Monday, December 10, 2018

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন

ন্যাচারাল ফিলসফির একটি শাখাঃফিজিক্সের এডভান্স
ভার্সন- কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উত্থান ঘটে যেসকল পদার্থবিদদের হাতে করে এরা প্রত্যেকেই Vedic Occult Worldview দ্বারা প্রভাবিত। তারা বৈদিক কুফরি শাস্ত্র থেকেই যাবতীয় অপবিদ্যাগুলোকে কিছু পরীক্ষন এবং ম্যাথম্যাটিকস দ্বারা সত্যায়িত এবং প্রতিষ্ঠিত করে। এমতাবস্থায় কেউ যদি কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর রেফারেন্সে কিছু বলে বা সমর্থন করে কিছু বলে, সে বস্তুত প্রাচীন ভারতীয় কুফরি শাস্ত্রেরই সত্যায়ন করছে। আর বৈদিক টেক্সট গুলোর সিনথেসিজে আছে হার্মেটিক এবং কাব্বালিস্টিক যাদুশাস্ত্র। এই শাখাপ্রশাখাগুলোর উৎপত্তিস্থল খুজলে পাওয়া যায় প্রাচীন বাবেল শহর। যাইহোক, এই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের থেকে সাইন্টিফিক স্পিরিচুয়ালিজমের যে শাখাটি বের হয় তাকে বলা হয়ঃ কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম(Quantum mysticism)।
 https/en.m.wikipedia.org/wiki/Quantum_mysticism

বর্তমান শেষ যামানার সমস্ত শিক্ষিত-স্মার্ট যাদুকররা reality অথবা তাদের সর্সারি নিয়ে কোন ব্যাখ্যা দিতে গেলেই কোয়ান্টাম ফিজিক্সের রেফারেন্স দিয়ে বলে। কারন তাদের চিন্তা-দর্শন শতভাগ সমর্থন করে এই ফিজিক্সের এডভান্স মেকানিক্স। এটা মূলত হবারই, যেহেতু সরাসরি বৈদিক দর্শন থেকেই এর উৎপত্তি।

শয়তানের স্বপ্ন যাদুবিদ্যা এবং কুফরি ওয়ার্ল্ডভিউকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে তাওহীদের ধর্মকে ইলিমিনেট করা। এজন্য United One World Religion এর উত্থান। H.P Blavatsky এর theosophical society থেকে New Age Movement গজায়। একই সাথে ভারতেও 'আনন্দমর্গ','ব্রক্ষ্মকুমারী','ইস্কন' সহ বিভিন্ন আধ্যাত্মবাদী রিফর্মেশন সেক্ট গড়ে ওঠে।এরকমভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ইয়োগা বেজড আধ্যাত্মিকা শিক্ষার প্রতিষ্ঠান/সংগঠন গড়ে ওঠে। পাশ্চাত্যের খ্রিষ্টানগন সাদরে নতুন ধর্মটিকে গ্রহন করলেও সমস্যা হয় মুসলিমদের ভূমিতে। বাংলাদেশের মাটিতেই সমস্যা... যেহেতু বাউলবাদ এবং 'সুফিবাদ' একই আকিদা বহন করে, কিন্তু এর দ্বারা মুসলিমদের সকল স্তরে পৌছানো যায় না। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গড়ে ওঠে। তারা যে Occultism(যাদুবিদ্যা) শেখাবে,সেটা প্রকাশ্যেই জানিয়েই অগ্রযাত্রা শুরু করে। উপরে আপনারা ওদের অফিশিয়াল পেজেই দেখছেন, যাতে কিনা সরাসরি Occult শব্দ উল্লেখ করে প্রচারণা চালাচ্ছে। বাহ! আজও সাফল্যের সাথে চলছে। এদেশের মুসলিমরা এতটা নির্বোধ এবং অন্ধ হয়ে পড়েছে যে, সাইনবোর্ডে কুফরি যাদুশাস্ত্রের শিক্ষা দেওয়া হবে জেনেও কোর্স করতে যাচ্ছে। আমি জানি, অধিকাংশ লোকই এসব গভীরভাবে না জেনেই কুফরের পথে হাটছে। কিন্তু আমি এরূপ দেখেছি, অকাল্টিজমের ব্যপারে সুস্পষ্টভাবে জানানো হলেও সেদিকেই অটল থাকছে। এদেরকে যে কোন ক্যাটাগরিতে যে ফেলব...। যারা ফিরে আসছেন তারা মূলত সরাসরি শয়তানের উপাসনার একটি গ্লোবাল ধর্ম থেকেই ফিরে আসছেন আল্লাহর করুনায়,কোন সাধারণ প্রতারকদের থেকে নয়। বিভিন্ন ওয়াজে, লেকচারে আলেমগন কোয়ান্টাম ম্যাথডের বিরুদ্ধে যা বলেন সেসব যথেষ্ট নয়। তাদের উচিৎ এ ব্যপারে আলোচনাগুলো আরো এমপ্লিফাই করা, সংগঠনের পেছনে ঐতিহাসিক তথ্যাদি আনা, খুলে খুলে দেখানো যে লোকেরা যার দিকে যাচ্ছে সেটা স্বতন্ত্র দ্বীন বা ধর্ম। শুধুমাত্র বাহ্যিক আকিদাগত কনফ্লিক্ট পেয়ে বাহ্যত শারঈ দলিল দেখিয়ে এবান্ডন করা যথেষ্ট নয়। যারা সেখান থেকে ফেরত আসছে তাদের অনেককে বলতে শুনি, 'কোয়ান্টাম ম্যাথড সাইন্সের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায় করছে'। এটা একটা False allegation! কোয়ান্টাম ম্যাথড আদৌ বিজ্ঞানের নামে মিথ্যাচার করছে না বরং যা শেখাচ্ছে সেটাই মেইনষ্ট্রিম সাইন্টিজমের quintessence! এরকম অভিযোগকারীরা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ডেভেলপমেন্ট এমনকি সর্বোপরি গোটা মেইনস্ট্রিম সাইন্সের ইতিহাসভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট এর ব্যপারে একদম অজ্ঞ। যদি এরকম মোডারেট পাওয়া যায়, যিনি কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ডিফেন্ড করে কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিটিকে রিফিউট করবেন এবং ইসলামের সাথে মেইনষ্ট্রিম কোয়ান্টাম ফিজিক্স নামের অকাল্টিজমকে কম্প্যাটিবল করবেন, উনি কি নিলস বোর, ইউজিন উইগ্নার, ইরউইন শ্রোডিঞ্জার, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, ওয়ার্নার হাইজেন বার্গদের কথার বিপরীতে গিয়ে মত প্রকাশ করবার জ্ঞান রাখেন যাদের হাতে বৈদিক রহস্যবাদ ফিজিক্সে কনভার্ট হয়েছে?!
অতএব, কোনভাবেই যুক্তি খরচের রাস্তা নেই হালালাইজড করার।

অতিমাত্রায় mainstream Science এর প্রতি Devotion এর প্রভাবে তারা সাইন্সকে ডিফেন্ড করেন কিন্তু এর 'থিওলজিকাল' সারমর্মকে করেন না। নিশ্চয়ই কুফরের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন অবশ্যই ঈমানি পরিচয় নয়(কাউকে তাকফির করছি না)।
কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ডিজাইনই করা হয়েছে 'স্পিরিট সাইন্সকে'(শয়তান জ্বীনদের বিদ্যাঃ occult) মেইনস্ট্রিমে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য। যাতে মানুষ সাইন্টিফিক্যালি অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ এবং অকাল্ট প্র‍্যাক্টিসে খুব স্বাভাবিকতার সাথেই বৈধ বিদ্যা হিসেবে গ্রহন করে। আপনাকে যদি কাব্বালিস্টদের কাছে জোড় করে পাঠানো হয় এবং শেখানে কিছু শেখানো হয় আপনি কি তা মানবেন? বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবেই মানবেন না। যেহেতু সে জানে সেটা যাদুশাস্ত্র। কিন্তু একই টিচিং যখন 'সাইন্স' মোড়কে আপনার সামনে আনা হবে, তখন? যখন শয়তান হযরত সুলাইমান(আলাইহিসালাম) এর ব্যপারে সার্কুলেট করলো যে তার অতিপ্রাকৃত শক্তির উৎস সেসব কুফরি যাদুবিদ্যার কিতাব যা সিংহাসনের নিচে পুঁতে রাখা আছে, তখন মানুষ কৌতূহলবলে খুবই বৈধ মনে করে সেসব শিক্ষা শুরু করলো। এভাবেই নিষিদ্ধ বিষয় মানব শয়তান ও জ্বীন শয়তানদের দ্বারা লেজিটিমেট করা হয়। দাজ্জালকে যমীনের স্টেজে নিয়ে আসতে চূড়ান্ত কাজ চলছে। আমি একে সেটারই অংশবিশেষরূপে দেখছি।

অনেকে এটা মানতে চান না কোয়ান্টাম ম্যাথড One World Paganism এরই সক্রিয় শাখা। বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং মেইনস্ট্রিম মুসলিম কমিউনিটির গ্রহনযোগ্যতা পেতে তারা তাদের মূল প্যাগান থিওলজিকে প্রকাশ করেন না। উচ্চপর্যায়ে যারা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে আছে, তাদের নাম ইসলামিক হলেও আকিদাগত দিক দিয়ে তারা ব্যবিলনিয়ান মিস্ট্রি স্কুলের অনুসারী।। এদের আকিদার কুফরি দিক গুলো ফেরাউন নমরুদের কুফরির চেয়েও ভয়াবহ। অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ সকল ট্রেডিশনে একইরকম। হোক সেটা ফ্রিম্যাসন, হোক সেটা পিথাগোরিয়ান, হোক না তা বৈদিক অথবা রোজাক্রুশানিজম / কাব্বালিস্টিক অথবা কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম ....। সবার আকিদার মৌলিক বিষয়গুলো অভিন্ন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু তারা ঢেকে রেখেছে। কিছু কিছু প্রাক্টিস, যা আম্রিকার নিউ এজ মুভমেন্টে প্রচলিত, সেসব কোয়ান্টাম ম্যাথডেও শেখানো হয় কিন্তু ইসলামিক টার্ম ভরে। এর একটি হচ্ছে "অটোসাজেশন"। ওরা এটা বলতে শেখায় 'সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন,কর্মব্যস্ত সুখী জীবন, আলহামদুলিল্লাহ'। ওদের ট্রিক গুলো চমৎকার। মুসলিমদের স্থায়ীভাবে বোকা বানাতে এরকম অনেক ইসলামিক এবং আল্লাহর প্রশংসামূলক শব্দ ব্যবহার করে। অথচ ওদের অকাল্ট দর্শন অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা বলে আলাদা কোন স্বত্ত্বা নেই। সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা (নাউজুবিল্লাহ)। একদিন ওদের কোন এক পেজে প্রশ্ন করেছিলাম 'কখন আমি নিজের মধ্যে সৃষ্টিকর্তাকে আবিষ্কার করব/অনুভব করব আমিই ক্রিয়েটর'? ওরা উত্তর দিয়েছিল উহা জানতে আমাকে 'গড রিয়েলাইজেশন' কোর্সটি করতে হবে কোয়ান্টাম ম্যাথড থেকে, লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ! ওদের এজেন্টরা আমার প্রশ্নগুলোতে খুব বিব্রত এবং বিভ্রান্ত হয়, কারন এমন সব প্রশ্ন করি যা অন্যরা করে না, এজন্য উত্তর দিতে বিব্রতবোধ করে।

যাহোক, অটোসাজেশনের চর্চাটি পাশ্চাত্যের নিউ এজ মুভমেন্টে একই নামে প্রচলিত। দেখে নিন, গুরু ওয়েন ডায়ার অটোসাজেশনের শিক্ষা দিচ্ছেন, প্রথমে বিবলিক্যাল মাম্বোজাম্বো বিকৃত টেক্সট আনলেন হযরত আইয়ূব আলাইহিসালাম এর নামে,এজন্য যাতে খ্রিষ্টানরা এদেশের মুসলিমদের মত আকর্ষিত হয়। এরপরে ২:২৫ সেকেন্ডে অটোসাজেশনে মনকে প্রোগ্রামড করতে বলছেন- 'আই এ্যাম গড'!! এর পরে আবার সর্বেশ্বরবাদের ব্যখ্যাও দিচ্ছেন। লিংকঃ http://youtube.com/watch?v=Kvs-_22lwjA
.
স্পিরিচুয়ালিস্ট/অকাল্টিস্ট প্যাগানদের দ্বারা বানানো কিছু ভিডিওস দেখুন এবং কোয়ান্টাম ম্যাথডের প্রোপাগান্ডা ভিডিওগুলোও দেখুনঃ
Activate higher mind sub conscious program
https://m.youtube.com/watch?v=p5K0umZ5xBw
.
কোয়ান্টাম ম্যাথডের আফ্রিন ফেরদাউস অরিন নামের একজনের তৈরি ভিডিওঃ auto suggestion
https://m.youtube.com/watch?v=_uu2Z8HsiTE
https://m.youtube.com/watch?v=52H4ZZbOx1Q
.
sleep hypnosis
https://m.youtube.com/watch?v=--V2GuvBHOU
Mohammad omar channel (কোয়ান্টাম ম্যাথড) :autosuggestion
https://m.youtube.com/watch?v=R-4VZB3OCxg
.
abundance flow auto suggestion : self affirmation
(নিউ এজ/থিওসফি)
https://m.youtube.com/watch?v=fxY8b-NAm0g
.
'তুমিই সৃষ্টিকর্তা' চ্যানেলের 'অটোসাজেশন' এর প্রোপাগান্ডা ভিডিওঃ
https://m.youtube.com/watch?v=VYQ5itk_Z2c
.
একই রকমের নিউ এজ মুভমেন্ট এর চ্যানেল 'পাওয়ার উইথইন' এর প্রচারণাঃ
auto suggestion repetition
https://m.youtube.com/watch?v=GIm1SG9PHrg
.
positive affirmation power of mind
https://m.youtube.com/watch?v=OjRNQlpX5qU
.
use subconscious for anything Else
https://m.youtube.com/watch?v=9J-1KPzKMjA
.
auto suggestion : you are creators 2
https://m.youtube.com/watch?v=LeHR34JBGys
ল' অব এট্রাকশনঃ repitition
https://m.youtube.com/watch?v=jMmwqxrHEoU
.
অটোসাজেশন
http://www.mindsetsuccesscoaching.com/autosuggestion-success-from-within/
.
ল অব এট্রাকশ্যন এবং অটোসাজেশন
http://yourlawofattractioncoach.blogspot.com/2013/02/auto-suggestion.html?m=1
.
https://livesensical.com/podcast/think-grow-rich/auto-suggestion-influencing-subconscious-mind/
.
বাংলাদেশে ওয়ান ওয়ার্ল্ড প্যাগান রিলিজিয়নের শাখা কোয়ান্টাম ম্যাথডের প্রোপাগান্ডা নাটকও বেড়িয়েছিল 'অটোসাজেশন' নামেঃ http://youtube.com/watch?v=9-83jPgrHmg
.
অটোসাজেশন একধরনের সেল্ফ হিপনোটিক প্রসেস। পাশ্চাত্যের কাফেররা অনেকে এটাকে নিজের উপর ম্যাজিক, ব্রেইনকে /সাবকনসাস মনকে প্রগ্রামিং, রিপিটেশন ইত্যাদি টার্ম ব্যবহার করে প্রকাশ করে। এই প্রক্রিয়া ল' অব এট্রাকশনের সাথে যুক্ত। ল' অব এট্রাকশনের ব্যপারেঃ
https://m.facebook.com/islamic.cognition/photos/a.291781357945730.1073741828.282165055574027/343448226112376/
.
গত একটি পোস্টে ওদের মৌলিক রিচুয়াল/কাল্টঃ ধ্যানে কার অর্চনা করা হয় তা লিখেছিলামঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=438519516605246&substory_index=0&id=282165055574027
.
মেডিটেশন বা অল্টার্ড স্টেট অব কনসাসনেসে পৌছলে কি কারনে আইনস্টাইনের মত অনেক বিজ্ঞানীগন নয়া থিওরি ইক্যুয়েশন নিয়ে ফিরতেন সেটা আশা করি সুস্পষ্ট। অনেক ইনটুইশন পাওয়া যায় বটে।
.
কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম / কোয়ান্টাম ম্যাথডের অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বা কুফরি আকিদাসমূহ বিস্তারিত আছে[অনুগ্রহপূর্বক তারা সেসব কন্টেন্টে যাবেন না যাদের তাওহীদের বুনিয়াদ দুর্বলভাবে প্রোথিত]:
http://truth-bn.blogspot.com/2018/12/blog-post_18.html

এভাবেই জাতিসংঘ এবং লোকাল প্রক্সি গভার্মেন্টের ছত্রছায়ায় কাফেররা সারাবিশ্বে বিভিন্ন নামে ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে সাইন্স ও মিস্টিসিজম এর হার্মোনিতে নতুন কুফরি দ্বীনের দিকে সকলকে আহব্বান করছে। পাশ্চাত্যের এই মতাদর্শ প্রধান প্রচারকারীগন সরাসরি বলছেন যে তারা এক মহান মসীহের আগমনের অপেক্ষা করছে, যার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ইহুদী,হিন্দুরা। যার আগমনে দুনিয়ার সকল দেশ-জাত একাকার হয়ে যাবে এবং সমৃদ্ধির সাথে তিনি সারা পৃথিবী শাসন করবেন। ওই আধ্যাত্মবাদী গুরুজন সরাসরি সেই অবতার/মসীহকে 'প্রভু' বলে সম্বোধন করেন। তার আসবার সময় ঘনিয়ে আসছে....।
আমরা ওদের এদেশীয় শাখা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অফিশিয়াল ডেটায়(ওয়েবসাইট) 'অকাল্টিজম'(যাদুবিদ্যা) শেখানোর কথা দেখছি, এরপরেও স্রোতের মত সেদিকেই যাচ্ছি। মা'আযাল্লাহ!

(উপরিউক্ত কিছু ফেসবুক লিংক কাজ করবে না যেহেতু আগের পেইজটি আর নেই। দয়া করে পোস্ট গুলো ব্লগে খুজুন।)

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং 'ল অব এট্র‍্যাকশ্যনঃ

ব্যবিলন থেকে ভারতে কিছু 'বিশেষ জ্ঞান' পৌছে বিকশিত হয়ে বর্তমান সাইন্সের মোড়কে প্রকাশ্যে আনা হয় যে ন্যাচারাল ফিলসফির অংশটি সেটা কোয়ান্টাম মেকানিক্স বা কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান। কাব্বালিস্টিক এই বিশেষ তত্ত্ব থেকে উৎসারিত কোয়ান্টাম মিস্টিসিজম/স্পিরিচুয়ালিটি থেকে চলে আসে 'কোয়ান্টাম ম্যাথড'।

শুনলাম , কোয়ান্টাম মেথডের কোর্সে ভর্তির পর সর্বপ্রথম একটি প্রত্যয়ন পাঠ করা হয়, এই প্রত্যয়নই তাদের মূল চালিকা শক্তি। প্রত্যয়নটি এই, ‘অসীম শক্তির অধিকারী আমার মন, যা চাই তাই পাবো যা খুশি তাই নেব’!!

সাধারণ মুসলিম অথবা স্কলারগন এই বাক্যে বাহ্যত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিকতার প্রমান স্বরূপ দলিল সমূহ দেখিয়েই শিরক কুফর প্রমান করে এ থেকে আমজনতাকে দূরে থাকতে বলতে দেখবেন। বস্তুত, তাদের কাছে এদের ব্যপারে গভীর কোন তথ্য নেই। এ কারনে অধিকাংশ লোকই নফসের অনুগামী হয়ে কৌতূহলপ্রবন হয়ে নিষিদ্ধ বিষয়ের দিকেই পা বাড়ায়। তাছাড়া মুরজিয়া শ্রেনীর লোকেরা শারঈ বিধিনিষেধের ব্যপারে যত্নশীল নয়। তারা এ সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে অবজারভেবল ডাটা না পেলে শুধু শারঈ বিধিবিধানে সাংঘর্ষিকতা দেখে তা থেকে বিরত থাকতে আগ্রহী নন। এজন্য এদের কুফরের ব্যপারে স্পষ্টতা এবং ষড়যন্ত্রের জাল এর বিষয় সমূলে প্রকাশ করা জরুরী।

তো, কোয়ান্টাম ম্যাথডের এই প্রত্যয়নটি দ্বারা তারা তাদের কিছু মৌলিক আকিদার বিষয় প্রকাশ করেন। একটি হচ্ছে Self Divinity দিয়ে দেওয়া। আরেকটি, Law of attraction যা monistic/pantheistic বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত। ল অব এট্রাকশন নিয়ে নতুন কিছু লিখতে চাই না। এটা সুনিশ্চিতভাবে প্যাগান-পলিথেইস্ট-সর্সারারদের আকিদা।
বিস্তারিতঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html

কোয়ান্টাম ম্যাথড থেকে জ্ঞান নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এ প্যাগান ডক্ট্রিন ইসলামাইজড করে প্রচার করছে বাংলাদেশের এই পেজটিঃ https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপক প্রচারনার নমুনা দেখুন পেজটাতেঃ https://m.facebook.com/lovethelawofattraction/

কোয়ান্টাম ম্যাথড সাইন্টিফিক নোশনের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি 'সাইন্টিফিক ধর্ম'! Quantum mechanics এর Double slit experiment এবং observer effect এর পরীক্ষণ এবং ফলাফল গুলো এই নয়া ধর্মের মূল অস্ত্র। মনে রাখবেন, ওই এক্সপেরিমেন্ট থিওরি গুলোও অকাল্টিজমকে জাস্টিফাই করার জন্যই করা হয়েছে হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্টিক প্রসেসে। এর দ্বারাই ব্যবিলনিয়ান সাইন্স তার মূলধারায় ফিরে এসেছে। তাই এই সাইন্স এবং স্পিরিচুয়ালিস্টিক স্যাটানিজম একে অপরের ভাইসভার্সা।

এটা শুধু একক ধর্ম নয় বরং গ্লোবাল নিউ রিলিজিয়াস মুভমেন্ট এরই একটি শাখা। অরিজিনঃ প্রাচীন অকাল্ট মিস্ট্রি স্কুল। শুরুটা বাবেল শহরে।

বাংলাদেশে law of attraction এর প্রচারকারীরা

আপনাদেরকে অনেক আগেই Theosophical society(pagan mystery school) এর থেকে গজিয়ে ওঠা নিওপ্লেটনিক প্যাগান মুভমেন্টঃনিউএজ এর বাংলাদেশি শাখা কোয়ান্টাম ম্যাথডের[৬] ভেতরটা দেখিয়েছি। আপনাদেরকে দেখিয়েছি এই ব্যবিলনিয়ান মিস্টিসিজমের একটা কুফরি শিক্ষা তথা law of attraction[১] এর বিষয়টি। আগেই জানিয়েছি যে, Law of attraction(LoA) সম্পূর্নভাবে মেইনস্ট্রিম 'সাইন্স' উৎসারিত কন্সেপ্ট।
আধুনিক ফিজিক্সেরই গভীর শিক্ষা এটা। পিথাগোরাস থেকে শুরু করে আজকের আর.সি হেনসি পর্যন্ত সকল ফিজিসিস্ট/ন্যাচারাল ফিলসফারগন এই স্যাক্রিড সাইন্সকে প্রচার করেছেন।সামান্য কিছু রিয়েলিস্ট ফিজিসিস্টরা গর্দভের মত এর বিরোধিতা করে থাকে, এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। যাহোক, আপনাদেরকে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে সম্পর্কযুক্ত বাংলাদেশি একটা পেজের[২] সাথে পরিচয় করিয়েছিলাম যারা এই LOA এর কুফরি আকিদা প্রচার করে যাচ্ছে। পেজটি এমনকি ছোট নাটকও তৈরি করছে(ইউটিউবে), কুফরি আকিদা ইঞ্জেক্ট করার জন্য।পেজ এডমিনের নাম রেজওয়াদুদ মাহিন[৩]। আগে কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে যে সংশ্লিষ্ট ছিল সেটা গোপন করতে চায়। এদের কার্যনীতিই এরূপ। নিত্যনতুন নাম দিয়ে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আপনারা জানেন কিনা, কোয়ান্টাম ম্যাথডেরই একটি সংগঠন "প্রজ্ঞা ফাউন্ডেশন" তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যাহোক, রেজওয়াদুদ মাহিন নামের অল্প বয়স্ক ছেলেটার প্রোফাইলে গেলেই ওর সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা পাবেন। বিভিন্ন বিখ্যাত সাময়িকীতে আগে লেখালিখি করত। এরপরে ফিল্ম প্রডিউসারদের সাথে কাজ করা শুরু। এখন মাবরুর রশিদ বান্না[৪] নামের এক ফিল্ম মেকারের সাথে এসিস্টেন্ট ডিরেক্টররূপে(আন্ডারগ্রাউন্ড ক্রিয়েটিভ ফ্যাক্টরি) কাজ করেন।
.
নিউমেরলজি, এস্ট্রলজিতে সহ বিভিন্ন কুফরি আকিদা তিনি রাখেন। সাধারন মুসলিমদের সাথে মিশে তার কুফরি আকিদা ইঞ্জেক্ট করার জন্য 'সালাম','আলহামদুলিল্লাহ','সুবহানআল্লাহ' ইত্যাদি ব্যবহার করেন, যাতে নির্ভেজাল মনে করানো যায়।এতে সাধারন আলাপচারীতায় কোন সমস্যা খুজে পাওয়া যাবেনা। তার প্রিয় উক্তিঃ "Know thyself!
"Everyday in every way I'm getting better better & better"
দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন"। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথেই সংশ্লিষ্ট। তার সাথে বেশ কিছু কথাও হয় আমার। তাকে সাধারন লোকদের শিরক ও কুফরের দিকে ডাকার ব্যপারটি জিজ্ঞেসা করলে বেশ রাগান্বিত হন। যেন এটা তার অধিকার। তিনি বলেন, "apnar esob bosta pocha gyan nijer kase rakhen,..."। পরবর্তীতে আমাকে মুনাফিক বানিয়ে দেয় কারন ফেসবুকে আমার ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া নেই!!! বর্তমানে প্রীতি ফাউন্ডেশন[৫] নামে একটা সংগঠন বানিয়ে নিয়েছে।
.
এরকম আরেকটি পেজ ছিল, যাদের এডমিনদের কাউকে পাওয়া যায় নি। দেশের বাইরে হাজারো পেজ/চ্যানেল রয়েছে এ প্যাগান ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউ প্রচারের জন্য। এরাও এক গুরুর মহান অপেক্ষায়। যাকে আমরা দাজ্জাল বলে জানি।
_____________________________________
[১] https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/law-of-attraction_29.html
.
[২] https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla/
.
[৩] https://m.facebook.com/rezwadud.mahin
.
https://m.facebook.com/LawOfAttractionBangla/photos/a.1661996364032784.1073741826.1661338147431939/2018868708345546/
.
[৪] https://m.facebook.com/Bannah69
.
https://m.facebook.com/UCF-749351008528057/
.
[৫] https://m.facebook.com/PrityFoundation

Occultism(গুপ্তবাদ)

অকাল্ট শব্দের অর্থ গুপ্ত/গোপন। যাদু বিদ্যা এবং ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ডভিউকেও অকাল্টিজম বলে। প্রাচীন যুগের যাদুকর/বামপন্থীরা খ্রিষ্টান শাসকদের অত্যাচারে নিজেদেরকে এবং তাদের অপবিদ্যাগুলোকে লুকিয়ে রাখত। তখন থেকে সেসব বিদ্যাকে অকাল্ট নলেজ(গুপ্তজ্ঞান) বলে ক্যাটাগরাইজড হয়। spiritism,spiritualism(আধ্যাত্মবাদ) , mysticism(রহস্যবাদ), Mormonism(মরমিবাদ), সুফি(ইসলামে আক্রান্ত),কাব্বালাহ(ইহুদিদের),নস্টিসিজম(খ্রিষ্টানদের),ইস্টার্ন মেটাফিজিক্যাল স্পিরিচুয়ালিটি(হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন,বৈষ্ণব ইত্যাদি),হেলেনিজম,থিওসফি ইত্যাদি সবই অঞ্চলভিত্তিক যাদুবিদ্যাকেন্দ্রিক দর্শনের নাম। সবই একই গাছের বিভিন্ন শাখার মত। এদের সবাই গুপ্তজ্ঞানের দ্বারা নিজেদেরকে আলোকিত করতে চায়।আর জ্ঞান চর্চার পন্থা একই।
এসব গুপ্তজ্ঞান বলতে শয়তানের কাছে মজুদ কুফরি বিদ্যা বা যাদু বিদ্যা, নবী সুলাইমান (আ) এর সময়কার শয়তানদের জাদুবিদ্যা যা নবীর সিংহাসনের নিচে পুতে রাখা হয়েছিল এবং বাবেল শহরে হারুত মারুতের থেকে আসা নিষিদ্ধ বিদ্যা।
ইমাম রাযী(র) এর বর্নিত ৮ প্রকারের জাদুর ২য় প্রকারের শিক্ষা বা চর্চা এ গুপ্তসাধনার সবচেয়ে বেশি করা হয়। আর ইসলামে সুফিবাদ এর পীররা মারেফাত এর নামে এসব চর্চা ধারন করে আছে। ওরা একে বাতেনি ইলম বলে যা বিভিন্ন তরিক্কায় অর্জন করতে হয়।

এই পথের সকলের মৌলিক আকিদা প্রায় একই, যার কুফরির(অবাধ্যতার) মাত্রা ফেরাউন, নমরুদদেরকেও হার মানায়! প্রায় সকল প্রকার নিষিদ্ধ কাল্ট/রিচুয়াল এ পথে বৈধ। পৌত্তলিকতা, জাদুচর্চা, জ্যোতিষশাস্ত্র খুবই সাধারন পালনীয় বিষয়, এদের কিছু কিছু গ্রুপ শয়তানকে সরাসরি নাম ধরে গ্লোরিফাই করে অন্যদিকে আল্লাহকে অভিশাপ দেয় ও হেয় করে বা স্বকীয় অস্তিত্বের স্বীকৃতিই দেয় না। তাদের মধ্যে সৃষ্টি শুরুর রহস্যটা স্পষ্ট নয়, একেক জনের একেক রকমের মনগড়া বিশ্বাস। এই ফিলোসফিক্যাল অকাল্ট ট্রেডিশনগুলোর মৌলিক বিশ্বাস সকলেরই অভিন্ন। আর সেটা হচ্ছে, সর্বেশ্বরবাদ(প্যান্থেইজম/মনিজম)।

আমাদের দেশে এরূপ কুফরের পথে সবচেয়ে আগুয়ান যারা, তারা বাউল সম্প্রদায়, মারেফাত এর ফকিররা। এরা সকলেই ওয়াহদাতুল উজুদে(সর্বেশ্বরবাদ) বিশ্বাসী। এরূপ কুফরি আকিদা তাদেরকে তাকদীরের ব্যপারে বাড়াবাড়ি মাত্রায় চিন্তা করায়, ওদের মতে যেহেতু সৃষ্টি ও স্রষ্টার অস্তিত্ব একই(নন ডুয়ালিজম) সেহেতু সব কিছুই আল্লাহই করছেন। এজন্য যেকোন অপরাধ বা পাপ মানুষের দ্বারা হয় না, সেটা স্রষ্টাই প্রত্যক্ষভাবে করছেন। তারা সেজন্য কোন মাখলুখের দোষ বা শাস্তিকে স্বীকার করে না। এজন্য তাদের গানও আছে 'যেমন খুশি তেমন নাচাও পুতুলের কি দোষ' নিশ্চয়ই শুনেছেন। এজন্য তারা আল্লাহর নির্দেশ নিঃশর্তে মানতে নারাজ। আর এদের অধিকাংশই আল্লাহর অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে থাকে। এরা সরাসরি ইত্তেহাদে(সর্বেশ্বরবাদে) বিশ্বাসী। এজন্য তারা জ্বীনদের অর্চনা করে গুরু,মুর্শিদ, সাই,ফকিরের প্রভৃতি নামে। এবং তাদের(বিশ্বাস অনুযায়ী) দুনিয়াতে বিরাজমান গুরুজির আত্নাকে।
এ কুফরির ছোয়া বর্তমানে আহমদ রেজা বেলেরভির অনুসারীদের মাঝেও আছে (মাইজভাণ্ডারী, চিশতিয়া, কাদেরিয়া, নকশাবন্দী,মুজাদ্দেদিয়া....রা)। দেওবন্দের(কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক) কিছু গোমরাহ আলেমদের মধ্যে এ বিশ্বাস চাপা আছে। ওরা আবার এ বিশ্বাসগুলোকে শরী'য়াতে স্বীকৃত প্রমানের অপচেষ্টাও চালায়! আমরা এরূপ কুফরিকে সত্যায়নের চেষ্টা দেখি আহলে হক্ক মিডিয়াগুলোর মাঝে।

বর্তমান পৃথিবীতে এই প্যাগানিজমের ছড়াছড়ি। এর দিকে ধাবিতকরনের জন্য লক্ষ লক্ষ সংস্থা কাজ করছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়, রিলিজিয়াস কনফ্লিক্ট বন্ধ করতে একটা 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নের স্বপ্ন দেখে 'ইউনাইটেড ন্যাশন' বা জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে তারা পেছনে থেকে কাজ করছে।

শিক্ষিতসমাজের মুসলমানদের সুফিবাদে বা একদম নগ্ন প্যাগানিজমে ভেড়ানো কঠিন যেহেতু তাদের কাছে এ পথ 'ক্ষ্যাত' মনে হয় তাই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সাইন্স অব লিভিং,প্রজ্ঞা, রেইকি, ল অব এট্রাকশনের নামে বেশ আধুনিকতার আড়ালে এ প্যাগান কাল্টে আহব্বানের কাজ চলছে। তারা Esoteric wisdom প্রচার করছে আধুনিকতার চাকচিক্য দেখিয়ে। ওরা চাচ্ছে মানুষ এসবের চর্চার দ্বারা গদবাধা ধার্মিকতা ও ধর্মের বিশ্বাস থেকে মানুষদের দূরে নিয়ে সবাইকে একই আধ্যাত্মিকার আদর্শে দীক্ষিত করা। এই আধ্যাত্মবাদ নাস্তিকতারই রিলিজিয়াস ফ্লেভারযুক্ত ভার্সন। লক্ষ্য- একটি শক্তিশালী ধর্মহীন প্যাগান সেকুলার সমাজ গঠন যার শীর্ষে থাকবে আসন্ন আধ্যাত্মিক মহাশিক্ষক দাজ্জাল! বর্তমানের মেইনস্ট্রিম সাইন্স এসব প্যাগানিজমের সাথে ১০০% কম্প্যাটিবল, কারন এই সুডো সাইন্স এবং মিস্টিসিজমের শিকড় একই। কোয়ান্টাম ম্যাথড এসেছেই কোয়ান্টাম থিওরি(quantum mysticism) থেকে। কোয়ান্টাম ফিজিসিস্টগনও এক একজন মিস্টিক ছিলেন।

আমেরিকাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু গুরুদের প্রোমোটিং এর কারনে এখন 'নিউ এজ' নামের একটি স্পিরিচুয়ালিস্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে গেছে, সেখানে আমাদের দেশের মুসলিমরা যেভাবে কোয়ান্টাম ম্যাথডে যোগ দিচ্ছে সেভাবে খ্রিষ্টান ও সেকুলার খ্রিষ্টানরাও জয়েন করছে মহামারী আকারে। এজন্য ওদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যক ফান্ডামেন্টালিস্ট খ্রিষ্টান এর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে। ইংরেজিতে লিসেনিং স্কিল উচ্চমাত্রার না হলে দেখবেন না,মিউজিকের জন্য দুঃখিতঃ https://m.youtube.com/watch?v=NOCaYEV3jDc
.
https://m.youtube.com/watch?v=NbbBe9EKyPY
.
https://m.youtube.com/watch?v=SzzuQX3JUg8


একইভাবে আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড নামে এই অভিন্ন চক্রই সাফল্যের সাথেই মহামারী ছড়াচ্ছে, আর আক্রান্ত হচ্ছে মুসলমান নাম ধারীসেকুলার-যিন্দিক। কিছু অবশ্য জাহেল মুসলিমও সেখানে পা ফেলছে।
কোয়ান্টাম ম্যাথড সরাসরি অকাল্টিজমের প্রচার করছে বলেই যাত্রা শুরু করে(উপরের ছবিতে দেখুন), এরপরেও আমাদের দেশের মূর্খ লোকগুলো এটা দেখেও তাতে দলে দলে যোগ দেয়! আর কোয়ান্টাম ম্যাথডের জ্যোতিষী মালাউনগুলোও অনেক চালাক। এরা ওদের কুফরি দর্শনগুলো ইসলামাইজড করে আহব্বান করছে কুফরে আকবরের দিকে। ওরা ইসলামিক শব্দ ব্যবহার করে শুধুই ফাঁদ হিসেবে। আর এই ফাদে পা দিচ্ছে জ্ঞানহীন নামধারী  মুসলিমগুলো। কোয়ান্টাম ম্যাথড জানে, ফেসবুকে ওদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অনেক রকমের প্রচারণা চলে, এজন্য এখন ওদের ফলোয়ারদের ফেসবুক থেকে দূরে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়।

অকাল্টিজমের হচ্ছে কিছু নিষিদ্ধ যাদুবিদ্যা কেন্দ্রিক শয়তানী দর্শন ও অপবিদ্যার সাগর, যা অল্প কথায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। আপনি যদি নিউএজ/কোয়ান্টাম ম্যাথড/থিওসফিক্যাল সোসাইটির ব্যপারে কিছু হিস্টোরিক্যাল ডেটা পেতে চান, তবে দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=mnNs3NJv_mM
.
February 28, 2017 at 2:32 AM

বিশ্বব্যাপী অকাল্টিজমের পুন:জাগরন

Spirit science, positive energy, law of attraction ইত্যাদি নামযুক্ত বিখ্যাত পেইজ ফেসবুকে পাবেন। এরা সকলেই অভিন্ন আদর্শ প্রচার করে। (i.e:Spiritism/non dualism/monism/pantheism/esoteric initiations ইত্যাদি )।
ওদের বিশ্বাসের ভিত্তিটা সংক্ষেপে, আমি আপনিই স্রষ্টা,সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার অংশ। ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার আলাদা অস্তিত্ব নেই। তিনি সৃষ্টির মধ্যে বিলীন হয়ে আছেন। একাকার হয়ে আছেন। তার কনশাসনেস হচ্ছে আমাদের আত্না। এরূপ সব সৃষ্টির আত্মা আছে। এমনকি শূন্য বায়ুর মধ্যেও একটা এনার্জি আছে যাকে ওরা ইথার বলে দাবী করছে। এভাবে সৃষ্টিকর্তার কনসাসনেস সব কিছুকে মুড়িয়ে রেখেছে। আর আমরা মানুষরা জন্ম মৃত্যুর চক্রে(পুনঃজন্মবাদ) আটকে আছি।যেটা কর্মফলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। যতদিন না একজন ব্যক্তি সম্পূর্ন সিদ্ধ মহামানবে রূপান্তরিত হচ্ছে ততদিন এই চক্র থেকে বের হতে পারেনা।যখনই মানুষ এনলাইটেন্ড হয় তখন সে পুনঃজন্মের চক্র থেকে মুক্তি পায় আর তখন আত্না সেই ইথারিক ফিল্ড বা ইউনিভারসাল স্পিরিট এনার্জির সাথে যুক্ত হয় এবং যারা আত্মার উন্নয়নের সাধনায় লিপ্ত তাদেরকে এনলাইটেনমেন্টে সহযোগীতা করা, মেডিটেশন এ যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান ও বিচিত্র দিকনির্দেশনা দান করে। ওরা বলে, যান্ত্রিক পুঁজিবাদী ব্যস্ত জীবন ব্যবস্থা আমাদেরকে এই প্রকৃতিমাতা(!) থেকে দূরে রেখেছে, তাই নিজেকে চিনতে ও নিজের মাঝে সৃষ্টিকর্তার দেখা পেতেই সাধনা চালাতে হবে গভীর ধ্যানে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আর ওই সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে গিয়ে নিজেকে আত্মিকভাবে উন্নত করতে হবে। এতে করে রিয়েলিটিকে নিয়ন্ত্রনের সম্ভাবনাও বিজ্ঞানের বরাত দিয়ে বলে থাকে।
তাছাড়া আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্থিরতা বৃদ্ধি পায়, রাগ নিয়ন্ত্রন করা যায়। রক্তচাপ সহ যেকোন সমস্যা বা রোগ নিজেই নিজের চিকিৎসা(সাইকিক/হোলিস্টিক হিলিং), নিজের ক্ষমতার উন্নয়ন অতিপ্রাকৃতিক শক্তি অর্জন, টেলিপ্যাথিক কমিউনিকেশন, টেলিকেনেসিস,লেভিটেশন, চি, অস্বাভাবিক রতিক্ষমতা অর্জন, নিজের ইচ্ছামত যেকোন ঘটনা(চাকরি,বিয়ে ইত্যাদি) ঘটানো, ইত্যাদি উদ্দেশ্যে ও সর্বোপরি পুনঃজন্মের যাঁতাকল থেকে মুক্তির জন্য সাধনা করা হয়। আপনি তাদের সংস্থার বিজ্ঞাপনগুলোতেও এসব লেখার অংশবিশেষ পাবেন। অর্থাৎ সেল্ফ ডিপেন্ডেন্সি তৈরি(যেটা ইব্রাহীম(আঃ) অনুসারীরা আল্লাহর উপর করার কথা বলে)। এসবকে একত্রে অকাল্ট ওয়ার্ল্ডভিউ বলতে পারেন। প্রাচীন প্যাগান যাদুকরদের থেকে এর জন্ম। এসব তাদের যাদুবিদ্যারই বিশ্বাস(ম্যাজিক্যাল বিলিফ)।
রিইনকারনেশন(পুনঃজন্মবাদ) সব গুলো প্যাগান পূর্বাঞ্চলীয় ধর্মে পাবেন। বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্মকে বিশেষ করে ওরা আইডিয়াল হিসেবে গ্রহন করেছে। দক্ষিন ও উত্তর আমেরিকাতে এ বিশ্বাস এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। খ্রিষ্টধর্ম অধ্যুষিত দেশে নোসিস,নস্টিক এর ছত্রছায়ায় এরা অনেক আগে কাজ করত এখন প্রকাশ্যেই আলাদা নাম দিয়েছে 'নিউএজ'। প্রকল্পিত ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্টে 'ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন' দরকার। নতুবা বিশ্বকে এক করা সম্ভব না। এজন্য যেটাকে প্রমোট করা হচ্ছে সেটাই এই 'আধ্যাত্নবাদ'। এটা আসলে ভিন্ন নাম আর মোড়কের নিওপ্লেটনিজম। সেখান থেকেই জন্ম।
এই নিউএজ মুভমেন্ট সারা দুনিয়ার সব ধর্মগুলোকে একত্রিত করে একটা ধর্মে রূপ দিতে চাচ্ছে।এজন্য সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। টিভি বিজ্ঞাপন, নাটকেও মেডিটেসন আধুনিকতার ট্রেন্ড হিসেবে প্রোমোট করা হচ্ছে। আগেই দেখিয়েছি নিউএজকে সবচেয়ে বেশি প্রমোট করে জাতিসংঘ! জাতিসংঘের কার্যালয়ে মেডিটেশন এর রূম এর বিশাল ব্যবস্থস করা হয়েছে এবং অনেক কর্মকর্তারা এ আধ্যাত্নবাদে বিশ্বাসী(এ নিয়ে একটি বড় ডকুমেন্টারি ভিডিওর শেষ অংশে প্রমানসহ রয়েছে)। বিভিন্ন ইয়োগা,মেডিটেশন এর ইন্সটিটিউশন গুলোর আর্থিক সাহায্য জাতিসংঘ প্রদান করে!
এ অকাল্ট ফিলসফি পদার্থবিজ্ঞানকে বেশি ব্যবহার করে। আর কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট,অনেক রিয়েলিস্ট ফিজিসিস্ট-বিজ্ঞানীরা এই ধর্মের আদর্শকে লালন করে।
গ্রেগ ব্র‍্যাডেনকে দেখতে পারেন। তাছাড়া "উই আর গড" টাইটেলের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিভিন্ন বড় বড় ইউনিভার্সিটি প্রফেসরদেরকেও দেখবেন বিজ্ঞানের সাথে স্পিরিচুয়ালিজমকে কম্বাইনিং এর সেকি চেষ্টা!
আন্তর্জাতিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোও একই আদর্শ লালন করে। ম্যাডোনাকে এক টিভি ইন্টার্ভিউ তে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার ধর্ম কি তা জানতে চেয়ে, সে বলেছিল,'আমি ইহুদী নই বা অর্গানাইজড কোন রিলিজিয়ন বিলং করি না, বরং আমি প্রিডেট স্পিরিচুয়ালিজম বিশ্বাসী।কাব্বালা আমাকে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়'। সরকারের ছত্রছায়ায় কেন আমাদের দেশে বাউল ও লালনদেরকে বাঙ্গালি সাহিত্য সংগীতের ধারক বাহক হিসেবে সর্বত্র প্রমোটিং চলছে? শায়েখ আহমাদ উল্লাহ এর বাউলদের নিয়ে ৪ পর্বের আলোচনা শুনতে পারেন।ইউটিউব এ পাবেন।
.
এখন প্রশ্ন হতে পারে ওরা যেসব অতিপ্রাকৃতিক শক্তির কথা বলে তা বাস্তব কিনা!
উত্তর হচ্ছে- বাস্তবিকভাবেই সেসব ওরা করে দেখায় এবং পারে।
কিন্তু কিভাবে!!?
এর অব্যর্থ উত্তর হলো-
আমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন অদৃশ্য সহচর বা ক্বারীন জ্বিন শয়তান থাকে,যে কুমন্ত্রণা দেয় ও খারাপ কাজ করায়। এই জ্বীনগুলো ইবলিস এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। ওদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এর বিশাল নেটওয়ার্ক আছে।
.
“তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন সঙ্গী দেয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল (সঃ)? তিনি বলেনঃ এখন সে আমাকে শুধু ভাল করতে বলে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih MusliM, enlgishtrans, vol. 4 p. 1540 , no. 7134]
.
মেডিটেশন মানুষের মস্তিষ্ককে চিন্তাশূন্যতার অবস্থায় নিয়ে যায়, একদম শূন্যে নিয়ে যায়। অল্টার্ড স্টেট অব কনসাসনেস। এ অবস্থায় উভয় মাত্রার(শয়তান ও মানুষের) মাঝের দুয়ার নাজুক হয়ে পড়ে ও শয়তান বা ঐ জ্বীন ভর করে এবং অনেকরকমের আলোর খেল(মিস্টিক্যাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন/ফ্র‍্যাকটাল রিয়ালিটি) দেখায় (চোখ বন্ধ থাকতেই), অনেক রকমের জিওমেট্রিক প্যাটার্ন ইত্যাদি। তখন প্র‍্যাক্টিশনারের মন মনে করে তার আত্মোন্নয়ন ঘটছে। এ যোগাযোগ বাড়তে বাড়তে জ্বীন শরীরের উপর নিয়ন্ত্রন নেয়(কুন্ডলিনী চক্র) এবং ওদের জগতের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে, সেটাকেই নিউ এজাররা বলে স্পিরিচুয়াল কানেকশন। ওদেরকেই হায়ার বিং শব্দ দ্বারা বোঝায়।
এ সাধনা সামনে আগালে শয়তান ধ্যানরত অবস্থায় শেখায় বিভিন্ন মুভমেন্ট দিয়ে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ওই সাধনাকারী ওই শেখানো মুভমেন্ট অনুসরণ করে, তখনই শয়তান ওই ব্যাক্তির ভেতরে থেকেই অবাস্তব কার্য সাধন করে দেখায়। মানে কাজ টা ফলত করছে জ্বীন কিন্তু বাহ্যত দেখছি সে সাধনাকারী করছে। এভাবেই টেলিকেনেসিস,লেভিটেশন, টেলিপোর্টেশনের মত অদ্ভুত ঘটনা ঘটায়। বিদেশী যাদুর টিভি শো গুলোর যাদুকররা এ পদ্ধতিতেই কাজ করে। জ্বীনদের ব্যবহার করেই টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ করা দেখায়।
পুরো বিষয়টা হচ্ছে, শয়তান জ্বীনদের আনুগত্যতার জন্য বা ওদের পূজার কারনে। এদের সাহায্যেই কোন রোগের চিকিৎসা করা হয়(এ ব্যপারে দীর্ঘ আলোচনার প্র‍য়োজন),কোন দুনিয়াবি সাফল্য অর্জন হয়।যেমন মনে করুন আপনি চাকরি খুজছেন, হচ্ছে না। সাধনাকালে কল্পনা করলেন যেখানে চাকরির আবেদন করেছেন সেখানের কর্তৃপক্ষ আপনাকে সিলেক্ট করেছে(কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, এটাই শেখায়)। এ অবস্থাতে ক্বারীন জ্বীন ওই কর্তৃপক্ষের ক্বারীন জ্বীনদের নিকট খবর পৌছায় যেন ওরা তাদের অন্তরে প্ররোচনা দেয় যেন তাকে নির্বাচন করে। ফলশ্রুতিতে তাই হয়।এভাবেই quantum mysticism আপনাকে বলবে যে আপনি নিজেই নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন(বস্তুত এসব তাকদীরের অন্তর্ভুক্ত বিষয়), এবং কোয়ান্টাম ম্যাথডগুলো এভাবেই আল্লাহর উপর নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমানোর কাজ করছে।
আমেরিকায় যারা এ নিউএজ মুভমেন্ট(কোয়ান্টাম ম্যাথডের প্রধান সংগঠন বলতে পারেন) এর ফাদ থেকে নিজেদের বাচিয়েছে,তারা প্রত্যেকেই নিশ্চিত হয়েই সেখান থেকে গুটিয়েছে যে ওরা যা করে সবই Demonic entity (শয়তান জ্বীন) এর সহায়তায়ই করে। অনেকেই স্পষ্টভাবে শয়তানদেরকে দেখেছে। কেউবা আক্রমনের স্বীকার হয়ে ফিরে এসেছে।(নিউএজ এর ব্যপারে অসংখ্য ডকুমেন্টারিতে ভিক্টিমদের ফুটেজ আছে)।
বিশেষ করে থার্ড আই(শয়তান জ্বীনদের নিকট আরো অধিক পরিমানে সমার্পন) খুলবার সময়েই এরূপ বিপত্তির সম্মুখীন হয়। এদের অনেকের সাথে কথাও বলেছিলাম।এজন্য থার্ড আই খুলবার পূর্বে ইয়োগা-মেডিটেশনের গুরুরাই সাবধান এমনকি নিষেধও করে।
.
ওরা শয়তান নির্ভর এবং যাদুবিদ্যা নির্ভর অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা ও ঘটনার দলিল প্রমানকে নির্ভর করে যে ইস্টার্ন ও কাব্বালিস্টিক অকাল্ট বিলিফ(i.e: নন ডুয়ালিজম/মনিজম,পুনঃজন্মবাদ,আত্মার বিকাশ) সিস্টেমকে কন্সট্রাক্ট করে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। এগুলোর শুরু বাবেল শহর এবং প্রাচীন মিশর। সেখান থেকেই নিও পিথাগোরিয়ানিজমের উন্মেষ এবং পরে একই জিনিসের কম্পোজিশন তথা নিও-প্লেটনিজমে আরো সুসংহত হয়ে আজ পর্যন্ত এস্ট্রোফিজিক্স এবং স্পিরিচুয়াল/রিলিজিয়াস পর্যায়ে পৌছে সর্বত্র বিরাজ করছে। ওরা অপেক্ষায় আছে কবে গুরু দাজ্জাল আসবে।
_________
Feb 2017

কোয়ান্টাম ম্যাথড এবং দাজ্জালের স্বঘোষিত অনুসারীরা

কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান অপবিজ্ঞানীগন পুরোপুরিভাবেই হিন্দুবৌদ্ধ শাস্ত্র থেকে এনেছিলেন।এর মূল অরিজিন ইরাকের বাবেল শহর। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলে এটা সত্য যে ধ্যানও যাদুবিদ্যারই অংশ। HP Blavatsky,Alice bailey দের প্রচেষ্টায় প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান মনিস্টিক(সর্বেশ্বরবাদী) রহস্যবাদকে সারা বিশ্বে দাজ্জাল আগমনের প্রস্তুতি হিসেবে ছড়ানো হয়। সকল ধর্মগুলোর মৌলবাদীতা বাদ দিয়ে মানবতার ঐক্যের জন্য বাহ্যত 'শান্তিপ্রতিষ্ঠা' এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোয়াণ্টাম ফাউন্ডেশন কাজ করছে। তাদের উপরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় বড় এসোটেরিক মুভমেন্ট গুলো আছে। সেসব অধিকাংশই আমেরিকা, ইজরাইল ও ভারতকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক অনেক বড় বড় যোগসাধনার ইন্সটিটিউটগুলোকে জাতিসংঘ আর্থিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতার মূল ভূমিকাতেই আছে জাতিসংঘ। আধ্যাত্মবাদী সকল দলগুলোর আকিদা দর্শন অভিন্ন। ইবলিসের উপাসক Alister Crowley'র Thelma ধর্ম, witchcraft এর জন্য wicca ধর্মগুলোর আকিদা যা, ঠিক তা-ই কোয়ান্টাম স্পিরিচুয়ালিস্টিক যোগসাধনার দল-সংগঠন/ধর্মগুলো লালন করে থাকে। সিক্রেট সোসাইটিঃফ্রিম্যাসনের আকিদা-দর্শন যা এই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সিলভা ম্যাথড, রেইকি, ব্রাহ্মণকুমারী,আনন্দমর্গ,ইস্কন,নিউ থট,নিউএজ প্রভৃতি সংগঠন গুলোর প্রচারিত মৌলিক আকিদাও তাই। সুফিবাদের আকিদাগত মূল শিক্ষাও সেটাই। যাদুকর পিথাগোরাস এই আকিদারই প্রচার করতেন হাজার বছর আগে। এটা কাব্বালারই মূল ওয়ার্ল্ডভিউ। ওরা শেখায়,যে কেউই যেকোন ধর্মে অবস্থান করে স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক করা যায়। সৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বে পার্থক্য নেই। মানুষকে সাধনার দ্বারা এনলাইটমেন্ট(সিদ্ধি) archive করতে হবে, তাহলেই মানুষ স্রষ্টার সমমানে পৌছায়। স্রষ্টার সাথে মিশে যায়। এজন্য অনেকে 'আনাল হক্ক' শব্দদ্বয় উচ্চারণ করে।এমতাবস্থায় মানুষ সৃষ্টিস্রষ্টার একক অস্তিত্ব অনুভব করতে সমর্থ হয়। এ কারনেই বৈষ্ণব ধর্মের জয়গানকারী শ্রী চৈতন্যের ভক্ত চণ্ডিদাস বলেন,'সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই'! একজন এনলাইটেন্ড ব্যক্তি অনেক রকম অলৌকিক ক্ষমতাও লাভ করেন(বস্তুত, তা জ্বীন শয়তানও যাদুবিদ্যার সাহায্যে)।বাংলাদেশের কোয়ান্টাম ম্যাথড তো প্রকাশ্যেই যাদুশাস্ত্রের(occult) শিক্ষা দেয় জানিয়ে শুরু করে। পড়ুনঃ
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/occultism_10.html

কুফরি এই আকিদার(monism) জন্ম ব্যবিলনীয়ান এস্ট্রলজি দিয়ে। অর্থাৎ এসব ঠিক তা-ই যা সুলাইমান(আ) এর রাজত্বকালে শয়তান আবৃত্তি করত। ওরা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত।
.
যাদুকরদের মধ্যে ধ্যানকারীরা যাদুবিদ্যায় অপেক্ষাকৃত অধিক শক্তিশালী হয়ে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে মূলত চর্চাকারীরা নিজের উপর যাদু করে। এ কথা ওরা নিজেরাই স্বীকার করে। একে ওরা সেল্ফ হিপনোসিসও বলে। কোন লক্ষ্যবস্তুকে ওরা অবচেতন মনে ছাপ পড়িয়ে দিতে বার বার নিজের প্রতি সেটার তাগিদ দানের দ্বারা করে থাকে। এ প্রক্রিয়াকে ওরা মনছবি/অটোসাজেশন ইত্যাদি অনেক শব্দ দ্বারা প্রকাশ করে। অর্থাৎ নিজেকেই সম্মোহিত করে লক্ষ্যে পৌছানোর প্রক্রিয়া।
https://m.youtube.com/watch?v=R73YdBgn3Ao
https://m.youtube.com/watch?v=EEHYVDRIHTk
.
এটা আবু আব্দিল্লাহ রাযি(রঃ) এর যাদুর ৮টি শ্রেনীবিভাগের ২য় এবং ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ে। কাফেররা একে altered state of consciousness শব্দ দ্বারাও প্রকাশ করে। বার বার ধ্যানের চর্চার দ্বারা চেতনার ওই স্তরে শয়তান জ্বীনদের সাথেও সম্পর্ক তৈরি হয়, যার ফলে শয়তান জ্বীনদের সাহায্যে দূরের জিনিস দেখার ক্ষমতা (clairvoyance) এবং দূরের জিনিস শ্রবনের (clairaudience) ক্ষমতাও লাভ করে। শ্যামানিস্টরা(shaman) বিভিন্ন গাছগাছড়া দিয়ে সাইকাডেলিক ড্রাগ বানিয়ে গ্রহন করে। এ ধরনের ড্রাগ কিনতেও পাওয়া যায়, যেমনঃ LSD, DMT ইত্যাদি। এসব গ্রহনে ধ্যান না করলেও ঐ মেন্টাল স্টেটে পৌছতে পারে। অধিকাংশ কথিত বিজ্ঞানীগনই ধ্যানের দ্বারা altered state of consciousness এ পৌছতেন। এবং অনেক কুফরি থিওরি ইক্যুয়েশন লাভ করতেন।
উঁচু স্তরের ধ্যানকারীরা ধ্যানে সৃষ্টি-স্রষ্টার অস্তিত্ব একাকার(গড রিয়েলাইজেশন) হবার ব্যপারটি কল্পনা করে(নাউজুবিল্লাহ)।
.
এদেশে কর্মরত এই প্রাচীন esoteric agenda(কোয়ান্টাম ম্যাথড) খুব বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন সামাজিক ভাল কাজ করে প্রচারনা করছে। সব কথাবার্তায় পজেটিভিটি বজায় রাখে। ইসলামিক বোঝাতে সারাক্ষন ইসলামিক টার্ম ব্যবহার করতে দেখা যায়, বাহ্যিকভাবে তাওয়াক্কুল করবার মত কথাও শোনা যায়! সাধারণ সরল,স্বল্পজ্ঞানী মুসলিমদেরকে এভাবে ফাঁদে ফেলছে। ওরা যে প্যাগান থিওলজির প্রচার করছে তা সেটার উপরেই ইসলামিক মোড়ক, কিন্তু ভেতরে স্বতন্ত্র দ্বীন। এরা একত্ববাদে(তাওহীদে) বিশ্বাসী নয়,এরা পুনরুত্থানে বিশ্বাসী নয় বরং পুনঃজন্মবাদে(transmigration of soul/metempsychosis/reincarnation) বিশ্বাসী।
এ এমনই কুফরি আকিদা যা নমরুদ, ফিরআউন, হামানরাও করে নি।
.
কোয়ান্টাম ম্যাথডের 'গুরুজী'গন কেউই ইসলামিক মৌলিক আকিদা মান্যকারী মুসলিম নয়,এদের অনেকেই জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী। এই অকাল্ট ফিলোসফি প্রচারকারী সংগঠনের উদাহরণ হচ্ছেঃ কিছু ব্যক্তি বৌদ্ধধর্ম হিন্দুধর্মগুলোর শিক্ষা ও শাস্ত্রগুলোকে ইসলামিক বই নামে চালাচ্ছে। বিভিন্ন শব্দগুলোকে এমনভাবে আরবি শব্দের ছায়ায় উপস্থাপন করেছে, যেন সে কিতাব ইসলামেরই গভীর তাৎপর্যপূর্ন কিতাব। জ্ঞানহীন মানুষও গনহারে সেসব কিনছে এবং মানছে। ওই লোকেরা বই পাব্লিশের সাথে সাথে সভা সেমিনার করে একটা অলাভজনক সংগঠনও করেছে,হাজারো মানুষ জোয়ারের ন্যায় আসছে। কেউ চিন্তাও করছে না সেটা স্বতন্ত্র ধর্ম।
সুফিবাদের কুফরি আকিদাগুলোর ক্ষেত্রেও এ উদাহরণ প্রযোজ্য।
.
এ অবস্থাটাই এদেশে বর্তমানে বিরাজ করছে।এখন হাজার হাজার মানুষ একত্রে ধ্যানও করছে, আমেরিকায় রজনীশের প্রচারণা ফলাফলের ন্যায়। দেখুনঃ http://www.m.mzamin.com/article.php?mzamin=122275
.
আমেরিকায় যখন এই pantheistic astro-theological global religion এর বিস্ফোরণ ঘটে, কাফের খ্রিষ্টানদের চরম পাপাচারী একটা অংশ তাতে গনহারে যোগ দিতে থাকে,এখনো অব্যাহত আছে। এটা দেখে মৌলবাদী ক্ষমতাহীন খ্রিষ্টানদের একটা দল অনেক প্রচারণা চালানো শুরু করে। ওরা এই পিউর প্যাগানিজমের বিরুদ্ধে এমনকি হিপহপও তৈরি করে!! এরা নিজেদের শিরকি আকিদা ছাড়া, এই হিন্দুয়ানী সর্বেশ্বরবাদী ধর্মের বিরুদ্ধে যা বলে, তাতে ভুল নেই।
https://m.youtube.com/watch?v=SzzuQX3JUg8
https://m.youtube.com/watch?v=NOCaYEV3jDc
https://m.youtube.com/watch?v=NbbBe9EKyPY
.
এদের বানানো কিছু ডকুমেন্টারিতে অনেক অনেক তথ্য পাবেন। আফসোসের বিষয়, যার নিকৃষ্টতার ব্যপারটি কাফির খ্রিষ্টানরাও সচেতন, তাতেই মুসলিমরা গনহারে যোগ দিচ্ছে। কিছু ভাল আলিম এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শিরক কুফর পর্যন্ত বলেই শেষ করেন। কিন্তু তথ্যের সীমাবদ্ধতার জন্য বলেন না, এটা ছদ্মবেশী স্বতন্ত্র দ্বীন!
যারা কোয়ান্টাম ফাঊন্ডেশনে যোগ দিচ্ছে,এবং যেসব কুফরি আকিদা ধীরে ধীরে ইঞ্জেক্ট করছে তা সজ্ঞানে বিশ্বাস করছে, তারা ঈমানের চাদর ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। এখন এমন অবস্থাও দেখেছি, এই মুসলিমদের কেউ কেউ মুতাযিলা মার্কা যুক্তি
দিয়ে হালাল বানানোর চেষ্টা করছে, লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। একটা ভয়ংকর বিষয় লক্ষ্য করেছি, এই অর্গানাইজেশনে যারাই সজ্ঞানে আন্তরিক আকিদাগত স্বীকৃতি দিয়ে যুক্ত হচ্ছে তারা physiognomically evil traits বহন করে। যারা এর গুরুজী তারা তো একদমই cursed!
নিচে কিছু ডকুমেন্টারি লিংক দিলাম, যাতে কোয়ান্টাম ম্যাথড, এদের পূর্বসূরি এবং সমমনা বিদেশী অর্গানাইজেশন এবং সুবিশাল পরিকল্পনার ব্যপারে সামান্য হলেও জানতে পারবেন। খ্রিষ্টীয় শিরকি ডগমা স্কিপ করুন। এগুলো তাদের জন্য যারা অতিরিক্ত জানতে আগ্রহীঃ
https://m.youtube.com/watch?v=wjmFm8PIz8M
https://m.youtube.com/watch?v=gfRzUI8hkwo
https://m.youtube.com/watch?v=5i6PBui-bN8
https://m.youtube.com/watch?v=UjAlp1AFKv8
.
বাবেল থেকে কুফরি আকিদা বহন করে আনা পিথাগোরিয়ানদের থেকে শুরু করে যারাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই গ্লোবাল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে প্রতিষ্ঠার মিশনে গুরুজীর আসনে ছিল(i.e:Alice Bailey,Benjamin creme,Blavatsky etc) এরা সকলে আশা করত মানব জাতিকে এক ধর্মের নিচে এনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একজন মহাশাসক/গুরু/বিশ্ব-শিক্ষক/lord খুব শীঘ্রই আসছেন। বিগত দু তিনশত বছরে এই বাতেনী(esoteric) সম্প্রদায় তাকে মৈত্রেয় বুদ্ধ নামে ডাকা শুরু করে। এটা অপেক্ষমান বৌদ্ধদের অবতার।। আপনারা কি তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে কালচক্র তন্ত্রের কথা গুলো মনে করতে পারছেন? পড়ুনঃ

https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_20.html
https://aadiaat.blogspot.com/2018/12/blog-post_73.html
.
অতএব মৈত্রেয়(ইংঃমাইত্রেয়া) কে তাতে সন্দেহ নেই।। উইকিপিডিয়াতেই উল্লিখিত ছিল ওই প্যাগানদের গুরুদের কেউ কেউ ২০২৫ সালের আগে আবির্ভাবের প্রত্যাশা করেছেন। কেউ বা ২০২৫ সালের দু চার বছর সামান্য পরে। এরা দাবি করে যে, তারা টেলিপ্যাথিক (বস্তুত,শয়তান জ্বীনদের সাথে) যোগাযোগ দ্বারা এই মিসায়াহর আবির্ভাব সংক্রান্ত নানান তথ্য লাভ করত।
.
বেঞ্জামিন ক্রিম বিভিন্ন ইন্টার্ভিউ ও বক্তৃতায় বলেন,' তাকে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্ন প্রজন্ম প্রত্যাশা করেছেন, খ্রিষ্টানরা তাকে যিশুখ্রিস্ট বলে, ইহুদীরা তারই অপেক্ষায় আছে মসীহ বলে,হিন্দুরা কৃষ্ণের অপেক্ষা করছে, মুসলিমরা ইমাম মাহদী বা মসীহ; যদিও নামগুলো ভিন্ন ভিন্ন, অনেকে বিশ্বাস করে তারা সকলেই একজনকেই উদ্দেশ্য করে বলেঃ যিনি, বিশ্ব শিক্ষক(ওয়ার্ল্ড টিচার)।
তিনি যেদিন নিজেকে প্রকাশ করবেন সেটা হবে ডে অব ডেকলারেশন। সারা পৃথিবীর সমগ্র টিভি চ্যানেল গুলো এক হয়ে যাবে, সমগ্র মানব জাতি তাকে দেখবে। তিনি মুখ দিয়ে কোন কথা বলবেন না,
সারা মানবজাতি তাদের কানের ভেতর টেলিপ্যাথিক্যালি তার কথা শুনতে পাবে, তার অভিপ্রায় শুনতে পাবে। সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ রোগাক্রান্ত মানুষ সুস্থতা লাভ করবে। তিনি সবচেয়ে বেশি আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি হবেন।তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ বিবর্তিত মহা আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন প্রভু। তার আবির্ভাবকালের পূর্বে আকাশে ফুটবল মাঠের সমান কিছু স্পেস ক্রাফট ঘুরতে দেখা যাবে। আমার সাথে স্পিরিচুয়াল মাস্টারদের(শয়তান) সম্পর্ক রয়েছে তাদের দ্বারা মৈত্রেয় বুদ্ধ আমার সাথে যোগাযোগ করে। স্পিরিচুয়াল এই শিক্ষকগন দূরবর্তী পাহাড়,মরুভূমি অঞ্চলে বাস করেন, তারা অত্যন্ত উন্নত। তাদের কেউ হয়ত আমাদের(মানবজাতিকে) কে বিবর্তন এর ধারাবাহিকতায় উলঙ্গ অবস্থায় দেখে থাকবেন। প্রভু মৈত্রেয় বুদ্ধ হচ্ছেন সকল সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্ব-শিক্ষক।
মানুষ সাধারনত যিশু খ্রিষ্টকে আকাশে ঈশ্বরের কাছে আছে মনে করে, বস্তুত সেরকম মোটেই না। এ মহান স্পিরিচুয়াল হায়ার বিংদের গ্রুপ থেকেই যুগে যুগে বিভিন্ন শিক্ষকরা আসতেন; যার প্রধান এবং নেতা হচ্ছেন প্রভু মৈত্রেয়। ক্রাইস্ট কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তির নাম নয়, বরং এটা হচ্ছে সেসব মহা শিক্ষকদের যারা শক্তিশালীভাবে বিবর্তিত হয়েছেন। আমি বিবর্তনবাদ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে বিবর্তিত মাস্টারদের সাথে একবার কথা বলেছিলাম যারা হিমালয়ে ছিল, তারা কিছুদিন পরে বললো, "আমাদের মহান শিক্ষক, সকল শিক্ষকদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের তোমাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবার আছে...."!, তাকে এক সাক্ষাতকার প্রশ্ন করা হয়, মৈত্রেয় বুদ্ধ এমন কোন নাম না যাকে খ্রিষ্টানরা ক্রাইস্ট এর সাথে সংযোগ করবে। তার সাথে জিশুখ্রিস্ট এর সম্পর্ক কি? এটা শুনে ক্রিম বলেন, "মৈত্রেয় মূলত যিশুর মধ্যে দিয়ে কাজ করেছেন, ২০০০ বছর আগে তারই পূর্বাভাস ফিলিস্তিনে দিয়েছিলেন। তারই চেতনা যিশুর মধ্যে প্রবেশ করেছিল,বিভিন্ন অবতারে এভাবেই মৈত্রেয় প্রকাশ পেয়েছিল, গৌতমবুদ্ধাও তারই ম্যানিফ্যাস্টেশন। আর এই বার এই প্রভু মৈত্রেয় বুদ্ধ স্বয়ং নিজেই এই পৃথিবীতে আসছেন। যারা যার জন্য অপেক্ষা করছে তাদের কাছে সেইরূপেই আবির্ভূত হবেন। খ্রিষ্টানরা যিশুর অপেক্ষা করছে, তারা তাকে যিশু হিসেবে দেখবে। হিন্দুরা কৃষ্ণের অপেক্ষা করছে, তারা তাকে কৃষ্ণরূপে পাবে। বৌদ্ধরা তেমনি মৈত্রেয় বুদ্ধের অপেক্ষার করছে, তারা সেই রূপেই দেখবে। এটা শুনে প্রশ্ন কর্তা প্রশ্ন করে, তাহলে তিনি একজন ইউনিভারসাল টিচার, universal God? বেঞ্জামিন ক্রিম বলেন, তিনি ওয়ার্ল্ড টিচার। ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অধর্মীয় গোষ্ঠী, সকলের। এখনই আমেরিকার টেনেসির ব্যাপ্টিস্ট চার্চে দীর্ঘ অলৌকিক আলোর ক্রুশ দেখা যাচ্ছে।.......
He has been expected for generations by all of the major religions. Christians know him as the Christ, and expect his imminent return. Jews await him as the Messiah; Hindus lookfor the coming of Krishna; Buddhists expect him as Maitreya Buddha; and Muslims anticipate the Imam Mahdi or Messiah.Although the names are different, many believe that they all refer to the same individual: the World Teacher।
If people believe, rightly or wrongly, that Maitreya is the Christ, the Imam Mahdi, Maitreya Buddha, the Messiah orKalkiAvatar, and accept His advice because of that, it does not mean that they are in themselves ready to make the changes which must ensue to preserve the world and humanity with it. We have to recognize Maitreya, not because we think He is Maitreya, or the Christ or the Messiah, or whoever, but because we agree with what He is saying, that we want for the world what He says is necessary for the world: justice and sharing and freedom for all people, rather than because we think He is the World Teacher or some great spiritual being....."
.
http://www.black-banners.com/forum/viewtopic.php?t=7887
.
দেখুন ক্রিমের কিছু বক্তব্যঃ
https://m.youtube.com/watch?v=D3kB0yiX8MA
.
https://m.youtube.com/watch?v=V1WoPahfN4g
.
ক্রিম যে শয়তানের পজেশনে ছিল তাতে সন্দেহ নেই। https://m.youtube.com/watch?v=afKiAVW6mAc
তার কথাগুলো আমেরিকার টেলিভিশনেও প্রচার করা হত। বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল। জাপানে ২০০০ লোক তার ভাষন শুনতে একত্রিত হয়েছিল। হেলেনা ব্লাভাস্তস্কিরও শয়তান জ্বীনদের সাথে সম্পর্ক ছিল। এল মোরিয়া ও খুতুমি নামের দুই পাগড়িধারী শয়তান তার কাছে বিভিন্ন জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে হাজির হত।
তিনিও এসেন্ডেড মাস্টার/ওয়ার্ল্ড টিচারের কথা বলেছিলেন। এই অকাল্ট অর্গানাইজেশন গুলোর বাংলাদেশী ভার্সন হচ্ছে কোয়ান্টাম ম্যাথড। আকিদাদর্শনগত কোন পার্থক্য নেই। যারা সেখানে যাচ্ছে, সেচ্ছায় কার অনুসারী হয়ে যাচ্ছে!??
.
ভারতীয় উপমহদেশে একটা মিথ্যাচার প্রচলিত আছে যে, আল্লাহর রাসূল(সা) নাকি হেরা গুহায় ধ্যান করতেন।এটা উপমহাদেশীয় সুফিদের ছড়ানো মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। সত্য হচ্ছে আল্লাহর রাসূল(স) ইবাদত করতেন। তবে তা কিরূপ সেটা স্পষ্ট নয়।
.
Ibn Hajar
বলেনঃ “There was nothing explicitly reported about the nature of his worship but ‘Ubayd ibn ‘Umayr narrated from Ibn Is-haaq that he would feed the poor that came to him, and some scholars reported that he would worship by engaging in thought, and it is probable that ‘Aa’ishah mentioned seclusion by itself being a form of worship because seclusion from people, especially from those following falsehood, is considered worship. ”
.
Ibn Taymiyyah কেও একই রকম প্রশ্ন করা হয়, যে তিনি (সাঃ) কিরূপ ইবাদত করতেন হেরা গুহায়। He was asked: What is the statement of Imaams of Islam about the worship of the Prophet (in Hiraa')? What did it consist of, and how was it before he was sent as a Prophet? He answered: “This issue is something that is not needed in our religion. We have to obey the Prophet in what he commanded us to do and emulate him after he was sent to us as a Prophet. As regards what was before that, such as his seclusion in the Cave of Hiraa' and the like, this is not a Sunnah of the Ummah; it is for this reason that no Companion after Islam went to the Cave of Hiraa' and they did not seek to do so, because after Islam was revealed, it is not prescribed for us to purposefully go to the caves of mountains or to seclude ourselves in them; rather, it is a Sunnah for us to stay in mosques (for I‘tikaaf) as a confirmed Sunnah for us. ” [End of quote]
.
http://www.islamweb.net/emainpage/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=281164
.
islamweb দলিলই দিয়েছে যে রাসূল(স) এর ইবাদতের ধরন পাওয়া যায় না। অথচ পরক্ষনে ধ্যানকে পজেটিভলি প্রকাশ করছে!!
.
ধ্যান করা বৈধ কিনা জানুন, শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফিঃ) এর ওয়েবে। পড়ুনঃ
https://islamqa.info/en/101591
.
অথচ কথিত হানাফিদের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখুন,কি অবস্থা!! http://islamqa.org/hanafi/askimam/80399
মেডিটেশন হচ্ছে তাদের হালালায়িত মোরাকাবা!! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ওয়াহদাতুল উজুদি,হুলুল ইত্তেহাদীদের কাছে থেকে এর চেয়ে উত্তম আর কি বা আশা করা যায়!??জেনে রাখুন, ইবনে আরাবি যা বলত, তা গ্রীক দার্শনিক যাদুকরগন বাবেল শহর ঘুরে নিয়ে আসতেন হাজার বছর আগে। তারা ওই শাস্ত্রকে মহাজ্ঞানের শাস্ত্র হিসেবে নিত যা শয়তানরা আবৃত্তি করত সুলাইমান(আ) এর রাজত্বকালে। আজ এসব সাইন্স নামেও প্রতিষ্ঠিত।
.
ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার তৈরির ডান হাত ইউনাইটেড ন্যাশন অনেক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যাকআপ দিচ্ছে এই প্রাচীন প্যাগান সর্বেশ্বরবাদী প্রকৃতি পূজারী ধর্মটিকে আবারো সর্বত্র প্রমোশনের জন্য। তারা ব্রহ্মকুমারীদের সাথে অনেক আগেই কাজ করত। দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=thnl5pOxa2A
আপনার কি মনে হয়, এডলফ হিটলার কেন নিজেদেরকে সুপেরিয়র রেস দাবি করেছিল? তিনি তো হেলেনার থিওসফি দ্বারা দারুন প্রভাবিত ছিলেন। সেখান থেকেই নিজেদের আর্য মাস্টার রেস ভাবনা শুরু। হিটলার নিজেই আলাদা ধর্মের ন্যায় একটা মতবাদ চালু করেছিল।
.
কাব্বালিস্টরাও মোরাকাবা বা ধ্যান করত। এখন ইয়োগাও করতে দেখা যায়ঃ
https://m.youtube.com/watch?v=O_2fC0a2OkI
.
পৃথিবীর সকল দেশ আজ প্রকৃতিপূজা/দেহপূজা/পৃথিবী পূজার/সর্বেশ্বরবাদী ইউনিভারসাল ধর্ম প্রচার প্রসারের পেছনে কাজ করছে। এটা নাস্তিক্যবাদ ও বস্তুবাদী মুদ্রার অপর পিঠ। আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। এদেশে সুফি মারেফতি পীর ফকিরদেরকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আর বাউলদের??? এদের প্রোমোটিং এর পেছনে আছে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক, হিন্দুয়ানি/ সেকুলার সাংস্কৃতিক ও মিডিয়ার শক্তি। কখনো মনের মানুষ, কখনো কস্মিক/ডিভাইন সেক্স(চলচ্চিত্র)। এদের সকলের ঘুরে ফিরে একই স্লোগান
'সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই'। শায়খ আহমদ উল্লাহর মুখেই শুনুন বাউলদের প্রভাবের কথা। এ বিষয়ে তার আরো কিছু লেকচার আছে। সেগুলোও শুনবেন।
https://m.youtube.com/watch?v=zw5or5y4kUE
.
আজকে তাওহীদের কথকরা জঙ্গী। আর সারাবিশ্বে মুসলিমদের অবস্থা ভাল করেই জানেন। তাদেরকে একে উৎখাত করতেই হবে। কারন 'অধিকাংশ কাফেরদের মাঝে' কমন একটি মতবাদ বা দর্শনকে ইউনিভারসাল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়নে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে সবাই কাজ করছে। সকলেই অলৌকিক মহাক্ষমতাসম্পন্ন মহান ব্যক্তির অপেক্ষায়। কেউ বলে কল্কি,কেউ বলে বুদ্ধা,কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে দাজ্জাল, কেউ বলে মিথ্যা মসীহ।
.
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

পদার্থবিজ্ঞানীগন আজ এক প্রাচীন ধর্মের দিকে আহব্বান করছেন

পদার্থবিজ্ঞানীগন আজ প্রাচীন এক ধর্মের দিকে স্পষ্টভাবে ডাকছেন। সারাজীবন যাদুশাস্ত্র নিয়ে পড়ে থেকেও নিউটন,কেপলারদের আহব্বানে অস্পষ্টতা ছিল, স্পষ্টতা থাকলেও সে নথি লুকিয়ে ফেলা হয়েছে সবাইকে তাতে প্রবেশ করানোর জন্য। পরবর্তীতে আইনস্টাইন, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, স্ন্রোডিঞ্জারগন অনেক স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেন।

আর আজকে এরই ধারাবাহিকতায় তাদের উত্তরসূরিদের সবাই গৌতমবুদ্ধের মত বলছে Reality is illusion! Everything is the different emanation of singular consciousness! Oneness is fundamental! Everything you believed as real is not real! You are living in a simulation. We are just a cluster of tetrahedron! Everything is number and geometry! Everything is nonlocal, everything is connected with everything!

এই ধর্মের শুরু হয় ব্যবিলনের শয়তান জ্বীনদের হাতে। ওরাই প্রচার করে বাদশাহ সুলাইমান আলাইহিসালাম নাকি যাদুকর ছিলেন। এরপরে বাবেল শহরের ইহুদীদের থেকে মিশর,গ্রীস ও ভারতে পৌছায়। সাইন্স ও ফিলোসোফিয়ার ফাউন্ডিং ফাদার এবং সেই ধর্মের অনুসারী ও প্রচারক 'পিথাগোরাস' বলতেন, সবকিছুই নাম্বার। ফ্রিম্যাসনদের মহাগুরু এলবার্ট পাঈক তো পিথাগোরিয়ান এস্ট্রোনমিকে সরাসরি এস্ট্রলজি বলেছেন, এভরিথিং ইজ ভেইল্ড ইন নাম্বার। আজকে এই বিশেষ ধর্মটি এমন মহাশক্তিশালী অবস্থানে পৌছে গেছে,যে অধিকাংশই অস্বীকার করলেও তার কিছু না কিছুতে বিশ্বাস ও আস্থা রাখছে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে এইসকল পদার্থবিজ্ঞানী তথা ন্যাচারাল ফিলসফারগন ম্যাথম্যাটিকস এবং ইক্যুয়েশন দিয়ে অখণ্ডনীয়, অভ্রান্ত জ্ঞানের আসনে নিয়ে এসেছে। মিচিও কাকু বলেন, 'যা আমাদের ব্ল্যাকবোর্ড(ম্যাথম্যাটিক্যাল লজিক/ইক্যুয়েশন) থেকে আসে তা যেন জোহার(কাব্বালার কিতাব) এবং কাব্বালিস্টিক প্রাচীন শাস্ত্রগুলোরই প্রতিফল।' লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!

পলিটিকাল শক্তিগুলো সেগুলোকে সাধারন মানুষকে গ্রহনের জন্য বাধ্য করছে। বস্তুত,অধিকাংশ মানুষ সেসব ইচ্ছে করেই গ্রহন করে। ওরা সেসব শিক্ষা করে বিশেষ জ্ঞানের দম্ভ প্রদর্শন করে।

বিজ্ঞানীরা আজ ইন্দ্রজালের(net of indra) শিক্ষা দিচ্ছে। ওদের গবেষনাগারের সামনে রয়েছে নটরাজ শিবের মূর্তি। হকিং থিওরি অব এভ্রিথিংয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন। ওরা বলছে যখন মানবজাতি এই ফাইনাল থিওরির দেখা পাবে, সেটা তাদেরকে এক স্বপ্নরাজ্যের চাবি হাতে দেবে। মানবজাতি অফুরন্ত এনার্জির(নিউট্রিনো/ভ্রিল/এথেরিক/বা এরকম কিছু) দেখা পাবে যা এমনকি দারিদ্র‍্য থেকেও বের করে আনবে। এটা মহাসমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে Magic/mystery theory(এম থিওরি) চলে এসেছে।ওদের প্রচারকারীরা বলছে, একজন লর্ড হয়ত এই সিমুলেটেড রিয়ালিটি নির্মান করে পর্দার আড়ালে আছেন।কেন তিনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন! কেন তিনি নিজেকে reveal করছেন না!

ব্যবিলনের বাশিওয়ালাদের সুরে মাতাল 'আপনি' হয়ত এ লেখাটির কিছুই বুঝতে পারছেন না, অথচ আইরনি দেখুন, এই মস্তিষ্ক নিয়ে আপনি এস্ট্রথিওলজিতে বিশ্বাস করেন, হয়ত তা আংশিকভাবে। আপনি Cosmic Evolution এ বিশ্বাসী কিন্তু আবার Biological Evolution এ অবিশ্বাসী! How stupid! এই জ্ঞান নিয়েই কিন্তু আপনি বিদ্রুপ করেন যখন আমরা বলি ছয় দিনে সৃষ্ট এই আসমান জমিনের, জমিন শয্যাক্ষেত্রস্বরূপ সমতল এবং আসমান গম্বুজাকৃতি। আমরা যখন সাহাবাদের(রা) রেফারেন্স দেই তখন আপনি অস্বীকার করবার নানা রাস্তা খোজেন। অথচ বাবেলের শয়তানের কথন গুলো আপনার কাছে সত্য এবং পছন্দনীয় ! সেগুলোকে সত্যায়িত করতে কুরআনকেও ব্যবহার করতে ছাড়েন না! লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!
আমরা যেমনি গণতান্ত্রিক ইসলামকে বৈধতা দিতে পারি না, তেমনি এই প্রাচীন ধর্মকে ইসলামের সাথে মেশানো সহ্য কর‍তে পারি না।

ইন্দ্রজালের দিকে প্রত্যাবর্তন

খুব বেশিদিন হয়নি 'বিদ্যুৎ'কে মেইনস্ট্রিমে এনার্জির ভাইটাল ফিল্ড হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এখন একে ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সমস্যা হচ্ছে এটা অফুরন্ত নয়, সেই সাথে ব্যয়বহুলও বটে। সামনে কি আসছে তবে?
∞ ইনফিনিট এনার্জির প্রতিশ্রুতি? ∞
জিরো পয়েন্ট এনার্জি?? ফিজিসিস্টগন এখন সেই 'ইন্দ্রজালের' দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি কি জানেন Net of indra কি?
.
আজ ওরা বলছে যখন ব্যবিলনের জ্ঞান শাস্ত্র কাব্বালার প্রতিফলন থিওরি অব এভ্রিথিং জনসম্মুখে আসবে, সেটা সারা পৃথিবীকে ∞ অফুরন্ত এনার্জির স্বপ্ন দেখাবে বিশ্ববাসীকে। এক মহা অবতারের ছত্রছায়ায়,তিনিই শেষ অবতার....।
কেউ বলে কল্কি,কেউ বলে মৈত্রেয় বুদ্ধ,কারো কাছে মসীহ , কারো কাছে দাজ্জাল...!

আজকের বিজ্ঞান হচ্ছে রিপ্যাকেজড ব্যবিলনিয়ান অকাল্ট

"We need a thery of everything, which still beyond our grasp. Perhaps the ultimate triumph of science "
______স্টিফেন হকিং
.
"Many basic mystery that we find in string theory or theory of everything seem mirror in the zohar and kabbalah."
________মিচিও কাকু
.
"Kabbalah is science.I don't care what you are, are you a Muslim, Gentile,Jew(?).
Kabbalah will liberate you from any shackle"
___________ফ্রেড এ্যালান ওল্ফ
.
"As a scholar, the most amazing thing of all is the degree of which modern astro-physics sound like a kabbalistic text. "
____________Anonymous Scholar
.
কেমন লাগলো?
ওরা হেগেলিয়ান ডিয়ালেক্ট ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রসেস মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞানের শুরুথেকেই শুরু হয়। ছিলই তো ন্যাচারাল ফিলসফি। 'বিজ্ঞান' প্যাকেটে ভরা হয়েছে কয়দিন হয়েছে? হকিং সাহেব যে বললেন, এটা হয়ত বিজ্ঞানের আল্টিমেট ট্রিয়াম্প। বস্তুত তাই। ব্যবিলনিয়ান কাব্বালিস্টিক যাদুবিদ্যাকে পুনরায় সত্যায়িত করে নিয়ে আসা এবং ব্যাপকহারে চর্চার ব্যবস্থা। অবশেষে দাজ্জালের সাথে মার্জিং। আমরা কতটা জাহেল! নির্বোধ! যে ওদের কুফরিকে কুরআন-হাদিস দ্বারা কম্প্যাটিবল করি। বলি- হ্যা বিজ্ঞানী সাহেব যেটা বলেছেন উহা কুরআনের অমুক আয়াতেও আছে। অমুক দাঈও কাফেরদেরকে দাওয়াত দিতে এটাই বলেছেন। তোমরা কাফেররা যা আজ আবিষ্কার করছো সবই ১৪০০ বছর আগে কুরআনে উল্লেখ হয়ে গেছে। এমনই আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত কুরআন।দেখুন- অমুক আয়াতের অমুক শব্দটি অমুক শব্দের কাছাকাছি অর্থ অতএব... "সাইন্স উইথআউট রিলিজিয়ন ইজ..... "(আইনস্টাইন এর উক্তি)
.
আইনস্টাইন সাহেব এখানে কোন রিলিজিয়নের কথা বলে গেছেন? মনোথেইস্টিক?
ওনার কস্মিক রিলিজিয়নটা কি ছিল, যা কি না ন্যাচার আর স্পিরিচুয়ালিটিকে ইউনিফাই করবে?
ওটা কি ওয়ানওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন নয়? ওটা কি ব্যবিলনিয়ান মনিস্টিক মিস্টিসিজম নয়?
.
এসব বিষয়ে কিছুই গভীরভাবে না জেনে কুফফারদের কুফরি প্রমোট করছেন কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্স দিয়েই!! যখন এই যুগে বলতে যাচ্ছি, ওরা কস্মোলজি এবং কস্মোজনী নিয়ে যা শেখায় তা ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রোলজি। এ কথা ওদের দলের স্যাটানিস্টরাও আনএপোলোজেটিক্যালি বলে। সেসব তো এস্ট্রোথিওলজিরই কুইন্টেসেন্স। যখন ওদের বিপরীতে সত্যিকারের কস্মোলজি/কস্মোজনীর কথা আনছি, বলছি দুনিয়াটা সমতলে বিছানো এবং আসমান গম্বুজাকৃতির জমাট ছাদ, তখন ক্যাথলিকদের সাথে গলা মিলিয়ে স্যাটায়ার এবং বিদ্রুপ শুরু। কগনিটিভ ডিজোনেন্স। গুরাবা দাবিদার ভাই ব্রাদাররাও এই মর্ডান ফিতনা থেকে মুক্ত নন।
.
লেখা পড়ে যারা জ্বলছেন, তারা সামনে আরো জ্বলবেন। কিছু বুঝতেও পারছেন না, কিছু বলতেও পারছেন না, সব মাথার উপ্রে দিয়া যাচ্ছে, সহ্যও করা যাচ্ছে না। তাই না? বাতিলকে সত্যের সাথে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে এবং হচ্ছিল। সেটাকে আলাদা করতেই হবে। বিইযনিল্লাহ।

Physics of Babylon

হাউ ম্যাটার বিহেইভ ইজ ডিটারমিন্ড বাই দ্য অব্জারভার। এন্ড দ্যট রিকোয়্যার কনসাস্নেস। অবশ্য বৈদিক প্যারালাল ইউনিভার্স হলেও ছলে। না দুদ, আমি মর্গান ফ্রিম্যানের দিকে যাচ্ছি না।
ছবিটা দেখে কি মনে হয়,প্যাগান মিস্টিক যাদুকররা কি তবে ফিজিসিস্টদের থেকেও একধাপ এগিয়ে নাকি!?
.
দীর্ঘদিন ধরে অব্জার্ভ করলে দেখবেন যে, ওরাও একধরনের ফিজিসিস্ট(!), বরং আরো এডভান্স স্তরের। পার্থক্য হলো আমভাবে ওদের কাছে এত ম্যাথ/ইক্যুয়েশন/ফর্মুলা নেই। কিন্তু নাসিম হারামাইনদের কাছে গেলে সেটাও শিখিয়ে দেবে।
.
একজন পদার্থবিদের সাথে একজন অকাল্টিস্টের পার্থক্য এখানেই, একজন ফিজিসিস্ট যেই স্ট্রিমে দাঁড়িয়ে রিয়ালিটিকে বিশ্লেষণ করে, তেমনি যাদুকরও। ডক্টর পিলাইয়ের কথাটি মনে পড়ে যায়, " পদার্থবিদরা আজ ওই কনক্লুশনে চলে আসছেন, যেটা মিস্টিকদের কাছে ছিল, যে- এটা শুধুই ভাইব্রেশন যা থেকে সবকিছু অস্তিত্বে এসেছে। "
.
আসলে হেগেলিয়ান আর্কিটেক্ট অনুযায়ী ওরা সবকিছু চালাচ্ছে। এমারেল্ড ট্যাবলেট খেয়ে নিউটন, কেপলাররা থিওরি ইক্যুয়েশন প্রসব করত। তেমনি আইনস্টাইন,বোর,হাইজেনবার্গরা বৈদিক স্যাটানিক স্ক্রিপচার গিলে থিওরি বানাতো।।এজন্য এক জার্মান ফিজিসিস্ট বলেন, "যখন আমি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপর একটা লেকচার ছাড়ি, আমার তখন অনুভব হয় আমি যেন বেদান্ত শাস্ত্র নিয়ে বলছি।"
.
ইন্না লিল্লাহ! আর কি বলব!
আজকের মোজলেমদের কাছে উহাই স্যাক্রিড সায়েন্স। আপনি আমার এই বাক্যদ্বয়ের নিচের মন্তব্যেও দু একজন দাজ্জালাইত সাইন্স ডিফেন্ডার পেয়ে যাবেন। এরা টেরও পাচ্ছে না যে এরা একেকটা ইবনে সিনা, ফারাবিতে রুপান্তর হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। এরা যখন সেসব সর্সারি ডিরাইভড জ্ঞানের সাপোর্টে কথা বলছে, তখন এরা সেসব শাস্ত্রকেই সত্যায়ন করছে, কুফরি ওয়ার্ল্ডভিউ/মেটাফিজিক্সের সত্যায়ন করছে। এদের পিছনে ইল্মের সনদযুক্ত আলিমদেরকেও খুজে পাবেন। আল্লাহর কাছে ব্যধিগ্রস্ত দুরাত্মা হতে পানাহ চাই।
.
[ অত্র ছবির টেক্সটের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছি না। এ সকল বিষয়ে অকাল্ট ও সায়েন্স কমিউনিটির স্ট্রং সাপোর্ট রয়েছে, আমি সুবিন্যস্ত দলিল ছাড়া কিছুই লিখি না। তর্ক বিতর্ক খুব অপছন্দ করি। প্যারাডক্সিক্যাল আজাদিরা দূরে থাকুন। উদ্ধৃত প্রতিটি বাক্যই বিপুল পরিমান দাললিক তথ্য বহন করে। এমনিতেই আমার সব সেন্টেন্স একাধিক অর্থ বহন করে। এমন কিছু লিখবেন না, যা আপনি জানেন না,এবং উহা আপনাকে লাঞ্ছিত করে। ]
Al Imran

প্রাচীন জিওস্টেশনারী এনক্লোজড কস্মোলজির বিপ্লব কি সাম্প্রদায়িকতা?

বিষয়টা ছোটখাটো ফিতনায় রূপ নিতে চলেছে। বিতর্ক থেকে ঝগড়ার দিকে যাচ্ছে। এরূপ প্রত্যাশিত ছিল না, এজন্য গ্রুপটাকে ক্লোজ করে রাখা। আমরা কারও উপরে কোন বিষয়কে চাপিয়ে দিতে চাই না। আর অত্র গ্রুপে আলোচিত কোন বিষয় একদম দলিলবিহীন ট্রোল এর অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং কিছু ভাইদেরকে দেখা যাচ্ছে অহেতুক গায়ে পড়ে কটুক্তির সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। অতঃপর তাদেরকে সমুচিত জবাব দিতে দীর্ঘ তর্কবিতর্ক এর সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা এজন্যই উত্তম জবাব দিতে চাইব- কেননা আমরা মিথ্যাকে সত্যের উপর জয়যুক্ত হতে দিতে পারি না।
.
আমরা এ সম্পর্কে সচেতন যে, বাংলাদেশের বড়বড় নাস্তিক-আস্তিক বিতর্ক গ্রুপ গুলোর এডমিনপ্যানেলের মেম্বারগন এখানে উপস্থিত আছেন। ইহা অনুধাবনীয় যে, তারা আমাদের প্রতি বিব্রত। কারন তারা যে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার জন্য কুফফারদের সামনে এপোলোজেটিক দুর্বল মু'মিনদের ন্যায় আমতাআমতা করে থাকেন, আমরা সে বিষয়টিকেই দলিলভিত্তিক স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। এতে করে তারা ধীরেধীরে একপেশে হয়ে যাচ্ছেন। আর নাস্তিক-মুরতাদদের সামনে আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের দ্বারা প্রকাশিত বিগত যুগ যুগান্তরে লুক্কায়িত দলিলভিত্তিক ইসলামী তথ্য প্রমানগুলো সত্যমিথ্যাকে স্পষ্ট করতঃ নাস্তিকদের কুফর বা অস্বীকৃতি বৃদ্ধিপূর্বক এপোলোজেটিক মডারেট ইসলামিস্টদের উপরে চড়াও হবার মাত্রা বাড়াচ্ছে । এটা তাদের যুক্তিবাদীতার অসারতাকেও তুলে ধরছে। বস্তুত, একটা পর্যায়ে তারা একটা বিব্রতকর পর্যায়ে চলে যাবেন। অতঃপর দুই নৌকার মাঝে পড়বে। Allegorical এই নৌকার একটি ঈমানের, অপরটি কুফরের(Occult magical scientism)। হৃদয়ে বক্রতাহীন মুসলিমরা সত্যের দিকে সহজেই গ্র‍্যাভিটেট হয়। এজন্য মোডারেট ভাইরা একরকমের আইসোলেশনের ভয় করেন। এজন্য একভাইকে ইতোমধ্যে নসীহত করতে দেখেছি যেন আমরা শুধুমাত্র ইভ্যলুশ্যনিজম নিয়ে (মিথ্যাপ্রমানে)মাথা ঘামাই, সাইন্টিজমের অন্যান্য বিষয়ের গ্রহনযোগ্যতায় প্রশ্ন না তুলি।
.
সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসী মুসলিমরা উম্মাহর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি বা বিভেদ সৃষ্টি করার ধারনাটি ভুল। কস্মোলজির মডেল গুলোর যেকোনটিতে না জেনে বুঝে বিশ্বাস (মাত্রা অনুযায়ী) আপনাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। তবে কুফফারদের সাংঘর্ষিক তথ্যকে দ্বীনের চেয়ে অগ্রাধিকার অন্তর্স্থিত নিফাক অথবা রিদ্দাকে স্পষ্ট করবে। এজন্য এরূপ একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে বিন বাজ(রঃ) তাকফির করেছেন।। এজন্য সতর্কতা আবশ্যক।
.
অপোজিট কস্মোলজিক্যাল বিলিফের কোন ভাইকে তার এরূপ বিশ্বাসের জন্য ঘৃনা বা বিভক্তির কথা আমরা চিন্তা করি না। আমি আমার বাস্তব জীবনেও বহু দ্বীনদার ভাইদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনায় বসি, যারা প্রচলিত এস্ট্রোনোমিকাল অর্ডারকে সমর্থন করেন। তাদের সাথে চা পানকালে তুমুল বিতর্কেও লিপ্ত হই, পরক্ষনে এসব নিয়ে আলোচনা শেষে বোঝারই উপায় থাকে না, যে আমাদের মধ্যে চিন্তাগত মতপার্থক্য রয়েছে। কাফেররা চায় আমরা যেন বিষয় নিয়ে আরো বিভক্ত হই, তাই এরূপ ট্রিফ্লিং সাব্জেক্ট নিয়ে উম্মাহর মধ্যে কোনরূপ বিভক্তি ওদের জন্য আনন্দের, যা আদৌ কাম্য নয়। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন। তবে আমরা সত্যকে প্রচার করেই যাব, যার কুরআন সুন্নাহভিত্তিক দলিল আমাদেরকে শক্তি দেয়।
.
আমরা কোন নাস্তিকদের উপরেও এরূপ বিষয় চাপিয়ে দিতে চাই না অথবা নাস্তিকদেরকে এসব তথ্য বিবেচনা পূর্বক ইসলামে পুনঃপ্রবেশের জন্যই হাতজোর করে অনুনয় বিনয় করি না। বস্তুত, অন্তরে আলোদানকারী আল্লাহ, তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, কে তাকে পথ দেখাবে! হয়ত পাঠক মনে এরকমই আয়াত মনে পড়ে যাচ্ছে। আল্লাহ বলেনঃ
.
"আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ(নামাল-৮১)
.
"আপনি অন্ধদেরও তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে পথ দেখাতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরই শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। কারন তারা মুসলমান(আর রুমঃ৫৩)
.
"কাফেররা বলেঃ তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হলো না? বলে দিন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যে, মনোনিবেশ করে, তাকে নিজের দিকে পথপ্রদর্শন করেন"(রাদ-২৭)
.
"তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না"(কাহাফ-১৭)
.
আর নিশ্চয়ই 'ইসলাম' কোন সস্তা দ্বীন নয় যা আপনি যাকে তাকে গ্রহন করতে কাকুতিমিনতি করবেন,যেমনটা মোডারেট ইসলামিস্টরা করে। আমাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রেও ভ্রান্তি রয়েছে। ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী(রহঃ) এর চমৎকার একটি বক্তব্য রয়েছে দাওয়াতের ব্যপারে।
.
আপনি নাস্তিক মুর্তাদদেরকে আমাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হতে দেখবেন না। কারন ওরা যার কুফর করে আমরা সেটাকেই কঠোর বিশ্বাস করি। আর এটা স্রেফ অন্ধ বিশ্বাসও নয়, বরং পর্যবেক্ষণযোগ্য দলিল প্রমানও রয়েছে , এজন্য নাজেহাল হবার ভয়ে সচরাচর আমাদের কাছে ওরা আসে না।
.
কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক প্রিকোপার্নিকান জিওস্টেশনারী প্রাচীন কস্মোলজি আমাদের বলে আল্লাহর নিপুণ অনুপম সৃষ্টির কথা। আমাদেরকে শিক্ষা দেয় তার সৃষ্ট জগতে তার প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনের কথা। অথচ বিজ্ঞান আমাদের সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রন থেকে স্বাধীনতা বা নির্ভরহীনতাকে শেখাতো, যেমনটি স্টিফেন হকিংএর কথায় পাওয়া যায়ঃ "What I have done is to show that it is possible for the way the universe began to be determined by the laws of science. In that case, it would not be necessary to appeal to God to decide how the universe began. This doesn't prove that there is no God, only that God is not necessary."
Der Spiegel (17 October 1988)
.
অথচ সত্য হচ্ছে বৃষ্টিসহ যাবতীয় প্রাকৃতিক ঘটনা এবং সবকিছুই আল্লাহরই Direct intervention এ হয়ে থাকে। কেউই আল্লাহর নিয়ন্ত্রন এবং নির্ভরতা থেকে স্বাধীন নয়।Geostationary Geocentric astronomical order আমাদেরকে এটাই স্বতঃস্বিদ্ধ সত্য ও পর্যবেক্ষণযোগ্য ফেনোমেনা হিসেবে তুলে ধরে। এটা আমাদেরকে বলে প্রতিটি সৃষ্টির তাৎপর্য সম্পর্কে। বস্তুত আল্লাহ কোন কিছুকেই অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
.
এক ভাইকে দেখছি, বিভিন্ন স্থানে মন্তব্য করছেন, প্রশ্ন তুলছেন, কোথাও কি আল্লাহ এসব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছেন! তার কাছে মনে হয় এসব নিয়া ভাবনা চিন্তা করাটা নিছক সময় নষ্ট। অথচ আল্লাহ বলেনঃ
.
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
"নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে।যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।" (আল ইমরানঃ১৯০-১৯১)
.
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
إِنَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِّلْمُؤْمِنِينَ
নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে (45:3)
.
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
تَبْصِرَةً وَذِكْرَى لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيبٍ
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি। এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে" (50:7-8)
.
وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে(13:3)
.
يُنبِتُ لَكُم بِهِ الزَّرْعَ وَالزَّيْتُونَ وَالنَّخِيلَ وَالأَعْنَابَ وَمِن كُلِّ الثَّمَرَاتِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে(১৬:১১)
.
وَسَخَّرَ لَكُمُ اللَّيْلَ وَالْنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالْنُّجُومُ مُسَخَّرَاتٌ بِأَمْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্দ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।(১৬:১২)
.
خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِّلْمُؤْمِنِينَ
আল্লাহ যথার্থরূপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(আনকাবুতঃ৪৪)
.
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاء وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُواْ عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللّهُ ذَلِكَ إِلاَّ بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে এবং অতঃপর নির্ধারিত করেছেন এর জন্য মনযিল সমূহ, যাতে করে তোমরা চিনতে পার বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব। আল্লাহ এই সমস্ত কিছু এমনিতেই সৃষ্টি করেননি, কিন্তু যথার্থতার সাথে। তিনি প্রকাশ করেন লক্ষণসমূহ সে সমস্ত লোকের জন্য যাদের জ্ঞান আছে(ইউনুসঃ০৫)
.
অতএব
নিঃসন্দেহে আসমান ও জমিনের সৃষ্টি, চিন্তাশীলদের জন্য মহানিদর্শন।আল্লাহ বলেনঃ "চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে"। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের কথা মহান প্রতিপালক বলেছেন।
নিশ্চয়ই তিনি এসব অনর্থক সৃষ্টি করেন নি।
কুরআনিক কস্মোজনি আমাদেরকে আল্লাহর শক্তি ক্ষমতা,নিপুনতা পার্থিব জীবনের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে। স্রষ্টার অস্তিত্বের উপলব্ধি তৈরি করে। নিশ্চয়ই চাঁদ সূর্য ও দিবারাত্রির আবর্তনে "বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে"। সমস্ত সৃষ্টিতে "চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে"। ভূমন্ডলকে বিস্তৃতকরন, দিবারাত্রির আবর্তন পাহাড়পর্বত ও নদনদীতে "তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে"। "এটা জ্ঞান আহরণ ও স্মরণ করার মত ব্যাপার #প্রত্যেক অনুরাগী বান্দার জন্যে।"
নিশ্চয়ই এটা প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী বান্দাদের জন্য। আর আমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে একমাত্র কুরআন সুন্নাহর দ্বারা উত্তমভাবে বুঝতে পারি এবং তা থেকে সঠিক ও সুনিশ্চিত জ্ঞান পাই। আমরা কুরআনে উল্লিখিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এর গঠনপ্রকৃতি ও আসমানজমিনের বর্ননাগুলোর ব্যাখ্যা গ্রহন করি সাহাবীগনদের (রাযি.) থেকে। নিশ্চয়ই তারা সর্বাধিক নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাদানকারী।। এ কারনে আল্লাহ অনুরাগী যেকোন বান্দারা কুরআন সুন্নাহভিত্তিক আল্লাহর সৃষ্টিসংক্রান্ত চিন্তা গবেষণায় আগ্রহ প্রকাশ করে। হোক সে ময়দানের মুজাহিদ! এজন্যই সেদিন এক আল্লাহ অভিমুখী 'আগন্তুক' বললেন, যদি এসকল বিষয়ে দলিলভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা গুলোকে হার্ডকপিতে রূপান্তর করে সংরক্ষন ও প্রচার সম্ভব হত!
.
পশ্চিমা কাফেরদের একদল বলে,'নতুন করে প্রাচীন cosmological revolution এ আমাদের কোন যায় আসে না। এটা আমাদের চাকুরী-জীবিকায় কোন পরিবর্তন আনে না। যা আগেও ছিল তাই থাকবে, সুতরাং এসব নিয়ে মাথা ঘামানো বৃথা'। যাদের মধ্যে এরকম চিন্তা আসে তারা পৃথিবীতে অনুভূতিহীন জীবন্ত লাশের ন্যায়। এরা কুফফারদের ডিজাইন্ড সিস্টেমে একরকম মানিয়ে নিয়েছে আর এক্ষেত্রে কোনরূপ পরিবর্তন আশা করেনা বা চায় না।
প্রচলিত সমাজব্যবস্থা এবং প্রচলিত ইসলামিক চিন্তাবিদরা যা আমাদেরকে বলত তাতে আমরা ইনফিনিট আউটার স্পেসে কোটি গ্রহের একটিতে ইউজলেস এইমলেস ডার্ট ছাড়া কিছুই নই। যখন এনক্লোজড এ্যাস্ট্রনমি নিয়ে কেউ বিবেচনা করতঃ চিন্তা করে তখন সে অনুধাবন করতে পারে তার জীবনের মূল্য এবং তার জীবনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। তার অস্তিত্বসহ কোন কিছুই নিরর্থক নয়। সমুন্নত ছাদ ও জমীনের মাঝে সামান্য পানি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ নিজেকে ও তার প্রতিপালককে চিনতে পারে।
এটা তাকে তার পালনকর্তার প্রতি অবনত করে এবং তার প্রতি অভিমুখি করে। কুফফাররা সেকুলার-ধর্মবিমুখ সমাজ ব্যবস্থা গড়তে সর্বপ্রথম কস্মোলজিকে রিরাইট করেছে। আর এটা করেছে ধীরগতিতে। জিওসেন্ট্রিক বদলে হেলিওসেন্ট্রিক,জিওস্টেশনারী থেকে রিভলভিং এবং আউটার স্পেস। ইতিহাস ঘাটুন! এরপরে আরো পিছনে গিয়ে সৃষ্টির শুরুর তথ্যে ডিসইনফরমেশনের প্রবেশ ঘটানো। চলে আসলো বিগব্যাং এবং এভ্যুলুশ্যনালিজম। একটার পরে একটা ট্রোল কন্টেন্টগুলো মানুষ গর্দভের মত চিন্তাবিনা গলাধঃকরণ শুরু করে। এন্টি রিলিজিয়াস অর্ডারগুলো আর বামপথের সংগঠন যেমন জেসুইটরা এসব গেলাতে উঠে পড়ে লেগেছিল। অবশেষে বিজ্ঞানী সাইনবোর্ডযুক্ত কিছু অকাল্ট মিস্টিসিস্টদের সফল প্রচারনায় পুরাতন জাদুবিদ্যার কিতাবগুলোয় উল্লিখিত সৃষ্টিকর্তার জানানো সৃষ্টিব্যবস্থার ব্যপারে অমোঘ সত্যবানীর বিপরীত তত্ত্বগুলো একে একে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। ইহুদীদের কাব্বালা এবং হার্মেটিক কাব্বালা আর প্যাগান পলিথেইস্ট মালুদের বেদ এর কথা গুলো হয়ে যায় বিজ্ঞান। কখনো কি প্রশ্ন আসে না মনে, কেন CERN এর সামনে তাগুত শিবের মূর্তি! আর শতাব্দীকাল জুড়ে বাড়তে থাকা এই কুফরের পিলার আজ প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছে প্যানসাইকিজম, প্যানেন্থেইজমসহ সকল নন ডুয়ালিস্টিক ফেইথ। অবতার মুভির পরের সিকুয়্যাল কি থিম নিয়ে তা জানা আছে!! হলিউড সবসময়ই প্রতিটা ক্ষেত্রে ভূমিকায় থাকে। আউটার স্পেস,প্ল্যানেটারি সিস্টেমের প্রোপাগান্ডায় যেমনি ছিল, সামনের ইভেন্ট গুলোতেও আছে ও থাকবে।আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বেজড কোয়ান্টাম ম্যাথড তো বসে নেই। আর এরা সকলেই কনসাসলি অপেক্ষা করছে তাদের এক মহান সেভিয়রের জন্য, একজন মহান বিশ্বশিক্ষকের, যিনি কিনা ফিজিক্যাল ও স্পিরিচুয়াল বিবর্তনের এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবেন হিউম্যানিটিকে। যিনি সারাবিশ্বে আসবেন এলিয়েনেটিক ইনভ্যাশন প্রতিরোধে অথবা জাতিসংঘের হাত ধরে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। স্বাগতম জানাই(!) এখনি তাদেরকে, যারা ইতোমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভূমিকাস্বরূপ আসন্ন একচক্ষুবিশিষ্ট বিশ্বশিক্ষকের কোন না কোন প্রজেক্টের সাথে একমত হয়ে কাজ করছেন।
.
আমাদের কাজ হচ্ছে বিকৃতি এবং সত্যমিথ্যাকে স্পষ্টরূপে উপস্থাপন করা। আমরা বৈধ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সপক্ষে। অপবিজ্ঞানের বিপক্ষে। কিছু ভাই বলেন উম্মাহর দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে লেখালেখি অথবা চিন্তার সময় নেই।তারা আংশিক সত্য বলেছেন। কিন্তু সত্য মিথ্যা জেনেও গোপন রাখলে, দুর্দশা কিছুমাত্র ঘুচবে না বরং উহা প্রজন্মান্তরে চলতে থাকবে।কারন কুফফারদের ধবংসের বীজ আমরা লালন করেই আছি। আমাদের উচিৎ কুফফারদের অপর্যবেক্ষনযোগ্য তত্ত্ব ও তথ্যকে যাচাই করতঃ বর্জন করা এবং সম্পূর্ন তাওহীদের দিকে প্রত্যাবর্তন। যেকোন বিষয়ে আমাদের দ্বীন অল্পবিস্তর যে তথ্যই দেয় না কেন, উহা দুনিয়ার জন্য যথেষ্ট। উহার বাইরে গিয়ে কুফফারদের কথা গ্রহন এমনকি তাদের কথাকে পরিমাপক হিসেবে নিয়ে ইসলামের তথ্যকে যাচাইকরা কস্মিনকালেও মুসলিমদের কাজ নয়। সবশেষে শায়খ সালিহ আল ফওজানের বিখ্যাত ভিডিওবার্তা দেখবার দাওয়াত দিয়ে শেষ করব। লিংক- https://m.youtube.com/watch?v=K1QxVGr4ulw
.
জাযাকআল্লাহ

বিশ্বাস অবিশ্বাস

আজ এক ভাই বললেন, "পৃথিবী যে কারণে ভেসে থাকে , সেটাই তো বিশ্বাস করেন না আপনারা"। তিনি হেলিওসেন্ট্রিক প্যান্থিয়নের আউটার স্পেস এবং ইনফিনিট এভার এক্সপ্যান্ডিং স্পেসের কথা বলছেন। তিনি চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন, 'বিশ্বাস' শব্দটি টেনে। বস্তুত, বিষয়টি আলটিমেটলি 'বিশ্বাসে' গিয়ে ঠেকে। মডার্ন কস্মোলজির প্রায় পুরোটাই বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষনযোগ্যতার প্রক্রিয়ার বাইরে। অর্থাৎ আল্টিমেটলি ইহা শুধুই "বিশ্বাস"।
তো সেই ভাই Precopernican geocentric model এর বাহ্যত ভ্রান্তি ধরে বললেন, "আপনারা যেই 'বিশ্বাস' টা করছেন.."।
.
নিশ্চয়ই আমাদের 'বিশ্বাস' ঠিক তাই যা লিখিত আছে আসমানি কিতাব সমূহে। আর শেষ নবী(স) ও তার সাহাবা কর্তৃক প্রদর্শিত। আর তা-ই, যা প্রখ্যাত কুরআনের তাফসীরবিদ(মুফাসসিরগন) কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত।
.
আর অপরদিকে হেলিওসেন্ট্রিস্ট পাঠকের 'বিশ্বাস' টি ঠিক তাই, যা শয়তানের গোলামদের দ্বারা বলা কিছু 'কুফরি' জ্ঞান। যা লিখিত আছে কাব্বালার জোহারে, যা আছে তোথে , যা hermetism এর উপরে দাঁড়িয়ে আছে। এ বিশ্বাস তো তাদের হাত ধরেই এসেছে যারা সর্সারির আলোকবর্তিকা ছিলেন। ছিলেন গুপ্ত গুহ্যজ্ঞানের মহাসাধক । জ্বি আমি পিথাগোরাস, নিউটন, গ্যালিলিও, কেপলার , কোপার্নিকাসদের এসোটেরিক বিশ্বাস ও জ্ঞানের কথা বলছি, যা সম্মানিত হেলিওসেন্ট্রিস্ট (তাওহীদের জ্ঞানবিহীন) মুসলিম(!) ভাইদের নিকট অধিকতর গ্রহন যোগ্য মনে হয় এবং সেদিকেই হৃদয় আকর্ষিত হয়। মা'আযাল্লাহ!
.
একথা ভালভাবে জেনে রাখুন মেইনস্ট্রিম সাইন্টিফিক নলেজ একটি সুবিশাল প্রবঞ্চনার উপরে দাঁড়িয়ে আছে যা জেসুইট অর্ডারের আওতায় সারা বিশ্ব গ্রহন করেছে। আর তা হয়েছে রেনেসাঁ বিপ্লবের পর দিয়ে। রেনেসাঁ বিপ্লবের দ্বারা নিষিদ্ধ বিষয় যেমন উইচক্রাফট, সর্সারির রিভাইভ্যাল ঘটে। মানুষ নতুন করে ব্ল্যাক আর্ট অব ন্যাক্রোমেসির দিকে ঝুকে পড়ে। বিজ্ঞানের মোড়কে mysticism মানুষের কাছে হাজির হয়। চলে আসে বৈদিক Atomic knowledge. মানুষ গ্রহন করে Atomism. এক শ্রেনীর লোকেরা নির্বুদ্ধিতার জন্য থেইস্টিক পাথ ছেড়ে ম্যাটেরিয়ালিজমে ঝুকে পড়ে এবং এথিজম গ্রহন করে। 'এথিজম' শব্দে ডিজবিলিফকে ক্ল্যারিফাই করার ব্যাপারটি এখনো ৫০০ বছর ক্রস করেনি। যাহোক, সর্বপ্রথম ফ্রান্সের এক পরিবার এথিস্ট বলে নিজেদের ঘোষনা দেয়। আর বৈজ্ঞানিক মিস্টিক্যাল নলেজের গুরু মহাশয়রা theist ই থেকে যায়। কিন্তু এই Theism আদৌ তাওহীদ বা নিকটবর্তী monotheism নয়। গোড়া হাতালে তাদের বিলিফ দিয়ে অন্য মাত্রার মনোথেইজমে গিয়ে শেষ হবে, সেটাকে আব্রাহামিক ফেইথগুলো 'স্যাটানিজম' বলে।
আজ যারা এই মডার্ন সাইন্টিজমকে তাদের জন্মসূত্রে পাওয়া দ্বীন ইসলামের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয়, সে সকল Apologetic mozlem রা ইতিহাসই জানে না। এদের জ্ঞান হাটুর নিচে, সারাদিন হয়ত কক খেলে, আর হলিউড দেখে রোমাঞ্চিত হয়,আর available ভ্রান্ত বিদ্যা অর্জন করে নিজেকে বিরাট জ্ঞ্যানী-শিক্ষিত মনে করে। অবশ্য এদের অধিকাংশই বিতর্কপ্রিয়। এবং নিরেশ্বরবাদীদের কাছেই বিতর্কে লাঞ্ছিতই। এর কারন এরা এমন বিজ্ঞান তত্ত্ব মেইন্টেইন করতে চায় যা তাদের জন্মলব্ধ বিশ্বাস থেকে একদম অপজিশনে। । এদের রূপক অবস্থা হচ্ছে এরূপ যে, কোন ব্যক্তি মূত্রকে পবিত্রতা অর্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রামান করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ উদাহরন এজন্যই দিয়েছি যে, তারা এই অবিশ্বাসের জ্ঞান(knowledge of disbelief) দ্বারা ইসলামকে জাস্টিফাই করতে ধৃষ্টতা দেখায়। ইসলামিক সোর্সে অদেখা জগতের বর্ননাকে ওই ভ্রান্ত অপবিত্র জ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা করতে বৃথা চেষ্টা করে। Allegorical ওই মূত্রের(মেইনস্ট্রিম সাইন্স) মধ্যে বাস করা অবাঞ্ছিত কীটরা(নাস্তিক মুর্তাদরা) পবিত্র পানিকে আলাদাভাবে ভাল করেই চিনতে পারে, এজন্য কীটদের দ্বারাই লাঞ্ছিত হয় নির্বোধ মোডারেট ইসলামিস্ট।
.
বস্তুত ওদের হৃদয়টাই রোগগ্রস্ত। এজন্য প্রকাশিত ঐশীজ্ঞানকে অগ্রাহ্য করে কাফেরদের কুফর বেজড ইল্মকে অগ্রাধিকার দেয়। এজন্যই শায়খ বিন বাজ(র)দ্বীনের থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক সাংঘর্ষিক তথ্যকে অগ্রাধিকারদানকারী লিবারেল ইস্লামিস্টকে তাকফির(কাফের সাব্যস্ত) করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তো সতর্কতাকারী ছাড়া আর কিছুই নই।
ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই Occult scientism এর origin নিয়ে একটা লেখা আসবে। ওয়ামা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।

সমতল জমিনের ম্যাপ এবং 'গোলাকার জমিনের'(!!) ম্যাপের মধ্যে পার্থক্য কি?

প্রতিষ্ঠিত স্ফেরয়েড বলটির নিন্মদেশ(এন্টার্কটিকা) চিরে যদি চাপ দিয়ে সমতলে রূপান্তর করা হয়, তবেই এ্যাযিমুথাল একুইডিস্ট্যান্ট প্রজেকশন তথা মেইনস্ট্রিম সমতল জমিনের ম্যাপ পাওয়া যায়। এতে কোন ভূখন্ডের স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ব্রেইনওয়াশডদের কাছে এটাকে অনেক কিছু মনে হয়। তারা মনে করে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইন্টারনেটভিত্তিক  জনপ্রিয় কোন এক ম্যাপ সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটের ম্যাপে, সমতল জমিনের ম্যাপটিকে গোলাকার বানানো হয়েছে। সেটাতে এন্টার্কটিকার ম্যাপে গিয়ে জুম করলে চারকোণা কাগজ জাতীয় কিছুর চার প্রান্তগুলোকে একসাথে জুড়ে দিলে যে অবস্থা দেখা যায়, সেরকম কৃত্রিমভাবে সমতলকে গোলাকার বানানোর প্রমান রয়েছে। সুতরাং এযিমুথাল প্রজেকশনকেই গোল বানিয়ে চালাচ্ছে।
.
ইসলামিক পার্স্পেক্টিভে, গোল মডেলের ম্যাপ ডিজাইন বা প্রচলিত সমতল জমিনের ম্যাপের কোনটিকেই ১০০% শুদ্ধ বলে নিশ্চিত করা যায় না। কিছু আয়াত এবং হাদিস উভয়ের কোনটিতেই খাটে না।
.
যারা প্রচলিত সাইন্সের অন্ধ বিশ্বাসী, তারা তাদের অন্ধ বিশ্বাসে সন্তুষ্ট। যারা সমস্ত প্রবঞ্চনার বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা কিন্তু জাতিসংঘের পতাকায় সমতল জমিনকেই দেখাচ্ছে, আবার জনপ্রিয় স্পেস এজেন্সির দ্বারা গোল পৃথিবীর ছবি বের করছে। তাতে আবার একবছর আম্রিকার ম্যাপ ৩-৪গুন বড় হয়ে যায়, আবার কখনো ছোট, আবার জমিনের রঙও বছর বছর বদলায়!! টিভিতেও কম mock করে না। The West Wing(2001) এর Season 02, Episode 16 দেখেছেন? কত্ত সুন্দরভাবে চেয়ারে বসিয়ে স্লাইডে দেখিয়ে দিচ্ছে গোল পৃথিবীর ম্যাপের ভুল গুলো! অথচ ওরাই কিন্তু সেই টিভিতেই একই ভ্রান্ত ম্যাপ/মডেল গুলোকে সত্য আকারে প্রচার করে। উচু স্তরের কাফেররা ব্রেইনওয়াশড বানানোর পরে ওদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করে। 😆
.
যাহোক,হলিউড-মিডিয়া-বইপুস্তক দিয়ে জেসুইট ক্যাথলিকরা কাব্বালিস্টিক ব্যবিলনিয়ান জ্যোতিষবিদ্যা খাইয়ে বুদ করে রেখেছে। সেসব গ্রহন করে আজকের মুসলিমরাও তৃপ্তিবোধ করে। আমরা এসবের বিরুদ্ধে বললে যেহেতু দোষ, সুতরাং তর্কেবিতর্কে গিয়ে বোঝানোর কোন প্রয়োজন নেই, কুফফারদেরকে ওদের অনুগতদের থেকেই এভাবে বিনোদন গ্রহন করতে দিন।