিল। সে মূলত ভারত হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী। কয়েক দিন আগে বিডিআর নিহতদের সম্মেলনে ইনক্লুসিভ নির্বাচন মানে আওয়ামীলীগসহ নির্বাচন এবং বিভিন্ন দলের মাঝে ইউনিটি না রাখলে সার্বভৌম হারানো তথা ভারতের আগ্রাসন হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। আমি মনে করি সামনে আরেকটা বিপ্লব অপেক্ষা করছে, সেটা হবে তাওহীদ বনাম কুফরের। তাওহীদি জনতা ভার্সেস সকল তাগুতি শক্তি। সকল তাওহিদী শক্তি, যারা এখন মুখ দেখিয়ে প্রকাশ্যে কাজ করছেন তাদের উচিত বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্রিক প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সাংগঠনিক ভাবে কিছু করা। ইমারত গড়া। শূরা আমির গঠন করা। প্যারালাল সরকার গঠন করা। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সবটাই রিয়্যাকশনারী। এটা থেকে বের না হতে পারলে সামনে অনেক রক্তপাত দেখতে হবে। বাংলাদেশের ডিপস্টেট এখনো ইসলাম বিরোধী এবং ভারতপন্থী সুতরাং জনগন এখনো মুক্তি পায়নি। সামনের নির্বাচনে ক্ষমতায় তারাই আসবে যারা ভারতের পদলেহন করবে।
আসসালামু আলাইকুম ভাই , কালো কালার থাকায় চোখ ধরে। সাদা করে দিলে ভাল হয়।
ReplyDelete