আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা মুসলিমদেরকে যমীনের উপর কর্তৃত্ব স্থাপনের দায়িত্ব দিয়েছেন। দ্বীনকে যমীনে প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রতিষ্ঠিত রাখার মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। সুতরাং আল্লাহর নিকট আত্মসমার্পনকারী তথা মুসলিমরা সবসময়ই গোটা বিশ্বে শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে, কাফিররা শাসিত হবে। অন্যদিকে সামষ্টিকভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল ইদাদ ওয়াল জিহাদ কাজ ছাড়াও একজন একনিষ্ঠ মুসলিমকে অনেক ব্যক্তিগত আমলে সময় পার করতে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত ছাড়াও নফল কিয়াম,সিয়াম, আযকার, কুরআন তিলাওয়াত, তাফসীর অধ্যয়ন, হাদিস শিক্ষা, কোন মুহাক্কিক আলিমের সান্নিধ্যে ইল্ম আহরণসহ আরো অনেক আমল। সুতরাং একজন মুখলিস আব্দুল্লাহর ২৪ ঘন্টায় অবসর সময় কিংবা অলস সময় পার করার মত আসলে সময় নেই। একজন বিলিভারের হৃদয়ের খোরাক হলো কুরআন হাদিস। সে একমাত্র আল্লাহ আযযা ওয়াযালের স্মরণের মধ্যেই একমাত্র প্রশান্তি খুঁজে পায়। এছাড়া ইসলাম যুহদের শিক্ষা দেয়। এর সকল শিক্ষা দুনিয়া বিমুখতার। স্বয়ং আল্লাহ দুনিয়ার ব্যপারে নিরুৎসাহ করে বলেনঃ
وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا لَعِبٌ وَلَهْوٌ ۖ وَلَلدَّارُ الْآخِرَةُ خَيْرٌ لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ ۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর। তোমরা কি বুঝ না ?
(সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ৩২)
সুতরাং মুসলিমরা থাকবে দুনিয়াতে খিলাফত তথা সামগ্রিকভাবে ইবাদাতের মধ্যে, তাদের মধ্যে ম্যাটেরিয়ালিস্টিক হলৌনেস থাকাটা প্রত্যাশিত কিন্তু স্পিরিচুয়ালভাবে এনরিচড থাকবে। অন্যদিকে কাফিরদের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে ওদের সব চিন্তাভাবনাই দুনিয়াকেন্দ্রিক,ম্যাটেরিয়ালিস্টিক। ওদের দুনিয়াবি যাবতীয় সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা, উদ্ভাবনের মধ্যে ওদের হৃদয়ের খোরাকি। যার জন্য দেখা যায় দুনিয়ার যাবতীয় বিজ্ঞান প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আবিষ্কারে শুধু কাফিরদেরই নাম। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত ফলাফল। আশ্চর্যজনকভাবে এটা আজকের মনস্তাত্ত্বিক ভাবে পরাজিত মুসলিম উম্মাহর অনেকের মধ্যে হীনমন্যতার সৃষ্টি করে। যার ফলে তারা কাফিরদের সামনে নিজেদের মানবিক ইনফেরিয়রিটির অনুভূতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া মধ্যযুগীয় বহু আরবি নামধারী দার্শনিক/যাদুকর-জ্যোতিষি-আলকেমিস্টদেরকে "মুসলিম বিজ্ঞানী" বলে জাতে উঠানোর চেষ্টা করে। তারা অমুক অমুক বিজ্ঞানে মুসলিমদের এই এই অবদান আছে দেখাতে চেষ্টা করে। অথচ দেখা যায় তাদের অধিকাংশই আদৌ মুসলিমই নয়, এরা ছিল মুরতাদ। মূলত কাফিরদের খোরাকি যখন মুসলিমদের কেউ এ্যাডপ্ট করতে চেষ্টা করে তখন পরিশেষে ইরতিদাদের দিকেই হাটা শুরু করে। সুতরাং এটা খুবই স্বাভাবিক যে কাফিররা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে খুবই অগ্রসর হবে। এবং আমাদের কাজ হবে তাদের এই প্রযুক্তি বুদ্ধি-বিদ্যাকে তাদের দ্বারা তৈরি করিয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিষ্ঠিত রাখার পেছনে কাজে লাগানো। প্রয়োজনে ইসলামি ইমারত বা খিলাফতের রাষ্ট্রব্যবস্থা কাফির বিজ্ঞানীদেরকে প্রেষণাদানের মাধ্যমে উদ্ভাবনী কাজে বাহবা দিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবনে উৎসাহ দেবে। এ কাজ মুসলিমদের নয়। মুসলিমদের এ কর্মে প্রবিষ্ট হওয়া একপ্রকার জিল্লতি বা লাঞ্ছনা। প্রাচীন যুগে দেখবেন দাসদেরকে ব্যবহার করা হত কায়িক পরিশ্রমের কাজে, ইমারত নির্মাণ,ফসল উৎপাদন, ভারী বস্তুবহন ইত্যাদি। ঠিক একইভাবে দাস/দাসীর স্ট্যাটাসে থাকা ইহুদি-নাসারা'রা ইসলামি খিলাফার অধীনে বড় বিল্ডিং নির্মাণ করে দেবে,ব্রীজ নির্মান করে দেবে,বিমান তৈরি করে দেবে, জাহাজ তৈরি করে দেবে, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি ও উন্নয়নে কাজ করবে। আমরা আদেশ দেব ওরা বাস্তবায়ন করবে ওদের দুনিয়ামুখী মেধাবুদ্ধি দিয়ে। এদের হৃদয়ের খোরাকও এতেই। শ্রদ্ধেয় শাইখুল হাদিস আবু ইমরান [হাফিঃ] বলেন,এদের নতুন উদ্ভাবন আবিষ্কারের জন্য যদি আমরা প্রয়োজনে আরো উদ্বুদ্ধ করার জন্য খোরাকি হিসেবে পিঠ চাপড়ে দেই তাহলে এরা আরো উন্নত প্রযুক্তিকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবে। প্রাচীন যুগে এটাই করা হয়েছে। আমি শাইখকে ওই হাদিসের কথা বলি যেখানে হযরত উমার(রাঃ) মুসলিম কোন এক লোককে কৃষিকাজ করতে দেখে তিরস্কার করেন। মুহতারাম মুহাদ্দিস এবার পুরো হাদিসটা শোনানঃ
শাইখ বলেন, মূলত এটাই বিজ্ঞানচর্চায়, উদ্ভাবন আবিষ্কারে কুফফারদের অগ্রগামীতার কারন। এগুলো কাফিরদের হৃদয়ের খোরাক। মুসলিমদের নয়। সুতরাং এইসব বৈজ্ঞানিক/দুনিয়াবি গবেষণার কাজে সময় নষ্টের সময় কোন মুসলিমের নেই।
যেহেতু খিলাফা ধ্বংস হয়েছে এবং মুসলিমরা গরুর লেজ ধরে সন্তুষ্ট হয়ে গেছে, সেহেতু আজকে ক্ষমতার মসনদে কাফিররা বসে যাবতীয় প্রযুক্তি আবিষ্কার কুফর প্রতিষ্ঠা এবং আল্টিমেটলি মুসলিমদেরই বিরুদ্ধেই কাজে লাগাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের কাজ এটা নয় যে ওদের সমান সমান হয়ে আবিষ্কার গবেষণায় লাইফ স্পেয়ার করা। বরং ইবনে রজব আল হাম্বলী(রহঃ) কথার ন্যায় ওদের সমগ্র এ্যাডভান্সমেন্ট কে ব্যবহার করা, প্রয়োজনে কর্তৃত্বের বাইরে থাকলে তা দখল করা এবং ছিনিয়ে নিয়ে প্রয়োজনে ওদেরকে প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিকলাঙ্গ করে দেয়া যাতে মুসলিমদের সামনে দুর্বল হয়ে যায়। এর পরে সে বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে দ্বীনের পথে ব্যবহার করা।
মাঝেমধ্যে কিছু ভাইকে দেখি তারা আমাদের হাতে কাফিরদের প্রযুক্তি ব্যাবহার দেখে বলে, আমরা যেহেতু এতই কাফিরদের বর্জন করি তাহলে ওদের কম্পিউটার রেডিও, মোবাইল, অস্ত্র ইত্যাদি ব্যবহার করি কেন। এই প্রশ্নটি সেই মানসিক পরাজয় প্রবনতা থেকেই আসে।এর উত্তরটা খুবই সিম্পল। আমরা দুনিয়ায় কাফিরদের কাতারে নেমে এটা ওটা বানিয়ে ওদের সাথে প্রতিযোগিতা করে ইন্টেলেকচুয়াল প্লেজার নেয়ার জন্য দুনিয়াতে আসিনি। বরং ওদের প্রযুক্তিকে যথা সম্ভব ছিনিয়ে নিয়ে আল্লাহর পথে কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এখন আমরা ওদের কাজে বাহবা দেই না,বরং ওদের বিদ্যা দিয়ে ওদেরকে কিভাবে 'হায়হায়' উচ্চারন করানো যায় সেটাই আমাদের বর্তমান লক্ষ্য। সুতরাং আমরা কেন ইন্টারনেট, ফোন ব্যবহার করি এমন প্রশ্ন খুবই লেইম। বরং আমরা ইহুদী নাসারাদের ফোন, ফেসবুক প্রভৃতি প্রযুক্তি দ্বীনের স্বার্থে ব্যবহার করে যথার্থই কর্মই করছি। গতকালও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাই জিজ্ঞেস করেছেন। বিজ্ঞান চর্চা হারাম কিনা। আশা করি আজকে সেটা ক্লিয়ার হয়েছে। এ কাজ মূলত আমাদের নয়। তবে এমন বৈজ্ঞানিক থিওরি, বিদ্যা কিংবা প্রযুক্তি যেটা সরাসরি যাদুশাস্ত্রের ইল্মের উপর প্রতিষ্ঠিত/নির্মিত সেটা ব্যবহারে মুসলিমের কোন কল্যাণ নেই। এগুলোর ব্যপারে আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরী দখলের পর হযরত উমার আল খাত্তাবের[রাঃ] সুন্নাহ অনুসরনই সবচেয়ে বেশি প্রণিধানযোগ্য যেখানে তিনি বিচিত্র যাদুবিদ্যার অকাল্ট শাস্ত্রগুলোকে প্রয়োজনহীন এবং অগ্রাহ্য করেছিলেন। বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার একটা বড় অংশই পর্যবেক্ষণ অযোগ্য থিওরি। সেসবে চোখ বুজে বিশ্বাস করা ছাড়া পথ থাকেনা। এরকম এমন কোন বৈজ্ঞানিক থিওরি যা কুরআন সুন্নাহ এমনকি সাহাবিয়্যাতের কওলের সাথেও সাংঘর্ষিক, সেসব বাতিল। উদাহরণস্বরূপ সৃষ্টিতত্ত্বীয় বিষয়ে আজকে বিজ্ঞান হিসাবে যা আছে তার সবটাই বাতিল এবং যাদুশাস্ত্রীয় কুফরি বিদ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। হেলিওসেন্ট্রিক এ্যস্ট্রোনমি পুরোটাই বাতিল। সত্য একমাত্র ঐ সৃষ্টিতত্ত্ব যার ব্যপারে বলা হয়েছে কুরআনে, হাদিসে এবং যার উপর ভিত্তি করে বলা আছে সাহাবাদের কওলে। একইভাবে এ্যাডভান্স টেকনলজির এমন কিছু যদি থাকে যা যাদুবিদ্যার উপর ভিত্তি করে বানানো, সেটাও পরিত্যাজ্য। যেমন ধরুন কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এটা এসেছেই ইস্টার্ন মিস্টিসিজমের হাত ধরে। এমন অকাল্ট টেকনোলজি তথ্যা মেক্যানাইজড সিহর, নির্মাতা, নির্মাণ কৌশল সবটাই ধ্বংস করে দেয়াই সমীচীন। আমার মনে পরে বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান সিরিজের শেষাংশে এসব বিষয়ে স্পষ্ট করেছিলাম। আশা করি বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, জিজ্ঞাসার অবসান ঘটেছে।
ইসলাম বিজ্ঞান চর্চাকে হারাম বা নিষিদ্ধ বলে না, বরং তা শুধুমাত্র কাফিরদের কাজ হিসেবে সাব্যস্ত করে যারা মুসলিমরা উপকৃত হবে বা ফল ভোগ করবে। লাঞ্ছনার দুয়ার খুলে যাবে যখন মুসলিমরাই এসবকে অন্তরাত্মার খোরাকি হিসবে গ্রহন করবে এবং কাফিরদের সাথে প্রতিযোগিতা করবে উচ্চমর্যাদা থেকে নিচে কাফিরদের সমপর্যায়ে নেমে। আল্লাহ কুরআনে তার সৃষ্টিজগত নিয়ে চিন্তা-গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন যাকে বলা হয় আত্ব তাফাক্কুর ফি খলকিল্লাহ। কিন্তু এখানে চিন্তা-গবেষণার মানে ওই স্ট্যাটাসের গবেষণা-চিন্তা নয় যেটা কাফিররা করে থাকে,বরং সেটার থট প্রসেসের লিমিট সাহাবি-তাবে-তাবেঈনদের পন্থাকে যেন অতিক্রম না করে। সুতরাং কেউ যেন সেসব আয়াতকে কোনভাবেই কাফিরদের বিজ্ঞান চর্চার মানহাজকে ডিফেন্ড না করে তুলে ধরি।
যা কিছু লিখেছি এর মাঝে যা কিছু কল্যাণকর তা আল্লাহর পক্ষ থেকে,যা কিছু অকল্যাণকর তা আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে।
ওয়া আল্লাহু তা'য়ালা আ'লাম
সুবহানআল্লাহ, একদম মনের কথাগুলো লিখেছেন। আজকের মুসলিমেরা রাজত্ব বাদ দিয়ে দাসত্ব করতে চায়।
ReplyDeleteভাই, আমি কি আপনার এই লিখাটার উপর ভিডিও বানাতে পারি?
জ্বি ইংশাআল্লাহ
Deleteভাই, আপনি কারো কথায় কান দিবেন না। আপনার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা অনেক মানুষের ভুল ভেঙে দিয়েছেন। আপনার কলম আল্লাহর জন্য চালিয়ে যান।
ReplyDeleteবিইযনিল্লাহ।
Deleteভাই আল কুরআনে চাঁদ এর ব্যাপারে কি দেওয়া আছে?? চাঁদের কি নিজস্ব আলো আছে নাকি নাই?? আর যদি আল কুরআনে বলা থাকে যে চাঁদের আলো নাই তাহলে চাঁদের পুরো অংশ সব সময় দেখা যায়না কেন??
ReplyDeleteসরি ভাই আমি ভুল পোস্ট করেছি এখানে আমি লিখতে চেয়েছিলাম কুরআনে যদি দেওয়া থাকে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে তাহলে চাঁদের সব অংশ সব সময় দেখা যায়না কেন??
Deleteআখ্যি,কুরআনে চাঁদকে "স্নিগ্ধ আলোবিতরণকারী" হিসেবে উল্লেখ আছে। আমরা সাহাবীদের কওলগুলোতে স্পষ্টভাবে দেখি যে চাদের আলো আছে। কওলগুলো কুরআন সুন্নাহর শিক্ষার উপরেই প্রতিষ্ঠিত। প্রাচীন আলিম উলামাগনও মনে করতেন আলো আছে। এর মধ্যে ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাও রহঃ আছেন। আখ্যি, আমরা জানি না চাঁদ কোন মেকানিক্সে কাজ করে। তবে ধারণার উপরে যদি এভাবে ব্যাখ্যা করা হয় যে চাঁদ পুরোটাই ট্রান্সলুসেন্ট বা স্বচ্ছ এবং এর জন্য নির্ধারিত ফেজ বা মনজিল অনুযায়ী একটু একটু করে আলোকিত হয়। এটা পুরোপুরি একসাথে প্রজ্জলিত হয়না। ধীরে ধীরে পুরোটায় আলো ছড়ায় আবার একটু একটু করে কমতে কমতে অন্ধকার হয়ে যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্বের চাঁদ সূর্যের অধ্যায়টা পড়লে সহজ হবে আখ্যি।
Deleteওয়া আল্লাহু তা'য়ালা আ'লাম।
ভাই,,,আমার এক পরিচিত অ্যাস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফার যখন চাঁদের ছবি তুলে তখন এটাকে স্পষ্ট সলিড বলাকার জমিনের মত দেখায়,,, আমি নিজেও আগে এস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফি করতাম,,, চাঁদের এবং একবার শুক্র গ্রহের ছবি তুলেছি,,, তবে আমার গুলো অত স্পষ্ট নয় তবে রাউন্ড সলিড অবজেক্ট এর মতই,,,আমাদের গ্রুপের কয়েকজন ভালো মানে টেলিস্কোপে এবং লেন্স ব্যবহার করে অ্যাস্ট্রোনমি ফটোগ্রাফি করতো,,,বাট আমি কখনোই এসব গ্রহ কিংবা উপগ্রহকে ট্রানসলুসেন্ট অবজেক্ট হিসেবে খেয়াল করিনি,,, সব সময় তা সলিড হিসেবে দেখেছি,,, আমি একজন জমিনের সমর্থক,,, তাই স্পেস এ বিশ্বাস করিনা,,, তবে গ্রহ-উপগ্রহের এই ব্যপারগুলো আমাকে দ্বিধায় ফেলে,,, ইমরান ভাই,,, দয়া করে বিস্তারিত বলুন এবং আমার সমস্যার সমাধান করুন,,,
ReplyDeleteআখ্যি চাঁদ ট্রান্সলুসেন্ট হতেও পারে [আল্লাহ ভাল জানেন] তবে অন্যান্য নক্ষত্র গুলো দেখতে কম্পনশীল আলোর ন্যায়,এগুলোকেও ট্রান্সলুসেন্ট বলা উচিত না। যদি আপনি টেলিস্কোপে সলিড লিভ্যাবল টেরাফার্মা হিসেবে দেখেন কথিত গ্রহদেরকে তাহলে আখ্যি আমি জাজিয়্যাহ ইসমাইল নামের এক মরক্কান বোনের কথা স্মরণ হচ্ছে যিনি টেলিস্কোপ,বিভিন্ন লেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে একাডেমিকভাবেও পড়াশুনা করেছেন। তিনি বলেন, যেভাবে ফিসআই লেন্স গুলো ডিজাইন করা হয়েছে যমীনের ফেইক কার্ভাচার দেখানোর মত করে একইভাবে নক্ষত্রগুলোকে সলিড মসৃন অবজেক্টের মত করে দেখানোর মত করে টেলিস্কোপ গুলোকে বানানো হয়। এজন্য আপনি কথিত গ্রহকে সলিড দেখলেও অবাক হব না।
Deleteচাঁদকে ট্রান্সলুসেন্ট বলবার কারন হলো এর ফেইজ গুলো চলার সময় আপনি জুম করলেও সলিড অংশ খুজে পাবেন না। প্রায়ই তারকাদেরকে এর পেছন দিয়ে দেখা যায়।
আখ্যি সাহাবীদের কথায় আমরা জানতে পারি চাঁদ সূর্য দুটোই সূর্য ছিল। আল্লাহ চাঁদটিকে রাত্রীর জন্য নির্ধারন করেন এর উপর কালিমা লেপন করেদেন আলো কমিয়ে দেন। এটা বর্তুলাকার হলেও হতে পারে। ওয়াল্লাহু আ'লাম।
Deleteআমার কমেন্ট গুলো ডিলেট করেদিন,,,🌸
Delete