Monday, April 7, 2025

ফালাস্তিন এবং আমরা

গাযযা সম্পূর্ণ জনমানবহীন করার পর নেক্সট আক্রমন হবে পশ্চিম তীর। পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক - সামরিক হালত খুব ভয়াবহ। পশ্চিম তীর (West Bank) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের অংশ হলেও এটি ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 1967 সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল এটি দখল করে এবং তখন থেকে সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ইসরায়েল সামরিকভাবে পুরো এলাকাটির ওপর প্রভাব বজায় রেখেছে। মুসলিমরা ১৯৯৩ সালের তাগু-তি অসলো চুক্তি তে নিজেদের হাত থেকে অস্ত্র ছেড়ে অভিশপ্ত ইহুদিদের হাতে ন্যাস্ত করে। সে মোতাবেক সামরিক ভাবে নিয়ন্ত্রন কাফিরদের হাতে তুলে দেয় ৩ ভাগের ২ ভাগ অঞ্চল। এরিয়া এ (Area A) তে আছে ফিলিস্তিনি শহরগুলো (যেমন রামাল্লাহ, নাবলুস, হেবরন-এর কিছু অংশ)। শুধুমাত্র এখানে প্রশাসন ও সামরিক শক্তি সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (Palestinian Authority - PA) নিয়ন্ত্রণে। এরিয়া বি (Area B) এর প্রশাসন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হলেও সামরিক শক্তি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এরিয়া সি (Area C) প্রশাসন ও সামরিক সম্পূর্ণ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এ অংশে আছে পশ্চিম তীরের প্রায় ৬০% এলাকা।এখানে নির্মাণ ও অবকাঠামো ফিলিস্তিনিদের জন্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, প্রায়ই নির্মাণ অনুমতি দেওয়া হয় না। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলতে IDF কে বোঝায়। মানে সামরিক ভাবে পশ্চিম তীরের দুই তৃতীয়াংশ IDF এর দখলে। এরা পশ্চিম তীরে নিয়মিত টহল দেয় ও অভিযান চালায়। নিরাপত্তার নামে গ্রেফতার ও হামলা চালায়। 

 একটা চুক্তি হইলো তাতে বলদ তাওহিদ ছেড়ে দেয়া মুসলিমরা ৩ এর ২ ভাগ দফা মালাঈনের হাতে তুলে দেয় আর পিশ্ফুল এডমিন বা প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে রাখে ৩ এর ২ ভাগ। মসজিদের মেহরাব মানেই যেখানে অস্ত্র রাখার স্থান সেখানে মুসলিমরা নিজেদের পিশ্ফুল প্রমানের প্রতিযোগিতায় আসলিহাত ছাড়তে ছাড়তে সব কাফিরদের হাতে দিয়ে নিজেদের পীর সুফি বানিয়েছি। ইসরাইল এবং আমাদের উপমহাদেশে একই ঘটনা ঘটেছিল। কাফিররা প্রথম দিকে নতজানু হয়ে থাকতে আসে, একদল আশ্রয় চায়,আরেকদল ব্যবসা করতে চায়। তাদের সাথে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলার বদলে দয়া দেখানোর মাসুল হলো ওদের হাতে কচুকাটা হওয়া। উপমহাদেশে ২০০ বছর সরাসরি ওদের হাতে মার খাওয়া এবং ১৯৪৭ সালে ওদের যাবার সময় ওদের মালউন পৌত্তলিক এজেন্টদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আজ পর্যন্ত শোষিত হওয়া, আমরাও রক্ষা পাইনি,1971 সালে বঙ্গবল্টুর হাত ধরে ভারতের হাতে এদেশকে অলিখিত রাজ্য হিসাবে দেবার পর সর্বশেষ 2025 সাল পর্যন্ত ভারতীয় এজেন্ট আওয়ামীলীগ দিয়ে শোষব চলেছে। আর ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত চলছে এবং চলবে। 

সকল ভূখণ্ডে মুসলিমদের মাইর খাওয়ার কারন একটাই তাওহীদুল হাকিমিয়্যাহকে ছেড়ে দেয়া, কুফরি নিজামে সন্তুষ্ট হওয়া, কুফরি আদর্শকে সুপেরিয়র মনে করা এবং গ্রহন করা, حبّ الدنيا و كراهية القتال মানে দুনিয়াকে ভালবাসা কিত্বালকে ঘৃনা করা, জঙ্গী শব্দটাকে ঘৃনা করা। অথচ রাসূল(স) নিজেকে নাবীয়ূল মালহামা বলে ঘোষনা করেছেন অর্থাৎ জঙ্গী নবী। আমরা গাযযার হালত দেখে মনোকষ্টে আছি, নিজেদেরকে জিহাদে না বের হবার জন্য অপরাধী বলছি, ভাই এই অপরাধী কি আমরা আজ হয়েছি? শুরুতে বাপদাদা পূর্বপুরুষ যখন তাওহীদের আদর্শ কে ভুলে যায় তখন দিয়েই শুরু। আমাদের জীবদ্দশায় আরাকানে মঙ্গোলয়েড মালউন মগ বাহিনী কচুকাটা করলো নারী শিশুদের আমরা এপার দাঁড়িয়েই রইলাম। শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ: বলেন আক্রান্ত ভূমিতে জিহাদি ফরজিয়্যাত চক্রাকারে বাড়তে থাকে আশপাশের ভূখন্ড গুলোর উপর, ৩৬০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে চারপাশের নিকটস্থ মুসলিমদের উপর ফরজ বর্তায়। আমাদের পাশে যখন মুসলিম নিধন চলছিল কিছু করিনি আর এখনকার গাযযা তো বহু দূরে। পাশের দেশ ভারতেও শুরু হয়ে যাচ্ছে। আবেগ তাড়িত না হয়ে বললে এখন যেটা বর্তমান গাযযার অবস্থা বিচারে করা দরকার, সেখানকার মুসলমানদের অন্যদেশে আশ্রয়দান। পরবর্তীতে মাঠ খালি করে ঠান্ডা মাথায় কি করা যায় সেটা ভাবা। কিন্তু আশপাশের একটা রাষ্ট্রের মুখে আশ্রয়দান এর খবর পাইলাম না। বুঝলাম ফিলিস্তিনে সামরিক এইড পাঠালে তাগুতসংঘের প্রতিষ্ঠাতা আব্বুরা রাগ করবে ,তাহলে মিনিমাম আশ্রয় দিলে কি সমস্যা? নাকি ফিলিস্তিনি সকলের মরতেই হবে! বাচার মানবিক অধিকার নেই! যারাই চুপ আছে বা আছি তারাই নেক্সট ভিক্টিম। আরাকানে আমাদের নিরবতার জন্য আমরা নেক্সট ভিকটিম। ভারত আজ বা কাল বাংলাদেশ কে আরেকটা ফিলিস্তিন বানাবেই।

Monday, March 3, 2025

অভ্র বাদ দিয়ে প‌্রভাতে কেন লিখবেন?

প্রভাত ফিক্সড কি লেআউট হওয়ায় কিস্ট‌্রোক অভ্র অপেক্ষা কম। লিনাক্স বেজড সিস্টেমে কোন বাড়তি সফটওয়‌্যার ইন্সটল না করেই সরাসরি কিবোর্ড সেটিং থেকে বাংলায় প্রভাত কে সিলেক্ট করে সরাসরি লেখা যায় এমনকি আইবাস ইন্সটলেরও কোন জরুরত নেই। এই লেআউটে লেখা শিখতে সর্বোচ্চ দুই তিন দিন লাগবে আর মোটামোটি দ্রত লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে 7 দিনের বেশি লাগার কথা না। সাধারন ফোন ব্যবহারকারীর উচিত সবসময় প্রভাত লেআউটে টাইপ করা।

আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক পতন

 সলাম বিরোধী আওয়ামী তাগুতলীগের পতন হয়ে গেল। বিষয়টা আমারও প্রত্যাশিত ছিল না। আমি যেভাবে প্রেডিক্ট করতাম তখনকার ডলার রিজার্ভ ৮ বিলিয়নের নিচে ঠেকেছিল। হয়ত আর 3-4 মাস চলত রিজার্ভ দিয়ে। দেশটা শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হত, তারপর বিদ্যুত থাকত না, তেল থাকত না, চরম মুদ‌্রাস্ফিতী ঘটত, দ্রব্যমূল্যের চরম উদ্ধগতিতে দুর্ভিক্ষ শুরু হত, তখন সাধারন জনতা রাস্তায় নামত। কারন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। গন অভ্যুত্থান তখন ঘটত।

Wednesday, November 29, 2023

আবারো ক্ষমতায় আসছে আওয়ামীলীগ

 বিএনপি যতই হরতাল অবরোধ দেক, যতই আমেরিকা থেকে চাপ আসুক, কোনভাবেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা যতক্ষণ না বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে।

বুদ্ধিহীন বিকলাঙ্গ মেধাশূন্য জাতি তৈরির ষড়যন্ত্র

শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রিভুজ চতুর্ভুজ, বৃত্ত আসার খবর আমার এক রিলেটিভ এর কাছে বছর খানেক আগে পাই। সে বলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হইতেছে।

Wednesday, September 20, 2023

"All Time" exists all the time


 
"All Time" exist all the time ,এমন কথা ইহুদিপুত্র আইনস্টাইনের সময়ের ব্যাখ্যায় বলেছিল, সকল সময় সব সময় বর্তমান। সময়ের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ এগুলো ইলুশ্যন। এ নিয়ে বেশ কিছু বিখ্যাত উক্তিও আছে তার। সময়ের এই তত্ত্বই পরবর্তীতে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

Tuesday, January 10, 2023

Session

 Session এর সাথে এখনো আমরা অনেকেই তেমন পরিচিত নই। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউরড চ্যাট ম্যাসেঞ্জার গুলোর একটা। এটা ডিফল্ট অনিয়ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ম্যাসেজ ট্রান্সমিট করে। কেউই জানে না কে কাকে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে। তাছাড়া সকল ম্যাসেজ এন্ডটু এন্ড এনক্রিপ্টেড। এতে নাম্বার ইমেইল দিয়ে সাইনআপ এর ঝামেলা নেই, ডিসেন্ট্রালাইজড সার্ভার। রিকভারি সেন্টন্স সংরক্ষন করলেই যেকোন জায়গায় লগইন করা যায়। এটা একটা ওপেনসোর্স প্রজেক্ট।এটার ডেভেলপমেন্টে ডেভদেরকে আমিও বাগরিপোর্ট করে সাহায্য করি। সবমিলিয়ে প্রাইভেসি কনসাস মানুষদের জন্য এটা খুবই উপযোগী। কোন ধরনের ইনটারসেপটরেও কাজ করবে না এর উপর, কারন আপনার আইপিই জানা সম্ভব না। ফেসবুক থেকে একরকম বলা যায় বিদায় নিয়েছি। বর্তমানে সেশনে খুব ভাল আছি। আপনিও চাইলে এই ম্যাসেনজার ব্যবহার করতে পারেন যদি প্রাইভেসির বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন। ওয়েব সাইট - https://getsession.org/

Playstore - https://play.google.com/store/apps/details?id=network.loki.messenger

 

 

 

 

Monday, April 18, 2022

ইসলামফোবিয়া এবং আমাদের কিছু করণীয়

 10 বছর আগেরও আজকের মত ইসলাম বিদ্বেষ কোথাও দেখা যায় নি। আজ যা হচ্ছে তা 20 বছর আগে বললে অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করতে চাইত না।

Saturday, February 12, 2022

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৬

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আপনারা ব্লগে অনেক পরিবর্তন হয়ত লক্ষ্য করছেন। কয়েকদিন আগে ব্লগে বড় ধরনের ম্যালফাংশন লক্ষ্য করি। মনে হচ্ছিল কেউ হ্যাকিং এর চেষ্টা করেছে অথবা অন্য কিছু। ব্রাউজার একাধিকবার Cross-Site Scripting attack এর রিপোর্ট করেছিল। আমি লক্ষ্য করি সকল পোস্ট গুলো ডুপ্লিকেট হচ্ছিল। সব পোস্ট রিমুভ করতে গেলেও ফেইল হচ্ছিল। এরকম কোনকিছু কখনো দেখিনি। অনেক চেষ্টার পর সকল কন্টেন্ট রিমুভ করে পুনরায় ব্যাকআপ ইমপোর্ট করার পরে ঠিক হয়। টেম্পলেট টাও পালটে ফেলি। 

৫-৭ বছর আগের স্লো ফোন ফাস্ট করবেন যেভাবে

বর্তমানে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ছাপ প্রযুক্তি পণ্যে অনেক বেশি। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনার হাতের ফোনটা ২ বছর পার হলেই এমন অবস্থা হয় যে সেটা আর চালানো যায়না। ৪ বছর আগের একজিবি বা ৫১২ মেগাবাইট এর র‍্যামের ফোন গুলায় ম্যাসেঞ্জার কিংবা ফেসবুক ইন্সটল করলে আর অন্য এ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলেশন এর স্পেস থাকেনা। ৪ বছর আগে ফেসবুকের সাইজ ছিল ৩০ মেগাবাইট এখন সেটার সাইজ ১০০ এর বেশি। ইন্সটল করলে সাইজ অর্ধগিগাবাইট খেয়ে ফেলে। চার পাঁচ বছর আগে ক্রোম ফায়ারফক্সের সাইজ ছিল ২৫-৩০ এম্বি। এখন সেসব ব্রাউজারের আকার ১৫০+।২০০ মেগাবাইটের ব্রাউজারও আছে। ইন্সটল করার পর ৬০০ মেগাবাইট ছাড়ায়এখন চিন্তা করে দেখুন কিভাবে এসব ৫১২ র‍্যামের ফোনে ব্যবহার করবেন! এখানেই ক্যাপিটালিজম। আপনাকে বাধ্য হয়েই এটা ফেলে দিয়ে নতুন হায়ার হার্ডওয়্যার রিসোর্স এর ফোন কিনতে হবে। ওরা ইচ্ছা করেই এপ্লিকেশন এর সাইজ বাড়াচ্ছে আপডেটের নামে। আর আপনি ওদের তালে তাল মেলাতে গিয়ে আপনার ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার অনুপযোগী করছেন। আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যার খারাপ হচ্ছে না বরং ওরা প্রতিনিয়ত অধিকতর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এর উপযোগী সফটওয়্যার রিলিজ করছে, যখন আপনার ডুয়েল কোর এর ফোনে আপডেট করছেন তখন সেটা রান করতে soc এর ওভারস্ট্রেস হচ্ছে, স্লো হচ্ছে হ্যাং হচ্ছে। আসলে এটাকে আপডেট বলেনা এটাকে ডেভেলপমেন্ট বলেনা , ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এক্সিস্টিং মেশিনে ঐ সফটওয়্যারকে আকার না বাড়িয়ে আরো বেশি অপটিমাইজড করা,লেস পাওয়ার কনজিউমিং করা,সাইজ আরো ছোট করার জন্য। এই কাজটাই করে লিনাক্স বেজড ডিস্ট্রো গুলো। কিন্তু এন্ড্রয়েড লিনাক্স বেজড হওয়া সত্ত্বেও এটার নিয়ন্ত্রণ পুঁজিবাদী গুগলের হাতে। এজন্য এটা সবচেয়ে নিম্নমানের ওএস। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার ৫-৬ বছর আগের ডিভাইস কোন ল্যাগ বা হ্যাং ছাড়াই ব্যবহার করবেন?  


* প্রথমে একটা ফ্যাক্টরি রিসেট দিবেন।
*এরপরে প্লে স্টোর এবং গুগল সংক্রান্ত কয়েকটা এপ্লিকেশন যেগুলা কম প্রয়োজন সেগুলো ডিজএ্যাবল করবেন। প্লেস্টোর ডিজএবল করবেন যাতে স্টক এ্যাপ আপডেট না হয়। প্লে স্টোর থাকলেই, গুগল, গুগল প্লে সার্ভিস সহ আরো কিছু সফটওয়্যার আপডেট করে আকার অনেক বাড়িয়ে ফেলবে যার ফলে আপনি স্বল্প র‍্যামে আর চালাতে পারবেন না। তাছাড়া ওরা গুগল প্লে সার্ভিস সহ কিছু স্টক এপ্লিকেশন আপডেট করে পুঁজিবাদ টিকিয়ে রাখতে নতুন নতুন শক্তিশালী প্রসেসরের জন্য, যেটা চালাতে আপনার দুর্বল প্রসেসর পেরে ওঠে না,অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। এই কারনেই স্লো হয়ে যায়। এজন্য কোনভাবেই আপডেট করবেন না স্টক এপ্লিকেশন গুলো।
*অন্য সফটওয়্যার গুলোর লাইট ভার্সন কিংবা অনেক আগের ভার্সন যেগুলার সাইজ ছোট ছিল সেসব ব্যবহার করা। অফিস এপ্লিকেশন যেগুলার সাইজ ৩ বছর আগে ৩০ মেগাবাইট ছিল এখন সেগুলো ১৫০-১৯০ এম্বি। সুতরাং ওল্ড ভার্সন ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক মেইন এপ্লিকেশন এর জায়গায় লাইট ভার্সন ব্যবহার করা যেতে পারে।
*যেহেতু প্লে স্টোর ডিজএ্যাবল করবেন নতুন এপ্লিকেশন ডাউনলোড কিভাবে করবেন? এজন্য অন্য কোন মার্কেট প্লেস ব্যবহার করতে পারেন, যেমনঃ mobile1, 9Apps, apkmirror,Fdroid, Aptoid,Moboginie,Apkpure এরকম অসংখ্য পাবেন। এদের মধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে  Apkpure বেশি পছন্দ করি। আপনারা চাইলে গুগল থেকেও ****.apk প্যাকেজ নামিয়ে ইন্সটল করে নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার আর্কিটেকচার মিলিয়ে নিতে হবে। নিয়ন এআরএম৭, এক্স ৮৬, এবং ৬৪ বিট এর মধ্যে আপনার ফোন যেটা সেটা নামালে ইন্সটল হবে। যেহেতু লোএন্ডের পুরাতন ফোন ইউজেবল করবেন সেহেতু এই ঝামেলাগুলো করতেই হবে।
*সফটওয়্যার চাইলে অন্যের ফোন দিয়ে ব্লুটুথ বা শেয়ারমি দিয়ে নিয়ে নেবেন(শেয়ারইট ব্যবহার করবেন না, বাজে এ্যাডে ভরে গেছে+ সাইজও অস্বাভাবিক বেড়েছে)
*থার্ডপার্টি এ্যাপ মার্কেট ব্যবহার করতে গেলেও খেয়াল রাখবেন গুগল এর  বা অন্যান্য হেভি এ্যাপ্লিকেশন আপডেট হয়ে না যায়। এজন্য সবচেয়ে ভাল হয় কোন এ্যাপ মার্কেট ব্যবহার না করে সরাসরি গুগলে সার্চ দিয়ে এপ্লিকেশন প্যাকেজ নামালে।
*ফোন এর ইন্টারনাল স্টোরেজে ব্যক্তিগত কিছু রাখবেন না। সেটাকে কিছুটা ফাঁকা রাখা জরুরি। অনেকসময় দেখা যায় একা একাই জায়গা কমতে থাকে। আমি ছবি তে দিয়েছি, এখানে দেখছেন একেকটা সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশনের সাইজ কিরূপ বেড়ে গিয়েছে। এখানে মূল রহস্য হচ্ছে ক্যাশ। সপ্তাহে অন্তত একবার প্রত্যেক এপ্লিকেশন এর ক্যাশ ক্লিয়ার করবেন। ক্যাশ ফাইল হচ্ছে একটা সফটওয়ার চলার কারনে জমা হওয়া কিছু ফাইল, যা পুনরায় ওই এ্যাপ্লিকেশন এ্যাক্সেসে দ্রুতি ঘটায়। যেমন ধরুন ফেসবুকের ক্যাশই জমে ৪০০-৫০০ মেগাবাইট ছাড়ায়। এর ফলে কিছু পেইজ প্রিলোডেড হয়ে থাকে। আবার কিছু ফাইল জাঙ্ক হয়ে থাকে। তবে পুরাতন ফোন গুলায় স্পেস কম হবার জন্য এগুলো সেটিং এর স্টোরেজ অপশনে গিয়ে ক্যাশ ক্লিয়ার করে নিবেন। এতে দেখবেন দু এক জিবি স্পেস খালি হবে।
*বড় সাইজের হেভি সফটওয়্যার এর বিকল্প লাইট কিছু খুজবেন। যেমন ধরুন ম্যাসেঞ্জার না চালিয়ে ম্যাসেঞ্জার লাইট। ক্রোম ব্রাউজার, ফায়ারফক্স এর আকার এখন ৯০+ এম্বি। বিকল্প হিসাবে অপেরামিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। যে এপ্লিকেশন ব্যবহার কম হয়, সেসব আনইন্সটল করা যেতে পারে।
* ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন ক্লিয়ার করবেন। র‍্যাম ভরে গেলেই হ্যাং করে। যেহেতু র‍্যাম কম তাই ব্যাকগ্রাউন্ড এ্যাপ বন্ধ রাখবেন। যে সব এপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড এ রান করা অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো ব্যাটারি অপটিমাইজেশন এ গিয়ে হোয়াইট লিস্টে রাখবেন, নতুবা এ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার সেভিং এর জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
*থার্ড পার্টি লঞ্চার ব্যবহার না করাই ভাল। সব সময় স্টক লঞ্চারে নির্ভর করা উত্তম।
*অনেক পুরাতন ফোনে আধুনিক এ্যাপ্লিকেশন আপডেট বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন একটা ফোনে দেখেছি ইউটিউব এ্যাপ চলেনা। সেগুলোয় বিকল্প সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে যেমন স্ন্যাপটিউব, পিওরটিউবার।
*যতদিন না পুরাতন সফটওয়্যার ব্যবহার অনুপযুক্ত হয় ততদিন চালাতে থাকবেন। যেমন হোয়াটসএ্যাপ একটা পর্যায়ে একই ভার্সন আর চলবেই না। আবার ফেসবুকও বাধ্যতামূলক আপডেট করতে হবে। ওই অবস্থা আসার আগ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন।
*একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যত কিছুই হোক, কোন অবস্থাতেই যেন গুগল ও গুগল প্লে সার্ভিস আপডেট না হয়।


এভাবে করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আপনার বাসায় ফেলে রাখা ফোন সচল রাখতে পারবেন। সেইসাথে আপনার হাতের লো কনফিগারেশন এর ফোনটাও অনেক বছর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।আসলে এন্ড্রয়েড লিনাক্স নির্ভর হলেও এটা লিনাক্সের মান ইজ্জত নস্ট করছে পুঁজিবাদীদের হাতে পরে। এজন্য পিউরিজমের লিবরেম আসলেও উচ্চমূল্যের জন্য তেমন সফল হয়নি। এখন চলে এসেছে পাইনফোন। এটা স্বাভাবিক ব্যবহার উপযোগী করতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য এখনো অনেক অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও মোবিয়ান অনেক এগিয়ে গেছে। মোবিয়ানে পাশে শক্ত কোন খুটির অভাবে খুব বেশি দূর হয়ত এগোবে না। এজন্য কেডিই প্লাজমা শেল পাওয়ার্ড- ম্যাঞ্জারো আর্ম এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাইন ফোন গুলোয় কম্পিউটার এর মত  আপনার ইচ্ছামত ওএস বদলাতে পারবেন। চাইলেই সেটায় ইন্সটল করতে পারবেন পোস্টমার্কেট ওএস,জোলার সেইলফিশ,পিওরওএস, উবুন্টু টাচ কিংবা এন্ড্রয়েড। 

Tuesday, January 25, 2022

করোনার ভ্যাক্সিন - ২

"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজের শেষ পর্বে এজেন্ডা একুশ নিয়ে লিখেছিলাম, মনে পড়ে? জাতিসংঘ ভিত্তিক এই এজেন্ডার মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনসংখ্যাকে কমিয়ে একটা সাসটেইনেবল অবস্থায় আনা। এদের মতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। পৃথিবী এর জন্য ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে। আর্থকে ভারসাম্যপূর্ণ করতেই জনসংখ্যা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা এক যুগ আগে থেকে কিছু অদ্ভুত ভয়ংকর বার্তাযুক্ত প্রোপাগান্ডা ভিডিও প্রকাশ করতে থাকে। এর প্রথমটিতে তারা মনুষ্যজাতির পদচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার সুস্পষ্ট কথাসহ ভিডিও প্রকাশ করে। আমি অনেক কষ্ট এটা সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। নিচের এম্বেডেড ভিডিওটা দেখুন!

 

   

এর কিছুকাল পরে আরো একটি ক্ষুদে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এতেও একই ম্যাসেজ। তাতে বেশ কিছু বৃদ্ধ নরনারীরা নিজেদের দুনিয়াবি হায়াত ভালভাবে ভোগ করার কথা জানিয়ে বলে, আমরা ভাল মানের একটা জীবন কাটিয়েছি, দুনিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা ভাল জীবন অতিবাহিত করে। এই ভিডিও বার্তায় বোঝানো হয়, বৃদ্ধরা ভালভাবে দুনিয়াবি হায়াত ভোগ করেছে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৃদ্ধদেরকে পৃথিবীর জায়গা ছেড়ে দিতে হবে কারনঃ ওভারপপুলেশন। দেখুন নিচের এম্বেডেড ভিডিওটিতে -  

 আমি যেদিনই ওদের ভিডিওবার্তা দেখেছি, বুঝেছিলাম ওরা জনগণ বিশেষ করে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেবার জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। তবে তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ৯০% জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন করা। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে এজন্য একটা গাইডলাইন লিখিয়েছে জর্জিয়ায়, যেটাকে গাইডস্টোন অব জর্জিয়া বলে। এতে স্পষ্টভাষায় বর্তমান জনসংখ্যার ৯০% এলিমিনেট করে দুনিয়াকে সাস্টেইনেবল করার কথা উল্লেখ করা আছে। দুহাজার উনিশ সালের শেষে আগত করোনা ভাইরাস বিশ্বকে এনগাল্ফ করার পর মৃত্যুহার কাদের মধ্যে বেশি দেখছেন? জ্বি অবশ্যই বৃদ্ধদের। তাহলে কি এই রোগটি এজেন্ডা ২১ এরই বায়োওয়েপন? ওয়াআল্লাহু আ'লাম। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। এটা একদম জোড় জবরদস্তি করেই দেয়া হচ্ছে,যেখানে এরোগে মৃত্যুহার একদম কম। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে জনগণকে। আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,স্কুলেও যেতে পারবেন না। সামনে হয়ত সব জায়গায় Qr code scanner বসাবে ভ্যাক্সিন কার্ড ভেরিফাই করার জন্য। বেলজিয়ামে লক্ষ জনতা এই শয়তানি বুঝে পথে নেমেছে। পুলিশের সাথে দাঙ্গা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এসব কেউই কিছু করার সাহস করবেনা। নিচের ভিডিওতে দেখুন।  

কাফিররা মানবজাতির দুশমন, এরা শয়তানের গোলাম। ফলে এদের কার্যক্রমের ব্যপারে সন্দেহ সংশয় রাখাই সমীচীন। আমি গত পোস্টে আলোচনা করেছিলাম এটা আরএনএ ভ্যাক্সিন যেটা সাধারন কোন ভ্যাক্সিন নয়। করোনা বসন্ত কিংবা প্লেগের মত বিভৎস কোন রোগ না, যেটা হলে মানুষের শরীর পচে গ্যাংরিন হয়ে মাংস খুলে পড়তো। সেসব রোগের টিকাও RNA না, করোনার মত ফ্লু রোগের টিকা আরএনএ এর মত হওয়ার কোন মানে পাইনা। ধরুন একটা কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড এর মসফেটে সমস্যা, সেখানে আপনি যদি প্রসেসর এর সকেটটা খুলে বাদ দেন, সেটা বাড়াবাড়ি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাধারন ভ্যাক্সিনের অনুরূপ হত, আমি এর বিরুদ্ধে এত বেশি বলতাম না, কিন্তু এটা সাধারণ কিছু না। আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারে যেরকম কোন সফটওয়্যার আনইন্সটল করা যায়না, তদ্রুপ এই mRNA একবার ইঞ্জেক্ট করলে সেটার ম্যাসেজ(m) বিকল করার উপায় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ধরনের ম্যাসেজ শরীরে পুশ করছে? হতে পারে স্টেরেলাইজেশন এর সেরাম, অর্থাৎ আপনার ফার্টাইলিটি নস্ট করে দেবে, সহজ কথায় আর সন্তান হবেনা। হতে পারে এটা ভবিষ্যতে অন্য কোন মরণরোগ সৃষ্টিতে সহযোগী ভাইরাস বহন করে। মজার বিষয় হচ্ছে এ কথা অফিশিয়ালি বলা হয় যে ভ্যাক্সিনে সুপ্ত অবস্থায় থাকা করোনা ভাইরাস থাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি এই রোগ নাও হয়, আপনার সুস্থ দেহে এই রোগের ভাইরাসকে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। হয়ত এই টিকা কার্যক্রমের আফটারম্যাথ দেখা যাবে আগামী ৫-১০ বছর পর। হতে পারে মানুষ গণহারে মারা যেতে থাকবে কিন্তু কোন কারন খুঁজে পাবেনা। সেদিন দেখি ভারতীয় এক ডক্টর আশংকা করেন এই ভ্যাক্সিন মানুষের ন্যাচারাল ইমিউন সিস্টেম নস্ট করে দিতে পারে। নিচের ভিডিও তে দেখুন-

  

 

যদি আল্লাহ প্রদত্ত ইমিউন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদম সাধারন রোগেও মারা যাবে। এই ব্যপারটাই HIV AIDS করত। সুতরাং গায়ে কি ঢোকাচ্ছেন সে ব্যপারে সাবধানতা আবশ্যক। আশ্চর্যজনক ব্যপার হচ্ছে এই ভ্যাক্সিন একবার নয় শরীরে তিন বার(তিন ডোজ) প্রবেশ করানো হচ্ছে, যাতে তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ হয়। মানে প্রথম ডোজ যদি ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ডোজ আছে, ২য় ডোজ ব্যর্থ হলে ৩য় ডোজ আছে। বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধদেরকে! উপরে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায়ের ব্যপারে লিখেছি। টিকা গ্রহনে মৃত্যুর ঘটনা অনেক ঘটছে যা কোন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া প্রচার করছে না,স্বাভাবিক ভাবেই করবেনা। গতকাল একটা মৃত্যুর হৃদয়বিদারক স্বজনদের আহাজারি দেখলাম।   

 অনেক মানুষ এই লেখা কন্সপিরেসি বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। তাদের কে প্রশ্ন করি, আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের কার্যকলাপের ব্যপারে সুধারনা পোষণ করতে শেখায়? আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নির্লিপ্ত হয়ে থাকতে শেখায়? 

গত পোস্টের লিংক: https://aadiaat.blogspot.com/2022/01/blog-post.html

Monday, January 3, 2022

করোনার ভ্যাক্সিন

করোনা নিয়ে তেমন কিছু লেখার সময় পাইনি। টিকা নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না লিখে থাকতে পারছিনা।

করোনা রোগটাকে অনেকেই অস্বীকার করে যেটা আমাকে অবাক করে, আমি করোনা ইউনিটে রোগীদের মধ্যে টানা ৯-১০ দিনের মত ছিলাম। ৫-৬ টা পেশেন্টের একদম নিকটে থেকেছি। তাই সবকিছু খুব ক্লোজ অবজার্ভ করার সুযোগ ছিল। আসলে রোগটা সাধারন জ্বর কাশি থেকে নিউমোনিয়া তৈরি করে মিল্ড হাইপোক্সিয়া থেকে সিভিয়ার এ্যাকিউট হাইপোক্সিয়া তৈরি করে শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমিয়ে লাঞ্জ বিকল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাকদিরে যাদের মৃত্যু ছিল তারা মারা গেছে। আমরা জানিনা ভাইরাসটা ম্যানমেইড নাকি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। ওয়াল্লাহু আ'লাম। তবে এটাকে কেন্দ্র করে ম্যানডাটরি ভ্যক্সিনেশনের দিকে হিউম্যানিটিকে ড্রাইভ করার দিকে তাকালে মনে হয় একটু সন্দেহ উদয় হয়। কেমন যেন মনে হয় বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যই এই ভাইরাস বানিয়ে ছাড়া হয়। হয়ত আপনি একবারো আক্রান্ত হননি কিন্তু ভ্যাক্সিন দিতেই হবে। আমি করোনার মধ্যে ছিলাম, ধরে নেয়া যাক আমার শরীর এর এ্যাণ্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তারাও এই ভাইরাস রেজিস্টেন্স হয়েছে, এরপরেও কিসের ভ্যাক্সিনেশন!? করোনার ভ্যাক্সিনটি mRNA যেধরনের ভ্যাক্সিন আগে কখনোই ব্যবহার হয়নি। জনগণ কি গিনিপিগ যে,আনটেস্টেড সেরাম শরীরে দেয়া হবে? তাছাড়া একটা বড় সমস্যা হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর রূপ বার বার পরিবর্তিত হয়,শতশতবার রূপ বদলিয়েছে,  তাহলে ভ্যাক্সিন কয়শত বার দিয়ে ভাইরাসকে চেনাবে? একটা ভাইরাসের বিহেভই ভাল করে না জেনে সেটার প্রতিষেধক কিভাবে বানানো সম্ভব!? সবচেয়ে বড় সমস্যা একটা পরিবর্তনশীল ভাইরাসের ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি করতেছে? ধরেন এ ভাইরাসের একটা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা, এটার ভ্যাক্সিন দেওয়া হলো, দুইদিন পর ভাইরাস রূপ বদলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসলো, এটা ধরুন আরো ভয়াবহ, আগের টাইপের ভ্যাক্সিন এখন অবসোলেট। সেই সেরাম এন্টিবডি কে যে ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস চিনিয়ে দিয়েছে, পরের ভ্যারিয়েন্টের বেলায় তো সেটা করবেনা। ধরেন এটার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হলো। একমাস পর আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট আসলো সেটার জন্য কি তাহলে আরেকটা?? এর শেষ কোথায়!!? অর্থাৎ এই রোগের কথিত ভ্যাক্সিনটা বার বার ইঞ্জেকশন  নেওয়ার রাস্তা খুলে দেয়। 


অনেকে এভাবে দেখছে যে ভ্যাক্সিন একটা ব্যবসায়। জ্বিনা ভাই এত নিষ্পাপ দৃষ্টিতে দেখে থামাটা অনুচিত। প্রত্যেকটা তাগুতি রাষ্ট্রই ভ্যাক্সিন জনগণকে বিনামূল্যে দিচ্ছে, সুতরাং সরকারের এত কি ঠ্যাকা পড়েছে যে জাতীয় ফান্ড খালি করে জনগণকে মাগনা ইঞ্জেকশন পুশ করবে! এখানেই শেষ না, ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট বানিয়েছে, এটা ছাড়া সার্ভিস মিলবেনা সেই ব্যবস্থা করছে। চাকরিবাকরি করলেও বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দিতে হবে।একটা সময় আসছে যখন সব জায়গায় কিউআর স্ক্যানার থাকবে, আমি আপনি ভ্যাক্সিনেশন এর কার্ড ছাড়া কোন সেবা পাব না। ভ্যাক্সিন গ্রহনে এত বেশি চাপাচাপি করার কারন কি ভাই! এতে কল্যাণ থাকলে বল প্রয়োগের জরুরত ছিলনা। এটার ভ্যাক্সিন বানালে আগে তো বহু মহামারী ছিল সেসবের ভ্যাক্সিন বানাচ্ছেনা কেন। সেসবও তো মানুষ আবারো আক্রান্ত হতে পারে। আমরা তো এখন দেখছি করোনা কমে গেছে, এরপরেও সুস্থ মানুষের দেহে ভ্যাক্সিন দিতেই হবে কেন! ব্যপারটা এ অবস্থায় দাড়িয়েছে যে সবার গায়ে ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্যই এরকম একটা ভাইরাস ছড়ানো হয়েছিল। আচ্ছা মিস্যান্থ্রোপিস্ট বিল গেটস সাহেবকে ২০১৫ সালে কে বলেছিল যে একটা মহামারী লাগবে এবং তাতে এক মিলিয়নের বেশি মরবে!? সুতরাং ওয়াল্লাহু আ'লাম হতেই পারে এটা ছিল একটা "প্ল্যানডেমিক"।


এবার চলেন বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে। তারা আমাদের শরীরে যে ধরনের সেরাম ইঞ্জেক্ট করতে চাইছে এটাকে বলে এমআরএনএ ভ্যাক্সিন অর্থাৎ ম্যাসেঞ্জার-RNA।  ছোটবেলায় পড়েছিলেন DNA RNA মনে পড়ে ? ডিএনএ সেলসমূহের ফাংশন কি হবে কিভাবে হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করে। RNA একদম ফার্স্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, এটা প্রোটিন গঠনের ক্ষেত্রে ডিএনএ এবং রাইবোজোম এর নিকট ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক এর ভূমিকায় কাজ করে। ডিএনএ থেকে তথ্য নিয়ে আরএনএ প্রোটিনে রূপান্তর করে। অর্থাৎ প্রোটিন কিভাবে বানাবে সেটার ফাংশন কি হবে সেসকল ইন্সট্রাকশন সেট RNA বহন করে। একটু ভাবুন তো যদি কোন ফরেন সিন্থেটিক সেরামে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর mRNA দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরে করাপ্টেড প্রোটিন বানাবে! মানে শরীরের বেসিক ফাংশান মৌলিকভাবে চেঞ্জ করা হচ্ছে। আল্লাহ শরীরে যেই ইন্সট্রাকশন সেট দিয়ে দুনিয়াতে আমাদের পাঠাচ্ছে, সেটাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এডিট করা হচ্ছে। সুতরাং সৃষ্টিকে পরিবর্তন যেহেতু শয়তানি কাজ বুঝাই যাচ্ছে এখানেও সেরকমই সৃষ্টিতে সরাসরি পরিবর্তনের একটা ব্যপার আছে। যদি RNA ইন্সট্রাকশন সেটে ভাল কিছুও থাকে তাও সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। ফান ফ্যাক্টঃ করোনা ভ্যাক্সিন বানাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো এরা একেকটা বায়োটেক কোম্পানি। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় শয়তানি এরাই করে থাকে। 


আপনার একটা আঙ্গুল কেটে আলাদা হলে কি সেটা আর গজাবে? গজাবে না। ঠিক একইভাবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ শরীরে প্রবেশ করালে আপনার দেহের মৌলিক ফাংশান আজীবনের জন্য পরিবর্তিত হবে। এটা অনেকটা ডিফল্ট সেটিং টাকেই পালটে ফেলা। অর্থাৎ এমআরএনএ ভ্যাক্সিন দিলাম মানেই নিজেকে কোনদিক দিয়ে অজ্ঞাতভাবে আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ বা নস্ট/চেঞ্জ করে দিলাম। আমেরিকার সিডিসির অফিশিয়াল পেইজ থেকে কপি- "Messenger RNA (mRNA) vaccines teach our cells how to make a protein that will trigger an...."। যাই হোক ওরা বলবে এটা ভ্যাক্সিনকে ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে অটোইমিউন সিস্টেম বানাবে,কিন্তু সেখানে ভাইরাস চেনানোর ইন্সট্রাকশন সেট নাকি অন্য কোন কিছু সেটা কি আপনি দেখেছেন বা সুনিশ্চিত জানেন নাকি তাদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছেন? এই "তাদের" মানে কারা? উত্তরে তাদের আসল পরিচয় একটাই আসে, এরা হলো - কা   ফি   র। আল্লাহর অবাধ্য, শয়তানের অনুগত। ওরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এক হয়ে কাজ করছে? উত্তর হচ্ছে- আসন্ন সম্রাট মসীহ আদ দা জ্জা ল এর। WHO ওদের মসিহের অপেক্ষাতেই সততার সাথে কাজ করছে, এটা ওরই প্রতিনিধি। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কাদের? উত্তর- এজেন্ডা ২১ তথা জাতিসংঘের। হু কাদের অঙ্গ সংগঠন? উত্তর - জাতিসংঘের,যেটা তৈরিই হয়েছিল ইহুদিবাদি মিশন বাস্তবায়নে,যেটা দাজ্জালেরই এজেন্ডা। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর লক্ষ্য নিয়ে লিখেছিলাম বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের শেষ পর্বে। তারা দুনিয়াতে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। যদি আপনার বডির প্রোটিনের এক্সপাইরেশন টাইমার দিয়ে বা করাপ্ট করার ইন্সট্রাকশন এনকোড করে mRNA শরীরে ইঞ্জেক্ট করানো হয় তাহলে তো এই সাস্টেইনেবল গৌল খুব সহজে এ্যাটেইন করা যায়। যাদের এরকম পরিকল্পনা আছে তাদের প্রোপাগান্ডায় কর্ণপাত করে শরীরে ওদের বায়োটেক কর্পোরেশন গুলোর তৈরি লিকুইড বায়ো-প্রোগ্রাম ইঞ্জেক্ট করা কি বোকামি হয়ে যায়না? 


ডিএমসির এক এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে সাথে সারাক্ষন যোগাযোগ ছিল,তিনি আমাকে বলেন প্রায় ৩০+ ডাক্তারকে হত্যা করে গুম করা হয় ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এতে বুঝতে পারি ওদের উদ্দেশ্য ভাল কিছু নাহ। এজন্যই ডাকাতের বিরুদ্ধে কথা বললে যেভাবে জবান চিরতরে বন্ধ করে সেটাই করছে। ওদের নিয়ন্ত্রিন মিডিয়াতে ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায়না। সব কন্টেন্ট ডিলিট করা হয়। সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়না। যেন কোথাও কেউ কিছু বলছেনা, সব কিছু স্বাভাবিক। সব সেকটর তাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই উনারা যা বলবে সবকিছু ঠিক এবং সেটাই মানতে হবে। বিরোধিতা করা যাবেনা করলেও সেটা প্রচারও হবেনা। 


ধরে নেন, ভ্যাক্সিন খুবই উপকারী কিছু, তাহলেও এটা গ্রহন করা উচিত হবে(?) যেহেতু এটা গায়ে ঢোকানো মানেই আমাদের শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ায় আল্লাহর সৃষ্ট মৌলিক নীতি তে হস্তক্ষেপ করে পরিবর্তন করা, পালটানো। এটা তো সুস্পষ্ট শয়তানেরই আদেশ।আল্লাহ শয়তানের এই কাজের ব্যপারে বলেন- 

"……আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।"

(QS. An-Nisa' 4: Verse 119)


অর্থাৎ শয়তানের অনুগত কাফিরদের মধ্যে সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশকে এক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। মডার্না যখন ভ্যাক্সিন বানায় তখন তারা কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করে যেগুলা পাঠলে অনেক রকম সন্দেহ আসবে। একটা বাক্য অনেকটা এরকম, "এই ভ্যাক্সিন গ্রহনে শরীরে নতুন ফিচার যুক্ত হবে।"  আমাদের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড কে উত্তেজিত করার শিক্ষা দেয় শয়তানের অনুসারীরা। এতে করে যেটা বোঝা যায় শয়তান জ্বীনদের মানুষের শরীরে এক্সেস সহজ করা হয়। যদি ভ্যাক্সিনে এমন কোন কম্পোনেন্ট থাকে যেটা একই কাজ করবে, তাহলে আসন্ন দাজ্জালের আবির্ভাবের ফলে শয়তান জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া, কিংবা দাজ্জালের কোন ফিতনায় পতিত করা সহজ হবে। এরকম কোন উদ্দেশ্য এই ভ্যাক্সিনেশন এর লক্ষ্য হওয়া অসম্ভব না।


 আমি লক্ষ্য করেছি ভাইরাস মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্বাস সম্পূর্নভাবে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পানি সংক্রান্ত বিশ্বাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তার ব্যক্তিত্বও একদম পালটে যায়,এক শিশুকে তো দেখেছি কুকুরের মতই ঘেউঘেউ করে। সুতরাং সিরিঞ্জে ভরা সেরাম শরীরে ইঞ্জেক্ট করে মানুষের এ্যবস্ট্রাক্ট ভিউ,পারসোনালিটি পালটে ফেলা অসম্ভব নাহ। ধরুন এমন কোন ফাংশন ক্যারি করে যেটা আপনার বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, ধরুন কাফিররা প্ল্যান করলো সকল মানুষকে এমন সেরাম ইঞ্জেক্ট করা হবে যার ফলে সকল মানুষ দাজ্জাল বের হলেই তাকে ইলাহ বলে মান্য করবে,তার অনুসারী হবে। এরকম কিছু করা অসম্ভব লাগেনা যেখানে একটা সাধারন ভাইরাস ধারনাকে পালটে ফেলতে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত নই ওরা কি করছে, তবে যাই করুক সেটাকে ভাল বলে মনে হয় না।  ধরুন আপনি ভ্যাক্সিন দিলেন। এখন কোন সমস্যাই ফিল করছেন না, কিন্তু ১০ বছরের মাথায় মারাগেলেন। আপনার সাথে সকল ভ্যাক্সিনেটেডরা টপ টপ করে মারা যেতে লাগলো। ব্যপারটা ভয়ংকর না? ডিপপুলেশন প্রোগ্রাম অনুযায়ী ওরা এমনটা করতেই পারে। মোটকথা ওরা কাফির, তারা আমাদের শত্রু, এরা আপনার ক্ষতিই চায়। ওরা শরীরে কিছু ভরতে চাইলে সেটা চোখ বুঝে গ্রহন করা নির্বোধ লোকের কাজ ছাড়া কিছুই নয়। কিছু ভাইকে দেখেছি ভ্যাক্সিন নিয়ে আজওয়া খেজুর খেতে পরামর্শ দেন। আসলে আঙ্গুল কেটে ফেলে দিলে সেটা আর গজাবে না, কিন্তু চামড়া কেটে গেলে কিংবা বিষাক্ত কিছু লেগে ঘা হলে, তাতে ওষুধ দিলে রিভার্স হবে। ওদের mRNA ভ্যক্সিন চামড়া কাটবেনা বরং একদম আঙ্গুল কেটে আলাদা করে দেবার মতই শরীরের ফাংশন স্থায়ীভাবে চেঞ্জ করে দেবে। এখানে আজওয়া খেজুরের তেমন ভূমিকা থাকার কথা নাহ। তবে আল্লাহ চাইলে ক্ষতি নাও হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় রিস্ক না নিয়ে গায়ে সুঁচই না ভরা। এতে কোভিডের সার্টিফিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। এ বিষয়ে মুহতারাম ইদ্রিসভাইয়ের একটা চমৎকার সল্যুশন আছে। তাকে ইনবক্স করে জানতে হবে। যেসব বোনেরা কখনো চাকরি করবেন না,বাসার ভেতরেই গৃহিনী হিসাবে থাকবেন। তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জরুরত দেখিনা। তবে ভ্যাক্সিনেশন এর জেনুইন সার্টিফিকেট রাখা উত্তম। 


Sunday, December 19, 2021

আবারো রাখা হবে ভুলিয়ে

ওরা এই যুগের তরুন প্রজন্ম কে কতটা (আন)সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নেশায় ডুবিয়ে রেখেছে!?
গেইমের ভার্চুয়াল জগত ছেড়ে উঠতি তরুণরা বেরুতেই চায়না।দিন রাত ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসএ্যাপ থেকে টেলিগ্রাম, আরো আছে স্ন্যাপচ্যাট,টিকটক,বিগো,লাইকি। এসবের যেন শেষ নেই। এসব মানুষকে ভুলিয়ে রাখছে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কর্তব্যের ব্যপারে, তাকে দুনিয়ায় কে পাঠিয়েছেন। কি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন এসব সে ভুলে থাকে। এখন কা ফি র গন এর চেয়েও এ্যাডভান্স ফিতনা নিয়ে আসছেন মেটাভার্সের নামে। এটা একটা ভার্চুয়াল সিমুলেশন।
উদ্দেশ্য-
১.মানুষকে মিথ্যার মাঝে ডুবিয়ে রাখা।
২.আকিদাগতভাবে বৈদিক-গৌতমবুদ্ধবাদী মায়াতত্ত্বের  কুফরের দিকে মানুষকে টেনে নেওয়া।



 সিমুলেশন তত্ত্বটির শেকড় প্যাগান বৈদিক, মিশরীয় এবং ব্যবিলনীয় অকাল্ট শাস্ত্র। মেটাভার্সের মত জাইগ্যান্টিক ভার্চুয়াল সিমুলেশন মানুষকে আমাদের বাস্তবজগত সম্পর্কে মায়াবাদি ম্যাসেজ দেবে। মানুষ সংশয়ে পড়বে, ইলন মাস্কের কথায় অনেকেই একমত হয়ে বলবে," হ্যা হয়ত আমরাও কোন হায়ার স্পিসিজের তৈরি সিমুলেশনেরই ফসল।আমাদের এই জগতটাও হয়ত ভার্চুয়াল প্রজেকশন।" অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স ফিল্মকে আরো গভীরভাবে অনুভব করবে এবং ইনসেপশন এর মধ্যে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর স্ত্রীর মত এই বিশ্বাসের উপর ইয়াক্বিন করে নিবে।

 আপগ্রেইড নামের ফিল্মে একদল মানুষকে দেখায় যারা দিনের পর দিন সপ্তাহের পর সপ্তাহ মাথায় ভিআর হেডসেট লাগিয়ে মিথ্যা ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে ডুবে আছে,তাদের প্রত্যেকের সাথে স্ট্যান্ডে স্যালাইন ঝুলছে, অর্থাৎ সপ্তাহের পর সপ্তাহ এর মধ্যেই ডুবে আছে। এই ফিতনা একেবারেই এমিনেন্ট, যেভাবে তরুণ প্রজন্ম গেইম আর সৌস্যাল নেটওয়ার্ক এর মধ্যে ডুবে আছে, সেই জগত পেলে কি অবস্থা হবে বুঝতেই পারছেন। যেভাবে পাবজি ফ্রি ফায়ার নিয়ে ডুবে আছে এর চেয়েও সহস্রগুন বেশি এ্যাডিকশন তৈরি হবে মিথ্যা জগতের প্রতি। মুসলিম তরুণরা এসব মিথ্যা জগতে ডুবে কা ফি রদের ভবিষ্যত নীলনকশার ব্যপারে গাফিল থাকবে, কা ফি রদের জন্য ফাঁকা মাঠে গোল দিতে সুবিধা হবে। এভাবেই তরুণ প্রজন্মকে আনপ্রোডাক্টিভ করে রাখবে, আসল জগত এবং পরকালীন জগতের ব্যপারে বেখবর করে রাখবে। ডুবিয়ে রাখবে মিথ্যার মহাসমুদ্রে। পরকালীন জীবনে থাকবে শুধুই আফসোস আর লাঞ্ছনা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেনঃ

يَقُوْلُ يٰلَيْتَنِيْ قَدَّمْتُ لِحَـيَا تِى

"সে বলবে, ‘হায়! আমার (এখনকার) জীবনের জন্য যদি আমি (সৎকর্ম) আগে পাঠাতাম!"( 89: 24)