Wednesday, November 29, 2023

আবারো ক্ষমতায় আসছে আওয়ামীলীগ

 বিএনপি যতই হরতাল অবরোধ দেক, যতই আমেরিকা থেকে চাপ আসুক, কোনভাবেই আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা যতক্ষণ না বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে।

বুদ্ধিহীন বিকলাঙ্গ মেধাশূন্য জাতি তৈরির ষড়যন্ত্র

শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রিভুজ চতুর্ভুজ, বৃত্ত আসার খবর আমার এক রিলেটিভ এর কাছে বছর খানেক আগে পাই। সে বলে শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হইতেছে।

Wednesday, September 20, 2023

"All Time" exists all the time


 
"All Time" exist all the time ,এমন কথা ইহুদিপুত্র আইনস্টাইনের সময়ের ব্যাখ্যায় বলেছিল, সকল সময় সব সময় বর্তমান। সময়ের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ এগুলো ইলুশ্যন। এ নিয়ে বেশ কিছু বিখ্যাত উক্তিও আছে তার। সময়ের এই তত্ত্বই পরবর্তীতে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

Tuesday, January 10, 2023

Session

 Session এর সাথে এখনো আমরা অনেকেই তেমন পরিচিত নই। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউরড চ্যাট ম্যাসেঞ্জার গুলোর একটা। এটা ডিফল্ট অনিয়ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ম্যাসেজ ট্রান্সমিট করে। কেউই জানে না কে কাকে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছে। তাছাড়া সকল ম্যাসেজ এন্ডটু এন্ড এনক্রিপ্টেড। এতে নাম্বার ইমেইল দিয়ে সাইনআপ এর ঝামেলা নেই, ডিসেন্ট্রালাইজড সার্ভার। রিকভারি সেন্টন্স সংরক্ষন করলেই যেকোন জায়গায় লগইন করা যায়। এটা একটা ওপেনসোর্স প্রজেক্ট।এটার ডেভেলপমেন্টে ডেভদেরকে আমিও বাগরিপোর্ট করে সাহায্য করি। সবমিলিয়ে প্রাইভেসি কনসাস মানুষদের জন্য এটা খুবই উপযোগী। কোন ধরনের ইনটারসেপটরেও কাজ করবে না এর উপর, কারন আপনার আইপিই জানা সম্ভব না। ফেসবুক থেকে একরকম বলা যায় বিদায় নিয়েছি। বর্তমানে সেশনে খুব ভাল আছি। আপনিও চাইলে এই ম্যাসেনজার ব্যবহার করতে পারেন যদি প্রাইভেসির বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন। ওয়েব সাইট - https://getsession.org/

Playstore - https://play.google.com/store/apps/details?id=network.loki.messenger

 

 

 

 

Monday, April 18, 2022

ইসলামফোবিয়া এবং আমাদের কিছু করণীয়

 10 বছর আগেরও আজকের মত ইসলাম বিদ্বেষ কোথাও দেখা যায় নি। আজ যা হচ্ছে তা 20 বছর আগে বললে অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করতে চাইত না।

Saturday, February 12, 2022

বিশেষ দ্রষ্টব্য - ৬

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আপনারা ব্লগে অনেক পরিবর্তন হয়ত লক্ষ্য করছেন। কয়েকদিন আগে ব্লগে বড় ধরনের ম্যালফাংশন লক্ষ্য করি। মনে হচ্ছিল কেউ হ্যাকিং এর চেষ্টা করেছে অথবা অন্য কিছু। ব্রাউজার একাধিকবার Cross-Site Scripting attack এর রিপোর্ট করেছিল। আমি লক্ষ্য করি সকল পোস্ট গুলো ডুপ্লিকেট হচ্ছিল। সব পোস্ট রিমুভ করতে গেলেও ফেইল হচ্ছিল। এরকম কোনকিছু কখনো দেখিনি। অনেক চেষ্টার পর সকল কন্টেন্ট রিমুভ করে পুনরায় ব্যাকআপ ইমপোর্ট করার পরে ঠিক হয়। টেম্পলেট টাও পালটে ফেলি। 

৫-৭ বছর আগের স্লো ফোন ফাস্ট করবেন যেভাবে

বর্তমানে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ছাপ প্রযুক্তি পণ্যে অনেক বেশি। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনার হাতের ফোনটা ২ বছর পার হলেই এমন অবস্থা হয় যে সেটা আর চালানো যায়না। ৪ বছর আগের একজিবি বা ৫১২ মেগাবাইট এর র‍্যামের ফোন গুলায় ম্যাসেঞ্জার কিংবা ফেসবুক ইন্সটল করলে আর অন্য এ্যাপ্লিকেশন ইন্সটলেশন এর স্পেস থাকেনা। ৪ বছর আগে ফেসবুকের সাইজ ছিল ৩০ মেগাবাইট এখন সেটার সাইজ ১০০ এর বেশি। ইন্সটল করলে সাইজ অর্ধগিগাবাইট খেয়ে ফেলে। চার পাঁচ বছর আগে ক্রোম ফায়ারফক্সের সাইজ ছিল ২৫-৩০ এম্বি। এখন সেসব ব্রাউজারের আকার ১৫০+।২০০ মেগাবাইটের ব্রাউজারও আছে। ইন্সটল করার পর ৬০০ মেগাবাইট ছাড়ায়এখন চিন্তা করে দেখুন কিভাবে এসব ৫১২ র‍্যামের ফোনে ব্যবহার করবেন! এখানেই ক্যাপিটালিজম। আপনাকে বাধ্য হয়েই এটা ফেলে দিয়ে নতুন হায়ার হার্ডওয়্যার রিসোর্স এর ফোন কিনতে হবে। ওরা ইচ্ছা করেই এপ্লিকেশন এর সাইজ বাড়াচ্ছে আপডেটের নামে। আর আপনি ওদের তালে তাল মেলাতে গিয়ে আপনার ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার অনুপযোগী করছেন। আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যার খারাপ হচ্ছে না বরং ওরা প্রতিনিয়ত অধিকতর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এর উপযোগী সফটওয়্যার রিলিজ করছে, যখন আপনার ডুয়েল কোর এর ফোনে আপডেট করছেন তখন সেটা রান করতে soc এর ওভারস্ট্রেস হচ্ছে, স্লো হচ্ছে হ্যাং হচ্ছে। আসলে এটাকে আপডেট বলেনা এটাকে ডেভেলপমেন্ট বলেনা , ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে এক্সিস্টিং মেশিনে ঐ সফটওয়্যারকে আকার না বাড়িয়ে আরো বেশি অপটিমাইজড করা,লেস পাওয়ার কনজিউমিং করা,সাইজ আরো ছোট করার জন্য। এই কাজটাই করে লিনাক্স বেজড ডিস্ট্রো গুলো। কিন্তু এন্ড্রয়েড লিনাক্স বেজড হওয়া সত্ত্বেও এটার নিয়ন্ত্রণ পুঁজিবাদী গুগলের হাতে। এজন্য এটা সবচেয়ে নিম্নমানের ওএস। এখন কথা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার ৫-৬ বছর আগের ডিভাইস কোন ল্যাগ বা হ্যাং ছাড়াই ব্যবহার করবেন?  


* প্রথমে একটা ফ্যাক্টরি রিসেট দিবেন।
*এরপরে প্লে স্টোর এবং গুগল সংক্রান্ত কয়েকটা এপ্লিকেশন যেগুলা কম প্রয়োজন সেগুলো ডিজএ্যাবল করবেন। প্লেস্টোর ডিজএবল করবেন যাতে স্টক এ্যাপ আপডেট না হয়। প্লে স্টোর থাকলেই, গুগল, গুগল প্লে সার্ভিস সহ আরো কিছু সফটওয়্যার আপডেট করে আকার অনেক বাড়িয়ে ফেলবে যার ফলে আপনি স্বল্প র‍্যামে আর চালাতে পারবেন না। তাছাড়া ওরা গুগল প্লে সার্ভিস সহ কিছু স্টক এপ্লিকেশন আপডেট করে পুঁজিবাদ টিকিয়ে রাখতে নতুন নতুন শক্তিশালী প্রসেসরের জন্য, যেটা চালাতে আপনার দুর্বল প্রসেসর পেরে ওঠে না,অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। এই কারনেই স্লো হয়ে যায়। এজন্য কোনভাবেই আপডেট করবেন না স্টক এপ্লিকেশন গুলো।
*অন্য সফটওয়্যার গুলোর লাইট ভার্সন কিংবা অনেক আগের ভার্সন যেগুলার সাইজ ছোট ছিল সেসব ব্যবহার করা। অফিস এপ্লিকেশন যেগুলার সাইজ ৩ বছর আগে ৩০ মেগাবাইট ছিল এখন সেগুলো ১৫০-১৯০ এম্বি। সুতরাং ওল্ড ভার্সন ব্যবহার করতে হবে। ফেসবুক মেইন এপ্লিকেশন এর জায়গায় লাইট ভার্সন ব্যবহার করা যেতে পারে।
*যেহেতু প্লে স্টোর ডিজএ্যাবল করবেন নতুন এপ্লিকেশন ডাউনলোড কিভাবে করবেন? এজন্য অন্য কোন মার্কেট প্লেস ব্যবহার করতে পারেন, যেমনঃ mobile1, 9Apps, apkmirror,Fdroid, Aptoid,Moboginie,Apkpure এরকম অসংখ্য পাবেন। এদের মধ্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে  Apkpure বেশি পছন্দ করি। আপনারা চাইলে গুগল থেকেও ****.apk প্যাকেজ নামিয়ে ইন্সটল করে নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার আর্কিটেকচার মিলিয়ে নিতে হবে। নিয়ন এআরএম৭, এক্স ৮৬, এবং ৬৪ বিট এর মধ্যে আপনার ফোন যেটা সেটা নামালে ইন্সটল হবে। যেহেতু লোএন্ডের পুরাতন ফোন ইউজেবল করবেন সেহেতু এই ঝামেলাগুলো করতেই হবে।
*সফটওয়্যার চাইলে অন্যের ফোন দিয়ে ব্লুটুথ বা শেয়ারমি দিয়ে নিয়ে নেবেন(শেয়ারইট ব্যবহার করবেন না, বাজে এ্যাডে ভরে গেছে+ সাইজও অস্বাভাবিক বেড়েছে)
*থার্ডপার্টি এ্যাপ মার্কেট ব্যবহার করতে গেলেও খেয়াল রাখবেন গুগল এর  বা অন্যান্য হেভি এ্যাপ্লিকেশন আপডেট হয়ে না যায়। এজন্য সবচেয়ে ভাল হয় কোন এ্যাপ মার্কেট ব্যবহার না করে সরাসরি গুগলে সার্চ দিয়ে এপ্লিকেশন প্যাকেজ নামালে।
*ফোন এর ইন্টারনাল স্টোরেজে ব্যক্তিগত কিছু রাখবেন না। সেটাকে কিছুটা ফাঁকা রাখা জরুরি। অনেকসময় দেখা যায় একা একাই জায়গা কমতে থাকে। আমি ছবি তে দিয়েছি, এখানে দেখছেন একেকটা সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশনের সাইজ কিরূপ বেড়ে গিয়েছে। এখানে মূল রহস্য হচ্ছে ক্যাশ। সপ্তাহে অন্তত একবার প্রত্যেক এপ্লিকেশন এর ক্যাশ ক্লিয়ার করবেন। ক্যাশ ফাইল হচ্ছে একটা সফটওয়ার চলার কারনে জমা হওয়া কিছু ফাইল, যা পুনরায় ওই এ্যাপ্লিকেশন এ্যাক্সেসে দ্রুতি ঘটায়। যেমন ধরুন ফেসবুকের ক্যাশই জমে ৪০০-৫০০ মেগাবাইট ছাড়ায়। এর ফলে কিছু পেইজ প্রিলোডেড হয়ে থাকে। আবার কিছু ফাইল জাঙ্ক হয়ে থাকে। তবে পুরাতন ফোন গুলায় স্পেস কম হবার জন্য এগুলো সেটিং এর স্টোরেজ অপশনে গিয়ে ক্যাশ ক্লিয়ার করে নিবেন। এতে দেখবেন দু এক জিবি স্পেস খালি হবে।
*বড় সাইজের হেভি সফটওয়্যার এর বিকল্প লাইট কিছু খুজবেন। যেমন ধরুন ম্যাসেঞ্জার না চালিয়ে ম্যাসেঞ্জার লাইট। ক্রোম ব্রাউজার, ফায়ারফক্স এর আকার এখন ৯০+ এম্বি। বিকল্প হিসাবে অপেরামিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। যে এপ্লিকেশন ব্যবহার কম হয়, সেসব আনইন্সটল করা যেতে পারে।
* ব্যাকগ্রাউন্ড এপ্লিকেশন ক্লিয়ার করবেন। র‍্যাম ভরে গেলেই হ্যাং করে। যেহেতু র‍্যাম কম তাই ব্যাকগ্রাউন্ড এ্যাপ বন্ধ রাখবেন। যে সব এপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড এ রান করা অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো ব্যাটারি অপটিমাইজেশন এ গিয়ে হোয়াইট লিস্টে রাখবেন, নতুবা এ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার সেভিং এর জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
*থার্ড পার্টি লঞ্চার ব্যবহার না করাই ভাল। সব সময় স্টক লঞ্চারে নির্ভর করা উত্তম।
*অনেক পুরাতন ফোনে আধুনিক এ্যাপ্লিকেশন আপডেট বন্ধ করে দিয়েছে। যেমন একটা ফোনে দেখেছি ইউটিউব এ্যাপ চলেনা। সেগুলোয় বিকল্প সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে যেমন স্ন্যাপটিউব, পিওরটিউবার।
*যতদিন না পুরাতন সফটওয়্যার ব্যবহার অনুপযুক্ত হয় ততদিন চালাতে থাকবেন। যেমন হোয়াটসএ্যাপ একটা পর্যায়ে একই ভার্সন আর চলবেই না। আবার ফেসবুকও বাধ্যতামূলক আপডেট করতে হবে। ওই অবস্থা আসার আগ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন।
*একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যত কিছুই হোক, কোন অবস্থাতেই যেন গুগল ও গুগল প্লে সার্ভিস আপডেট না হয়।


এভাবে করে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আপনার বাসায় ফেলে রাখা ফোন সচল রাখতে পারবেন। সেইসাথে আপনার হাতের লো কনফিগারেশন এর ফোনটাও অনেক বছর ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।আসলে এন্ড্রয়েড লিনাক্স নির্ভর হলেও এটা লিনাক্সের মান ইজ্জত নস্ট করছে পুঁজিবাদীদের হাতে পরে। এজন্য পিউরিজমের লিবরেম আসলেও উচ্চমূল্যের জন্য তেমন সফল হয়নি। এখন চলে এসেছে পাইনফোন। এটা স্বাভাবিক ব্যবহার উপযোগী করতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য এখনো অনেক অপেক্ষা করতে হতে পারে। যদিও মোবিয়ান অনেক এগিয়ে গেছে। মোবিয়ানে পাশে শক্ত কোন খুটির অভাবে খুব বেশি দূর হয়ত এগোবে না। এজন্য কেডিই প্লাজমা শেল পাওয়ার্ড- ম্যাঞ্জারো আর্ম এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাইন ফোন গুলোয় কম্পিউটার এর মত  আপনার ইচ্ছামত ওএস বদলাতে পারবেন। চাইলেই সেটায় ইন্সটল করতে পারবেন পোস্টমার্কেট ওএস,জোলার সেইলফিশ,পিওরওএস, উবুন্টু টাচ কিংবা এন্ড্রয়েড। 

Tuesday, January 25, 2022

করোনার ভ্যাক্সিন - ২

"বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান" আর্টিকেল সিরিজের শেষ পর্বে এজেন্ডা একুশ নিয়ে লিখেছিলাম, মনে পড়ে? জাতিসংঘ ভিত্তিক এই এজেন্ডার মূল উদ্দেশ্যই ছিল জনসংখ্যাকে কমিয়ে একটা সাসটেইনেবল অবস্থায় আনা। এদের মতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। পৃথিবী এর জন্য ভারসাম্যহীন হয়ে যাচ্ছে। আর্থকে ভারসাম্যপূর্ণ করতেই জনসংখ্যা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে তারা এক যুগ আগে থেকে কিছু অদ্ভুত ভয়ংকর বার্তাযুক্ত প্রোপাগান্ডা ভিডিও প্রকাশ করতে থাকে। এর প্রথমটিতে তারা মনুষ্যজাতির পদচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার সুস্পষ্ট কথাসহ ভিডিও প্রকাশ করে। আমি অনেক কষ্ট এটা সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। নিচের এম্বেডেড ভিডিওটা দেখুন!

 

   

এর কিছুকাল পরে আরো একটি ক্ষুদে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে। এতেও একই ম্যাসেজ। তাতে বেশ কিছু বৃদ্ধ নরনারীরা নিজেদের দুনিয়াবি হায়াত ভালভাবে ভোগ করার কথা জানিয়ে বলে, আমরা ভাল মানের একটা জীবন কাটিয়েছি, দুনিয়ার জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে,কিছু একটা অবশ্যই করতে হবে যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম একটা ভাল জীবন অতিবাহিত করে। এই ভিডিও বার্তায় বোঝানো হয়, বৃদ্ধরা ভালভাবে দুনিয়াবি হায়াত ভোগ করেছে, এখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৃদ্ধদেরকে পৃথিবীর জায়গা ছেড়ে দিতে হবে কারনঃ ওভারপপুলেশন। দেখুন নিচের এম্বেডেড ভিডিওটিতে -  

 আমি যেদিনই ওদের ভিডিওবার্তা দেখেছি, বুঝেছিলাম ওরা জনগণ বিশেষ করে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেবার জন্য কিছু একটা অবশ্যই করবে। তবে তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা ৯০% জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন করা। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, সে এজন্য একটা গাইডলাইন লিখিয়েছে জর্জিয়ায়, যেটাকে গাইডস্টোন অব জর্জিয়া বলে। এতে স্পষ্টভাষায় বর্তমান জনসংখ্যার ৯০% এলিমিনেট করে দুনিয়াকে সাস্টেইনেবল করার কথা উল্লেখ করা আছে। দুহাজার উনিশ সালের শেষে আগত করোনা ভাইরাস বিশ্বকে এনগাল্ফ করার পর মৃত্যুহার কাদের মধ্যে বেশি দেখছেন? জ্বি অবশ্যই বৃদ্ধদের। তাহলে কি এই রোগটি এজেন্ডা ২১ এরই বায়োওয়েপন? ওয়াআল্লাহু আ'লাম। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ভ্যাক্সিনেশন। এটা একদম জোড় জবরদস্তি করেই দেয়া হচ্ছে,যেখানে এরোগে মৃত্যুহার একদম কম। ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে জনগণকে। আপনি অফিসে যেতে পারবেন না,স্কুলেও যেতে পারবেন না। সামনে হয়ত সব জায়গায় Qr code scanner বসাবে ভ্যাক্সিন কার্ড ভেরিফাই করার জন্য। বেলজিয়ামে লক্ষ জনতা এই শয়তানি বুঝে পথে নেমেছে। পুলিশের সাথে দাঙ্গা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে এসব কেউই কিছু করার সাহস করবেনা। নিচের ভিডিওতে দেখুন।  

কাফিররা মানবজাতির দুশমন, এরা শয়তানের গোলাম। ফলে এদের কার্যক্রমের ব্যপারে সন্দেহ সংশয় রাখাই সমীচীন। আমি গত পোস্টে আলোচনা করেছিলাম এটা আরএনএ ভ্যাক্সিন যেটা সাধারন কোন ভ্যাক্সিন নয়। করোনা বসন্ত কিংবা প্লেগের মত বিভৎস কোন রোগ না, যেটা হলে মানুষের শরীর পচে গ্যাংরিন হয়ে মাংস খুলে পড়তো। সেসব রোগের টিকাও RNA না, করোনার মত ফ্লু রোগের টিকা আরএনএ এর মত হওয়ার কোন মানে পাইনা। ধরুন একটা কম্পিউটার এর মাদারবোর্ড এর মসফেটে সমস্যা, সেখানে আপনি যদি প্রসেসর এর সকেটটা খুলে বাদ দেন, সেটা বাড়াবাড়ি। যদি এই ভ্যাক্সিন সাধারন ভ্যাক্সিনের অনুরূপ হত, আমি এর বিরুদ্ধে এত বেশি বলতাম না, কিন্তু এটা সাধারণ কিছু না। আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারে যেরকম কোন সফটওয়্যার আনইন্সটল করা যায়না, তদ্রুপ এই mRNA একবার ইঞ্জেক্ট করলে সেটার ম্যাসেজ(m) বিকল করার উপায় নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি ধরনের ম্যাসেজ শরীরে পুশ করছে? হতে পারে স্টেরেলাইজেশন এর সেরাম, অর্থাৎ আপনার ফার্টাইলিটি নস্ট করে দেবে, সহজ কথায় আর সন্তান হবেনা। হতে পারে এটা ভবিষ্যতে অন্য কোন মরণরোগ সৃষ্টিতে সহযোগী ভাইরাস বহন করে। মজার বিষয় হচ্ছে এ কথা অফিশিয়ালি বলা হয় যে ভ্যাক্সিনে সুপ্ত অবস্থায় থাকা করোনা ভাইরাস থাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভাইরাস চিনিয়ে দেয়ার জন্য। অর্থাৎ আপনার শরীরে যদি এই রোগ নাও হয়, আপনার সুস্থ দেহে এই রোগের ভাইরাসকে টিকার মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। হয়ত এই টিকা কার্যক্রমের আফটারম্যাথ দেখা যাবে আগামী ৫-১০ বছর পর। হতে পারে মানুষ গণহারে মারা যেতে থাকবে কিন্তু কোন কারন খুঁজে পাবেনা। সেদিন দেখি ভারতীয় এক ডক্টর আশংকা করেন এই ভ্যাক্সিন মানুষের ন্যাচারাল ইমিউন সিস্টেম নস্ট করে দিতে পারে। নিচের ভিডিও তে দেখুন-

  

 

যদি আল্লাহ প্রদত্ত ইমিউন সিস্টেম বিকল হয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদম সাধারন রোগেও মারা যাবে। এই ব্যপারটাই HIV AIDS করত। সুতরাং গায়ে কি ঢোকাচ্ছেন সে ব্যপারে সাবধানতা আবশ্যক। আশ্চর্যজনক ব্যপার হচ্ছে এই ভ্যাক্সিন একবার নয় শরীরে তিন বার(তিন ডোজ) প্রবেশ করানো হচ্ছে, যাতে তাদের উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ হয়। মানে প্রথম ডোজ যদি ব্যর্থ হয় দ্বিতীয় ডোজ আছে, ২য় ডোজ ব্যর্থ হলে ৩য় ডোজ আছে। বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বৃদ্ধদেরকে! উপরে বৃদ্ধদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায়ের ব্যপারে লিখেছি। টিকা গ্রহনে মৃত্যুর ঘটনা অনেক ঘটছে যা কোন মেইনস্ট্রিম মিডিয়া প্রচার করছে না,স্বাভাবিক ভাবেই করবেনা। গতকাল একটা মৃত্যুর হৃদয়বিদারক স্বজনদের আহাজারি দেখলাম।   

 অনেক মানুষ এই লেখা কন্সপিরেসি বলে উড়িয়ে দিতে চাইবে। তাদের কে প্রশ্ন করি, আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের কার্যকলাপের ব্যপারে সুধারনা পোষণ করতে শেখায়? আমাদের দ্বীন কি কাফিরদের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নির্লিপ্ত হয়ে থাকতে শেখায়? 

গত পোস্টের লিংক: https://aadiaat.blogspot.com/2022/01/blog-post.html

Monday, January 3, 2022

করোনার ভ্যাক্সিন

করোনা নিয়ে তেমন কিছু লেখার সময় পাইনি। টিকা নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু না লিখে থাকতে পারছিনা।

করোনা রোগটাকে অনেকেই অস্বীকার করে যেটা আমাকে অবাক করে, আমি করোনা ইউনিটে রোগীদের মধ্যে টানা ৯-১০ দিনের মত ছিলাম। ৫-৬ টা পেশেন্টের একদম নিকটে থেকেছি। তাই সবকিছু খুব ক্লোজ অবজার্ভ করার সুযোগ ছিল। আসলে রোগটা সাধারন জ্বর কাশি থেকে নিউমোনিয়া তৈরি করে মিল্ড হাইপোক্সিয়া থেকে সিভিয়ার এ্যাকিউট হাইপোক্সিয়া তৈরি করে শরীরে অক্সিজেন লেভেল কমিয়ে লাঞ্জ বিকল করে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তাকদিরে যাদের মৃত্যু ছিল তারা মারা গেছে। আমরা জানিনা ভাইরাসটা ম্যানমেইড নাকি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি। ওয়াল্লাহু আ'লাম। তবে এটাকে কেন্দ্র করে ম্যানডাটরি ভ্যক্সিনেশনের দিকে হিউম্যানিটিকে ড্রাইভ করার দিকে তাকালে মনে হয় একটু সন্দেহ উদয় হয়। কেমন যেন মনে হয় বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্যই এই ভাইরাস বানিয়ে ছাড়া হয়। হয়ত আপনি একবারো আক্রান্ত হননি কিন্তু ভ্যাক্সিন দিতেই হবে। আমি করোনার মধ্যে ছিলাম, ধরে নেয়া যাক আমার শরীর এর এ্যাণ্টিবডি তৈরি করে নিয়েছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তারাও এই ভাইরাস রেজিস্টেন্স হয়েছে, এরপরেও কিসের ভ্যাক্সিনেশন!? করোনার ভ্যাক্সিনটি mRNA যেধরনের ভ্যাক্সিন আগে কখনোই ব্যবহার হয়নি। জনগণ কি গিনিপিগ যে,আনটেস্টেড সেরাম শরীরে দেয়া হবে? তাছাড়া একটা বড় সমস্যা হচ্ছে করোনা ভাইরাস এর রূপ বার বার পরিবর্তিত হয়,শতশতবার রূপ বদলিয়েছে,  তাহলে ভ্যাক্সিন কয়শত বার দিয়ে ভাইরাসকে চেনাবে? একটা ভাইরাসের বিহেভই ভাল করে না জেনে সেটার প্রতিষেধক কিভাবে বানানো সম্ভব!? সবচেয়ে বড় সমস্যা একটা পরিবর্তনশীল ভাইরাসের ভ্যাক্সিন কিভাবে তৈরি করতেছে? ধরেন এ ভাইরাসের একটা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ডেল্টা, এটার ভ্যাক্সিন দেওয়া হলো, দুইদিন পর ভাইরাস রূপ বদলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসলো, এটা ধরুন আরো ভয়াবহ, আগের টাইপের ভ্যাক্সিন এখন অবসোলেট। সেই সেরাম এন্টিবডি কে যে ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস চিনিয়ে দিয়েছে, পরের ভ্যারিয়েন্টের বেলায় তো সেটা করবেনা। ধরেন এটার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া হলো। একমাস পর আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট আসলো সেটার জন্য কি তাহলে আরেকটা?? এর শেষ কোথায়!!? অর্থাৎ এই রোগের কথিত ভ্যাক্সিনটা বার বার ইঞ্জেকশন  নেওয়ার রাস্তা খুলে দেয়। 


অনেকে এভাবে দেখছে যে ভ্যাক্সিন একটা ব্যবসায়। জ্বিনা ভাই এত নিষ্পাপ দৃষ্টিতে দেখে থামাটা অনুচিত। প্রত্যেকটা তাগুতি রাষ্ট্রই ভ্যাক্সিন জনগণকে বিনামূল্যে দিচ্ছে, সুতরাং সরকারের এত কি ঠ্যাকা পড়েছে যে জাতীয় ফান্ড খালি করে জনগণকে মাগনা ইঞ্জেকশন পুশ করবে! এখানেই শেষ না, ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট বানিয়েছে, এটা ছাড়া সার্ভিস মিলবেনা সেই ব্যবস্থা করছে। চাকরিবাকরি করলেও বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন দিতে হবে।একটা সময় আসছে যখন সব জায়গায় কিউআর স্ক্যানার থাকবে, আমি আপনি ভ্যাক্সিনেশন এর কার্ড ছাড়া কোন সেবা পাব না। ভ্যাক্সিন গ্রহনে এত বেশি চাপাচাপি করার কারন কি ভাই! এতে কল্যাণ থাকলে বল প্রয়োগের জরুরত ছিলনা। এটার ভ্যাক্সিন বানালে আগে তো বহু মহামারী ছিল সেসবের ভ্যাক্সিন বানাচ্ছেনা কেন। সেসবও তো মানুষ আবারো আক্রান্ত হতে পারে। আমরা তো এখন দেখছি করোনা কমে গেছে, এরপরেও সুস্থ মানুষের দেহে ভ্যাক্সিন দিতেই হবে কেন! ব্যপারটা এ অবস্থায় দাড়িয়েছে যে সবার গায়ে ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্যই এরকম একটা ভাইরাস ছড়ানো হয়েছিল। আচ্ছা মিস্যান্থ্রোপিস্ট বিল গেটস সাহেবকে ২০১৫ সালে কে বলেছিল যে একটা মহামারী লাগবে এবং তাতে এক মিলিয়নের বেশি মরবে!? সুতরাং ওয়াল্লাহু আ'লাম হতেই পারে এটা ছিল একটা "প্ল্যানডেমিক"।


এবার চলেন বাধ্যতামূলক ভ্যাক্সিন প্রসঙ্গে। তারা আমাদের শরীরে যে ধরনের সেরাম ইঞ্জেক্ট করতে চাইছে এটাকে বলে এমআরএনএ ভ্যাক্সিন অর্থাৎ ম্যাসেঞ্জার-RNA।  ছোটবেলায় পড়েছিলেন DNA RNA মনে পড়ে ? ডিএনএ সেলসমূহের ফাংশন কি হবে কিভাবে হবে সেসব নিয়ন্ত্রণ করে। RNA একদম ফার্স্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল, এটা প্রোটিন গঠনের ক্ষেত্রে ডিএনএ এবং রাইবোজোম এর নিকট ম্যাসেঞ্জার বা বার্তাবাহক এর ভূমিকায় কাজ করে। ডিএনএ থেকে তথ্য নিয়ে আরএনএ প্রোটিনে রূপান্তর করে। অর্থাৎ প্রোটিন কিভাবে বানাবে সেটার ফাংশন কি হবে সেসকল ইন্সট্রাকশন সেট RNA বহন করে। একটু ভাবুন তো যদি কোন ফরেন সিন্থেটিক সেরামে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বা ক্ষতিকর mRNA দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরে করাপ্টেড প্রোটিন বানাবে! মানে শরীরের বেসিক ফাংশান মৌলিকভাবে চেঞ্জ করা হচ্ছে। আল্লাহ শরীরে যেই ইন্সট্রাকশন সেট দিয়ে দুনিয়াতে আমাদের পাঠাচ্ছে, সেটাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এডিট করা হচ্ছে। সুতরাং সৃষ্টিকে পরিবর্তন যেহেতু শয়তানি কাজ বুঝাই যাচ্ছে এখানেও সেরকমই সৃষ্টিতে সরাসরি পরিবর্তনের একটা ব্যপার আছে। যদি RNA ইন্সট্রাকশন সেটে ভাল কিছুও থাকে তাও সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ। ফান ফ্যাক্টঃ করোনা ভ্যাক্সিন বানাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান গুলো এরা একেকটা বায়োটেক কোম্পানি। জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং সহ যাবতীয় শয়তানি এরাই করে থাকে। 


আপনার একটা আঙ্গুল কেটে আলাদা হলে কি সেটা আর গজাবে? গজাবে না। ঠিক একইভাবে ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার আরএনএ শরীরে প্রবেশ করালে আপনার দেহের মৌলিক ফাংশান আজীবনের জন্য পরিবর্তিত হবে। এটা অনেকটা ডিফল্ট সেটিং টাকেই পালটে ফেলা। অর্থাৎ এমআরএনএ ভ্যাক্সিন দিলাম মানেই নিজেকে কোনদিক দিয়ে অজ্ঞাতভাবে আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ বা নস্ট/চেঞ্জ করে দিলাম। আমেরিকার সিডিসির অফিশিয়াল পেইজ থেকে কপি- "Messenger RNA (mRNA) vaccines teach our cells how to make a protein that will trigger an...."। যাই হোক ওরা বলবে এটা ভ্যাক্সিনকে ভাইরাস চিনিয়ে দিয়ে অটোইমিউন সিস্টেম বানাবে,কিন্তু সেখানে ভাইরাস চেনানোর ইন্সট্রাকশন সেট নাকি অন্য কোন কিছু সেটা কি আপনি দেখেছেন বা সুনিশ্চিত জানেন নাকি তাদের কথায় অন্ধভাবে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছেন? এই "তাদের" মানে কারা? উত্তরে তাদের আসল পরিচয় একটাই আসে, এরা হলো - কা   ফি   র। আল্লাহর অবাধ্য, শয়তানের অনুগত। ওরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে এক হয়ে কাজ করছে? উত্তর হচ্ছে- আসন্ন সম্রাট মসীহ আদ দা জ্জা ল এর। WHO ওদের মসিহের অপেক্ষাতেই সততার সাথে কাজ করছে, এটা ওরই প্রতিনিধি। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কাদের? উত্তর- এজেন্ডা ২১ তথা জাতিসংঘের। হু কাদের অঙ্গ সংগঠন? উত্তর - জাতিসংঘের,যেটা তৈরিই হয়েছিল ইহুদিবাদি মিশন বাস্তবায়নে,যেটা দাজ্জালেরই এজেন্ডা। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর লক্ষ্য নিয়ে লিখেছিলাম বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের শেষ পর্বে। তারা দুনিয়াতে জনসংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায়। যদি আপনার বডির প্রোটিনের এক্সপাইরেশন টাইমার দিয়ে বা করাপ্ট করার ইন্সট্রাকশন এনকোড করে mRNA শরীরে ইঞ্জেক্ট করানো হয় তাহলে তো এই সাস্টেইনেবল গৌল খুব সহজে এ্যাটেইন করা যায়। যাদের এরকম পরিকল্পনা আছে তাদের প্রোপাগান্ডায় কর্ণপাত করে শরীরে ওদের বায়োটেক কর্পোরেশন গুলোর তৈরি লিকুইড বায়ো-প্রোগ্রাম ইঞ্জেক্ট করা কি বোকামি হয়ে যায়না? 


ডিএমসির এক এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে সাথে সারাক্ষন যোগাযোগ ছিল,তিনি আমাকে বলেন প্রায় ৩০+ ডাক্তারকে হত্যা করে গুম করা হয় ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এতে বুঝতে পারি ওদের উদ্দেশ্য ভাল কিছু নাহ। এজন্যই ডাকাতের বিরুদ্ধে কথা বললে যেভাবে জবান চিরতরে বন্ধ করে সেটাই করছে। ওদের নিয়ন্ত্রিন মিডিয়াতে ভ্যাক্সিনের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যায়না। সব কন্টেন্ট ডিলিট করা হয়। সার্চ করেও কিছু পাওয়া যায়না। যেন কোথাও কেউ কিছু বলছেনা, সব কিছু স্বাভাবিক। সব সেকটর তাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই উনারা যা বলবে সবকিছু ঠিক এবং সেটাই মানতে হবে। বিরোধিতা করা যাবেনা করলেও সেটা প্রচারও হবেনা। 


ধরে নেন, ভ্যাক্সিন খুবই উপকারী কিছু, তাহলেও এটা গ্রহন করা উচিত হবে(?) যেহেতু এটা গায়ে ঢোকানো মানেই আমাদের শরীরের কার্যপ্রক্রিয়ায় আল্লাহর সৃষ্ট মৌলিক নীতি তে হস্তক্ষেপ করে পরিবর্তন করা, পালটানো। এটা তো সুস্পষ্ট শয়তানেরই আদেশ।আল্লাহ শয়তানের এই কাজের ব্যপারে বলেন- 

"……আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।"

(QS. An-Nisa' 4: Verse 119)


অর্থাৎ শয়তানের অনুগত কাফিরদের মধ্যে সৃষ্টিকে পরিবর্তনের আদেশকে এক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। মডার্না যখন ভ্যাক্সিন বানায় তখন তারা কিছু আর্টিকেল প্রকাশ করে যেগুলা পাঠলে অনেক রকম সন্দেহ আসবে। একটা বাক্য অনেকটা এরকম, "এই ভ্যাক্সিন গ্রহনে শরীরে নতুন ফিচার যুক্ত হবে।"  আমাদের মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড পাইনিয়াল গ্ল্যান্ড কে উত্তেজিত করার শিক্ষা দেয় শয়তানের অনুসারীরা। এতে করে যেটা বোঝা যায় শয়তান জ্বীনদের মানুষের শরীরে এক্সেস সহজ করা হয়। যদি ভ্যাক্সিনে এমন কোন কম্পোনেন্ট থাকে যেটা একই কাজ করবে, তাহলে আসন্ন দাজ্জালের আবির্ভাবের ফলে শয়তান জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়া, কিংবা দাজ্জালের কোন ফিতনায় পতিত করা সহজ হবে। এরকম কোন উদ্দেশ্য এই ভ্যাক্সিনেশন এর লক্ষ্য হওয়া অসম্ভব না।


 আমি লক্ষ্য করেছি ভাইরাস মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্বাস সম্পূর্নভাবে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর পানি সংক্রান্ত বিশ্বাস একবারে পরিবর্তিত হয়ে যায়, তার ব্যক্তিত্বও একদম পালটে যায়,এক শিশুকে তো দেখেছি কুকুরের মতই ঘেউঘেউ করে। সুতরাং সিরিঞ্জে ভরা সেরাম শরীরে ইঞ্জেক্ট করে মানুষের এ্যবস্ট্রাক্ট ভিউ,পারসোনালিটি পালটে ফেলা অসম্ভব নাহ। ধরুন এমন কোন ফাংশন ক্যারি করে যেটা আপনার বিশ্বাসে প্রভাব ফেলে, ধরুন কাফিররা প্ল্যান করলো সকল মানুষকে এমন সেরাম ইঞ্জেক্ট করা হবে যার ফলে সকল মানুষ দাজ্জাল বের হলেই তাকে ইলাহ বলে মান্য করবে,তার অনুসারী হবে। এরকম কিছু করা অসম্ভব লাগেনা যেখানে একটা সাধারন ভাইরাস ধারনাকে পালটে ফেলতে দেখেছি। আমরা নিশ্চিত নই ওরা কি করছে, তবে যাই করুক সেটাকে ভাল বলে মনে হয় না।  ধরুন আপনি ভ্যাক্সিন দিলেন। এখন কোন সমস্যাই ফিল করছেন না, কিন্তু ১০ বছরের মাথায় মারাগেলেন। আপনার সাথে সকল ভ্যাক্সিনেটেডরা টপ টপ করে মারা যেতে লাগলো। ব্যপারটা ভয়ংকর না? ডিপপুলেশন প্রোগ্রাম অনুযায়ী ওরা এমনটা করতেই পারে। মোটকথা ওরা কাফির, তারা আমাদের শত্রু, এরা আপনার ক্ষতিই চায়। ওরা শরীরে কিছু ভরতে চাইলে সেটা চোখ বুঝে গ্রহন করা নির্বোধ লোকের কাজ ছাড়া কিছুই নয়। কিছু ভাইকে দেখেছি ভ্যাক্সিন নিয়ে আজওয়া খেজুর খেতে পরামর্শ দেন। আসলে আঙ্গুল কেটে ফেলে দিলে সেটা আর গজাবে না, কিন্তু চামড়া কেটে গেলে কিংবা বিষাক্ত কিছু লেগে ঘা হলে, তাতে ওষুধ দিলে রিভার্স হবে। ওদের mRNA ভ্যক্সিন চামড়া কাটবেনা বরং একদম আঙ্গুল কেটে আলাদা করে দেবার মতই শরীরের ফাংশন স্থায়ীভাবে চেঞ্জ করে দেবে। এখানে আজওয়া খেজুরের তেমন ভূমিকা থাকার কথা নাহ। তবে আল্লাহ চাইলে ক্ষতি নাও হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় রিস্ক না নিয়ে গায়ে সুঁচই না ভরা। এতে কোভিডের সার্টিফিকেট নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। এ বিষয়ে মুহতারাম ইদ্রিসভাইয়ের একটা চমৎকার সল্যুশন আছে। তাকে ইনবক্স করে জানতে হবে। যেসব বোনেরা কখনো চাকরি করবেন না,বাসার ভেতরেই গৃহিনী হিসাবে থাকবেন। তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জরুরত দেখিনা। তবে ভ্যাক্সিনেশন এর জেনুইন সার্টিফিকেট রাখা উত্তম। 


Sunday, December 19, 2021

আবারো রাখা হবে ভুলিয়ে

ওরা এই যুগের তরুন প্রজন্ম কে কতটা (আন)সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নেশায় ডুবিয়ে রেখেছে!?
গেইমের ভার্চুয়াল জগত ছেড়ে উঠতি তরুণরা বেরুতেই চায়না।দিন রাত ফেসবুক থেকে ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসএ্যাপ থেকে টেলিগ্রাম, আরো আছে স্ন্যাপচ্যাট,টিকটক,বিগো,লাইকি। এসবের যেন শেষ নেই। এসব মানুষকে ভুলিয়ে রাখছে জীবনের আসল উদ্দেশ্য কর্তব্যের ব্যপারে, তাকে দুনিয়ায় কে পাঠিয়েছেন। কি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন এসব সে ভুলে থাকে। এখন কা ফি র গন এর চেয়েও এ্যাডভান্স ফিতনা নিয়ে আসছেন মেটাভার্সের নামে। এটা একটা ভার্চুয়াল সিমুলেশন।
উদ্দেশ্য-
১.মানুষকে মিথ্যার মাঝে ডুবিয়ে রাখা।
২.আকিদাগতভাবে বৈদিক-গৌতমবুদ্ধবাদী মায়াতত্ত্বের  কুফরের দিকে মানুষকে টেনে নেওয়া।



 সিমুলেশন তত্ত্বটির শেকড় প্যাগান বৈদিক, মিশরীয় এবং ব্যবিলনীয় অকাল্ট শাস্ত্র। মেটাভার্সের মত জাইগ্যান্টিক ভার্চুয়াল সিমুলেশন মানুষকে আমাদের বাস্তবজগত সম্পর্কে মায়াবাদি ম্যাসেজ দেবে। মানুষ সংশয়ে পড়বে, ইলন মাস্কের কথায় অনেকেই একমত হয়ে বলবে," হ্যা হয়ত আমরাও কোন হায়ার স্পিসিজের তৈরি সিমুলেশনেরই ফসল।আমাদের এই জগতটাও হয়ত ভার্চুয়াল প্রজেকশন।" অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স ফিল্মকে আরো গভীরভাবে অনুভব করবে এবং ইনসেপশন এর মধ্যে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর স্ত্রীর মত এই বিশ্বাসের উপর ইয়াক্বিন করে নিবে।

 আপগ্রেইড নামের ফিল্মে একদল মানুষকে দেখায় যারা দিনের পর দিন সপ্তাহের পর সপ্তাহ মাথায় ভিআর হেডসেট লাগিয়ে মিথ্যা ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে ডুবে আছে,তাদের প্রত্যেকের সাথে স্ট্যান্ডে স্যালাইন ঝুলছে, অর্থাৎ সপ্তাহের পর সপ্তাহ এর মধ্যেই ডুবে আছে। এই ফিতনা একেবারেই এমিনেন্ট, যেভাবে তরুণ প্রজন্ম গেইম আর সৌস্যাল নেটওয়ার্ক এর মধ্যে ডুবে আছে, সেই জগত পেলে কি অবস্থা হবে বুঝতেই পারছেন। যেভাবে পাবজি ফ্রি ফায়ার নিয়ে ডুবে আছে এর চেয়েও সহস্রগুন বেশি এ্যাডিকশন তৈরি হবে মিথ্যা জগতের প্রতি। মুসলিম তরুণরা এসব মিথ্যা জগতে ডুবে কা ফি রদের ভবিষ্যত নীলনকশার ব্যপারে গাফিল থাকবে, কা ফি রদের জন্য ফাঁকা মাঠে গোল দিতে সুবিধা হবে। এভাবেই তরুণ প্রজন্মকে আনপ্রোডাক্টিভ করে রাখবে, আসল জগত এবং পরকালীন জগতের ব্যপারে বেখবর করে রাখবে। ডুবিয়ে রাখবে মিথ্যার মহাসমুদ্রে। পরকালীন জীবনে থাকবে শুধুই আফসোস আর লাঞ্ছনা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেনঃ

يَقُوْلُ يٰلَيْتَنِيْ قَدَّمْتُ لِحَـيَا تِى

"সে বলবে, ‘হায়! আমার (এখনকার) জীবনের জন্য যদি আমি (সৎকর্ম) আগে পাঠাতাম!"( 89: 24)

Monday, October 18, 2021

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার আন্দোলনের যৌক্তিকতা

 রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতার যে প্রক্রিয়া চলছে এটা মূলত কুফরি মানবরচিত সংবিধানেরই আসল রূপ। এটা এমন একটা সংবিধান যেখানে প্রণেতা ইচ্ছা করলো একটা আইন তৈরি করলো, আবার মন চাইলো, একটা আইন বাদ দিলো। এখানে নিকৃষ্ট কুকর্মকেও নীতিসিদ্ধ করা যায় আবার ভাল কাজকেও নিষিদ্ধ করা যায়। 

আজ যারা রাষ্ট্রধর্ম সংবিধান থেকে বাদ দেয়ার ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ করছে তারা এরকম প্রতিবাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মানবরচিত কুফরি সংবিধানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে।ব্যপারটা এরকম-'যতদিন কুফরি সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল ততদিন কুফরি সংবিধানের অনুগত ছিলাম,এখন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাচ্ছি, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখুন তাহলে আবারো কুফরি কন্সটিটিউশানের অনুগত হয়ে থাকব।'


এরকম চিন্তাধারা কতটা নির্বুদ্ধিতার সেটা একটা উদাহরণে স্পষ্ট হয়ঃ ধরুন, মদের বোতলে যদি বিসমিল্লাহ্‌ কিংবা হালাল শব্দ লেখা থাকে এবং পরবর্তীতে মদ কোম্পানি সিদ্ধান্ত নেয় যে, ঐ হালাল বা বিসমিল্লাহ সিল বাদ দিয়ে দিবে, এতে মদ প্রস্তুরকারক কোম্পানি মূলত খারাপ কিছু করছেনা বরং এর দ্বারা মদের আসল পরিচয়ের ব্যপারে তৈরি করা মিথ্যা ইসলামাইজেশন এর ইল্যুশন তুলে ফেলছে।মদের বোতলে ইসলামিক টার্ম ব্যবহার করে যে অবমাননা করে আসছিল সেটাকে বন্ধ করতে যাচ্ছে। সুতরাং মুরতাদ মুরাদ টাকলাদের এরকম সিদ্ধান্ত বা কথার বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল না করে তাগুতি সংবিধানের বিরুদ্ধে ই'দাদ গ্রহন সমীচীন এবং বুদ্ধিমানের কাজ। তারা কুফরি সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম বাদ দিচ্ছে। ধরে নিন একদল যাদুকর কাফির তাদের কুফরি কালাম থেকে আল্লাহর নাম বাদ দিচ্ছে। ইতোপূর্বে সংবিধানের ১৫ তম সংশোধনীতে "আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের" স্থলে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' মূলনীতি প্রতিস্থাপন করে। তারা বলছে এর মাধ্যমে তারা ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফেরত যাচ্ছে। এখানে প্রশ্ন আসে, পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধটি কি তাহলে ধর্মহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য হয়েছিল?? উত্তর পাবেন নিচে প্রদত্ত ভিডিওতে। আমি অনুরোধ করব সিরিজের সবগুলো ভিডিও দেখার জন্য। 

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার ইস্যুটি ক্ষমতাসীন তাগুত সরকারের ইসলামবিদ্বেষী সেন্টিমেন্ট থেকেই এসেছে। সুতরাং সকল দাঈ,আলিম এবং অনলাইনে ইসলামিক ভিডিও নির্মাতাদের উচিত ইস্যুটাকে তুলে ধরে তাগুতের ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবকে তুলে ধরে এদেরকে হটানোর জন্য ই'দাদ ওয়াল জিহাদের জরুরত বুঝিয়ে দাওয়াহ অব্যাহত রাখা।  


Wednesday, October 6, 2021

এ্যাডমুক্ত ইউটিউব দেখার উপায়

 আমরা ইউটিউব এ এডভারটাইজের জন্য অনেকে বিরক্ত হয়ে থার্ডপার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু সেসবে পূর্ণাঙ্গ ইউটিউবের এনভায়রনমেন্ট পাওয়া যায়না।

এজন্য আজ দেখাতে চাইছি কিভাবে ইউটিউব এর সকল প্রিমিয়াম ফিচার সমৃদ্ধ ইউটিউব ব্যবহার করবেন। আমাকে আমাকে শিখিয়েছেন মুহতারাম ইদ্রিস ভাই। প্রথমে ফোনের স্টক রমে বিল্টইন ইউটিউব এপ্লিকেশন আনইন্সটল/ডিজএবল করে নিন। এরপরে নিচের ভিডিওতে যা করা হয়েছে সেসব অনুসরন করুন। 


এটা করা হয়ে গেলে ভ্যান্স মাইক্রো জি নামের এপ্লিকেশনটাকে ব্যাটারি সেভার/অপ্টিমাইজেশন এর হোয়াইটলিস্টে রাখবেন যাতে করে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এটা বন্ধ না হয়ে যায়। একেক ফোনের রম অনুযায়ী এটার সেটিং একেক ফোনে একেক রকম। অনেক ফোনে এরকম ব্যাটারি সেভার একেবারেই নেই। এজন্য এটা দেখানো নিষ্প্রয়োজন। 

Monday, September 20, 2021

৯/১১ কি ইন্সাইড জব?

৯/১১ হামলা: ষড়যন্ত্র তত্ত্বসমূহের প্রকৃত বাস্তবতা

 (পর্ব ১) 

.

৯/১১ এর পেরিয়ে গিয়েছে ২০ বছর। আ&ল কা%য়ে*দা এই হামলার দায় স্বীকার করে বিভিন্ন সময়ে বহু বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু হামলার ঠিক পরপরই ৯/১১ নিয়ে যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল , ২০ বছরের মাথায় এসে এখনো অনেকেই তা বিশ্বাস করে। অনেকেই বিশ্বাস করে ৯/১১ আমেরিকার সাজানো নাটক বা ইহুদিরাই এ কাজ করেছে। এই লেখায় ৯/১১ নিয়ে ছড়িয়ে পড়া জনপ্রিয় কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পেছনের বাস্তবতা তুলে আনা হবে।

.

১) আমেরিকা পূর্ব থেকেই ৯/১১ হামলার কথা জানত। আফগানিস্তান আক্রমণের অজুহাত হিসেবে দাড় করানোর জন্য তারা আ&ল কা%য়ে*দা কে হামলা চালাতে দিয়েছে।

.

অনেকে এমনও বলে আমেরিকা নিজেই এই হামলা চালিয়েছে। মুসলিমদের মধ্যে এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি নিয়ে আলোচনার পূর্বে দেখা যাক ৯/১১ হামলায় আমেরিকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ:

প্রাণহানি, চরম নিরাপত্তা ভীতি ইত্যাদি বিষয় এড়িয়ে শুধু আমেরিকার অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া যাক। ৯/১১ এর সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমেরিকার অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। হামলার তাৎক্ষনিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার , এর মধ্যে ৮০০ কোটি ডলার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পুনর্গঠনে ব্যয় করা হয়েছে। পেন্টাগন সংস্কার বাবত ১০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।

.

২০১০ সাল অবধি প্রত্যক্ষভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। যার মধ্যে শুধুমাত্র বিমান সংস্থাগুলো ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার হারায়। হামলা চালানোর মাত্র চার দিনের মাথায় বিমান ইন্ডাস্ট্রি ১৪০ কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। হামলায় ব্যবহৃত চারটি বিমানের মূল্য ছিল সাড়ে ৩৮ কোটি ডলার।

.

হামলা পরবর্তী দশ বছরে, হোটেল ব্যবসা ৬ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যদি এই হামলাটি না হতো, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সময়ের মধ্যে ৭ কোটি ৮০ লাখ পর্যটক পেত। এর মাধ্যমে তারা ৬০ কোটি ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারত। এই সময়ের মধ্যে পরিসেবা খাত থেকে ৮৩,০০০ চাকরি হারিয়ে যায় অথবা বলা যায় বেতন হিসেবে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হয় ৫৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে প্রায় সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে ইরাক ও আফগান যুদ্ধের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের চিকিৎসা ও জীবন বীমাতে।

.

আফগানিস্তান আক্রমণ বা মুসলিমদের নির্যাতন করার জন্য আমেরিকা কেন এতো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে যাবে? আমেরিকা ইচ্ছা করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, নারী স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে মুসলিমদের নির্যাতন, শোষণ বা তার পছন্দমতো যে কোনো দেশে আক্রমণ করতে পারে। চাপ প্রয়োগ, অর্থনৈতিক অবরোধ বা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবাধ্য সরকারকে সরিয়ে গোলাম সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা বা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সে এমনটা করতেই অভ্যস্ত। আমেরিকা চাইলেই এই অজুহাতসমূহ উপস্থাপন করে আফগানিস্তান আক্রমণ করতে পারত। জাতিসংঘ বা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর কাছ থেকে সে তেমন কোনো বাধার মুখোমুখি হতো না। যেমন ইরাক। কিন্তু সে তা না করে কেন আ&ল কা%য়ে*দা কে ৯/১১ ঘটাতে দিবে? বা নিজেই ৯/১১ এর নাটক সাজাবে? যেখানে ৯/১১ তার জন্য চরমতম এক বিপর্যয় হিসেবে আবির্ভূত হবে।

.

২) ইসরায়েলের পরিকল্পনায় এই হামলা হয়েছে। আমেরিকা আর মুসলিমদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে।

.

মুসলিমদের মধ্যে এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর সঙ্গে আরও দুইটি বিষয় এই দাবীকে শক্তিশালী করে। আর তা হলো ৪ হাজার ইহুদী টুইন টাওয়ারে কাজ করত। হামলার দিন তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল। হামলায় একজন ইহুদীও নিহত হয়নি। এবং হামলার পরপর কয়েকজন ইহুদীকে গ্রেফতার করে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

.

প্রথমত, টুইন টাওয়ারে কর্মরত ৪ হাজার জন ইহুদীর অনুপস্থিতির বিষয়টি পুরোটাই গুজব। সে সময় ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছিল- হামলার সময় শহরে ৪ হাজারের মতো ইসরায়েলি রয়েছে। কিন্তু এটিকেই পরিবর্তন করে বলা হয় টুইন টাওয়ারে কর্মরত ৪ হাজার ইহুদী সেদিন অনুপস্থিত ছিল। লেবাননের ‘হিজবুল্লাহ’ সমর্থিত ‘আল-মানার’ নামের এক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল সর্বপ্রথম এই সংবাদ প্রকাশ করে সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে। অন্যদিকে হামলায় নিহত প্রতি ১০ জন ব্যক্তির মধ্যে ১ জন ছিল ইহুদী।

.

হামলার ৪ ঘণ্টা পর ৫ জন ইহুদীকে এফবিআই গ্রেফতার করে। তারা একটি গাড়ির উপরে উঠে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় হামলার দৃশ্য ভিডিও করছিল। কিন্তু পরে তদন্তে প্রমাণিত হয় যে হামলার ব্যাপকতা বা অগ্রিম তথ্য সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই ছিলনা।

.

মুসলিমদের সাথে আমেরিকার সুসম্পর্ক থাকলে তবেই সুসম্পর্ক নষ্টের ব্যাপার আসে। ৯/১১ এর অনেক পূর্ব থেকেই আমেরিকা মুসলিমদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়। বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের উপর অনুগত স্বৈরশাসক চাপিয়ে দেয়। আমেরিকা প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলিমদের বিরুদ্ধে গিয়ে ইহুদীদের সাহায্য করে। তাদের প্রত্যক্ষ সাহায্যেই ইসরায়েল মুসলিমদের ভূমি ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে লাখ লাখ মুসলিমদের হত্যা করে। শুধুমাত্র উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়ই আমেরিকার অবরোধের কারণে খাদ্য এবং চিকিৎসার অভাবে মারা যায় ৫ লাখ ইরাকী শিশু। উ%সা*মা বি#ন লা&দে^ন, ৯/১১ হামলার কারণ হিসেবে আমেরিকার এ জুলুমগুলোর কথা বার বার উল্লেখ করেছেন। মুসলিমদের সাথে আমেরিকার সুসম্পর্ক ছিল না। এবং বরাবর আমেরিকা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গিয়ে ইহুদীদের পক্ষে ছিল। কাজেই, আমেরিকার সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক নষ্ট করে ফায়দা লোটার জন্য ইহুদীরা এই হামলা চালিয়েছে এমন দাবী অযৌক্তিক।

৩) দাবী করা হয় বিমান বিধ্বস্ত হবার ফলে হাইজ্যাকারদের সবাই নিহত হয়েছে। অথচ তাদের অনেককেই পরবর্তীতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। কাজেই ৯/১১ একটি সাজানো নাটক মাত্র।

.

৯/১১ হামলায় বিশ্ববাসী বিহ্বল হয়ে পড়ে। আক্রমণের পরের সময়গুলো ছিল বিশ্ববাসীর জন্য প্রচণ্ড বিস্ময়, বিভ্রান্তির। বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলো একেবারেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়। এই বিশৃঙ্খল, অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে বিবিসি সম্ভাব্য আক্রমণকারীদের নামের তালিকা এবং পরিচয় প্রকাশ করে। ৯/১১ এর হামলার ধরণ ছিল আত্মঘাতী। কাজেই কোনো আক্রমণকারী জীবিত থাকবে এমন বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এই তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের অনেককেই পরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দেখা যায় । এর উপর ভিত্তি করে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচারকারীরা দাবী করে ৯/১১ সাজানো নাটক।

.

পরবর্তীতে বিবিসি ব্যাখ্যা করে- আক্রমণকারীদের নামের তালিকায় তাদের ভুল করার কারণ হচ্ছে নামগুলোর সবই ছিল খুবই প্রচলিত ইসলামি এবং আরবি নাম। অনেক মানুষেরই এধরণের নাম আছে। বিবিসি এফবিআইকে (FBI) অনুরোধ করলে তারা জানায়- বিবিসির নামের তালিকায় ভুল ছিল। এফবিআই নিশ্চিতভাবে আক্রমণকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলো তাদের তালিকার ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেনি। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ও জানায় বিবিসি নামের তালিকা প্রকাশ করতে ভুল করেছে।

.

হামলাকারীদের অধিকাংশ ছিল সৌদি আরবের নাগরিক। সৌদি আরবের ‘আরব নিউজের’ সম্পাদক জন ব্র্যাডলি (John Bradley) বিবিসির এই ভুলের ব্যাপারে নিজের বক্তব্য দিয়েছে। সে জানায়- আক্রমণের পরের কয়েকটি দিন প্রচণ্ড বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে কারণেই আক্রমণকারীদের নামের তালিকার ভুল হয়েছে। কিন্তু এরপর খুব দ্রুতই প্রকৃত আক্রমণকারীদের শনাক্ত করে তালিকা সংশোধন করে নেওয়া হয়।

.

রেফারেন্সঃ

[১] How much did the September 11 terrorist attack cost America?- https://tinyurl.com/

br8uemps

[২]One 9/11 Tally: $3.3 Trillion - https://

tinyurl.com/krd974wd

[৩]The cost of 9/11 - in dollars- https://

tinyurl.com/mpcjz3ts

[৪]Paying the Price: Killing the Children of Iraq-

https://tinyurl.com/349n3r54

[৫]Madeleine Albright: “500,000 Dead Iraqi Children Was Worth it” - https://tinyurl.com/

y2dja7ew

[৬]The 4,000 Jews Rumor- Rumor surrounding Sept. 11th proved untrue- https://tinyurl.com/

4mrw24r6

[৭]Were Israelis Detained on Sept. 11 Spies?-

https://tinyurl.com/3fjf97u7

[৮]9/11 conspiracy theory, BBC- https://

tinyurl.com/2xmja589

[৯] Panoply of the Absurd- https://tinyurl.com/

2x79fwbw

[১০] AFTER THE ATTACKS: MISSED CUES; Saudi May Have Been Suspected in Error, Officials Say-

https://tinyurl.com/euexv5k2







~ ৯/১১ হামলা: ষড়যন্ত্র তত্ত্বসমূহের প্রকৃত বাস্তবতা (পর্ব ২) ~

.

৯/১১ এর পর পেরিয়ে গিয়েছে ২০ বছর। আ&ল কা%য়ে*দা এই হামলার দায় স্বীকার করে বিভিন্ন সময়ে বহু বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু হামলার ঠিক পরপরই ৯/১১ নিয়ে যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল, ২০ বছরের মাথায় এসে এখনো অনেকেই তা বিশ্বাস করে। অনেকেই বিশ্বাস করে ৯/১১ আমেরিকার সাজানো নাটক বা ইহুদিরাই এ কাজ করেছে। এই সিরিজে ৯/১১ নিয়ে ছড়িয়ে পড়া জনপ্রিয় কয়েকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পেছনের বাস্তবতা তুলে আনা হয়েছে। সিরিজের প্রথম পর্বের লিংক কমেন্টে।

.

৫) ভেতর থেকে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে

.

টুইন টাওয়ার ধসে পড়ার সময় রহস্যময় ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হয়েছিল। এই ধোঁয়াকে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে দাবী করা হয় -বিমানের আঘাতে নয়, বরং ভেতর থেকে ভেতর থেকে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। বিস্ফোরক পদার্থসমূহ ৯/১১ এর পূর্বেই টাওয়ারের কলামগুলোতে ড্রিল করে রাখা হয়।

.

এই দাবীতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে।

প্রথমত, টুইন টাওয়ারের আকৃতি অত্যন্ত বিশাল এবং এখানে অনেক সংস্থার অফিস রয়েছে। এতো বিশাল আকৃতির, ব্যস্ত টুইন টাওয়ারের কলামগুলোতে ৯/১১ এর পূর্বের সপ্তাহে ড্রিল করে বিস্ফোরক পদার্থ রাখা হবে আর তা একজন ব্যক্তিরও চোখে পড়বে না – এটি একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার।

.

দ্বিতীয়ত, এভাবে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিল্ডিং ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নিচের ফ্লোরগুলো সবার আগে ধসে পড়ে। এরপর উপরের ফ্লোরগুলো ধসে পড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে টুইন টাওয়ারের ক্ষেত্রে উপরের ফ্লোরগুলো আগে ধ্বংস হয়েছে, নিচেরগুলো পরে। ভেতর থেকে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ হলে এমনটি হতো না।

.

টুইন টাওয়ারের অভ্যন্তরে প্রচুর বাতাস ছিল। একটা ফ্লোর ধসে নিচের ফ্লোরের উপর পড়ার সময় ধসে যাওয়া ফ্লোরের বাতাস কোথাও যাবার রাস্তা পাচ্ছিল না। প্রচণ্ড বাতাসের চাপ সৃষ্টি হয়। এই প্রচণ্ড চাপবিশিষ্ট বাতাস চূর্ণ-বিচূর্ণ কংক্রিটের সাথে মিশে প্রচণ্ড গতিতে বাহিরে বের হয়ে আসে। যেটা দেখে মনে হয় সেখানে বিস্ফোরণ ঘটছে।

.

৬) বিমানের আঘাতে এতো ক্ষয়ক্ষতি কেন হল?

.

এটাও বেশ প্রচলিত একটি দাবী। প্রথম বিমান ‘টুইন টাওয়ারের’ দুই টাওয়ারের একটি, উত্তর টাওয়ারের ৯৮ থেকে ৯৪ তলার মধ্যে আঘাত হানে। দ্বিতীয় বিমান আঘাত হানে দক্ষিণ টাওয়ারের ৮৪ থেকে ৭৮ তলার মধ্যে। বিমান এতো উঁচুতে আঘাত করলেও নিচতলার লবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কীভাবে এটা সম্ভব? তারমানে বোঝা যাচ্ছে বিমান যখন আঘাত হেনেছিল তখন নিচের ফ্লোরগুলোতেও বিস্ফোরক পদার্থের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

.

আমেরিকার সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেকনোলোজি (National Institute of Standards and Technology –NIST) অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়- বিমান টাওয়ারগুলোতে প্রবেশ করার কারণে টাওয়ারের ইউটিলিটি শ্যাফট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিমানের জ্বালানি লিফটের শ্যাফটে ঢুকে পড়ে এবং ভয়াবহ আকারের অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি করে। লিফটের ক্যাবল ছিঁড়ে যায়, ব্রেকিং সিস্টেম অচল হয়ে পড়ে। লিফটগুলো নিচের ফ্লোরগুলোর উপর প্রচণ্ড গতিতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে থাকে। নিচের ফ্লোরের লবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রচণ্ড ধাক্কায় লবির দরজা উড়ে গিয়ে বিমানের জ্বালানি ছড়িয়ে দেবার সুযোগ করে দেয়। এই জ্বালানির কারণে সেখানেও ভয়াবহ আকারে আগুন লাগে। অনেক মানুষের গায়ে আগুন ধরে। জুলস নডেট (Jules Naudet) নামের একজন ক্যামেরা ম্যান হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সে লবিতে এভাবে আগুন লাগার ঘটনা নিজের চোখে দেখেছে।

.

৭) বিমানের জ্বলন্ত জ্বালানির তাপমাত্রা ৪২৬-৮১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে স্টিলের গলনাঙ্ক ১৫১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিমানের জ্বালানি টুইন টাওয়ারের স্টিলের কাঠামো গলানোর জন্য যথেষ্ট না। তাহলে টুইন টাওয়ার কেন ধসে পড়ল?

.

এটা সত্য যে শুধুমাত্র বিমানের জ্বালানিতে আগুন লাগার ফলে যে তাপের সৃষ্টি হয়েছিল তা স্টিল গলানোর জন্য যথেষ্ট না। বিমানের জ্বালানিতে আগুন লাগার পর সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে টাওয়ারের আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল পর্দা, কম্পিউটারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতে। সেই সাথে টুইন টাওয়ারে বিভিন্ন সংস্থার অফিস হবার কারণে সেখানে প্রচুর কাগজ ছিল। এই কাগজেও আগুন লেগে যায়। NIST এর মতে, এই সম্মিলিত আগুনের ফলে তাপমাত্রা কোথাও কোথাও প্রায় ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। ৫৯৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্টিল ৫০ ভাগ শক্তি হারিয়ে ফেলে। ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় স্টিল হারায় ৯০ ভাগ শক্তি। কাজেই তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে টাওয়ারের স্টিলের কাঠামো মারাত্মক দুর্বল হয়ে বিল্ডিং এর ভার বহনের সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে। বালুর প্রাসাদের মতোই ধসে পড়ে টুইন টাওয়ার।

.

৮) টুইন টাওয়ারের নিকটবর্তী বিল্ডিং ৭ কেন ধসে পড়ল? সেটাতে তো বিমান আঘাত করেনি? অর্থাৎ ৯/১১ একটি সাজানো নাটক ছিল

.

.

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বিল্ডিং ৭ ছিল ৪৭ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন। টুইন টাওয়ার ধসে পড়ার ১ ঘণ্টার মাথায় এটাও ধসে পড়ে। বিল্ডিং ৭ এ কোনো বিমান আঘাত করেছিল না। বিল্ডিং এর অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটালে তা যেভাবে ধসে পড়ে, বিল্ডিং ৭ সেভাবেই ধসে পড়েছিল। এ ব্যাপারটিও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচারকারীরা ফলাও করে প্রচার করে।

.

উত্তর টাওয়ার ধসে পড়ার সময় বিপুল সংখ্যক ধ্বংসাবশেষ প্রচণ্ড গতিতে বিল্ডিং ৭ এর দক্ষিণ পাশে এসে আঘাত করে। বিল্ডিং ৭ এর প্রায় এক চতুর্থাংশ; নিচতলা থেকে দশ তলা পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এর ফলে ভবনটির কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবনের অনেক জায়গায় আগুন ধরে যায়। পঞ্চম তলার আগুন এক নাগাড়ে ৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকে। টুইন টাওয়ার ধসে পড়ার সময় ধ্বংসস্তূপের আঘাত এবং দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা আগুনের ফলে বিল্ডিং ৭ এর স্টিলের কাঠামো অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেকনোলোজি (National Institute of Standards and Technology –NIST) এর মতে, বিল্ডিং এর ডিজাইনেও কিছু দুর্বলতা ছিল। এ বিষয়গুলোর কারণে বিমান আঘাত না হানার পরেও একসময় বিল্ডিং ৭ ধসে পড়ে।

.

বিল্ডিং ৭ ধসে পড়ার দৃশ্য দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে এটা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। বিল্ডিং ৭ এর অভ্যন্তরে আগুন নেভানোর জন্য অনেক ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কাজ করছিল। ভবনটির মালিক এই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উপর ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা করে। সে তাদের তৎক্ষণাৎ ফিরিয়ে আনতে (Pull It) বলে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তার এই বাক্যটির ব্যাখ্যা করে এভাবে – সে আসলে এই বাক্যের (Pull It) মাধ্যমে বোমা বিস্ফোরণের আদেশ দিয়েছে।

.

NIST তিন বছর ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে মত দেয়- বিল্ডিং ধসে পড়ার প্রধান কারণ আগুন। ভেতর থেকে বিস্ফোরকের মাধ্যমে বিল্ডিং ৭ ধ্বংস করলে যে পরিমাণ শব্দ হবার কথা বা যতদূর থেকে শব্দ শুনতে পাবার কথা এক্ষেত্রে তা একদমই হয়নি। কোনো প্রত্যক্ষদর্শী এমন শব্দের কথা বলেনি বা কোনো ভিডিওতে এমন কিছু ধরা পড়েনি।

.

প্রকৃতপক্ষে, বিল্ডিং ৭ এর পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের কিছু অংশ বিল্ডিং এর মধ্যবর্তী অংশে ধসে পড়ে। এর ফলে ‘অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পুরো বিল্ডিং একসাথে মাটিতে ধসে যায়। যা দেখে মনে হয় যে বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিল্ডিং ৭ কে ধ্বংস করা হয়েছে।


রেফারেন্স:

[১] World Trade Center Investigation- https://

tinyurl.com/vzw6m3w4

[২] Debunking 9/11 Myths: About the Airplanes -

https://tinyurl.com/27fej344

[৩]Debunking the 9/11 Conspiracy Theories: Special Report - The World Trade Center- https://

tinyurl.com/y9jcv2ub

[৪]The biggest 9/11 conspiracy theories debunked- https://tinyurl.com/ypdru9dc

[৫] NIST Video: Why the Building (WTC7) Fell-

https://tinyurl.com/3xd6yxhv

[৬]9/11 conspiracy theories debunked- https://

tinyurl.com/4fe8h7ac

[৭] September 11 Attacks- https://tinyurl.com/

432jrjae



~ ৯/১১ হামলা: ষড়যন্ত্র তত্ত্বসমূহের প্রকৃত বাস্তবতা (পর্ব ৩) ~

.

৯/১১ নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের অভাব নেই। হামলাকারী আ%ল কা@য়ে(দা দায় স্বীকার করে বহু বিবৃতি দিয়েছে। ৯/১১ এর হামলা এবং হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে আমেরিকা। বহু বছর ধরে চলে আসা মার্কিন সাম্রাজ্যের পতনের শুরু হয়। সামরিক, রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই বিশ্ব দরবারে আমেরিকার প্রভাব প্রতিপত্তি দুর্বল হয়ে যায়। এক মেরু কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা থেকে বহু মেরু কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার আবির্ভাব ঘটে। রাশিয়া, চীন, তুরস্ক বা হালের ইসলামিক ইমারত অফ আফগানিস্তানের মতো নতুন শক্তির উত্থান ঘটে। এই আমেরিকাও বারবার জানিয়েছে এই হামলা করেছে আ*ল কা^য়ে)দা। কিন্তু ৯/১১ হামলায় চোখের জল নাকের জল এক হয়ে যাওয়া আমেরিকাকেই এই হামলার জন্য দায়ী করা মানুষের অভাব নেই। ৯/১১ হামলা আমেরিকা বা ইহুদীদের ষড়যন্ত্র – অনেক মানুষই এমন বিশ্বাস রাখেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রকৃত বাস্তবতা তুলে ধরা হচ্ছে আমাদের এই সিরিজে। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে দুটি পর্ব। প্রথম দুটি পর্বের লিংক কমেন্টে।

.

৯) পেন্টাগনে কী মিসাইল হামলা হয়েছিল?

.

পেন্টাগনে (আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হেড অফিস) যে বিমান ( ফ্লাইট ৭৭) আঘাত করে তার দৈর্ঘ্য ছিল ১২৫ ফিট, প্রস্থ ১৫৫ ফিট। কিন্তু এই বিমান পেন্টাগনের সামনের দিকে (প্রবেশের সময়) মাত্র ১৬ ফিট চওড়া গর্ত তৈরি করে। এবং দেয়ালের অপর পাশে (বের হবার সময়) ১২ ফিট চওড়া গর্ত করে। এটা কীভাবে সম্ভব? এই যুক্তি দেখিয়ে অনেকেই দাবী করে পেন্টাগনে আসলে বিমান হামলা হয়নি বরং, স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত মিসাইলের মাধ্যমে মার্কিন সেনাবাহিনী পেন্টাগনে, সেনাবাহিনীর অন্য সদস্যদের (তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী) উপর হামলা চালায়। অর্থাৎ আমেরিকা নিজেই এই হামলা চালিয়েছে।

.

ASCE পেন্টাগন বিল্ডিং পারফর্মেন্স (ASCE Pentagon Building Performance) এর অফিশিয়াল রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে- পেন্টাগনের কংক্রিট দেয়ালের বাহিরের ‘E’ রিং এ ১৬ ফিট নয় বরং ৭৫ ফিট চওড়া গর্তের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই ভুল তথ্যটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

.

তাহলে ‘ফ্লাইট ৭৭’ বিল্ডিং এ বিমান আকৃতির ১২৫ ফিট গর্ত কেন করল না ? কেন ৭৫ ফিট গর্তের সৃষ্টি হলো?

.

এর কারণ হচ্ছে বিমানের একটি পাখা পেন্টাগনকে আঘাত করার পূর্বেই মাটিতে আঘাত করেছিল । এবং অন্য পাখাটি রিইনফোরসড কংক্রিটের দেয়ালে গভীর গর্ত তৈরি করার মতো যথেষ্ট ভারী ছিল না। ASCE এর মতে - পেন্টাগনের দেয়ালের ‘C’ রিং এ ১২ ফিট গর্ত তৈরি হয় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের আঘাতে। বিমানের পাখা বা কাঠামোর আঘাতে নয়।

.

এছাড়া, অসংখ্য লোক পেন্টাগনে আঘাত হানার পূর্বে বিমানটিকে আকাশে চক্কর দিতে দেখেছে। অনেকেই ছবি তুলেছে। অর্থাৎ মিসাইলের মাধ্যমে নয়, বিমানের আঘাতেই পেন্টাগনে ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১০) পেন্টাগনে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ কোথায়?

.

কোথাও বিমান বিধ্বস্ত হলে আশেপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকে। ‘ফ্লাইট ৭৭’ বেশ বড় বাণিজ্যিক বিমান ছিল। কিন্তু তারপরেও কেন এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি? ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচারকারীদের এটিও বেশ প্রিয় একটি যুক্তি।

.

পেন্টাগন হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরাই এই দাবীর ভ্রান্ততা নিশ্চিত করেছে। অনেক প্রত্যক্ষদর্শীই বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হল অ্যালেন ই কিলশেইমার (Allyn E. Kilsheimer)। ওয়াশিংটনে অবস্থিত KCE স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স (KCE Structural Engineers) এর প্রধান নির্বাহী ছিল অ্যালেন ই কিলশেইমার । পেন্টাগন হামলার পরপরই সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স তার হাত ধরেই উদ্ধার হয়। সে জানাচ্ছে, ‘নিঃসন্দেহে এটা একটা বিমান ছিল। ভবনে বিমানের পাখার আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। আমি বিমানের লেজ নিজ হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলেছি। বিমানের ব্ল্যাকবক্সও আমি উদ্ধার করেছি। বিমান ক্রুদের ইউনিফর্মের টুকরা বা লাশের কিছু অংশও আমি নিজ হাতে উদ্ধার করেছি’।

.

এই স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের দাবী মিথ্যা ছিল না। পেন্টাগনের ভেতরে এবং বাহিরে ধ্বংসস্তূপের অনেক ছবি তার দাবীর সত্যায়ন করে। এখানে আর একটি বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। বিধ্বস্ত বিমানের বেশীরভাগ অংশ ভবনের ভেতরে ছিল, বাহিরে নয়। এ কারণেও অনেকের মাঝে এই ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়।

.

১১) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে, নির্ধারিত গতিপথ ত্যাগ করে অন্য পথে কোনো বিমান চলতে শুরু করলে সাধারণত সেই বিমানকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য যুদ্ধ বিমান পাঠানো হয়। কিন্তু ৯/১১ এর ক্ষেত্রে এমন করা হয়নি। অর্থাৎ এটা ছিল আমেরিকার নিজস্ব কাজ।

.

ষড়যন্ত্রকারীরা দাবী করে- ৯/১১ হামলার জন্য ৪ টি বিমান হাইজ্যাক করা হয়। এই বিমানগুলোর কাছাকাছি মার্কিন বিমান বাহিনীর ২৮ টি বিমান ঘাটি ছিল। সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে ২ স্কোয়াড্রনকে ওয়াশিংটন ডি.সি’র আকাশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নিযুক্ত ছিল। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। এ থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা উপসংহার টানে- বিমান বাহিনীকে সেদিন চুপ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ আমেরিকা নিজেই এই হামলা করেছে।

.

দাবীর অসারতা: প্রকৃতপক্ষে সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে ১৪ টি বিমান ৪৮ টি প্রদেশের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। নর্থ অ্যামেরিকান এয়ার ডিফেন্স কমান্ড (North American Air Defense Command- NORAD) কোনো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বা এলার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে নিখোঁজ বিমান সম্পর্কে সতর্ক সংকেত পায়নি। সিভিলিয়ান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (Civilian Air Traffic Control –ATC) ফোন করে তাদের নিখোঁজ বিমান সম্পর্কে জানায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ATC বেশ কয়েকটি ভুল করে।

.

প্রথমত, ৮ টা ৩৭ মিনিটে তারা জানায় ‘ফ্লাইট ১১’ হাইজ্যাক করা হয়েছে। বিমানের সম্ভাব্য গতিপথ নির্ণয় করতে তারা সময় নেয় এবং ভুল করে। ৯ টা ২১ মিনিটে আবার ফোন করে বলে ‘ফ্লাইট ১১’ ওয়াশিংটন ডিসির দিকে রওয়ানা দিয়েছে। অথচ ফ্লাইট ১১ এর ৩৫ মিনিট আগেই টুইন টাওয়ারের উত্তর টাওয়ারে আঘাত হানে।

.

৯ টা ৩ মিনিটে নিউইয়র্কের ATC আবার ফোন করে NORAD কে। ‘ফ্লাইট ১৭৫’ হাইজ্যাকের ব্যাপারে রিপোর্ট করে। কিন্তু ততক্ষণে দেরী হয়ে যায়। ঠিক সেই সময়েই দক্ষিণ টাওয়ারে আঘাত হানে ‘ফ্লাইট ১৭৫’। NORAD কে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আকাশে উঠে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ বিমান। কিন্তু তাদের আর কিছুই করার ছিল না।

.

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়- কেন ATC বা NORAD ছিনতাইকৃত বিমান শনাক্ত করতে এতো সময় নিল বা ব্যর্থ হলো এটা কি ইচ্ছাকৃত? ষড়যন্ত্রের একটি অংশ?

.

আসলে ছিনতাইকৃত বিমান যখন ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেয় তখন ATC গভীর সাগরে পড়ে যায়। খড়ের গাদা থেকে সূচ খুঁজে বের করার অবস্থা হয় তাদের। আমেরিকার ব্যস্ততম এয়ার ট্রাফিক রুট থেকে ৪ হাজার ৫০০ রাডার ব্লিপ ক্রসচেক করে বিমান শনাক্ত করা ছাড়া তাদের হাতে কোনো উপায় থাকে না। অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ কাজ এটি। ভুল হবার সম্ভাবনাও প্রচুর।

.

NORAD এর রাডার অত্যাধুনিক হলেও সেগুলো নিযুক্ত ছিল আমেরিকার বাহিরের সম্ভাব্য হুমকি শনাক্ত করার কাজে। আমেরিকার অভ্যন্তরে নয়। ৯/১১ এর পূর্বে আমেরিকা কখনো চিন্তাও করতে পারেনি তাদের দেশের কোনো বিমান ছিনতাই করে তাদের দেশের অভ্যন্তরেই কেউ হামলা চালাতে পারে। একারণে ৯/১১ এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা কীভাবে সামলাতে হবে সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধরণের প্রস্তুতি ছিল না।

.

১২) ছিনতাইকৃত বিমান থেকে যাত্রীরা তাদের আপনজনের নিকট ফোন দেয়। বেটি অং (Betty Ong) নামের একজন বিমানবালা আমেরিকান এয়ারলাইন্সের রিজার্ভেশন ডেস্কে ফোন করে। বিমান যে উচ্চতায় উড়ছিল তাতে সেখানে থেকে ফোন করা সম্ভব নয়। ফোন কলের এ বিষয়টিই কি প্রমাণ করে না যে ৯/১১ আমেরিকা বা ইহুদীদের সাজানো নাটক?

.

বিমান যে উচ্চতায় উড়ছিল সেখান থেকে আসলে বাজারে প্রচলিত সাধারণ মোবাইল সেট ব্যবহার করে ফোন দেওয়া সম্ভব নয়। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারকারীদের এই দাবী সঠিক। তবে বিমানের যাত্রী বা বিমানবালা সাধারণ মোবাইল দিয়ে কল করেনি। তারা ফোন করেছিল বিমানে রক্ষিত স্যাটেলাইট মোবাইল দিয়ে। এবং স্যাটেলাইট মোবাইল দিয়ে বিমান যে উচ্চতায় উড়ছিল সে উচ্চতা থেকে ফোন করা সম্ভব।


রেফারেন্স:

[১] World Trade Center Investigation- https://

tinyurl.com/vzw6m3w4

[২] Debunking 9/11 Myths: About the Airplanes -

https://tinyurl.com/27fej344

[৩]Debunking the 9/11 Conspiracy Theories: Special Report - The World Trade Center- https://

tinyurl.com/y9jcv2ub

[৪]The biggest 9/11 conspiracy theories debunked- https://tinyurl.com/ypdru9dc

[৫]Debunking the 9/11 Conspiracy Theories: Special Report - The World Trade Center- https://

tinyurl.com/y9jcv2ub

[৬]Myths About the 9/11 Pentagon Attack: Debunked- https://tinyurl.com/25e86k9r

[৭] Debunking Myths About United Flight 93-

https://tinyurl.com/ypz6jtcm





৯/১১ হামলা: ষড়যন্ত্র তত্ত্বসমূহের প্রকৃত বাস্তবতা (শেষ পর্ব) ~

.

১৩) টুইন টাওয়ারে আঘাতকারী বাণিজ্যিক বিমানের কেন জানালা ছিল না?

.

বাণিজ্যিক বিমানের জানালা থাকে। দাবী করা হয় টুইন টাওয়ারে হামলাকারী বিমান ছিল বাণিজ্যিক বিমান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আক্রমণকারী বিমানের কোনো জানালা দেখা যায়নি। অর্থাৎ সামরিক কার্গো বিমান অথবা জ্বালানী ট্যাংকার বিমানের মাধ্যমে টুইন টাওয়ারে আমেরিকা নিজ থেকেই হামলা চালিয়েছে। এমন দাবী প্রথম করে ফক্স নিউজের কর্মী মার্ক বায়ার্নবাক (Marc Birnbach)। হামলার পরপরই সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে সে দাবী করে- এটা কোনোমতেই বাণিজ্যিক বিমান হতে পারে না। আমি বিমানের কোনো পাশেই জানালা দেখিনি।

.

হামলাকারী বিমানের লো রেজুলেশনের কয়েকটি ছবি এবং ভিডিওতেও জানালা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়টিও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারকারীরা রেফারেন্স হিসেবে উপস্থাপন করে।

.

প্রকৃতপক্ষে মার্ক ছিল একজন ফ্রি ল্যান্সার ভিডিওগ্রাফার। হামলার সময় সে ফক্স নিউজের হয়ে কাজ করছিল। সে নিজেই পরে স্বীকার করেছে ‘হামলার সময় আমি টুইন টাওয়ার থেকে ২ মাইল দূরে ছিলাম। খুব অল্প সময়ের জন্য বিমান উড়ে যেতে দেখেছি। এবং দক্ষিণ টাওয়ারে বিমান আঘাতের দৃশ্যও আমি দেখিনি। আমি শুধু আওয়াজ শুনেছিলাম’।

.

হামলার পরপরই ফেডারেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি ( Federal Emergency Management Agency -FEMA) টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষা করতে যায়। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, কন্সট্রাকশন টেকনোলজি ল্যাবরেটোরিজ, কনসাল্টিং ফার্ম ইত্যাদির বিশেষজ্ঞদের একটি দল ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলতে থাকে। তারা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের কাঠামোর কিছু অংশ খুঁজে পায়। সেখানে আরোহীদের জন্য বরাদ্দকৃত জানালা ছিল। বিশেষজ্ঞদের এই দল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়- বাণিজ্যিক বিমানই আঘাত হেনেছিল দক্ষিণ টাওয়ারে। ABC নিউজের ধারণকৃত হামলার একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই বিশেষজ্ঞ দল বিমানের যে অংশ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করেছিল সেটি যে আসলেই হামলাকারী বিমানের ছিল- তা নিশ্চিত করে।

.

১৪) টুইন টাওয়ারে কি বিমানের সাহায্যে বোমা হামলা করা হয়?

.

ফ্লাইট ১৭৫ টুইন টাওয়ারে আঘাত হানার পূর্বমুহূর্তের বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবি থেকে দেখা গিয়েছে বিমানের ডান পাখার গোঁড়ায়, কাঠামোর নিচে রহস্যময় একটি বস্তু উপস্থিত। বাণিজ্যিক বোয়িং ৭৬৭ মডেলের বিমানে সাধারণত এমন কিছু থাকে না। এ থেকে প্রমাণ হয় এই রহস্যময় বস্তুটি মিসাইল অথবা বোমা। অর্থাৎ আল-কায়েদা নয়, বরং প্রেসিডেন্ট বুশের পৃষ্ঠপোষকতায় আমেরিকা নিজে থেকেই এই হামলা চালিয়েছে।

.

ফটোগ্রাফার রব হাওয়ার্ড (Rob Howard) এর তোলা ফ্লাইট ১৭৫ এর একটি ছবি নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। সর্বাধিক প্রচারিত এই ছবিতে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বিমান দেখা যায়। এই ছবিতে বিমানের পাখার নিচের রহস্যময় বস্তুটি দেখা যায়, যেটাকে ষড়যন্ত্র প্রচারকারীরা মিসাইল হিসেবে দাবী করে।

.

অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্পেইস ফটোগ্রাফি ল্যাবরেটোরি (Space Photography Laboratory)- এর পরিচালক রোনাল্ড গ্রিলি (Ronald Greeley) এর নিকট এই ছবি পাঠানো হয়। ছবি বিশ্লেষণ করে, আলো ছায়ার প্রভাবের উপর ভিত্তি করে ছবির সেই বস্তুতে প্রকৃতপক্ষে কি কি উপাদান উপস্থিত বা তার আকার আকৃতি কেমন তা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সে একজন বিশেষজ্ঞ। হাই রেজুলেশনের ছবি বিশ্লেষণ করে এবং Boeing 767-200ER's মডেলের বিমানের কাঠামোর সাথে তুলনা করে সে ফ্লাইট ১৭৫ বিমানে মিসাইলের উপস্থিতির দাবী বাতিল করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে রব হাওয়ার্ড এর ছবিতে ডান পাখার গোঁড়ার দিকের একটি অংশ- যেখানে ল্যান্ডিং গিয়ার থাকে –তা দেখা যাচ্ছিল। সূর্যের আলো বিমানে প্রতিফলিত হবার কারণে সেটাকে মিসাইলের মতো লাগছিল।

.

ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির এরোনেটিক্সের প্রফেসর ফ্রেড ই. কালিক ( Fred E. Culick) কে বেসামরিক বিমান ফ্লাইট ১৭৫ এ মিসাইল যুক্ত করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। অত্যন্ত জোর দিয়ে সে বলে,‘ এটা একেবারেই অসম্ভব। তারা (ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচারকারী) আসলেই খুব বাড়াবাড়ি করছে’।

********

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয় আমেরিকা। আরেক সুপার পাওয়ার সোভিয়েত ইউনিয়ন দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আমেরিকার সাথে ক্ষমতার লড়াই চালিয়ে যায়। কিন্তু ৯০ দশকের শুরুর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিশ্বে একচ্ছত্রভাবে আধিপত্য কায়েম করে আমেরিকা। এক মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় আমেরিকা অত্যন্ত সফলতার সাথে মিডিয়া মেশিনের মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালায়। হলিউড, সাহিত্য, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ইত্যাদির সুচতুর ব্যবহারের মাধ্যমে আমেরিকা নিজেকে উপস্থাপন করে অপরাজেয়, অপ্রতিরোধ্য এক শক্তি হিসেবে। এই পৃথিবীর একক মালিকানা দাবী করে বসে আমেরিকা। এবং যেহেতু সে এই পৃথিবীর মালিক তাই যে কোনোকিছু করার অধিকার তার রয়েছে। সবকিছু করার লাইসেন্স পেয়ে মানবাধিকার, নারী স্বাধীনতা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে বিশ্বব্যাপী রক্তপাত আর ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠে আমেরিকা।

.

আমেরিকার মিডিয়া মেশিনে মগজ ধোলাই বিশ্ববাসীর অধিকাংশ ব্যক্তিরাই আমেরিকার এই জুলুমের প্রকৃত বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারে না। যারা পারে তাদের বেশীরভাগই আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভয় পায়। আমেরিকার অনিঃশেষ সামরিক শক্তি আর অপরাজেয় ভাবমূর্তি তাদের স্বাভাবিক বুদ্ধি বিবেচনা লোপ করে দেয়। তারা বিশ্বাস করে নেয় কেউ কখনো আমেরিকার গায়ে হাত দিতে পারবে না। মিডিয়া প্রোপাগান্ডায় মগজ ধোলাই এর শিকার, আমেরিকাকে খোদার আসনে বসানো এই মানুষগুলোকে কিছুতেই বোঝানো সম্ভব নয় – আমেরিকাকেও আঘাত হানা যায়, আমেরিকাকেও পরাজিত করা সম্ভব। পূর্বের সব সুপার পাওয়ারের মতো আমেরিকারও এক সময় পতন ঘটবে। অস্ত যাবে মার্কিন সাম্রাজ্যের সূর্য। আ ~ল কা৳য়ে*দার বহুবার দায় স্বীকার, আমেরিকার অসংখ্যবার অফিশিয়াল বিবৃতিসহ সব তথ্য প্রমাণ পাবার পরেও তাই তাদের অবিশ্বাসী মন বারবার আশ্রয় নেয় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বে।

.

৯/১১ এর মাধ্যমে মার্কিন সাম্রাজ্যের পতনের যে সূচনা হয়েছিল, ৯/১১ এর ২০ বছরের মাথায় এসে তা অত্যন্ত দ্রুতগতি লাভ করেছে। ২০ বছর যুদ্ধের পরেও আফগানিস্তানে সুপার পাওয়ার আমেরিকার লজ্জাজনক পরাজয়, আমেরিকার ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি থেকে এটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে- আমেরিকার পতন সন্নিকটে।


(সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত)

রেফারেন্স:

[১] World Trade Center Investigation- https://

tinyurl.com/vzw6m3w4

[২] Debunking 9/11 Myths: About the Airplanes -

https://tinyurl.com/27fej344

[৩]Debunking the 9/11 Conspiracy Theories: Special Report - The World Trade Center- https://

tinyurl.com/y9jcv2ub

[৪]The biggest 9/11 conspiracy theories debunked- https://tinyurl.com/ypdru9dc

[৫]Debunking the 9/11 Conspiracy Theories: Special Report - The World Trade Center- https://

tinyurl.com/y9jcv2ub

[৬]Myths About the 9/11 Pentagon Attack: Debunked- https://tinyurl.com/25e86k9r



সংগৃহীত 

ডকুমেন্ট সোর্সঃ

Reality Check BD

Facebook page: 

https://m.facebook.com/RealityCheckBD1

Youtube: 

https://youtube.com/c/RealityCheckBD