Babylonian magical worldview এবং Astrology ধার করে আনা গ্রীক দার্শনিকদের(যাদ ুকর/ মিস্টিক) কুফরি দর্শন এবং ন্যাচারাল ফিলসফি যখন আরবে পৌছায়, তখন পিথাগোরাসের ব্যবিলনীয়ান (এলবার্ট পাঈকের কথানুযায়ী) 'এস্ট্রলজিক্যাল' বিশ্বাস- 'গোলাকার পৃথিবী' তৎকালীন শিয়া-মুতাযিলাদে র সাথে সাথে কিছু ভাল আলেমদের মধ্যেও চলে আসে। এদের একজন ছিলেন ইবনে হাজম(র.) তারা সুস্পষ্ট কোন ইসলামি দলিলের উপরে দাঁড়িয়ে স্ফেরয়েড তত্ত্বকে মানেননি বরং তারা মনগড়া ভুল পর্যবেক্ষণিক লজিক দাড় করিয়ে স্ফেরিক্যাল আর্থকে গ্রহন করেন। এর অনেক পরে সেসবের সাপোর্টে কুরআনের কতিপয় আয়াতের দুরবর্তী অস্পষ্ট যুক্তি দিয়ে কুরআনের সাথে কম্প্যাটিবল করা হয়। উল্লেখ্যঃ তাদের এই ব্যাখ্যা যদি গ্রহন করা হয় তবে অজস্র স্পষ্ট হাদিস এবং কুরআনেরই আয়াতগুলোকে isolate করে দেওয়া হয়। সেসব ব্যাখ্যার অযোগ্য/ সাংঘর্ষিকতা তৈরি হবে।
.
তখন হয়, পাঠককে হয় সাহাবীদের বর্ননা/ ব্যাখ্যাগুলোকে(হ াদিসসমূহ) গ্রহন করতে হবে এবং ওই কন্টেম্পরারী আলেমদের মনগড়া যুক্তিকেন্দ্রিক গ্রীক-বাবেল প্রভাবিত ব্যাখ্যাকে বর্জন করতে হবে, অথবা কুরআনের সুস্পষ্ট আয়াত এবং সমস্ত হাদিসের হার্মোনিয়াস দলিলগুলোকে বর্জন করে তৎকালীন আলেমদের মনগড়া যুক্তিভিত্তিক ব্যাখ্যাকে গ্রহন করতে হবে।
.
কস্মোলজিক্যাল ডেস্ক্রিপশনে রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাবীদের(রাযি. ) কথা/ ব্যাখ্যা(হাদিস) তথা সমস্ত জঈফ,সহীহ বর্ননা এবং কুরআনের আয়াতসমূহের মধ্যে চমৎকার হার্মোনি বিদ্যমান। এদের মধ্যে কোন সাংঘর্ষিকতা নেই। কারন কুরআনের পরে সহীহ-জঈফ সমস্ত হাদিসে সমতল জমিন, আসমানি ছাদের প্রাচীন কস্মোলজির সিন্থেসিজে বিশদ বর্ননা আছে। সাহাবীগন(রাঃ) গম্বুজাকৃতি আসমানসমূহ এবং সমতল স্তরবিন্যস্ত সপ্তজমিনের বর্ননাই দিয়েছিলেন।
.
কিন্তু মর্ডান কাব্বালিস্টিক-ব ্যবিলনিয়ান কস্মোলজির ফেভারে আলেমদের কথা গুলোকে গ্রহন করলে, দলিলগুলোয় অজস্র সাংঘর্ষিকতা তৈরি হয়, ক্ষেত্র বিশেষে এমন কনফ্লিক্টও আছে যেখানে কোন চাতুর্যময় লজিকও কাজ করবে না। ওই সময়ে যারা গ্রীক এস্ট্রোনমিকে গ্রহন করেছিল তাদের অনেকে আবার গ্রীক দর্শনের বিরুদ্ধেও কলম ধারন করেছিলেন!! সঙ্গত কারনে কস্মোলজিক্যাল চিন্তাধারার চ্যুতিকে আমি তাদের কাউকে দোষারোপ করি না। সেসময়কার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ সর্বোত্তম অবগত আছেন।
.
যাহোক, স্ফেরিক্যাল(গোল ্লা) পৃথিবী ১৫০০ সালের পূর্বে কখনোই মেইনস্ট্রিমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১% এরও কম সংখ্যক মানুষের সমর্থন ছিল। এই ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোনমির বিশ্বাস ছিল যাদুকর, জ্যোতিষী, ন্যাচারাল ফিলসফার বা দার্শনিকদের মধ্যে, আর ইসলামের মাঝে- আরবে গ্রীক দর্শন প্রবেশের পরে 'অজ্ঞাতকারনে' এর সপক্ষে অসাড় যুক্তিদানকারী (কুরআন সুন্নাহর)দালিলি ক সমর্থনহীন সামান্যকিছু সংখ্যক আলেমগন ছিলেন।এমনকি ইবনে হাজম(র:) যখন স্ফেরিক্যাল পৃথিবীর সাপোর্ট শুরু করেন তার বিপক্ষে ছিলেন সাধারণ মুসলিম জনগন। তিনি এ ব্যপারে কিছু বলেছিলেনও।
.
১৫০০ সালের পরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারীরা সমস্ত ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রোমোটিং এর পাশাপাশি গোল পৃথিবীর মতবাদকে সারাবিশ্বে গায়ের জোড় খাটিয়ে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করে। সমতল পৃথিবীর নোশন বইপুস্তক থেকে বিদায় নিতে শুরু করে। চীন সরকার প্রথম দিকে 'ঘাড়ত্যাড়ামি' শুরু করলেও অবশেষে ক্যাথলিকদের চাপে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ওরা ২০০ বছর পরে অর্থাৎ ১৭০০ সালে পাঠ্যপুস্তক থেকে ফ্ল্যাট আর্থ কস্মোলজি হটিয়ে গোলপৃথিবীকে প্রতিষ্ঠা করে।[উইকিপিডিয়া তেই সমুদয় ঘটনা বিধৃত আছে,দেখে আসুন]
সুতরাং এই গ্রেট কস্মোলজিক্যাল কন্সেপচুয়াল শিফটিং এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে রোমান ক্যাথলিকরা।
.
তো ভাইয়েরা, আজ যারা কুরআন সুন্নাহর দলিল দিয়ে দুনিয়াকে কাফেরদের সাথে তাল মিলিয়ে গোল বানানোতে ব্যস্ত, তারা কাদের 'মিশন' দ্বারা প্রভাবিত? কাদের মিশনকে সহজ করে দিয়েছে?? কাদের বিষ বহন করছে?? ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারি???!!!! । তাদের দুর্বল অবস্থান অথবা সুস্পষ্ট বাতিলপন্থার ব্যপারে আমরা জানলেও এভাবে কখনোই লিখতাম না যদি ইদানীংকালে কিছু নির্বোধ-মূর্খ/ মডারেট/ মুরজিয়াদের থেকে দলিলবিহীন অপবাদ না দেখতাম। সেগুলো নিচের কমেন্টের স্ক্রিনশটেই দেখুন।
.
আমাদেরকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। আমরা নাকি খ্রিষ্টান মিশনারীর প্রভাবিত, দালাল, এমনকি কাফেরও!! ওরা বলছে বাইবেলে নাকি আছে 'পৃথিবী সমতল'!! অথচ খোজ নিয়ে দেখুন এরকম একটাও ভার্স নেই।করাপ্টেট গস্পেলে তো নাই-ই খ্রিষ্টানদের বানোয়াট এক্সটেনশন গুলাতেও নাহ। বিকৃত তাওরাত খুজে আসুন, একটা দলিল দেখান যেখানে স্পষ্টভাবে আছে 'দুনিয়া সমতল'!! তো ওরা কিসের উপর ভিত্তি করে কথা বলছে(??)। উলটো সমস্ত বাস্তব তথ্যপ্রমাণ বলে যে, ওরা নিজেরাই মেইনস্ট্রিম খ্রিষ্টীয় মিশনারি দ্বারাই প্রভাবিত! নাস্তিক-আস্তিক ডিবেটের বিরাট গ্রুপ খুলে খ্রিষ্টান কুফফারদের ফেভারে কথিত দ্বীনি তৎপরতা চালিয়েছে এত দিন। তাই না??
.
আসল ব্যাপার হচ্ছে অল্পবিদ্যা এবং জ্ঞানস্বল্পতা। আর যদি হৃদয়ে ব্যধি থাকে তাহলে জ্ঞান থাকলেও লাভ নেই।
.
কট্টর বিজ্ঞান পন্থী এক মেরিনের ছাগল(ইঞ্জিনিয়ার ) ক'দিন আগে বেশ লাফিয়েছিলো। ওই মূর্খটা বলত, সাহাবীগন উন্নত শিক্ষা বিজ্ঞান-প্রযুক্ তি হাতে পাননি, তাই তারা নাকি বলেছে 'পৃথিবী সমতল'। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!! এই হচ্ছে কাফেরদের বিছানো জালে আটকা পড়া মুসলিমভাইদের জ্ঞানের অবস্থা।
.
আরেক 'বাহ্যত' গুরাবাপন্থী লেখক বলেছিলেন আমরা নাকি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতাদর্শ প্রচার করছি। আজ তো তার এবং আমাদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট দেখলেন...! এ সময়টাতে কিছু লোকদেরকে দেখছি,যারা কিছু না জানলেও সে বিষয়ে জ্ঞানের জাহির করতে মন্তব্য করে।
.
আরেক সাইন্সবিশারদ অনেক ভারিক্কি বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে বললেন, পিথাগোরাসরা সমতল পৃথিবীর প্রবক্তা ছিলেন 😆। তাকে কোন রেফারেন্স দেখালে কাজ হবে না, মানবেন না, ভুল স্বীকারও করবেন না। তিনি যা বলেছিলেন উহাই ঠিক। অথচ আশাকরি আপনারা সবাই জানেন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রনমি ধার করে গোল দুনিয়ার প্রচার করে পিথাগোরাসই হন ইতিহাস স্বীকৃত প্রথম গোল্লাবাদী।
.
এই হচ্ছে তর্কবিতর্কে আগ্রহী ভাইবেরাদারদের জ্ঞানের হালত। এরা জিওস্টেশনারী কস্মোলজির খুত ধরতে হেলিওসেণ্ট্রিক- জিওসেন্ট্রিক উভয়টা মিলিয়ে খিচুড়ি মার্কা প্রশ্ন করে। জিজ্ঞেসা করে জমিন যদি সমতলই হয় তাহলে আম্রিকায় এখন রাত কেন, সর্বত্র তো একই সাথে রাত ও দিন হবার কথা। ওরা আগের ইনপুট গুলো থেকেও বের হতে পারে না। বিনোদন নিতে আসে...। এরা অনেকে বিরাট রাইটার, অনেক ফলোয়ার ফ্যানবয় আছে, গ্রুপও আছে যেখানে নাস্তিক,মুর্তাদ দের সাথে বিতর্ক করে। কিন্তু এখানে এসে ট্রোল করে। আজেবাজে লিখে তর্ক বিতর্ক করতে চায়, কেউ আবার বিনোদন গ্রহন করতে আসে। ওদের বিনোদন লাভের উদাহরণ হলো এই- 'পাগলের সুখ মনে মনে, পাতা কুড়ায় টাকা গোনে'! আমরা জানি, শূন্য কলসি বাজে বেশি, তেমনি ছোট মাছ লাফায় বেশি। এরা ছোট্ট একটা কুয়োয় বাস করে, কুয়োর বাহিরে যে কিছু থাকতে পারে, সেটা ভাবতেই পারে না। কগনিটিভ ডিজোনেন্সে তো ভোগেই। উপরন্তু দলিলবিহীন ফালতু আজেবাজে লিখে আমাদেরকে নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করতে গিয়ে ওরা আসলে নিজেকেই ছোট করে,কিন্তু সেটা তারা বোঝে না। এরা ক'দিন পর পর এসে পরিবেশকে নষ্ট করে বটে, এদেরকে দেখে সাধারণ গ্রুপ সদস্যভাইদের বিচলিত হবার কিছুই নেই। একটা বিষয় আবারো উল্লেখ করব, এই গ্রুপে মেম্বারদের সংখ্যা বাড়ছে। ১৭০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাব্লিক রেস্পন্স, পপুলারিটি প্রভৃতি আমাদের লক্ষ্য নয়, আবর্জনা মার্কা মেম্বার দিয়ে গ্রুপ ভড়বার চেয়ে ১৭০ জন সুস্থ বিচারবুদ্ধিসম্প ন্ন সদস্য থাকুক,সেটাই আমরা চাই। আমরা যা বলি তা সবাইকে গ্রহন করতেই হবে, এমন টা নয়। সকলের পেটে সবকিছু হজম হবে না এটাই স্বাভাবিক। এলার্জিগ্রস্তরা যেকোন সময়েই লিভ নিতে পারে। যাকে যার জন্য সৃষ্টিকরা হয়েছে, সেটা তার জন্য সহজ করা হয়েছে। সাহাবী আজমাঈন যার উপর ছিলেন সেই বিষয়বস্তুরই কথাই বলি। আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে সামনে এগিয়েই যাব ইনশাআল্লাহ। আশাকরি খুব শীঘ্রই মেইনস্ট্রিম সাইন্স তথা 'ন্যাচারাল ফিলসফির' ভ্যালিডিটি শূন্যে কাছে পৌছবে। বিশেষ করে ফিজিক্স এবং এস্ট্রোনমি। ইনশাআল্লাহ, সামনে সেই সময় আসছে যখন বিচক্ষন ও বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কাফেরদের কথা প্রত্যাখ্যান এবং আসমানি কিতাবে বর্নিত সৃষ্টিতত্ত্বে বিশ্বাস এবং আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকবে না।
.
জেনে রাখুন, আজ যারা 'সাইন্সের' রেফারেন্স দিয়ে কথা বলে গর্ববোধ করে, 'বিশাল কিছু জানি' অনুভূতিতে ভোগে, তারা এমন কিছুর অনুসরণ করে যা প্রাচীন বাবেল শহরের হারুত ও মারুতের কাছে অবতীর্ণ কিছু বিদ্যা এবং শয়তানদের আবৃত্ত কিছু কুফরি কথার অংশবিশেষ। শয়তান মানুষকে যাদুশিক্ষা দিত,যাকে আজ ইহুদীরা নাম দিয়েছে 'কাব্বালা'। বস্তুত, এসব অপবিদ্যা এবং অপবিজ্ঞান বৈ আর কিছু নয়।
.
তখন হয়, পাঠককে হয় সাহাবীদের বর্ননা/
.
কস্মোলজিক্যাল ডেস্ক্রিপশনে রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাবীদের(রাযি.
.
কিন্তু মর্ডান কাব্বালিস্টিক-ব
.
যাহোক, স্ফেরিক্যাল(গোল
.
১৫০০ সালের পরে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারীরা সমস্ত ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ প্রোমোটিং এর পাশাপাশি গোল পৃথিবীর মতবাদকে সারাবিশ্বে গায়ের জোড় খাটিয়ে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করে। সমতল পৃথিবীর নোশন বইপুস্তক থেকে বিদায় নিতে শুরু করে। চীন সরকার প্রথম দিকে 'ঘাড়ত্যাড়ামি' শুরু করলেও অবশেষে ক্যাথলিকদের চাপে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ওরা ২০০ বছর পরে অর্থাৎ ১৭০০ সালে পাঠ্যপুস্তক থেকে ফ্ল্যাট আর্থ কস্মোলজি হটিয়ে গোলপৃথিবীকে প্রতিষ্ঠা করে।[উইকিপিডিয়া
সুতরাং এই গ্রেট কস্মোলজিক্যাল কন্সেপচুয়াল শিফটিং এর পেছনে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে রোমান ক্যাথলিকরা।
.
তো ভাইয়েরা, আজ যারা কুরআন সুন্নাহর দলিল দিয়ে দুনিয়াকে কাফেরদের সাথে তাল মিলিয়ে গোল বানানোতে ব্যস্ত, তারা কাদের 'মিশন' দ্বারা প্রভাবিত? কাদের মিশনকে সহজ করে দিয়েছে?? কাদের বিষ বহন করছে?? ক্যাথলিক খ্রিষ্টান মিশনারি???!!!! । তাদের দুর্বল অবস্থান অথবা সুস্পষ্ট বাতিলপন্থার ব্যপারে আমরা জানলেও এভাবে কখনোই লিখতাম না যদি ইদানীংকালে কিছু নির্বোধ-মূর্খ/
.
আমাদেরকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। আমরা নাকি খ্রিষ্টান মিশনারীর প্রভাবিত, দালাল, এমনকি কাফেরও!! ওরা বলছে বাইবেলে নাকি আছে 'পৃথিবী সমতল'!! অথচ খোজ নিয়ে দেখুন এরকম একটাও ভার্স নেই।করাপ্টেট গস্পেলে তো নাই-ই খ্রিষ্টানদের বানোয়াট এক্সটেনশন গুলাতেও নাহ। বিকৃত তাওরাত খুজে আসুন, একটা দলিল দেখান যেখানে স্পষ্টভাবে আছে 'দুনিয়া সমতল'!! তো ওরা কিসের উপর ভিত্তি করে কথা বলছে(??)। উলটো সমস্ত বাস্তব তথ্যপ্রমাণ বলে যে, ওরা নিজেরাই মেইনস্ট্রিম খ্রিষ্টীয় মিশনারি দ্বারাই প্রভাবিত! নাস্তিক-আস্তিক ডিবেটের বিরাট গ্রুপ খুলে খ্রিষ্টান কুফফারদের ফেভারে কথিত দ্বীনি তৎপরতা চালিয়েছে এত দিন। তাই না??
.
আসল ব্যাপার হচ্ছে অল্পবিদ্যা এবং জ্ঞানস্বল্পতা। আর যদি হৃদয়ে ব্যধি থাকে তাহলে জ্ঞান থাকলেও লাভ নেই।
.
কট্টর বিজ্ঞান পন্থী এক মেরিনের ছাগল(ইঞ্জিনিয়ার
.
আরেক 'বাহ্যত' গুরাবাপন্থী লেখক বলেছিলেন আমরা নাকি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতাদর্শ প্রচার করছি। আজ তো তার এবং আমাদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট দেখলেন...! এ সময়টাতে কিছু লোকদেরকে দেখছি,যারা কিছু না জানলেও সে বিষয়ে জ্ঞানের জাহির করতে মন্তব্য করে।
.
আরেক সাইন্সবিশারদ অনেক ভারিক্কি বৈজ্ঞানিক শব্দ ব্যবহার করে বললেন, পিথাগোরাসরা সমতল পৃথিবীর প্রবক্তা ছিলেন 😆। তাকে কোন রেফারেন্স দেখালে কাজ হবে না, মানবেন না, ভুল স্বীকারও করবেন না। তিনি যা বলেছিলেন উহাই ঠিক। অথচ আশাকরি আপনারা সবাই জানেন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রনমি ধার করে গোল দুনিয়ার প্রচার করে পিথাগোরাসই হন ইতিহাস স্বীকৃত প্রথম গোল্লাবাদী।
.
এই হচ্ছে তর্কবিতর্কে আগ্রহী ভাইবেরাদারদের জ্ঞানের হালত। এরা জিওস্টেশনারী কস্মোলজির খুত ধরতে হেলিওসেণ্ট্রিক-
.
জেনে রাখুন, আজ যারা 'সাইন্সের' রেফারেন্স দিয়ে কথা বলে গর্ববোধ করে, 'বিশাল কিছু জানি' অনুভূতিতে ভোগে, তারা এমন কিছুর অনুসরণ করে যা প্রাচীন বাবেল শহরের হারুত ও মারুতের কাছে অবতীর্ণ কিছু বিদ্যা এবং শয়তানদের আবৃত্ত কিছু কুফরি কথার অংশবিশেষ। শয়তান মানুষকে যাদুশিক্ষা দিত,যাকে আজ ইহুদীরা নাম দিয়েছে 'কাব্বালা'। বস্তুত, এসব অপবিদ্যা এবং অপবিজ্ঞান বৈ আর কিছু নয়।