বিষয়টা ছোটখাটো ফিতনায় রূপ নিতে চলেছে। বিতর্ক থেকে ঝগড়ার দিকে যাচ্ছে। এরূপ প্রত্যাশিত ছিল না, এজন্য গ্রুপটাকে ক্লোজ করে রাখা। আমরা কারও উপরে কোন বিষয়কে চাপিয়ে দিতে চাই না। আর অত্র গ্রুপে আলোচিত কোন বিষয় একদম দলিলবিহীন ট্রোল এর অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং কিছু ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে অহেতুক গায়ে পড়ে কটুক্তির সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। অতঃপর তাদেরকে সমুচিত জবাব দিতে দীর্ঘ তর্কবিতর্ক এর সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এজন্যই উত্তম জবাব দিতে চাইব- কেননা আমরা মিথ্যাকে সত্যের উপর জয়যুক্ত হতে দিতে পারি না।
.
আমরা এ সম্পর্কে সচেতন যে, বাংলাদেশের বড়বড় নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক গ্রুপ গুলোর এডমিনপ্যানেলের মেম্বারগন এখানে উপস্থিত আছেন। ইহা অনুধাবনীয় যে, তারা আমাদের প্রতি বিব্রত। কারন তারা যে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার জন্য কুফফারদের সামনে এপোলোজেটিক দুর্বল মু'মিনদের ন্যায় আমতাআমতা করে থাকেন, আমরা সে বিষয়টিকেই দলিলভিত্তিক স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এতে করে তারা ধীরেধীরে একপেশে হয়ে যাচ্ছেন। আর নাস্তিক-মুরতাদদ ের সামনে আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের দ্বারা প্রকাশিত বিগত যুগ যুগান্তরে লুক্কায়িত দলিলভিত্তিক ইসলামী তথ্য প্রমানগুলো সত্যমিথ্যাকে স্পষ্ট করতঃ নাস্তিকদের কুফর বা অস্বীকৃতি বৃদ্ধিপূর্বক এপোলোজেটিক মডারেট ইসলামিস্টদের উপরে চড়াও হবার মাত্রা বাড়াচ্ছে । এটা তাদের যুক্তিবাদীতার অসারতাকেও তুলে ধরছে। বস্তুত, একটা পর্যায়ে তারা একটা বিব্রতকর পর্যায়ে চলে যাবেন। অতঃপর দুই নৌকার মাঝে পড়বে। Allegorical এই নৌকার একটি ঈমানের, অপরটি কুফরের(Occult magical scientism)। হৃদয়ে বক্রতাহীন মুসলিমরা সত্যের দিকে সহজেই গ্র্যাভিটেট হয়। এজন্য মোডারেট ভাইরা একরকমের আইসোলেশনের ভয় করেন। এজন্য একভাইকে ইতোমধ্যে নসীহত করতে দেখেছি যেন আমরা শুধুমাত্র ইভ্যলুশ্যনিজম নিয়ে (মিথ্যাপ্রমানে) মাথা ঘামাই, সাইন্টিজমের অন্যান্য বিষয়ের গ্রহনযোগ্যতায় প্রশ্ন না তুলি।
.
সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসী মুসলিমরা উম্মাহর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি বা বিভেদ সৃষ্টি করার ধারনাটি ভুল। কস্মোলজির মডেল গুলোর যেকোনটিতে না জেনে বুঝে বিশ্বাস (মাত্রা অনুযায়ী) আপনাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। তবে কুফফারদের সাংঘর্ষিক তথ্যকে দ্বীনের চেয়ে অগ্রাধিকার অন্তর্স্থিত নিফাক অথবা রিদ্দাকে স্পষ্ট করবে। এজন্য এরূপ একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বিন বাজ(রঃ) তাকফির করেছেন।। এজন্য সতর্কতা আবশ্যক।
.
অপোজিট কস্মোলজিক্যাল বিলিফের কোন ভাইকে তার এরূপ বিশ্বাসের জন্য ঘৃনা বা বিভক্তির কথা আমরা চিন্তা করি না। আমি আমার বাস্তব জীবনেও বহু দ্বীনদার ভাইদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনায় বসি, যারা প্রচলিত এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারকে সমর্থন করেন। তাদের সাথে চা পানকালে তুমুল বিতর্কেও লিপ্ত হই, পরক্ষনে এসব নিয়ে আলোচনা শেষে বোঝারই উপায় থাকে না, যে আমাদের মধ্যে চিন্তাগত মতপার্থক্য রয়েছে। কাফেররা চায় আমরা যেন বিষয় নিয়ে আরো বিভক্ত হই, তাই এরূপ ট্রিফ্লিং সাব্জেক্ট নিয়ে উম্মাহর মধ্যে কোনরূপ বিভক্তি ওদের জন্য আনন্দের, যা আদৌ কাম্য নয়। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন। তবে আমরা সত্যকে প্রচার করেই যাব, যার কুরআন সুন্নাহভিত্তিক দলিল আমাদেরকে শক্তি দেয়।
.
আমরা কোন নাস্তিকদের উপরেও এরূপ বিষয় চাপিয়ে দিতে চাই না অথবা নাস্তিকদেরকে এসব তথ্য বিবেচনা পূর্বক ইসলামে পুনঃপ্রবেশের জন্যই হাতজোর করে অনুনয় বিনয় করি না। বস্তুত, অন্তরে আলোদানকারী আল্লাহ, তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, কে তাকে পথ দেখাবে! হয়ত পাঠক মনে এরকমই আয়াত মনে পড়ে যাচ্ছে। আল্লাহ বলেনঃ
.
"আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ(নামাল-৮ ১)
.
"আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান(আর রুমঃ৫৩)
.
"কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হলো না? বলে দিন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যে, মনোনিবেশ করে, তাকে নিজের দিকে পথপ্রদর্শন করেন"(রাদ-২৭)
.
"তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না"(কাহাফ-১৭)
.
আর নিশ্চয়ই 'ইসলাম' কোন সস্তা দ্বীন নয় যা আপনি যাকে তাকে গ্রহন করতে কাকুতিমিনতি করবেন,যেমনটা মোডারেট ইসলামিস্টরা করে। আমাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রেও ভ্রান্তি রয়েছে। ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী(রহঃ) এর চমৎকার একটি বক্তব্য রয়েছে দাওয়াতের ব্যপারে।
.
আপনি নাস্তিক মুর্তাদদেরকে আমাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে দেখবেন না। কারন ওরা যার কুফর করে আমরা সেটাকেই কঠোর বিশ্বাস করি। আর এটা স্রেফ অন্ধ বিশ্বাসও নয়, বরং পর্যবেক্ষণযোগ্য দলিল প্রমানও রয়েছে , এজন্য নাজেহাল হবার ভয়ে সচরাচর আমাদের কাছে ওরা আসে না।
.
কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক প্রিকোপার্নিকান জিওস্টেশনারী প্রাচীন কস্মোলজি আমাদের বলে আল্লাহর নিপুণ অনুপম সৃষ্টির কথা। আমাদেরকে শিক্ষা দেয় তার সৃষ্ট জগতে তার প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনের কথা। অথচ বিজ্ঞান আমাদের সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রন থেকে স্বাধীনতা বা নির্ভরহীনতাকে শেখাতো, যেমনটি স্টিফেন হকিংএর কথায় পাওয়া যায়ঃ "What I have done is to show that it is possible for the way the universe began to be determined by the laws of science. In that case, it would not be necessary to appeal to God to decide how the universe began. This doesn't prove that there is no God, only that God is not necessary."
Der Spiegel (17 October 1988)
.
অথচ সত্য হচ্ছে বৃষ্টিসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক ঘটনা এবং সবকিছুই আল্লাহরই Direct intervention এ হয়ে থাকে। কেউই আল্লাহর নিয়ন্ত্রন এবং নির্ভরতা থেকে স্বাধীন নয়।Geostationar y Geocentric astronomical order আমাদেরকে এটাই স্বতঃস্বিদ্ধ সত্য ও পর্যবেক্ষণযোগ্য ফেনোমেনা হিসেবে তুলে ধরে। এটা আমাদেরকে বলে প্রতিটি সৃষ্টির তাৎপর্য সম্পর্কে। বস্তুত আল্লাহ কোন কিছুকেই অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
.
এক ভাইকে দেখছি, বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করছেন, প্রশ্ন তুলছেন, কোথাও কি আল্লাহ এসব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছেন! তার কাছে মনে হয় এসব নিয়া ভাবনা চিন্তা করাটা নিছক সময় নষ্ট। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
.
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُون َ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
"নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।" (আল ইমরানঃ১৯০-১৯১)
.
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّلْمُؤْمِنِين َ
নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে (45:3)
.
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
تَبْصِرَةً وَذِكْرَى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি। এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে" (50:7-8)
.
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে(13:3)
.
يُنبِتُ لَكُم بِهِ الزَّرْعَ وَالزَّيْتُونَ وَالنَّخِيلَ وَالأَعْنَابَ وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে(১৬:১১)
.
وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্ নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(১৬:১২)
.
خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِّلْمُؤْمِنِين َ
আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(আনকাবুতঃ ৪৪)
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে(ইউনুসঃ০৫)
.
অতএব
নিঃসন্দেহে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি, চিন্তাশীলদের জন্য মহানিদর্শন।আল্ল াহ বলেনঃ "চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে"। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের কথা মহান প্রতিপালক বলেছেন।
নিশ্চয়ই তিনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
কুরআনিক কস্মোজনি আমাদেরকে আল্লাহর শক্তি ক্ষমতা,নিপুনতা পার্থিব জীবনের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। স্রষ্টার অস্তিত্বের উপলব্ধি তৈরি করে। নিশ্চয়ই চাঁদ সূর্য ও দিবারাত্রির আবর্তনে "বোধশক্তিসম্পন ্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে"। সমস্ত সৃষ্টিতে "চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে"। ভূমন্ডলকে বিস্তৃতকরন, দিবারাত্রির আবর্তন পাহাড়পর্বত ও নদনদীতে "তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে"। "এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার #প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে।"
নিশ্চয়ই এটা প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী বান্দাদের জন্য। আর আমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে একমাত্র কুরআন সুন্নাহর দ্বারা উত্তমভাবে বুঝতে পারি এবং তা থেকে সঠিক ও সুনিশ্চিত জ্ঞান পাই। আমরা কুরআনে উল্লিখিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এর গঠনপ্রকৃতি ও আসমানজমিনের বর্ননাগুলোর ব্যাখ্যা গ্রহন করি সাহাবীগনদের (রাযি.) থেকে। নিশ্চয়ই তারা সর্বাধিক নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাদানকারী ।। এ কারনে আল্লাহ অনুরাগী যেকোন বান্দারা কুরআন সুন্নাহভিত্তিক আল্লাহর সৃষ্টিসংক্রান্ত চিন্তা গবেষণায় আগ্রহ প্রকাশ করে। হোক সে ময়দানের মুজাহিদ! এজন্যই সেদিন এক আল্লাহ অভিমুখী 'আগন্তুক' বললেন, যদি এসকল বিষয়ে দলিলভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা গুলোকে হার্ডকপিতে রূপান্তর করে সংরক্ষন ও প্রচার সম্ভব হত!
.
পশ্চিমা কাফেরদের একদল বলে,'নতুন করে প্রাচীন cosmological revolution এ আমাদের কোন যায় আসে না। এটা আমাদের চাকুরী-জীবিকায় কোন পরিবর্তন আনে না। যা আগেও ছিল তাই থাকবে, সুতরাং এসব নিয়ে মাথা ঘামানো বৃথা'। যাদের মধ্যে এরকম চিন্তা আসে তারা পৃথিবীতে অনুভূতিহীন জীবন্ত লাশের ন্যায়। এরা কুফফারদের ডিজাইন্ড সিস্টেমে একরকম মানিয়ে নিয়েছে আর এক্ষেত্রে কোনরূপ পরিবর্তন আশা করেনা বা চায় না।
প্রচলিত সমাজব্যবস্থা এবং প্রচলিত ইসলামিক চিন্তাবিদরা যা আমাদেরকে বলত তাতে আমরা ইনফিনিট আউটার স্পেসে কোটি গ্রহের একটিতে ইউজলেস এইমলেস ডার্ট ছাড়া কিছুই নই। যখন এনক্লোজড এ্যাস্ট্রনমি নিয়ে কেউ বিবেচনা করতঃ চিন্তা করে তখন সে অনুধাবন করতে পারে তার জীবনের মূল্য এবং তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। তার অস্তিত্বসহ কোন কিছুই নিরর্থক নয়। সমুন্নত ছাদ ও জমীনের মাঝে সামান্য পানি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ নিজেকে ও তার প্রতিপালককে চিনতে পারে।
এটা তাকে তার পালনকর্তার প্রতি অবনত করে এবং তার প্রতি অভিমুখি করে। কুফফাররা সেকুলার-ধর্মবিম ুখ সমাজ ব্যবস্থা গড়তে সর্বপ্রথম কস্মোলজিকে রিরাইট করেছে। আর এটা করেছে ধীরগতিতে। জিওসেন্ট্রিক বদলে হেলিওসেন্ট্রিক, জিওস্টেশনারী থেকে রিভলভিং এবং আউটার স্পেস। ইতিহাস ঘাটুন! এরপরে আরো পিছনে গিয়ে সৃষ্টির শুরুর তথ্যে ডিসইনফরমেশনের প্রবেশ ঘটানো। চলে আসলো বিগব্যাং এবং এভ্যুলুশ্যনালিজ ম। একটার পরে একটা ট্রোল কন্টেন্টগুলো মানুষ গর্দভের মত চিন্তাবিনা গলাধঃকরণ শুরু করে। এন্টি রিলিজিয়াস অর্ডারগুলো আর বামপথের সংগঠন যেমন জেসুইটরা এসব গেলাতে উঠে পড়ে লেগেছিল। অবশেষে বিজ্ঞানী সাইনবোর্ডযুক্ত কিছু অকাল্ট মিস্টিসিস্টদের সফল প্রচারনায় পুরাতন জাদুবিদ্যার কিতাবগুলোয় উল্লিখিত সৃষ্টিকর্তার জানানো সৃষ্টিব্যবস্থার ব্যপারে অমোঘ সত্যবানীর বিপরীত তত্ত্বগুলো একে একে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ইহুদীদের কাব্বালা এবং হার্মেটিক কাব্বালা আর প্যাগান পলিথেইস্ট মালুদের বেদ এর কথা গুলো হয়ে যায় বিজ্ঞান। কখনো কি প্রশ্ন আসে না মনে, কেন CERN এর সামনে তাগুত শিবের মূর্তি! আর শতাব্দীকাল জুড়ে বাড়তে থাকা এই কুফরের পিলার আজ প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছে প্যানসাইকিজম, প্যানেন্থেইজমসহ সকল নন ডুয়ালিস্টিক ফেইথ। অবতার মুভির পরের সিকুয়্যাল কি থিম নিয়ে তা জানা আছে!! হলিউড সবসময়ই প্রতিটা ক্ষেত্রে ভূমিকায় থাকে। আউটার স্পেস,প্ল্যানেট ারি সিস্টেমের প্রোপাগান্ডায় যেমনি ছিল, সামনের ইভেন্ট গুলোতেও আছে ও থাকবে।আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বেজড কোয়ান্টাম ম্যাথড তো বসে নেই। আর এরা সকলেই কনসাসলি অপেক্ষা করছে তাদের এক মহান সেভিয়রের জন্য, একজন মহান বিশ্বশিক্ষকের, যিনি কিনা ফিজিক্যাল ও স্পিরিচুয়াল বিবর্তনের এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবেন হিউম্যানিটিকে। যিনি সারাবিশ্বে আসবেন এলিয়েনেটিক ইনভ্যাশন প্রতিরোধে অথবা জাতিসংঘের হাত ধরে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। স্বাগতম জানাই(!) এখনি তাদেরকে, যারা ইতোমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভূমিকাস্বরূপ আসন্ন একচক্ষুবিশিষ্ট বিশ্বশিক্ষকের কোন না কোন প্রজেক্টের সাথে একমত হয়ে কাজ করছেন।
.
আমাদের কাজ হচ্ছে বিকৃতি এবং সত্যমিথ্যাকে স্পষ্টরূপে উপস্থাপন করা। আমরা বৈধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সপক্ষে। অপবিজ্ঞানের বিপক্ষে। কিছু ভাই বলেন উম্মাহর দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে লেখালেখি অথবা চিন্তার সময় নেই।তারা আংশিক সত্য বলেছেন। কিন্তু সত্য মিথ্যা জেনেও গোপন রাখলে, দুর্দশা কিছুমাত্র ঘুচবে না বরং উহা প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে।কারন কুফফারদের ধবংসের বীজ আমরা লালন করেই আছি। আমাদের উচিৎ কুফফারদের অপর্যবেক্ষনযোগ্ য তত্ত্ব ও তথ্যকে যাচাই করতঃ বর্জন করা এবং সম্পূর্ন তাওহীদের দিকে প্রত্যাবর্তন। যেকোন বিষয়ে আমাদের দ্বীন অল্পবিস্তর যে তথ্যই দেয় না কেন, উহা দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট। উহার বাইরে গিয়ে কুফফারদের কথা গ্রহন এমনকি তাদের কথাকে পরিমাপক হিসেবে নিয়ে ইসলামের তথ্যকে যাচাইকরা কস্মিনকালেও মুসলিমদের কাজ নয়। সবশেষে শায়খ সালিহ আল ফওজানের বিখ্যাত ভিডিওবার্তা দেখবার দাওয়াত দিয়ে শেষ করব। লিংক- https:// m.youtube.com/ watch?v=K1QxVGr4 ulw
.
জাযাকআল্লাহ
.
আমরা এ সম্পর্কে সচেতন যে, বাংলাদেশের বড়বড় নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক গ্রুপ গুলোর এডমিনপ্যানেলের মেম্বারগন এখানে উপস্থিত আছেন। ইহা অনুধাবনীয় যে, তারা আমাদের প্রতি বিব্রত। কারন তারা যে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার জন্য কুফফারদের সামনে এপোলোজেটিক দুর্বল মু'মিনদের ন্যায় আমতাআমতা করে থাকেন, আমরা সে বিষয়টিকেই দলিলভিত্তিক স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এতে করে তারা ধীরেধীরে একপেশে হয়ে যাচ্ছেন। আর নাস্তিক-মুরতাদদ
.
সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসী মুসলিমরা উম্মাহর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার
.
অপোজিট কস্মোলজিক্যাল বিলিফের কোন ভাইকে তার এরূপ বিশ্বাসের জন্য ঘৃনা বা বিভক্তির কথা আমরা চিন্তা করি না। আমি আমার বাস্তব জীবনেও বহু দ্বীনদার ভাইদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনায় বসি, যারা প্রচলিত এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারকে সমর্থন করেন। তাদের সাথে চা পানকালে তুমুল বিতর্কেও লিপ্ত হই, পরক্ষনে এসব নিয়ে আলোচনা শেষে বোঝারই উপায় থাকে না, যে আমাদের মধ্যে চিন্তাগত মতপার্থক্য রয়েছে। কাফেররা চায় আমরা যেন বিষয় নিয়ে আরো বিভক্ত হই, তাই এরূপ ট্রিফ্লিং সাব্জেক্ট নিয়ে উম্মাহর মধ্যে কোনরূপ বিভক্তি ওদের জন্য আনন্দের, যা আদৌ কাম্য নয়। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন। তবে আমরা সত্যকে প্রচার করেই যাব, যার কুরআন সুন্নাহভিত্তিক দলিল আমাদেরকে শক্তি দেয়।
.
আমরা কোন নাস্তিকদের উপরেও এরূপ বিষয় চাপিয়ে দিতে চাই না অথবা নাস্তিকদেরকে এসব তথ্য বিবেচনা পূর্বক ইসলামে পুনঃপ্রবেশের জন্যই হাতজোর করে অনুনয় বিনয় করি না। বস্তুত, অন্তরে আলোদানকারী আল্লাহ, তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, কে তাকে পথ দেখাবে! হয়ত পাঠক মনে এরকমই আয়াত মনে পড়ে যাচ্ছে। আল্লাহ বলেনঃ
.
"আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ(নামাল-৮
.
"আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান(আর রুমঃ৫৩)
.
"কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হলো না? বলে দিন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যে, মনোনিবেশ করে, তাকে নিজের দিকে পথপ্রদর্শন করেন"(রাদ-২৭)
.
"তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না"(কাহাফ-১৭)
.
আর নিশ্চয়ই 'ইসলাম' কোন সস্তা দ্বীন নয় যা আপনি যাকে তাকে গ্রহন করতে কাকুতিমিনতি করবেন,যেমনটা মোডারেট ইসলামিস্টরা করে। আমাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রেও ভ্রান্তি রয়েছে। ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী(রহঃ) এর চমৎকার একটি বক্তব্য রয়েছে দাওয়াতের ব্যপারে।
.
আপনি নাস্তিক মুর্তাদদেরকে আমাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে দেখবেন না। কারন ওরা যার কুফর করে আমরা সেটাকেই কঠোর বিশ্বাস করি। আর এটা স্রেফ অন্ধ বিশ্বাসও নয়, বরং পর্যবেক্ষণযোগ্য
.
কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক প্রিকোপার্নিকান
Der Spiegel (17 October 1988)
.
অথচ সত্য হচ্ছে বৃষ্টিসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক ঘটনা এবং সবকিছুই আল্লাহরই Direct intervention এ হয়ে থাকে। কেউই আল্লাহর নিয়ন্ত্রন এবং নির্ভরতা থেকে স্বাধীন নয়।Geostationar
.
এক ভাইকে দেখছি, বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করছেন, প্রশ্ন তুলছেন, কোথাও কি আল্লাহ এসব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছেন! তার কাছে মনে হয় এসব নিয়া ভাবনা চিন্তা করাটা নিছক সময় নষ্ট। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
.
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُون
"নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।" (আল ইমরানঃ১৯০-১৯১)
.
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّلْمُؤْمِنِين
নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে (45:3)
.
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
تَبْصِرَةً وَذِكْرَى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি। এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে" (50:7-8)
.
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে(13:3)
.
يُنبِتُ لَكُم بِهِ الزَّرْعَ وَالزَّيْتُونَ وَالنَّخِيلَ وَالأَعْنَابَ وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে(১৬:১১)
.
وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্
.
خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِّلْمُؤْمِنِين
আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(আনকাবুতঃ
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে(ইউনুসঃ০৫)
.
অতএব
নিঃসন্দেহে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি, চিন্তাশীলদের জন্য মহানিদর্শন।আল্ল
নিশ্চয়ই তিনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
কুরআনিক কস্মোজনি আমাদেরকে আল্লাহর শক্তি ক্ষমতা,নিপুনতা পার্থিব জীবনের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। স্রষ্টার অস্তিত্বের উপলব্ধি তৈরি করে। নিশ্চয়ই চাঁদ সূর্য ও দিবারাত্রির আবর্তনে "বোধশক্তিসম্পন
নিশ্চয়ই এটা প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী বান্দাদের জন্য। আর আমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে একমাত্র কুরআন সুন্নাহর দ্বারা উত্তমভাবে বুঝতে পারি এবং তা থেকে সঠিক ও সুনিশ্চিত জ্ঞান পাই। আমরা কুরআনে উল্লিখিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড
.
পশ্চিমা কাফেরদের একদল বলে,'নতুন করে প্রাচীন cosmological revolution এ আমাদের কোন যায় আসে না। এটা আমাদের চাকুরী-জীবিকায় কোন পরিবর্তন আনে না। যা আগেও ছিল তাই থাকবে, সুতরাং এসব নিয়ে মাথা ঘামানো বৃথা'। যাদের মধ্যে এরকম চিন্তা আসে তারা পৃথিবীতে অনুভূতিহীন জীবন্ত লাশের ন্যায়। এরা কুফফারদের ডিজাইন্ড সিস্টেমে একরকম মানিয়ে নিয়েছে আর এক্ষেত্রে কোনরূপ পরিবর্তন আশা করেনা বা চায় না।
প্রচলিত সমাজব্যবস্থা এবং প্রচলিত ইসলামিক চিন্তাবিদরা যা আমাদেরকে বলত তাতে আমরা ইনফিনিট আউটার স্পেসে কোটি গ্রহের একটিতে ইউজলেস এইমলেস ডার্ট ছাড়া কিছুই নই। যখন এনক্লোজড এ্যাস্ট্রনমি নিয়ে কেউ বিবেচনা করতঃ চিন্তা করে তখন সে অনুধাবন করতে পারে তার জীবনের মূল্য এবং তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। তার অস্তিত্বসহ কোন কিছুই নিরর্থক নয়। সমুন্নত ছাদ ও জমীনের মাঝে সামান্য পানি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ নিজেকে ও তার প্রতিপালককে চিনতে পারে।
এটা তাকে তার পালনকর্তার প্রতি অবনত করে এবং তার প্রতি অভিমুখি করে। কুফফাররা সেকুলার-ধর্মবিম
.
আমাদের কাজ হচ্ছে বিকৃতি এবং সত্যমিথ্যাকে স্পষ্টরূপে উপস্থাপন করা। আমরা বৈধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের
.
জাযাকআল্লাহ