Sunday, December 8, 2019

২০০৪ সালের এ ঘটনা যারা জানেন না তাদের জন্য

ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট হাদিসঃ
.
হযরত আবু সাইদ আল খুদরি (রাঃ), নবী (সঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, দাজ্জাল আত্নপ্রকাশ করলে ইমানদারদের থেকে এক ব্যক্তি তার কাছে যাবে। তার সাথে দাজ্জালের প্রহরীদের সাক্ষত হবে। তারা তাকে বলবে কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করছো ? সে বলবে আমি এই আবির্ভূত ব্যক্তির কাছে যেতে চাচ্ছি। প্রহরীরা বলবে আমাদের রবের প্রতি তোমার ইমান নেই ?? সে বলবে আমাদের রবের কোন গোপনীয়তা নেই। তারা বলবে একে হত্যাকরো। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলবলি করবে, তোমাদের রবের অগোচরে কোন ব্যক্তিকে হত্য করতে নিষেধ করেনি ? তারপর তারা তাকে দাজ্জালের নিকট নিয়ে যাবে। যখন মুমিন ব্যক্তিটি দাজ্জালকে দেখবে, তখন বলবে হে লোক সকল.!! এইতো সেই দাজ্জাল যার কথা রসুলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন। এর পর দাজ্জালের নির্দেশে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে, তার পেট ও পিঠ উন্মুক্ত করে পেটানো হবে। তুমি কি আমার উপর ইমান এনেছো ?? মুমিন ব্যক্তি বলবে তুই-ই তো সেই মাসিহ্ দাজ্জাল। এর পর তার মাথ হতে দু পায়ের মাঝ পর্যন্ত করাত দিয়ে চিরে ফেলা হবে। এর পর দাজ্জাল তাকে আবার জীবিত করবে এবং এখন তো ইমান পোষন করেছে ?? সে বলবে তোর সম্পর্কে এখন আমি আরো স্পট হলাম। সে মানবদেরকে সম্মোধন করে বলবে, হে মানবমন্ডলী.!! আমার পরে এ আর কাওকে কিছু করতে পারবেনা। দাজ্জাল তাকে পুনরায় হত্যা করতে চাইবে। আল্লাহ্ তার ঘাড়কে গলার নিচের হাড় পর্যন্ত পিতলে মুড়িয়ে দিবেন। সে তাকে আর হত্যা করতে পারবেনা, ফলে দিশে হারা হয়ে তার দু হাত,পা ধরে নিক্ষেপ করবে। সবাই দেখবে সে আগুনে নিক্ষেপ হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেহেস্ত নিক্ষিপ্ত হবে। রাসুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন, এই ব্যক্তি আল্লার নিকটে মানব জাতির মধ্যে সবচাইতে উন্নত স্তরের শহীদের মর্যাদা লাভ কবেন। (মুসলিম-৭০১৯)
.
বিস্ময়কর সাক্ষাতকারঃ
_____________________
"এখন আপনাদেরকে আমি একটি বিস্ময়কর ঘটনা জানাতে চাই। গত ২০০৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী প্যালেস্টাইনের টিভি চ্যানেল আল আকসা টিভিতে সেখানকার একজন আলেম ঈসা বাদওয়ান এক সাক্ষাতকারে এক বিস্ময়কর তথ্য দেন। যা নিশ্চিতভাবে মুসলিম জাহানের জন্য ভাবার বিষয় এবং সতর্কবার্তা।
এখানে সাক্ষাতকারের অংশটি তুলে ধরছি।
ঈসা বাদওয়ানঃ একজন লোক, যাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং বিশ্বাস করি, সঙ্গত কারণেই আমি তার নাম বলতে চাচ্ছি না – তো তিনি একদিন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একজন বৃদ্ধ স্ত্রীলোক তাকে থামালো এবং ঐ স্ত্রীলোককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল। কারণ, ঐ বৃদ্ধার মেয়ে ঐ হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছে। লোকটি ঐ বৃদ্ধার অনুরোধটি রাখল এবং তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে হাসপাতালের বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করল। এক ঘণ্টা করে ঐ বৃদ্ধা তার মেয়ে এবং মেয়ের নবজাতক শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হয়ে গাড়িতে উঠল। যখন তারা গাড়িতে উঠল, তখন ঐ নবজাতক সবাইকে অবাক করে দিয়ে সালাম দিল। আমরা অবাক হয়ে সালামের উত্তর দিলাম।
.
সাক্ষাতকার গ্রহণকারীঃ নবজাতক কথা বলে উঠল?
.
ঈসা বাদওয়ানঃ হ্যাঁ, নবজাতক শিশুটি। এবং আমরা এটা শেখ নিজারসহ অন্যান্য আলেমকে জানিয়েছিলাম তখন। তো লোকটি যা বলল তা হল যে, শিশুটি বলল, “আমিই হলাম সেই বালক যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে, এরপরে আর কাউকে সে হত্যা করতে পারবে না।” এবং আমরা হাদিস থেকে জানি যে, দাজ্জাল যাকে হত্যা করে জীবিত করবে এবং আবার হত্যা করবে কিন্তু পরে আর জীবিত করতে পারবে না। সে হবে একজন যুবক। যাকে শ্রেষ্ঠ শহীদ বলা হয়েছে। আর যুবক বলতে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সকেই বুঝায়।
আমি মনে করি, এই ঘটনা আমাদের জন্য অনেক খুশির খবর বহন করে। কারণ, আমরা হাদিস থেকে জানি যে, দাজ্জালের আগমন ঘটবে ইমাম মাহদির উপস্থিতিতে ইস্তাম্বুল জয়ের পর।
.
সাক্ষাতকার গ্রহণকারীঃ এখন সেই বাচ্চার কি অবস্থা?
.
ঈসা বাদওয়ানঃ হ্যাঁ, এখন আমরা আলেমরা তাকে চিনি। এবং আমরা তার খেয়াল রাখছি। আমি সব মানুষকে এবং সব আলেমদেরকে জানাতে চাই যে, বিজয় অতি নিকটে। ইমাম মাহদি এখন আমাদের মাঝেই অবস্থান করছে (এই বাচ্চার জন্মের উপর ভিত্তি করে)।
ইনশাআল্লাহ, ফিলিস্তিনবাসী, খুব শিগগিরই এ বিজয়ের সাক্ষী হবে এবং এই ধর্মকে (ইসলামকে) এর আলোকে ছড়িয়ে দিবে।
(সাক্ষাতকারের অংশ বিশেষ শেষ)
এই শিশুটির জন্ম হয় ২০০৪ সালে। আর উদ্বিগ্নের বিষয় হল, ২০০৮ সালে এই সাক্ষাতকার জনসম্মুখে প্রকাশ হবার কয়েক মাস পর ২০০৮/২০০৯ সালে ইসরাইল রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ ও বোম্বিং শুরু করে ১৪০০ শিশু হত্যা করে এবং প্রায় ৪০০০ শিশুকে আহত করে। শুধু তাই নয়, ইসরাইল এই সাক্ষাতকারে উল্লেখিত আলেম শেখ নিজারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষাতকারের ১১ মাস পরে এফ ১৬ বিমান দিয়ে ২০০০ পাউন্ডের বোমা নিক্ষেপ করে। যার ফলে শেখ নিজার তার চার স্ত্রী ও এগার সন্তানসহ শহীদ হন। শেখ নিজার ছিলেন গাজার অন্যতম প্রভাবশালী আলেম। তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমাম সাউদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বীন শিক্ষা লাভ করেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসরাইলের সাথে যুদ্ধরত আল কাসসাম মুজাহিদ ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কমান্ডারও ছিলেন।"

ভিডিও লিংকঃ

https://youtu.be/l5t7zcFS1Nk

BASIRA AND FIRASA ( INSIGHT AND DISCERNMENT )

Literally meaning perception, intelligence, discretion, evidence, and witness, insight (basira) is defined as having an eye of the heart open, deep perception, an ability to see consequences just at the beginning of an act, or foresight. Insight acquires a different, deeper dimension.

It is considered the sole source of spiritual knowledge obtained through reflective thought and inspiration, the first degree in the spirit's perception of the reality of things; and a power of conscience that discerns and establishes values originating in the spirit, whereas reason becomes entangled in colors, forms, and qualities. It is also a power of perception so sharpened by the light of nearness to the Divine Being that, when other powers of perception become exhausted by imaginings, it acquires great familiarity with mysteries lying behind things and, without any guide or evidence, reaches the Truth of the Truths, where reason is bewildered.

Seeing is one of the luminous Attributes of God Almighty, and one's insight, as declared in: We have shared among them (43:32), is proportionate to one's ability to receive the manifestations of this Attribute. The greatest portion belongs to the one who, having benefited from that Divine Source to the fullest, poured his inspirations into the hearts of his followers, namely the Prophet Muhammad, upon him be peace and blessings. He is the most polished mirror of the Truth's manifestations, and is unequaled in receiving them. The Divine declaration: Say: This is my path. I call to God on clear evidence and by insight, I and whoever follows me (12:108) points to the greatness of the share of that Divine gift belonging to the prince of the Prophets and his followers.

This matchless perceptiveness allowed that holy traveler on the path of Ascension to reach in one breath the realms beyond corporeal existence, which those devoid of even the least perception regard as dark or unknown or categorically deny. He studied those realms like a book, and traveled on the "slopes" of the Unseen where the archetypal tablets are exhibited and the melodies of the pens of Destiny, which make one's heart jump, thrilled him. He visited Paradise accompanied by heavenly male and female servants, and received a Divine welcome with the breaths of two bows' length, or even nearer (53:9), at a point where space and location are undefined or undifferentiated.

The pleasure of observance given by insight sometimes acquires a new, deeper dimension when the believer begins to discern and discover the spiritual dimension and meanings of things and events. His or her spirit experiences other dimensions in this three-dimensional realm, and his or her conscience becomes the eye of existence with which it sees, as well as its pulse and intellect.

In addition to perception and understanding, discernment (firasa) denotes the deepening of insight when perception becomes a source of certain knowledge. Those who discern the manifestations of the light of God, the Truth, own such a radiance that they see everything, every issue, in its full clarity. They are never confused, even when encountering the most intricate, similar elements, and are not lost in particularities. Seeing at the same time, for example, sugar with the sugar cane and hydrogen and oxygen with water, they refrain from all deviation (e.g., pantheism and monism) and recognize the Creator however He is, and the created however it is.

From the face of each individual believer to the face of the universe, every point, word, and line in existence is a meaningful message, even a book, for those to whom the verse: Surely in this are signs for those having insight and discernment (15:75) refers. Those who can look at existence from a point stated in the Prophetic Tradition of: Fear the discernment of a believer, for he sees with the light of God, [1] make contact with reality, become familiar with the invisible side of existence, and, revealing the real face of everything, shed light on events. While some spend their lives in "black holes" they are enraptured with increasing pleasures on Paradise-like "slopes."

For one endowed with such discernment, existence is a book of countless pages, with each animate or inanimate part of creation being a word shining with thousands of meanings, and the face of existence and each person expressing many hidden realities. Those of true spirituality see such things in the "verses" of that book and in the luminous "phrases" of those verses, and receive from them messages that even the greatest minds among the non-believers are unable to discern. The unimaginable surprises awaiting believers in the other world are according to the rank of each, and are revealed to them together with all the spiritual pleasure that they give.

Copied.

Source:
www.dislam.org/content/view/115520/

আল ইয়াজুজ ওয়া মা'জুজ


আলহামদুলিল্লাহ, ইয়াজুজ - মা'জুজ জাতির অবস্থানের ব্যপারে যেটা বলেছিলাম সেটা সঠিক হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যেহেতু আমি যেসব বিষয় নিয়ে থাকি সেসবের জ্ঞানগত ব্যাকআপ হিসেবে এক আল্লাহ ছাড়া কেউই নেই, তাই ভুল-শুদ্ধ হবার নানান আশংকায় থাকি মাঝেমধ্যে। দ্বীনি ভাইয়েরা মাঝেমধ্যে ইস্তেখারার পরামর্শও দেয় সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে। 
.
যাইহোক, আমি "ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব" এর ৪ ও ৮ নং পর্বে ইয়াজুজ মাজুজদের নিয়ে উল্লেখ করি। বলছিলাম এই বিশাল জনসংখ্যার জাতিটির ভূখণ্ড আমাদের চেনাজানা মানচিত্রের বাইরে অবস্থিত। বলেছিলাম হয় উদয়াচল কিংবা অস্তাচলের আশপাশে কোথাও।
আজ হঠাৎ দেখি আরবের যারা আমার মত যমীনকে মাসতাহাত(সুতিহাত>সাতাহা) বলে থাকে, তারা একই কথা বলছে। পার্থক্য হচ্ছে ওই ভাইগুলো প্রচলিত এ্যাযিমুথাল ম্যাপে বিশ্বাস করে যেটার সত্যতার স্বীকৃতি দেই না, সেই সাথে দুইটি চাঁদ ও সূর্যের ব্যপারেও দেখলাম বিশ্বাস করে। আরো পার্থক্য হচ্ছে এরা চাঁদ সূর্যের প্যারালাল সার্কুলার রোটেশনে বিশ্বাস করে। এসব দিক দিয়ে আমাদের অবস্থান একটু বেশি অর্থোডক্স। আমরা তো হাদিস অনুযায়ী চাঁদ সূর্যের উদয়-অস্তেও ইয়াক্বীন করি। এটা হচ্ছে শার'ঈ দলিলের দিকে অধিকতর অনুবর্তিতার জন্য। তবুও আমাদের মূল ধারা তো একই। ইয়াজুজ মাজুজদের ব্যপারে আমার ও তাদের কনক্লুশন অভিন্ন দেখে অবাক হলাম। তাদের বানানো ভিডিও লিংকঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=996378477379721&id=916876598663243&soft=search
.
হাফেজ ইবনে কাসীর আদ্ব দামেশকী রহিমাহুল্লাহ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাবের ২য় খন্ডে উল্লেখ করেন ইয়াজুজ ওয়া মা'জুজরা পৃথিবীর উত্তর পূর্ব কোনের উত্তরপূর্ব অংশে রয়েছে।
.
সুতরাং, ইয়াজুজ মা'জুজদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর সব ধরনের প্রশ্নের ও জিজ্ঞাসার সহজ উত্তর বা সমাধান এটাই। ইয়াজুজ মা'জুজদের সংখ্যার বর্ননা অনুযায়ী অবস্থান প্রচলিত বিজ্ঞান নির্ভর বিদ্যানুযায়ী ব্যাখ্যাতীত।


আকিদা ও কর্ম বিপরীতমুখী হয়না

আকিদা বা বিশ্বাসব্যবস্থা অনেক বড় একটা বিষয়। আপনি কোন একটা দল বা সংগঠনের আকিদা-মানহাজের ব্যপারে ভাল জ্ঞান রাখলে, সে দল কোন কাজ করতে পারে বা না পারে সেটা চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারবেন। ইসলামের মধ্যে অনেক ফের্কা ও আকিদার প্রভেদগুলো ব্যপারে যদি জানা থাকে তাহলে সহজেই কোন ফের্কা কি করতে পারে বা না পারে, কতদূর যেতে পারে সে ব্যপারে ধারনা করা যায়। মু'তাযিলা আকিদার কথাই ধরুন, কোন মু'তাযিলার ব্যপারে যদি এরকম অভিযোগ পাওয়া যায় যে, সে কাব্বালাহ - হার্মেটিক বিদ্যাগুলোর চর্চা করে এবং সেগুলোকে ইসলামাইজ করছে তবে সেটা অবিশ্বাস্য না, কারন আকিদাগত টেনেট অনুযায়ী মু'তাযিলা যাদুর অস্তিত্বে স্বীকৃতি দেয় না, সবই বৈধ সায়েন্স তাদের কাছে। এজন্য সে কাব্বালাহ বা হার্মেটিক ইনিসিয়েশান নিতেই পারে। অবাক হবার কিছু নেই। কিন্তু আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের কারও বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আসলে তা অনুমানের ভিত্তিতে সত্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না। তেমনি কোন শিন্নিখোর বিদাতি ব্রেলভির ব্যপারে যদি বলা হয় সে মাজার ও পীরদের বিরুদ্ধে বলছে সেটাও প্রথম অবস্থাতে অনুমান দ্বারা বিশ্বাস যোগ্য না, কারন এটা তাদের কর্মপদ্ধতি বিরুদ্ধ কাজ। এবার আসুন ওইসব অভিযোগের কথা বলি যেগুলোয় শাইখ উসামা(রহঃ),শাইখ আইমান (হাফিঃ) এর ব্যপারে বলা হয় যে তারা সিআইএ'র দালাল, ইজরাইলের চর, ইল্যুমিনাতির এজেন্ট, ইহুদি খ্রিষ্টানদের দালাল ইত্যাদি। প্রথম কথা হচ্ছে যারা এরূপ অভিযোগ তোলে তারা কি আদৌ ওই আলিমদের আকিদা-মানহাজের ব্যপারে কিছু জানে?
.
নিঃসন্দেহে জানে না। এজন্যই শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম(রহঃ), ইমাম আওলাকিদের(রহঃ) ব্যপারে এত বড় মন্তব্য করে। এজন্য যারা এরকম ধারনা রাখে তারা প্রচণ্ড রকমের মূর্খতা এবং অজ্ঞতার পরিচয় দেয়। কারন ঐ আলিমদের ইল্ম এবং কর্মপদ্ধতি ঐরূপ যেটা আল্লাহ আযযা ওয়া যাল নির্দেশ দিয়েছেন, সেটা শয়তানের এ্যালাই হবার জন্য একদমই ইনকম্প্যাটিবল। এমন উক্তি আসলে খাওয়ারিজদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য না কারন ওই আকিদা-মানহাজগত কারনে, এজন্য দায়েশকে ওই ট্যাগ দেওয়াও গ্রহনযোগ্য না।
.
অজ্ঞ ওইসব লোকগুলো যদি মিলিশিয়া, হুতি,নুসাইরী,কুর্দি ও হিজবুল্লাহর ব্যপারে এরকম উক্তি করত তবে সেটা ততটা বৈপরীত্যপূর্ন হত না। সেটা মানা যায়, কারন সেই আকিদা-মানহাজ। উল্লিখিত দলগুলোর মৌলিক বিশ্বাসব্যবস্থাই শয়তানের কিংবা আসন্ন দাজ্জালের সাথে ক্ষেত্র বিশেষে ৯০-৯৯% সংগতিপূর্ন। কুর্দিদের একটা দল তো মেলেকতাউসের(ইবলিসের) পূজারী। শিয়াদের যে আকিদা সেটাও দাজ্জালের খাতায় নাম লেখানোর জন্য কষ্ট করতে হবেনা। এজন্য এদেরকে কেউ যদি প্রমাণের সাথে বলে এরা দাজ্জাল, সিআইএ কিংবা ইজরাইলের সাথে লিংকড সেটা অযৌক্তিক বা অবিশ্বাস্য না। কিন্তু আপনি কোথাও এদের বিরুদ্ধে বলতে দেখবেন না। সবাইকে দেখবেন যারাই সত্যের উপর আছে, তাদেরকেই আঙ্গুল তুলে বলতে। আমরা যে সোর্সের উপর দাঁড়িয়ে এসব বলি, সেটা কাফিরদেরই মিডিয়া অথচ আল্লাহ কুরআনে ফাসেকদের খবরটাও যাচাই করে দেখতে বলেছেন। সুবহানআল্লাহ! এটা সুবিস্তৃত অজ্ঞতা।

ক্লক টাওয়ার, মক্কা

প্রতিটি জিওমেট্রিক শেইপ কোন না কোন ইনফরমেশন ক্যারি করে। অর্থাৎ সমস্ত বস্তুর আকৃতি কোন না কোন ইনফরমেশন ধারণ করে। অর্থাৎ ফিজিক্সের দিক দিয়ে দেখলে এনার্জেটিক বা সাবএ্যাটমিক পর্যায়ে এসব পজেটিভ বা নেগেটিভ এই দুই এনার্জেটিক পোলারিটির যেকোন একটির পক্ষে থাকে। এটা জড় বস্তু থেকে শুরু করে প্রানীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেহেতু প্রানীদেরকে সচল করা হয়েছে, সেহেতু তারা কুকর্ম বা সৎকর্মকে ম্যাটেরিয়ালাইজ অর্থাৎ কর্মে পরিণত করতে পারে বা করে থাকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা উমার(রাঃ), ইমাম শাফেঈ(রহঃ),ইবনুল কাইয়্যুম(রহঃ) প্রমুখের মত কিছু বান্দাদের যাদের অন্তর্দৃষ্টির ইনহ্যারেন্ট গুন দিয়েছেন,বিষয়টা এরকম যে আপনি অন্য কোন ভাষার ফন্টে পড়া জানলে পড়তে পারেন, না পড়বার জ্ঞান না থাকলে পারেন না। তাদের কাছে হয়ত ভালমন্দের দাঁড়িপাল্লা দেওয়া আছে। এজন্য তাদের একজন সাবেক এস্ট্রলজারকে দেখেই তার পূর্বের কর্ম বা আকিদাকে বলে দিয়েছেন। এটা মোটেও গায়েবের ইল্মের মধ্যে পড়ে না। ইবনুল কাইয়্যুম রহিমাহুল্লাহর মতে এ জ্ঞান এর প্রখরতা আল্লাহর সাথে সম্পর্কের প্রক্সিমিটির উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। যাইহোক, এটা আলোচ্য বিষয় না।
.
বায়তুল্লাহর পাশের ওই টাওয়ার যে উদ্দেশ্যেই নির্মাণ হোকনা কেন উহার স্ট্রাকচার কোন পজেটিভ বার্তা বহন করেনা। Good & Evil এর স্পিরিচুয়াল ওয়ারফেয়ারে ওটা আদৌ ভালর পক্ষের কিছু বলে মনে হয়না। ঘড়িওয়ালা টাওয়ার খানা খুবই ডিস্টার্বিং। জানি না কিভাবে আল্লাহর ঘরের পাশেই এটাকে নির্মাণ করতে দেওয়া হয়েছে। সৌদি সরকারকে তো চেনেন...।এর নির্মান খরচ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এটিই আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্লকটাওয়ার। এটা তৈরির পিছনে মেটাফিজিক্যাল কারন যাই হোক, এই অপব্যয় না করে জমিনের ক্ষুধাপীড়িত অঞ্চলে দান করলেও আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দসই কাজ হত।

The Hour has already cast its shadow!

The Abraj Al-Bait Towers, also known as the Mecca Royal Hotel Clock Tower, or Burj as-Sa’ah
In our last article we had narrated (what we call) the mother of all signs. The last article was necessarily complete. And, one of the mother of all signs is – The naked, barefooted shepherds will compete with each other to build tall buildings.
In this article, we intend to discuss a dazzling fulfilment of this prophecy. This is about the Abraj Al-Bait Towers, also known as the Mecca Royal Hotel Clock Tower.
When it was built (in 2012), it became the second tallest building in the world, next only to Burj Khalifa also in the Arab heartland of Dubai. And, it’s not just about the height of the Mecca Clock Tower.
There is a specific Hadiyth (in fact several related-Hadiyths) which prophesizes about this Tower.
Itha ra’aitun mecca bu’ijat katha’ima, wa ya-tasawa bunyanuha ru’usa jibaliha, faqad athalati as-Sa’atu.
When you see Mecca, its mountain with holes (pierced through them), and its buildings reach its mountain tops, then as-Sa’ah (the Hour) has already cast its shadow.
[Suyuti]
Imam Suyuti says about this that the Hour has already cast its shadow means that the Hour is near (coming close). The understanding of Imam Suyuti reflects the traditional understanding, and is perfectly valid in this case; except for the fact that the Hadiyth has been fulfilled in multiple ways. This is similar to the use of ‘pun’ in the English language, except that (as opposed to a pun) both the implications in this case is serious.
The Hadiyth has both literal and metaphorical implications. The metaphorical implication is that the Hour has already cast its shadow means that the Hour is approaching, as Imam Suyuti has explained.
When the Mecca Clock Tower was built in 2012, it reached, or even surpassed, the mountain tops of Mecca. And, the Hadiyth says that when you see the buildings in Mecca reach (or surpass) the mountain tops, then the Hour has already cast its shadow, i.e. this is a sign that the Hour is near (close by).
The Clock Tower is also called Burj as-Sa’ah, one of the meanings of as-Sa’ah is the Clock. The Clock Tower actually casts its shadow over the Kaba. So, in a literal fulfilment of the prophecy, as-Sa’ah (the Clock) has already cast its shadow (over the Kaba).
The Clock Tower is a disrespect to the Kaba, in two-folds: it dwarfs the Kaba, and also it casts its shadow over the Kaba.
In the above Hadiyth it was stated that the buildings in Mecca will reach its mountain tops. In a variation of this Hadiyth it is stated that the buildings in Mecca will surpass its mountain tops, the Hadiyth is as follows:
ﻓﺈﺫﺍ ﺭﺃﻳﺖ ﻣﻜﺔ ﻗﺪ ﺑﻌﺠﺖ ﻛﻈﺎﺋﻢ ﻭﺭﺃﻳﺖ ﺍﻟﺒﻨﺎﺀ ﻳﻌﻠﻮ ﺭﺀﻭﺱ ﺍﻟﺠﺒﺎﻝ ﻓﺎﻋﻠﻢ ﺃﻥ ﺍﻷﻣﺮ ﻗﺪ ﺃﻇﻠﻚ o
So when you see in Makkah that channels have already been dug (or tunnels built), and you see the buildings surpass the tops of the mountains, then know that the command (of the Hour) has already cast its shadow over you.
[Narrated by Ibn Abi Shaybah in Al-Musannaf, Hadiyth-124]
And, with a slight variation in another Hadiyth:
ﺇِﺫَﺍ ﺭَﺃَﻳْﺖَ ﻣَﻜَّﺔَ ﻗَﺪْ ﺑُﻌِﺠَﺖْ ﻛِﻈَﺎﻣًﺎ ﻭَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺍﻟْﺒِﻨَﺎﺀَ ﻗَﺪْ ﻋَﻼ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﺀُﻭﺱِ ﺍﻟْﺠِﺒَﺎﻝِ ، ﻓَﺎﻋْﻠَﻢْ ﺃَﻥَّ ﺍﻷَﻣْﺮَ ﻗَﺪْ ﺃَﻇَﻠَّﻚَ o
When you see in Makkah, that already its mountains are with holes (pierced through them), and you see that the buildings have already surpassed over the tops of the mountain, then know that the command (of the Hour) has already cast its shadow over you (or the matter is close at hand).
[Narrated by Al-Azraqi in the Book of reports about Makkah – Kitab Akhbaar Makkah, Hadiyth-1724]
And, with a slight variation in another Hadiyth:
ﺇِﺫَﺍ ﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀَ ﺑِﻄَﺮِﻳﻖِ ﻣَﻜَّﺔَ ﻭَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺍﻟْﺒِﻨَﺎﺀَ ﻳَﻌْﻠُﻮ ﺃَﺧْﺸَﺒَﻴْﻬَﺎ ، ﻓَﺨُﺬْ ﺣِﺬْﺭَﻙَ o
When you see the belly of Makkah will be cleft open and through it will be dug out river-like passages (i.e. tunnels) (or water in the road to Makkah), and you see the buildings surpass its mountains, then take care (or beware, or a variant has: then know that the matter is at hand, or then understand that the time of trial (Judgment day) is near at hand).
[Narrated by Al-Azraqi in the Book of reports about Makkah – Kitab Akhbaar Makkah, Hadiyth-1725;
Nu`aym b. Hammad in Kitab al-Fitan 1:43 no. 59 (with its chain);
Ibn Hajar al-Asqalani in Fath al-Bari: Kitab al-Hajj, Bab ayna yusalli al-zuhra yawma al-tarwiya, and he sourced it to al-Fakihi’s Tarikh Makkah;
Ibrahim al-Harbi in Gharib al-Hadiyth]
In all of the above narrations it states about – the mountains having holes (pierced/drilled through them), or the channels have already been dug, or the belly of Makkah will be cleft open and through it will be dug out river-like passages, or water in the road to Makkah, or tunnels built in Makkah; all of these prophecies simultaneously hold good, this is how:
1. These statements refer to the tunnels going through the mountains in Makkah, so we have the description of holes being pierced/drilled through the mountains. These tunnels are used by both pedestrians and vehicles.
2. The word ‘tunnels built in Makkah’ also refers to tunnels under the mountains of Makkah and beneath the ground, (such as those made for the) huge pipes, (which carry) Zamzam water.

Authored By: Mg. Er. Shoaib Mohammed
17-Oct-2014 (Fri), 22-‘Dhu al-Hijjah’-1435 (Yaum al-Jumu’ah)
Kolkata, Bengal, India

Copied 

Source:
https://thedirorg.wordpress.com/2014/10/17/the-hour-has-already-cast-its-shadow/

Facebook Posts

এগুলো হচ্ছে আকাশে মিটমিট করে জ্বলা তারকাদের আসল রূপ। আমরা বিশ্বাস করি তারকারা একেকটা সূর্য। কারন এটাই বিজ্ঞান শিখিয়েছে। এই তত্ত্ব এসেছে বিভিন্ন ট্রেডিশানের প্রাচীন যাদুশাস্ত্রগুলোথেকে। কেপলার, কোপার্নিকাস, নিউটনদের ইল্মের রেফারেন্স ওইগুলোই। সবাই পিথাগোরিয়ান। মাস্টার ম্যাসন এ্যালবার্ট পাঈকের দারুন উক্তিটা চোখে ভাসে। তিনি বলেছিলেন, পিথাগোরাস যে এস্ট্রোনমি শিখিয়েছে, সেটা এস্ট্রোনমি নয় বরং এ্যাস্ট্রলজি। সমস্ত শিক্ষাগুলো কাব্বালিস্টিক প্রিন্সিপলস আর নিউমেরলজির পর্দায় ঢাকা।
.
একদিন ইবনে আব্বাস(রাঃ) এক লোককে আসমানের দিকে চেয়ে চেয়ে বারবার তাকিয়ে বিভিন্ন সিম্বলিজমে আঁকতে দেখে বলেন, তার মনে হয় না ওই লোকের পরকালে কোন অংশ আছে।
.
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ওই লোক যা করছিল সেটা জ্যোতিষবিজ্ঞানের চর্চা। আর এদিকে আমাদের গোটা মহাকাশ বিজ্ঞান নামের অপবিদ্যা পুরোটাই জ্যোতিষশাস্ত্র আর যাদুশাস্ত্রের উপর ডিজাইন করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালাই ভাল জানেন আমাদের পরকালের কি অবস্থা। আমরা তো শুধু ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্বকে বাদ দিয়ে ক্ষান্ত হইনি,আমরা জ্যোতিষশাস্ত্র নির্ভর অলটারনেটিভ কস্মোলজি / কস্মোজেনেসিসকে ইসলামাইজ করেছি। কুরআন সুন্নাহের সাথে মিশিয়েছি। ডেভিয়েশান কত দূরের তা কল্পনা করা যায়!?
.
এরপরেও এগুলো শুনবার পরেও অধিকাংশ লোকের বোধোদয় হয় না। জিনিসগুলোকে খুব সিম্পল মনে করে। আমাকে তো এগুলো লেখার জন্য কত লোক মুর্তাদও বলে দিছিলো। আমি শিশুকালে আশপাশের মানুষকে জ্ঞানী ভাবতাম। যাদের চুল দাড়ি পাকা তাদেরকে জ্ঞানের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করতাম। এজন্য সবাইকে এটা ওটা প্রশ্ন করতাম কৌতূহল নিবারণের জন্য। একটু যখন বুঝতে শিখি, তখন দেখি আশপাশের মানুষগুলো অতিমাত্রায় অজ্ঞ, চরম মূর্খ। খালি খাইতে,ঘুমাইতে, আর বাচ্চা উৎপাদন করতে জানে। চিন্তাশক্তিও খুবই স্বল্প পরিসরের।এরা যে কি জানে সেটাও জানেনা। ভেড়ার পালের মত, যেদিকে ইচ্ছা সেদিক নিয়ে যাওয়া যায়। সবাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতাদর্শের অনুসারী। এগুলো দেখতে শুরু করে প্রশ্ন করার ইচ্ছা শেষ হতে থাকে। এখন দেখতে পাই, লোকেদের চুল দাড়ি যত পাকা ততই অন্তঃসারশূন্য। জ্ঞান শুধুমাত্র দেখি তাদের মধ্যে আছে, যারা আল্লাহর পথে জানমাল বিসর্জনের ব্যপারে একেবারে নিঃস্বার্থ। বাকি সব গুলোর মাথায় হলুদ ওসব মগজ না,অন্য কিছু...।
এজন্য দ্বীনের জন্য আন্তরিক ডেডিকেটেড লোকেরা ছাড়া আমি যা বলি তা কারো হজম হয় না। আচ্ছা, আপনি শয়তানের বলা ইল্ম মগজে ধারন করে কয় কেজি চাল বেশি খেতে পারেন!

মানবজাতির ইতিহাস থেকে শুরু করে ভাষা,সভ্যতার প্রভৃতির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ব্যপারে দুইটি ঐতিহাসিক ধারা পাওয়া যায়। একটি তে ৭০০০ বছরের বেশি যায় না অপর ধারাটির সব হিসাব লক্ষ লক্ষ মিলিয়ন বিলিয়ন বছরের। কোন বিষয়ে খুজছেন? ভাষা,মানবজাতি, সভ্যতা, রাজত্ব? সব কিছুতে এরকম দুটি ধারা। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একটি ধারা ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনকেন্দ্রিক আরেকটি এর বিরুদ্ধবাদী শক্তির। এই দুই জ্ঞানগত ধারার সৃষ্টিতত্ত্বও পরস্পরবিরোধী। একটিতে একজন সর্বশক্তিমান স্বত্ত্বা ৬ দিনে সমতল যমীন এবং গম্বুজাকৃতির আসমান সৃষ্টি করেন, অপর ইল্মি ধারায় সৃষ্টিজগতের কোর সূচনা নেই অথবা কোন সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। সব কিছুই আপন আপন অস্তিত্বের স্রষ্টা, সবকিছুই বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর ধরে ক্রমবিকশিত হচ্ছে। সব কিছুই অনন্তের দিকে ঘুরছে, ছুটছে। এ দুই ধারার স্রষ্টাহীন ধারাটি আজ ঐতিহাসিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বহু শতাব্দীর প্রচেষ্টায়।এজন্য আজ ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায় না আসল ফেরাউনকে, বদলে পাওয়া যায় ফেরাউন টাইটেলের অনেক অনেক মিশরীয় বাদশাহদের নাম। তাদের মতে মূসা(আ) নামের লোকটির সাথে ফেরাউন ক্যারেকটার সম্ভবত মিথ। যুলকারনাঈনকে ইতিহাসের পাতায় খুজে পাওয়া যায় না। আজ ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনের অনুসারী দাবিদাররা যখন একই সাথে দুই বিদ্যাকে হক্ক মনে করে অনুসরন এবং প্রচার করে, তখন দেখতে খুবই অদ্ভুত লাগে। আমি একই সাথে শয়তান ও আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব দেখতে অপছন্দ করি। দুয়ের মধ্যে পার্থক্যে অস্পষ্টতা তৈরি হলে, স্পষ্ট করতে চেষ্টা করি। দুটি দল দেখতে পছন্দ করি যাদের একটি সম্পূর্ণভাবে আদম(আ), নূহ(আ),স্যামুয়েল(আ),দানিয়েলের(আ), আরেকটি শয়তান এবং তার পক্ষে আসন্ন ওয়ার্ল্ড টিচারের। দুইটা পক্ষকে একদম আলাদা করতে পছন্দ করি, ব্যক্তিগতভাবেও চাই অনুসারীরা দুনৌকায় পা না দিয়ে যে কোন একটা তরীতে উঠুক।

আমরা পৃথিবীর ইতিহাসের খুব সামান্য একটা সময়ে অবস্থান করছি। যা বিগত হয়েছে আর যা বাকি আছে তার তুলনায় খুবই সামান্য কিছু কাল। এই সময়টাতে আমরা যে আধুনিকতা এবং বৈজ্ঞানিক চাকচিক্য দেখছি সেটা আদৌ চিরস্থায়ী কিছু না। এসব খুব অদূর ভবিষ্যতে ইতিহাসের গর্ভে হারিয়ে যাবে। শেষ সময়ের হাদিসগুলোয় যেসব বর্ননা পাওয়া যায়, তাতে অনুভব করা যায় বড় কোন যুদ্ধ বা আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির দ্বারা খুব শীঘ্রই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি হারিয়ে আবারো ঢাল-তলোয়ারের যুগে ফিরে যেতে হবে।
.
এগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, আমরা এই খুব অল্প সময়ের বৈজ্ঞানিক এ্যাবান্ডেন্স দেখে সেসবকে উচু চোখে দেখে, সম্মান করে মহাকালের মহাসাফল্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছি কিনা। আমি আকিদার বিষয়ে বলছি। আজকের সায়েন্টিফিক সব ধরনের এ্যাচিভমেন্টের পেছনে যারা আছেন, এবং তারা যেসব তত্ত্ব প্রচার করেছেন এবং আজও করছে তা ইসলামের আকিদা থেকে আপনাকে কত দূরে সরিয়ে নিচ্ছে তা কি আমরা ভাবি? নাকি উলটো সেসবকে মিত্র হিসেবে গ্রহন করি। ইসলামাইজ করি?
.
অনন্তকালের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র সময়ে 'অনন্ত জীবন প্রদায়ী বৃক্ষের' সেই ওয়াদাকে সম্মানের চোখে দেখা কতটা বুদ্ধিপ্রদীপ্ত কাজ? ধরুন মাত্র ৫০০ বছরের(রেনেসাঁর পর থেকে এ শতাব্দী) জন্য জ্ঞান বিজ্ঞান হিসেবে সমাদৃত বিদ্যাকে গ্রহন করে,এর ওয়ার্ল্ডভিউ গ্রহন করে আল্লাহর থেকে অনেক দূরে চলে গেলেন। এজন্যই সতর্ক করি। আপনি কি জানেন কোন আকিদার কথা বলে আজকের কথিত (অপ)বিজ্ঞান(ন্যাচারাল ফিলসফি)?




যখন আমাদের কাছে কোন কিছুর শুধু মাত্র একটা আদর্শমান থাকে তখন সেটার বিরুদ্ধে কথা বলার মত কিছু থাকে না। সবাই সেটাকে এক বাক্যে গ্রহন করে। একইভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের যাবতীয় তত্ত্বগুলোকে সবাই এক বাক্যে গ্রহন করে এই জন্য যে সাধারণ কারো কাছে মিস্ট্রিস্কুলসমূহের জ্ঞান নেই। এখন এই মিস্টিসিজম এর উপর ভিত্তি করে যখন কোন জ্ঞান/বিদ্যা/আদর্শকে সাধারন মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের নামে সঞ্চালন করা হয় মানুষ চোখ বুজে এটাকে গ্রহন করে। তার কিছু বলারও থাকে না কারন he doesn't have the underlying knowledge of occult philosophy! সমস্যাটা এখানেই, মূর্খ ইসলামিস্টরা শুরু থেকেই হক্ক আলিমদের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও সেগুলোকে ইসলামাইজ করে। হালাল ইল্মে অন্তর্ভুক্ত করে। এরা নিজেরা তো পথভ্রষ্ট হয়ই,হাজারো লোককে পথভ্রষ্ট করে। হক্ক বাতিল কখনো এক হতে পারে না। যখন 'অকাল্ট কস্মোগনি' ইসলামাইজ করা হয়,হালাল বানানো হয়, তখন নানাবিধ সংশয় সন্দেহ একের পর আরেক আসতেই থাকে। অনেকে সংশয়পূর্ণ ঈমান নিয়েই দুনিয়া ত্যাগ করে। অপবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা এজন্যই প্রয়োজন, কারন বিষয়গুলো সরাসরি আকিদার সাথে সম্পৃক্ত।




প্রায় তিন বছর আগে 'বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান- The occult origins of mainstream physics and astronomy' ডকুমেন্টারি আর্টিকেল সিরিজ লেখা শুরু করি। ৯ম পর্বে গিয়ে থেমে যাই কারন অন্ধকারকে দেখালে আলোকেও দেখাতে হয়। এজন্য মিথ্যা Cosmogony কে রিফিউট করার পাশাপাশি সত্যিকারের আকিদাকে আগে তৈরি করে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি, যাতে কেউ অসত্য কে বুঝবার সাথে সাথে বিশুদ্ধ আকিদা বা তত্ত্বের সন্ধান পায়। এজন্যই ইসলামের সৃষ্টিতত্ত্বকে আগে নিয়ে আসা। এখন যখন আবারো অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে শুরু করি, এটা ভেবে অস্বস্তিবোধ করি যে যাই পাব্লিশ করব সেসব নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু হয়। আমাদের দেশের বিজ্ঞানপন্থী ইসলামিস্টগুলো ফ্র‍্যাঙ্কলি গণ্ডমূর্খ, আরো নিন্মমানের বিশেষন ব্যবহার করা দরকার। এরা বিজ্ঞানের আসল পরিচয়/ রূপের কিছুই জানে না। এমনকি অধিকাংশ বিজ্ঞানমনা নাস্তিকগুলোও এ্যাডভান্স হাইপারডাইমেনশনাল ফিজিক্সের ফ'ও জানে না। এদের জ্ঞানের দৌড় একাডেমিক বইপুস্তকের বাহিরে নেই। এজন্য এরা ওই বিদ্যা দিয়ে নতুন কিছু করতেও পারে না। আমি জানি, যেগুলো লিখছি বা লিখেছি সেসব বাংলা ভাষায় আগে কেউ লিখেনি। এখানেই ফিতনার আশংকা। ইতোমধ্যে কিছু স্থানে কমেন্টে দেখেছি অনেকে নিষিদ্ধ বিদ্যা নিয়ে নাড়াচাড়া করে ফিতনায় পড়ে গেছে। আমি আগেও বলেছি, আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আসছি বৃহত্তর কল্যানের জন্য। অনেকবার নিষেধ করেছি যেন কৌতূহল নিয়েও শেয়ার্ড লিংক বা ইনফোর বাহিরে না যায়, এমতাবস্থায় কারো আকিদাগত ডেভিয়েশনে আমি দায়ী নই। সামনে আরো গভীর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে প্রকাশ করব, সুউচ্চে তুলে সজোরে মাটিতে ফেলব। আমার উদ্দেশ্য মালউনদের অহংকার তথা স্যাটানিক বিদ্যাকে অপদস্থ করা, প্রকাশ করা এবং ফেলো সিলি সায়েন্টিজম দ্বারা ফ্যান্টাসাইজড মুসলিমদের সতর্ক করা ইসলামের আকিদা এবং সায়েন্টিজমের আকিদার মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে। আমি জানি আগেও কোন হিউম্যানিস্ট এ্যথেইস্ট মালাউন বিজ্ঞানের অকাল্ট অরিজিন দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।



তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা অধিকাংশ আয়াতে উর্দ্ধোস্থিত নীল চাঁদোয়ার দিকে তাকাতে বলেছেন, বলেছেন যমীনের স্থবিরতার কথা, চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্রের কথা, বলেছেন সৃষ্টির শুরুর কথা। কিন্তু তখন কি অবস্থা হয় যখন সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের নামে alternative cosmogony প্রতিষ্ঠিত হয়? খুব সহজেই তখন ডিভাইন রেভেলেশন অবসোলেট হয়ে যায়। হাস্যকর ফেইরিটেলে পরিণত হয়। "র‍্যাশোনাল বিলিভাররা" অপদস্ত এবং বিব্রত হয়। কম্প্রোমাইজের চিন্তার দিকে আগাতে হয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। সেটাই আজ হয়েছে।

যখন বলেছি এই যমীনকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা নূনের পৃষ্ঠদেশে রেখেছেন,খুব ভাল করেই জানি শুনতে খুব আনসায়েন্টিফিক লাগে, সুপারস্টিশাস ফ্যানাটিকদের বাজে কথা মনে হয় যদিও শার'ঈ দলিল আছে । কিন্তু যখন স্টিফেন হকিংদের থেকে শোনা যায় যে জগতসমূহ আছে কচ্ছপের পৃষ্ঠদেশে, তখন সেটাকে খুব প্রোফাউন্ড মনে হয়।
.
এই শ্রেনীর দ্বীনদার কিংবা মুসলিমদের প্রতি ভৎসনা ! অন্যদিকে যারা প্রথমবারে দলিলগুলোকে দেখেছে,জেনেছে, শুনেছে এবং মান্য করেছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে যোগ্য মর্যাদা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন এবং সেদিকেই ধাবিত হবে।


প্রথম প্র‍থম যখন অপবিজ্ঞান নিয়ে লিখতাম, মাঝেমধ্যে ভয় সৃষ্টি করতো এই ভেবে যে আমি একদম ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও উম্মাহর জন্য কোন ক্ষতির কিছু করছি কিনা। এরপরে আল্লাহ শয়তানি অপবিদ্যার থিওরেটিকাল অনেক কিছুই জানিয়েছেন, আমার থিমকে ফ্রেমে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। সমস্ত দলিলও আল্লাহ হাতে দিয়েছেন। আজ হঠাৎ দেখলাম, এক উদীয়মান বিখ্যাত পদার্থবিদ শয়তানের পূজারীদের সংগঠনের অনুষ্ঠানে (অপ)বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের প্রেজেন্টেশন স্লাইডে প্রেজেন্ট করতেছে। ওটা দেখে খুব সন্তুষ্ট হয়েছি, কারন আমি যে ফ্রেইমে ফেলেছি ওরা সেদিকে নিয়েই আলোচনা করছে। খুব শীঘ্রই এসবকিছু প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আমার পক্ষে আল্লাহর সাহায্যকে অনুভব করতে পারি। এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ হবে বিজ্ঞান ও অপবিজ্ঞানের ব্যারিয়ার নির্ধারন করা এবং সত্যিকারের বিজ্ঞান বা জ্ঞানের সীমানা নির্ধারন করা, সে ব্যপারে সিলেবাস তৈরি। এটাই সবচেয়ে কষ্টসাধ্য কাজ হবে। এক্ষেত্রেও আল্লাহর সাহায্য পাব, বিইযনিল্লাহ।

সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে আজকের আলিম সম্প্রদায়ের বিশ্বাসের উদাহরণ এমনঃ
একটি জন্তু, যেটার পা ছাগলের, লেজ ভেড়ার,পেট গরুর,কুজ উটের, চামড়া গণ্ডারের, মাথা শুকরের,কান হাতির!
.
অর্থাৎ এরা ইনকোহ্যারেন্ট বিশ্বাস রাখে। একটু খানি কুরআনের একটুখানি বেদ,একটুখানি কাব্বালা, একটু খানি হাদিসের, একটুখানি নেওয়া হার্মিসের.একটুখানি 'নাসা অমুক বলেছে' থেকে... এভাবে শয়তানি ইল্মের সাথে সমন্বয় সঙ্গতি আনার চেষ্টা করে খিচুড়ি বিশ্বাস ধারন করে। এরা মনে মনে ভাবে সবকিছুকে সমন্বয় সম্ভব হয়েছে। কিন্তু bigger picture টি দেখতে কিরূপ সেটা হয়ত দেখেনা। ওটা ওই কিম্ভুতকিমাকার জন্তু অনুরূপ।



মূল সংঘাত তো দুটি বিশ্বাসগত ও জ্ঞানগত স্ট্রিমের মধ্যে। একটা শয়তানের পক্ষ থেকে আরেকটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার থেকে। উভয়ের মধ্যে অজস্র পার্থক্যের একটি হচ্ছে সৃষ্টিজগতের অরিজিন সংক্রান্ত বিষয়ে, এর স্বরূপসংক্রান্ত বিষয়। একটি আপনাকে শেখাবে আপনিই ইলাহ,সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। অনেক থিওরেটিক্যাল  ব্যাকআপ আছে। অপরটি আপনাকে শেখাবে সবকিছুই আল্লাহ আযযা ওয়াযাল কর্তৃক Created। পাঁচশত বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে মাসূনী এবং সমশ্রেনীক অর্গানাইজেশনের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের জন্য এখন উভয় ধারা মিশে গেছে। এখন জগাখিচুড়ি বিশ্বাস ধারন করে। এরা আজ সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। এমনকি প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিমরাও শয়তানের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ইল্মকে বিশ্বাসের স্থানে রাখতে আজ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। পলিটিক্স, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো ফান্ডামেন্টাল কন্সটিটিউয়েন্টের মাঝে একটা হচ্ছে কস্মোজেনেসিস বা সৃষ্টিতত্ত্ব। এটা জ্ঞান বা ইল্ম অথবা বিশ্বাসের কাতারেই পড়ে। আল্লাহ ও তাগুতের মাঝে জ্ঞানগত পার্থক্যসৃষ্টিকারী অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সৃষ্টিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত সাবক্যাটেগরিতে ফেলা যায় পৃথিবীর আকৃতি সংক্রান্ত বিষয়টি। দুনিয়া সমতল কিংবা গোল এটা আদৌ আমাদের ফৌকাল পয়েন্ট না। মোটেও মূল আলোচ্য বিষয় না। এটাকে অন্যান্য বিষয়ের সহাবস্থানে  গুরুত্বের দিক দিয়ে ৫% এর উপরে দেয়া যায় না। কিন্তু এটাই হায়ারার্কিক্যাল অর্ডারে হয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কিংবা শয়তানের প্রদত্ত ইল্মের যেকোন একটিতে গিয়ে মিশেছে। প্রতিটি বিষয়ের যেকোন একটি যেকোন একটি পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করে। আপনি যদি শয়তানের ফেলা শিকলগুলোর যেকোন একটাকে  ধরে আল্লাহর প্রদত্ত রজ্জুকে আকড়ে ধরে আছেন ভেবে হ্যাভেনলি ব্লিশ অনুভব করেন, তাহলে ব্যপারটা প্যারাডক্সিক্যাল...আইরনিক্যাল। 
যদি কেউ বলে যে,"আপনাকে কবর বা হাশরের মাঠে জিজ্ঞেস করা হবেনা 'পৃথিবী গোল ছিলো নাকি চ্যাপ্টা ছিলো?", তাই 'গুরুত্বহীন' এ বিষয়টাতে যেকোন স্ট্রিমের নলেজ ক্বলবে ধারন করা যেতে পারে(!), তাহলে এরকম আকল দেখে করুনা প্রকাশ ছাড়া কিছুই করার নেই। আমার তো মনে  হয় না যে, কস্মোগনির ব্যপারে যা ইচ্ছা কিছু একটা বিশ্বাস রেখে কুরআনের লিটারেরি টার্ম ধরে মেনেছি বলে সাক্ষ্য দিয়ে বিপরীত কিছু অন্তরে ধারন করায় সমস্যা না থাকলে ইবনে বাজ(রহঃ) পৃথিবীকে স্থির বলা নিয়ে তাকফির পর্যন্ত করতেন না, ইবনে উসাইমীন(রহঃ), ইবনে জীব্রীন প্রমুখ ফাতাওয়া দিতেন না। সালাফ আস স্বালেহীনের উলামাদের কেউ দুনিয়াকে কুরউইয়্যাহ (গোল) বলাকে কুফর বলতেন না। আগেই বলেছি যমীনকে গোল বা সমতল বলা আমাদের প্রাইমর্ডিয়াল গৌল না,বরং সেটা সাবক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত, ব্রডার পার্স্পেক্টিভে ওয়ার্ল্ডভিউ অরিজিন অনুযায়ী ইত্তেবা হচ্ছে মুখ্য। গনতন্ত্র, ক্যাপিটালিজম, এপিকিউরিজম, আইডিয়ালিজম যে কারনে গর্হিত একই কারনে কস্মোগনির সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে অকাল্ট বেজড কস্মোলজিক্যাল নর্ম গর্হিত। এভাবে ভাবলে দেখা যায় ওই সালাফ উলামার কুফর সাব্যস্তকরন ঠিক আছে। (আমি অবশ্য এরজন্য কাউকে তাকফির করিনা এজন্য)।উদাহরণস্বরূপ,
শুকরের চর্বি দিয়ে বানানো তেল খেয়ে খাটি সয়াবিন তেল  খেয়ে নিশ্চিন্ত দাবি করা যেরকম ব্যপার, তেমনি এই জ্ঞানগত অরিজিনের ব্যপারে 'সজ্ঞানে' বেপরোয়া হয়ে, সে ব্যপারে ইন্ডিফারেন্ট হয়ে রহমানের দ্বারা জিজ্ঞাসিত হওয়া থেকে নিশ্চিন্ত হওয়ার আশা করাও একই রকম।
.
আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি "ফ্ল্যাট আর্থ" টার্মটাকে মিনিমাইজ করে রাখতে, ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টি তত্ত্বের ৪৬৯ পেইজে খুজে দেখুন কয়বার শব্দটাকে খুজে পান।হাতে গোনা দুইবারও পান কিনা সন্দেহ। কারন এটা কোন ম্যাটার অব কনসার্ন না। বরং এটা মূল বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সামান্য একটা অংশ। নিতান্ত সংকীর্ণ চেতনার মূর্খলোকেদের চুলকানি দেখবেন এটাকে নিয়েই। এরা ইহুদী মালাউনদের জোহারের আকিদা(আক্ষরিক) এমনভাবে গিলেছে যে এর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা হবে সবই বাতিল, এমনকি স্যাটানিক ইউনিভার্স মডেলকে সম্পূরকভাবে বৈধতা রাখার জন্য কয় এগুলা নিয়া বিতর্কের কিছু নেই, এগুলো নিয়ে হাশরে জিজ্ঞাসিতও হতে হবেনা, এগুলো আকাঈদের টেনেটের অন্তর্ভুক্ত কিনা যাচাই যোগ্য। অথচ আল্লাহ যদি এদের বুদ্ধিবৃত্তিক ম্যাচুর‍্যিটি একটুও দিতেন তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের সাথে যোগসূত্র খুজে পেত। যে আকিদা(আক্ষরিক-বিশ্বাস) তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ এর বিশ্বাস ধ্বংস করে দিচ্ছে সেটা তাহাদের মতে আদৌ আকিদার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু না, ইউ উইল নট গনা বি কোয়েশ্চেন্ড ফর হ্যাভ সাচ ফেইথ!


আমি এতদিন ধরে যতকিছুই আপনাদের সামনে নিয়ে আসি তার সবকিছুই তাওহীদের দুই পিলারকে(ভাগ) কেন্দ্র করে। সব আর্টিকেল-কন্টেণ্ট এ দুইয়ের সাপোর্টিভ কন্সটিটুয়েন্টস।

১.তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহঃ
সৃষ্টিতত্ত্ব, কস্মোলজি ন্যাচারাল ফিলসফি, অকাল্টিজম.....
.
২.তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ(হাকিমিয়্যাহকে এর ভেতর ধরেছি):
শাসনব্যবস্থা,গনতন্ত্র, জিহাদ, তাওয়াল্লি, আসহাবিয়্যাহ....
_______________________________
যাদের চুলকানি হয় তারা আসলে কিসের সাথে বিরুদ্ধে চলে যায় সেটা সংকীর্ণ মনমানসিকতায় ঠাহর করতে পারে না। কিন্তু আমি তো অনেক দূরের hierarchical order দেখতে পাই। এজন্য এদের কারনে অজ্ঞতাকে খুব ভাল করে অনুভব করি। আসলে আল্লাহ আযযা ওয়াযাল কর্মগুলোকে তাকদীরের নির্ধারিত স্থানে নির্ধারন করেছেন, সে অনুযায়ী সবাই আমল করছে। এজন্য কিছু বলার নেই। এটাই হবার...

মেইনস্ট্রিম দ্বীনি কমিউনিটি বি লাইক...
★সর্সারি, উইচক্র্যাফট হারাম.. কুফর কিন্তু সর্সারির উপর তৈরি ওয়ার্ল্ডভিউ,Cosmogony এবং যাবতীয় ইল্ম ১০০% হালাল।
★তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ না মানলে কাফির কিন্তু তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত কে ধ্বংসকারী ইল্ম আহরণ এবং এর উপর ইয়াক্বীন করা ১০০% হালাল। 

Order Out of Chaos

বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে সবকিছুকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে Order Out of Chaos। শুনতে একটু অফেন্সিভ লাগতে পারে, যাদেরকে দেখা যায় আজ দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য জানমাল দিয়ে চেষ্টা করে তারা যুদ্ধ বিগ্রহের দিকে যায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্যই। কুরআনের শতাধিকবার করা যুদ্ধের আদেশ এই অর্ডারে ফিরিয়ে আনার জন্যই। যার সর্বোত্তম ইত্তেবাকারীরা ছিলেন রাসূল(স) এবং তার সাহাবী আজমাঈন। তখন তারা কোনরূপ হিকমাহর দোহাই দিয়ে পিসফুল স্ট্র‍্যাটেজি ইনোভেট করে নি। আমরা যারা মানসিকভাবে কাফিরদের সৃষ্ট সিস্টেমের দাসত্ব মেনে নিয়েছি তারা এ ধরনের সংঘাতকে কাফিরদের ফ্রডুলেন্ট শান্তির নামে শোষণের জন্য সৃষ্ট সিস্টেইমের ভায়োলেশন মনে করে। এজন্য অর্থোডক্স ইসলাম থেকে বের হয়ে কাটছাঁট করা মোডারেট ইসলামের হুমকি বলে প্রচার করে, সেইসাথে আল্লাহর পক্ষাবলম্বীদেরকে খাওয়ারিজ প্রমাণের অনেক থিওলজিক্যাল সুডো ডগম্যাটিক চেষ্টা অব্যাহত রাখে। যেটা আমরা আজ মাদখালি-আহলে হাদিসদের মধ্যে দেখতে পাই। এদের মধ্যে আলিম শ্রেণী তাদের ইরজা ও মুদাহানার নীতিকে "স্বহীহ" শব্দের ব্যানারে সবজায়গায় প্রচার করে। এরা ক্যাপিট্যালিস্টিক সোকল্ড পিস কে ধরে রাখতে গনতন্ত্র বা জুমহুরিয়্যাহ, আসহাবিয়্যাহ, তাওয়াল্লি সবকিছুকে একেবারে হালাল বানিয়ে ফেলে। এরা আসলে পরোক্ষভাবে যে তাগুতের পক্ষে কাজ করছে সেটা সচেতন ভাবে দেখে না, অনেকে সব জেনে বুঝেই সচেতনভাবে কাফিরদের সপক্ষে আলিমের ভূমিকায় কাজ করছে। আমরা জ্ঞানগত দৈন্যতার জন্য তাদের কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি, মান্য করি অথচ এই আলিম গুলো ইসলামের একদম মৌলিক ভিত্তি তথা তাওহীদের আরকানের সাথেই সম্পর্ক রাখে না। এদের বিশ্বাসব্যবস্থা এবং কর্মপন্থা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের সাথে একদম সম্পর্কহীন অথচ সহীহ ট্রেডমার্কে দ্বীন বেচে দিন অতিবাহিত করছে। আমাদের দেশে সুফি বা তরিকা পন্থী পীররা যতটা না ভয়ঙ্কর তার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর এসব সহীহ শায়েখগন। সুফিরা তাদের বিদআতি কর্মকাণ্ড, কুফরি আকিদা গুলোকে সহীহ হলোগ্রামে প্রচার করে না। এসব চর্চা গুলো সাধারণভাবে তারা নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে, এরা দ্বীনী ইলমকে একদম ডিফেন্সলেস করবার জন্য শরীআতের সুস্পষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে নতুনভাবে রিরাইট করেনা, কিন্তু এটাকেই পরিবর্তনের মূল পয়েন্ট হিসেবে নিয়ে মুরজিয়াগুলো সহীহ বলে প্রচার করছে। দ্বীন থেকে তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহকে একদম ছেটে ফেলছে অথবা বিকৃত করে ফেলছে। সুতরাং নিকৃষ্টতার দিক দিয়ে পীরদের চেয়েও এরা এগিয়ে। মুরজিয়াদের তো এমনিতেই কিবলাধারী ইয়াহুদী বলা হয়নি!
.
দ্বীনের কর্ম ও বিশ্বাসগুলোকে পরিবর্তনকারী ওই আলিমদের বিষ যারা গ্রহন করছে এরা অধিকাংশই আমার আপনার মত জেনারেলে পড়ুয়া ভাইবোন। এজন্য বিলাল ফিলিপ্স, নুমান আলি খান,হামজা ইউসুফদের ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে বলে আত্ব তাঞ্জিমুল ক্বায়িদা দাজ্জ্বালের এ্যালাই। মুজাহিদীনরা ইল্যুমিনাতি। মা'আযাল্লাহ!

আত্ব তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ এবং সৃষ্টিতত্ত্ব(cosmogony)

তাওহীদূর রুবুবিয়্যাত হচ্ছে রব হিসেবে আল্লাহর অস্তিত্বগত মৌলিক স্বীকৃতির বিশ্বাস। এটা ঈমানের একদম মৌলিক বিশ্বাস। এতে বিশ্বাস রাখা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, এটায় অবিশ্বাস করে যত আমল করা হোক না কেন কোন লাভ নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তার পবিত্র কালামে মাজীদে আসমান জমিন সৃষ্টির ব্যপারে বার বার বর্ননা করেছেন, এগুলো আল্লাহর ওয়াহদানিয়াতের সাক্ষ্য দেয়। এগুলো আল্লাহর অস্তিত্ব এবং রুবুবিয়্যাতের সাক্ষী দেয়। এজন্য মক্কার মুশরিকদেরকে আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে বলতে গিয়ে আসমান যমীনের স্রষ্টা কে প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্ন করেছেন বৃষ্টিধারা নাযিলকারী কে প্রশ্ন করেছেন। আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে অনেক আয়াতে চাঁদ সূর্য নক্ষত্র আসমান ও যমীনকে তার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন। এগুলো আপনারাও জানেন।

চার থেকে পাচ হাজার বছর আগে বাবেল শহরে যাদুবিদ্যার একটি শাখা গড়ে ওঠে যাকে আমরা আজ জ্যোতিষশাস্ত্র বলে চিনি। এর উপর ভিত্তি করে যাদুকর এবং শয়তানের সহযোগীতায় গড়ে ওঠে Alternative Cosmogony যেটা এমন আসমান ও যমীন এবং সর্বোপরি সৃষ্টিতত্ত্বের ধারনা দেয় যা আল্লাহর অস্তিত্বের নূন্যতম স্বীকৃতি দেওয়ার বিপরীত দিকে চালিত করবার জন্য নির্মিত। এটা ব্যাখ্যা করে কিভাবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই এমনি এমনিতেই সৃষ্টিজগৎ বিবর্তিত বিবর্ধিত(cosmological evolution) হয়েছে। এটা শিক্ষা দেয় প্রতিটি অনুপরমানুই self-sufficient, প্রত্যেকেই নিজেই নিজের ইলাহ(ওয়াহদাতুল উজুদ/আল ইত্তেহাদ/monism)। শুধু জ্যোতিষশাস্ত্র না, এই অল্টারনেটিভ বিশ্বাসব্যবস্থাকে আরো বেশি পোলিশ করেছে হার্মেটিক,কাব্বালা,বৈদিকসহ বিভিন্ন অকাল্ট(যাদুবিদ্যার) ট্রেডিশান। দীর্ঘকাল লুকিয়ে রাখা এ বিদ্যা এবং বিশ্বাসগুলোকে শয়তানের সহযোগীতায় দাজ্জালের আগমনের পূর্বে আজ পূর্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাব্বালিস্ট ইহাহুদীরা তো গর্বের সাথে বলে এটা মসীহের আগমনের লক্ষণ যেহেতু তাদের বাতেনি ইল্ম আজ আজ জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অন্যদিকে আল্লাহ কুরআনে আমাদেরকে জানিয়েই দিয়েছিলেন ইহুদীদের আবৃত্ত শাস্ত্রের অরিজিন(২:১০২)। তারাও অস্বীকার করে না, গর্বের সাথে বুক ফুলিয়ে বলে তাদের এই ইল্মের উৎস প্রাচীন ব্যাবিলনীয়া। আমরা ইজরাইলের সবচেয়ে বড় কাব্বালার ইন্সটিটিউট বেনেঈ বারুচের চেয়ারম্যানের মুখেই একথা শুনেছি। তিনি সেই সাথে তাদের এই বিদ্যাকে গর্বের সাথে সায়েন্স বলছিলেন।
.
*প্রথমত, এই কস্মোলজি এবং কস্মোজেনেসিসের উৎস হচ্ছে অকাল্ট স্ক্রিপচার, খাটিবাংলায় উঁচুমানের যাদু শিক্ষার কিতাব। এগুলো তাবিজ কবচ আর জ্বীন চালনার সোকল্ড যাদু না। 
.
*দ্বিতীয়ত, একে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের কন্সেপ্টটির বিকল্প কিছুকে প্রতিষ্ঠার হিসেবে। সেটাকে কুফর করবার জন্য। সহজ ভাষায়, উদ্দেশ্য তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহকে ধ্বংস করার জন্য। 
.
আফসোসের বিষয় হচ্ছে উম্মাহ আজ এই ফিতনাতেই ভালভাবে গ্রহন করেছে। একে দ্বীনের সাথে সমন্বয় করেছে যতভাবে করা যায়। আজ সতর্ক করা হলে মূর্খের মত বলছে এসব নিয়ে আলোচনা ফিতনাহ, অমুক আলিমও বিশ্বাস করত, এগুলো আকিদার বিষয় নয়, এগুলোয় ইয়াক্বিন করলে আল্লাহ আপনাকে কিছুই বলবে না। 
মা'আযাল্লাহ! 
.
যে বিষয় আকিদার 'আ'কেও মুছে দেয় সেটা আকিদা পরিপন্থী বিষয় নয়(!), সেগুলো গ্রহন করলে আল্লাহ কিছুই বলবে না, অমুক আলিম এই ভুল করেছে তাই আমার কর‍তে দোষ নেই, এগুলো মোটেও ম্যাটার অব কনসার্ন নয়! (আল্লাহর সৃষ্টির ব্যপারে বিকৃত ধারনার অপরাধটি নাহয় বাদই দিলাম)যাদুবিদ্যা তো কুফর কিন্তু কুফর ভিত্তিক বিশ্বাসব্যবস্থাকে কুফর সাব্যস্ত করা যাবে নাহ!!?
.
এই যদি হয় বিশ্বাসের অবস্থা তাহলে বানর থেকে মানুষ হবার গল্পকে গ্রহন করে নিতে কি দোষ ছিল? 
.
সামান্য সুক্ষ্মচিন্তা যদি করবার ক্ষমতা না থাকে তাহলে আমরা কি ধরনের আল্লাহ আযযা ওয়াযালের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বকারী জাতি হলাম!? এরকম জাহালতের জন্য উম্মাহর দিনকেদিন অধঃপতন, এজন্যই আজ আমরা সুদ খেয়ে সেটাকে বৈধতা দিতে সুদ স্বীকৃতি দিতে চাই না। ইহুদীরা এই কাজ গুলো করে অভিশপ্ত। আমরা কেন ওদের অনুসরন করছি! এসব বলে লাভ নেই। আল্লাহর রাসূল(সাঃ) বহু আগেই কিবলাধারী ইয়াহুদীদের কথা বলে গেছেন, পদে পদে ওদের অনুসরণের কথা বলেছেন। আজ সবক্ষেত্রে সেটা প্রতিভাত হচ্ছে।

জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ছোটবেলায় রাজনৈতিক ইন্সট্যাবিলিটি, দুঃশাসন, দুর্নীতি, অবিচার, শোষণ, নিপীড়ন,মানুষের অভাব, দারিদ্র্য খুব পীড়া দিত। এর কারন খুঁজতাম। গনতন্ত্রের ফ্যালাসিকে ধরতে পারি, এরপরে বেটার শাসন ব্যবস্থা খুজতাম। মার্ক্সিজম-সমাজতন্ত্রের মধ্যেও ডুব দিয়েছিলাম। তখন খিলাফা-শরী'আ শাসনের ব্যপারে খুব একটা জানতাম না কিন্তু পজেটিভ ছিলাম। এরপরে যখন কোন তন্ত্র মন্ত্রের মধ্যেই কল্যান দেখিনা, অতঃপর আল্লাহ ইসলামিক শাসনব্যবস্থার ব্যপারে ধারনা দিলেন। ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে দেখলেও এটার চেয়ে উৎকৃষ্টতর আর কোন কিছুই নেই। অনেক প্রকার শাসন ব্যবস্থা আছে,খিলাফা বাদ দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে দেখুন এমন কোন স্ট্যাবিশড অর্ডার খুজে পাবেন না যেটা যমীনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে শাসন ব্যবস্থায় সমাজ থেকে অভাব-দারিদ্র-দুর্নীতি-শোষন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপিত হয়েছিল। যে শাসন একমাত্র যমীনে সমৃদ্ধি এনেছিল সেটা একমাত্র খিলাফা আলা মিনহাজিন নাব্যুয়্যাহ।খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। আর খিলাফত হচ্ছে প্রতিনিধিত্ব। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা।আল্লাহ বলেনঃ
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلاَئِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُواْ أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاء وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
.
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।[২:৩০]
.
আল্লাহর সৃষ্ট মানব প্রতিনিধিদের কাজ যে যমীনে তার প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা, সেটা নিন্মোক্ত আয়াতে স্পষ্টঃ
.
قَالُواْ أُوذِينَا مِن قَبْلِ أَن تَأْتِينَا وَمِن بَعْدِ مَا جِئْتَنَا قَالَ عَسَى رَبُّكُمْ أَن يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الأَرْضِ فَيَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ
.
তারা বলল, আমাদের কষ্ট ছিল তোমার আসার পূর্বে এবং তোমার আসার পরে। তিনি বললেন, তোমাদের পরওয়ারদেগার শীঘ্রই তোমাদের শক্রদের ধ্বংস করে দেবেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন। তারপর দেখবেন, তোমরা কেমন কাজ কর।[আরাফঃ১২৯]
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَائِفَ فِي الْأَرْضِ فَمَن كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهُ وَلَا يَزِيدُ الْكَافِرِينَ كُفْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ إِلَّا مَقْتًا وَلَا يَزِيدُ الْكَافِرِينَ كُفْرُهُمْ إِلَّا خَسَارًا
.
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে স্বীয় প্রতিনিধি করেছেন। অতএব যে কুফরী করবে তার কুফরী তার উপরই বর্তাবে। কাফেরদের কুফর কেবল তাদের পালনকর্তার ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফেরদের কুফর কেবল তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।[ফাতিরঃ৩৯]
.
يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُم بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ
.
হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবদিবসকে ভূলে যায়।[ছোয়াদ-২৬]
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা প্রতিটা মানুষকে তার প্রতিনিধি(খলিফা) হিসেবে পাঠিয়েছে। এখন যমীনবাসীদের কেউ কেউ শয়তানের প্রতিনিধিত্বকে পছন্দ করে নিয়েছে। কিন্তু কালেক্টিভলি হিউম্যানিটির নোবেল পারপাজ আল্লাহর পক্ষ থেকে এটাই। এটা অবশ্য আল্লাহর একটা পরীক্ষাও বটে। তিনি দেখতে চান কারা শয়তানের প্রতিনিধিত্বকে বেছে নেয়,আর কারা তার প্রতিনিধিত্ব কায়েমের চেষ্টা করে(আল্লাহই বিজয়দান কারী)। নিশ্চয়ই এটা একটা পরীক্ষা। আল্লাহ বলেনঃ
.
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلاَئِفَ الأَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِّيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
.
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি(খলিফা) করেছেন এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদের কে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তি দাতা এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু।[আনআমঃ১৬৫]
.
ثُمَّ جَعَلْنَاكُمْ خَلاَئِفَ فِي الأَرْضِ مِن بَعْدِهِم لِنَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ
.
অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর।[ইউনূস:১৪]
.
একমাত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা দারিদ্র্য-বৈষম্য দূরকরনের জন্য পরীক্ষিত শাসন ব্যবস্থা এই খিলাফা'ই। আমি আপনি যতই এটার চিন্তা বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত আল্লাহর অননুমোদিত শাসন ব্যবস্থার গণ্ডির ভেতর থেকে সমাজকে পরিবর্তনের জন্য সেমিনার,মোটিভেশনাল স্পিচ,জনকল্যানমুখী উদ্যোগ,অলাভজনক ভলান্টিয়ার সংগঠন, দরিদ্রদের জন্য তহবিল তৈরি করি, অবস্থার কিছুই পরিবর্তন হবে না। কারন আপনি সিস্টেমের গণ্ডির ভেতরে থেকে শোষনমুখী নীতিমালাকে মেনেই জনকল্যাণমুখী কাজ করছেন। উদাহরণ স্বরূপ ধরুন একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্রে অনন্তকাল ধরে পানি দিয়ে যাচ্ছেন,কিন্তু কিছুতেই তা ভরছে না।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা কেবল কোন ভূখণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, বরং এর সীমানা সারা পৃথিবীব্যাপী। খেয়াল করলে দেখবেন, আজ কাফিররা তথা যমীনের সর্বত্র শয়তানের প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নে তৎপর। আমাদেরকে জীবনের এই নোবেল পারপাজের ব্যপারে ভুলিয়ে রেখেছে কারা?
সহজ উত্তর হচ্ছে অধিকাংশ আলিম সম্প্রদায়। এরাই সবার প্রথম নিজেদের সত্য প্রচারের দায়িত্ব থেকে হাত গুটিয়েছিল দুনিয়ার বিনময়ে। এতে তাদের অনুসারী সাধারন মুসলিমরাও কালেক্টিভলি পথহারা হয়ে যায়। চূড়ান্তভাবে পথচ্যুত হয় উসমানিয়্যাহ খিলাফত পতনের মাধ্যমে। সাধারন মানুষের মধ্যে ওয়াহহান প্রবেশ করে। দুনিয়াকে ভালবাসে আর আল্লাহর পথে যুদ্ধ করাকে ঘৃণা করে, সবাই গরুর লেজ ধরে সন্তুষ্ট হয়ে যায়, সুদী কারবারে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে আল্লাহ কাফিরদের অন্তর থেকে মুসলিমদের প্রতি ভয় উঠিয়ে দেন, কাফিরদের চোখে এখন আমরা একপাল ভেড়ার মত। যখন ইচ্ছা তখন নির্ভয়ে হত্যা করা যায়। এভাবে আমাদের উপর জিল্লতিকে চাপানো হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, ইহুদীরাও যখনই কিত্বাল থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে তৎকালীন কাফিরদের লাঞ্ছিত করেছেন। এখন তারা পুরোপুরি শয়তানের পথকে গ্রহন করে নিয়েছে।
.
দুনিয়াকে পাওয়ার জন্য আলিমরা আজ যেটা করেছেন- ইসলামের "ব্যক্তিগত আমল সংক্রান্ত কাজের" মধ্যে ইসলামকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। ইসলামের মৌলিক কাজকে সীমাবদ্ধ করেছে শুধুই স্বলাত,সিয়াম, যাকাহ, হজ্জ্ব আর কালেমা পাঠের মধ্যে। মহা জ্ঞানী আলিম-পীর মাশায়েখের মুজাকারা-বাহাস চলে স্বলাতে কোথায় হাত বাধা হবে সেটা নিয়ে, জোরে আমিন বলা যাবে নাকি যাবেনা। কিন্তু অন্তরালে কাফিররা চাপাতি-তলোয়ারে ধার দিচ্ছে, সুযোগ বুঝে অস্ত্র চালাচ্ছে, ফলশ্রুতিতে রচিত হচ্ছে রোহিঙ্গা-গুজরাট জেনোসাইড, ইরাক-সিরিয়া-ফিলিস্তিনের ট্র‍্যাজেডি।
.
আজ যেখানে আমরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করা থেকে হাত গুটিয়ে লাঞ্ছিত হচ্ছি অস্তিত্ব সংকটে পড়ছি, সেখানে আলিম সম্প্রদায় ডিফেন্সিভ স্ট্র‍্যাটেজির দিকে যেতেও নিষেধ করে। আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও আপনাকে বলা হবে সন্ত্রাসী-খাওয়ারিজ। এগুলো এখন শুধু কাফিরদের টার্ম না, কাফিরদের বেনেভোলেন্ট অভিশপ্ত নামধারী মুসলিম আলিমদের টার্ম। আমি জানি না ওইসব আলিমদের ফিলসফিক্যাল গিল্ডে অবস্থানরত 'প্যাক্টিষিং মোজলেমরা' কোন ইউটোপিয়ায় বাস করে। এরা আজকে অনেক ফ্রডুলেন্ট যুক্তি দিয়ে রিদ্দার বিষয়কেও ইসলামাইজ-নরমালাইজ করে। এখন এমনই অবস্থা হয়েছে যে কাফিররা মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ড গুলোয় কাজ করে, সৌদিকে আম্রিকা সিলেবাস তৈরি করে দেয়। মাদ্রাসার কিতাব থেকে জিহাদ শব্দটাকে আইসোলেট করে দেওয়া হচ্ছে। দ্বীন সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করে আজ কত কিছুই না করা হচ্ছে! গোটা দ্বীনকে আজ অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে, পূর্ব তুর্কিস্তানে কি হচ্ছে? ভদ্রভাবে ইসলামের আলোকে নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওরা গনহত্যা করছে না প্রকাশ্যে।
.
একজন লোক কিছু না করতে পারুক অন্তত যদি অন্তর থেকে আল্লাহর পথের জানমাল ব্যয় করাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করে তাতেও মুক্তির আশা আছে যেহেতু হাদিসে এসেছেঃ
.
حدثنا عبدة بن سليمان المروزي، أخبرنا ابن المبارك، أخبرنا وهيب، - قال عبدة ‏:‏ يعني ابن الورد - أخبرني عمر بن محمد بن المنكدر، عن سمى، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏:‏ ‏ "‏ من مات ولم يغز ولم يحدث نفسه بالغزو مات على شعبة من نفاق ‏"‏ ‏.‏
.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেলো যে, সে জিহাদ করেনি এবং মনে জিহাদের আকাঙ্খাও রাখেনি, তবে সে মুনাফিক্বী অবস্থায় মারা গেলো।
.
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৫০২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
শুধুমাত্র আন্তরিক স্বীকৃতির কথা এজন্য বলছি যে আজকের প্রেক্ষাপটে দ্বীনকায়েমের পথকেই গর্হিত বলে ভাবা হয়! কিন্তু গনতন্ত্র সমাজতন্ত্রকে আবার বেশ ভাল করে ইসলামাইজ করে নেওয়া হয়েছে। আকিদা বা আন্তরিক স্বীকৃতির বিশুদ্ধতা সবার আগে। এরপরেও অবশ্য আল্লাহ যা চান, সেটা এতে অনাদায়ী অবস্থাতে থাকে। আল্লাহ বলেনঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ
.
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।[আল ইমরানঃ ১৪২]
.
শয়তানের প্রতিনিধি হিসেবে আজ ইহুদী-খ্রিষ্টানসহ সমস্ত কুফরের মিল্লাত টোটালিটেরিয়ান ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে ওদের গুরু দাজ্জালের জন্য। ওদের পক্ষটিকে অন্ধকারের সাথে তুলনাযোগ্য। অপরদিকে আল্লাহ আমাদেরকেও টোটালিটেরিয়ান ওয়ান ওয়ার্ল্ড ইসলামিক স্টেইট গড়ার জন্য পাঠিয়েছেন(ইসলামিক স্টেইট শব্দদ্বয় ব্যবহার করায় আমাকে আইএস/দায়েশ ভাব্বেন না)। এটাকে আলোর সাথে তুলনাযোগ্য। গুড এ্যান্ড ইভলের এক আদর্শগত সংঘাত চলমান। আমরা সে পথ থেকে অনেক অনেক দূরে আছি, মৃত গাধা আও মশার ডানা তুল্য মূল্যহীন দুনিয়ার ট্রাঞ্জিয়েন্ট সাফল্যের পেছনে ছুটে অমুল্য সময়কে নষ্ট করছি। আমরা মুসলিমরা কত্ত বোকা, কত মূর্খ যে কাফিররা তাদের পথের কাটা সরাতে আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিত একান্ত অনুগত মুজাহিদ বান্দাদের বিরুদ্ধে ছড়ানো মিথ্যাচারকে কোন যাচাই ছাড়াই বিশ্বাস করি। কাফিররা সন্ত্রাসী জঙ্গী বললে আমরাও সুর মিলিয়ে বলি, এমনকি কাফিরদের সুউচ্চ ইমারতে শাইখ উসামাদের(রহঃ) পরিচালনায় বরকতপূর্ন হামলাকেও ইন্সাইড জব বলি ওদের সুরে সুর মিলিয়ে। এখানেই শেষ নয়, হিকমার নামে গনতন্ত্র-সমাজতন্ত্রকেও দ্বীন কায়েমের পথ বানিয়ে নিয়েছি। এর উদাহরণ অনেকটা মূত্র দ্বারা ওযূ করবার চিন্তার ন্যায়।
.
যারা আজ শুধুমাত্র দাজ্জাল কিংবা ইমামুল মাহদীর আগমনের জন্য জিহাদের প্রয়োজনীয়তাকে অনুধাবন করে এরাও আসলে দ্বীনকে বোঝে নি। নতুবা বুঝতো, দাজ্জাল, ঈসা(আ) কিংবা ইমাম মাহদী আগামী ৫০ বছরের মধ্যে আসুক কিংবা না আসুক সেটা আসল বিষয় নয়, আসল ব্যপার হচ্ছে যেকোন সময়ে কুফরের উৎখাত করে আল্লাহ আযযা ওয়া যালের হুকুমাত কায়েম। তবে তারা সব সময়ই স্মরণ রাখতোঃ
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلّهِ
আর তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর, যে পর্যন্ত না ফিতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। [২:১৯৩]

আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির একটি হলো যুদ্ধ

নূহ(আ:), লূত (আ:),আদ সামূদ তুব্বা সাবাবাসীদের যুগে পাপাচারীতার শাস্তি আল্লাহই সরাসরি দিয়ে দিতেন, সেসময় কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুকুম ছিল না। কিন্তু আল্লাহ সরাসরি যুদ্ধের হুকুম দেন মূসা(আ:) যুগ থেকে। মূসা(আ:) এর সময় থেকেই ডিভাইন রেট্রিবিউশন শেষ হতে থাকে। সম্ভবত তাদেরকেই সর্বশেষ চরম অলৌকিকতার সাথে ফিরআউনের কবল থেকে উদ্ধার করেন। এরপর থেকেই জিহাদের হুকুম নাযিল হয়। তখন থেকেই আল্লাহ কাফিরদেরকে মু'মিনদের দ্বারা শাস্তি দেওয়া শুরু করেন। এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কুরআনেই বলেছেনঃ
.
إِذْ يُوحِي رَبُّكَ إِلَى الْمَلآئِكَةِ أَنِّي مَعَكُمْ فَثَبِّتُواْ الَّذِينَ آمَنُواْ سَأُلْقِي فِي قُلُوبِ الَّذِينَ كَفَرُواْ الرَّعْبَ فَاضْرِبُواْ فَوْقَ الأَعْنَاقِ وَاضْرِبُواْ مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
.
ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّواْ اللّهَ وَرَسُولَهُ وَمَن يُشَاقِقِ اللّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
.
ذَلِكُمْ فَذُوقُوهُ وَأَنَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابَ النَّارِ
আপাততঃ বর্তমান এ শাস্তি তোমরা আস্বাদন করে নাও এবং জেনে রাখ যে, কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের আযাব।
.
فَلَمْ تَقْتُلُوهُمْ وَلَـكِنَّ اللّهَ قَتَلَهُمْ وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَـكِنَّ اللّهَ رَمَى وَلِيُبْلِيَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ بَلاء حَسَناً إِنَّ اللّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত[আনফালঃ১৩,১৪,১৭]
.
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।[আত্ব তাওবা:১৪]
.
একইভাবে পাপের জন্যও কাফির বা মুসলিমদের দিয়ে যুদ্ধ বা অত্যাচারের মাধ্যমে শাস্তিদান শুরু করেন। আল্লাহ সূরা বনী ইসরাঈলে ইহুদীদের পাপাচারীতার জন্য প্রতি দুইবার শাস্তিদানের কথা বলেছেন। তাদের উপর আপতিত দুই শাস্তিই ছিল কাফিরদের দ্বারা। প্রথম শাস্তির ওয়েভ ছিল কিং গোলিয়াত(জালুত) দ্বারা(মতানৈক্য আছে)। সেকেন্ড ওয়েভ ছিল সর্বগ্রাসী ব্যবিলনীয়ান রাজা নেবুচাদনেজারের দ্বারা।
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَى أَن يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِّن فَوْقِكُمْ أَوْ مِن تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعاً وَيُذِيقَ بَعْضَكُم بَأْسَ بَعْضٍ انظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ الآيَاتِ لَعَلَّهُمْ يَفْقَهُونَ
আপনি বলুনঃ তিনিই শক্তিমান যে, তোমাদের উপর কোন শাস্তি উপর দিক থেকে অথবা তোমাদের পদতল থেকে প্রেরণ করবেন অথবা তোমাদেরকে দলে-উপদলে বিভক্ত করে সবাইকে মুখোমুখী করে দিবেন এবং এককে অন্যের উপর আক্রমণের স্বাদ আস্বাদন করাবেন। দেখ, আমি কেমন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নিদর্শনাবলী বর্ণনা করি যাতে তারা বুঝে নেয়।[আন'আমঃ৬৫]
.
এখানে প্রথম শিক্ষা হলো, আজকে আমরা যারা গৃহে অবস্থান করে কাফিরদের উপর আল্লাহর শাস্তি কামনা করে বসে থাকি তাদের প্রত্যাশা সঠিক না, আমার আশপাশের লোকেদের মুখে শুনি কাফিরদের অত্যাচার জুলম দেখেও আল্লাহ কেন শাস্তি দেন না ওদের। আল্লাহ তো আমাদের হাতে শাস্তি দিতে চান, ঘরে বসে এটা বলে আক্ষেপ করলে কিছু হবে!?
.
২য় শিক্ষা হলো, আমাদের উম্মাহ যে পাপাচারিতায় লিপ্ত সেটার একটা ফিডব্যাক আল্লাহ শাস্তি হিসেবে দিবেনই। সেটা ভূমিকম্প,বজ্রবৃষ্টি না হলেও কাফিরদের দ্বারাই দিবেন। আমরা ইতোমধ্যে পাশের দেশের মুশরিকদের অস্ত্রে ধার দেওয়ার শব্দ শুনতে পেয়েও নির্বিকার হয়ে দিন কাটাচ্ছি। নিজেদেরকে পরিবর্তনের কোন চিন্তা নেই।