১ |
২ |
৩য় ছবিতে দেখছেন অন্যান্য সাধারন তারকাদের বাস্তব ছবি। এই তারকাদের গঠন আর মঙ্গল,শুক্রের গঠনগত কোন পার্থক্য আছে কি?/!
এরা দেখতে ভিন্ন কিন্তু জিনিস একই। সবই তারকা।
৩ |
একারনেই আউটার স্পেস বলে কিছু নেই বলে পোস্ট করেছিলাম। পাঠকদের মধ্যে যারা ক্লোজড মাইন্ডেড অথবা জ্ঞানহীন ও ব্রেইনওয়াশড , তারা এই বাস্তব সত্যতাকে গ্রহন করতে পারে না।
কিছুদিন আগে আমি নিজেই হাতের নর্মাল এন্ড্রয়েড ফোনটা দিয়ে শুক্রগ্রহকে ফ্রেমবন্দি করতে জুম করে ছবি তুলতে সক্ষম হই। একই ইমেজ পাই যা প্রথম ছবিতে নিকন দ্বারা ধারনকৃত ইমেজগুলো দেখছেন।। সেটা গ্রুপেও পোস্ট করেছিলাম। নূন্যতম নিজের চোখকে বিশ্বাস করুন। আপনি খালি চোখেই ওই সেলেস্টিয়াল অব্জেক্ট গুলোকে মিটমিট করে কেপেকেপে জ্বলতে দেখছেন। সেসব স্রেফ আলো। আরেকটা সত্য হচ্ছে, এই তারকাগুলো সূর্য্যের ন্যায় কিছু নয়।আমাদের সূর্য একদমই ভিন্ন বস্তু। চাঁদ সূর্য এবং তারকা আলাদা আলাদা জিনিস। আমাদেরকে শেখানো হয়েছে তারকারা অন্য গ্রহের সূর্য। অথচ সত্যটা আজ চোখের সামনেই দেখছেন। গ্রহ বলে কিছু নেই, সবই নক্ষত্র। এরা কম্পমান আলোকবিশেষ। আর সূর্য পৃথিবীর জন্য উত্তপ্ত প্রদীপ বিশেষ। আর চাঁদ হচ্ছে শীতল আলো বা নূর।
এই infallible description Quran sunnah আমাদের দেয়। অথচ আমরা উলটো ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করি।
♦আল্লাহ বলছেন পৃথিবী সমতল বিস্তৃত বিছানাস্বরূপ, আমরা বলি নাহ, পৃথিবী ফ্ল্যাট হতে পারেনা কারন কাফেররা আমাদের বলে ও দেখায় উহা গোলাকার,তাই সমতল বিছানো অসম্ভব। কাফেরদের কাঠগড়ায় ভাল সাজতে মুর্তাদের বানানো উটপাখির ডিম থিওরিকে বানিয়ে নিয়েছি।
অথচ আল্লাহ বলেনঃ "আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা"(নূহঃ১৯)
"এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?"(গাশিয়্যাহ ২০)
♦আল্লাহ বলেন তিনি আসমানকে করেছেন ছাদ। কিন্তু আমরা বলি, নাহ মানি না, আকাশ ছাদ হতেই পারেনা, এটা তো অশিক্ষা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের ধারনা। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী কাফেররা আমাদের দেখায় ও বলে যে মাথার উপর আকাশ মানে মহাশূন্য, কোন লিমিট নেই। অনন্ত, অসীম,সীমাহীন শূন্যতা। আমরাও কুরআনের ব্যখ্যা দেই এই আকাশ মানে বায়ুমণ্ডলের স্তর....।
অথচ আল্লাহ বলেনঃ "যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,...." (বাকারাঃ২২)
"আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি; অথচ তারা আমার আকাশস্থ নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে"(আম্বিয়া ৩২)
"আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ "(মু'মিন ৬৪)
"এবং সমুন্নত ছাদের"(তূরঃ৫)
"এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান।"(22:65)
"হয় তো এর কারণেই এখনই আসমানসমূহ ভেঙ্গে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে"(মারিয়াম ৯০)
"আকাশ উপর থেকে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়(৪২:৫)"
♦আল্লাহ বলেন তিনি আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষন করেন, আমরা বলি বিজ্ঞানী কাফেররা আমাদের বুঝিয়েছে পানিচক্রের এক পর্যায়ে প্রাকৃতিভাবে বৃষ্টি হয়। আকাশ একটা ছাদ আর সেটা থেকে বারিধারা আসে এটা তো অন্ধকার যুগের জ্ঞানহীন কথা।
আল্লাহ বলেনঃ
"যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে.." (বাকারা ২২)
"তখন আমি খুলে দিলাম আকাশের দ্বার প্রবল বারিবর্ষণের মাধ্যমে"(ক্কামার ১১)
♦আল্লাহ বলেন, তিনি নক্ষত্রদের সৃষ্টি করেছেন আলোরূপে আসমানের সজ্জ্বারূপে, শয়তানের প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে এবং পথ খুজে পেতে। কিন্তু আমরা বলি তারকারা হচ্ছে অন্য গ্রহজগতের বিরাট বিরাট সূর্যস্বরূপ। শয়তানের ক্ষেপণাস্ত্র বলতে আসলে এসব ধর্মীয় উপকথা, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান ও কাফের বিজ্ঞানী( :* ) রা বলে সেসব ভিন্ন ভিন্ন সোলার সিস্টেমের সূর্য। আমরা টিভিতে দেখি এবং অনেক ম্যাথ করি তারকাদের ভর, আকার নির্নয় করতে।
আল্লাহ বলেনঃ
"আমি সর্বনিম্ন আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুসজ্জত করেছি; সেগুলোকে শয়তানদের জন্যে ক্ষেপণাস্ত্রবৎ করেছি এবং প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের জন্যে জলন্ত অগ্নির শাস্তি"(67:5)
হযরত কাতাদাহ (রঃ) এর সাথে একমত পোষন করি। তিনি বলেনঃ "তারকারাজি তিনটি উপকারের জন্য সৃষ্টি হয়েছে। এক.আকাশের সৌন্দর্য, দুই.শয়তানের মার, তিন.পথপ্রাপ্তির নিদর্শন। যে ব্যক্তি এ তিনটি ছাড়া অন্য বিষয়ের অনুসন্ধান করে সে তার নিজের মতের অনুসরণ করে এবং নিজের বিশুদ্ধ ও সঠিক অংশ হারিয়ে ফেলে,এবং অধিক জ্ঞান ও বিদ্যা না থাকা স্বত্ত্বেও নিজেকে বড় জ্ঞানী বলে প্রমানিত করার কৃত্রিমতা প্রকাশ করে।"(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
♦আল্লাহ বলেন সূর্য হচ্ছে উজ্জ্বল আলোকময়, যা পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে, অথচ আমরা বলছি বিজ্ঞান আমাদের বলে, পৃথিবী সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরছে আর এটা সৌরজগতের আলোদাতা।কুরআনের সূরা ইয়াসিনে বলা হচ্ছে সবাই ঘুরছে(মিথ্যাচার ও ভুল ব্যাখ্যা)।
অথচ আল্লাহ বলেন পৃথিবী স্থির, আর সূর্যই চলমান।
An-Naml 27:61
أَمَّن جَعَلَ ٱلْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَٰلَهَآ أَنْهَٰرًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَٰسِىَ وَجَعَلَ بَيْنَ ٱلْبَحْرَيْنِ حَاجِزًاۗ أَءِلَٰهٌ مَّعَ ٱللَّهِۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
Is He [not best] who made the earth a stable ground and placed within it rivers and made for it firmly set mountains and placed between the two seas a barrier? Is there a deity with Allah ? [No], but most of them do not know.
Ghafir 40:64
ٱللَّهُ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ قَرَارًا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءً وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْۖ فَتَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
It is Allah who made for you the earth a place of settlement and the sky a ceiling and formed you and perfected your forms and provided you with good things. That is Allah, your Lord; then blessed is Allah, Lord of the worlds.
قَرَارًا= fixed, stable,firmness, steadiness, tranquility
"নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল"(35:41)
পৃথিবীর স্থবিরতা আর সূর্যের গতির ব্যপারে শাইখ সালিহ আল ফওজান, আব্দুল্লাহ আল জিব্রিন, সালিহ আল উসাইমিন, আব্দুল্লাহ আব্দুল আজিজ বিন বাজ প্রমুখ যা বলেছেন সেটা যথেষ্ট। মোশনের ব্যপারে বিজ্ঞানপন্থীদেরকে তাকফিরও করেছেন শাইখ বিন বাজ(রহঃ)(বিস্তারিতঃউইকিপিডিয়া)।
♦আল্লাহ চাদকে স্নিগ্ধ আলোবিতরনকারী বলেছেন।আমরা বলি বিজ্ঞান আমাদের বলে চাদের আলো হচ্ছে ধার করা আলো।।
আল্লাহ বলেনঃ "তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে"।(ইউনুসঃ৫)
মোডারেট বা কাফেরদের প্রিয় মুসলিমরা আমাদের বলতে চায় উক্ত আয়াতে نُورًا মানে ধার করা আলো!!
ইবনে তাইমিয়া(র) শুদ্ধ বলেছিলেন। কুরআনে চাদের নিজস্ব আলোকে বোঝানো হয়েছে। সম্প্রতি পরীক্ষায় দেখা গেছে চাদের আলো স্নিগ্ধ ও শীতল। ছায়া ও চাদের আলোয় তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে একাধিক পরীক্ষায়, এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=9muc2mT9pBU
চাদের আলোঃ
https://m.youtube.com/watch?v=prDcgT64CSw
https://m.youtube.com/watch?v=ZIpAHKzdSB4
সুতরাং, এবার ভেবে দেখুন কত ভ্রান্তির মধ্যে ডুবে আছি। আর আল্লাহ যা বলেছেন তার বিপরীতটা বিশ্বাস করছি! অথচ বাস্তবতা ঠিক তাই যা যা আল্লাহ বলেছেন,সেটা নিজের চোখেই দেখছেন। আর কমন সেন্স থাকলে অস্বীকার করবেন না। কমন সেন্স থাকা না থাকার কথা এজন্যই বলছি, কারন- কমন সেন্স ইজ ভের্যি আনকমন ইন দ্য কমন পিপল।
তারকাদের স্থির ছবি উপরে দেখলেন, এবার সচল অবস্থায় দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=AJJ_z6pwUrE
যারা ভিডিওর ফুটেজগুলো ক্যামেরা হাতে ধারন করেছে, তাদের অনেককেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, কথাও বলেছি, এখানে মিথ্যার বা সন্দেহের কিছু নেই,ভিডিও নির্মাতাকেও চিনি।
সত্য ও মিথ্যাকে স্পষ্টভাবে জানুন। জাযাকআল্লাহ।
লেখকঃ Al Imran
Bhai sura yasin er 40 no. Ayat e to shob translation ei likhan each swimming on its own orbit.Buzlam na
ReplyDeleteজ্বি। প্রত্যেকের কথা আছে। এখানে প্রত্যেক বলতে দুনিয়াদারি সমগ্র মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু নয়। বরং সেই আয়াতে উল্লিখিত ৪ টি জিনিসের সন্তরণের কথা এসেছে। মানুষ এ দলিলকে ব্যবহার করে দুনিয়াকে ঘোরায় অথচ কোন প্রাচীন মুফাসসীর এমনটা ব্যাখ্যা করেন নি।
Deleteমঙ্গলে যে কয়দিন আগে মহাকাশ যান অবতরণ করল তা নিয়ে কি বলবেন?? আগে কুর'আনের আয়াতগুলো ভালোভাবে বুঝেন ,
ReplyDeleteআখ্যি যাচাই ছাড়া কুফফারদের সংবাদে ইয়াক্বীন করতে আল্লাহ নিষেধ করেন। কাফিররা চাদে যাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই মিথ্যাচার করেছে। একজন মুসলিমের অনুচিত ওদের কথা অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যা শারঈ দলিলের পরিপন্থী। নজম ওয়াল কাওয়াক্বীবে অবতরণ সম্ভব না। সবই নক্ষত্র। আপনি ওদের কথায় যা শোনেন তার ৯৯% ই মিথ্যা কল্পনা। আমি নিজে আয়াত বুঝিনা বরং সাহাবাদের রাযি. আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর তাকলীদ করি।
Delete