Sunday, December 8, 2019

২০০৪ সালের এ ঘটনা যারা জানেন না তাদের জন্য

ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট হাদিসঃ
.
হযরত আবু সাইদ আল খুদরি (রাঃ), নবী (সঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, দাজ্জাল আত্নপ্রকাশ করলে ইমানদারদের থেকে এক ব্যক্তি তার কাছে যাবে। তার সাথে দাজ্জালের প্রহরীদের সাক্ষত হবে। তারা তাকে বলবে কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করছো ? সে বলবে আমি এই আবির্ভূত ব্যক্তির কাছে যেতে চাচ্ছি। প্রহরীরা বলবে আমাদের রবের প্রতি তোমার ইমান নেই ?? সে বলবে আমাদের রবের কোন গোপনীয়তা নেই। তারা বলবে একে হত্যাকরো। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলবলি করবে, তোমাদের রবের অগোচরে কোন ব্যক্তিকে হত্য করতে নিষেধ করেনি ? তারপর তারা তাকে দাজ্জালের নিকট নিয়ে যাবে। যখন মুমিন ব্যক্তিটি দাজ্জালকে দেখবে, তখন বলবে হে লোক সকল.!! এইতো সেই দাজ্জাল যার কথা রসুলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন। এর পর দাজ্জালের নির্দেশে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে, তার পেট ও পিঠ উন্মুক্ত করে পেটানো হবে। তুমি কি আমার উপর ইমান এনেছো ?? মুমিন ব্যক্তি বলবে তুই-ই তো সেই মাসিহ্ দাজ্জাল। এর পর তার মাথ হতে দু পায়ের মাঝ পর্যন্ত করাত দিয়ে চিরে ফেলা হবে। এর পর দাজ্জাল তাকে আবার জীবিত করবে এবং এখন তো ইমান পোষন করেছে ?? সে বলবে তোর সম্পর্কে এখন আমি আরো স্পট হলাম। সে মানবদেরকে সম্মোধন করে বলবে, হে মানবমন্ডলী.!! আমার পরে এ আর কাওকে কিছু করতে পারবেনা। দাজ্জাল তাকে পুনরায় হত্যা করতে চাইবে। আল্লাহ্ তার ঘাড়কে গলার নিচের হাড় পর্যন্ত পিতলে মুড়িয়ে দিবেন। সে তাকে আর হত্যা করতে পারবেনা, ফলে দিশে হারা হয়ে তার দু হাত,পা ধরে নিক্ষেপ করবে। সবাই দেখবে সে আগুনে নিক্ষেপ হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেহেস্ত নিক্ষিপ্ত হবে। রাসুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন, এই ব্যক্তি আল্লার নিকটে মানব জাতির মধ্যে সবচাইতে উন্নত স্তরের শহীদের মর্যাদা লাভ কবেন। (মুসলিম-৭০১৯)
.
বিস্ময়কর সাক্ষাতকারঃ
_____________________
"এখন আপনাদেরকে আমি একটি বিস্ময়কর ঘটনা জানাতে চাই। গত ২০০৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী প্যালেস্টাইনের টিভি চ্যানেল আল আকসা টিভিতে সেখানকার একজন আলেম ঈসা বাদওয়ান এক সাক্ষাতকারে এক বিস্ময়কর তথ্য দেন। যা নিশ্চিতভাবে মুসলিম জাহানের জন্য ভাবার বিষয় এবং সতর্কবার্তা।
এখানে সাক্ষাতকারের অংশটি তুলে ধরছি।
ঈসা বাদওয়ানঃ একজন লোক, যাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং বিশ্বাস করি, সঙ্গত কারণেই আমি তার নাম বলতে চাচ্ছি না – তো তিনি একদিন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একজন বৃদ্ধ স্ত্রীলোক তাকে থামালো এবং ঐ স্ত্রীলোককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল। কারণ, ঐ বৃদ্ধার মেয়ে ঐ হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছে। লোকটি ঐ বৃদ্ধার অনুরোধটি রাখল এবং তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে হাসপাতালের বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করল। এক ঘণ্টা করে ঐ বৃদ্ধা তার মেয়ে এবং মেয়ের নবজাতক শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হয়ে গাড়িতে উঠল। যখন তারা গাড়িতে উঠল, তখন ঐ নবজাতক সবাইকে অবাক করে দিয়ে সালাম দিল। আমরা অবাক হয়ে সালামের উত্তর দিলাম।
.
সাক্ষাতকার গ্রহণকারীঃ নবজাতক কথা বলে উঠল?
.
ঈসা বাদওয়ানঃ হ্যাঁ, নবজাতক শিশুটি। এবং আমরা এটা শেখ নিজারসহ অন্যান্য আলেমকে জানিয়েছিলাম তখন। তো লোকটি যা বলল তা হল যে, শিশুটি বলল, “আমিই হলাম সেই বালক যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে, এরপরে আর কাউকে সে হত্যা করতে পারবে না।” এবং আমরা হাদিস থেকে জানি যে, দাজ্জাল যাকে হত্যা করে জীবিত করবে এবং আবার হত্যা করবে কিন্তু পরে আর জীবিত করতে পারবে না। সে হবে একজন যুবক। যাকে শ্রেষ্ঠ শহীদ বলা হয়েছে। আর যুবক বলতে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সকেই বুঝায়।
আমি মনে করি, এই ঘটনা আমাদের জন্য অনেক খুশির খবর বহন করে। কারণ, আমরা হাদিস থেকে জানি যে, দাজ্জালের আগমন ঘটবে ইমাম মাহদির উপস্থিতিতে ইস্তাম্বুল জয়ের পর।
.
সাক্ষাতকার গ্রহণকারীঃ এখন সেই বাচ্চার কি অবস্থা?
.
ঈসা বাদওয়ানঃ হ্যাঁ, এখন আমরা আলেমরা তাকে চিনি। এবং আমরা তার খেয়াল রাখছি। আমি সব মানুষকে এবং সব আলেমদেরকে জানাতে চাই যে, বিজয় অতি নিকটে। ইমাম মাহদি এখন আমাদের মাঝেই অবস্থান করছে (এই বাচ্চার জন্মের উপর ভিত্তি করে)।
ইনশাআল্লাহ, ফিলিস্তিনবাসী, খুব শিগগিরই এ বিজয়ের সাক্ষী হবে এবং এই ধর্মকে (ইসলামকে) এর আলোকে ছড়িয়ে দিবে।
(সাক্ষাতকারের অংশ বিশেষ শেষ)
এই শিশুটির জন্ম হয় ২০০৪ সালে। আর উদ্বিগ্নের বিষয় হল, ২০০৮ সালে এই সাক্ষাতকার জনসম্মুখে প্রকাশ হবার কয়েক মাস পর ২০০৮/২০০৯ সালে ইসরাইল রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ ও বোম্বিং শুরু করে ১৪০০ শিশু হত্যা করে এবং প্রায় ৪০০০ শিশুকে আহত করে। শুধু তাই নয়, ইসরাইল এই সাক্ষাতকারে উল্লেখিত আলেম শেখ নিজারকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাক্ষাতকারের ১১ মাস পরে এফ ১৬ বিমান দিয়ে ২০০০ পাউন্ডের বোমা নিক্ষেপ করে। যার ফলে শেখ নিজার তার চার স্ত্রী ও এগার সন্তানসহ শহীদ হন। শেখ নিজার ছিলেন গাজার অন্যতম প্রভাবশালী আলেম। তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমাম সাউদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বীন শিক্ষা লাভ করেন। এর পাশাপাশি তিনি ইসরাইলের সাথে যুদ্ধরত আল কাসসাম মুজাহিদ ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কমান্ডারও ছিলেন।"

ভিডিও লিংকঃ

https://youtu.be/l5t7zcFS1Nk

0 Comments:

Post a Comment