Sunday, December 8, 2019

Facebook Posts

এগুলো হচ্ছে আকাশে মিটমিট করে জ্বলা তারকাদের আসল রূপ। আমরা বিশ্বাস করি তারকারা একেকটা সূর্য। কারন এটাই বিজ্ঞান শিখিয়েছে। এই তত্ত্ব এসেছে বিভিন্ন ট্রেডিশানের প্রাচীন যাদুশাস্ত্রগুলোথেকে। কেপলার, কোপার্নিকাস, নিউটনদের ইল্মের রেফারেন্স ওইগুলোই। সবাই পিথাগোরিয়ান। মাস্টার ম্যাসন এ্যালবার্ট পাঈকের দারুন উক্তিটা চোখে ভাসে। তিনি বলেছিলেন, পিথাগোরাস যে এস্ট্রোনমি শিখিয়েছে, সেটা এস্ট্রোনমি নয় বরং এ্যাস্ট্রলজি। সমস্ত শিক্ষাগুলো কাব্বালিস্টিক প্রিন্সিপলস আর নিউমেরলজির পর্দায় ঢাকা।
.
একদিন ইবনে আব্বাস(রাঃ) এক লোককে আসমানের দিকে চেয়ে চেয়ে বারবার তাকিয়ে বিভিন্ন সিম্বলিজমে আঁকতে দেখে বলেন, তার মনে হয় না ওই লোকের পরকালে কোন অংশ আছে।
.
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ওই লোক যা করছিল সেটা জ্যোতিষবিজ্ঞানের চর্চা। আর এদিকে আমাদের গোটা মহাকাশ বিজ্ঞান নামের অপবিদ্যা পুরোটাই জ্যোতিষশাস্ত্র আর যাদুশাস্ত্রের উপর ডিজাইন করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালাই ভাল জানেন আমাদের পরকালের কি অবস্থা। আমরা তো শুধু ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্বকে বাদ দিয়ে ক্ষান্ত হইনি,আমরা জ্যোতিষশাস্ত্র নির্ভর অলটারনেটিভ কস্মোলজি / কস্মোজেনেসিসকে ইসলামাইজ করেছি। কুরআন সুন্নাহের সাথে মিশিয়েছি। ডেভিয়েশান কত দূরের তা কল্পনা করা যায়!?
.
এরপরেও এগুলো শুনবার পরেও অধিকাংশ লোকের বোধোদয় হয় না। জিনিসগুলোকে খুব সিম্পল মনে করে। আমাকে তো এগুলো লেখার জন্য কত লোক মুর্তাদও বলে দিছিলো। আমি শিশুকালে আশপাশের মানুষকে জ্ঞানী ভাবতাম। যাদের চুল দাড়ি পাকা তাদেরকে জ্ঞানের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করতাম। এজন্য সবাইকে এটা ওটা প্রশ্ন করতাম কৌতূহল নিবারণের জন্য। একটু যখন বুঝতে শিখি, তখন দেখি আশপাশের মানুষগুলো অতিমাত্রায় অজ্ঞ, চরম মূর্খ। খালি খাইতে,ঘুমাইতে, আর বাচ্চা উৎপাদন করতে জানে। চিন্তাশক্তিও খুবই স্বল্প পরিসরের।এরা যে কি জানে সেটাও জানেনা। ভেড়ার পালের মত, যেদিকে ইচ্ছা সেদিক নিয়ে যাওয়া যায়। সবাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতাদর্শের অনুসারী। এগুলো দেখতে শুরু করে প্রশ্ন করার ইচ্ছা শেষ হতে থাকে। এখন দেখতে পাই, লোকেদের চুল দাড়ি যত পাকা ততই অন্তঃসারশূন্য। জ্ঞান শুধুমাত্র দেখি তাদের মধ্যে আছে, যারা আল্লাহর পথে জানমাল বিসর্জনের ব্যপারে একেবারে নিঃস্বার্থ। বাকি সব গুলোর মাথায় হলুদ ওসব মগজ না,অন্য কিছু...।
এজন্য দ্বীনের জন্য আন্তরিক ডেডিকেটেড লোকেরা ছাড়া আমি যা বলি তা কারো হজম হয় না। আচ্ছা, আপনি শয়তানের বলা ইল্ম মগজে ধারন করে কয় কেজি চাল বেশি খেতে পারেন!

মানবজাতির ইতিহাস থেকে শুরু করে ভাষা,সভ্যতার প্রভৃতির উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ব্যপারে দুইটি ঐতিহাসিক ধারা পাওয়া যায়। একটি তে ৭০০০ বছরের বেশি যায় না অপর ধারাটির সব হিসাব লক্ষ লক্ষ মিলিয়ন বিলিয়ন বছরের। কোন বিষয়ে খুজছেন? ভাষা,মানবজাতি, সভ্যতা, রাজত্ব? সব কিছুতে এরকম দুটি ধারা। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একটি ধারা ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনকেন্দ্রিক আরেকটি এর বিরুদ্ধবাদী শক্তির। এই দুই জ্ঞানগত ধারার সৃষ্টিতত্ত্বও পরস্পরবিরোধী। একটিতে একজন সর্বশক্তিমান স্বত্ত্বা ৬ দিনে সমতল যমীন এবং গম্বুজাকৃতির আসমান সৃষ্টি করেন, অপর ইল্মি ধারায় সৃষ্টিজগতের কোর সূচনা নেই অথবা কোন সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। সব কিছুই আপন আপন অস্তিত্বের স্রষ্টা, সবকিছুই বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর ধরে ক্রমবিকশিত হচ্ছে। সব কিছুই অনন্তের দিকে ঘুরছে, ছুটছে। এ দুই ধারার স্রষ্টাহীন ধারাটি আজ ঐতিহাসিক প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বহু শতাব্দীর প্রচেষ্টায়।এজন্য আজ ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায় না আসল ফেরাউনকে, বদলে পাওয়া যায় ফেরাউন টাইটেলের অনেক অনেক মিশরীয় বাদশাহদের নাম। তাদের মতে মূসা(আ) নামের লোকটির সাথে ফেরাউন ক্যারেকটার সম্ভবত মিথ। যুলকারনাঈনকে ইতিহাসের পাতায় খুজে পাওয়া যায় না। আজ ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনের অনুসারী দাবিদাররা যখন একই সাথে দুই বিদ্যাকে হক্ক মনে করে অনুসরন এবং প্রচার করে, তখন দেখতে খুবই অদ্ভুত লাগে। আমি একই সাথে শয়তান ও আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব দেখতে অপছন্দ করি। দুয়ের মধ্যে পার্থক্যে অস্পষ্টতা তৈরি হলে, স্পষ্ট করতে চেষ্টা করি। দুটি দল দেখতে পছন্দ করি যাদের একটি সম্পূর্ণভাবে আদম(আ), নূহ(আ),স্যামুয়েল(আ),দানিয়েলের(আ), আরেকটি শয়তান এবং তার পক্ষে আসন্ন ওয়ার্ল্ড টিচারের। দুইটা পক্ষকে একদম আলাদা করতে পছন্দ করি, ব্যক্তিগতভাবেও চাই অনুসারীরা দুনৌকায় পা না দিয়ে যে কোন একটা তরীতে উঠুক।

আমরা পৃথিবীর ইতিহাসের খুব সামান্য একটা সময়ে অবস্থান করছি। যা বিগত হয়েছে আর যা বাকি আছে তার তুলনায় খুবই সামান্য কিছু কাল। এই সময়টাতে আমরা যে আধুনিকতা এবং বৈজ্ঞানিক চাকচিক্য দেখছি সেটা আদৌ চিরস্থায়ী কিছু না। এসব খুব অদূর ভবিষ্যতে ইতিহাসের গর্ভে হারিয়ে যাবে। শেষ সময়ের হাদিসগুলোয় যেসব বর্ননা পাওয়া যায়, তাতে অনুভব করা যায় বড় কোন যুদ্ধ বা আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তির দ্বারা খুব শীঘ্রই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি হারিয়ে আবারো ঢাল-তলোয়ারের যুগে ফিরে যেতে হবে।
.
এগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, আমরা এই খুব অল্প সময়ের বৈজ্ঞানিক এ্যাবান্ডেন্স দেখে সেসবকে উচু চোখে দেখে, সম্মান করে মহাকালের মহাসাফল্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছি কিনা। আমি আকিদার বিষয়ে বলছি। আজকের সায়েন্টিফিক সব ধরনের এ্যাচিভমেন্টের পেছনে যারা আছেন, এবং তারা যেসব তত্ত্ব প্রচার করেছেন এবং আজও করছে তা ইসলামের আকিদা থেকে আপনাকে কত দূরে সরিয়ে নিচ্ছে তা কি আমরা ভাবি? নাকি উলটো সেসবকে মিত্র হিসেবে গ্রহন করি। ইসলামাইজ করি?
.
অনন্তকালের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র সময়ে 'অনন্ত জীবন প্রদায়ী বৃক্ষের' সেই ওয়াদাকে সম্মানের চোখে দেখা কতটা বুদ্ধিপ্রদীপ্ত কাজ? ধরুন মাত্র ৫০০ বছরের(রেনেসাঁর পর থেকে এ শতাব্দী) জন্য জ্ঞান বিজ্ঞান হিসেবে সমাদৃত বিদ্যাকে গ্রহন করে,এর ওয়ার্ল্ডভিউ গ্রহন করে আল্লাহর থেকে অনেক দূরে চলে গেলেন। এজন্যই সতর্ক করি। আপনি কি জানেন কোন আকিদার কথা বলে আজকের কথিত (অপ)বিজ্ঞান(ন্যাচারাল ফিলসফি)?




যখন আমাদের কাছে কোন কিছুর শুধু মাত্র একটা আদর্শমান থাকে তখন সেটার বিরুদ্ধে কথা বলার মত কিছু থাকে না। সবাই সেটাকে এক বাক্যে গ্রহন করে। একইভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের যাবতীয় তত্ত্বগুলোকে সবাই এক বাক্যে গ্রহন করে এই জন্য যে সাধারণ কারো কাছে মিস্ট্রিস্কুলসমূহের জ্ঞান নেই। এখন এই মিস্টিসিজম এর উপর ভিত্তি করে যখন কোন জ্ঞান/বিদ্যা/আদর্শকে সাধারন মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের নামে সঞ্চালন করা হয় মানুষ চোখ বুজে এটাকে গ্রহন করে। তার কিছু বলারও থাকে না কারন he doesn't have the underlying knowledge of occult philosophy! সমস্যাটা এখানেই, মূর্খ ইসলামিস্টরা শুরু থেকেই হক্ক আলিমদের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও সেগুলোকে ইসলামাইজ করে। হালাল ইল্মে অন্তর্ভুক্ত করে। এরা নিজেরা তো পথভ্রষ্ট হয়ই,হাজারো লোককে পথভ্রষ্ট করে। হক্ক বাতিল কখনো এক হতে পারে না। যখন 'অকাল্ট কস্মোগনি' ইসলামাইজ করা হয়,হালাল বানানো হয়, তখন নানাবিধ সংশয় সন্দেহ একের পর আরেক আসতেই থাকে। অনেকে সংশয়পূর্ণ ঈমান নিয়েই দুনিয়া ত্যাগ করে। অপবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা এজন্যই প্রয়োজন, কারন বিষয়গুলো সরাসরি আকিদার সাথে সম্পৃক্ত।




প্রায় তিন বছর আগে 'বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান- The occult origins of mainstream physics and astronomy' ডকুমেন্টারি আর্টিকেল সিরিজ লেখা শুরু করি। ৯ম পর্বে গিয়ে থেমে যাই কারন অন্ধকারকে দেখালে আলোকেও দেখাতে হয়। এজন্য মিথ্যা Cosmogony কে রিফিউট করার পাশাপাশি সত্যিকারের আকিদাকে আগে তৈরি করে রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি, যাতে কেউ অসত্য কে বুঝবার সাথে সাথে বিশুদ্ধ আকিদা বা তত্ত্বের সন্ধান পায়। এজন্যই ইসলামের সৃষ্টিতত্ত্বকে আগে নিয়ে আসা। এখন যখন আবারো অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে শুরু করি, এটা ভেবে অস্বস্তিবোধ করি যে যাই পাব্লিশ করব সেসব নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু হয়। আমাদের দেশের বিজ্ঞানপন্থী ইসলামিস্টগুলো ফ্র‍্যাঙ্কলি গণ্ডমূর্খ, আরো নিন্মমানের বিশেষন ব্যবহার করা দরকার। এরা বিজ্ঞানের আসল পরিচয়/ রূপের কিছুই জানে না। এমনকি অধিকাংশ বিজ্ঞানমনা নাস্তিকগুলোও এ্যাডভান্স হাইপারডাইমেনশনাল ফিজিক্সের ফ'ও জানে না। এদের জ্ঞানের দৌড় একাডেমিক বইপুস্তকের বাহিরে নেই। এজন্য এরা ওই বিদ্যা দিয়ে নতুন কিছু করতেও পারে না। আমি জানি, যেগুলো লিখছি বা লিখেছি সেসব বাংলা ভাষায় আগে কেউ লিখেনি। এখানেই ফিতনার আশংকা। ইতোমধ্যে কিছু স্থানে কমেন্টে দেখেছি অনেকে নিষিদ্ধ বিদ্যা নিয়ে নাড়াচাড়া করে ফিতনায় পড়ে গেছে। আমি আগেও বলেছি, আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আসছি বৃহত্তর কল্যানের জন্য। অনেকবার নিষেধ করেছি যেন কৌতূহল নিয়েও শেয়ার্ড লিংক বা ইনফোর বাহিরে না যায়, এমতাবস্থায় কারো আকিদাগত ডেভিয়েশনে আমি দায়ী নই। সামনে আরো গভীর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে প্রকাশ করব, সুউচ্চে তুলে সজোরে মাটিতে ফেলব। আমার উদ্দেশ্য মালউনদের অহংকার তথা স্যাটানিক বিদ্যাকে অপদস্থ করা, প্রকাশ করা এবং ফেলো সিলি সায়েন্টিজম দ্বারা ফ্যান্টাসাইজড মুসলিমদের সতর্ক করা ইসলামের আকিদা এবং সায়েন্টিজমের আকিদার মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে। আমি জানি আগেও কোন হিউম্যানিস্ট এ্যথেইস্ট মালাউন বিজ্ঞানের অকাল্ট অরিজিন দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।



তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের কথা বলতে গিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা অধিকাংশ আয়াতে উর্দ্ধোস্থিত নীল চাঁদোয়ার দিকে তাকাতে বলেছেন, বলেছেন যমীনের স্থবিরতার কথা, চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্রের কথা, বলেছেন সৃষ্টির শুরুর কথা। কিন্তু তখন কি অবস্থা হয় যখন সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের নামে alternative cosmogony প্রতিষ্ঠিত হয়? খুব সহজেই তখন ডিভাইন রেভেলেশন অবসোলেট হয়ে যায়। হাস্যকর ফেইরিটেলে পরিণত হয়। "র‍্যাশোনাল বিলিভাররা" অপদস্ত এবং বিব্রত হয়। কম্প্রোমাইজের চিন্তার দিকে আগাতে হয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। সেটাই আজ হয়েছে।

যখন বলেছি এই যমীনকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা নূনের পৃষ্ঠদেশে রেখেছেন,খুব ভাল করেই জানি শুনতে খুব আনসায়েন্টিফিক লাগে, সুপারস্টিশাস ফ্যানাটিকদের বাজে কথা মনে হয় যদিও শার'ঈ দলিল আছে । কিন্তু যখন স্টিফেন হকিংদের থেকে শোনা যায় যে জগতসমূহ আছে কচ্ছপের পৃষ্ঠদেশে, তখন সেটাকে খুব প্রোফাউন্ড মনে হয়।
.
এই শ্রেনীর দ্বীনদার কিংবা মুসলিমদের প্রতি ভৎসনা ! অন্যদিকে যারা প্রথমবারে দলিলগুলোকে দেখেছে,জেনেছে, শুনেছে এবং মান্য করেছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে যোগ্য মর্যাদা দিয়েই সৃষ্টি করেছেন এবং সেদিকেই ধাবিত হবে।


প্রথম প্র‍থম যখন অপবিজ্ঞান নিয়ে লিখতাম, মাঝেমধ্যে ভয় সৃষ্টি করতো এই ভেবে যে আমি একদম ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও উম্মাহর জন্য কোন ক্ষতির কিছু করছি কিনা। এরপরে আল্লাহ শয়তানি অপবিদ্যার থিওরেটিকাল অনেক কিছুই জানিয়েছেন, আমার থিমকে ফ্রেমে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। সমস্ত দলিলও আল্লাহ হাতে দিয়েছেন। আজ হঠাৎ দেখলাম, এক উদীয়মান বিখ্যাত পদার্থবিদ শয়তানের পূজারীদের সংগঠনের অনুষ্ঠানে (অপ)বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের প্রেজেন্টেশন স্লাইডে প্রেজেন্ট করতেছে। ওটা দেখে খুব সন্তুষ্ট হয়েছি, কারন আমি যে ফ্রেইমে ফেলেছি ওরা সেদিকে নিয়েই আলোচনা করছে। খুব শীঘ্রই এসবকিছু প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আমার পক্ষে আল্লাহর সাহায্যকে অনুভব করতে পারি। এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ হবে বিজ্ঞান ও অপবিজ্ঞানের ব্যারিয়ার নির্ধারন করা এবং সত্যিকারের বিজ্ঞান বা জ্ঞানের সীমানা নির্ধারন করা, সে ব্যপারে সিলেবাস তৈরি। এটাই সবচেয়ে কষ্টসাধ্য কাজ হবে। এক্ষেত্রেও আল্লাহর সাহায্য পাব, বিইযনিল্লাহ।

সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে আজকের আলিম সম্প্রদায়ের বিশ্বাসের উদাহরণ এমনঃ
একটি জন্তু, যেটার পা ছাগলের, লেজ ভেড়ার,পেট গরুর,কুজ উটের, চামড়া গণ্ডারের, মাথা শুকরের,কান হাতির!
.
অর্থাৎ এরা ইনকোহ্যারেন্ট বিশ্বাস রাখে। একটু খানি কুরআনের একটুখানি বেদ,একটুখানি কাব্বালা, একটু খানি হাদিসের, একটুখানি নেওয়া হার্মিসের.একটুখানি 'নাসা অমুক বলেছে' থেকে... এভাবে শয়তানি ইল্মের সাথে সমন্বয় সঙ্গতি আনার চেষ্টা করে খিচুড়ি বিশ্বাস ধারন করে। এরা মনে মনে ভাবে সবকিছুকে সমন্বয় সম্ভব হয়েছে। কিন্তু bigger picture টি দেখতে কিরূপ সেটা হয়ত দেখেনা। ওটা ওই কিম্ভুতকিমাকার জন্তু অনুরূপ।



মূল সংঘাত তো দুটি বিশ্বাসগত ও জ্ঞানগত স্ট্রিমের মধ্যে। একটা শয়তানের পক্ষ থেকে আরেকটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার থেকে। উভয়ের মধ্যে অজস্র পার্থক্যের একটি হচ্ছে সৃষ্টিজগতের অরিজিন সংক্রান্ত বিষয়ে, এর স্বরূপসংক্রান্ত বিষয়। একটি আপনাকে শেখাবে আপনিই ইলাহ,সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন নেই। অনেক থিওরেটিক্যাল  ব্যাকআপ আছে। অপরটি আপনাকে শেখাবে সবকিছুই আল্লাহ আযযা ওয়াযাল কর্তৃক Created। পাঁচশত বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে মাসূনী এবং সমশ্রেনীক অর্গানাইজেশনের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের জন্য এখন উভয় ধারা মিশে গেছে। এখন জগাখিচুড়ি বিশ্বাস ধারন করে। এরা আজ সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। এমনকি প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিমরাও শয়তানের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ইল্মকে বিশ্বাসের স্থানে রাখতে আজ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। পলিটিক্স, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো ফান্ডামেন্টাল কন্সটিটিউয়েন্টের মাঝে একটা হচ্ছে কস্মোজেনেসিস বা সৃষ্টিতত্ত্ব। এটা জ্ঞান বা ইল্ম অথবা বিশ্বাসের কাতারেই পড়ে। আল্লাহ ও তাগুতের মাঝে জ্ঞানগত পার্থক্যসৃষ্টিকারী অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সৃষ্টিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত সাবক্যাটেগরিতে ফেলা যায় পৃথিবীর আকৃতি সংক্রান্ত বিষয়টি। দুনিয়া সমতল কিংবা গোল এটা আদৌ আমাদের ফৌকাল পয়েন্ট না। মোটেও মূল আলোচ্য বিষয় না। এটাকে অন্যান্য বিষয়ের সহাবস্থানে  গুরুত্বের দিক দিয়ে ৫% এর উপরে দেয়া যায় না। কিন্তু এটাই হায়ারার্কিক্যাল অর্ডারে হয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কিংবা শয়তানের প্রদত্ত ইল্মের যেকোন একটিতে গিয়ে মিশেছে। প্রতিটি বিষয়ের যেকোন একটি যেকোন একটি পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করে। আপনি যদি শয়তানের ফেলা শিকলগুলোর যেকোন একটাকে  ধরে আল্লাহর প্রদত্ত রজ্জুকে আকড়ে ধরে আছেন ভেবে হ্যাভেনলি ব্লিশ অনুভব করেন, তাহলে ব্যপারটা প্যারাডক্সিক্যাল...আইরনিক্যাল। 
যদি কেউ বলে যে,"আপনাকে কবর বা হাশরের মাঠে জিজ্ঞেস করা হবেনা 'পৃথিবী গোল ছিলো নাকি চ্যাপ্টা ছিলো?", তাই 'গুরুত্বহীন' এ বিষয়টাতে যেকোন স্ট্রিমের নলেজ ক্বলবে ধারন করা যেতে পারে(!), তাহলে এরকম আকল দেখে করুনা প্রকাশ ছাড়া কিছুই করার নেই। আমার তো মনে  হয় না যে, কস্মোগনির ব্যপারে যা ইচ্ছা কিছু একটা বিশ্বাস রেখে কুরআনের লিটারেরি টার্ম ধরে মেনেছি বলে সাক্ষ্য দিয়ে বিপরীত কিছু অন্তরে ধারন করায় সমস্যা না থাকলে ইবনে বাজ(রহঃ) পৃথিবীকে স্থির বলা নিয়ে তাকফির পর্যন্ত করতেন না, ইবনে উসাইমীন(রহঃ), ইবনে জীব্রীন প্রমুখ ফাতাওয়া দিতেন না। সালাফ আস স্বালেহীনের উলামাদের কেউ দুনিয়াকে কুরউইয়্যাহ (গোল) বলাকে কুফর বলতেন না। আগেই বলেছি যমীনকে গোল বা সমতল বলা আমাদের প্রাইমর্ডিয়াল গৌল না,বরং সেটা সাবক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত, ব্রডার পার্স্পেক্টিভে ওয়ার্ল্ডভিউ অরিজিন অনুযায়ী ইত্তেবা হচ্ছে মুখ্য। গনতন্ত্র, ক্যাপিটালিজম, এপিকিউরিজম, আইডিয়ালিজম যে কারনে গর্হিত একই কারনে কস্মোগনির সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে অকাল্ট বেজড কস্মোলজিক্যাল নর্ম গর্হিত। এভাবে ভাবলে দেখা যায় ওই সালাফ উলামার কুফর সাব্যস্তকরন ঠিক আছে। (আমি অবশ্য এরজন্য কাউকে তাকফির করিনা এজন্য)।উদাহরণস্বরূপ,
শুকরের চর্বি দিয়ে বানানো তেল খেয়ে খাটি সয়াবিন তেল  খেয়ে নিশ্চিন্ত দাবি করা যেরকম ব্যপার, তেমনি এই জ্ঞানগত অরিজিনের ব্যপারে 'সজ্ঞানে' বেপরোয়া হয়ে, সে ব্যপারে ইন্ডিফারেন্ট হয়ে রহমানের দ্বারা জিজ্ঞাসিত হওয়া থেকে নিশ্চিন্ত হওয়ার আশা করাও একই রকম।
.
আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি "ফ্ল্যাট আর্থ" টার্মটাকে মিনিমাইজ করে রাখতে, ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টি তত্ত্বের ৪৬৯ পেইজে খুজে দেখুন কয়বার শব্দটাকে খুজে পান।হাতে গোনা দুইবারও পান কিনা সন্দেহ। কারন এটা কোন ম্যাটার অব কনসার্ন না। বরং এটা মূল বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সামান্য একটা অংশ। নিতান্ত সংকীর্ণ চেতনার মূর্খলোকেদের চুলকানি দেখবেন এটাকে নিয়েই। এরা ইহুদী মালাউনদের জোহারের আকিদা(আক্ষরিক) এমনভাবে গিলেছে যে এর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা হবে সবই বাতিল, এমনকি স্যাটানিক ইউনিভার্স মডেলকে সম্পূরকভাবে বৈধতা রাখার জন্য কয় এগুলা নিয়া বিতর্কের কিছু নেই, এগুলো নিয়ে হাশরে জিজ্ঞাসিতও হতে হবেনা, এগুলো আকাঈদের টেনেটের অন্তর্ভুক্ত কিনা যাচাই যোগ্য। অথচ আল্লাহ যদি এদের বুদ্ধিবৃত্তিক ম্যাচুর‍্যিটি একটুও দিতেন তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের সাথে যোগসূত্র খুজে পেত। যে আকিদা(আক্ষরিক-বিশ্বাস) তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ এর বিশ্বাস ধ্বংস করে দিচ্ছে সেটা তাহাদের মতে আদৌ আকিদার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু না, ইউ উইল নট গনা বি কোয়েশ্চেন্ড ফর হ্যাভ সাচ ফেইথ!


আমি এতদিন ধরে যতকিছুই আপনাদের সামনে নিয়ে আসি তার সবকিছুই তাওহীদের দুই পিলারকে(ভাগ) কেন্দ্র করে। সব আর্টিকেল-কন্টেণ্ট এ দুইয়ের সাপোর্টিভ কন্সটিটুয়েন্টস।

১.তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহঃ
সৃষ্টিতত্ত্ব, কস্মোলজি ন্যাচারাল ফিলসফি, অকাল্টিজম.....
.
২.তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ(হাকিমিয়্যাহকে এর ভেতর ধরেছি):
শাসনব্যবস্থা,গনতন্ত্র, জিহাদ, তাওয়াল্লি, আসহাবিয়্যাহ....
_______________________________
যাদের চুলকানি হয় তারা আসলে কিসের সাথে বিরুদ্ধে চলে যায় সেটা সংকীর্ণ মনমানসিকতায় ঠাহর করতে পারে না। কিন্তু আমি তো অনেক দূরের hierarchical order দেখতে পাই। এজন্য এদের কারনে অজ্ঞতাকে খুব ভাল করে অনুভব করি। আসলে আল্লাহ আযযা ওয়াযাল কর্মগুলোকে তাকদীরের নির্ধারিত স্থানে নির্ধারন করেছেন, সে অনুযায়ী সবাই আমল করছে। এজন্য কিছু বলার নেই। এটাই হবার...

মেইনস্ট্রিম দ্বীনি কমিউনিটি বি লাইক...
★সর্সারি, উইচক্র্যাফট হারাম.. কুফর কিন্তু সর্সারির উপর তৈরি ওয়ার্ল্ডভিউ,Cosmogony এবং যাবতীয় ইল্ম ১০০% হালাল।
★তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ না মানলে কাফির কিন্তু তাওহীদুর রুবুবিয়্যাত কে ধ্বংসকারী ইল্ম আহরণ এবং এর উপর ইয়াক্বীন করা ১০০% হালাল। 

1 Comments:

  1. পড়ে মনটা ভরে গেল, আলহামদুলিল্লাহ।

    ReplyDelete