তাওহীদূর রুবুবিয়্যাত হচ্ছে রব হিসেবে আল্লাহর অস্তিত্বগত মৌলিক স্বীকৃতির বিশ্বাস। এটা ঈমানের একদম মৌলিক বিশ্বাস। এতে বিশ্বাস রাখা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, এটায় অবিশ্বাস করে যত আমল করা হোক না কেন কোন লাভ নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তার পবিত্র কালামে মাজীদে আসমান জমিন সৃষ্টির ব্যপারে বার বার বর্ননা করেছেন, এগুলো আল্লাহর ওয়াহদানিয়াতের সাক্ষ্য দেয়। এগুলো আল্লাহর অস্তিত্ব এবং রুবুবিয়্যাতের সাক্ষী দেয়। এজন্য মক্কার মুশরিকদেরকে আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যপারে বলতে গিয়ে আসমান যমীনের স্রষ্টা কে প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্ন করেছেন বৃষ্টিধারা নাযিলকারী কে প্রশ্ন করেছেন। আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে অনেক আয়াতে চাঁদ সূর্য নক্ষত্র আসমান ও যমীনকে তার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন। এগুলো আপনারাও জানেন।
চার থেকে পাচ হাজার বছর আগে বাবেল শহরে যাদুবিদ্যার একটি শাখা গড়ে ওঠে যাকে আমরা আজ জ্যোতিষশাস্ত্র বলে চিনি। এর উপর ভিত্তি করে যাদুকর এবং শয়তানের সহযোগীতায় গড়ে ওঠে Alternative Cosmogony যেটা এমন আসমান ও যমীন এবং সর্বোপরি সৃষ্টিতত্ত্বের ধারনা দেয় যা আল্লাহর অস্তিত্বের নূন্যতম স্বীকৃতি দেওয়ার বিপরীত দিকে চালিত করবার জন্য নির্মিত। এটা ব্যাখ্যা করে কিভাবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই এমনি এমনিতেই সৃষ্টিজগৎ বিবর্তিত বিবর্ধিত(cosmol ogical evolution) হয়েছে। এটা শিক্ষা দেয় প্রতিটি অনুপরমানুই self-sufficient , প্রত্যেকেই নিজেই নিজের ইলাহ(ওয়াহদাতুল উজুদ/আল ইত্তেহাদ/ monism)। শুধু জ্যোতিষশাস্ত্র না, এই অল্টারনেটিভ বিশ্বাসব্যবস্থা কে আরো বেশি পোলিশ করেছে হার্মেটিক,কাব্ব ালা,বৈদিকসহ বিভিন্ন অকাল্ট(যাদুবিদ্ যার) ট্রেডিশান। দীর্ঘকাল লুকিয়ে রাখা এ বিদ্যা এবং বিশ্বাসগুলোকে শয়তানের সহযোগীতায় দাজ্জালের আগমনের পূর্বে আজ পূর্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাব্বালিস্ট ইহাহুদীরা তো গর্বের সাথে বলে এটা মসীহের আগমনের লক্ষণ যেহেতু তাদের বাতেনি ইল্ম আজ আজ জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অন্যদিকে আল্লাহ কুরআনে আমাদেরকে জানিয়েই দিয়েছিলেন ইহুদীদের আবৃত্ত শাস্ত্রের অরিজিন(২:১০২)। তারাও অস্বীকার করে না, গর্বের সাথে বুক ফুলিয়ে বলে তাদের এই ইল্মের উৎস প্রাচীন ব্যাবিলনীয়া। আমরা ইজরাইলের সবচেয়ে বড় কাব্বালার ইন্সটিটিউট বেনেঈ বারুচের চেয়ারম্যানের মুখেই একথা শুনেছি। তিনি সেই সাথে তাদের এই বিদ্যাকে গর্বের সাথে সায়েন্স বলছিলেন।
.
*প্রথমত, এই কস্মোলজি এবং কস্মোজেনেসিসের উৎস হচ্ছে অকাল্ট স্ক্রিপচার, খাটিবাংলায় উঁচুমানের যাদু শিক্ষার কিতাব। এগুলো তাবিজ কবচ আর জ্বীন চালনার সোকল্ড যাদু না।
.
*দ্বিতীয়ত, একে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের কন্সেপ্টটির বিকল্প কিছুকে প্রতিষ্ঠার হিসেবে। সেটাকে কুফর করবার জন্য। সহজ ভাষায়, উদ্দেশ্য তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহকে ধ্বংস করার জন্য।
.
আফসোসের বিষয় হচ্ছে উম্মাহ আজ এই ফিতনাতেই ভালভাবে গ্রহন করেছে। একে দ্বীনের সাথে সমন্বয় করেছে যতভাবে করা যায়। আজ সতর্ক করা হলে মূর্খের মত বলছে এসব নিয়ে আলোচনা ফিতনাহ, অমুক আলিমও বিশ্বাস করত, এগুলো আকিদার বিষয় নয়, এগুলোয় ইয়াক্বিন করলে আল্লাহ আপনাকে কিছুই বলবে না।
মা'আযাল্লাহ!
.
যে বিষয় আকিদার 'আ'কেও মুছে দেয় সেটা আকিদা পরিপন্থী বিষয় নয়(!), সেগুলো গ্রহন করলে আল্লাহ কিছুই বলবে না, অমুক আলিম এই ভুল করেছে তাই আমার করতে দোষ নেই, এগুলো মোটেও ম্যাটার অব কনসার্ন নয়! (আল্লাহর সৃষ্টির ব্যপারে বিকৃত ধারনার অপরাধটি নাহয় বাদই দিলাম)যাদুবিদ্য া তো কুফর কিন্তু কুফর ভিত্তিক বিশ্বাসব্যবস্থা কে কুফর সাব্যস্ত করা যাবে নাহ!!?
.
এই যদি হয় বিশ্বাসের অবস্থা তাহলে বানর থেকে মানুষ হবার গল্পকে গ্রহন করে নিতে কি দোষ ছিল?
.
সামান্য সুক্ষ্মচিন্তা যদি করবার ক্ষমতা না থাকে তাহলে আমরা কি ধরনের আল্লাহ আযযা ওয়াযালের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বকার ী জাতি হলাম!? এরকম জাহালতের জন্য উম্মাহর দিনকেদিন অধঃপতন, এজন্যই আজ আমরা সুদ খেয়ে সেটাকে বৈধতা দিতে সুদ স্বীকৃতি দিতে চাই না। ইহুদীরা এই কাজ গুলো করে অভিশপ্ত। আমরা কেন ওদের অনুসরন করছি! এসব বলে লাভ নেই। আল্লাহর রাসূল(সাঃ) বহু আগেই কিবলাধারী ইয়াহুদীদের কথা বলে গেছেন, পদে পদে ওদের অনুসরণের কথা বলেছেন। আজ সবক্ষেত্রে সেটা প্রতিভাত হচ্ছে।
চার থেকে পাচ হাজার বছর আগে বাবেল শহরে যাদুবিদ্যার একটি শাখা গড়ে ওঠে যাকে আমরা আজ জ্যোতিষশাস্ত্র বলে চিনি। এর উপর ভিত্তি করে যাদুকর এবং শয়তানের সহযোগীতায় গড়ে ওঠে Alternative Cosmogony যেটা এমন আসমান ও যমীন এবং সর্বোপরি সৃষ্টিতত্ত্বের ধারনা দেয় যা আল্লাহর অস্তিত্বের নূন্যতম স্বীকৃতি দেওয়ার বিপরীত দিকে চালিত করবার জন্য নির্মিত। এটা ব্যাখ্যা করে কিভাবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই এমনি এমনিতেই সৃষ্টিজগৎ বিবর্তিত বিবর্ধিত(cosmol
.
*প্রথমত, এই কস্মোলজি এবং কস্মোজেনেসিসের উৎস হচ্ছে অকাল্ট স্ক্রিপচার, খাটিবাংলায় উঁচুমানের যাদু শিক্ষার কিতাব। এগুলো তাবিজ কবচ আর জ্বীন চালনার সোকল্ড যাদু না।
.
*দ্বিতীয়ত, একে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাওহিদুর রুবুবিয়্যাতের কন্সেপ্টটির বিকল্প কিছুকে প্রতিষ্ঠার হিসেবে। সেটাকে কুফর করবার জন্য। সহজ ভাষায়, উদ্দেশ্য তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহকে ধ্বংস করার জন্য।
.
আফসোসের বিষয় হচ্ছে উম্মাহ আজ এই ফিতনাতেই ভালভাবে গ্রহন করেছে। একে দ্বীনের সাথে সমন্বয় করেছে যতভাবে করা যায়। আজ সতর্ক করা হলে মূর্খের মত বলছে এসব নিয়ে আলোচনা ফিতনাহ, অমুক আলিমও বিশ্বাস করত, এগুলো আকিদার বিষয় নয়, এগুলোয় ইয়াক্বিন করলে আল্লাহ আপনাকে কিছুই বলবে না।
মা'আযাল্লাহ!
.
যে বিষয় আকিদার 'আ'কেও মুছে দেয় সেটা আকিদা পরিপন্থী বিষয় নয়(!), সেগুলো গ্রহন করলে আল্লাহ কিছুই বলবে না, অমুক আলিম এই ভুল করেছে তাই আমার করতে দোষ নেই, এগুলো মোটেও ম্যাটার অব কনসার্ন নয়! (আল্লাহর সৃষ্টির ব্যপারে বিকৃত ধারনার অপরাধটি নাহয় বাদই দিলাম)যাদুবিদ্য
.
এই যদি হয় বিশ্বাসের অবস্থা তাহলে বানর থেকে মানুষ হবার গল্পকে গ্রহন করে নিতে কি দোষ ছিল?
.
সামান্য সুক্ষ্মচিন্তা যদি করবার ক্ষমতা না থাকে তাহলে আমরা কি ধরনের আল্লাহ আযযা ওয়াযালের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বকার
0 Comments:
Post a Comment