Sunday, December 8, 2019

জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ছোটবেলায় রাজনৈতিক ইন্সট্যাবিলিটি, দুঃশাসন, দুর্নীতি, অবিচার, শোষণ, নিপীড়ন,মানুষের অভাব, দারিদ্র্য খুব পীড়া দিত। এর কারন খুঁজতাম। গনতন্ত্রের ফ্যালাসিকে ধরতে পারি, এরপরে বেটার শাসন ব্যবস্থা খুজতাম। মার্ক্সিজম-সমাজতন্ত্রের মধ্যেও ডুব দিয়েছিলাম। তখন খিলাফা-শরী'আ শাসনের ব্যপারে খুব একটা জানতাম না কিন্তু পজেটিভ ছিলাম। এরপরে যখন কোন তন্ত্র মন্ত্রের মধ্যেই কল্যান দেখিনা, অতঃপর আল্লাহ ইসলামিক শাসনব্যবস্থার ব্যপারে ধারনা দিলেন। ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে দেখলেও এটার চেয়ে উৎকৃষ্টতর আর কোন কিছুই নেই। অনেক প্রকার শাসন ব্যবস্থা আছে,খিলাফা বাদ দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে দেখুন এমন কোন স্ট্যাবিশড অর্ডার খুজে পাবেন না যেটা যমীনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল, যে শাসন ব্যবস্থায় সমাজ থেকে অভাব-দারিদ্র-দুর্নীতি-শোষন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপিত হয়েছিল। যে শাসন একমাত্র যমীনে সমৃদ্ধি এনেছিল সেটা একমাত্র খিলাফা আলা মিনহাজিন নাব্যুয়্যাহ।খলিফা শব্দের অর্থ প্রতিনিধি। আর খিলাফত হচ্ছে প্রতিনিধিত্ব। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা।আল্লাহ বলেনঃ
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلاَئِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُواْ أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاء وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
.
আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।[২:৩০]
.
আল্লাহর সৃষ্ট মানব প্রতিনিধিদের কাজ যে যমীনে তার প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা, সেটা নিন্মোক্ত আয়াতে স্পষ্টঃ
.
قَالُواْ أُوذِينَا مِن قَبْلِ أَن تَأْتِينَا وَمِن بَعْدِ مَا جِئْتَنَا قَالَ عَسَى رَبُّكُمْ أَن يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الأَرْضِ فَيَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ
.
তারা বলল, আমাদের কষ্ট ছিল তোমার আসার পূর্বে এবং তোমার আসার পরে। তিনি বললেন, তোমাদের পরওয়ারদেগার শীঘ্রই তোমাদের শক্রদের ধ্বংস করে দেবেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন। তারপর দেখবেন, তোমরা কেমন কাজ কর।[আরাফঃ১২৯]
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلَائِفَ فِي الْأَرْضِ فَمَن كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهُ وَلَا يَزِيدُ الْكَافِرِينَ كُفْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ إِلَّا مَقْتًا وَلَا يَزِيدُ الْكَافِرِينَ كُفْرُهُمْ إِلَّا خَسَارًا
.
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে স্বীয় প্রতিনিধি করেছেন। অতএব যে কুফরী করবে তার কুফরী তার উপরই বর্তাবে। কাফেরদের কুফর কেবল তাদের পালনকর্তার ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফেরদের কুফর কেবল তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।[ফাতিরঃ৩৯]
.
يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُم بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ
.
হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব, তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি, এ কারণে যে, তারা হিসাবদিবসকে ভূলে যায়।[ছোয়াদ-২৬]
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা প্রতিটা মানুষকে তার প্রতিনিধি(খলিফা) হিসেবে পাঠিয়েছে। এখন যমীনবাসীদের কেউ কেউ শয়তানের প্রতিনিধিত্বকে পছন্দ করে নিয়েছে। কিন্তু কালেক্টিভলি হিউম্যানিটির নোবেল পারপাজ আল্লাহর পক্ষ থেকে এটাই। এটা অবশ্য আল্লাহর একটা পরীক্ষাও বটে। তিনি দেখতে চান কারা শয়তানের প্রতিনিধিত্বকে বেছে নেয়,আর কারা তার প্রতিনিধিত্ব কায়েমের চেষ্টা করে(আল্লাহই বিজয়দান কারী)। নিশ্চয়ই এটা একটা পরীক্ষা। আল্লাহ বলেনঃ
.
وَهُوَ الَّذِي جَعَلَكُمْ خَلاَئِفَ الأَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِّيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
.
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি(খলিফা) করেছেন এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন, যাতে তোমাদের কে এ বিষয়ে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। আপনার প্রতিপালক দ্রুত শাস্তি দাতা এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, দয়ালু।[আনআমঃ১৬৫]
.
ثُمَّ جَعَلْنَاكُمْ خَلاَئِفَ فِي الأَرْضِ مِن بَعْدِهِم لِنَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ
.
অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর।[ইউনূস:১৪]
.
একমাত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা দারিদ্র্য-বৈষম্য দূরকরনের জন্য পরীক্ষিত শাসন ব্যবস্থা এই খিলাফা'ই। আমি আপনি যতই এটার চিন্তা বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত আল্লাহর অননুমোদিত শাসন ব্যবস্থার গণ্ডির ভেতর থেকে সমাজকে পরিবর্তনের জন্য সেমিনার,মোটিভেশনাল স্পিচ,জনকল্যানমুখী উদ্যোগ,অলাভজনক ভলান্টিয়ার সংগঠন, দরিদ্রদের জন্য তহবিল তৈরি করি, অবস্থার কিছুই পরিবর্তন হবে না। কারন আপনি সিস্টেমের গণ্ডির ভেতরে থেকে শোষনমুখী নীতিমালাকে মেনেই জনকল্যাণমুখী কাজ করছেন। উদাহরণ স্বরূপ ধরুন একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্রে অনন্তকাল ধরে পানি দিয়ে যাচ্ছেন,কিন্তু কিছুতেই তা ভরছে না।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা কেবল কোন ভূখণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, বরং এর সীমানা সারা পৃথিবীব্যাপী। খেয়াল করলে দেখবেন, আজ কাফিররা তথা যমীনের সর্বত্র শয়তানের প্রতিনিধিত্ব বাস্তবায়নে তৎপর। আমাদেরকে জীবনের এই নোবেল পারপাজের ব্যপারে ভুলিয়ে রেখেছে কারা?
সহজ উত্তর হচ্ছে অধিকাংশ আলিম সম্প্রদায়। এরাই সবার প্রথম নিজেদের সত্য প্রচারের দায়িত্ব থেকে হাত গুটিয়েছিল দুনিয়ার বিনময়ে। এতে তাদের অনুসারী সাধারন মুসলিমরাও কালেক্টিভলি পথহারা হয়ে যায়। চূড়ান্তভাবে পথচ্যুত হয় উসমানিয়্যাহ খিলাফত পতনের মাধ্যমে। সাধারন মানুষের মধ্যে ওয়াহহান প্রবেশ করে। দুনিয়াকে ভালবাসে আর আল্লাহর পথে যুদ্ধ করাকে ঘৃণা করে, সবাই গরুর লেজ ধরে সন্তুষ্ট হয়ে যায়, সুদী কারবারে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে আল্লাহ কাফিরদের অন্তর থেকে মুসলিমদের প্রতি ভয় উঠিয়ে দেন, কাফিরদের চোখে এখন আমরা একপাল ভেড়ার মত। যখন ইচ্ছা তখন নির্ভয়ে হত্যা করা যায়। এভাবে আমাদের উপর জিল্লতিকে চাপানো হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী, ইহুদীরাও যখনই কিত্বাল থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে তৎকালীন কাফিরদের লাঞ্ছিত করেছেন। এখন তারা পুরোপুরি শয়তানের পথকে গ্রহন করে নিয়েছে।
.
দুনিয়াকে পাওয়ার জন্য আলিমরা আজ যেটা করেছেন- ইসলামের "ব্যক্তিগত আমল সংক্রান্ত কাজের" মধ্যে ইসলামকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। ইসলামের মৌলিক কাজকে সীমাবদ্ধ করেছে শুধুই স্বলাত,সিয়াম, যাকাহ, হজ্জ্ব আর কালেমা পাঠের মধ্যে। মহা জ্ঞানী আলিম-পীর মাশায়েখের মুজাকারা-বাহাস চলে স্বলাতে কোথায় হাত বাধা হবে সেটা নিয়ে, জোরে আমিন বলা যাবে নাকি যাবেনা। কিন্তু অন্তরালে কাফিররা চাপাতি-তলোয়ারে ধার দিচ্ছে, সুযোগ বুঝে অস্ত্র চালাচ্ছে, ফলশ্রুতিতে রচিত হচ্ছে রোহিঙ্গা-গুজরাট জেনোসাইড, ইরাক-সিরিয়া-ফিলিস্তিনের ট্র‍্যাজেডি।
.
আজ যেখানে আমরা আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করা থেকে হাত গুটিয়ে লাঞ্ছিত হচ্ছি অস্তিত্ব সংকটে পড়ছি, সেখানে আলিম সম্প্রদায় ডিফেন্সিভ স্ট্র‍্যাটেজির দিকে যেতেও নিষেধ করে। আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও আপনাকে বলা হবে সন্ত্রাসী-খাওয়ারিজ। এগুলো এখন শুধু কাফিরদের টার্ম না, কাফিরদের বেনেভোলেন্ট অভিশপ্ত নামধারী মুসলিম আলিমদের টার্ম। আমি জানি না ওইসব আলিমদের ফিলসফিক্যাল গিল্ডে অবস্থানরত 'প্যাক্টিষিং মোজলেমরা' কোন ইউটোপিয়ায় বাস করে। এরা আজকে অনেক ফ্রডুলেন্ট যুক্তি দিয়ে রিদ্দার বিষয়কেও ইসলামাইজ-নরমালাইজ করে। এখন এমনই অবস্থা হয়েছে যে কাফিররা মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ড গুলোয় কাজ করে, সৌদিকে আম্রিকা সিলেবাস তৈরি করে দেয়। মাদ্রাসার কিতাব থেকে জিহাদ শব্দটাকে আইসোলেট করে দেওয়া হচ্ছে। দ্বীন সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করে আজ কত কিছুই না করা হচ্ছে! গোটা দ্বীনকে আজ অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে, পূর্ব তুর্কিস্তানে কি হচ্ছে? ভদ্রভাবে ইসলামের আলোকে নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওরা গনহত্যা করছে না প্রকাশ্যে।
.
একজন লোক কিছু না করতে পারুক অন্তত যদি অন্তর থেকে আল্লাহর পথের জানমাল ব্যয় করাকে ন্যায়সঙ্গত মনে করে তাতেও মুক্তির আশা আছে যেহেতু হাদিসে এসেছেঃ
.
حدثنا عبدة بن سليمان المروزي، أخبرنا ابن المبارك، أخبرنا وهيب، - قال عبدة ‏:‏ يعني ابن الورد - أخبرني عمر بن محمد بن المنكدر، عن سمى، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏:‏ ‏ "‏ من مات ولم يغز ولم يحدث نفسه بالغزو مات على شعبة من نفاق ‏"‏ ‏.‏
.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেলো যে, সে জিহাদ করেনি এবং মনে জিহাদের আকাঙ্খাও রাখেনি, তবে সে মুনাফিক্বী অবস্থায় মারা গেলো।
.
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৫০২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
.
শুধুমাত্র আন্তরিক স্বীকৃতির কথা এজন্য বলছি যে আজকের প্রেক্ষাপটে দ্বীনকায়েমের পথকেই গর্হিত বলে ভাবা হয়! কিন্তু গনতন্ত্র সমাজতন্ত্রকে আবার বেশ ভাল করে ইসলামাইজ করে নেওয়া হয়েছে। আকিদা বা আন্তরিক স্বীকৃতির বিশুদ্ধতা সবার আগে। এরপরেও অবশ্য আল্লাহ যা চান, সেটা এতে অনাদায়ী অবস্থাতে থাকে। আল্লাহ বলেনঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُواْ الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّهُ الَّذِينَ جَاهَدُواْ مِنكُمْ وَيَعْلَمَ الصَّابِرِينَ
.
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল।[আল ইমরানঃ ১৪২]
.
শয়তানের প্রতিনিধি হিসেবে আজ ইহুদী-খ্রিষ্টানসহ সমস্ত কুফরের মিল্লাত টোটালিটেরিয়ান ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে ওদের গুরু দাজ্জালের জন্য। ওদের পক্ষটিকে অন্ধকারের সাথে তুলনাযোগ্য। অপরদিকে আল্লাহ আমাদেরকেও টোটালিটেরিয়ান ওয়ান ওয়ার্ল্ড ইসলামিক স্টেইট গড়ার জন্য পাঠিয়েছেন(ইসলামিক স্টেইট শব্দদ্বয় ব্যবহার করায় আমাকে আইএস/দায়েশ ভাব্বেন না)। এটাকে আলোর সাথে তুলনাযোগ্য। গুড এ্যান্ড ইভলের এক আদর্শগত সংঘাত চলমান। আমরা সে পথ থেকে অনেক অনেক দূরে আছি, মৃত গাধা আও মশার ডানা তুল্য মূল্যহীন দুনিয়ার ট্রাঞ্জিয়েন্ট সাফল্যের পেছনে ছুটে অমুল্য সময়কে নষ্ট করছি। আমরা মুসলিমরা কত্ত বোকা, কত মূর্খ যে কাফিররা তাদের পথের কাটা সরাতে আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিত একান্ত অনুগত মুজাহিদ বান্দাদের বিরুদ্ধে ছড়ানো মিথ্যাচারকে কোন যাচাই ছাড়াই বিশ্বাস করি। কাফিররা সন্ত্রাসী জঙ্গী বললে আমরাও সুর মিলিয়ে বলি, এমনকি কাফিরদের সুউচ্চ ইমারতে শাইখ উসামাদের(রহঃ) পরিচালনায় বরকতপূর্ন হামলাকেও ইন্সাইড জব বলি ওদের সুরে সুর মিলিয়ে। এখানেই শেষ নয়, হিকমার নামে গনতন্ত্র-সমাজতন্ত্রকেও দ্বীন কায়েমের পথ বানিয়ে নিয়েছি। এর উদাহরণ অনেকটা মূত্র দ্বারা ওযূ করবার চিন্তার ন্যায়।
.
যারা আজ শুধুমাত্র দাজ্জাল কিংবা ইমামুল মাহদীর আগমনের জন্য জিহাদের প্রয়োজনীয়তাকে অনুধাবন করে এরাও আসলে দ্বীনকে বোঝে নি। নতুবা বুঝতো, দাজ্জাল, ঈসা(আ) কিংবা ইমাম মাহদী আগামী ৫০ বছরের মধ্যে আসুক কিংবা না আসুক সেটা আসল বিষয় নয়, আসল ব্যপার হচ্ছে যেকোন সময়ে কুফরের উৎখাত করে আল্লাহ আযযা ওয়া যালের হুকুমাত কায়েম। তবে তারা সব সময়ই স্মরণ রাখতোঃ
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلّهِ
আর তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর, যে পর্যন্ত না ফিতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। [২:১৯৩]

0 Comments:

Post a Comment