আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি সকলে আল্লাহর ইচ্ছায় ভাল আছেন। একটা বিষয়ে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যা নিয়ে শেষপর্যন্ত লিখতেই চলে এলাম।
"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" সিরিজ নিয়েই দুশ্চিন্তা! আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করতে শুরু করেছেন ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের গভীর থেকে গভীরতর তত্ত্বের দিকে যাওয়া হচ্ছে। যত গভীরে প্রবেশ করছি, দেখতে পাচ্ছেন তত কুফরি আকিদা এবং যাদুবিদ্যাভিত্তিক শাস্ত্রের গহীনে যাওয়া হচ্ছে। আমার ভয় হয়, এসব পড়ে কেউ আবার কেউ ঈমান - কুফরের ফিতনায় পড়ে যায় কিনা। এজন্য ক'দিন আগে এক দ্বীনি ভাইকে বলছিলাম যতদূর গিয়েছি এবার থেমে যাব কিনা। তিনি সাহস দিয়ে থামতে নিষেধ করলেন। একটা বিষয় হচ্ছে, আমি এ সকল বিষয় না এনে পারিনা, কারন এগুলোই বিজ্ঞানের আসল পরিচয়, আসল রূপ। বিজ্ঞানীদের আসল আকিদাহ। এসব এড়িয়ে গেলে বিজ্ঞানের আসল পরিচয়কে গোপন করে আজীবন বৈধবিদ্যার মর্যাদায় রেখে অনুসরণ চালিয়েই যাওয়াতে সহযোগিতা করা হবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কোন বিজ্ঞানপ্রিয় মুসলিম মুসলিমাহগন আমার বিরুদ্ধে এসব ডকুমেন্টস রিফিউট করতে সাহস করে না, কারন এটাই বাস্তবতা। কি করে সত্যকে অস্বীকার করবে বলুন! আমার খুব দুঃখ এবং ভয় হয় যে আমার পিছনে এমন কেউ নেই যার উপর নির্ভর করে নিশ্চিন্তে কিছু লিখব, কারন এ এমনই কিছু বিষয় যা আমার পূর্বে কেউই লেখেনি। এজন্য স্বীয় অবস্থানগত বিশুদ্ধতার সন্দেহে প্রতিনিয়ত অজানা ভয় গ্রাস করে,যেহেতু কোন কোন আলিমই এমন র্যাডিক্যাল চিন্তায় যায়নি তাই তাদের থেকে স্বীকৃতি নেই । আমার কন্সেপচুয়াল মডেল একমাত্র সরাসরি আসহাবে রাসূল(সাঃ) এর সাথেই মেলে। এর মাঝের ১৩০০ বছরের মাঝে আর কাউকে খুজে পাইনা, আলিমদের বিপরীত অবস্থানের জন্য কখনো কখনো নিদারুণ অসহায়ত্বে ভুগি। অনেক প্রকারের ডিলেমার মধ্যে পড়ি। এমন চিন্তাও করি যে ভবিষ্যতে এমনও করতে পারি যে, আমি যাই বলেছি বা করেছি তা হঠাৎ করে সবকিছু মুছে দেই এবং যারা এর কিছু সংরক্ষন করেছে তা মুছতে আদেশ দেই[এমন কাজ সত্যিই করার সম্ভাবনা আছে]। কেননা আল্লাহ আযযা ওয়াযাল সবকিছুর হিসাব নেবেন। বিষয়টা চরমভাবে ভীত করে। কিন্তু আবার যখন কুরআন সুন্নাহের দিকে তাকাই তখন মনে হয় আমার অবস্থান বিশুদ্ধ এবং এসব কাজে আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআ'লার কাছে অসন্তোষজনক নয়। যাইহোক আল্লাহর কাছে যাবতীয় ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং যেকোন ধরনের বড় কোন বিভ্রান্তির কারন হওয়া থেকে পানাহ চাই। আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই আমার নিজের দ্বারা ঘটা অন্যের উপর যেকোন অনিষ্ট থেকে। আমি কারও উপকার যদি নাও করতে পারি, আমার দ্বারা যেন কেউই কোনরূপ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমিন।
যারা আমার কৃত নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্ট পিটিশনে যাওয়া হবে। কপিরাইট চেক করার এআই বটগুলো ভাল করেই জানে, আমার এ ব্লগের বাইরে আমার পূর্বে কোন ভাষাতেই এসকল বিষয়ে আমার আনিত বিশেষ স্ট্যান্ডার্ডে কিছুই নেই। সুতরাং এ জাতীয় পিটিশনে শতভাগ আনুকূল্য পাব বলে আশা করি।
এমতাবস্থায়, একমাত্র সীমিত পরিসরে লিংক শেয়ার ছাড়া আর কিছুর বৈধতা দিতে পারিনা। এতেও যদি ভবিষ্যতে কোন ফিতনার আশংকা করি তবে এটার পথও বন্ধ করার জন্য বলা হবে। আমি এমনিতেই সমস্ত পর্বগুলোকে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করব। আমি এ সংক্রান্ত সকল বিষয়কে একটা বিশেষ শেইপে পূর্নতাদান করতে চাই যেহেতু এই ফিতনা ২০১৬ এর দিকে আমার হাতেই জন্ম। আমি কোনভাবেই এসকল ধ্বংসাত্মক বিষয়গুলোকে ছেলেখেলা বানিয়ে যার যার মত অনুসারে ছড়িয়ে সুদূরপ্রসারী ফিতনাহর জন্ম দিতে পারিনা।
আমি ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি একদল ভাই মতে মিল না হওয়ায় অপর মুসলিম ভাইদের সাথে এমন রুক্ষ আচরণ করছেন যেটা একমাত্র কাফিরদের সাথে করাই শোভা পায়। সৃষ্টিতত্ত্বের বিশ্বাসের পার্থক্যে এমন আচরণ কখনোই সমর্থন করা যায় না। যারা শয়তান ও কাফিরদের হাতে নির্মিত সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাসস্থাপন করে, এরূপ ব্যক্তি যদি আমাদের গালমন্দও করে, আমরা তা মুখবুজে সহ্য করব, তাকফির করা তো অনেক দূরের বিষয় । ভদ্রতার সাথে জবাবের বাহিরে যেন কোনরূপ রূঢ় আচরণ অপর মুসলিম ভাইদের প্রতি না করি।
অনেকে আমার সাথে যোগাযোগের প্রত্যাশা করেন, আমি আগেই বলেছি সময়ের অপচয় এবং শুহরাতের থেকে বেচে থাকার জন্য অনলাইনে সক্রিয় অবস্থানকে অপছন্দ করি। আমি জানি না ভবিষ্যতে কবে আবারো ফেইসবুকে আসছি। তবে সব সময় "ইল্মুল কালাম ওয়াল ইসলাম" নামের আমাদের গ্রুপে নিয়মিত চোখ রাখি। ব্লগের মাঝেই আপাতত সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। এখানে কাজ শেষ হয়ে গেলে এখান থেকেও বিদায় নেব। ব্লগে আগে গুগলে লগইন না করে কমেন্ট করা যেত না , এখন পাব্লিকভাবে বিনা লগইনে যে কেউই মন্তব্য করতে পারবেন। তাছাড়া এ ব্লগে "ফলো" বাটন আগে ইনএ্যাক্টিভ ছিল, যেটা এখন এক্টিভ করেছি। যাইহোক আমি সবসময় চেষ্টা করব কমেন্টের জবাব দিতে। ইদানীং লেখালেখির কাজে নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছি বিভিন্ন ডিজিটাল হার্ডওয়্যারে সমস্যা হবার জন্য। ডিজিটাল স্টোরেজ এবং আমার অরগ্যানিক স্টোরেজ থেকে অনেক ইনফরমেশন হারিয়ে যাচ্ছে। দু'আর মুহতাজ।
ভাই, আমার মনে হয় অপবৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলোর সাথে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই ভ্রান্ত ধারণা গুলোকে ভালো করে রোস্ট করা উচিত যেমনটি আপনি করেছেন জিওসেন্ট্রিক কস্মোলজি সিরিজে। তাহলে ইনশাআল্লাহ কেউ ওয়াসওয়াসায় পড়ে যাবে না । অপবিজ্ঞান সিরিজে আসলেই অত্যন্ত জটিল ও সেন্সিটিভ নানা বিষয়ের আলোচনা এসেছে যেগুলো পড়ার পর অনেকেই না বুঝে সন্দেহে পড়তে পারেন। তবে আমার মনে হয় আপনি যদি সেগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি একই সাথে সেগুলোর অযৌক্তিকতা ও বিকলাঙ্গতাও প্রমাণ করে যান তাহলে অনেক ভালো হয়।
ReplyDeleteআর আমিও মনে করি আপনার এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া উচিত হবে না। কারণ এগুলো সম্পর্কে অবগত না থাকাটাও বিপদজনক। মানুষ গ্লোব আর্থকে যেভাবে চোখ বুজে মেনে নিয়েছে, বিজ্ঞানের প্রতি অন্ধ অনুসরণের ফলে এগুলোকেও গ্রহণ করে নেয়া আশ্চর্যের কিছু হবেনা। তাই আমার মতে আপনি যদি এই বিষয় গুলোকে আরেকটু সহজ ভাষায় তুলে ধরেন তাহলে ইনশাআল্লাহ মানুষ সেগুলো পড়ে অনেক উপকৃত হবে।
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
ReplyDeleteপ্রিয় ভাই আমার, আল্লাহর দোহাই, অনুগ্রহ করে আপনি আপনার কার্যক্রম বন্ধ করবেন না, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এসব চরম সত্য আমাদেরকে জানানোর জন্য আপনাকে মাধ্যম হিসেবে পাঠিয়েছেন, আমরা আপনাকে হারাতে চাই না ভাই
আপনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই আমরা আপনার ব্লগের হেফাজতের যথাসাধ্য চেস্টা করব ইনশাআল্লাহ
মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা যেন আপনাকে এসকল কাজের উত্তম প্রতিদান দান করেন ও জান্নাতুল ফেরদৌসে নসীব করেন।
ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপাতত বন্ধ করছিনা।
Deleteবিষয়টা সত্যিই ভাবনার যে এমন সাংঘাতিক বিষয় নিয়ে বিশদ লেখালেখি দেখতে পাওয়ার কথা ছিলো। সে স্থলে সবাই চুপচাপ! সত্যিই কেউ ব্রেইনওয়াশ করে দিয়েছে, কেননা ব্রেইনওয়াশ শব্দটাই শুনেছিলাম জঙ্গী শব্দের সাথে। বছরখানেক আগে দেশে কয়েকদিন জঙ্গী নির্মূলের মিশন শুরু হয়েছিলো। তখনই প্রচলিত ছিলো, তথাকথিত উগ্রবাদী সংস্থা ব্রেইনওয়াশ করে সাধারণ মানুষকে জঙ্গী হতে আহ্বান করে। আর জঙ্গী শব্দটাই যেন ব্যবহার হচ্ছিলো সন্ত্রাসী শব্দের প্রতিশব্দ রূপে। তা যাই হোক, আপনি সঠিক হয়ে থাকলে আল্লাহ্ আপনার মনের সংশয় দূর করবেন,
ReplyDeleteইনশাআল্লাহ্।
আমার মধ্যে কোন সংশয় নেই। মানুষ কিভাবে রিসিভ করবে এবং এর দ্বারা নতুন কোন ফিতনার জন্ম হয় কিনা এর ব্যপারে মাঝেমধ্যে সংশয়ের মধ্যে থাকি।
Deleteআমার ভাই। তোমার জন্য দোয়া রইল। আল্লাহ তোমার মেধা বৃদ্ধি করে দিন। আল্লাহ যেন আমাদের ১ সেকেন্ডের জন্যও পথভ্রষ্ট না করেন। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন। আমরা যেন শয়তানের খেলার পুতুল না হই। শয়তান যেন আমার ভাইয়ের সামনে দাঁড়াতে না পারে।
ReplyDeleteনা ভাই,,, ভুলেও off করবেন না,,,চাই না এগুলো হারিয়ে যাক সব,,,,কিংবা আপনি,,,আপনার দেখানো পথ ধরেই হয়তো আরো সাহসী জন্মাবে,,,যারা কুফরের সামনে সত্যকে তুলে ধরতে দ্বিধা করবে না,,,আরো বিস্তারিত ভাবে এইসব ফেৎনা তারা হয়তো তুলে ধরতে সক্ষম হবে,,,হয়তো আপনি বা আমি আমরা কেউ তখন বেচেঁ থাকবো না,,,একদল ঠিকই হক পথ এ থাকবে,,,তাছাড়া ব্যাক্তিগত ভাবে দুনিয়াবি ব্যাস্ততার কারনে আমার নিজেরও সব আর্টিকেল পড়ে শেষ করার সুযোগ হয়নি,,,শেষ করতেও অনেক দিন লাগবে,,, আর এগুলো আমি মুত্তাকী ভাইদের বন্ধুদের ও জানাতে পড়াতে চাই,,,এই অবস্থায় বন্ধ করে দিলে বরং ফেতনায় পড়ে যাবো,,,আর ভবিষ্যতে আরও অনেকে আপনার ব্লগ খুঁজে পাবে,,,তাদেরও জানাটা জরুরী বিস্তারিত,,,সত্য অন্বেষণ করা তো কেবল আপনারা একার দায়িত্ব না,,,আমাদের সবার ই জবাবদিহীতা করতে হবে,,,অনেকেই হয়তো আপনার আর্টিকেল পড়ে ফেতনায় পড়েও যেতে পারে,,,তবে তা থেকে উঠে আসা এবং রিকভার করার দায়িত্ব ও তার নিজের,,,নইলে তার ঈমান দুর্বল,,,আর ইনশাআল্লাহ এইসব লেখনীর জন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহীতা করতে হবে না,,,কেননা আপনি মূলে ফিরে গিয়েছেন,,,কোরআন সুন্নাহ এর দিকেই,,,প্রকৃত কঠিন সত্যের দিকে,,,যা গ্রহণ করা খুব ই কঠিন,,, আর যদি আপনার সমস্তই ভুল হয়,,,বা কিছু ভুল কিছু শুদ্ধ ও হয়,,,সেজন্য যদি আল্লাহর কাছে দাড়াতে হয়,,,ইনশাআল্লাহ সেদিন আমরা আপনার পক্ষে সাক্ষ্য দিবো,,,যারা আপনার দ্বারা ফেতনার যুগের নড়বড়ে ঈমান কে দূর্গ বানাতে পেরেছি,,,আর ইসলাম কে করে তুলতে পেরেছি ইহ জীবনের সব,,, জাজাকাল্লাহ খাইরান
ReplyDeleteওয়া আংতুম ফা জাঝাকুমুল্লাহু খইর। আখ্যি,আমি জানি ওই ভাই কখনোই তার কথার সত্যতা প্রমাণ করতে পারবেনা, এজন্য এটা জেনেই বন্ধ করবার কথা লিখেছি। পেরেশান হবার কিছু নেই। :)
Deleteআমি নিয়মিত আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
ReplyDelete