সন্ত্রাসী সাব্যস্তকরনের একটা সহজ উপায় কুফফারদের নিকট রয়েছে৷ প্রথমে কোন মুসলিম ভুখন্ডে মানব সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ চরমপন্থী সন্ত্রাসী আছে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালাবে(যদি কিছু নাও থাকে)। যখন সে অঞ্চলের মানুষ বারবার অযথা হামলার স্বীকার হবে, এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করবে। সেটা সামরিক প্রচেষ্টা হলে অবশ্যই ছবি তুলে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে বলা হবে,' এই দেখো, সন্ত্রাসীরা... এদেরকেই আমরা দমন করার চেষ্টা করছি গ্রেটার হিউম্যানিটেরিয়া
.
এভাবেই আজকে আরবভূমি গুলোর কেন্দ্রস্থল গুলোকে আজ রণাঙ্গনে পরিনত করা হয়েছে। কাফিররা ভাল করে বোঝে যে, আরবদের ধ্বংস করা হলে আযমরা কোন ব্যপারই নাহ। বিষয় গুলো আমরা আজ চোখের সামনেই দেখছি। আমরা যেরকম বাসাবাড়িতে থাকছি, আক্রান্ত দেশগুলোতেও আমাদের ন্যায় একসময় থাকত। এখন অধিকাংশই ধ্বংসস্তুপ৷ যাও আছে তার উপর কিছুক্ষন পর পর বিমান থেকে এক্সপ্লোসিভ ফেলা হয়। প্রতিদিনই কিছু না বাচ্চা শিশু, মহিলারা লাশ হচ্ছে। ওরাও কারো না কারো মা বোন বা সন্তান। অসহায়ত্বের এই পার্স্পেক্টিভ সহজে বোঝা সম্ভব না, যদি না কেউ ওই অবস্থা সচক্ষে দেখে বা হৃদয় দিয়ে অনুভবের চেষ্টা করে। কাফিররা কেমন যেন বিস্ফোরক গুলোকে ফেলবার বৈধ স্থান পেয়েছে। তাগুত সংঘই এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আফসোস এর বিষয় যে এই করুন অবস্থাগুলো চোখে দেখেও যাদের কাধে দিকনির্দেশনার দায়িত্ব ন্যস্ত, তারা আরো কালো আধারে জাতিকে ডুবানোর জন্য গাইড করে। এদের দিন যায় দ্বীন বেচে।জাতিকে কালেক্টিভভাবে ভুল পথে পরিচালনার দায়ভার সিংহভাগ তাদের উপরেই পরে। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন, যারা হক্কের উপর থাকে, সত্যের দিকে আহব্বান করে আল্লাহ তাদের প্রতি সাধারন মানুষের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতা এবং ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন। হয়ত ফিতরাতগত কারনে অধিকাংশ মানুষই সেটাকে সমর্থন করে। যে ব্যক্তি হাত দিয়ে পারে না, সে ব্যক্তি মন দিয়েও সমর্থন করে। এর জ্বলন্ত প্রমান আজকের সময়ের শাইখ তামিম আল আদনানি। একটা সময় ছিল তাকে খুব কম মানুষ চিনতো৷ অল্প লোকের গন্ডীর বাইরে তার চেনা জানা ছিল না। যখন তার কথাগুলো ভাইরাল হতে লাগলো, তার বিরোধিদের চেয়ে অনুসারীদের সংখ্যাই বাড়তে লাগলো৷ এখনো বাড়ছে। ওনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় সাত লাখ স্পর্শ করতে যাচ্ছে। যারাই তার বিরুদ্ধে বলছে, তাদেরকে সমর্থনের বদলে কথা দিয়ে উত্তমমধ্যম দিয়ে দিচ্ছে। এরূপ হবার কারন সত্যের পথে অবিচল থাকা। যখন অটোম্যান খিলাফার পতন হয়ে যাচ্ছিলো, সেসময় এবং পরবর্তী সময়ে আলিমদের মধ্যে মুসলিম ভূখন্ড গুলোয় ঊস্তায নূর উদ্দিন জঙ্গি এবং তার শিষ্যের মতের ও পথের পর্যাপ্ত আলিমদের পাওয়া যায় নি যারা গাইড করবে। সমুদ্রের ফেনায় ট্রান্সফর্ম হওয়া তখন থেকেই শুরু। ওই অবস্থা আজ পর্যন্ত বলবৎ আছে। এর মধ্যে কাফিররা জুমহুরিয়া,আসহাব
0 Comments:
Post a Comment