৪৭ এর দেশ বিভাগকে কট্টর হিন্দুরা মেনে নিতে পারেনি। কারন নিজেদের ভূখণ্ডের এরূপ বিভক্তি কারোই পছন্দের নয়। ঠিক একই কারনে বঙ্গভঙ্গের[৫] পর মহাভারতের চেতনাধারী হিন্দুদের তীব্র আন্দোলনের পরে আবারো ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয়। মুসলিমরা বঙ্গভঙ্গে কিছুটা খুশি হয়েছিল,কারন কারন তাদের মধ্যে আশা সঞ্চারিত হয়েছিল আলাদা ভূখণ্ডে মুসলিমদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে,সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা পিষ্ট হয়ে থাকতে হবে না।কিন্তু এ আশা রবীন্দ্রনাথদের জন্য বেশিদিন টেকেনি। ভারতের সাথে বাংলাদেশকে জোড়া লাগানোর জন্য গান রচনা করেন, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি', ফলশ্রুতিতে ১৯১১ তে আবারো বাংলার আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতাকে লুপ্ত করে ভারতের সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে ১৯৪৭ এ আবারো দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ। ভারতীয় ব্রাহ্মন্যবাদীরা আবারো অসন্তুষ্ট হলো।
এরপরে অনেক ঘটনার ডিলিউশনের ফলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সাব্যস্ত হলো এবং পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা করা হলো ভারতের প্রত্যক্ষ সামরিক সাহায্যে।[আমার ফাসী চাই এবং আমাদের স্বাধীনতা পর্দার এপার ওপার নামের দুটি নিষিদ্ধ বইতে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য আছে] কিছুদিন আগে তো বলিউডের একটা ফিল্মের শুরুতে দেখায় ৭১ এর যুদ্ধটা বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের নয় বরং পাক-ভারতের। ৭১ এর যুদ্ধে ভারত বিজয়ী হয়। তখন সেই অখণ্ড ভারতের চেতনার সংগীতকে জাতীয় সংগীতে মর্যাদা দেওয়া হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছে পাকিস্তান থেকে বাংলাকে আলাদা করার উদ্দেশ্য। তবে আমরা তাকদীরের লিখনীর প্রতি অসন্তুষ্ট নই। আল্লাহ এর মধ্যেই কল্যান রেখেছেন। প্রথমে পাকিস্তান এবং এরপরে বাংলাদেশ নামের আলাদা নামেমাত্র ভূখন্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিমদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বপ্ন কিছুটা হলেও মিটেছে। ভারতে সংখ্যাগুরু পৌত্তলিকদের দ্বারা আর্থসামাজিক দিক দিয়ে নিষ্পেষিত হওয়া থেকে বহুদিন দূরে ছিল। কিন্তু সেই অখণ্ড ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের
দিনকে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে আর দীর্ঘ করতে চাইছে না। তাই এদেশে তাদের প্রতিনিধি শাসকদের ক্ষমতায়ন এবং 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী' রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাহীন এবং বিলুপ্ত করার কাজ শুরু করেছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদকে, যে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিতে রচিত হয়েছিল 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' সঙ্গীতটি।
জাতীয়তাবাদের অনুভূতি আসলে একরকমের ইল্যুশন। ধরুন গোটা এশিয়া মহাদেশকে একটা দেশ করা হলো, এখন আমেরিকা এশিয়ার কোথাও আক্রমণ করলে এশিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। আবার এশিয়া ভেঙ্গে দুইচার ভাগ হলে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিও ওইরকম।দুই চার ভাগে ভাগ হবে। বেনেডিক্ট এ্যান্ডারসন তার ইমাজিন্ড কমিউনিটির মধ্যে জাতীয়তাবাদের স্বরূপ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছেন। বস্তুত, আসল জাতীয়তাবাদ হওয়া উচিত দ্বীনকেন্দ্রিক।।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ইসলামিক জাতীয়তাবাদেই উদ্বুদ্ধ হবার জন্য বলেছেন, কেননা সেটাই ফিতরাত। এথনিক ও লিঙ্গুইস্টিক ডাইভার্সিটিই চূড়ান্ত নয়।
এইজন্য ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দুদের কাছে বঙ্গ বা পাকিস্তান আলাদা হবার অনুভূতি সুখকর ছিল না। আমাদের দেশের জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিকরাও কখনো চাইবে না পার্বত্যচট্টগ্রাম চাকমা মগরা জুম্মাল্যান্ড নামে আলাদা দেশ বানিয়ে আলাদা হয়ে যাক।
ভারত তাদের ভূখণ্ডের পুনর্মিলনের আশায় সিকিমের মত একটু একটু করে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। শুরুতে তাদের ফুল এ্যাক্সেস থাকলেও 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দলের' ক্ষমতায়নে সে সুযোগ কমে যায়। এজন্য তাদের প্রাইম টার্গেট থাকে এই ন্যাশনালিস্টদের এ্যান্টাগনিস্ট এমন দলকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানো যাতে করে বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। তারা আওয়ামীলীগকে পেয়েছে। এরা বাঙালি জাতীয়তাবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি আদর্শের ব্যপারে বেশ এ্যাফার্মেটিভ। ব্যাস! এবার ওদেরকে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় রেখে হারানো ভূখন্ডকে পুনরুদ্ধারের সেই পুরোনো মিশনকে পূর্নতাদানে যা কিছু করা যায়...। আওয়ামীলীগকে রেখে জাতীয়তাবাদী দল এবং (ইসলাম)ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগার ফলশ্রুতিতে আজ দলটি বিলুপ্তপ্রায়। এবার ৮% বিধর্মী জনগোষ্ঠীর অধিকারের নামে তাদেরকে প্রশাসন,শিক্ষা,নিরাপত্তা, সামরিকসহ প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩০%+ তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। সামরিক বাহিনীগুলোয় ২৪%+ লোকই হিন্দু। বাকি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এরা অধিকাংশই ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলারিস্ট, আওমীলীগপন্থী। এদের নামগুলোই শুধু এরাবিক/ইসলামিক। ভেতরে দ্বীনের কিছুই নেই। সামরিকবাহিনীতে জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক এবং দেশপ্রেমের চেতনাবাহীদেরকে আইসোলেট করে দেওয়া হয়েছে,অনেককে হত্যা করা হয়েছে,তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ফিল্টার করা হয়, অল্প কিছু যারা আছে বছর দশেক পর আর রিটায়ারমেন্টের জন্য ন্যাশনালিস্ট/প্যাট্রিয়টদের খুজে পাওয়া যাবে না। ইসলামি চেতনাওয়ালাদেরকে তো ভুলেও নিয়োগ দেওয়া হয়না। শিক্ষাব্যবস্থা এবং সকল রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক রূপে আছেন একঝাঁক হিন্দুরা। তারা শিক্ষানীতিকে এমনভাবে ঢেলে সাজিয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আর ভাল রেজাল্ট থাকে, কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল ব্লাইন্ড হয়ে বড় হয়। সামরিক বাহিনীতে অমুসলিম/লেফটিস্ট/ধর্মহীন আওয়ামীলীগের দৌরাত্ম্যে, দাপটে সাধারন মানুষ এখন অতিষ্ঠ। স্বাধীন বাকশক্তি বলেও কিছু নেই। অনলাইনেও পরিচয় গোপন করে কিছু প্রকাশ করতে পারবেন না, সে ব্যবস্থাও করেছে। এখন তারা শেষ মুহুর্তে এসে চরম শোষনের দ্বারা শাসন করছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগরাও ভারতকে সুযোগ দিতে দিতে নিজেরাই বিক্রি হয়ে গেছে। হিন্দুদের দ্বারা কোনরূপ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কথা উচ্চারিত হলেও তাদের কিছুই বলার ক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এবং সেনাবাহিনীও ওদের পূর্ন নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। র'(ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) দ্বারা ওদের মনমতো সর্বত্র দাবার গুটিগুলো চালা হয়ে গেছে। এবার সরিয়ে দেওয়ার বাকি। ওদের পরিকল্পনার সবচেয়ে হুমকি ছিল ইসলামি জাতীয়তাবাদের আদর্শধারী সামরিক সংগঠনগুলো। যেগুলো একদম শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্মূল করার জন্য আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব দল গুলোকে তারা যে সুন্দর টার্ম দ্বারা রিফার করে সেটা হচ্ছে 'জঙ্গী'। আজ পর্যন্ত হাজারো কথিত জঙ্গীদের গুম, হত্যা করেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি, পারবেও না। এই সোকল্ড জঙ্গীদের ক্ষমতা আর সংখ্যা আল্লাহ বাড়িয়েই দিচ্ছেন। সেটা গ্রেটার পারপাজের জন্য। হয়ত ওদের আগ্রাসনে এরা ছাড়া আর কাউকেই দাঁড়াতে দেখা যাবে না। যখন আমেরিকা ইরাক, সিরিয়া,আফগান হামলা করে এরাই দাড়িয়েছে, আর কেউই মাজলুম উম্মাহর পাশে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না। উপমহাদেশ একই ভাগ্যের দিকে হাটছে। অন্য সব স্থানের মত এখানেও এরাই শেষ আশা।
এখন যখন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সব আঁটঘাঁট বাধা হয়ে গেছে, এখন বাংলার এই হারানো ভূখন্ড উদ্ধারের জন্য হামলা করা এবং হামলার বৈধতা নেওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে মিথ্যা মিথ রচনা করে হলেও। এটাই করেছেন প্রিয়া সেন।কাফিরদের নেতা ট্রাম্পও এদেশে মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রেরণের হুমকি নগদে দিয়ে দিলেন। এরপরে, এদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হিন্দুরা চেষ্টা করবে এমন কিছু করার যাতে ছোটখাটো দাঙ্গা বা বড় আকারে মিথ্যে আক্রমণের স্বীকার হবার নাটক মঞ্চস্থ করা। যাতে শান্তির বার্তা নিয়ে মার্কিন চপার বা রণতরী ভেড়ায় সাথে ভারতীয় সৈন্যদল ঢুকিয়ে দেয়। অনেক আওয়ামীলীগপন্থী ভেবেছিল হাসিনা প্রিয়াসাহার মিথ্যাচারে এ্যাকশান নিবে সরকার। কিন্তু এখন উলটো সংশ্লিষ্ট সকলের সমর্থন দেখা যাচ্ছে। তার মানে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অবস্থানে স্বয়ং সরকারও আছে। এর কারন আজ স্পষ্ট হবে।
দেশ দখলের ব্যপারে যা বলছি সেটাকে সুপারফিশিয়াল কন্সপিরেসি থিওরি টাইপের কিছু ভাবলে ভুল হবে। অধিকাংশ সাধারন মানুষ আগেও কিছুই হবে না বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে, আজও একই অবস্থানে আছে। আপনাদের অনেকেরই জানা আছে মহাত্মা গান্ধীজ্বি দেশ ভাগের পর নোয়াখালী গিয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে বঙ্গ-ভারত পুনর্মিলনের জন্য মোটিভেট/ব্রেইনওয়াশ করতে চেয়েছিল। সেই অখন্ড মহাভারতের স্বপ্নকে আজ জিইয়ে রাখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র(RAW)। এটা 'র এর অফিসাররাই বলে থাকে। R K YADAV নামে সাবেক র এর এক এজেন্ট দাবী করেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করেছে ‘র’, তারা স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাত[১]। আজ বাংলাদেশ প্রায় পুরোপুরিভাবে RAW দ্বারা নিয়ন্ত্রিত[২]। আমাদের স্বাধীনতা যে ভারতের অখণ্ড মহাভারতের স্বপ্নের অংশ ছিল, তা জানতে আরো পড়ুনঃ
http://www.muldharabd.com/?p=1174
আজ বাংলাদেশে র' এত শক্তিশালী যে তারা এখন সশরীরে মাঝেমধ্যে আবির্ভূত হয় শিকারের জন্য। বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলাচত্বরের ট্রাজেডি এমনকি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতাদেরকে গুম করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে এই 'র'[৩]। 'র গোপনে যেভাবে কাজ করে ঠিক প্রকাশ্যে কাজ করছে এদেরই হিন্দুত্ববাদী আধাসামরিক সংগঠন। আজ এদের অফিসও বাংলাদেশে প্রকাশ্যে আছে। অধিকাংশ সাধারন জনগন জানে না এদের কর্ম উদ্দেশ্য কি। আরএসএস প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৫ সালে। আরএসএস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় আছে, "রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ( আরএসএস) [১]
[২] ভারতের একটি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী , আধাসামরিক [৩] ও বেসরকারী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন। আরএসএস সংঘ পরিবার নামে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ। [৩] ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। [৪] উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা।"[উইকিপিডিয়া]
অর্থাৎ এদের লক্ষ্যই মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করে রামরাজত্ব কায়েম।মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদ বলতে ওই সময়ে পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাধাদান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করার জন্য কাজ করা। আরএসএস ভারতের বাইরেও ৩৫টা দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরা বাংলাদেশে এখন খুবই শক্তিশালী। আরএসএসের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তান ছিল না। লোকে বলে ১৯৪৫ সালের আগে সম্পূর্ণটাই হিন্দুস্থান ছিল। ২০২৫ সালের পরে আবার ওটা হিন্দুস্থানের মধ্যে চলে আসবে।’
মুম্বাই সভায় বলেন তিনি আরো বলেন," “কিছু দিনের মধ্যেই পাকিস্তান হবে ভারতের অংশ। ঢাকায় আমরা আমাদের মনোমত সরকার গঠন করে দিয়েছি”!
অখণ্ড ভারত’-এর আশা প্রকাশ করে ইন্দ্রেশ কুমারের দাবি, ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ভারতীয় ইউনিয়ন অব অখণ্ড ভারত সৃষ্টির পথে যেতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারও সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে দিল্লির তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্দ্রেশ কুমারের মন্তব্য, ‘আর মাত্র পাঁচ/সাতটা বছর। এরপরে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি কিংবা শিয়ালকোটে বাড়ি করতে পারবেন, ব্যবসাও করতে পারবেন আপনারা।’[৪]
সুতরাং আশাকরি বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই তাদের কব্জায় চলে গিয়েছে। এখন দেশপ্রেমিক/দেশীয়জাতীয়তাবাদীদেরকেও বিলুপ্ত করে তাদের মহাপরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ীই দেশে সরকার আসছে..যাচ্ছে। এখন পুরোপুরি ওদের নিয়ন্ত্রিত সরকার, এজন্য দেখেছে ভারতের বিজেপিপন্থী ইস্কনের রাষ্ট্রদ্রোহী হিন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও উইথড্র হয়ে যাচ্ছে।
আরএসএস নেতার কথায় কেমন বোধ করছেন? স্পষ্টভাবে বললো বাংলাদেশ সরকার তাদের অনুকূলে কাজ করছে। তার মানে বাংলাদেশ সরকার অখণ্ড ভারত বিনির্মাণে ভারতের পাশে আছে। অর্থাৎ একদিক দিয়ে ভাবলে এরা স্বাধীন দেশের শত্রু হিসেবেই কাজ করছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আওড়ে মানুষকে বোকা বানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সেচ্ছাসেবক সংঘ ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদে হামলাকারী। আরএসএস আদর্শগতভাগে ফ্যাসিজমে বিশ্বাসী। এরা হিটলারকে আদর্শ হিসেবে মান্য করে। পাশাপাশি ইজরাইলকেও নেতারা পূর্ন সমর্থন করতেন।এটা উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত আছেঃ
"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে আডলফ হিটলারের প্রশংসা করতেন। মাধব সদাশিব গোলবলকার যিনি
হেডগেওয়ারের পরে আরএসএসের পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রধান হয়েছিলেন, তিনি
হিটলারের বর্ণ-বিশুদ্ধতা মতবাদে অনুপ্রাণীত ছিলেন। কিন্তু কিছু আরএসএস নেতারা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন, বস্তুত সাভারকর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।"[উইকিপিডিয়া]
আরএসএস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিল। কারন তাদের ভেতর সেই অবিভক্ত মহাভারত গড়ার স্বপ্ন। উইকিপিডিয়া অনুযায়ীঃ
"১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আরএসএস সদস্যরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছা-সেবী হয়ে কাজ করেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে তারাই প্রথম রক্তদান কর্মসূচী পালন করেছিল।"[উইকিপিডিয়া]
শুধু আরএসএস নয়, আরও অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভারতের হারানো ভূখণ্ড ফিরে পেতে চায়, গড়তে চায় অখণ্ড মহাভারত। এর মধ্যে আছে হিন্দু মহাসভা, কাকভূষুণ্ডী রেভ্যুলুশ্যনারী ফোরাম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ,হিন্দু জনজাগ্রত পরিষদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি।
The call for creation of the Akhand Bharat or Akhand Hindusthan has on occasions been raised by Indian Hindutvawadi cultural and political organisations such as the Hindu Mahasabha , Kakbhusundi Revolutionary Forum (KRF), Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS), Vishwa Hindu Parishad, Hindu Janajagruti Samiti , and Bharatiya Janata Party.
ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান রিইউনিফিকেশন এ্যাসোসিয়েশন গঠন হয়ে গেছে। অখণ্ড ভারতের চেতনাধারীরা সাধারণত উগ্রহিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসীঃ
The creation of an Akhand Bharat is also ideologically linked with the concept of
Hindutva (Hinduness) and the ideas of
sangathan (unity) and shuddhi (purification) that seek to focus modern Indian politics on a legendary ancient civilisation and heritage of the Indian subcontinent .
এরা যে ভূখণ্ডগুলো দখল চায় সেসব প্রধানত হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আরো আছে, আফগানিস্তান, মিয়ানমার এমনকি চীনের সীমান্তবর্তী তিব্বতের কিছু অংশ। তবে সর্বপ্রথম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে কব্জায় আনা। ভারতে সবচেয়ে সক্রিয় সামরিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস তো অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেই সাথে তাদের সাথে সংযুক্ত রাজনৈতিক দল বিজেপিও এই স্বপ্ন লালন করে। শুধু আজকের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলটিই নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন লালন করেন এবং এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ নরেদ্রমোদী ও তার দলের সকল নেতারাও চান বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করতে। উইকিপিডিয়া থেকেঃ
While the leadership of the right-wing BJP wavers on the issue, the RSS has always been a strong proponent of the idea. [12][13] RSS leader H. V. Seshadri 's book The Tragic Story of Partition stresses the importance of the concept of Akhand Bharat. [14] The RSS affiliated magazine Organiser often publishes editorials by leaders such as the present
Sarsanghachalak , Mohan Bhagwat , espousing the philosophy that only Akhand Bharat and
sampoorna samaj (united society) can bring "real" freedom to the people of India.
The call for Indian reunification has been supported by Indian Prime Minister Narendra Modi [16] , and BJP National General Secretary
Ram Madhav . Mr. K.J.Anand Leader Achchedin taken special lead to explore the possibility.[৬]
অতএব সুস্পষ্টভাবে বুঝতে চাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা,ক্ষমতাসীন শাসক,দল ওদের সন্ত্রাসী সংঠন আরএসএস এবং বাংলাদেশে বসানো পাপেট শাসকবর্গ এক হয়ে কাজ করছে।
অখন্ড ভারত বিনির্মাণে ভারত সরকারের পাশে আছে অনেক আলিম উলামা। এমনকি দেওবন্দের আলিমগনও পিছিয়ে নেই। সাধারণত ভারতে অবস্থানরত মুসলিমরা নিজেদেরকে অসহায় নিষ্পেষিত অবস্থায় সেদেশে দেখতে পায়,হয়ত সে অবস্থায় তারা ভারতের ভেতরে আলাদা মুসলিমদের সার্বভৌম অঞ্চল গুলোকে আলাদা দেখতে পছন্দ করে না, তারা হয়ত প্রত্যাশা করে যে ভূখণ্ড গুলো ভারত কর্তৃক পুনরুদ্ধার হলে মাইনরিটি ক্রাইসিস কিছু হলেও ঘুচবে। আল্লাহই ভাল জানেন তাদের হৃদয়ের খবর।
Khaksar Movement leader Allama Mashriqi opposed the partition of India because he felt that if Muslims and Hindus had largely lived peacefully together in India for centuries, they could also do so in a free and united India. [3] Mashriqi saw the two-nation theory as a plot of the British to maintain control of the region more easily, if India was divided into two countries that were pitted against one another. [3] He reasoned that a division of India along religious lines would breed fundamentalism and extremism on both sides of the border. [3] Mashriqi thought that "Muslim majority areas were already under Muslim rule, so if any Muslims wanted to move to these areas, they were free to do so without having to divide the country." [3] To him, separatist leaders "were power hungry and misleading Muslims in order to bolster their own power by serving the British agenda."
The author of Composite Nationalism and Islam , Maulana Husain Ahmad Madani , a Deobandi Muslim scholar and proponent of a united India, argued that in order to maintain their divide and rule policy, the British were attempting to "scare Muslims into imagining that in a free India Muslims would lose their separate identity, and be absorbed into the Hindu fold", a threat that "aim[ed] at depoliticizing the Muslims, weaning them away from struggle for independence." [4] In the eyes of Madani, support for a two-nation theory resulted in the entrenchment of British imperialism.[উইকিপিডিয়া]
বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা আরএসএসের এক মুখপাত্র রাম মাধব বলেন, "আরএসএস এখনো বিশ্বাস করে যে একদিন ওই ভুখণ্ডগুলো যেগুলো ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আলাদা হয়েছিল, সেগুলো আবারো একীভূত হবে এবং অখণ্ড মহাভারত সৃষ্টি হবে"।
Ram Madhav, a spokesman for the Rashtriya Swayamsevak Sangh , a Hindutva organisation, stated that “The RSS still believes that one day these parts, which have for historical reasons separated only 60 years ago, will again, through popular goodwill, come together and Akhand Bharat will be created.”[৭]
সুতরাং হঠাৎ করে যে আমাদের দেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান, হিন্দু শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে স্থানদান, হিন্দু অপরাধীদের প্রতি প্রশাসনের নির্বিকারভাব, চাকরিতে কোটা দিয়ে হিন্দুদের অগ্রাধিকার দিতে দিতে এখন ৩০%+ সরকারী চাকুরী হিন্দুদের দখলে দিয়ে দেওয়া, সামরিক বাহিনীগুলোর উচ্চ পদে হিন্দুদেরকে গনহারে নিয়োগ, দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে RAW এর হস্তক্ষেপ,উগ্রহিন্দুত্ববাদি দলের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাহসিকতা.. প্রভৃতি বিষয়গুলো আদৌ কো-ইন্সিডেন্টস নয়। হয়ত লক্ষ নরনারীর রক্তসিক্ত স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হবার ক্ষণ খুবই নিকটে। এতগুলো প্রাণের আত্মত্যাগ বৃথা হতে দেখাটা খুবই কষ্টের। হয়ত ভারত তার ঐতিহাসিক প্রয়োজনে তাদেরকে ব্যবহার করেছিল। নামমাত্র স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা মূলত দীর্ঘকাল ধরে পরাধীন অবস্থায়ই ছিলাম, সেটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি উপরে যেসকল তথ্য দিয়েছি সেসবই প্রায় উন্মুক্ত তথ্য। যেসব জার্নালিস্ট,সাংবাদিকরা অনেক ভেতরের তথ্য সম্পর্কে ধারনা রাখে তারা খুব ভাল করেই জানেন, আমাদের স্বাধীনতা আজ যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা থেকে উত্তরণের কোন পথ নেই। ভারত বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। খুব শীঘ্রই হয়ত লেন্দুপ দর্জি,সিক্কিমের আরেকটি ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সিক্কিমের সাথে যা করা হয়েছিল, এর চেয়েও বাংলাদেশে ভারতের পরিকল্পনামাফিক কর্মকাণ্ড আরো সুদৃঢ়। আমরা আজ এদেশে মুসলিম মেজরিটির অনুভূতি নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি, খুব শীঘ্রই মাইনরিটি হতে যাচ্ছি। এ (প্র)দেশেও নেমে আসবে নির্যাতন আর গনহত্যার নানান চিত্র। রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাশি বাজাচ্ছিল, আমরাও ওই একই অবস্থানে আছি।দিনগুলো ভাল যাচ্ছে দেখে কপালে চিন্তার রেখা তৈরি হচ্ছে না, সবসময় ভাবতে ভালবাসি এ অবস্থাই থাকবে চিরদিন।
ভারত ঠিক সেই অনুভূতি থেকে পাকবাংলার ভূখণ্ড ফেরত পেতে চায়, যে অনুভূতি থেকে আমরাও পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা খুলনার কিছু অংশকে ফিরে পেতে চাইতাম, যদি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সফল হতো। আজ অথবা কাল ঠিকই ভারত আদায় করে নেবে। আমাদের যেটা পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী স্বস্তি দেয় সেটা হচ্ছে বিভক্ত ভারত আবারও অবিভক্ত হবে, এবং সেটা থাকবে কালপতাকার ছায়াতলে। হয়ত আজও মুসলিমদের নিদ্রা কাটেনি, কিন্তু বোমার শব্দে ঠিকই কাটবে, আল্লাহ ঠিক এভাবেই তার পথে হাকিয়ে নিয়ে আসবেন দ্বীনবিমুখ(কিত্বাল) জাতিকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "অচিরেই কাফের মুশরিক জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে তোমাদের উপর আক্রমন করার জন্য তারা একে অপরকে আহবান করতে থাকবে, যেভাবে খাবারের দস্তরখানের দিকে লোকদেরকে ডাকা হয়ে থাকে। একজন সাহাবী দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! সেদিন কি আমরা সংখ্যায় কম হব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না। বরং সেদিন তোমরা সংখ্যায় অনেক বেশি হবে। তবে তোমাদের অবস্থা হবে বন্যায় ভাসমান খড়কুটার মত। আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন এবং তোমাদের অন্তরে অহান ঢেলে দিবেন। একজন জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহু অহান কি জিনিস? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অহান হচ্ছে, দুনিয়ার ভালবাসা এবং মৃত্যকে অপছন্দ করা।"মুসনদে আহমদের অপর হাদীসে বর্নিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "অহান হচ্ছে, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা ও আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকে অপছন্দ করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা কে অপছন্দ করা।"[সুনানে আবু দাঊদ]
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, "যখন তোমরা ইনা নামক সূদী কারবারে জড়িত হয়ে যাবে, গরুর লেজ ধরবে এবং চাষাবাদ নিয়েই সন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের উপর লাঞ্ছনাকে চাপিয়ে দিবেন। এই লাঞ্ছনা ততদিন পর্যন্ত তোমাদের থেকে তুলে নেয়া হবে না যতদিন না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে।"[মুসানাদে আহমাদ,আবু দাঊদ]
The Islamist group Lashkar-e-Taiba has framed the prophecy of Ghazwa-e-Hind , as one in which India is defeated and united with Pakistan, unifying the Indian subcontinent under Muslim rule.[উইকিপিডিয়া]
হিন্দুস্তানের চূড়ান্তযুদ্ধ সংক্রান্ত হাদিসঃ
১ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الزَّمِنُ، ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ صُرَيْمٍ السَّكُونِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَتُقَاتِلُنَّ الْمُشْرِكِينَ، حَتَّى تُقَاتِلَ بَقِيَّتُكُمُ الدَّجَّالَ، عَلَى نَهْرٍ بِالأُرْدُنِّ، أَنْتُمْ شَرْقِيَّهُ وَهُمْ غَرْبِيَّهُ، وَمَا أَدْرِي، أَيْنَ الأُرْدُنُّ يَوْمَئِذٍ مِنَ الأَرْضِ.
অর্থ : সুরাইম রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিঃসন্দেহে তোমরা মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমনকি এ যুদ্ধে তোমাদের অবশিষ্ট মুজাহিদরা জর্ডান নদীর তীরে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা পূর্ব দিকে অবস্থান করবে আর দাজ্জালের অবস্থান হবে পশ্চিম দিকে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, সেদিন জর্ডান কোথায় অবস্থিত হবে?
সূত্র :
১. কাশফুল আসতার আন জাওয়াইদিল বাজ্জার : ৪/১৩৮, হা. নং ৩৩৮৭, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরুত-
২. মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো-
মান :
এর সনদ বিশুদ্ধ। হাফিজ হাইসামি রহ. হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন, এটি ইমাম তাবারানি রহ. ও ইমাম বাজ্জার রহ. বর্ণনা করেছেন। আর বাজ্জারে বর্ণিত হাদিসটির বর্ণনাকারী সবাই নির্ভরযোগ্য।
(দেখুন, মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো)
জাতীয়তাবাদের অনুভূতি আসলে একরকমের ইল্যুশন। ধরুন গোটা এশিয়া মহাদেশকে একটা দেশ করা হলো, এখন আমেরিকা এশিয়ার কোথাও আক্রমণ করলে এশিয়ান জাতীয়তাবাদীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। আবার এশিয়া ভেঙ্গে দুইচার ভাগ হলে জাতীয়তাবাদের অনুভূতিও ওইরকম।দুই চার ভাগে ভাগ হবে। বেনেডিক্ট এ্যান্ডারসন তার ইমাজিন্ড কমিউনিটির মধ্যে জাতীয়তাবাদের স্বরূপ নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছেন। বস্তুত, আসল জাতীয়তাবাদ হওয়া উচিত দ্বীনকেন্দ্রিক।।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা ইসলামিক জাতীয়তাবাদেই উদ্বুদ্ধ হবার জন্য বলেছেন, কেননা সেটাই ফিতরাত। এথনিক ও লিঙ্গুইস্টিক ডাইভার্সিটিই চূড়ান্ত নয়।
এইজন্য ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিন্দুদের কাছে বঙ্গ বা পাকিস্তান আলাদা হবার অনুভূতি সুখকর ছিল না। আমাদের দেশের জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিকরাও কখনো চাইবে না পার্বত্যচট্টগ্রাম চাকমা মগরা জুম্মাল্যান্ড নামে আলাদা দেশ বানিয়ে আলাদা হয়ে যাক।
ভারত তাদের ভূখণ্ডের পুনর্মিলনের আশায় সিকিমের মত একটু একটু করে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। শুরুতে তাদের ফুল এ্যাক্সেস থাকলেও 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দলের' ক্ষমতায়নে সে সুযোগ কমে যায়। এজন্য তাদের প্রাইম টার্গেট থাকে এই ন্যাশনালিস্টদের এ্যান্টাগনিস্ট এমন দলকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানো যাতে করে বাংলাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। তারা আওয়ামীলীগকে পেয়েছে। এরা বাঙালি জাতীয়তাবোধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি আদর্শের ব্যপারে বেশ এ্যাফার্মেটিভ। ব্যাস! এবার ওদেরকে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় রেখে হারানো ভূখন্ডকে পুনরুদ্ধারের সেই পুরোনো মিশনকে পূর্নতাদানে যা কিছু করা যায়...। আওয়ামীলীগকে রেখে জাতীয়তাবাদী দল এবং (ইসলাম)ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগার ফলশ্রুতিতে আজ দলটি বিলুপ্তপ্রায়। এবার ৮% বিধর্মী জনগোষ্ঠীর অধিকারের নামে তাদেরকে প্রশাসন,শিক্ষা,নিরাপত্তা, সামরিকসহ প্রতিটি পর্যায়ে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩০%+ তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। সামরিক বাহিনীগুলোয় ২৪%+ লোকই হিন্দু। বাকি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এরা অধিকাংশই ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলারিস্ট, আওমীলীগপন্থী। এদের নামগুলোই শুধু এরাবিক/ইসলামিক। ভেতরে দ্বীনের কিছুই নেই। সামরিকবাহিনীতে জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক এবং দেশপ্রেমের চেতনাবাহীদেরকে আইসোলেট করে দেওয়া হয়েছে,অনেককে হত্যা করা হয়েছে,তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও ফিল্টার করা হয়, অল্প কিছু যারা আছে বছর দশেক পর আর রিটায়ারমেন্টের জন্য ন্যাশনালিস্ট/প্যাট্রিয়টদের খুজে পাওয়া যাবে না। ইসলামি চেতনাওয়ালাদেরকে তো ভুলেও নিয়োগ দেওয়া হয়না। শিক্ষাব্যবস্থা এবং সকল রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারক রূপে আছেন একঝাঁক হিন্দুরা। তারা শিক্ষানীতিকে এমনভাবে ঢেলে সাজিয়েছে যেন শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আর ভাল রেজাল্ট থাকে, কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল ব্লাইন্ড হয়ে বড় হয়। সামরিক বাহিনীতে অমুসলিম/লেফটিস্ট/ধর্মহীন আওয়ামীলীগের দৌরাত্ম্যে, দাপটে সাধারন মানুষ এখন অতিষ্ঠ। স্বাধীন বাকশক্তি বলেও কিছু নেই। অনলাইনেও পরিচয় গোপন করে কিছু প্রকাশ করতে পারবেন না, সে ব্যবস্থাও করেছে। এখন তারা শেষ মুহুর্তে এসে চরম শোষনের দ্বারা শাসন করছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগরাও ভারতকে সুযোগ দিতে দিতে নিজেরাই বিক্রি হয়ে গেছে। হিন্দুদের দ্বারা কোনরূপ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কথা উচ্চারিত হলেও তাদের কিছুই বলার ক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এবং সেনাবাহিনীও ওদের পূর্ন নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। র'(ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) দ্বারা ওদের মনমতো সর্বত্র দাবার গুটিগুলো চালা হয়ে গেছে। এবার সরিয়ে দেওয়ার বাকি। ওদের পরিকল্পনার সবচেয়ে হুমকি ছিল ইসলামি জাতীয়তাবাদের আদর্শধারী সামরিক সংগঠনগুলো। যেগুলো একদম শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নির্মূল করার জন্য আজ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে। ওইসব দল গুলোকে তারা যে সুন্দর টার্ম দ্বারা রিফার করে সেটা হচ্ছে 'জঙ্গী'। আজ পর্যন্ত হাজারো কথিত জঙ্গীদের গুম, হত্যা করেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি, পারবেও না। এই সোকল্ড জঙ্গীদের ক্ষমতা আর সংখ্যা আল্লাহ বাড়িয়েই দিচ্ছেন। সেটা গ্রেটার পারপাজের জন্য। হয়ত ওদের আগ্রাসনে এরা ছাড়া আর কাউকেই দাঁড়াতে দেখা যাবে না। যখন আমেরিকা ইরাক, সিরিয়া,আফগান হামলা করে এরাই দাড়িয়েছে, আর কেউই মাজলুম উম্মাহর পাশে দাঁড়ায়নি, দাঁড়াবেও না। উপমহাদেশ একই ভাগ্যের দিকে হাটছে। অন্য সব স্থানের মত এখানেও এরাই শেষ আশা।
এখন যখন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সব আঁটঘাঁট বাধা হয়ে গেছে, এখন বাংলার এই হারানো ভূখন্ড উদ্ধারের জন্য হামলা করা এবং হামলার বৈধতা নেওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে মিথ্যা মিথ রচনা করে হলেও। এটাই করেছেন প্রিয়া সেন।কাফিরদের নেতা ট্রাম্পও এদেশে মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রেরণের হুমকি নগদে দিয়ে দিলেন। এরপরে, এদেশে অবস্থানকারী ভারতীয় জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হিন্দুরা চেষ্টা করবে এমন কিছু করার যাতে ছোটখাটো দাঙ্গা বা বড় আকারে মিথ্যে আক্রমণের স্বীকার হবার নাটক মঞ্চস্থ করা। যাতে শান্তির বার্তা নিয়ে মার্কিন চপার বা রণতরী ভেড়ায় সাথে ভারতীয় সৈন্যদল ঢুকিয়ে দেয়। অনেক আওয়ামীলীগপন্থী ভেবেছিল হাসিনা প্রিয়াসাহার মিথ্যাচারে এ্যাকশান নিবে সরকার। কিন্তু এখন উলটো সংশ্লিষ্ট সকলের সমর্থন দেখা যাচ্ছে। তার মানে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অবস্থানে স্বয়ং সরকারও আছে। এর কারন আজ স্পষ্ট হবে।
দেশ দখলের ব্যপারে যা বলছি সেটাকে সুপারফিশিয়াল কন্সপিরেসি থিওরি টাইপের কিছু ভাবলে ভুল হবে। অধিকাংশ সাধারন মানুষ আগেও কিছুই হবে না বলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে, আজও একই অবস্থানে আছে। আপনাদের অনেকেরই জানা আছে মহাত্মা গান্ধীজ্বি দেশ ভাগের পর নোয়াখালী গিয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে বঙ্গ-ভারত পুনর্মিলনের জন্য মোটিভেট/ব্রেইনওয়াশ করতে চেয়েছিল। সেই অখন্ড মহাভারতের স্বপ্নকে আজ জিইয়ে রাখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র(RAW)। এটা 'র এর অফিসাররাই বলে থাকে। R K YADAV নামে সাবেক র এর এক এজেন্ট দাবী করেছেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করেছে ‘র’, তারা স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাত[১]। আজ বাংলাদেশ প্রায় পুরোপুরিভাবে RAW দ্বারা নিয়ন্ত্রিত[২]। আমাদের স্বাধীনতা যে ভারতের অখণ্ড মহাভারতের স্বপ্নের অংশ ছিল, তা জানতে আরো পড়ুনঃ
http://www.muldharabd.com/?p=1174
আজ বাংলাদেশে র' এত শক্তিশালী যে তারা এখন সশরীরে মাঝেমধ্যে আবির্ভূত হয় শিকারের জন্য। বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলাচত্বরের ট্রাজেডি এমনকি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতাদেরকে গুম করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে এই 'র'[৩]। 'র গোপনে যেভাবে কাজ করে ঠিক প্রকাশ্যে কাজ করছে এদেরই হিন্দুত্ববাদী আধাসামরিক সংগঠন। আজ এদের অফিসও বাংলাদেশে প্রকাশ্যে আছে। অধিকাংশ সাধারন জনগন জানে না এদের কর্ম উদ্দেশ্য কি। আরএসএস প্রতিষ্ঠা হয় ১৯২৫ সালে। আরএসএস সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় আছে, "রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ( আরএসএস) [১]
[২] ভারতের একটি দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী , আধাসামরিক [৩] ও বেসরকারী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন। আরএসএস সংঘ পরিবার নামে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর একটি অংশ। [৩] ১৯২৫ সালে নাগপুর-বাসী ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। [৪] উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা ও মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতা।"[উইকিপিডিয়া]
অর্থাৎ এদের লক্ষ্যই মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করে রামরাজত্ব কায়েম।মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদ বলতে ওই সময়ে পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাধাদান এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করার জন্য কাজ করা। আরএসএস ভারতের বাইরেও ৩৫টা দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এরা বাংলাদেশে এখন খুবই শক্তিশালী। আরএসএসের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তান ছিল না। লোকে বলে ১৯৪৫ সালের আগে সম্পূর্ণটাই হিন্দুস্থান ছিল। ২০২৫ সালের পরে আবার ওটা হিন্দুস্থানের মধ্যে চলে আসবে।’
মুম্বাই সভায় বলেন তিনি আরো বলেন," “কিছু দিনের মধ্যেই পাকিস্তান হবে ভারতের অংশ। ঢাকায় আমরা আমাদের মনোমত সরকার গঠন করে দিয়েছি”!
অখণ্ড ভারত’-এর আশা প্রকাশ করে ইন্দ্রেশ কুমারের দাবি, ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ভারতীয় ইউনিয়ন অব অখণ্ড ভারত সৃষ্টির পথে যেতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারও সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে দিল্লির তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্দ্রেশ কুমারের মন্তব্য, ‘আর মাত্র পাঁচ/সাতটা বছর। এরপরে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি কিংবা শিয়ালকোটে বাড়ি করতে পারবেন, ব্যবসাও করতে পারবেন আপনারা।’[৪]
সুতরাং আশাকরি বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই তাদের কব্জায় চলে গিয়েছে। এখন দেশপ্রেমিক/দেশীয়জাতীয়তাবাদীদেরকেও বিলুপ্ত করে তাদের মহাপরিকল্পনার শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছে। তাদের ইচ্ছানুযায়ীই দেশে সরকার আসছে..যাচ্ছে। এখন পুরোপুরি ওদের নিয়ন্ত্রিত সরকার, এজন্য দেখেছে ভারতের বিজেপিপন্থী ইস্কনের রাষ্ট্রদ্রোহী হিন্দুর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও উইথড্র হয়ে যাচ্ছে।
আরএসএস নেতার কথায় কেমন বোধ করছেন? স্পষ্টভাবে বললো বাংলাদেশ সরকার তাদের অনুকূলে কাজ করছে। তার মানে বাংলাদেশ সরকার অখণ্ড ভারত বিনির্মাণে ভারতের পাশে আছে। অর্থাৎ একদিক দিয়ে ভাবলে এরা স্বাধীন দেশের শত্রু হিসেবেই কাজ করছে। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আওড়ে মানুষকে বোকা বানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সেচ্ছাসেবক সংঘ ১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদে হামলাকারী। আরএসএস আদর্শগতভাগে ফ্যাসিজমে বিশ্বাসী। এরা হিটলারকে আদর্শ হিসেবে মান্য করে। পাশাপাশি ইজরাইলকেও নেতারা পূর্ন সমর্থন করতেন।এটা উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত আছেঃ
"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরএসএসের নেতারা প্রকাশ্যে আডলফ হিটলারের প্রশংসা করতেন। মাধব সদাশিব গোলবলকার যিনি
হেডগেওয়ারের পরে আরএসএসের পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রধান হয়েছিলেন, তিনি
হিটলারের বর্ণ-বিশুদ্ধতা মতবাদে অনুপ্রাণীত ছিলেন। কিন্তু কিছু আরএসএস নেতারা ইসরায়েলপন্থীও ছিলেন, বস্তুত সাভারকর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গঠনের সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।"[উইকিপিডিয়া]
আরএসএস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছিল। কারন তাদের ভেতর সেই অবিভক্ত মহাভারত গড়ার স্বপ্ন। উইকিপিডিয়া অনুযায়ীঃ
"১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আরএসএস সদস্যরা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছা-সেবী হয়ে কাজ করেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে তারাই প্রথম রক্তদান কর্মসূচী পালন করেছিল।"[উইকিপিডিয়া]
শুধু আরএসএস নয়, আরও অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ভারতের হারানো ভূখণ্ড ফিরে পেতে চায়, গড়তে চায় অখণ্ড মহাভারত। এর মধ্যে আছে হিন্দু মহাসভা, কাকভূষুণ্ডী রেভ্যুলুশ্যনারী ফোরাম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ,হিন্দু জনজাগ্রত পরিষদ এবং ভারতীয় জনতা পার্টি।
The call for creation of the Akhand Bharat or Akhand Hindusthan has on occasions been raised by Indian Hindutvawadi cultural and political organisations such as the Hindu Mahasabha , Kakbhusundi Revolutionary Forum (KRF), Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS), Vishwa Hindu Parishad, Hindu Janajagruti Samiti , and Bharatiya Janata Party.
ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান রিইউনিফিকেশন এ্যাসোসিয়েশন গঠন হয়ে গেছে। অখণ্ড ভারতের চেতনাধারীরা সাধারণত উগ্রহিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসীঃ
The creation of an Akhand Bharat is also ideologically linked with the concept of
Hindutva (Hinduness) and the ideas of
sangathan (unity) and shuddhi (purification) that seek to focus modern Indian politics on a legendary ancient civilisation and heritage of the Indian subcontinent .
এরা যে ভূখণ্ডগুলো দখল চায় সেসব প্রধানত হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আরো আছে, আফগানিস্তান, মিয়ানমার এমনকি চীনের সীমান্তবর্তী তিব্বতের কিছু অংশ। তবে সর্বপ্রথম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে কব্জায় আনা। ভারতে সবচেয়ে সক্রিয় সামরিক সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস তো অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখেই সাথে তাদের সাথে সংযুক্ত রাজনৈতিক দল বিজেপিও এই স্বপ্ন লালন করে। শুধু আজকের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলটিই নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন লালন করেন এবং এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অর্থাৎ নরেদ্রমোদী ও তার দলের সকল নেতারাও চান বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করতে। উইকিপিডিয়া থেকেঃ
While the leadership of the right-wing BJP wavers on the issue, the RSS has always been a strong proponent of the idea. [12][13] RSS leader H. V. Seshadri 's book The Tragic Story of Partition stresses the importance of the concept of Akhand Bharat. [14] The RSS affiliated magazine Organiser often publishes editorials by leaders such as the present
Sarsanghachalak , Mohan Bhagwat , espousing the philosophy that only Akhand Bharat and
sampoorna samaj (united society) can bring "real" freedom to the people of India.
The call for Indian reunification has been supported by Indian Prime Minister Narendra Modi [16] , and BJP National General Secretary
Ram Madhav . Mr. K.J.Anand Leader Achchedin taken special lead to explore the possibility.[৬]
অতএব সুস্পষ্টভাবে বুঝতে চাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা,ক্ষমতাসীন শাসক,দল ওদের সন্ত্রাসী সংঠন আরএসএস এবং বাংলাদেশে বসানো পাপেট শাসকবর্গ এক হয়ে কাজ করছে।
অখন্ড ভারত বিনির্মাণে ভারত সরকারের পাশে আছে অনেক আলিম উলামা। এমনকি দেওবন্দের আলিমগনও পিছিয়ে নেই। সাধারণত ভারতে অবস্থানরত মুসলিমরা নিজেদেরকে অসহায় নিষ্পেষিত অবস্থায় সেদেশে দেখতে পায়,হয়ত সে অবস্থায় তারা ভারতের ভেতরে আলাদা মুসলিমদের সার্বভৌম অঞ্চল গুলোকে আলাদা দেখতে পছন্দ করে না, তারা হয়ত প্রত্যাশা করে যে ভূখণ্ড গুলো ভারত কর্তৃক পুনরুদ্ধার হলে মাইনরিটি ক্রাইসিস কিছু হলেও ঘুচবে। আল্লাহই ভাল জানেন তাদের হৃদয়ের খবর।
Khaksar Movement leader Allama Mashriqi opposed the partition of India because he felt that if Muslims and Hindus had largely lived peacefully together in India for centuries, they could also do so in a free and united India. [3] Mashriqi saw the two-nation theory as a plot of the British to maintain control of the region more easily, if India was divided into two countries that were pitted against one another. [3] He reasoned that a division of India along religious lines would breed fundamentalism and extremism on both sides of the border. [3] Mashriqi thought that "Muslim majority areas were already under Muslim rule, so if any Muslims wanted to move to these areas, they were free to do so without having to divide the country." [3] To him, separatist leaders "were power hungry and misleading Muslims in order to bolster their own power by serving the British agenda."
The author of Composite Nationalism and Islam , Maulana Husain Ahmad Madani , a Deobandi Muslim scholar and proponent of a united India, argued that in order to maintain their divide and rule policy, the British were attempting to "scare Muslims into imagining that in a free India Muslims would lose their separate identity, and be absorbed into the Hindu fold", a threat that "aim[ed] at depoliticizing the Muslims, weaning them away from struggle for independence." [4] In the eyes of Madani, support for a two-nation theory resulted in the entrenchment of British imperialism.[উইকিপিডিয়া]
বিজেপির ছত্রছায়ায় থাকা আরএসএসের এক মুখপাত্র রাম মাধব বলেন, "আরএসএস এখনো বিশ্বাস করে যে একদিন ওই ভুখণ্ডগুলো যেগুলো ৬০ বছর আগে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আলাদা হয়েছিল, সেগুলো আবারো একীভূত হবে এবং অখণ্ড মহাভারত সৃষ্টি হবে"।
Ram Madhav, a spokesman for the Rashtriya Swayamsevak Sangh , a Hindutva organisation, stated that “The RSS still believes that one day these parts, which have for historical reasons separated only 60 years ago, will again, through popular goodwill, come together and Akhand Bharat will be created.”[৭]
সুতরাং হঠাৎ করে যে আমাদের দেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান, হিন্দু শিক্ষাকে পাঠ্যপুস্তকে স্থানদান, হিন্দু অপরাধীদের প্রতি প্রশাসনের নির্বিকারভাব, চাকরিতে কোটা দিয়ে হিন্দুদের অগ্রাধিকার দিতে দিতে এখন ৩০%+ সরকারী চাকুরী হিন্দুদের দখলে দিয়ে দেওয়া, সামরিক বাহিনীগুলোর উচ্চ পদে হিন্দুদেরকে গনহারে নিয়োগ, দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে RAW এর হস্তক্ষেপ,উগ্রহিন্দুত্ববাদি দলের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাহসিকতা.. প্রভৃতি বিষয়গুলো আদৌ কো-ইন্সিডেন্টস নয়। হয়ত লক্ষ নরনারীর রক্তসিক্ত স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হবার ক্ষণ খুবই নিকটে। এতগুলো প্রাণের আত্মত্যাগ বৃথা হতে দেখাটা খুবই কষ্টের। হয়ত ভারত তার ঐতিহাসিক প্রয়োজনে তাদেরকে ব্যবহার করেছিল। নামমাত্র স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা মূলত দীর্ঘকাল ধরে পরাধীন অবস্থায়ই ছিলাম, সেটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি উপরে যেসকল তথ্য দিয়েছি সেসবই প্রায় উন্মুক্ত তথ্য। যেসব জার্নালিস্ট,সাংবাদিকরা অনেক ভেতরের তথ্য সম্পর্কে ধারনা রাখে তারা খুব ভাল করেই জানেন, আমাদের স্বাধীনতা আজ যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা থেকে উত্তরণের কোন পথ নেই। ভারত বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। খুব শীঘ্রই হয়ত লেন্দুপ দর্জি,সিক্কিমের আরেকটি ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সিক্কিমের সাথে যা করা হয়েছিল, এর চেয়েও বাংলাদেশে ভারতের পরিকল্পনামাফিক কর্মকাণ্ড আরো সুদৃঢ়। আমরা আজ এদেশে মুসলিম মেজরিটির অনুভূতি নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছি, খুব শীঘ্রই মাইনরিটি হতে যাচ্ছি। এ (প্র)দেশেও নেমে আসবে নির্যাতন আর গনহত্যার নানান চিত্র। রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাশি বাজাচ্ছিল, আমরাও ওই একই অবস্থানে আছি।দিনগুলো ভাল যাচ্ছে দেখে কপালে চিন্তার রেখা তৈরি হচ্ছে না, সবসময় ভাবতে ভালবাসি এ অবস্থাই থাকবে চিরদিন।
ভারত ঠিক সেই অনুভূতি থেকে পাকবাংলার ভূখণ্ড ফেরত পেতে চায়, যে অনুভূতি থেকে আমরাও পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা খুলনার কিছু অংশকে ফিরে পেতে চাইতাম, যদি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সফল হতো। আজ অথবা কাল ঠিকই ভারত আদায় করে নেবে। আমাদের যেটা পরিণতির ভবিষ্যদ্বাণী স্বস্তি দেয় সেটা হচ্ছে বিভক্ত ভারত আবারও অবিভক্ত হবে, এবং সেটা থাকবে কালপতাকার ছায়াতলে। হয়ত আজও মুসলিমদের নিদ্রা কাটেনি, কিন্তু বোমার শব্দে ঠিকই কাটবে, আল্লাহ ঠিক এভাবেই তার পথে হাকিয়ে নিয়ে আসবেন দ্বীনবিমুখ(কিত্বাল) জাতিকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "অচিরেই কাফের মুশরিক জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে তোমাদের উপর আক্রমন করার জন্য তারা একে অপরকে আহবান করতে থাকবে, যেভাবে খাবারের দস্তরখানের দিকে লোকদেরকে ডাকা হয়ে থাকে। একজন সাহাবী দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! সেদিন কি আমরা সংখ্যায় কম হব? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না। বরং সেদিন তোমরা সংখ্যায় অনেক বেশি হবে। তবে তোমাদের অবস্থা হবে বন্যায় ভাসমান খড়কুটার মত। আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন এবং তোমাদের অন্তরে অহান ঢেলে দিবেন। একজন জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহু অহান কি জিনিস? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অহান হচ্ছে, দুনিয়ার ভালবাসা এবং মৃত্যকে অপছন্দ করা।"মুসনদে আহমদের অপর হাদীসে বর্নিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "অহান হচ্ছে, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা ও আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকে অপছন্দ করা, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা কে অপছন্দ করা।"[সুনানে আবু দাঊদ]
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, "যখন তোমরা ইনা নামক সূদী কারবারে জড়িত হয়ে যাবে, গরুর লেজ ধরবে এবং চাষাবাদ নিয়েই সন্তুষ্ট হয়ে যাবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদের উপর লাঞ্ছনাকে চাপিয়ে দিবেন। এই লাঞ্ছনা ততদিন পর্যন্ত তোমাদের থেকে তুলে নেয়া হবে না যতদিন না তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে।"[মুসানাদে আহমাদ,আবু দাঊদ]
The Islamist group Lashkar-e-Taiba has framed the prophecy of Ghazwa-e-Hind , as one in which India is defeated and united with Pakistan, unifying the Indian subcontinent under Muslim rule.[উইকিপিডিয়া]
হিন্দুস্তানের চূড়ান্তযুদ্ধ সংক্রান্ত হাদিসঃ
১ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الزَّمِنُ، ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ بُسْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ صُرَيْمٍ السَّكُونِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَتُقَاتِلُنَّ الْمُشْرِكِينَ، حَتَّى تُقَاتِلَ بَقِيَّتُكُمُ الدَّجَّالَ، عَلَى نَهْرٍ بِالأُرْدُنِّ، أَنْتُمْ شَرْقِيَّهُ وَهُمْ غَرْبِيَّهُ، وَمَا أَدْرِي، أَيْنَ الأُرْدُنُّ يَوْمَئِذٍ مِنَ الأَرْضِ.
অর্থ : সুরাইম রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিঃসন্দেহে তোমরা মুশরিকদের (মূর্তিপূজারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমনকি এ যুদ্ধে তোমাদের অবশিষ্ট মুজাহিদরা জর্ডান নদীর তীরে দাজ্জালের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। এই যুদ্ধে তোমরা পূর্ব দিকে অবস্থান করবে আর দাজ্জালের অবস্থান হবে পশ্চিম দিকে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, সেদিন জর্ডান কোথায় অবস্থিত হবে?
সূত্র :
১. কাশফুল আসতার আন জাওয়াইদিল বাজ্জার : ৪/১৩৮, হা. নং ৩৩৮৭, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরুত-
২. মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো-
মান :
এর সনদ বিশুদ্ধ। হাফিজ হাইসামি রহ. হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন, এটি ইমাম তাবারানি রহ. ও ইমাম বাজ্জার রহ. বর্ণনা করেছেন। আর বাজ্জারে বর্ণিত হাদিসটির বর্ণনাকারী সবাই নির্ভরযোগ্য।
(দেখুন, মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৭/৩৪৮-৩৪৯, হা. নং ১২৫৪২, প্র. মাকতাবাতুল কুদসি, কায়রো)
২ নং হাদিস :
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ، عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، وَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ أَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে আমি আমার জান-মাল সব কিছু তাতে ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
১. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৪, প্র. মাকতাবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
২. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৫৯৯, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৩. মুসনাদু আহমাদ : ১২/২৮-২৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
৪. মুসতাদরাকুল হাকিম : ৩/৫৮৮, হা. নং ১৭৭৫/৬১৭৭, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৫. হিলইয়াতুল আওলিয়া : ৮/৩১৬, প্র. আস-সাআদা, মিসর-
৬. আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৭, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ، عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيدَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، وَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ أَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে আমি আমার জান-মাল সব কিছু তাতে ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
১. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৪, প্র. মাকতাবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
২. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৫৯৯, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৩. মুসনাদু আহমাদ : ১২/২৮-২৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
৪. মুসতাদরাকুল হাকিম : ৩/৫৮৮, হা. নং ১৭৭৫/৬১৭৭, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৫. হিলইয়াতুল আওলিয়া : ৮/৩১৬, প্র. আস-সাআদা, মিসর-
৬. আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৭, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এ বর্ণনাটির সনদ হাসান তথা উত্তম। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের সবাই নির্ভরযোগ্য হলেও জাবর বিন আবিদা নামক একজন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে সামান্য একটু বিতর্ক আছে। ইমাম ইবনে হিব্বান রহ. তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। হাফিজ জাহাবি রহ. দুর্বল রাবি বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তার বিপরীতে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। (দেখুন, তাকরিবুত তাহজিব : ১/৩৩৭, জীবনী নং ৮৯২)
এ বর্ণনাটির সনদ হাসান তথা উত্তম। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের সবাই নির্ভরযোগ্য হলেও জাবর বিন আবিদা নামক একজন বর্ণনাকারীর ব্যাপারে সামান্য একটু বিতর্ক আছে। ইমাম ইবনে হিব্বান রহ. তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। হাফিজ জাহাবি রহ. দুর্বল রাবি বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তার বিপরীতে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। (দেখুন, তাকরিবুত তাহজিব : ১/৩৩৭, জীবনী নং ৮৯২)
এছাড়াও এর সমর্থনে আরও কিছু হাদিস রয়েছে। যেমন 'মুসনাদু আহমাদ'-এর ১৪/৪১৯ পৃষ্ঠার ৮৮২৩ নং হাদিস এবং ইমাম ইবনে আবি আসিম রহ. বিরচিত ‘আল জিহাদ’ গ্রন্থের ২৯১ নং হাদিস।
৩ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَالِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الْوُصَابِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَدِيٍّ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ.
অর্থ : হজরত সাওবান রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে হতে দুটি দলকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যুদ্ধে শরিক হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি দল, যারা ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করবে।
حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَالِمٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الْوُصَابِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَدِيٍّ الْبَهْرَانِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمُ اللهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ.
অর্থ : হজরত সাওবান রা. সূত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে হতে দুটি দলকে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যুদ্ধে শরিক হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি দল, যারা ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করবে।
সূত্র :
১. মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
২. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
৩. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৬০০, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৪. আল-মুজামুল আওসাত : ৭/২৩, হা. নং ৬৭৪১ প্র. দারুল হারামাইন, কায়রো-
৫. আত তারিখুল কাবির : ৬/৭২-৭৩, জীবনী নং ১৭৪৭, প্র. দায়িরাতুল মাআরিফিল উসমানিয়্যা, হায়দারাবাদ-
৬. আল কামিল, ইবনে আদি : ২/৪০৮, জীবনী নং ৩৫১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
১. মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
২. সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব-
৩. আস-সুনানুল কুবরা, বাইহাকি : ৯/২৯৭, হা. নং ১৮৬০০, প্র. দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
৪. আল-মুজামুল আওসাত : ৭/২৩, হা. নং ৬৭৪১ প্র. দারুল হারামাইন, কায়রো-
৫. আত তারিখুল কাবির : ৬/৭২-৭৩, জীবনী নং ১৭৪৭, প্র. দায়িরাতুল মাআরিফিল উসমানিয়্যা, হায়দারাবাদ-
৬. আল কামিল, ইবনে আদি : ২/৪০৮, জীবনী নং ৩৫১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত-
মান :
এ হাদিসটি হাসান। এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি عن এর পরিবর্তে حدثنا ব্যবহার করায় এখানে তাদলিসজনিত কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হয়নি। আর আবু বকর বিন অলিদ মাজহুলুল হাল হলেও নির্ভরযোগ্য রাবি আব্দুল্লাহ বিন সালিম আশআরি রহ.-এর মুতাবাআত (অনুরূপ বর্ণনা) থাকায় হাদিসটি হাসান হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।
এ হাদিসটি হাসান। এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি عن এর পরিবর্তে حدثنا ব্যবহার করায় এখানে তাদলিসজনিত কোনো দুর্বলতা সৃষ্টি হয়নি। আর আবু বকর বিন অলিদ মাজহুলুল হাল হলেও নির্ভরযোগ্য রাবি আব্দুল্লাহ বিন সালিম আশআরি রহ.-এর মুতাবাআত (অনুরূপ বর্ণনা) থাকায় হাদিসটি হাসান হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকল না।
৪ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا الْبَرَاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خَلِيلِي الصَّادِقُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ، فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ، وَإِنْ أَنَا فَذَكَرَ كَلِمَةً رَجَعْتُ وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ قَدْ أَعْتَقَنِي مِنَ النَّارِ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার সত্যবাদী বন্ধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করত বলেছেন, এ উম্মতের মধ্যে সিন্ধু ও হিন্দুস্তানের দিকে একটি যুদ্ধাভিযান পরিচালিত হবে। (আবু হুরাইরা রা. বলেন,) আমি যদি সে যুদ্ধ পেয়ে যাই, অতঃপর যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে যাই তাহলে তো আমি মহাসৌভাগ্যবান। আর যদি আমি গাজি হযে ফিরে আসি তাহলে আমি হব মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা। আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিদান করেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا الْبَرَاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خَلِيلِي الصَّادِقُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: يَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ، فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ، وَإِنْ أَنَا فَذَكَرَ كَلِمَةً رَجَعْتُ وَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ قَدْ أَعْتَقَنِي مِنَ النَّارِ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার সত্যবাদী বন্ধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করত বলেছেন, এ উম্মতের মধ্যে সিন্ধু ও হিন্দুস্তানের দিকে একটি যুদ্ধাভিযান পরিচালিত হবে। (আবু হুরাইরা রা. বলেন,) আমি যদি সে যুদ্ধ পেয়ে যাই, অতঃপর যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে যাই তাহলে তো আমি মহাসৌভাগ্যবান। আর যদি আমি গাজি হযে ফিরে আসি তাহলে আমি হব মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা। আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিদান করেছেন।
সূত্র :
মুসনাদু আহমাদ : ১৪/৪১৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
মুসনাদু আহমাদ : ১৪/৪১৯, হা. নং ৭১২৮, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত-
মান :
এ বর্ণনাটির সনদ জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বারা বিন আব্দুল্লাহ গানাবি নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও এতে হাসান বসরি রহ. এবং আবু হুরাইরা রা.-এর মাঝে সূত্র বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতানুসারে হাসান বসরি রহ. আবু হুরাইরা রা. থেকে সরাসরি কোনো হাদিস শোনেননি।
এ বর্ণনাটির সনদ জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বারা বিন আব্দুল্লাহ গানাবি নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও এতে হাসান বসরি রহ. এবং আবু হুরাইরা রা.-এর মাঝে সূত্র বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতানুসারে হাসান বসরি রহ. আবু হুরাইরা রা. থেকে সরাসরি কোনো হাদিস শোনেননি।
৫ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوْزَاءِ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ - وَكَانَ مِنْ نُسَّاكِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ - قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُبَيْهٍ مَوْلَى صَفِيَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أُدْرِكْهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، فَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ كَأَفْضَلِ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি যদি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে তাতে আমি আমার জান-মাল সব কিছু ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদের ন্যায়। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوْزَاءِ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ - وَكَانَ مِنْ نُسَّاكِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ - قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ نُبَيْهٍ مَوْلَى صَفِيَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ غَزْوَةَ الْهِنْدِ، فَإِنْ أُدْرِكْهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي، فَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ كَأَفْضَلِ الشُّهَدَاءِ، وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ.
অর্থ : হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদ সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি যদি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে তাতে আমি আমার জান-মাল সব কিছু ব্যয় করব। এতে যদি আমি শাহাদত বরণ করি তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদের ন্যায়। আর যদি গাজি হয়ে ফিরে আসি তাহলে আমি হব (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা।
সূত্র :
আল-জিহাদ, ইবনু আবি আসিম : ২/৬৬৮, হা. নং ২৯১, প্র. মাকতাবাতুল উলুম ওয়াল হিকাম, মদিনা-
আল-জিহাদ, ইবনু আবি আসিম : ২/৬৬৮, হা. নং ২৯১, প্র. মাকতাবাতুল উলুম ওয়াল হিকাম, মদিনা-
মান :
এ বর্ণনাটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে হাশিম বিন সাইদ নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে। অবশ্য কিনানা বিন নুবাইহকে ইমাম আজদি রহ. জইফ বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তা প্রত্যাখ্যান করে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে অভিহিত করেছেন।
এ বর্ণনাটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে হাশিম বিন সাইদ নামক একজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে। অবশ্য কিনানা বিন নুবাইহকে ইমাম আজদি রহ. জইফ বললেও হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানি রহ. তা প্রত্যাখ্যান করে তাকে মাকবুল বা গ্রহণীয় রাবি বলে অভিহিত করেছেন।
৬ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ بَعْضِ الْمَشْيَخَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ الْهِنْدَ، فَقَالَ: لَيَغْزُوَنَّ الْهِنْدَ لَكُمْ جَيْشٌ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوكِهِمْ مُغَلَّلِينَ بِالسَّلَاسِلِ، يَغْفِرُ اللَّهُ ذُنُوبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُونَ حِينَ يَنْصَرِفُونَ فَيَجِدُونَ ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنْ أَنَا أَدْرَكْتُ تِلْكَ الْغَزْوَةَ بِعْتُ كُلَّ طَارِفٍ لِي وَتَالِدٍ وَغَزَوْتُهَا، فَإِذَا فَتْحَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَانْصَرَفْنَا فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرِّرُ، يَقْدَمُ الشَّامَ فَيَجِدُ فِيهَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّي قَدْ صَحِبْتُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ.
অর্থ : আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের যুদ্ধের আলোচনার প্রাক্কালে বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানের সাথে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন এবং তারা হিন্দুস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই দলের যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর মুসলিমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-কে সিরিয়ায় পেয়ে যাবে। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, আমি যদি গাজওয়াতুল হিন্দে অংশগ্রহণের সু্যোগ পাই তাহলে আমি আমার নতুন পুরাতন সব সম্পদ বিক্রি করে দেবো এবং এতে অংশগ্রহণ করব। এরপর যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজয় দান করবেন এবং আমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসব তখন আমি হব (জাহান্নামের আগুন হতে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা, যে সিরিয়ায় গিয়ে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সাথে মিলিত হবে। হে আল্লাহর রাসুল, আমার খুব আকাঙ্ক্ষা যে, আমি ইসা আ.-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে বলব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন সাহাবি। তিনি বলেন, এতে রাসুলুল্লাহ সা. মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, সে (যুদ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি!!
حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ صَفْوَانَ، عَنْ بَعْضِ الْمَشْيَخَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ الْهِنْدَ، فَقَالَ: لَيَغْزُوَنَّ الْهِنْدَ لَكُمْ جَيْشٌ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يَأْتُوا بِمُلُوكِهِمْ مُغَلَّلِينَ بِالسَّلَاسِلِ، يَغْفِرُ اللَّهُ ذُنُوبَهُمْ، فَيَنْصَرِفُونَ حِينَ يَنْصَرِفُونَ فَيَجِدُونَ ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنْ أَنَا أَدْرَكْتُ تِلْكَ الْغَزْوَةَ بِعْتُ كُلَّ طَارِفٍ لِي وَتَالِدٍ وَغَزَوْتُهَا، فَإِذَا فَتْحَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَانْصَرَفْنَا فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرِّرُ، يَقْدَمُ الشَّامَ فَيَجِدُ فِيهَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّي قَدْ صَحِبْتُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ.
অর্থ : আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের যুদ্ধের আলোচনার প্রাক্কালে বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানের সাথে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন এবং তারা হিন্দুস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তাআলা সেই দলের যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর মুসলিমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-কে সিরিয়ায় পেয়ে যাবে। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. বলেন, আমি যদি গাজওয়াতুল হিন্দে অংশগ্রহণের সু্যোগ পাই তাহলে আমি আমার নতুন পুরাতন সব সম্পদ বিক্রি করে দেবো এবং এতে অংশগ্রহণ করব। এরপর যখন আল্লাহ তাআলা আমাদের বিজয় দান করবেন এবং আমরা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসব তখন আমি হব (জাহান্নামের আগুন হতে) মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরাইরা, যে সিরিয়ায় গিয়ে ইসা ইবনে মারইয়াম আ.-এর সাথে মিলিত হবে। হে আল্লাহর রাসুল, আমার খুব আকাঙ্ক্ষা যে, আমি ইসা আ.-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে বলব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন সাহাবি। তিনি বলেন, এতে রাসুলুল্লাহ সা. মুচকি মুচকি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, সে (যুদ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি!!
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৬, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৬, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এ সনদটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনাকারী এখানে অজ্ঞাত।
এ সনদটি জইফ। কেননা, এর বর্ণনাকারীদের মধ্যে বাকিয়্যা বিন অলিদ নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে। এছাড়াও আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণনাকারী এখানে অজ্ঞাত।
৭ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبٍ، قَالَ: يَبْعَثُ مَلِكٌ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ جَيْشًا إِلَى الْهِنْدِ فَيَفْتَحُهَا، فَيَطَئُوا أَرْضَ الْهِنْدِ، وَيَأْخُذُوا كُنُوزَهَا، فَيُصَيِّرُهُ ذَلِكَ الْمَلِكُ حِلْيَةً لَبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَيُقْدِمُ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْجَيْشُ بِمُلُوكِ الْهِنْدِ مُغَلَّلِينَ، وَيُفْتَحُ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَيَكُونُ مَقَامُهُمْ فِي الْهِنْدِ إِلَى خُرُوجِ الدَّجَّالِ.
অর্থ : হজরত কাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জেরুজালেমের একজন বাদশাহ হিন্দুস্তানের দিকে একটি সৈন্যদল পাঠাবেন। সৈন্যদল হিন্দুস্তানের ভূমি জয় করে তা পদানত করবে। এর অর্থ-ভাণ্ডার দখল করবে। তারপর বাদশাহ এসব ধনদৌলত বাইতুল মুকাদ্দাসে সাজিয়ে রাখবেন। সৈন্যদলটি হিন্দুস্তানের রাজাদের শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি করে তাঁর নিকট উপস্থিত করবে। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সকল এলাকায় তাঁর বিজয়ার্জন হবে। দাজ্জালের আবির্ভাব পর্যন্ত তাঁরা হিন্দুস্তানেই অবস্থান করবেন।
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبٍ، قَالَ: يَبْعَثُ مَلِكٌ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ جَيْشًا إِلَى الْهِنْدِ فَيَفْتَحُهَا، فَيَطَئُوا أَرْضَ الْهِنْدِ، وَيَأْخُذُوا كُنُوزَهَا، فَيُصَيِّرُهُ ذَلِكَ الْمَلِكُ حِلْيَةً لَبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَيُقْدِمُ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْجَيْشُ بِمُلُوكِ الْهِنْدِ مُغَلَّلِينَ، وَيُفْتَحُ لَهُ مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، وَيَكُونُ مَقَامُهُمْ فِي الْهِنْدِ إِلَى خُرُوجِ الدَّجَّالِ.
অর্থ : হজরত কাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জেরুজালেমের একজন বাদশাহ হিন্দুস্তানের দিকে একটি সৈন্যদল পাঠাবেন। সৈন্যদল হিন্দুস্তানের ভূমি জয় করে তা পদানত করবে। এর অর্থ-ভাণ্ডার দখল করবে। তারপর বাদশাহ এসব ধনদৌলত বাইতুল মুকাদ্দাসে সাজিয়ে রাখবেন। সৈন্যদলটি হিন্দুস্তানের রাজাদের শিকল দিয়ে বেঁধে বন্দি করে তাঁর নিকট উপস্থিত করবে। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সকল এলাকায় তাঁর বিজয়ার্জন হবে। দাজ্জালের আবির্ভাব পর্যন্ত তাঁরা হিন্দুস্তানেই অবস্থান করবেন।
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৫, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪০৯, হা. নং ১২৩৫, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এটার সনদ জইফ। কেননা, কাব রহ. থেকে বর্ণনাকারীর নাম এখানে অস্পষ্ট। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
এটার সনদ জইফ। কেননা, কাব রহ. থেকে বর্ণনাকারীর নাম এখানে অস্পষ্ট। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
৮ নং হাদিস :
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ جَرَّاحٍ، عَنْ أَرْطَاةَ، قَالَ: عَلَى يَدَيْ ذَلِكَ الْخَلِيفَةِ الْيَمَانِيِّ الَّذِي تُفْتَحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةُ وَرُومِيَّةُ عَلَى يَدَيْهِ، يَخْرُجُ الدَّجَّالُ وَفِي زَمَانِهِ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى يَدَيْهِ تَكُونُ غَزْوَةُ الْهِنْدِ، وَهُوَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، غَزْوَةُ الْهِنْدِ الَّتِي قَالَ فِيهَا أَبُو هُرَيْرَةَ.
অর্থ : হজরত আরতাত রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ইয়ামানি খলিফার নেতৃত্বে ইসতামবুল ও রোম (ইউরোপ) বিজয় হবে, তাঁর সময়েই দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে, তাঁর যুগেই ইসা ইবনে মারইয়াম আ. অবতরণ করবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তিনি হবেন হাশিমি বংশের লোক। গাজওয়াতুল হিন্দ বলতে ঐ যুদ্ধ উদ্দেশ্য, যে ব্যাপারে আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ جَرَّاحٍ، عَنْ أَرْطَاةَ، قَالَ: عَلَى يَدَيْ ذَلِكَ الْخَلِيفَةِ الْيَمَانِيِّ الَّذِي تُفْتَحُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةُ وَرُومِيَّةُ عَلَى يَدَيْهِ، يَخْرُجُ الدَّجَّالُ وَفِي زَمَانِهِ يَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى يَدَيْهِ تَكُونُ غَزْوَةُ الْهِنْدِ، وَهُوَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ، غَزْوَةُ الْهِنْدِ الَّتِي قَالَ فِيهَا أَبُو هُرَيْرَةَ.
অর্থ : হজরত আরতাত রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ইয়ামানি খলিফার নেতৃত্বে ইসতামবুল ও রোম (ইউরোপ) বিজয় হবে, তাঁর সময়েই দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে, তাঁর যুগেই ইসা ইবনে মারইয়াম আ. অবতরণ করবেন এবং তাঁর নেতৃত্বেই হিন্দুস্তানের যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তিনি হবেন হাশিমি বংশের লোক। গাজওয়াতুল হিন্দ বলতে ঐ যুদ্ধ উদ্দেশ্য, যে ব্যাপারে আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন।
সূত্র :
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪১০, হা. নং ১২৩৮, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ : ১/৪১০, হা. নং ১২৩৮, প্র. মাকতাবাতুত তাওহিদ, কায়রো-
মান :
এটার সনদ জইফ। কেননা, এতে অলিদ বিন মুসলিম নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে, যে হাদিসটি عن দ্বারা বর্ণনা করেছে। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
এটার সনদ জইফ। কেননা, এতে অলিদ বিন মুসলিম নামক একজন মুদাল্লিস বর্ণনাকারী আছে, যে হাদিসটি عن দ্বারা বর্ণনা করেছে। আর এটা 'মাকতু' তথা তাবিয়ি বর্ণিত একটি হাদিস।
গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসগুলোর সম্মিলিত মান :
উপরিউক্ত হাদিসগুলোর কিছু সহিহ, কিছু হাসান এবং কিছু জইফ। তবে এ জইফগুলো একটিও মারাত্মক নয়; বরং সবগুলোই সহনীয় পর্যায়ের। সবগুলো সনদ একসাথে করলে সম্মিলিতভাবে গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিস সহিহ (বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত) বা কমপক্ষে হাসান (উত্তম সূত্রে বর্ণিত) পর্যায়ের বলে সাব্যস্ত হয়।
এজন্যই শাইখ আলবানি রহ. সুনানে নাসায়িতে বর্ণিত গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসটিকে সহিহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (দেখুন, সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব) আর সিলসিলাতুস সহিহা-তে এর সনদকে জাইয়িদ বা হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন : সিলসিলাতুল আহাহাদিসিস সহিহা : ৪/৫৭০, হা. নং ১৯৩৪, প্র. মাকতাবাতুল মাআরিফ, রিয়াদ) এছাড়াও শাইখ শুআইব আরনাওত রহ. মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত উক্ত হাদিসকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন, মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত)
উপরিউক্ত হাদিসগুলোর কিছু সহিহ, কিছু হাসান এবং কিছু জইফ। তবে এ জইফগুলো একটিও মারাত্মক নয়; বরং সবগুলোই সহনীয় পর্যায়ের। সবগুলো সনদ একসাথে করলে সম্মিলিতভাবে গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিস সহিহ (বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত) বা কমপক্ষে হাসান (উত্তম সূত্রে বর্ণিত) পর্যায়ের বলে সাব্যস্ত হয়।
এজন্যই শাইখ আলবানি রহ. সুনানে নাসায়িতে বর্ণিত গাজওয়াতুল হিন্দের হাদিসটিকে সহিহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (দেখুন, সুনানুন নাসায়ি : ৬/৪২, হা. নং ৩১৭৫, প্র. মাকতাবুল মাতবুআতিল ইসলামিয়্যা, হালব) আর সিলসিলাতুস সহিহা-তে এর সনদকে জাইয়িদ বা হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন : সিলসিলাতুল আহাহাদিসিস সহিহা : ৪/৫৭০, হা. নং ১৯৩৪, প্র. মাকতাবাতুল মাআরিফ, রিয়াদ) এছাড়াও শাইখ শুআইব আরনাওত রহ. মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত উক্ত হাদিসকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন। (দেখুন, মুসনাদু আহমাদ : ৩৭/৮১, হা. নং ২২৩৯৬, প্র. মুআসাসাসতুর রিসালা, বৈরূত)
শাইখ হামুদ তুওয়াইজিরি বলেন :
وما ذكر في حديث أبي هريرة رضي الله عنه الذي رواه نعيم بن حماد من غزو الهند؛ فهو لم يقع إلى الآن، وسيقع عند نزول عيسى ابن مريم عليهما الصلاة والسلام إن صح الحديث بذلك.
অর্থ : নুআইম বিন হাম্মাদ কর্তৃক বর্ণিত আবু হুরাইরা রা.-এর হাদিসে যে গাজওয়াতুল হিন্দের কথা এসেছে তা এখনও সংঘটিত হয়নি। এ হাদিসটি সহিহ হলে সত্বরই তা ইসা আ.-এর অবতরণের সময়কালে সংঘটিত হবে।
وما ذكر في حديث أبي هريرة رضي الله عنه الذي رواه نعيم بن حماد من غزو الهند؛ فهو لم يقع إلى الآن، وسيقع عند نزول عيسى ابن مريم عليهما الصلاة والسلام إن صح الحديث بذلك.
অর্থ : নুআইম বিন হাম্মাদ কর্তৃক বর্ণিত আবু হুরাইরা রা.-এর হাদিসে যে গাজওয়াতুল হিন্দের কথা এসেছে তা এখনও সংঘটিত হয়নি। এ হাদিসটি সহিহ হলে সত্বরই তা ইসা আ.-এর অবতরণের সময়কালে সংঘটিত হবে।
সূত্র :
ইতহাফুল জামাআহ : ১/৩৬৬, গাজওয়াতুল হিন্দসংক্রান্ত অধ্যায়, প্র. দারু সামিয়ি, রিয়াদ-
ইতহাফুল জামাআহ : ১/৩৬৬, গাজওয়াতুল হিন্দসংক্রান্ত অধ্যায়, প্র. দারু সামিয়ি, রিয়াদ-
শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ বলেন :
الذي يبدو من ظاهر حديث ثوبان وحديث أبي هريرة ـ إن صح ـ أن غزوة الهند المقصودة ستكون في آخر الزمان ، في زمن قرب نزول عيسى بن مريم عليهما السلام ، وليس في الزمن القريب الذي وقع في عهد معاوية بن أبي سفيان رضي الله عنه
অর্থ : সাওবান রা. ও আবু হুরাইরা রা. এর হাদিস সহিহ হয়ে থাকলে এর স্পষ্ট ভাষ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কাঙ্খিত গাজওয়াতুল হিন্দ শেষ জমানায় ইসা আ.-এর অবতরণের নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত হবে। মুআবিয়া রা.-এর যুগের কাছাকাছি সময়ে যে সকল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো নয়।
الذي يبدو من ظاهر حديث ثوبان وحديث أبي هريرة ـ إن صح ـ أن غزوة الهند المقصودة ستكون في آخر الزمان ، في زمن قرب نزول عيسى بن مريم عليهما السلام ، وليس في الزمن القريب الذي وقع في عهد معاوية بن أبي سفيان رضي الله عنه
অর্থ : সাওবান রা. ও আবু হুরাইরা রা. এর হাদিস সহিহ হয়ে থাকলে এর স্পষ্ট ভাষ্য থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কাঙ্খিত গাজওয়াতুল হিন্দ শেষ জমানায় ইসা আ.-এর অবতরণের নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত হবে। মুআবিয়া রা.-এর যুগের কাছাকাছি সময়ে যে সকল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলো নয়।
সূত্র :
ইসলাম সুওয়াল ও জাওয়াব : প্রশ্নোত্তর নং ১৪৫৬৩৬
ইসলাম সুওয়াল ও জাওয়াব : প্রশ্নোত্তর নং ১৪৫৬৩৬
রেফঃ
১]RK YADAV, 1971 Bangladesh war: RAW heroes India forgot to honour, dailyo.in, 16-12-2015, http://www.dailyo.in/politics/1971-bangladesh-war-research-and-analysis-wing-rn-kao-pakistan-army-indian-army/story/1/7972.html
.
২] https://drive.google.com/file/d/0B4wDsget9PQuRmdjVWRlamJ4REU/view
.
৩]https://m.youtube.com/watch?v=aQxHS0LHGV8
.
৪]https://newsduniya24x7.in/within-a-few-days-pakistan-will-be-part-of-india-we-have-formed-our-own-government-in-dhaka-rss-leader-indresh-kumar/
.
৫]https://bn.m.wikipedia.org/wiki/বঙ্গভঙ্গ_(১৯০৫)
.
৬]https://en.m.wikipedia.org/wiki/Akhand_Bharat
.
৭] https://en.m.wikipedia.org/wiki/Indian_reunification
দারুন লিখেছেন ভাই।
ReplyDeleteশুরুটাও অনেক গোছালো হয়েছে।
সার্বিকভাবে ব্যালান্সডও হয়েছে বলে মনে হয়েছে।