মানবরচিত সংবিধানের শাসক কস্মিনকালেও চাইবেনা যে আপনি তাওহীদ পরিপূর্নভাবে আকড়ে ধরুন, অথবা সে সম্পর্কে আপনার বোধোদয় হোক। ওরা ইনিশিয়্যাল স্টেজে চাইবে আপনি শুধু তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ অর্থাৎ আল্লাহকে রব হিসেবে মানুন এবং তাওহীদে উলুহিয়্যাতের 'অর্ধেকটা' জানুন এবং পালন করুন,এজন্য নামাজ যত ইচ্ছা পড়ার পড়ুন কিচ্ছু বলবেনা,রোযাও যত ইচ্ছা রাখুন, যাকাত হজ্জ্ব যত ইচ্ছা করুন। যত ইচ্ছা তাবলীগে সময় দিন,যত ইচ্ছা ওয়াজ মাহফিল করুন, যত ইচ্ছা পীরের দর্গায় বাশে ঝুলুন । কোন সমস্যা নাই, উলটা নিরাপত্তা লাগলে তাতেও ফ্রি সহযোগীতা করবে। দেখেননি ইজতেমায় তাগুতের গোলামরা হেলিকপ্টার দিয়ে নিরাপত্তা দেয়!! রুবুবিয়্যাত আর উলুহিয়্যাতের অর্ধেকটা নিয়ে থাকুন, মাগার খবরদার! তাওহীদে উলুহিয়্যাতের পুরোটা নিজে বোঝা যাবে না প্রচারও করা যাবেনা। ওয়াজ মাহফিল করুন ভাল কথা, কিন্তু তাওহীদে পূর্নাঙ্গ আলোচনা করা যাবেনা। সেটা ফরবিডেন।এছাড়া যত কিচ্ছা কাহিনী আছে বলুন বা শ্রবন করে ইমোশিত হোন। যত সুর আছে দিয়ে ওয়াজ করে ওয়ায়েজিন তার স্কিল প্রদর্শন করুক। যত বার পারেন চিল্লা দিয়ে আসুন, সেটাকেই বুজুর্গির মাপকাঠি। । আর তাওহীদে উলুহিয়্যাতের পুরোটা অথবা হাকিমিয়্যাহ কোথাও বলতেও পারবেন না শুনতেও পারবেন না। কারন আপনি জেনে গেলেই আপনিই মৌলবাদী জঙ্গী। হাতে অস্ত্র না থাকলেও আপনি র্যাডিক্যাল ফ্যানাটিক জেলট! ইসলামের জ্ঞানের এই পার্টটা নিষিদ্ধ। কোন পাঠ্যপুস্তকেও আনা যাবে না, হোক না সেটা মাদ্রাসা। যদি পড়তেও সুযোগ আসে, তবে তা বোঝা লাগবেনা,পালন করা তো দূরে থাক।।এর কারন কি????
কারন, এই শাসকগোষ্ঠী কক্ষনো চায় না আপনি কুফর বিত তাগুত এবং পরে ঈমান বিল্লাহ করুন(২:২৫৬)।অথচ এটাই তাওহীদের রুকন(শর্ত)। ওরা চায় না আপনি কুফর বিত তাগুতের দ্বারা কালেমার ' লা ইলাহা' এর স্বীকৃতি দিন এবং 'ইল্লাল্লাহু' দ্বারা ঈমান বিল্লাহ(মানে আল্লাহর উপর ঈমানের পরিপূর্ণতা দেন) সম্পন্ন করুন। তো প্রশ্ন হচ্ছে তাওহীদের রোকন 'কুফর বিত তাগুত' করলে শাসকগোষ্ঠীর ভয় কোথায়?
ভয় হচ্ছে, শাসকগোষ্ঠী নিজেদের আদর্শগত অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যখন কোন মুসলিম আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে অন্য কোন বিধান দ্বারা বিচার করে তখন সে কাফের হয়ে যায় (৫:৪৪)। আর যখন কেউ আল্লাহ যা হারাম করেছেন তাকে হালাল করে আর হালাল কে হারাম করে এবং সেটাকে মানতে বাধ্য করে তখন সে 'তাগুতে' উন্নীত হয়। আর সবাই যদি তাওহীদের দুই রোকনের একটি তথা 'কুফর বিত তাগুত' করে, তবে মানব রচিত সংবিধানের শাসকদের কি দশা হবে? সুবহানআল্লাহ! এই হচ্ছে কারন। অধিকন্তু কাফেরদেরই সাথে বন্ধুত্বের বৈধতা নেই, আনুগত্য তো দূরের কথা। এজন্য অইসলামিক বিচার ব্যবস্থার জন্যেই তারা কাফের হয়ে যায় এবং মুসলিমদের আনুগত্যের বৈধতা হারায়।এখানে ইজতেহাদ করে বৈধতা আরোপের সুযোগ নেই। আল্লাহই স্বয়ং ক্ল্যারিফাই করেছেন। আর এমতাবস্থায় ঐ মুরতাদ সারাদিন নামাজ-রোজা করলেও লাভ নেই যেমনটি একটি কাফের নামাজ রোজা পড়লে লাভ নেই,যদিও তারা প্রতিবছর হজ্জ্বে যান।
যাহোক,ঠিক এই কারনেই মানবরচিত কন্সটিটিউশনের শাসকগোষ্ঠীরা কোনদিনও চায় না তাওহীদ পূর্নাঙ্গভাবে বুঝুন বা পালন করুন। আর পূর্নাঙ্গ তাওহীদের রোকন বা শর্ত (কুফর বিত তাগুত, ইমান বিল্লাহ) পালন করলে বা মানলে তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ ও উলুহিয়্যাহর স্বীকৃতি আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এই কারনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর স্বীকৃতি দিয়েও দেওয়া হয়না যদি না তাওহীদই ঠিক না থাকে।
এইজন্য তাগুত শাসকগোষ্ঠী চাইবে আপনি সারাদিন তাবলীগ, চিল্লা,পীরের দর্গা আর মাজারে পড়ে থাকুন, সেটাকেই সেক্রিড আর পূর্ন দ্বীন হিসেবে ভাবুন। দ্বীনের খণ্ডিত আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর গন্ডির ভেতরে আটকে থাকুন।আর যদি বিদাত শিরক বোঝার ইচ্ছে জাগে, তাহলেও 'সহীহ' আকিদায় ঢোকার সুযোগ তারা দিয়েছে । আর সেটা আহলে হাদিস-মাদখালিরা।এই কথিত সহীহ আকিদার কাণ্ডারিরা কিন্তু আমল আর মাস'য়ালার কিছু বিশুদ্ধ জ্ঞানই প্রচার করবেন কিন্তু গোড়ায় ঐ একই জিনিস। অপূর্ণাঙ্গ খণ্ডিত তাওহীদ। তারা কাফের ও মুরতাদদের আনুগত্য করতে বলবে।সেটা নাকি ফরজও!! কাফেরদের সাথে কম্প্রোমাইজ করে চলতে বলবে, সেটাই নাকি মধ্যমপন্থা! তাওহীদে প্যাচ খাওয়ার জন্য জিহাদ তাদেরকাছে সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদ।এ কারনে শাসকও তাদের প্রতি তুষ্ট। শাসক চায় আপনি পুরো শিরক বিদাতে মশগুল থাকুন, পিসটিভিকে বন্ধ করা হয়েছিল কেন?? শাসকগোষ্ঠী যখন দেখল অপূর্ণাঙ্গ বিশুদ্ধ ঈমান আমলের প্রচার করছে তারা আর সেটা শ্রোতাদেরকে দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে রূপান্তর করছে। পূর্নাঙ্গ তাওহীদের ঘষা লাগলে জ্বলে উঠার সম্ভাবনা থাকে, সেজন্য আধা দ্বীন শেখারও রাস্তা বন্ধ করে দিল। যেন অধিকাংশই বিদাত আর শিরককে হাতের নাগালে পায় ও তা পালনেই সন্তুষ্ট থাকে। যখন আসাদুল্লাহ গালিব সাহেবকে জঙ্গীবাদের সম্পৃক্ততার জন্য রিমান্ডে নিল, এর পরে রিমান্ড ফিরে তিনিও জঙ্গী তথা জিহাদ বিরোধীতায় চলে গেলেন। কি জানি! কি ঘোল ওরা তাকে খাইয়ে মগজধোলাই করেছিল আল্লাহ ভাল জানেন। এমনকি এর পরে তাদের ইসলামী জঙ্গীবাদ তথা জিহাদ সমর্থনে দেওয়া ফতওয়াও চেঞ্জ হয়ে জঙ্গীবিরোধী ফতওয়া হয়ে যায়!এজন্য আহলে হাদিস নিয়ে সবসময়ই শাসকদের টেনশন থাকেই। এজন্য মতে অমিল হলে মাঝে মধ্যে আহলে হাদিসের কয়েকজন সামান্য সময়ের জন্য জেলও খাটেন। ।। অবশ্য এখন বর্তমানে আহলে হাদিস শায়খগন তাদের মুরজিয়া আকিদা প্রচারে বেশ স্পষ্ট, এটা শাসকদের জন্য নিঃসন্দেহে স্বস্তির।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সত্যিকারের অর্থ জানুনঃ
মাথায় চিন্তা আসতে পারে,বিষয়টা এত কঠিন বা জটিল লাগে কেন! আর এই বুঝ কি নবী (সা) এর জামানায় ছিল!
এর উত্তর, তাওহীদের এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং নবী(সা) নয় শুধু, সকল নবী গনেরই ছিল এবং এরই প্রচার করতেন। আল্লাহ বলেনঃ
"আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক..।"[১৬:৩৬]
নবী (সা) যখন প্রথমেই মক্কাবাসীদের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর দাওয়াত দিলেন তখন কাফেরদের অফার করলেন, তারা যদি কালেমার সাক্ষ্য দেয় তবে আরব, অনারব সবাই তোমাদের দ্বীন গ্রহন করবে আর কাফেররা জিজিয়া দিয়ে থাকতে বাধ্য হবে। আবু লাহাবদের মাথায়ই একথা শুনে বাজ পড়ে। সব যুগে শাসকদের মাথাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যখনই নবীগন(আলাহিসালাম) তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। এর কারন কাফেররা ভাল করেই বুঝত, এটা মানার অর্থ সব ক্ষমতা আল্লাহকে দিয়ে আত্মসমার্পন করা। মানে বুঝেশুনে কালেমার সাক্ষ্যদান মানেই তাওহীদ উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ ও আসমাওয়াস সিফাত স্বীকৃতি ও পালন করা,পূর্নরূপে তাগুতকে বর্জন এবং আল্লাহর ইবাদতকরন। এটা তারা কক্ষনো চাইত না বলেই সংঘাত হত। আর নবী (সা) এর বলা আরব আজমদের দ্বীন গ্রহন এবং কাফেরদের জিজিয়া দিতে থাকার বিষয়টি সত্যায়ন করে এই ইউনিভারসাল আয়াতটি যেথায় আল্লাহ বলেনঃ
"আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়.."[২:১৯৩]
অর্থাৎ দ্বীন বিজয়ী করতে সর্বক্ষন যুদ্ধে লিপ্ত থাকা। আল্লাহ নবী(সা)কে এ উদ্দেশ্যেই প্রেরন করেছিলেন।আল্লাহ বলেনঃ
"তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে"[৯:৩৩]
এখনো কাফের আর ঈমানের মধ্যে ওইরূপ শত্রুতা বিদ্যমান। আর এর কারন উপরেই উল্লেখ করেছি। অথচ আমরা এগুলো বুঝিই না, শুনলেও জটিল মনে হয়,যেহেতু কাফেররা তাওহীদের শিক্ষাকে নানা প্রতিবন্ধতা দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছে।এজন্যই কিছু আলেম যারা তাওহীদের পূর্ন দাওয়াত ও প্রতিষ্ঠার কথা বলে তাদের কে ওরা হয় দড়িতে ঝুলায় অথবা গুম করে অথবা কারাগারে বন্দী করে রাখে। কারো অবস্থা করা হয় মুফতি হান্নান(রঃ) অথবা শায়খ আব্দুর রহমান(রঃ)দের মত, কারও অবস্থা হয় শাইখুল হাদিস মুফতি জসীমউদ্দিন রহমানীর(হাফিঃ) মত। উপরে উল্লেখ করেছি কাফের শাসকরা আপনাকে অর্ধেক তাওহীদের উপরে আমল করা শেখাবে। কিন্তু যখন তারা পুরোপুরী মৌলবাদী অথবা ঠ্যাড়োড়িস্টদের দমন করতে সক্ষম হবে তখন শুরু হবে আইসোলেশন প্রসেস। আস্তে আস্তে যা আগে অনুমিত ছিল তা সংকীর্ন করা হবে।আর শেষ হবে সম্পূর্নভাবে দ্বীন ইসলামকে উৎপাটন এর মাধ্যমে। ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি হিন্দুয়ানী সভ্যতা তৈরির জন্য জোড় চেস্টা চলতে দেখা যাচ্ছে। মূর্তি, আর হিন্দুদের সংস্কৃতি চাপানো হচ্ছে, স্বাভাবিকিকরনের কাজ চলছে। ইসলাম শিক্ষা বইয়ের নাম পাল্টে ধর্ম আর এথিকস দেওয়া হয়েছে সেই সাথে আল্লাহর পাশে দেবতার তুলনাও হয়েছে জেনারেলের পাঠ্যক্রমে,বিবর্তনবাদকে মাধ্যমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলযাত্রাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, আপনি কি শুনেন নি মাদ্রাসাকে ব্যাঙের ছাতা বলা হয়েছে, এবং শিক্ষাক্রম বদলানোর কথা, আপনি কি শোনেননি মসজিদ গুলোতে তালা ঝুলানোর হুমকি!! জ্বি। শুনেছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কি হচ্ছে। স্পেনের ইতিহাসে শিক্ষনীয় বিষয় আছে। স্পেনে আগে কি অবস্থা ছিল! আর আজ?? আমরা স্পেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে সেদিকে হাটছি। কাফেরদের কে যত প্রশ্রয় দেবেন সে কখনোই সন্তুষ্ট হবেনা যতক্ষন না তার মত সম্পূর্ণ কাফের হয়ে যান। আমার- আপনার প্রতিপালক সত্য বলেছেনঃ
"ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনোই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন.."[২:১২০]
আমরা দ্বীনের ভেতরে করাপশনের দুষ্টচক্রে আটকে হক্ক বাতিল আইডেন্টিফাই করার এর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। এজন্য হক্ককে বাতিল আর বাতিলকে হক্ক মনে হয়।এজন্য যে যার মত দ্বীন গবেষনা করছে প্রচার আর পালন করছে। যা সত্য থেকে বহু বহু দূরে। আজ জায়গায় জায়গায় ভাঙ্গা হচ্ছে মসজিদ। ওয়াজ নসিহতে সরাসরি তাগুতের এজেন্টগুলো এসে বাধা দেয়। নিরীহ হুজুরদের নন ভায়োলেন্ট ওয়াজ নসীহাকে বন্ধ করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। ওয়াজের স্টেজে উঠে ওয়াজ শুনতে আসা সাধারন ধর্মপ্রাণ আল্লাহর বান্দাদেরকে এবং তাদের পরিবারের সন্তানদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয়। আমরা জানিও না কেন এমনটা হচ্ছে। অথচ এটা খুব সাধারণ বিষয় যে- জবাইয়ের আগে মুরগীকে দানাপানি খাওয়ানো প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়। এজন্য এতদিন যেহেতু কাফিররা বঙ্গদেশীয় মুসলিমদেরকে শতবছর দানাপানি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে সত্যিকারের দ্বীনের বুঝ অর্জন থেকে দূরে রাখার মাধ্যমে, এখন তাদের খুঁটি শক্ত হয়ে গেছে। এখন শিক্ষাদীক্ষাসহ সবক্ষেত্রে পুরোপুরি কুফরি বিলিফকে প্রোমোটিং এর সময় এসে গেছে সুতরাং দানাপানি বন্ধ। ফলশ্রুতিতে হেফাজতের উপর শাপলাচত্বরে গনহত্যা।মসজিদ মাদ্রাসায় তাগুতের শতভাগ নিয়ন্ত্রন, নাস্তিক মুর্তাদদের কতলকারীদের হত্যাসহ মসজিদ ভাংচুরও করছে সরকারী মদদে। এখন আর ট্রেডিশনাল শান্তিপ্রিয় ইসলামকেও টলারেট করা হবেনা। আপনারা কি শোনেন নি র্যাবের প্রধান ইউনিভার্সিটির দ্বীন প্রচারকারী বড় ভাইদের হত্যার সরাসরি হুমকি দিয়েছিল? অতএব এখন শান্তিপ্রিয় ননভায়োলেন্ট ইসলামও টেররিজমের ডোমেইনে ফেলা হবে। যার ফলে র্যাবকে দেখা যায় ফাজায়েলে আমল,নামাজ শিক্ষার কিতাবকেও জঙ্গীবাদী কিতাব হিসেবে উপস্থাপন করে। এটাই সেই লাঞ্ছনা! এজন্য আল্লাহ রাসূলের (স) এর বানী সত্য। তিনি বলেছিলেনঃ
ﺑَﺎﺏٌ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻌِﻴﻨَﺔِ
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ ﺩَﺍﻭُﺩَ ﺍﻟْﻤَﻬْﺮِﻱُّ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧَﺎ ﺍﺑْﻦُ ﻭَﻫْﺐٍ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ ﺣَﻴْﻮَﺓُ ﺑْﻦُ ﺷُﺮَﻳْﺢٍ، ﺡ ﻭﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟَﻌْﻔَﺮُ ﺑْﻦُ ﻣُﺴَﺎﻓِﺮٍ ﺍﻟﺘِّﻨِّﻴﺴِﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺍﻟْﺒُﺮُﻟُّﺴِﻲُّ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣَﻴْﻮَﺓُ ﺑْﻦُ ﺷُﺮَﻳْﺢٍ، ﻋَﻦْ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕَ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﻗَﺎﻝَ ﺳُﻠَﻴْﻤَﺎﻥُ : ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟْﺨُﺮَﺍﺳَﺎﻧِﻲِّ، ﺃَﻥَّ ﻋَﻄَﺎﺀً ﺍﻟْﺨُﺮَﺍﺳَﺎﻧِﻲَّ، ﺣَﺪَّﺛَﻪُ ﺃَﻥَّ ﻧَﺎﻓِﻌًﺎ ﺣَﺪَّﺛَﻪُ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ، ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﺫَﺍ ﺗَﺒَﺎﻳَﻌْﺘُﻢْ ﺑِﺎﻟْﻌِﻴﻨَﺔِ، ﻭَﺃَﺧَﺬْﺗُﻢْ ﺃَﺫْﻧَﺎﺏَ ﺍﻟْﺒَﻘَﺮِ، ﻭَﺭَﺿِﻴﺘُﻢْ ﺑِﺎﻟﺰَّﺭْﻉِ، ﻭَﺗَﺮَﻛْﺘُﻢُ ﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩَ، ﺳَﻠَّﻂَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺫُﻟًّﺎ ﻟَﺎ ﻳَﻨْﺰِﻋُﻪُ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﺮْﺟِﻌُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺩِﻳﻨِﻜُﻢْ، ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﺩَﺍﻭُﺩَ : ﺍﻟْﺈِﺧْﺒَﺎﺭُ ﻟِﺠَﻌْﻔَﺮٍ ﻭَﻫَﺬَﺍ ﻟَﻔْﻈُﻪُ ﺻﺤﻴﺢ
পরিচ্ছেদঃ ৫৬. আল-ঈনাহ পদ্ধতির লেনদেন
৩৪৬২। ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে ব্যবসা করবে, গরুর লেজ আঁকড়ে ধরবে, কৃষিকাজেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা ও অপমান চাপিয়ে দিবেন। তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদেরকে এই অপমান থেকে মুক্তি দিবেন না।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
[২/৩ বছর আগের পুরোনো পোস্ট…]
দুর এখানেও সেই জাকির নায়েক এর পিসটিভির বদনাম।তুমাদের মত মোল্লারা আবার সপ্ন দেখ ইসলামি দেশ তৈরি করবে।আগে নিজেদের মনমানুষিকতা ঠিক কর মিয়া তারপর জিহাদ কর।যে লোকটির কথাই সমস্ত কাফের মোশরেকদের জন্য পারমানবিক বোমের মত লাগত।যারে হত্যা বা করার জন্য ইসরাইল আর ইন্ডিয়ার গোয়েন্দারা ানেক চেস্টা করে যাচ্চে।যে কিনা শিরক বিদাত বা কুস্ংস্কারের দিকটাই পরিবর্তন করে দিয়েচে।সে প্রচার করচে অপরিপূর্ণ দ্বীন আর তুমরা করচ পুরনাংগ দ্বীন? তুমাদের ধ্বংশ হোক হিংসায় তুমরা শয়তানকেও হার মানিয়েছ।এই ব্লগটা অনেক ফেবারিট ছিল কিন্তুু হিংসার কারনে বর্জন করলাম। ওলিপুরির উত্তরসুরী
ReplyDeleteজ্বি আখ্যি আপনার কাছে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য। আমি নায়েক সাহেবের বিরুদ্ধে বলিনি। পিসটিভিকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েই বলেছি তারা খণ্ডিত তাওহিদের প্রচার করত। তাদের প্রচারে তাওহিদুল হাকিমিয়্যাহ ছিল না। যদি আমি মিথ্যা বলে থাকি তবে প্রমাণ করুন যে হাকিমিয়্যাহর শিক্ষা প্রচারিত হত, আপনি সত্য বললে এবং আমি মিথ্যা বললে আমি এই ব্লগ বন্ধ করে দেব ইনশাআল্লাহ। কারন আমার দ্বারা কিছু মানুষ মিসলিডিং এর স্বীকার হবে এটা আমি কখনোই চাই না।
Deleteএত রাগান্বিত হচ্ছেন কেনো জনাব,,,সত্য সবসময় তেতো ই হয়,,,পরিপক্ক হতে শিখুন,,,আকিদা শক্ত করুন,,,
ReplyDelete