সমতল পৃথিবীর বিষয়টি অনেকের কাছেই আনএক্সেপ্টেবল। এর প্রধান কারন 'ব্রেইনওয়াশ'। যারা যত বেশি টিভি-মুভির সাথে সম্পর্ক যুক্ত তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো বেশি অগ্রহণযোগ্য। আর সাইন্টিফিক ফ্যান্টাসি থাকলে তো আর কথাই নাই। তাদের ক্ষেত্রেও এটা শকিং যারা সারাজীবন বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ছিলেন, আর সকল পড়াশুনা ছিল সৌরজগৎ কেন্দ্রিক তাই পৃথিবী কেন্দ্রিক সমতল-বদ্ধ ও জিওস্টেশনারী কসমোজনি বিরাট এক ধাক্কা। এজন্য এ সকল শ্রেনীর লোকদের থেকে সবচেয়ে বেশি বিদ্রুপ ও বিরুদ্ধাচরণ দেখা যায়। এদের কিছুর বিজ্ঞানান্ধতা এত বেশি যে সকল তথ্য প্রমান পাবার পরেও মহাকাশ ও জাগতিক ভ্রান্ত শিক্ষাকেই চোখ বন্ধ করে আঁকড়ে ধরে থেকে নির্বোধের মত বিদ্রুপ করে। এর কোন মানে হয় না!
ফ্ল্যাট আর্থ এখন সুবিশাল একটি বিপ্লবে রূপ নিয়েছে। এই এস্ট্রোনমির গ্রহণকারীর সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। আমেরিকায় (যুক্তরাষ্ট্র) সবচেয়ে প্রকট। অস্ট্রেলি
দেখা যায় সামান্য সংখ্যক সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাসকারী খ্রিষ্টানরা মুসলিমদের সাথে সেধে বন্ধুত্ব করতে চায়। ওরা ইসলামের সত্যতার ব্যপারে ভালই জানে কিন্তু মুসলিম হবেনা বাপদাদাদের জন্য। এজন্য এদের কতক দাওয়াত পেলে নিশ্চুপ থাকে। তাই বলে এদের সাথে আপোষ করা বা ফ্রেন্ডশিপ করার বৈধতা নেই। যদি কেউ বলে থাকে তবে আশংকা করি সে নযরের বদনযর প্রাপ্ত।
এ যুগে যে সমতল পৃথিবীর ব্যপারে বিশ্বাসগত বিপ্লব চলছে সেটাতে যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আছে স্পিরিচুয়ালিস্ট
পাইলটরা পৃথিবীর সমতলতার ব্যপারে সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত জ্ঞান রাখে। অল্প কিছু পাইলট এর ব্যাপারে মুখ খুললেও অধিকাংশই চুপ থাকে ও গোপন রাখে চাকরি হারানোর ভয়ে আর মানুষ বোকা বলবে বা তিরস্কার শোনার ভয়ে। দেখুনঃ https://
https://
তাছাড়া অনেক অখ্যাত বিজ্ঞানী, গবেষকরা,ইঞ্জিনি
সমতল পৃথিবীর এই ফেনোমেনা নতুন কিছু নয় আবার খুব বেশি প্রিমিটিভও নয়। মাত্র ৫০০ বছরের আগের প্রতিষ্ঠিত জ্ঞান ও বিজ্ঞান। ১৭০০ সাল পর্যন্ত চীনের অফিশিয়াল বিজ্ঞান ফ্ল্যাট আর্থ ভিত্তিক। উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ এসেছে স্পষ্টভাবে যে ওরা জেসুইট অর্ডারের চাপে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয় গ্লোব মডেলে সুইঁচ করতে। যাদের কাছে এটা খ্রিষ্টীয় ডগমা মনে হয়, তাদের উচিৎ ইতিহাস জানা। আর একদম ব্রেইনওয়াশডরা গ্লোবালিস্টরা জানেও না Copernican আর Ptolemy'র এস্ট্রোনমির ইতিহাস। ওরা জানেনা গ্রাভিটির ইতিহাস। ওদের সাইকোলজিক্যাল ন্যারোনেসের কারন স্বল্প জ্ঞান।
এটা সত্য যে কুয়োর ব্যাঙের কাছে ছোট্ট কুয়োই বিশাল জগৎ। আর ছোট্ট পুঁটিমাছের জন্য ছোট্ট ডোবা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে টাইসন,বিল নিই রা সবচেয়ে বেশি সমতল পৃথিবীর বিরুদ্ধে বিদ্রুপ করে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কেউ যখন ফ্ল্যাট আর্থের পক্ষে কথা বলে সে বিজ্ঞানীগন তাদেরকেও অপমান করতে ছাড়েনা।কন্সপাইর
তবে একটা বিষয় উদ্বেগজনক। ফ্ল্যাট আর্থ সমস্ত প্যাগানদের পুনর্জাগরন ঘটাচ্ছে এবং ঘটিয়েছে। বিশেষ করে এস্ট্রলজি। zodiac cycle গুলো খুবভাল ভাবে কাজ করে পুরাতন জিওসেন্ট্রিক মডেলে।যখন এস্ট্রলজি খুব ফ্লারিশড ছিল তখনকার এস্ট্রনমি ছিল জিওসেন্ট্রিক ফ্ল্যাট প্লেইন। যার ফলে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়েছে আধ্যাত্মবাদ। বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা Geocentric cosmology এর পক্ষেই উক্তি করেছিলেন, তাছাড়া তার কর্ম আর চিন্তা গুলোও ফ্ল্যাট আর্থ কেন্দ্রিক, তাই তাকে আধ্যাত্মবাদীরাও
একটা বিষয় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে সরাসরি দাজ্জালের অনুসারীরাই ফ্ল্যাট আর্থের প্রোমোটিং এ কাজ করছে পাশ্চাত্যে।এদিক
হাজারো জিনস্টিস্ট,মিস্
উম্মাহর চলমান দুর্দশার সময়ে এসব নিয়ে আলোচনার সময় সত্যিই নেই। কিন্তু বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছে যখন দেখি কিছু ভাই সত্যের প্রচারক অথচ আকাশবিজ্ঞান আর সৃষ্টি জগৎ এর ব্যপারে ভুল/ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন,আর মানুষ সেটা গ্রহন করছে। এটা মনে রাখা জরুরী যে আমাদের কাফেরদের তথ্যের ব্যপারে সাবধান হওয়া উচিৎ। এ আর্টিকেলটি লেখার উদ্দেশ্য এটা বোঝানো যে সমতল পৃথিবীর নোশন খ্রিষ্টীয় নয় যে ফেইক অ্যালিগেশন অনেক নির্বোধ করে থাকে এবং বর্তমান সময়ে এর গ্রহণযোগ্যতা বিশেষ সম্প্রদায়ের মাঝেও কেন্দ্রিভূত নয়। আর এরূপ বিশ্বাসে অপমানবোধ অথবা নঞর্থকতার কিছু নেই। কিন্তু যারা কুয়োর ব্যাঙ তাদের জন্য বড়ব্যাঙ থিওরি নিয়ে বসে থাকাই সমীচীন।
জাযাকাল্লাহ
ReplyDelete