Tuesday, February 16, 2021

২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শুয়োর



 জনৈক ভাই খুব হাতাশা আর দুঃখ প্রকাশ করে বলছেন, তিনি আজ কিছু মুসলিম নামযুক্ত মুর্তাদরা নবী(স) কে নিয়ে অশ্লীলভাবে কটুক্তি করতে দেখেছেন।  তিনি জানতে চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় না?

বললাম, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে জঙ্গী সাব্যস্ত হবেন এবং আপনাকেই উলটো আইনের আওতায় নেওয়া হবে। কারন এ দেশে নাস্তিক গুরু রাজিব হায়দার বা থাবা বাবা যখন নবী(স) কে নিয়ে অশ্লীল কাব্য, গল্প লিখলো এবং অশ্লীলভাবে কটূক্তি করলো এবং এতে যখন তাকে হত্যা করা হলো তখন খোদ প্রধানমন্ত্রীই তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গেল এবং সংবাদমাধ্যমে তাকে ২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ খেতাব দিলো।

বিশ্বাস না হলে দেখুনঃ

https://m.youtube.com/watch?v=zODpDVfbdys


শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, তার সাথে নাস্তিকদের কর্মের সাথে একমত আব্দুল্লাহ আল মাসুদদের ন্যায় আলেমদের এক একদল।তারাও একে শহীদ খেতাব দিল। দেখুনঃ   https://m.youtube.com/watch?v=MCiCs88_pI0 


নাস্তিক ব্লগার রাজিব হায়দারের অপকর্মের কিছু নমুনা দেখুনঃ

https://m.youtube.com/watch?v=omMgA-OqUwM

https://m.youtube.com/watch?v=GBRJ_qbToic 

https://m.youtube.com/watch?v=J2h1AOGElGs


তিনি জানতে চাইলেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে কিনা..

বললাম-"পুলিশের কাছে যেতে পারেন। কিন্তু নাস্তিকদের অসাম্প্রদায়িক মুক্ত চেতনার অসহিষ্ণুতার জন্য আপনাকেই জঙ্গী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেতে হতে পারে।"


তিনি বললেন- "এ কেমন পরীক্ষায় ফেললো আল্লাহ্‌ আমাদের 😞

সহ্যও করতে পারি না, কিছু করতেও পারি না"

কিছু করতে পারিনা বললে ভুল হবে। করনীয় কি সেটা নবী (স) এর সুন্নাহ তে ভালভাবেই  বর্ণিত আছে। এর দলিলভিত্তিক করনীয় বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ https://m.youtube.com/watch?v=GBRJ_qbToic

(একই)

অতঃপর দেখুন যারা নবী(স) এর নির্দেশ মোতাবেক কটুক্তিকারী মুর্তাদকে ঘায়েল করেছে তাদের কি পরিনতি হয়েছে।

https://m.youtube.com/watch?v=mTa5thx5oBw

এর পরে ওয়াশিকুর বাবু নামের মুরতাদ আর জঘন্য ভাষায় আল্লাহর ও তার রাসূল(সা) কে নিয়ে কটুক্তি করে। তাকে হত্যার পরেও সরকার একই আচরন করে।

সুতরাং চলমান সময়ে যারা এভাবে আল্লাহ ও তার নবী(স) কে গালিগালাজ ও কটূক্তি করে যাচ্ছে, তাদের বিপক্ষে মামলা করতে চাওয়া, আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের চিন্তা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ?

প্রশ্ন আসতে পারে, কেন এই শাসকগোষ্ঠী নাস্তিকদের সপক্ষেই থাকছে! এত উত্তর খুব সোজা। তাদের নাম গুলো মুসলিম হলেও তারা অন্তরের দিক দিয়ে আদৌ মুসলিম নয়। এরা নিজেরা আইন তৈরি করে বিচার করে, এজন্য তারা ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকেই কাফের। আল্লাহ সূরা মায়েদার ৪৪ নং আয়াতেই তা পরিষ্কারভাবে বলেছেন। এজন্য তাদের বিচার, রায় সবকিছুই নাস্তিকদের পক্ষে যাবে এটাই স্বাভাবিক।। মানবরচিত বিধানের এই শাসকরা আইন হাতে তৈরি করে নিজেদেরকে ইলাহর আসনে বসায় বলে শার'ঈ পরিভাষায় এদের তাগুত বলে। এতএব  কাদের কাছে বিচার চাইবেন? সূরা নিসার ৬০ নং আয়াতে শিক্ষণীয় বিষয় আছে। আল্লাহ বলেনঃ

"আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবর্তীণ হয়েছে। তারা নিজেদের মোক্কাদমা তাগুতের কাছে নিয়ে যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা ওকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করে ফেলতে চায়।"


শাসক গোষ্ঠী যে তাগুত সেটার সুস্পষ্ট প্রমান তারা দিয়েছে মুরতাদ ব্লগারদের সমর্থন দিয়ে ও তাদের হত্যাকারীদের বিপক্ষে বিচার করে। কিন্তু এর পরেও কিছু মূর্খরা কখনোই বুঝবেনা। এরা তাগুতকেই বিচার ফয়সালাকারী হিসেবে মান্য করে যাবে।আহলে হাদিস সংগঠনটি এই তাগুতকেই মান্য করতে নির্দেশ দেয়, তাগুতের গুরুদের নামের সাথে 'রহিমাহুল্লাহ' উচ্চারণও করে, আর তাদের ৯৯% ই নাস্তিকদের প্রতি নিরবতা পালন করে। তেমনি অন্যান্য সকল হক্কানী-সহীহ আকিদার ঝান্ডাধারীরাও। মোডারেট আরিফআজাদরা রাসূল (স) কে কটূক্তিকারীদের কতলের 'বিরুদ্ধে'ও মনগড়া আর্টিকেল প্রকাশ করে।

এ আর্টিকেলটি এ জন্যই লেখা যে এখনো অধিকাংশই জানেনা নাস্তিকদের কুকর্ম ও তাগুতের সমর্থনসূচক অবস্থান। এখনো ৯০% মানুষই সত্যের ব্যপারে বেখবর। এদের অনেকে না জেনেই কাফেরদের পক্ষে থেকে তাদের সমর্থন আর হত্যার নিন্দা করে।  এর কারন কাফেরদের সপক্ষীয় শক্তিশালী মিডিয়া কভারেজ। আজ মালাউন অভিজিৎ কে কতলকারী ভাইদেরকে মৃত্যুদণ্ডের রায় হলো। মুর্তাদ সরকার ঠিকই মদিনা সনদে দেশ চালানোর প্রহসন করে। মাথামোটা জনগণ এগুলো শুনে মনে করে তাগুতলীগ কত্ত ভালা! কিন্তু তাদের মুসলমানত্বের পরিচয় হচ্ছে- শাতীমে রাসূল(সাঃ) দেরকে নিরাপত্তা দেয়া এবং এদেরকে কতল করা হলে সত্যিকারের আশিকে রাসূলদের(স) মৃত্যুদণ্ড দেয়া। যতদিন জাতি এই তাগুতকে চিনবে না, প্রকৃত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর দিকে আসবে, লাঞ্ছনা কিছু মাত্রায়ও কমবে না। আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।


.

পড়ুনঃ

https://medium.com/@abuyunus/শাতিমে-রাসুল-সাঃ-ও-ইদ্রিস-কান্ধলভি-রহঃ-2194b3ab6888

0 Comments:

Post a Comment