Monday, December 10, 2018

প্রাচীন জিওস্টেশনারী এনক্লোজড কস্মোলজির বিপ্লব কি সাম্প্রদায়িকতা?

বিষয়টা ছোটখাটো ফিতনায় রূপ নিতে চলেছে। বিতর্ক থেকে ঝগড়ার দিকে যাচ্ছে। এরূপ প্রত্যাশিত ছিল না, এজন্য গ্রুপটাকে ক্লোজ করে রাখা। আমরা কারও উপরে কোন বিষয়কে চাপিয়ে দিতে চাই না। আর অত্র গ্রুপে আলোচিত কোন বিষয় একদম দলিলবিহীন ট্রোল এর অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং কিছু ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে অহেতুক গায়ে পড়ে কটুক্তির সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। অতঃপর তাদেরকে সমুচিত জবাব দিতে দীর্ঘ তর্কবিতর্ক এর সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এজন্যই উত্তম জবাব দিতে চাইব- কেননা আমরা মিথ্যাকে সত্যের উপর জয়যুক্ত হতে দিতে পারি না।
.
আমরা এ সম্পর্কে সচেতন যে, বাংলাদেশের বড়বড় নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক গ্রুপ গুলোর এডমিনপ্যানেলের মেম্বারগন এখানে উপস্থিত আছেন। ইহা অনুধাবনীয় যে, তারা আমাদের প্রতি বিব্রত। কারন তারা যে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার জন্য কুফফারদের সামনে এপোলোজেটিক দুর্বল মু'মিনদের ন্যায় আমতাআমতা করে থাকেন, আমরা সে বিষয়টিকেই দলিলভিত্তিক স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এতে করে তারা ধীরেধীরে একপেশে হয়ে যাচ্ছেন। আর নাস্তিক-মুরতাদদের সামনে আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের দ্বারা প্রকাশিত বিগত যুগ যুগান্তরে লুক্কায়িত দলিলভিত্তিক ইসলামী তথ্য প্রমানগুলো সত্যমিথ্যাকে স্পষ্ট করতঃ নাস্তিকদের কুফর বা অস্বীকৃতি বৃদ্ধিপূর্বক এপোলোজেটিক মডারেট ইসলামিস্টদের উপরে চড়াও হবার মাত্রা বাড়াচ্ছে । এটা তাদের যুক্তিবাদীতার অসারতাকেও তুলে ধরছে। বস্তুত, একটা পর্যায়ে তারা একটা বিব্রতকর পর্যায়ে চলে যাবেন। অতঃপর দুই নৌকার মাঝে পড়বে। Allegorical এই নৌকার একটি ঈমানের, অপরটি কুফরের(Occult magical scientism)। হৃদয়ে বক্রতাহীন মুসলিমরা সত্যের দিকে সহজেই গ্র‍্যাভিটেট হয়। এজন্য মোডারেট ভাইরা একরকমের আইসোলেশনের ভয় করেন। এজন্য একভাইকে ইতোমধ্যে নসীহত করতে দেখেছি যেন আমরা শুধুমাত্র ইভ্যলুশ্যনিজম নিয়ে (মিথ্যাপ্রমানে)মাথা ঘামাই, সাইন্টিজমের অন্যান্য বিষয়ের গ্রহনযোগ্যতায় প্রশ্ন না তুলি।
.
সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসী মুসলিমরা উম্মাহর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি বা বিভেদ সৃষ্টি করার ধারনাটি ভুল। কস্মোলজির মডেল গুলোর যেকোনটিতে না জেনে বুঝে বিশ্বাস (মাত্রা অনুযায়ী) আপনাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। তবে কুফফারদের সাংঘর্ষিক তথ্যকে দ্বীনের চেয়ে অগ্রাধিকার অন্তর্স্থিত নিফাক অথবা রিদ্দাকে স্পষ্ট করবে। এজন্য এরূপ একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বিন বাজ(রঃ) তাকফির করেছেন।। এজন্য সতর্কতা আবশ্যক।
.
অপোজিট কস্মোলজিক্যাল বিলিফের কোন ভাইকে তার এরূপ বিশ্বাসের জন্য ঘৃনা বা বিভক্তির কথা আমরা চিন্তা করি না। আমি আমার বাস্তব জীবনেও বহু দ্বীনদার ভাইদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনায় বসি, যারা প্রচলিত এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারকে সমর্থন করেন। তাদের সাথে চা পানকালে তুমুল বিতর্কেও লিপ্ত হই, পরক্ষনে এসব নিয়ে আলোচনা শেষে বোঝারই উপায় থাকে না, যে আমাদের মধ্যে চিন্তাগত মতপার্থক্য রয়েছে। কাফেররা চায় আমরা যেন বিষয় নিয়ে আরো বিভক্ত হই, তাই এরূপ ট্রিফ্লিং সাব্জেক্ট নিয়ে উম্মাহর মধ্যে কোনরূপ বিভক্তি ওদের জন্য আনন্দের, যা আদৌ কাম্য নয়। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন। তবে আমরা সত্যকে প্রচার করেই যাব, যার কুরআন সুন্নাহভিত্তিক দলিল আমাদেরকে শক্তি দেয়।
.
আমরা কোন নাস্তিকদের উপরেও এরূপ বিষয় চাপিয়ে দিতে চাই না অথবা নাস্তিকদেরকে এসব তথ্য বিবেচনা পূর্বক ইসলামে পুনঃপ্রবেশের জন্যই হাতজোর করে অনুনয় বিনয় করি না। বস্তুত, অন্তরে আলোদানকারী আল্লাহ, তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, কে তাকে পথ দেখাবে! হয়ত পাঠক মনে এরকমই আয়াত মনে পড়ে যাচ্ছে। আল্লাহ বলেনঃ
.
"আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ(নামাল-৮১)
.
"আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান(আর রুমঃ৫৩)
.
"কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হলো না? বলে দিন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যে, মনোনিবেশ করে, তাকে নিজের দিকে পথপ্রদর্শন করেন"(রাদ-২৭)
.
"তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না"(কাহাফ-১৭)
.
আর নিশ্চয়ই 'ইসলাম' কোন সস্তা দ্বীন নয় যা আপনি যাকে তাকে গ্রহন করতে কাকুতিমিনতি করবেন,যেমনটা মোডারেট ইসলামিস্টরা করে। আমাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রেও ভ্রান্তি রয়েছে। ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী(রহঃ) এর চমৎকার একটি বক্তব্য রয়েছে দাওয়াতের ব্যপারে।
.
আপনি নাস্তিক মুর্তাদদেরকে আমাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে দেখবেন না। কারন ওরা যার কুফর করে আমরা সেটাকেই কঠোর বিশ্বাস করি। আর এটা স্রেফ অন্ধ বিশ্বাসও নয়, বরং পর্যবেক্ষণযোগ্য দলিল প্রমানও রয়েছে , এজন্য নাজেহাল হবার ভয়ে সচরাচর আমাদের কাছে ওরা আসে না।
.
কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক প্রিকোপার্নিকান জিওস্টেশনারী প্রাচীন কস্মোলজি আমাদের বলে আল্লাহর নিপুণ অনুপম সৃষ্টির কথা। আমাদেরকে শিক্ষা দেয় তার সৃষ্ট জগতে তার প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনের কথা। অথচ বিজ্ঞান আমাদের সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রন থেকে স্বাধীনতা বা নির্ভরহীনতাকে শেখাতো, যেমনটি স্টিফেন হকিংএর কথায় পাওয়া যায়ঃ "What I have done is to show that it is possible for the way the universe began to be determined by the laws of science. In that case, it would not be necessary to appeal to God to decide how the universe began. This doesn't prove that there is no God, only that God is not necessary."
Der Spiegel (17 October 1988)
.
অথচ সত্য হচ্ছে বৃষ্টিসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক ঘটনা এবং সবকিছুই আল্লাহরই Direct intervention এ হয়ে থাকে। কেউই আল্লাহর নিয়ন্ত্রন এবং নির্ভরতা থেকে স্বাধীন নয়।Geostationary Geocentric astronomical order আমাদেরকে এটাই স্বতঃস্বিদ্ধ সত্য ও পর্যবেক্ষণযোগ্য ফেনোমেনা হিসেবে তুলে ধরে। এটা আমাদেরকে বলে প্রতিটি সৃষ্টির তাৎপর্য সম্পর্কে। বস্তুত আল্লাহ কোন কিছুকেই অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
.
এক ভাইকে দেখছি, বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করছেন, প্রশ্ন তুলছেন, কোথাও কি আল্লাহ এসব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছেন! তার কাছে মনে হয় এসব নিয়া ভাবনা চিন্তা করাটা নিছক সময় নষ্ট। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
.
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
"নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।" (আল ইমরানঃ১৯০-১৯১)
.
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّلْمُؤْمِنِينَ
নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে (45:3)
.
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
تَبْصِرَةً وَذِكْرَى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি। এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে" (50:7-8)
.
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে(13:3)
.
يُنبِتُ لَكُم بِهِ الزَّرْعَ وَالزَّيْتُونَ وَالنَّخِيلَ وَالأَعْنَابَ وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে(১৬:১১)
.
وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(১৬:১২)
.
خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِّلْمُؤْمِنِينَ
আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(আনকাবুতঃ৪৪)
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে(ইউনুসঃ০৫)
.
অতএব
নিঃসন্দেহে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি, চিন্তাশীলদের জন্য মহানিদর্শন।আল্লাহ বলেনঃ "চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে"। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের কথা মহান প্রতিপালক বলেছেন।
নিশ্চয়ই তিনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
কুরআনিক কস্মোজনি আমাদেরকে আল্লাহর শক্তি ক্ষমতা,নিপুনতা পার্থিব জীবনের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। স্রষ্টার অস্তিত্বের উপলব্ধি তৈরি করে। নিশ্চয়ই চাঁদ সূর্য ও দিবারাত্রির আবর্তনে "বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে"। সমস্ত সৃষ্টিতে "চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে"। ভূমন্ডলকে বিস্তৃতকরন, দিবারাত্রির আবর্তন পাহাড়পর্বত ও নদনদীতে "তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে"। "এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার #প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে।"
নিশ্চয়ই এটা প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী বান্দাদের জন্য। আর আমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে একমাত্র কুরআন সুন্নাহর দ্বারা উত্তমভাবে বুঝতে পারি এবং তা থেকে সঠিক ও সুনিশ্চিত জ্ঞান পাই। আমরা কুরআনে উল্লিখিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এর গঠনপ্রকৃতি ও আসমানজমিনের বর্ননাগুলোর ব্যাখ্যা গ্রহন করি সাহাবীগনদের (রাযি.) থেকে। নিশ্চয়ই তারা সর্বাধিক নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাদানকারী।। এ কারনে আল্লাহ অনুরাগী যেকোন বান্দারা কুরআন সুন্নাহভিত্তিক আল্লাহর সৃষ্টিসংক্রান্ত চিন্তা গবেষণায় আগ্রহ প্রকাশ করে। হোক সে ময়দানের মুজাহিদ! এজন্যই সেদিন এক আল্লাহ অভিমুখী 'আগন্তুক' বললেন, যদি এসকল বিষয়ে দলিলভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা গুলোকে হার্ডকপিতে রূপান্তর করে সংরক্ষন ও প্রচার সম্ভব হত!
.
পশ্চিমা কাফেরদের একদল বলে,'নতুন করে প্রাচীন cosmological revolution এ আমাদের কোন যায় আসে না। এটা আমাদের চাকুরী-জীবিকায় কোন পরিবর্তন আনে না। যা আগেও ছিল তাই থাকবে, সুতরাং এসব নিয়ে মাথা ঘামানো বৃথা'। যাদের মধ্যে এরকম চিন্তা আসে তারা পৃথিবীতে অনুভূতিহীন জীবন্ত লাশের ন্যায়। এরা কুফফারদের ডিজাইন্ড সিস্টেমে একরকম মানিয়ে নিয়েছে আর এক্ষেত্রে কোনরূপ পরিবর্তন আশা করেনা বা চায় না।
প্রচলিত সমাজব্যবস্থা এবং প্রচলিত ইসলামিক চিন্তাবিদরা যা আমাদেরকে বলত তাতে আমরা ইনফিনিট আউটার স্পেসে কোটি গ্রহের একটিতে ইউজলেস এইমলেস ডার্ট ছাড়া কিছুই নই। যখন এনক্লোজড এ্যাস্ট্রনমি নিয়ে কেউ বিবেচনা করতঃ চিন্তা করে তখন সে অনুধাবন করতে পারে তার জীবনের মূল্য এবং তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। তার অস্তিত্বসহ কোন কিছুই নিরর্থক নয়। সমুন্নত ছাদ ও জমীনের মাঝে সামান্য পানি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ নিজেকে ও তার প্রতিপালককে চিনতে পারে।
এটা তাকে তার পালনকর্তার প্রতি অবনত করে এবং তার প্রতি অভিমুখি করে। কুফফাররা সেকুলার-ধর্মবিমুখ সমাজ ব্যবস্থা গড়তে সর্বপ্রথম কস্মোলজিকে রিরাইট করেছে। আর এটা করেছে ধীরগতিতে। জিওসেন্ট্রিক বদলে হেলিওসেন্ট্রিক,জিওস্টেশনারী থেকে রিভলভিং এবং আউটার স্পেস। ইতিহাস ঘাটুন! এরপরে আরো পিছনে গিয়ে সৃষ্টির শুরুর তথ্যে ডিসইনফরমেশনের প্রবেশ ঘটানো। চলে আসলো বিগব্যাং এবং এভ্যুলুশ্যনালিজম। একটার পরে একটা ট্রোল কন্টেন্টগুলো মানুষ গর্দভের মত চিন্তাবিনা গলাধঃকরণ শুরু করে। এন্টি রিলিজিয়াস অর্ডারগুলো আর বামপথের সংগঠন যেমন জেসুইটরা এসব গেলাতে উঠে পড়ে লেগেছিল। অবশেষে বিজ্ঞানী সাইনবোর্ডযুক্ত কিছু অকাল্ট মিস্টিসিস্টদের সফল প্রচারনায় পুরাতন জাদুবিদ্যার কিতাবগুলোয় উল্লিখিত সৃষ্টিকর্তার জানানো সৃষ্টিব্যবস্থার ব্যপারে অমোঘ সত্যবানীর বিপরীত তত্ত্বগুলো একে একে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ইহুদীদের কাব্বালা এবং হার্মেটিক কাব্বালা আর প্যাগান পলিথেইস্ট মালুদের বেদ এর কথা গুলো হয়ে যায় বিজ্ঞান। কখনো কি প্রশ্ন আসে না মনে, কেন CERN এর সামনে তাগুত শিবের মূর্তি! আর শতাব্দীকাল জুড়ে বাড়তে থাকা এই কুফরের পিলার আজ প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছে প্যানসাইকিজম, প্যানেন্থেইজমসহ সকল নন ডুয়ালিস্টিক ফেইথ। অবতার মুভির পরের সিকুয়্যাল কি থিম নিয়ে তা জানা আছে!! হলিউড সবসময়ই প্রতিটা ক্ষেত্রে ভূমিকায় থাকে। আউটার স্পেস,প্ল্যানেটারি সিস্টেমের প্রোপাগান্ডায় যেমনি ছিল, সামনের ইভেন্ট গুলোতেও আছে ও থাকবে।আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বেজড কোয়ান্টাম ম্যাথড তো বসে নেই। আর এরা সকলেই কনসাসলি অপেক্ষা করছে তাদের এক মহান সেভিয়রের জন্য, একজন মহান বিশ্বশিক্ষকের, যিনি কিনা ফিজিক্যাল ও স্পিরিচুয়াল বিবর্তনের এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবেন হিউম্যানিটিকে। যিনি সারাবিশ্বে আসবেন এলিয়েনেটিক ইনভ্যাশন প্রতিরোধে অথবা জাতিসংঘের হাত ধরে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। স্বাগতম জানাই(!) এখনি তাদেরকে, যারা ইতোমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভূমিকাস্বরূপ আসন্ন একচক্ষুবিশিষ্ট বিশ্বশিক্ষকের কোন না কোন প্রজেক্টের সাথে একমত হয়ে কাজ করছেন।
.
আমাদের কাজ হচ্ছে বিকৃতি এবং সত্যমিথ্যাকে স্পষ্টরূপে উপস্থাপন করা। আমরা বৈধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সপক্ষে। অপবিজ্ঞানের বিপক্ষে। কিছু ভাই বলেন উম্মাহর দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে লেখালেখি অথবা চিন্তার সময় নেই।তারা আংশিক সত্য বলেছেন। কিন্তু সত্য মিথ্যা জেনেও গোপন রাখলে, দুর্দশা কিছুমাত্র ঘুচবে না বরং উহা প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে।কারন কুফফারদের ধবংসের বীজ আমরা লালন করেই আছি। আমাদের উচিৎ কুফফারদের অপর্যবেক্ষনযোগ্য তত্ত্ব ও তথ্যকে যাচাই করতঃ বর্জন করা এবং সম্পূর্ন তাওহীদের দিকে প্রত্যাবর্তন। যেকোন বিষয়ে আমাদের দ্বীন অল্পবিস্তর যে তথ্যই দেয় না কেন, উহা দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট। উহার বাইরে গিয়ে কুফফারদের কথা গ্রহন এমনকি তাদের কথাকে পরিমাপক হিসেবে নিয়ে ইসলামের তথ্যকে যাচাইকরা কস্মিনকালেও মুসলিমদের কাজ নয়। সবশেষে শায়খ সালিহ আল ফওজানের বিখ্যাত ভিডিওবার্তা দেখবার দাওয়াত দিয়ে শেষ করব। লিংক- https://m.youtube.com/watch?v=K1QxVGr4ulw
.
জাযাকআল্লাহ

বিশ্বাস অবিশ্বাস

আজ এক ভাই বললেন, "পৃথিবী যে কারণে ভেসে থাকে , সেটাই তো বিশ্বাস করেন না আপনারা"। তিনি হেলিওসেন্ট্রিক প্যান্থিয়নের আউটার স্পেস এবং ইনফিনিট এভার এক্সপ্যান্ডিং স্পেসের কথা বলছেন। তিনি চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন, 'বিশ্বাস' শব্দটি টেনে। বস্তুত, বিষয়টি আলটিমেটলি 'বিশ্বাসে' গিয়ে ঠেকে। মডার্ন কস্মোলজির প্রায় পুরোটাই বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষনযোগ্যতার প্রক্রিয়ার বাইরে। অর্থাৎ আল্টিমেটলি ইহা শুধুই "বিশ্বাস"।
তো সেই ভাই Precopernican geocentric model এর বাহ্যত ভ্রান্তি ধরে বললেন, "আপনারা যেই 'বিশ্বাস' টা করছেন.."।
.
নিশ্চয়ই আমাদের 'বিশ্বাস' ঠিক তাই যা লিখিত আছে আসমানি কিতাব সমূহে। আর শেষ নবী(স) ও তার সাহাবা কর্তৃক প্রদর্শিত। আর তা-ই, যা প্রখ্যাত কুরআনের তাফসীরবিদ(মুফাসসিরগন) কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত।
.
আর অপরদিকে হেলিওসেন্ট্রিস্ট পাঠকের 'বিশ্বাস' টি ঠিক তাই, যা শয়তানের গোলামদের দ্বারা বলা কিছু 'কুফরি' জ্ঞান। যা লিখিত আছে কাব্বালার জোহারে, যা আছে তোথে , যা hermetism এর উপরে দাঁড়িয়ে আছে। এ বিশ্বাস তো তাদের হাত ধরেই এসেছে যারা সর্সারির আলোকবর্তিকা ছিলেন। ছিলেন গুপ্ত গুহ্যজ্ঞানের মহাসাধক । জ্বি আমি পিথাগোরাস, নিউটন, গ্যালিলিও, কেপলার , কোপার্নিকাসদের এসোটেরিক বিশ্বাস ও জ্ঞানের কথা বলছি, যা সম্মানিত হেলিওসেন্ট্রিস্ট (তাওহীদের জ্ঞানবিহীন) মুসলিম(!) ভাইদের নিকট অধিকতর গ্রহন যোগ্য মনে হয় এবং সেদিকেই হৃদয় আকর্ষিত হয়। মা'আযাল্লাহ!
.
একথা ভালভাবে জেনে রাখুন মেইনস্ট্রিম সাইন্টিফিক নলেজ একটি সুবিশাল প্রবঞ্চনার উপরে দাঁড়িয়ে আছে যা জেসুইট অর্ডারের আওতায় সারা বিশ্ব গ্রহন করেছে। আর তা হয়েছে রেনেসাঁ বিপ্লবের পর দিয়ে। রেনেসাঁ বিপ্লবের দ্বারা নিষিদ্ধ বিষয় যেমন উইচক্রাফট, সর্সারির রিভাইভ্যাল ঘটে। মানুষ নতুন করে ব্ল্যাক আর্ট অব ন্যাক্রোমেসির দিকে ঝুকে পড়ে। বিজ্ঞানের মোড়কে mysticism মানুষের কাছে হাজির হয়। চলে আসে বৈদিক Atomic knowledge. মানুষ গ্রহন করে Atomism. এক শ্রেনীর লোকেরা নির্বুদ্ধিতার জন্য থেইস্টিক পাথ ছেড়ে ম্যাটেরিয়ালিজমে ঝুকে পড়ে এবং এথিজম গ্রহন করে। 'এথিজম' শব্দে ডিজবিলিফকে ক্ল্যারিফাই করার ব্যাপারটি এখনো ৫০০ বছর ক্রস করেনি। যাহোক, সর্বপ্রথম ফ্রান্সের এক পরিবার এথিস্ট বলে নিজেদের ঘোষনা দেয়। আর বৈজ্ঞানিক মিস্টিক্যাল নলেজের গুরু মহাশয়রা theist ই থেকে যায়। কিন্তু এই Theism আদৌ তাওহীদ বা নিকটবর্তী monotheism নয়। গোড়া হাতালে তাদের বিলিফ দিয়ে অন্য মাত্রার মনোথেইজমে গিয়ে শেষ হবে, সেটাকে আব্রাহামিক ফেইথগুলো 'স্যাটানিজম' বলে।
আজ যারা এই মডার্ন সাইন্টিজমকে তাদের জন্মসূত্রে পাওয়া দ্বীন ইসলামের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়, সে সকল Apologetic mozlem রা ইতিহাসই জানে না। এদের জ্ঞান হাটুর নিচে, সারাদিন হয়ত কক খেলে, আর হলিউড দেখে রোমাঞ্চিত হয়,আর available ভ্রান্ত বিদ্যা অর্জন করে নিজেকে বিরাট জ্ঞ্যানী-শিক্ষিত মনে করে। অবশ্য এদের অধিকাংশই বিতর্কপ্রিয়। এবং নিরেশ্বরবাদীদের কাছেই বিতর্কে লাঞ্ছিতই। এর কারন এরা এমন বিজ্ঞান তত্ত্ব মেইন্টেইন করতে চায় যা তাদের জন্মলব্ধ বিশ্বাস থেকে একদম অপজিশনে। । এদের রূপক অবস্থা হচ্ছে এরূপ যে, কোন ব্যক্তি মূত্রকে পবিত্রতা অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রামান করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ উদাহরন এজন্যই দিয়েছি যে, তারা এই অবিশ্বাসের জ্ঞান(knowledge of disbelief) দ্বারা ইসলামকে জাস্টিফাই করতে ধৃষ্টতা দেখায়। ইসলামিক সোর্সে অদেখা জগতের বর্ননাকে ওই ভ্রান্ত অপবিত্র জ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করতে বৃথা চেষ্টা করে। Allegorical ওই মূত্রের(মেইনস্ট্রিম সাইন্স) মধ্যে বাস করা অবাঞ্ছিত কীটরা(নাস্তিক মুর্তাদরা) পবিত্র পানিকে আলাদাভাবে ভাল করেই চিনতে পারে, এজন্য কীটদের দ্বারাই লাঞ্ছিত হয় নির্বোধ মোডারেট ইসলামিস্ট।
.
বস্তুত ওদের হৃদয়টাই রোগগ্রস্ত। এজন্য প্রকাশিত ঐশীজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করে কাফেরদের কুফর বেজড ইল্মকে অগ্রাধিকার দেয়। এজন্যই শায়খ বিন বাজ(র)দ্বীনের থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক সাংঘর্ষিক তথ্যকে অগ্রাধিকারদানকারী লিবারেল ইস্লামিস্টকে তাকফির(কাফের সাব্যস্ত) করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তো সতর্কতাকারী ছাড়া আর কিছুই নই।
ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই Occult scientism এর origin নিয়ে একটা লেখা আসবে। ওয়ামা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।

সমতল জমিনের ম্যাপ এবং 'গোলাকার জমিনের'(!!) ম্যাপের মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রতিষ্ঠিত স্ফেরয়েড বলটির নিন্মদেশ(এন্টার্কটিকা) চিরে যদি চাপ দিয়ে সমতলে রূপান্তর করা হয়, তবেই এ্যাযিমুথাল একুইডিস্ট্যান্ট প্রজেকশন তথা মেইনস্ট্রিম সমতল জমিনের ম্যাপ পাওয়া যায়। এতে কোন ভূখন্ডের স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ব্রেইনওয়াশডদের কাছে এটাকে অনেক কিছু মনে হয়। তারা মনে করে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইন্টারনেটভিত্তিক  জনপ্রিয় কোন এক ম্যাপ সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটের ম্যাপে, সমতল জমিনের ম্যাপটিকে গোলাকার বানানো হয়েছে। সেটাতে এন্টার্কটিকার ম্যাপে গিয়ে জুম করলে চারকোণা কাগজ জাতীয় কিছুর চার প্রান্তগুলোকে একসাথে জুড়ে দিলে যে অবস্থা দেখা যায়, সেরকম কৃত্রিমভাবে সমতলকে গোলাকার বানানোর প্রমান রয়েছে। সুতরাং এযিমুথাল প্রজেকশনকেই গোল বানিয়ে চালাচ্ছে।
.
ইসলামিক পার্স্পেক্টিভে, গোল মডেলের ম্যাপ ডিজাইন বা প্রচলিত সমতল জমিনের ম্যাপের কোনটিকেই ১০০% শুদ্ধ বলে নিশ্চিত করা যায় না। কিছু আয়াত এবং হাদিস উভয়ের কোনটিতেই খাটে না।
.
যারা প্রচলিত সাইন্সের অন্ধ বিশ্বাসী, তারা তাদের অন্ধ বিশ্বাসে সন্তুষ্ট। যারা সমস্ত প্রবঞ্চনার বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা কিন্তু জাতিসংঘের পতাকায় সমতল জমিনকেই দেখাচ্ছে, আবার জনপ্রিয় স্পেস এজেন্সির দ্বারা গোল পৃথিবীর ছবি বের করছে। তাতে আবার একবছর আম্রিকার ম্যাপ ৩-৪গুন বড় হয়ে যায়, আবার কখনো ছোট, আবার জমিনের রঙও বছর বছর বদলায়!! টিভিতেও কম mock করে না। The West Wing(2001) এর Season 02, Episode 16 দেখেছেন? কত্ত সুন্দরভাবে চেয়ারে বসিয়ে স্লাইডে দেখিয়ে দিচ্ছে গোল পৃথিবীর ম্যাপের ভুল গুলো! অথচ ওরাই কিন্তু সেই টিভিতেই একই ভ্রান্ত ম্যাপ/মডেল গুলোকে সত্য আকারে প্রচার করে। উচু স্তরের কাফেররা ব্রেইনওয়াশড বানানোর পরে ওদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করে। 😆
.
যাহোক,হলিউড-মিডিয়া-বইপুস্তক দিয়ে জেসুইট ক্যাথলিকরা কাব্বালিস্টিক ব্যবিলনিয়ান জ্যোতিষবিদ্যা খাইয়ে বুদ করে রেখেছে। সেসব গ্রহন করে আজকের মুসলিমরাও তৃপ্তিবোধ করে। আমরা এসবের বিরুদ্ধে বললে যেহেতু দোষ, সুতরাং তর্কেবিতর্কে গিয়ে বোঝানোর কোন প্রয়োজন নেই, কুফফারদেরকে ওদের অনুগতদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করতে দিন।

ওরা কি ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত?

Babylonian magical worldview এবং Astrology ধার করে আনা গ্রীক দার্শনিকদের(যাদুকর/মিস্টিক) কুফরি দর্শন এবং ন্যাচারাল ফিলসফি যখন আরবে পৌছায়, তখন পিথাগোরাসের ব্যবিলনীয়ান (এলবার্ট পাঈকের কথানুযায়ী) 'এস্ট্রলজিক্যাল' বিশ্বাস- 'গোলাকার পৃথিবী' তৎকালীন শিয়া-মুতাযিলাদের সাথে সাথে কিছু ভাল আলেমদের মধ্যেও চলে আসে। এদের একজন ছিলেন ইবনে হাজম(র.) তারা সুস্পষ্ট কোন ইসলামি দলিলের উপরে দাঁড়িয়ে স্ফেরয়েড তত্ত্বকে মানেননি বরং তারা মনগড়া ভুল পর্যবেক্ষণিক লজিক দাড় করিয়ে স্ফেরিক্যাল আর্থকে গ্রহন করেন। এর অনেক পরে সেসবের সাপোর্টে কুরআনের কতিপয় আয়াতের দুরবর্তী অস্পষ্ট যুক্তি দিয়ে কুরআনের সাথে কম্প্যাটিবল করা হয়। উল্লেখ্যঃ তাদের এই ব্যাখ্যা যদি গ্রহন করা হয় তবে অজস্র স্পষ্ট হাদিস এবং কুরআনেরই আয়াতগুলোকে isolate করে দেওয়া হয়। সেসব ব্যাখ্যার অযোগ্য/সাংঘর্ষিকতা তৈরি হবে।
.
তখন হয়, পাঠককে হয় সাহাবীদের বর্ননা/ব্যাখ্যাগুলোকে(হাদিসসমূহ) গ্রহন করতে হবে এবং ওই কন্টেম্পরারী আলেমদের মনগড়া যুক্তিকেন্দ্রিক গ্রীক-বাবেল প্রভাবিত ব্যাখ্যাকে বর্জন করতে হবে, অথবা কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত এবং সমস্ত হাদিসের হার্মোনিয়াস দলিলগুলোকে বর্জন করে তৎকালীন আলেমদের মনগড়া যুক্তিভিত্তিক ব্যাখ্যাকে গ্রহন করতে হবে।
.
কস্মোলজিক্যাল ডেস্ক্রিপশনে রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাবীদের(রাযি.) কথা/ব্যাখ্যা(হাদিস) তথা সমস্ত জঈফ,সহীহ বর্ননা এবং কুরআনের আয়াতসমূহের মধ্যে চমৎকার হার্মোনি বিদ্যমান। এদের মধ্যে কোন সাংঘর্ষিকতা নেই। কারন কুরআনের পরে সহীহ-জঈফ সমস্ত হাদিসে সমতল জমিন, আসমানি ছাদের প্রাচীন কস্মোলজির সিন্থেসিজে বিশদ বর্ননা আছে। সাহাবীগন(রাঃ) গম্বুজাকৃতি আসমানসমূহ এবং সমতল স্তরবিন্যস্ত সপ্তজমিনের বর্ননাই দিয়েছিলেন।
.
কিন্তু মর্ডান কাব্বালিস্টিক-ব্যবিলনিয়ান কস্মোলজির ফেভারে আলেমদের কথা গুলোকে গ্রহন করলে, দলিলগুলোয় অজস্র সাংঘর্ষিকতা তৈরি হয়, ক্ষেত্র বিশেষে এমন কনফ্লিক্টও আছে যেখানে কোন চাতুর্যময় লজিকও কাজ করবে না। ওই সময়ে যারা গ্রীক এস্ট্রোনমিকে গ্রহন করেছিল তাদের অনেকে আবার গ্রীক দর্শনের বিরুদ্ধেও কলম ধারন করেছিলেন!! সঙ্গত কারনে কস্মোলজিক্যাল চিন্তাধারার চ্যুতিকে আমি তাদের কাউকে দোষারোপ করি না। সেসময়কার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ সর্বোত্তম অবগত আছেন।
.
যাহোক, স্ফেরিক্যাল(গোল্লা) পৃথিবী ১৫০০ সালের পূর্বে কখনোই মেইনস্ট্রিমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১% এরও কম সংখ্যক মানুষের সমর্থন ছিল। এই ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোনমির বিশ্বাস ছিল যাদুকর, জ্যোতিষী, ন্যাচারাল ফিলসফার বা দার্শনিকদের মধ্যে, আর ইসলামের মাঝে- আরবে গ্রীক দর্শন প্রবেশের পরে 'অজ্ঞাতকারনে' এর সপক্ষে অসাড় যুক্তিদানকারী (কুরআন সুন্নাহর)দালিলিক সমর্থনহীন সামান্যকিছু সংখ্যক আলেমগন ছিলেন।এমনকি ইবনে হাজম(র:) যখন স্ফেরিক্যাল পৃথিবীর সাপোর্ট শুরু করেন তার বিপক্ষে ছিলেন সাধারণ মুসলিম জনগন। তিনি এ ব্যপারে কিছু বলেছিলেনও।
.
১৫০০ সালের পরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারীরা সমস্ত ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রোমোটিং এর পাশাপাশি গোল পৃথিবীর মতবাদকে সারাবিশ্বে গায়ের জোড় খাটিয়ে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করে। সমতল পৃথিবীর নোশন বইপুস্তক থেকে বিদায় নিতে শুরু করে। চীন সরকার প্রথম দিকে 'ঘাড়ত্যাড়ামি' শুরু করলেও অবশেষে ক্যাথলিকদের চাপে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ওরা ২০০ বছর পরে অর্থাৎ ১৭০০ সালে পাঠ্যপুস্তক থেকে ফ্ল্যাট আর্থ কস্মোলজি হটিয়ে গোলপৃথিবীকে প্রতিষ্ঠা করে।[উইকিপিডিয়াতেই সমুদয় ঘটনা বিধৃত আছে,দেখে আসুন]
সুতরাং এই গ্রেট কস্মোলজিক্যাল কন্সেপচুয়াল শিফটিং এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে রোমান ক্যাথলিকরা।
.
তো ভাইয়েরা, আজ যারা কুরআন সুন্নাহর দলিল দিয়ে দুনিয়াকে কাফেরদের সাথে তাল মিলিয়ে গোল বানানোতে ব্যস্ত, তারা কাদের 'মিশন' দ্বারা প্রভাবিত? কাদের মিশনকে সহজ করে দিয়েছে?? কাদের বিষ বহন করছে?? ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারি???!!!! । তাদের দুর্বল অবস্থান অথবা সুস্পষ্ট বাতিলপন্থার ব্যপারে আমরা জানলেও এভাবে কখনোই লিখতাম না যদি ইদানীংকালে কিছু নির্বোধ-মূর্খ/মডারেট/মুরজিয়াদের থেকে দলিলবিহীন অপবাদ না দেখতাম। সেগুলো নিচের কমেন্টের স্ক্রিনশটেই দেখুন।
.
আমাদেরকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। আমরা নাকি খ্রিষ্টান মিশনারীর প্রভাবিত, দালাল, এমনকি কাফেরও!! ওরা বলছে বাইবেলে নাকি আছে 'পৃথিবী সমতল'!! অথচ খোজ নিয়ে দেখুন এরকম একটাও ভার্স নেই।করাপ্টেট গস্পেলে তো নাই-ই খ্রিষ্টানদের বানোয়াট এক্সটেনশন গুলাতেও নাহ। বিকৃত তাওরাত খুজে আসুন, একটা দলিল দেখান যেখানে স্পষ্টভাবে আছে 'দুনিয়া সমতল'!! তো ওরা কিসের উপর ভিত্তি করে কথা বলছে(??)। উলটো সমস্ত বাস্তব তথ্যপ্রমাণ বলে যে, ওরা নিজেরাই মেইনস্ট্রিম খ্রিষ্টীয় মিশনারি দ্বারাই প্রভাবিত! নাস্তিক-আস্তিক ডিবেটের বিরাট গ্রুপ খুলে খ্রিষ্টান কুফফারদের ফেভারে কথিত দ্বীনি তৎপরতা চালিয়েছে এত দিন। তাই না??
.
আসল ব্যাপার হচ্ছে অল্পবিদ্যা এবং জ্ঞানস্বল্পতা। আর যদি হৃদয়ে ব্যধি থাকে তাহলে জ্ঞান থাকলেও লাভ নেই।
.
কট্টর বিজ্ঞান পন্থী এক মেরিনের ছাগল(ইঞ্জিনিয়ার) ক'দিন আগে বেশ লাফিয়েছিলো। ওই মূর্খটা বলত, সাহাবীগন উন্নত শিক্ষা বিজ্ঞান-প্রযুক্তি হাতে পাননি, তাই তারা নাকি বলেছে 'পৃথিবী সমতল'। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!! এই হচ্ছে কাফেরদের বিছানো জালে আটকা পড়া মুসলিমভাইদের জ্ঞানের অবস্থা।
.
আরেক 'বাহ্যত' গুরাবাপন্থী লেখক বলেছিলেন আমরা নাকি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতাদর্শ প্রচার করছি। আজ তো তার এবং আমাদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট দেখলেন...! এ সময়টাতে কিছু লোকদেরকে দেখছি,যারা কিছু না জানলেও সে বিষয়ে জ্ঞানের জাহির করতে মন্তব্য করে।
.
আরেক সাইন্সবিশারদ অনেক ভারিক্কি বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে বললেন, পিথাগোরাসরা সমতল পৃথিবীর প্রবক্তা ছিলেন 😆। তাকে কোন রেফারেন্স দেখালে কাজ হবে না, মানবেন না, ভুল স্বীকারও করবেন না। তিনি যা বলেছিলেন উহাই ঠিক। অথচ আশাকরি আপনারা সবাই জানেন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রনমি ধার করে গোল দুনিয়ার প্রচার করে পিথাগোরাসই হন ইতিহাস স্বীকৃত প্রথম গোল্লাবাদী।
.
এই হচ্ছে তর্কবিতর্কে আগ্রহী ভাইবেরাদারদের জ্ঞানের হালত। এরা জিওস্টেশনারী কস্মোলজির খুত ধরতে হেলিওসেণ্ট্রিক-জিওসেন্ট্রিক উভয়টা মিলিয়ে খিচুড়ি মার্কা প্রশ্ন করে। জিজ্ঞেসা করে জমিন যদি সমতলই হয় তাহলে আম্রিকায় এখন রাত কেন, সর্বত্র তো একই সাথে রাত ও দিন হবার কথা। ওরা আগের ইনপুট গুলো থেকেও বের হতে পারে না। বিনোদন নিতে আসে...। এরা অনেকে বিরাট রাইটার, অনেক ফলোয়ার ফ্যানবয় আছে, গ্রুপও আছে যেখানে নাস্তিক,মুর্তাদদের সাথে বিতর্ক করে। কিন্তু এখানে এসে ট্রোল করে। আজেবাজে লিখে তর্ক বিতর্ক করতে চায়, কেউ আবার বিনোদন গ্রহন করতে আসে। ওদের বিনোদন লাভের উদাহরণ হলো এই- 'পাগলের সুখ মনে মনে, পাতা কুড়ায় টাকা গোনে'! আমরা জানি, শূন্য কলসি বাজে বেশি, তেমনি ছোট মাছ লাফায় বেশি। এরা ছোট্ট একটা কুয়োয় বাস করে, কুয়োর বাহিরে যে কিছু থাকতে পারে, সেটা ভাবতেই পারে না। কগনিটিভ ডিজোনেন্সে তো ভোগেই। উপরন্তু দলিলবিহীন ফালতু আজেবাজে লিখে আমাদেরকে নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করতে গিয়ে ওরা আসলে নিজেকেই ছোট করে,কিন্তু সেটা তারা বোঝে না। এরা ক'দিন পর পর এসে পরিবেশকে নষ্ট করে বটে, এদেরকে দেখে সাধারণ গ্রুপ সদস্যভাইদের বিচলিত হবার কিছুই নেই। একটা বিষয় আবারো উল্লেখ করব, এই গ্রুপে মেম্বারদের সংখ্যা বাড়ছে। ১৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাব্লিক রেস্পন্স, পপুলারিটি প্রভৃতি আমাদের লক্ষ্য নয়, আবর্জনা মার্কা মেম্বার দিয়ে গ্রুপ ভড়বার চেয়ে ১৭০ জন সুস্থ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন সদস্য থাকুক,সেটাই আমরা চাই। আমরা যা বলি তা সবাইকে গ্রহন করতেই হবে, এমন টা নয়। সকলের পেটে সবকিছু হজম হবে না এটাই স্বাভাবিক। এলার্জিগ্রস্তরা যেকোন সময়েই লিভ নিতে পারে। যাকে যার জন্য সৃষ্টিকরা হয়েছে, সেটা তার জন্য সহজ করা হয়েছে। সাহাবী আজমাঈন যার উপর ছিলেন সেই বিষয়বস্তুরই কথাই বলি। আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে সামনে এগিয়েই যাব ইনশাআল্লাহ। আশাকরি খুব শীঘ্রই মেইনস্ট্রিম সাইন্স তথা 'ন্যাচারাল ফিলসফির' ভ্যালিডিটি শূন্যে কাছে পৌছবে। বিশেষ করে ফিজিক্স এবং এস্ট্রোনমি। ইনশাআল্লাহ, সামনে সেই সময় আসছে যখন বিচক্ষন ও বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কাফেরদের কথা প্রত্যাখ্যান এবং আসমানি কিতাবে বর্নিত সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকবে না।
.
জেনে রাখুন, আজ যারা 'সাইন্সের' রেফারেন্স দিয়ে কথা বলে গর্ববোধ করে, 'বিশাল কিছু জানি' অনুভূতিতে ভোগে, তারা এমন কিছুর অনুসরণ করে যা প্রাচীন বাবেল শহরের হারুত ও মারুতের কাছে অবতীর্ণ কিছু বিদ্যা এবং শয়তানদের আবৃত্ত কিছু কুফরি কথার অংশবিশেষ। শয়তান মানুষকে যাদুশিক্ষা দিত,যাকে আজ ইহুদীরা নাম দিয়েছে 'কাব্বালা'। বস্তুত, এসব অপবিদ্যা এবং অপবিজ্ঞান বৈ আর কিছু নয়।

Wandering Stars


Wandering Stars

যদি সেদিন শুক্রগ্রহকে নিজস্ব ফ্রেমে না দেখতাম হয়ত সংশয়টা থেকে যেত গ্রহ(বস্তুত সবই নক্ষত্রঃকাওকাব/নজম/বুরুজ) সমূহের ব্যপারে। যেহেতু ইউটিউবে বা অন্যান্য অপেশাদার ক্ষেত্রসমূহ কাফেরদেরই।
মহান রবের প্রশংসা যিনি অপাত্রে অসম্ভব দৃশ্য অবলোকন করিয়েছেন। সেগুলো কম্পনশীল আলোক তরঙ্গ। আমরা যেরূপ খালিচোখে মিটিমিটি তারাদের জ্বলতে দেখি, সেগুলো তেমনিই মিটমিট করে কম্পমান। আর সেগুলো গোলাকৃতি নয়,ইলিপ্টিক্যালও নয় বরং ফ্ল্যাট সার্কুলার বা র্যানডম র্শেইপের। কা'বা ঘরের মতও আছে(কিউবশেপড)। চলমান একটি হাইপোথেসিস ব্যাখ্যা করে যে, তারা সমূহ আকাশ বা ফার্মামেন্ট সিলিং এর উপরস্থ বিশাল পানির সমুদ্রের উপরে অজানা কোন উপায়ে রয়েছে, আসমানের পানির surge তারকারাজির মিটমিট করার ভিজুয়াল ইফেক্ট তৈরি করে।উদাহরণস্বরূপ, পানির নিচে দিয়ে সূর্য্যের দিকে তাকালে সূর্য্যকে কম্পমান দেখা যাবে ঢেউএর জন্য। এই ফেনোমেনা একটি বিষয়কে স্পষ্ট করে যে গ্রহ বলতে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান যা বলে সেটার অস্তিত্বই নেই।সেটা বরং বিরাট মিথ্যা বৈকিছু নয়। কথিত গ্রহগুলো(মঙ্গল, বুধ,বৃহস্পতি ইত্যাদি) সাধারণ কম্পমান তারকার মতই চলমান নক্ষত্র। সেগুলো আদৌ কোন লিভ্যাবল টেররা ফার্মা(বাস করার উপযোগী জমিন বা ভূমিবিশেষ) নয়। সলিড কিছু নয়। আপনি আলোর মধ্যে বসবাস করবেন কি করে, যেখানে ভূমিরই অস্তিত্ব নেই বা দাড়ানোরই স্থান নাই!!??
এই সুবিশাল বৈপরীত্যপূর্ন বাস্তবতা প্রচলিত সৌরজগত বেজড ভন্ড মহাকাশবিজ্ঞানকে আবর্জনায় ছুড়ে ফেলে দেয় সেই সাথে হাজার
বছরের পুরোনো কসমোলজি অর্থাৎ জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ইউনিভার্স এর বিজ্ঞানকে পুনরায় সুপ্রতিষ্ঠিত করে যেটা মাত্র ৫০০ বছর আগেও বলবৎ ছিল।
চীনে ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এটা অফিসিয়ালি স্বীকার করা হত যে পৃথিবী সমতল ও স্থির। পরবর্তীতে জেসুইত অর্ডারের তোপে পড়ে জোড় করেই বদলে প্রতারনাপূর্ন কোপার্নিকান হেলিওসেন্ট্রিক মডেলে নিয়ে আসে। অর্থাৎ আমরা আছি ফ্ল্যাট প্লেইন সার্ফেসে কিন্তু খাতা কলমে কল্পনায় মানছি যে পৃথিবী বনিবনিয়ে ঘুরছে আর অনন্তের পথে ছুটে চলছে আর উহার আকৃতি গোলক বল বিশেষ।
আর জিওস্টেশনারী ফ্লাট প্লেইন আল্লাহ রাসূল (সঃ) ও সর্বোপরি কুরআনের 'প্রত্যেকটি' আয়াতকে দৃঢ়ভাবে সত্যায়ন করে। মজার বিষয় হচ্ছে বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন এই কসমোলজিক্যাল প্যাটার্ন এক মহান সৃষ্টিকর্তার অনিবার্য ও অপরিহার্য অস্তিত্বের বিদ্যমানতাকে ধর্মতাত্ত্বিক দর্শনের নির্ভরতা ছাড়াই নিশ্চায়ন করে। বস্তুত, একারনেই অতীতে নাস্তিকদের আনাগোনা খুব কম ছিল এবং সকল সমাজ ধর্মভীরু ও আধ্যাত্মবাদের দিকে ঝুকে ছিল। যেটা বর্তমান নয়া সভ্যতা কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার যুগ বলে আখ্যা দেয়। অপরদিকে নব উদ্ভাবিত হেলিওসেন্ট্রিক বিজ্ঞান নাস্তিকতাবাদকে অফিশিয়ালি প্রমোট করে। অনেক বিগগ্যানী নিযুক্ত আছে যারা স্পষ্টভাবে বলছে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই। অনেক মহাকাশ গো এষণা সংস্থা নিযুক্ত আছে শুধুমাত্র থিওরাইজড মিথ্যাচারকে হলিউড থেরাপি ব্যবহার করে ভিডিও ও ভুয়া দালিলিক পন্থায় প্রচার করে। এরকমই লিডিং এজেন্ট হচ্ছে নাসা। আপনি ওদের পেইজে গিয়ে ওদের প্রচারবিরোধী কিছু লিখে কমেন্ট করেই দেখুন ,আট দশ জন নিযুক্ত আছে যারা গোঁজামিল দিয়ে এটা সেটা বলে আপনার মুখে হাড্ডি গুজে দিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য(ওরা অবশ্য আমার সাথে সেটা করতে সমর্থ হয়নি। একাধিকবার ওরাই উলটো দীর্ঘ তার্কিক সংলাপের পরে পশ্চাৎদেশে বাশ পেনেট্রেটেড হয়ে ভেগেছে) প্রস্তুত আছে । সেখানে কিছু পেইড এজেন্ট এডমিন প্যানেলে আছে।
 ওরা বেশি উদ্বিগ্ন হয় যখন কোন মুসলিম ওদের মতাদর্শ বিরোধী কমেন্ট হাকায়। কারন, আরবরা সর্বক্ষেত্রে প্রথম টার্গেট। এত বছরের দীর্ঘ সাধনায় ওরা যে ব্রেইনওয়াসিং এর কার্যে সফল হয়েছে, সেটা থেকে বিফল হওয়া বস্তুত সীমাহীন ব্যর্থতা। এটা ওরা হতে চায়না। আর কাফেররা সবসময়ই চায় ইব্রাহীমের(আ) দ্বীনের অনুসারীরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের বিষয়ে সন্দেহে নিপতিত হোক। এবং মৌলবাদ থেকে বের হয়ে সর্বধর্মপালনকারী/
ধর্মনিরপেক্ষ(সেকুলার) হোক। জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনোমিকাল মডেল নাস্তিকতার নোশনকেই মাটি চাপা দেয়।ওদের এলার্জিটা এখানেই। আর ঐ হাদিসটা মনে আছে যে দাজ্জাল বের হবার কিছু বছর পূর্বে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার চলবে? এজন্য মিথ্যার প্রচারনায় সর্বকালের তুলনায় এখন তুঙ্গে আছে। ফিতনা এতটাই মাথা চাড়া দিয়েছে যে কিছু মুসলিমরা আজ কুরআনের আয়াতের উলটো ব্যাখ্যা দিয়ে মেইন্সট্রিম কুফরি বিজ্ঞানের সাথে প্যাচাচ্ছে। ওরা শয়তানি এই বিজ্ঞানকেই কুরআনের আয়াতকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠা করছে।এটাও বলে প্রচার করছে যে 'দেখ আমাদের কুরআন কতটা আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত','১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর নবী (স) কি করে এই মহাকাশ বিজ্ঞানের ব্যপারে বলেছেন যা এখন কাফেররা নব নব প্রযুক্তি দিয়ে আবিষ্কার করছে(!)' হক্ককে বাতিল দ্বারা মোড়ানোর দরুন বর্তমান সময়ের মডারেট মোজলেমদের সকল 'জ্ঞানগম্ভীর' লেখনীকে বিনা বাক্যে রিজেক্ট করি।সেগুলো কিছু অচল গার্বেজ বৈকিছু নয়। বস্তুত তারা কুরআনকে ব্যবহার করেই মিথ্যাচার করছে, অথচ নিজেরাই বুঝতে পারছেনা।
বর্তমান সময়ে এরূপ ইল্মবিহীন ডিজুস, মোডারেট, তালিবুলইলমদের বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিবিধ দূষনে দুষ্ট যেসব লেখনীগুলো পড়েন তা কোন নামজাদা প্রখ্যাত আলিম উলামাদের দ‌্বারাও স্বীকৃত নয়। আর কোপার্নিকাসের জন্ম পূর্বের মুহাদ্দিস মুফাসসির স্বীকৃত তো নয়ই। আর বিগত যুগের সৌদি আরবের অধিকাংশ আলেমসমাজও হেলিওসেন্ট্রিক বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছেন। কুরআনের আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত আয়াত গুলোর একটাও হেলিওসেন্ট্রিক এভারেক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্সের পক্ষে বলেনা বরং এমন কন্ট্রাডিক্টরি তথ্য দেয় যা কট্টর বিজ্ঞান মনা মোজলেমরা সচেতনভাবে পড়লে বিব্রত হবে ও সন্দেহে আপতিত হবে।
প্যাগান মিথিক্যাল দেবতা হেলিওর ব্যপারে শুনেছেন!
প্যাগান সানগড হোরাসের ব্যপারে জানেন!
হিন্দুদের সূর্যপূজার ব্যপারে নিশ্চয়ই জানেন!
উইকিপিডিয়া তে সার্চ দিন, সাইন্টিজম লিখে।
তারা যে সাইন্সের উপর আস্থাশীল, সেটা তো একটি নিউ রিলিজিয়াস মুভমেন্ট ছাড়া কিছু না।একটি স্বতন্ত্র দ্বীন।

আসমানি সমুদ্রে সন্তরণরত তারকারা

আসমানি সমুদ্রে সন্তরণরত তারকারা

একদমই সাধারণ ফোন ক্যামেরা দিয়েই ভাসমান তারকারাজিদের দৃশ্য ধারন করা যায়। এটা কথিত শুক্রগ্রহ!
তারকাদের দেখলে মনে হয় যেন সেসব পানিতে ভাসছে, অথবা পানির স্তরের ভেতর দিয়ে আমরা দেখি। শক্তিশালী ক্যামেরা এবং টেলিস্কোপিক ফুটেজে সেটা আরো পরিষ্কার বোঝা যায়। খালি চোখেও অনুধাবনযোগ্য। একইরকম দৃশ্য চন্দ্রের ক্ষেত্রেও। যাকে লুনারওয়েভ বলা হয়। চাদের উপরে ও আশেপাশে থেকে সুস্পষ্টভাবে জলরাশির প্রশান্ত তরঙ্গ প্রবাহিত হতে দেখা যায়। চাঁদ সূর্য, নক্ষত্র সকলেই আসমানের সমুদ্রে সন্তরনশীল।
তারকারাজির অবস্থান আমাদের নিকটতম প্রথম আসমানে।
.
যেমনটি আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেনঃ
.
إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ
Indeed, We have adorned the nearest heaven with an adornment of stars(37:6)
.
এক্ষেত্রে আমরা কুরআন পড়লেও সেটা মুখে মানি, ইয়ে মানে আন্তরিকভাবে না। যার জন্য বিশ্বাস করি, তারকারা সূর্যস্বরূপ বস্তু যা মহাকাশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, কাব্বালা যাদের থেকে এসেছে তাদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তির ফলে।
.
আল্লাহ বলেনঃ
"সূর্যের পক্ষে সম্ভব না চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে"(৩৬:৪০)
.
ইমাম ইবনে জারীর(রঃ) এর ইতিহাস গ্রন্থের প্রথম খন্ডে উল্লিখিত অত্যন্ত দুর্বল একটি হাদিসে এ আয়াতের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যায়ঃ
.
At-Tabari who cites traditions from Muhammad(SAW) and his companions:
The other report, referring to a different concept, is what I was told by Muhammad(SAW) b. Abi Mansur- Khalaf b. Wasil- Abu Nu'aym- Muqatil b. Hayyan- Ikrimah: One day when Ibn `Abbas was sitting (at home or in the mosque), a man came to him and said: Ibn `Abbas, I heard Ka'b, the Rabbi, tell a marvelous story about the sun and the moon. He continued. Ibn `Abbas who had been reclining sat up and asked what it was. The man said: He suggested that on the Day of Resurrection, the sun and the moon will be brought as if they were two hamstrung oxen, and flung into Hell. `Ikrimah continued. Ibn `Abbas became contorted with anger and exclaimed three times: Ka'b is lying! Ka'b is lying! Ka'b is lying! This is something Jewish he wants to inject into Islam. Allah is too majestic and noble to mete out punishment where there is obedience to Him. ...................He continued.
Every day and night, the sun has a new place where it rises and a new place where it sets . The interval between them from beginning to end is longest for the day in summer and shortest in winter. This is (meant by) Allah's word: "The Lord of the two easts and the Lord of the two wests," meaning the last (position) of the sun here and the last there. He omitted the positions in the east and the west (for the rising and setting of the sun) in between them. Then He referred to east and west in the plural, saying; "(By) the Lord of the easts and wests." He mentioned the number of all those springs (as above).
He continued. Allah created an ocean three
farsakhs (18 kilometers) removed from heaven. Waves contained, it stands in the air by the command of Allah. No drop of it is spilled. All the oceans are motionless, but that ocean flows at the rate of the speed of an arrow. It is set free to move in the air evenly, as if it were a rope stretched out in the area between east and west. The sun, the moon, and the retrograde stars RUN IN ITS DEEP SWELL .
THIS IS (MEANT BY) Allah'S WORD: " Each swims in a sphere ." "The sphere" is the circulation of the chariot IN THE DEEP SWELL OF THAT OCEAN . By Him Who holds the soul of Muhammad in His hand! If the sun WERE TO EMERGE FROM THAT OCEAN, it would burn everything on earth, including even rocks and stones, and if the moon were to emerge from it, it would afflict (by its heat) the inhabitants of the earth to such and extent that they would worship gods other than Allah . The exception would be those of Allah's friends whom He would want to keep free from sin.
Ibn `Abbas said that `Ali b. Abi Talib said to the Messenger of Allah : You are like my father and my mother! You have mentioned the course of the retrograde stars ( al-khunnas ) by which Allah swears in the Qur'an, together with the sun and the moon, and the rest. Now, what are al-khunnas? The Prophet replied: `Ali, they are five stars: Jupiter ( al-birjis ), Saturn ( zuhal ), Mercury ( `utarid ), Mars ( bahram ), and Venus ( al-zuhrah ). These five stars rise and run like the sun and the moon and race with them together . All the other stars are suspended from heaven as lamps are from mosques, and circulate together with heaven praising and sanctifying Allah with prayer. The Prophet then said: If you wish to have this made clear, look to the circulation of the sphere alternately here and there. It is the circulation of heaven and the circulation of all the stars together with it except those five . Their circulation today is what you see, and that is their prayer. Their circulation to the Day of Resurrection is as quick as the circulation of a mill because of the dangers and tremors of the Day of resurrection. This is (meant by) Allah's word: "On a day when the heaven sways to and fro and the mountains move. Woe on that day unto those who declare false (the Prophet's divine message)."
......
"
.
হযরত ইবনু আব্বাস(রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে একটি লোক জিজ্ঞেস যে, "হে আল্লাহর রাসূল(সঃ)! এই আকাশ কি?" তিনি উত্তরে বলেন,"এটা হচ্ছে তরঙ্গ, যা তোমাদের হতে বন্ধ রাখা হয়েছে।"
হাদিসটি মুসানাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্নিত হয়েছে।
(তাফসীর ইবনে কাসীর-পারা ১৭-সূরা আম্বিয়া এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
.
আসমান যমীনকে পানি বা সমুদ্র বেষ্টন করে আছে। যমীনের উপর গম্বুজাকৃতি ছাদের উপরে এবং বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ যমীনের নিচে।
.
আসমান ও যমীন স্থির। এটা সাহাবীদের খুবই কমন বিশ্বাস। হযরত উমার(রাঃ) প্রায়ই আল্লাহর শপথ করে বলতেন "আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে"
যেমন নিম্নোক্ত হাদিসেঃ
.
হাসান ইবন আলী ও মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্‌ইয়া ইবন ফারিয মা'না (রহঃ) ......... মালিক ইবন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উমার (রাঃ) দিনের কিছু অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তখন তাঁর কাছে উপস্থিত হই এবং তাকে চাদর শূন্য একটা বিছানার উপর উপবিষ্ট দেখতে পাই। যখন আমি তাঁর কাছে পৌছাই, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ হে মালিক ! তোমার সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কিছু মাল দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখন তুমি তা তাদের মাঝে বণ্টন করে দাও। আমি বললামঃ আমাকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে একাজের নির্দেশ দিতেন, (তবে ভাল হতো)। তখন তিনি বললেনঃ তুমি-ই এ দায়িত্ব গ্রহণ কর। এ সময় ইয়ারফা (রাঃ) সেখানে হাযির হয়ে বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন ! আপনার নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য উছমান ইবন আফফান (রাঃ), আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ), যুবায়র ইবন আওয়াম (রাঃ) এবং সা'দ ইবন আবী ওয়াককাস (রাঃ) অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদেরকে আমার কাছে আসতে দাও।...........……………….…………………………………………………………………………………
মালিক ইবন আওস (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) এ ব্যাপারের জন্য পূর্বোক্ত ব্যক্তিদের আগেই প্রেরণ করেন। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ব্যস্ত হবেন না, ধৈর্য ধরুন, শান্ত হন। অতঃপর তিনি ,উছমান (রাঃ) ও অন্যদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যাঁর হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা (নবীরা) কোন মীরাছ রেখে যাই না; বরং আমরা যা রেখে যাই, তা হলো সাদকা। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ।……………………………………………………………
………… অতঃপর তিনি উমার (রাঃ) তাঁদের সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের সেই আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন কায়েম আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা বলেনঃ হাঁ। তখন তিনি আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ আমি আপনাদের উভয়কে সেই আল্লাহ্‌র শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, যার হুকুমে আসমান ও যমীন স্থির আছে, আপনারা কি এটা অবগত আছেন ? তখন তাঁরা (দু'জনে) বলেনঃ হ্যাঁ।…………………
………………………………
.
বইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে, হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৩
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
.
আসমান জমিনের স্থবিরতার কথা মহান আল্লাহ নিজেই জ্যোতির্ময় কুরআনে ইরশাদ করেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَن تَزُولَا وَلَئِن زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِّن بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
.
নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল(সূরাঃ ফাতিরঃ৪১)
.
এটা সেই আয়াত যা দিয়ে সাহাবীগন(রাঃ) তৎকালীন সময়ে 'আসমান ঘুরছে' এরূপ ভ্রান্ত বিশ্বাসকে রিফিউট করতে দলিল হিসেবে ব্যবহার করতেন। প্রমান করতেন আসমান স্থির আছে। একইভাবে আজ ১৪০০ বছর পরে আজ যখন কাফেররা যমীনকে ঘূর্ননরত এবং চলমান বলছে আমরা সেটাকে গ্রহন করেই ক্ষান্ত হইনি। কুরআন দিয়েও জাস্টিফাই করছি। দলিল বানাচ্ছি ৩৬:৪০ নং আয়াতকে। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!



কুরআন হাদিসে উল্লিখিত কোন একটা দলিলও কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি বা কস্মোজনীর সাথে কম্প্যাটিবল নয়। সাহাবীগনের বক্তব্য এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য দেয়। তবে এ যুগের মানুষের যুক্তি দিয়ে অনেক কিছুই সম্ভব। যখন গ্রেসীয়-ব্যবিলনিয়ান অপবিদ্যা আরবে প্রবেশ ঘটে তখন থেকেই সব কস্মোলজি বিকৃত হতে শুরু করে। এমনকি আলেমদের মধ্যে যারা গ্রীক বিদ্যার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়েছেন তারাও নবাগত পিথাগোরিয়ান কস্মোলজির সাথে মিল রেখে সমতল শয্যারূপ জমিনকে গোলাকৃতি বানিয়ে দিলেন। আজকের যুগে তাদের সেই বানীগুলো বড় বড় ঢাল বনে গেছে ক্লোজড মাইন্ডেড মুসলিম বা মোডারেট মুরজিয়াদের কাছে। নবী(সাঃ) এর সাহাবীদের কথা গুলোর চেয়েও সেসব বড় দলিল তাদের কাছে। আমরা যদি এরকম কোন কিছুর ব্যাখ্যার সম্মুখীন হই যার সাথে নবী(সঃ) এবং সাহাবীদের কোন মিল নেই বা তা ভিন্ন কোন চিন্তা ধারা প্রকাশ করে, তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসূল(স) এর দিকে প্রত্যাবর্তন করব। তাদের কথার বিপরীতে যাই আসুক, তা কস্মিনকালেও গ্রহনযোগ্য নয়। আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً
.
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম(আন নিসাঃ৫৯)
.
একজন ব্যক্তি যে কিনা খালি চোখেই নিকটতম আসমানে লুমিনারি ও চন্দ্র সূর্যদের ভাসতে দেখে, স্বীয় দৃষ্টি দিয়েই তাবুর ন্যায় সুবিশাল ছাদস্বরূপ আসমানকে দেখতে পায়, স্থির বিস্তৃত শয্যাস্বরূপ জমিনের উপরে বিচরণ করে এবং সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত কিতাবের বানী পাঠ করে, তার ব্যাখ্যায় হাদিসও অধ্যয়ন করে, যার মাঝে সেসবের সুস্পষ্ট সরল ব্যাখ্যা এবং বর্ননা রয়েছে, সে কি করে যাদুশাস্ত্র এবং শয়তানের আনিত কুফরি বিদ্যার অনুসরন করে! /?
.
অধিকাংশই নিজ খেয়ালের অনুগামী। যারা এ বিষয়ে লেখালেখির ব্যপারে অসন্তোষবোধ করে, তারা মুখে যতই অস্বীকার করুক না কেন, কুফফারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কুফরি দর্শনকেই মেনে চলতে ভালবাসে।
আমরা কারো উপর যা প্রকাশ করছি তা জোড় করে চাপিয়ে দিতে চাই না। যাকে যে উদ্দেশ্যে এবং গুন দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, সে সেদিকেই ধাবিত হবে।

অকাল্ট প্যাগান থিওলজি এবং সুফিজম





অকাল্ট মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিনগুলো হঠাৎ করে এত জনপ্রিয়তার পেছনে কাজ করছে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন এজেন্ডা।এই গ্লোবাল এসোটেরিক এজেন্ডা মিথ্যা মসীহের ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশ্বাসগত মতপার্থক্যরোধে ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন তৈরির লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে সারাবিশ্বে নানা নামে আম্ব্রেলা সংগঠনরূপে কাজ করে যাচ্ছে। আমি পূর্বেও আলোচনা করেছি,এরা প্রাচীন প্যাগানিজমকে পুনরুজ্জীবিত করছে যা খ্রিষ্টানদের তোপে কিছু শতাব্দী লুকায়িত ছিল। ওই বিশেষ শ্রেণীর কাফেররা প্রাচীন গ্রীক-ইজিপশিয়ান ও ব্যবিলনিয়ান যাদুকর-জ্যোতিষীদের যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক প্যাগান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা দর্শনকে পছন্দ করে।

 যেমন প্লেটোনিক মতবাদ, এখন নিওপ্লেটোনিজম চালু হয়েছে, পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজম, ওই সময়কার হারম্যাটিসিজম,হেলেনিজম,স্টয়িসিজম ইত্যাদি। জুডিও ব্যবিলনিয়ান অশ্লীল কিতাব জোহার বেজড কাব্বালাও সিমিলার মতাদর্শ ক্যারি করে, যার জন্য সকল মিস্টিক্সরা একে অন্যের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল এবং পরিবারস্বরূপ। বর্তমান প্রতিষ্ঠিত এস্ট্রোনোমিকাল মডেল, এমনকি পৃথিবীর স্ফেরিক্যাল মডেল প্রাচীন প্যাগান বিখ্যাত গ্রীক মিস্টিক মনীষীদের চিন্তা থেকেই আসে।তখনকার মেইনস্ট্রিম কসমো ছিল জিওসেন্ট্রিক জিওস্টেশনারী ফ্ল্যাট আর্থবেজড,সারা পৃথিবীতে যাদুকরদের আনিত ওই তত্ত্ব ছিল হেরেটিক। কিন্তু পিথাগোরাস, প্লেটোর অনুসরনে ও প্রভাবে অন্যান্য এস্ট্রোনমাররা এর ব্যপারে ভাবতে শুরু করে।

 খ্রিষ্টান শক্তি তাদের এই স্ফেরিক্যাল থিওরিকে প্যাগান থিওরি বলে রিজেক্ট করে,যেহেতু গ্রীক মনীষীরা আগে থেকেই কুফরি মতবাদ আর জাদুবিদ্যার ধারক-বাহক ছিল। প্রত্যেক গ্রীক মিস্টিক-মনীষীরাই ছিলেন জাদুবিদ্যার কারিগর। তারা ইউনিভার্সের সিক্রেট জানার ব্যপারে অবসেসড ছিলেন, যা তাদেরকে জাদুবিজ্ঞানের দিকে হাটায়। তাদের মতবাদভিত্তিক অপবিজ্ঞান ছিল  যাদুর গুহ্য মেকানিজম। এস্ট্রলজি-আলকেমিতে ছিল সিদ্ধহস্ত।ওটাই ছিল সমুচ্চ জ্ঞান এবং বিজ্ঞান।

গ্রীক মিস্টিসিজম গুলোর কমন গ্রাউন্ড ছিল মনিজম অথবা নন ডুয়ালিজম আরবিতে ওয়াহদাতুল উজুদ, বাংলায় 'স্রষ্টা সৃষ্টির এক অস্তিত্ব' । এটা হচ্ছে ওদের বিলিফ সিস্টেমের কার্নেল। আপনি নন ডুয়ালিস্ট না হয়ে হয়ত সর্সারিকর্মে সফল হবেন না।এসকল মতবাদে বিশ্বাসী উইচদের হাতে পেলেই খ্রিষ্টান ক্ষমতাসীন সমাজে রাজারা কঠিন শাস্তি দিত, সেই সাথে ওদের এসোটেরিক ডগমাও উৎপাটিত হত। আরবরা অনেক দেরীতে গ্রীক ফিলসফি হাতে পায় এবং নিছক কৌতূহলপ্রবন হয়ে সেসবকে আরবিভাষায় অনুবাদ করে, ফলে আরবরা তথা মুসলিম বিশ্বে আলকেমির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ওয়াহদাতুল উজুদের জন্ম হয়, জন্ম হয় সুফি অকাল্টিজম বা ইসলামিক মিস্টিসিজম!

 যারাই কৌতূহল নিয়ে এতে একবার ঢোকে, নিকৃষ্ট কাফের হয়ে বের হয়, ওই মানের কুফরি ও শিরকি আকিদা, যা ফেরাউনও করেনি। মুসলিম এস্ট্রোনমারগন গ্রীক কস্মোলজিকে জ্ঞানের উৎস মনে করে গ্রহন করতে শুরু করে, ইসলামে সর্বপ্রথম স্ফেরিক্যাল আর্থ ঢুকে পড়ে। তখনও সেটা প্রতিষ্ঠিত নয়। ততদিনে রিফর্মেশন এজ চলে আসে, এই রেনেসাঁর যুগে খ্রিষ্টান মৌলবাদীদের এক অংশ দুর্বল হয়ে পড়ে, যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে চার্চ আর শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হয় এবং সেকুলারিজমের উন্মেষ ঘটে। সেইসাথে পশ্চিমে নেতিয়ে পড়া প্রাচীন প্যাগানিজম আবারো জাগ্রত হয়। উইচক্রাফট, সর্সারি, স্যাটানিজম বাড়তে থাকে, জেসুইট অর্ডার কস্মোলজিকে পাল্টে দেয়। জাদুবিদ্যার ধর্ম অর্থাৎ প্যাগান আধ্যাত্মবাদ আস্তে আস্তে আবারো শক্তি ফিরে পায়, এস্ট্রলজির প্রসার সমাজে বাড়তে থাকে।শয়তানের পূজারীরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দেশে সেসব অকাল্ট মিস্টিসিজম এর প্রসার শুরু করে। পশ্চিমারা  ইস্টার্ন মিস্টিসিজমকে সমৃদ্ধ আর প্রাচীন হিসেবে দেখে সেটাকেই গ্রীকের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় যার প্রভাবে ম্যাডাম হেলেনার থিওসফি গঠিত হয়, পরবর্তীতে ফ্রিম্যাসন, গোল্ডেন ডন, অর্দো টেম্পলি ওরিয়েন্টিস চলে আসে। এই প্যাগান শাখা প্রশাখা বেড়ে আজ নিউএজ মুভমেন্ট-কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম(কোয়ান্টাম ম্যাথড বাংলাদেশে) পর্যন্ত এসেছে। ইস্কনরাও সাথে আছে। এদের কমন কাল্ট রিচুয়ালের একটি হচ্ছে যোগধ্যান যা ওই গ্রীক প্যাগানিজমসহ সকল প্যাগান ডক্ট্রিনে ছিল।

এখন মোটামুটি ধর্মগুলোকে একীভূতকরনের সময় এসেছে, তাই কমনগ্রাউন্ড মেডিটেশনে সব মানুষকে ডাইভার্টের চেষ্টায় আছে এলিটরা। বাংলাদেশে এরই প্রেক্ষাপটে একবার যোগধ্যানের উপর ট্যাক্স আরোপ করেছিল সরকার,যাতে কুফরের জাহাজ কোয়ান্টাম ম্যাথড,ইস্কনরা আন্দোলনে নামে এবং জনগনের দৃষ্টি মেডিটেশন এর উপর পড়ে এবং এর ব্যপারে ভাবে। তখনই আমি প্রেডিক্ট করেছিলাম সরকারীভাবে খুব শীঘ্রই মেডিটেশন প্রচারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেটাই সত্য হলো।তাগুত সরকারের বিটিভি যোগধ্যানের প্রোগ্রাম চালু করেছে।
দেখুনঃ http://banglamail71.info/archives/5320

আশা করি সামনে ক্যাম্পেইন শুরু করবে অফলাইনে..।
এই আধ্যাত্মবাদের অনেক প্রাচীন গোড়াযুক্ত। সেটা সারাপৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল শয়তানের। এ স্বপ্ন পূরন করছে দাজ্জালের মাধ্যমে। এখন এস্ট্রলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ্যাকুরিয়াস এজ চালু হয়েছে। এই গোল্ডেন এজই ইবলিসের মতাদর্শকে পূর্নতাদানের শতাব্দি। এই মতাদর্শের পূর্নতাদানের জন্য একজন মাস্টারের বা ওয়ার্ল্ড টিচারের অপেক্ষা করছে এসোটেরিক এজেন্ডা, যাকে আমরা বলি দাজ্জাল।
ইসলাম শুরু থেকেই এই মতবাদের ভাইরাসকে কঠোর হাতে দমন করত, অতীতে এক কাব্বালিস্ট যাজকও জোড়পূর্বক শাস্তির ভয়ে মুসলিম হতে বাধ্য হয়। মানসুর হাল্লাজের কি হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি, ইবনে আরাবির ব্যপারে হক্কপন্থী উলামাগন ওই যুগেই কি বলতেন সেটা আমরা জানি। আজও ইসলামিক মিস্টিকদের(সুফিবাদিরা) কে, এর অনুসারীরা ছাড়া কেউই ভাল বলেনা। খ্রিষ্টান থেকে নস্টিসিস্টদের জন্ম। আর ক্যাথলিকরা এদের প্রতি সহনশীল, পশ্চিমে আজ খ্রিষ্টান ধর্মকেই বিভিন্নভাবে মডিফাই করে স্পিরিটিজমে ধাবিত করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ খ্রিষ্টানরা ইস্টার্ন মিস্টিসিজম গ্রহন করেছে। অনেক হাইব্রীড রিলিজিয়াস মুভমেন্ট গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ কাফের খ্রিষ্টানরা বড় কুফরিকে বেছে নিয়েছে এবং অপেক্ষা করছে ওদের শেষ বুদ্ধের!
.
আজ পৃথিবীর সর্বাধিক সমৃদ্ধ গুহ্যবাদ হচ্ছে ইস্টার্ন অকাল্টিজম বা ধর্মচক্রের রহস্যবাদ(যোগ-তন্ত্র), আমরা যারা এর ব্যাকগ্রাউন্ড খুব বেশি জানিনা তারা একে আপাতদৃষ্টিতে হিন্দুত্ববাদ বলে মনে করি। আসলটা সরাসরি শয়তান থেকে আসা। শুনলে অবাক হবেন, এল মোরিয়া আর খুতুমি নামের দুই শয়তান জ্বীন ম্যাডাম হেলেনার কাছে সর্বপ্রথম থিওসফিক্যাল(theo+Sophia= Divine/gods wisdom) ডক্ট্রিন নিয়ে আসে।

এখন বিশ্বব্যাপী রেজারেকশ্যনকে বাতিল করে রিইনকারনেশনকে প্রমোট করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটাই সবচেয়ে সাইন্টিফিক ভাবে ভ্যালিড। ডেভিয়েন্ট স্কলার ইমরান নযরও জানেন দাজ্জাল রিইনকারনেশনকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করবে( তার এক লেকচারে শুনেছিলাম)। এ মুহূর্তে পিউর মনোথেইজম বা তাওহীদের ধর্ম 'ইসলাম' হচ্ছে কুফফার তাগুতদের মিশন বাস্তবায়নে কাটা। বিভিন্নভাবে মোডারেট ইসলামিস্ট ব্যবহারের দ্বারা জিহাদিদেরকে জঙ্গি সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এবার সুফি/বেলেরভী/শিয়াদের সহায়তায় রিইনকারনেশন বা পুনঃজন্মবাদকে এস্ট্যাবলিশের কাজ চলছে। এক বেলেরভীদের  সাক্ষাৎকারে দেখেছি তারা রিইনকারনেশনকে ইতোমধ্যে ইসলামের আঙ্গিকে দ্বারা ভ্যালিড করেছে!! আশা রাখব, সামনে বিটিভি সহ তাদের এল্যাইরা মাঠপর্যায়ে রিইনকারনেশনের ভ্যালিডিটি আনয়নের জন্য সুফি বেরেলভীস্টদের থেকে সাহায্য আসবে। সমস্যা নেই, অনেক আগে থেকেই ওয়াহদাতুল উজুদ, হুলুল, ইত্তেহাদের আকিদা অনেকের মাঝে বিদ্যমান, সেটা আকড়ে ধরতে কষ্ট হবেনা।
নয়ন চ্যাটার্জি কিছু লিখেছিলেনঃ
https://m.facebook.com/story.php…

একটা দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমি বাংলা ভাষায় কাউকেই মিস্টিসিজম/অকাল্টিজম নিয়ে এক্সপোজ করতে দেখিনি। গুহ্যজ্ঞানবাদ নিয়ে কেন জানি কাউকেই চিন্তিত দেখি না, অথচ এই বাতেনিয়্যাহরাই দাজ্জাল এর দ্বীনের প্রতিনিধিত্ব করছে। শয়তানের মতাদর্শকে প্রকাশ্যে প্রচার করছে যা তাওহীদের বিপরীত!

লেখকঃ Al Imran

নাস্তিকতা এবং চিন্তার বিকৃতি

ফেইসবুকে হিন্দুত্ববাদ ও নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসন শিক্ষিত মুসলিম তরুনদেরকে বিচলিত করে। নাস্তিক্যবাদি শক্তি প্রতিনিয়ত তাদের অপবিজ্ঞান এর উপর ভর করে এমন সব প্রশ্ন করে ইসলামের যথার্থতায় প্রশ্ন তুলছে যা একবিংশ শতাব্দীতে শিক্ষিত অপবিজ্ঞানচর্চাক
ারী তরুন প্রজন্মের মনে সন্দেহের ছাপ সৃষ্টি করছে। এরূপ অবস্থার কারন এটাই যে,তারা অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান ভেবে স্বতঃসিদ্ধ সত্য হিসেবে গ্রহন করেছে। এরা একরকম মগজধোলাই এর স্বীকার যা থেকে বের হয়ে আসা খুব কঠিন।

এমতাবস্থায় একশ্রেণীর এপোলোজেটিক তরুন দাঁড়িয়ে গেছে নাস্তিক মুর্তাদদের মোকাবেলায় অপবিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি নির্ভর ইসলামিক পার্স্পেক্টিভে জবাবের জন্য। আমরা প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ নামের বইপত্র ছাপতেও দেখেছি। এখানে মূল ফিতনা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক সংকীর্ণতা দ্বারা রহমানের আয়াতের হিকমা জানা বা প্রকাশের ব্যর্থ চেষ্টা। ব্রেইনওয়াশড হবার জন্য এরা জানেই না এদের প্রাক্টিসড বিজ্ঞান আসলে আধ্যাত্মবাদ-রহস্যবাদ-গুহ্যবাদীদের দ্বারা তৈরি মিথ্যা আর প্রবঞ্চনার জাল। তাদের এহেন ব্রেইনওয়াশিং এর কারন প্রচলিত সমাজব্যবস্থার বিদ্যমান শিক্ষা,শাসন আর গ্লোবাল সাইন্টিজমের প্রমোশন। আর এরূপ গ্লোবাল প্রমোটিং এজন্যই হচ্ছে ও হবে, যেহেতু আমরা শেষযুগে চলে এসেছি। ইসলামে স্বীকৃত কুফরি বিজ্ঞান তথা এস্ট্রোলজিক্যাল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমরা Age of Aquarius এ প্রবেশ করেছি। অর্থাৎ বলা যায় সময়ের দিক দিয়ে দাজ্জাল বা মিথ্যা মসীহ থেকে আমরা মাত্র কয়েক বিঘত দূরত্বে অবস্থান করছি। স্বাভাবিকভাবেই এ সময়টায় সবকিছুতে এমনিই ভ্রান্তি প্রবঞ্চনার ফিতনা দ্বারা পরিপূর্ণ থাকবে।। আর এর ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মেইনস্ট্রিম সাইন্সকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আর যাদের হাত ধরে এটা এসেছে এরা সবাই ছিল সর্সারির মেকানিক্সের অনুসন্ধানকর্তা। Hermetic science এ ছিল এদের বিশ্বাস। পিথাগোরাস থেকে নিউটন, কেপলার-কোপার্নিকাস থেকে আইনস্টাইন! সবাই!! আর এর ধারাবাহিকতা এখনো জিইয়ে রেখেছেন মিচিও কাকু, নিল ডিগ্র‍্যাস টাইসন,ট্যারেন্স মেক্যান্না সবাই...! এই প্রাচীন থেকে বর্তমান সাইন্টিফিক কমিউনিটির এক বিপ্লবী অবদান হলো সর্সারী বা জাদুবিদ্যাকে 'সাইন্স' নামের মোড়কে ঢুকিয়ে আমপাবলিকের কাছে এনে চর্চার সুযোগ করে দেওয়া। আর এই মহা উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন সাধিত হয় রেনেসাঁ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে।

 ইসলামের সোনালী যুগে যারাই জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার নামে রসায়নের দিকে গিয়েছে তারাই আলকেমি বিদ্যায় মোক্ষলাভ করতে গিয়ে কুফরের রাস্তায় চলে গিয়েছিল, ইমাম গাজ্জালীর নাম শুনেছেন!!তেমনি যারাই বিজ্ঞানের মোড়কে আকাশ নিয়ে গবেষণা করেছে, তারাই কুফরি জ্যোর্তিবিদ্যায় নিজেদেরকে প্রবেশ করিয়েছে। চলে গেছে কুরআন সুন্নাহ ছেড়ে বহু দূরে।আর আরবে এই বিজ্ঞানের রিভাইভ্যাল আসে কৌতূহলের বসে নিষিদ্ধ গ্রীক কিতাবগুলোর আরবিতে অনুবাদের মাধ্যমে।। সেসব ছিল Hermetic order সম্বলিত গ্রন্থ।। এর উপরেই ভিত্তি করে জন্ম হুলুল ইত্তেহাদ-ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদা যা আজও দেওবন্দী-বেলেরভী-সুফি-শিয়াদের মধ্যে বিদ্যমান। পরে খ্রিষ্টানরা ইসলামের শাসন দুর্বল হয়ে পড়বার সময় নিষিদ্ধ জ্ঞানের কিতাব গুলো পেয়ে সাধনা শুরু করে, এবং তাদের মধ্যে Gnosticism এর জন্ম হয়। আপনি কি জানেন আজও সবধরনের জাদুর ক্ষেত্রে নিরক্ষর জাদুকররাও আংশিকভাবে হলেও hermetic principle ব্যবহার করেই করে। hermeticism ঠিক তাই যা Jewish kabbalah, Jewish kabbalah ঠিক তাই যা হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থে ইন্সক্রাইবড নিগূঢ় তত্ত্ব ,আর হিন্দুয়ানী মিস্টিক্যাল টিচিং ঠিক তাই যা সুফিরা মারেফতে শিক্ষা দেয়। ফ্যাক্ট হচ্ছে মিথ্যা মসীহ বা দাজ্জালও ঠিক একই ডক্ট্রিন ব্যবহার করে তার দ্বীনের দিকে মানুষকে আহব্বান করবে। সারা বিশ্বকে One world religion এর দিকে আহব্বান করবে। ইতোমধ্যে শুরুও করেছে। বিটিভিতে কি যোগাসন শিক্ষার প্রোগ্রাম চালু হয় নি! কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপরে গড়ে ওঠা কোয়ান্টাম ম্যাথডে কি অনেক মানুষ ভীড় করতে দেখেন নি? অনেক মানুষ ইতোমধ্যে কোন না কোনভাবে ভিড়ে গেছে, কিন্তু, তারা ব্যতিত যারা তাওহীদের সৈনিক।।

বর্তমান বিজ্ঞানীরা আজ mysticism এর উপর জন্মানো সাইন্স merge করে ফেলছেন মিস্টিক্যাল টিচিং এর সাথে। বস্তুত এটাই প্রত্যাশিত ছিল।। টাইসন থেকে কাকু কেউ বাদ দিচ্ছেন না।
আপনি অবিশ্বাস করছেন কি, যে হার্মিস ট্রিস্ম্যাজেস্টিসের সর্সারির প্রিন্সিপ্যাল সর্বত্র ছেয়ে আছে! চেয়ে দেখুন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর সিম্বলে হার্মিসের স্ট্যাফ আছে। তেমনি আছে বানিজ্যের সিম্বলে। সাইন্টিফিক ডক্ট্রিন গুলোর বেজ তার অপবিদ্যার উপরে দাঁড়িয়ে তাই হয়ত সিম্বল দ্বারা ডিস্টিংগুইশ করেনি। যোগ বা ইয়োগায় কুণ্ডলীনী শক্তিকে জাগ্রত করলে মেরুদন্ডে সেই হার্মিসেরই সর্পিল যষ্টিই দেখায় এসোটেরিস্টরা। এগুলো এমনই বিষয় যা সম্পর্কে খুব কম মানুষই অবহিত। মুসলিমরা তো একরকমের ঘুমন্ত।

অতঃপর, আপনিই বলুন, কত বড় ফিতনা হতে পারে, যখন কুরআন সুন্নাহর অমোঘ সত্য বানীকে কিছু অলীক অপর্যবেক্ষনযোগ্য ম্যাজিক্যাল সুডো বৈজ্ঞানিক নীতি দ্বারা জাস্টিফাই করা হয়।।
এই দূষিত চিন্তাই বহন করে ছড়াচ্ছে মডার্নিস্ট মুসলিমগুলো। আপনি যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন, "কোন বিষয়টি তাদেরকে প্রচলিত বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে বা ভিত্তি করে কুরআন সুন্নাহর দলিলগুলোকে জাস্টিফাই করতে বাধ্য করে?"। তাদের কাছে উত্তর পাবেন না। অথচ কুরআন সুন্নাহই হচ্ছে Sole truth! কুরআন সুন্নাহই সত্যমিথ্যার মাপকাঠি। বুঝতেই পারছেন, তাদের কাছেই এটা সত্যামিথ্যা যাচাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড না, যাদের হৃদয়ে ব্যাধি আছে। এদের কারো কারো হৃদয়ের ব্যাধি দুরারোগ্য। এতই ক্ষত যে এরা মুফাসসীরীনদের তাফসীরের তোয়াক্কাই করেনা, সাহাবা বা সালাফের ব্যাখ্যা তো দূরে থাক। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ!

নাস্তিকদের ভাইরাস আজ আংশিকভাবে মুসলিম এপোলোজিস্টদের মধ্যেও বিরাজ করতে শুরু করেছে, এরাও সব কিছুকে যুক্তি দ্বারা বিচার করতে চায়।বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি। যদি রিয়েলিটির সাথে নাও মেলে তারা যুক্তিভিত্তিক কোনকিছুর ব্যাখ্যা পেলে সেটাকে গ্রহন করে। আবার কোন সত্য বিষয়ের কোন যৌক্তিক ব্যাখ্যা না পেলে সেটাকে বর্জন করতে চেষ্টা করে,অথবা অপবৈজ্ঞানিক মনগড়া থিওরি-ম্যাথের অনুসন্ধান করে!

যেমন ধরুন কুরআনিক কস্মোলজি। যা অপবিজ্ঞানের বিপরীতে। কুরআনের সরল বর্ননাকে তারা তাদের অপবিজ্ঞানের মতবাদে কনভার্ট করতে আয়াতের শব্দ গুলোর বুৎপত্তিগত স্তরে গিয়ে দূরবর্তী অর্থ বা সম্পর্কিত কোন বিষয়কে গ্রহন করে তাকে ব্যবহার করে এবং সরাসরি অর্থ বানায়। যেমন, মডার্ন ডিজুস প্রফেট দাবিকারী মুর্তাদ রাশাদ খলিফা থেকে নেওয়া 'দাহাহা' শব্দটিকে উটপাখির ডিমে রূপান্তর। ৩৬:৪০ নং আয়াতে 'ফালাক্ক' শব্দ দ্বারা বোঝানো যে পৃথিবী স্ফেরিক্যাল এবং এই আয়াতের 'কুল্লুন' শব্দ দ্বারা পৃথিবীকেও আবর্তন করানো! তেমনি সলিড গম্বুজাকৃতি আসমানকে এবং সাত স্তরকে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলোকে রিফার করা! ইন্নালিল্লাহ! এরকম অজস্র...অর্থাৎ, যেভাবে হোক অপব্যাখ্যা করে হোক বা মিথ্যাচার করে হোক, অপবিজ্ঞানের সাথে মেলাতেই হবে!!

যখন আমরা তাদের সামনে রহমানের সুস্পষ্ট আয়াত পেশ করি এবং সাহাবা ও মুফাসসিরীনগনের তাফসীর উপস্থাপন করি, তারা তা অগ্রহণযোগ্য বলতে চেষ্টা করে। আমাদের কাছে মহান রবের সুস্পষ্ট অপরিবর্তনীয় আয়াত আছে, আমাদের কাছে আছে পর্যবেক্ষনযোগ্য বাস্তবজগতের প্রমান যা রহমানের কালামকে সত্যায়ন করে। যেহেতু আমরা গায়েবের সকল বিষয়কে যুক্তি ও আন্দাজ দ্বারা ব্যাখ্যা করি না বা প্রচার করি না তাই ব্যাখ্যাতীত বিষয়গুলোর দুনিয়াবি অলীক ব্যাখ্যা না পেয়ে মডার্ন ইসলামিস্টরা তাকে অগ্রহণযোগ্য এবং অসম্পূর্ণ আখ্যা দিয়ে অগ্রাহ্য করে। যেমন- ধরুন সূর্য-চন্দ্রগ্রহন যা মহান রবের এক মহিমান্বিত নিদর্শন। অতঃপর ব্যাধিগ্রস্তরা প্রত্যাবর্তন করে তারই পানে যা থেকে আল্লাহ ও রাসূল(সাঃ) দূরে থাকতে বলেছেন। বস্তুত, এদের ঈমানের চেয়ে যুক্তিনির্ভরতাই বেশি! মা'আযাল্লাহ!

ফিতনা ওইপর্যন্ত শেষ হলেই ভাল হত। সেদিন দেখলাম এদের একজন কুরআনের সত্যতাকে এফার্ম করতে গিয়ে শয়তানি নিউমেরোলজিক্যাল আইডিয়া ব্যবহার করে বলছে টুইনটাওয়ার ধ্বংসের কথাও নাকি কুরআনে আছে। আরেকজন অকাল্টিজমের বাইপ্রডাক্ট প্যারালাল ইউনিভার্সকে ইসলাম দ্বারা সত্যায়ন করছে! আরেকজনকে দেখেছি মিচিওকাকুকে আস্তিক হিরো বানাচ্ছে(মা'আযাল্লাহ)। হকিং কে ডাবাচ্ছে!!

এভাবেই এই 'শিক্ষিত' মূর্খগুলো মহিমান্বিত Final Revelation কে সস্তা কিছুতে পরিনত করছে নিজেদের অজান্তেই!

অথচ আল্লাহ সূরাতুল বাকারার প্রথম দিকেই বলেনঃ
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
02
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য,
الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
03
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে"

সুতরাং ইসলামের বিষয়বস্তু গায়েবে বিশ্বাসীদের জন্য। যুক্তিবাদীদের 'অপবিদ্যার যুক্তির নিরিখ উত্তীর্ণ বিষয়ে' বিশ্বাসীদের জন্য না। মু'মিন মাত্রই আল্লাহ ও রাসূল(স) থেকে যে ইলম প্রাপ্ত হয়েছে তা শুনলো এবং মানলো। তারা মান্য করতে ভেতরের হেকমত/যুক্তি অনুসন্ধানের অপেক্ষা করেনা।। আল্লাহ তার পবিত্র কালামে মাজীদে ইরশাদ করেছেনঃ
وَاذْكُرُواْ نِعْمَةَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُم بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা তোমাদের কাছ থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলেঃ আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন(সূরা মায়িদা-৭)

إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِينَ إِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَن يَقُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম(আন নূর-৫১)

মডার্ন ইসলামিস্টদের নিজেদের আইডিওলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড অন্যান্য বিষয়েও অভিন্ন। নাস্তিক মুর্তাদরা যখন বাল্যবিবাহ, দাসদাসীপ্রথা,কিতাল-জিহাদের দিকে আঙ্গুল তোলে।। এরা যেন লজ্জিত হীন হয়ে বলতে থাকে, 'না আমরা পিষ্ফুল মুস্লিম,আমরা জঙ্গী না,জঙ্গীরা ইসলামের শত্রু,ইসলামে দাসদাসী প্রথা নেই কক্ষনো, এসব বার্বারিক ট্রেডিশনকে সাপোর্ট করেনা, কক্ষনো বাল্যবিবাহ সাপোর্ট করেনা।"

অতএব,এদের ইন্টেলেকচুয়াল পল্যুশনের ব্যপারে সাবধান থাকুন। প্রায় নিকটবর্তী বিষয়টিতে দরদমাখা কন্ঠে চমৎকার বয়ান করেছেন আমাদের অন্যতম প্রিয় শায়খ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ(তাকে FE ভাববেন না)। শুনবার দাওয়াত রইলো-
https://m.youtube.com/watch?v=i2JeFztgLug

সুফিবাদ এবং কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিটি

ওয়ান আই এজেন্ডার লক্ষ্য বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা হচ্ছে সকল ধর্ম এবং আদর্শগত দর্শনসমূহকে একিভূত করা। এজন্য তাদের প্র‍য়োজন ছিল একটি কমনগ্রাউন্ড প্রতিষ্ঠা। এজন্য তারা পূর্বে হিউম্যানিজম বা মানবধর্মকে এথিস্টিক প্লটে প্রচার করত। একই ভাবে হিউম্যানিজম এর অপর পিঠে স্পিরিচুয়ালিজম/স্পিরিটিজমের প্রচার করে থেইস্টিক প্লটে।

এদের উভয়ের বক্তব্য একই। ওরা বলে 'সবার উপর মানব সত্য তাহার উপর নাই'!
এ কথা হিউম্যানিজমের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক ডক্ট্রিনের সাচে বসে গেছে। আবার একইভাবে স্পিরিচুয়াল মিনিংয়েও দেহতাত্ত্বিক দর্শনের দ্বারা 'মানুষ'কেই স্রষ্টার আসনে বসিয়ে একই দর্শন প্রচার করছে।ওরাও নিজেদেরকে হিউম্যানিস্ট বলে প্রচার করছে।

রিলিজিয়াস সেক্টরে স্পিরিচুয়ালিস্টিক অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মগুলো থেকে অর্থোডক্স ডগমাগুলো মুছে ফেলতে হবে। এজন্য সব ধর্মের প্রাচীন হেরেটিক মিস্টিক্যাল স্থান গুলোকে প্রমোট করে ধর্মগুলোর অর্থোডক্স রূপটাকে পূর্নভাবে উৎখাত করার কাজ চলছে। আর সে দায়িত্বটা নিয়েছে কাব্বালিস্ট,নস্টিক,সুফিস্টরা। যখন ধর্মগুলো পুরোপুরি মিস্টিক্যাল ডক্ট্রিন দিয়ে করাপ্ট হবে, তখন কোন এক গ্লোবাল রিলিজিয়াস মার্জার এসে সব ধর্মগুলোকে একসুতোয় গেঁথে ফেলবে।

একত্ববাদী(তাওহীদের) দ্বীন ইসলামে আউটসাইডার ভাইরাস সর্বেশ্বরবাদী(মনিজম-ওয়াহদাতুল উজুদ/ইত্তেহাদ) আকিদার সুফিবাদ(মিস্টিক্যাল স্কুল) এখন সরকারি বেসরকারি সর্বত্রই পরম পূজনীয়। ইলেক্ট্রনিক বলুন আর প্রিন্ট মিডিয়া বলুন সর্বত্রই এর খুব ফোকাস করা হচ্ছে। আর একত্ববাদ তথা তাওহীদকে আইসোলেটে করে দিতে পরোক্ষভাবে বলা হচ্ছে একত্ববাদী চেতনা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক চেতনা বহন করে। কারন তাওহীদের প্রথম শর্তই(রোকন) কুফর বিত তাগুত। অর্থাৎ তাগুতের সাথে কুফরি। আর তাগুতকে কুফর করলে তারা আপনাকে জঙ্গী বলবেই। সন্দেহহীন।।

সুফি মিষ্টিসিজম এজন্যই কাফেরদের কাছে ভাল, কারন কোন মানুষ যখন সর্বেশ্বরবাদী এই আকিদা অন্তরে লালন করে তখন যেকোন নোংরা অথবা অনৈতিক কাজকেও তেমনকিছু মনে করবে না। কারন, তাদের চিন্তা অনুযায়ী সবই সৃষ্টিকর্তার অংশ অতএব, যে যাই করুক না কেন তাতে কোন সমস্যা নেই। স্রষ্টাই করছেন।সবকিছুই ডিভাইন। এদের মধ্যে একারনে পবিত্রতা-অপবিত্রতার কোন ব্যারিয়ার নেই।  মনে নেই? যখন পীর সাহেব পতিতালয়ে সুন্দরী পতিতার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা পোষন করেন তখন ঐ নারী ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের জন্য অসম্মত হয়, তখন পীরছাহেব ঐ নারীর লজ্জা ভাঙ্গতে তার পতিতাবৃত্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেন 'করনে ওয়ালা কন আর করানে ওয়ালা কন....' এজন্যই সকল কুফরি কাজ, পাপাচারীতা ও কুফরি আকিদার ব্যপারে এরা মৌন অবস্থানে থাকে, এর কোন বিরোধিতা করে না।সকল ধর্মের বিশ্বাসের ব্যপারে সহনশীল থাকে।  আর এটাই তাগুত শাসকগোষ্ঠী চায়। ওয়াহদাতুল উজুদ বা এক অস্তিত্বের বিশ্বাসে ধর্মগুলোর সাম্প্রদায়িকতা/অসহিষ্ণুতা নিতান্তই অবান্তর। এজন্য ওরাও কঠোর জঙ্গী/মৌলবাদবিরোধী। এরা শরী'আকে ঘৃনা করে নিয়মনীতি বিধিনিষেধের জন্য। এজন্য শয়তানি চিন্তা ও আকিদাকে মারেফতের জ্ঞান বলে চালাচ্ছে।

একচক্ষুবিশিষ্ট ঐ নেতার(দাজ্জাল) আগমনের অপেক্ষমানদের আশা, একদিন একত্ববাদীদের একঘরে করে দেওয়া হবে।তার পরে তাদের এ্যনিহিলেট করে ওমঃশান্তি প্রতিষ্ঠায় একোনমিক্যাল মুভমেন্ট এর আদলে ইউনাইটেড রিলিজিয়ন প্রতিষ্ঠা করবে ইউনাইটেড ন্যাশনের ছত্রছায়ায়। ওদের প্ল্যানমাফিক এখন পর্যন্ত সাফল্য দেখা যাচ্ছে। তাওহীদপন্থীদের জঙ্গী নাম দিয়ে একঘরে করা হয়েছে। এখন তাদের কাউকে হত্যা করলে অন্য কথিত মুসলিমরাও 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে!

আপনারা কি টেলিভিশন এর সব চ্যানেলে বাউলদের রিভাইভ্যাল দেখছেন না? এদের প্রোমোট করার কারন স্পিরিচুয়াল-এসোটেরিক শয়তানি দর্শন। ওরা নিজেদেরকে মানবধর্মাবলম্বী দাবি করে। শুধু তাই না একই দাবী করে প্রজ্ঞাবান বেরেলভীস্টরাও। দেওবন্দের এক বিরাট মুজাদ্দিদ খ্যাত জনৈক ছাহেবের গ্রান্ডসনও এ দাবি করতে ছাড়েননি।

  মেডিটেশন, রেইকি, বাই নিউর‍্যাল বিট, তৃতীয় নয়ন জাগরন ইত্যাদি এখন এনলাইটমেন্ট এর রাস্তা! এগুলো নাকি সাইকিক এ্যবিলিটি তৈরি করে! বিজ্ঞাপনগুলোও এসবে উৎসাহ দিচ্ছে। শিক্ষিত কর্পোরেট ব্রো-সিসরা এখন এটাকে ট্রেন্ড/ফ্যাশন আর আধুনিকতা হিসেবে দেখছে। ইয়োগা কোর্স করছে, এগুলো তাদের সাইকোলজিক্যাল স্ট্রেসমুক্ত করছে।সেদিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপনেও দেখলাম ইয়োগাকে প্রমোট করছে।  কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর কথা কি আর বলব! মহাজাতক সাহেব প্রকাশ্যে ফ্রিকিক দিয়েই যাচ্ছেন। সারিকার মত অভিনেত্রীরাও সেখানে গিয়ে বলছে কোয়ান্টাম ম্যাথড আমার আস্তানা! একটি রেডিও চ্যানেল আগে চেপে চেপে প্রোগ্রামে এই গ্লোবাল মতাদর্শ নিয়ে প্রচার করত। এখন শুনলাম ৫০০ টাকা টিকিটে রেইকি ট্রেনিং ক্যাম্পিং শুরু করেছে।

জাতিসংঘ এত দিন চুপিচুপি গ্লোবাল স্পিরিচুয়াল এয়োয়াকেনিংয়ের ফান্ডিং করে যাচ্ছিল। এবার শুধুই প্রতীক্ষা... কবে যেন ইউনাইটেড ন্যাশনের ন্যায় ইউনাইটেড রিলিজিয়নের জন্য বিশ্ববাসীকে আহব্বান করা হয়। হয়ত একচোখ ওয়ালা গুরু বের হবার পরে নিজেকে মা'বুদ দাবীর পরে। অবশ্য মিলিয়ন-বিলিয়ন লোক  এখনই তাকে প্রকাশ্যে পূজো দিচ্ছে। ফাইনাল অবতার আসছে। বেঞ্জামিন ক্রিম, এলিস বেইলি, হেলেনা ব্লাভাস্তস্কিদের দেখেন নি, ওয়ার্ল্ড টিচারের আগমনের প্রতীক্ষার বিষয়টি বলতে?

ইল্যুমিনাতি আপনার আমার পাশেই

Illuminati প্রধান লক্ষ্য 'নোভাস অর্দো সেকলোরাম'(ডলার বিলের উপরে আই অব প্রভিডেন্স বা ওয়ান আই এর নিচে দেখুন) অর্থাৎ নতুন ধর্মনিরপেক্ষ(সেকুলার) আইন(নতুন মেসিয়্যানিক যুগের আইনও বলা হয়) এর ছায়াতলে ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট গঠন। ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট বলতে বোঝায় সারা পৃথিবীর সকল দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে সীমানা একাকার করে সারা বিশ্বকে একটি সরকার ব্যবস্থার কর্তৃত্বে আসা। এ মহান লক্ষ্যটাকেই নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বলে। এ মহাপরিপল্পনার কথা মার্কিনপ্রেসিডেন্টদের মুখেই একাধিকবার বেশ গর্বের সাথে এসেছে। এর বাস্তব ভিডিও প্রমানও রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ গঠন এ উদ্দেশ্যেই হয়েছিল বিল্ডারবার্গ ফ্যামিলি কর্তৃক। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রত্যেক রাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক সরকার ব্যবস্থা,স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষাব্যবস্থা, চাকুরী, ব্যবসায়-বানিজ্য,ধর্মসহ অন্যান্য প্রতিটা ক্ষেত্রকে এক চোখের ছায়াতলে আনবার কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে বহু আগে থেকেই। প্রায় প্রত্যেক সেক্টর 'নতুন ধর্মনিরপেক্ষ নীতি'র নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে। এই লক্ষ্যে হাজারও প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে কাজ করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘকে প্রি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বলা যেতে পারে। আর জাতি সংঘের অঙ্গ সংগঠন গুলো তো আছেই। খুব জোড় গতিতে আগুয়ান একটি অর্গানাইজেশন এর নাম 'এজেন্ডা ২১' সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল(goal)।

 আমাদের দেশে আঞ্চলিক নাম ভিশন ২১। এজেন্ডা একুশের একুশ শতকের চেতনা সরকারি খাত সমূহে ডিসিশনাল ইন্টারফেয়ার করবার ক্ষমতা রাখে।এর কারন সকল পলিটিক্যাল ম্যানিপুলেশন এদের থেকেই ফিল্টার্ড হয়ে আসে। অর্থনীতি, খাদ্য, চিকিৎসা,জনসংখ্যা খাতে এজেন্ডা ২১ এর স্পেশাল কন্সেন্ট্রেশন। হাইব্রিড জেনেটিক মডিফাইড বীজের সরবরাহ,টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা বা ফ্যামিলি প্ল্যানিং,ফ্লোরাইডেশন,এনজিও সহ জানা অজানা অনেক খাত সর্বত্র এজেন্ডা ২১ এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভিশন ২১ বা এজেন্ডা ২১ এর মৌলিক লক্ষ্য হচ্ছে sustainable goal. সেই গোল হচ্ছে জনসংখ্যা ৯০% এর উপরে ইলিমিনেট করে একটি স্বপ্নরাজ্য বা ইউটোপিয়া প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা। যেটাকে ভেনাস প্রজেক্ট বলে। ভেনাস প্রজেক্টের জন্য কর্মরত আছে zeitgeist movement। রিসেন্টলি তারা আত্মপ্রকাশ করেছে। এজেন্ডা ২১ সংগঠনটি ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ একটি হলুদ বইতে প্রস্তাবনা রিলিজ করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করায়। এজেন্ডা একুশের সাথে সম্পৃক্ত CNN এর মালিক টেড টার্নারকে একবার সাক্ষাতকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন ৯০% এর বেশি গ্লোবাল পপুলেশন ইলিমিনেট(বাদ দেওয়া) করার চিন্তা করা হয়, তাতে তিনি রেগে উত্তর দেন আমাদের(পৃথিবীর) জনসংখ্যা অতিরিক্ত।

তাদের স্বপ্ন রাজ্য এরূপ যে তা বিরাট এলাকাজুড়ে ১১ টি ডিস্ট্রিক্ট এ বিভক্ত,সে ল্যন্ড অত্যন্ত সিকিউরড বেষ্টনীতে ঘেরা। এর ভেতর সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে স্বপ্নময় জগৎ যেখানে প্রাকৃতিক রিসোর্সের কৃত্রিম ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রযুক্তিভিত্তিক রাজ্যেকে বোঝাতে জাইকাইস্ট মুভমেন্ট টেক্নোক্রেসি শব্দ ব্যবহার করত। আর অবিনশ্বর জীবনের কামনায় চীর অমরত্ব দিতে কাজ করছে অনেক গুলো ট্রান্সহিউম্যানিস্টিক অর্গানাইজেশন। ট্রান্সহিউম্যানিজম হচ্ছে হিউম্যান এবং টেক্নোলজির কম্বিনেশন ঘটিয়ে শারীরিক সীমাবদ্ধতা দূরকরনের প্র‍য়াস। ওদের লক্ষ্য সিঙ্গুলারিটিতে পৌছানো। এখন পর্যন্ত ছোট খাট অর্গানে ম্যান-মেশিন কম্বাইন করার দাবি পাওয়া গেছে। নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারে বিশ্বশাসন ব্যাবস্থার কন্সটিটিউশন বা সংবিধান হচ্ছে প্লেটোর আদর্শ পরিবার দর্শন এবং কমিউনিস্ট সোশ্যালিজম এর কম্বাইন্ড সংবিধান। দুটি শ্রেনী থাকবে। মানুষের মধ্যে দু শ্রেনী থাকবে। এর একটি এলিটদের যারা শুধু কমান্ড এবং ভোগ করবে। আরেকটা শ্রেনী শ্রমিক-পরীক্ষাগারের গিনিপিগ ইত্যাদি অবস্থায় থাকবে।তো এই ধর্ম নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থায় প্রধান ও শীর্ষে থাকবে একজন মহামান্য ওয়ার্ল্ড লিডার। তিনি জিউইস মিসায়াহ, মুসলিমরা দাজ্জাল বলে, এন্টি ক্রাইস্ট বলে খ্রিষ্টানরা, হিন্দুদের কল্কিগুরু, বৈষ্ণব ধর্মের ইস্কনের(ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস) লর্ড কৃষ্ণ, বৌদ্ধদের মৈত্রেয় বুদ্ধ,তিব্বতীয় বৌদ্ধদের রুদ্রচক্রী,থিওসফিস্ট/মিস্টিক্স/স্পিরিচুয়ালিস্টদের ওয়ার্ল্ড টিচার বা এসেন্ডেড মাস্টার। দ্য আই অব প্রভিডেন্স বা ডলারের পিরামিডের উপর এক চক্ষু যার উপর লেখা 'ইন গড উই ট্রাস্ট' সে গডের একচোখ দ্বারা দাজ্জালকে সিম্বলিক্যাললি সিগনিফাই করা হয়। পিরামিড ক্ষমতার হায়ারার্কির তাৎপর্য বহন করে। ক্ষমতার সবচেয়ে নীচে আছে সরকার ও তার মাঠপর্যায়ের কর্মী সমর্থক এবং নানান এঞ্জিও কর্মীরা যাদের সংখ্যা অনেক। এজন্য ক্ষমতার চেইনে সবচেয়ে নীচে এবং বড় সংখ্যা বা পোক্ত শিকড় বোঝাতে পিরামিড এর নিচটা সবচেয়ে মোটা। যত উপরে তত পিরামিড সরু হয়, মানে ক্ষমতার চেইন অল্প কিছু মানুষের মধ্যে কেন্দ্রিভূত এবং সবার উপরে একচোখ দ্বারা দাজ্জালকে সর্বময় ক্ষমতার শীর্ষে বোঝানো হয়। ব্যাংক ও অর্থনীতি ব্যবস্থা এই অল সিইং আই দ্বারা যে গডকে বোঝায় তার উপর বিশ্বাস করে অর্থাৎ রব হিসেবে স্বীকার করে, তাই ডলার বিলে এমনটা দেখছেন।

সারাপৃথিবীর সকল দেশের সরকার এই একচোখের প্রভূত্ব মেনে নিয়েছে। কিছু দেশ উপরে উপরে ভাল সেজে ওদের গোলামী করেও উপরে উপরে ভাল সাজবার জন্য নাটক বিভিন্ন নাটক করে। মূলত জাতিসংঘের সকল সদস্যই দাজ্জালের প্রভুত্ব নিয়ে নিয়েছে। আর অন্তিম মুহূর্তে ইল্যুমিনাতির এজেন্ডা ২১ এর প্রিফার্ড রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানো হয়েছে কন্ডিশনিং এর জন্য। যারা যতই ধর্মনিরপেক্ষ(secularist) ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে তারা ততই Novus ordo seculorum প্রতিষ্ঠায় বেশি কার্যকর। এজন্য দেশে দেশে পলিটিকাল ফিল্ডে সেকুলারিস্ট পার্টির জয়জয়কার। আমাদের দেশে কারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলে?

দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে ইল্যুমিনাতির মিশন বাস্তবায়নে প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এজন্য আমরা সে মহামিশন বাস্তবায়নে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুখে ভিশন টুয়েন্টি ওয়ানেরও(Agenda 21) কথা শুনি।

ধর্মবিশ্বাস দাজ্জালের চেতনা বাস্তবায়নে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর এর মধ্যে প্রধান অন্তরায় ইসলাম। অন্য ধর্মগুলোকে কোন না কোন ভাবে দাজ্জালের দিকে ডাইভার্ট করা গেলেও ইসলাম এ ব্যপারে ঘাড়ত্যাড়া। এ সমস্যা সমাধানে ইসলামের মধ্যে অনেক আগে থেকেই ডিভাইড এন্ড রূল ট্র‍্যাটেজি পালন করে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। সেই সাথে র‍্যান্ড কর্পোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত ইসলামিক মডারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেটা একটা ডিজবিলিভার কম্প্রোমাইজড ইজলাম। ইয়ে মানে মোডারেট মোজলেম। তারা তাগুত বায়াস্ট সহীহ আকিদা প্রচারের দ্বারা মোডারেট বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে। এছাড়াও সুফিপন্থী(মিস্টিক্স/মিস্টিসিজম) মতাদর্শগুলোও সরকার ও তাগুত বান্ধব করা হয়েছে। মোডারেট স্কলার মোজাফফর বিন মুহসীন বলেছিলেন দেশরত্ন মাইজভাণ্ডারী পীরের মুরিদ। মোডারেটরা সুফিদের বিরুদ্ধে লেগে থেকে ডিভাইড এন্ড রুল স্ট্র‍্যাটেজির বাস্তবতা দেখিয়ে দিয়েছে। আর সহিহ কম্প্রোমাইজড মোজলেম এবং সুফি mysticism এর সাথে থাকা সকল বিদাতিরা একযোগে কুফফারদের সাথে গলা মিলিয়ে অর্থোডক্স ইসলামিস্টদের বলছে টেরিরিস্ট। অথচ এরাই নবী(সা) এর পূর্ন অনুসরন করছে। কিন্তু মোডারেটদের কাছে এরা ঢালাও খারেজী। আমি সব মোডারেটদের কাফেরদের দালাল বলছিনা কিন্তু তারা অনেকেই নিজেদের অজান্তেই কাফেরদের বানানো ফাদে পড়ে আছে। নিজেদের অজান্তেই ওদের দালালি করছে। কাফেরদের কাজ সহজ করে দিচ্ছে।আর সরলপথের বান্দাদেরকে আইসোলেট করে দেওয়া হচ্ছে সব স্থান থেকে।

ইল্যুমিনাতির আল্টিমেট ধর্ম বিরোধী ফাদ হচ্ছে স্পিরিচুয়ালিজমের নামে সব ধর্মগুলোকে একিভূত করা। দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আধ্যাত্মবাদ আর অকাল্ট মিস্টিসিজম এর বিরুদ্ধে কারও লেখনী পাই নি। কাফেররা ইস্টার্ন মিস্টিসিজমকে পছন্দ করেছে। অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদী আধ্যাত্মিকতা যার জন্য ইল্যুমিনাতি আর্টিস্ট রে অব লাইট ম্যাডোনার মিউজিক ভিডিওতে তার হাতে 'ঔঁ 'কে কালজাদুবিদ্যার মূল ফাউন্ডেশন হিসেবে বুঝিয়েছে। থিওসফিস্টরাও এ ব্যপারে একমত। সেই সাথে নিউ এজ মুভমেন্ট। আমাদের দেশে সাফল্যের সাথে কোয়ান্টাম ম্যাথড কাজ করে চলছে, তাদেরই শাখা হিসেবে। সুফিবাদও প্রোমোট হচ্ছে সরকারের ছত্রছায়ায়। আধ্যাত্মবাদের প্রসারে জাতিসংঘ প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কিছু ইয়োগা প্রতিষ্ঠানকে এমনকি আর্থিক সাহায্যও করে যাচ্ছে বলে অনেক তথ্যপ্রমাণ আছে। URI, একোনমিক্যাল মুভমেন্ট সহ অনেক ভাবে চলছে ধর্মের বেড়াজাল ভেঙ্গে ওয়াহদাতুল উজুদের(Monism) দ্বারা একাকার করে দেওয়ার। আর আধ্যাত্মিক মহান নেতার অপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনি ওই একচোখওয়ালা গুরু ছাড়া আর কেউ নন। সম্প্রতি এবিসি রেডিওতে কিব্রিয়া সরকার এবং রেজা সাহেব নামের দুজন স্পিরিচুয়াল এয়োয়াকেনিং এর জন্য কাজ করে চলছেন অজানা স্পিরিচুয়াল ব্রাঞ্চের উপর ডিপেন্ড করে। এখন এদেশে এডভারটাইজ গুলোও ইয়োগা মেডিটেশনকে আধুনিক প্রাকটিস হিসেবে দেখাচ্ছে।

এভাবেই আমাদের আশেপাশে দাজ্জালের অনুসারীরা রয়েছে এবং নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছে।। ওদের কার্যক্রমের উদাহরণ এরূপ যে কোন এক রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব হবে বলে কোন এক এলাকার সমর্থক পক্ষ তাকে বরন করে নেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্টেজ, প্যান্ডেল, ব্যান্ডবাদক, ফুল দ্বারা বরনের নানা আয়োজন। এখানে ওই রাজনৈতিক নেতাকে দাজ্জাল হিসেবে ধরুন এবং তার বরন আয়োজকরা তার আবির্ভাবের পরিবেশ সৃষ্টিকারী অনুসারী।

ইসলামও নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার ঘটাবে-
শুধু এক সরকারি কেন্দ্রিক বিশ্ব শাসনব্যবস্থা যে শুধু দাজ্জাল করতে চাচ্ছে তা না, সেটা আল্লাহরও সর্বকালীন নির্দেশ।। আল্লাহ বলেন।

"আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা"[২:১৯৩]

আর এই মহিমান্বিত হুকুম পালন করে যাচ্ছে একদল মুজাহিদ যারা সর্বযুগেই বিদ্যমান।
মুগীরা ইব্‌ন শু’বাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা বিজয়ী থাকবে। এমনকি যখন ক্বিয়ামত আসবে তখনও তারা বিজয়ী থাকবে। (৭৩১১, ৭৪৫৯, মুসলিম ৩৩/৫৩, হাঃ ১৯২১) (আ.প্র. ৩৩৬৯, ই.ফা. ৩৩৭৬)

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৬৪০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

এ দলটি আজও আছে যাদের আমরা জঙ্গী নামে জানি। কাফেরদের মিডিয়া আমাদেরকে তাদের সন্ত্রাসী ডাকতে শেখায়।।এই দলটি ঈমাম মাহদী এবং অবশেষে ঈসা (আ) এর সাথে যুক্ত হয়ে দ্বীনকে বিজিত করবে এবং ওই আয়াতের হুকুমের পরিপূর্নতা দান করবে।এবং ইসলামের দ্বারাই ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট গঠিত হবে যা হবে শান্তির। তখনই মানুষ জানবে ইসলাম মানে সত্যিই শান্তি। দাজ্জাল লাঞ্ছনাজনক ভাবে খুন হবে ঈসা রুহুল্লাহর বর্শার আঘাতে। তাগুতি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার পরাভূত হবে। বিইযনিল্লাহ
...........................................................................
সুতরাং সকল তন্ত্র মন্ত্র ভুলে আসুন তাওহীদের কাল পতাকার ছায়াতলে। গুরাবাদের সাথী হউন।

'ল অব এট্র‍্যাকশ্যন: Law of attraction

'ল অব এট্র‍্যাকশ্যন: Law of attraction

অনিবার্যভাবে আজ একটা বৈপ্লবিক চেতনার ব্যপারে আলোচনা করতে হচ্ছে। সারা পৃথিবীর সক্রিয় এসোটেরিক এজেন্ডা(বাতেনীয়্যাহ গোষ্ঠী) বর্তমান সময়ে একটি আকিদা বা বিশ্বাসকে অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে মাঠে নিয়ে নেমেছে। যার নাম দিয়েছে 'ল অব এট্রাকশন' বা আকর্ষনের নীতি। মানুষ এসময়টাতে স্রোতের মত এই মতাদর্শকে গ্রহন করে নিচ্ছে। কেউ বা কৌতূহল প্রবন হয়ে এই ফাদে পা দেয় এবং নিজেদের অজান্তেই সবচেয়ে দামী জিনিসঃ ঈমানকে হারায়।

সকল মিস্টিক্যাল/মেটাফিজিক্যাল ও প্যাগান ফিলোসফিগুলো এই নীতির সাথে একদম মানিয়ে নিয়েছে যার জন্য এটা সকল মিস্টিসিস্টদের কাছেই পরম পূজনীয়। এই ল অব এট্র‍্যাকশন এর আদর্শ তাদের দ্বারাই পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত এবং প্রচারিত যারা দাজ্জালের আবির্ভাবের প্রতীক্ষারত,যারা দাজ্জালের আবির্ভাবের পূর্বেই তাকে রব হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছে।

আমাদের দেশে মিস্টিসিজম(কালোজাদু,উইচক্রাফটের বাম রাস্তায় হাটার বিশ্বাসগত মাজহাব বা পথ) যখন প্রকাশ্যে প্রচার পেতে শুরু করে তখন এই অজানা শব্দগুচ্ছ প্রায়ই কৌতূহল জাগায়। Law of attraction এর ডক্ট্রিনের সর্বপ্রথম কথক হলেন ফিনিয়াস কুইম্বি, তিনি একজন বিখ্যাত সম্মোহনকারী ছিলেন। তিনি একটি অপ্রকাশিত আর্টিকেলে বলেন, শরীরের রোগের সূত্রপাত ঘটায় সর্বপ্রথম মন। মন যখন একটি বিশেষ রোগে রোগাক্রান্ত হবার কথা চিন্তা করতে থাকে তখন সেটা শরীরে বাসা বাধে। কুইম্বির এই চিন্তাকে পুজি করে স্পিরিচুয়ালিস্টরা ইন্টারন্যাশনাল নিউ থট এলাইয়েন্স(INTA) গঠন করে। তারা প্রচার করতে থাকে চিন্তার এই আকর্ষনের নীতি অন্য সকল ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ওরা বিষয়টিকে আরো সুসংহত ও ব্যাপকতা দিয়ে একে সংজ্ঞায়িত করে। একে ওরা নিউ থট নামে প্রচার করতে থাকে। নিউ থটের প্রচারকের ভূমিকায় থাকে এই INTA আম্ব্রেলা সংগঠন। এর ছত্রছায়ায় বিচিত্র নামে আরো অনেক সংগঠন কাজ করতে থাকে। International New Thought alliance এর new thought এর বিশ্বাসগত অন্যান্য বিষয়বস্তু গুলো হচ্ছেঃ
সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি সব কিছুই একক অস্তিত্ব। সৃষ্টিকর্তা সর্বত্র এবং তিনিই সবকিছু (সর্বেশ্বরবাদ/নন ডুয়ালিজম/মনিজম/প্যান্থেইজম) প্রত্যেক মানুষ একেকটি ডিভাইন অর্গানিজম। আর তার মধ্যে ক্ষমতার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। মহাবিশ্ব হচ্ছে মহাজ্ঞানের আধার যা থেকে একজন ব্যক্তি সীমাহীন জ্ঞান আহরন করতে পারে।
The chief tenets of New Thought are:

Infinite Intelligence or God is omnipotent and omnipresent.Spirit is the ultimate reality.True human self-hood is divine.Divinely attuned thought is a positive force for good.All disease is mental in origin.Right thinking has a healing effect.

অর্থাৎ নিউথট প্রধানত স্পিরিটিজম ও নন ডুয়ালিস্টিক স্পিরিচুয়ালিজমেরই মডিফাইড ভার্সন। এই নিউথট থেকে বেশ কিছু অর্গানাইজেশনের উৎপত্তি ঘটেছে এর মধ্যে ইউনিটি চার্চ,ডিভাইন সাইন্স,রিলিজিয়াস সাইন্স অন্যতম।একই ধ্যানধারণা রাখে Jewish Science, Centers for Spiritual Living , Unity, Father Divine,thought network ইত্যাদি অর্গানাইজেশন। আর্নেস্ট হোল্মেস রিলিজিয়াস সাইন্স অর্গানাইজেশন এর প্রতিষ্ঠাতা যার আন্ডারে আরো অসংখ্য অর্গানাইজেশন কাজ করছে। আর্নেস্ট স্পিরিচুয়ালিস্টদের কাছে বিখ্যাত বই লেখেন যার নাম The science of mind।
নিউ থট মুভমেন্ট স্বামী বিবেকানন্দের কথা প্রচার করে এবং এদের সম্মেলনে দালাইলামার মত ব্যক্তিত্বরাও অংশ গ্রহন করে।

ল অব এট্রাকশ্যনের বিশ্বাসগত সারবস্তুঃ
এ বিলিফ আপনাকে শেখাবে যে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ত্ত্বা মূলত আপনিই। আপনি যা চিন্তা করতে থাকেন সেই থট ফ্রিকোয়েন্সি প্রকৃতিতে ভাসতে থাকে, এবং কোন কিছুর ব্যপারে যা এক্সপেক্ট করেন সেই পরিবেশ আপনাকে এট্রাক্ট করে নিয়ে নেবে। কারন আপনার শরীরও সাবএটোমিক লেভেলে বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সির কম্পনশীল এনার্জি। তাই আপনার চিন্তা আকাঙ্খিত পরিবেশকে আকৃষ্ট করে। উদাহরণ স্বরূপ- কোন এক ব্যক্তি কোন এক পন্যের ব্যবসায় শুরু করল কিন্তু সেটা কোনভাবেই সাফল্যের মুখ দেখছেনা। তিনি এবার 'এট্রাকশ্যনের নীতি' মেনে কল্পনা করতে লাগলেন যে তার পন্য কিনতে লোকে ভীড় করছে। তিনি যোগান দিয়ে কুলিয়ে উঠছেন না এতই চাহিদা তৈরি হয়েছে.. ! (এ কল্পনার প্রক্রিয়াকে আমাদের দেশের অকাল্ট অর্গানাইজেশন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নাম দিয়েছে মনছবি) এর পরেই ওই লোক দেখলো সত্যিই বাস্তব জীবনেও তার ব্যবসায়ের বিক্রি বেড়ে গেছে। Esoteric occultist টা এটাকে এভাবে ব্যাখ্যা করে যে যখন ওই লোক পন্য বিক্রি বৃদ্ধির কল্পনা শুরু করে তখন তাদের মস্তিষ্ক একধরনের বেতার তরঙ্গ উৎপন্ন করে তারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, এবং আকাঙ্ক্ষার বস্তুকে প্রভাবিত করতে থাকে যেহেতু প্রত্যেকটা বস্তুই বিভিন্ন ওয়েভলেন্থের স্বতন্ত্র ফ্রিকোয়েন্সিতে থাকা এনার্জি ভাইব্রেশন। তাই সব এন্টিটি আপনার চাহিদামোতাবেক মাত্রায় ম্যানিপুলেট হবে।

একটা বিষয় স্পষ্ট করা দরকার যে, ল অব এট্র‍্যাকশ্যন বিশ্বাস করে সৃষ্টিজগত ও স্রষ্টা=এক অস্তিত্ব! অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা বলে আলাদা কেউ নেই! সবকিছুই সৃষ্টি আবার সব কিছুই স্রষ্টা! একে বলে ননডুয়ালিজম অথবা মনিজম(এসেন্সঃসর্বেশ্বরবাদ)। আর সমস্ত অস্তিত্বটা এনার্জি ফ্রিকোয়েন্সি আর ভাইব্রেশনে প্রতিষ্ঠিত। যা প্রকৃতিতে আছে তার সব কিছুই এনার্জি। প্রত্যেক বস্তুই বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে ভাইব্রেশনরত এনার্জি। এনার্জি ভাইব্রেশনের তারতম্যের জন্য প্রত্যেক বস্তুর সলিডনেস একেক রকম। এজন্য দেওয়াল ভেদ করা দুরূহ, পাথর আরো কঠিন আবার পানি বায়ুসহ অনেক সহজভেদ্য জিনিস আছে। আর এম্পটি স্পেস বলে কিছুই নেই, দৃশ্যমান ফাকা স্থান বলে কিছু নেই।ফাকা স্থানগুলোতে জুড়ে আছে ইথার! এই ইথার ফিল্ডটিই ম্যানিপুলেটযোগ্য। এই কাজটি দূর থেকেই করতে পারে আমাদের থট এনার্জি/ব্রেইনওয়েভ! ওদের তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের চিন্তাগুলোও এনার্জি ভাইব্রেশন ব্রেইন থেকে বিভিন্ন ওয়েভলেন্থের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভে ভাসতে থাকে। এজন্য আপনি শুধু চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দূরবর্তী বস্তুকে নড়াতে পারবেন যাকে টেলিকেনেসিস বলে। যেহেতু প্রত্যেক এনটিটি এনার্জি, আপনার কনসাসনেসকে ব্যবহার করে অবজেক্টের উপর ইন্টারফেয়ারেন্স ঘটাতে পারবেন। সুতরাং এ উপায়ে আশপাশের রিয়েলিটিও একজন এনলাইটেন্ড পার্সন ইচ্ছেমত ম্যানিপুলেট করতে পারবেন! আপনি যা চান সেটা বারবার কল্পনা(কোয়ান্টাম ম্যাথডের ভাষায় মনছবি তৈরি) করতে থাকলে আপনার থট এনার্জি ভাইব্রেশন ওই কাল্পনিক রিয়েলিটি বাস্তবায়িত করতে নিষ্ক্রিয় পারিপার্শ্বিক এনার্জিফিল্ডকে আকর্ষন করে এবং ডিজায়ার অনুযায়ী বাস্তবায়িত করে।এটাই আকর্ষনের নীতির গুহ্য বিলিফ।

ল অব এট্র‍্যাকশন যে ফিলসফি বেজড সেটাকে বলে monism, এর আরো ভেতরে প্রবেশ করলে বেরিয়ে আসবে প্যান্থেইজম(তাওহীদের বিপরীত)। এজন্য এ তত্ত্বকে পছন্দ ও বিশ্বাস করে একটু শিক্ষিত হিন্দু,থিওসফিস্ট, New age movement এর সকল সদস্যরা এবং একই চিন্তাধারার স্পিরিচুয়ালিস্টিক ডক্ট্রিনগুলো এবং অনেক অখ্যাত মিস্ট্রি রিলিজিয়ন,অকাল্টিস্ট,মিস্টিসিজম(যেমনঃ কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম, জিউইশ, নস্টিক ইত্যাদি)...। এরা রিয়েলিটিকে নিজেদের কব্জাবদ্ধ করতে চায়।
ল অব এট্রাকশ্যন সফলায়নে যে কল্পনা করা হয় মিস্টিকরা তাকে বলে ক্রিয়েটিভ ভিজুয়ালাইজেশন(মনছবি)। কোয়ান্টাম ম্যাথডে কোর্স করলে আপনাকে মন ছবি শব্দ দ্বারা পরিচয় করাবে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Creative_visualization

ল এব এট্রাকশন সরাসরি মিস্টিসিজমে সর্বপ্রথম প্রবেশ করে ১৮৭৭ সালে থিওসফির জননী ও অঘোষিত স্যাটানিস্ট ম্যাডাম হেলেনা পেত্রোভনা ব্লাভাস্তস্কির বইয়ের মাধ্যমে।এর পরে থেকে সকল স্পিরিচুয়ালিস্টরা একে একে সমর্থন দিতে থাকে। তারা বলতে থাকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যখাতেই না বরং সকল ক্ষেত্রেই আকর্ষনের নীতি কাজ করবে।

ল অব এট্রাকশন মেইনস্ট্রিমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে ২০০৬ সালে রন্ডা বাইরনের দ্য সিক্রেট মুভিটি রিলিজের মাধ্যমে।
মুভিঃদ্যা সিক্রেট
https://m.youtube.com/watch?v=EC_YmdPy2h0

মিস্টিকরা বলতে থাকে আকর্ষনের নীতি কাজ করে প্রেম জাতীয় রিলেশনশিপ সফল করনে, ব্যবসায়ে সাফল্য, স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে। নিচে দেখুনঃ
চাইবে যা পাইবে তা!!ঃ
https://m.youtube.com/watch?v=5INlyzP8UIc

চমকে দেওয়ার মত খবর হচ্ছে আমাদের দেশেও এই নিউ থটের প্যান্থেইস্টিক আকর্ষনের নীতি প্রচার প্রসারের কাজ বহু আগেই শুরু হয়েছে। এজন্য ঘুরে আসুন বাংলাভাষায় ল অব এট্রাকশনের পেজটিঃ https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla
পেজটির এডমিনবর্গ ইসলামিক টার্ম ব্যবহার করে তাদের পোস্টে যেমন 'সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ' ইত্যাদি। এটা মূর্খদের ডিসিভিং এ সাহায্য করছে।
যতদূর বোঝা যায় এর পেছনে এদেশীয় কোয়ান্টাম মিস্টিকদের শাখা কোয়ান্টাম ম্যাথড হয়ত কাজ করছে।এদেশীয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মতাদর্শ স্পিরিচুয়ালিজম/স্পিরিটিজম থেকে খুব বেশি দূরবর্তী নয় বরং ওরা সবাই এক ঘাটেরই মাঝি। তাই এতে অবাক হবার কিছু নেই।

ল অব এট্রাকশ্যনে বিশ্বাস করতে হলে আপনাকে প্রথমে বিলিফটাকে রিডিজাইন করতে হবে। নন ডুয়ালিজমে(এক অস্তিত্ব) নিয়ে যেতে হবে।এটা কোন মনোথেইস্টিক আকিদার কিছু নয়।।
বরং একদম বিপরীত মেরুর।
এবার আসুন দেখা যাক এই নীতি কতটা শরী'য়া সম্মত।আকর্ষনের নীতি অনুযায়ী আপনি নিজেই নিজের রিয়েলিটি সৃষ্টিকারী, এখানে আল্লাহর কোন ইণ্টারভেনশন নেই! আপনার অসুস্থতায় আপনিই আপনাকে সুস্থ করছেন,ব্যবসায়ে সাফল্য আনছেন, সুতরাং সৃষ্টিকর্তার প্রতি ডিপেন্ডেন্সি থাকলো না যেটা মুসলিমরা সব ক্ষেত্রে করে থাকে। নিজেকে রবের আসনে বসানো শিরক। তাকদীরের বিশ্বাসটাকেই সম্পূর্নভাবে কবর দিতে হবে যদি একে কেউ চর্চা করতে চায়। ওদের কথানুযায়ী আপনিই সব নির্ধারণ করছেন, আল্লাহ নয়! আপনার রিযিকদাতা আপনি নিজেই!! এরকম ভয়াবহ বিষয় গুলি চলে আসবে। সর্বোপরি, এই নীতি যে আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত সেটাই তাওহীদের(একেশ্বরবাদের) বিপরীত মেরুর।

তাই সর্বপ্রথম সে আদর্শকে গ্রহন করার জন্য তাওহীদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে! তবে আমাদের দেশে প্রথমে চালাকি করে ইসলামিক টার্মগুলো দিয়ে টোপ দেওয়া হয়, কারন সব বলে দিলে কোন মুসলিমই আসবেনা। ধীরে ধীরে ননডুয়ালিজমের দিকে টানা হয় । সেটাও বলা হয় না বরং বুঝে নিতে হয় গড রিয়েলাইজেশন কোর্স থেকে। তো ল অব এট্রাকশন এর মেকানিজম জেনে ফলো করতে হলে আপনাকে আগে আল্লাহ ডিপেন্ডেন্ট রিয়েলিটির বিশ্বাসকে ত্যাগ করতে হবে। আপনাকে ভাবতে হবে সকল পার্টিকেলই স্রষ্টার অংশ এমনকি আপনিও, সবকিছু মিলিয়ে ঈশ্বর, আপনি ডিভাইন বিং এজন্য আপনার সে সক্ষমতা আছে যে আপনি আপনার আশপাশটাকে প্রভাবিত করতে পারবেন ইচ্ছানুযায়ী। স্ট্রিং থিওরির ন্যায় যেহেতু সব ম্যাটারই বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির ভাইব্রেটিং এনার্জি, আপনার কনসাস্নেসের এম্বিশন পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারবে। সুতরাং এ এক আকিদাগত সুবিশাল ডিসটর্শন। সজ্ঞানে কোন মুসলিম এর অনুসারী হতে পারেনা। ওই বিশ্বাস হচ্ছে আধুনিক প্যান্থেইজম। এর অনুসরণ যেকোন মু'মিনকে মুশরিক ও খাটি কাফের করে ফেলবে। পড়ে আসুন শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদের পেইজ থেকেঃ https://islamqa.info/en/112043 তিনিও আমার ন্যায় একই কথাই বলেছেন।

সম্ভবত এর চর্চাকারীরা কিছুক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে বিধায় এর এত জনপ্রিয়তা। এ নীতির সফলতার ক্ষেত্রে এক শ্রেনীর সর্সারি(যাদু) এবং জ্বীনদের হস্তক্ষেপ থাকতে পারে।যাদুর বিষয়টা ম্যাজিক্যাল থিংকিং ঘরানার কিছু হতে পারে, এসব ব্যপারে আল্লাহ ভাল জানেন। তবে যাদু জাতীয় হলে অবশ্যই কুফরি। স্মরন করা যেতে পারে ওই স্ত্রীলোকের ঘটনাকে যা নবী(স) ওফাতের পরে ঘটেছিল, যেটা মা আয়েশা(রা)সহ অনেক সাহাবীরাই দেখেছিল। সে হাদিস দ্বারা যাদু অথবা কুফরির এক্সট্রেম লেভেল সম্পর্কে জানা যায়, যে অবস্থায় আল্লাহ ঈমানকে উঠিয়ে নেন এবং অভিশপ্ত অবস্থায় দুনিয়াতেই যা চায় তা দিয়ে দেন। ঐ স্ত্রীলোকটি কোন ম্যাটারকে যা আদেশ করত, সেটা তাই হয়ে যেত।।
Evil Eye(বদ নজর)এর ক্ষেত্রে যে মেকানিজম , হতে পারে আকর্ষনের নীতিও কাছাকাছি কোন ফিল্ড ব্যবহার করে, খুব সম্ভবত সেটা ম্যাজিক-সর্সারির মধ্যেই পড়বে এবং এর প্রাকটিসিং কুফর ও শিরকেরই আওতাভুক্ত। সত্য হচ্ছে কাফেররা যাই বলে বা করে তাতে মিথ্যার ভাগই বেশি থাকে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই(৯৫% ক্ষেত্রেই) কাফেররা কোইন্সিডেন্টকে তাদের ওই আকিদা ও চিন্তার খাপে ফেলে দেয়। আর ক্বারিন জ্বীনদের ইন্টারভেনশনও এরকম ফেনোমেনা তৈরি করতে সক্ষম। যেমন ধরুন,কোন এরূপ বিশ্বাসী ব্যক্তি লোকসান হতে থাকা ব্যবসায় লাভের জন্য নিয়মিত কল্পনা(ভিজ্যুয়ালাইজেশন) করতে থাক, পরে দেখলো, হঠাৎ বিক্রি বেড়ে গেল এবং ব্যবসায় সবুজ বাতি জ্বলতে দেখে সে লোক ভাবতে লাগলো ল অব এট্রাকশনই ঠিক! আল্লাহর উপর ভরসা করে লাভ নাই(নাউজুবিল্লাহ)! জ্বীনরা এভাবে চূড়ান্ত গোমরাহ করনে এভাবে কাজ করতে পারে যে,ক্রেতাসাধারণের অন্তরে ওই লোকের ব্যবসায়ের জিনিস ক্রয়ের জন্য অন্তরে ওয়াসওয়াসা দিয়ে ধাবিত করলো, এবং পরিশেষে গনহারে ওই পন্য কিনলো যা ওই ব্যবসায়ে সাফল্য এনে দিলো। উল্লেখ্য, শয়তানের ওয়াসওয়াসা এরূপ মনেহয় যে, ওই ব্যক্তিবিশেষের চিন্তা তার একান্তই নিজের। এজন্য কুচিন্তার জন্য কোন কোন মানুষ ভুল করে নিজেকেই দোষারোপ করে যদিও সেসব শয়তানের, অথচ সে জানেনা। তাই জ্বীনদের ইন্টারভেনশনের সম্ভাবনাই সর্বোচ্চ।।

যখন এদেশীয় ল অব এট্রাকশনের পেজটিতে গিয়ে মন্তব্য করা শুরু করি, তখন এডমিন খুবই বিরক্ত হন।আমার কমেন্ট গুলি হয়ত মুছে দেওয়া হয়েছিল।এর কিছু পরেই ম্যাসেজ পাই এডমিন এর কাছে থেকে। তারা আমার পরিচয় জানতে চায় এবং জানতে চায় কেন আমি তাদের ডিসিটফুল কার্যে বাধ সাধছি!