"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজের শেষ পর্বে এজেন্ডা একুশ নিয়ে লিখেছিলাম, মনে পড়ে? জাতিসংঘ ভিত্তিক এই এজেন্ডার মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনসংখ্যাকে কমিয়ে একটা সাসটেইনেবল অবস্থায় আনা। এদের মতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। পৃথিবী এর জন্য ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে। আর্থকে ভারসাম্যপূর্ণ করতেই জনসংখ্যা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা এক যুগ আগে থেকে কিছু অদ্ভুত ভয়ংকর বার্তাযুক্ত প্রোপাগান্ডা ভিডিও প্রকাশ করতে থাকে। এর প্রথমটিতে তারা মনুষ্যজাতির পদচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার সুস্পষ্ট কথাসহ ভিডিও প্রকাশ করে। আমি অনেক কষ্ট এটা সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। নিচের এম্বেডেড ভিডিওটা দেখুন!
এর কিছুকাল পরে আরো একটি ক্ষুদে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এতেও একই ম্যাসেজ। তাতে বেশ কিছু বৃদ্ধ নরনারীরা নিজেদের দুনিয়াবি হায়াত ভালভাবে ভোগ করার কথা জানিয়ে বলে, আমরা ভাল মানের একটা জীবন কাটিয়েছি, দুনিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা ভাল জীবন অতিবাহিত করে। এই ভিডিও বার্তায় বোঝানো হয়, বৃদ্ধরা ভালভাবে দুনিয়াবি হায়াত ভোগ করেছে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৃদ্ধদেরকে পৃথিবীর জায়গা ছেড়ে দিতে হবে কারনঃ ওভারপপুলেশন। দেখুন নিচের এম্বেডেড ভিডিওটিতে -
আমি যেদিনই ওদের ভিডিওবার্তা দেখেছি, বুঝেছিলাম ওরা জনগণ বিশেষ করে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেবার জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। তবে তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ৯০% জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন করা। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে এজন্য একটা গাইডলাইন লিখিয়েছে জর্জিয়ায়, যেটাকে গাইডস্টোন অব জর্জিয়া বলে। এতে স্পষ্টভাষায় বর্তমান জনসংখ্যার ৯০% এলিমিনেট করে দুনিয়াকে সাস্টেইনেবল করার কথা উল্লেখ করা আছে। দুহাজার উনিশ সালের শেষে আগত করোনা ভাইরাস বিশ্বকে এনগাল্ফ করার পর মৃত্যুহার কাদের মধ্যে বেশি দেখছেন? জ্বি অবশ্যই বৃদ্ধদের। তাহলে কি এই রোগটি এজেন্ডা ২১ এরই বায়োওয়েপন? ওয়াআল্লাহু আ'লাম। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। এটা একদম জোড় জবরদস্তি করেই দেয়া হচ্ছে,যেখানে এরোগে মৃত্যুহার একদম কম। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে জনগণকে। আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,স্কুলেও যেতে পারবেন না। সামনে হয়ত সব জায়গায় Qr code scanner বসাবে ভ্যাক্সিন কার্ড ভেরিফাই করার জন্য। বেলজিয়ামে লক্ষ জনতা এই শয়তানি বুঝে পথে নেমেছে। পুলিশের সাথে দাঙ্গা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এসব কেউই কিছু করার সাহস করবেনা। নিচের ভিডিওতে দেখুন।
কাফিররা মানবজাতির দুশমন, এরা শয়তানের গোলাম। ফলে এদের কার্যক্রমের ব্যপারে সন্দেহ সংশয় রাখাই সমীচীন। আমি গত পোস্টে আলোচনা করেছিলাম এটা আরএনএ ভ্যাক্সিন যেটা সাধারন কোন ভ্যাক্সিন নয়। করোনা বসন্ত কিংবা প্লেগের মত বিভৎস কোন রোগ না, যেটা হলে মানুষের শরীর পচে গ্যাংরিন হয়ে মাংস খুলে পড়তো। সেসব রোগের টিকাও RNA না, করোনার মত ফ্লু রোগের টিকা আরএনএ এর মত হওয়ার কোন মানে পাইনা। ধরুন একটা কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড এর মসফেটে সমস্যা, সেখানে আপনি যদি প্রসেসর এর সকেটটা খুলে বাদ দেন, সেটা বাড়াবাড়ি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাধারন ভ্যাক্সিনের অনুরূপ হত, আমি এর বিরুদ্ধে এত বেশি বলতাম না, কিন্তু এটা সাধারণ কিছু না। আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারে যেরকম কোন সফটওয়্যার আনইন্সটল করা যায়না, তদ্রুপ এই mRNA একবার ইঞ্জেক্ট করলে সেটার ম্যাসেজ(m) বিকল করার উপায় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ধরনের ম্যাসেজ শরীরে পুশ করছে? হতে পারে স্টেরেলাইজেশন এর সেরাম, অর্থাৎ আপনার ফার্টাইলিটি নস্ট করে দেবে, সহজ কথায় আর সন্তান হবেনা। হতে পারে এটা ভবিষ্যতে অন্য কোন মরণরোগ সৃষ্টিতে সহযোগী ভাইরাস বহন করে। মজার বিষয় হচ্ছে এ কথা অফিশিয়ালি বলা হয় যে ভ্যাক্সিনে সুপ্ত অবস্থায় থাকা করোনা ভাইরাস থাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি এই রোগ নাও হয়, আপনার সুস্থ দেহে এই রোগের ভাইরাসকে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। হয়ত এই টিকা কার্যক্রমের আফটারম্যাথ দেখা যাবে আগামী ৫-১০ বছর পর। হতে পারে মানুষ গণহারে মারা যেতে থাকবে কিন্তু কোন কারন খুঁজে পাবেনা। সেদিন দেখি ভারতীয় এক ডক্টর আশংকা করেন এই ভ্যাক্সিন মানুষের ন্যাচারাল ইমিউন সিস্টেম নস্ট করে দিতে পারে। নিচের ভিডিও তে দেখুন-
যদি আল্লাহ প্রদত্ত ইমিউন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদম সাধারন রোগেও মারা যাবে। এই ব্যপারটাই HIV AIDS করত। সুতরাং গায়ে কি ঢোকাচ্ছেন সে ব্যপারে সাবধানতা আবশ্যক। আশ্চর্যজনক ব্যপার হচ্ছে এই ভ্যাক্সিন একবার নয় শরীরে তিন বার(তিন ডোজ) প্রবেশ করানো হচ্ছে, যাতে তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ হয়। মানে প্রথম ডোজ যদি ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ডোজ আছে, ২য় ডোজ ব্যর্থ হলে ৩য় ডোজ আছে। বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধদেরকে! উপরে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায়ের ব্যপারে লিখেছি। টিকা গ্রহনে মৃত্যুর ঘটনা অনেক ঘটছে যা কোন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া প্রচার করছে না,স্বাভাবিক ভাবেই করবেনা। গতকাল একটা মৃত্যুর হৃদয়বিদারক স্বজনদের আহাজারি দেখলাম।
অনেক মানুষ এই লেখা কন্সপিরেসি বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। তাদের কে প্রশ্ন করি, আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের কার্যকলাপের ব্যপারে সুধারনা পোষণ করতে শেখায়? আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নির্লিপ্ত হয়ে থাকতে শেখায়?
গত পোস্টের লিংক: https://aadiaat.blogspot.com/2022/01/blog-post.html
আখ্যি, এলোপ্যাথিক সব চিকিৎসাই কি খারাপ? কেননা এলোপ্যাথিকের চিকিৎসাগুলোর অনেকগুলোই মধ্যযুগীয় চিকিৎসাপদ্ধতির অনুসরণ করে। এমনিতে বায়োটেক ব্যবহার করে তৈরিকৃত মেডিসিনকে ভালো বলছি না, কিন্তু হোমিওপ্যাথির চেয়ে কি এলোপ্যাথিক বেশ কিছুক্ষেত্রে বেটার?
ReplyDelete