আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আমাদের মধ্যে এরকম অনেকেই আছি যারা দ্বীনের পথে চলতে ইচ্ছুক। এবং চলতে শুরু করলে খুব বেশিদিন কন্টিনিউ করতে পারি না।অল্প ক'দিন পরেই আগের পুরোনো জাহেলিয়াতে ফিরে যাওয়া হয়। বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াতের ভাইয়েদেরও এমন হয়,তারা মাসে তিন দিন না সময় দিলে ধীরে ধীরে দ্বীন থেকে দূরে সরে যেতে থাকে, এমনিভাবে দেখা যায় চিল্লাদেনেওয়ালা ভাইয়েরা অনেকেও নামাজ কালাম ছেড়ে দেয়!!শিবিরের সাথী পদের ভাইয়েদেরও এ অবস্থায় যেতে দেখেছি! নিজের চোখেই এগুলো দেখেছি। কিন্তু এর রহস্য কি!? এমনটা হয় কেন?? আমরা কি কখনো ভাবি,কেন এমনটা হচ্ছে!? এর অনেকগুলো কারনের অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে আমাদের ইলমের অসম্পূর্ণতা ও ত্রুটি। আমরা জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে অজ্ঞাত। দেখে দেখে শুনে শুনে নামাজ রোযা করি। সবাই কুরআন মানে তাই আমিও মানি, কুরআনে কি আছে জীবনেও আমরা উল্টিয়ে দেখিনা। অবিশ্বাস্য সত্য হচ্ছে আমরা অধিকাংশই কালেমা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' এর অর্থই পূর্নরূপে জানি না। আক্ষরিক অর্থটাকে নিয়েই বসে আছি আর দূরে থাকছি ওই অর্থ থেকে, যেটা সলফে সালেহীনগন জানতেন, রাসূল(স) শিখিয়েছেন আর যেজন্য তৎকালীন মক্কার পৌত্তলিকরা অস্বীকার করত। নিচে তিনটি অডিও বয়ানের ডাইরেক্ট লিংক দেওয়া হল,যা শুনলে গোটা থিংকিং প্যাটার্ন ঘুরে যাবে আর দ্বীনদারিত্ব অন্তরে স্থিরভাবে বসে যাবে(বিঈদনিল্লাহ)।লিংক___
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে পক্ষপাতহীন ইলম অন্বেষণে অন্তত একবার বিনম্রচিত্তে পূর্নাঙ্গ কুরআন এর অনুবাদ পাঠ করা যেতে পারে যেহেতু আমরা আজমী। আর পাশাপাশি দুর্বোধ্য আয়াত বুঝতে কোন প্রসিদ্ধ তাফসীর কিতাব(যেমনঃতাফসীর ইবনে কাসীর) পাঠ করা যেতে পারে।
সেই সাথে একবার নবী (স) এর জীবনী সম্বলিত কিতাব পাঠ করা যেতে পারে।
আর রহিকুল মাখতুম:
পাঠ করা যেতে পারে আসহাবে রাসূলের জীবনী। শোনা যেতে পারে রেইনড্রপ্স মিডিয়া পরিবেশিত সিরাহ...
উপরে প্রদত্ত তিনটি অডিও বয়ানসমূহ শাইখুল হাদিস মুফতি জসীমউদ্দিন রহমানী (হাফিঃ) এর। ইসলামের অন্যান্য বিষয় গুলো জানতেও তার অন্যান্য লেকচার শোনা যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ তার লেকচারগুলোর মাধ্যমে আমাদের দ্বীন সম্পর্কে শিরক,বিদাত,গুলু, ইরজামুক্ত বিশুদ্ধ ধারনা অর্জন সহজ হবে।
অন্যান্য অডিও লেকচার : https://archive.org/details/BanglaIslamicBestLecturesbooks
দাওয়াতের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে শায়েখ এর বয়ান বাংলাদেশ,পশ্চিম বঙ্গ,আসাম উড়িষ্যা পর্যন্ত বিস্তৃত বলে মন্তব্য করেছিলেন আহলে হাদিসের শায়েখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেব।
শাইখ রহমানির কথা ভাবলে ইমাম ইবনে তাইমিয়া(রহ.) এর উক্তি স্মরনে আসে, তিনি বলেছিলেন হক্কপন্থী আলেমদের দু স্থানে খুজতে, কবরে অথবা কারাগারের প্রকোষ্ঠে।
ওয়ামা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।
[আনুমানিক ৩-৪ বছর আগের লেখা]
0 Comments:
Post a Comment