শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রিভুজ চতুর্ভুজ, বৃত্ত আসার খবর আমার এক রিলেটিভ এর কাছে বছর খানেক আগে পাই। সে বলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হইতেছে।
আসলেই তাই। প্রথমে সৃজনশীল, বেত ব্যবহার নিষিদ্ধ,এমনকি স্টুডেন্টদেরকে বকাও দেয়া যাবেনা, পরীক্ষার খাতায় কিছু না লিখলেও পাস এমনকি সারাদিন রাত পাবজি আসক্ত ছেলেও এ গ্রেড পেয়েছে দেখেছি। এরপরে এখন পুরা লেখাপড়াই বাদ দিয়ে রান্নাবান্না শিখানো আর ত্রিভুজ বৃত্তের ফলাফল নিয়ে আসা। মানে লেখাপড়া আর লাগেনা।
.
সৃজনশীল এসেই লেখাপড়া অর্ধেক কমিয়ে দেয়। বেত ব্যবহার নিষিদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা মাইরের ভয়ে যাও পড়ত তাও পড়া বাদ দেয়। এখন বেত বন্ধ করার পর ছাত্রের হাতেই উল্টা শিক্ষক চড়থাপ্পর খায়,ক'দিন আগেই ঘটেছে।
জুমে ক্লাস করানোর অজুহাতে বাচ্চারা এখন স্মার্ট ডিভাইস চালায়। প্রেম আর নীল জগত সহজ করে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ, এখন যেটা করা হয়েছে সেটা নজিরবিহীন। কোন পড়ালেখাই নাই একাডেমিক। অবস্থা দাড়িয়েছে, আর আট দশবছর পর জেনারেল থেকে কোন মেধাবী ইন্টেলেকচুয়াল স্টুডেন্ট বের হবেনা যারা ভবিষ্যতে স্টেট অপারেট করার একাডেমিক যোগ্যতা রাখে। এমনকি এদের অবস্থা এত খারাপ হবে যে, যে কওমী মাদ্রাসাকে অবজ্ঞা করা হয়, এখান থেকে জেনারেলের চেয়ে চৌকস মেধাবী শিক্ষার্থী বের হবে। আর জেনারেলের ছাত্র গুলো হবে মূর্খ গর্দভ কূপমণ্ডূক। এরা শুধু পারবে অশ্লীল টিকটক,মিম তৈরি, ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে। এখন যে লেভেলের অশ্লীল মিম পাবলিকভাবে লাইক কমেন্ট শেয়ার চলে তাতে মনে হয় ওই সময়টাতে জেনারেলের ছাত্রছাত্রীরা নীল ছবি তৈরির দিকে পা বাড়াবে।
.
এরকম জাতিকে মেধাশূন্য করার পিছনে কারা আছে?
-অবশ্যই রিসার্চ এ্যান্ড এ্যানালাইসিস উইং(RAW), অর্থাৎ ভারত। আপনারা কি জানেন এই ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হোক। ইভেন মালউন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত প্রতিবাদ করেছিল। এ ভারত সবসময়ই বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে বুদ্ধিহীন মেধাহীন করে রাখতে চায়। বুদ্ধিজীবীদেরকে যে গনহারে হত্যা করা হয় স্বাধীনতা যুদ্ধে, এটা কি আপনারা মনে করেন পাকিস্তান করেছিল? জ্বীনা এর পিছনে ছিল RAW। জহির রায়হানকে কারা গুম করে? উত্তর - এই RAW। ঠিক একই ভাবে ওদের ভাইব্রাদাররা এখন শিক্ষাবিষয়ক সকল মন্ত্রণালয় এর নীতি নির্ধারনের বড়বড় চেয়ার গুলোতে বসে আছে। যেখানেই তাকাবেন দাদাবাবুদের দেখবেন। সংখ্যাটা এত বেশি, মনে হয় যেন এটা কলকাতারই অংশ। আপনার কি মনে হয় দাদাবাবুরা মুসলিমদের জন্য ভাল কিছু করছে ওখানে বসে!!
এখন অনেক অভিভাবকরা সন্তানদের বাচাতে রাস্তায় নামতেছেন কিন্তু লাভ হবেনা ভারতের প্রতিনিধি শাসকবর্গের মতে এরা সবাই কোচিং ব্যবসায়ের সাথে সংপৃক্ত। এগুলোকে অপপ্রচার বলছেন।
0 Comments:
Post a Comment