Sunday, December 8, 2019

Order Out of Chaos

বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে সবকিছুকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে Order Out of Chaos। শুনতে একটু অফেন্সিভ লাগতে পারে, যাদেরকে দেখা যায় আজ দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য জানমাল দিয়ে চেষ্টা করে তারা যুদ্ধ বিগ্রহের দিকে যায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্যই। কুরআনের শতাধিকবার করা যুদ্ধের আদেশ এই অর্ডারে ফিরিয়ে আনার জন্যই। যার সর্বোত্তম ইত্তেবাকারীরা ছিলেন রাসূল(স) এবং তার সাহাবী আজমাঈন। তখন তারা কোনরূপ হিকমাহর দোহাই দিয়ে পিসফুল স্ট্র‍্যাটেজি ইনোভেট করে নি। আমরা যারা মানসিকভাবে কাফিরদের সৃষ্ট সিস্টেমের দাসত্ব মেনে নিয়েছি তারা এ ধরনের সংঘাতকে কাফিরদের ফ্রডুলেন্ট শান্তির নামে শোষণের জন্য সৃষ্ট সিস্টেইমের ভায়োলেশন মনে করে। এজন্য অর্থোডক্স ইসলাম থেকে বের হয়ে কাটছাঁট করা মোডারেট ইসলামের হুমকি বলে প্রচার করে, সেইসাথে আল্লাহর পক্ষাবলম্বীদেরকে খাওয়ারিজ প্রমাণের অনেক থিওলজিক্যাল সুডো ডগম্যাটিক চেষ্টা অব্যাহত রাখে। যেটা আমরা আজ মাদখালি-আহলে হাদিসদের মধ্যে দেখতে পাই। এদের মধ্যে আলিম শ্রেণী তাদের ইরজা ও মুদাহানার নীতিকে "স্বহীহ" শব্দের ব্যানারে সবজায়গায় প্রচার করে। এরা ক্যাপিট্যালিস্টিক সোকল্ড পিস কে ধরে রাখতে গনতন্ত্র বা জুমহুরিয়্যাহ, আসহাবিয়্যাহ, তাওয়াল্লি সবকিছুকে একেবারে হালাল বানিয়ে ফেলে। এরা আসলে পরোক্ষভাবে যে তাগুতের পক্ষে কাজ করছে সেটা সচেতন ভাবে দেখে না, অনেকে সব জেনে বুঝেই সচেতনভাবে কাফিরদের সপক্ষে আলিমের ভূমিকায় কাজ করছে। আমরা জ্ঞানগত দৈন্যতার জন্য তাদের কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি, মান্য করি অথচ এই আলিম গুলো ইসলামের একদম মৌলিক ভিত্তি তথা তাওহীদের আরকানের সাথেই সম্পর্ক রাখে না। এদের বিশ্বাসব্যবস্থা এবং কর্মপন্থা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের সাথে একদম সম্পর্কহীন অথচ সহীহ ট্রেডমার্কে দ্বীন বেচে দিন অতিবাহিত করছে। আমাদের দেশে সুফি বা তরিকা পন্থী পীররা যতটা না ভয়ঙ্কর তার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর এসব সহীহ শায়েখগন। সুফিরা তাদের বিদআতি কর্মকাণ্ড, কুফরি আকিদা গুলোকে সহীহ হলোগ্রামে প্রচার করে না। এসব চর্চা গুলো সাধারণভাবে তারা নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে, এরা দ্বীনী ইলমকে একদম ডিফেন্সলেস করবার জন্য শরীআতের সুস্পষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে নতুনভাবে রিরাইট করেনা, কিন্তু এটাকেই পরিবর্তনের মূল পয়েন্ট হিসেবে নিয়ে মুরজিয়াগুলো সহীহ বলে প্রচার করছে। দ্বীন থেকে তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহকে একদম ছেটে ফেলছে অথবা বিকৃত করে ফেলছে। সুতরাং নিকৃষ্টতার দিক দিয়ে পীরদের চেয়েও এরা এগিয়ে। মুরজিয়াদের তো এমনিতেই কিবলাধারী ইয়াহুদী বলা হয়নি!
.
দ্বীনের কর্ম ও বিশ্বাসগুলোকে পরিবর্তনকারী ওই আলিমদের বিষ যারা গ্রহন করছে এরা অধিকাংশই আমার আপনার মত জেনারেলে পড়ুয়া ভাইবোন। এজন্য বিলাল ফিলিপ্স, নুমান আলি খান,হামজা ইউসুফদের ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে বলে আত্ব তাঞ্জিমুল ক্বায়িদা দাজ্জ্বালের এ্যালাই। মুজাহিদীনরা ইল্যুমিনাতি। মা'আযাল্লাহ!

0 Comments:

Post a Comment